Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Kalighater Kaku: চাপ বাড়ল কাকুর, ‘‘কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহের প্রক্রিয়া চলবে’’, নির্দেশ ডিভিশন বেঞ্চের

    Kalighater Kaku: চাপ বাড়ল কাকুর, ‘‘কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহের প্রক্রিয়া চলবে’’, নির্দেশ ডিভিশন বেঞ্চের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একক বেঞ্চের পরে ডিভিশন বেঞ্চেও জোর ধাক্কা খেলেন ‘কালীঘাটের কাকু’ (Kalighater kaku)। তাঁর কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ বিষয়ে বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশই কার্যকর হবে, একথা সাফ জানালেন বিচারপতি সৌমেন সেন এবং বিচারপতি উদয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চ। বুধবারই ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, সুজয়কৃষ্ণের কণ্ঠস্বরের নমুনার পরবর্তী প্রক্রিয়ার উপর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ।

    ইডির তদন্তে বাধা দেওয়ার অভিযোগ রাজ্যের বিরুদ্ধে

    নিয়োগ মামলায় ধৃত সুজয়কৃষ্ণের (Kalighater Kaku) কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করতে গিয়ে বেশ বেগ পেতে হয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে। এনিয়ে বুধবারই হাইকোর্টে ইডির আইনজীবী তাঁর সওয়ালে বলেন, ‘‘আমরা তদন্ত শেষ করব কীভাবে? গোটা রাজ্য আমাদের বিরুদ্ধে। প্রতি পদে তদন্তে বাধা দেওয়া হচ্ছে।’’ ইডির আইনজীবীর কথায় উঠে আসে সন্দেশখালির ঘটনাও। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের তদন্তকারী আধিকারিকদের মারধর করা হচ্ছে। এফআইআর করা হচ্ছে।’’ এর পর ইডির আইনজীবী বলেন, কী ভুল রয়েছে বিচারপতি অমৃতা সিনহার ওই নির্দেশে? তিনি তো নির্দেশে লিখেছেন যে, কণ্ঠস্বরের নমুনা বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের নির্দেশ ছাড়া বিচার প্রক্রিয়ায় প্রমাণ হিসাবে ব্যবহার করা যাবে না।

    কী বললেন বিচারপতি সৌমেন সেন

    যদিও কালীঘাটের কাকুর (Kalighater Kaku) কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহের নির্দেশ নিয়ে একাধিক প্রশ্ন এদিন তুলতে দেখা গিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চকে। বিচারপতি সেনের মন্তব্য, ‘‘আইন অনুযায়ী প্রত্যেক অভিযুক্তের কিছু অধিকার থাকে। আইন অনুযায়ী তিনি এই নমুনা দিতে অস্বীকার করতে পারেন। সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহের নির্দেশ দিয়ে বিচারপতি অমৃতা সিংহ সঠিক কাজ করেননি। বিচারপতির তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে যখন এই একই বিষয়বস্তু নিয়ে মামলা বিচারাধীন তখন বিচারপতি অমৃতা সিংহের এই নির্দেশ সঠিক নয়। এটা বিচারবিভাগীয় পরিকাঠামোর ক্ষেত্রে এবং বিচারবিভাগীয় আচরণবিধির ক্ষেত্রে সঠিক উদাহরণ নয়। এটা মারাত্মক প্রবণতা।’’ প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহের বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে এই মামলার শুনানি চলে। এরপরেই সুজয়কৃষ্ণকে (Kalighater Kaku) সঙ্গে নিয়ে রাতে অ্যাম্বুল্যান্সে করে এসএসকেএম হাসপাতালে পৌঁছন ইডির আধিকারিকরা। প্রায় ২ ঘণ্টা ধরে চলে কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহের প্রক্রিয়া। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ed Director: কলকাতায় ইডির ডিরেক্টর, বৈঠক করলেন রাজ্যপালের সঙ্গেও

    Ed Director: কলকাতায় ইডির ডিরেক্টর, বৈঠক করলেন রাজ্যপালের সঙ্গেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিকাণ্ডের জেরে আধিকারিকদের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত ইডি। যার জেরে সোমবার রাতে দিল্লি থেকে কলকাতায় এলেন ইডির ডিরেক্টর (Ed Director) রাহুল নবীন। মঙ্গলবার সিজিও কমপ্লেক্সে ইডির দফতরে দফায় দফায় বৈঠকে বসেন তিনি। উপস্থিত ছিলেন এনআইএ, এসএসবি, সিআইএসএফ, সিআরপিএফ এবং আইটির কর্তারা।

