Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Akhil Giri: রাজ্যের কারামন্ত্রী অখিল গিরি ও তাঁর পুত্রকে নোটিশ আয়কর দফতরের

    Akhil Giri: রাজ্যের কারামন্ত্রী অখিল গিরি ও তাঁর পুত্রকে নোটিশ আয়কর দফতরের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি, রাজ্যপালের নামে কুরুচিকর মন্তব্য করেন। তার আগে, রাষ্ট্রপতির উদ্দেশেও কুমন্তব্য করেছিলেন রাজ্যের কারামন্ত্রী অখিল গিরি। এবার আয়কর দফতরের তরফে নোটিশ পাঠানো হল তাঁকে। আগামী ১৩ নভেম্বর অফিসে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। চিঠি পাঠানো হয়েছে মন্ত্রী পুত্র সুপ্রকাশ গিরিকেও।

    কী বলেছিলেন শুভেন্দু

    প্রসঙ্গত, সম্প্রতি নন্দকুমার এবং কাঁথিতে পরপর দুটি সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী অখিল গিরি এবং তাঁর ছেলে সুপ্রকাশ গিরি আয়কর নোটিস পেতে চলেছেন। প্রকাশ্য জনসভা থেকে শুভেন্দু বলেন, “এমন কোনও দফতর নেই যেখানে হাত দিলে গন্ধ বেরবে না।” নাম উল্লেখ না করেই শুভেন্দু বলেন, “একজন অর্ধেক মন্ত্রী রয়েছেন। যিনি রাষ্ট্রপতির গায়ের রঙ নিয়ে কথা বলেছিলেন। উনি নেমতন্ন পেয়ে গিয়েছেন। আমার কাছে সব কাগজ রয়েছে।” পরে আবার অন্য একটি জনসভা থেকে তিনি দাবি করেছিলেন, অখিল গিরি ও তাঁর পুত্র নোটিস পেতে চলেছেন সেটি তিনি মিডিয়ার মাধ্যমে শুনতে পেয়েছেন। তখন অবশ্য এমন জল্পনা উড়িয়ে দিয়েছিলেন মন্ত্রী।

    আরও পড়ুন: রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে ফের উদ্ধার হল ডায়েরি! কী লেখা রয়েছে তাতে?

    কী বললেন মন্ত্রী ও তাঁর পুত্র

    উল্লেখ্য, তৃণমূল পরিচালিত কাঁথি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্য়ান হলেন সুপ্রকাশ গিরি। সূত্রের খবর, হাতে না পেলেও, মেল মারফত নোটিশ পেয়েছেন তিনি। নোটিশে তাঁকে স্বয়ং উপস্থিত হয়ে বা প্রতিনিধি পাঠিয়ে নথি জমা দিতে বলা হয়েছে। সুপ্রকাশ গিরি বলেন, “বাবারটা বলতে পারব না। আমার কাছে হাজিরা দেওয়ার কোনও নোটিস আসেনি। তবে ইমেলে একটি নোটিস এসেছে। আগামী ১৩ তারিখ আমি বা আমার কোনও প্রতিনিধিকে আয়কর সংক্রান্ত তথ্য চেয়ে যেতে বলা হয়েছে। আমি সহযোগিতা করব।” নোটিশ পেয়েছেন বলে স্বীকার করেছেন রাজ্যে কারামন্ত্রী অখিল গিরিও। সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেন, ‘নিয়ম মেনেই উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হবে, অবশ্যই নোটিশের উত্তর দেব।’

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ration Scam: “ডিরেক্টর! আমি তো জানি না, সই করিয়েছিল দাদার লোক”, বললেন জ্যোতিপ্রিয়র পরিচারক

    Ration Scam: “ডিরেক্টর! আমি তো জানি না, সই করিয়েছিল দাদার লোক”, বললেন জ্যোতিপ্রিয়র পরিচারক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অভিজিৎ দাসের পর এবার রামস্বরূপ শর্মা। রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে ‘ফাঁসাচ্ছেন’ (Ration Scam) তাঁরই ঘনিষ্ট বৃত্তের লোকজন। দিন কয়েক আগে জ্যোতিপ্রিয়র প্রাক্তন আপ্ত সহায়ক অভিজিৎ দাস দাবি করেন, মন্ত্রীর নির্দেশেই তাঁর মা ও স্ত্রীকে কোম্পানির ডিরেক্টর করতে বাধ্য হয়েছিলেন তিনি। এবার মুখ খুললেন পরিচারক রামস্বরূপও।

    ‘বালুদার কাছে কাজ করতাম’

