Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Calcutta High Court: নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অনিয়ম! কলেজ সার্ভিস কমিশনের হলফনামা তলব হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অনিয়ম! কলেজ সার্ভিস কমিশনের হলফনামা তলব হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্কুলের পর এবার কলেজ। ২০২০ সালের কলেজ সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ প্রক্রিয়ার হলফনামা তলব করলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ১৩ অক্টোবরের মধ্যে ওই হলফনামা জমা দিতে হবে বলেও নির্দেশ আদালতের।

    ‘মূল্যায়ন স্বচ্ছ হওয়া উচিত’

    বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের পর্যবেক্ষণ, “স্বচ্ছতার প্রশ্নে প্রবেশনারি মেরিট প্যানেল নম্বর বিভাজন সহ প্রকাশ করা উচিত। কলেজ সার্ভিসের মূল্যায়ন স্বচ্ছ হওয়া উচিত।” কমিশনের উদ্দেশে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “একজন চেয়ারম্যান সুবীরেশ এখন জেলে, পারলে একটু মনে করিয়ে দেবেন, দুর্নীতিতে নিমজ্জিতরা আপনাদের ঘাড়ে বন্দুক রেখে কাজ সারে। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও দুর্নীতির কারণে জেলে রয়েছেন।”

     কী অভিযোগ করেছেন মামলাকারী? 

    মোনালিসা ঘোষ নামে এক মামলাকারীর অভিযোগ, ২০২৩ সালে কলেজ সার্ভিস কমিশনের তরফে যে প্যানেল প্রকাশ করা হয়েছে, সেখানে শুধু প্রার্থীদের নাম ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর প্রকাশ করা হলেও, নম্বর প্রকাশ করা হয়নি। তালিকায় কোনও নম্বর বিভাজনও ছিল না। তাই ঠিক কীসের ভিত্তিতে তিনি বাদ পড়লেন, সেটা জানতে পারেননি বলেই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মোনালিসা। তাঁর দাবি, স্বচ্ছতা আনতে প্যানেলে নম্বর প্রকাশ করতে হবে।

    কলেজ সার্ভিস কমিশনের তরফে আইনজীবী জানান, মেধা তালিকা প্রকাশ করার ক্ষেত্রে কোনও নিয়ম নেই। তাই সেরকম কোনও তালিকা প্রকাশ করা হয়নি। এর পরেই বিস্মিত বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “স্বচ্ছতার প্রশ্নে প্রবেশনারি মেরিট প্যানেল নম্বর বিভাজন সহ প্রকাশ করা উচিত। কলেজ সার্ভিসের মূল্যায়ন স্বচ্ছ হওয়া উচিত।”

    আরও পড়ুুন: একাধিক ভুয়ো সংস্থা খুলে রেখেছিলেন তৃণমূলের পার্থও! কী বলছে সিবিআই?

    প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়েছিল কলেজ সার্ভিস কমিশনের। প্যানেল প্রকাশিত হয় ২০২৩ সালে। মঙ্গলবার শুনানি ছিল বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে। কমিশনের আইনজীবীর কাছে তিনি জানতে চান, কীসের ভিত্তিতে প্যানেল প্রকাশ করা হয়। কমিশনের আইনজীবী জানান, প্রাপ্ত নম্বর, গবেষণাপত্র সহ বেশ কিছু নথি দেখেই প্যানেলে নাম ওঠে। এর পরেই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রশ্ন, “চেয়ারম্যান নিজে কটি পেপার জমা দিয়েছেন, ওঁকে জিজ্ঞেস করতে চাই। নম্বর প্রকাশ করলে সমস্যা কোথায়?” কলেজ সার্ভিস কমিশনের বর্তমান চেয়ারম্যান দীপক কর। আদালতের (Calcutta High Court) পর্যবেক্ষণ, অবাক হয়েছি কলেজ সার্ভিস আইনে প্যানেলের কোনও সংজ্ঞা বলা নেই বলে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ। 

     
     
  • CBI: একাধিক ভুয়ো সংস্থা খুলে রেখেছিলেন তৃণমূলের পার্থও! কী বলছে সিবিআই?

    CBI: একাধিক ভুয়ো সংস্থা খুলে রেখেছিলেন তৃণমূলের পার্থও! কী বলছে সিবিআই?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বোমা ফাটাল সিবিআই! নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় ৩৫টি ভুয়ো সংস্থার হদিশ পেয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা (CBI)। সিবিআই সূত্রে খবর, নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে ধৃত রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী তৃণমূলের পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও একাধিক ভুয়ো সংস্থা খুলে রেখেছিলেন। আদালতে সিবিআই জানিয়েছে, প্রতিটি ভুয়ো সংস্থার অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দিল্লিতে সিবিআইয়ের ফরেন্সিক বিভাগের সহযোগিতায় অ্যাকাউন্টগুলির অডিট চলছে। অডিট শেষ হলে আসল সুবিধাভোগীদের নাম সামনে আসবে বলে আশাবাদী তদন্তকারীরা।

    সিবিআইয়ের স্ক্যানারে কারা?

    জানা গিয়েছে, সিবিআইয়ের স্ক্যানারে রয়েছে ‘অনন্ত টেক্স ফ্যাব’ থেকে ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’ সহ একাধিক সংস্থা। পার্থর বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের নামে ছিল এই কোম্পানি। ওই সংস্থার ডিরেক্টরের সঙ্গে আর্থিক লেনদেনের তথ্যও চলে এসেছে সিবিআইয়ের হাতে (CBI)। নিয়োগ কেলেঙ্কারির টাকা সেখানেও খেটেছে বলে অনুমান সিবিআইয়ের।

    কালো টাকা সাদা করতে ভুয়ো সংস্থা!

    কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, ভুয়ো সংস্থাগুলি তৈরি করা হয় বিভিন্ন সময়। ওই সংস্থাগুলির মাধ্যমে লেনদেন হয় কোটি কোটি টাকা। কালো টাকা সাদা করতে এই অ্যাকাউন্টগুলিই ব্যবহার করা হয়েছে বলে রিপোর্টে উল্লেখ করেছে সিবিআই। ফরেন্সিক অডিটের রিপোর্ট হাতে পেলেই মাথারা সামনে চলে আসবে বলে অনুমান সিবিআইয়ের। এই ভুয়ো সংস্থাগুলির মাধ্যমে কোথায়, কীভাবে এবং কাদের কাছে টাকা গিয়েছে, সেই মানি ট্রেল রাখা এবং পর্যাপ্ত তথ্য সংগ্রহ করার জন্যই ফরেন্সিক অডিট করানোর সিদ্ধান্ত সিবিআইয়ের। এর পাশাপাশি ফিনান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের কাছেও সাহায্য চেয়েছে সিবিআই (CBI)। যেসব সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, সেসবই চলে আসবে এই অডিটের আওতায়।

    আরও পড়ুুন: চাকরিপ্রার্থীদের মিছিল যাবে অভিষেকের অফিসের সামনে দিয়েই, নির্দেশ হাইকোর্টের

    এদিকে, প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতির মামলায়ও তৎপর হয়েছে সিবিআই। এই নিয়োগ পরীক্ষার ওএমআর শিট পরীক্ষা করেছিল এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানি। এই কোম্পানিরই বিভিন্ন ঠিকানায় চলছে তল্লাশি। হাওড়ার দাশনগর ও জগাছায় এদিন তল্লাশি চালাচ্ছে সিবিআই। সংস্থার দুই অংশীদার পার্থ সেন ও কৌশিক মাজির বাড়িতে তল্লাশি চালায় সিবিআই।

    প্রসঙ্গত, নিয়োগ কেলেঙ্কারির তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের কাছে ভর্ৎসিত হন ইডি-সিবিআইয়ের আধিকারিকরা। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কাজে অসন্তোষ প্রকাশ করেন বিচারপতি অমৃতা সিনহাও। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সেই কারণেই রাতারাতি তৎপর হয়ে উঠেছে সিবিআই।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ। 

  • Justice Abhijit Gangopadhyay: দুই জেলার স্কুল পরিদর্শককে অপসারণের নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

    Justice Abhijit Gangopadhyay: দুই জেলার স্কুল পরিদর্শককে অপসারণের নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক দিনেই দুই জেলার স্কুল পরিদর্শককে অপসারণের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay)। মুর্শিদাবাদের স্কুল শিক্ষিকা নিজের সন্তানের অসুস্থের কথা বার বার জানালেও, স্কুল পরিদর্শক বদলির অনুমতি দেননি। এই অমানবিক আচরণের অভিযোগে বিচারপতি দুই সপ্তাহের মধ্যে অপসারণের নির্দেশ দিলেন। সেই সঙ্গে শিক্ষিকাকে তিন সপ্তাহের মধ্যে নিজের বাড়ির কাছের স্কুলে বদলি করার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি। অপর দিকে হাইকোর্টে ভর্ৎসনার মুখে পড়ে অপসারণের নির্দেশ পেলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডিআই।

    মূল অভিযোগ কী (Justice Abhijit Gangopadhyay)?

    মুর্শিদাবাদের বালি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা বানানী ঘোষের সন্তান এক বিরল রোগে আক্রান্ত। তাঁর বাড়ি হল নদিয়ার কৃষ্ণনগরে। তাঁকে রোজ বাড়ি থেকে ১২৪ কিলোমিটার যাতায়েত করতে হতো। তাঁর সন্তান সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারে না। ফুসফুস এবং হৃদপিণ্ডও ক্ষতিগ্রস্ত। ৬০ শতাংশ প্রতিবন্ধী। সমস্যার কথা জানিয়ে, স্কুল পরিদর্শকের কাছে স্কুল বদলির জন্য বারবার আবেদন করেন শিক্ষিকা। কিন্তু স্কুল পরিদর্শ, শিক্ষিকার আবেদন এবং সমস্যার কথায় কর্ণপাত করছিলেন না। অবশেষে নিরুপায় হয়ে হাইকোর্টে মামলা (Justice Abhijit Gangopadhyay) করেন শিক্ষিকা। 

    অপরে দক্ষিণ ২৪ পরগণার রবীন্দ্র হালদার নামক এক শিক্ষকের মৃত্যু হয় ২০১৯ সালে। তাঁর প্রথম স্ত্রী কুসুম হালদার এবং দ্বিতীয় স্ত্রী সুজাতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দ্বিতীয় স্ত্রীর বিবাহকে নিয়ে আইনি জটিলতা তৈরি হয়। মামালা গড়ায় কোর্ট পর্যন্ত। অবশেষে দ্বিতীয় বিবাহ অবৈধ বলে কোর্ট রায় দেন। এইদিকে দ্বিতীয় স্ত্রীকে পেনশেনের টাকা পাওয়ার অনুমোদন দেন ডিআই সুজিত হাইত। এরপর মামলা কোর্টে গেলে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “ডিআই কীভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে দ্বিতীয় স্ত্রীকে পেনশেনের টাকা নেওয়ার অনুমতি দিলেন! তিনি কি জমিদার! আজ থেকে আর পদে থাকার দরকার নেই।”