    রাজ্যপাল-ইডি ডিরেক্টর বৈঠক

    বৈঠক শেষে বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ রাজভবনে যান নবীন। সেখানে বৈঠক করেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গেও। ইডির প্রতিটি অভিযানে তদন্তকারীদের সঙ্গে থাকেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। তাই নবীন এদিন কথা বলেছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর কর্তাদের সঙ্গেও। এদিনের বৈঠকে রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারি ও নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তের অগ্রগতিও খতিয়ে দেখেন তিনি (Ed Director)। রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারিতে গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বনমন্ত্রী তৃণমূলের জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। সেই সূত্রেই শুক্রবার সকালে ইডি হানা দিতে গিয়েছিলেন সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা জ্যোতিপ্রিয় ঘনিষ্ঠ শেখ শাহজাহানের বাড়িতে।

    আক্রান্ত ইডি কর্তারা 

    শাহজাহানের বাড়ি সরবেড়িয়া গ্রামে। সাত সকালে বাড়িতে গিয়ে শাহজাহানের নাম ধরে ডাকেন ইডি কর্তারা। ঘণ্টাখানেক ধরে ডাকাডাকি করা সত্ত্বেও দরজা খোলেনি শাহাজাহানের বাড়ির। এর পরেই দরজা ভাঙার চেষ্টা করেন তদন্তকারীরা। অভিযোগ, এই সময় শাহজাহানের অনুগামীরা ইডি কর্তাদের বেধড়ক মারধর করেন। তাঁদের সঙ্গে থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের লক্ষ্য করে ইটও ছোড়া হয়। ভাঙচুর চালানো হয় আধিকারিকদের গাড়িতে। মারের চোটে জখম হন ইডির তিন আধিকারিক।

    আরও পড়ুুন: “রাজ্যের হাতে ধরা দিলে পুলিশ শাহজাহানকে লাশ বানিয়ে দিতে পারে”, আশঙ্কা শুভেন্দুর

    বনগাঁয় প্রাক্তন পুরপ্রধান তৃণমূলের শঙ্কর আঢ্যের বাড়িতে গিয়েও আক্রান্ত হন ইডি আধিকারিকরা। সন্দেশখালির ঘটনায় এফআইআর করে ইডি। তল্লাশি অভিযানে গিয়ে আধিকারিকরা আক্রান্ত হওয়ার খবর পেয়ে কলকাতায় চলে আসেন নবীন। মঙ্গলবার করেন বৈঠক। বৈঠক শেষেই বেরিয়ে যান নবীন। তিনি (Ed Director) যে রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠক করেছেন, সে ব্যাপারেও বিবৃতি জারি করা হয়নি রাজভবনের তরফে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Ustad Rashid Khan: জীবনসফর শেষ পঞ্চান্নতেই, প্রয়াত শাস্ত্রীয় সঙ্গীত শিল্পী উস্তাদ রশিদ খান

    Ustad Rashid Khan: জীবনসফর শেষ পঞ্চান্নতেই, প্রয়াত শাস্ত্রীয় সঙ্গীত শিল্পী উস্তাদ রশিদ খান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাত্র পঞ্চান্ন বছর বয়সেই থেমে গেল কণ্ঠের জাদু। প্রয়াত হলেন ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের জনপ্রিয় শিল্পী উস্তাদ রশিদ খান (Ustad Rashid Khan)। গত কয়েক বছর ধরে ভুগছিলেন প্রস্টেট ক্যান্সারে। বাড়াবাড়ি হওয়ায় বেশ কিছুদিন আগে ভর্তি করা হয়েছিল দক্ষিণ কলকাতার একটি হাসপাতালে। চিকিৎসা চলাকালীনই স্ট্রোক হয় শিল্পীর। মঙ্গলবার বিকেল ৩টে ৪৫ মিনিটে প্রয়াত হন এই শিল্পী। অন্যতম জনপ্রিয় শিল্পীর অকাল প্রয়াণে শোকের ছায়া শিল্পীমহলে।  

    উত্তরপ্রদেশ থেকে কলকাতায় রাশিদ

    রশিদের জন্ম উত্তরপ্রদেশের বদায়ুঁতে, ১৯৬৮ সালের ১ জুলাই। ইনায়েত হুসেন খাঁ সাহিব প্রতিষ্ঠিত রামপুর-সাসওয়ান ঘরানার শিল্পী ছিলেন রশিদ। তালিম নিয়েছিলেন উস্তাদ নিশার হুসেন খাঁ সাহিবের কাছে। ইনি ছিলেন রশিদের দাদু। মামা উস্তাদ গুলাম মুস্তাফা খাঁ সাহিবের কাছেও সঙ্গীতের পাঠ নিয়েছেন রশিদ। কৈশোরে পা দেওয়ার আগেই রশিদ চলে আসেন কলকাতায়। তার পর থেকে এই শহরই হয়ে ওঠে তাঁর ঘরবাড়ি। জীবনে বহু পুরস্কার পেয়েছেন রশিদ। এর মধ্যে রয়েছে সঙ্গীত নাটক অ্যাকাডেমি পুরস্কার, বঙ্গবিভূষণ এবং পদ্মশ্রী সম্মান। বলিউড এবং টলিউডের বহু ছবিতেই গান গেয়েছে রশিদ (Ustad Rashid Khan)।

