Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • ED: বরানগরে কর্মী নিয়োগে তৃণমূল নেতা ঘনিষ্ঠদের নিয়োগ, মোটা টাকার খেলা! আর কী পেল ইডি?

    ED: বরানগরে কর্মী নিয়োগে তৃণমূল নেতা ঘনিষ্ঠদের নিয়োগ, মোটা টাকার খেলা! আর কী পেল ইডি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বরানগর পুরসভায় কর্মী নিয়োগে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ সামনে এসেছে। একইসঙ্গে স্বজনপোষণের অভিযোগ ওঠে তৃণমূল পরিচালিত পুর বোর্ডের বিরুদ্ধে। পুর-নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে অয়ন শীলকে গ্রেফতার করার পর তার কাছে পাওয়া তথ্য থেকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে এই পুরসভায় কর্মী নিয়োগে নানা অনিয়মের অভিযোগ সামনে আসে। ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে ইডি (ED)। আর এই সব কর্মী নিয়োগে মোটা টাকার খেলা হয়েছে বলে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা মনে করছেন।

    পুরসভায় কর্মী নিয়োগ প্যানেলে কারা ছিলেন? (ED)

    পুর-নিয়োগ প্যানেলে কারা ছিলেন তা ইডি আধিকারিকদের স্ক্যানারে রয়েছে। জানা গিয়েছে, ২০১৭-১৮ সালে এই পুরসভায় অয়ন শীলের কোম্পানির মাধ্যমে কর্মী নিয়োগের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। পরে, রিক্রুটমেন্ট বোর্ডে ছিলেন চেয়ারপার্সন অপর্ণা মৌলিক, তত্কালীন ভাইস চেয়ারম্যান জয়ন্ত রায়, এক্সিকিউটিভ অফিসার সুদীপ ভট্টাচার্য, কাউন্সিলার বিশ্বজিত্ বর্ধন এবং অনিন্দ্য রাউত। পুরসভার কর্মী পদে কয়েক হাজার ছেলেমেয়ে আবেদন করেছিলেন। তারমধ্যে ১৭০ জনকে নিয়োগ করা হয়। কিন্তু, নিয়োগ হওয়ার পর যে তালিকা সামনে আসে তাতে চক্ষু চড়কগাছ হওয়ার জোগাড়়। রিক্রুটমেন্টের দায়িত্বে থাকা পদাধিকারীদের পরিবারের লোকজনের নাম সামনে আসে। এক সিআইসি সদস্যের পরিবারের লোকজনের নাম তালিকায় রয়েছে। এছাড়া একাধিক কাউন্সিলারদের ঘনিষ্ঠরা চাকরি পেয়েছেন বলে অভিযোগ। শাসক দলের পুর কর্মচারী ইউনিয়নের রাজ্য নেতা আশিস দে-র ওই নিয়োগে বড় ভূমিকা রয়েছে। এমনিতেই এই নেতার বাড়ি বীরভূম। গরু পাচার কাণ্ডের ধৃত অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত তিনি। তাঁর ছেলের চাকরিও বরানগর পুরসভায় হয়েছে। ওই নেতার হাত ধরে বীরভূম, মুর্শিদাবাদ জেলার একাধিক ছেলে এই পুরসভায় নিয়োগপত্র পেয়েছেন। স্রেফ শাসক দলের বদান্যতায় তাঁদের চাকরি হয়েছে বলে বিরোধীদের অভিযোগ। এমনকী বীরভূম, মুর্শিদাবাদ জেলার যাদের নিয়োগ করা হয়েছে, তারা নিয়মিত পুরসভায় পর্যন্ত আসে না বলে অভিযোগ। কিন্তু, তাদের নিয়মিত প্রতিমাসে বেতন হয়ে যায়। এরকম ২৫-৩০ জন কর্মী রয়েছেন। যা নিয়ে তৃণমূলের একাংশ প্রশ্ন তুলেছেন। বোর্ড মিটিংয়ে এই বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। 

    চেয়ারপার্সনের কী বক্তব্য?

    নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে  পুরসভার চেয়ারপার্সন অপর্ণা মৌলিক বলেন, নিয়ম মেনে পুরসভায় নিয়োগ হয়েছে। তবে, কাউন্সিলর বা রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের দায়িত্বে থাকলে তাঁর ছেলেমেয়েরা পরীক্ষা দিতে পারবে না এমন কোনও নিয়ম নেই। পরীক্ষা দিতেই সকলেই চাকরি পেয়েছেন। স্বচ্ছতার সঙ্গে নিয়োগ হয়েছে। আর কেউ পুরসভায় নিয়মিত না আসলে তাঁকে শো কজ করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

    ৩২ কর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই অনেক তথ্য জানতে পারে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা

    পুরসভার ৩২ জন কর্মীকে ইডি সেপ্টেম্বর মাসে ডেকে পাঠায়। মূলত তৃণমূল ঘনিষ্ঠ যাদের পুরসভায় চাকরি হয়েছে তারা ডাকা হয়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে নিয়োগে পুরসভার চেয়ারপার্সন এবং অনিন্দ্য রাউতদের ভূমিকা নিয়ে অনেক তথ্য জানতে পেরেছে তদন্তকারী আধিকারিকরা। নিয়োগের পিছনে মোটা টাকা আর্থিক লেনদেন হয়েছে, সেই বিষয়ে অনেকটাই নিশ্চিত হয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থার আধিকারিকরা। এমনিতেই ইডি (ED), সিবিআইয়ের স্ক্যানারে আসার পর থেকেই চেয়ারপার্সন পুরসভায় আসা অনিয়মিত হয়ে পড়ে। কাউন্সিলারদের একাংশের সঙ্গে নিয়োগ ইস্যুতে দুরত্ব তৈরি হয়েছে। কয়েকজিন আগে ইডি আধিকারিকরা হানা দিয়ে চেয়ারপার্সনের মোবাইল বাজেয়াপ্ত করেন। তৃণমূল নেতা অনিন্দ্য রাউতের কাছে অনেক তথ্য পান। আর চেয়ারপার্সন কার কার সঙ্গে যোগাযাগ রাখতেন তা বোঝার চেষ্টা করছে তদন্তকারী আধিকারিকরা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Siliguri: ইন্ডিয়া বুক অব রেকর্ডসে নাম তুলে চমক দিল শিলিগুড়ির খুদে মৃগাঙ্ক, কী করেছে জানেন?

    Siliguri: ইন্ডিয়া বুক অব রেকর্ডসে নাম তুলে চমক দিল শিলিগুড়ির খুদে মৃগাঙ্ক, কী করেছে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বয়স মাত্র দেড় বছর। এই ছোট্ট বয়সে ইন্ডিয়া বুক অব রেকর্ডসে নাম তুলে চমক দিল শিলিগুড়ির (Siliguri) মৃগাঙ্ক শেঠ। এই বয়সে শিশুরা আদো আদো স্বরে দু’একটি শব্দ বলার চেষ্টা করে। সেখানে মৃগাঙ্ক দেহের বিভিন্ন অঙ্গ,প্রতঙ্গ, নানা ধরনের ফুলফল, শাকসবজি, কীটপতঙ্গ ও পাখির নাম অবলীলায় বলে দিচ্ছে। এই বিস্ময়কর প্রতিভার কারণে মৃগাঙ্কের নাম ইন্ডিয়া বুক অব রেকর্ডসে উঠেছে।

    ছোট্ট মৃগাঙ্কর প্রতিভা জানলে চমকে যাবেন (Siliguri)

    পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, শিলিগুড়ির (Siliguri) দক্ষিণ দেশবন্ধু পাড়ার বাসিন্দা মৃণাল শেঠ ও মালবিকা শেঠের  সন্তান মৃগাঙ্ক। ছ’-সাত মাস বয়সেই সে কথা বলতে শেখে। একদিন পরিবারের সদস্যরা খেয়াল করেন, কিছু শব্দ ও কথা মৃগাঙ্ক নিজের মনে বলে চলেছে। তারপর নানাভাবে পর্যবেক্ষণ চালিয়ে দেখা যায়, যে কোনও শব্দ একবার শুনলে  তা মনে রেখে পরে তা অনায়াসে বলছে। তারপর ওকে পাখি, ফুলফল, রঙ, বিভিন্ন জিনিসের নাম পড়ানো শুরু করা হয়। বেশ কিছুদিন পরে সেগুলি জিজ্ঞেস করলে নির্ভুলভাবে বলে দিচ্ছে। এভাবেই  মৃগাঙ্ক ১০টি পাখির নাম, একুশ রকমের জিনিস, চার রকমের পতঙ্গ, চার রকমের মাছ, সতেরো রকমের সবজি, ২১ টি প্রাণী, এগারো রকমের ফলের নাম এবং ১৬৯ টি শব্দ ইংরেজি থেকে বাংলায় তর্জমা করতে পারছে। ১ থেকে ১৫ বাংলা এবং ইংরেজিতে অবলীলায় বলে দিচ্ছে সে। 

    কীভাবে ইন্ডিয়া বুক অব রেকর্ডে নাম তুলল সে?

