Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Patient: হাসপাতালের বেডের নীচে মানসিক ভারসাম্যহীন রোগীর কাছে এত টাকা! হতবাক সকলে, কোথায় জানেন?

    Patient: হাসপাতালের বেডের নীচে মানসিক ভারসাম্যহীন রোগীর কাছে এত টাকা! হতবাক সকলে, কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালের সার্জিক্যাল ওয়ার্ড। সেখানে একটি বেডের মতো বসে রয়েছেন অজ্ঞাত পরিচয় মানসিক ভারসাম্যহীন এক  রোগী (Patient)। পরনে কালো প্যান্ট আর চেক জামা। হিন্দি ভাষী। তাঁর শারীরিক দুর্বলতার ওপর চিকিৎসা শুরু হয়। আচমকাই ভবঘুরে ওই রোগীর (Patient)  বেডের নীচে থেকে উদ্ধার হয় নোটের বান্ডিল। সবমিলিয়ে প্রায় এক লক্ষ টাকা। যা দেখে হতবাক হাসপাতালের নার্স থেকে চিকিত্সক সকলেই। এরকম একজন মানসিক ভারসাম্যহীন ভবঘুরের কাছে এতগুলো টাকা এল কোথা থেকে? বিষয়টি জানতে পেরে হাসপাতালের সুপার ধীমান মণ্ডল ছুটে আসেন। কোনওরকমে বুঝিয়ে তাঁর ওই টাকা উদ্ধার করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের জিম্মায় রাখা হয়েছে। বিষয়টি কোকওভেন থানায় জানানো হয়। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

     ভবঘুরে ওই রোগীর  কাছে এত টাকা আছে, জানা গেল কীভাবে? Patient

    ১৭ মার্চ কোকওভেন থানার এক সিভিক ভলান্টিয়ার মুচিপাড়া থেকে ওই ভবঘুরেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। কিন্তু, তাঁর নাম ও পরিচয় জানা যায়নি। হাসপাতালের এক নার্স বলেন, দুদিন চিকিত্সা করার পর তিনি কিছুটা সুস্থ হয়ে ওঠেন। আর সুস্থ হতেই বেডের মধ্যে কিছুক্ষণ বসে থাকার পর তিনি বার বার বেডের নীচে লুকিয়ে পড়ছেন। বেডের নীচে দীর্ঘক্ষণ বসে থাকছেন। মানসিক রোগী (Patient) ভেবে প্রথমে আমরা গুরুত্ব দিইনি। এক রোগীর (Patient)  বাড়ির লোকজন বলেন, বেডের নীচে ও কিছু গুনছে। তবে, সেটা কাউকে দেখাচ্ছেন না। এরপরই কৌতূহলবশত হাসপাতালের এক কর্মী বেডের নীচে নেমে দেখেন তাঁরা কাছে ৫০০ টাকার মোটা দুটি বান্ডিল রয়েছে। প্যান্টের পকেট থেকে বের করছে আর গুনছে। বার বার তিনি ওই টাকা গুনছিলেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়। সমস্ত টাকা ওই রোগীর (Patient) কাছে থেকে উদ্ধার করে রাখার ব্যবস্থা করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। মানসিক ভারসাম্যহীন ওই ভবঘুরে বলেন, আমার জমি কেনাবেচা আর চটির ব্যবসা রয়েছে। ভাইয়ের সঙ্গে আমি ব্যবসা করি। ব্যবসার জন্যই টাকা নিয়ে এসেছিলাম। তারপর আবার বিরবির করে কী বলতে থাকেন। এতগুলো টাকা নিয়ে রাস্তার ধারে কেন পড়েছিল তা পরিষ্কারভাবে তিনি কিছু বলতে পারেননি।

    কী বললেন হাসপাতালের সুপার? Patient

    হাসপাতালের সুপার ধীমান মণ্ডল বলেন, ওই বৃদ্ধের মানসিক কোনও সমস্যা রয়েছে। তিনি নিজের নাম কখনও আহির খান আবার কখনও বলছে সামিহুল হুদাখান। বাড়ির ঠিকানা বলছেন, বিহার। কখনও  ঝাড়খণ্ডের বিভিন্ন এলাকার নাম করছেন। তাঁর কাছে কোনও পরিচয়পত্রও নেই। কথাই অসঙ্গতি থাকায় আমরা তাঁর কাছ থেকে ৯৯ হাজার টাকা নিয়ে নিজেদের হেফাজতে রেখেছি। তবে, এতগুলো টাকা নিয়ে তিনি কী করছিলেন তা বুঝতে পারছি না। তাঁর পরিবারের কেউ খবর পেয়ে আসলে তাঁদের হাতে ওই টাকা সহ রোগীকে তুলে দিতে চাই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

     

     

  • Toilet: নির্মল জেলায় শৌচালয়হীন আদিবাসী গ্রাম! কোথায় জানেন?

