Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Ration Scam: রেশন কেলেঙ্কারিতে ধৃত বাকিবুরের সম্পত্তির পরিমাণ জানেন? বোমা ফাটালেন শুভেন্দু   

    Ration Scam: রেশন কেলেঙ্কারিতে ধৃত বাকিবুরের সম্পত্তির পরিমাণ জানেন? বোমা ফাটালেন শুভেন্দু   

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেশন কেলেঙ্কারি (Ration Scam) মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন বাকিবুর রহমান। তদন্ত শুরু করেছে ইডি। এহেন আবহে বাকিবুর সম্পর্কে বোমা ফাটালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী। বাকিবুরের রকেট গতির উত্থান কীভাবে, তাও জানিয়েছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক।

    শুভেন্দুর ট্যুইট-বাণ

    এক্স হ্যান্ডেলে শুভেন্দু লিখেছেন, “বাকিবুর রহমান পিডিএস দোকানের মালিক ও চালকলের মালিক। খুব অল্প সময়ে তার উত্থান। হোটেল ব্যবসা, নার্সিংহোমের মালিক, একাধিক চালকলের মালিক, বিদেশে তৈরি গাড়ি, অভিজাত এলাকায় বিরাট সব ফ্ল্যাট আর একাধিক জমি। আর সেই জমি আবার বরাদ্দ করেছে হিডকো। একেবারে নিয়ম ভেঙে তার নামে জমি বরাদ্দ করা হয়েছিল। রহমান অন্তত ১৩টি কোম্পানির ডিরেক্টর। একাধিক শেল কোম্পানির সঙ্গে তিনি যুক্ত। একাধিক মন্ত্রী ও প্রভাবশালীর সঙ্গে তার ওঠাবসা। তার কাজকর্ম শুধু রেশন দুর্নীতি (Ration Scam) সংক্রান্ত নয়।”

    ইডিকে অনুরোধ

    শুভেন্দু লিখেছেন, “আমি ইডিকে অনুরোধ করছি বাকিবুর রহমানের সঙ্গে হিডকোর সম্পর্কটা একবার দেখুন। এটা আর্বান ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড মিউনিসিপ্যাল অ্যাফেয়ার্স ডিপার্টমেন্টের আওতায় রয়েছে। তিনি বিভিন্ন সুবিধা ও সম্পত্তি হিডকোর থেকে নিয়েছেন। সেই ধরনের একটি প্লটের নথি আমি তুলে ধরলাম। এটা তো হিমশৈলের অংশ মাত্র। এর পর আরও কিছু আছে…”

    এদিকে, কলকাতা, বেঙ্গালুরুর পর এবার দুবাইয়ে বাকিবুরের দু’টি ফ্ল্যাটের হদিশ মিলল। যার আনুমানিক মূল্য ৮-১০ কোটি টাকা। বিষয়টি নিয়ে কটাক্ষ করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তিনি বলেন, “ভাইপোরও দুবাইয়ে ফ্ল্যাট রয়েছে। বাকিবুরেরও রয়েছে। নন্দীগ্রামের লোক মরছে। আমরা খেটে মরছি। আর এরকম বাকিবুররা তৈরি হয়েছে।” দুবাইয়ের ফ্ল্যাটের পাশাপাশি এ রাজ্যে তাঁর তিনটি চালকল, ২টি গমকল, বেশ কয়েকটি পানশালা, একাধিক হোটেল, পোর্শের মতো বহুমূল্যের একাধিক গাড়ির খোঁজও পেয়েছে ইডি। অল্প সময়ে কীভাবে তিনি এই বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির মালিক হলেন, রাজ্যের এক মন্ত্রী ঘনিষ্ঠ বাকিবুর, মূলত তা-ই জানতে চাইছে ইডি।

    আরও পড়ুুন: নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার আরও এক, কে জানেন?

    প্রসঙ্গত, করোনা অতিমারি-পর্বে রাজ্যের বহু জায়গায় রেশন সামগ্রী বণ্টনে দুর্নীতির (Ration Scam) অভিযোগ ওঠে। ২০২২ সালের এপ্রিল মাসে ইসিআইআর দায়ের করে ইডি। সেই মামলায় ১১ অক্টোবর কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনা ও নদিয়ার ১২টি জায়গায় হানা দেয় ইডি। এর মধ্যে ছিল কৈখালিতে বাকিবুরের অভিজাত আবাসনের একটি ফ্ল্যাটও। শুক্রবার ফের তল্লাশি ও জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করা হয় বাকিবুরকে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Anubrata Mondal: অনুব্রতর খাসতালুকেই অবাধে চলছে গরু পাচার! পুলিশ কী করছে?

