Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Hilsa Fish: রান্নাপুজোয় ইলিশের আকাল! দুর্গাপুজোয় বাংলাকে ৫ হাজার টন ইলিশ উপহার হাসিনার

    Hilsa Fish: রান্নাপুজোয় ইলিশের আকাল! দুর্গাপুজোয় বাংলাকে ৫ হাজার টন ইলিশ উপহার হাসিনার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলে এল রান্না পুজো। শনিবার রান্না পুজোর বাজার করতে গিয়ে পকেটে টান বাঙালির। বাজারে ইলিশ (Hilsa Fish) অমিল। যা গুটি-কয়েক রয়েছে, তাতে হাত দেওয়া যাচ্ছে না। নিম্নচাপ ও কৌশিকী অমাবস্যার ভরা কোটালের জোড়া ফলায় উত্তাল সমুদ্র। যার জেরে মৎস্যজীবীদের গভীর সমুদ্র যাত্রার ওপর নিষেধাজ্ঞার জারি করা হয়েছে। ফলে রান্না পুজোর আগে বাজারে ইলিশ মিলছে না। তবে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজোয় (Durgapuja) এবার জমিয়ে পেটপুজো করা যাবে ইলিশ (Hilsa) দিয়ে। বাংলাদেশের বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সী শুক্রবার জানিয়েছেন সম্প্রতি ভারতের সঙ্গে ইলিশ রফতানি নিয়ে কথা হয়েছে তাদের। সেই মতো পশ্চিমবঙ্গকে ৫ হাজার টন ইলিশ পাঠাবে বাংলাদেশ। 

    রান্না পুজোয় পাতে ইলিশ নেই

    ক্যালেন্ডার বলছে বর্ষা পেরিয়ে শরৎ এসে গিয়েছে। তবুও ইলিশের (Hilsa Fish) দাম কমছে না। দিঘা, শঙ্করপুর, কাকদ্বীপ, নামখানা, ডায়মন্ডহারবার থেকে ইলিশের জোগান নেহাতই কম। যেটুকু ইলিশ মিলছে বাজারে, তার দাম আকাশছোঁয়া।ভাদ্রমাসের সংক্রান্তিতে যন্ত্রদেবতা বিশ্বকর্মার আরাধনা করা হয়। আর রান্নাঘরে যাঁরা হাতা-খুন্তি নিয়ে সারা বছর ব্যস্ত থাকেন, বিশ্বকর্মা পুজোর আগের দিন তাঁরা মাতেন রান্নাপুজো বা অরন্ধন উৎসবে। এই উৎসবের মধ্যমণি অবশ্যই ইলিশ। তবে এবছর ইলিশের তেমন জোগান নেই। পাইকারি বাজারে কেজি প্রতি ইলিশের দাম ১৮০০ থেকে ২০০০ টাকা। খুচরো বাজারে যার দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২২০০ থেকে ২৫০০ টাকা। এদিকে, ৩০০ থেকে ৪০০ গ্রাম ওজনের খোকা ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায়। 

    আরও পড়ুন: ভোকাট্টা! বিশ্বকর্মা পুজো মানেই আকাশ জুড়ে ঘুড়ির লড়াই কেন?

    পুজোর প্লেটে ইলিশ থাকার সম্ভাবনা

    বাঙালির এই প্রিয় মাছ নিয়ে রীতিমতো শঙ্কার মেঘ তৈরি হলেও শেষমেশ দরাজ মনে ইলিশ (Hilsa Fish) পাঠাতে রাজি হয়েছে বাংলাদেশ। পুজোর আগেই বাংলা তথা ভারতে ঢুকবে ৫ হাজার টন ইলিশ।  বাংলাদেশের বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, “গত বছর আমরা পাঁচ হাজার টন ইলিশ ভারতে পাঠিয়েছিলাম। এই বছরও সেই পরিমাণ ইলিশই রফতানি করা হবে।” যদিও বাংলাদেশের বাজারে এর জন্য আলাদা করে কোনও প্রভাব পড়বে না বলেই জানান তিনি। তাঁর কথায়, “আমরা ইলিশ নিয়মিত দিই না। কিন্তু, দুর্গাপুজোয় বহু বাঙালি ইলিশ খেতে থাকেন। তাঁদের জন্য আমরা এই উৎসবে ইলিশ পাঠিয়ে থাকি। ঠিক যেমন আমের মরশুমে আম। উৎসবের সময় ১৫ দিনের জন্য তাই ইলিশ রফতানিতে সম্মতি দেওয়া হচ্ছে।” বাংলাদেশ থেকে ইলিশ ঢুকলে দেশের বাজারে ইলিশের চাহিদা অনেকটাই মিটবে বলে মনে করা হচ্ছে।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Dumdum Train Derailed: দমদম স্টেশনে লাইনচ্যুত ডাউন কল্যাণী-মাঝেরহাট লোকাল, ভোগান্তি যাত্রীদের

    Dumdum Train Derailed: দমদম স্টেশনে লাইনচ্যুত ডাউন কল্যাণী-মাঝেরহাট লোকাল, ভোগান্তি যাত্রীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লাইনচ্যুত হল ডাউন কল্যাণী-মাঝেরহাট লোকাল ট্রেন। শনিবার সকাল ৯:৫২ মিনিটে দমদম স্টেশনে ঢোকার মুখে এই ঘটনাটি ঘটে। লোকাল ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ায় সঙ্গে সঙ্গে যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তবে হতাহতের কোন খবর মেলেনি। জানা গিয়েছে দুর্ঘটনার (Dumdum Train Derailed) সময় ট্রেনের গতিবেগ খুবই কম ছিল যার জেরে বড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা মিলেছে। তবে এটাই প্রথম নয় গত পাঁচ দিনে এনিয়ে, দ্বিতীয়বার দুর্ঘটনা ঘটল দমদম স্টেশনের কাছে। মঙ্গলবারই মাঝের একটি লাইনে ঢুকে যায় শিয়ালদাগামী একটি ট্রেন। স্টেশনে ট্রেন না ঢোকার ফলে ট্রেনে ওঠানামা করতে পারছিলে না যাত্রীরা। রেল কর্তৃপক্ষ জানায় যে প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণেই এই ঘটনা ঘটে।