    Toilet: নির্মল জেলায় শৌচালয়হীন আদিবাসী গ্রাম! কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ আজব গ্রাম! নির্মল জেলাতেই আস্ত একটি আদিবাসী গ্রামে কারও বাড়িতে নেই শৌচাগার (Toilet) – খোলা মাঠেই মহিলাদের করতে হয় শৌচকর্ম। যাতায়াতের রাস্তাও অযোগ্য। গ্রামের বিদ্যুতের খুঁটি থাকলেও গ্রামে কারও বাড়িতে বৈধ বিদ্যুত্ সংযোগ নেই। বাধ্য হয়ে বাসিন্দারা  হুকিং করে বাড়িতে আলো জ্বালান। দক্ষিণ দিনাজপুরের তপন ব্লকের ৭ নম্বর রামচন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের শিকারপুর গ্রামে নেই কোনও উন্নয়ন। এতদিনেও গ্রামে শৌচালয় (Toilet)  তৈরি না হওয়ায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। তাঁদের বক্তব্য, একাধিকবার সরকারি সহায়তায় শৌচালয়ের (Toilet)  জন্য আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু, সরকারি সাহায্য মেলেনি। তাই, গ্রামের কারও বাড়িতে কোনও শৌচালয় (Toilet)  নেই। গ্রামের বাসিন্দা কলিতা সরেন বলেন, পঞ্চায়েতে ৯০০ টাকা করে জমা দিয়েও শৌচালয় (Toilet)  পাইনি। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, কয়েকদিন আগে তৃণমূল নেতারা গ্রামে এসেছিল, সমস্যার কথা না শুনেই চলে গিয়েছে। কারও বাড়িতে শৌচালয় নেই, মেয়েদের কত সমস্যা হয় তা কেউ বোঝে না। এলাকায় বাড়ি বাড়ি শৌচালয় (Toilet)  না হলে এবার ভোটই দেব না।

    কী বললেন তপন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি? Toilet

     নির্মল জেলা দক্ষিণ দিনাজপুরের রামচন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসের সামনে “মাঠে ঘাটে পায়খানা-মৃত্যুর পরোয়ানা”, “মিশন নির্মল বাংলা – প্রচারে ৭নং রামচন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েত” লেখা হোর্ডিং টাঙানো থাকলেও, আদিবাসী অধ্যুষিত গোটা গ্রাম বছরের পর বছর কেন শৌচালয়হীন অবস্থায় রয়েছে ? জেলাবাসীদের একাংশ ইতিমধ্যেই বলতে শুরু করেছেন, স্বঘোষিত নির্মল জেলা দক্ষিণ দিনাজপুরের শিকারপুর গ্রামের অনুন্নয়নের ছবি লজ্জা প্রশাসনের। এই বিষয়ে তপন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি রাজু দাস বলেন, গোটা গ্রামে শৌচালয় (Toilet)  নেই তা আমার জানা ছিল না। মুখ্যমন্ত্রী এত উন্নয়ন করার পরেও আদিবাসী পরিবারগুলি এতটাই পিছিয়ে পড়ে রয়েছে তা কেউ জানাইনি। ওই গ্রামের বাসিন্দারা যাতে শৌচালয় (Toilet)  পান তারজন্য সবরকম উদ্যোগ গ্রহণ করব। তিনি আরও বলেন, গ্রামবাসীদের থেকে টাকা জমা নেওয়ার পরও কেন শৌচালয় তৈরি করা হয়নি তা তদন্ত করে দেখব।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব? Toilet

    বিজেপির জেলার সাধারণ সম্পাদক বাপি সরকার বলেন, খুবই লজ্জার বিষয়। আজকের দিনে শৌচকর্ম করতে মহিলাদের মাঠে যেতে হয় তা ভাবতে পারছি না। শৌচালয় (Toilet)  করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার টাকা পাঠাচ্ছে, সেই টাকা তৃণমূল সরকার খেয়ে নিচ্ছে। অবিলম্বে উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করার দাবি জানাচ্ছি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: পঞ্চায়েত ভোটের আগে তৃণমূল নেতাদের নিয়ে একী বললেন রাজ্যের মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়?

    TMC: পঞ্চায়েত ভোটের আগে তৃণমূল নেতাদের নিয়ে একী বললেন রাজ্যের মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ এক সময় যারা সাইকেল চড়ে এলাকায় ঘুরে বেড়াতেন, তৃণমূল (TMC) নেতা হয়ে এখন চারচাকা নিয়ে ঘুরছেন। টালি বাড়ি থাকা শাসক দলের নেতা এখন অট্টালিকা হাঁকিয়েছে। বিরোধীরা বার বার শাসক দলের নেতাদের সম্পর্কে এই অভিযোগ করেন। এবার সেই বিরোধীদের অভিযোগকে মান্যতা দিলেন রাজ্যের মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। কয়েকদিন আগেই দলীয় সভায় তিনি বলেছিলেন, দলে কিছু মানুষ খারাপ হতে পারে। তবে, সবাই খারাপ হতে পারে না। আমি চোর হতে পারি, কিন্তু, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চোর হতে পারে না। তাঁর এই বক্তব্য নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। এবার দলীয় নেতা কর্মীদের (TMC)  জীবনযাত্রা নিয়ে সতর্ক করলেন মন্ত্রী। খড়দহের বিলকান্দায় দলীয় সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাজ্যের এই মন্ত্রী বলেন,আমি ২৪ বছর প্রেসিডেন্ট হয়েও স্কুটার চালিয়েছি। আর আজকাল দেখি পাড়ার প্রেসিডেন্ট সেও একটা গাড়ি করে ফেলেছে। কোথা থেকে আসে, কে দেয় এই টাকা। এইটুকু ত্যাগ করলে তবেই না মানুষ ভালবাসবে। আমি চাইব, আমার সহকর্মী বন্ধুরা যারা দীর্ঘ সংগ্রামের মধ্য দিয়ে উঠে এসেছেন, তাঁরা ক্ষমতার স্বাদ পেয়ে চরিত্রটাকে নষ্ট করবেন না।

    পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে কী বললেন মন্ত্রী? TMC

    পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রার্থীর জীবনযাত্রা দেখে ভোট দেওয়ার কথা বললেন খড়দহের বিধায়ক। তিনি বলেন, আবার একটা পঞ্চায়েত নির্বাচন আসছে। যাকে মনে হবে আপনারা ভোট দিয়ে জেতাবেন। কিন্তু, ভোটটা দিয়ে বাড়ি ঢুকে যাবেন না। খেয়াল রাখবেন  যাকে ভোট দিলেন তাঁর জীবনযাত্রা, চলাফেরা পাল্টে গেল কিনা। পঞ্চায়েত সদস্য হওয়ার কদিনের মধ্যেই বাড়ির চেহারা পাল্টাচ্ছে কিনা, বাড়িতে নতুন গাড়ি ঢুকলো কিনা, এগুলো দয়া করে দেখবেন। সাধারণ মানুষের কাজ নজর রাখা। শুধু ভোট দিয়ে দায়সারা নয়। আপনাকেও আপনার জীবনযাত্রা সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে বলে দলীয় নেতাদের (TMC)  সতর্ক করেন তিনি।

    সিপিএমকে তোপ দেগে কী বললেন মন্ত্রী? TMC

    সিপিএমকে আক্রমণ করে মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, ছাত্রপরিষদ করার কারণে এন্ড্রুজ কলেজের একজনকে সুজন চক্রবর্তী সারা গায়ে সিগারেটের ছ্যাঁকা দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছিল। আর এদের এখন লাফানো দেখে মনে হয় সবাই তিলক দিয়ে বৈষ্ণব হয়ে গিয়েছে। ৩৪ বছর ধরে কি অত্যাচার এরা করেছে, আমরা ভুলে যাইনি, বাংলার মানুষও ভুলে যায়নি। এখন সব বড় বড় কথা বলছেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।+-

  • President Of India: বিশ্বভারতী ঘুরে অভিভূত দ্রৌপদী মুর্মু!  সমাবর্তনে কী বললেন রাষ্ট্রপতি?

    President Of India: বিশ্বভারতী ঘুরে অভিভূত দ্রৌপদী মুর্মু! সমাবর্তনে কী বললেন রাষ্ট্রপতি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু (President Of India) বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় এলেন। ঘুরে দেখলেন। আর হিন্দি ইংরেজির পাশাপাশি বাংলা ভাষায় বক্তব্য রেখে সকল পড়ুয়ার মন জয় করে নিলেন। রাষ্ট্রপতিকে (President Of India)  কাছ থেকে দেখে এবং তাঁর বক্তব্য শুনে অভিভূত পড়ুয়ারা। প্রিয়াঙ্কা মুখোপাধ্যায়, অনসূয়া দে নামে পড়ুয়ারা বলেন, রাষ্ট্রপতিকে (President Of India)  এত কাছ থেকে দেখব ভাবতে পারিনি। বিশ্ববিদ্যালয়ে ছেলে-মেয়ের সংখ্যা সমান সমান জেনে তিনি খুশি হয়েছেন। মেয়েদের আরও এগিয়ে যাওয়ার তিনি বার্তা দিয়েছেন। আমরা খুব খুশি। এই প্রথম রাষ্ট্রপতি (President Of India)  বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে এলেন। রাষ্ট্রপতি (President Of India)  আসবেন বলে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়সহ আশপাশের চত্বর কড়া নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে দেওয়া হয়েছিল। নো ফ্লাইং জোন ছিল গোটা এলাকা। হেলিকপ্টারে নামার পর কনভয়ে করে  রাষ্ট্রপতি সোজা বিশ্বভারতী চলে যান। শান্তিনিকেতনে এসে প্রথমে রবীন্দ্রভবন সংগ্রহশালায় যান রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু (President Of India) । সেখানে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ব্যবহৃত চেয়ারে পুষ্পার্ঘ্য নিবেদন করে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন তিনি। সংগ্রহশালায় কবিগুরুর ব্যবহৃত সামগ্রী, পাণ্ডুলিপি, আঁকা ছবি তিনি ঘুরে ঘুরে দেখেন। ভিজিটর বুকে নিজের মতামতও লেখেন তিনি। পরে, বিশ্বভারতীর অন্যতম কলাভবন ঘুরে দেখেন দ্রৌপদী মুর্মু। কলাভবনে খোলা আকাশের নীচে নির্মিত ভাস্কর্যগুলি ঘুরে দেখেন তিনি। সেখান থেকে ছাতিমতলায় এসে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রাষ্ট্রপতি তথা বিশ্বভারতীর পরিদর্শক দ্রৌপদী মুর্মু (President Of India) । তারপর আম্রকুঞ্জের জহর বেদীতে সমাবর্তনে যোগ দেন রাষ্ট্রপতি। সঙ্গে ছিলেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। প্রথা অনুযায়ী সপ্তপর্ণী (ছাতিম পাতা) তুলে দেন বিভিন্ন ভবনের অধ্যক্ষ ও বিভাগীয় প্রধানের হাতে। বিশ্বভারতীর তরফে রাষ্ট্রপতিকে (President Of India)  বিশ্বকবির একটি প্রতিকৃতি উপহার দেন উপাচার্য।

