Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Calcutta High Court: শিক্ষা বিষয়ক সমস্ত মামলা সরল বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চ থেকে

    Calcutta High Court: শিক্ষা বিষয়ক সমস্ত মামলা সরল বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চ থেকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গেল বেঞ্চ থেকে সরল শিক্ষা বিষয়ক সমস্ত মামলা। উল্লেখ্য কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) শিক্ষক নিয়োগের দুর্নীতি মামলায় একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মামলার রায় দিয়েছিলেন তিনি। এখন থেকে তাঁর মামলাগুলি শুনবেন বিচারপতি রাজ শেখর মান্থা। 

    রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর কন্যা অঙ্কিতা অধিকারীর চাকরি যে দুর্নীতির মাধ্যমে পেয়ছিলেন সেই বিষয়ে উল্লেখ্য যোগ্য রায় প্রদান করে চাকরি থেকে বরখাস্ত করেছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। একই ভাবে প্যানেলে নাম থাকা সত্ত্বেও যাঁরা চাকরি পাননি, শিক্ষক নিয়োগের দুর্নীতির বিরুদ্ধে যাঁরা রাস্তায় আন্দোলন করছিলেন তাঁদের কাছে অত্যন্ত আশার আশ্রয় ছিলেন এই বিচারপতি। এবার তাঁর এজলাস থেকে সকল শিক্ষা বিষয়ক মামলা সরল বলে জানা গিয়েছে।

    হাইকোর্ট সূত্রে খবর (Calcutta High Court)

    কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court) সূত্রে জানা গিয়েছে, শিক্ষা বিষয়ক মামলা সরিয়ে এবার থেকে শ্রম এবং শিল্প সংক্রান্ত মামলার দায়িত্ব দেওয়া হল তাঁকে। সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টের আরেক বিচারপতি সৌমেন সেনের সঙ্গে তাঁর সংঘাতের কথা প্রকাশ্যে আসে। এই বিষয়ে মামলা গড়ায় সুপ্রিমকোর্টে। এই প্রসঙ্গে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এই বিষয়ে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করেন। মাস্টার অফ রস্টার কার্যত তিনিই ঘোষণা করেন। তিনি এই প্রসঙ্গে আরও বলেন, ‘আইনের মন্দিরে এমন ঘটনা আশা করা যায় না।’ তবে শিক্ষক দুর্নীতি মামলায় এই সিদ্ধান্ত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

    দুর্নীতির বিষয়ে কঠোর ছিলেন বিচারপতি

    হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় একাধিক সময়ে সিবিআই, ইডি-কে নিয়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করেছিলেন। তদন্তকারী অফিসারদের সময় বেঁধে দেওয়া, অভিযুক্তদের কোর্টে হাজিরা দেওয়া, চাকরি বাতিল করার মতো নানান ঘটনায় অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ পর্যবেক্ষণ এবং মন্তব্য করেছেন তিনি। এমনকী আন্দোলনরত চাকরি প্রার্থীদের নানান আইনি পরামর্শ দিয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, গত ৫ জানুয়ারি সন্দেশখালিতে শাহজাহানের বাড়তিতে তল্লাশি করতে গিয়ে ইডি আক্রান্ত হলে রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা নিয়ে মন্তব্য করেন। তদন্তকারী আধিকারিকদের হাসপাতালে দেখতেও পর্যন্ত যান তিনি।

    অভিষেকের সম্পত্তির হিসাব চেয়েছিলেন

    সংবাদ মাধ্যমে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পত্তির হিসাব সামজিক মাধ্যমে প্রকাশ করার কথাও বলেন বিচারপতি (Calcutta High Court) গঙ্গোপাধ্যায়। তৃণমূল নেতার আয়ের উৎস কী তাও জানতে চেয়ছেন তিনি। সবটা মিলিয়ে দুর্নীতির বিরুদ্ধে অত্যন্ত কঠোর মনোভাব নিয়ে একা অনন্য ব্যক্তিত্বের দৃষ্টান্ত রেখেছিলেন বলে করছেন অনেকেই। আর এর ফলেও তৃণমূল তাঁকে কটাক্ষ করতে বিন্দু মাত্র দেরি করেনি। তৃণমূলের মুখপাত্র কুনাল ঘোষ একাধিক সময়ে ‘দলাল’ বলে মন্তব্য করেছিলেন তাঁকে। আবার কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরি তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী ঘোষণা করে ছিলেন। উল্লেখ্য সম্প্রতি মেডিক্যাল ভর্তির একটি মামলায় ভুয়ো কাস্ট সার্টিফিকেট দেওয়ার বিষয়ে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন। এরপর মামলার উপর স্থগিতাদেশ দেন বিচারপতি সৌমেন সেনের বেঞ্চ। আর এরপর থেকেই নজির বিহীন সংঘাত দেখা দেয়।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Cooch Behar: মুখ্যমন্ত্রী যাওয়ার পরই তৃণমূলে ধস, নিশীথের নেতৃত্বে বিজেপিতে যোগদানের ঢল

