Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • OMR Sheet: থরে থরে সাজানো ওএমআর শিট! অয়নের বাড়িতে মিলল চাকরি পরীক্ষার এই সব উত্তর পত্র

    OMR Sheet: থরে থরে সাজানো ওএমআর শিট! অয়নের বাড়িতে মিলল চাকরি পরীক্ষার এই সব উত্তর পত্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ থরে থরে সাজানো ওএমআর (OMR Sheet) শিট! নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেপ্তার অয়ন শীলের বাড়ি থেকে এক গাদা ওএমআর শিট (OMR Sheet)  উদ্ধার করেছেন ইডির তদন্তকারী আধিকারিকরা। সেই ওএমআর শিটগুলিকে সাজিয়ে ছবি তুলে তা টুইটারে প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। ইডির তরফে টুইটে জানানো হয়েছে, অয়নের বাড়ি থেকে বেশ কিছু সন্দেহজনক নথি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। যদিও অয়ন শীলের সংস্থার এক ডিরেক্টেরের দাবি, নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেপ্তার অয়ন শীলের সল্টলেকের ভাড়া নেওয়া ফ্ল্যাট থেকে যে ওএমআর শিটগুলি (OMR Sheet)  পাওয়া গিয়েছে এবং বিভিন্ন পুরসভার নিয়োগ সংক্রান্ত যে নথি পাওয়া গিয়েছে, সেগুলি অবৈধ নয়। সরকারিভাবে পুরসভার নিয়োগের কাজ করত অয়ন শীলের কোম্পানি। এমনই দাবি ওই ডিরেক্টরের। উল্লেখ্য, যে ওএমআর শিটগুলি পাওয়া গিয়েছে অয়ন শীলের বাড়ি থেকে, সেগুলি অব্যবহৃত নয়। ইডির টুইট করা ছবিগুলিতে দেখা যাচ্ছে, রোল নম্বরের তথ্যের জায়গা এবং উত্তর মার্ক করার জায়গা, উভয় জায়গাতেই পেনের কালি রয়েছে। নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেপ্তার শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিচিত প্রোমোটার অয়ন শীলের বাড়িতে এত গাদা গাদা ওএমআর শিট কী করছে? সেই সব প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অফিসাররা। যদিও সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, অয়ন তদন্তকারী আধিকারিকদের জিজ্ঞাসাবাদের সময় জানিয়েছে,  তার সংস্থাকে ওএমআর শিট (OMR Sheet)  তৈরির বরাত দেওয়া হয়েছে।

    অয়নের বাড়িতে কোন পরীক্ষার ওএমআর শিট ছিল? OMR Sheet

    ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে,  প্রত্যেকটি ওএমআর শিটই (OMR Sheet)  আসল। অধিকাংশই পুরসভার বিভিন্ন পদের পরীক্ষার ওএমআর শিট (OMR Sheet) । কোনওটি পিয়ন পদের জন্য। কোনওটি ক্লার্ক অথবা শ্রমিকের চাকরি পরীক্ষার জন্য। প্রত্যেকটিতেই পরীক্ষার্থীদের সই রয়েছে। তবে, সেই সব উত্তরপত্র পরীক্ষার হল থেকে হুগলির প্রোমোটার অয়নের বাড়িতে কোন পথে এল তা-ই আপাতত খতিয়ে দেখছেন ইডির গোয়েন্দারাঅয়নের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে নিয়োগ দুর্নীতির এক সম্পূর্ণ অন্য দিক ইডির সামনে উন্মোচিত হয়েছে বলে আগেই দাবি করেছিল ইডি। সোমবার নগর দায়রা আদালতে অয়নের ইডি হেফাজত চেয়ে ইডির আইনজীবী যুক্তি দিয়েছিলেন, এত দিন তাঁরা ভেবে আসছিলেন শুধু স্কুলে নিয়োগের ক্ষেত্রেই দুর্নীতি হয়েছে। তবে, এখন দেখা যাচ্ছে পুরসভার নিয়োগের ক্ষেত্রেও একই রকম দুর্নীতি হয়েছে।

    অয়নের হাত ধরে রাজ্যে কত পুরসভায় নিয়োগ হয়েছে? OMR Sheet

    ইডি সূত্রে খবর, অয়নের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে যে নথি তাঁদের হাতে এসেছে, তাতে স্পষ্ট অয়ন টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন পুরসভার চাকরি ‘বিক্রি’ করতেন।  ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় ৬০টি পুরসভার নিয়োগ নিয়ন্ত্রণ করেছেন অয়ন। পরীক্ষার্থীরা শুধু তাঁকে চাহিদা মতো টাকা ধরে দিলেই কাজ হয়ে যেত। কোনও না কোনও ভাবে বদলে যেত ওএমআর শিট। ইডির ধারণা বদলে যাওয়া ওএমআর শিট  (OMR Sheet) পৌঁছে যেত যথাস্থানে। আর আসল ওএমআর শিটগুলিই সম্ভবত চলে আসত অয়নের কাছে। ইডি সূত্রে খবর, অয়নের বাড়ি থেকে পুরসভার পিওন পদের পরীক্ষার ৫টি আসল ওএমআর শিট, সহকারী পদের দু’টি, শ্রমিক পদের ৬৯টি এবং আরও নানা পদের দু’টি উত্তরপত্র পাওয়া গিয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Agitation: উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে রাস্তায় নেমে  আন্দোলনে অধ্যাপকরা, কোথায় জানেন?