    সমাবর্তনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কী  বললেন রাষ্ট্রপতি? President Of India

    মঙ্গলবার বিশ্বভারতীর সমাবর্তনে যোগ দিয়ে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু (President Of India) বলেন,”সকল উত্তীর্ণ পড়ুয়াদের আমার অভিবাদন। জীবনে সফল হও। আমি আপ্লুত বিশ্বের একজন প্রতিভাবান ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন মানুষ গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের আমি পরিদর্শক। এটা আমার প্রাপ্তি। আমি গতকাল (সোমবার) গুরুদেবের বাড়িও ঘুরে দেখেছি। দুই দেশের জাতীয় সঙ্গীতের রচয়িতার মাটিতে এসে আমি খুশি।” ছোটবেলায় শান্তিনিকেতনের কথা শুনতেন দ্রৌপদী মুর্মু, সেই স্মৃতিচারণও করেন তিনি। তিনি আরও বলেন, “আমি ছোটবেলায় শান্তিনিকেতনের কথা শুনতাম। শুনতাম এখানে গাছের তলায় পড়াশুনা করানো হয়। গুরুদেবের সময় থেকেই চলে আসছে। আমি আজ নিজে দেখলাম সেই শান্তিনিকেতন। খুব আনন্দিত। এক কথায় বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও তাঁর প্রতিষ্ঠিত বিশ্বভারতীর শিক্ষা ও পরিবেশের প্রসংশায় পঞ্চমুখ ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু (President Of India) ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Tapas Saha: দমকল নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত ভারও কি সিবিআইয়ের হাতে!  কী বললেন বিচারপতি মান্থা? 

    Tapas Saha: দমকল নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত ভারও কি সিবিআইয়ের হাতে! কী বললেন বিচারপতি মান্থা? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দমকলে নিয়োগের দুর্নীতির ভারও কি তবে সিবিআই পেতে চলেছে। অন্তত, কলকাতা হাইকোর্টের শুনানিতে সেরকম ইঙ্গিতই মিলেছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। স্কুলে নিয়োগ নিয়ে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ সামনে আসছে। তারমধ্যেই দমকলে নিয়োগের ক্ষেত্রেও দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগে সরগরম হয়ে উঠেছে রাজ্য রাজনীতি। তেহট্টের তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহার (Tapas Saha)বিরুদ্ধে টাকার বিনিময়ে চাকরি দেওয়ার অভিযোগ তুলে মামলা হয়েছে হাইকোর্টে।

    কী বললেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা

    মঙ্গলবার বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে শুনানি হয়। সেই শুনানিতে রাজ্যের তরফে অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল জানান, এই মামলার তদন্তভার সিবিআইকে দেওয়া হলে কোনও সমস্যা নেই।

    রাজ্যের দুর্নীতি দমন শাখা সময় মতো চার্জশিট দেয়নি বলে অভিযোগ

    এই মামলার তদন্ত রাজ্যের দুর্নীতি দমন শাখা করছে। নিম্ন আদালতে এই মামলার বিচারপ্রক্রিয়া চলছে। এই ঘটনায় তাপস সাহা (Tapas Saha), প্রবীর কয়াল, শ্যামল কয়াল, সুনীল মণ্ডলদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। বিরোধীদের অভিযোগ, তাপস সাহার (Tapas Saha) বিরুদ্ধে সময় মতো চার্জশিট জমা দেওয়া হয়নি বলে তিনি জামিন পেয়ে যান।

    মামলার আগামী শুনানি ৩০ মার্চ

    মঙ্গলবার, এই মামলার শুনানিতে রাজ্যের তরফ থেকে ২ দিন সময় চাওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, তারা একটি রিপোর্ট দেবে। বিচারপতি মান্থা রাজ্যের আবেদন মঞ্জুর করেন। তিনি এদিন এই মামলার পর্যবেক্ষণে জানান, এই অভিযোগ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই বিলম্ব করা যাবে না। আগামী বৃহস্পতিবার ৩০ মার্চ মামলার শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে। সেদিনই স্থির করা হবে এই মামলার তদন্তভার দুর্নীতি দমন শাখার হাতেই থাকবে নাকি অন্য কোনও তদন্তকারী সংস্থা দিয়ে তদন্ত করানো হবে।

    তাপস সাহার (Tapas Saha) বিরুদ্ধে অভিযোগ কী

    নিয়োগ দুর্নীতিতে আগেই তাপস সাহার নাম জড়িয়েছিল। সরকারি দফতর ও স্কুলে চাকরি দেওয়ার নামে টাকা তোলার অভিযোগ ছিল তাঁর বিরুদ্ধে। দিন দু’য়েক আগে বিজেপি নেতা তরুণজ্যোতি একটি অডিও ক্লিপ সামনে এনে দাবি করেছিলেন দমকল বিভাগে চাকরি দেওয়ার নামে টাকা চাইছেন তাপস (Tapas Saha)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • Anubrata Mondal: অনুব্রত ঘনিষ্ঠকে পার্টি অফিসে মারধর করে বের করে দিলেন কাজল অনুগামীরা! কোথায় জানেন?