    Cooch Behar: মুখ্যমন্ত্রী যাওয়ার পরই তৃণমূলে ধস, নিশীথের নেতৃত্বে বিজেপিতে যোগদানের ঢল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোচবিহারে (Cooch Behar) মুখ্যমন্ত্রী জেলা থেকে প্রস্থান করতেই যেন ধস নামলো তৃণমূলে। লোকসভা ভোটের আগেই বিজেপিকে আরও শক্ত করতে দলে দলে তৃণমূল কর্মীরা যোগদান করলেন বিজেপিতে। এই যোগদান সভায় বিশেষ নেতৃত্ব দেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক।

    বিজেপির পার্টি অফিসে যোগদান (Cooch Behar)

    তৃণমূল সুপ্রিমো তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোচবিহারের (Cooch Behar) রাসমেলা ময়দানে একাধিক প্রকল্পের কথা যখন ঘোষণা করে গেলেন। সেই সঙ্গে ২১০ টি রাজবংশী বিদ্যালয়ের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করে গেলেন তিনি। আর ঠিক তার পরেই ২৪ ঘণ্টা ঘুরতে না ঘুরতেই তাঁর সভাস্থল থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে বিজেপির পার্টি অফিস থেকে দেশের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের হাত ধরে কোচবিহার পৌরসভার ৫, ১৫, ১৬, ১৯, ২০ নম্বর ওয়ার্ড থেকে একাধিক তৃণমূলকর্মী বিজেপিতে যোগদান করলেন। একই সঙ্গে কোচবিহার শহর লাগোয়া মধুপুরগ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সহ পঞ্চায়েত সদস্য এবং মধুপুর অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ তৃণমূল নেতৃত্বের একাধিক কর্মী-সমর্থকরা এদিন বিজেপিতে যোগদান করতে দেখা গেল।

    কোন কোন তৃণমূল নেতা যোগ দিলেন(Cooch Behar)?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আজ মঙ্গলবার কোচবিহারের (Cooch Behar) মধুপুর অঞ্চলের উপপ্রধান তথা অঞ্চলের তৃণমূলের চেয়ারম্যান যোগেশচন্দ্র বর্মন তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করলেন। সেই সঙ্গে গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য দীপ্তি রায়, সাধারণ সম্পাদক দীপক রায়, মধুপুর অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট জাহাঙ্গীর আলম-এর সাথে আরও একাধিক তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা বিজেপিতে যোগদান করেন। তৃণমূল নেতাদের মধ্যে এক নেতা বলেন, “১৯৯৮ সাল থেকে আমি তৃণমূল করি। কোনও রাগের জায়গা থেকে দল ছাড়ছি না। কাউর প্রতি কোনও দোষারোপ করব না। বিজেপি একটি সর্ব ভারতীয় দল। ভারতে গত এক দশক ধরে শাসন করছে এই দল। তাঁদের উন্নয়নের কাজে আমি খুশি। আঞ্চলিক দলের হয়ে আর কাজ করব না। এবার জাতীয় দলের সৈনিক হয়ে কাজ করবো। আজ আমরা মোট ১৩ জন পঞ্চায়েত সদস্য যোগদান করলাম। আগামী দিনে আরও অনেক মানুষ যোগদান করবে।”

    কী বলেন নিশীথ প্রামাণিক?

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক কোচবিহারে (Cooch Behar) এদিন বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী একগুচ্ছ ভাওতাবাজি দিয়ে গিয়েছেন। মানুষ এই ভাওতার প্রকল্পগুলিকে গ্রহণ করেনি। সাধারণ মানুষ বিজেপির সঙ্গে আছেন এবং থাকবেন। কোচবিহার থাকে আলিপুরদুয়ার পর্যন্ত সকল স্থানে মানুষ তৃণমূলকে আগামী লোকসভার ভোটে উচিত জবাব দেবেন। একই ভাবে ২০২৬ সালের বিধানসভার নির্বাচনে তৃণমূল দলটা পুরোপুরি উঠে যাবে। এই সরকারের দুর্নীতি এবং অগণতান্ত্রিক আচরণ মানুষের হিতের বিপরীত।”  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: নরেন্দ্রপুরের স্কুলে হামলার ঘটনায় ক্ষুব্ধ হাইকোর্ট, তীব্র ভর্ৎসনা পুলিশকে

    South 24 Parganas: নরেন্দ্রপুরের স্কুলে হামলার ঘটনায় ক্ষুব্ধ হাইকোর্ট, তীব্র ভর্ৎসনা পুলিশকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) নরেন্দ্রপুর স্কুলে ঢুকে হামলার ঘটনা এবং স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির বিরুদ্ধে তদন্ত করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দ্রুত গ্রেফতার করার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। কিন্তু ঘটনা ঘটে যাওয়ার দুই দিন কেটে গেলেও এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু এই নিয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে তীব্র ভর্ৎসনা করলেন আজ এবং সেই সঙ্গে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিলেন।

    কী বললেন বিচারপতি (South 24 Parganas)?