    Anubrata Mondal: অনুব্রতর খাসতালুকেই অবাধে চলছে গরু পাচার! পুলিশ কী করছে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) খাসতালুক বীরভূমে ফের সক্রিয় হয়েছে গরু পাচার চক্র। ইডি, সিবিআইয়েক কড়া নজরদারির সময় কিছুদিন এই ধরনের কারবার বন্ধ ছিল। এখন অবাধে চলছে গরু পাচার। জেলা পুলিশের লাগাতার তল্লাশিতে একের পর এক গরু উদ্ধার হয়ে চলেছে। গরু পাচারের অভিযোগে নতুন করে দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

    কোন পথে গরু পাচার?

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নলহাটি থানার পুলিশ পাচারের আগে ২১টি গোরু আটক করেছে। নলহাটি থানার পানিটা গ্রামের রাস্তা দিয়ে গোরুগুলি পাচার করা হচ্ছিল। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে নিজামউদ্দিন শেখ এবং আব্দুল আলম নামে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মাসখানেক আগে এই জেলায় একটি ট্রাকে ৯টি গরু পাচার হওয়ার সময় পুলিশ হাতেনাতে ধরে। সেবারও দুজনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছিল। সেই ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই এবার ফের গরু পাচার হওয়ায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। যদিও প্রশাসনের একাংশের দাবি, এই মুহূর্তে পুজোর প্রস্তুতি, নিরাপত্তা ব্যবস্থা, কার্নিভ্যাল নিয়ে পুলিশ ব্যস্ত। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে কোথাও কন্টেনারে, কোথাও লরিতে, কোথাও আবার ট্র্যাক্টরে করে অবাধে গোরু পাচার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। এতদিন ইলামবাজারের গোরুর হাট থেকে বাংলাদেশে কন্টেনারে করে গোরু পাচার হত। বাংলাদেশ সীমান্ত পর্যন্ত এই গোরু পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব ছিল লতিফের। গরু পাচারকারী এনামুল হকের অন্যতম সঙ্গী ছিল লতিফ। তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) গ্রেফতার হওয়ার পরেই আব্দুল লতিফের খোঁজে ইলামবাজারে গরুর হাট, লতিফের বাড়ি, মার্বেল দোকানে তল্লাশি তল্লাশি চালান সিবিআই অফিসারেরা।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বার বার গরু পাচারের ঘটনা ঘটা প্রসঙ্গে বীরভূম জেলা বিজেপি সভাপতি ধ্রুব সাহা বলেন, বীরভূম জুড়ে কেষ্টর (Anubrata Mondal) আমল থেকে গরু পাচার চক্র চলছে। এখনও তা অবাধেই চলছে। পুলিশ যেটা করছে, সেটা আইওয়াশ। এর চেয়ে অনেক বেশি গরু পাচার হচ্ছে। এর পিছনে শাসকদলের মদত রয়েছে। পাচার বন্ধ করা কোনওভাবে পুলিশের পক্ষে সম্ভব নয়।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের জেলার সহ সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, বেআইনিভাবে গরু পাচার চালানো যাবে না। দল এসব প্রশয় দেয় না। পাচারকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: এবার কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ বেলেঘাটার নিহত বিজেপি কর্মীর বাড়িতে     

    Calcutta High Court: এবার কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ বেলেঘাটার নিহত বিজেপি কর্মীর বাড়িতে     

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দু’ বছর আগে খুন হয়েছিলেন বেলেঘাটার বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকার। ওই ঘটনায় এবার অভিজিতের মা ও ভাইয়ের নিরাপত্তায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। দীর্ঘদিন ধরে নিহত অভিজিতের মা ও ভাই নিরাপত্তার অভাবে ভুগছেন বলে অভিযোগ উঠেছিল। নিরাপত্তার দায়িত্ব দেওয়া হয় পুলিশকে।

    বিচারপতি সেনগুপ্তর নির্দেশ

    অভিযোগ, মদ্যপ অবস্থায় নিরাপত্তা দিতে গিয়েছিলেন পুলিশকর্মী। অভিজিৎ খুনে যাঁরা জেলবন্দি, তাঁদের পরিবারের লোকজন অভিজিতের বাড়িতে হামলা চালায় বলেও অভিযোগ। এই ইস্যুতে মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাইকোর্টে। তার পরেই সোমবার ওই পরিবারকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। নির্দেশে তিনি বলেন, “এই খুনের ঘটনার মূল সাক্ষী দু’জন। মৃতের মা ও ভাই। আগেও দু’বার তাঁদের হুমকি দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। তিন সপ্তাহের মধ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে। যতদিন না সেটা হচ্ছে, ততদিন নিরাপত্তার ব্যবস্থা করবে নারকেলডাঙা থানা।”

    সিসিটিভির ফুটেজ

    আগে হাইকোর্টের নির্দেশেই পুলিশি নিরাপত্তা পেয়েছিল সরকার পরিবার। অভিযোগ, যিনি নিরাপত্তা দিতে আসতেন, তিনি মদ্যপ অবস্থায় ডিউটি করতে আসতেন। কখনও আবার পুলিশের উর্দি নয়, নিরাপত্তা যিনি দিতে আসতেন, তাঁর গায়ে থাকত সাধারণ পোশাক। অভিযোগের সত্যতা প্রমাণ করতে সিসিটিভির ফুটেজও জমা দেন অভিজিতের ভাই। অভিযোগ পেয়ে বিভাগীয় তদন্ত করে পুলিশ। হাইকোর্ট (Calcutta High Court) দেয় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ।