    ইডি সূত্রে খবর, জেরায় রামস্বরূপ জানিয়েছেন, বিহার থেকে ভাগ্যান্বেষণে ১৯৯৩ সালে কলকাতায় এসেছিলেন তিনি। কলেজ স্ট্রিটে সেলুন খুলেছিলেন। এখানেই বাড়ি ছিল জ্যোতিপ্রিয়রও। রামস্বরূপ বলেন, “আমি ’৯৩ সালে কলকাতায় এসেছি। সেলুন আছে। কলেজ স্ট্রিটের ওখানে ফুটপাতের ওপর সেলুন ছিল। এখনও আছে। এখানেই একটি বাড়িতে থাকতেন দাদা। দাদার বাজার এটা সেটা করে দিতাম। ২০ বছর কাজ করার পর দাদা আমাকে একটা চাকরি দিয়েছে। ১০ বছর হয়ে গিয়েছে চাকরির।” রামস্বরূপ (Ration Scam) বলেন, “আমি সাহেবের কাছ থেকে ২০ লক্ষ টাকা লোন হিসেবে নিই। ৫ লক্ষ টাকা শোধও করেছি। আরও ১৫ লক্ষ টাকা পাবেন সাহেব।” তিনি বলেন, “আমি বালুদার কাছে কাজ করতাম। ওঁর কাছ থেকেই নিয়েছি।”

    ‘কোম্পানির ব্যাপারে কিছুই জানি না’

    ইডি জেনেছে, এই রামস্বরূপ একটি সংস্থার ডিরেক্টর। কীভাবে ডিরেক্টর হলেন? ইডি-র দাবি, রামস্বরূপ জেরায় বলেন, “কোম্পানির ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না। খবরে শুনেছি। আমি এসব কিছুতেই নেই। ওসব নামও আমি জানি না। বালুদার নাম করে কিছু লোক আমার কাছে সই করিয়েছিল। আমি সই করে দিয়েছি। এ ছাড়া আমি আর কিছু জানি না। আমি অতশত বুঝি না। আমি হিন্দিতে লেখাপড়া জানি। বিহারে ক্লাস সিক্স-সেভেন পর্যন্ত পড়াশোনা করেছিলাম। আমি ইংরেজি কিছু জানি না। বলল, দাদা পাঠিয়েছে, সই করে দাও। আমি জানি না, কিছু বুঝিও না। এর পিছনে কিছু বলার নেই।”

    আরও পড়ুুন: “যুদ্ধ থামানোর কোনও প্রশ্নই নেই”, যুদ্ধের মাসপূর্তিতে সাফ জানালেন নেতানিয়াহু

    তিনি বলেন, “আমার তো ধোয়া, মোছা, পরিষ্কার করার কাজ (জ্যোতিপ্রিয়র বাড়িতে)। করতেই হয়। কৃষি দফতরেও কাজ করি। চুক্তিভিত্তিক গ্রুপ ডি।” ইডির (Ration Scam) দাবি, চালকলের মালিকের কাছ থেকে কমিশন হিসেবে টাকা না নিয়ে সম্পত্তি নিয়েছিলেন জ্যোতিপ্রিয়। সেই সম্পত্তি আবার নিজের নামে রাখেননি। পরিচারকের নামে দানপত্র লিখিয়ে নেন ওই চালকল মালিকের কাছ থেকেই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     
     

     

  • Sukanta Majumdar: “এই রাজভবন জনতার হয়ে উঠেছে”, রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাত শেষে সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: “এই রাজভবন জনতার হয়ে উঠেছে”, রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাত শেষে সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “এই রাজভবন ধীরে ধীরে জনতার রাজভবন হয়ে উঠেছে।” সোমবার এমনই মন্তব্য করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। এদিন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে বিজয়ার শুভেচ্ছা জানাতে রাজভবনে গিয়েছিলেন সুকান্ত। সেখান থেকে বেরিয়ে কথা বলেন সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, “এই রাজভবন ধীরে ধীরে জনতার রাজভবন হয়ে উঠেছে। রাজ্যপাল ক্রিকেট ম্যাচ থেকে শুরু করে আগামিদিনে নানা উদ্যোগ নিচ্ছেন এবং নেবেনও বলেছেন।”

    মানুষের বিপদে-আপদে রাজ্যপাল

    সাধারণ মানুষের বিপদে-আপদে যে রাজ্যপালকে পাওয়া যায় এদিন তাও মনে করিয়ে দেন বালুরঘাটের সাংসদ। তিনি বলেন, “বিপদের সময় ভাঙড় হোক বা কোচবিহার উনি ময়দানে নেমে মানুষের সঙ্গে কথা বলে সমস্যা জানার চেষ্ট করছেন। যে রাজভবন ছোট্ট একটা গণ্ডির মধ্যে আবদ্ধ ছিল, ধীরে ধীরে তা জনতার রাজভবন হয়ে উঠছে। রাজ্যপালকেও জনতার রাজ্যপাল হিসেবে তুলে ধরা হচ্ছে।” তিনি বলেন, “এখন যে কেউ অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে পারছেন।”

    তৃণমূলের অভিযোগ নস্যাৎ

    আইএসএফ নেতা তথা ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীকে বিজেপি ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী হতে মদত দিচ্ছে বলে অভিযোগ তোলা হয়েছে তৃণমূলের তরফে। এদিন সেই অভিযোগ নস্যাৎ করে দিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar) বলেন, “সেখান থেকে (ডায়মন্ড হারবারে) যে কেউ প্রার্থী হতে পারেন। কিন্তু নওশাদ সিদ্দিকীকে টাকা দিয়ে বিজেপি সাহায্য করবে বলে যে অভিযোগ তৃণমূল করছে, তা ঠিক নয়।”

    আরও পড়ুুন: অভিষেকের বিরুদ্ধে প্রার্থী নওশাদ? কী বললেন সুকান্ত?

    রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর পর সম্প্রতি রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস সম্পর্কেও কু-বাক্য-বাণ নিক্ষেপ করেছেন রাজ্যের কারামন্ত্রী তথা তৃণমূলের পূ্র্ব মেদিনীপুরের নেতা অখিল গিরি। এদিন তাই অখিলের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বিজেপির এই অধ্যাপক নেতা। রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারিতে ধৃত রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ও তাঁর মেয়ের সম্পত্তি বৃদ্ধি নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তিনি বলেন, “ইডি বা সিবিআই এখনও পর্যন্ত যাদের গ্রেফতার করেছে বা যে সব দুর্নীতির তদন্ত করছে বা যেসব টাকা বা দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ধরেছে, তা তো ভুল নয়।” সুকান্ত বলেন, “মেডিকেল কলেজে বিশেষ করে আরজি করে যেভাবে দুর্নীতি চোখে পড়ে যাচ্ছে, মেডিকেলে পোস্ট গ্র্যাজুয়েটদের ক্ষেত্রেও ভর্তিতে দুর্নীতি হতে পারে বলে আমাদের কাছে অভিযোগ আসছে। সেই বিষয়টিও তুলে ধরেছি রাজ্যপালের কাছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • Weather Update: ভোরের দিকে হালকা ঠান্ডা, কালীপুজোতেই শীত! কী বলছে আবহাওয়া দফতর?

    Weather Update: ভোরের দিকে হালকা ঠান্ডা, কালীপুজোতেই শীত! কী বলছে আবহাওয়া দফতর?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোরের দিকে হালকা ঠান্ডা, গায়ে চাদর দিলে ভালই হয়। হেমন্তের শিরশিরানি দিয়েই দিনের শুরু হচ্ছে শহরবাসীর। আগামী ২ দিনেই কয়েকটি জেলার তাপমাত্রা নামবে ১৮-১৯ ডিগ্রিতে, এমনই পূর্বাভাস দিল আবহাওয়া দফতর। মঙ্গলবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২২.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের চেয়ে এক ডিগ্রি বেশি। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, কলকাতার তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রিতে নামতে পারে। 

    কলকাতার আবহাওয়া

    পুজোর পর কয়েকদিন তাপমাত্রার পারদ চড়লেও, আবহাওয়ায় বদল এসেছে সোমবার থেকে। রাতের দিকে হালকা ঠান্ডা (Winter) লাগছে। আজ, মঙ্গলবার থেকেই পুরোপুরি আবহাওয়া বদলের পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। মঙ্গলবার থেকে ২-৩ ডিগ্রি তাপমাত্রা কমার সম্ভাবনা রয়েছে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গে (South Bengal)। আজ থেকেই শহরে বাড়বে শীতের আমেজ। এমনটাই জানাচ্ছে আবহাওয়া দফতর (Weather Update)। কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের কোথাও আপাতত বৃষ্টিপাতের কোনো সম্ভাবনা নেই। উত্তর-পশ্চিম হাওয়ার প্রভাব থাকায় তাপমাত্রা কম থাকবে। পশ্চিমাঞ্চলে পারদ এখনই ২০-র নিচে। আবহবিদরা বলছেন, উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে শুকনো হাওয়া আসছে, তাই রাজ্য জুড়ে ঠান্ডা আমেজ থাকবে।

    আরও পড়ুন: অ্যান্টনির নাম জড়িয়েই কি ফিরিঙ্গি কালীবাড়ি? জানেন এর ইতিহাস?

    শীত কী এসে গেল

    হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম জেলাতে তাপমাত্রা ১৮-১৯ ডিগ্রির ঘরে নেমে যেতে পারে আগামীকালের মধ্যে। তবে, হাওয়া অফিস সূত্রে খবর,  শীত আসতে এখনও ঢের দেরি। বিশেষ করে রাতের দিকে বা ভোরের দিকে শিরশিরানি থাকলেও শীত এখনও আসতে দেরি রয়েছে। পুরোদস্তুর ঠান্ডা পড়তে আরও কিছুটা অপেক্ষা করতে হবে। উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং এবং কালিম্পং-এ হাল্কা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তাছাড়া উত্তরবঙ্গের (North Bengal) বাকি কোনও জেলাতেই বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর (Weather Office)। ৩-৪ ডিগ্রি তাপমাত্রা কমতে পারে চলতি সপ্তাহে।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ration Scam: ফের ইডি হেফাজতে জ্যোতিপ্রিয়, মন্ত্রিমশাই শুনলেন ‘চোর’ ধ্বনি