    Agitation: উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে রাস্তায় নেমে আন্দোলনে অধ্যাপকরা, কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আসানসোলের কাজি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও কর্মীদের অবস্থান বিক্ষোভ (Agitation) অব্যাহত রয়েছে। বেশ কয়েকদিন ধরেই বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে তাঁরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। এবার বিশ্ববিদ্যালয়ের গন্ডি ছাড়িয়ে শহরের রাজপথে নেমে তাঁরা আন্দোলনে (Agitation)  সামিল হলেন। সোমবার আসানসোলের রাজপথে ভলভো বাস স্ট্যান্ড থেকে বি এন আর মোড় পর্যন্ত কাজি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের সংগঠন,ঐক্য মঞ্চের সদস্যরা প্লাকার্ড, ফেস্টুন নিয়ে মিছিল করেন। উপাচার্যের পদত্যাগ লেখা পোস্টার নিয়ে রাজপথে বসে সংগঠনের পক্ষ থেকে বিক্ষোভ দেখানো হয়।  এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের ভিতরের দেওয়ালে উপাচার্য গো ব্যাক লেখা হয়েছিল। এখন প্রশাসনিক ভবনের বাইরের দেওয়ালে তা লেখা হয়েছে। উপাচার্যের চেম্বার বা তাঁর সচিবালয়ে তালাবন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরেই বিশ্ববিদ্যালয় জুড়ে চরম অচলাবস্থা চলছে।

    উপাচার্যের বিরুদ্ধে এত ক্ষোভ কেন? Agitation

    বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকাঠামোর কাজ এখনও অনেক বাকী রয়েছে।  এই অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ফান্ডের টাকায় উপাচার্য ২৯ লক্ষ টাকা খরচ করে দামী গাড়ি কিনেছেন। ৫ লক্ষ টাকা দিয়ে টিভি কেনা হয়েছে। এমনকী রেজিস্ট্রারকে শো কজ না করেই চাকরি থেকে বরখাস্ত করেছেন। এসব নিয়ে অধ্যাপকরা সরব হন। রেজিস্ট্রারকে কাজে ফিরিয়ে নেওয়ার দাবি করা হয়। কিন্তু, উপাচার্য নিজের সিদ্ধান্তে অনড় থাকেন। এরপরই অধ্যাপকরা আন্দোলন (Agitation)  শুরু করেন। শুধু তাই নয় দুদিন আগেই অধ্যাপকদের মধ্যে থেকে ২৪ জন বিভিন্ন কমিটি থেকে পদত্যাগ করেছেন। তাঁরা প্রত্যেকে ডেপুটি রেজিস্ট্রারের কাছে পদত্যাগ পত্র মেল করে পাঠিয়ে দিয়েছেন। আন্দোলনকারী অধ্যাপকদের বক্তব্য, উপাচার্য স্বৈরাচারী। তিনি নিজের মতো করে চলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশকে তিনি নষ্ট করছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকাঠামো উন্নত করার দিকে নজর না দিয়ে তিনি লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে গাড়ি, টিভি কিনতে ব্যস্ত। বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কিছু গাছ তিনি বিক্রি করেছেন। সেই টাকা দিয়ে উপাচার্য কী করেছেন তার কোনও হদিশ নেই। দুটি অ্যাকাউন্টের হদিশ পাওয়া গিয়েছে যার কোনও তথ্য ফিনান্স অফিসারের কাছে নেই। ফলে, বোঝাই যাচ্ছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ফান্ড নিয়ে প্রচুর দুর্নীতি হয়েছে। একজন উপাচার্যের পদত্যাগের জন্য এভাবে অধ্যাপক ও কর্মীদের আন্দোলনের (Agitation)  ঘটনা নিয়ে শিল্পাঞ্চল জুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ED: শান্তনু ঘনিষ্ঠ অয়ন শীলকে আদালতে তুলে ইডি-র মুখে কৃষ্ণনাম কেন?