    বিচারপতির নির্দেশ

    বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay) মুর্শিদাবাদের এই স্কুল পরিদর্শককে অত্যন্ত অমানবিক বলে উল্লেখ করেছেন। সেই সঙ্গে পরিদর্শক হাইকোর্টে ভুল তথ্য পরিবেশন করেছেন বলে উল্লেখ করেছেন। বিচারপতি স্কুল সংক্রান্ত বিষয়ে হলফনামা দিতে বললেন। কিন্তু সেখানেও পরিদর্শক তথ্যের ক্ষেত্রে ভুল তথ্য দিয়েছেন। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় পর্যবেক্ষণে জানান যে শিক্ষিকার বদলি আটকানোর পিছনে সঠিক কারণ দিতে পারেননি পরিদর্শক। বিচারপতি খুব স্পষ্ট ভাষায় বলেন, “সত্যই এটি বিরল রোগ। এই রোগের কথা আমি জানি। সব থেকে অবাক করার কথা হলে সব জেনেও পরিদর্শক কেন বদলির বিরোধিতা করলেন।” এরপর অভিযুক্ত পরিদর্শককে দুই সপ্তাহের মধ্যে অপসারণের নির্দেশ দেন। সেই সঙ্গে আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে মামালাকারী শিক্ষিকাকে নিজের বাড়ির কাছে কোনও স্কুলে বদলি করার নির্দেশ দেন।

    মামালাকারী শিক্ষিকার বক্তব্য

    মুর্শিদাবাদের স্কুল মামালারীর শিক্ষিকা বলেন, “আমার বার বার আবেদন করেও সমস্যার সমাধান হয়নি। আদালতের নির্দেশকে (Justice Abhijit Gangopadhyay) নিয়েও গড়মসি হতে পারে। শিক্ষা দফতরের কাছে আমার আবেদন দ্রুত আদালতের নির্দেশকে কার্যকর করা হোক”।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: অভিষেকের অফিসের সামনে দিয়ে চাকরিপ্রার্থীদের মিছিল যেতে নেই বাধা, রাজ্যের আবেদন খারিজ হাইকোর্টে

    Calcutta High Court: অভিষেকের অফিসের সামনে দিয়ে চাকরিপ্রার্থীদের মিছিল যেতে নেই বাধা, রাজ্যের আবেদন খারিজ হাইকোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের একবার কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) মুখ পুড়ল রাজ্যের। মঙ্গলবার বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত খারিজ করে দিলেন রাজ্যের আর্জি। আদালত জানিয়ে দিল, ক্যামাক স্ট্রিট দিয়েই যাবে গ্রুপ ডি চাকরি প্রার্থীদের মিছিল।

    আদালতের পর্যবেক্ষণ 

    বিচারপতি সেনগুপ্তর পর্যবেক্ষণ, “ক্যামাক স্ট্রিটে কোনও স্কুল নেই। এটা কোনও ধর্না কর্মসূচিও নয়। একটা মিছিল রাস্তা দিয়ে চলে যাবে।” তিনি বলেন, “ক্যামাক স্ট্রিটে মিছিল হলে অসুবিধা কোথায়? আপনাদের আবেদন মতো কালীঘাট এলাকায় অনুমতি দেওয়া হয়নি। তার পরে নির্দেশ পুনর্বিবেচনার আর্জি গ্রহণযোগ্য বলে মনে করছে না আদালত।” তিনি বলেন, “ওই এলাকায় চাকরিপ্রার্থীদের মিছিল থামবে না এটা বলতে পারি। কিন্তু মিছিল হবেই।” আদালতের নির্দেশ, চাকরিপ্রার্থীদের মিছিলের জন্য স্পেশাল চ্যানেল করতে হবে। স্কুল পড়ুয়ারা যাতে আটকে না পড়ে, তা নিশ্চিত করতে হবে।

    ক্যামাক স্ট্রিটেই অভিষেকের অফিস 

    এই ক্যামাক স্ট্রিটে রয়েছে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিস। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, সেই কারণেই ওই এলাকায় গ্রুপ ডি চাকরিপ্রার্থীদের মিছিল খারিজের আর্জি জানিয়েছিল রাজ্য। আইনজীবী কৌস্তুভ বাগচি বলেন, “পুলিশের আবেদন মেনেই আমরা কালীঘাট এলাকায় মিছিল করিনি। পরে রুট বদল করা হয়। আদালতের অনুমতি নিয়ে ক্যামাক স্ট্রিটে মিছিলের প্রস্তুতি করেছিলাম। শেষ মুহূর্তে স্কুল পড়ুয়াদের কথা বলে অজুহাত দেখাচ্ছে রাজ্য। কোনও একজনের (অভিষেকের) অফিস রয়েছে ওই এলাকায়। তাঁর অসুবিধার কারণেই কী আদালতে আপত্তি জানায় রাজ্য? আদালত (Calcutta High Court) রাজ্যের আবেদনে আমল দেয়নি। শান্তুপূর্ণভাবেই আমরা মিছিল করব।”

    আরও পড়ুুন: রোজগার মেলায় ফের চাকরি বিলি, প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে নিয়োগপত্র নিলেন ৫১ হাজার জন

    মিছিল নিয়ে পুলিশের আপত্তি প্রসঙ্গে আদালত জানায়, এ নিয়ে বেশি বিতর্ক করলে এরপর মামলাকারীরা একুশে জুলাইয়ের কথা বলবে। এর থেকে অনেক বেশি মানুষের হেনস্থার অভিযোগ তুলবে। এখানে তো মাত্র কয়েকশো লোক মিছিল করবে। বিচারপতি সেনগুপ্ত বলেন, “মিছিল যাতে ওই জায়গা দিয়ে দ্রুত যেতে পারে আপনারা সেই ব্যবস্থা করুন।” প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে ৫ হাজার ৪২২ জন গ্রুপ ডি নিয়োগের একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়। সেই নিয়োগে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ। নিয়োগ না হওয়ায় প্রতিবাদ মিছিলের সিদ্ধান্ত (Calcutta High Court) নিয়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ। 

     
     
  • Sagar Dutta Hospital: দালালচক্রের মূল পান্ডার টিকি ছুঁতে পারল না পুলিশ! মাথায় কার হাত?

