Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Suvendu Adhikari: কামদুনির রায় ‘অপ্রত্যাশিত’, বললেন শুভেন্দু! ‘পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার প্রমাণ’, মত সুকান্তর

    Suvendu Adhikari: কামদুনির রায় ‘অপ্রত্যাশিত’, বললেন শুভেন্দু! ‘পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার প্রমাণ’, মত সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কামদুনি গণধর্ষণ ও খুনের (Kamduni Gang Rape) মামলায় নির্যাতিতার পরিবারকে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার ক্ষেত্রে সব রকম সাহায্যের আশ্বাস দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। কামদুনিকাণ্ডে হাইকোর্টের রায় ‘সামগ্রিকভাবে প্রত্যাশিত নয়’, বলে জানালেন শুভেন্দু। নির্যাতিতার পরিবারের জন্য রাজ্য সরকারের কাছে নিরাপত্তা দাবি করলেন তিনি।

    কী বললেন বিরোধী দলনেতা

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গের একজন নাগরিক হিসাবে এই রায়কে স্বাগত জানানোর কোনও প্রশ্ন নেই। এই রায় অপ্রত্যাশিত। আমি কামদুনির (Kamduni Gang Rape) বোনেদের বলব, রায়ের কপি তুলে তাদের সুপ্রিম কোর্টে যাওয়া উচিত। সেক্ষেত্রে তাঁরা যদি রাজ্যের বিরোধী দলনেতার আইনি বা আর্থিক সাহায্য যদি চান, আমি সম্পূর্ণ তৈরি। অনেক প্রবীণ আইনজীবীর সঙ্গে আমার যোগাযোগ রয়েছে, অনুরোধ করলে তাঁরাও বিনা পারিশ্রমিকে এই মামলা লড়তে পারেন।’’ রাজ্য সরকারের কাছে বিরোধী দলনেতার অনুরোধ,  ‘‘অবিলম্বে নির্যাতিতার পরিবারের নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হোক। কারণ খালাস পেয়ে যাওয়ার পরে এই অপরাধীরা, বোনদের পরিবারের সার্বিক ক্ষতি করবে না, এই গ্য়ারান্টি কেউ দিতে পারে না। তাদের আচরণ কোনও সভ্য, সুস্থ মানুষের মতো নয়।’’

    আরও পড়ুন: সিকিম বিপর্যয়ের পর খোঁজ নেই তথ্য প্রযুক্তি কর্মী সহ তিন বন্ধুর, দুশ্চিন্তায় পরিবার

    সুকান্তর দাবি

    প্রসঙ্গত, কামদুনিকাণ্ডে (Kamduni Gang Rape) ‘লঘু দণ্ড’ দিয়েছে আদালত, বলে দাবি অভিজ্ঞ মহলের। নিম্ন আদালতে দোষীর ফাঁসির সাজা হয়েছিল, তাকে বেকসুর খালাস করার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। ফাঁসির বদলে আমৃত্যু কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বাকি দু’জনকে। এই রায় প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের দাবি, বিচারের নামে প্রহসন হয়েছে। গ্রেফতার হওয়া অপরাধীর বিরুদ্ধে উপযুক্ত তথ্য প্রমাণ আদালতে পেশ করা পুলিশের কাজ। তা ঠিকমতো হয়নি। মহিলা মোর্চার তরফে আন্দোলনে নামার পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার চিন্তাভাবনার কথাও শোনান সুকান্ত।

    রায় নিয়ে বিরোধীদের মত 

    বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষের বক্তব্য, দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তিই অনেকে চেয়েছিলেন। ফলে এই রায়ে সকলে খুশি হবেন না। শঙ্কর ঘোষ বলেন, “আদালতের রায় যেহেতু, এ নিয়ে কিছু না বলে শুধু বলতে চাই বিচার প্রক্রিয়া বিশেষ করে পুলিশি তদন্তের ক্ষেত্রে কোনও সক্রিয়তার অভাব রয়ে গিয়েছিল কি? যার কারণে আজকে এই ধরনের নৃশংস অপরাধ সংগঠিত করার পরও কেউ কেউ খালাস হচ্ছে? এটা মানুষের মনে নিশ্চিতভাবে প্রশ্ন তুলবে।”

    আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির কথায়, “পুলিশের এক প্রকার নিষ্ক্রিয়তার কারণেই এই রায়টা হল। তৃণমূল যে অভিযুক্তদের পক্ষে মিছিল করেছে, পুলিশের কি আর সাহস হবে তাদের বিরুদ্ধেই ঠিকমতো চার্জশিট গঠন করার, প্রমাণ ঠিকমতো দাখিল করার। পুলিশের ভিতরে ঢুকলে অনেক কিছুই বোঝা যায়। আমি তো ৪২ দিন জেলে ছিলাম। লকআপে থেকে অনেক জ্ঞানই অর্জন করেছি। পুলিশ চাইলে অনেক কিছুই করতে পারে।”