    ED: শান্তনু ঘনিষ্ঠ অয়ন শীলকে আদালতে তুলে ইডি-র মুখে কৃষ্ণনাম কেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ সোমবার ভোরে শান্তনু ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী অয়ন শীলকে ইডি (ED) গ্রেপ্তার করেছে। ৩৭ ঘণ্টা ধরে তাঁকে জেরা করার পর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডি (ED)  তাঁকে গ্রেপ্তার করে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতে এসেছে বলে দাবি ইডি-র তদন্তকারীদের। প্রচুর নথিও উদ্ধার করেছেন তাঁরা। শুধুমাত্র শিক্ষক নিয়োগ নয়, পুরসভা ও দমকলের নিয়োগেও দুর্নীতি হয়েছে বলে দাবি তদন্তকারীদের। অভিযোগ, তাঁর কাছে থেকে হাজার হাজার প্রার্থীর তথ্য মিলেছে। চাকরি দেওয়ার নামে অয়ন ৫০ কোটি টাকা তুলেছেন বলেও অভিযোগ । সোমবারই তাঁকে পেশ করা হয়েছে আদালতে। কেন্দ্রীয় সংস্থার মতে, দুর্নীতি এত চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে যে একমাত্র শ্রীকৃষ্ণই বাঁচাতে পারে বাংলাকে। কেন্দ্রীয় এজেন্সির আরও দাবি, এখনও পর্যন্ত যা তথ্য তারা অয়নের অফিস ও বাড়ি থেকে পেয়েছে তার ভিত্তিতে এই দাবি করা হচ্ছে। কিন্তু, এর বাইরেও বিপুল পরিমাণ দুর্নীতি হয়েছে বলে মনে করছেন কেন্দ্রীয় এজেন্সির গোয়েন্দারা। শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের মোবাইলে এত তথ্য মিলেছিল, যাকে সোনার খনি বলে উল্লেখ করেছিল ইডি। এবার অয়ন শীলকে আদালতে পেশ করার পর ইডির (ED)  বক্তব্য, আমরা সোনার খনির খোঁজ পেয়েছি। এখনও পর্যন্ত যা জানা গিয়েছে, তাতে এই ব্যক্তির হাত গোটা রাজ্য জুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, এই ব্যক্তির কোম্পানি ওএমআর শিট ছাপানোর দায়িত্বে ছিল। পুরসভার পরীক্ষায় প্রভাব খাটানো হত প্রভাবশালীদের দিয়ে, এমনটাও অভিযোগ কেন্দ্রীয় সংস্থার। ইডির (ED)  তরফে বলা হয়েছে, এই দুর্নীতি এতটা নীচে নেমেছে যে মজদুর ও টাইপিস্ট পদেও দুর্নীতি হয়েছে। রাজ্যের ৬০ টির বেশি পুরসভার নিয়োগে অয়নের ক্ষমতা ছিল বলেও জানতে পেরেছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। শুধু প্রাইমারি, আপার প্রাইমারি, গ্রুপ ডি নয়, রাজ্যু জুড়ে দুর্নীতির জাল ছড়িয়ে আছে বলে অভিযোগ।

    এদিন আদালতে কী বলেছে ইডি ? ED

     এটা শুধু এসএসসি বা টেটে নিয়োগের দুর্নীতির বিষয় নয়। এই দুর্নীতি রাজ্য সরকারের সব দপ্তরে হয়েছে। এ ব্যাপারে একটি পরিসংখ্যান খোলা আদালতেই বলে ইডি। কেন্দ্রীয় এজেন্সির দাবি, রাজ্যের ৬০টি পুরসভায় অন্তত পাঁচ হাজার বেআইনি নিয়োগ হয়েছে। যার জন্য ৫০ কোটি টাকা তুলেছিলেন এই অয়ন শীল। ইডি এও বলেছে, সবটা এখানে বলা যাচ্ছে না। কেস ডায়েরিতে সবটা রয়েছে। বিচারকের উদ্দেশে ইডি-র আইনজীবী বলেন, সবটা দেখলে আপনি শিউরে উঠবেন। এদিন কেন্দ্রীয় এজেন্সির মুখে কৃষ্ণনামও শোনা গিয়েছে। আদালত কক্ষে ইডি বলে, মহাভারতে কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধের সময় যেমন অর্জুনকে পথ দেখিয়েছিলেন ভগবান কৃষ্ণ, তেমন এখানেও শ্রীকৃষ্ণ ছাড়া কেউ পথ দেখাতে পারবেন না। এর আগে শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের মোবাইল ফোনকে সোনার খনি বলেছিল ইডি। এদিন সেই প্রসঙ্গ টেনেই কেন্দ্রীয় এজেন্সি বলে, সেই ফোন থেকেই শান্তনু ও অয়নের চ্যাটের সন্ধান পান গোয়েন্দারা। কিন্তু, কেন্দ্রীয় এজেন্সির তরফে এও জানানো হয়, সেই খনি থেকে দুর্নীতি যোগের মাত্র ১০ শতাংশ খুঁজে পাওয়া গিয়েছে। ৯০ শতাংশ এখনও বাকি।

    কী বলেছেন অয়নের আইনজীবী?

    অয়নের আইনজীবী আদালতে দাবি করেন, একজন অভিযুক্তের কথায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাঁক মক্কেলকে, কোনও টাকা উদ্ধার হয়নি। আর নিয়োগ প্রক্রিয়ার জন্য পুরসভা অনুমতি দিয়েছিল, সরকার অনুমোদিত কোম্পানি দ্বারা নিয়োগ করা হত।  ইডি-র (ED)  পাল্টা প্রশ্ন, স্যর ওঁদের জিজ্ঞেস করুন ওএমআর শিটে দাগ দেওয়ার অনুমতি ছিল? সরকারের ওপর থেকে নীচ পর্যন্ত দুর্নীতিতে ভরা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Congress: কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচীর কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা নিয়ে আদালতে কী জানাল কেন্দ্র?

