Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Anubrata Mondal: বাড়ল জেল হেফাজতের মেয়াদ, এবারও অনুব্রতর পুজো কাটবে তিহাড় জেলেই?

    Anubrata Mondal: বাড়ল জেল হেফাজতের মেয়াদ, এবারও অনুব্রতর পুজো কাটবে তিহাড় জেলেই?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত বছরও তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) পুজোটা কেটেছিল তিহাড় জেলের ছোট্ট কুঠুরিতে। এবারও বোধহয় পুজোয় আনন্দ করা হবে না তাঁর। অথচ ফি বারের মতো এ বছরও হয়তো মহালয়ার দিন থেকেই বিভিন্ন মণ্ডপের ফিতে কেটে বেড়াবেন অনুব্রতর দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রেড রোডে সুসজ্জিত মঞ্চে বসে পুজো কার্নিভাল দেখে যারপরনাই প্রীত হবেন তিনি। আর অনুব্রত তখনও জেলের প্রায়ান্ধকার ঘরে বসে গুণবেন মুক্তির দিন।

    বাড়ল জেল হেফাজতের মেয়াদ 

    গরু পাচার মামলায় গত বছর গ্রেফতার হন অনুব্রত। তারপর থেকে তিনি বন্দি রয়েছেন দিল্লির তিহাড় জেলে। এই জেলেই বন্দি রয়েছেন তাঁর মেয়ে সুকন্যাও। বুধবার দিল্লির আদালত অনুব্রতর জেল হেফাজতের মেয়াদ বাড়িয়ে করেছে ৩০ অক্টোবর। আর সুকন্যার জেল হেফাজতের মেয়াদ জানুয়ারি পর্যন্ত। অনুব্রতর প্রাক্তন দেহরক্ষী সেহগল হোসেন এবং এই মামলায় অন্যতম চক্রী এনামুল হককেও ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত থাকতে হবে জেল হেফাজতে। এদিন অবশ্য জামিন পেয়েছেন অনুব্রতর (Anubrata Mondal) হিসাবরক্ষক মনীশ কোঠারি।

    অনুব্রতর পুজোয় নেই সেই জাঁক

    তবে এখনও আশা ছাড়েননি অনুব্রত ঘনিষ্ঠরা। কারণ কলকাতা হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করেছিলেন অনুব্রত। সেই আবেদন খারিজ হয়ে যায় হাইকোর্টে। পরে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন তৃণমূল নেতা। তাই আশার আলো দেখছেন অনুব্রতর অনুগামীরা। অনুব্রতর বাড়িতেও দুর্গাপুজো হয়। তিনি যখন জেলের বাইরে ছিলেন, তখন সেই পুজোর জাঁক ছিল দেখার মতো। পুজোর দিনগুলি সপরিবারে অনুব্রত কাটাতেন গ্রামেই। ‘দাদা’র পুজো দেখতে ভিড় করতেন দূর-দুরান্তের লোকজন। মন্ত্রী-সাংসদ-বিধায়করাও আসতেন গাড়ি হাঁকিয়ে। ভিআইপির ঠেলায় গ্রামের মানুষরাই যেতেন সিঁটিয়ে।

    আরও পড়ুুন: লোকসভা নির্বাচনের আগে ‘রামধাক্কা’! তৃণমূলকে নিরাশ করে এনডিএ শিবিরে ভিড়ল কুমারস্বামীর দল

    গত বছর পুজোর আগে আগে আয়োজনের অজুহাতেই জামিনের আবেদন করেছিলেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি (Anubrata Mondal)। যদিও তাঁর সেই আবেদন খারিজ হয়ে যায়। তবে পুজো হয়েছে। যদিও উচ্ছ্বাসের অভাব ছিল। স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “গত বছর অনুব্রত গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই ফিকে হয়েছে পুজোর জাঁক।” অনুব্রত না থাকায় এখন পুজোর আয়োজন করেন তাঁর আত্মীয়-স্বজনের পাশাপাশি ঘনিষ্ঠ বৃত্তের কয়েকজন। এবারও তাঁরা পুজোর আয়োজন করবেন। পাঁচদিন ধরে অনুব্রতর ঘর আলো করে থাকবেন মহামায়া। ধুপ-ধুনোর গন্ধে ম ম করবে তল্লাট। অনুব্রত নাকে তখন হয়তো শুধুই স্যাঁতসেঁতে কুঠুরির ভ্যাপসা গন্ধ!

    এক সময় চড়াম চড়াম ঢাক বাজাতে চেয়েছিলেন অনুব্রত। এখন কে যে বাজায় সেই ঢাক!

