Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • CBI Raid: পুকুর থেকে উদ্ধার একটি মোবাইল, তৃণমূল বিধায়ককে নিয়ে কোন ঘটনার পুনর্নির্মাণ করল সিবিআই?

    CBI Raid: পুকুর থেকে উদ্ধার একটি মোবাইল, তৃণমূল বিধায়ককে নিয়ে কোন ঘটনার পুনর্নির্মাণ করল সিবিআই?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদের বড়ঞার তৃণমূল বিধায়কের সেই পুকুরের দিকে শুধু এলাকাবাসী নয়, রাজ্যের মানুষের নজর ছিল। ওই পুকুরের জল তুলে মোবাইল উদ্ধার করা কী সম্ভব, তা নিয়ে শনিবার দিনভর চর্চা হয়েছে। সিবিআই (CBI Raid) আধিকারিকরাও তিনটে পাম্প নামিয়ে পুকুর থেকে জল তোলার উদ্যোগ নেন। আর এই কাজে হাত লাগিয়েছিলেন স্থানীয় ৪ জন শ্রমিক এবং একজন মত্স্যজীবী। দুদিন ধরে টানা কাজ করার পর রবিবার সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ পুকুরের ভিতর থেকে একটি মোবাইল উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। আরও একটি মোবাইল পুকুরে রয়েছে বলে সিবিআই (CBI Raid) আধিকারিকরা আশঙ্কা করছেন। সেই মোবাইলের খোঁজে এদিন সকাল থেকে পুকুরে তল্লাশি চলছে।

    মোবাইল উদ্ধারের পর কী করল সিবিআই (CBI Raid)?

    শুক্রবার বেলা ১২ টা নাগাদ সিবিআই তৃণমূল বিধায়কের বাড়িতে আচমকা হানা দেয়। বাড়িতে চলে তল্লাশি। ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় বিধায়ককে। আর সিবিআইয়ের (CBI Raid) নজর এড়িয়ে কীভাবে কৌশলে নিজের দুটি মোবাইল পুকুরে তৃণমূল বিধায়ক ফেলেছিলেন? কীভাবে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন? এদিন তৃণমূল বিধায়ককে বাড়ির ছাদে তুলে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করে সিবিআই (CBI Raid)। এমনকী পুকুর থেকে উদ্ধার হওয়া মোবাইলটি বিধায়ককে দেখিয়ে সনাক্ত করেন সিবিআই (CBI Raid) আধিকারিকরা।  আর পুনর্নির্মাণের সমস্ত কিছু সিবিআই (CBI Raid) আধিকারিকরা ভিডিও রেকর্ডিং করে রাখেন। সেই সংক্রান্ত নথিতে তৃণমূল বিধায়ককে স্বাক্ষর করানো হয়।

    পুকুর থেকে উদ্ধার হওয়া মোবাইলে তথ্য সংরক্ষণ নিয়ে প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা কী বললেন?

    প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, মোবাইলে হার্ডওয়্যার যদি ঠিকঠাক থাকে, তথ্য পেতে কোনও সমস্যা হবে না। আর মোবাইল চালু অবস্থায় কাদায় ফেলা হলে ইন্টিগ্রেটেড সার্কিটগুলো নষ্ট হয়ে যেতে পারে। মোবাইলে একাধিক আইসি ও ইন্টার্নাল স্টোরেজ নষ্ট হয়ে গেলে তা থেকে তথ্য উদ্ধার করা বেশ কষ্টকর। তবে, জানা গিয়েছে, মোবাইল জলে ডুবে থাকলেও ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের মোবাইল থেকে তথ্য পেতে খুব বেশি সমস্যা হয় না। এক্ষেত্রে ঘটনাস্থলে প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা উদ্ধার হওয়া মোবাইল খতিয়ে দেখছেন। আরও একটি মোবাইল কখন উদ্ধার হয় সেদিকে তাকিয়ে রয়েছেন সিবিআই (CBI Raid) আধিকারিকরা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • The Ghost:  অবাককাণ্ড! ভূতের আরাধনা কোথায় হয় জানেন?

    The Ghost: অবাককাণ্ড! ভূতের আরাধনা কোথায় হয় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভূত (The Ghost) ! “নেই, নেই” হাজার বার বলার পরেও দিব্যি চলে আসে অদ্ভূত সব ভূতের (The Ghost) গল্প। মামদো ভূত, মেছো ভূত, গেছো ভূত, গলাকাটা ভূত ইত্যাদি কতোই না তার রকমফের। পেত্নি, শাকচুন্নি, ডাইনি ইত্যাদি স্ত্রী ভূতও নাকি আছে বলা হয়। গল্প শুনলেই গা ছমছমে করে। আর দুর্বল মনের মানুষ হলে তো কথাই নেই। “ভূতে ধরেছে” রটতে না রটতেই হুলস্থুল কাণ্ড ঘটে যায়। তারপর সেই ভূত (The Ghost) তাড়াতে ওঝা ডাকা হয়। ওঝার কেরামতি নিয়েও ঘটে যায় আরও কত কাণ্ড। কিন্তু কখনও কি শুনেছেন ভূতের পুজোর কথা? তাও আবার যে সে ভূত (The Ghost) নয়, ভয়ংকর ও বিশাল চেহারার ‘গলাকাটা’ ভূতের পুজোর কথা? এ হেন ভূতবাবাজিকে তুষ্ট করতে তাঁকে রীতিমতো সম্মান, শ্রদ্ধা জানিয়ে পুজো করা হল এবারও।

    কেমন চেহারা এ ভূতের (The Ghost)?