    Anubrata Mondal: অনুব্রত ঘনিষ্ঠকে পার্টি অফিসে মারধর করে বের করে দিলেন কাজল অনুগামীরা! কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ গরু পাচারকাণ্ডে অভিযুক্ত অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) এখন তিহার জেলে রয়েছেন। এবারই প্রথম অনুব্রতহীন (Anubrata Mondal)  পঞ্চায়েত নির্বাচন হতে চলেছে। স্বাভাবিকভাবেই এই জেলায় এবার সংগঠন দেখার রাশ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের হাতে নিয়েছেন। ২৪ মার্চ কালীঘাটে তিনি বীরভূম জেলার নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেই বৈঠকে দলীয় নেতার বিরুদ্ধে মুখ খোলার জন্য কাজল শেখকে তৃণমূল নেত্রী ধমক দেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। ফলে, কালীঘাটের মিটিং নিয়ে বীরভূমে শাসক দলের অন্দরে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। এরইমধ্যে নানুরে দলীয় কার্যালয়ে কেষ্ট (Anubrata Mondal)  ঘনিষ্ঠ সংখ্যালঘু সেলের নেতা রিঙ্কু চৌধুরীকে বেধড়ক পেটানোর অভিযোগ উঠেছে কাজল শেখের অনুগামীদের বিরুদ্ধে। তৃণমূলের ওই নেতার জামাও ছিঁড়ে দেওয়া হয়। পরে, তাঁকে পাটি অফিস থেকে বের করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। পঞ্চায়েত ভোটের আগে কেষ্ট (Anubrata Mondal)  অনুগামী এবং কাজল অনুগামীদের কোন্দল নিয়ে ফের সরগরম বীরভূমের রাজনীতি।

    ঠিক কী হয়েছিল? Anubrata Mondal

    এমনিতেই কাজল শেখের সঙ্গে অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) বরাবরই দ্বন্দ্ব রয়েছে। কারণ, নানুর গণহত্যায় কাজল শেখের পরিবারের তিনজনের মৃত্যু হয়। আর এই গণহত্যার নেপথ্যের নায়ক তত্কালীন বাম নেতা রানা সিংহ বলে কাজল শেখের অনুগামীদের দাবি। ফলে, তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর কেষ্ট মণ্ডলের (Anubrata Mondal) হাত ধরে রানা সিংহ তৃণমূলে যোগ দেন। যেটা কাজল শেখ ভালোভাবে মেনে নেয়নি। প্রকাশ্যে এই ঘটনা নিয়ে মুখ খুলেছিলেন। কিন্তু, অনুব্রতের (Anubrata Mondal) ক্ষমতাবৃদ্ধি যত হয়েছে, কাজল শেখ তত দলে কোণঠাসা হয়ে পড়েছে। গরু পাচারকাণ্ডে কেষ্টর (Anubrata Mondal)  জেলযাত্রার পর থেকে বীরভূমে কাজল ফের স্বমহিমায়। তৃণমূল নেত্রীর নির্দেশে তিনি কোর কমিটিতে ঠাঁই পান। ফলে, কাজলের অনুগামীরা এখন চাঙা। গোটা এলাকা তাঁরা দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে,  শনিবার দলীয় কার্যালয়ে কেষ্ট (Anubrata Mondal)  ঘনিষ্ঠ সংখ্যালঘু সেলের নেতা রিঙ্কু চৌধুরী বসেছিলেন। সেখানে অন্যান্য কর্মীরাও ছিলেন। কালীঘাটের বৈঠক নিয়ে কার্যালয়ে আলোচনা হয়। সেই সময় তৃণমূলের নানুর ব্লকের সভাপতি সুব্রত ভট্টাচার্য কার্যালয়ে ঢোকেন। তাঁর উপস্থিতিতে  বচসা শুরু হয়। এরপরই কাজল শেখের অনুগামীরা তাঁর উপর চড়াও হয় বলে অভিযোগ।

    কী বললেন আক্রান্ত তৃণমূল নেতা রিঙ্কু চৌধুরী? Anubrata Mondal

    দলীয় কার্যালয় থেকে জামা ছিঁড়ে বের করে দেওয়ার ঘটনায় দলীয় কোন্দল প্রকাশ্যে চলে আসে।  কারণ, রিঙ্কু অনুব্রত ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। তাই, তাঁর উপর হামলা চালানোর অর্থ কেষ্ট মণ্ডলকে (Anubrata Mondal)  কাজল অনুগামীরা আমল দিতে নারাজ তা প্রমাণ হয়ে গেল বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে। হামলার প্রসঙ্গে রিঙ্কু চৌধুরী বলেন, আমি অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal)  অনুগামী। আমি দলীয় কার্যালয়ে বসেছিলাম। কাজল শেখ, সুব্রত ভট্টাচার্যরা বলল অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal)  কোনও লোককে পার্টি অফিসে ঢুকতে দেওয়া হবে না। পার্টি অফিসে থাকতে পারবে না। এরপরই ওরা আমার উপর হামলা চালায়। মারধর করে জামা ছিঁড়ে আমাকে কার্যালয় থেকে বের করে দেয়।