    বিস্ফোরক মৌসুমি-টুম্পা

    টুম্পা কয়াল বলেন, ‘এখনও পর্যন্ত ১৪ জন আইনজীবী আমাদের মামলা থেকে সরে গিয়েছেন। তখনই আমরা আন্দাজ করেছিলাম এমন কিছু হবে। সরকার আমাদের কথা দিয়েছিল যে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হবে। একদিকে সরকার আমাদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, অন্যদিকে দোষীদের বাঁচানোর চেষ্টা করেছে। কারণ সরকারি আইনজীবী একের পর এক টাকা নিয়ে তাঁরা বিক্রি হয়ে গিয়েছেন।’

    চিৎকার করে মৌসুমী বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আপনি শুনতে পাচ্ছেন, আপনিই কামদুনি গিয়ে বলেছিলেন, ১৫ দিনে চার্জশিট আর ৩০ দিনে সাজা ঘোষণা, সরকারি উকিল এই মামলা লড়বে! রেপ কেসকে আপনি দরদাম করেছিলেন! কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে আপনার সেই রেটের দামের মূল্য আজকে দিতে হল! সরকারি উকিল, পুলিশ প্রশাসন সব টাকার বিনিময়ে বিক্রি হয়ে গেছে। বিচার দিতে পারলেন না আপনি!”

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Justice Abhijit Gangopadhyay: “প্রয়োজনে সিবিআইকে তদন্তভার দিতে পারি”, আইন কলেজকাণ্ডে মন্তব্য বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

    Justice Abhijit Gangopadhyay: “প্রয়োজনে সিবিআইকে তদন্তভার দিতে পারি”, আইন কলেজকাণ্ডে মন্তব্য বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “এটা একটা বৃহত্তর ষড়যন্ত্র। তদন্ত করে দেখতে হবে। প্রয়োজনে সিবিআইকে তদন্তভার দিতে পারি।” যোগেশচন্দ্র চৌধুরী ল কলেজের অধ্যক্ষ ও অধ্যাপকের বেআইনি নিয়োগ মামলায় এমনই মন্তব্য করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay)। বৃহস্পতির পর ফের শুনানি হয় শুক্রবারে। তখনই সিবিআই তদন্তের ইঙ্গিত দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।

    অপসারণের নির্দেশ বিচারপতির

    ইউজিসি নির্ধারিত যোগ্যতা না থাকায় বৃহস্পতিবার ওই ল কলেজের অধ্যক্ষ সুনন্দা ভট্টাচার্য গোয়েনকা এবং অধ্যাপক অচিনা কুন্ডুকে অপসারণের নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। আদালতের পর্যবেক্ষণ, ইউজিসি নির্ধারিত যোগ্যতা তাঁদের নেই। তিনি বলেন, ওই দুই ব্যক্তি যদি তাঁদের যোগ্যতা সম্পর্কে আদালতকে সন্তুষ্ট করতে পারেন, তাহলে পুনর্বহাল করা হবে।

    গুরুতর অভিযোগ শিক্ষা দফতরেরও

    সুনন্দা ও অচিনার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছে রাজ্যের শিক্ষা দফতরও। একুশ, বাইশ এবং তেইশ সালে তাঁদের বেতন বন্ধ ও বিভাগীয় তদন্তের জন্য কলেজের গভর্নিং বডিকে সুপারিশ করেছিল শিক্ষা দফতর। গভর্নিং বডি সেই সুপারিশ কার্যকর করেনি। আদালত (Justice Abhijit Gangopadhyay) নিযুক্ত স্পেশাল অফিসারের দাবি, গভর্নিং বডির সভাপতির উদ্দেশে সুপারিশপত্র পাঠানো হলেও, তা পৌঁছত সচিবের হাতে। সুনন্দা ছিলেন গভর্নিং বডির বর্তমান সচিব।

    আরও পড়ুুন: রোগীর রক্তচাপ মাপছেন সিভিক ভলান্টিয়ার! রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে কটাক্ষ সুকান্তর

    এদিনের শুনানিতে অচিনার অপসারণের নির্দেশ বহাল রাখেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। আদালতের পর্যবেক্ষণ, কলেজে শিক্ষকতার জন্য ইউজিসির নির্ধারিত যোগ্যতা তাঁর নেই। তাই তাঁর অপসারণের নির্দেশ বহাল থাকবে। রাজ্যের ও পুলিশের রিপোর্ট দেখার পর বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “এ তো তিনজনে (মানিক ভট্টাচার্য, সুনন্দা এবং অচিনা) মিলে যা খুশি করেছেন। অন্দরমহলে রাজা ধন ছড়াচ্ছেন আর কুড়োচ্ছে কে? রানি। তিনজন কলেজ চালাতেন। তিনজন মিলেই সব সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।”