    সূত্রে জানা গিয়েছে, বিচারপতি বসুর নির্দেশের ২০ ঘণ্টা পার হেলেও এখনও পর্যন্ত কাউকে পুলিশ গ্রেফতার করা সম্ভব হয় নি বলে জানায় পুলিশ। আর তাই আজ দুপুর ২টোর সময় বারুইপুর (South 24 Parganas) পুলিশ জেলা সুপারের রিপোর্ট তলব করল আদালত। তবে ভার্চুয়ালি হাজির থাকবেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। একই ভাবে সেই সঙ্গে হাজির থাকতে হবে নরেন্দ্রপুর থানার আইসিকে।

    পঞ্চায়েত সদস্যকে গ্রেফতারের নির্দেশ ছিল

    নরেন্দ্রপুর (South 24 Parganas) স্কুলের মধ্যে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর, মারধরের ঘটনায় তৃণমূলের অভিযুক্ত পঞ্চায়েত সদস্য এবং রাজনৈতিক ব্যক্তিদের দ্রুত গ্রেফতার করতে হবে। পালটা রাজ্য পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল কোর্টের নির্দেশের পর ৩-৪ জায়গায় তল্লাশি অভিযান করা হয়েছিল। কিন্তু পঞ্চায়েত সদস্যকে বাড়িতে কেন পাওয়া গেল না সেই প্রশ্নও করেন বিচারপতি। একই সঙ্গে ঘটনায় ১২০বি ধারায় মামলা করার নির্দেশ দেয় কোর্ট। যত বড় নেতাই হোক না কেন আগে তাকে গ্রেফতার করতে হবে, ঠিক এইভাবেই নির্দেশ দিয়ে ছিলেন বিচারপতি। অথচ কার্যকর করেনি পুলিশ।

    স্কুল শিক্ষা দফতরের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ কোর্ট

    জানা গিয়েছে, স্কুল শিক্ষা দফতরের দুই সহ-অধিকর্তা তপন কুমার সিনহা এবং অনিন্দ্য কুমার চট্টোপাধ্যায়ের ভূমিকায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন হাইকোর্টের বিচারপতি বসু। বিচারপতি বলেন, “স্কুলের (South 24 Parganas) দুর্নীতির অভিযোগের সত্যতা খতিয়ে দেখতে আপনারা গিয়েছিলেন? গিয়ে কী করলেন? জেলা স্কুলে পরিদর্শকের দুটি রিপোর্টে স্পষ্ট করে আর্থিক দুর্নীতির কথা জানিয়েছে। সেই রিপোর্টকে কীভাবে ছুড়ে ফেলে দিলেন আপনারা? ডিআই দুটো রিপোর্টে আর্থিক নয়ছয়ের কথা বলেছেন। স্কুলের অরাজগতা চলছে শিক্ষকরাই জানিয়েছেন। কিন্তু আপনাদের এই রিপোর্টে কিছুই নেই। তদন্ত নিরপেক্ষা না করে প্রধান শিক্ষককে বাঁচানোর চেষ্টা করছেন। কেন এফআইআর করা হবে না আপনাদের বিরুদ্ধে?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Bardhaman: যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামির সংশোধনাগারে মৃত্যু, কমিশনের রিপোর্ট তলব

    Bardhaman: যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামির সংশোধনাগারে মৃত্যু, কমিশনের রিপোর্ট তলব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামির বন্দি অবস্থায় মৃত্যু। এই মৃত্যু ঘটেছে বর্ধমান (Bardhaman) সংশোধনাগারে। ঘটনায় প্রশ্ন উঠেছে সংশোধনাগারে প্রশাসনের বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যে কীভাবে ঘটল মৃত্যুর ঘটনা তা জানতে চেয়ে রিপোর্ট তলব করল জাতীয় এবং রাজ্য মানবাধিকার কমিশন। এই ঘটনায় জেলায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

    মৃত বন্দির পরিচয় (Bardhaman)?

