Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Recruitment Scam: চাকরির নামে পাঁচ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ, এবার গ্রেফতার কাঁথির এক শিক্ষক

    Recruitment Scam: চাকরির নামে পাঁচ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ, এবার গ্রেফতার কাঁথির এক শিক্ষক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ কেলেঙ্কারির  (Recruitment Scam) জট যেরকম জটিল হয়ে উঠছে, তার যেন খেই পাওয়া যাচ্ছে না। চাকরি দেওয়ার নাম করে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে পুলিশ এবার গ্রেফতার করল কাঁথির এক শিক্ষককে। কাঁথির দেশপ্রাণ ব্লকের বিচুনিয়া হাইস্কুলের ইংরেজির শিক্ষক দীপক জানার বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাশে মামলা করা হয়েছে এই বছরের মার্চ মাসে। শনিবার রাতে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত ওই শিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়েছে কাঁথি শহরে অবস্থিত তাঁর শ্বশুরবাড়ি থেকে। তাঁর বিরুদ্ধে পাঁচ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে।

    কী বলেছিলেন অভিযুক্ত ওই শিক্ষক ?

    কলকাতা হাইকোর্টে অভিযোগ জমা পড়ার পর এই নিয়োগ-দুর্নীতি (Recruitment Scam) সম্পর্কে অভিযোগ নিয়ে ওই শিক্ষককে বেশ কিছু প্রশ্ন করা হয়েছিল। তার উত্তরে তিনি যা জানিয়েছিলেন, তার সারমর্ম হল, এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগ থাকার কারণে তার কাছে যে অনেকে চাকরির জন্য আসতেন, তদ্বির করতেন, সেকথা তিনি স্বীকার করেছেন। তবে তিনি নাকি তাদের পাত্তা দেননি। বরং অন্য কোথাও চাকরি খুঁজে নেওয়ার কথাই বলেছিলেন। তার আশঙ্কা, এই আক্রোশ থেকেই হয়তো কেউ তার পিছনে লেগেছে। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের স্বপক্ষে কোনও প্রমাণ থাকলে যে কোনও শাস্তি তিনি মাথা পেতে নিতে রাজি, একথাও তিনি জানিয়েছেন। তার বক্তব্য, টাকা নিলে তো হাতে নেব, না হয় কোনও অ্যাকাউন্টে নেব। প্রমাণ থাকলে দেখান।

    জড়াচ্ছেন একের পর এক তৃণমূল নেতা

    এই ঘটনার পিছনে তৃণমূল করার বিষয়টি একেবারেই নেই বলে তিনি মনে করেন। তার আশঙ্কা, এর পিছনে রয়েছে জ্ঞাতি কেউই। চাকরি না পেয়ে তারাই এখন পিছনে লেগেছে। তিনি যতই তৃণমূল করার বিষয়টি এড়িয়ে যেতে চান না কেন, চাকরি দুর্নীতিতে (Recruitment Scam) অভিযুক্ত শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, তৃণমূল নেতা কুন্তল সহ অনেকে গ্রেফতার থাকা অবস্থায় তৃণমূল ঘনিষ্ঠ এই শিক্ষক নেতার পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়া খুবই তাৎপর্যপূর্ণ বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kurmi: পাঁচদিনের মাথায় উঠল কুড়মিদের রেল অবরোধ! শুরু হল ট্রেন চলাচল

    Kurmi: পাঁচদিনের মাথায় উঠল কুড়মিদের রেল অবরোধ! শুরু হল ট্রেন চলাচল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোনও প্রতিশ্রুতি বা দাবিদাওয়া পূরণে কোনও আশ্বাস মেলেনি। রবিবার সকালে আচমকাই পুরুলিয়ার কুস্তাউর স্টেশন থেকে অবরোধ তুলে নিল কুড়মিরা (kurmi)  । তবে, রবিবার নতুন করে পুরুলিয়ার কোটশিলায় রেল অবরোধ শুরু হয়েছিল। সঙ্গে রাজ্য সড়ক অবরোধ করা হয়। কুস্তাউর স্টেশন এদিন সকালে রেল অবরোধ উঠলেও কোটশিলায় অবরোধ চলছে। পশ্চিম মেদিনীপুরের খেমাশুলি স্টেশনে রেল অবরোধ উঠে যায়। তবে, জাতীয় সড়ক অবরোধ চলছে। ৬দিনে পড়ল জাতীয় সড়ক অবরোধ। জানা গিয়েছে, কুস্তাউরের পর অন্যান্য স্টেশন থেকে রেল অবরোধ উঠে যাবে। ৫ এপ্রিল রেল অবরোধ শুরু হওয়ার পর থেকেই দক্ষিণ পূর্ব রেলের পক্ষ থেকে প্রায় প্রতিদিনই একের পর এক ট্রেন বাতিল করা হচ্ছে। গত পাঁচদিনে প্রায় শতাধিক ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। শনিবারও কুড়মিদের (kurmi)  লাগাতার আন্দোলনের জেরে ৭২ টি দূরপাল্লার ট্রেন বাতিল করা হয়েছিল। আর এদিন রেল অবরোধ উঠলেও রেলের পক্ষ থেকে একগুচ্ছ ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। একাধিক ট্রেনকে ঘুরপথে চালানো হয়েছে। পাশাপাশি বেশ কয়েকটি ট্রেনের যাত্রাপথ সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে। তবে, এদিন পুরুলিয়ার কুস্তাউর স্টেশনে প্রথমে মালগাড়ি এবং  পরে, যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু করে।

    কুড়মিদের অবরোধ তোলার কারণ কী?