    Ration Scam: ফের ইডি হেফাজতে জ্যোতিপ্রিয়, মন্ত্রিমশাই শুনলেন ‘চোর’ ধ্বনি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “সাত দিন পর আবার আসছি। সাত দিন, সাত দিন।” সোমবার ব্যাঙ্কশাল কোর্ট ছাড়ার সময় এমনই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারিকাণ্ডে ইডির হাতে গ্রেফতার হওয়া বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (Ration Scam)। বনমন্ত্রী হওয়ার আগে জ্যোতিপ্রিয় ছিলেন খাদ্য দফতরের মন্ত্রী। সেই সময়ই দুর্নীতি হয় বলে অভিযোগ।

    ইডি হেফাজতের আবেদন

    সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই ইডির হাতে গ্রেফতার হন উত্তর ২৪ পরগনার তৃণমূলের এই নেতা। এদিন আদালতে তোলা হলে জ্যোতিপ্রিয়কে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত ইডি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। এদিন শুনানি চলাকালীন মন্ত্রীকে আরও সাতদিন ইডি হেফাজতে পাওয়ার আবেদন করেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আইনজীবী। তাঁর যুক্তি, জ্যোতিপ্রিয় তিনদিন হাসপাতালে ছিলেন। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পর্যাপ্ত সময় পাওয়া যায়নি। তাই তাঁকে সাত দিনের জন্য ইডি হেফাজতে দেওয়া হোক।

    ‘চোর’, ‘চোর’ ধ্বনি

    শুক্রবার জ্যোতিপ্রিয়কে (Ration Scam) হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাচ্ছিল ইডি। সেই সময় সংবাদ মাধ্যমের সামনে তিনি বলেছিলেন, “দিন চারেক পরেই সবাই সব কিছু জানতে পারবেন।” সেদিন তিনি নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেছিলেন। সোমবারও ফের একবার নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেন জ্যোতিপ্রিয়। এদিকে, এদিন বনমন্ত্রীকে ‘চোর’ সম্বোধন করেন ব্যাঙ্কশাল কোর্ট চত্বরে দাঁড়িয়ে থাকা কয়েকজন। তিনি যখন কোর্ট রুমের সিঁড়ি দিয়ে উঠছিলেন, তখনই কয়েকজন জ্যোতিপ্রিয়কে লক্ষ্য করে ‘চোর’, ‘চোর’ বলে চিৎকার করতে থাকেন। অথচ, রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারিতে গ্রেফতার হওয়ার আগেও তাঁকে দেখলে চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়াতেন বন দফতরের কর্মীরা। ‘স্যর’ বলে সম্বোধন করতেন। এহেন মন্ত্রীকেই এবার ‘চোর’ সম্বোধন জনতার।

    আরও পড়ুুন: এবার রাজ্যপালকে কুকথা অখিলের, বোসকে চিঠি লিখে কারামন্ত্রীকে সরানোর দাবি শুভেন্দুর

    প্রসঙ্গত, নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে গ্রেফতার হওয়ার পর পার্থ চট্টোপাধ্যায়কেও শুনতে হয়েছিল ‘চোর’, ‘চোর’ ধ্বনি। রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারিতে (Ration Scam) ইডি প্রথমে গ্রেফতার করে ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমানকে। তাঁকে জেরা করে উঠে আসে জ্যোতিপ্রিয়র নাম। তার পরেই গ্রেফতার করা হয় রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয়কে। ব্যাঙ্কশাল কোর্টে তোলা হলে ১০ দিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। ইডি হেফাজতের নির্দেশ শুনে এজলাসেই জ্ঞান হারান জ্যোতিপ্রিয়। পরে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। গত সোমবার হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর মন্ত্রীকে হেফাজতে নেয় ইডি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • Suvendu Adhikari: এবার রাজ্যপালকে কুকথা অখিলের, বোসকে চিঠি লিখে কারামন্ত্রীকে সরানোর দাবি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: এবার রাজ্যপালকে কুকথা অখিলের, বোসকে চিঠি লিখে কারামন্ত্রীকে সরানোর দাবি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্য করে ক্ষমা চেয়েছিলেন তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যের কারামন্ত্রী অখিল গিরি। এবার রাজ্যপালের বিরুদ্ধে কুরুচিকর মন্তব্য করার অভিযোগ উঠল তাঁর বিরুদ্ধে। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) এ ব্যাপারে চিঠি লিখেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে। কারামন্ত্রী অখিলকে বরখাস্ত করার আবেদনও জানিয়েছেন শুভেন্দু।