    ওই অধ্যক্ষ কীভাবে বেতন পেতেন, তা জানতে কলেজ সার্ভিস কমিশনকে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছে আদালত।  এদিকে, হাইকোর্টের নির্দেশে স্পেশাল অফিসার অর্ক কুমার নাগ বৃহস্পতিবার রাতে এসে পুলিশ নিয়ে কোর্ট অর্ডারে অধ্যক্ষের ঘরে তালা ঝুলিয়ে সিল করে দিয়ে চলে যান। তাঁর রুমের দরজায় সাঁটিয়ে দেওয়া হয় অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Gangopadhyay) অর্ডারের কপি। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছেন ওই ল কলেজের সদ্য অপসারিত অধ্যক্ষ সুনন্দা ভট্টাচার্য গোয়েনকা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: রোগীর রক্তচাপ মাপছেন সিভিক ভলান্টিয়ার! রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে কটাক্ষ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: রোগীর রক্তচাপ মাপছেন সিভিক ভলান্টিয়ার! রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে কটাক্ষ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি পেশায় সিভিক ভলান্টিয়ার। যান শাসনের কাজে লাগানো হয় এই সিভিক ভলান্টিয়ারদের। ইদানিং লাগানো হচ্ছে হাসপাতালের প্রহরায়ও। এহেন এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে দেখা গেল রোগীর রক্তচাপ মাপতে! এ ছবি কোনও বেসরকারি হাসপাতালের নয়, সরকারি এক হাসপাতালের।

    ‘এগিয়ে বাংলার নিদর্শন’!

    এক্স হ্যান্ডেলে দক্ষিণ দিনাজপুরের কুশমণ্ডি গ্রামীণ হাসপাতালে রোগী পরিষেবার এই ভিডিও পোস্ট করে এমনই দাবি করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। সুকান্ত বলেন, “তৃণমূলের এগিয়ে বাংলার বিস্ময়কর নিদর্শন। এই ছবিই বলে দিচ্ছে কেমন বিশ্বমানের স্বাস্থ্য পরিষেবা দেয় তৃণমূল সরকার।” ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। 

    ‘রাজ্যবাসীর জীবন নিয়ে খেলছেন মুখ্যমন্ত্রী’

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, “রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে। চিকিৎসা ব্যবস্থা বলে কিছু নেই। সেই কারণে সিভিক ভলান্টিয়ারদের দিয়ে রক্তচাপ মাপানো হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের মানুষদের জীবন নিয়ে খেলছেন। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড করেও গরিব মানুষ বঞ্চিত হয়েছেন। সঠিক পরিষেবা পাচ্ছেন না। বেসরকারি হাসপাতালে গিয়ে ভর্তি হতে পারছেন না। এভাবে স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে ভেঙে ফেলার চেষ্টা করা হচ্ছে (Sukanta Majumdar)।

    হাসপাতালের সিএমওএইচ বলেন, “হাসপাতালে রোগীর চাপ সামলাতে অনেক ক্ষেত্রেই সিভিক ভলান্টিয়ারদের কাজে লাগানো হচ্ছে। প্রশাসনের নির্দেশেই সিভিক ভলান্টিয়ারদের কাজে লাগানো হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে ডাক্তারদের সাহায্য করতে প্রেসার মাপার যন্ত্র এগিয়ে দিয়েছেন ওই সিভিক ভলান্টিয়াররা।”

    আরও পড়ুুন: কামদুনি গণধর্ষণ মামলায় ফাঁসির সাজা রদ হাইকোর্টে, ‘‘রাজ্যের গাফিলতি’’, দাবি পরিবারের

    কুশমণ্ডি ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক অমিত দাস বলেন, “অতি উৎসাহবশত ওই দুই সিভিক ভলান্টিয়ার এ কাজ করেছে। কাজটি মোটেই সমর্থনযোগ্য নয়। এটা তাদের কাজও নয়।” দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক সুদীপ দাস বলেন, “আমি খোঁজ নিয়ে জেনেছি ওই সিভিক ভলান্টিয়াররা সাহায্য করেছেন। তাঁরা চিকিৎসা করেননি। চিকিৎসকের কাজে শুধু সাহায্য করেছেন। এই ঘটনা (Sukanta Majumdar) মানবিক।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Supreme Court: উপাচার্য নিয়োগের সার্চ কমিটিতে মুখ্যমন্ত্রীর নমিনি! রাজ্যের আবেদন খারিজ সুপ্রিম কোর্টে

    Supreme Court: উপাচার্য নিয়োগের সার্চ কমিটিতে মুখ্যমন্ত্রীর নমিনি! রাজ্যের আবেদন খারিজ সুপ্রিম কোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় রাজ্যের প্রস্তাব নাকচ করল সুপ্রিম কোর্ট। শুক্রবার এই মামলার শুনানি চলাকালীন রাজ্যের তরফ থেকে আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি আবেদন করেন, সুপ্রিম কোর্টের তত্ত্বাবধানে তৈরি সার্চ কমিটিতে মুখ্যমন্ত্রীর তরফে একজন নমিনি থাকুক। উচ্চ শিক্ষা কমিটির তরফে একজন নমিনি রাখার কথা বলা হয়। সেই প্রস্তাব সরাসরি খারিজ করে শীর্ষ আদালত স্পষ্ট বলে দেয়, “আমরা কোনও ইলেকশন কমিটি গঠন করছি না, সার্চ কমিটি গঠন করছি।”

    শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ

    রাজ্যের একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে চরমে ওঠে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত। তিনি কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের পডুয়াদের স্বার্থে কাজ করছেন, বলে দাবি করেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তাঁর উদ্দেশ্যকে লঘু না করে এদিন সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ ‘‘রাজ্যপালের সাংবিধানিক দায়িত্ব ও কর্তব্য রয়েছে। শিক্ষা ক্ষেত্রে বাংলার গৌরবময় ঐতিহ্যের কথা মাথায় রাখুন। মহামান্য রাজ্যপাল-আচার্যকে অনুরোধ তিনি সময় বের করে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে এক কাপ কফি নিয়ে আলোচনা করুন। ঐক্যমতের ভিত্তিতে উপাচার্য নিয়োগ সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করুন।’’ তবে, সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট করে দেয়, এই মামলায় পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত আর কোনও নিয়োগ করতে পারবেন না রাজ্যপাল।

    আরও পড়ুন: “রাজভবনের বাইরে ১৪৪ ধারা থাকার কথা”, অভিষেকের ধর্নাকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    আদালতে সওয়াল-জবাব

    গত ২১ অগাস্ট সুপ্রিম কোর্ট স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করার নির্দেশ দিয়েছিল। ১৫ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টই সার্চ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়। রাজ্য, রাজ্যপাল, ইউজিসি- তিন পক্ষকেই কমিটির জন্য প্রস্তাবিত নাম জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। এদিনের শুনানিতে রাজ্যপালের প্রস্তাবিত বিশেষজ্ঞ প্যানেলে ভি কে তিওয়ারির নাম অন্তর্ভুক্ত করা নিয়ে আপত্তি জানান রাজ্য সরকারের আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি। ভি কে তিওয়ারি সম্পর্কে হাইকোর্টের কী অবস্থান, তা খতিয়ে দেখার জন্য সুপ্রিম কোর্টকে আবেদন করেন সিংভি। পাল্টা রাজ্যপালের আইনজীবীর তরফে রাজ্য সরকারের প্রস্তাবিত বিশেষজ্ঞ প্যানেলে দেবনারায়ণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম অন্তর্ভুক্ত করা সম্পর্কে পাল্টা আপত্তি করা হয়। অভিযোগ, এই মামলায় ইন্টারভেনর হিসেবে আছেন তিনি। দু’পক্ষকেই আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে পরবর্তী নাম দেওয়ার সুযোগ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এদিন আবার আইনজীবীদের তরফেও প্রস্তাব আসে, কোর্টের তরফে একজন নমিনি থাকা উচিত, যিনি সার্চ কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে কাজ করবেন। সেই প্রস্তাব অবশ্য খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন বিচারপতি। ৩১ অক্টোবর এই মামলার পরবর্তী শুনানি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Kamduni Gangrape Case: কামদুনি গণধর্ষণ মামলায় ফাঁসির সাজা রদ হাইকোর্টে, ‘‘রাজ্যের গাফিলতি’’, দাবি পরিবারের

    Kamduni Gangrape Case: কামদুনি গণধর্ষণ মামলায় ফাঁসির সাজা রদ হাইকোর্টে, ‘‘রাজ্যের গাফিলতি’’, দাবি পরিবারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিম্ন আদালত ফাঁসির সাজা শুনিয়েছিল। কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court) ফাঁসির বদলে আমৃত্যু কারাদণ্ড ঘোষণা করল কামদুনি ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় দোষী সইফুল আলি ও আনসার আলির। বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি ও বিচারপতি অজয়কুমার গুপ্তের ডিভিশন বেঞ্চ নিম্ন আদালতে ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত আমিন আলিকে বেকসুর খালাস করে দিয়েছে। নিম্ন আদালতে আমৃত্যু কারাবাসের সাজা দেওয়া হয়েছিল ইমানুল ইসলাম, আমিনুর ইসলাম ও ভোলানাথ নস্করকে। ১০ বছর জেল খাটায় এরা খালাস পেয়েছে হাইকোর্ট থেকে।

    কামদুনিকাণ্ড

    ২০১৩ সালের ৭ জুন কলেজ থেকে ফেরার পথে উত্তর ২৪ পরগনার কামদুনিতে ধর্ষণ করে খুন করা হয় এক ছাত্রীকে। দোষীদের চরম সাজার দাবিতে শুরু হয় আন্দোলন। নিম্ন আদালতের বিচারক রায় দিতে গিয়ে জানিয়েছিলেন, এমন নৃশংস অপরাধ বন্ধ করতে সমাজকে কড়া বার্তা দেওয়া প্রয়োজন, যাতে এই ধরনের অপরাধকে আড়াল করা না হয়। তিনি বলেছিলেন, “এমন অপরাধের প্রবণতা অঙ্কুরেই বিনাশ করা প্রয়োজন। তা না হলে এই অপরাধ সমাজে দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়বে।” নিম্ন আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয় অভিযুক্তদের পরিবার।

    কী বললেন নির্যাতিতার ভাই?

    হাইকোর্টের রায়ে রাজ্য সরকারের সদিচ্ছার অভাবকেই দুষছেন ধর্ষিতার ভাই। তিনি বলেন, “আমরা বিচার পেলাম না। রাজ্য সরকারের সদিচ্ছার অভাব ও গাফিলতিতে এই রায় হল। রাজ্য সরকারের ১৪ জন আইনজীবী এই মামলা লড়তে অস্বীকার করেছেন। যার ফলে আজ ধর্ষকদের সাজা মকুব হল। একজন বেকসুর খালাস পেল। এরা এলাকায় গিয়ে আবার তাণ্ডব করবে। আমরা এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যাব। আমাদের লড়াই জারি থাকবে।” 

    কী বললেন মৌসুমি-টুম্পা? 