    আরও পড়ুুন: পঞ্চায়েতে আদালত অবমাননা কমিশনের! সুপ্রিম কোর্টে ক্যাভিয়েট দাখিল শুভেন্দুর

    একুশের বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী হয় তৃণমূল। এর পরেই কার্যত তাণ্ডব শুরু করে ঘাসফুল শিবিরের করিৎকর্মা কর্মীরা। বেছে বেছে বিজেপি কর্মীদের ওপর হামলা চালায় তারা। অভিযোগ, এহেন আবহে দুর্বৃত্তদের হাতে খুন হন বেলেঘাটার বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকার। তার পর থেকে ন্যায় বিচারের দাবিতে আদালতে আইনি লড়াই চালাচ্ছে তাঁর পরিবার। ক্ষতিপূরণের দাবিতে হাইকোর্টে মামলাও হয়েছে। তার পরেও মাঝে মধ্যেই সরকার পরিবারকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। অভিজিৎ খুনের পরপরই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সহ বিজেপি নেতারা নির্বাচনোত্তর সন্ত্রাসের অভিযোগে সরব হন। তার পরেই কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশে রাজ্য পুলিশের হাত থেকে তদন্তভার তুলে দেওয়া হয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Recruitment Case: নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার আরও এক, কে জানেন?

    Recruitment Case: নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার আরও এক, কে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় (Recruitment Case) সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার আরও এক। ধৃতের নাম কৌশিক মাজি। তিনি ওএমআর শিট প্রস্তুতকারী সংস্থা এসএন বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানির কর্তা। সোমবার গ্রেফতার করা হয়েছিল পার্থ সেন নামে একজনকে। তাঁকে জেরা করে মঙ্গলবার দুপুরে গ্রেফতার করা হয় কৌশিককে।   

    বাড়িতে তল্লাশি সিবিআইয়ের

    গত মাসে ওএমআর শিট প্রস্তুতকারী সংস্থার যে দুই আধিকারিকের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিল সিবিআই, তাঁদের মধ্যে ছিলেন কৌশিকও। তাঁদের বাড়ি থেকে কম্পিউটারের হার্ড ডিস্ক সহ বিভিন্ন নথি বাজেয়াপ্ত করা হয়। কৌশিকের বাড়ি হাওড়ার দাশনগরে। এর আগে তাঁকে তলব করেছিল সিবিআই। এবার করা হল গ্রেফতার।

    ‘অযোগ্য প্রার্থীদের তালিকা প্রস্তুত করেছিলেন’

    নিয়োগ প্রক্রিয়ার (Recruitment Case) উত্তরপত্র মূল্যায়ন এবং ওএমআর শিট প্রস্তুত করার দায়িত্বে ছিল এসএন বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানি। এই কোম্পানিরই অন্যতম অংশীদার কৌশিক। সোমবার দুপুরে এই সংস্থার কর্মী পার্থ সেনকে গ্রেফতার করে সিবিআই। পার্থই কেলেঙ্কারির মূল চাবিকাঠি। এদিন আলিপুর আদালতে সিবিআইয়ের দাবি, ওএমআর শিটের মাধ্যমে যে দুর্নীতি হয়েছে, তাতে পার্থ সরাসরি যুক্ত। তিনিই অযোগ্য প্রার্থীদের তালিকা প্রস্তুত করেছিলেন। সেই তালিকায় থাকা বেশ কয়েকজনের চাকরিও হয়েছে বলে দাবি সিবিআইয়ের।

    আরও পড়ুুন: এমাসেও দুবাই যাওয়ার কথা ছিল বাকিবুরের! উদ্ধার হওয়া খাতায় কী পেল ইডি?

    আদালতে সিবিআইয়ের দাবি, ২০১৭ সালে ৭৫২ জন অযোগ্য প্রার্থীর একটি তালিকা তৈরি হয়েছিল এসএন বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানিতে। পার্থই সেই তালিকা তৈরি করেছিলেন। সেই তালিকা থেকে একটি ডিজিটাল তালিকা তৈরি হয়েছিল। পরে সেই তালিকা মেইল করে পাঠানো হয় পর্ষদ অফিসে। সিবিআইয়ের দাবি, ওই তালিকার মধ্যে ৩০০ জনেরও বেশি প্রার্থী পরে চাকরিও পেয়েছিলেন। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, ২০০৭ সাল থেকে ওএমআর শিট তৈরির ওই সংস্থায় চাকরি করছেন পার্থ। তাঁর মেয়ে ও জামাই দুজনেই প্রাথমিক স্কুল শিক্ষক।

