Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Sandeshkhali Incident: বাড়িতে আধিকারিকরা! শোনার পরেই ফোন কাটেন শাহজাহান, দাবি ইডির

    Sandeshkhali Incident: বাড়িতে আধিকারিকরা! শোনার পরেই ফোন কাটেন শাহজাহান, দাবি ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিকাণ্ডে (Sandeshkhali Incident) চাঞ্চল্যকর দাবি ইডির। শেখ শাহজাহানের (Sheikh Shahjahan) বাড়িতে তল্লাশিতে গিয়ে তাঁকে ফোন করেন দফতরের আধিকারিকরা। ফোন রিসিভও করেন শাহজাহান, আর ইডির (ED Attack) কথা শুনেই কল কেটে দেন। এমনটাই দাবি এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের। এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট থানা ও জেলার পুলিশ সুপারকে যে চিঠি দেওয়া হয়েছে, তাতেও বিষয়টি তুলে ধরেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা।

    ফোন কাটেন শাহজাহান

    ইডির অভিযোগ, ওই হামলার ঘটনার ঠিক আগে শেখ শাহজাহানের (Sheikh Shahjahan) সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা হয়েছিল আধিকারিকদের। রেশন দুর্নীতির তদন্তে কেন্দ্রীয় এজেন্সি তাঁর বাড়ির সামনে এসেছে এই কথা শোনার পরেই ফোন কেটে দেন শেখ শাহজাহান। কেন্দ্রীয় এজেন্সির দাবি, তৃণমূল নেতার দুটি মোবাইল ফোন। শুক্রবার একটি মোবাইল ফোন নম্বরে শেখ শাহজাহানকে তাঁর বাড়িতে তল্লাশিতে এসেছেন বলে জানান ইডি-র আধিকারিক। এরপরই ফোন কেটে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। সেই সময় থেকে তাঁর সেই ফোন নাকি অনবরত ব্যস্ত ছিল। ইডির দাবি, দুটি মোবাইল ফোনের টাওয়ার লোকেশনই দেখাচ্ছিল, তৃণমূল নেতা রয়েছেন বাড়ির ভিতরেই। ইডি-র অভিযোগ, সেই সময় শেখ শাহজাহানই ফোন করে তাঁর অনুগামীদের উস্কানি দেন। ইডির দাবি পরিকল্পিত ভাবে হামলা চালানো হয়েছিল। 

    আরও পড়ুন: টাকা তছরুপের অভিযোগ! কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লাকে তলব ইডির

    কোথায় শেখ শাহজাহান?

    গত শুক্রবার রেশন দুর্নীতি তদন্তে তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশিতে গিয়ে আক্রান্ত হন ইডি-র আধিকারিকরা। ঘটনার পর থেকেই খোঁজ মিলছে না শেখ শাহজাহানের। এই ঘটনায় পালটা ইডির বিরুদ্ধেই থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে বলে শোনা যায়। সন্দেশখালিকাণ্ডে পুলিশের এফআইআর খারিজের আবেদন করে হাইকোর্টে গিয়েছে ইডি। অন্যদিকে, সন্দেশখালিতে ইডি-র ওপর হামলার ৬ দিন পার হয়ে গেলও কোথায় অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান? লঘু ধারাতেই বা কেন মামলা রুজু করল পুলিশ? তারই প্রতিবাদে আজ, বৃহস্পতিবার সন্দেশখালির ন্যাজাট থানা ঘেরাওয়ের ডাক দিয়েছে বিজেপি, নেতৃত্বে রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • National Anthem Case: বিজেপি বিধায়কদের বিরুদ্ধে চার্জশিট নয়, জাতীয় সঙ্গীত মামলায় নির্দেশ হাইকোর্টের

    National Anthem Case: বিজেপি বিধায়কদের বিরুদ্ধে চার্জশিট নয়, জাতীয় সঙ্গীত মামলায় নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জাতীয় সঙ্গীত অবমাননার (National Anthem Case) দু’টি মামলাতেই স্বস্তিতে বিজেপি। আদালতের (Calcutta High Court) নির্দেশ ছাড়া ওই মামলায় কোনও চার্জশিট পেশ করা যাবে না। বুধবার জানিয়ে দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। এছাড়া বিজেপি বিধায়কদের জেরা করা যাবে না বলে যে নির্দেশ আগে দেওয়া হয়েছিল, সেটাও বহাল রাখা হয়েছে। একক বেঞ্চ আগেই এই মামলাকে ‘ছেলেমানুষি’ আখ্যা দিয়ে রাজ্যকে ভর্ৎসনা করেছিল।

