Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Abhishek Banerjee: ফের অভিষেককে সমন ইডির! দিল্লিতে ঘেরাও কর্মসূচির দিনই তলব সাংসদকে 

    Abhishek Banerjee: ফের অভিষেককে সমন ইডির! দিল্লিতে ঘেরাও কর্মসূচির দিনই তলব সাংসদকে 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফের তলব করল ইডি। আগামী ৩ অক্টোবর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁকে তলব করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা।  ওই দিনই দিল্লিতে দলের নেতা কর্মীদের নিয়ে ধরনা কর্মসূচি রয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তাই ৩ অক্টোবর অভিষেক হাজিরা দেবেন কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। 

    কখন হাজিরা

    আগামী ৩ অক্টোবর সকাল সাড়ে ১০ টায় সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে অভিষেককে। সেই নোটিসের কথা এক্স মাধ্যমে জানিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই। সম্প্রতি লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস অভিষেকের সম্পত্তি খতিয়ানের প্রশ্নে ইডি-কে কার্যত তুলোধনা করেছিলেন হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা। বিচারপতির প্রশ্ন, ‘রিপোর্টে একটি পাতায় দু’জনের নাম আছে। ঠিকানা দেওয়া, ৩০বি হরিশ চাটার্জি স্ট্রিট। এটা কি সংস্থার রেজিস্ট্রার্ড ঠিকানা? একটা সময়ে এই ঠিকানা রেজিস্ট্রার্ড হয়েছিল। সংস্থার বদলের সময়ে নিয়ম মানা হয়েছে? যে ওই কাজে অনিয়ম হয়েছে কিনা? ১৯ এপ্রিল ২০১২ তিনজন ডিরেক্টর ছিলেন। কিন্তু রেজিস্ট্রেশন সময় দু’জন হল? ১১৮এ হরিশ মুখার্জি রোডে কার সম্পত্তি? সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত তালিকায় নেই কেন’?

    ফের কেন তলব

    বিচারপতির এই প্রশ্নের মাত্র দুদিন পরেই অভিষেককে তলব করল ইডি। কেন্দ্রীয় সংস্থা সূত্রে খবর, লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস মামলা প্রসঙ্গেও অভিষেককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে। সূত্রের খবর, লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের সিইও হিসাবে অভিষেকের কী ভূমিকা ছিল তা জানতে তাঁকে তলব করা হয়েছে। গত ১৩ সেপ্টেম্বরও ইডি জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হয়েছিলেন অভিষেক৷ সেদিনও প্রায় ৯ ঘণ্টা তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়৷

    আরও পড়ুন: পুলিশ সরানোর নির্দেশ! রাজভবনের আবাসিক এলাকার নিরাপত্তায় কেন্দ্রীয় বাহিনী

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CV Ananda Bose: পুলিশ সরানোর নির্দেশ! রাজভবনের আবাসিক এলাকার নিরাপত্তায় কেন্দ্রীয় বাহিনী

    CV Ananda Bose: পুলিশ সরানোর নির্দেশ! রাজভবনের আবাসিক এলাকার নিরাপত্তায় কেন্দ্রীয় বাহিনী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজভবনের রেসিডেন্সিয়াল এলাকা ও গ্রাউন্ড ফ্লোর থেকে পুলিশকে সরানোর নির্দেশ। ওই এলাকার নিরাপত্তার দায়িত্ব নেবে সিআরপিএফ। সূত্রের খবর, রাজভবনের তরফে গোটা বিষয়টি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে জানানো হয়েছে। এমনকী রাজ্য প্রশাসনকেও বিষয়টি জানানো হয়েছে বলে খবর।

    কেন এই নির্দেশ

    রাজভবন সূত্রে খবর, পুলিশের ‘সন্দেহজনক’ গতিবিধির কথা জানিয়ে বুধবারই রাজ্য প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছে।  উল্লেখ্য, রাজভবনে যে এলাকায় রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস থাকেন, সেখানে পুলিশি নজরদারি অভিযোগ উঠেছে। বুধবার রাতে ওই এলাকায় দুই পুলিশকর্মীকে ঘোরাফেরা করতে দেখা গিয়েছে, বলে খবর। সেই কারণে রাজভবনে নিরাপত্তার দায়িত্ব থাকা ৫০ জন পুলিশকর্মীকে সরানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    কী বলছে রাজভবন