    নিয়োগ কেলেঙ্কারি (Recruitment Case) মামলায় গ্রেফতার হয়েছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূলের আরও কয়েকজন ছোট বড় দরের নেতা। এবার গ্রেফতার হলেন পার্থ, কৌশিক। এঁদের পর কাদের হাতে পড়বে হাতকড়া, সেটাই প্রশ্ন।  

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CV Ananda Bose: “মা দুর্গা শক্তির উৎস, দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই চলবে”, পুজোয় বার্তা রাজ্যপালের

    CV Ananda Bose: “মা দুর্গা শক্তির উৎস, দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই চলবে”, পুজোয় বার্তা রাজ্যপালের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বঙ্গবাসীকে দুর্গা পুজোর শুভেচ্ছা জানালেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস ৷ পরিষ্কার বাংলা ভাষায় দুর্গাপুজোর আগে শান্তির বার্তা দিলেন রাজ্যপাল৷ পাশাপাশি বাংলাকে হিংসা ও দুর্নীতি মুক্ত করার কথাও বললেন রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান৷ সূচনা করলেন কলাক্রান্তি উৎসবের।  রাজ্যপাল বলেন, ‘‘মা দুর্গা সবাইকে শক্তি দেয়। শক্তির উৎস। কলকাতার পুজো দারুণ ব্যাপার। দারুণ ফিলিং।’’ 

    রাজ্যপালের ভিডিও বার্তা

    ভিডিও বার্তায় রাজ্যপাল বললেন, ‘‘বাংলার ভাই ও বোনেরা । আপনাদের সকলকে জানাই দুর্গাপুজোর শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন। আসুন মা দুর্গার চরণতলে নিজেদের সমর্পণ করি। এটা হল আত্ম উপলব্ধির সময়। এই সেই সময় মা, দুর্গার শরণাপন্ন হওয়া দরকার। দুষ্টের দমন আর সৃষ্টির পালন এই আদর্শে দীক্ষিত হওয়া দরকার। আসুন আজ মা’কে সাক্ষী রেখে এই শপথগ্রহণ করি ভ্রষ্টাচারের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই চলবে। হিংসার বিরুদ্ধে আমাদের সংগ্রাম চলবে। পুরাণের কথা অনুযায়ী দুর্নীতি হল রক্তবীজ আর হিংসা হল মহিষাসুর। যেমন মা দুর্গা মহিষাসুরকে বধ করেছিলেন। আমরা সেরকম দুর্নীতিকে শেষ করব।’’

    রাজপথে রাজ্যপাল 

    দুর্গা পুজোতেও রাজভবন ছেড়ে রাজপথে নামেন রাজ্যপাল। রবিবার মূলত মণ্ডপে মণ্ডপে প্রস্তুতি কেমন, কলকাতার ট্রাফিক ব্যবস্থা কী রকম রয়েছে তা খতিয়ে দেখেন রাজ্যপাল। পৌঁছে যান কুমোরটুলিতে, সেখানে মৃৎশিল্পীদের কাজ দেখেন সি ভি আনন্দ বোস। একাধিক শিল্পীর পরিবারের সঙ্গে কথা বলে, তাঁদের হাতে রাজভবনের তরফে উপহারও তুলে দেন তিনি। রাজ্যপালের হাতেও, তাঁদের তৈরি মূর্তি উপহার হিসেবে তুলে দেন শিল্পী পরিবারের সদস্যরা। কুমোরটুলি থেকে বেরিয়ে রাজ্যপাল সোজা চলে যান একডালিয়া এভারগ্রিনে। দর্শনার্থীদের সঙ্গে জনসংযোগও করতে দেখা যায় রাজ্যপালকে।

    আরও পড়ুন: বাংলায় পরিবর্তন আনাই লক্ষ্য! ঝটিকা সফরে কলকাতায় এসে বললেন অমিত শাহ

    কলাক্রান্তি উৎসবের সূচনা

    দুর্গাপুজোর আবহে এদিন কলাক্রান্তি উৎসবের সূচনা করেন রাজ্যপাল। কলাক্রান্তি উৎসবের মূল উদ্দেশ্য হল ভারতের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে তুলে ধরা এবং তাঁকে লালন করা। রাজ্যাপালের কথায়, ‘‘ভারতের সেই সংস্কৃতি বিশ্বের কাছে বাংলার নেতৃত্বে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে হবে। ’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • ED: ১০ ঘণ্টা পর ইডি দফতর থেকে বের হলেন অভিষেকের আপ্তসহায়ক, কী তথ্য দিয়ে এলেন?