    Sagar Dutta Hospital: দালালচক্রের মূল পান্ডার টিকি ছুঁতে পারল না পুলিশ! মাথায় কার হাত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দালাল চক্র নিয়ে তোলপাড় কামারহাটির সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল (Sagar Dutta Hospital)। হাসপাতালে দাদালচক্রের বিরুদ্ধে পোস্টার দেওয়ার অপরাধে শামসেদ আলি নামে তৃণমূল কর্মীর বাড়ি ভাঙচুর করার অভিযোগ ওঠে জাবেদ আলি নামে এক দালাল ও তার অনুগামীদের বিরুদ্ধে। হাসপাতালে দালাল চক্রের বিরুদ্ধে নাম জড়ায় জাবেদ আলি এবং মুকিম খানের বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যেই এক মুকিম খান নামে দালাল চক্রের পান্ডাকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। তবে এখনও পর্যন্ত দালাল চক্রের মূল পান্ডা জাবেদ আলির টিকি ছুঁতে পারেনি পুলিশ।

    দালালচক্রের মূল পান্ডার মাথায় কার হাত, কামারহাটি জুড়ে চর্চা

    কামারহাটি বিধানসভার তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র। দাপুটে এই নেতা থাকার পরও এই এলাকায় তৃণমূল গোষ্ঠী কোন্দলে জর্জরিত। গত পুরসভা নির্বাচনে একাধিক আসনে তৃণমূলের অফিসিয়াল প্রার্থীর বিরুদ্ধে খোঁজ প্রার্থী দাঁড়ানোর ঘটনা তার জ্বলন্ত প্রমাণ। জানা গিয়েছে, জাবেদ আলি সাগর দত্ত হাসপাতালের (Sagar Dutta Hospital) কর্মী। হাসপাতাল জুড়ে দালাল চক্র চালানোর অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। দুদিন আগে দক্ষিণ দমদমের এক রোগীকে আইসিইউতে ভর্তি করাকে কেন্দ্র করে দালাল চক্রের বিষয়টি সামনে আসে। হাসপাতালে আইসিইউ বেড পাইয়ে দেওয়ার জন্য প্রায় ছয় হাজার টাকা দাবি করা হয়। আর এই অভিযোগ উঠে জাবেদ আলি ও মুকিম খানের বিরুদ্ধে। পরবর্তীকালে বিষয়টি জানতে পেরে মদন মিত্র হস্তক্ষেপ করেন। তিনি ওই রোগীকে আইসিইউ তে ভর্তির ব্যবস্থা করেন। যদিও পরে, ওই রোগীর মৃত্যু হয়। এরপরই দালাল চক্রের বিরুদ্ধে মদন মিত্র সরব হন। শামসেদ আলি সাগর দত্ত হাসপাতালে অভিযুক্ত জাবেদ আলির বিরুদ্ধে পোস্টার লাগিয়েছিলেন। এর পরই তাঁর বাড়ি ভাঙচুর করা হয়।

    জানা গিয়েছে, তৃণমূল কর্মীর বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত জাবেদ আলি। এই জাবেদ আলিকে নিয়েই প্রকাশ্যেই তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র সরব হয়েছেন। এত কিছুর পরেও এখনও পর্যন্ত জাবেদ আলির নাগাল পেল না পুলিশ। জাবেদ আলির পিছনে শাসক দলের এক দাপুটে নেতার হাত রয়েছে, যার জন্য জাবেদ আলি মদন মিত্রকেও পাত্তা দিচ্ছে না বলে দলের অন্দরে গুঞ্জন শুরু হয়েছে। পুলিশও জাবেদকে ঘাঁটাতে সাহস পাচ্ছে না। তবে, এই বিষয়ে তৃণমূল নেতৃত্ব কেউ মুখ খুলতে চাইছে না। হাসপাতালে দালালরাজ নিয়ে গোটা কামারহাটি জুড়়ে চর্চার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘করোনার থেকেও ভয়াবহ ডেঙ্গি পরিস্থিতি’’! স্বাস্থ্যভবনে শুভেন্দুর বিক্ষোভ, পুলিশের বাধা

    Suvendu Adhikari: ‘‘করোনার থেকেও ভয়াবহ ডেঙ্গি পরিস্থিতি’’! স্বাস্থ্যভবনে শুভেন্দুর বিক্ষোভ, পুলিশের বাধা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডেঙ্গি মোকাবিলায় রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে স্বাস্থ্য ভবনে বিক্ষোভ দেখালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মঙ্গলবার বেলার দিকে বিজেপি বিধায়কদের একাংশকে নিয়ে স্বাস্থ্যভবনের উদ্দেশে রওনা দেন তিনি। ‘ডেঙ্গির সরকার, আর নেই দরকার’ প্ল্যাকার্ড নিয়ে স্লোগানও দেন বিজেপি বিধায়কেরা। স্বাস্থ্যভবনে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয় বিরোধী দলনেতাকে। 