    রাজভবনের বক্তব্য, রাজভবন চত্বর এবং একেবার নীচের তলা কলকাতা পুলিশের অধীনেই থাকবে। রাজভবনের ভিতরে অনেকগুলো ভাগ রয়েছে। এক তলায় লাইব্রেরি, দোতলায় অফিস, তিন তলায় রাজ্যপালের রেসিডেন্সিয়াল এলাকা। রাজভবনের বক্তব্য, রাজ্যপালের রেসিডেন্সিয়াল আর অফিসিয়াল এলাকার নিরাপত্তার দায়িত্ব কেন্দ্রীয় বাহিনীকে দেওয়া হোক। রাজভবন চত্বর ও অন্যান্য এলাকা কলকাতা পুলিশের নজরেই থাকবে। যে দু’জন পুলিশ কর্মীর গতিবিধি নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়েছে, তাঁদের বিষয়ে লালবাজারে জানানো হয়েছে। কলকাতা পুলিশ কমিশনারের কাছে ব্যাখ্যাও চাওয়া হয়েছে রাজভবনের তরফে। লালবাজারের তরফে এখনও পর্যন্ত এর কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

    আরও পড়ুন: ‘২ হাজার কোটি টাকা পড়ে থাকলেও খরচ করতে পারছে না রাজ্য’, তোপ সুকান্তর

    রাজভবনের যে অংশে রাজ্যপাল থাকেন তার কাছে পুলিশের (Police) সন্দেহজনক গতিবিধির অভিযোগ ওঠে। আবাসিক এলাকা ছেড়ে চলে যেতে বলার পরেও ২ পুলিশ কর্মীর বিরুদ্ধে ঘুরে ফিরে আসার অভিযোগ করা হয়। কী উদ্দেশ্যে রাজভবনের আবাসিক এলাকায় পুলিশ, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি। দলের মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “তৃণমূলের এক মন্ত্রী রাজ্যপাল সম্পর্কে ভ্যাম্পায়ার বা সাদা হাতির মতো শব্দ ব্যবহার করেন। সেদিক থেকে নজরদাররির বিষয়টি কোনওভাবেই অস্বাভাবিক নয়।” 

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Fraud Case: আধার প্রতারণায় ফের টাকা গায়েব, দলিলে হাতের ছাপ অদৃশ্য রাখার আবেদন পুলিশের

    Fraud Case: আধার প্রতারণায় ফের টাকা গায়েব, দলিলে হাতের ছাপ অদৃশ্য রাখার আবেদন পুলিশের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আধার কার্ডের বায়োমেট্রিক তথ্য চুরি করে টাকা গায়েব করার অজস্র অভিযোগ (Fraud Case) ইতিমধ্যে খবরে শিরোনামে এসেছে। এই মর্মে নড়েচড়ে বসল কলকাতা পুলিশ। জানা গিয়েছে, কলকাতা পুলিশের তরফ থেকে চিঠি পাঠানো হয়েছে অর্থ সচিবকে এবং তাতে আবেদন করা হয়েছে যে কোনও দলিল ডাউনলোড করার সময় যে হাতে ছাপ দেখা যায় তা যেন অদৃশ্য রাখা হয়। অর্থাৎ দলিল পেলেও তাতে যেন আঙুলের ছাপ (Fraud Case) কখনও না থাকে।

    বায়োমেট্রিক তথ্য চুরি করে টাকা গায়েব

    প্রসঙ্গত, বায়োমেট্রিক তথ্য চুরি করে টাকা গায়েবেরঅভিযোগ একাধিক জেলা থেকেই আসছে। এক্ষেত্রে প্রতারকরা ফিঙ্গারপ্রিন্ট চুরি করছে। যে সমস্ত জায়গাগুলিতে এটিএম ব্যবস্থা নেই সেখানেই এই ধরনের ঘটনাগুলি বেশি করে ঘটছে। এমন অবস্থায় বেশ কিছু সতর্কতা অবলম্বন করার কথা বলেছেন সাইবার বিশেষজ্ঞরা (Fraud Case)। যেমন মোবাইলে তাঁরা এম আধার অ্যাপটি ডাউনলোড করে রাখতে বলছেন। কাজ হয়ে যাওয়ার পরে সেটিকে লক করে দিতে বলছেন। এই সমস্ত বায়োমেট্রিক তথ্য কোথায় সব থেকে বেশি চুরি যাচ্ছে? অনুসন্ধান করতে নেমে পুলিশের দাবি, দলিলে থাকা আঙুলের ছাপে বেশি জালিয়াতি হচ্ছে। অর্থাৎ বিষয়টি সরলীকরণ করলে দাঁড়ায়, কোনও ব্যক্তি হয়তো জমি কেনাবেচা করছেন, সেখানে মালিকের হাতের ছাপ থাকে। এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সেই মালিকের হাতের ছাপ থেকেই বায়োমেট্রিক তথ্য চুরি করছে প্রতারকরা।