    লাইনচ্যুত লোকাল ট্রেন  

    জানা গিয়েছে ওই লোকাল ট্রেনটি দমদম স্টেশনের ৫ নম্বর প্লাটফর্মে এসে দাঁড়ালে চার ও পাঁচ নম্বর বগি লাইনচ্যুত হয়। সঙ্গে সঙ্গে ট্রেনটিকে থামিয়ে দেন চালক। দুর্ঘটনার পর পরই রেলের ইঞ্জিনিয়ার এবং কর্মীরা সেখানে পৌঁছে যান। এক রেলযাত্রী বলেন, ‘‘আচমকাই একটা প্রচণ্ড ঝাঁকুনি হয়। কিছু বুঝে ওঠার আগেই আমরা একে ওপরের ঘাড়ে গিয়ে পড়ি। তখন ব্যাপারটা সেভাবে বুঝতেই পারিনি। ট্রেন দাঁড়িয়ে যায়। অনেকেই লাইন দিয়ে নীচে নেমে আসেন। তারপর বুঝি লাইনচ্যুত (Dumdum Train Derailed) হয়েছে ট্রেন।’’

    আরও পড়ুুন: পাক অধিকৃত কাশ্মীর ভারতেরই, এবার জানিয়ে দিল সংযুক্ত আরব আমিরশাহিও

    রেলের বিবৃতি 

    পূর্বরেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র বলেন, ‘‘সকাল ৯টা ৫২ মিনিটে ৫ নম্বর প্ল্যাটফর্মে ঢোকার সময় দমদমে ডাউন কল্যাণী-মাঝেরহাট লোকালের (Dumdum Train Derailed) মাঝের দিকের একটি কামরার দু’টি চাকা লাইনচ্যুত হয়। চালকের তৎপরতায় কোনও দুর্ঘটনা ঘটেনি। ট্রেন তিনি থামিয়ে দিয়েছিলেন। প্রায় দেড় ঘণ্টা সেখানেই ট্রেনটি ছিল। সকাল সাড়ে ১১টায় চাকা দু’টিকে ফের লাইনে তোলা সম্ভব হয়। ট্রেন চলাচল তার পর থেকে স্বাভাবিক হয়েছে।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Paschim medinipur: মৌচাকে ঢিল মেরে গ্রেফতার হয়েছিলেন দেবমাল্য, মিলল শর্তাধীন জামিন

    Paschim medinipur: মৌচাকে ঢিল মেরে গ্রেফতার হয়েছিলেন দেবমাল্য, মিলল শর্তাধীন জামিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: থানার ওসি, আইসি কিংবা বিডিও-কার্যত তৃণমূলের ব্লক সভাপতির মতো আচরণ করছেন। একাধিক জেলার পুলিশ সুপার, জেলাশাসকদের ভূমিকাও একইরকম। শাসকদলের ব্যাটন এখন দলের নেতাদের থেকে আমলাদের হাত বেশি। এটা বিরোধীদের অভিযোগ নয়, খোদ দলেরই কর্মীদের একাংশই একাধিক জেলায় পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে আসছেন। তাঁদের অভিযোগ, কোনও নেতাকে পুলিশ আধিকারিকের পছন্দ না হলে তার পদে ঠিকে থাকা দায় হয়ে দাঁড়ায়। পশ্চিম মেদিনীপুরে আনন্দবাজার পত্রিকার খড়গপুরের প্রতিনিধি দেবমাল্য বাগচীকে গ্রেফতার করার ঘটনা তার জ্বলন্ত প্রমাণ।

    নদিনের মাথায় দেবমাল্যের জামিন, শর্ত কী জানেন?

    ৬ সেপ্টেম্বর রাতে তাঁর বাড়িতে হানা দিয়েছিল পুলিশ। পরে, তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। গত ৬ সেপ্টেম্বর একটি অভিযোগের ভিত্তিতে তফশিলি জাতি ও জনজাতিদের প্রতি অত্যাচার দমন আইনের ৩ (১) (আর) (এস) ধারা এবং ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৪১, ৩২৩, ৩৫৪বি, ৫০৯ এবং ৩৪ নম্বর ধারায় গ্রেফতার করা হয় দেবমাল্য এবং বাসন্তী দাসকে। বাসন্তীদেবী চোলাই কারবারিদের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন। আর দেবমাল্য সেই খবর প্রকাশিত করেছিলেন। গ্রেফতারের ৯ দিন পর তিনি মুক্তি পান। জামিনের ক্ষেত্রে শর্ত দেওয়া হয়েছে, যে এলাকায় অভিযোগকারী থাকেন, আগামী ১৪ দিন সেই সংশ্লিষ্ট থানা এলাকায় (অর্থাৎ খড়্গপুরে) দেবমাল্য এবং বাসন্তী ঢুকতে পারবেন না। এই সময়ের মধ্যে তাঁরা অভিযোগকারীর সঙ্গে যোগাযোগও করতে পারবেন না।

    দেবমাল্যকে গ্রেফতারের পিছনে আসল কী কারণ লুকিয়ে রয়েছে জানেন?

    খড়্গপুর শহরের সাঁজোয়াল এলাকায় চোলাই মদের রমরমা নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। কীভাবে পুলিশ প্রশাসনের অকর্মণ্যতার জন্যই এই রমরমা এবং কীভাবে বাড়িতে বসে বসেই চোলাইয়ের ব্যবসা চলছে তা বিশদে তুলে ধরেন দেবমাল্য। গত ২৭ অগাস্ট আনন্দবাজার পত্রিকার খড়্গপুর সংস্করণে খবর প্রকাশের পরেই স্থানীয় মানুষের রোষের মুখে পড়ে পুলিশ। পুলিশ ওই চোলাই ঠেকের কয়েকজন মদ্যপকে ধরে জনরোষ সামাল দিতে চায় ঠিকই, কিন্তু মূল অভিযুক্তরা পালায়। এই ঘটনার পর, বাসন্তী দাস নামে ওই মহিলা যিনি এই অভিযোগ করেছিলেন তাঁর বাড়ি ঘেরাও করে চোলাই মদের কারবারিরা। তাঁকে হুমকিও দেওয়া হয়। স্থানীয়দের একাংশের অভিযোগ, এই চোলাই কারবারিদের থেকে মোটা অঙ্কের মাসোহারা নেয় পুলিশ। সেই মাসোহারা পুলিশের বিভিন্ন মহলে পৌঁছে যেত। এই মৌচাকেই ঢিল মেরেছিলেন দেবমাল্য। আর পুলিশের চেহারা জনগনের কাছে বেআব্রু করে দিয়েছিলেন। এবার পুলিশ যেটা বিরোধী দল বিজেপি ক্ষেত্রে গোটা রাজ্যজুড়ে করছে, মিথ্যা কেস দিয়ে লকআপে ঢোকানো, ক্ষমতার অপব্যবহার করে সেই বাহদুরি কাজ দেখিয়েছে পুলিশ। খোদ বিরোধী দলনেতা এই গ্রেফতারের প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছেন। 

    দেবমাল্য গ্রেফতারি নিয়ে কী বলেছেন শুভেন্দু?