    কী বললেন তৃণমূলের নানুর ব্লকের সভাপতি? Anubrata Mondal

    তৃণমূলের নানুর ব্লকের সভাপতি সুব্রত ভট্টাচার্য বলেন, মারধর করা হয়নি। এটা মিথ্যা অভিযোগ। রিঙ্কু পার্টি অফিসে এসে কালীঘাটের বৈঠক নিয়ে কর্মী-নেতাদের বিরুদ্ধে নানা প্ররোচনামূলক কথা বলতে থাকেন। আমাদের দলের কর্মীরা তাতে রেগে যায়। আমি রিঙ্কুকে কার্যালয় থেকে চলে যেতে বলি। কিন্তু, ও আমাকে মারধর করতে আসে। এটা দেখেই দলের ছেলেরা রেগে যায়। তারা পার্টি অফিস থেকে তাকে বের করে দেয়। তাঁকে কোনও মারধর করা হয়নি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Weather Report: রাজ্যে ফের ঝড় বৃষ্টির ভ্রূকুটি! কতদিন চলবে জানেন?

    Weather Report: রাজ্যে ফের ঝড় বৃষ্টির ভ্রূকুটি! কতদিন চলবে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বজ্রপাত সহ ফের বৃষ্টির ভ্রূকুটি রাজ্য জুড়ে (Weather Report)। সূত্রের খবর, রবিবার থেকে ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে রাজ্যে। হাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে উত্তরবঙ্গে বৃষ্টি চলবে আগামী বেশ কয়েকদিন। এর পাশাপাশি দক্ষিণবঙ্গের উপকূলে ঝড় বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশি। বৃষ্টিস্নাত হবে কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলগুলিও। শনিবার এমনই পূর্বাভাস শোনাল আবহাওয়া দফতর। জানা গিয়েছে, নতুন করে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা আসতে চলেছে ৩০ মার্চ। এই ঝঞ্ঝা ক্রমশ পূর্ব দিকে এগোবে। এরফলেই রাজ্যে ফের বৃষ্টির ভ্রূকুটি দেখা দিয়েছে।

    আরও পড়ুন: চা-ওয়ালা থেকে বিজেপি বিধায়ক, চিনুন রাহুলের বিরুদ্ধে মামলাকারী পূর্ণেশকে

    উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে বৃষ্টি চলবে বেশ কয়েকদিন

    দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার ও জলপাইগুড়িতে আগামী বুধবার অবধি বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত (Weather Report) হতে পারে। সিকিমের দিকে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ আরও বাড়তে পারে। এছাড়াও উত্তরবঙ্গের অন্যান্য জেলাগুলিতে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাতের (Weather Report) সম্ভাবনা রয়েছে।

     

    দক্ষিণবঙ্গেও আজ বজ্রবিদ্যুৎ সহ ঝড় বৃষ্টির সম্ভাবনা (Weather Report)

    এদিকে রবিবার আবহাওয়ার বদল হবে দক্ষিণবঙ্গেও। প্রচুর পরিমাণে জলীয় বাষ্প ঢুকবে বঙ্গোপসাগর থেকে। কলকাতা, দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া ও ঝাড়গ্রামে বৃষ্টি হবে। সোম ও মঙ্গলবার বৃষ্টির পরিমাণ বাড়তে পারে। দক্ষিণবঙ্গে বুধবার পর্যন্ত এই ঝড়-বৃষ্টির অনুকূল আবহাওয়া থাকতে পারে। বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে কলকাতাতেও। পরে সোম-মঙ্গলবার বৃষ্টির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে বলেই জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।  মূলত, বঙ্গোপসাগর থেকে জলীয় বাষ্প প্রবেশের কারণেই আবার ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছেন আবহবিদেরা। মৌসুমী অক্ষরেখা তামিলনাড়ু থেকে বিদর্ভ পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। সেই কারণেই দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টিপাতের অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

    আরও পড়ুন: ফের কর্ণাটকে বিঘ্নিত প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা! কনভয়ে ঢোকার চেষ্টা যুবকের

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

     

     

  • Panchayat Poll: ‘পছন্দের প্রার্থীদের তালিকা পাঠাব! ছাড়পত্র না মিললে…’ মুখ্যমন্ত্রীকে হুঁশিয়ারি তৃণমূল বিধায়কের

    Panchayat Poll: ‘পছন্দের প্রার্থীদের তালিকা পাঠাব! ছাড়পত্র না মিললে…’ মুখ্যমন্ত্রীকে হুঁশিয়ারি তৃণমূল বিধায়কের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Poll) পছন্দের প্রার্থীদের তালিকা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে পাঠাব। ছাড়পত্র না মিললে সবাই নির্দলে দাঁড়িয়ে লড়াই করবে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বিস্ফোরক দাবি উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরের তৃণমূল বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরীর।  তৃণমূল বিধায়কের হুঁশিয়ারি শুনে তাঁকে দলীয় শৃঙ্খলা মেনে চলার কথা আরও এক বার স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন তৃণমূলের উত্তর দিনাজপুরের জেলা সভাপতি কানহাইয়ালাল আগরওয়াল।