    উত্তর দিনাজপুরে গ্রেফতার ২ 

    সম্প্রতি বাগুইআটির বাসিন্দা তুষার কান্তি মুখোপাধ্যায় অভিযোগ করেন যে তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে গায়েব হয়েছে ২৮ হাজার ৯০০ টাকা। তদন্ত নেমে পুলিশ বাংলা এবং বিহারের সীমানা এলাকা থেকে দুইজনকে গ্রেফতার করতে সমর্থ হয়েছে। জানা গেছে, ধৃত ২ জনের নাম মোখতার আলম, বয়স ২৩ এবং রওশন আলি, বয়স ২২। দুজনের বিরুদ্ধে (Fraud Case) এমন ছটি ব্যাংক জালিয়াতির অভিযোগ রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। কলকাতা পুলিশের বিশেষ শাখা হানা দেয় উত্তর দিনাজপুরে, এবং সেখান থেকেই গ্রেফতার করা হয় দুইজনকে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ‘২ হাজার কোটি টাকা পড়ে থাকলেও খরচ করতে পারছে না রাজ্য’, তোপ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: ‘২ হাজার কোটি টাকা পড়ে থাকলেও খরচ করতে পারছে না রাজ্য’, তোপ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের ২ হাজার কোটি টাকা রাজ্যে এসে পড়ে আছে, সেই টাকা খরচ করতে পারছে না রাজ্য সরকার। কিন্তু, ১০০ দিনের কাজের টাকা নিয়ে কেন্দ্র সরকারকে আক্রমণ করতে ছাড়ছেন না মুখ্যমন্ত্রী। নদিয়ার গাংনাপুর মাঝেরপাড়া গ্রামের রেলগেট সংলগ্ন একটি মাঠে বিজেপির এক জনসভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এই ভাষাতেই তীব্র আক্রমণ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)।

    স্পেন সফর নিয়ে কী বললেন সুকান্ত? (Sukanta Majumdar)

    সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, মুখ্যমন্ত্রী স্পেনে গিয়েছিলেন শিল্প আনতে, কাকে ধরে নিয়ে আসলেন, বাংলা তথা বিশ্বের স্বনামধন্য খেলোয়াড় সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে। দিদির অনুপ্রেরণায় সবই হয়, দিদির অনুপ্রেরণায় কয়লা হাফিস হয়ে যাচ্ছে, গরু পাচার হয়ে যাচ্ছে। আজ দিদির অনুপ্রেরণায় স্পেনে গিয়ে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় শিল্পপতি হয়েছেন। কোনদিন দিদির অনুপ্রেরণায় সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় না চাঁদে চলে যান। এদিন মঞ্চে উঠে মাইক ধরতেই মুখ্যমন্ত্রীকে একের পর এক আক্রমণ করলেন তিনি।

    সাগর দত্ত হাসপাতালে দালালচক্র নিয়ে মদনকে কটাক্ষ সুকান্তর (Sukanta Majumdar)

    নির্বাচনের আগে চাকরির জন্য ফর্ম ফিলআপ করা নিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar) বলেন, ভোটের আগে চাকরিপ্রার্থীদের ফর্ম ফিলআপ করানো মানে সেই টাকা নির্বাচনের খরচের জোগানো করা ছাড়া আর কিছু নয়। ঝালদা পুরসভার অনাস্থা প্রসঙ্গে প্রশ্ন করলে বলেন, পৌরসভা তৃণমূলের পৌরসভা ছিল না, জোর করে এই পৌরসভা তৃণমূল কংগ্রেস দখল করে। স্বাভাবিকভাবেই জোর করে দখল করার জিনিস বেশিদিন থাকে না। যদিও মদন মিত্র প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এই দালালরাজ বহুদিন ধরে চলছে। সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ থেকে মদন মিত্রকে বহুদিন আগে বের করে দিয়েছে। তাই মদন মিত্রের এত রাগ। ১৫ দিন পরে আবার দালাল চক্র শুরু হবে। অন্যদিকে, নদিয়ার তাঁত শিল্প নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে খোঁচা দেন সুকান্ত মজুমদার। তাঁর দাবি, তাঁত শিল্পকে বাঁচাতে কম দামে সুতো দিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার, কিন্তু এ রাজ্য সেটাও ভাগ বাঁটোয়ারা করে মুনাফা লোটার চেষ্টা করছে। কিন্তু, তাঁত শিল্পকে কিভাবে বাঁচানো যাবে সেদিকে কোনও খেয়াল নেই মুখ্যমন্ত্রীর।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Justice Abhijit Gangopadhyay: “আর দু’ দিন সময় দিন…” , হাইকোর্টে আর্জি মলয়ের