    শুভেন্দুর অভিযোগ

    এদিন শুভেন্দুর নেতৃত্বে স্বাস্থ্য ভবনের গেটের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন ২২ জন বিজেপি বিধায়ক। বিরোধী দলনেতাকে গেটে আটকে দেয় পুলিশ। স্বাস্থ্য ভবনের গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়। তাঁদের স্মারকলিপি দিতে বাধা দেওয়া হয়। রাজ্যের ডেঙ্গি পরিস্থিতিকে ‘ভয়াবহ’ বলে উল্লেখ করেন বিরোধী দলনেতা। তাঁর দাবি, ইতিমধ্যেই ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে রাজ্যে একশো জনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁর কাছে সমস্ত তথ্য রয়েছে বলেও জানান তিনি। শুভেন্দু বলেন, “দেশের বাকি সব রাজ্য ডেঙ্গি সংক্রান্ত রিপোর্ট জমা দিলেও পশ্চিমবঙ্গ তথ্য লুকোচ্ছে।” 

    স্মারকলিপি দিতেও বাধা

    শুভেন্দুর অভিযোগ, করোনার থেকেও ভয়াবহ রাজ্যের ডেঙ্গি পরিস্থিতি। তাঁর কথায়, “কেন ডেঙ্গি মোকাবিলায় উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হয়নি? কেন চিকিৎসকেরা ডেঙ্গি লিখতে ভয় পাচ্ছেন? এই সব জিজ্ঞাসা করতে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করতেই স্বাস্থ্যভবনে গিয়েছিলাম।” সরকারের ডেঙ্গি নিয়ে বৈঠককে আইওয়াশ বলে কটাক্ষ করেন শুভেন্দু। এদিন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘আমরা সচিবের কাছে যাচ্ছি না। স্মারকলিপি রিসিভ করিয়ে চলে যেতাম। রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কাছে ডেঙ্গির ভয়াবহতার এই খবর পৌঁছে দিতে চাই। এটা মমতার, তৃণমূলের স্বাস্থ্য ভবন নয়। বিধায়কদের মমতার পুলিশ কীভাবে আটকাতে পারে?’

    আরও পড়ুন: চাপের মুখে ডেঙ্গি-তথ্য প্রকাশ রাজ্যের! ভয় ধরাচ্ছে পরিসংখ্যান, কী আছে তাতে?

    বিজেপির প্রতিবাদ

    এদিনই বিজেপির পক্ষে  কাল থেকে আগামী ৭ দিন রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদ কর্মসূচির কথা ঘোষণা করা হয়। ডেঙ্গি পরিস্থিতির (Dengue Scare) অবনতির প্রতিবাদে এবার রাজ্যজুড়ে আন্দোলনে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপি (BJP)। একসঙ্গে আন্দোলনে নামছে বিজেপি যুব মোর্চা, টিচার সেল, ডক্টর সেল ও স্বাস্থ্য পরিষেবা সেল। বিভিন্ন পুরসভা ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রের (Health Centres) সামনে চলবে বিজেপির প্রতিবাদ। ধর্না, অবস্থান বিক্ষোভের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে। ডেঙ্গিতে এখনও পর্যন্ত রাজ্যে আক্রান্ত ৪০ হাজার ছুঁইছুঁই।

    ফের ডেঙ্গি আক্রান্তের মৃত্যু

    অন্যদিকে, মঙ্গলবারই বাঙুর হাসপাতালে মৃত্যু হল ডেঙ্গি আক্রান্ত ২৮ বছরের এক তরুণীর। তিনি নেতাজি নগরের বাসিন্দা। মৃতার নাম প্রিয়া রায়। সোমবার সঙ্কটজনক অবস্থায় তাঁকে বাঙুর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। সিসিইউতে রাখা হয়েছিল তাঁকে। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, ওই তরুণীকে সঙ্কটজনক অবস্থায় আনা হয়েছিল। ডেঙ্গি শক সিনড্রোমও ছিল। তাতেই মৃত্যু হয়েছে।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ইডির বিরুদ্ধে শাহি দরবারে নালিশ জানাতে চলেছেন সুকান্ত! কেন জানেন?

    Sukanta Majumdar: ইডির বিরুদ্ধে শাহি দরবারে নালিশ জানাতে চলেছেন সুকান্ত! কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের তদন্ত প্রক্রিয়ার সঙ্গে ইডির যে সব কেন্দ্রীয় তদন্তকারী অফিসার যুক্ত তাঁরা কেউ ২০১৪ সালের পরে জন্মাননি। কিংবা ২০১৪ সালের পর চাকরিতেও যোগ দেননি। বিচারপতির এই পর্যবেক্ষণ আমরা কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকেও জানাব।” মঙ্গলবার কথাগুলি বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি অধ্যাপক-নেতা সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)।

    আদালতের কাছে আবেদন সুকান্তর

    তিনি বলেন, “আমরা আদালতের কাছে আবেদন করব যদি কোনও তদন্তকারী ইডি অফিসারের বিরুদ্ধে তাদের কোনও সন্দেহ হয়, তাহলে তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিক। কংগ্রেস আমলের কোনও তদন্তকারী অফিসার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আড়াল করার চেষ্টা করতেই পারেন। কিন্তু তদন্ত প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে আমাদের সরকার কাউকে বাঁচানোর চেষ্টা করবে না। বিএসএফের একজন অফিসারকেও গ্রেফতার হতে হয়েছে।”