    “শিল্পীদের প্রতি ঈশ্বরের ইঙ্গিত থাকে”

    রশিদের কণ্ঠের জাদুতে মজেছিল কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী। প্রয়াত চলচ্চিত্রকার ঋতুপর্ণ ঘোষ তাঁর সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে বলেছিলেন, “ভূমণ্ডলের দীপ্যতম সুরগন্ধর্ব”। ভীমসেন জোশী বলেছিলেন, “ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীত তার ভবিষ্যৎ পেয়ে গিয়েছে।” এই ভীমসেনের বাড়িতেই গান গেয়ে ১০ হাজার টাকা নজরানা পেয়েছিলেন রাশিদ। তিনি টাকা নিতে চাননি। একপ্রকার জোর করেই রশিদকে টাকা দিয়েছিলেন ভীমসেন। ঈশ্বরে বিশ্বাসী রশিদ বিশ্বাস করতেন, “শিল্পীদের প্রতি ঈশ্বরের ইঙ্গিত থাকে।” সেই ইঙ্গিতেই গানবাজনা করেন তাঁর মতো শিল্পীরা।

    আরও পড়ুুন: চালকল মালিকদের থেকে নিজেই কমিশন নিতেন জ্যোতিপ্রিয়! দাবি ইডি-র

    রশিদ বলতেন, “আমার গুরু উস্তাদ নিসার হুসেন সব সময় বলতেন, আর যাই করো, ভুলেও কাউকে কোনও দিন হিংসে কোরো না। হিংসে করলে সঙ্গীতের মৃত্যু অনিবার্য। সাধনা করতে করতেই গায়কি তৈরি হয়। সঙ্গীত দিল আর দিমাগের কাজ। ওখান থেকেই একটা সোচের জন্ম হয়। ওই সোচই আমায় দিয়ে নানারকম কাজ করিয়ে নেয়।” রশিদ সত্যিই ছিলেন ‘সুরগন্ধর্ব’। এহেন গন্ধর্বই অকালে চলে গেলেন সুরলোকে। ভূমণ্ডল নয়, তিনি চিরতরে হয়ে গেলেন নভঃমণ্ডলের বাসিন্দা (Ustad Rashid Khan)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ration Scam: চালকল মালিকদের থেকে নিজেই কমিশন নিতেন জ্যোতিপ্রিয়! দাবি ইডি-র

    Ration Scam: চালকল মালিকদের থেকে নিজেই কমিশন নিতেন জ্যোতিপ্রিয়! দাবি ইডি-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেশন দুর্নীতিতে (Ration Scam) সরাসরি যুক্ত রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। ইডির দাবি, নিজেই কাটমানি নিতেন মন্ত্রী। বন দফতরে বসে কৃষকদের সঙ্গে ধান কেনার চুক্তি করেছিলেন জ্যোতিপ্রিয়। এমনকী চালকল মালিকদের থেকে নিয়মিত ‘কাটমানি’ নিতেন তিনি। প্রতি কুইন্টালে ২০ টাকা করে ‘কাটমানি নেওয়া হত’ বলে ইডির দাবি। 

    ধান কেনার চুক্তিপত্র

    ইডি সূত্রে খবর, প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, বনমন্ত্রীর পদে আসার পরও সমানভাবেই দুর্নীতি (Ration Scam) চালিয়ে যেতেন। বন দফতরে বসে কৃষকদের সঙ্গে ধান কেনার চুক্তি করেছিলেন তিনি। বন দফতরের তল্লাশি চালিয়ে কৃষকদের থেকে সরাসরি ধান কেনার প্রায় ১০০টি চুক্তিপত্র মিলেছে, বলে দাবি ইডির। ধান কেনাবেচায় মন্ত্রী নিজেই কমিশন নিতেন। সমস্ত রাইস মিল মালিকদের এই কমিশন দিতে হত। প্রতি কুইন্টালে ২০ টাকা কমিশন নিতেন জ্যোতিপ্রিয়। কৃষি সমবায় সমিতির মাধ্যমে মন্ত্রীর কাছে পৌঁছে যেত কমিশন। আদালতের রিপোর্টে বিস্ফোরক দাবি করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

    নিয়মিত ‘কাটমানি’ সংগ্রহ

    খাদ্যমন্ত্রীর পদে বসে থেকে চালকল মালিকদের কাছ থেকে নিয়মিত ‘কাটমানি’ নিতেন জ্যোতিপ্রিয়। রেশন বণ্টন (Ration Scam) মামলায় রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রীর গ্রেফতারির পরেই জানা গিয়েছিল এই খবর। আদালতের শুনানিতেও এই দাবিই বহাল রাখল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। খাদ্যমন্ত্রী হিসাবে পদাধিকার বলে ওই দফতরেরই অধীনস্থ ‘পশ্চিমবঙ্গ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী সরবরাহ সংস্থা’র চেয়ারম্যান ছিলেন জ্যোতিপ্রিয়। ওই সংস্থার মাধ্যমেই চলত কাটমানি দেওয়া-নেওয়া। কুইন্টাল পিছু খাদ্যশস্যে এই ‘কাটমানি’ জ্যোতিপ্রিয় এবং তাঁর সঙ্গীরা নিয়মিত নগদে নিয়ে থাকতেন বলেও আদালতে দাবি করেছে ইডি।