    Justice Abhijit Gangopadhyay: “আর দু’ দিন সময় দিন…” , হাইকোর্টে আর্জি মলয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আর দু দিন সময় দিন..।” বুধবার বিকেলে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে (Justice Abhijit Gangopadhyay) এমনই আবেদন জানালেন রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক। হাইকোর্ট নির্দেশ দেওয়ার পরেও কেন বিচারক অর্পণ চট্টোপাধ্যায়ের বদলির বিজ্ঞপ্তি জারি হয়নি? বদলির ফাইল রাজ্যের আইনমন্ত্রীর কাছে আটকে রয়েছে বলে দাবি। এর পরেই আধ ঘণ্টার মধ্যে আইনমন্ত্রীকে আদালতে তলব করলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। বিচারপতির তলব পেয়ে পঁচিশ মিনিটের মধ্যেই আদালতে হাজির হয়ে যান মলয়।

    আদালতে মলয়ের বক্তব্য

    আদালতে (Justice Abhijit Gangopadhyay) রাজ্যের আইনমন্ত্রী বলেন, “আমি ২৫ অগাস্ট থেকে চারদিন হাসপাতালে ভর্তি ছিলাম। তারপরে কাজে ব্যস্ত হয়ে গিয়েছিলাম। ৬ অক্টোবর পর্যন্ত আমাকে সময় দেওয়া হোক। ফাইলে সই হয়ে যাবে।” বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “ব্যাপারটা অন্যভাবে নেবেন না। আপনি আপনার হাইকোর্টে এলেন। আপনার হাসি মুখ দেখলাম। আগে অলিন্দে দেখা হত। ৬ অক্টোবর পর্যন্ত ওই পদে নিয়োগের সময় বাড়ানো হল।”

    রাজ্যের মুখ্যসচিবকে কী নির্দেশ দিল আদালত?

    এদিন রাজ্যের মুখ্যসচিবকে আদালতের নির্দেশ, তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে জানাবেন কোনও ব্যক্তি এই নিয়োগ তদন্তে যুক্ত সিবিআই এবং ইডির সিটে থাকা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আদালতের নির্দেশ ছাড়া অভিযোগ জানাতে পারবেন না। বোর্ডকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, ২০১৪ সালের নিয়োগ পরীক্ষার এমন কোনও সিদ্ধান্ত হয়েছিল কিনা যেখানে মিরর ইমেজ সংরক্ষণ করা হবে না বলে সিদ্ধান্ত হয়েছিল, সেটা যাচাই করতে।

    প্রসঙ্গত, কাগজপত্র আইনমন্ত্রীর (Justice Abhijit Gangopadhyay) কাছে থাকায় আলিপুরের বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক অর্পণ চট্টোপাধ্যায়ের বদলির সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়নি – বিচারবিভাগের সচিবের কাছে এ কথা শোনার পরেই মলয়কে তলব করেছিলেন বিচারপতি।

    আরও পড়ুুন: ছিলেন নাইটক্লাবের বাউন্সার! ট্রুডোর বর্ণিল জীবন হার মানায় রুপোলি পর্দার জগতকেও

    নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে ধৃত কুন্তল ঘোষের করা অভিযোগের ভিত্তিতে দায়ের মামলায় হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে সিট গঠন করায় সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতের বিচারক অর্পণ চট্টোপাধ্যায়কে অবিলম্বে অপসারণের নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। ৪ অক্টোবরের মধ্যে তাঁর পরিবর্তে অন্য বিচারপতি নিয়োগ করার নির্দেশ দেন তিনি। এও জানান, নতুন বিচারক না আসা পর্যন্ত ওই আদালতে স্থগিত থাকবে নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানি। তাঁর বদলির নির্দেশ কেন কার্যকর হয়নি, তা জানতে আদালতে জুডিশিয়াল সেক্রেটারিকে তলব করেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Partha Chatterjee: ফের খারিজ পার্থর জামিনের আবেদন! কেন জরিমানা করল সিবিআই আদালত?

    Partha Chatterjee: ফের খারিজ পার্থর জামিনের আবেদন! কেন জরিমানা করল সিবিআই আদালত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে গ্রেফতার রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিনের আবেদন ফের খারিজ করল আদালত। বুধবার তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ করেন বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক অর্পণ চট্টোপাধ্যায়। ১১ অক্টোবর পর্যন্ত পার্থকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