    সংশোধনাগার সূত্রে জানা গিয়েছে, যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত বন্দির নাম হল হাতেম আলি মণ্ডল। তার বাড়ি হল পূর্ব বর্ধমানের (Bardhaman) মন্তেশ্বর থানার ভাগড়া গ্রামে। গতকাল সোমবার আকস্মিক মৃত্যুর ঘটনায় বিচার বিভাগে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন সিজেএম। এছাড়াও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০০৫ সালে কালনার অতিরিক্ত জেলা এবং দায়রা বিচারক এই ব্যক্তিকে দোষী সাব্যস্ত করে। শাস্তি হিসেবে তার আজীবন কারাবাস হয়। সেই সঙ্গে ৩০ হাজার টাকার জরিমানার নির্দেশ দেওয়া হয়। গত সেপ্টেম্বরের ২১ তারিখ থেকে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তিনি। উল্লেখ্য এই আসামী শ্বাসকষ্ট জনিত রোগে ভুগছিলেন বলে জানা গিয়েছে।

    মামলা রুজু করা হয়েছে বর্ধমান থানায়

    সংশোধনাগারের পক্ষ থেকে গত রবিবার রাতে প্রথমে ওই বন্দিকে বর্ধমান (Bardhaman) মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু ভর্তি না করে বহির্বিভাগে  চিকিৎসা করে ছেড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু গতকাল সোমবার ফের অসুস্থ হলে হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে মৃত বলে জানায় চিকিৎসকেরা। এরপর ইতিমধ্যে বন্দি মৃত্যুকে ঘিরে একটি মামলা রুজু করা হয়েছে বর্ধমান থানায়। ঘটনায় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের সুপার তাপস ঘোষ বলেন, “রবিবার রাত ১ টায় ওই বন্দিকে হাসপাতালে আনা হয়েছিল। তখন ভর্তির মতো অবস্থায় ছিল না সে। পরে যখন আবার হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় সেই সময় সে মৃত ছিল বলে জানা যায়।” এখন ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর কারণ ঠিক করে জানা যাবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। ঘটনায় ইতিমধ্যে রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় মানবাধিকার কমিশন রিপোর্ট তলব করে মৃত্যুর কারণ জানতে চেয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: “বাড়িতে ঢুকলে বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মুকে চেপে ধরবেন”, উস্কানি দিলেন তৃণমূল নেত্রী অর্পিতা

    Malda: “বাড়িতে ঢুকলে বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মুকে চেপে ধরবেন”, উস্কানি দিলেন তৃণমূল নেত্রী অর্পিতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের বালুরঘাটের প্রাক্তন সাংসদ অর্পিতা ঘোষের ফের বিজেপি সাংসদকে উস্কানি মূলক মন্তব্য করলেন। সোমবার মালদার (Malda) টাউনহলে এক প্রকাশ্য সভামঞ্চ থেকে তিনি বলেন, “বাড়িতে ঢুকলে বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মুকে চেপে ধরে রাখবেন।” পালটা মালদা উত্তরের বিজেপি সাংসদ খগেনবাবু বলেন, “তৃণমূল কেন বাংলায় এতো চুরি করেছে সেই কৈফিয়ৎ মানুষ চাইবে।” এই তৃণমূল নেত্রীর হুমকির বক্তব্যে ব্যাপক শোরগোল পড়েছে জেলায়।

    ঠিক কী বলেন তৃণমূল প্রাক্তন সংসদ (Malda)

    তৃণমূল প্রাক্তন সংসদ অর্পিতা ঘোষ মালদার (Malda) টাউন হলে এদিন বলেন, “একদম বিজেপি সাংসদদের চেপে ধরবেন। বাংলার প্রতিটি মেয়েদের কাছে মায়েদের কাছে এই বার্তা তুলে ধরবেন। ১৫ লক্ষ টাকা না দিলে, বাড়িতে ঢুকলে বেরোতে দেবেন না। অনেক হয়েছে, বড় বড় কথা বলেছেন। কোন সুবিধা মেয়েদের দিয়েছেন? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো আজ পর্যন্ত এই ভারতবর্ষে মেয়েদের এতখানি সম্মান কেউ দেননি। এই বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। দেশের অর্থনীতি কোথায় গিয়ে পৌঁছেছে। আমরা যাতে বুঝতে না পাড়ি তাই ধর্মের সুড়সুড়ি দিয়ে যাচ্ছে। মানুষকে ধর্মের আফিম খাইয়ে গন্ডগোল লাগিয়ে কেবল সুবিধা নিতে চাইছে। বাংলার মেয়েরাই বিজেপিকে আটকাবে, বোঝাবে কত ধানে কত চাল।”

    আর কী বললেন?