    তৃণমূলের ফাটল বৃদ্ধি

    পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Poll) যত এগিয়ে আসছে, ততই তৃণমূলের ফাটল আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরে। ১১ বারের বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরীর মন্তব্য সেই ইঙ্গিতই দিচ্ছে। তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রে খবর, এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রার্থী বাছবেন স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাছাড়া স্বচ্ছ ভাবমূর্তি, এলাকায় পরিচিত এবং শিক্ষিত পুরুষ–মহিলাকে প্রার্থী করা হবে বলে ঠিক করা হয়েছে। সেখানে কারও হুঁশিয়ারি বরদাস্ত করা হবে না। তাই প্রত্যেক জেলার সঙ্গে বৈঠক করতে শুরু করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। আর ৮ এপ্রিল থেকে ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত জেলা সফর করবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এই প্রেক্ষাপটে প্রার্থী তালিকা নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন বিধায়ক।

    কী বললেন বিধায়ক

    পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Poll) ইসলামপুরে তৃণমূলের প্রার্থী নির্বাচন প্রসঙ্গে করিম চৌধুরী বলেন, ‘‘আমার ব্লকের প্রার্থিতালিকা বানিয়ে পাঠিয়ে দেব। সেই তালিকায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি পুরোপুরি অনুমোদন না দেন, তা হলে আমার প্রার্থীরা নির্দল হিসাবে দাঁড়াবে।’’ ওই প্রার্থীদের অবশ্য ‘গোঁজ প্রার্থী’ বলতে নারাজ তিনি। তাঁর ব্যাখ্যা, ‘‘জনগণের অধিকার আছে নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার। কারণ, কেউ কাজ করতে চাইলে তাঁকে আমি টিকিট না দিয়ে বসিয়ে দেব কেন?’’ পঞ্চায়েত ভোটে নিজের লক্ষ্যও স্পষ্ট করে দিয়েছেন আব্দুল করিম। তাঁর কথায়, ‘‘এখানে দুর্নীতিমুক্ত পঞ্চায়েত গড়ার চেষ্টা করব আমি।’’

    আরও পড়ুুন: একাধিক ব্যাঙ্ক লকারের সন্ধান! নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অয়নের স্ত্রীকে ডাকতে পারে ইডি

    দলের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল এই প্রসঙ্গে বলেন, বিধায়কের বা জেলা সভাপতির দল হয় না, দলেরই বিধায়ক বা জেলা সভাপতি হন। সুতরাং টিকিটের (Panchayat Poll) বিষয়ে দলের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হবে। তাঁর মতে, প্রস্তাব তো যে কেউ পাঠাতে পারে, তবে দলের সিদ্ধান্তই হবে চূড়ান্ত। এই বিষয়ে বিজেপির দাবি, জেলায় তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল বারবার প্রকাশ্যে এসেছে। যা নিয়ে মানুষ এদের জবাব দেবে বলেই মনে করছেন বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক তাপস বিশ্বাস।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ED: গরু ও কয়লা পাচার কাণ্ডে দিল্লিতে ইডি দফতরে হাজিরা দিলেন সিউড়ির আইসি মহম্মদ আলি

    ED: গরু ও কয়লা পাচার কাণ্ডে দিল্লিতে ইডি দফতরে হাজিরা দিলেন সিউড়ির আইসি মহম্মদ আলি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তদন্তকারী সংস্থা ইডির (ED) দাবি, গরু ও কয়লা পাচারে অনুব্রত মণ্ডল, সায়গল হোসেন এবং অন্যান্য পুলিশ অফিসারদের মধ্যে সেতুবন্ধনের কাজ করতেন সিউড়ির আইসি মহম্মদ আলি। সেই মতো আইসিকে শনিবার দিল্লিতে তলব করে ইডি (ED)। এদিন ইডি দফতরে হাজিরা দিলেন মহম্মদ আলি। ইডির (ED) আরও অভিযোগ যে অনুব্রত মণ্ডলের মামলার যাবতীয় খরচ আইসি নিজে জুগিয়েছেন।

    সময়ের আগেই ইডি (ED) দফতরে সিউড়ির আইসি

    সূত্রের খবর, মূলত আইসির ব্যাঙ্কের লেনদেন খতিয়ে দেখতেই তাঁকে এদিন তলব করা হয়েছিল।  সেই কারণেই তাঁর ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট, আয়করের নথি ও সম্পত্তি সংক্রান্ত নথি নিয়ে আজ দিল্লিতে হাজিরা দিতে বলা হয়।  সকাল সাড়ে ১০টার কিছু আগেই তিনি পৌঁছে যান। তবে এটা প্রথম নয়, এর আগে গত ১৪ মার্চ, কয়লা পাচার মামলায় অনুব্রত-ঘনিষ্ঠ সিউড়ি থানার আইসি শেখ মহম্মদ আলিকে প্রায় ১০ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। নিজাম প্যালেসে আইসি মহম্মদ আলি শেখকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। মামলার অন্যতম চক্রী অনুপ মাঝির থেকে ‘প্রোটেকশন মানি’ নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। ‘প্রভাবশালীদের কাছে কয়লা পাচারের টাকা পৌঁছে দেওয়ায় ভূমিকা ছিল আইসির’। একাধিক সাক্ষীর বয়ানে উঠে আসে মহম্মদ আলি শেখের নাম উঠে আসে বলেই সূত্রের খবর। যিনি অনুব্রত মণ্ডলের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত। ইডির (ED) আরও দাবি, কোথা দিয়ে, কখন গরু নিয়ে গাড়ি যাবে, তা জানিয়ে দেওয়া হত ওই পুলিশ অফিসারকে, তিনি সেইমতো সক্রিয় হতেন।