    কেন জামিন খারিজ

    প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর শুধু জামিনের আর্জি খারিজই নয় তাঁকে এদিন আর্থিক জরিমানাও করা হয়। বার বার একই আবেদন করায় প্রাক্তন মন্ত্রীর উপর এদিন অসন্তোষ প্রকাশ করেন বিচারক। জেল হেফাজতের মেয়াদ শেষে এদিন পার্থসহ ১০ জনকে ফের আদালতে পেশ করা হয়। তখন আদালতে পার্থর জামিনের আবেদন করেন তাঁর আইনজীবী বিপ্লব গোস্বামী। সওয়ালে তাঁরা বলেন, পার্থবাবুর গ্রেফতারির পর দেড় বছর কাটতে চলেছে। তাঁর কাছ থেকে নতুন করে আর কিছু জানার নেই তদন্তকারীদের। ছ মাস আগে পার্থর বিরুদ্ধে শেষ নথি আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে। তার পর থেকে কার্যত বিনা বিচারে জেলে বন্দি রয়েছেন তিনি। তাঁর বয়স হয়েছে। একাধিক উপসর্গ রয়েছে তাঁর। যদিও সিবিআই-এর তরফে এদিন ফের জানানো হয়, পার্থর বিরুদ্ধে অভিযোগ অত্যন্ত গুরুতর। তিনি প্রভাবশালীও বটে। জামিন পেয়ে বাইরে এলে তদন্তে প্রভাবিত করতে পারেন।

    আরও পড়ুন: সিবিআই সিটের বিরুদ্ধে পুলিশি পদক্ষেপ নয়! বিচারককে বদলির নির্দেশ আদালতের

    আর্থিক জরিমানা

    দুপক্ষের সওয়াল শুনে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিনের আবেদন ফের খারিজ করেন বিচারক অর্পণ চট্টোপাধ্যায়। এদিন পার্থ ছাড়াও কল্যাণময়, সুবীরেশসহ ১০ জনকে আদালতে পেশ করা হয়। প্রত্যেককে ১১ অক্টোবর পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। প্রসঙ্গত, রাজ্যের শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থকে ২০২২ সালের জুলাই মাসে গ্রেফতার করে ইডি। ২৩ জুলাই রাতে গ্রেফতার হওয়ার ১৩ মাস পর জামিন চেয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন পার্থ। কিন্তু ইডি সেই জামিনের আর্জির বিরোধিতা করে পাল্টা আবেদন করে হাই কোর্টে। সম্প্রতি নিয়োগ মামলায় রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর বিরুদ্ধে আনা চার্জশিটে অনুমোদন পেয়েছে সিবিআই। এদিন আদালতে সেই চার্জশিটও দেখতে চান পার্থ। কিন্তু তা গ্রাহ্য হয়নি। রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীকে ১,০০০ টাকা জরিমান করে আদালত।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Justice Abhijit Gangopadhyay: সিবিআই সিটের বিরুদ্ধে পুলিশি পদক্ষেপ নয়! বিচারককে বদলির নির্দেশ আদালতের

    Justice Abhijit Gangopadhyay: সিবিআই সিটের বিরুদ্ধে পুলিশি পদক্ষেপ নয়! বিচারককে বদলির নির্দেশ আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আলিপুরের বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক অর্পণ চট্টোপাধ্যায়কে আগামী ৪ অক্টোবরের মধ্যে বদলির নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay)। একই সঙ্গে তাঁর নির্দেশ, ইডি এবং সিবিআইয়ের সিটের আধিকারিকদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ পুলিশ যেন না করে। প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় সিবিআইয়ের বিশেষ তদন্তকারী দলের (সিট) প্রধান অশ্বিন শেণভির কথা শোনার পরই এই নির্দেশ দেন বিচারপতি। 

    সিবিআই-এর দাবি

    বুধবার নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) হাজিরা দিলেন সিবিআইয়ের বিশেষ তদন্তকারী দলের (সিট) প্রধান অশ্বিন শেণভি। তাঁকে তদন্তে দেরি নিয়ে প্রশ্ন করেন বিচারপতি। তখনই শেণভি জানান, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জেলবন্দি কুন্তল ঘোষের অভিযোগের প্রেক্ষিতে আধিকারিকদের ‘পুলিশি হেনস্থা’র মুখে পড়তে হচ্ছে।  নিয়োগ মামলায় অভিযুক্ত কুন্তলের করা অভিযোগের ভিত্তিতে যে মামলা হয়, তাতে পুলিশকে যুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছিল সিবিআই বিশেষ আদালত। আর সেই মামলায় সিবিআই অফিসারদের বারবার নোটিস দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। এরপরই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় জোড়া নির্দেশ দেন।