    শুভেন্দু অধিকারী এই ঘটনাটি টুইট করে লিখছেন, অভিযোগকারিণী বাসন্তী দাস এবং এলাকার অন্যান্য মহিলারা ওইখানকার কিশোর-কিশোরীদের বাঁচাতে এই অবৈধ ব্যবসাকে আইনত বাধা দেওয়ার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করেছিলেন। ওই এলাকার পরিবেশ এতটাই বিষাক্ত হয়ে উঠেছিল যে মহিলারা নিরাপদ বোধ করছিলেন না। পুলিশ, স্থানীয় কাউন্সিলর ও পৌরসভার চেয়ারপার্সনের কাছে সাহায্য চাইলেও কেউ এগিয়ে আসেননি। পুলিশ ও প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে খবর হতেই শোরগোল পড়ে। সংবাদ সংস্থার বাধ্যতা তাঁর কাছে অজানা নয়। তাঁরা ‘নির্লজ্জভাবে নীরব’ কারণ সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের বিজ্ঞাপন রাজস্বের উপর তাদের নির্ভর করে চলতে হয়। ছদ্ম উদারপন্থী এবং বুদ্ধিজীবীরাও খানিক এই কারণেই চুপ।

    পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলে বিরোধী দল থেকে আদিবাসী সংগঠন

    রাজ্যের বিভিন্ন জেলা ও মহকুমার প্রেস ক্লাব, বিভিন্ন দল ও সংগঠন এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছেন। সাংবাদিকদের তরফে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদনও জানানো হয়েছিল বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য। আদিবাসী সংগঠন আদিবাসী বিকাশ পরিষদ। তাদের দাবি ছিল, এই আইনটির অপব্যবহার হচ্ছে। বিজেপির বক্তব্য, সংবাদ মাধ্যমের কন্ঠরোধ করার চেষ্টা হয়েছে।

    কী বললেন দেবমাল্য?

    জামিনে মুক্তি পেয়ে দেবমাল্য বলেন, বিষয়টি বিচারাধীন। তাই, এখনই এই ঘটনা নিয়ে কিছু মন্তব্য করব না। এই বিষয়ে আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলে যা বলার তা বলব।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Biometric Fraud: বায়োমেট্রিক তথ্য চুরি টাকা গায়েব করছে প্রতারকরা, কীভাবে বাঁচবেন?

    Biometric Fraud: বায়োমেট্রিক তথ্য চুরি টাকা গায়েব করছে প্রতারকরা, কীভাবে বাঁচবেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গ্রাহকদের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা গায়েব করতে নতুন নতুন পদ্ধতি অবলম্বন করছে প্রতারকরা। প্রত্যন্ত গ্রামগুলিতে যেখানে এটিএম থাকে না অথবা ব্যাঙ্কের কোনও শাখা নেই, সেখানে সিএসপি সেন্টারের উপরে নির্ভর করতে হয় গ্রাহকদের। এখানেই তাদের দিতে হয় যাবতীয় বায়োমেট্রিক তথ্য (Biometric Fraud)। তাই সেক্ষেত্রে এই সিএসপি সেন্টারের কোনও কোনও কর্মীর জোগসাজশে প্রতারকরা বায়োমেট্রিক তথ্য হাতিয়ে নেয় এবং জালিয়াতি করে।  

    সম্প্রতি কলকাতার মহেশতলাতেও এমন অভিযোগ সামনে এসেছে। মহেশতলার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা প্রসেনজিৎ কর গত ৭ সেপ্টেম্বর দেখেন, তাঁর মোবাইলে একটি মেসেজ এসেছে। সেখানে লেখা রয়েছে, ১০ হাজার টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে (Biometric Fraud)। প্রসেনজিৎ বাবু বলতে থাকেন, তিনি টাকা তোলেননি। মহেশতলার এই প্রোমোটার তখন মনে করেন যে প্রায় দু মাস আগে তিনি জমির রেজিস্ট্রি করাতে গিয়ে আঙুলের ছাপ দিয়েছিলেন। সেখান থেকে কেউ তথ্য চুরি করেছে।  বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, জমি-বাড়ি রেজিস্ট্রি অফিসগুলি এখন বায়োমেট্রিক তথ্যচুরির ঘুঘুর বাসা হয়ে গিয়েছে। ফাঁদ পেতে বসে থাকে প্রতারকরা এবং বায়োমেট্রিক চুরি করে তথ্য। 

    কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা

    কলকাতা পুলিশের সাইবার সেলের এক আধিকারিকের কথায়, সম্প্রতি এই অভিযোগ লাগাতার আসছে আমাদের কাছে। অভিযোগকারীরা বলছেন, তাঁরা ওটিপি শেয়ার (Biometric Fraud) করেননি। কারও কথায় তাঁরা কোনও লিঙ্কও খোলেননি, অথচ তাঁদের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা গায়েব হয়ে যাচ্ছে। অভিযোগকারীরা আরও জানাচ্ছেন যে মেসেজে লেখা হচ্ছে আধার এনেবেলড পেমেন্ট সিস্টেম (এইপিএস)-এর মাধ্যমে টাকা তোলা হচ্ছে। এইপিএস হল এক ধরনের সুবিধা যেখানে এটিএম কাউন্টার নেই সেখানে এই পদ্ধতিতে ফিঙ্গারপ্রিন্ট এর মাধ্যমে টাকা তোলা যায়। 

    কীভাবে মিলবে রেহাই

    কলকাতা পুলিশের সাইবার সেলের আধিকারিকরা বলছেন, মোবাইল ফোনে mAdhaar অ্যাপ রয়েছে। এটি ইনস্টল করে আধার অথেন্টিকেশন করতে হবে। এরপরে বায়োমেট্রিক (Biometric Fraud) অথেন্টিকেশন অপশনে যেতে হবে। সেখানে গিয়ে বায়োমেট্রিক লক করে দেওয়া যেতে পারে। ভবিষ্যতে নিজের যে কোনও কাজে প্রয়োজন হলে আবার এটি খোলা যেতে পারে। বায়োমেট্রিক লক থাকলে তার অপব্যবহার হবে না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Partha Chatterjee: “আদালতে কাউকে বিশেষ সুবিধা দেওয়া হবে না”, পার্থ প্রসঙ্গে সাফ জানালেন বিচারক