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • School Uniform Scam: ছাত্রদের ইউনিফর্ম বিতরণেও কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি! অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা

    School Uniform Scam: ছাত্রদের ইউনিফর্ম বিতরণেও কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি! অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শাসক দলের নেতা মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগের শেষ নেই। চাকরি চুরি, ১০০ দিনের প্রকল্পের টাকা চুরি তো রয়েছেই এবার ছাত্রদের পোশাক বিতরণে দুর্নীতির (School Dress Scam) অভিযোগ উঠল শাসকদলের মন্ত্রীর ভাইয়ের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, উত্তর দিনাজপুর জেলার জেলা পরিষদের সহ-সভাপতি তথা রাজ্যের মন্ত্রী গোলাম রব্বানীর ভাই গোলাম রসুলের বিরুদ্ধে। ছাত্রদের ইউনিফর্ম বিতরণ (School Uniform Scam) প্রকল্পে কোটি কোটি টাকা নয় ছয় করেছেন গোলাম রসুল ওরফে মণি। এই অভিযোগে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলাও দায়ের হল। শাসক দলের মন্ত্রীর ভাইয়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন উত্তর দিনাজপুর জেলার গোয়ালপোখরের জনৈক জয়নুল হক। 

    ঠিক কী অভিযোগ?

    জানা গিয়েছে, রাজ্য সরকারের বিদ্যালয়গুলিতে প্রথম থেকে সপ্তম শ্রেণী পর্যন্ত ছাত্র-ছাত্রীদের স্কুলের পোশাক বিতরণ (School Uniform Scam) করা হয়। অভিযোগ গোয়ালপোখর-১ ব্লকের এই প্রকল্পে সাড়ে আট কোটি টাকারও বেশি দুর্নীতি হয়েছে। কলকাতা হাইকোর্টে মামলাকারী জয়নুল হকের দাবি, সরকারি স্কুলের এই ইউনিফর্ম বিতরণের দায়িত্বে ছিল ওই ব্লকেরই মিলন মেলা মহাসঙ্ঘ নামের একটি স্বনির্ভর গোষ্ঠী। সেখান থেকেই যাবতীয় টাকা নয় ছয় করা করেন জেলা পরিষদের সহ-সভাপতি গোলাম রসুল।

    আরও পড়ুন: অভিষেকের বিরুদ্ধে ইডির অভিযোগ বহাল রাখল হাইকোর্ট, রইল না তদন্তে বাধা

    বিভিন্ন দফতরে অভিযোগ জানিয়েও কাজ হয়নি 

    তবে শুধু এখানেই শেষ নয়, ওই মামলাকারীর আরও দাবি, প্রকল্পের বরাদ্দ টাকা এমন অনেকের কাছেই পৌঁছেছে যারা পোশাক তৈরি করা বা বিতরণ করা এরকম কোনও কাজের সঙ্গে যুক্ত নয়। এর পাশাপাশি ওই স্বনির্ভর গোষ্ঠীও কোনও পোশাক (School Uniform Scam) সরবরাহ করেনি বলে অভিযোগ। মামলাকারীর দাবি, জেলা শাসক থেকে বিডিও, সার্কেল ইন্সপেক্টর সহ শিক্ষা দফতরের একাধিক অফিসারের সঙ্গে যোগাযোগ তিনি করেছিলেন, তবে তাতে কোনও কাজ হয়নি। জয়নুল হক বলেন, ‘‘ছাত্রদের পোশাকের টাকা ঢুকেছে তৃণমূল নেতাদের অ্যাকাউন্টে।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • C V Ananda Bose: উপাচার্য নিয়োগের সার্চ কমিটিতে কারা? তালিকা প্রস্তুত রাজ্যপালের

    C V Ananda Bose: উপাচার্য নিয়োগের সার্চ কমিটিতে কারা? তালিকা প্রস্তুত রাজ্যপালের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্য-রাজ্যপালের (C V Ananda Bose) দীর্ঘ সংঘাত চলছে। জল গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। মধ্যস্থতায় আসরে নামতে হয়েছে শীর্ষ আদালতকে। সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) নির্দেশে উপাচার্য নিয়োগের সার্চ কমিটির (Search Committee) প্রতিনিধিদের তালিকা তৈরি। তাঁদের নাম সর্বোচ্চ আদালতে পেশ করা হবে। জানালেন রাজ্য়পাল সিভি আনন্দ বোস। কারা সার্চ কমিটিতে থাকবেন? ইতিমধ্যেই তাঁদের চিহ্নিত করেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

    সার্চ কমিটি নিয়ে রাজ্যপাল

    উপাচার্য-নিয়োগ নিয়ে রাজ্য়পাল-রাজ্য় সরকার সংঘাতে অবশেষে হস্তক্ষেপ করেছে সুপ্রিম কোর্ট। গত সপ্তাহে নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত  নেয় সর্বোচ্চ আদালত।স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগে এবার সার্চ কমিটি তৈরি করে দেবে খোদ সুপ্রিম কোর্ট। তিন পক্ষই থাকবে তাতে রাজ্য় সরকার, আচার্য এবং ইউজিসি। ১০ দিনের মধ্য়ে সব পক্ষকে ৩ থেকে ৫ জন বিশিষ্ট ব্য়ক্তির নাম পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে বিচারপতি সূর্য কান্ত ও বিচারপতির দীপঙ্কর দত্তর বেঞ্চ। ৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে রাজ্য সরকার, আচার্য এবং ইউজিসি-কে, ৩-৫ জন বিশিষ্ট ব্যক্তির নাম পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ২৭ শে সেপ্টেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি। এ প্রসঙ্গে রাজ্যপাল (C V Anand Bose) জানান, কারা সার্চ কমিটিতে থাকবেন? ইতিমধ্যেই তাঁদের চিহ্নিত করেছেন।

    আরও পড়ুন: নিম্নচাপের বৃষ্টিতে জল থৈ থৈ! আরও বাড়বে ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়ার প্রকোপ?