    ED: ১০ ঘণ্টা পর ইডি দফতর থেকে বের হলেন অভিষেকের আপ্তসহায়ক, কী তথ্য দিয়ে এলেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানা ১০ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ, তারপর ইডি (ED) দফতর থেকে বের হতে দেখা গেল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আপ্ত সহায়ক সুমিত রায়কে। সোমবার দুপুর বারোটা নাগাদ ইডি দফতরে পৌঁছেছিলেন তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ডের আপ্ত সহায়ক। রাত দশটার কিছু আগে বের হন তিনি। তবে এদিন সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খুলতে চাননি সুমিত রায়। তবে তাঁকে কি বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে? সে সংক্রান্ত প্রশ্ন জিজ্ঞেস করা হলে সুমিতের জবাব ‘‘এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করব না।’’

    আদালতে সুমিতের আর্জি খারিজ 

    প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতি মামলা ছাড়া এর আগে কয়লা পাচারকাণ্ডেও সুমিতের নাম উঠে এসেছিল বলে খবর। জানা গিয়েছে, নিয়োগ দুর্নীতি সম্পর্কে তিনি কিছু জানেন কিনা! নিয়োগের জন্য কেউ তাঁর দ্বারস্থ হয়েছিল কিনা! এ সমস্ত কিছুই জানতে চেয়েছিলেন তদন্তকারীরা। সুমিতের বয়ান আপাতত খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, ইডি (ED)
     নোটিশ পাওয়ার পর গত শুক্রবারই উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অভিষেকের আপ্ত সহায়ক। তাঁর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ না করার আর্জি ছিল সুমিতের। তবে এই আর্জি আদালতে খারিজ হয়ে যায়। কলকাতা হাইকোর্ট জানায়, ভবিষ্যতে যদি কড়া পদক্ষেপ করে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা তখন আদালতে তিনি আসতে পারেন।

    লিপস এন্ড বাউন্সের কর্মী ছিলেন সুমিত

    জানা গিয়েছে, লিপস এন্ড বাউন্স সংস্থার কর্মী হিসেবেই এক সময় কাজ করতেন সুমিত। সেখানে ইডির উদ্ধার করা এক হাজার পাতার নথি সূত্র ধরেই সুমিতকে প্রশ্ন করেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অফিসাররা। লিপস এন্ড বাউন্স সংস্থায় তাঁকে কে নিয়োগ করেছিলেন! সেখানে কী ভূমিকা ছিল সুমিতের! কী কাজ তিনি করতেন সেখানে! এ সমস্ত কিছুই জানতে চাওয়া হয়েছে তাঁর কাছে। প্রসঙ্গত, লিপস এন্ড বাউন্স সংস্থা থেকে উদ্ধার হওয়া নথির ভিত্তিতে ডেকে পাঠানো হয় অভিষেকের স্ত্রী রুজিরাকেও। গত বুধবারই তিনি হাজিরা দেন। এর পাশাপাশি তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ডের মা লতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বাবা অমিত বন্দ্যোপাধ্যায়কেও ডাকা হয়েছিল ইডি দফতরে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah: বাংলায় পরিবর্তন আনাই লক্ষ্য! ঝটিকা সফরে কলকাতায় এসে বললেন অমিত শাহ

    Amit Shah: বাংলায় পরিবর্তন আনাই লক্ষ্য! ঝটিকা সফরে কলকাতায় এসে বললেন অমিত শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্নীতিমুক্ত বাংলা চান, তার জন্যই দেবী দুর্গার আশীর্বাদ গ্রহণ করতে গুজরাট থেকে ছত্তিসগড় হয়ে কলকাতায় এসেছেন বলে জানালেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সোমবার সন্ধ্যায় কলকাতার সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারে দুর্গাপুজোর উদ্বোধনে এসে তিনি বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে পরিবর্তন আনতে সর্বশক্তি প্রয়োগ করব। বাংলা থেকে দুর্নীতি, অন্যায়, অত্যাচার দ্রুত শেষ হোক, এই শক্তি মা আমাদের দিন, এই প্রার্থনা জানাই।”

    কী বললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    শিয়ালদহের কাছে সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার অর্থাৎ লেবুতলা পার্কে এবারের পুজোর মণ্ডপ তৈরি হয়েছে অযোধ্যার রাম মন্দিরের আদলে। সেই মণ্ডপের উদ্বোধন করতে দ্বিতীয়ার সন্ধ্যায় ঝটিকা সফরে কলকাতায় এসেছিলেন অমিত শাহ। এদিনের অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন ওই পুজোর প্রধান উদ্যোক্তা বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষ, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা। ছিলেন মঠ ও মন্দিরের সাধু – সন্তরা। এদিন ফিতে কাটার কিছুক্ষণ  পরেই দিল্লির বিমান ধরার উদ্দেশে রওনা হয়ে যান অমিত শাহ। 