    Partha Chatterjee: “আদালতে কাউকে বিশেষ সুবিধা দেওয়া হবে না”, পার্থ প্রসঙ্গে সাফ জানালেন বিচারক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কারও জন্য আদালতে বিশেষ কোনও সুবিধা দেওয়া হবে না। শুক্রবার সাফ জানিয়ে দিলেন বিচারক। নিয়োগ কেলেঙ্কারিকাণ্ডে গ্রেফতার করা হয়েছিল রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে (Partha Chatterjee)। এক বছরেরও বেশি সময় ধরে তিনি রয়েছেন জেলে। তাঁরই জামিনের শুনানির জন্য তারিখ চেয়ে আদালতে আর্জি জানিয়েছিলেন পার্থর আইনজীবী। তখনই বিচারক জানিয়ে দেন, কারও জন্য আদালতে বিশেষ কোনও সুবিধা দেওয়া হবে না। নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ২৭ সেপ্টেম্বর।

    বিশেষ সুবিধা নয়

    আলিপুরে বিশেষ আদালতে নিয়োগ কেলেঙ্কারিকাণ্ডের শুনানি ছিল। এদিন ফের একবার পার্থর জামিনের আবেদন করা হয়। তখনই বিচারক বলেন, “আদালতে কাউকে বিশেষ সুবিধা দেওয়া হবে না। যে রকম যা তারিখ নির্ধারিত রয়েছে, সে রকম হবে।” উল্লেখ্য, এর আগে ৮ সেপ্টেম্বরও একবার পার্থর জামিনের আর্জি জানানো হয়েছিল। এদিন আদালতে উপস্থিত ছিলেন পার্থ। হাজির করানো হয়েছিল নিয়োগ কেলেঙ্কারিকাণ্ডে ধৃত মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, এসএসসির প্রাক্তন উপদেষ্টা অশোক সাহা, এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্য, এজেন্ট চন্দন মণ্ডলকে। ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন এসএসসির প্রাক্তন উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিনহাও।

    ফের জেল হেফাজত

    বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক অর্পণ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আদালতের কাছে সবাই সমান। কাউকে বিশেষ কোনও সুবিধা দেওয়া আদালতের পক্ষে সম্ভব নয়। এর পর যেদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে আদালতে পেশ করা হবে, সেদিনই জামিনের আবেদনের শুনানি হবে।” এদিন পার্থ (Partha Chatterjee) সহ বাকি অভিযুক্তদেরও জামিনের শুনানি হয়। কেউ অসুস্থতা, কেউ বয়সের কারণ দেখিয়ে জামিন চেয়েছিলেন। তবে তাতে কর্ণপাত করেননি বিচারক। প্রত্যেককেই ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজত দিয়েছে আদালত।

    আরও পড়ুুন: পাক অধিকৃত কাশ্মীর ভারতেরই, এবার জানিয়ে দিল সংযুক্ত আরব আমিরশাহিও

    প্রসঙ্গত, এর আগেও একাধিকবার অত্যন্ত প্রভাবশালী একজন ব্যক্তি তত্ত্বে খারিজ হয়ে যায় পার্থর জামিনের আবেদন। তবে তিনি যে নির্দোষ, তা একাধিকবার বলতে শোনা গিয়েছে পার্থকে। ২৪ জুলাই আদালতে ঢোকার সময় তিনি (Partha Chatterjee) তো বলেইছিলেন, “আমি নির্দোষ। আমি নিয়োগ কর্তা নই, আমি সুপারিশ কর্তাও নই। আমি কোনও ব্যাপারের সঙ্গে ছিলাম না।” তাঁকে বিনা বিচারে এক বছর ধরে জেলে আটকে রাখা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Justice Abhijit Gangopadhyay: ৫০ কোটির দুর্নীতি মামলা! রাজ্যকে ৫০ লাখ টাকা জরিমানা বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

    Justice Abhijit Gangopadhyay: ৫০ কোটির দুর্নীতি মামলা! রাজ্যকে ৫০ লাখ টাকা জরিমানা বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আলিপুরদুয়ার মহিলা ঋনদান সমবায় সমিতিতে আর্থিক দুর্নীতি মামলায় শুক্রবার রাজ্য সরকারকে তীব্র ভর্ৎসনা করলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay)। মামলায় সিআইডি এখনও কেন নথি তুলে দেয়নি সিবিআই ও ইডিকে তাই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিচারপতি।  মামলায় এদিন সিআইডির নির্দেশ পুনর্বিবেচনার আবেদন খারিজ করে ৫০ লাখ টাকা জরিমানা করে হাইকোর্ট। ২ সপ্তাহের মধ্যে জরিমানার টাকা দিতে হবে রাজ্যকে। এমনই নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

    অন্তত ৫০ কোটি টাকার আর্থিক দুর্নীতি

    আলিপুরদুয়ারে একটি সমবায় গোষ্ঠীতে অন্তত ৫০ কোটি টাকার আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ খতিয়ে দেখতে গত ২৪ অগস্ট একযোগে সিবিআই এবং ইডিকে তদন্তে নামার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সেই নির্দেশ কার্যকর হয়নি। সিবিআইয়ের কাছে সিআইডি মামলার নথি হস্তান্তর করেনি। উল্টে আগের নির্দেশ পুনর্বিবেচনার জন্য আবেদন করেছে সিআইডি। সিবিআই আদালতে দাবি করে, আদালতের নির্দেশ দেওয়ার পরেও তাদের হাতে এই মামলার কোনও নথি তুলে দেয়নি সিআইডি। তার পরই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ, আগামী ১৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে সমস্ত নথি তুলে দিতে হবে। যদি সিবিআইয়ের হাতে নথি তুলে না দেওয়া হয় তা হলে স্বরাষ্ট্র সচিবকে ডেকে পাঠানো হবে।

    আরও পড়ুন: পুরোটাই গিমিক! লা লিগার অ্যাকাডেমি করে কি আদৌ লাভ হবে বাংলার ফুটবলের?