    কামদুনিকাণ্ডের পর এই আন্দোলনের মুখ হয়ে উঠেছিলেন স্থানীয় বাসিন্দা মৌসুমি কয়াল ও টুম্পা কয়াল। এদিন দোষী সাব্যস্তদের সাজা কমিয়ে দেওয়ায় ক্ষুব্ধ কামদুনি। রায় শোনার পর বিচারপতিদের এজলাসে যাওয়ার পথে রাস্তায়ই বসে পড়ে কাঁদতে থাকেন তাঁরা। অজ্ঞান হয়ে যান মৌসুমি। কিছুক্ষণ পরে ফেরে চেতনা। তাঁদের সঙ্গে এদিন রাস্তায় বসে পড়েন কামদুনির ধর্ষিতার পরিবার-পরিজনেরা। পরে পুলিশ এসে সেখান থেকে তুলে দেয় তাঁদের।

    আরও পড়ুুন: “রাজভবনের বাইরে ১৪৪ ধারা থাকার কথা”, অভিষেকের ধর্নাকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    রায়ের প্রতিক্রিয়ায় মৌসুমি বলেন, “আমরা এই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানাব। নির্ভয়াকাণ্ডের আইনজীবীর সাহায্য নেব। প্রয়োজনে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে দরবার করব। কিন্তু দোষীদের সাজা আদায় না হওয়া পর্যন্ত থামব না।” রায় (Calcutta High Court) শুনে কান্নায় ভেঙে পড়েন টুম্পাও। তিনি বলেন, “আজ প্রমাণ হল আমাদের রাজ্যে কোনও বিচার নেই। একের পর এক মায়ের কোল খালি হচ্ছে। মেয়েদের নিরাপত্তা নেই।” কাঁদতে কাঁদতে তাঁর প্রশ্ন, “দোষীদের কেন ছেড়ে দেওয়া হল?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “রাজভবনের বাইরে ১৪৪ ধারা থাকার কথা”, অভিষেকের ধর্নাকে কটাক্ষ শুভেন্দুর 

    Suvendu Adhikari: “রাজভবনের বাইরে ১৪৪ ধারা থাকার কথা”, অভিষেকের ধর্নাকে কটাক্ষ শুভেন্দুর 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজভবনের বাউন্ডারির বাইরে ১৫০ মিটার পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি থাকার কথা। সেখানে কীভাবে তৃণমূল মঞ্চ বেঁধে অবস্থান করছে, তা নিয়েই প্রশ্ন তুললেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তৃণমূলের এই কর্মসূচিকে ‘সস্তার রাজনীতি’ বলেও কটাক্ষ করেছেন তিনি। আঞ্চলিক দল তৃণমূল পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্রের এক একটি স্তম্ভকে পরিকল্পিতভাবে ধ্বংস করছে, বলেও দাবি করেন শুভেন্দু।

    কী বললেন বিরোধী দলনেতা

    সোশ্যাল সাইটে শুভেন্দু লিখেছেন, “পুলিশের সহযোগিতায় তারা ১৪৪ ধারা জারি থাকা চত্বরে শুধু মিছিলই করেনি, একইসঙ্গে সেখানে ক্যাম্পও বানিয়ে ফেলেছে।”এক্স হ্যান্ডেলে বিরোধী দলনেতা  শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) লিখেছেন, “রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান, রাজ্যপালের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে এই সস্তার রাজনৈতিক নাটকের জন্য। আর পুলিশ এই কাজে সাহায্য করছে।” প্রসঙ্গত, রাজ্য রাজনীতিতে এখন ‘জমিদারি’ শব্দটি নিয়ে ব্যাপক চর্চা হচ্ছে। তৃণমূলের মুখে শোনা যাচ্ছে ‘জমিদারি’, রাজ্যপালের বিবৃতিতেও ব্যবহার হচ্ছে ‘জমিদারি’। এবার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও ‘জমিদারি’ নিয়ে খোঁচা দিলেন রাজ্যের শাসক শিবিরকে।

    অভিষেকদের এই আন্দোলনকে অগণতান্ত্রিক বলে কটাক্ষ করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রাজধানী দিল্লি থেকে রাজভবন চলোর ডাক দিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু গতকাল রাজভবনে ছিলেন না রাজ্যপাল। উত্তরবঙ্গ এবং সিকিমের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে তিনি চলে যান উত্তরবঙ্গে। সম্প্রতি তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড ঘোষণা করেন রাজ্যপাল যতক্ষণ না তাঁদের সঙ্গে দেখা করছেন ততক্ষণ অবস্থান বিক্ষোভ চলবে । সূত্রের খবর দিল্লিতে আজ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করবেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam : সাত লক্ষে টাইপিস্ট, ৪ লাখে ড্রাইভার! জানেন পুরসভায় চাকরি বিক্রির রেট?