    আরও পড়ুন: সহায়ক মূল্যে চাষিদের পরিবর্তে ব্যবসায়ীদের থেকে ধান কেনা হচ্ছে! চাঞ্চল্য

    মূল চাঁই বাকিবুর

    এক দশকেরও বেশি সময় ধরে উত্তর ২৪ পরগনা এবং নদিয়ার বহু চাল এবং আটাকলে রেশন দুর্নীতির (Ration Scam) সিন্ডিকেট চলেছে বলে প্রথম থেকেই সন্দেহ ছিল ইডির। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটির তদন্তকারীরা তখনই দাবি করেছিলেন, এই সিন্ডিকেটের অন্যতম চাঁই ছিলেন ধৃত ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমান। এ বার সেই সম্পর্কিত একাধিক তথ্য জমা করল ইডি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, ২০২১ সালের পয়লা ডিসেম্বর থেকে গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর— এই ২২ মাসের সময়কালে বাকিবুরের ‘মেসার্স এনপিজি রাইস মিল প্রাইভেট লিমিটেড’ একাই তার ডিস্ট্রিবিউটর বা সরবরাহকারীদের কাছে নির্ধারিত পরিমাণের চেয়ে ১ লক্ষ ৪২ হাজার ৫০০ কুইন্টালেরও বেশি আটা (১,৪২,৫০০.৯৯৯৫ কুইন্টাল) কম সরবরাহ করেছে। যা মোট নির্ধারিত পরিমাণের ২৫.৫৫ শতাংশ। অর্থাৎ, যত আটা সরবরাহ করার কথা, তার চার ভাগের এক ভাগ আটা সরবরাহই করা হয়নি। অথচ, সেই বাবদ টাকা কিন্তু সরকার দিয়েছে। ইডির তদন্তে উঠে এসেছে যে, বাকিবুর চাল এবং আটার দুর্নীতির মাধ্যমে নগদে ৯০০ কোটিরও বেশি অর্থ কামিয়েছেন। যে দুর্নীতিলব্ধ অর্থের একটি অংশ তিনি পাঠিয়েছিলেন তৎকালীন খাদ্য এবং সরবরাহ মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের কাছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Rashid Khan: অত্যন্ত সঙ্কটজনক শিল্পী উস্তাদ রশিদ খান, রাখা হয়েছে ভেন্টিলেশনে

    Rashid Khan: অত্যন্ত সঙ্কটজনক শিল্পী উস্তাদ রশিদ খান, রাখা হয়েছে ভেন্টিলেশনে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সঙ্গীতশিল্পী উস্তাদ রশিদ খানের খুবই আশঙ্কাজনক। স্বাস্থ্যের গুরুতর অবনতি হওয়ায় ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (আইসিইউ)-এর ভেন্টিলেশনে দেওয়া হয়েছে গায়ককে। রাখা হয়েছে অক্সিজেনের সাহায্যে। বছরের শেষে কিছুটা চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছিলেন শিল্পী (Rashid Khan)। কিন্তু নতুন বছর শুরু হতেই আচমকা মঙ্গলবার সকালে তাঁর অবস্থার অনেকটা অবনতি হয়। প্রসঙ্গত, বেশ কয়েকদিন হয়ে গেল হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন শিল্পী। বছরের শেষে যদিও তাঁর স্বাস্থ্যের অনেকটাই উন্নতি হয়েছিল। এই খবর শুনে চাঙ্গা হয়ে উঠেছিল তাঁর ভক্ত মহলও। সেসময় হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, চিকিৎসায় ভালোই সাড়া দিচ্ছেন গায়ক। এর মধ্যে তাঁকে রাইলস টিউব দিয়ে তাঁকে খাওয়ানোও শুরু হয়। তবে তখনই হাসপাতালের তরফে  শোনা গিয়েছিল, স্ট্রোকের ফলে তাঁর বাঁ দিক পক্ষাঘাতগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কাও ছিল।