    কী বললেন বিচারপতি

    সিআইডির উদ্দেশে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের মন্তব্য, “টাকা কারা আত্মসাৎ করেছে আমি জানি। যাঁরা সাইকেল চড়ে ঘুরত, গরিব মানুষের টাকা মেরে তাঁরা এখন গাড়ি চড়ছে। কোর্টের সঙ্গে খেলা হচ্ছে?” তিনি আরও বলেন, “আপনারা (সিআইডি) তো এত দিন তদন্ত করলেন। কেন কিছু হল না? তদন্তের অগ্রগতি হয়নি বলেই সিবিআইকে দেওয়া হয়েছিল। তিন দিনের মধ্যে সিবিআইয়ের হাতে নথি না দিলে স্বরাষ্ট্র সচিবকে ডেকে পাঠাব।” পাশাপাশি সিবিআইকে ডেকে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “এটা ৫০ কোটির দুর্নীতি। গরিব মানুষের টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। গ্রামের মানুষ সব্জি বিক্রি করে ওই টাকা রেখেছিল। প্রতারণা করা হয়েছে।” আবার ইডিকে তিনি বলেন, “যত বড় প্রভাবশালী হোক, গ্রেফতার করুন। এঁদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ ছাড়া উপায় নেই। দ্রুত তদন্ত শুরু করুন।”

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Mamata Foreign Tours: স্পেন নয় প্রথম! অতীতেও লগ্নি আনতে বিদেশে গিয়েছিলেন মমতা, প্রাপ্তি ‘লবডঙ্কা’

    Mamata Foreign Tours: স্পেন নয় প্রথম! অতীতেও লগ্নি আনতে বিদেশে গিয়েছিলেন মমতা, প্রাপ্তি ‘লবডঙ্কা’

    একদা রোমান সেনেটকে লেখা এক চিঠিতে রোম সম্রাট জুলিয়াস সিজার উল্লেখ করেছিলেন ‘ভেনি, ভিডি, ভিসি’ শব্দবন্ধের। বাংলায় যার অর্থ— ‘এলাম, দেখলাম, জয় করলাম’ স্বরূপ। এরাজ্যের শিল্প-বাণিজ্য সম্মেলনে যোগ দিতে আসা দেশি-বিদেশি শিল্পপতিদের মুখে ‘পি-থ্রি’ থাকে। যার অর্থ— প্রবেশ, প্রস্তাব, প্রস্থান…

     

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঠিক এক যুগ আগে, ২০১১ সালে রাজ্যে পালাবদলের পর মসনদে বসেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আশ্বাস দিয়েছিলেন, রাজ্যে শিল্পে জোয়ার আনবেন তিনি। দাবি করেছিলেন, বিনিয়োগের বন্যায় ভেসে যাবে রাজ্য। কিন্তু, সব প্রতিশ্রুতিই সার! যদিও, এখনও সেই একই বুলি আওড়ে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। আর সেই গালগপ্পোকে হাতিয়ার করেই তিনি বর্তমানে স্পেন-মধ্যপ্রাচ্য সফরে গিয়েছেন— রাজ্যে বিনিয়োগ আনতে (Mamata Foreign Tours)। যদিও, শেষেমেশ কী আসবে, তা নিয়ে জোর বিতর্ক হতেই পারে। কারণ, অতীতে যে বাণিজ্য-শিল্প সফর করেছিলেন তিনি, সেখান থেকে কার্যত খালি হাতেই ফিরেছেন (Bengal Industry Situation)। 

    রাজ্যে বিনিয়োগ খতিয়ান

    দেশে-বিদেশে মুখ্যমন্ত্রী একাধিক বাণিজ্য সম্মেলন থেকে শুরু করে শিল্প মেলার আয়োজন করেছেন। প্রত্যেকটায় নিট ফল শূন্য। না, এটা বিরোধীদের গাল-ভরা অভিযোগ নয়। খোদ সরকারি পরিসংখ্যানই তাই বলছে। ২০১৫ সালে রাজ্যের শিল্প সম্মেলনে ঘোষিত হয়েছিল ২,৪৩,১০০ কোটি টাকার লগ্নি৷ বাস্তবায়িত হয়েছে মাত্র ৯৮৩ কোটি টাকা৷ অর্থাৎ ঘোষণার মাত্র ০.৪ শতাংশ বাস্তবায়িত হয়েছে৷ ২০১৬ সালে বাস্তবায়িত হয়েছে ৩,৪৩৩ কোটি টাকা যা ঘোষণার ১.৩ শতাংশ, ২০১৭ সালে বাস্তবায়িত হয়েছে ২,৫৩৬ কোটি টাকা, যা ঘোষণার ১.০৭ শতাংশ।

    প্রবেশ, প্রস্তাব, প্রস্থান

    ইতিহাসবিদদের মতে, আনুমানিক ৪৭ খৃষ্টপূর্ব সময়ে জুলিয়াস সিজার রোমান সেনেটকে লেখা এক চিঠিতে একটি বীরত্বসূচক বাক্যাংশ উল্লেখ করেছিলেন। যা পরবর্তীকালে, অমর হয়ে যায়। সেই বাক্যাংশটি ছিল ‘ভেনি, ভিডি, ভিসি’। বাংলায় যার অর্থ— ‘এলাম, দেখলাম, জয় করলাম’ স্বরূপ। রোম সম্রাটের বাক্যাংশ ‘ভি-থ্রি’ (তিনটে ইংরেজি অক্ষর ভি) হলে, এরাজ্যের শিল্প-বাণিজ্য সম্মেলনে যোগ দিতে আসা দেশি-বিদেশি শিল্পপতিদের মুখে ‘পি-থ্রি’ থাকে। যার অর্থ— প্রবেশ, প্রস্তাব, প্রস্থান। অর্থাৎ, তাঁরা আসেন, বড় বড় প্রস্তাব-প্রতিশ্রুতি দেন এবং প্রস্থান করেন। এ তো গেল রাজ্য সম্মেলনের কথা। এবার আসা যাক বিদেশে মমতার শিল্প-বাণিজ্য সম্মেলনের কথায়। মসনদে আসীন হওয়ার পর মমতা প্রথম বিদেশে বাণিজ্য সম্মেলন করেন সিঙ্গাপুরে ২০১৪ সালের অগাস্ট মাসে (Mamata Foreign Tours)। সেবার ব্যাঙ্কিং, তথ্যপ্রযুক্তি জগতের একঝাঁক প্রতিনিধি সহ ৫২ জন বণিক-কর্তা ও ১২ জন সরকারি আধিকারিক মুখ্যমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হয়েছিলেন। ছিলেন বিনোদন জগতের ব্যক্তিত্বরাও।

    সিঙ্গাপুর থেকে কি কিছু এল?