    তৃণমূল নেত্রী অর্পিতা মেয়েদের অধিকার প্রসঙ্গে মালদায় (Malda) আরও বলেন, “সংসদের নতুন বাড়ি হল, সাধু-সন্তরা যজ্ঞ করলেন। অপর দিকে দলিত বলে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে ডাকা হল না। রাম মন্দিরের উদ্বোধন করলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী। একটা গ্যাস দিয়ে ছিলেন ঢাক পিটিয়ে কিন্তু এখন এতো দাম যে কিনতেই পারছি না। গ্যাসের দাম এখন হাজার টাকা।”

    বিজপির বক্তব্য

    তৃণমূল নেত্রীর এই উস্কানি মূলক মন্তব্যের বিরুদ্ধে উত্তর মালদার (Malda) বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু তৃণমূলের সমালোচনা করে বলেন, “বাংলায় তৃণমূল নেতারা এতো চুরি করেছে যে মানুষ এবার হিসাব চাইবে। কেন্দ্রের টাকা লুট করেছে তৃণমূলের নেতারা। মানুষ হিসেব চাইবে তাই আগে থেকে বুঝতে পেরে অন্যের উপর দায় চাপানো হয়েছে। আসলে তৃণমূলের নেতারাই তাঁদের উপর বিরক্ত হয়ে আছেন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Kolkata Metro: আরও আধুনিক মেট্রো! কলকাতায় চালকবিহীন স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতির ট্রায়াল রান সফল

    Kolkata Metro: আরও আধুনিক মেট্রো! কলকাতায় চালকবিহীন স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতির ট্রায়াল রান সফল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লির পর এবার কলকাতাতেও চলবে  চালকবিহীন মেট্রো (Kolkata Metro)। আগামী দিনে সেক্টর ফাইভ থেকে শিয়ালদহ পর্যন্ত ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোয় চলবে পাঁচটি রেক। এই রেক চলবে চালকবিহীন অবস্থায়। তবে আপাতত মোটরম্যান থাকবেন কেবিনে৷ গোটা বিষয়টি তিনি পর্যবেক্ষণ করবেন ৷ যদি প্রয়োজন হয় তাহলে তিনি হস্তক্ষেপ করবেন। ইতিমধ্যেই অটোমেটিক ট্রেন অপারেশন (ATO) বা স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে চালকবিহীন মেট্রোর ট্রায়াল রান সম্পন্ন হয়েছে। ট্রায়াল রান সাফল্যের সঙ্গে সম্পন্ন হওয়ার জন্য আধিকারিকদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মেট্রোর জেনারেল ম্যানেজার পি উদয় কুমার রেড্ডি।

    চালকবিহীন মেট্রোর ট্রায়াল রান

    মেট্রোর (Kolkata Metro) তরফে দেওয়া এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সল্টলেক সেক্টর ফাইভ থেকে শিয়ালদা পর্যন্ত ২ রাউন্ড ট্রায়াল রান চালান হয়। সর্বোচ্চ ৭৪ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা বেগে চলে ট্রায়াল রান। ইস্ট-ওয়েস্ট করিডোরে রয়েছে কমিউনিকেশন বেসড ট্রেন কন্ট্রোল সিস্টেম (CBCTC)। এতে রয়েছে অটোমেটিক ট্রেন প্রোটেকশন, অটোমেটিক ট্রেন অপারেশন ও অটোমেটিক ট্রেন সুপারভিশনের সুবিধা। এই ট্রায়াল রানের সময় স্বয়ংক্রিয় ব্রেক, মোটোরিং এবং নির্দিষ্ট গতির মধ্যে ট্রেন থামানোর মতো বিষয়গুলি পরীক্ষা করে দেখা হয়। এছাড়াও ট্রেনের সঠিক পাশের দরজা কুলছে কি না, বা প্ল্যাটফর্ম স্ক্রিন ডোর ঠিকভাবে কাজ করছে কি না, সেই বিষয়গুলিও এদিন পরীক্ষা করে দেখা হয়।

    আরও পড়ুন: মঙ্গলবার থেকে বৃষ্টি! বাড়বে তাপমাত্রা, কেমন থাকবে আবহাওয়া?

    আধুনিক রেক

    শহর কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার মানুষকে আরও ভালো পরিষেবা দিতে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পদক্ষেপ করছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ। তাই শীঘ্র এই পরিষেবা চালু করতে চাইছে রেল। সেই অনুযায়ী বারবার পরীক্ষা চলছে নয়া প্রযুক্তির পাঁচটি রেক নিয়ে ৷ চালকবিহীন রেক (Kolkata Metro) তৈরি করছে বেঙ্গালুরু আর্থ মুভার লিমিটেড। একটি রেকে থাকবে ৬টি বগি। রাজ্যের সংস্কৃতির কথা মাথায় রেখে রেকের নকশা করা হয়েছে। এক বগি থেকে অন্য বগিতে যাওয়ার রাস্তা আরও চওড়া করেছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ। সম্পূর্ণ শীতাতপ এই মেট্রোয় সাশ্রয় হবে বিদ্যুৎখরচও। যাত্রীদের সুবিধার জন্য প্রতি বগিতে থাকবে ‘টকিং পয়েন্ট’৷ কোনও সমস্যা হলে সরাসরি স্টেশন ম্যানেজারের সঙ্গে কথা বলা যাবে। প্রতি রেকের দাম ৬৫ কোটি টাকা। বিশেষ সফটওয়্যারের সাহায্যে চালক ছাড়াই ছুটবে মেট্রো। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: মঙ্গলবার থেকে বৃষ্টি! বাড়বে তাপমাত্রা, কেমন থাকবে আবহাওয়া?