    Recruitment Scam : সাত লক্ষে টাইপিস্ট, ৪ লাখে ড্রাইভার! জানেন পুরসভায় চাকরি বিক্রির রেট?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুর দুর্নীতি মামলায় (Recruitment Scam) বহু টাকার লেনদেনের অভিযোগ আনল ইডি। বিভিন্ন পদে চাকরির জন্য তৈরি করা হয়েছিল রেটচার্ট। ইডির দাবি, ৪ থেকে ৭ লক্ষ টাকা দরে বিভিন্ন পুরসভায় চাকরি বিক্রি হয়েছে। বৃহস্পতিবারই পুর দুর্নীতির তদন্তের জন্য রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষের উত্তর ২৪ পরগনার মাইকেলনগরের বাড়িতে তল্লাশি চালায় ইডি।  প্রায় সাড়ে ১৯ ঘণ্টা তল্লাশির পর রাত পৌনে ২টোয় মন্ত্রীর বাড়ি ছাড়েন তদন্তকারী আধিকারিকেরা।

    কত টাকায় চাকরি

    সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন, ” একটি রাজ্যে  ‘ক্যাশ ফর জব’ এর ঘটনা ঘটেছে। যুবসমাজকে ধ্বংস করা হয়েছে। রেস্তরাঁর মতো সরকারি চাকরির সব পদে ‘রেট কার্ড’ রয়েছে সেখানে। সেই রাজ্যে চাপরাশি, ড্রাইভার, শিক্ষক, নার্স— সব পদে চাকরির জন্য বাঁধা দর রয়েছে।” এই রেট কার্ডেই এদিন আলোকপাত করেন ইডির অফিসারেরা। তাঁদের দাবি,  পুরসভায় শ্রমিক, গাড়ির চালক, সাফাইকর্মী, পুরসভার গ্রুপ ডি-র চাকরির দাম ছিল ন্যূনতম ৪ লক্ষ টাকা। গ্রুপ সি-র চাকরির দাম ন্যূনতম ৭ লক্ষ টাকা। পুরসভার টাইপিস্টের চাকরির রেট শুরু ৭ লক্ষ টাকা থেকে।

    আরও পড়ুন: ‘‘মাটির কাছাকাছি পৌঁছনো জমিদারি নয়’’, তৃণমূলের কটাক্ষের জবাবে রাজ্যপাল

    কেন রথীনের বাড়িতে তল্লাশি

    পুর নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে বৃহস্পতিবার শহরের নানা প্রান্তে ১৪টি জায়গায় হানা দেয় ইডি।  কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে দাবি, ২০১৪ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত বেআইনি ভাবে পুরসভায় নিয়োগ সংক্রান্ত মামলার তদন্তেই খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষের বাড়িতে তল্লাশি। দীর্ঘ দিন ধরে মধ্যমগ্রাম পুরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন রথীন। ইডি সূত্রে খবর, পুর নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় ধৃত অয়ন শীলের সংস্থা এবিএস ইনফোজোনের অফিস থেকে বাজেয়াপ্ত করা বিভিন্ন নথিতে রথীনের নাম বার বার উঠে এসেছে। ইডির দাবি, ২০১৪-র পর থেকে পুরসভায় নিয়োগ সংক্রান্ত আর্থিক লেনদেনের প্রমাণ মিলেছে। তার ভিত্তিতেই এই অভিযান। টাকা কাদের কাছে পৌঁছেছে, কীভাবে পৌঁছেছে, সেই খতিয়ে দেখাই তাদের উদ্দেশ্য। রথীনের বাড়ি ছাড়াও বৃহস্পতিবার মধ্যমগ্রাম পুরসভার দফতরে হানা দেন ইডির আধিকারিকেরা। এ ছাড়াও ১০ থেকে ১২টি দলে ভাগ হয়ে বরাহনগর, সল্টলেক-সহ মোট ১২টি জায়গায় তাদের তল্লাশি অভিযান চলেছে। এই অভিযানের ফলে তদন্তে সহায়ক নানান নথি মিলেছে বলে দাবি ইডির।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CV Ananda Bose: ‘‘মাটির কাছাকাছি পৌঁছনো জমিদারি নয়’’, তৃণমূলের কটাক্ষের জবাবে রাজ্যপাল

    CV Ananda Bose: ‘‘মাটির কাছাকাছি পৌঁছনো জমিদারি নয়’’, তৃণমূলের কটাক্ষের জবাবে রাজ্যপাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘জমিদারি’ কটাক্ষের জবাব দিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। রাজ্যপালের কথায়, ‘‘মাটির কাছাকাছি পৌঁছনো জমিদারি নয়। গ্রামে গ্রামে পৌঁছে যাওয়ার অর্থ তৃণ মূলে পৌঁছে যাওয়া। তৃণমূল কি তাহলে অন্যদের তৃণ মূলে পৌঁছতে বাধা দিতে চায়? কিসের ভয় তাদের? তারা কি নিজেদের জমিদারি হারানোর ভয় পাচ্ছে?’’