    কী বলল আদালত

    বিধানসভা চত্বরে দাঁড়িয়ে জাতীয় সঙ্গীত অবমাননা (National Anthem Case) করার অভিযোগ উঠেছিল বিজেপি বিধায়কদের বিরুদ্ধে। শাসক দলের তরফে একটি নয়, দুটি মামলা হয় কলকাতা হাইকোর্টে। কিন্তু আগেই এই মামলাকে ‘ছেলেমানুষি’ আখ্যা দিয়ে রাজ্যকে ভর্ৎসনা করেছিল হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ। এর পরেই ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয় রাজ্য সরকার। কিন্তু ডিভিশন বেঞ্চে এখনও পর্যন্ত কোনও শুনানি হয়নি। তাই একক বেঞ্চ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, দ্বিতীয় মামলাতেও তদন্ত চালিয়ে যেতে পারবে না পুলিশ। পাশাপাশি, হাইকোর্টের নির্দেশ ছাড়া দেওয়া যাবে না চার্জশিটও। আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি দুই মামলারই শুনানি হতে পারে সিঙ্গল বেঞ্চে। যদি তার আগে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে রাজ্যের দায়ের প্রথম মামলার শুনানি হয়ে যায়।

    আরও পড়ুন: বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে অভিষেক, কী আর্জি তৃণমূল নেতার?

    বিতর্কের সূত্রপাত, গত মাসে বিধানসভায় একটি বিক্ষোভ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে। তৃণমূলের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে হাজির ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর নেতৃত্বে অম্বেডকর মূর্তির পাদদেশে ধর্নায় বসেন শাসকদলের মন্ত্রী, বিধায়কেরা। ওই একই সময়ে তৃণমূলের বিক্ষোভস্থল থেকে মাত্র ৫০ মিটার দূরে বিধানসভার সিঁড়িতে বসে বিজেপি বিধায়কেরা পাল্টা বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন। তুলছিলেন সরকার-বিরোধী স্লোগান। তৃণমূল বিধায়কেরা সেই সময় জাতীয় সঙ্গীত গাইতে শুরু করেন বলে অভিযোগ। সেই সময়েও বিজেপি শিবির থেকে স্লোগান শোনা যাচ্ছিল বলে অভিযোগ। বিজেপি বিধায়কদের দাবি ছিল, অপরাধযোগ্য না হওয়া সত্ত্বেও তাঁদের বিরুদ্ধে এফআইআর হয়েছে। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sodepur: বিদেশে চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রতারণা! প্রতারকের বাড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ

    Sodepur: বিদেশে চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রতারণা! প্রতারকের বাড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিদেশে চাকরি দেওয়ার নাম করে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণা করার অভিযোগ উঠল এক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে সোদপুর (Sodepur) এলাকায়। বুধবার প্রতারিতরা  অভিযুক্ত ব্যবসায়ী তপন রায়ের বাড়িতে চড়াও হন। সেখানে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। যদিও ব্যবসায়ী বাড়িতে না থাকায় হতাশ হয়ে ফিরতে হয় প্রতারিতদের। পরে, প্রতারক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Sodepur)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তপন রায় সোদপুর (Sodepur) এলাকায় ট্যুর অ্যান্ড ট্রাভেলস-এর ব্যবসা খুলে বসেন। ওই কোম্পানির নাম করে দুবাই সহ বিদেশে চুক্তিভিত্তিক চাকরি দেওয়ার তিনি টোপ দেন। রীতিমতো পোস্টার ছাপিয়ে শহরের বিভিন্ন জায়গায় তা দেওয়া হয়। সেখানে ভাল মাইনের অফার দেওয়া হয়। পোস্টারে দেওয়া হয় ফোন নম্বর। বেকার ছেলেমেয়েরা পোস্টারের সেই নম্বর দেখে যোগাযোগ করেন। এরপরই চাকরি দেওয়ার বিনিময়ে টাকার দাবি করেন ব্যবসায়ী। ৬০-৭০ হাজার, এমনকী এক লক্ষ টাকা পর্যন্ত নেওয়া হয়েছে বলে প্রতারিতদের অভিযোগ। মাসের পর মাস কেটে গেলেও কাউকে বিদেশে চাকরির ব্যবস্থা করে দিতে পারেননি অভিযুক্ত ব্যবসায়ী। এরপরই প্রতারকের প্রতারণা সকলের সামনে চলে আসে।

    প্রতারিতরা কী বললেন?

    প্রতারিতদের বক্তব্য, বেশ কিছুদিন অপেক্ষা করার পর চাকরি না হওয়ায় টাকা ফেরত চাই ব্যবসায়ীর কাছে। কিন্তু, কোনও টাকা ফেরত পাইনি। শুধু প্রতিশ্রুতি দেওয়া হত, কিন্তু বাস্তবে টাকা ফেরত দেননি।  আমাদের মতো এরকম বহু বেকার ছেলেমেয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারিত হয়েছে। এরপরেই এদিন আমরা প্রতারিত বাড়িতে যাই। বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখাই। তাঁর স্ত্রী জানান, বেশ কিছুদিন ধরে স্বামীর সঙ্গে কোনও যোগাযোগ নেই। তাঁর সম্পর্কে তিনি জানেন না বলে আমাদের জানিয়েছেন। আমরা অভিযুক্ত ব্যবসায়ী বিরুদ্ধে খড়দা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগ হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে অভিষেক, কী আর্জি তৃণমূল নেতার?