    গোপন চিঠি নিয়ে রাজ্যপাল

    ছাত্রছাত্রীদের স্বার্থে শিক্ষাক্ষেত্রে কাজের গতি আনতে বদ্ধপরিকর রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (C V Ananda Bose)। শিক্ষাঙ্গনে নৈরাজ্য দূর করতেও সচেষ্ট তিনি। এদিন নবান্ন আর দিল্লিতে মাঝরাতে পাঠানো নিজের দুটো কনফিডেন্সিয়াল চিঠি নিয়েও মুখ খুললেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তিনি বলেন, “দুটি চিঠির উত্তর পাওয়া নিয়ে পরিস্থিতি ঠিক কোন জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে, তা দুই সাংবিধানিক সহকর্মীর মধ্যে থাকাই বাঞ্ছনীয়। তবে ওই চিঠি দুটো আর মিস্ট্রি নয়, হিস্ট্রি হয়ে গিয়েছে।”

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Tarapith Temple: কৌশিকী অমাবস্যায় তারাপীঠে মায়ের পায়ে পড়ল ১০ কুইন্টাল ফুল!

    Tarapith Temple: কৌশিকী অমাবস্যায় তারাপীঠে মায়ের পায়ে পড়ল ১০ কুইন্টাল ফুল!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কৌশিকী অমাবস্যায় তারাপীঠে (Tarapith Temple) মায়ের পায়ে পড়ল ১০ কুইন্টাল ফুল। লক্ষ লক্ষ ভক্তের অর্পিত ফুল দিয়ে কী করা হবে! এই বিপুল পরিমাণ ফুলকে কি পুনরায় ব্যবহার করে, কোনও সামগ্রী প্রস্তুত করা যেতে পারে? সূত্রে জানা গেছে, মায়ের পায়ে অর্পিত ফুলকে আবর্জনা না ভেবে, তা দিয়ে প্রকৃতিবান্ধব সামগ্রী তৈরি করার পরিকল্পনা করেছে মল্লারপুরের এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। এরা টানা ৬৫ দিনের বিশেষ প্রক্রিয়ায়, কুইন্টাল প্রতি ফুল থেকে ২৫ কেজি করে জৈব সার তৈরি করবে বলে জানা গেছে। অভিনব এই উদ্যোগকে এলাকার মানুষ অভিনন্দন জানিয়েছেন।

    কবে নেওয়া হয় এই উদ্যোগ(Tarapith Temple)?

    আজ থেকে প্রায় ছ’বছর আগে এই তারামায়ের মন্দিরে (Tarapith Temple) জমা পড়া ফুলের ব্যবহার নিয়ে প্রকৃতিবান্ধব কিছু উৎপাদন করার কথা ভাবা হয়েছিল। সেই সময় রামপুরহাটের মহকুমা শাসক ছিলেন বিধান রায়। বর্তমানে তিনি বীরভূম জেলার জেলাশাসক হিসাবে কাজ করছেন। এই অভিনব ভাবনার উদ্যোক্তা ছিলেন তিনিই। সেই সময় মল্লারপুরের এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ঠাকুরের পায়ে নিবেদিত ৪০-৫০ কেজি ফুল সংগ্রহ করে। ফুলের মধ্য থেকে সুতো, আলতা, সিঁদুর আলাদা করে ফুলগুলিকে রোদে শুকানো হয়। এরপর টানা ৬৫ দিন ধরে বিশেষ প্রক্রিয়ায় জৈব সার তৈরি করা হয়। এবার কৌশিকী অমাবস্যায় মায়ের পায়ে দেওয়া ফুল গুলি থেকেও একই ভাবে জৈব সার প্রস্তুত করা হবে বলে জানা গেছে।

    স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের বক্তব্য

    মল্লারপুরের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের পক্ষ থেকে সাধন সিংহ বলেন, “আমরা মন্দিরের (Tarapith Temple) ফুল থেকে জৈব সার প্রস্তুত করতে ন’জন কাজ করছি। এছাড়াও ফুল ঝাড়াই করতে আরও পাঁচজন মহিলা কাজ করে থাকেন। মায়ের মন্দির থেকে এই বিপুল পরিমাণ ফুল সরাতে সময় লেগেছিল তিন দিন। ফুল থেকে সার প্রস্তুত হতে সময় লাগবে প্রায় ৬৫ দিন। তবে এই সার আমরা মূলত বিক্রি করি চাষিদের কাছে। কিন্তু আমরা লাভ করি না। আমাদের খরচ হয় কেজি প্রতি ৫০ টাকা এবং বিক্রি করি ২০ টাকা কেজি দরে। চাষিদের জৈব সার ব্যবহারে উৎসাহ দেওয়া এবং পরিবেশ বান্ধব উৎপাদনের উপর জোর দেওয়াই আমাদের প্রধান উদ্দেশ্য”।

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: নিম্নচাপের বৃষ্টিতে জল থৈ থৈ! আরও বাড়বে ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়ার প্রকোপ?