    Congress: কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচীর কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা নিয়ে আদালতে কী জানাল কেন্দ্র?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ পুলিশের বিরুদ্ধে অতি সক্রিয়তার অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন কংগ্রেস (Congress) নেতা তথা আইনজীবী কৌস্তভ বাগচী । সোমবার বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে সেই মামলার শুনানি ছিল। একইসঙ্গে কংগ্রেসের (Congress)  ওই নেতা কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা চেয়ে আবেদন করেছিলেন।  পুলিশের অতি সক্রিয়তা নিয়ে কলকাতার পুলিশ কমিশনারের কাছে রিপোর্টও তলব করেছিলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। তাঁর মন্তব্য ছিল, কোনও নোটিস না পাঠিয়ে নাগরিকের অধিকার ক্ষুন্ন করেছে পুলিশ। কীসের ভিত্তিতে মাঝরাতে পুলিশ কৌস্তভের বাড়ি গেল তা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে আদালতে। কেস ডায়েরিও খতিয়ে দেখার কথা বলা হয়। কলকাতার পুলিশ কমিশনারের কাছে রিপোর্ট তলব করার পাশাপাশি সিআরপিএফের কাছে বিচারক জানতে চান, তারা নিরাপত্তা দিতে পারবে কি না। আজ, সোমবার সমস্ত রিপোর্টই জমা পড়ে। সেখানেই কেন্দ্র জানিয়ে দেয়, সিআরপিএফ-নিরাপত্তা দেওয়া সম্ভব নয়।

    কংগ্রেস নেতার নিরাপত্তা নিয়ে আদালতে কী জানাল কেন্দ্র? Congress

    কংগ্রেস নেতার বাড়ি সিআরপিএফ মোতায়েন নিয়ে আদালতে শুনানি ছিল। সেখানে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়,কৌস্তভের বাড়িতে আধা সামরিক বাহিনী মোতায়েন করা সম্ভব নয়। সিআরপিএফ-এর অফিস থেকে কৌস্তভ বাগচীর বাড়ির দূরত্ব বিচার করেই এই সিদ্ধান্ত বলে আদালতে জানায় কেন্দ্র। অন্যদিকে, এদিন আদালতে রিপোর্টও পেশ করেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার। উভয়পক্ষের বক্তব্য শোনার পর বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা পরামর্শ দেন, এই সমস্যার কোনও সমাধানসূত্র বের করা সম্ভব কি না তা নিয়ে আইনজীবীরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করুন। একইসঙ্গে বিচারপতি মান্থা মন্তব্য করেন, কৌস্তভ বাগচী একজন আইনজীবী। মুখ্যমন্ত্রীও সকলের মুখ্যমন্ত্রী। এই দুর্ভাগ্যজনক বিতর্কের শেষ হওয়া দরকার।

    গত ৩ মার্চ মধ্যরাতে আইনজীবী তথা কংগ্রেস (Congress)  নেতা কৌস্তভ বাগচীর বাড়িতে কোনওরকম নোটিস ছাড়াই হানা দেয় পুলিশ। ৪ মার্চ সকালে কৌস্তভকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের ৮ ঘণ্টার মধ্যে জামিনও পেয়ে যান তিনি। এরপরই কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন কৌস্তভ। তাঁর বিরুদ্ধে চলা পুলিশি তদন্তে স্থগিতাদেশ দেয় কোর্ট। কোর্টের অনুমতি ছাড়া কোনও থানা কৌস্তভের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে পারবে না বলে নির্দেশ দেন বিচারপতি মান্থা। এর আগে রাজ্য পুলিশের তরফ থেকে কংগ্রেস নেতার বাড়িতে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Deer: বক্সার জঙ্গলে ছাড়া হল শতাধিক হরিণ! কেন জানেন?

    Deer: বক্সার জঙ্গলে ছাড়া হল শতাধিক হরিণ! কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ আলিপুরদুয়ারের বক্সার জঙ্গল পর্যটকদের অন্যতম ডেস্টিনেশন। ফি বছরই হাজার হাজার পর্যটক এই জঙ্গলে ঘুরতে আসেন। এই জঙ্গলে সাফারি করতে পর্যটকরা অত্যন্ত ভালোবাসেন। এবার জঙ্গলকে পর্যটকদের কাছে আরও আকর্ষনীয় করে তুলতেই উদ্যোগী হয়েছে বন দপ্তর। সোমবারই জঙ্গলে ১০৪টি চিতল হরিণ (Deer) ছাড়া হল। তবে, বন দপ্তরের উদ্যোগে এই জঙ্গলে হরিণ ছাড়ার উদ্যোগ নতুন কিছু নয়। গত ১৭ ই মার্চ ৮৬ টি চিতল হরিণ (Deer)  ছাড়া হয়েছিল বক্সার জঙ্গলে। বীরভূমের বল্লভপুর অভয়ারণ্য থেকে হরিণগুলি (Deer)  আনা হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে দুই দফায় ১৯০ টি হরিণ বক্সারের গভীর জঙ্গলে ছাড়ার ঘটনায় বোঝা যাচ্ছে বক্সারকে আরও পর্যটকমুখী করতে চাইছে বন দপ্তর। বক্সার টাইগার রিজার্ভের ডি এফ ডি (ওয়েস্ট) পারভিন কাশোয়ান বলেন, চারটি বড় গাড়িতে করে বল্লভপুর থেকে হরিণগুলি (Deer)  এনে এদিন বক্সার জঙ্গলে ছাড়া হয়েছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে পর্যটকদের কাছে আরও আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে বক্সার।