    Abhishek Banerjee: বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে অভিষেক, কী আর্জি তৃণমূল নেতার?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনেকের কাছে তিনি সাক্ষাৎ ভগবান। কারও কারও কাছে তিনি ভগবানের দূত। তবে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় আবার কারও কাছে গলার কাঁটাও। এই যেমন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। অভিষেক অবশ্য মুখে কিছু বলেননি।

    অভিষেকের আর্জি

    তবে বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের এই দাপুটে বিচারপতির বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড। আর্জি জানিয়েছেন বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চ থেকে মামলা সরানোরও। দেশের শীর্ষ আদালতে করা আবেদনে তৃণমূল সুপ্রিমোর ভাইপো জানিয়েছেন, বিচারাধীন বিষয় নিয়ে আদালতের বাইরে মন্তব্য করেছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তাই তাঁর বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ করা হোক। এ সংক্রান্ত নির্দেশ দেওয়া হোক কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিকে। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় আদালতের বাইরে বারংবার যে এক পক্ষের বয়ান তুলে ধরছেন, তা থেকে তাঁকে বিরত থাকার নির্দেশও দেওয়া হোক। কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিকে একটি বিশেষ বেঞ্চ গঠনের নির্দেশও দেওয়া হোক। নিয়োগ সংক্রান্ত মামলা শুনবে (Abhishek Banerjee) সেই বেঞ্চ। বিচারপতি সিনহার এজলাসে যে মামলাগুলি রয়েছে, সেগুলি যাতে ওই বেঞ্চে যায়, তার ব্যবস্থাও করা হোক।

    বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রশ্ন

    প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই অভিষেকের সম্পত্তি সংক্রান্ত বিষয়ে প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। সংবাদমাধ্যমের সামনে তিনি প্রশ্ন করেন, একজন নেতা হিসেবে অভিষেকের সম্পত্তির উৎস কী? তিনি কি তাঁর সম্পত্তির হিসেব সমাজমাধ্যমে পোস্ট করবেন? তিনি বলেন, “সাধারণ মানুষ হিসেবে আমরা দেখতে চাই, কার কত সম্পত্তি আছে। কে কত সম্পত্তি করেছেন। কার সম্পত্তির উৎস কী? বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “অভিষেক যদি সমাজমাধ্যমে ওই পোস্ট করেন, তবে তাঁর সমসাময়িক নেতা, ধরুন, মিনাক্ষী মুখোপাধ্যায় বা অন্য নেতাদের কাছেও একই আবেদন রাখব। তাঁরাও সম্পত্তির হলফনামা তৈরি করে সোশ্যাল মিডিয়ায় দিন, আমরা দেখতে চাই।”

    আরও পড়ুুন: সন্দেশখালির ‘বাঘ’কে ধরতে জাল পাতছে ইডি, হাত মেলাল এনআইএ, আয়কর, বিএসএফ-ও

    সন্দেশখালিকাণ্ডে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “আমার বিভিন্ন পদক্ষেপে ওদের অসুবিধা হচ্ছে। ওদের বিভিন্ন চোরেরা জেলে রয়েছেন। আরও কিছু জেলে যাবেন। সেই জন্যই আমার ওপর এত রাগ।” প্রসঙ্গত, ইডি এবং সিবিআই চাইলে শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় অভিষেককে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবেন বলে গত বছরই নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।

    তাই কি বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের পায়ে বেড়ি পরাতে চাইছেন অভিষেক (Abhishek Banerjee)?

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Primary Recruitment Case: প্রাথমিক নিয়োগ মামলা থেকে অ্যাডভোকেট জেনারেলকেই সরিয়ে দিলেন বিচারপতি

    Primary Recruitment Case: প্রাথমিক নিয়োগ মামলা থেকে অ্যাডভোকেট জেনারেলকেই সরিয়ে দিলেন বিচারপতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলা থেকে এবার এজি-কে সরিয়ে দিলেন বিচারপতি  অমৃতা সিনহা। এই মামলায় বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে রাজ্যের হয়ে সওয়াল করতে পারবেন না মুখ্য আইনি উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত। বুধবার এই নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। এজি হিসাবে সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রের হয়ে কীভাবে আইনজীবী হিসাবে রয়েছেন কিশোর দত্ত? এই প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি।

    অ্যাডভোকেট জেনারেলকে প্রশ্ন

    তিনি বলেন, ‘আমি শুনেছি যে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল এই দুর্নীতির মামলায় কোনও এক অভিযুক্তের আইনজীবী হিসেবে মামলা লড়ছেন। যদি এটা হয় তাহলে সরাসরি একটা স্বার্থের দ্বন্দ্ব (কনফ্লিক্ট অফ ইন্টারেস্ট) তৈরি হচ্ছে। এই জন্য আমি রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেলকে ডেকে পাঠিয়েছি।’ রাজ্যের লিগল অ্যাডভাইসার কিশোর দত্ত নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত  সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রেরও আইনজীবী। কিছুদিন আগেই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কালীঘাটের কাকু তথা সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের কণ্ঠস্বর পরীক্ষা করা হয়েছে। এই নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। এদিনের শুনানির সময়ে বিচারপতি এজি-র উদ্দেশে প্রশ্ন করেন, “আপনি এই মামলায় একজনের হয়ে সওয়াল করছেন। তার সঙ্গে রাজ্যের স্বার্থের সংঘাত হলে সমস্যা হবে। তাহলে সরকারের হয়ে এই মামলায় থাকতে পারেন না।” এরপরই বিচারপতির তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য, “আপনি বাই ডিফল্ট বেরিয়ে যান।”

    আরও পড়ুন: তৃণমূলের মহুয়ার বিরুদ্ধে তৈরি রিপোর্ট চেয়ে পাঠাল সিবিআই, কেন জানেন?