    Weather Update: মঙ্গলবার থেকে বৃষ্টি! বাড়বে তাপমাত্রা, কেমন থাকবে আবহাওয়া?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কনকনে ঠান্ডা না থকলেও শীতের আমেজ রয়েছে শহরে। জেলাতেও মাঘের মাঝামাঝি ভালই ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। তবে শীতসুখের মধ্যেই ফের  বৃষ্টির সম্ভাবনা দক্ষিণবঙ্গে। মঙ্গলবার থেকে বদলাতে পারে আবহাওয়া। তবে তার আগে সোমবার সকালে রোদ ঝলমলে আকাশের সঙ্গেই ছিল উত্তুরে হাওয়া। সোমবার সকালে তিলোত্তমায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৩.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের চেয়ে এক ডিগ্রি কম। 

    শহরে শীতের হাওয়া

    আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, সোমবার কলকাতায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ২৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সোমবার সকালের দিকে কুয়াশা থাকলেও বেলা গড়াতেই আকাশ পরিষ্কার হয়ে যায়। রবিবার শহরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ২৯ জানুয়ারি কলকাতার বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার সর্বোচ্চ পরিমাণ ৯০ শতাংশের আশেপাশেই থাকতে পারে। কলকাতার পাশাপাশি এদিন উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর হাওড়া, হুগলি, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান, পূর্ব বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়ার আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে। কোনও জেলায় বৃষ্টি হবে না। এদিকে কনকনে ঠান্ডা না থকলেও শীতের আমেজ বজায় থাকবে জেলায় জেলায়। 

    বৃষ্টির পূর্বাভাস

    আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, মঙ্গলবার দক্ষিণবঙ্গের মোট পাঁচটি জেলায় বৃষ্টি হতে পারে। ভিজতে পারে পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম এবং নদিয়া। তার পর বুধবার থেকে দক্ষিণের বাকি জেলাতেও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ভিজতে পারে কলকাতাও। তবে ভারী বৃষ্টি হবে না কোথাও। হালকা বৃষ্টির সঙ্গে কুয়াশায় ঢাকা থাকবে বিভিন্ন এলাকা। সোমবার বিকেলের পর আবহাওয়ার পরিবর্তন হবে। উত্তর-পশ্চিমের হাওয়ার বদলে পুবালি হাওয়ার প্রভাব বাড়বে। মঙ্গলবার থেকে শুক্রবারের মধ্যে তিন থেকে চার ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বাড়তে পারে। কলকাতা শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছে যেতে পারে। 

    আরও পড়ুুন: মাঝ সমুদ্রে থাকা জাহাজে মিসাইল হানা, আগুন নেভাল ভারতীয় রণতরী

    উত্তরের হাওয়া

    সোমবার উত্তরের সব জেলায় মাঝারি কুয়াশা থাকবে ভোর এবং সকালের দিকে। এছাড়া উত্তরের সব জেলা – দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদার আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে। কোথাও কোনও বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। আপাতত দার্জিলিঙে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা। দার্জিলিং ও কালিম্পঙের পার্বত্য এলাকায় হালকা বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। মঙ্গলবার থেকে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে বাড়তে পারে বৃষ্টিপাত। উত্তরবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলাতে সকালের দিকে কুয়াশার সম্ভাবনা। ঘন কুয়াশার সতর্কতা কিছু এলাকায়। মালদা ও উত্তর -দক্ষিণ দিনাজপুরে অপেক্ষাকৃত বেশি কুয়াশা রয়েছে। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: “যাঁদের খাবার জুটতো না, তাঁদের আজ তিনতলা বাড়ি”, বিস্ফোরক তৃণমূল বিধায়ক