    Weather Update: নিম্নচাপের বৃষ্টিতে জল থৈ থৈ! আরও বাড়বে ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়ার প্রকোপ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গুরুগুরু মেঘের গর্জনেই ঘুম ভাঙল শহরবাসীর। অফিস বেরনোর সময়ই ঝেঁপে বৃষ্টি (Weather Update)। কলকাতার বিভিন্ন অঞ্চলে যানজটের আশঙ্কা। স্কুলে ঢোকার মুখে ভিজতে হয়েছে ছোটদেরও। সকাল ৮ টা থেকে আকাশ কালো করে বৃষ্টি নেমেছে শহরের বিভিন্ন অংশে। কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, পূর্ব বর্ধমান, পূর্ব মেদিনীপুর, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগণায়, আগামী ৩ ঘণ্টা মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। গত ক’দিনের টানা বৃষ্টিতে জমা জলে মশার লার্ভা জন্মানোর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এর ফলে আরও বাড়তে পারে ম্যালেরিয়া-ডেঙ্গির প্রকোপ। 

     জমা জলে বাড়ছে মশার লার্ভা!

    ভোর থেকেই দফায় দফায় ঝিরঝিরে বৃষ্টি শুরু হয়েছে কলকাতা এবং সংলগ্ন এলাকায়। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস (Weather Update), শুক্রবার দিনভর কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় বিক্ষিপ্ত ভাবে বৃষ্টি হতে পারে। বৃষ্টির জেরে নিচু এলাকা জলমগ্ন হতে পারে বলে আশঙ্কা। গত দু’দিনও দফায় দফায় বৃষ্টি হয়েছে কলকাতায়। শহরের নানা জায়গায় ভূগর্ভস্থ নিকাশি ব্যবস্থার কাজ চলছে। এর জেরে খোঁড়াখুঁড়ি করতে হচ্ছে রাস্তার। ফলে একটু বৃষ্টিতেই জল জমে থাকছে। শহরের সংযুক্ত এলাকার নিকাশি পরিকাঠামো এবং সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলির বেশ কিছু অংশে রাস্তার যে বেহাল অবস্থা, তা সম্প্রতি স্বীকার করে নিয়েছেন খোদ কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমও। জমা জলে বংশ বিস্তার করছে মশা। উষ্ণ ও আর্দ্র আবহাওয়াই হল মশার বংশ বিস্তারে সবচেয়ে অনুকূল পরিবেশ। পাশাপাশি রয়েছে ঝড়-বৃষ্টির জেরে ইতি উতি জল জমে থাকার সমস্যা। সেখানেই নিশ্চিন্তে বেড়ে উঠছে মশার লার্ভা। শহরে ডেঙ্গি-ম্যালেরিয়ার বাড়বাড়ন্তের এটি একটি অন্যতম কারণ।

    কোথায় কোথায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা

    শুক্রবার সকালে স্থানীয় বজ্রগর্ভ মেঘ থেকে কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, পূর্ব বর্ধমান, পূর্ব মেদিনীপুর, দুই ২৪ পরগনায় বৃষ্টি হয়েছে। হাওয়া অফিস (Weather Update) সূত্রে খবর, বঙ্গোপসাগরে যে নিম্নচাপটি ঘনীভূত হয়েছে, তা ঝাড়খণ্ডের দিকে সরে গিয়েছে। বঙ্গোপসাগরে একটি মৌসুমি অক্ষরেখা বিস্তৃত রয়েছে। তার প্রভাবেই বৃষ্টি হচ্ছে রাজ্যে। শনিবার থেকে বৃষ্টি কমবে। সপ্তাহান্তে আর্দ্রতা জনিত অস্বস্তি ফিরবে দক্ষিণবঙ্গে। শুক্রবার ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে শুধুমাত্র বীরভূম ও মুর্শিদাবাদ জেলায়। শনিবার বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে।

    আরও পড়ুন: কোনও উপসর্গ নেই, অথচ প্লেটলেট হু হু করে নেমে যাচ্ছে? রাজ্যে ডেঙ্গির নয়া আতঙ্কে সাবধান!