    প্রায় পনেরো ফুট লম্বা হাত-পা ছড়িয়ে শুয়ে থাকা এক ভূত (The Ghost)। ডান হাতটা কিছুটা ওপরের দিকে তোলা। আর বাঁ পা যেন একটু বেশি প্রসারিত। মুখ তার আকাশপানে। তবে মাথা নেই। ধড় অংশের শুরুতেই সাদা-কালোয় মায়াবী দুটো চোখ দু পাশে। বাম, ডান যেদিক থেকেই আপনি তাঁকে দেখুন না কেন, মনে হবে যেন আপনার দিকেই তাকিয়ে। বুক ও পেটের অংশে উন্নত নাক, লকলকে জিভ, ধবধবে সাদা দাঁতের পাটি। গায়ের রং কুচকুচে কালো। শরীরের নিচের অংশ মেয়েলি ‘ঘের’ জাতীয় লাল টুকটুকে বস্ত্রে ঢাকা। আলতা রাঙানো হাত ও পা। আর বুকের ওপর থেকে ঝোলানো লাল রঙের কাগজের মালা।

    কোথায় হয় এমন গলাকাটা ভূতের (The Ghost) পুজো ?

    নদিয়ার শান্তিপুর থানার ফুলিয়া তালতলায় বৈশাখের পয়লাতে এবারও হল এমন ভয়াল চেহারার ভূতের (The Ghost) আরাধনা। হ্যাঁ, বাংলার বিখ্যাত তাঁতশাড়ির আঁতুরঘর যেখানে, সেই ফুলিয়ায়। তবে কোনও তান্ত্রিক বাড়ির নিভৃত কোণে নয়। ভূতের পুজো হল একদম খোলা আকাশের নিচে, হাজার হাজার লোকের মাঝে। কিন্তু, হস্তচালিত তাঁতযন্ত্রের নিত্যদিনের খটাখট শব্দের মাঝে কী করে সেখানে পৌঁছাল এমন ভূত? গল্পটা শোনা যাক ভূতপুজোর আয়োজক বাড়ির অন্যতম কর্তা প্রকাশ বসাকের মুখে। প্রকাশ বললেন, প্রতি বছর আমাদের পরিবারের শরিকি সদস্যদের উদ্যোগে ভূতের (The Ghost) পুজোর আয়োজন করা হয় ঠিকই। কিন্তু, এ পুজো এখন গ্রামের বহু মানুষের পুজো হয়ে গিয়েছে। সেই অর্থে বলা যায় সর্বজনীন। গ্রামের কচিকাঁচা থেকে শুরু করে বয়স্ক সদস্য, এমনকি গ্রামের মহিলারাও এ পুজোর আয়োজনে হাত লাগান। প্রকাশ আরও বলেন, ওপার বাংলার টাঙ্গাইল জেলার বামুন কুইচা গ্রামে বাড়ি ছিল আমাদের পূর্ব পুরুষের। ফি বছর বাংলা নববর্ষের দিনে এমন ভূতের (The Ghost) পুজো করতেন আমাদের ঠাকুরদাদা বা তাঁর বাবারা। স্বাধীনতার পর আমাদের বাবা-জেঠারা পরিবার নিয়ে এপার বাংলার ফুলিয়ায় এসে বসবাস শুরু করেন। খুব সম্ভবত ষাটের দশকে ওপার বাংলার পারিবারিক সেই ভূতের পুজো এখানকার বাড়িতেও শুরু করেছিলেন আমার জেঠু দুলাল বসাক। এরপর আমাদের শরিকি পরিবারের সব সদস্য তো বটেই, দেখতে দেখতে গ্রামের লোকজনও আমাদের এই পুজো আয়োজনের শরিক হয়ে গিয়েছেন। আমাদের এখানকার বাড়ির গায়ে নিজস্ব শিবমন্দির আছে। সেই শিবের গাজনে আমরা যাঁরা সন্ন্যাসী হই, তাঁরাই গলাকাটা ভূতের মূল সেবক।

    কেন এমন ভূতের (The Ghost) পুজো ?

    প্রকাশের বক্তব্য, “বাড়ির বয়স্কদের কাছে শুনেছি, বাড়ির কচিকাঁচারা যাতে ভূতের (The Ghost) ভয় না পায় এবং পরিবারের সবার যাতে মঙ্গল হয়, সেজন্য বাংলা নববর্ষের প্রথম দিনে এই পুজো শুরু করেছিলেন আমাদের পূর্বপুরুষরা। স্থানীয় বাসিন্দা সত্তরোর্ধ্ব হরিপদ বসাক বলেন, আমরা এই দেবতাকে কেউ বলি ‘বড় দেবতা’, আবার কেউ বলি ‘কবন্ধ ভূত’। প্রকাশদের পরিবারের গৃহ দেবতা মহাদেব। তাই চৈত্র শেষের দু দিনে ওদের বাড়ির মন্দিরে ঘটা করে নীল পুজো হয় আর গাজনের সন্ন্যাসীরা প্রথা মেনে দেবাদিদেব মহাদেবকে তুষ্ট করেন। মহাদেবের সঙ্গে ভূতও (The Ghost) থাকেন বলে গাজনের সন্ন্যাসীরা ভূতকেও সন্তুষ্ট করা শুরু করেছিলেন। রামায়ণেও এমন কবন্ধ ভূতের (The Ghost) পুজোর কথা উল্লেখ আছে বলে দাবি জানান হরিপদবাবু।

    ভূত (The Ghost) দেবতা থাকেন কতক্ষণ ?