    আদিবাসী (Tribal People), কুড়মি (kurmi) জাতিকে তফশিলি উপজাতির তালিকাভুক্ত করা, সারনা ধর্মের স্বীকৃতি, কুড়মালি ভাষাকে সংবিধানের অষ্টম তফসিলের অন্তর্ভুক্ত করা-সহ রাজ্য সরকারের সিআরআই (কালচারাল রিসার্চ ইনস্টিটিউট) রিপোর্ট কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে পাঠানোর দাবিতে কুড়মিদের (kurmi)  পক্ষ থেকে রাস্তায় নেমে এই আন্দোলন করা হয়েছে। ৫ এপ্রিল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য রেল অবরোধের ডাক দেওয়া হয়েছে। এদিন তাদের আন্দোলন পাঁচদিনে পড়েছিল। তবে, প্রশাসনের পক্ষ থেকে শনিবার থেকে দফায় দফায় বৈঠক হয়। কিন্তু, কোনও রফাসূত্র মেলেনি। রবিবার সাত সকালে সংগঠনের প্রতিনিধিদের নিয়ে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসনের আধিকারিকরা বৈঠক করেন। সেই বৈঠকে কোনও রফাসূত্র বের হয়নি। আন্দোলনকারীরা কুস্তাউর স্টেশন এসে ফের আন্দোলনে যোগ দেন। পরে, জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক তাঁদের কাছে একটি চিঠি নিয়ে আসে। ১০ এপ্রিল মুখ্য সচিবের সঙ্গে বৈঠকের প্রস্তাব দেওয়া হয়। যদিও আন্দোলনকারীরা সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন। কুস্তাউর স্টেশনে রেলের পক্ষ থেকে আলো, জল সব কিছুই বন্ধ রাখা হয়েছে। চাকরি বা ব্যবসার সঙ্গে যে সব কুড়মিরা জড়িত রয়েছেন তাদের পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। ফলে, আন্দোলন ক্রমশ দুর্বল হয়ে পড়ছিল। তাই, আপাতত এদিন আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।

    কী বললেন কুড়মি সংগঠনের নেতা?

    রেল অবরোধ তোলা প্রসঙ্গে কুড়মি (kurmi)   সংগঠনের নেতা অজিত প্রসাদ মাহাত বলেন, আসলে আমাদের আন্দোলন দুর্বল করতে প্রশাসন বহু চেষ্টা করছে। মামলার ভয় দেখানো হচ্ছে। আর মুখ্য সচিবের সঙ্গে এর আগে বৈঠক করেছি। কোনও লাভ হয়নি। তাই, এবার আর বৈঠক করতে রাজি হইনি। নিজেদের মধ্যে বৈঠক করে আমরা আপাতত অবরোধ প্রত্যাহার করে নিলাম। আর রেল অবরোধের জন্য সাধারণ মানুষের চরম ভোগান্তি হচ্ছে, সেটা বিবেচনা করেই এই সিদ্ধান্ত নিলাম। তবে, আগামীদিনে আমরা ফের আন্দোলনে নামব।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sunderban: চিন ও সিঙ্গাপুরে ব্যাপক কদর সুন্দরবনের ফিমেল কাঁকড়ার! কেন জানেন?

    Sunderban: চিন ও সিঙ্গাপুরে ব্যাপক কদর সুন্দরবনের ফিমেল কাঁকড়ার! কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিদেশের মাটিতে বেড়েছে বাংলার কাঁকড়ার চাহিদা। চিন, হংকং, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, ম্যালয়েশিয়া থেকে শুরু করে বিভিন্ন দেশেই বেড়েছে সুন্দরবনের (Sunderban) মেল ও ফিমেল গ্রেড কাঁকড়ার চাহিদা। শুধু তাই নয়, ভারতের বিভিন্ন রাজ্যেও এই কাঁকড়া রফতানি হচ্ছে বাংলা তথা পৃথিবীর বৃহত্তম দ্বীপ সুন্দরবন থেকেই। ২০২০ ও ২১  সালে কোভিডের জন্য এর চাহিদা অনেক কমে গিয়েছিল। কিন্তু পরিস্থিতি ঠিক হতেই আবার আমদানি-রফতানি বাড়ছে। 

    মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়েই জীবিকা নির্বাহ

    সুন্দরবনের ঘন জঙ্গল, গভীর নদী ও মোহনা এখানকার মৎস্যজীবীদের অনেক সময় ভয়ের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। কুমির ও বাঘ ছাড়া বিষাক্ত সাপের কামড় তো আছেই। অনেক সময় মৎস্যজীবীদের এসব কারণে মৃত্যুও হয়। সুন্দরবনের (Sunderban) বেশিরভাগ মানুষই মৎস্যজীবী। তাই তাঁদের এসবের মধ্যেও জীবিকা চালিয়ে যেতে হয়। মৎস্যজীবী ছাড়াও মধু এবং কাঠ সংগ্রহ মানুষের প্রধান জীবিকা।  এখানকার আরও একটি জনপ্রিয় জিনিস হল কাঁকড়া। মৎস্যজীবীরা নদীনালায় সূতলি ফেলে এই কাঁকড়া ধরেন এবং সেগুলি পাইকারি দরে বিক্রি করেন। আড়ৎ থেকে পাইকারিরা নিয়ে চলে যান কলকাতা সহ বিভিন্ন জায়গায়। কলকাতা থেকে সেগুলি আবার চলে যাচ্ছে বিদেশের মাটিতে।

    স্থানীয় মৎস্য ব্যবসায়ীরা কী জানিয়েছেন ?