    ৫ এপ্রিল আসানসোল জেল সুপার কৃপাময় নন্দীকে তলব করেছে ইডি (ED)

    অন্যদিকে ৫ এপ্রিল আসানসোলের বিশেষ সংশোধনাগারের সুপারিন্টেন্ডেন্ট কৃপাময় নন্দীকে তলব করেছে ইডি, তাঁকেও ব্যাঙ্কের যাবতীয় নথি সঙ্গে নিয়ে আসতে বলা হয়েছে। কৃপাময় নন্দীও রয়েছেন ইডির সন্দেহ তালিকায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Fish: গঙ্গায় মাছ ধরতেও তৃণমূলকে দিতে হচ্ছে তোলা! কোথায় জানেন?

    Fish: গঙ্গায় মাছ ধরতেও তৃণমূলকে দিতে হচ্ছে তোলা! কোথায় জানেন?

     মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ নদীর তীরে বড় করে হোর্ডিং লাগানো রয়েছে। তাতে ফরমান দেওয়া হয়েছে গঙ্গা থেকে মাছ (Fish) ধরতে গেলেই দিতে হবে টাকা। বলা ভাল তোলা। ডিসপ্লে বোর্ডে কত পরিমাণ তোলা দিতে হবে তার উল্লেখ রয়েছে। জাল হিসেবে মাছের দাম প্রতি ২০ শতাংশ হারে টাকা দিলেই মাছ (Fish)  ধরা যাবে। মালদহের মানিকচক ঘাটে এই ঘটনা জানাজানি হতেই ক্ষোভে ফেটে পড়়েছেন মত্স্যজীবারা। কারণ, জলকরের নামে তোলা নেওয়ার অভিযোগ। তোলা না দিলে জুটছে হুমকি! শতকরা ২০ থেকে ৩০ টাকা করে তোলা নেওয়া হচ্ছে। তৃণমূলের একাংশের মদতেই এই কারবার চলছে বলে অভিযোগ। জেলা ও ব্লক প্রশাসনকে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন মানিকচকের মৎস্যজীবীরা।

    তোলা নেওয়া নিয়ে মত্স্যজীবীদের কী বক্তব্য? Fish

    ২০১৫ সালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন গঙ্গায় মাছ (Fish)  ধরতে মত্স্যজীবীদের কোনও কর দিতে হবে না। একই নির্দেশ দেয়  হাইকোর্ট। কিন্তু, কলকাতা হাইকোর্ট এবং রাজ্য সরকারের নির্দেশিকা  বুড়ো আঙুল দেখিয়ে তৃণমূলের ছত্রছায়াতে থাকা দালালরা অবাধে তোলাবাজি চালাচ্ছে। এই বিষয়ে মৎস্যজীবীরা ইতিমধ্যেই ব্লক প্রশাসন থেকে জেলাশাসকের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন।    এক মত্স্যজীবী বলেন, গঙ্গায় জাল ফেলে প্রায় ৭ হাজার টাকার মাছ (Fish)  ধরেছিলাম। মাছ নিয়ে ঘাটে আসতেই তোলাবাজরা আমাদের থেকে টাকা দাবি করে। আমরা তা দিতে অস্বীকার করলে মাছ ও জাল সব কেড়ে নেয়। পরে, তাদের দাবি মতো টাকা দিয়ে ছাড়া পাই। মোথাবাড়ি ধীবর সমবায় সমিতির কর্মকর্তা পঞ্চানন মাহাত বলেন,  সরকারি নিলামে ১১ লক্ষ ৫১ হাজার ৯৯৯ টাকায় আমি লিজ নিয়েছি। আমার কাছে জলকর আদায়ের বৈধ কাগজ আছে। সেই অনুযায়ী আমরা মৎস্যজীবীদের কাছ থেকে জলকর নিচ্ছি। তবে, ২০ শতাংশ হারে নয়, ৫ শতাংশ হারে আমরা জলকর নিচ্ছি। ফলে, কোনও তোলাবাজি করছি না।

     বিজেপি নেতা গৌড় চন্দ্র মণ্ডল বলেন,  তোলা নেওয়া বন্ধ না হলে মৎস্যজীবীদের নিয়ে আন্দোলনে নামব। কারণ, যারা তোলা নিচ্ছে তাদের মাথার উপর তৃণমূল নেতাদের হাত রয়েছে। তাই, সরকারি নির্দেশকে অমান্য করার সাহস দেখাচ্ছে। অন্যদিকে, তৃণমূল বিধায়ক সাবিত্রী মিত্র বলেন, গঙ্গার উপরে মাছ (Fish)  ধরার ক্ষেত্রে কোন জলকর নেওয়া হয় না। গঙ্গা সবার। যারা ২০ টাকা, ৩০ টাকা করে জল কর আদায় করছেন তারা আইনবিরোধী কাজ করছেন। আমি ব্লক প্রশাসনকে এ বিষয়ে জানাব।    এ বিষয়ে মালদহের জেলাশাসক নীতিন সিংহানিয়া বলেন, গঙ্গায় মাছ (Fish)  ধরার ক্ষেত্রে মৎস্যজীবীদের কাউকে কোনও কর দিতে হবে না। যদি কেউ নেয় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share