    অসন্তোষ বিচারপতি সিনহার 

    প্রসঙ্গত, তৃণমূল সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ইস্যুতে সোমবার অসন্তোষ প্রকাশ করেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা। অভিষেকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, বীমা ও সম্পত্তির বিস্তারিত তথ্য আদালতকে জানিয়েছিল ইডি। সেই (Sukanta Majumdar) রিপোর্টের ভিত্তিতে বিচারপতি সিনহার প্রশ্ন, আপনারা (ইডি) জানিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের তিনটি বীমা রয়েছে। আর কোনও সম্পত্তি নেই? ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নেই? তিনি সাংসদ, অথচ তাঁর কোনও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নেই? তাঁর বেতন কোন অ্যাকাউন্টে যায়? ইডির তরফে জানানো হয় অভিষেকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট রয়েছে। এর পর বিচারপতি সিনহার পাল্টা প্রশ্ন, তার উল্লেখ করেননি কেন? আপনারা কী পোস্ট অফিস? আপনারাই তথ্য গোপন করেছেন বলে আমার এখন সন্দেহ হচ্ছে।

    আরও পড়ুুন: “ট্রুডো মিথ্যা কথা বলেন”, কানাডার প্রধানমন্ত্রীকে তোপ শ্রীলঙ্কার

    প্রসঙ্গত, এর আগে ইডি এবং সিবিআইয়ের তদন্ত নিয়ে (Sukanta Majumdar) অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন কলকাতা হাইকোর্টেরই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এদিকে, তদন্তের গতি স্তব্ধ করে দেওয়ার চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ ইডির। বৃহস্পতিবার আদালতে ইডির দাবি, “অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসে’র সিইও আছেন জানানোর পর থেকেই শুরু হয়েছে হয়রানি। আমাদের বলতে বাধা নেই যে সাংবিধানিক পদে থাকা ব্যক্তিদের নির্দেশে এসব হচ্ছে।” ইডির অভিযোগ, “বারবার এই নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত বন্ধ করে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। তদন্তের গতি স্তব্ধ করার চেষ্টা চলছে। পুলিশকে দিয়ে এই কাজ করানো হচ্ছে। নেপথ্যে হাত রয়েছে প্রভাবশালীদের।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Dengue Update: চাপের মুখে ডেঙ্গি-তথ্য প্রকাশ রাজ্যের! ভয় ধরাচ্ছে পরিসংখ্যান, কী আছে তাতে?

    Dengue Update: চাপের মুখে ডেঙ্গি-তথ্য প্রকাশ রাজ্যের! ভয় ধরাচ্ছে পরিসংখ্যান, কী আছে তাতে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এমনিতেই রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে কেন্দ্রকে ডেঙ্গি (Bengal Dengue Report) সংক্রান্ত তথ্য না পাঠানো এবং কোনও পরিসংখ্যান প্রকাশ না করে তথ্য গোপন করার অভিযোগ উঠেছে। সেই অভিযোগ সামনে আসতেই, সোমবার তড়িঘড়ি একটি পরিসংখ্যান প্রকাশ করা হয় রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের তরফে। আর সেই তথ্য দেখে চোখ কপালে ওঠার জোগাড়। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জেলায় মোট আক্রান্ত ৮ হাজার ৫৩৫ জন। এর মধ্যে শহরাঞ্চলে ৫ হাজার ৪৪৬ ও গ্রামাঞ্চলে ২ হাজার ৯৫৬ জন আক্রান্ত হয়েছেন। গত এক সপ্তাহে ডেঙ্গিতে (Dengue Update) আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৫৮৬ জন। বিরোধীদের কটাক্ষ, প্রকাশিত তথ্যই যদি এটা হয়, তাহলে অপ্রকাশিত থেকে যাওয়া পূর্ণ সত্য কতটা ভয়াবহ হবে?

    ডেঙ্গি নামেই আতঙ্ক

    রাজ্যে প্রতিদিন বাড়ছে ডেঙ্গি (Dengue Update) আক্রান্তের সংখ্যা। ভয় ধরাচ্ছে সরকারি পরিসংখ্যান। রাজ্যের মধ্যে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি, দক্ষিণবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনায়। আক্রান্তের সংখ্যার নিরিখে শীর্ষে এই জেলা (Bengal Dengue Report)। উত্তর ২৪ পরগনায় ডেঙ্গি পরিস্থিতি ক্রমেই ভয়াবহ হচ্ছে। গত ২০ তারিখের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এই জেলায় ডেঙ্গিতে আক্রান্ত ৮ হাজার ৫৩৫ জন।  বিধাননগর পুর-এলাকায় ১ হাজার ৯১৬, দক্ষিণ দমদম পুরসভা এলাকায় ৯১৭, বারাসাত পুর-এলাকায় ২৩৯ জন আক্রান্ত। গ্রামাঞ্চলের মধ্যে আমডাঙা ব্লকে ৪৭৬, বনগাঁ ব্লকে ৬৩২, হাবড়া ২ নম্বর ব্লকে ৩৭৭, রাজারহাট ব্লকে ২৭৯ এবং দেগঙ্গা ব্লকে ১৯৯ জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন।

    উত্তর ২৪ পরগনার পর দ্বিতীয় স্থানেই রয়েছে কলকাতা। এখানে আক্রান্তের সংখ্যা ৪ হাজার ৪২৭। তৃতীয় স্থানে থাকা মুর্শিদাবাদে আক্রান্ত হয়েছেন ৪ হাজার ২৬৬ জন। নদিয়াতে ৪ হাজার ২৩৩ ও হুগলিতে ৩ হাজার ৮৩ জন আক্রান্ত হয়েছেন। ঝাড়গ্রামে ডেঙ্গি আক্রান্ত ১ হাজার ৩৬৩ জন। ৯১৫ জন পশ্চিম মেদিনীপুরে ও ৩৬৯ জন বীরভূমে আক্রান্ত হয়েছেন। 