    টলিউডের আশা ছিল, সিঙ্গাপুরে যেমন হলিউডের স্টুডিও আছে, সেই মতো বিদেশি স্টুডিও যেন এরাজ্যেও গড়ে ওঠে। টলিউডের দাবি ছিল, সিঙ্গাপুরের পরিকাঠামো যাতে এরাজ্যে আসে, তার প্রয়াস যেন করেন মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Foreign Tours)। শোনা গিয়েছিল, সিঙ্গাপুরের মতো দিঘাতেও ওয়াটার ওয়ার্ল্ড গড়ে উঠবে। তৈরি হবে আন্ডারওয়াটার পার্ক, সাবমেরিন মিউজিয়াম। শেষে দেখা গেল, সিঙ্গাপুর থেকে বিনিয়োগের ছিঁটেফোঁটাও এলো না। দিঘায় এখন শুধুমাত্র সিঙ্গাপুরি কলা পাওয়া যায়। ওয়াটার ওয়ার্ল্ড বিশ বাঁও জলে। এও শোনা গিয়েছে, সিঙ্গাপুরে বসবাসকারী এক অনাবাসী ভারতীয় পশ্চিমবঙ্গে বিনিয়োগ করতে চেয়েছিলেন। তিনি বালিতে জমি কিনেছিলেন। কিন্তু, স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলরের মাধ্যমে তাঁকে টাকার জন্য এত চাপ দেওয়া হয়, যে সেই অত্যাচারে তিনি চলে যান এরাজ্য থেকে (Bengal Industry Situation)।

    কলকাতা হয়ে উঠল কি লন্ডন?

    মসনদে বসেই মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেছিলেন, কলকাতাকে লন্ডন বানিয়েই ছাড়বেন। সেই গপ্পে ভর করে ২০১৫ সালে লন্ডন সফরে যান মমতা (Mamata Foreign Tours)। তৎকালীন মুখ্যসচিব সঞ্জয় মিত্র, কলকাতার মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়, রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র, সাংসদ ডেরেক ও’ ব্রায়েন, সাংসদ-শিক্ষাবিদ সুগত বসু, সাংসদ-অভিনেতা দেব, ফিকির সভাপতি জ্যোৎস্না সুরি-সহ এক বিশাল দল নিয়ে জুলাই মাসের শেষে লন্ডন সফর করেন মমতা। ঘটা করে বাণিজ্য সম্মেলন হয়। একাধিক বৈঠক, কথা-আলোচনা… সেবারও অনেক প্রতিশ্রুতি প্রাপ্তি ঘটেছিল। ব্যস, ওই পর্যন্তই। গাল-গপ্পো শেষে দেখা গেল, সবই ‘ধাপ্পা’ (Bengal Industry Situation)। আট বছর পর, সম্প্রতি রেড রোডের ধর্না মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী সদর্পে ঘোষণা করেন, কলকাতাকে লন্ডনের থেকেও ভালো করে দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী এও দাবি করেন, লন্ডনে একটা হাইড পার্ক আছে। সেখানে কতগুলো চিপসের দোকান আছে আর কয়েকটা হাঁস চরে বেড়ায়। আর কিছু নেই।

    মমতার জার্মানি-ইতালি সফর

    এখানেই শেষ নয়। রাজ্যে শিল্প টানতে মুখ্যমন্ত্রী অতীতে নেদারল্যান্ডস থেকে শুরু করে জার্মানি, ইতালিতেও পাড়ি দিয়েছিলেন।  রাজ্যে বিনিয়োগ টানতেই এই  বিদেশ সফরে ছিল মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Foreign Tours)। ২০১৭ সালের জুন মাসে স্থানীয় বণিকসভার সঙ্গে ছিল মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠক, সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের তৎকালীন শিল্পমন্ত্রী অমিত মিত্র। এছাড়াও ছিলেন রাজ্যের শিল্প প্রতিনিধিরাও। এর পর ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে ১২ দিনের সফরে জার্মানি ও ইতালি যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেবারও তাঁর সঙ্গী ছিলেন অমিত মিত্র। তাছাড়া তৎকালীন মুখ্যসচিব মলয় দে, তৎকালীন অর্থসচিব (বর্তমানে মুখ্যসচিব) এইচকে দ্বিবেদীও গিয়েছিলেন মমতার সঙ্গে। সেবার ফ্র্যাঙ্কফুর্ট এবং মিলানে বণিকসভার সঙ্গে বৈঠক করেন মমতা। কিন্তু, সেখান থেকেও কার্যত খালি হাতেই ফিরতে হয়েছে তাঁকে (Bengal Industry Situation)। 

    কেন রাজ্যের শিল্পের এই দুরবস্থা?

    বিরোধীদের কটাক্ষ, কোনও শিল্পপতি এরাজ্যে বিনিয়োগে রাজি হননি। কোনও শিল্পপতি রাজ্যে বিনিয়োগ করে অর্থ নষ্ট করতে চাইছেন না। তাঁদের মতে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যবে থেকে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন, তবে থেকেই বিজনেস সামিট হয়। কিন্তু সেখানে নামকরা কোনও শিল্পপতি আসেন না। থাকেন কিছু সাজানো শিল্পপতি। আর ওই একই লোকেরা প্রতিবছর এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ছবি তোলেন। তাঁরা ভালো ভালো কথা বলেন, কিন্তু বিনিয়োগ করেন না। শিল্প বিশেষজ্ঞদের মতে, রাজ্য শিল্পে পরিকাঠামো, আইনশৃঙ্খলা ক্রমশ অবনতি ঘটাতেই নতুন বিনিয়োগে ভরসা পাচ্ছেন না মাঝারি শিল্পপতিরা। এছাড়াও রাজ্যে শাসক দলের দাপট বেড়ে চলায় রাজ্যে বিনিয়োগে ভরসা কমেছে নতুন শিল্প উদ্যোগীদের (Bengal Industry Situation)। এছাড়াও শাসক দলের শিল্প তাড়ানোর যে ভাবমূর্তি গড়ে উঠেছে, তা থেকে আজও মুক্ত হতে পারেনি রাজ্য।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Dengue: খাস কলকাতায় ডেঙ্গির বলি আরও এক, এবার মৃত্যু খোদ চিকিৎসকের