    রাজ্যপালের কড়া জবাব

    প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার বিশাল মিছিল করে আজ রাজভবন অভিযান করেছে তৃণমূল। রাজ্যপাল (CV Ananda Bose) তখন ঘুরে দেখেছেন উত্তরবঙ্গের বন্যা পরিস্থিতি। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস দিল্লিতে কাজে ব্যস্ত থাকলেও, রাজ্যের মানুষের কষ্টের কথা শুনেই বাংলায় ফিরেছেন। উত্তরবঙ্গে বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শন করতে দিল্লি থেকে সোজা সেখানে যান তিনি। বন্যা দুর্গতদের পাশে দাঁড়িয়ে ফের দিল্লি ফিরে যান তিনি। রাজভবন সূত্রে খবর, শুক্রবার রাজধানীতে তাঁর কর্মসূচি রয়েছে। রাজ্যের সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক রাজ্যপালের (CV Ananda Bose) উত্তরবঙ্গ সফরকে কটাক্ষ করে বলেছিলেন, ‘‘বন্যাবিধ্বস্ত এলাকায় রাজ্যপাল পর্যটক হিসাবে যাচ্ছেন।’’ সেচমন্ত্রীর প্রতি রাজ্যপালের উত্তর, ‘‘মানুষ যেখানে কষ্ট পাচ্ছেন, আমি সেখানে যাব। উনি অন্তত পর্যটক হিসাবে হলেও এখানে থাকতে পারতেন। এখানে এলে উনি বুঝতেন, এখানে রাস্তা নেই। রাস্তা সব ভেসে গিয়েছে। আমি যখনই শুনেছি আমার লোকেরা বন্যায় কষ্ট পাচ্ছে, আমি সঙ্গে সঙ্গে বিমানে চেপে যত দ্রুত সম্ভব সেখানে পৌঁছে গিয়েছি। সেদিক থেকে দেখতে গেলে, হ্যাঁ আমি উড়ে গিয়েছি সেখানে।’’

    আরও পড়ুন: সীমাহীন দুর্নীতি একশো দিনের কাজে, ২৫ লাখ ভুয়ো জব কার্ডে কত টাকা আত্মসাৎ?

    নব্যজমিদারি অভিমত বোসের

    অভিষেকের কটাক্ষের জবাবে রাজ্যপাল (CV Ananda Bose) বলেন, ‘‘জমিতে বা মাটির কাছাকাছি পৌঁছনো জমিদারি নয়। বরং, জমিতে না নেমে শহরের বিলাসী আস্তানায় বসে কৃষকদের নিয়ন্ত্রণ করা হল নব্যজমিদারি। রাজ্যপালের কাছে এই মাটি এবং তার মানুষ পবিত্র।’’ আর তৃণমূলের এই বিক্ষোভের বিরোধিতা করে রাজ্যপাল বোসের বার্তা, ‘ঘেরাও নয়, ঘরে আসুন’। বরাবরই আলোচনা করে সমস্যা সমাধানের পক্ষপাতী রাজ্যপাল। 

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Justice Abhijit Gangopadhyay: যোগ্যতা নেই! ল কলেজের অধ্যক্ষ সহ ২ জনকে অপসারণের নির্দেশ হাইকোর্টের

    Justice Abhijit Gangopadhyay: যোগ্যতা নেই! ল কলেজের অধ্যক্ষ সহ ২ জনকে অপসারণের নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইউজিসি নির্ধারিত যোগ্যতামান তাঁদের নেই বলে অভিযোগ। অথচ দিব্যি পড়াচ্ছিলেন কলেজে। তাও আবার সাধারণ কোনও কলেজে নন, সুনন্দা ভট্টাচার্য গোয়েনকা এবং অচিনা কুন্ডু নামের ওই দুই শিক্ষক পড়াচ্ছিলেন যোগেশচন্দ্র চৌধুরী আইন কলেজে। সুনন্দা ছিলেন কলেজের অধ্যক্ষ। আর অধ্যাপক পদে ছিলেন অচিনা। বৃহস্পতিবার এই দুই শিক্ষককে পদ থেকে সরানোর নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay)। আদালতের নির্দেশ, শুক্রবার থেকেই আর কলেজে ঢুকতে পারবেন না এঁরা। এদিন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ, যোগেশচন্দ্র ল কলেজের অধ্যক্ষের ঘরে তালা ঝোলাতে হবে। কোনওভাবে যাতে সমস্যা তৈরি না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে চারু মার্কেট থানাকে। 

    অধ্যক্ষ ছিলেন তৃণমূলের মানিকও

    নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে ধৃত তৃণমূল নেতা মানিক ভট্টাচার্য ওই কলেজের অধ্যক্ষ ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, কোনও ব্যক্তির ল কলেজের অধ্যক্ষ হওয়ার জন্য তাঁর কমপক্ষে পনের বছরের অধ্যাপনার অভিজ্ঞতা থাকা প্রয়োজন। মানিকের তা ছিল না বলেই অভিযোগ। তার পরেও তিনি কীভাবে চাকরি করেছেন, সে প্রশ্ন তোলেন মামলাকারীরা। প্রসঙ্গত, নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় তদন্ত করছে সিবিআই এবং ইডি। প্রাথমিক নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় তদন্তে (Justice Abhijit Gangopadhyay) নেমে গ্রেফতার করা হয় মানিককে। গ্রেফতার করা হয়েছিল তাঁর স্ত্রী এবং পুত্রকেও। মানিকের স্ত্রী জামিন পেলেও, গারদে রয়েছেন মানিক ও তাঁর ছেলে।