    মূলত একদিনের পুজো। পুজো ঘিরে বসে মেলাও। তবে অক্ষয় তৃতীয়া পর্যন্ত তো বেটেই, গোটা বৈশাখ মাস জুড়েই বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষ উঁকি দেন এই লৌকিক দেবতাকে প্রণাম জানাতে। খোলা আকাশের নিচে দেবতা শুয়ে থাকেন বলে বৃষ্টি নামলেই মৃন্ময় এ দেবতার  অঙ্গহানি শুরু হয়। তবে, অনেক ঝড়বৃষ্টির পরে বছর শেষেও ওই জায়গায় থেকে যায় মাটির স্তুপ। পরের বছর সেই মাটির ঢিবিতে আবারও মাটি লাগিয়ে এবং রং করে ফের গড়া হয় বড় দেবতাকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Weather Report: প্যাচপ্যাচে গরম থেকে মুক্তি কবে! কী জানাচ্ছে হাওয়া অফিস?

    Weather Report: প্যাচপ্যাচে গরম থেকে মুক্তি কবে! কী জানাচ্ছে হাওয়া অফিস?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত কয়েকদিনেই চড়চড়িয়ে বেড়েছে তাপমাত্রার পারদ। ভেঙে গেছে গত পাঁচ বছরের সব রেকর্ড। গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা রাজ্যবাসীর। চিকিৎসকরা দুপুরের দিকে বাড়ির বাইরে বেরতে নিষেধ করছেন, বিশেষ প্রয়োজন না থাকলে। হাওয়া অফিস বলছে, অস্বস্তির আবহাওয়ার আপাতত তেমন কোনও পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই। অবশ্য সাগর থেকে জলীয় বাষ্প স্থলভাগের দিকে প্রবেশ করছে। যে কারণে আগামী সপ্তাহের মাঝামাঝি ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা। তবে এব্যাপারে আবহাওয়া দফতর কোনও নিশ্চয়তা দেয়নি।

    এক নজরে আজকের আবহাওয়া

    সর্বোচ্চ তাপমাত্রা : ৪১.৮°সেলসিয়াস
    সর্বনিম্ন তাপমাত্রা : ৩১.৭° সেলসিয়াস
    আর্দ্রতা : ৯২%
    বাতাস বইবে : ১২ কিমি/ঘন্টা

    আরও পড়ুন: উদ্বোধন করলেন এইমসের! বিহুর আগে অসমকে ১৪,৩০০ কোটি টাকার প্রকল্প উপহার মোদির

    কেমন থাকবে কলকাতার আবহাওয়া

    কলকাতা এবং শহরতলিতে আকাশ পরিষ্কার থাকবে। যদিও ব্যাপক তাপপ্রবাহ এবং আর্দ্রতা মিলে বেশ অস্বস্তিকর প্যাচপ্যাচে গরম থাকবে। কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা  থাকবে ৪১ ডিগ্রি ও সর্বনিম্ন ২৯ ডিগ্রি। 

    উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে কেমন থাকবে আবহাওয়া

    হাওয়া অফিস জানিয়েছে, উত্তরবঙ্গের সব জেলার আবহাওয়াই শুকনো থাকবে আপাতত। আগামী পাঁচ দিনে পাহাড়ের জেলাগুলোতে আবহাওয়া পরিবর্তন না হলেও সমতলের বিভিন্ন জেলায় তীব্র দাবদাহ থাকবে। দক্ষিণবঙ্গের মতো উত্তরবঙ্গে কিন্তু তাপপ্রবাহের কোনও পূর্বাভাস নেই।

    দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া কেমন থাকবে 

    দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলির জন্য ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত তাপপ্রবাহজনিত সতর্কতার কারণে অরেঞ্জ অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। ব্যাপক তাপপ্রবাহ চলবে সমগ্র দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে। সব মিলিয়ে চরম অস্বস্তিকর আবহাওয়া থাকবে দক্ষিণবঙ্গে।

    সোমবারের পূর্বাভাস

    সোমবার অবধি আবহাওয়া একই থাকবে বলে জানিয়েছে মৌসমভবন। আগামী ৫ দিনে পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলির তাপমাত্রায় সেরকম পরিবর্তন হবেনা। অর্থাৎ গরমের দাপট থেকে আপাতত নিস্তার পাবেনা রাজ্যবাসী। বৃষ্টি নিয়ে কোনও পূর্বাভাস দিতে পারেনি হাওয়া অফিস।

    আরও পড়ুন: ছেলের শেষকৃত্যের দিনেই দুষ্কৃতীদের গুলিতে নিহত গ্যাংস্টার আতিক আহমেদ

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bengali New Year: অন্যরকম নববর্ষ পালন! প্রকৃতিরক্ষায় যজ্ঞের আয়োজন গেরুয়া শিবিরের