    উত্তরের আবহাওয়া

    বৃষ্টির পূর্বাভাস (Weather Update) জারি করা হয়েছে উত্তরবঙ্গেও। শুক্রবার দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, কোচবিহার, দুই দিনাজপুর, মালদহের দু’একটি এলাকায় ভারী বৃষ্টি হতে পারে। শনিবার দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহারে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি করা হয়েছে। অতি বৃষ্টির কারণে উত্তরবঙ্গে নদীর জলস্তর বাড়বে। বেশকিছু নদীর জলস্তর বিপদসীমার ওপরে দিয়ে বইতে পারে। নদী সংলগ্ন ও নিচু এলাকায় জল জমা এবং প্লাবনের আশঙ্কা। 

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TET Scam: টেটে ফেল করেও চাকরি মেনে নিল পর্ষদ! ওএমআর রহস্যে একসঙ্গে কাজ করবে সিবিআই-ইডি নির্দেশ হাইকোর্টের

    TET Scam: টেটে ফেল করেও চাকরি মেনে নিল পর্ষদ! ওএমআর রহস্যে একসঙ্গে কাজ করবে সিবিআই-ইডি নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাকরিপ্রার্থীদের উত্তরপত্র (ওএমআর শিট) ডিজিটাইজড করার সিদ্ধান্ত কে নিয়েছেন? কেন নিয়েছেন? কোন প্রক্রিয়ায় ডিজিটাইজড করা হয়েছে? উত্তর খুঁজতে এবার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের দফতরে গিয়ে তদন্ত করবে সিবিআই ও ইডি। ওএমআর শিট মামলায় বড় নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার আদালতে ফের প্রশ্নের মুখে পড়ে পর্ষদ। আগামী ১০ অক্টোবর এই মামলার পরবর্তী শুনানি।

    পর্ষদকে প্রশ্ন বিচারপতির

    এদিন শুনানিতে বিচারপতি অমৃতা সিনহা জানান, দুই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে খতিয়ে দেখতে হবে চাকরিপ্রার্থীদের উত্তরপত্র (ওএমআর শিট) ডিজিটাইজড করার সিদ্ধান্ত কে নিয়েছেন। তদন্তকারী সংস্থাকে সব রকম সাহায্য করতে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে নির্দেশ দেন তিনি। ২০২০ সালে প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়ার পর ২০২১ সালে একটি মেধাতালিকা প্রকাশ করে পর্ষদ। কিন্তু মেধাতালিকা প্রকাশের কিছু সময় পরেই সেটি তুলে নেওয়া হয়। এর কারণ হিসাবে পর্ষদের তরফে বলা হয়, ওয়েবসাইটটি হ্যাক করা হয়েছিল। এই নিয়ে থানায় অভিযোগও জানানো হয় পর্ষদের তরফে। 

    আরও পড়ুন: বকেয়া নিয়ে উদাসীন রাজ্য! বর্ধিত বেতন ডিএ আন্দোলনকারীদের দেওয়ার ঘোষণা শুভেন্দুর

    সিবিআই-এর কথা মানল পর্ষদ

    টেট (TET) ফেল করেও চাকরি পেয়েছিল আরও ৯৬ জন! হাইকোর্টে পেশ করা সিবিআইয়ের রিপোর্ট এদিন কার্যত মেনে নেয় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। এদিন এই বিষযে পর্ষদের তরফে আদালতে একটি রিপোর্ট পেশ করা হয়। যা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি সিনহা। তিনি পর্ষদের আইনজীবীর কাছে জানতে চান, “ওএমআর শিটের (recruitment case) আসল প্রতিলিপি কোথায়?” বিচারপতির প্রশ্ন, ‘‘কারা বেআইনি ভাবে নিয়োগ পেয়েছে, আপনারা জানলেন কী ভাবে? যাচাই করলেন কী করে? যেখানে আসল উত্তরপত্র নেই বলে জানিয়েছেন আপনারাই।’’ এদিন আদালতে বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, “কে পাশ করেছে, কে কত নম্বর পেয়েছে, কীভাবে বিকৃত করা হয়েছে, পর্ষদের রিপোর্টে তো সেগুলো স্পষ্ট নয়।” এমনকী পর্ষদের তরফে জমা দেওয়া ডিজিটাইজড রিপোর্টও এডিট করা সম্ভব বলে এদিন মন্তব্য করেন বিচারপতি। আদালতে তিনি বলেন, “আসল ওএমআর শিট না থাকাতেই সমস্যার সূত্রপাত।”

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: লগ্নি ধরতে ১১ দিনের বিদেশ সফর মমতার, খরচ কত? জানতে চেয়ে আরটিআই শুভেন্দুর   

    Suvendu Adhikari: লগ্নি ধরতে ১১ দিনের বিদেশ সফর মমতার, খরচ কত? জানতে চেয়ে আরটিআই শুভেন্দুর   

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দশ বছরের প্রধানমন্ত্রিত্বের কার্যকালে যা করেননি নরেন্দ্র মোদি, এক যুগের মুখ্যমন্ত্রিত্বে তাই করে দেখালেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়! টানা এগারো দিন ধরে করলেন বিদেশ সফর। মমতার এই বিদেশ সফরে লগ্নি কত আসবে, তা বলবে সময়। তবে তাঁর এই সফরে যে জনগণের টাকার আদ্যশ্রাদ্ধ হয়েছে, তা বলতে শুরু করেছেন নিন্দুকরা।