    কী বলছেন কারামন্ত্রী

    তৃণমূল ছেড়ে শুভেন্দু বিজেপিতে যোগ দেওয়ার আগে পর্যন্ত দলে এক প্রকার ব্রাত্যই ছিলেন অখিল। পরে উজাড় গাঁয়ে তিনিই হন রাজা। তার পর থেকে একের পর এক বেফাঁস মন্তব্য করে চলেছেন তৃণমূল নেত্রীর গুডবুকে থাকতে চাওয়া অখিল। এক্স হ্যান্ডেলে অখিলের একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। সেখানে মন্ত্রীকে বলতে শোনা যায়, “এত হম্বিতম্বি কীসের? আমরা পারি না নাকি? আমরা পারি না? তোমার কলার ধরে তোমাকে ১০ মিনিটে জেলে ঢুকিয়ে দিতে পারি আমরা। আমরা পারি আমাদের কাছে যা কাগজ আছে। নবান্নয় যা কাগজ আছে, আমরা দেখছি। আমাদের হাতেও কাগজপত্র আছে।” অখিলের নিশানায় যে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা, তা স্পষ্ট।

    রাজ্যপালকে নিশানা অখিলের

    অখিলকে আরও বলতে শোনা যায়, “সেই জন্যই তো ১০ তারিখে আনন্দ বোস…আমরা কি আনন্দ বোস রাজ্যপালের ব্যাপারটা জানি না নাকি? কেন কুণাল ঘোষের পুজোর উদ্বোধন করতে গেছ, আমরা জানি না নাকি? হোয়াটসঅ্যাপে কী আছে তোমার? তুমি কেন ১০ তারিখে মুখ্যমন্ত্রীকে আলোচনার জন্য ডেকেছ? ১০০ দিনের কাজের কথা বলতে? আমরা জানি না! হোয়াটসঅ্যাপে কী আছে! তোমার কলঙ্ক আমরা ধরব। ছাড় পাবে না। আমাদেরও আইবি আছে, পশ্চিমবঙ্গের। আমাদেরও ফাইল রেডি।”

    রাজ্যপালকে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) লিখেছেন, “আপনার অধস্তন অখিল গিরি এর আগে রাষ্ট্রপতির নামে কুকথা বলে গোটা দেশের ধিক্কারের মুখে পড়েছিলেন। তার পরেও সংশোধন করেননি নিজেকে। এবার তিনি আপনাকে আক্রমণ করে বলেছেন, আপনার হোয়াটসঅ্যাপে রহস্যজনক কিছু রয়েছে। সেই জন্যই ১০০ দিনের কাজ নিয়ে আলোচনা করতে ১০ নভেম্বর মুখ্যমন্ত্রীকে তলব করেছেন আপনি। এবার আপনার রাজ্য সরকারকে ওই মন্ত্রীর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করতে সুপারিশ করা উচিত। রাষ্ট্রপতি ও রাজ্যপালকে আক্রমণ করেন এমন কারও মন্ত্রী পদে থাকার অধিকার নেই। তাঁকে ওই পদ থেকে অপসারণ করা উচিত।”

    আরও পড়ুুন: ‘‘জ্যোতিপ্রিয়র নির্দেশেই মন্ত্রীর সংস্থার ডিরেক্টর করা হয় মা ও স্ত্রীকে’’, দাবি প্রাক্তন আপ্ত-সহায়কের

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • Ration Scam: বিহারের পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির সঙ্গে এ রাজ্যের রেশন দুর্নীতির যোগ খুঁজে পেল ইডি!

    Ration Scam: বিহারের পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির সঙ্গে এ রাজ্যের রেশন দুর্নীতির যোগ খুঁজে পেল ইডি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেশন সামগ্রী বণ্টনকাণ্ডে (Ration Scam) ক্রমেই বের হচ্ছে ঝুলি থেকে বিড়াল! রেশন সামগ্রী বণ্টন কেলেঙ্কারিতে ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। সেই কেলেঙ্কারির তদন্তে নেমে আধিকারিকরা মনে করছেন, বিহারের পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির সঙ্গে এ রাজ্যের রেশন দুর্নীতির যোগ থাকতে পারে।

    ‘পশুখাদ্যে লালু, মানুষের খাদ্যে বালু’

    উত্তর ২৪ পরগনার তৃণমূল নেতা জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক গ্রেফতার হওয়ার পরেই বিরোধীরা স্লোগান দিয়েছিল, ‘পশুখাদ্যে লালু, মানুষের খাদ্যে বালু’। এই স্লোগান যে নিছক স্লোগান নয়, ইডির তদন্তকারীরাও তা মনে করছেন। ইডির দাবি, রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারির তদন্তে উঠে এসেছে ‘অঙ্কিত ইন্ডিয়া লিমিটেড’ নামে একটি সংস্থার নাম। এই সংস্থার ডিরেক্টর দীপেশ চন্দক ও হিতেশ চন্দক। ১৯৯৬ সালে বিহারের পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি মামলায় প্রধান অভিযুক্ত হিসেবে এঁরা গ্রেফতার হয়েছিলেন সিবিআইয়ের হাতে (Ration Scam)। রাজসাক্ষী হওয়ায় ছাড়া পেয়েছিলেন তাঁরা। 