    মাসখানেকের বেশি সময় ধরে হাসপাতালে ভর্তি রশিদ খান

    মাসখানেকেরও বেশি সময় ধরে শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের নামকরা শিল্পী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে রয়েছেন। পরিবার সূত্রে খবর, অতীতে তাঁর প্রস্টেটে ক্যানসারও হয়েছিল। সেখান থেকে ধীরে ধীরে তিনি বেশ সুস্থও হয়ে উঠছিলেন। তার মধ্যেই তাঁর মস্তিষ্কে একাধিক বার রক্তক্ষরণ (স্ট্রোক) হয় তাঁর।  এর পরই তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় পরিবারের তরফে। সেই থেকে তিনি চিকিৎসাধীন রয়েছেন হাসপাতালে। তাঁর (Rashid Khan) ভক্তরাও এখন উৎকণ্ঠায় দিন কাটাচ্ছেন। তার মধ্যেই ফের স্বাস্থ্যের অবনতির খবর মিলল। হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছিল, ‘‘শিল্পীর (Rashid Khan) অবস্থা অতি সঙ্কটজনক। তাঁকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে।’’ হাসপাতাল সূত্রে খবর, তাঁকে স্নায়ুচিকিৎসকেরা দেখছেন। মেডিসিন এবং ক্যানসারের চিকিৎসকদের একটি দলও তাঁকে পর্যবেক্ষণে রেখেছে সর্বক্ষণ।

    সংক্ষিপ্ত পরিচয়

    উস্তাদ রশিদ খানের জন্ম আদতে উত্তরপ্রদেশের বাদাউনে। অল্পবয়স থেকেই তিনি সঙ্গীত পরিবারে বেড়ে উঠেছেন। উস্তাদ গুলাম মুস্তাফা খানের ভাইপো তিনি। তাঁর কাকাই প্রথম শিল্পীকে (রশিদ খান) মুম্বই নিয়ে যান। সেখানে গানের তালিম নেন রশিদ খান। জানা যায় পরবর্তীকালে উস্তাদ নিসার হুসেন খানের কাছে বাড়িতেই গানের তালিম নিতে থাকেন তিনি। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: সপ্তাহান্তে নামবে তাপমাত্রার পারদ! কী বলছে আলিপুর হাওয়া অফিস?

    Weather Update: সপ্তাহান্তে নামবে তাপমাত্রার পারদ! কী বলছে আলিপুর হাওয়া অফিস?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের একবার শীতের ঝোড়ো ইনিংস শহরে। পৌষ সংক্রান্তিতে জাঁকিয়ে শীত পড়তে পারে। আলিপুর হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, সপ্তাহান্তে কলকাতার তাপমাত্রা ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে থাকতে পারে। আগামী দুই থেকে তিন দিন একই রকম থাকবে তাপমাত্রা। বৃহস্পতিবার থেকে রাজ্যে হাওয়া বদলের সম্ভাবনা রয়েছে।

    সপ্তাহের শেষে শীত

    চলতি বছর সেভাবে শীতের দাপট অনুভূত হয়নি। বারবার বাধা প্রাপ্ত হয়েছে শীত। তবে পৌষের শেষে ফের একবার ঝোড়ো ব্যাটিং করতে পারে হিমেল হাওয়া। সপ্তাহের শেষে শহরে পারদ পতনের সম্ভাবনা রয়েছে। দুই থেকে তিন ডিগ্রি নামতে পারে তাপমাত্রার পারদ। বাড়তে পারে উত্তুরে হাওয়ার দাপট। কলকাতায় আপাতত বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই বলেই জানাচ্ছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। নতুন করে একটি শীতের স্পেল আসতে পারে। চার থেকে পাঁচ দিনের একটি ঝোড়ো ইনিংস খেলতে পারে আবহাওয়া। জানুয়ারি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে জাঁকিয়ে পড়তে পারে ঠান্ডা। 

    আরও পড়ুন: ‘‘সম্পত্তির হিসেব কি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করতে পারবেন অভিষেক?’’ প্রশ্ন বিচারপতির

    শহরে হিমেল হাওয়া

    আজকে তিলোত্তমায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি, যা কি না স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি ওপরে। এদিকে সকালের দিকে কুয়াশা থাকলেও বেলা গড়াতেই আকাশ পরিষ্কার হয়ে যাবে। বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতার সর্বোচ্চ পরিমাণ থাকতে পারে ৯০ শতাংশের আশেপাশেই। আলিপুর হাওয়া অফিসের সর্বশেষ বুলেটিন অনুযায়ী, ১০ এবং ১১ জানুয়ারি কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকবে। এরপর ১২ জানুয়ারি থেকে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আরও কিছুটা নেমে ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে ঘোরাফেরা করতে পারে বলে জানা গিয়েছে। এদিকে এই ক’দিন কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৪ থেকে ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে ঘোরাফেরা করবে বলে দাবি করা হয়েছে আলিপুর হাওয়া অফিসের বুলেটিনে। সকালের দিকে হালকা কুয়াশা থাকবে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আকাশ পরিষ্কার হয়ে যাবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • Abhijit Ganguly: ‘‘সম্পত্তির হিসেব কি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করতে পারবেন অভিষেক?’’ প্রশ্ন বিচারপতির