    স্থানীয় কাঁকড়া ব্যবসায়ী ও কাঁকড়ার আড়ৎদার সুজয় মণ্ডল ও জগদীশ বর্মন জানিয়েছেন, সুন্দরবনের কাঁকড়ার মতো সুস্বাদু কাঁকড়া পৃথিবীর আর কোথাও পাওয়া যায় না। বিশেষ করে সিঙ্গাপুর ও চিনে এর বিরাট চাহিদা। এই কাঁকড়ার দুরকম প্রজাতি আছে। এক মেল ও অন্যটি হল ফিমেল। ফিমেল গ্রেড কাঁকড়ার জনপ্রিয়তা বেশি। কারণ এর মধ্যে মাংসের পরিমাণ বেশি থাকে। তাছাড়াও কলকাতার কিছু চাইনিজ রেস্তোরাঁয় এর খুব চাহিদা রয়েছে।  

    এক নজরে দেখে নেওয়া যাক, এই কাঁকড়ার দাম কেমন ?

    এই কাঁকড়াগুলিকে বাজারে গ্রেড হিসাবে বিক্রি করা হয়। এখানে ২ প্রকার কাঁকড়া পাওয়া যায়, মেল ও ফিমেল। এই ফিমেল কাঁকড়ার ৫ টি গ্রেড আছে ও মেল কাঁকড়ার ৩ টি গ্রেড আছে। গ্রেড হিসাবে বাজারে (Sunderban) এই কাঁকড়ার দাম ওঠে। ১০০ গ্রাম থেকে শুরু করে ১৮০ গ্রাম পর্যন্ত ফিমেল কাঁকড়ার গ্রেড শুরু হয় অর্থাৎ গ্রেড ১,২,৩,৪,৫ পর্যন্ত। এই ফিমেল কাঁকড়ার দাম ওঠে ১৪০০ টাকা প্রতি কেজি পর্যন্ত।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Scam: ইডি-র চার্জশিটে কুন্তলের এজেন্ট হিসেবে নাম রায়গঞ্জের স্কুল শিক্ষকের! চাঞ্চল্য

    Scam: ইডি-র চার্জশিটে কুন্তলের এজেন্ট হিসেবে নাম রায়গঞ্জের স্কুল শিক্ষকের! চাঞ্চল্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে (Scam) এবার কুন্তল-যোগ উত্তর দিনাজপুর জেলায়! কুন্তল ঘোষকে জেরার পর ইডির পেশ করা চার্জশিটে নাম এল এক শিক্ষকের। তাঁর নাম গৌতম তান্তিয়ার। তিনি আবার একজন  সমাজকর্মী। আর রায়গঞ্জের এক পশুপ্রেমী সংগঠনের তিনি সম্পাদকও। কুন্তল ঘোষকে জেরা করে যে এজেন্টদের নাম পাওয়া গিয়েছে তাদের মধ্যে নাম রয়েছে গৌতমবাবুর। এমনই একটি তথ্য সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই জেলা জুড়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। এই প্রসঙ্গে এক প্রতিবেশী নিবারণ দেবনাথ বলেন, গৌতমবাবুর এনজিও-র সঙ্গে আমি যুক্ত রয়েছি। আর তাঁর একটি দোকান ভাড়া নিয়ে আমি ব্যবসা করি। এই বিষয়ে আমি কিছু জানি না। সোশ্যাল মিডিয়াতে নিয়োগ দুর্নীতির (Scam) সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তির তালিকায়  তাঁর নাম দেখে অবাক লাগছে।

    কুন্তল ঘোষের এজেন্ট প্রসঙ্গে অভিযুক্ত শিক্ষক গৌতম তান্তিয়া কী বললেন?

    নিজের নামের তালিকাকে ভুয়ো বলে দাবি করেন শিক্ষক গৌতমবাবু। তিনি বলেন, আমি কুন্তল ঘোষের নাম সংবাদ মাধ্যমে দেখেছি। তার সঙ্গে আমার কোনও যোগাযোগ নেই। কেন আমার নাম জড়ানো হল তা বুঝতে পারছি না। তাছাড়া আমার কাছে লিখিত কোনও কাগজপত্র আসেনি। ফলে, এটা ভুয়ো বলে মনে হচ্ছে। আর এখন তো সোশ্যাল মিডিয়ার যুগ। আমাকে বদনাম করাতে এসব কেউ করতে পারে। আর এই দুর্নীতির (Scam)  বিষয় নিয়ে যদি ইডি তলব করে, আমি সবরকমভাবে সাহায্য করতে প্রস্তুত।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    কুন্তল ঘোষের এজেন্ট হিসেবে নাম সামনে আসতেই সরব হয়েছে বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপির প্রাক্তন জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ লাহিড়ী বলেন, এই সরকারের আমলে শিক্ষকরাও দুর্নীতির (Scam)  সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়ছে। কুন্তলকে জেরা করে এই জেলায় শুধু গৌতম তান্তিয়ার নাম উঠে আসলেও এমন আরও অনেক গৌতমবাবু এই জেলায় রয়েছে। সঠিক তদন্ত হলে তাদের নামও বেরিয়ে আসবে। আসলে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির (Scam)  জাল প্রতিটি জেলায় ছড়িয়ে রয়েছে। ইডি তদন্ত করলেই সব অভিযুক্তরা ধরা পড়বে। আমরা চাই, নিয়োগ দুর্নীতির (Scam) সঙ্গে যে বা যারা জড়িত রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ইডি ব্যবস্থা গ্রহণ করুক।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Employment: রাষ্ট্রবিজ্ঞানে এমএ, ক্যারাটেতে ব্ল্যাক বেল্ট,  তবুও রাজকুমারের পরিচয় ফেরিওয়ালা !

    Employment: রাষ্ট্রবিজ্ঞানে এমএ, ক্যারাটেতে ব্ল্যাক বেল্ট, তবুও রাজকুমারের পরিচয় ফেরিওয়ালা !