    বিরক্ত বিচারপতি সিনহা

    এদিন শুনানির সময় প্রাথমিকে নিয়েগ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। রাজ্যের উদ্দেশে তিনি প্রশ্ন করেন, “চাকরি প্রার্থীদের এক একটা দিন নষ্ট হচ্ছে। রাজ্যকে বলতেই হবে কী চায় তারা। তাদের বয়স পেরিয়ে যাচ্ছে। কবে নিয়োগ দেওয়া হবে? আর কত অপেক্ষা। এই অপেক্ষা শেষ হওয়ার নয়। উভয় মিটিং করে এব্যাপারে সমাধানে আসা যায় কি না দেখুন।” এই মামলার পরের শুনানি ৬ ফ্রেবরুয়ারি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ECI: লক্ষ্য রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা, নির্ঘণ্ট প্রকাশের আগেই রোজকার রিপোর্ট তলব নির্বাচন কমিশনের

    ECI: লক্ষ্য রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা, নির্ঘণ্ট প্রকাশের আগেই রোজকার রিপোর্ট তলব নির্বাচন কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালির ঘটনার পর নড়েচড়ে বসেছিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন (ECI)। সিইও অফিস নয়, নিজেদের নেটওয়ার্কের মাধ্যমেই তারা জোগাড় করে ফেলেছিল ভিডিওগ্রাফি সমেত সন্দেশখালির পুঙ্খানুপুঙ্খ সব তথ্য। এবার জাতীয় নির্বাচন কমিশনের ইতিহাসে এই প্রথমবার তারা যে নির্দেশিকা জারি করল, তাতে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা কোন পর্যায়ে গিয়েছে, তার পরিষ্কার একটা ছবি ধরা পড়ছে।। কারণ নির্বাচন কমিশনের ইতিহাসে এই প্রথমবার নির্বাচনী নির্ঘণ্ট প্রকাশ হওয়ার এত আগে থেকে মিডিয়া মনিটরিং শুরু করে দিল তারা। বৈদ্যুতিন মাধ্যম, খবরের কাগজ এবং ডিজিটাল মিডিয়ায় রাজ্যে প্রতিদিন কী খবর হচ্ছে, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তার সবিস্তার রিপোর্ট পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

    রিপোর্ট পাঠানো শুরু

    কলকাতা উত্তর এবং দক্ষিণ সহ রাজ্যের মোট ২৪ টি জেলার রিপোর্ট পাঠানো শুরু হল বুধবার থেকেই। কেবলমাত্র তাই নয়, জাতীয় নির্বাচন কমিশন নির্দিষ্ট করে দিয়েছে মোট সাতটি পয়েন্ট। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি, ফেক নিউজ সহ অন্যান্য সবকিছুই। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলের নেতৃত্ব কখন, কোথায় কে কী বলছে, সেটাও বিস্তারিতভাবে পাঠাতে হবে নির্বাচন কমিশনে। নির্বাচন কমিশনের কাছে এর আগে এতদিন এইসব রিপোর্ট পাঠাতে হত নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশ হওয়ার পর থেকে। কিন্তু এই প্রথমবার এত আগে থেকেই জাতীয় নির্বাচন কমিশন (ECI) রাজ্যের সামগ্রিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে এবং সম্পূর্ণ রিপোর্ট হাতে নিয়েই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে সূত্রের খবর।

    ফেব্রুয়ারি মাসে কমিশনের ফুল বেঞ্চ

    নির্বাচনী বিধির লাগু হওয়ার পর এতদিন ধরে বা এত বছর ধরে যে রিপোর্ট পাঠাত রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর, বুধবার থেকে সেই রিপোর্ট পাঠাতে হবে প্রতিদিন। এই রিপোর্ট পাঠানোর ক্ষেত্রে থাকছে না কোন ছুটি। এমনকী জাতীয় ছুটির দিনেও এই রিপোর্ট পাঠাতে নির্দেশ দিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ ইতিমধ্যেই অন্ধ্রপ্রদেশে রয়েছে। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাব মঙ্গলবারই দিল্লি গিয়েছেন জাতীয় নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করতে। কমিশন সূত্রে খবর, চলতি মাসের শেষ সপ্তাহ অথবা ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহেই রাজ্যে আসতে চলেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ (ECI)। যদিও রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর থেকে ইতিমধ্যেই সব জেলা থেকে রিপোর্ট নেওয়া শুরু করেছে প্রতি সপ্তাহেই। কোন কোন এলাকায় উত্তেজনাপ্রবণ বুথ রয়েছে, পাশাপাশি তার জন্য এখন থেকেই জেলা নির্বাচনী আধিকারিকরা সেক্ষেত্রে কী ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন, সেই সব কিছুই।