    বিচারককে বদলি করতে হবে

    এদিন নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানিতে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay) বলেন, “আমি জানতে পেরেছি, সিবিআই স্পেশাল কোর্টের বিচারক অর্পণ চট্টোপাধ্যায় জেলে থাকা এক ব্যক্তির অভিযোগের ভিত্তিতে কলকাতা পুলিশকে তদন্ত করতে নির্দেশ দিয়েছেন। সিবিআই বিচারকের কোনও ভাবেই হাইকোর্টের অর্ডারে হস্তক্ষেপ করা উচিত নয়। এটি তাঁর এক্তিয়ার বহির্ভূত কাজ। শুনেছি, বিচারক অপর্ণ চট্টোপাধ্যায়ের বদলির নির্দেশ হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। তাঁর মাথায় কারও হাত রয়েছে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ থাকছে।”  তাঁর নির্দেশ, আগামী ৪ অক্টোবরের মধ্যে বিচারককে বদলি করাতে হবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে। তাঁর এই নির্দেশ পালন হল কি না, তা জানিয়ে রিপোর্টও দিতে হবে হাইকোর্টের রেজিস্ট্রারকে। বিচারপতি বলেন, ‘‘ওই পদটি এখন ফাঁকা রয়েছে। ওই বিচারক অন্তর্বর্তী দায়িত্বে রয়েছেন। তাই ওই পদটিতে ৪ অক্টোবরের মধ্যে নতুন বিচারককে বসাতে হবে। আমি নির্দেশ দিচ্ছি, বিচারক চট্টোপাধ্যায় নিয়োগ দুর্নীতির আর কোনও মামলা শুনতে পারবে না।’’

    আরও পড়ুুন: নিজ্জর খুনে আরও গাড্ডায় ট্রুডো, পাশে পেলেন না ‘ফাইভ আইজ’ অ্যালায়েন্সকেও

    পুলিশকে কড়া নির্দেশ

    সিটের আধিকারিকদের ‘পুলিশি হেনস্থা’ মুখে পড়ার অভিযোগ শুনে বিচারপতির (Justice Abhijit Gangopadhyay) নির্দেশ, সিটের কোনও আধিকারিককে আর হয়রানি করতে পারবে না কলকাতা ও রাজ্য পুলিশ। রাজ্যের মুখ্যসচিবের মাধ্যমে বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নজরেও আনতে চান বিচারপতি। তাঁর মন্তব্য, ‘‘ওঁদের (সিবিআই সিটের আধিকারিকদের) যেন টাচ (ছোঁয়া) না করা হয়। দুর্নীতির সঙ্গে কোনও আপোস নয়।’’ কলকাতা পুলিশ এবং রাজ্য পুলিশের উদ্দেশে তাঁর নির্দেশ, তারা সিটের কোনও আধিকারিককে আর হয়রানি করতে পারবে না। আদালতের এই নির্দেশ না মানলে পুলিশের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হতে পারে বলেও জানিয়ে দিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। 

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Group D Agitation: অভিষেকের অফিসের সামনে দিয়েই গেল চাকরি প্রার্থীদের মিছিল, একসঙ্গে হাঁটলেন শুভেন্দু, কৌস্তুভ

    Group D Agitation: অভিষেকের অফিসের সামনে দিয়েই গেল চাকরি প্রার্থীদের মিছিল, একসঙ্গে হাঁটলেন শুভেন্দু, কৌস্তুভ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা হাইকোর্টে খারিজ হয়ে গিয়েছিল রাজ্য সরকারের আবেদন। তাই পূর্ব নির্ধারিত রাস্তায় মিছিল করতে বাধা ছিল না গ্রুপ ডি চাকরিপ্রার্থীদের (Group D Agitation)। বুধবার ক্যামাক স্ট্রিট দিয়েই গেল তাঁদের মিছিল। এই রাস্তায়ই রয়েছে তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিস। তার সামনে দিয়েই নির্বিঘ্নে চলে যায় মিছিল।

    শুভেন্দু-কৌস্তুভে জল্পনা

    মিছিলের সামনে সারিতে ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী। ছিলেন কংগ্রেস নেতা পেশায় আইনজীবী কৌস্তুভ বাগচিও। বিজেপির শুভেন্দুর সঙ্গে কংগ্রেসের কৌস্তুভের পা মেলানোর কারণ নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণে এদিন দিনভর মজে রইল রাজ্যরাজনীতি। এদিন মিছিলে পা মিলিয়েই রাজ্য সরকারকে নিশানা করেন (Group D Agitation) রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তিনি বলেন, “এঁরা পরীক্ষায় পাশ করার পরেও এঁদের চাকরি না দিয়ে সেই চাকরি বিক্রি করা হয়েছে। হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ, ডিভিশন বেঞ্চে লড়ে এঁদের মিছিল করতে হয়েছে। আমি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। সরকার ও সরকারি দলের দ্বারা যাঁরাই অত্যাচারিত, তাঁদের সঙ্গে ভারতীয় জনতা পার্টির মনোনীত বিরোধী দলনেতা থাকবে। ক্যামাক স্ট্রিট থেকে নিজাম প্যালেস পর্যন্ত হেঁটে এঁদের দাবিকে সমর্থন করলাম। আগামী তিন তারিখে এঁদের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আমার সভা হবে কলকাতায়। আইনি লড়াই করে এঁদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করার ক্ষেত্রে রাজ্যের (Group D Agitation) বিরোধী দলনেতা অঙ্গীকারবদ্ধ।”