    Abhijit Ganguly: ‘‘সম্পত্তির হিসেব কি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করতে পারবেন অভিষেক?’’ প্রশ্ন বিচারপতির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) এত সম্পত্তির উৎস কী? প্রশ্ন তুললেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায় (Justice Abhijit Ganguly)। অভিষেক তাঁর সম্পত্তির শ্বেতপত্র প্রকাশ করুক বলেও দাবি করেছেন তিনি। সোমবার সন্ধেয় সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে একথা বলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি। তিনি জানান, শুধু অভিষেক নন, নেতাদের কার কত সম্পত্তি রয়েছে? কোন নেতার সম্পত্তির উৎস কী? তা জানতে চান সাধারণ মানুষ।

    কী বললেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

    বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly) বলেন, “একজন নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর এত সম্পত্তি কোথা থেকে আসে? তাঁর সম্পত্তি কত, সেটা কি একটি হলফনামা তৈরি করে কি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করবেন অভিষেক?” অভিষেককে (Abhishek Banerjee) সম্পত্তির খতিয়ান সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করতে অনুরোধ করার সময় বিচারপতি বলেন, “আমরা দেখতে চাই। সাধারণ মানুষ হিসেবে আমরা দেখতে চাই, যে কার কত সম্পত্তি আছে। কে কত সম্পত্তি করেছেন। কার সম্পত্তি করার কতটা উৎস ছিল।” এরপরই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বললেন, “এটা কি করতে পারবেন? পারবেন বলে মনে হয় না।”

    সুপ্রিম দুয়ারে আবেদন

    এর আগেও দুর্নীতির তদন্ত আটকানোর জন্য রাজ্য সরকার কতো টাকা খরচা করছেন সুপ্রিম কোর্ট গিয়ে তার হিসাব চেয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly)। এদিন সেই একই কথার পুনরাবৃত্তি করেন তিনি। রাজ্য সরকার একাধিক মামলায় অর্থ খরচ করে সুপ্রিম কোর্টে গিয়ে মামলার তদন্ত আটকাতে চাইছেন বলে দাবি করেন বিচারপতি। আগামী দিনে তিনি বিষয়টি অফিসিয়ালি জানতে চাইবেন বলেও জানান। অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “আমার এখন মাঝে মাঝে মনে হয়, একদল চোর বিরাট বিরাট উকিলদের দাঁড় করিয়ে আবেদন করছেন, আমরা চৌর্যবৃত্তি করে বাঁচি। আমাদের সম্পত্তি সব চৌর্য বৃত্তি করে করা। যদি এটা বন্ধ হয়ে যায় তাহলে আমাদের জীবন এবং জীবিকার অসুবিধা হবে। সেটা ভারতীয় সংবিধানের ২১ নম্বর ধারাকে লঙ্ঘন করবে। সুতরাং আমাদের অবাধে চুরি করতে অধিকার দেওয়া হোক।” 

    আরও পড়ুন: অভিষেকের ‘শ্রদ্ধার্ঘ্য’ কর্মসূচিতে খরচ কোটি-কোটি, উৎস কী? আয়করকে চিঠি শুভেন্দুর

    লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস মামলায় আগেও প্রশ্নের মুখে পড়েছিলেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বিচারপতি অমৃতা সিনহা মন্তব্য করেছিলেন, ‘‘তিনি একজন সাংসদ, অথচ ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নেই। এটা দেখে আশ্চর্য হলাম।’’ 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali Incident: কলকাতায় এলেন ইডি ডিরেক্টর, মঙ্গলে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক, বড় পদক্ষেপের ইঙ্গিত?

    Sandeshkhali Incident: কলকাতায় এলেন ইডি ডিরেক্টর, মঙ্গলে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক, বড় পদক্ষেপের ইঙ্গিত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali Incident) এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate) আধিকারিকদের ওপর হামলার ঘটনার পর পরবর্তী পদক্ষেপ কী নেওয়া হবে, তা স্থির করতে রাজ্যে এলেন সংস্থার ডিরেক্টর রাহুল নবীন। সোমবার রাতে কলকাতায় পা রাখেন তিনি। তাঁর সঙ্গে এসেছেন আরও কয়েকজন উচ্চ পদস্থ অফিসার। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার সকালে সল্টলেকের ইডি দফতরে শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করে পরবর্তী পদক্ষেপের ব্লু-প্রিন্ট তৈরি করবেন।

    সন্দেশখালি ও বনগাঁয় ইডি-র ওপর হামলা

    রেশন দুর্নীতির তদন্তে নেমে শুক্রবার উত্তর ২৪ পরগনায় হানা দিয়েছিলেন ইডি আধিকারিকরা। প্রথমে সকালে সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali Incident) এবং বিকেলে ওই জেলারই বনগাঁয় একইদিনে দু’বার আক্রান্ত হতে হয় ইডিকে। ওইদিন ভোরে সন্দেশখালিতে তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশিতে গিয়েছিল ইডি (Enforcement Directorate)। সেইসময় তাঁদের ঘিরে ধরে প্রায় হাজার খানেক মানুষ। ইডি ও বাহিনীর ওপর চলে হামলা। গাড়িতে ভাঙচুর করা হয়। হামলার ঘটনায় মাথা ফাটে তিনজন ইডি অফিসারের। অন্যদিকে, রাতে বনগাঁয় তৃণমূল নেতা শঙ্কর আঢ্যকে গ্রেফতার করার পর ইডির গাড়িতে হামলা চালানো হয়।