    বঙ্গবাসীকে শুভেচ্ছা 

    শুধুমাত্র মা দুর্গার আশীর্বাদ নেওয়ার জন্যই এদিন বাংলায় এসেছেন বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। “রামমন্দির উদ্বোধনের আগে, আজ উত্তর কলকাতার এই মণ্ডপ গোটা বিশ্বের কাছে রাম জন্মভূমির বার্তা পৌঁছে দিচ্ছে” দাবি শাহের। তিনি বলেন, “আজ আমি কোনও রাজনীতির কথা বলতে আসিনি। আমি পশ্চিমবঙ্গে আসব, রাজনীতির কথাও বলব, আর এখানে পরিবর্তন আনতে সর্বশক্তি প্রয়োগ করব। জানুয়ারিতে রাম মন্দিরের উদ্বোধনের আগেই উত্তর কলকাতার মানুষ রাম মন্দিরের উদ্বোধন করে দিয়েছেন। সেজন্য আমি তাঁদের শুভেচ্ছা জানাই। প্যান্ডেলে মায়ের সামনে গিয়ে গোটা দেশের জন্য সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধির প্রার্থনা করব।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja Weather: রাতের পর থেকেই কমবে জলীয় বাষ্প, শীত শীত ভাব পুজোতেই

    Durga Puja Weather: রাতের পর থেকেই কমবে জলীয় বাষ্প, শীত শীত ভাব পুজোতেই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুজোর ঢাকে কাঠি পড়েছে। মহালয়ার বিকেল থেকেই চলছে মণ্ডপে মণ্ডপে প্রতিমা দর্শনের পালা। দুর্গা পুজো বাঙালির কাছে এক শিল্পও বটে। নানান সাজে সেজেছে কলকাতা। কোথাও ডিজনি ল্যান্ড তো কোথাও চন্দ্রযান। কোথাও রাম মন্দির, কোথাও কেদার নাথ। শহরের বুকেই নানান দর্শন। পুজো মানেই সকাল থেকে রাত-পাঁচটা দিন চুটিয়ে আনন্দের সময়। ৮ থেকে ৮০ সব ভুলে পুজোর গন্ধে মাতোয়ারা থাকে। তাই পুজোর আকাশে কালো মেঘের আনাগোনা ভাবিয়ে তোলে উৎসবমুখর বাঙালিকে। তবে মৌসম ভবনমের পূর্বাভাসে (Weather Update) সেই চিন্তার ইতি।

    হালকা শীতের আমেজ

    পুজোর সময় আবহাওয়া (Weather Update) থাকবে মনোরম। এমনকি সেইসময় রাতে পাওয়া যাবে হালকা শীতের আমেজ। দিন ও রাতের তাপমাত্রা কমবে।ষষ্ঠী থেকে অষ্টমী অর্থাৎ ২০ অক্টোবর থেকে ২২ অক্টোবর পর্যন্ত বঙ্গে আবহাওয়া মনোরম থাকবে। বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। নবমী, দশমী অর্থাৎ ২৩ ও ২৪ অক্টোবর আকাশ আংশিক মেঘলা থাকবে। কোনও কোনও জেলায় হালকা বৃষ্টি হতে পারে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, পুজোর কদিন রাজ্যে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। দখিনা হাওয়ার পরিবর্তে উত্তুরে হাওয়ার প্রভাব থাকবে। ফলে প্যান্ডেল হপিং, খাওয়া দাওয়া, আড্ডায় বড় বাধা নেই। পাঁচ দিন দুর্যোগের সম্ভাবনা নেই। পুজোর শেষের কদিন আকাশ আংশিক মেঘলা থাকলেও ভারী বৃষ্টি হবে না।

    আরও পড়ুন: পুজোর মুখে ফের চিন্তা বাড়াচ্ছে ডেঙ্গি! একসপ্তাহে শহরে নতুন করে আক্রান্ত ১,৩৬৭

    কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া 

    রাজ্যের কোথাও ভারী বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। উত্তরে পার্বত্য এলাকায় বিক্ষিপ্তভাবে কিছুটা বৃষ্টি হতে পারে যদিও। নবরাত্রির দ্বিতীয় দিনের পর থেকে তাও ক্রমশ কমতে শুরু করবে। ষষ্ঠী থেকে অষ্টমী রোদ ঝলমলে আবহাওয়াই থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। এখনও পর্যন্ত এ রাজ্যে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। পশ্চিমাঞ্চল সহ কোনও কোনও জেলায় এই উইকেন্ডে ভোরের দিকে উত্তুরে হাওয়ার প্রভাব অনুভূত হবে। কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলাতে তৃতীয়া পর্যন্ত জলীয় বাষ্প বেশি থাকায় আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি কিছুটা থাকবে। ধীরে ধীরে জলীয় বাষ্প  কমবে। শুষ্ক হবে আবহাওয়া। পশ্চিমাঞ্চলের কিছু জেলায় চতুর্থী থেকে ভোরের দিকে সামান্য শিরশিরানি ভাব থাকবে। আপাতত বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই দক্ষিণবঙ্গের কোথাও।

    উত্তরের জেলায় সামান্য বৃষ্টি

    পার্বত্য এলাকায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তরাই ডুয়ার্স ও সমতলে বৃষ্টির তেমন আর কোনও সম্ভাবনা নেই। দার্জিলিং,কার্শিয়ং ও কালিম্পং ছাড়া বাকি উত্তরবঙ্গে সোমবার রাতের পর থেকেই জলীয় বাষ্প কমতে শুরু করবে। তৃতীয়া থেকেই ভোরের দিকে উত্তুরে হাওয়ার প্রভাব অল্প অল্প করে অনুভূত হবে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • WB Legislative Assembly: পেশ হল বিল, আলোচনা হওয়ার আগেই মুলতুবি হয়ে গেল বিধানসভার অধিবেশন!