    দীপেশ ও হিতেশ জ্যোতিপ্রিয়রও ঘনিষ্ঠ

    ইডির দাবি, দীপেশ ও হিতেশ জ্যোতিপ্রিয়রও ঘনিষ্ঠ ছিলেন। চন্দকদের রাইস মিল ও আটা চাকিতে রেশনের চাল, গম ভাঙিয়ে প্যাকেটবন্দি করে খোলা বাজারে বিক্রি করা হত। ইডির তদন্তকারীরা জানার চেষ্টা করছেন, চন্দকদের এই ‘অঙ্কিত ইন্ডিয়া লিমিটেডে’ও কি বাকিবুর রহমান মডেলে, পরিমাণে কম দিয়ে দুর্নীতি চলত কি না। পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির পর ২০১৮ সালে ফের সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হন দীপেশ।

    আরও পড়ুুন: “গরিবি বুঝতে আমায় বই পড়তে হয়নি”, মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেসকে আক্রমণ প্রধানমন্ত্রীর

    এবার তিনি গ্রেফতার হন বিহার ও ঝাড়খণ্ডের গোডাউনের লিজ বাড়ানোর সময় এফসিআইয়ের এক আধিকারিককে ঘুষ দিতে গিয়ে। দীপেশকে অপহরণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করে তাঁর পরিবার। এর পরেই সক্রিয় হয়ে ওঠে পুলিশ। তখনই শোনা যায়, কোনও এক প্রভাবশালী ব্যক্তির ছত্রছায়ায় রয়েছেন দীপেশ। এই প্রভাবশালী ব্যক্তিই জ্যোতিপ্রিয় কি না, তা তদন্ত করে দেখছেন তদন্তকারীরা।

    জ্যোতিপ্রিয়র প্রাক্তন আপ্ত সহায়ক অভিজিৎ দাসের বাড়িতে (Ration Scam) তল্লাশি চালাতে গিয়ে একটি মেরুন ডায়েরি উদ্ধার করেন তদন্তকারীরা। সম্প্রতি মন্ত্রী ঘনিষ্ঠ এক চাটার্ড অ্যাকাউন্টের বাড়ি থেকে তিনটি নোটবুকও বাজেয়াপ্ত করেন তাঁরা। সেই সূত্রেই জানা যায়, চন্দক পরিবারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা রয়েছে জ্যোতিপ্রিয়র। এদিকে, শনিবার ইডি ম্যারাথন তল্লাশি চালায় উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁর সাহা ব্রাদার্সের চালকল, আটাকল, অফিস ও সল্টলেকের হোটেলে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ED: জ্যোতিপ্রিয় সম্পর্কে তথ্য পেতে ১০ পুরসভার চেয়ারম্যানকে জেরা করবে ইডি?

    ED: জ্যোতিপ্রিয় সম্পর্কে তথ্য পেতে ১০ পুরসভার চেয়ারম্যানকে জেরা করবে ইডি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারিতে গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বনমন্ত্রী তৃণমূলের জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তাঁর (ED) সম্পর্কে তথ্য পেতে এবার উত্তর ২৪ পরগনার ২৭টি পুরসভার চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে ইডি। এক সময় উত্তর ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূলের সর্বময় কর্তা ছিলেন জ্যোতিপ্রিয়। এই পুরসভাগুলির কর্তাদের সঙ্গে তাঁর সুসম্পর্কও ছিল। তাই তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জ্যোতিপ্রিয় সম্পর্কে আরও কংক্রিট তথ্য পেতে চাইছেন তদন্তকারীরা।

    বেড়েছে সম্পত্তির বহর

    নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় ইতিমধ্যেই একাধিকবার জেরা করা হয়েছে কামারহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান গোপাল সাহাকে। এই পুরসভার কর্মীদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। ইডির স্ক্যানারে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার ২৭টি পুরসভা। তাঁদের কর্তাদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করার কথা ভাবছে ইডি। ইডি (ED) জেনেছে, উত্তর ২৪ পরগনার বিভিন্ন পুরসভার কাউন্সিলরদের একটা বড় অংশের সম্পত্তির পরিমাণ এক লপ্তে অনেকখানি বেড়েছে তৃণমূল জমানায়। এঁদের অনেকেই জ্যোতিপ্রিয়র হাত ধরে পৌঁছেছেন ক্ষমতার ভরকেন্দ্রে। তার জেরেই এঁদের সম্পত্তি উঠেছে ফুলেফেঁপে। কীভাবে তাঁরা এত সম্পত্তির মালিক হলেন, জ্যোতিপ্রিয়র সঙ্গেই বা তাঁদের সম্পর্ক কী রকম, এই পুরসভাগুলির চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানকে জেরা করে এসবই জানতে চাইতে পারে ইডি।