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফেরি করেই জীবন সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন উচ্চশিক্ষিত রাজকুমার। রায়গঞ্জ ব্লকের মণিপুর অঞ্চলের কান্তরের বাসিন্দা রাজকুমার মাহাতো। বয়স ২৫। পড়াশোনার জন্য রায়গঞ্জ শহরের উকিলপাড়ায় তাঁর বর্তমান অস্থায়ী বাসস্থান। রাষ্ট্রবিজ্ঞানে এমএ এবং ক্যারাটেতে ব্লাকবেল্ট তিনি। ছোট্ট ফেরিগাড়িতে মণিহারি সামগ্রী সাজিয়ে গ্রামে গ্রামে ফেরি করে বেড়ান। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ফেরিগাড়ি নিয়ে ঘুরে বেড়ান গ্রামগঞ্জে। পরিবারের সদস্যদের সুখেশান্তিতে রাখার পাশাপাশি নিজের পায়ে দাঁড়াতে (Employment) কঠোর পরিশ্রম করে চলেছেন তিনি।

    নিজের পেশাকে পরিহাস বলতে নারাজ, কেন জানেন ?

    সপ্তাহে ৩ দিন রায়গঞ্জ শহর ও শহরতলি এলাকায় ক্যারাটের প্রশিক্ষণ দিতেও দেখা যায় তাঁকে। ফেরিওয়ালা রাজকুমারের পেশার সঙ্গে তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা মোটেই মানানসই নয়। তবু জীবনে প্রতিষ্ঠিত হতে ফেরিওয়ালা পেশাকেই বেছে নিয়েছেন তিনি। বাবা পেশায় কৃষক। অনটনের সংসারে একটি সরকারি চাকরির (Employment) খুব প্রয়োজন থাকলেও নিজের পেশাকে পরিহাস বলতে মানতে নারাজ তিনি। রাজকুমার ২০১৫ সালে ভগিলতা হাইস্কুল থেকে মাধ্যমিক পাশ ও ২০১৭ সালে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করার পর রায়গঞ্জ সুরেন্দ্রনাথ কলেজে রাষ্ট্রবিজ্ঞান অনার্স নিয়ে ভর্তি হন। এরপর রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ কমপ্লিট করেন। এম এ পড়ার সময় রায়গঞ্জে চলে আসেন তিনি। মেলায় মেলায় বেলুন বিক্রি করে নিজের পড়াশোনার খরচ জোগাড় করতেন রাজকুমার। কিছু টাকাপয়সা জোগাড় হতেই ভ্যানগাড়ি তৈরি করে মনিহারি সামগ্রী বিক্রি শুরু করেন। পাশাপাশি চালিয়ে যান ক্যারাটে প্রশিক্ষণ।

    ইচ্ছে শিক্ষক হওয়া আর অলিম্পিকে সোনা নিয়ে আসা

    ক্যারাটেতে ব্ল্যাক বেল্ট পাওয়ার পর গ্রামের ছাত্র-ছাত্রীদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য মহারাজা মোড়ে একটি স্কুলও চালু করেছেন। এত পরিশ্রমের পরেও হাসিখুশি  রাজকুমারের ইচ্ছে অলিম্পিকে অংশ নেওয়া। তার বিশ্বাস, অংশ নিলে সোনা আনবেনই। গত ২০ মার্চ রাজকুমার রায়গঞ্জ থেকে কলকাতার উদ্দেশে পায়ে হেঁটে রওনা দিয়েছিলেন এবং ৬ দিনে কলকাতায় পৌঁছন। ইচ্ছে ছিল মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে গ্রামেগঞ্জে ছেলেমেয়েদের মোবাইল ফোনের অত্যাধিক ব্যবহার বন্ধের জন্য গ্রাম্য খেলাধুলোর পরিবেশ ফিরিয়ে আনার দাবি জানাবেন। কিন্তু দেখা করার সুযোগ পাননি। রাজকুমার জানান, ফেরি করে যে আয় হয়, তা দিয়ে চাকরির জন্য পড়াশোনার খরচ এবং সংসারের খরচটুকু ওঠে। কঠিন লড়াই করতে হয়। নেট ও স্লেটের জন্য চেষ্টা করছি। বাবা রামদেব মাহাতো গ্রামেই থাকেন। অন্যের জমিতে কাজ করেন। মা মিনাদেবী মাহাতো অসুস্থ। মা, বাবা ও চার ভাইবোন নিয়ে কোনও রকমে চলে তাঁদের সংসার। উকিলপাড়ার এক বাসিন্দা রাজকুমারকে থাকতে দিয়েছেন, এজন্য কোনও ভাড়া নেন না। রাজকুমার জানান, ইচ্ছে শিক্ষক হওয়ার। কিন্তু আমাদের মতো গরিব মানুষের কাছে চাকরি (Employment) স্বপ্নের মতো। কারণ, এখন যোগ্যতার দাম নেই, টাকা দিলেই চাকরি মেলে। 

    ঘরে এত মেডেল, কিন্তু সম্মান নেই, আক্ষেপ রাজকুমারের

    রাজকুমারের ঘরে গিয়ে দেখা গেল, দেওয়ালে ঝোলানো রয়েছে অনেক মেডেল। জাতীয়, রাজ্য ও জেলাস্তরে ক্যারাটেতে অংশ নিয়ে কোনওবার প্রথম, আবার কোনওবার দ্বিতীয় হয়েছেন। তাঁর আক্ষেপ, এত মেডেল রয়েছে, কিন্তু কোনও সম্মান নেই। প্রতিবেশীদের কাছে অত্যন্ত নম্র, ভদ্র এবং গুণী ছেলে রাজকুমার। প্রতিবেশি লক্ষ্মী চৌহান বলেন, উচ্চশিক্ষিত হয়েও সে যেভাবে ফেরি করে নিজের পড়াশোনার পাশাপাশি সংসার চালায়, সত্যি ভাবা যায় না। এমন ছেলে দেখা যায় না। ওর একটা চাকরি (Employment) দরকার। পাড়ার ছেলেমেয়েরা খুব ভালোবাসে ওকে। সোনিয়া চৌহান নামে পাড়ার এক ছাত্রী জানায়, দাদা খুব ভালো মানুষ। আমাদের সঙ্গে খেলাধুলো করে।আমাদের খুব সাহায্য করে। দাদার একটা চাকরি দরকার। প্রাথমিক, মাধ্যমিক, গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি  সকল ক্ষেত্রেই রাজ্য সরকার দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত। ঠিক এইরকমই এক সময়ে রাজকুমারের লড়াই কি কর্মসংস্থান প্রশ্নে রাজ্য সরকারের ভূমিকার দিকে আঙুল তুলছে না?
    এই প্রশ্নই ঘুরছে বিশেষজ্ঞ মহলে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: শুভেন্দুর সভার আগেই খেজুরিতে তৃণমূলীদের তাণ্ডব! একাধিক বাড়ি ভাঙচুর, আক্রান্ত বহু বিজেপি কর্মী