    তথ্য গোপনের অভিযোগ   

    রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বারবার ডেঙ্গি (Dengue Update) নিয়ে তথ্য গোপনের অভিযোগ তুলছে বিরোধীরা। কেন্দ্রের তরফেও জানানো হয়েছে কোনও পরিসংখ্যান পাঠায়নি বাংলা। তাই দ্রুত ড্যামেজ কন্ট্রোল হিসেবে রিপোর্ট পেশ করেছে স্বাস্থ্য দফতর। কিন্তু, স্বাস্থ্য দফতরের তরফে যে রিপোর্ট তুলে ধরা হচ্ছে, তাও যথেষ্ট উদ্বেগের। ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রাজ্যে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৮ হাজার ১৮১। শুধু কলকাতা নয়, উদ্বেগ বাড়াচ্ছে বহু জেলার পরিসংখ্যান। মোট আক্রান্তের মধ্যে, উত্তরবঙ্গের ৮ জেলায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ২৭৬ জন। অন্যদিকে, দক্ষিণবঙ্গের ২০টি জেলা ও স্বাস্থ্য জেলা মিলিয়ে সংখ্যাটা ৩৪ হাজার ৯০৫।

    আরও পড়ুন: ‘‘অভিষেকের মা লতার সম্পত্তির হিসাব চাই’’! ইডিকে নির্দেশ বিচারপতি সিনহার

    কী বলছে নবান্ন

    চলতি সপ্তাহেই ডেঙ্গি (Dengue Update) সংক্রমণ আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে নবান্নই (Nabanna)। গ্রামাঞ্চলেও ডেঙ্গি ছড়িয়ে পড়তে পারে তেমনটাই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন মুখ্য সচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। সূত্রের খবর, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসকদের সঙ্গে ডেঙ্গি পরিস্থিতি (Bengal Dengue Report) নিয়ে কথা বলেন তিনি। বিরোধীদের দাবি, কেন বারবার, দেরিতে ঘুম ভাঙে সরকারের। কেন প্রতিবছর এক হাল প্রকাশিত তথ্যই যদি এটা হয়, তাহলে অপ্রকাশিত থেকে যাওয়া পূর্ণ সত্য কতটা ভয়াবহ হবে? 

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Leaps and Bounds: ‘‘অভিষেকের মা লতার সম্পত্তির হিসাব চাই’’! ইডিকে নির্দেশ বিচারপতি সিনহার

    Leaps and Bounds: ‘‘অভিষেকের মা লতার সম্পত্তির হিসাব চাই’’! ইডিকে নির্দেশ বিচারপতি সিনহার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) মা লতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পত্তির হিসাব চাইল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। লিপ‌্স অ্যান্ড বাউন্ডস (Leaps And Bounds) মামলায় গত আট মাস ধরে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) যে তদন্ত করেছে, তা নিয়ে সোমবার অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। এই বিষয়ে ইডি রিপোর্ট জমা দিলেও তা অসম্পূর্ণ, বলে অভিমত বিচারপতির। নতুন করে বেশ কিছু তথ্য ফের জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট।

    কী বলল আদালত

    বিচারপতি অমৃতা সিনহা সোমবার এই মামলায় জানান, এই তদন্তের নিট ফল শূন্য। সংস্থা এবং সংস্থার সিইও অভিষেকের বিষয়ে ইডি বিশদে তথ্য দিতে পারেনি। অভিষেকের মা লতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওই সংস্থার (Leaps And Bounds) একজন ডিরেক্টর। তাই তাঁর সম্পত্তির খতিয়ানও চায় আদালত। আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর ফের এই মামলার শুনানি। সেদিনই ইডিকে এই সংক্রান্ত তথ্য আদালতে জমা দিতে হবে, নির্দেশ বিচারপতির। লিপ‌্স অ্যান্ড বাউন্ডস সংস্থার সিইও (চিফ এগ্‌জিকিউটিভ অফিসার) এবং ডিরেক্টরদের সম্পত্তির বিবরণ ইডিকে জমা দিতে বলেছিল হাইকোর্ট। সেই মতো ইডি আদালতে তা জমা দেয়। ওই বিবরণ নিয়ে সোমবার ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিচারপতি। তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি ইডির উদ্দেশে বলেন, ‘‘কচ্ছপের গতিতে এ ভাবে আর কত দিন তদন্ত চলবে। টানেলের শেষে কবে পৌঁছবে? সমস্ত নথি তথ্য প্রমাণ নষ্ট হওয়ার জন্য অপেক্ষা করছেন।’’

    আরও পড়ুন: আর্থিক পরিস্থিতি উদ্বেগজনক, আমেরিকা সফর বাতিল রাজ্যপালের! কী ভাবছেন মুখ্যমন্ত্রী?

    ইডিকে নির্দেশ বিচারপতির

    লিপ‌্স অ্যান্ড বাউন্ডস মামলার শুনানিতে বিচারপতি এদিন ইডির আইনজীবীদের একাধিক প্রশ্ন জিজ্ঞেস করেন। তিনটি বিমা ছাড়া সাংসদের কিছু পাওয়া যায়নি। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট (Leaps And Bounds) কি নেই? তাও ইডির কাছে জানতে চান বিচারপতি। শুধু তাই নয়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বেতন কোথায় পড়ে তাও জানতে চান বিচারপতি। লিপ‌্স অ্যান্ড বাউন্ডস সংস্থার এক ডিরেক্টর সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে ‘কালীঘাটের কাকু’-কে গ্রেফতার করা হয়েছে। ছয় ডিরেক্টরের মধ্যে বাকি পাঁচ জনের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ করা হয়েছে, সোমবার সেই প্রশ্নও তুলেছেন বিচারপতি সিনহা। তিনি বলেন, ‘‘এক ডিরেক্টরকে গ্রেফতার করেছেন। অন্য ডিরেক্টরদের বিরুদ্ধে কী অনুসন্ধান করেছেন? তাঁরা অনুসন্ধান থেকে ছাড় পাচ্ছেন কেন?’’