    Murshidabad: “যাঁদের খাবার জুটতো না, তাঁদের আজ তিনতলা বাড়ি”, বিস্ফোরক তৃণমূল বিধায়ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “অনেক কাউন্সিলর আছেন, যাঁরা দোতলা, তিনতলা বাড়ি করেছেন। অথচ তাঁদের বাড়িতে একটা সময় খাবার জুটতো না। তার মানেই তাঁরা দুনম্বরি করেছেন। আমি তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করব। আমি তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।” আজ রবিবার মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) রঘুনাথগঞ্জে তৃণমূল বিধায়ক জাকির হোসেন নিজের কার্যালয় থেকে এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ করেন। জঙ্গিপুরের তৃণমূল বিধায়কের মুখেই শোনা গেলে তৃণমূল কাউন্সিলরদের দুর্নীতির কথা। ফের চরম অস্বস্তির মধ্যে তৃণমূল। 

    তৃণমূল মানুষকে শোষণ করে (Murshidabad)

    রঘুনাথগঞ্জে (Murshidabad) জাকির হোসেন নিজের কার্যালয়ে দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে একটি বৈঠক করেন। তিনি দলের বিরুদ্ধেই ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “আমি না থাকলে দলের অনেক মেম্বার হেরে যেতেন। এই সব তৃণমূল নেতাদের ৫০০, ১ হাজার ভোট পাওয়ার ক্ষমতা ছিল না। কারণ তাঁরা মানুষকে কেবল শোষণ করেন।”

    রাজ্যে তৃণমূল সরকারের কয়লা, বালি, গরু, মাটি, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি, সমবায়ের টাকা নয়ছয়, পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতি, মিড-ডে-মিল, আম্ফান, যশ, চাল, ত্রিপল, আবাস, রেশন দুর্নীতি নিয়ে বিরোধীরা বারবার সমালোচনা করেছে। ইতিমধ্যে বেশ কিছু দুর্নীতির তদন্ত সিবিআই, ইডি করছে। রাজ্যের শাসক দলের একাধিক মন্ত্রী, বিধায়ক, নেতা ইতিমধ্যেই জেলে বন্দি রয়েছেন।

    বিজপির বক্তব্য

    জঙ্গিপুরের (Murshidabad) এই তৃণমূল নেতার বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে জেলার বিজেপি সহ-সভাপতি জয়দেব দাস বলেন, “বিধায়ক জাকির হোসেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের উপস্থিতিতে এই কথা বলেছেন। পুরসভা থেকে পঞ্চায়েত সর্বত্র তৃণমূল দুর্নীতিগ্রস্থ নেতাদেরকে কেবলমাত্র টিকিট দেয়। আর এরপর তাঁরাই সাধারণ মানুষের অধিকার লুট করে শোষণ করেন। কিছু দিন আগে তিনি নিজেই পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে ৮ কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ করেছিলেন। আজ তিনি তাঁর সঙ্গে একমঞ্চে মিটিং করছেন। তিনি একদিকে দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলছেন, আবার পরক্ষণেই দুর্নীতিগ্রস্থ তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে কথা ঘোরাফেরা করছেন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah: বিহারে রাজনৈতিক সংকট, বাংলা সফর বাতিল করলেন অমিত শাহ

    Amit Shah: বিহারে রাজনৈতিক সংকট, বাংলা সফর বাতিল করলেন অমিত শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাতিল হল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের (Amit Shah) বাংলা সফর। রবিবারই তাঁর কলকাতায় পা রাখার কথা ছিল। সোমবার একাধিক দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার কথা ছিল শাহের। যারমধ্যে সায়েন্স সিটির নাগরিক কনভেনশন, বারাসাত ও মেচেদাতে কর্মীসভাও ছিল। তবে বিশেষ পরিস্থিতিতে সেই সভা বাতিল হল। তার কারণ ইতিমধ্যে পশ্চিমবঙ্গের প্রতিবেশী রাজ্য বিহারে রাজনৈতিক সংকট দেখা দিয়েছে। এবং সেখানে বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার আবার বিজেপির সহযোগী হতে পারেন বলে খবর ছড়িয়েছে।

    বিহার সফরে অমিত শাহ?

    শোনা যাচ্ছে, আজ শনিবারই বিহারের রাজ্যপালের কাছে নিজের পদত্যাগপত্র জমা করতে পারেন নীতীশ। সুত্র মারফত খবর পাওয়া গিয়েছে, রবিবার জেডি(ইউ) পরিষদীয় দলের বৈঠক ডেকেছেন নীতীশ কুমার। মনে করা হচ্ছে সোমবারই বিজেপির সমর্থন নিয়ে ফের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিতে পারেন তিনি। বিহারের এমন পরিস্থিতিতে সে রাজ্যে সফর করতে পারেন অমিত শাহ এবং সে কারণেই তাঁর বাংলা সফর বাতিল করা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে এর সবটাই অনুমান। তার কারণ অমিত শাহের (Amit Shah)  বঙ্গ সফর বাতিল নিয়ে কোনও রকমের কারণ এখনও পর্যন্ত জানানো হয়নি।