    মমতাকে নিশানা শুভেন্দুর

    শুভেন্দু বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী স্পেনে ছুটি কাটাতে যান আর রাজ্যের ১০টি সংগঠনের ব্যানারে যোগ্য চাকরিপ্রার্থীরা বছরের পর বছর চাকরির দাবিতে রাস্তায় বসে আন্দোলন করেন। তাই নৈতিক সমর্থন জানাতেই এই মিছিলে অংশ নিয়েছি।” বিজেপি নেতা শুভেন্দুর সঙ্গে মিছিলে শামিল হওয়া প্রসঙ্গে কৌস্তুভ বলেন, “এখানে কংগ্রেসের পতাকা নেই, বিজেপিরও কোনও পতাকা নেই। তাই এখানে না হাঁটার কোনও কারণ নেই। আমি ব্যক্তি কৌস্তুভ বাগচি হিসেবে, আইনজীবী হিসেবে এখানে এসেছি। তাই এটা নিয়ে আলাদা করে জল্পনা করার কিছু নেই।” এ প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, “এটা অরাজনৈতিক আন্দোলন। আন্দোলনকারীরা (Group D Agitation) কাকে মিছিলে ডাকবেন, সেটা ওঁদের ব্যাপার। যাঁরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছেন, তাঁদের মধ্যে কৌস্তুভ বাগচি একজন। আজ মিছিলের জন্য আদালত থেকে যে অনুমতি মিলেছে, তার নেপথ্যেও কৌস্তুভের অবদান রয়েছে। তাই এক সঙ্গে হাঁটতে আপত্তি নেই।”

    আরও পড়ুুন: নিজ্জর খুনে আরও গাড্ডায় ট্রুডো, পাশে পেলেন না ‘ফাইভ আইজ’ অ্যালায়েন্সকেও

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: কনস্টেবল নিয়োগে অনিয়ম! বাতিল নতুন প্যানেল, পুরনো তালিকাকে মান্যতা হাইকোর্টের

    Recruitment Scam: কনস্টেবল নিয়োগে অনিয়ম! বাতিল নতুন প্যানেল, পুরনো তালিকাকে মান্যতা হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির মাঝেই এবার কনস্টেবল নিয়োগ পরীক্ষার (Recruitment Scam) অস্বচ্ছতা সামনে এল রাজ্যে। এ সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানি ছিল বুধবার এবং সেই মামলায় প্যানেল বাতিল করার নির্দেশ দিলেন প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং হিরন্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের রাজ্যজুড়ে কনস্টেবল নিয়োগ পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছিল। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে হয়েছিল লিখিত পরীক্ষা। এরপর পরীক্ষার পরে ২০২১ সালের ২৬ মার্চ ৪০২ জনের একটি প্যানেল প্রকাশিত হয় এবং এটি প্রকাশ করে রাজ্য পুলিশ রিক্রুটমেন্ট বোর্ড।

    মামলাকারীদের দাবি

    মামলাকারীদের দাবি এক্ষেত্রে একাধিক দুর্নীতি (Recruitment Scam) হয়েছে। যেমন কিছু পরীক্ষার্থীর হোয়াটসঅ্যাপেই ইন্টারভিউ এর আগে পৌঁছে যায় গোপন খবর। এখানে বলা হতে থাকে ইন্টারভিউ বোর্ডে কারা থাকবেন, কারা প্রশ্ন করবেন সেই তথ্য নাকি জানতে পেরেছিলেন কিছু পরীক্ষার্থী। আবার মেধা তালিকা প্রকাশের পরেও অনেক অনিয়ম সামনে আসে। সেই অনিয়মের অভিযোগে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন এই পদের কিছু চাকরি প্রার্থী। এ ক্ষেত্রে ট্রাইব্যুনালের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয় যাঁরা সংরক্ষিত শ্রেণির প্রার্থী নয় তাঁদের জন্য আলাদা তালিকা বানাতে হবে। সংরক্ষিত শ্রেণির প্রার্থীদের অভিযোগ ছিল যে লিখিত পরীক্ষায় কম নম্বর পেলেও ইন্টারভিউ তে আশ্চর্যজনকভাবে বেড়ে যায় কিছু প্রার্থীর নম্বর।