    বক্সার জঙ্গলে বাঘ ছাড়া নিয়ে জল্পনা কেন? Deer

    বক্সার জঙ্গলে এসে পর্যটকরা গাড়ি করে ঘুরে বেড়ান। ফলে, নানা ধরনের জন্তু, জানোয়ার দেখতে পেলেই তাঁদের কাছে বাড়তি পাওনা। জঙ্গলে হাতি, বাইসন, শুয়োর, শেয়াল, লেপার্ড, ব্ল্যাক প্যান্থার, ভল্লুকের দেখা মিললেও হরিণের (Deer)  খুব বেশি দেখা মিলত না। বলা ভালো, আগে হাতে গোনা কয়েকটি হরিণ ছিল। যা পর্যটকদের কাছে খুব বেশি ধরা দিত না। ফলে, গত তিন বছর ধরে বন দপ্তরের পক্ষ থেকে জঙ্গলে হরিণের সংখ্যা বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়। গত কয়েক বছরের মধ্যে প্রায় ৫০০টি  হরিণ এই জঙ্গলে ছাড়া হয়েছে। আর এই এক সপ্তাহের মধ্যে নতুন করে আর ১৯০টি হরিণ (Deer)  ছাড়া হল। সব মিলিয়ে প্রায় ৭০০টি হরিণ (Deer)  জঙ্গলে ছাড়া হল। জঙ্গল জুড়ে তারা এখন দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। অন্যান্য জন্তু, জানোয়ারের সঙ্গে হরিণও এবার পর্যটকদের কাছে আরও বেশি করে ধরা দেবে বলে বন দপ্তরের আধিকারিকদের আশা। তবে, এই জঙ্গলে হরিণসহ অন্যান্য জন্তু থাকলেও গত কয়েক দশক বাঘের উপস্থিতি দেখা যায়নি। যদিও দুবছর আগে বন দপ্তরের ট্যাপ ক্যামেরায় একটি বাঘের ছবি ধরা পড়েছিল। তবে, পরে আর সেই বাঘের কোনও হদিশ মেলেনি। পরবর্তীকালে আসাম থেকে বাঘ নিয়ে এসে এই জঙ্গলে বাঘ ছাড়ার ভাবনাচিন্তা অনেক আগেই শুরু হয়েছে। যারজন্য গভীর জঙ্গলে কয়েকটি বনবস্তিকে সরানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বাঘ ছাড়লেই তো হবে না, পর্যাপ্ত খাবারের ব্যবস্থা রাখতে হবে। বাঘের প্রিয় খাবার হরিণ (Deer) । জঙ্গলে পর্যাপ্ত হরিণ (Deer)  থাকলে বাঘেরাও এই জঙ্গলকে নিরাপদ জায়গা হিসেবে বেছে নিতে পারে। তবে, কী খুব শীঘ্রই বক্সার জঙ্গলে বাঘ আনা হবে? তা নিয়ে নতুন করে জল্পনা তৈরি হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Gate: রাজ্যে আরও একটি বিশ্ববাংলা গেট তৈরি হচ্ছে, কোথায় জানেন?

    Gate: রাজ্যে আরও একটি বিশ্ববাংলা গেট তৈরি হচ্ছে, কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ ইতিহাস সমৃদ্ধ শহর বারাকপুর। মঙ্গল পান্ডের হাত ধরে ইংরেজদের বিরুদ্ধে সিপাহী বিদ্রোহের প্রথম সূচনা হয়েছিল এই পূন্যভূমিতে। এই সিপাহী বিদ্রোহ ছিল প্রথম স্বাধীনতার আন্দোলন। ঐতিহাসিক শহর বারাকপুরের নিজস্ব কোনও আইকোণ নেই। গত বছরই আগস্ট মাসে বারাকপুর স্টেশনের সামনে ১৫ লক্ষ টাকা খরচ করে ১০০ ফুট উচ্চতার জাতীয় পতাকা বসানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। এবার নিউ টাউনের আদলে ব্যারাকপুর চিড়িয়ামোড়ে তৈরি করা হচ্ছে বিশ্ববাংলা গেট (Gate) । একইসঙ্গে সেখানে ঝুলন্ত রেস্টুরেন্ট তৈরি করা হবে। ইতিমধ্যেই বারাকপুর শহরে এসে জায়গা পরিদর্শন করে যান রাজ্য হেরিটেজ কমিশনের কর্তা শুভাপ্রসন্ন ভট্টাচার্য। সঙ্গে ছিলেন বিধায়ক রাজ চক্রবর্তী এবং বারাকপুর পুরসভার চেয়ারম্যান উত্তম দাস। তৃণমূল বিধায়ক রাজ চক্রবর্তী বলেন, বারাকপুর ঐতিহাসিক শহর। তাই, এই শহরের ঐতিহ্যকে তুলে ধরতেই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এদিন এলাকা পরিদর্শন করে কোথায় উন্নয়নমূলক কাজ করা হবে তা খতিয়ে দেখা হয়।

    বারাকপুরের ইতিহাস তুলে ধরতে কী উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে? Gate