    মামলাকারীর অভিযোগ

    মানিক যখন ওই আইন কলেজের অধ্যক্ষ ছিলেন, তখন উপযুক্ত যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও বেশ কয়েকজনকে তিনি অধ্যাপক পদে নিয়োগ করেছিলেন বলে অভিযোগ। মামলাকারীর অভিযোগ, ওই অধ্যাপকরা নিজেদের স্বার্থে কলেজে বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতীকে প্রশয় দিয়েছেন। তারা কলেজকে অসামাজিক কাজের আখড়ায় পরিণত করেছে। মামলাকারীর দাবি, পুলিশ ও কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানিয়েও কাজ হয়নি।

    আরও পড়ুুন: মঙ্গলবারের মধ্যেই ইডির কাছে নথি দিতে হবে, অভিষেককে নির্দেশ হাইকোর্টের

    এরই প্রেক্ষিতে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Gangopadhyay) নির্দেশ, অভিযোগ খতিয়ে দেখে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে পুলিশকে। ৯ অক্টোবরের মধ্যে ওই দুষ্কৃতীদের আদালতে হাজির করবে পুলিশ। বিষয়টিতে নজর রাখবেন কলকাতা পুলিশ কমিশনারও। এদিন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় জানান, সুনন্দা ও অচিনা যদি তাঁদের যোগ্যতা সম্পর্কে আদালতকে সন্তুষ্ট করতে পারেন, তাহলে তাঁদের পুনর্বহাল করা হবে। শুক্রবার ফের হবে এই মামলার শুনানি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: মঙ্গলবারের মধ্যেই ইডির কাছে নথি দিতে হবে, অভিষেককে নির্দেশ হাইকোর্টের

    Abhishek Banerjee: মঙ্গলবারের মধ্যেই ইডির কাছে নথি দিতে হবে, অভিষেককে নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে গিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে। সেখানেও হতাশ হতে হল তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee)। বৃহস্পতিবার ডিভিশন বেঞ্চ সাফ জানায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে ইডি যা যা নথি চেয়েছিল, তা তাঁকে জমা দিতে হবে। ওই নথি জমা দিতে হবে ১০ অক্টোবরের মধ্যেই। আদালত জানিয়ে দিয়েছে, অভিষেককে এক ঘণ্টাও অতিরিক্ত সময় দেওয়া হবে না। এর পাশাপাশি ইডিকে আদালত বলে, নথিতে সন্তুষ্ট না হলে তারা ফের অভিষেককে ডেকে পাঠাতে পারবে। তবে তলব করার আগে তাঁকে অন্তত ৪৮ ঘণ্টা সময় দিতে হবে।

    ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ

    এদিন ডিভিশন বেঞ্চ বলে, “আগামী ১০ অক্টোবরের মধ্যে ইডির কাছে সব নথি দিতে হবে অভিষেককে। কোনও নথি জমা দিতে না পারলে ইডির সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। কিন্তু আদালত অভিষেককে এক ঘণ্টাও অতিরিক্ত সময় দেবে না। অভিষেকের জমা দেওয়া নথিতে সন্তুষ্ট না হলে তাঁকে হাজিরা দিতে বলতে পারে ইডি। তবে সমন পাঠাতে হলে ১৯ অক্টোবরের আগে বা ২৬ অক্টোবরের পরে তা পাঠাতে হবে।”

    ‘ইডির দফতরে সব নথি নিয়ে যান’

    বুধবারই অভিষেকের (Abhishek Banerjee) আইনজীবীকে বিচারপতি সৌমেন সেন বলেন, “আপনি (অভিষেক) তদন্তকারী সংস্থাকে সহযোগিতা করুন। যে নথি চাওয়া হয়েছে, তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই তথ্য দেওয়া উচিত। ১২ অক্টোবর ইডির দফতরে সব নথি নিয়ে যান।” ইডির আইনজীবীকে বিচারপতির প্রস্তাব, যা যা নথি চাওয়া হয়েছে, তা দেওয়া হবে। তাতে সন্তুষ্ট না হলে তদন্তের প্রয়োজনে অভিষেককে তলব করতে পারবে ইডি। ১২ অক্টোবর অভিষেক ইডিকে নথি দেবেন। সব নথি খতিয়ে দেখে পুজোর পরে নয় নতুন করে সমন পাঠাবে ইডি।

    আরও পড়ুুন: ‘ভারতের সঙ্গে ব্যক্তিগত কূটনীতি চাই’, সুর আরও নরম করে বলল কানাডা

    প্রসঙ্গত, নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় নাম জড়ায় লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের। এই কোম্পানির সিইও তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো অভিষেক (Abhishek Banerjee)। তাঁর মা লতা এবং বাবা অমিত এই সংস্থার অন্যতম ডিরেক্টর। অভিষেকের স্ত্রী রুজিরা নারুলা বন্দ্যোপাধ্যায় সংস্থার এক অধিকর্তা। অভিষেক, লতা, অমিত এবং রুজিরাকে তলব করে ইডি। ৩ অক্টোবর তলব করা হয়েছিল অভিষেককে। দিল্লিতে দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিতে গিয়েছিলেন তিনি। তাই হাজিরা দিতে পারেননি সিজিও কমপ্লেক্সে, ইডির দফতরে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share