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • C V Ananda Bose: আর্থিক পরিস্থিতি উদ্বেগজনক, আমেরিকা সফর বাতিল রাজ্যপালের! কী ভাবছেন মুখ্যমন্ত্রী?

    C V Ananda Bose: আর্থিক পরিস্থিতি উদ্বেগজনক, আমেরিকা সফর বাতিল রাজ্যপালের! কী ভাবছেন মুখ্যমন্ত্রী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডেঙ্গি এবং রাজ্যের বেহাল আর্থিক পরিস্থিতির কথা চিন্তা করে একেবারে শেষ মুহূর্তে আমেরিকা সফর বাতিল করলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। সোমবার রাজভবনের তরফে রাজ্যপালের সফর বাতিলের বিষয়টি জানানো হয়েছে। আজ, সোমবার রাতের বিমানেই আমেরিকা যাওয়ার কথা ছিল তাঁর। রাজনৈতিক মহলের জল্পনা, এই সিদ্ধান্ত নিয়ে সরকারি খরচে বিদেশ সফরের যৌক্তিকতা নিয়েই পরোক্ষে প্রশ্ন তুললেন রাজ্যপাল। উল্লেখ্য, কদিন আগেই স্পেন-দুবাই সফরে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। 

    কেন এই সিদ্ধান্ত 

    আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে ১ অক্টোবর আমেরিকার রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে আয়োজিত বিশ্ব সংস্কৃতি উৎসবে যোগদান করার কথা ছিল রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের। বিশ্ব সংস্কৃতি বিষয়ক আন্তর্জাতিক কমিটির প্রধান হিসাবে রাষ্ট্রপুঞ্জের প্রাক্তন মহাসচিব বান কি মুন মুন ‘ভারতের সাংস্কৃতিক রাজধানী’ বাংলার প্রথম নাগরিককে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। এই সফরের ক্ষেত্রে সব খরচ দেওয়ার কথা জানিয়েছিল উৎসবের আয়োজক কমিটি। প্রোটোকল মেনে রাজ্যপাল আমেরিকার সেই আতিথেয়তা নিতে অস্বীকার করেন। সে ক্ষেত্রে এই সফরে গেলে তার খরচ হত রাজ্যের কোষাগার থেকে। রাজভবন সূত্রে জানানো হয়েছে, রাজ্যপাল মনে করেছেন, রাজ্যের যা আর্থিক পরিস্থিতি, তাতে এই খরচ করা ঠিক হবে না। এছাড়া ডেঙ্গি নিয়ে উদ্বেগজনক পরিস্থিতির মাঝে রাজ্যপাল রাজ্য ছেড়ে যেতে চাইছেন না। 

    অনলাইনেই হবে বৈঠক

    এই সফরেই আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলির সঙ্গে সমন্বয় সাধন নিয়ে একটি বৈঠক হওয়ার কথা ছিল রাজ্যপালের। সেই সমন্বয়ে বাংলার ছাত্রছাত্রীরা উপকৃত হতে পারতেন বলে দাবি রাজ্যপালের। সম্প্রতি উপাচার্যদের সঙ্গে বৈঠকে সে কথা জানিয়েছিলেন তিনি। তবে, আমেরিকা না গেলেও অনলাইনে সেই বৈঠক হবে বলে জানা গিয়েছে। আচার্য হিসেবে সেই বৈঠকে অংশ নেবেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।

    আরও পড়ুুন: “কিছু শহুরে মাওবাদী এখন কংগ্রেস চালাচ্ছে”, ভোপালের জনসভায় তোপ প্রধানমন্ত্রীর

    মুখ্যমন্ত্রী সচেতন হবেন কী

    রাজ্যে লগ্নি টানতে সম্প্রতি স্পেন ও দুবাই সফরে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই সফরে তাঁর সঙ্গে ছিলেন বেশকিছু বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব। রাজ্য যখন দেনার দায়ে জর্জরিত তখন মাদ্রিদের বিলাসবহুল হোটেলে রাত কাটিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।  যেখানে প্রতিদিন ৩ লক্ষ টাকা করে খরচ সেখানে স্বপারিষদ কী করে মুখ্যমন্ত্রী নিশিযাপন করেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বাংলায় ডেঙ্গির প্রকোপ বৃদ্ধির পরিস্থিতিতে কীভাবে বিদেশ চলে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী, তা নিয়েও কড়া ভাষায় সমালোচনার করেছে বিরোধীরা। মুখ্যমন্ত্রী তাঁর বিদেশ সফরের সফলতা নিয়ে আশাবাদী হলেও রাজ্যবাসীর প্রশ্ন কটা বিনিয়োগ উনি আনতে পারলেন? কজন স্প্যানিশ শিল্পপতি বাংলায় বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করলেন? এই আবহে রাজ্যপালের বিদেশ সফর বাতিলের সিদ্ধান্তের পর মুখ্যমন্ত্রী কী সচেতন হবেন? প্রশ্ন বাংলার রাজনৈতিক মহলে। 

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share