    কয়েক বছর আগে বারাকপুর প্রশাসনিক বৈঠকে যোগ দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerje) উত্স্যধারা প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেছিলেন। সেই প্রকল্পের মাধ্যমে বারাকপুরের ইতিহাস ফুটিয়ে তোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই প্রকল্পের কাজ খুব শীঘ্রই শুরু হবে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। এবার তৃণমূল বিধায়কের উদ্যোগে বারাকপুর স্টেশনের সামনে থেকে ১৫ নম্বর রেল গেট পর্যন্ত ঘোষ পাড়া রোডের ধারে রেলের যে পাঁচিল রয়েছে, সেই পাঁচিলের দেওয়ালে বারাকপুরের ইতিহাস সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তোলা হবে। রং দিয়ে ছবি এঁকে ফুটিয়ে তোলা হবে। বিধায়ক কোটার টাকায় এই প্রকল্পের কাজ করা হবে।  এমনিতেই বারাকপুর স্টেশন থেকে ১৫ নম্বর রেল গেট পর্যন্ত রাস্তাটি অত্যন্ত খারাপ ছিল। সামান্য বৃষ্টি হলেই রাস্তায় জল দাঁড়িয়ে যেত। যানবাহন চলাচলে চরম সমস্যা হত। কয়েক মাস আগে প্রায় দেড় কোটি টাকা খরচ করে পূর্ত দপ্তরের পক্ষ থেকে রাস্তাটি ঢেলে সংস্কার করা হয়েছে। সঙ্গে পথচারীদের চলাচলের জন্য ফুটপাতও তৈরি করা হয়েছে। তৃণমূল বিধায়ক বলেন, এবার পাঁচিলের দেওয়ালে সুন্দর ছবি এঁকে বারাকপুরের ইতিহাস ফুটিয়ে তোলা হবে। বাইরে থেকে আসা মানুষ এই ছবি দেখেই বারাকপুরের ইতিহাস সম্পর্কে একটি সুন্দর ধারণা তৈরি হবে। পাশাপাশি বারাকপুর চিড়িয়ামোড়ে নিউ টাউনের বিশ্ববাংলার আদলে একটি বিশাল গেট(Gate)  তৈরি করা হবে। একইসঙ্গে সেখানে থাকবে ঝুলন্ত রেষ্টুরেন্ট। তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের টাকায় এই কাজ করা হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Corruption: একশো দিনের প্রকল্পে দুর্নীতি! কাজ করেও মেলেনি টাকা, শুনলেন কেন্দ্রীয় টিম, কোথায় জানেন?

    Corruption: একশো দিনের প্রকল্পে দুর্নীতি! কাজ করেও মেলেনি টাকা, শুনলেন কেন্দ্রীয় টিম, কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ দুর্নীতির (Corruption) অভিযোগ ছিল। সত্যতা যাচাই করতে রবিবার কেন্দ্রীয় টিমের প্রতিনিধিরা মুর্শিদাবাদের বেলডাঙা-২ ব্লকে কাশীপুর এলাকায় যান। সেখানে গিয়ে জবকার্ডধারীদের কাছে অভিযোগ শুনে কেন্দ্রীয় টিমের প্রতিনিধিদের চক্ষু চড়কগাছ। পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে জবকার্ডধারীদের দিয়ে দিনের পর দিন ১০০ দিনের প্রকল্পে কাজ করানো হয়েছে। কিন্তু, তাঁরা কেউ টাকা পাননি। আলাউদ্দিন শেখ নামে এক জবকার্ডধারী বলেন, পঞ্চায়েতের  পক্ষ থেকে ১০০ দিনের কাজ দেওয়া হয়। দিনের পর দিন আমরা কাজ করেছি। কিন্তু, টাকা পাইনি। পঞ্চায়েতের প্রধান, পঞ্চায়েত সদস্যের কাছে টাকার জন্য দরবার করেছি। কিন্তু, তাঁরা বলেছেন, কেন্দ্রীয় টিম এসে টাকা দেবে। তাই, এসেছি। মনোরমা মণ্ডল বলেন,  ১০০ দিনের কাজ করেছি। পঞ্চায়েত টাকা দেয়নি। কেন্দ্রীয় টিম এসেছে। তাঁদের কাছে আমরা সকলে নালিশ জানাতে এসেছি। আর এই এলাকায় কোনও যানবাহন নেই। রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে খুব সমস্যা হয়। কেন্দ্রীয় টিমের কাছে সেই অভিযোগও জানিয়েছি। কেন্দ্রীয় টিমের প্রতিনিধিরা কাশীপুর এলাকা পরিদর্শনের সময় এলাকাবাসীর বিক্ষোভের মুখে পড়েন। কারণ, ১০০ দিনের প্রকল্পের কাজ করার পরও অধিকাংশ জবকার্ডধারী টাকা পাননি। ফলে, কেন্দ্রীয় টিম টাকা দেবে ভেবে নিয়ে তাঁরা ক্ষোভ উগরে দেন। পরে, কেন্দ্রীয় টিমের সদস্যরা এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে সমস্ত কিছু নথিভুক্ত করে নেন। এলাকার তাঁরা ছবি তাঁরা তুলে রাখেন।