    জ্যোতিপ্রিয়র সঙ্গে যোগসূত্র

    ইতিমধ্যেই যেসব পুরসভার চেয়ারম্যান ও কাউন্সিলরকে জেরা করা হয়েছে, তাঁদের সঙ্গে জ্যোতিপ্রিয়র যোগসূত্র রয়েছে বলেই অনুমান ইডির কর্তাদের। তাঁরা এমন ১০টি পুরসভার হাজার দেড়েক কর্মীর সন্ধান পেয়েছেন, যাঁরা আদতে প্রভাবশালীদের ধরে কিংবা প্রভাব খাটিয়ে চাকরি পেয়েছেন। ইডির আধিকারিকরা পুরনিগম দফতরের কাছে ফের ওই ১০টি পুরসভার সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য চেয়ে পাঠিয়েছেন। ইডির দাবি, যে কটি পুরসভার নাম আপাতত জানা যাচ্ছে, তার সিংহভাগই উত্তর ২৪ পরগনার। যেটি আবার জ্যোতিপ্রিয়র জেলা নামেই পরিচিত। এই পুরসভাগুলিতে জ্যোতিপ্রিয়র ভালই প্রভাব ছিল।

    আরও পড়ুুন: বালু ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীর ডেরা সহ একাধিক জেলায় হানা ইডির, কোথায় কোথায় জানেন?

    তবে নিয়োগ কেলেঙ্কারি এবং রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারির তদন্ত একযোগে চললেও, তদন্ত হচ্ছে (ED) আলাদা আলাদাভাবে। প্রসঙ্গত, রাজ্যে পুরসভা রয়েছে ১২২টি, পুরনিগম ৭টি। এর মধ্যে নিয়োগ কেলেঙ্কারির তালিকাভুক্ত হয়েছে প্রায় ৭০টি পুরসভা। এর মধ্যে সব চেয়ে বেশি অনিয়ম হয়েছে ১০টিতে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ED: বালু ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীর ডেরা সহ একাধিক জেলায় হানা ইডির, কোথায় কোথায় জানেন?

    ED: বালু ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীর ডেরা সহ একাধিক জেলায় হানা ইডির, কোথায় কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবারও রাজ্যের একাধিক জেলায় হানা দিল ইডি। রেশন বন্টন দুর্নীতির তদন্ত করতে ইডি হানা দেয়। একাধিক জেলার  আট তৈরির কারখানা, চালকল কারখানায় ইডি (ED) আধিকারিকরা হানা দেয়। রেশন দুর্নীতি নিয়ে একের পর এক তথ্য উঠে এসেছে ইডির হাতে। এরপরে গ্রেফতার হয় প্রাক্তন খাদ্য মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। সেখান থেকে নতুন তথ্য পেয়ে ইডি হানা দেয়।  শনিবার সাত সকালে একসঙ্গে ফের রাজ্যজুড়ে ইডি-র হানার ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    নদিয়াতে হানা দিল ইডি (ED)  

    নদিয়ায় পৃথক দুটি রেশন ডিলার ও চালকলের মালিকের বাড়িতে ইডি (ED) হানা দেয়। শনিবার নদিয়ার রানাঘাট পুরসভার-১ নম্বর ওয়ার্ডের রেশন ডিলার সিদ্ধেশ্বর বিশ্বাস ও ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের চাল কল মালিক নিতাই ঘোষের বাড়িতে হানা দেন ইডির প্রতিনিধিরা। সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার সকালে ওই দুই ব্যবসায়ীর বাড়িতে হানা দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী প্রতিনিধিরা।

    মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীর বাড়ি, হোটেলে হানা দিল ইডি

    উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁর কালুপুরে একটি আটা কলে এবং একটি চাল কলে ইডি (ED)  হানা দেয়। এই এলাকা থেকে বাংলদেশ সীমান্ত ১০ কিলোমিটার দূরে। তাই, এই এলাকা থেকে  রেশন সামগ্রী বাংলাদেশে পাচার হত কি না তা খতিয়ে দেখতে ইডি হানা দেয়। মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী মন্টু সাহা ও কালীদাস সাহার বাড়িতে ইডি হানা দেয়। তাঁদের আট কল, চাল কলেও তল্লাশি চালানো হয়। পাশাপাশি, সল্টলেক সেক্টর ফাইভের হোটেলে হানা দেয় ইডি। সল্টলেক সেক্টর ফাইভের রাধাকানাইয়া হোটেলের এক কর্মচারীকে প্রথমে ডেকে আনে ইডি। হোটেলে ঢোকার আগেই ওই ব্যক্তি জানিয়ে দেন তিনি মালিক নন, হোটেল মালিকের নাম মন্টু সাহা ও কালিদাস সাহা। এই হোটেলটি কবে কেনা হয়েছিল, এই হোটেলে কারা কারা আসতেন? সেব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করেন ইডির আধিকারিকরা। হোটেলের সিসিটিভি ফুটেজও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সূত্রের খবর, মন্টু সাহা ও কালিদাস সাহা নামে দুই ব্যবসায়ী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত।