    Bengali New Year: অন্যরকম নববর্ষ পালন! প্রকৃতিরক্ষায় যজ্ঞের আয়োজন গেরুয়া শিবিরের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রভাত ফেরি, নাচ-গান সহ নানা ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, রাস্তাজুড়ে আলপনা। এরকম নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে শনিবার সকাল থেকেই বর্ষবরণ (Bengali New Year) উৎসবে মেতে উঠেছিল শিলিগুড়ি। প্রচলিত এই ছন্দের বাইরে গিয়ে বাংলা নববর্ষের প্রথম দিন শিলিগুড়িতে একটু অন্যরকম অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল গেরুয়া শিবির। উত্তরবঙ্গের জল-জঙ্গল এবং প্রকৃতিকে রক্ষা করার আহ্বান জানিয়ে এদিন বিশাল যজ্ঞের আয়োজন করে গেরুয়া শিবির। 

    যজ্ঞ দেখতে ভিড় প্রচুর মানুষের

    বাংলা নতুন বছরের প্রথম দিন (Bengali New Year) সকাল থেকেই কালীবাড়িগুলিতে ভিড় ছিল ভালোই। ব্যবসায়ীরা নতুন খাতার পুজো দিতে লম্বা লাইন দেন। সেখানে শিলিগুড়ির প্রাচীন আনন্দময়ী কালীবাড়িতে আলাদা করে নজর কাড়ে বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষের উদ্যোগে আয়োজিত এই যজ্ঞ অনুষ্ঠান। তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির শিলিগুড়ি সাংগঠনিক জেলা কমিটির নেতৃত্ব। এই যজ্ঞ দেখতে প্রচুর মানুষ ভিড় করেন। শঙ্কর ঘোষ বলেন, উত্তরের প্রকৃতি আমাদের গর্ব। তা রক্ষা করা আমাদের সকলের কর্তব্য৷ সেই সচেতনতা সকলের মধ্যে গড়ে তোলার লক্ষ্যেই এই যজ্ঞের আয়োজন। এই দিনটিতে উৎসবে মাতোয়ারা মানুষের মনে নিজের প্রাকৃতিক সম্পদ, নদী, জঙ্গলকে রক্ষার তাগিদ জাগ্রত করাটা এই অনুষ্ঠানের একটি দিক। যাতে বছরের প্রথম দিন থেকেই প্রতিটি মানুষ নিজের নিজের এলাকার প্রাকৃতিক সম্পদ বাঁচানর জন্য সচেতন হন,, শপথ গ্রহণ করেন। এই বার্তা দিতেই আমরা এদিন হোম-যজ্ঞ করি।

    কী বললেন বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ?

    এক প্রশ্নের উত্তরে শঙ্করবাবু বলেন, বন আইন, পরিবেশ আইন-কোনও কিছুর তোয়াক্কা না করে উত্তরবঙ্গের জঙ্গলে যেখানে সেখানে হোটেল, রিসর্ট, বাণিজ্যিক কমপ্লেক্স তৈরি হয়েই চলেছে। এতে বন্যপ্রাণীরা বিপন্ন হয়ে পড়ছে। প্রাকৃতিক ভারসাম্যও বিনষ্ট হচ্ছে। তিস্তা নদীতে ক্র্যাসার নামিয়ে প্রকাশ্যে অবৈধভাবে পাথর তুলে পাচার করা হচ্ছে। এভাবে প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি বড় ধরনের বিপর্যয় দেখা দিতে পারে। এর প্রতিবাদেই আমি উত্তরবঙ্গের বন ও নদী বাঁচাতে আন্দোলনে নেমেছি। নববর্ষের প্রথম দিন (Bengali New Year) এদিনের যজ্ঞ তারই একটি অঙ্গ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jiban Krishna Saha: উদ্ধার ৩,৪০০ চাকরি প্রার্থীর নথি! তৃণমূল বিধায়কের ঘরকে ‘ওয়ার রুম’ বলছে সিবিআই

    Jiban Krishna Saha: উদ্ধার ৩,৪০০ চাকরি প্রার্থীর নথি! তৃণমূল বিধায়কের ঘরকে ‘ওয়ার রুম’ বলছে সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগের দুর্নীতিকাণ্ডে একের পর এক নতুন চরিত্র উঠে আসছে তদন্তে। নবতম সংযোজন বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা (Jiban Krishna Saha)। তাঁর বাড়ি এবং শ্বশুরবাড়ি দুজায়গাতেই শুক্রবার হানা দেয় সিবিআই। একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নথি উদ্ধারের পাশাপাশি এদিন নাটকীয় ঘটনাও ঘটতে থাকে। শৌচালয় যাওয়ার নাম করে বাড়ির পিছনে পুকুরে মোবাইল ফোন ফেলে দেন বিধায়ক। আবার মেমরি কার্ড লুকিয়ে রাখেন স্ত্রীর সিঁদুরের কৌটোতে। তবে এতকিছুর পরেও শেষ রক্ষা করতে পারলেন না বিধায়ক। শুধু সুপারিশে হওয়া চাকরিপ্রার্থীদের নথিই নয়, এসএলএসটির গোটা নিয়োগ প্রক্রিয়ার নথিই মিলেছে তৃণমূল বিধায়কের বাড়িতে। উদ্ধার হয়েছে প্রায় ৩,৪০০ প্রার্থীর তথ্য। শনিবার তৃণমূল বিধায়কের বাড়িতে অভিযানের পর এমনই দাবি করেছে সিবিআইয়ের একটি সূত্র। তাদের দাবি, নবম এবং দশম শ্রেণির চাকরিপ্রার্থীদের নাম এবং রোল নম্বর সমেত নথি উদ্ধার হয়েছে বিধায়কের বাড়িতে। নিয়োগ দুর্নীতির অন্যতম চক্রী তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ (Jiban Krishna Saha), এমনটাই দাবি করছে সিবিআই।