    প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ

    এরপরে ওই নিয়োগ প্রক্রিয়ার (Recruitment Scam) পুরো প্যানেল খারিজ করার নির্দেশ দেয় স্টেট ট্রাইব্যুনাল। পরবর্তীকালে তাদের নির্দেশেই পুলিশ রিক্রুটমেন্ট বোর্ড নতুন তালিকা প্রকাশ করে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে। সেখানে পুরনো তালিকা থেকে ১৩৭ জনকে বাদ দেওয়া হয়। এর পাশাপাশি ২১৭ জন চাকরিতে যোগ দিতে অনিচ্ছা প্রকাশ করেছেন বলেও জানান অ্যাডভোকেট জেনারেল। প্রধান বিচারপতি টিসএস শিবজ্ঞানম এদিন নির্দেশ দিয়েছেন, ২০২১ সালের ২৬ মার্চ রাজ্য পুলিশ রিক্রুটমেন্ট বোর্ড যে প্যানেল প্রকাশ করেছিল, সেটাই অপরিবর্তিত থাকবে। এর পাশাপাশি ট্রাইব্যুনালে নির্দেশে প্রকাশ করা প্যানেল খারিজ করার (Recruitment Scam) নির্দেশ দিয়েছে উচ্চ আদালত।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ। 

  • Dengue Situation: রাজ্যে কি অতিমারির রূপ নিচ্ছে ডেঙ্গি? অনলাইন ক্লাসের ভাবনা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের

    Dengue Situation: রাজ্যে কি অতিমারির রূপ নিচ্ছে ডেঙ্গি? অনলাইন ক্লাসের ভাবনা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের অনলাইন ক্লাসের তোড়জোড় শুরু রাজ্যে। তবে এবার কারণ করোনা নয় বরং ডেঙ্গি (Dengue Situation)। রাজ্য প্রশাসন যতই ডেঙ্গি নিয়ে মুখে কুলুপ আঁটুক এবং পরিস্থিতিকে স্বাভাবিক দেখানোর চেষ্টা করুক, আদতে যে বাস্তব পরিস্থিতি অন্যকিছু তা বোঝা গেল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী উপাচার্যের বক্তব্যে। বুদ্ধদেব সাউয়ের বক্তব্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮ থেকে ৯ জন পড়ুয়ার ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন এবং তাঁদেরকে বাড়ি পাঠিয়ে অনলাইনে ক্লাস করানোর চিন্তাভাবনা চলছে। লকডাউন পরবর্তীকালে এই প্রথম এমন চিত্র দেখা গেল রাজ্যে। প্রতিনিয়ত কলকাতা সমেত রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলায় ব্যাপক ভাবে বাড়ছে ডেঙ্গি। অজানা জ্বর নিয়ে (Dengue Situation) বহু মানুষকে ভর্তি হতে দেখা যাচ্ছে হাসপাতালে।

    যাদবপুরের এক পড়ুয়ার মৃত্যু, অতিমারির রূপ নিচ্ছে ডেঙ্গি? 

    জানা যাচ্ছে, গত এক সপ্তাহে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলে ৩০ জন আবাসিক ডেঙ্গিতে (Dengue Situation) আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়াও ডেঙ্গির উপসর্গ নিয়ে ডাক্তারদের সঙ্গে দেখাও করেছেন শতাধিক পড়ুয়া। পরিসংখ্যান বলছে একজন পড়ুয়ার মৃত্যু হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ে। অর্থাৎ যতই কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম ডেঙ্গি পরিস্থিতিকে হালকা করার চেষ্টা করুন, কিন্তু যেভাবে ডেঙ্গি বাড়ছে তাতে খুব অচিরেই কি তা অতিমারির রূপ নিতে চলেছে এমনই প্রশ্ন এখন ঘুরপাক খাচ্ছে।

    ভয়াবহ রূপ নিয়েছে ডেঙ্গি (Dengue Situation) 

    পরিসংখ্যান বলছে ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত শুধুমাত্র কলকাতাতেই ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা আছে ৪,৪২৭ জন। ২৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১২ জনের। গত ১১ সেপ্টেম্বর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং এর এক পড়ুয়ারও মৃত্যু হয়েছে। এরপরেও ডেঙ্গি (Dengue Situation) পরিস্থিতিকে হালকা ভাবে কেন দেখাতে চাইছে রাজ্য সরকার? সেই প্রশ্নই বারংবার উঠছে। চিকিৎসকদের পরামর্শ দিচ্ছেন জ্বর এলে অতিসত্ত্বর নিকটবর্তী স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যোগাযোগ করার। বাড়ির আশে পাশে জমা জল আবর্জনা যথা সম্ভব পরিষ্কার রাখতে বলছেন তাঁরা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ। 

LinkedIn
Share