    এখনও বেপাত্তা শেখ শাহজাহান… 

    এদিকে, ঘটনার পর থেকেই বেপাত্তা জেলবন্দি প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত সন্দেশখালির (Sandeshkhali Incident) দাপুটে তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান। কখনও জানা যাচ্ছে, তিনি বাংলাদেশে গা ঢাকা দিয়েছেন। আবার কখনও শোনা যাচ্ছে, তিনি সুন্দরবন অঞ্চলে কোথাও একটা ঘাপ্টি মেরে বসে রয়েছেন। তাঁর খোঁজে আইবি এবং বিএসএফের সাহায্য নিচ্ছে ইডি (Enforcement Directorate), এমনটাই খবর সূত্রের। সন্দেশখালির ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। ঘটনার পর চারদিন কেটে গেলেও, এখনও কেন শেখ শাহজাহান গ্রেফতার হল না, সেই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।

    কোনও বড় অভিযানের অপেক্ষায় ইডি?

    সন্দেশখালি (Sandeshkhali Incident) ও বনগাঁ— এই জোড়া হামলার ঘটনায় রাজ্য রাজনীতিতে তো বটেই, আলোড়ন ফেলে দেয় কেন্দ্রীয় রাজনীতিতেও। হামলার পর, ইডি বিষয়টা চ্যালেঞ্জ হিসেবেই নিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে, সংস্থাক শীর্ষ কর্তার রাজ্যে আগমন ইঙ্গিতবাহী। সূত্রের খবর, আজকের বৈঠকে শাহজাহানকে পাকড়াও করার পাশাপাশি, এই দুর্নীতিকাণ্ডে শিকড়ে পৌঁছতে যা যা করণীয় এবং তার জন্য তদন্তকারী সংস্থার যা যা প্রয়োজন— সব কিছুই দেওয়ার আশ্বাস নিয়ে হাজির হয়েছেন রাহুল নবীন। ইডি (Enforcement Directorate) আধিকারিকদের কার্যত ‘ফ্রি-হ্যান্ড’ দিতে পারেন, যাতে তাদের মনোবল চাঙ্গা হতে পারে। সিজিও কমপ্লেক্স চত্বরে জোর জল্পনা— শীঘ্রই কোনও বড় পদক্ষেপ করতে পার ইডি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: অভিষেকের ‘শ্রদ্ধার্ঘ্য’ কর্মসূচিতে খরচ কোটি-কোটি, উৎস কী? আয়করকে চিঠি শুভেন্দুর

    Abhishek Banerjee: অভিষেকের ‘শ্রদ্ধার্ঘ্য’ কর্মসূচিতে খরচ কোটি-কোটি, উৎস কী? আয়করকে চিঠি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সরকারি প্রকল্প হিসেবে বার্ধক্য ভাতা চালু রয়েছে। তবে তাঁর নিজের লোকসভা কেন্দ্রের জন্য চলতি জানুয়ারি মাস থেকে আলাদাভাবে আলাদা বার্ধক্য ভাতা চালুর কথা বলেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রকল্পের নাম রাখা হয়েছিল ‘শ্রদ্ধার্ঘ্য’। যে সমস্ত প্রবীণ ব্যক্তি বার্ধক্য ভাতা পাচ্ছেন না, তাঁদের প্রতি মাসে হাজার টাকা করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড। তিনি যে বিপুল সংখ্যক মানুষকে বার্ধক্য ভাতা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন, তাতে দেখা যাচ্ছে প্রতি মাসে খরচ হবে সাড়ে ৭ কোটিরও বেশি। এ নিয়েই প্রশ্ন তুললেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। নন্দীগ্রামের বিধায়কের অভিযোগ, এই কর্মসূচির নাম করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের চুরির টাকা বিলি করছেন। তিনি এ নিয়ে ইতিমধ্যে আয়কর দফতরের গোয়েন্দা এবং ফৌজদারি বিভাগে চিঠিও পাঠিয়েছেন।

    চিঠিতে কী লিখলেন শুভেন্দু?