    আরও পড়ুন: ‘নব রবিকিরণে’ বৈশাখ-বরণ বাঙালির! কালীঘাট থেকে দক্ষিণেশ্বর পুজো দেওয়ার লম্বা লাইন

    জীবনকৃষ্ণের (Jiban Krishna Saha) বাড়ির একটি ঘরকে ‘ওয়ার রুম’ বলছেন তদন্তকারীরা

    শুক্রবার দুপুর থেকে তৃণমূল বিধায়কের (Jiban Krishna Saha) বাড়িতে চলছে  তল্লাশি অভিযান। বস্তা বস্তা নথি মিলেছে জীবনকৃষ্ণের বাড়িতে, এমনটাই জানা যাচ্ছে সিবিআই সূত্রে। শনিবার বিধায়কের (Jiban Krishna Saha) দু’টি নোটপ্যাডও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। জীবনকৃষ্ণের বাড়ির একটি ঘরকে ‘ওয়ার রুম’ বলছেন তদন্তকারীরা। সেই ঘরে রয়েছে একাধিক কম্পিউটার, বেশ কয়েকটি ল্যাপটপ, তিনটি নোটপ্যাড, হাই স্পিড ওয়াইফাই কানেকশন এবং গুরুত্বপূর্ণ কিছু সফ্‌টঅয়্যার। কী কাজে সেগুলো ব্যবহার হত, সে বিষয়ে বিধায়ককে জিজ্ঞাসাবাদ করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দল। সন্ধান মিলেছে মোবাইলের দু’টি এক্সটারনাল স্টোরেজ। সেগুলি ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের কাছে পাঠানোর সম্ভাবনা রয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Accident Death: বর্ষশেষে মর্মান্তিক ঘটনা, নাগরদোলার বিয়ারিংয়ে চুল জড়িয়ে মৃত্যু তরুণীর

    Accident Death: বর্ষশেষে মর্মান্তিক ঘটনা, নাগরদোলার বিয়ারিংয়ে চুল জড়িয়ে মৃত্যু তরুণীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নববর্ষকে স্বাগত জানাতে বাংলার মানুষ যখন আনন্দে আত্মহারা, ঠিক তখনই বাঁকুড়ায় ঘটে গেল এক মর্মান্তিক ঘটনা। নতুন বছরের নতুন সূর্যোদয় দেখা হল না এক তরুণীর। বর্ষশেষে চড়কের মেলায় গিয়েছিল ওই তরুণী। উঠেছিল একটি নাগরদোলায়। কিন্তু এই ওঠাই যে তার শেষ ওঠা হবে, তা কে জানত! নাগরদোলার পিলার ও বিয়ারিংয়ে চুল জড়িয়ে প্রায় ২০ ফুট উপর থেকে নিচে পড়ে মৃত্যু (Accident Death) হল তার। আনন্দ-উৎসব মুহূর্তে পরিণত হল বিষাদে। পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নিহত ওই তরুণীর নাম প্রিয়ঙ্কা বাউরি। গুরুতর জখম অবস্থায় তাকে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল সম্মিলনী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। কিন্তু অবস্থার অবনতি হওয়ায় চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল কলকাতায়। যদিও পথেই তার জীবনের যবনিকা নেমে আসে।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার এক্তেশ্বরের গাজন মেলায়। ওই তরুণীর বাড়ি সানবাঁধা গ্রাম পঞ্চায়েতের ভাদুল গ্রামে। কয়েকজনের সঙ্গে সে এসেছিল ওই মেলায়। যদিও অন্য একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, নাগরদোলায় ওঠার পর তরুণী নাকি সেলফি তুলছিল। আর তখনই দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। উল্লেখ্য, বীরভূমের মেলায় একইভাবে নাগরদোলায় চেপে সেলফি তুলতে গিয়ে জখম হয়েছিলেন এক যুবক। এক্ষেত্রেও একই ধরনের ঘটনা ঘটেছে কিনা, তার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। পাশাপাশি ওই নাগরদোলার যান্ত্রিক ত্রুটিবিচ্যুতি ছিল কিনা, সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যদিও প্রত্যক্ষদর্শী একজন জানিয়েছেন, নাগরদোলায় চড়া অবস্থায় ওই তরুণীর চুল ছিল খোলা। সেই খোলা চুলই নাগরদোলার বিয়ারিংয়ে জড়িয়ে যায়। ফলে ঝুলতে থাকে ওই তরুণী। এরকম একটা অবস্থায় থাকার ফলে মাথার খুলিও উপড়ে যায় (Accident Death)। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই তরুণীর বাবা হিমঘরের কর্মী ছিলেন। এই ঘটনা শোনার পরই তার পরিবার তো বটেই, শোকে মূহ্যমান গোটা গ্রাম।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Rainganj: ফিল্মি কায়দায় দিনের বেলায় আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে সোনার দোকানে সর্বস্ব লুঠ করল দুষ্কৃতীরা, কোথায় জানেন?