    WB Legislative Assembly: পেশ হল বিল, আলোচনা হওয়ার আগেই মুলতুবি হয়ে গেল বিধানসভার অধিবেশন!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শোকপ্রস্তাব পাঠ করেই মুলতুবি হয়ে গেল বিধানসভার (WB Legislative Assembly) বিশেষ অধিবেশন। বিজেপির দাবি, যে বিল নিয়ে বিধানসভায় আলোচনা হওয়ার কথা ছিল, রাজ্যপাল তা নিয়ে আলোচনায় অনুমোদন দেননি বলেই অধিবেশন মুলতুবি করে দেওয়া হয়েছে। এদিকে, বিধানসভায় বলতে না দেওয়ার অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখালেন বিজেপি বিধায়করা। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে মন্ত্রী-বিধায়কদের বেতন বৃদ্ধি সংক্রান্ত বিলের কাগজ ছিঁড়ে প্রতিবাদ জানানো হয়। রাজ্যের বেকার যুবক-যুবতীদের চাকরি এবং ডিএ বৃদ্ধির দাবিও জানান তাঁরা।

    বিশেষ অধিবেশন

    সোমবার ডাকা হয়েছিল বিধানসভার (WB Legislative Assembly) বিশেষ অধিবেশন। এক দিনের এই বিশেষ অধিবেশনে যোগ দেবেন না বলে প্রথমে জানিয়ে দিয়েছিল বিজেপি। পরে তারা শোনে, এই বিশেষ অধিবেশনে মন্ত্রী এবং বিধায়কদের বেতন বৃদ্ধি সংক্রান্ত বিল নিয়ে আলোচনা হতে পারে। তার পরেই পদ্মশিবিরের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয় অধিবেশনে তারা যোগ দেবে। নীতিগতভাবে বিজেপি এই মুহূর্তে মন্ত্রী ও বিধায়কদের বেতন বৃদ্ধির বিপক্ষে। তাই বিধানসভায় গিয়ে প্রতিবাদ জানানোই শ্রেয় মনে করে বিজেপি। সেই মতো এদিন তারা সভায় যায়ও। বিলটিও পেশ হয়।

    বিজেপির বক্তব্য

    তার পর বিলের ওপর আলোচনা তো হলই না, উল্টে শোকপ্রস্তাব পাঠ করে মুলতুবি করে দেওয়া হল অধিবেশন। এদিন বিলটি বিধানসভায় (WB Legislative Assembly) পেশ করতে যান পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বিজেপি বিধায়করা। শুভেন্দুর দাবি, বিলটিতে স্বাক্ষর করেননি রাজ্যপাল। তাই এই বিল অনুমোদিত নয়। তাহলে কীভাবে পেশ করা হচ্ছে। বিজেপির হট্টগোলের জেরে মুলতুবি করে দেওয়া হয় অধিবেশন।

    আরও পড়ুুন: শিশু-কিশোরীদের ধর্ষণ-খুন করে মাংস ভক্ষণ! নিঠারিকাণ্ডে দুই আসামিরই ফাঁসি রদ

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “বাঙালি ও হিন্দুদের আঘাত করে এই অধিবেশন করা হচ্ছে। দেবীপক্ষের আগে দুর্গাপুজোর উদ্বোধনের মতো নবরাত্রির দ্বিতীয় দিন। আজ দ্বিতীয়া। আজ আমাদের বিধানসভায় ডেকে এনেছে। উপোস থাকি দিনের বেলা। ডেকে নিয়ে এসেছে। অষ্টমীর দিন মদের দোকান খুলেছে প্রথম স্বাধীনতার পরে। এবার অষ্টমীর দিন মদের দোকান খোলা থাকবে। অষ্টমীকে বলা হয়ে ভেজ ডে। ব্রিটিশরাও বন্ধ রাখত।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     

     

  • Kolkata Metro: জানুয়ারিতে চালু হবে জোকা-মাঝেরহাট মেট্রো, কতটা সুবিধে হবে যাত্রীদের?