    BJP: শুভেন্দুর সভার আগেই খেজুরিতে তৃণমূলীদের তাণ্ডব! একাধিক বাড়ি ভাঙচুর, আক্রান্ত বহু বিজেপি কর্মী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিন দিনের পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সফরে এসে খেজুরির ঠাকুরনগরে ৩ রা এপ্রিল প্রশাসনিক জনসভা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামীকাল ১০ এপ্রিল সেই মাঠে মুখ্যমন্ত্রীর পাল্টা রাজনৈতিক জনসভা করবেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। প্রশাসন সভার অনুমতি না দিলেও কলকাতা হাইকোর্ট অনুমতি দিয়েছে। আর সেই সভার আগেই তৃণমূলীদের তাণ্ডব ও দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে বিক্ষোভের ঘটনায় রাজনৈতিক উত্তেজনা তৈরি হল খেজুরিতে। দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা। জানা গিয়েছে, খেজুরি-১ ব্লকের বীরবন্দর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার কন্ঠীবাড়ী গ্রামে।  রাস্তাঘাট নেই। বারবার আবেদন জানিয়েও মেলেনি সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের সুযোগ সুবিধা। ফলে, এই ক্যাম্পের কোনও প্রয়োজন নেই বলে গ্রামবাসীরা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন।  পাশাপাশি খেজুরির বারাতলা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বহু বিজেপি (BJP) কর্মীর বাড়িতে ও দোকানে হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে, বারাতলা অঞ্চলের ১৭০ নম্বর বুথে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বিজেপি (BJP)  কর্মীদের বাড়িতে চড়াও হয়। একাধিক কর্মীর বাড়ি ভাঙচুর করে। হামলায় একজন মহিলা কর্মী কোমরে গুরুতর চোট পেয়েছেন। হাতও ভেঙে দিয়েছে। দু- তিনজনের মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে তৃণমূলীরা। আলো বালা রঞ্জিত, আঙ্গুরবালা রঞ্জিত, দিপালী পাত্র ,স্বপন মালি ,সুকুমার বেরা, সুমন মালি সহ কয়েকজন বিজেপি (BJP)  কর্মী জখম হয়ে তমলুক হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

    কেন হামলা চালাল তৃণমূল?

    রাজ্যের রাজনৈতিক মানচিত্রে গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দীগ্রাম ও তার পাশের বিধানসভা খেজুরি। গত বিধানসভা ভোটে জমি রক্ষার আন্দোলন খ্যাত নন্দীগ্রামে পরাজিত হয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।  পাশের বিধানসভা খেজুরিতেও পরাজিত হয়েছে তৃণমূল প্রার্থী। যে জমি আন্দোলন,  যে নন্দীগ্রাম খেজুরির হাত ধরে রাজ্যের মসনদে বসেছে তৃণমূল সেই নন্দীগ্রাম ও খেজুরি পুন:দখলই এই পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রধান লক্ষ্য।  উল্টোদিকে, বিধানসভা ভোটের সাফল্য ধরে রেখে নন্দীগ্রাম খেজুরি থেকে তৃণমূলকে একদমে উৎখাত করে দেওয়াই লক্ষ্য বিজেপির (BJP) । এমন প্রেক্ষাপটে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) সভা ও পাল্টা শুভেন্দু অধিকারীর (Subhendu Adhikari) সভা ঘিরে রাজনৈতিক উত্তেজনার পারদ ক্রমে বাড়ছে খেজুরি, নন্দীগ্রাম সহ গোটা পূর্ব মেদিনীপুর জেলায়।  পঞ্চায়েত ভোটের আগে হারানো মাটি ফিরে পেতে চাইছে তৃণমূল। পাশাপাশি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সভার আগে এলাকায় বিজেপি (BJP)  কর্মীদের উপর সন্ত্রাস তৈরি করতেই তৃণমূলীরা হামলা চালায়। এমনই অভিযোগ বিজেপির (BJP) ।

    কী বললেন বিজেপির বিধায়ক ?

    তৃণমূলীদের হামলার প্রতিবাদে শনিবার খেজুরির গুরুত্বপূর্ণ বিদ্যাপীঠ মোড়ে বিজেপি (BJP)  কর্মীরা রাস্তা অবরোধ করেন। খেজুরির বিজেপি বিধায়ক শান্তনু প্রামাণিক বলেন, এলাকায় সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করতেই তৃণমূলীরা হামলা চালায়। বোমা, আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে এলাকায় তারা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। আসলে ভয় দেখিয়ে কেউ জনসভায় না যায়, সেই চেষ্টা করছে তৃণমূল। এসব করে আমাদের কর্মীদের ভয় দেখানো যাবে না। দলীয় সভায় কর্মীদের ভিড় উপচে পড়বে।