    জেলা নির্বাচনী আধিকারিকদের কড়া নির্দেশ

    অন্যদিকে জাতীয় নির্বাচন কমিশন এবার বিশেষভাবে উদ্যোগ নিচ্ছে, জামিন অযোগ্য ধারায় যারা এখনও পর্যন্ত এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে, তাদের নিজেদের আওতায় রাখতে। নির্বাচনী নির্ঘণ্ট প্রকাশ হওয়ার পর আর কোনও ভাবেই যেন তারা বাইরে থাকতে না পারে, সে বিষয়ে কমিশন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক সহ প্রত্যেক জেলার জেলা নির্বাচনী আধিকারিকদের কড়া নির্দেশ দিয়েছে। পাশাপাশি রাজ্যে এখনও পর্যন্ত আশি হাজারের বেশি বুথ রয়েছে, যার মধ্যে ৪৭ শতাংশ শ্যাডো জোনের মধ্যে রয়েছে। যেখানে এখনও পর্যন্ত ইন্টারনেট পরিষেবা পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। জাতীয় নির্বাচন কমিশন (ECI) সূত্রে খবর, যে কোনও মূল্যে ১০০ শতাংশ বুথেই এবার ব্রেক কাস্টিং করা হতে পারে। সম্প্রতি রাজ্যে ঘটে যাওয়া পঞ্চায়েত নির্বাচনে যে সমস্ত ঘটনা ঘটেছে, তারপর জাতীয় নির্বাচন কমিশন আর কোনও ভাবেই ন্যূনতম খামতি রাখতে চাইছে না। ফলে কমিশনের এইসব পদক্ষেপ এখন থেকেই বুঝিয়ে দিচ্ছে, আসন্ন লোকসভা নির্বাচন এই রাজ্যে এবার কোন রূপ নিতে চলেছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ‘ইডি অফিসারদের ওপর হামলাকারীদের বঙ্গরত্ন দেওয়া হবে’, তীব্র কটাক্ষ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: ‘ইডি অফিসারদের ওপর হামলাকারীদের বঙ্গরত্ন দেওয়া হবে’, তীব্র কটাক্ষ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইডি অফিসারদের ওপর হামলার অর্থ ভারতের সংবিধানের ওপর হামলা। বিজেপি ছেড়ে কথা বলবে না। ইডি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা, রাজ্য সরকারের ভুয়ো কোনও সংস্থা নয়। বুধবার গঙ্গাসাগরে গিয়ে একথা বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। পাশাপাশি গঙ্গাসাগরের মেলার খরচ নিয়ে রাজ্য সরকারকে তোপ দাগেন তিনি।

    মেলার ২০০ কোটি কোথায় যায়, প্রশ্ন সুকান্তর (Sukanta Majumdar)

    সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মেলা উদ্বোধনে এসে বলেছিলেন, গঙ্গাসাগর মেলায় কেন্দ্রীয় কোনও সাহায্য মেলে না। সেই প্রসঙ্গ টেনে সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বুধবার বলেন, মেলার সাহায্য পেতে গেলে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানাতে হবে। উদ্বোধনে প্রধানমন্ত্রীকে ডাকতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর ছবি লাগাতে হবে। এখানে মেলা দেখে মনে হচ্ছে, মুখ্যমন্ত্রী ছাড়া আর কেউ নেই। তিনি প্রশ্ন তোলেন, হেলিকপ্টার সার্ভিসটা কোথায়? ১৯ কোটি টাকা কোথায় যায়, সেটার কোনও খোঁজ পাওয়া যায় না। আর রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, গঙ্গাসাগর মেলা করতে ২০০ কোটি টাকা খরচ হয়. সেই প্রসঙ্গে সুকান্ত এদিন বলেন, ২০০ কোটি টাকা কোথায় যায়, সেটা খোঁজ নিয়েছেন? মুখ্যমন্ত্রীর ছবির পিছনে সব টাকা কি খরচ হয়ে যায়?