     ইডি হানা দিল হাওড়ায়

    হাওড়ার ডোমজুড়ে জালান কমপ্লেক্সের অঙ্কিত ইন্ডিয়া লিমিটেড নামে একটি আটা তৈরির কারখানা এবং গোডাউনে ইডি (ED) হানার খবর মিলেছে। গভীর রাত থেকে এখনও সেখানে তল্লাশি চলছে। ঘটনাস্থলে রয়েছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরা। প্রাথমিক ভাবে জানা যাচ্ছে, এখান থেকেই রেশন দোকানে আটা, ময়দা এবং অঙ্গনওয়াড়ি স্কুলের শিশুদের খাবার সরবরাহ করা হত।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jyotipriya Mallick: বাকিবুরের বাড়িতেই অস্থায়ী ‘খাদ্যদফতর’! ‘আমি নির্দোষ, মমতা সব জানেন..’, বললেন জ্যোতিপ্রিয়

    Jyotipriya Mallick: বাকিবুরের বাড়িতেই অস্থায়ী ‘খাদ্যদফতর’! ‘আমি নির্দোষ, মমতা সব জানেন..’, বললেন জ্যোতিপ্রিয়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক :  তিনি নির্দোষ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায় সব জানেন। দুদিনের মধ্যে সবকিছু স্পষ্ট হয়ে যাবে বলে এদিন দাবি করলেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। আদালতের নির্দেশ মতো এদিন ফের জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে (Jyotipriya Mallick) নিয়ে যাওয়া হল আলিপুর কমান্ড হাসপাতালে। সিজিও কমপ্লেক্সের পিছনের গেট দিয়ে বার করা হয় জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে। তখনই মন দাবি করেন তিনি।

    হিসেব চেয়েছে ইডি

    রেশন বণ্টন দুর্নীতিকাণ্ডে (Ration Scam) এবার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের নজরে এজেন্টরা। সূত্রের খবর, এজেন্টদের মাধ্য়মেই রেশন দুর্নীতির টাকা লেনদেন হত। বাকিবুর রহমান যে টাকা পাঠাতেন সেই টাকা এজেন্টদের মাধ্য়মে লেনদেন হত বলে তদন্তে উঠে এসেছে। সূত্রের খবর, বাকিবুর রহমানের মালিকানাধীন গমকল ও চালকলে কত ধান-গম আসত তার হিসেব চেয়েছে ইডি। কোন কোন ডিস্ট্রিবিউটরের কাছে চাল ও আটা গিয়েছে, এফসিআইয়ের কাছে তারও হিসেব চেয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ইডি সূত্রে দাবি, এই দুর্নীতির তদন্তে নেমে, তাঁরা বাকিবুর রহমানের পাহাড় প্রমাণ সম্পত্তির কথা জানতে পারেন। যার মধ্য়ে ছিল তাঁর একাধিক সংস্থাও। গোয়েন্দা সূত্রে দাবি, ৬টি এমন সংস্থার কথা জানা যায়, যেখানে আটা বণ্টন দুর্নীতির টাকা ঢুকেছিল।

    আরও পড়ুন: “খাদ্য দফতরের আধিকারিকের প্রতারণায় বন্ধ হয়েছে চালকল”, বিস্ফোরক মালিক

    বাকিবুরের বাড়িতেই ছোট ‘খাদ্য দফতর’ 

    রেশন দুর্নীতি মামলায় ধৃত মিল মালিক বাকিবুর রহমানের বাড়িতেই ছোটখাট একটি ‘খাদ্য দফতর’ গড়ে তোলা হয়েছিল বলে দাবি ইডির। অভিযুক্তের বাড়ি এবং সংস্থায় তল্লাশি চালিয়ে এখনও পর্যন্ত যে বিপুল পরিমাণ সরকারি স্ট্যাম্প উদ্ধার হয়েছে, তা খতিয়ে দেখার পরে একথা মনে করছেন ইডি আধিকারিকেরা। উদ্ধার হওয়া স্ট্যাম্পগুলিকে খুটিয়ে পরীক্ষা করে ইডি মনে করছে, খাদ্য দফতরের মাথায় বসে থাকা কর্তা-ব্যক্তিরাই শুধু দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত নন, বাকিবুরের ঘনিষ্ঠ জেলাস্তরের সরকারি আধিকারিকেরাও এতে জড়িত থাকতে পারেন। তাঁদের ভূমিকাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ইডি সূত্রে দাবি, বারাসতের খাদ্যদফতরের প্রায় সমস্ত সরকারি আধিকারিকদের সঙ্গে বাকিবুরের যোগ ছিল। তা হয়েছিল জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার কারণেই। অভিযোগ, পরে নদিয়া এবং উত্তর ২৪ পরগনা জেলাতেও নিজের প্রভাব খাটাতেন তিনি। এমনকী, মন্ত্রীর কনভয়েও কখনও কখনও বাকিবুরের গাড়িকে যেতে দেখা যেত বলে দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share