    Dengue: খাস কলকাতায় ডেঙ্গির বলি আরও এক, এবার মৃত্যু খোদ চিকিৎসকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিন তিনেক আগে মারা গিয়েছিলেন অভিনেতা সাহেব চট্টোপাধ্যায়ের বোন। ডেঙ্গিতে (Dengue) ভুগছিলেন তিনি। কলকাতায় ফের ডেঙ্গির বলি হলেন একজন। এবার ডেঙ্গি যাঁর প্রাণ কেড়েছে, তিনি পেশায় চিকিৎসক। চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞ এই চিকিৎসকের নাম দেবদ্যূতি চট্টোপাধ্যায়। মাত্র ২৮ বছরেই জীবনের মায়া ত্যাগ করতে হল তাঁকে। গড়ফার শহিদ নগর এলাকায় বাড়ি ওই চিকিৎসকের। দিন চারেক ধরে জ্বর থাকায় প্রথমে তাঁর চিকিৎসা চলছিল বাড়িতে। পরে তাঁকে ভর্তি করা হয় বেসরকারি হাসপাতালে। সেখানেই প্রয়াত হন তিনি। ওই বেসরকারি হাসপাতালে তাঁর চক্ষু দানের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মৃত চিকিৎসকের পরিবার।

    ডেঙ্গির বাড়বাড়ন্ত তুঙ্গে

    ফি বর্ষায় রাজ্যে বাড়বাড়ন্ত হয় ডেঙ্গির (Dengue)। যত্রতত্র জমা জল, নিকাশি ব্যবস্থা ঠিকঠাক পরিষ্কার না হওয়া সহ নানা কারণে রাজ্যে ডেঙ্গির বাড়বাড়ন্ত বলে রাজ্যবাসীর অভিযোগ। প্রতি বছর তারই মাশুল গোনেন রাজ্যবাসী। কেউ হারান সন্তান, কেউ হারান বাবা কিংবা মা অথবা কোনও স্বজন-বান্ধবকে। রাজ্যে বর্ষা নামার প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই এ রাজ্যে হানা দেয় ডেঙ্গি। কিছুদিন আগেই ডেঙ্গিতে মৃত্যু হয়েছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক পড়ুয়ার। চলতি বছর অগাস্ট মাসে ডেঙ্গির (Dengue) বাড়বাড়ন্ত তুঙ্গে। ২৭ জুলাই পর্যন্ত রাজ্যে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছিলেন ৩ হাজার ৩৬৯ জন। এর একমাস পরেই ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১৩ হাজারের চৌকাঠ। অর্থাৎ, প্রতিদিন রাজ্যে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হচ্ছেন তিনশোরও বেশি

    শীর্ষে উত্তর ২৪ পরগনা

    পরিসংখ্যান বলছে, ডেঙ্গি সংক্রমণে প্রতিবার প্রথমে থাকে উত্তর ২৪ পরগনা। এর পর কলকাতা। এবারও তালিকার একেবারে ওপরে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। এই জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা হাজার চারেক। বিধাননগরে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ৫০৪। দক্ষিণ দমদমে ৩১০। আর শহর কলকাতায় আক্রান্ত হয়েছেন ৯৮৯ জন।

    সরকারি হিসেবে এই পরিসংখ্যান মিললেও, বেসরকারি হিসেবে আক্রান্তের সংখ্যা ঢের বেশি। স্বাস্থ্য দফতরের হিসেব থেকে জানা গিয়েছে, অন্যান্যবার গ্রামাঞ্চলে ডেঙ্গির প্রকোপ ততটা দেখা যায় না। তবে এবার গ্রামাঞ্চলে ডেঙ্গির প্রকোপ ৬০ শতাংশ। আর শহরাঞ্চলে ৪০ শতাংশ।

    আরও পড়ুুন: পুরোটাই গিমিক! লা লিগার অ্যাকাডেমি করে কি আদৌ লাভ হবে বাংলার ফুটবলের?

    শহরের এই ৪০ শতাংশের মধ্যেই রয়েছেন সাহেবের বোন, রয়েছেন সদ্য প্রয়াত চিকিৎসকও। সাহেবের বোন মারা (Dengue) যাওয়ার পর ক্ষোভে ফেটে পড়েছিল টলিউড। অভিনেত্রী দেবলীন দত্ত বলেছিলেন, ডেঙ্গি বা এমন অতিমারি চিন্তা তো বাড়াবেই। রোগের উৎসটা চিন্তার। এ ধরনের রোগ তো হবেই। এমন একটা নোংরা শহর। কোনও রক্ষণাবেক্ষণ নেই।’’ তাঁর ক্ষোভ, ‘‘রাস্তাঘাটের কী খারাপ অবস্থা! বছরের পর বছর দেখে যাচ্ছি, যেখানে জল জমার সেই জমেই থাকছে। কোনও সুরাহা হচ্ছে না। এগুলোই তো অসুখের উৎস। সেগুলোকে ঠিক করার জন্য কোনও সঠিক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।” নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আর এক অভিনেতা সখেদে বলেছিলেন, “আমাদের শহরটা কার্যত ভাগাড়ে ভরে গিয়েছে। তাতেই মশার আঁতুড়ঘর। যা বিপদ বাড়াচ্ছে।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

     
     
  • Weather Update: আগামী ২-৩ ঘণ্টা ভারী বৃষ্টি! ভাসবে কয়েকটি জেলা, আবহাওয়ার উন্নতি কবে?

    Weather Update: আগামী ২-৩ ঘণ্টা ভারী বৃষ্টি! ভাসবে কয়েকটি জেলা, আবহাওয়ার উন্নতি কবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিম্নচাপের জেরে শুক্রবারও বাংলার উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। হাওয়া অফিস (Weather Update) জানিয়েছে, বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, ঝাড়গ্রাম, দুই ২৪ পরগনা এবং দুই মেদিনীপুরে। পাশাপাশি দিনভরই মেঘলা থাকবে আকাশ। আগামী ২-৩ ঘণ্টা ভারী  বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে দক্ষিণবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলায়। সেইসঙ্গে চলবে বজ্রপাতও। শনিবার থেকে বৃষ্টির পরিমাণ কমবে বলে পূর্বাভাসে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। 