    ইডি-র ওপর হামলা নিয়ে সরব সুকান্ত

    সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, আগামীকাল ইডি-র ওপর হামলার প্রতিবাদে থানা ঘেরাও করার কর্মসূচি রয়েছে রাজ্য বিজেপির। ইডি ভারতীয় সংবিধানের দ্বারা পরিচালিত হয়। লোকসভায় ও রাজ্যসভায় আইন প্রণয়ন করে নিয়োগ করা হয়েছে। ইডি অফিসারদের ওপর হামলা মানে ভারতবর্ষের সংবিধানের উপর হামলা। এই হামলা ভারতবর্ষের সর্বভৌমত্বের উপর হামলা। বিচ্ছিন্নবাদী মানসিকতা, পশ্চিমবঙ্গকে ভারতবর্ষ থেকে আলাদা করার মানসিকতা। এই বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তির বিরুদ্ধে বিজেপি লড়ছে। যারা ইডি অফিসারদের ওপর হামলা করেছে, তাদেরকে তো গ্রেফতার করতে পারবে না, বরং তাদেরকে ‘বঙ্গরত্ন পুরস্কার’ দেওয়া হবে। এর পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর হার্মাদরা তো ভোটে জেতায়। মুখ্যমন্ত্রী কি জনতার ভোটে জেতে! তৃণমূল সরকার যে কাজ করছে সেটি ভারতবর্ষের সংবিধানের ওপর আক্রমণ, ভারতবর্ষের সর্বভৌমত্বের ওপর আক্রমণ। ইডি উপর যেভাবে আক্রমণ হয়েছে, যেভাবে আইন ভাঙা হয়েছে আমরা ছেড়ে কথা বলবো না। সময় আসছে বিজেপি সরকার তৈরি হবে। যে বাড়ির তালা ভাঙা যায়নি, সেই বাড়িতে বুলডোজার চলবে।

    গঙ্গাসাগরে সুকান্ত

    দলীয় একগুচ্ছ কর্মসূচি নিয়ে বুধবার গঙ্গাসাগরে পৌঁছান বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সেখানে গঙ্গাস্নান করেন তিনি। গঙ্গাস্নানের পর তিনি কপিলমুনির মন্দিরে গিয়ে পুজো দেন। এরপর গঙ্গাসাগর মেলা চত্বর ঘুরে দেখেন তিনি। শুধুমাত্র এ রাজ্যই নয়, ভিন রাজ্য থেকেও এই মুহূর্তে লক্ষ লক্ষ মানুষ ভিড় জমিয়েছেন গঙ্গাসাগরে। গঙ্গাসাগরে বিজেপি শিবিরের পক্ষ থেকেও বিভিন্ন সেবামূলক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sheikh Shahjahan: সন্দেশখালির ‘বাঘ’কে ধরতে জাল পাতছে ইডি, হাত মেলাল এনআইএ, আয়কর, বিএসএফ-ও

    Sheikh Shahjahan: সন্দেশখালির ‘বাঘ’কে ধরতে জাল পাতছে ইডি, হাত মেলাল এনআইএ, আয়কর, বিএসএফ-ও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেখতে দেখতে ৬ দিন পার! এখনও অধরা সন্দেশখালির (Sandeshkhali Incident) দাপুটে তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান (Sheikh Shahjahan)। কোন ডেরায় তিনি ঘাপটি মেরে বসে আছেন, মেলেনি তার খোঁজ। তবে, বসে নেই এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। গোয়েন্দা তথ্যের ওপর ভিত্তি করে ধীরে ধীরে জাল বিছোতে শুরু করে দিয়েছে তারা। আর এই কাজে তাদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে বিএসএফ থেকে শুরু করে এনআইএ, এমনকী আয়কর দফতরও।

    শাহজাহানকে নিয়ে নতুনভাবে ব্লু-প্রিন্ট

    রেশন দুর্নীতির তদন্তে গত শুক্রবার সন্দেশখালির (Sandeshkhali Incident) সরবেরিয়াতে শেখ শাহজাহানের (Sheikh Shahjahan) ডেরায় অভিযানে গিয়েছিল ইডি। সেখানেই তাদের ওপর হামলা হয়। শাহজাহানের অনুগামীরা বাঁশ, লাঠি ও ইট দিয়ে হামলা চালায় ইডি অফিসার ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর ওপর। হামলার জেরে মাথা ফেটে যায় ৩ ইডি আধিকারিকের। ক্ষতিগ্রস্ত হয় তদন্তকারী সংস্থার গাড়ি। সেদিনকার মতো সন্দেশখালি থেকে খালি হাতে চলে এলেও, শাহজাহানকে ধরতে কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে ইডি। নতুনভাবে ব্লু-প্রিন্ট তৈরি করা হয়েছে। 

    আরও পড়ুন: কলকাতায় ইডির ডিরেক্টর, বৈঠক করলেন রাজ্যপালের সঙ্গেও

    সমন্বয় বৃদ্ধি ও নিখুঁত গ্রাউন্ড রিপোর্টে জোর

    মঙ্গলবারই, কলকাতায় এসেছিলেন ইডি-র ডিরেক্টর রাহুল নবীন। এখানকার আঞ্চলিক আধিকারিকদের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করেন। পরবর্তী পদক্ষেপ কীভাবে করতে হবে, কীভাবে এগোতে হবে তদন্তে, সেই নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। সূত্রের খবর, নিজেদের মধ্যে সমন্বয় বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। যে এলাকায় অভিযান হবে আগে সেই এলাকার নিখুঁত গ্রাউন্ড রিপোর্ট তৈরি করারও নির্দেশ দিয়েছেন ডেপুটিদের।

    ইডিকে সাহায্যের আশ্বাস বাকি কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলির

    এর পাশাপাশি, দ্বিতীয় বৈঠক রাহুল নবীন করেন অন্যান্য কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এবং নিরাপত্তা সংস্থার প্রধানদের সঙ্গে। জানা গিয়েছে, সিজিও কমপ্লেক্সে সিআইএসএফ, সিআরপিএফ, বিএসএফ, আয়কর ও এনআইএ-র প্রতিনিধিদলের সঙ্গে দেখা দীর্ঘক্ষণ বৈঠক করেন ইডি ডিরেক্টর। প্রত্যেক এজেন্সির থেকে বিভিন্নভাবে সাহায্যের অনুরোধ করেন। সূত্রের খবর, প্রত্যেকটি এজেন্সি ইডিকে যথাসাধ্য সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে। 

    আরও পড়ুন: “রাজ্যের হাতে ধরা দিলে পুলিশ শাহজাহানকে লাশ বানিয়ে দিতে পারে”, আশঙ্কা শুভেন্দুর

    নতুন করে জাল বিছানোর কাজ শুরু

    এর পরই, শাহজাহানকে (Sheikh Shahjahan) ধরতে জাল বিছানোর কাজ নতুন করে শুরু করেছে ইডি। তবে, এবার একা নয়। এই কাজে তাদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে বিএসএফ থেকে শুরু করে এনআইএ, এমনকী আয়কর দফতরও। জানা যাচ্ছে, সন্দেশখালি (Sandeshkhali Incident) হল ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকা। তাই সেখানে বিএসএফ-এর বিচরণ। শাহজাহান যাতে স্থল বা জলসীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে না পৌঁছতে পারে, তার জন্য বিএসএফ সতর্ক। শাহজাহানের নামে লুক আউট নোটিশ জারি করা হয়েছে। তা হাতিয়ার করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)-কে সতর্ক করা হয়েছে। অন্যদিকে, রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়া নিয়ে আগে অভিযোগ উঠেছিল শাহজাহানের বিরুদ্ধে। মানব পাচার যোগ খতিয়ে দেখবে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ। শাহজাহানের আর্থিক হাল হকিকত নিয়ে তথ্য সংগ্রহে আয়কর দফতর। 

    ‘বাঘের’ ধরা পড়াটা এখন সময়ের অপেক্ষা

    ফলে, এজেন্সির ফাঁসে সন্দেশখালির শেখ শাহজাহান (Sheikh Shahjahan)। ধীরে ধীরে তাকে ঘিরে ফেলছে কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলি। শেখ শাহজাহানকে তাঁর অনুগামীরা ‘বাঘ’ বলে ডাকেন। অনুগামীদের মতে, শাহাজাহান নাকি হলেন ‘প্রকৃত সুন্দরবনের বাঘ’। আবার স্থানীয় একাংশ মানুষের কাছে, তিনি ছিলেন ‘মূর্তিমান ত্রাস’। আতঙ্কের অপর নাম। তাঁর অত্য়াচার দিনের পর দিন সহ্য করতে হয়েছে সেখানকার গরিব সাধারণকে। এখন সেই ‘বাঘ’, সেই ‘মূর্তিমান ত্রাস’ এখন বেপাত্তা। তবে, বেশিদিন নয়। শেখ শাহাজাহানকে ধরতে এবার সঠিক জাল বিছিয়েছে ইডি। সন্দেশখালির (Sandeshkhali Incident) ‘বাঘের’ ধরা পড়াটা এখন স্রেফ সময়ের অপেক্ষা।

     

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Primary TET: প্রাথমিকের একটি মামলায় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ খারিজ ডিভিশন বেঞ্চে

    Primary TET: প্রাথমিকের একটি মামলায় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ খারিজ ডিভিশন বেঞ্চে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিকে (Primary TET) চাকরির নিয়োগে প্যানেল প্রকাশ এবং তা আদালতের সামনে জমা করার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বুধবার সেই নির্দেশ খারিজ করল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। এদিন বিচারপতি সৌমেন সেন এবং বিচারপতি উদয় কুমারের বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছে।

    ২০১৪ সালের টেটের প্রেক্ষিতে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ

    ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছিল ২০১৫ সালের অক্টোবর আসে। ফলাফল প্রকাশিত হয়েছিল ২০১৬ সালে। এই মামলায় পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ার প্যানেল প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বিচারপতির নির্দেশ ছিল, ১০ দিনের মধ্যে প্যানেল প্রকাশ করতে হবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে (Primary TET)। সেই মোতাবেক প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিলেন বিচারপতি। কিন্তু, ১০ জানুয়ারি অর্থাৎ বুধবার সেই নির্দেশ খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। প্রসঙ্গত, এই মামলায় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্য়ায়ের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে যায় পর্ষদ (Primary TET)। ওই মামলার শুনানিতে দুই বিচারপতির বেঞ্চ এদিন একক বেঞ্চের নির্দেশ খারিজ করে দিল। তবে একক বেঞ্চ মামলার পরবর্তী অংশের শুনানি চালিয়ে যেতে পারবে বলে জানিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ।