    আয়কর দফতরে লেখা চিঠিতে বিরোধী দলনেতা জানিয়েছেন, সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ১৬ হাজার ৩৮০ জন বড় হৃদয়ের স্বেচ্ছাসেবককে পেয়েছেন, যাঁরা প্রতি মাসে চার থেকে পাঁচ হাজার টাকা ডোনেশন দিতে সম্মত হয়েছেন অনির্দিষ্টকালের জন্য। প্রসঙ্গত, ১৬ হাজার ৩৮০ জন স্বেচ্ছাসেবকের ওপর ভার ছিল প্রবীণদের খুঁজে বের করার। ওই চিঠিতে শুভেন্দু আরও জানিয়েছেন, কয়লা পাচার এবং শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে ইডি এবং সিবিআইয়ের তদন্তের আওতায় রয়েছেন ওই সাংসদ। মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপো হওয়ার সুবাদে তিনি রাজ্য প্রশাসনের উপর প্রভাব বিস্তার করার ক্ষমতা রাখেন।

    উঠছে প্রশ্ন

    বিভিন্ন মহলের মতে, বার্ধক্য ভাতা, বিধবা ভাতার মতো প্রকল্পগুলি সরকারি প্রকল্প, এসব বাদ দিয়ে কোনও জনপ্রতিনিধি কীভাবে মানুষকে টাকা বিলি করতে পারেন। এভাবে টাকা বিল করা যায় না। নির্বাচনের সময়ে টাকা বিলি করাকে আদর্শ আচরণবিধি লঙ্ঘনের তালিকায় ফেলা হয়। অথচ অভিষেকে বলছেন তাঁর কর্মসূচির মাধ্যমে প্রতি মাসেই মিলবে টাকা। এই টাকার উৎস নিয়েই প্রশ্ন তুলছেন বিরোধী নেতৃত্বরা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ED: সন্দেশখালিকাণ্ডে বিবৃতি জারি ইডির, কী বলল জানেন?

    ED: সন্দেশখালিকাণ্ডে বিবৃতি জারি ইডির, কী বলল জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিতে তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়ে জখম হয়েছিলেন ইডির (ED) দুই কর্তা। জখম হয়েছিলেন সিআরপিএফের দুই জওয়ানও। শুক্রবার সকালের ওই ঘটনার পরে ওই দিনই সন্ধেয় বনগাঁয় গিয়েও প্রায় একইরকম পরিস্থিতির মুখে পড়েন ইডির আধিকারিকরা।

    ইডির বিবৃতি

    ঘটনায় মুখ পুড়েছে তৃণমূলের। তা সত্ত্বেও রাজ্যের শাসক দলের সাফাই ছিল, পুলিশকে না জানিয়ে যাওয়ায়ই ঘটনাটি ঘটেছে। সোমবার ওই ঘটনায় বিবৃতি জারি করেছে ইডি। সন্দেশখালির ঘটনায় পুলিশের পদক্ষেপ নিয়েও প্রশ্ন তুলছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এই সংস্থা। ইডির প্রেস বিবৃতিতে বলা হয়েছে, শুক্রবার সকাল ৮টি ৪৬ মিনিটে ই-মেইল মারফত অভিযানের বিষয়টি জানানো হয় বনগাঁর পুলিশকে। বিকেল ৪টে নাগাদ পুলিশ সুপারের সঙ্গে ফোনেও যোগাযোগ করা হয়।

    এফআইআরের প্রতিলিপি মেলেনি

    তাঁদের কাছে ইডি আধিকারিকদের নিরাপত্তা চাওয়া হয়। তার পরেও যে জায়গায় তল্লাশি চলছিল, রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ সেখানে বড় জমায়েত হয়। পরে ইডি ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। ইডি জানিয়েছে, ওই ঘটনায় কোনও ইডি আধিকারিক আক্রান্ত হননি। কেন্দ্রীয় সংস্থার গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঘটনার প্রেক্ষিতে বনগাঁ থানায় অভিযোগও দায়ের করা হয়েছিল। এফআইআরের প্রতিলিপি তারা এখনও হাতে পায়নি। সন্দেশখালিকাণ্ডে ন্যাজাট থানায় যে এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল, তার প্রতিলিপিও হাতে আসেনি।

    আরও পড়ুুন: মোদির প্রতি বিরূপ মন্তব্য, মলদ্বীপ ভ্রমণ বাতিল করছেন ভারতীয়রা

    এদিকে, সন্দেশখালিকাণ্ডে কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রককে রিপোর্ট দিয়েছে ইডি (ED)। আবার সিআরপিএফের মাধ্যমেও ঘটনার বিস্তারিত রিপোর্ট পৌঁছছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছে। ইডি এবং সিবিআই যৌথভাবে রিপোর্ট দিয়েছে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে। তিনি রিপোর্ট পাঠাবেন রাষ্ট্রপতিকে। এদিকে, শাহজাহানকে ধরতে নবান্নের ওপর তৈরি হচ্ছে চাপ। শাহজাহানের গতিবিধি জানতে ও তাকে ধরতে সীমান্ত রক্ষী বাহিনী ও তাদের গোয়েন্দা সংস্থাকে বাড়তি দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার সন্দেশখালিতে শাহজাহনের বাড়িতে তল্লাশি করতে গিয়ে আক্রান্ত হন ইডির দুই কর্তা। তাঁদের লক্ষ্য করে ছোড়া হয় ইটের টুকরো। এর (ED) পরেই লাঠিচার্জ করেন নিরাপত্তা রক্ষীরা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

      

     

LinkedIn
Share