    Rainganj: ফিল্মি কায়দায় দিনের বেলায় আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে সোনার দোকানে সর্বস্ব লুঠ করল দুষ্কৃতীরা, কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একেবারে ফিল্মি কায়দায় দিনে দুপুরে দুঃসাহসিক ডাকাতি। শুক্রবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর জেলার  রায়গঞ্জ (Raiganj) শহরের এনএস রোডের একটি সোনার দোকানে। দিনের বেলায় আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে এভাবে ডাকাতির ঘটনায় শহরের (Raiganj) ব্যবসায়ীদের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। ঘটনার পর পরই দুষ্কৃতীরা পালিয়ে গিয়েছে। দোকানের মালিক থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

    কী ভাবে সোনার দোকানে ঢুকল দুষ্কৃতীরা?

    নববর্ষের জন্য সোনার দোকানে অলংকারে ঠাসা ছিল। এদিন দোকান খোলার পর পরই দুজন ক্রেতা সেজে ভিতরে ঢোকে। কিছুক্ষণ পর আরও তিনজন আসে। পরে, আগ্নেয়াস্ত্র বের করে স্বমূর্তি ধরে তারা লুঠপাট চালায়। দোকানের কর্মী জীবেশ ভৌমিক বলেন, প্রথমে দুজন ক্রেতার মতোই দোকানে আসে। ফলে, আমরা অলংকার দেখানোর জন্য তাদের জিজ্ঞাসা করি। সঙ্গে সঙ্গে  আগ্নেয়াস্ত্র বের করে আমাদের সবাইকে এক জায়গায় আসতে বলে। আমাদের কাছে থেকে মোবাইল কেড়ে নেয়। তাদের সহযোগিতা করতে বলে। আমরা যদি তা না করি তবে আমাদের মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়।  দুজনে এসব কথা বলতে বলতে আরও তিনজন ভিতরে ঢোকে। সকলেই হিন্দিতে কথা বলছিল। আর যার কাছে মোবাইল পায়, কেড়ে নিয়ে ভেঙে দেয়। আমাদের সকলের মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে ওরা দোকানের জিনিসপত্র লুঠ করতে থাকে। আমাদের দোতলা নিয়ে গিয়ে ক্যান্টিনের মধ্যে আটকে রেখে ওরা চলে যায়। আমরা ৪৫ মিনিট সেখানে ভয়ে সিঁটিয়ে থাকি। এরমধ্যে তারা সর্বস্ব লুঠ করে চম্পট দেয়।  ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে পুলিশ। দোকানের কর্মীদের সঙ্গে তারা কথা বলে।

    দিনের বেলায় সোনার দোকানে ডাকাতি নিয়ে কী বললেন চেম্বার অফ কমার্সের সাধারণ সম্পাদক?

     উত্তর দিনাজপুর চেম্বার অফ কমার্সের সাধারণ সম্পাদক শংকর কুন্ডু বলেন, শহরে (Raiganj) এই ধরনের ঘটনা এর আগে কোনওদিন ঘটেনি। আমাদের মতো ব্যবসায়ীদের কাছে খুবই আতঙ্কের। দিনের বেলায় সোনার দোকানে সবকিছু লুঠ করে নিয়ে পালাল। এটা মেনে নেওয়া যায় না। আমাদের দাবি, অবিলম্বে দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করতে হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Gajan Festival: গাজন উৎসবে মহিলারাও সন্ন্যাসী হন, বাণ ফুঁড়ে আরাধনা করেন শিবের

    Gajan Festival: গাজন উৎসবে মহিলারাও সন্ন্যাসী হন, বাণ ফুঁড়ে আরাধনা করেন শিবের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কগাজন উৎসবে (Gajan Festival) মাতোয়ারা আরামবাগ মহকুমার বাসিন্দারা। বৃহস্পতিবার নীলষষ্ঠীর পুজোর দিন থেকেই আরামবাগের মইগ্রাম, বাতানল, নারায়ণপুর, খানাকুলের ঘন্টেশ্বর ছাড়াও পুরশুড়া ও গোঘাটের বিভিন্ন এলাকায় শুরু হয়েছে ঐতিহ্যবাহী গাজন উৎসব। কয়েকশো বছরের পুরনো মইগ্রাম, বাতানল ও খানাকুলের ঘন্টেশ্বরে শিবের গাজনে অগণিত ভক্তের ঢল নেমেছে। উল্লেখযোগ্যভাবে এখানে মহিলারাও সন্ন্যাসী হন। পাশাপাশি চলে বাণ ফোঁড়া। কেবলমাত্র পুরুষরাই বাণ ফোঁড়েন, তেমনটা নয়, মহিলারাও বাণ ফুঁড়ে শিবের আরাধনা করেন।