    ২০১৬ সালে প্রাথমিকের নিয়োগ ঘিরে বিস্তর দুর্নীতির অভিযোগ সামনে আসে

    ২০১৪ সালের নিয়োগে ৪২ হাজারেরও বেশি প্রার্থী শিক্ষক পদে চাকরি পেয়েছিলেন ২০১৬ সালে। কিন্তু, সেই নিয়োগ নিয়ে বিস্তর দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে পরবর্তীকালে। এ নিয়ে যোগ্য চাকরিপ্রার্থীরা নিয়োগের দাবিতে আন্দোলনও শুরু করেন। জল গড়ায় হাইকোর্টে। মামলা ওঠে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চে। একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ করেন তিনি। নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতারও হন পর্ষদের (Primary TET) প্রাক্তন সভাপতি তথা তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য। মামলার শেষ শুনানিতে মোট ৪২ হাজার ৯৪৯ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের প্যানেল ১০ দিনের মধ্যে প্রকাশ করতে বলেন তিনি। তবে এদিন তাঁর নির্দেশ খারিজ হল।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali Incident: সন্দেশখালিকাণ্ডে হাইকোর্টে মামলা ইডির, বয়ান রেকর্ডে সিজিওতে বসিরহাট পুলিশ

    Sandeshkhali Incident: সন্দেশখালিকাণ্ডে হাইকোর্টে মামলা ইডির, বয়ান রেকর্ডে সিজিওতে বসিরহাট পুলিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali Incident) তাদের উপরে হামলার ঘটনায় এবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হল ইডি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অভিযোগ, রেশন দুর্নীতি মামলায় তল্লাশি করতে গিয়ে তাদের আধিকারিকদের উপর হামলা করা হয়েছে। বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত ইডিকে মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছেন। আগামী কাল বৃহস্পতিবার মামলার শুনানি বলে জানা যাচ্ছে। অন্যদিকে বুধবারই ইডির দফতর সিজিও কমপ্লেক্সে পৌঁছল বসিরহাটের পুলিশ। এদিনই ইডি অফিসারদের বয়ান রেকর্ড করা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

    হাইকোর্টে ইডি

    বুধবার হাইকোর্টে ইডি-র অভিযোগ, ‘রেশন দুর্নীতির মামলায় তল্লাশি করতে গিয়ে হামলার মুখে পড়েন অফিসাররা। উলটে আমাদের অফিসারদের বিরুদ্ধেই পুলিশ এফআইআর করেছে বলে শুনতে পাচ্ছি। সব সংবাদমাধ্যমে এটা প্রচার হচ্ছে। আমরা বসিরহাট কোর্টেও খোঁজ নিয়েছি। কিন্তু সেখানেও এমন কোনও এফআইআর কপি যায়নি। ওয়েবসাইটে আপলোডও করা হয়নি। উলটে পুলিশ প্রতিদিন আমাদের অফিসে গিয়ে খোঁজ করছে, কোন কোন অফিসার সেদিন সেখানে গিয়েছিলেন। আমাদের আশঙ্কা হেনস্থা করার জন্য তাঁদের নামেও নতুন অভিযোগ দায়ের করবে।’ এদিন ইডির আবেদন শোনার পর মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। আগামী কাল বৃহস্পতিবারই মামলাটির শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।

    তৎপর কেন্দ্র

    সন্দেশখালির (Sandeshkhali Incident) ঘটনায় তৎপর হয়েছে কেন্দ্রও। রাজ্যে এসে দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন ইডির ডিরেক্টর রাহুল নবীন। সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে দফায় দফায় বৈঠক করেন ইডির ডিরেক্টর। কথা হয় কেন্দ্রীয় বাহিনীর কর্তাদের সঙ্গে। সূত্রের খবর, বৈঠকে ছিলেন সিআরপিএফ, এনআইএ, এসএসবি, সিআইএসএফ ও আইটি-র কর্তার। সেখানে দফতরের আধিকারিকদের নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা হয় বলে সূত্র মারফৎ জানা যাচ্ছে।

    আরও পড়ুন: এবার কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ! পড়ুয়াকে লাগাতার হেনস্থার অভিযোগে তোলপাড়

    সিজিও কমপ্লেক্সে পুলিশ

    অন্যদিকে সন্দেশখালির ঘটনায় (Sandeshkhali Incident) তল্লাশি অভিযানে যাওয়া কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের বয়ান রেকর্ড করতেই বসিরহাটের ডিএসপি-র নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল সিজিওতে পৌঁছেছে বলে সূত্রের খবর। সঙ্গে রয়েছে পুলিশের ক্যামেরাম্যানও। বুধবার ১২টা নাগাদ বসিরহাট পুলিশ সিজিও কমপ্লেক্সে যায়। তবে ইডির ডেপুটি ডিরেক্টর বয়ান রেকর্ডের জন্য উপস্থিত না থাকার কারণে কিছুক্ষণ পরে পুলিশ সিজিও কমপ্লেক্স ছেড়ে বেড়িয়ে যায়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share