    শহরে বৃষ্টির পরিমাণ

    আবহবিদেরা (Weather Update) জানাচ্ছেন, বৃহস্পতিবারের মতো শুক্রবারও সারাদিন আকাশের মুখ ভার থাকবে। সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে যথাক্রমে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি। গত কয়েক দিন ধরে টানা বৃষ্টিতে ভিজছে দক্ষিণবঙ্গ। কখনও ঝমঝমিয়ে, কখনও ঝিরঝির করে বৃষ্টি পড়ে চলেছে। শুক্রবার সকালেও কলকাতা শহরের বিভিন্ন প্রান্তে বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। আবহবিদেরা জানিয়েছেন, ওড়িশা উপকূল সংলগ্ন উত্তর-পশ্চিম এবং পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণাবর্ত নিম্নচাপের জেরেই কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে বৃষ্টি হচ্ছে। 

    কবে থামবে বৃষ্টি

    আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হবে। তবে উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রামে বৃষ্টি একটু বেশি হবে। বাকি সব জেলাতেই থাকছে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা। ২০ বা ২১ তারিখ থেকে আবহাওয়ার পরিবর্তন হতে পারে। আজ কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকায় দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৮.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের চেয়ে ৪ ডিগ্রি কম। পাশাপাশি দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৬.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ৭২ থেকে ৯৪ শতাংশ। এই বৃষ্টিতে বেশকিছু নিচু এলাকায় জল জমে যাওয়ায়, সমস্যায় পড়েছেন সাধারণ মানুষ।

    আরও পড়ুন: ‘জওয়ান’ কংগ্রেস সরকারের দূর্নীতিকে তুলে ধরেছে! শাহরুখকে ধন্যবাদ বিজেপির

    উত্তরবঙ্গের আবহাওয়া

    আগামী কয়েক দিন দক্ষিণবঙ্গের মতো উত্তরবঙ্গেও বৃষ্টি চলবে। উত্তরের সব জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা বৃষ্টি হবে। এখানেও তাপমাত্রার খুব একটা পরিবর্তন হবে না আগামী কয়েক দিন। উপরের দিকের জেলায় বিক্ষিপ্তভাবে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। বাড়বে তাপমাত্রা। মালদা, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরে বৃষ্টির সম্ভাবনা কম বাতাসে জলীয় বাষ্প থাকায় আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি থাকবে। 

    সমুদ্রে সতর্কবার্তা

    নিম্নচাপের পাশাপাশি রয়েছে অমাবস্যার কোটাল। ফলে নিম্নচাপ ও কোটালের জোড়া ফলায় নদী এবং সমুদ্রের জলস্তরও বৃদ্ধি পেতে পারে। আন্দামান সাগরে সমুদ্র উত্তাল থাকবে। আন্দামান সাগর এবং দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে আজ পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। আপাতত উত্তর বঙ্গোপসাগরে মৎস্যজীবীদের জন্য কোন সতর্কবার্তা নেই। 

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Case: ট্যুইন টাওয়ারের পর এবার হাইকোর্টে উঠে এল বুর্জ খলিফা প্রসঙ্গ, কেন জানেন?

    Recruitment Case: ট্যুইন টাওয়ারের পর এবার হাইকোর্টে উঠে এল বুর্জ খলিফা প্রসঙ্গ, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্নীতির (Recruitment Case) পরিমাণ বোঝাতে আগেই তুলনা টানা হয়েছিল ট্যুইন টাওয়ারের সঙ্গে। এবার কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta high court) উপমা দিতে গিয়ে সিবিআই তুলল দুবাইয়ের বুর্জ খলিফা প্রসঙ্গও।

    উঠে এল বুর্জ খলিফা প্রসঙ্গ

    বৃহস্পতিবার বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারির তদন্ত রিপোর্ট জমা দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সেই সময় সিবিআইয়ের আইনজীবী বলেন, “নিয়োগ কেলেঙ্কারির বিস্তৃতি যেন আমেরিকার ট্যুইন টাওয়ারের মতো। এর একটি স্তম্ভ যদি স্কুল সার্ভিস কমিশন হয়, তাহলে অন্যটি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।” এই সময়ই ওঠে পুরসভা নিয়োগ কেলেঙ্কারির অভিযোগের প্রসঙ্গও। তিনি বলেন, “পুর নিয়োগ দুর্নীতিকে বুর্জ খলিফা বললেও ভুল হবে না।”

    ‘দুর্নীতি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া উচিত’ 

    গত সপ্তাহেই টেট সংক্রান্ত মামলায় রিপোর্ট তলব করেছিলেন বিচারপতি (Recruitment Case) অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ১১ সেপ্টেম্বর রিপোর্ট পেশ করার কথা বলেছিলেন তিনি। সেই সময়ই সিবিআইয়ের আইনজীবী দুর্নীতর সঙ্গে তুলনা টানেন ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের। প্রসঙ্গত, ১১ সেপ্টেম্বর জঙ্গি হানায় ভেঙে পড়েছিল আমেরিকার নিউইয়র্কের ওই যমজ টাওয়ার। শুনানির দিন বিচারপতি বলেছিলেন, “দুর্নীতি যদি আকাশছোঁয়া বহুতলের মতো হয়, তাহলে তা ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া উচিত।”

    আরও পড়ুুন: মোদিই ‘বিশ্বনেতা’, লোকসভা নির্বাচনে প্রচারের সুর বেঁধে দিল বিজেপি?

    প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে বলে বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগ। এই মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এক বছরেরও বেশি সময় ধরে জেলে রয়েছেন তিনি। গ্রেফতার হয়েছে প্রায় গোটা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদই। এঁদের মধ্যে অনেকে আবার তৃণমূল নেতা হিসেবেও পরিচিত। দুর্নীতির তদন্ত করতে নেমে তদন্তকারীরা জেনেছিলেন, কীভাবে জেলায় জেলায় এজেন্ট নিয়োগ করে দুর্নীতি করা হয়েছিল। বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীদের অভিযোগ, মোটা অঙ্কের টাকা দিয়ে চাকরি ‘কিনেছিলেন’ অনেকেই। পাহাড় প্রমাণ এই (Recruitment Case) দুর্নীতির অভিযোগ ঢাকতে এবং বেআইনিভাবে চাকরিতে যোগ দেওয়া চাকরিপ্রার্থীদের চাকরি বাঁচাতে রাজ্য সরকার তাঁদের পাশে দাঁড়িয়েছে বলে অভিযোগ। আকাশচুম্বি এই দুর্নীতির শেকড়ে পৌঁছতে চাইছেন তদন্তকারীরা। দুর্নীতির নেপথ্যের কুশীলবদের মুখোশ খুলে দেওয়াও তাঁদের লক্ষ্য।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
LinkedIn
Share