    হামলা নিয়ে কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের খেজুরি ২ ব্লকের সভাপতি শ্যামল মিশ্র বলেন, তৃণমূল উন্নয়ন করেছে, গন্ডগোল করার দরকার নেই। মানুষ ভালোবেসে ভোট দেবেন আমাদের। এইসব মিথ্যা অভিযোগ করে প্রচারে থাকার চেষ্টা করছে বিজেপি (BJP) ।  পঞ্চায়েত ভোটের পর এদের খুঁজে পাওয়া যাবে না।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kurmi: চারদিন ধরে চলছে কুড়মিদের রেল অবরোধ, শনিবারও একগুচ্ছ ট্রেন বাতিল, ব্যাপক ভোগান্তি

    Kurmi: চারদিন ধরে চলছে কুড়মিদের রেল অবরোধ, শনিবারও একগুচ্ছ ট্রেন বাতিল, ব্যাপক ভোগান্তি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:আদিবাসী (Tribal People)  কুড়মি (kurmi) জাতিকে তফশিলি উপজাতির তালিকাভুক্ত করা, সারনা ধর্মের স্বীকৃতি, কুড়মালি ভাষাকে সংবিধানের অষ্টম তফসিলের অন্তর্ভুক্ত করা-সহ রাজ্য সরকারের সিআরআই (কালচারাল রিসার্চ ইনস্টিটিউট) রিপোর্ট কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে পাঠানোর দাবিতে কুড়মিদের (kurmi)  পক্ষ থেকে রাস্তায় নেমে এই আন্দোলন করা হয়েছে। বুধবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য রেল অবরোধের ডাক দেওয়া হয়েছে। আজ চারদিন ধরে পুরুলিয়ার কুস্তাউর রেল স্টেশনে চলছে রেল অবরোধ। একইসঙ্গে ঝাড়গ্রামের খেমাশুলিতে রেল ও সড়ক অবরোধ চলছে। শুক্রবার জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করা হয়। সেখানে কোনও সমাধান হয়নি। শনিবার পুরুলিয়া জেলা প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা বসে। তাতেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। রবিবার থেকে কোটশিলা স্টেশনে নতুন করে অবরোধ শুরু করবেন বলে জানা গিয়েছে।

    আন্দোলনের জেরে কত ট্রেন বাতিল হল?

    বুধবার থেকে রেল অবরোধ শুরু হওয়ার পর থেকেই দক্ষিণ পূর্ব রেলের পক্ষ থেকে প্রায় প্রতিদিনই একের পর এক ট্রেন বাতিল করা হচ্ছে। গত চারদিনে প্রায় শতাধিক ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। শনিবারও কুড়মিদের (kurmi)  লাগাতার আন্দোলনের জেরে বাতিল করা হয়েছে একগুচ্ছ দূরপাল্লার ট্রেন। দক্ষিণ পূর্ব রেল সূত্রে খবর, এদিন ৭২ টি দূরপাল্লার ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। এরমধ্যে ভুবনেশ্বর-দিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেস, লোকমান্য তিলক, শালিমার সহ বহু দূরপাল্লার ট্রেন রয়েছে।  একাধিক ট্রেনকে ঘুরপথে চালানো হয়েছে। পাশাপাশি বেশ কয়েকটি ট্রেনের যাত্রাপথ সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে। ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির আশঙ্কা প্রকাশ করেছে রেল। রেল ও সড়ক অবরোধের ফলে গোটা জঙ্গলমহল একেবারে স্তব্ধ হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। শনিবার রেল অবরোধ চারদিনে পা দিল। ঝাড়গ্রামের খেমাশুলিতে ৪ এপ্রিল থেকে জাতীয় সড়ক অবরোধ চলছিল। সেই অবরোধ এদিন পাঁচদিনে পড়ল। তবে, পুরুলিয়া জেলায় রেল অবরোধ করা হলেও সড়ক অবরোধ করা হয়নি। এবার সড়ক পথ অবরোধ করা হবে বলে সংগঠনের নেতারা হুঁশিয়ারি দিয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Rishra: পুলিশি বাধায় রিষড়ায় ঢুকতে পারলেন না ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের সদস্যরা, কী বললেন তাঁরা?

    Rishra: পুলিশি বাধায় রিষড়ায় ঢুকতে পারলেন না ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের সদস্যরা, কী বললেন তাঁরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ রাম নবমীর দিন রিষড়ার গন্ডগোলের পর  প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছিল। তারপর ঘটনাস্থলে বিজেপির রাজ্য সভাপতি  সুকান্ত মজুমদার, সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়কে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। শুক্রবার আইএসএফ-র প্রতিনিধিরা ঢুকতে গেলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। শনিবার দিল্লির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের প্রতিনিধিদের রিষড়া (Rishra) যাওয়ার আগেই আটকে দেওয়া হয়। জানা গিয়েছে, এদিন রিষড়াকাণ্ডে (Rishra)  ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে কথা বলতে যান। রিষড়া (Rishra)  ঢোকার বেশ কিছুটা আগেই শ্রীরামপুরের বাঙ্গিহাটি মোড়ে দিল্লি রোডে তাদের কনভয় আটকে দেয় পুলিশ। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়,  ১৪৪ ধারা জারি থাকায় কোনও প্রতিনিধি দলকেই এই মুহূর্তে রিষড়া যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। তাই, ওই দলের সদস্যদের ফিরে যেতে বলা হয়।

    কমিটিতে কারা রয়েছেন?

    ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমে ৬ জন সদস্য রয়েছেন। প্রতিনিধি দলের মধ্যে  একজন অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি নরসীমা রেড্ডি, আইনজীবী চালুওয়ালি খন্না, আইনজীবী ওমপ্রকাশ ব্যাস,  অবসরপ্রাপ্ত আইপিএস অফিসার রচপাল সিং এবং প্রবীণ সাংবাদিক সঞ্জীব নায়েক রয়েছেন। শনিবারই এই প্রতিনিধি দল এসেছেন। ১০ এপ্রিল পর্যন্ত তাঁরা কলকাতায় থাকবেন। শনিবার রিষড়া (Rishra) এবং রবিবার তাদের হাওড়ার শিবপুর যাওয়ার কথা। আর ১০ এপ্রিল নবান্নে যাওয়ার কথা রয়েছে। পরে, সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে ১০ এপ্রিল কলকাতায় তাঁদের সাংবাদিক সম্মেলন করার কথা রয়েছে। প্রথম দিন রিষড়ায় (Rishra)  পরিদর্শনের আগে তাদের বাধা দেওয়া হয়।

    কী বললেন প্রতিনিধি দলের সদস্যরা?

    রিষড়া (Rishra)  ঢোকার আগেই প্রতিনিধি দলের সদস্যরা পুলিশের কাছে বাধা পান। তাঁরা বলেন, তাঁরা কোনও রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিত্ব করছেন না, তাহলে কেন তাঁদের আটকানো হবে? ওই এলাকায় গিয়ে মানুষের সঙ্গে কথা বলে কিছু তথ্য সংগ্রহ করতে চান তাঁরা। কিন্তু, প্রশাসন তাদের বাধা দিচ্ছে। ভারতবর্ষের আইন সব মানুষকে দেশের যে কোনও জায়গায় যাওয়ার অধিকার দিয়েছে। তাঁরা ১৪৪ ধারা মেনে একজন একজন করে যেতে চেয়েছিলেন, কিন্তু তাতেও তাঁদের আটকানো হয়েছে।  তাঁদের প্রশ্ন“কী লুকোতে চাইছে পুলিশ? আমরা রিষড়ায় (Rishra)  গিয়ে মানুষের সঙ্গে কথা বলতাম। সেদিন পুলিশের কী ভূমিকা ছিল? মানুষের কতটা ক্ষতি হয়েছে? সে বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করতাম। আমরা বৈঠক করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেব।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

     

     

     

  • Scam: সমবায় সমিতিতে কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি! কারা জড়িত জানেন?

    Scam: সমবায় সমিতিতে কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি! কারা জড়িত জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ কিষাণ ক্রেডিট কার্ডে লোন দেওয়ার নামে কোটি,কোটি টাকার দুর্নীতির (Scam) অভিযোগ উঠল হুগলির খানাকুলের তৃণমূল নেতা তথা চিংড়া কৃষি উন্নয়ন সমবায় সমিতির ম্যানেজারের বিরুদ্ধে। জেলাশাসকের নির্দেশের পর প্রায় পাঁচ মাস কেটে গেলেও তদন্তে এলেন না সমবায় আধিকারিকরা। কতদিনে মিলবে সুরাহা? ক্ষুব্ধ খানাকুল -২ ব্লকের চিংড়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার কৃষকরা।

    সমবায়ের ম্যানেজারের বিরুদ্ধে ঠিক কী অভিযোগ?

    ২০১৭ – ১৮ আর্থিক বর্ষে খানাকুলের চিংড়া সমবায় সমিতি থেকে কিষাণ ক্রেডিট কার্ডের ঋণ হিসাবে প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকা তোলা হয়। যা নিয়ম বহির্ভূতভাবে ওই এলাকার প্রভাবশালী তৃণমূল নেতাদের পাশাপাশি সমবায়ের এলাকার বাইরেও বিভিন্ন তৃণমূল নেতাকে কার্যত ঋণ পাইয়ে দেওয়া হয়েছিল। আর এসব করেছিলেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা তথা সমবায় সমিতির ম্যানেজার প্রভুনাথ পোড়েল। ঘটনাকে কেন্দ্র করে আর্থিক তছরুপের (Scam)  সঠিক তদন্তের দাবি জানিয়ে স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান কার্তিক ইশরের নেতৃত্বে এলাকার কৃষকরা গণ স্বাক্ষর করে জেলা প্রশাসনের কাছে জমা দেন। গত ডিসেম্বর মাসে বিষয়টি নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দেন হুগলি জেলাশাসক। কিন্তু, এরপরেও সেই অর্থে কোনও তদন্তই শুরুই হয়নি বলে অভিযোগ। গত ৬ এপ্রিল রাজ্য সমবায় দফতরের অধিকারিকদের খানাকুলের চিংড়া এলাকায় দুর্নীতির (Scam)  অভিযোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখতে আসার কথা ছিল। সেইমতো স্থানীয় কৃষকরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু, অবশেষে কোনো সমবায় আধিকারিকদের ঘটনাস্থলে আসতে দেখা যায়নি। ফলে, ক্ষুব্ধ এলাকার কৃষকরা।

    কী বললেন স্থানীয় কৃষকরা?

    ইতিমধ্যেই অভিযোগ উঠেছিল সমবায় দুর্নীতিতে (Scam)  খানাকুল সহ জেলা ও রাজ্যের বেশকিছু প্রশাসনিক ব্যক্তিত্ব ও ব্যাঙ্কের একাংশের কর্মীরা যুক্ত আছে। তদন্তকারীরা না আসায় সেই অভিযোগ ফের তুলতে শুরু করেন কৃষকরা। শঙ্কর সাঁতরা, দেবপ্রসাদ মাইতি নামে কৃষকরা বলেন, আমাদের টাকা নিয়ে অন্যদের লক্ষ লক্ষ টাকা লোন দেওয়া হচ্ছে। সমবায়ের ম্যানেজার দুর্নীতির (Scam)  সঙ্গে জড়িত। প্রশাসনের একটি অংশ জড়িত থাকায় কেউ তদন্ত পর্যন্ত করতে আসছে না।

    কী বললেন স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান?