    মৃগাঙ্কের বাবা মৃণালালবাবু বলেন, এত কম বয়সে ছেলের এই প্রতিভা দেখে আমরা বিস্মিত হয়ে যাই। প্রতিবেশিরাও ভিড় করতে থাকে তার এই প্রতিভা যাচাই করতে। একদিন ইন্টারনেট ঘাঁটতে ঘাঁটতে  ইন্ডিয়া বুক অব রেকর্ডসের ওয়েবসাইটে গিয়ে দেখি সেখানে নাম তুলতে গেলে কী কী করতে হবে। সেই মতো আমি আমার ছেলের এই প্রতিভার নানা মুহূর্ত ভিডিও রেকর্ডিং করে  পাঠাই। তারপর সেখান থেকে আমার ছেলের এই প্রতিভা যাচাই করে তাঁরা স্বীকৃতি দিয়ে শংসাপত্র ও মেডেল পাঠিয়ে জানায় আমার ছেলের নাম ইন্ডিয়া বুক অব রেকর্ডসে নাম উঠেছে। মৃনালবাবু ও তার স্ত্রী চান, সেই বিস্ময় প্রতিভা নিয়ে মৃগাঙ্ক স্বাভাবিক ছন্দে বেড়ে উঠুক। কোনও কিছুর চাপে যেন তাদের শিশু সন্তানের এই সহজাত প্রতিভা নষ্ট না হয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Case: মানিক ভট্টাচার্যের ছেলের অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে আড়াই কোটি টাকা! আদালতে দাবি ইডির

    Recruitment Case: মানিক ভট্টাচার্যের ছেলের অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে আড়াই কোটি টাকা! আদালতে দাবি ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পরিচয় বলতে তিনি নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে (Recruitment Case) ধৃত প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের ছেলে। মানিক নদিয়ার নাকাশিপাড়ার বিধায়ক। তৃণমূলের টিকিটে জয়ী হয়েছিলেন। স্বাভাবিকভাবেই সৌভিকও তৃণমূল নেতা, তবে বড় দরের নয়, ছোট দরের। এহেন তৃণমূল নেতা মানিক পুত্র শৌভিকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে নিয়োগ কেলেঙ্কারির প্রায় আড়াই কোটি টাকা। অন্তত কলকাতা হাইকোর্টে এমনটাই জানিয়েছে ইডি।

    শৌভিক সরাসরি সুবিধাভোগী!

    তদন্তকারীরা তাঁকে সরাসরি সুবিধাভোগী বলেও উল্লেখ করেছেন। বুধবার শুনানি ছিল শৌভিকের জামিনের আবেদনের। শুনানি হয় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের বেঞ্চে। তখনই মানিক-পুত্রের জামিনের বিরোধিতা করে ইডি জানায়, শৌভিকের অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে নিয়োগ দুর্নীতির ২ কোটি ৪৭ লক্ষ টাকা। নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় ধৃত রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মতোই টাকা নয়ছয় করেছেন শৌভিক। অভিযোগ, স্কুলের মাধ্যমেও তছরুপ করেছেন নিয়োগ কেলেঙ্কারির (Recruitment Case) টাকা।

    স্কুল ও ক্লাবের মাধ্যমে টাকা সাইফন!

    আদালতে ইডির আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি জানান, নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে তদন্ত শেষ করতে বলেছে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। স্বাভাবিকভাবেই তদন্তের গতি বৃদ্ধি পেয়েছে আগের চেয়ে ঢের বেশি। এই পরিস্থিতিতে মঞ্জুর হওয়া উচিত নয় সৌভিকের জামিন। সুপ্রিম কোর্টের এক পর্যবেক্ষণ তুলে ধরে ইডির আইনজীবী বলেন, “যে ব্যক্তি বেআইনিভাবে টাকা নেয় এবং যে ব্যক্তি সেই টাকা ভোগ করে, উভয়েই সমান দোষী।” ইডির আইনজীবীর সওয়াল, পার্থ চট্টোপাধ্যায় যেমন তাঁর স্ত্রীর নামে স্কুল খুলে টাকা সাইফন করেছিলেন, সেভাবেই মানিক-পুত্র সৌভিক স্কুল ও ক্লাবের মাধ্যমে টাকা সাইফন করেছেন বলে অভিযোগ।