    কেন বেলডাঙা-২ নম্বর ব্লক পরিদর্শনে কেন্দ্রীয় টিম? Corruption

    ১০০ দিনের প্রকল্পে বড়সড় দুর্নীতি (Corruption)  হয়েছে মুর্শিদাবাদের বেলডাঙা-২ ব্লকে। আর তার তদন্ত করতেই কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল জেলায় আসেন। শনিবারই দুই সদস্যের ওই প্রতিনিধি  বেলডাঙা-২ ব্লক অফিসে যান। দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত তাঁরা ম্যারাথন বৈঠক করেন। সেখানে ১০০ দিনের প্রকল্পে যে সব দুর্নীতি (Corruption)  হয়েছে তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। এদিন কাশীপুর এলাকায় গিয়ে ১০০ দিনের প্রকল্পের সার্বিক পরিস্থিতি সরজমিনে তাঁরা খতিয়ে দেখেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Missing: বারো বছর ধরে নিখোঁজ!  খুঁজে পেলেন বাড়ির ঠিকানা, কীভাবে?

    Missing: বারো বছর ধরে নিখোঁজ! খুঁজে পেলেন বাড়ির ঠিকানা, কীভাবে?

     মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ এক বা দুবছর নয়, বারো বছরের বেশি সময় ধরে কোনও খোঁজ  ছিল না শিব নারায়ণ শর্মার। মধ্য প্রদেশের বরেথা গ্রামে তাঁর বাড়ির লোকজন ধরেই নিয়েছিলেন তিনি আর বেঁচে নেই। পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় নিখোঁজ (Missing) ডায়েরি করা হয়েছিল। কিন্তু, আর তাঁর কোনও হদিশ মেলেনি। রবিবার হ্যাম রেডিওর পক্ষ থেকে তাঁদের পরিবারের লোকজনের কাছে ফোন যায়। তখনই তাঁরা জানতে পারেন, শিব নারায়ণ শর্মা রয়েছে। আর তাঁর বেঁচে থাকার খবর পৌঁছাতেই আনন্দে মেতে ওঠেন পরিবারের লোকজন। তাঁরা শিব নারায়ণবাবুকে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য কলকাতার উদ্দেশে ইতিমধ্যেই রওনা হয়েছেন।

    কী করে নিখোঁজ হয়েছিলেন শিব নারায়ণ? Missing

    পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, শিব নারায়ণবাবু পেশায় গাড়ির চালক ছিলেন। বাড়িতে মা, বাবা, ভাই সকলেই ছিলেন। তিনি তখনও বিয়ে থা করেন নি। ভাই ছোট ছিল। ট্রাক নিয়ে তিনি ভিন রাজ্যে যেতেন।  বারো বছর আগে তিনি ট্রাক নিয়ে মহারাষ্ট্রে কাজে গিয়েছিলেন। রাস্তার ধারে একটি ধাবায় খালাসির সঙ্গে তিনি খেতে বসেন। তারপর হাত ধুতে যাচ্ছি বলে তিনি চলে যান। আর তাঁর কোনও হদিশ পাওয়া যায়নি। গাড়ির মালিক বাড়ির লোকজনকে জানান। বাড়ির লোকজন থানায় মিসিং (Missing) ডায়েরি করেন। কিন্তু, তাতেও কোনও লাভ হয়নি। শিব নারয়ণের ভাই ভগবান শর্মা বলেন, দাদা বেঁচে রয়েছে তা আমরা ভাবতে পারিনি। এখন মা, বাবা কেউ আর বেঁচে নেই। ওরা থাকলে আরও খুশি হত। এতদিন পর দাদাকে ফিরে পেয়ে খুব ভালো লাগছে।  দাদাকে আনার জন্য আমরা রওনা দিয়েছি।

    কী করে খোঁজ মিলল? Missing

    মহারাষ্ট্রে নিখোঁজ (Missing)  হওয়ার পর তিনি একাধিক রাজ্যে ঘুরে বেরিয়েছেন। পরে, ট্রেনে করে কলকাতায় আসেন। পরে, সেখান থেকে ট্রেনে করে হিঙ্গলগঞ্জ চলে যান। এই বিষয়ে হ্যাম রেডিওর ওয়েস্ট বেঙ্গল শাখার রাজ্য সম্পাদক অম্বরীশ নাগবিশ্বাস বলেন, শিব নারায়ণবাবুকে হিঙ্গলগঞ্জ বাজার থেকে উদ্ধার করা হয়। তিনি বৃষ্টির মধ্যে ভিচ্ছিলেন। বাজার কমিটির সম্পাদক সুশান্ত ঘোষ তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে যান। পরে, তাঁকে নতুন পোশাক পড়িয়ে তাঁর সম্পর্কে খোঁজ খবর করেন। পরে, তিনি আমাদের বিষয়টি জানান। আমরা দেশের বিভিন্ন রাজ্যে তাঁর ছবি পাঠিয়ে দিই। পরে, মধ্য প্রদেশ থেকে তাঁর গ্রামের ঠিকানা পাই। পরিবারের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ করি। আর শিব নারায়ণবাবুর সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছি, ১২ বছর আগে মানসিক অসুস্থতার কারণে তিনি হারিয়ে গিয়েছিলেন। গত ১২ বছরে তিনি বিহার, উত্তর প্রদেশ, আসামসহ একাধিক রাজ্য ঘুরে বেরিয়েছেন। এতদিন পর ফিরে পেলেন তাঁর বাড়ির ঠিকানা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Scam: সরকারি ধান বিক্রিতে যুব তৃণমূল নেতার এমন দুর্নীতি! কোথায় জানেন?