    আরটিআই শুভেন্দুর   

    মুখ্যমন্ত্রীর চলতি সফরে কত খরচ হয়েছে, তা জানতে চেয়ে আরটিআই করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁর সফরসঙ্গী কারা, কোন মানদণ্ডে তাঁদের নির্বাচন করা হয়েছে, তাও জানতে চেয়েছেন শুভেন্দু। সোশ্যাল সাইটে শুভেন্দু লিখেছেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গে শিল্পায়নের লক্ষ্যে ১২ সেপ্টেম্বর থেকে ১১ দিনের জন্য সংযুক্ত আরব আমিরশাহী ও স্পেন সফরে গিয়েছেন। ওঁর এই সফর নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের জনগণের মনে যথেষ্ট বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে। ওঁর সফরসঙ্গী  কারা এবং কোন পদাধিকার বলে ওঁরা এই সফরে সঙ্গী হয়েছেন? কিছু বিশেষ ব্যক্তির একাধিক পরিচয় থাকায়, পশ্চিমবঙ্গের জনগণের মনের মধ্যে ধন্দ সৃষ্টি হয়েছে যে, এই সফরে ওঁরা ঠিক কোন ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন এবং কী বিশেষ যোগদান রাখলেন?”

    ‘রাজ্যের কী লাভ হল?’

    বিজেপি নেতা (Suvendu Adhikari) লিখেছেন, “মুখ্যমন্ত্রী প্রায় সব জায়গায়ই গত বেশ কয়েক বছর ধরে বলে আসছেন যে তাঁর সরকারের কাছে অর্থ নেই। যে কারণে তিনি সরকারি কর্মচারীদের ন্যায্য মহার্ঘ ভাতাটুকুও দিতে পারছেন না। এমতাবস্থায় মুখ্যমন্ত্রীর এই ১১ দিনের বিদেশ সফরের খরচের পরিমাণ কত? মুখ্যমন্ত্রীর সফরসঙ্গীদের জন্য কত ব্যয় করা হয়েছে সরকারি কোষাগার থেকে ? কোন কোন খাতে খরচ করা হয়েছে? ইত্যাদি…” তিনি লিখেছেন, “এই সফরে কত টাকা খরচ করা হল এবং তা থেকে রাজ্যের কী লাভ হল, তার মূল্যায়ন করার অধিকার নিশ্চয়ই পশ্চিমবঙ্গের জনগণের রয়েছে। তাই রাজ্যের দায়িত্বশীল বিরোধী দলনেতা হিসেবে আমি তথ্য জানার অধিকার আইন ২০০৫ এর ৬ নম্বর ধারা অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট দফতরগুলির আধিকারিকদের কাছে এই তথ্যগুলি জানতে চেয়েছি, যার প্রতিলিপি এখানে দিলাম।”

    আরও পড়ুুন: পার্থর বিরুদ্ধে চার্জশিটের অনুমোদন রাজ্যপালের, ক্রমেই শক্ত হচ্ছে প্রাক্তন মন্ত্রীর দুর্নীতির ফাঁস!

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: বকেয়া নিয়ে উদাসীন রাজ্য! বর্ধিত বেতন ডিএ আন্দোলনকারীদের দেওয়ার ঘোষণা শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: বকেয়া নিয়ে উদাসীন রাজ্য! বর্ধিত বেতন ডিএ আন্দোলনকারীদের দেওয়ার ঘোষণা শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বকেয়া ডিএ নিয়ে রাজ্য সরকার উদাসীন। মুখ্যমন্ত্রী বলেই দিয়েছেন, বকেয়া ডিএ দিতে গেলে তাঁর অন্য দফতর চলবে না। এদিকে, রাজ্য সরকার বিভিন্ন ভাতা-দান-খয়রাতি করেই চলেছে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের হাজার হাজার সরকারি কর্মীদের অনিশ্চয়তার মধ্যে ঠেলে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আদালতের ধাক্কা খেতে খেতে ক্লান্ত আন্দোলনকারীরা। এই পরিস্থিতিতে বিধায়ক হিসেবে নিজের বর্ধিত বেতন ডিএ আন্দোলনকারীদের হাতে তুলে দেওয়ার কথা জানালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। 

    আন্দোলনকারীদের পাশে শুভেন্দু

    সম্প্রতি মন্ত্রী, বিধায়কদের বেতন বৃদ্ধি করেছে রাজ্য সরকার। প্রতি মাসে সকলের বেতন বৃদ্ধি হয়েছে ৪০ হাজার টাকা। কর্মচারীদের বকেয়া টাকা না দিয়ে মন্ত্রী, বিধায়কদের এই বেতন বৃদ্ধির বিরোধিতা করে বর্ধিত ওই টাকা নেবেন না বলে আগেই জানিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা। কিন্তু সরকারি নিয়মেই অন্যদের মতো শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) অ্যাকাউন্টেও ঢুকবে বর্ধিত ওই বেতন। বেতন বৃদ্ধির ওই টাকা সরকারি কর্মচারীদের সংগ্রামী যৌথমঞ্চকে (joint platform) দেওয়ার ঘোষণা করলেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, “নিজেদের প্রাপ্য বকেয়া টাকা আদায় করতে কলকাতা হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টে কর্মচারীদের আইনি লড়াই করতে হচ্ছে। এজন্য অর্থও ব্যয় হচ্ছে তাঁদের। কর্মচারীদের এই আন্দোলনকে নৈতিক সমর্থন জানাতেই বর্ধিত বেতন তাঁদের হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত।”