    ছুটে আসেন বিদেশি পর্যটকরাও

    এই বাণ ফোঁড়া দেখতে শুক্রবার সকাল থেকেই অসংখ্য মানুষের ভিড় জমে ওঠে বাতানল, মইগ্রাম ও ঘন্টেশ্বরের গাজন উৎসবে (Gajan Festival)। তবে আরামবাগের বাতানাল গ্রামের রাত গাজন হল খুবই বিখ্যাত। বহু প্রাচীনকাল থেকেই এই বাতানাল গ্রামের বুড়ো শিবের রাত গাজন দেখতে বহু দূর-দূরান্ত থেকে অগণিত শিবের ভক্ত ও বিদেশি পর্যটক এখানে উপস্থিত হন। এছাড়াও দিনের বেলা দিন গাজনেও প্রচুর বিদেশি পর্যটক আসেন এই গাজনের দিনে। অন্যান্য জায়গার থেকে বাতানাল গ্রামে শিবের গাজন হল প্রাচীন এবং ঐতিহ্যবাহী। ইংল্যান্ড, রাশিয়া, আমেরিকা ছাড়াও পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বহু বিদেশি আসেন। শুধু তাই নয়, আরামবাগের মুইগ্রাম এলাকাতেও বহু বিদেশি পর্যটকের আগমন ঘটে।

    কী জানালেন উৎসব কমিটির কর্মকর্তারা?

    মইগ্রামের গাজন উৎসব (Gajan Festival) কমিটির সম্পাদক সুজয় চক্রবর্তী বলেন, নীলষষ্ঠী ও গাজন উৎসবের পৌরাণিক ইতিহাস সবার জানা। শিবকে সন্তুষ্ট করতেই এই গাজন। ভক্তরা নিজেদের উপর শারীরিক অত্যাচার করে শিবের ধ্যান ভঙ্গ করেন। এলাকা ছাড়া দূরদূরান্তের মানুষ উৎসাহ ও উদ্দীপনার সঙ্গেই মইগ্রামে গাজন দেখতে ভিড় জমান। সব মিলিয়ে বলা যায়, আরামবাগ মহকুমার বাসিন্দারা এখন গাজন উৎসবে মেতে উঠেছেন।

    গাজন (Gajan) শব্দের মানে কী ?

    গবেষকদের মতে, গা শব্দের অর্থ হল গ্রাম। এবং জন মানে জনগণ। বিশ্বাস মতে, এই সময় হর কালীর বিবাহ হয়েছিল। শিব হলেন জনগণের দেবতা। গ্রামের জনগণ সবাই দেবতার বিয়েতে বরযাত্রী যাওয়ার উদ্দেশে সমবেত হন। আবার অন্য একটি মত হল, গাজন (Gajan Festival) শব্দটি এসেছে ‘গর্জন’ থেকে। অনেকে বলেন, সন্ন্যাসীদের হুঙ্কারই শিবসাধনায় গাজন নামে প্রচলিত হয়। বাংলার মঙ্গলকাব্যেও গাজনের উল্লেখ মেলে। ধর্মমঙ্গল কাব্যে রাণী রঞ্জাবতী ধর্মকে তুষ্ট করতে গাজন (Gajan Festival) পালন করেছিলেন বলে উল্লেখ রয়েছে। গাজন বা চরক শুধুই শিবের আরাধনা হলেও এই উৎসব পালিত হয় ধর্মরাজকে ঘিরেও। আর দুই দেবতার পুজোতেই জাতপাতের ভেদাভেদ ভেঙে যে কেউ অংশ নিতে পারে। এটাই বাংলার সংস্কৃতি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Strike: দণ্ডিকাণ্ডে এবার বাংলা বনধের ডাক দিলেন আদিবাসীরা! জানেন কবে?

    Strike: দণ্ডিকাণ্ডে এবার বাংলা বনধের ডাক দিলেন আদিবাসীরা! জানেন কবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দণ্ডিকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় তপশিলি উপজাতি কমিশন রাজ্য পুলিশের ডিজি-র কাছে এই ঘটনা নিয়ে তিন দিনের মধ্যে যাবতীয় রিপোর্ট তলব করেছে। দণ্ডিকাণ্ডে দুজনকে গ্রেফতার করার ঘটনায় খুশি নয় আদিবাসী সমাজ। বরং, রাজ্য সরকারের উপর চাপ বাড়াতে এবার বাংলা বনধের (Strike) ডাক দিল আদিবাসী সংগঠন সেঙ্গেল অভিযান। দণ্ডিকাণ্ডে জড়িত মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতারের  দাবিতেই এই বনধের ডাক বলে দাবি আদিবাসী সেঙ্গেল অভিযানের নেতাদের। 

    কবে হচ্ছে বাংলা বনধ(Strike)?