    Kolkata Metro: জানুয়ারিতে চালু হবে জোকা-মাঝেরহাট মেট্রো, কতটা সুবিধে হবে যাত্রীদের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কম সময়ের মধ্যে যোগাযোগের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হল মেট্রো। শহরের একপ্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে যেতে অথবা শহরতলি থেকে কলকাতা শহরে আসতে প্রচুর মানুষ মেট্রো (Kolkata Metro) পরিষেবা নিয়ে থাকেন। বর্তমানে মোট তিনটি করিডরে মেট্রো পরিষেবা চলছে। উত্তর-দক্ষিণ শাখা হল দক্ষিণেশ্বর থেকে কবি সুভাষ, ইস্ট-ওয়েস্ট শাখায় সল্টলেক সেক্টর ফাইভ থেকে শিয়ালদা এবং জোকা-এসপ্ল্যানেড করিডর, যা বর্তমানে জোকা থেকে তারাতলা পর্যন্ত চলছে।

    ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো লাইনের সম্প্রসারণে সেক্টর ফাইভ থেকে হাওড়া ময়দান পর্যন্ত, মাটির নিচ দিয়ে গঙ্গার কাজ দ্রুত কাজ শেষ হবে বলে জানা গিয়েছে। অপর দিকে জোকা থেকে তারাতলা পর্যন্ত লাইনকে সম্প্রসারণ করে মাঝেরহাট পর্যন্ত করা হচ্ছে। দ্রুত কাজ শেষ করে জানুয়ারি থেকেই মেট্রো পরিষেবা চালু হবে। প্রতি ১০ মিনিট অন্তর অন্তর মেট্রো চলেবে বলে জানা গিয়েছে। ভীষণ ভাবে উপকৃত হবেন যাত্রীরা। 

    ৪৫ সেকেন্ডে গঙ্গার নিচ দিয়ে চলবে মেট্রো (Kolkata Metro)

    মেট্রো সূত্রে জানা গিয়েছে, ইস্ট-ওয়েস্ট করিডরে প্রস্তাবিত রুটটির দৈর্ঘ্য হল ১৬.৫৫ কিমি। ইতিমধ্যেই ৯.৩০ কিমির কাজ শেষ হয়েছে। এই বছরের ডিসেম্বরে মাসেই ৪.৮০ কিমি এবং আগামী বছর জুন মাসের মধ্যে বাকি আরও প্রায় আড়াই কিমি মেট্রো লাইনের কাজ সম্পন্ন হবে। এই প্রকল্পের মোট ১৬.৫৫ কিমি মেট্রো লাইনের মধ্যে, ৫২০ মিটার পথ গঙ্গার তলা দিয়ে সুড়ঙ্গ পথে চলবে মেট্রো (Kolkata Metro)। যা পার করতে সময় লাগবে মাত্র ৪৫ সেকেন্ড।

    কী জানাচ্ছে মেট্রো?   

    মেট্রো সূত্রে জানা গিয়েছে, তারাতলা থেকে জোকার লাইনকে সম্প্রসারণ করে মাঝেরহাট পর্যন্ত ৮.৫ কিমি রেলের সিগন্যালিং-এর কাজ বাকি রয়েছে। আগামী জানুয়ারির মধ্যে এই কাজ শেষ হবে। সেই সঙ্গে দুই দিকের লাইনের মাল্টিরেক অপারেশনের কাজও শেষ হয়ে যাবে। বর্তমানে ইলেকট্রিক ইন্টারলিকংয়ের কাজ চলছে। জোকা থেকে তারাতলা পর্যন্ত ৬.৫ কিমি যাত্রা পথের কাজ চলছে। এবার তারাতলা থেকে মাঝেরহাট পর্যন্ত ২ কিমির কাজ নভেম্বর থেকে শুরু হবে। এই কাজ শেষ হলে জানুয়ারিতে মাঝেরহাট পর্যন্ত মেট্রো চালু হবে। এখন জোকা থেকে তারাতলা একমুখী যাত্রায় সারাদিনে ২৪টি মেট্রো চলছে, ফলে যাত্রীদের মেট্রোর জন্য অনেক সময় অপেক্ষা করতে হয়। কিন্তু তারাতলা থেকে মাঝেরহাট পর্যন্ত লাইন সম্প্রসারণ হলে, দুই দিক থেকেই মেট্রো চললে প্রতি ১০ মিনিট অন্তর অন্তর পাওয়া যাবে মেট্রো (Kolkata Metro)। এই প্রসঙ্গে মেট্রোর সিপিআরও কৌশিক মিত্র বলেন, “মূলত ডিসেম্বরের মধ্যেই টার্গেট আমাদের। সবকিছু তৈরি হয়ে গিয়েছে। ছোট ছোট কাজ রয়েছে, যা ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় নিয়েছি আমরা।”

    সুবিধা পাবেন রেল যাত্রীরাও

    মাঝেরহাট রেল স্টেশনের সঙ্গে মেট্রো লাইন সংযুক্ত হলে, রেলের যাত্রীরা ব্যাপক সুবিধা পাবেন। শিয়ালদা-বজবজ শাখার যাত্রীরা মেট্রোর সুবিধা পাবেন। দক্ষিণের শহরতলির নানা জায়গা থেকে আসা যাত্রীরা, মাঝেরহাট থেকে মেট্রো (Kolkata Metro) ব্যবহার করে বেহালা, জোকাতে পৌঁছাতে পারবেন। এছাড়াও যাত্রীদের বালিগঞ্জ, টালিগঞ্জ, আলিপুর থেকে বেহালা যাওয়ার সময় মেট্রো পথ বেশ নির্ভরযোগ্য হবে বলে জানা গিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share