    স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান কার্তিক ইশর বলেন, এই দুর্নীতিতে (Scam)  সমবায়ের ম্যানেজার শুধু নয় আরও অনেক প্রভাবশালী যুক্ত আছেন। তবে, প্রধানের বিরুদ্ধেও লোনের নামে টাকা আত্মসাত্ করার অভিযোগ রয়েছে। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি লোন নিয়েছিলাম। তা পরিশোধও করছি। পাশাপাশি খানাকুল বিধানসভার পরাজিত তৃণমূল প্রার্থী মুন্সী নজিবুল করিম সহ একাধিক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধেও সমবায় সমিতি থেকে লোনের নামে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

     কী বললেন বিজেপি বিধায়ক?

    বিষয়টি নিয়ে সুর চড়িয়েছে বিজেপিও। খানাকুলের বিজেপি বিধায়ক সুশান্ত ঘোষ বলেন, চাকরি নিয়ে তৃণমূল শুধু দুর্নীতি (Scam)  করেনি, সমবায় সমিতিতে ওরা কোটি কোটি টাকা দুর্নীতি (Scam)  করেছে। সমবায়ের বাইরে লোককে টাকা পাইয়ে দিয়েছে। এই দুর্নীতির সিবিআই তদন্তের দাবি জানাচ্ছি আমরা।

    সমবায় সমিতির কর্মীরা কী বললেন?

    এদিকে দুর্নীতির (Scam)  বিষয়টি জানাজানি হতেই গা ঢাকা দিয়েছেন অভিযুক্ত ওই সমবায় সমিতির ম্যানেজার। সমবায় সমিতির কর্মীদের দাবি,তিনি কাজের জন্য অন্যত্র রয়েছেন।তবে, সূত্রের খবর,তিনি এলাকাতেই গা ঢাকা দিয়েছেন। গত কয়েকদিন আগে পর্যন্ত বহাল তবিয়তে দিদির দূত হিসাবে কাজ করতেও দেখা গিয়েছে তাঁকে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Attack: বিজেপি-র যুব মোর্চার জেলা সভাপতিকে ছুরি দিয়ে হামলা! কেন জানেন?

    Attack: বিজেপি-র যুব মোর্চার জেলা সভাপতিকে ছুরি দিয়ে হামলা! কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দলীয় পতাকা খোলাকে কেন্দ্র করে বচসা। বিজেপির যুব মোর্চার জেলা সভাপতিকে ছুরি দিয়ে হামলা (Attack) চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে।  শনিবার এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বর্ধমান শহরের ঢলদীঘি মোড়ে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। প্রকাশ্যে বিজেপি নেতার উপর হামলার (Attack)  ঘটনা দেখে সাধারণ মানুষও আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। পরে, বর্ধমান থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, একটি গন্ডগোলের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।

    কী নিয়ে গন্ডগোল?

    শুক্রবার বর্ধমান শহরে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) সভা ছিল। তারজন্য সভার আগে থেকে শহরের রাস্তা  বিজেপি কর্মীরা দলীয় পতাকায় মুড়ে দিয়েছিলেন। আক্রান্ত বিজেপির জেলা যুব মোর্চার সভাপতি  পিন্টু শ্যামের বক্তব্য, শহর জুড়ে আমাদের দলীয় পতাকা ছিল। রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় দেখি কয়েকজন আমাদের পতাকা খুলে তৃণমূলের পতাকা লাগাচ্ছিল। আমি তার প্রতিবাদ করি। আর দলীয় পতাকা খুলতে তাদের বাধা দিই।  প্রথমে আমার সঙ্গে তাদের বচসা বাধে। পরে, একজন আমাকে তেড়ে আসে। সঙ্গে আরও দুজন ছুটে আসে। আমি তাদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে ওরা আমাকে হামলা (Attack) করে। একজন আমাকে ছুরি চালিয়ে দেয়। আমি ছুটে একটি দোকানে গিয়ে আশ্রয় নিই। ঘটনাস্থলে সিসি ক্যামেরা রয়েছে। তার ফুটেজ সংগ্রহ করলেই পুলিশ জানতে পারবে কারা হামলাকারী (Attack)। আমাদের দাবি, হামলাকারীদের(Attack)  বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।

    হামলা নিয়ে কী বললেন বিজেপি-র জেলা সভাপতি?

    দলীয় নেতা আক্রান্ত হওয়ার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হন জেলা বিজেপির সভাপতি অভিজিৎ তা সহ দলীয় কর্মী সমর্থকরা। জেলা সভাপতি অভিজিৎ তা বলেন, শুক্রবার বর্ধমানে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর কর্মসূচি ছিল। রাজ্য বিজেপির সহ সভাপতি  শ্যামাপদ মণ্ডল কর্মসূচিতে ছিলেন। রাতে তিনি বর্ধমানেই ছিলেন। এদিন পিন্টু তাকে বর্ধমান স্টেশনে ট্রেনে তুলে বাড়ি ফিরছিল। ওই সময়ে পিন্টু দেখে ঢলদীঘি মোড়ে কয়েকজন আমাদের দলীয় পতাকা খুলে দিচ্ছে। এই নিয়ে প্রতিবাদ করতে গেলে তার উপর তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা চড়াও (Attack)  হয়। ধারাল অস্ত্র নিয়ে তৃণমূলের লোকজন রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। দুষ্কৃতীরাজ চলছে।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস বলেন, এটা মিথ্যা অভিযোগ। শুক্রবার শুভেন্দু অধিকারীর সভায় ওদের লোকজন হয়নি। তাই, এসব মিথ্যা অভিযোগ করে বাজার গরম করতে চাইছে। যেহেতু আজ আমাদের মিছিল রয়েছে, তাই ওরা এসব করছে। আসলে ওদের দলের কোন্দলের জন্যই এই হামলার ঘটনা ঘটেছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share