    দণ্ডিকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে ১২ এপ্রিল গভীর রাতে বালুরঘাট থেকে পুলিশ দুজনকে গ্রেফতার করে। ধৃতদের নাম বিশ্বনাথ দাস এবং আনন্দ রায়। তাঁরা এলাকায় তৃণমূল কর্মী হিসেবে পরিচিত। ডিএসপি পদ মর্যাদার এক আধিকারিক এই মামলার তদন্তকারি অফিসার।  ধৃতরা এখন জেল হেফাজতে রয়েছেন। আগামী ১৭ তারিখ তাঁদের ফের আদালতে তোলা হবে।  সেঙ্গেল অভিযানের উত্তরবঙ্গ জোনালের সভাপতি মোহন হাঁসদা বলেন,  আদিবাসী মহিলাদের দিয়ে যারা দণ্ডি কাটিয়েছে, তাদের অবিলম্বে গ্রেফতার করার দাবি জানিয়েছি। শুনলাম এই মামলায় দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কিন্তু, যে নেত্রী এই যোগদান কর্মসূচির নেতৃত্ব দিলেন তাঁকে এখনও গ্রেফতার করা হয়নি। আমরা তাঁকে গ্রেফতারের দাবি জানাই। আদিবাসীদের উপর নির্যাতন, বঞ্চনার বিরুদ্ধেই আমরা আগামী সোমবার ১৭ই এপ্রিল বাংলা বনধ (Strike) ডেকেছি। আর বনধ (Strike) সফল করার জন্য আমরা সবরকম চেষ্টা করব।

    জাতীয় এসটি কমিশনকে চিঠি দিয়ে কী লিখলেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি?

     শুক্রবার ফের জাতীয় এসটি কমিশনকে চিঠি দিলেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি চিঠিতে লিখিছেন, দণ্ডিকাণ্ডে পুলিশ দুজনকে গ্রেফতার করেছে। কিন্তু, তারা এই ঘটনার সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত নন। মূল অভিযুক্তকে আড়াল করতে পুলিশ এই দুজনকে গ্রেফতার করেছে।  এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত হচ্ছেন, প্রদীপ্তা চক্রবর্তী। তাঁকে গ্রেফতার করতে হবে। এই দাবি জানিয়ে এদিন আবার চিঠি দিলেন বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। এই বিষয় নিয়ে নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে টুইটও  করেছেন তিনি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Corruption: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই আচমকা হানা দিল তৃণমূল বিধায়কের বাড়িতে

    Recruitment Corruption: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই আচমকা হানা দিল তৃণমূল বিধায়কের বাড়িতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তীব্র দাবদাহে মানুষ পথে বের হতে পারছেন না। ঠিক এরকমই একটা প্রতিকূল পরিস্থিতিতে সিবিআই-এর তদন্ত কিন্তু থেমে নেই। নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Corruption) মামলার শিকড়ে পৌঁছতে ঠা ঠা রোদের মধ্যেও সিবিআই আচমকা হানা দিল তৃণমূলের এক বিধায়কের বাড়িতে। বাড়ির দরজা বন্ধ করে চলল জিজ্ঞাসাবাদ এবং তল্লাশি। তল্লাশি চলে তাঁর অফিসেও। যাঁর বাড়িতে এই তল্লাশি চলল, তিনি হলেন মুর্শিদাবাদের বড়ঞ্চার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। একইসঙ্গে মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জে তাঁর শ্বশুরবাড়িতেও সিবিআইয়ের একটি টিম পৌঁছে যায় বলে জানা গিয়েছে।

    কীভাবে জড়াল তৃণমূল বিধায়কের নাম

    নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Corruption) মামলায় তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই সামগ্রিক পরিস্থিতি অন্যদিকে মোড় নেয়। উঠে আসে তৃণমূলের তাবড় নেতৃত্বের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগের বিষয়। উঠে আসে কৌশিক ঘোষ বলে একজনের নাম, যিনি আবার জীবনকৃষ্ণ সাহার অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলে জানতে পারে সিবিআই। শুধু তাই নয়, কৌশিকের সঙ্গে বিধায়কের ঘনিষ্ঠতার নানা প্রমাণও সিবিআই-এর হাতে আসে। সিবিআই জানতে পারে, জীবনকৃষ্ণ সাহা এবং কৌশিক ঘোষ-দুজনে মিলেই চাকরি বিক্রির একটা চক্র গড়ে তুলেছিলেন। হাইকোর্টের নির্দেশে যাঁদের চাকরি গিয়েছিল, তাদের মধ্যে জীবনকৃষ্ণ সাহার আত্মীয় যেমন রয়েছেন, তেমনই রয়েছেন কৌশিকের আত্মীয়রাও। প্রথমে কুন্তল ঘোষকে জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে সিবিআই জানতে পারে কৌশিক ঘোষের নাম। আর তাঁর নাম উঠতেই স্বাভাবিকভাবে চলে আসে তৃণমূল বিধায়কের নাম। সেই সূত্রেই তাঁর বাড়িতে এদিনের এই সিবিআই অভিযান বলে জানা গিয়েছে। 

    অভিযোগ অস্বীকার তৃণমূল বিধায়কের 

    এদিন অভিযান চলাকালীন জীবনকৃষ্ণ সাহা বাড়িতেই ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। যদিও নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Corruption) মামলায় কৌশিকের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার অভিযোগ তিনি অস্বীকার করেছেন। তাঁর দাবি, তিনি একজন জনপ্রতিনিধি হওয়ায় অনেকেই তাঁর কাছে আসেন। ফলে কারও সঙ্গে ছবি দেখালে এটা প্রমাণ হয় না, ওই ব্যক্তি তাঁর ঘনিষ্ঠ। যদিও এলাকার মানুষের দাবি, দুজনের ঘনিষ্ঠতার কথা কারোরই অজানা নয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share