    গত ২৯ নভেম্বর কলকাতায় সভা করেন অমিত শাহ

    এর আগে, গত ২৯ নভেম্বর বাংলা সফরে এসেছিলেন অমিত শাহ। সে সময়ে ধর্মতলায় এক বড় জনসভায় বক্তব্য রাখেন শাহ। লোকসভা ভোটের আগে এমনিতেই শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস দুর্নীতি ও সন্ত্রাস ইস্যুতে কোণঠাসা হয়ে রয়েছে। সারা পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে বইছে পরিবর্তনের হাওয়া। ঠিক এই আবহে দলীয় কর্মীদের অক্সিজেন দিতে ফের আসার কথা ছিল অমিত শাহের (Amit Shah) । তবে শেষ মুহূর্তে তা বাতিল হল। তবে লোকসভা ভোটের আগে বেশ কয়েকবার তিনি বাংলা সফর করতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Indi Alliance: ‘ইন্ডি’ জোটে লেগেছে ঠোকাঠুকি! রাহুলকে বহরমপুর স্টেডিয়াম দিল না মমতার প্রশাসন

    Indi Alliance: ‘ইন্ডি’ জোটে লেগেছে ঠোকাঠুকি! রাহুলকে বহরমপুর স্টেডিয়াম দিল না মমতার প্রশাসন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘ইন্ডি’ জোট (Indi Alliance) একেবারে ঘেঁটে ঘ। বাংলায় কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলের জোট হবে কি না, তা নিয়ে জটিলতা অব্যাহত। বুধবার তৃণমূল নেত্রী মমতা জানিয়ে দেন, আগামী লোকসভা ভোটে বাংলায় তৃণমূল একাই লড়াই করবে। রাহুল গান্ধী না জানিয়ে বাংলায় আসায় উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর জেরেই  কয়েকদিন আগে কোচবিহারে রাহুল গান্ধীর মঞ্চ খুলে দেয় মমতার পুলিশ। এমনকী শিলিগুড়িতে রাহুল গান্ধীর সভার অনুমতি পাওয়া নিয়ে জলঘোলা হয়েছে। এ বার অধীরের লোকসভা কেন্দ্রেই রাহুলের সভায় বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Indi Alliance)

    ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা নিয়ে আবার ২৮ জানুয়ারি বাংলায় আসবেন রাহুল। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি বহরমপুরে থাকার কথা তাঁর। রাহুল-সহ কংগ্রেস নেতৃত্বের রাত্রিবাসের জন্য বহরমপুর স্টেডিয়াম চাওয়া হয়েছিল। সেই অনুমতি প্রশাসন বাতিল করে দিয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ৩১ জানুয়ারি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও প্রশাসনিক সভা রয়েছে বহরমপুর স্টেডিয়ামে। রাজ্য সরকারের সভা পূর্ব নির্ধারিত। মুর্শিদাবাদের জেলাশাসক তাদের জানিয়ে দিয়েছে বহরমপুর স্টেডিয়াম দেওয়া যাবে না। বিকল্প হিসাবে নিকটবর্তী এফইউসি মাঠ দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে প্রশাসন। কিন্তু, কংগ্রেসের দাবি, ওই মাঠে রাহুল এবং তাঁর গোটা টিমের রাত্রিবাসের জন্য পর্যাপ্ত জায়গাই নেই। স্বাভাবিকভাবে বার বার রাহুলের সভা বা কংগ্রেস কর্মীরা মমতার প্রশাসন, পুলিশের বাধার মুখে পড়ায় ইন্ডি জোটের (Indi Alliance) ভবিষ্যৎ নিয়ে রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

    প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি কী বললেন?

    প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা বহরমপুরের সাংসদ অধীর চৌধুরী বলেন, আমরা বহুদিন আগে স্টেডিয়াম চেয়ে প্রশাসনের কাছে আবেদন করেছিলাম। এতদিন কিছু বলেনি। কিন্তু, আমাদের কর্মসূচির দুদিন আগে অনুমতি বাতিল করার ঘটনা রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র।

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী সাফাই দিলেন?

    তৃণমূলের জেলা নেতা অপূর্ব সরকার বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর কর্মসূচি পূর্ব নির্ধারিত। আর এটা তৃণমূল বাধা দিয়েছে এমন নয়। প্রশাসন মনে করেছে বলেই অনুমতি দেয়নি। আর অন্য কে কোথায় সভা করবে, সেটা তাঁদের দলীয় ব্যাপার। তৃণমূলের রাজ্য নেতৃত্বের পক্ষ থেকে জোট (Indi Alliance) ভেস্তে দেওয়ার জন্য অধীর চৌধুরীকে দায়ী করা হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share