    কী বলছেন আন্দোলনকারীরা

    শুভেন্দুর সহযোগিতাকে অভিনন্দন জানিয়ে সংগ্রামী যৌথমঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ বলেন, “বিধায়ক কিংবা মন্ত্রীদের যে ভাতা বাড়ানো হয়েছে তার বিরোধিতা আমরা করছি না। আমরা শুধু আমাদের সরকারি কর্মচারীদের ন্যায্য অধিকারটুকু চাই। রাজ্যে কোষাগার শূন্য, সরকারের তরফে আর্থিক কোনও রিপোর্টে সেকথা বলা হচ্ছে না। তবে অর্থ খরচের ক্ষেত্রে এই সরকারের কোনও ডিসিপ্লিন নেই, আমরা চাই রাজ্যের আর্থিক শৃঙ্খলা ফেরানো হোক।” 

    আরও পড়ুন: ডেঙ্গিতে জেরবার রাজ্যবাসী, আর প্রশাসন ব্যস্ত তথ্য গোপন করতে!

    শুভেন্দুর তোপ

    রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে শুভেন্দু বলেন, “ডিএ মামলা এখনও বিচারাধীন। আগেও কয়েকবার এই মঞ্চে এসেছি। কিন্তু কোনওদিন এঁদের বলিনি, আমাদের রাজনৈতিক মতাদর্শে চলতে হবে। আমাদের রাজনৈতিক প্রচার করে সাহায্য করতে হবে। আমরা মনে করি, এই সরকারি কর্মচারীরা বঞ্চিত হচ্ছেন। কেন্দ্রের হারে মহার্ঘভাতা দেওয়ার বিষয়টি অন্য রাজ্য মেনে নিচ্ছে। কিন্তু আমাদের রাজ্য সেটা বুঝতে পারছে না। ‌এই রাজ্যের অর্থনৈতিক অবস্থা বেহাল। শিক্ষা শেষ। আজ উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হতে গেলে অর্থ লাগে। এই রাজ্যে চাকরি নেই। ভিন রাজ্যে কাজ করতে যেতে হচ্ছে এখানকার ছেলেমেয়েদের। পুরোটাই দোলাচল।”

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Partha Chatterjee: পার্থর বিরুদ্ধে চার্জশিটের অনুমোদন রাজ্যপালের, ক্রমেই শক্ত হচ্ছে প্রাক্তন মন্ত্রীর দুর্নীতির ফাঁস!

    Partha Chatterjee: পার্থর বিরুদ্ধে চার্জশিটের অনুমোদন রাজ্যপালের, ক্রমেই শক্ত হচ্ছে প্রাক্তন মন্ত্রীর দুর্নীতির ফাঁস!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) বিরুদ্ধে চার্জশিটের অনুমোদন দিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এই প্রথম সিবিআই মামলায় পার্থর নামে এল চার্জশিটের অনুমোদন। গ্রুপ সি নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় পার্থর নামে চার্জশিটের অনুমতি দিলেন রাজ্যপাল। বৃহস্পতিবার আদালতে এ কথা জানায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই।

    মন্ত্রীর ক্ষেত্রে চার্জশিট দেওয়ার নিয়ম

    এতদিন পর্যন্ত রাজ্যপালের অনুমোদন না থাকায় চার্জশিট গ্রহণ করেনি আদালত। উল্লেখ্য, রাজ্যের মন্ত্রী ছিলেন পার্থ। মন্ত্রীকে শপথবাক্য পাঠ করান রাজ্যপাল। তাই কোনও মন্ত্রীকে গ্রেফতার করার ক্ষেত্রে কিংবা চার্জশিটে নাম দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রয়োজন হয় রাজ্যপালের অনুমতির। গ্রুপ সি নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় ওই চার্জশিটে শান্তিপ্রসাদ সিনহা সহ কয়েকজন প্রাক্তন আধিকারিকের নাম রয়েছে। তাঁদের জন্য প্রয়োজন রাজ্য সরকারের অনুমোদন। সেই অনুমোদন চাওয়াও হয়েছে। যদিও মেলেনি। তাই ওই চার্জশিট আদালত গ্রহণ করবে কিনা, সে প্রশ্নও উঠছে।

    নেপথ্য কাহিনি

    প্রসঙ্গত, গত বছর ২২ জুলাই রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) বাড়িতে হানা দেয় ইডি। পরের দিন গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। ইডির গ্রেফতারির মাস কয়েক পরে পার্থকে গ্রেফতার করে সিবিআই। তাঁকে হেফাজতে নিয়ে জেরা করার পর বিচার প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রেও প্রয়োজন ছিল রাজ্যপালের অনুমোদনের। সেটা আগেই দিয়েছিলেন রাজ্যপাল। এবার দিলেন চার্জশিটে নাম দেওয়ার প্রয়োজনীয় অনুমোদনও।