    Scam: সরকারি ধান বিক্রিতে যুব তৃণমূল নেতার এমন দুর্নীতি! কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ পুকুর খনন না করেই ১০০ দিনের প্রকল্পে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে উত্তর দিনাজপুরের তৃণমূলের এক মন্ত্রীর স্ত্রীর বিরুদ্ধে। যদিও ইতিমধ্যেই আদালত টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। এবার সরকারি সহায়ক মূল্যে ধান বিক্রিতে দুর্নীতিতে (Scam) নাম জড়াল যুব তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতির আজিম রহমান খানের বিরুদ্ধে। তিনি গোঘাটের শ্যামবাজার অঞ্চলের যুব তৃণমূলের নেতা।  গোঘাট- ২ পঞ্চায়েত সমিতির খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ সাহাবুদ্দিন খানের তিনি ঘনিষ্ঠ বলে এলাকায়  পরিচিত। সেই কারণে এলাকায় তাঁর দাপটও রয়েছে। অন্যের অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে ধান বিক্রির অভিযোগ। লক্ষ লক্ষ টাকা কারচুপির (Scam)  অভিযোগ রয়েছে। প্রায় একাধিক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সেই টাকা অ্যাকাউন্টে ঢোকার পরেই টাকা তুলে দিতে চাপ দিচ্ছে বলে ওই যুব তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী। শুধুমাত্র শাসক দলের প্রভাব খাটিয়েই তিনি এধরনের দুর্নীতি করেছেন বলে অভিযোগ। প্রশ্ন হল, এলাকার  যাদের  সামান্য জমি  অথবা জমিই নেই, তাঁদের  বিঘার পর বিঘা জমি দেখিয়ে কিভাবে হাজার হাজার টাকা  অ্যাকাউন্টে ঢোকানো হল ? ইতিমধ্যেই অনেকেই প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন। আরামবাগের মহকুমা শাসক সুভাশিনী -ই বলেন, ঘটনার তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

    ঠিক কী অভিযোগ রয়েছে যুব তৃণমূলের নেতার বিরুদ্ধে? Scam

    সাধারন মানুষের কথা ভেবে রাজ্য সরকার সি পি সি – র মাধ্যমে সরকারি সহায়ক মূল্যে প্রতিটি ব্লক থেকে ধান কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যুব তৃণমূলের দাপুটে নেতা হওয়ার সুবাদে এলাকার বহু সাধারণ মানুষের আধার কার্ড, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট জমা নিয়েছে ওই নেতা। আর সেই অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে লক্ষ লক্ষ টাকা। অ্যাকাউন্টে টাকা ঢোকার পর ব্যাঙ্ক থেকে টাকা তুলে তৃণমূল নেতার কাছে টাকা পৌঁছে দিতে হয়েছে। এরকমভাবে গোঘাট এলাকায় ওই যুব তৃণমূল নেতা লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় বাসিন্দা সুলতান খাঁ বলেন, আমার দুকাঠা জমি রয়েছে। আমি সরকারের কাছে কোনও ধান বিক্রি করিনি। ওই তৃণমূল নেতা আমার কাছে থেকে আধার কার্ড, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নিয়ে যায়। দুদফায় আমার অ্যাকাউন্টে ৯০ হাজার টাকা ঢুকেছে। সব টাকা যুব তৃণমূল নেতাকে আমি দিয়ে দিয়েছি। অন্য এক বাসিন্দা বলেন, আমি কোনও ধান বিক্রি করিনি। আমার অ্যাকাউন্টে ৬০ হাজার টাকা ঢুকেছে। সব টাকা তৃণমূল নেতাকে দিয়ে দিয়েছি। যদিও বিরোধী দলের চক্রান্তে তাকে ফাঁসানো হচ্ছে বলে দাবি অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা আজিম রহমান খানের। তিনি বলেন, আমি কোনও দুর্নীতি (Scam)  করিনি। আমি সামান্য আলু ব্যবসায়ী। কাউকে আলু বীজ দিয়েছি। সে আমাকে টাকা দিয়েছে। সেটা নিয়ে বিরোধীরা আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে।

    বিজেপির রাজ্য সম্পাদক বিমান ঘোষ বলেন, গোটা রাজ্য জুড়েই দুর্নীতি (Scam) চলছে। এই দলে সবাই চোর। তাই, তৃণমূলের দুর্নীতি (Scam)  নিয়ে নতুন করে আমার কিছু বলার নেই। সিপিএম নেতা বাবলু রায় বলেন, শুধু ধান নয়, ১০০ দিনের কাজেও তৃণমূল নেতারা লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়েছে। সব জায়গায় দুর্নীতি (Scam)  করছে। আর এসব দুর্নীতির (Scam)  টাকা যাচ্ছে কালীঘাটে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share