    নিয়োগ কেলেঙ্কারি প্রকাশ্যে আসার পর প্রথম যে হেভিওয়েট গ্রেফতার হন, তিনি হলেন পার্থ। তাঁর বাড়ির পাশাপাশি পার্থর বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের জোড়া ফ্ল্যাটে হানা দেয় ইডি। উদ্ধার হয় নগদ প্রায় ৫০ কোটি টাকা। তার পরেই গ্রেফতার করা হয় সবান্ধব পার্থকে। প্রেসিডেন্সি জেলের আলাদা আলাদা সেলে রয়েছেন পার্থ ও অর্পিতা।

    আরও পড়ুুন: ‘‘ডাউনলোড হওয়া ১৬টি ফাইল নিয়ে পুলিশের এত আগ্রহ কীসের?’’ প্রশ্ন আদালতের

    কিছু দিন আগেই আদালতে সিবিআই জানিয়েছিল, পার্থর (Partha Chatterjee) বাড়িতেই ছিল চাকরি বিক্রির অফিস। তাঁর নাকতলার বাড়ির গ্রাউন্ড ফ্লোরে একটি অফিস ছিল। সেখানে অবাধে যাতায়াত করতেন দালালরা। গ্রুপ সি-র নিয়োগ তালিকা তৈরি হত সেখানেই। পরে তা চলে যেত এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্যের কাছে। যাঁরা টাকা দিতেন, তালিকাভুক্ত হত তাঁদের নাম।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: ‘‘ডাউনলোড হওয়া ১৬টি ফাইল নিয়ে পুলিশের এত আগ্রহ কীসের?’’ প্রশ্ন আদালতের

    Calcutta High Court: ‘‘ডাউনলোড হওয়া ১৬টি ফাইল নিয়ে পুলিশের এত আগ্রহ কীসের?’’ প্রশ্ন আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আদালতের নির্দেশ মেনে বৃহস্পতিবার ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’ কোম্পানির সিইও, ডিরেক্টর সহ একাধিক আধিকারিকের সম্পত্তির খতিয়ান জমা দিল ইডি। এই মামলায় সিনেমা জগতের একজনের নামও জানিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। যা দেখে বিস্ময় প্রকাশ করেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অমৃতা সিনহা। এদিকে, ওই কোম্পানির ১৬টি ফাইল নিয়ে পুলিশের এত আগ্রহ কীসের, সেই প্রশ্নও তোলেন বিচারপতি সিনহা।

    কজন চিত্রতারকার নাম?

    নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় জড়িত চিত্রতারকাদের নাম ও তাঁদের সম্পত্তির খতিয়ান ইডিকে জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি সিনহা। বৃহস্পতিবার সেই খতিয়ান জমা দেয় ইডি। একটি মুখবন্ধ খামে এক টলি অভিনেতার নাম রয়েছে বলে জানায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এর পরেই বিচারপতির (Calcutta High Court) প্রশ্ন, “এতদিনে মাত্র একজনের নাম পেলেন?” ইডির আইনজীবী জানান, আরও অনেক তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। তাই আরও একটু সময় দেওয়া হোক। 

    অভিষেক ও তাঁর মা-বাবার সম্পত্তির হিসেব

    নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় জড়িয়েছে তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোম্পানি ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসে’র নাম। এই কোম্পানির পদাধিকারীদের সম্পত্তির খতিয়ান আদালতে পেশের নির্দেশও দিয়েছিলেন বিচারপতি সিনহা। এদিন ওই কোম্পানির সিইও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, কোম্পানির ডিরেক্টর অভিষেকের বাবা অমিত বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মা লতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পত্তির খতিয়ানও আদালতে জমা দিয়েছে ইডি।

    আরও পড়ুুন: ভোট পেতে কুলি সাজলেন রাহুল গান্ধী! সস্তার রাজনীতিতে চিঁড়ে ভিজবে কি?

    এদিনের শুনানিতে ওই কোম্পানির ১৬টি ফাইলের প্রসঙ্গও ওঠে। আদালতে (Calcutta High Court) ইডির দাবি, হাইকোর্টে ১৬টি ফাইল সংক্রান্ত রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে। এফআইআর না করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল। তার পরেও অফিসারদের বিরুদ্ধে জিডি করা হচ্ছে। তখনই রাজ্য পুলিশের উদ্দেশে বিচারপতি সিনহা বলেন, “জিডি কেন করেছেন? এটা কোনও ক্রিমিনাল কেস নয়। বিচারাধীন বিষয়ে কোনও পদক্ষেপ করতে পারবেন না আপনারা।” সরকারি আইনজীবীর দাবি, ইডির বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা হচ্ছে না। কেবল একটা স্ক্যামের তদন্ত করছে পুলিশ। এর পরেই বিচারপতি সিনহা বলেন, “আশা করব আপনার অফিসাররা রাজ্যের সব কেসেই এমন সুপার অ্যাকটিভ হয়ে দায়িত্ব পালন করবেন। এক্ষেত্রে এত উৎসাহী হওয়ার কারণ আছে কি?” ইডির আইনজীবী মন্তব্য, “আসলে ঝুলি থেকে বিড়াল বেরিয়ে পড়েছিল!”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share