    আরও পড়ুুন: “কয়েকজন জালি হিন্দুর জন্য পিতৃপক্ষে দুর্গাপুজো উদ্বোধন”! মমতাকে নিশানা শুভেন্দুর

    এই প্রথম নয়, ইডি আগেও একাধিকবার জানিয়েছিল, দু’টি নামী ক্লাবের মাধ্যমে কালো টাকা সাদা করেছিলেন শৌভিক। এদিন ফের সেই একই দাবি করল তদন্তকারী সংস্থা। প্রসঙ্গত, নিয়োগ কেলেঙ্কারি (Recruitment Case) মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছিল মানিকের স্ত্রী শতরূপা ও ছেলে শৌভিককে। শতরূপা জামিন পেয়েছেন আগেই। তাঁকে জামিন দিতে গিয়ে আদালতের পর্যবেক্ষণ ছিল, শতরূপা যে নিয়োগ কেলেঙ্কারির টাকা নিয়েছিলেন সে প্রমাণ পেশ করতে পারেনি ইডি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “কয়েকজন জালি হিন্দুর জন্য পিতৃপক্ষে দুর্গাপুজো উদ্বোধন”! মমতাকে নিশানা শুভেন্দুর 

    Suvendu Adhikari: “কয়েকজন জালি হিন্দুর জন্য পিতৃপক্ষে দুর্গাপুজো উদ্বোধন”! মমতাকে নিশানা শুভেন্দুর 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহালয়ার আগে পিতৃপক্ষেই আজ, বৃহস্পতিবার কালীঘাটের বাড়ি থেকে বেশ কিছু পুজোর ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর আগে মহালয়া থেকে শুরু হত দুর্গা পুজোর উদ্বোধন। পিতৃপক্ষের অবসান ঘটিয়ে মাতৃপক্ষের সূচনা হলেই মূলত পুজো উদ্বোধন হত। 

    কী বললেন শুভেন্দু

    সনাতন হিন্দু ধর্মে পিতৃপক্ষে কোনও শুভ কাজ করা উচিত নয়। কিন্তু মাতৃপক্ষ বা দেবীপক্ষের আগেই পুজোর উদ্বোধন করায় সমালোচনা করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দু বলেন, “কোনো কালচারাল অনুষ্ঠান নয় দুর্গাপুজো। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিছু জালি হিন্দুর জন্য পিতৃপক্ষে দুর্গা পুজোর উদ্বোধন করবেন।” বিজেপির স্পোর্টস অ্যান্ড ক্লাব রিলেশন সেলের অনুষ্ঠানে গিয়ে শুভেন্দু অধিকারী আজ জানান, “মুখ্যমন্ত্রী বাড়ি বসে পুজোর ফিতে কাটবেন পিতৃপক্ষে। ১২ তারিখ থেকে সব করবেন। পারেও বটে। আগের বছরও এটা করেছিলেন।” এরই সাথে বিরোধী দলনেতার সংযোজন, “অন্য ধর্মের জন্য উনি যদি এটা করতেন তাহলে ট্রেন বন্ধ হয়ে যেত, ইট পড়ত বাসে। ৩৭ টা বাস পোড়ানো হত সাঁতরাগাছিতে। গোটা একটা ট্রেন জ্বলে যেত হাজারদুয়ারিতে। আমরা মনে করি দুর্গাপুজো হবে শাস্ত্রমতে। আমি যদি সঠিক হিন্দু হই, বিশুদ্ধ সনাতনী হই, বিশুদ্ধ রাষ্ট্রবাদী হই তাহলে শুভ কাজ করব না পিতৃপক্ষে।”

    আরও পড়ুন: লেনদেন কত? টাকার উৎস কী? সাড়ে ৮ ঘণ্টা ধরে রুজিরাকে জিজ্ঞাসাবাদ ইডির

    কী করবেন মুখ্যমন্ত্রী

    বিকেল চারটে নাগাদ প্রথমে শ্রীভূমির পুজো ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপর একে-একে অন্যগুলি। চলতি বছর সাড়ে আটশো পুজো উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী। হাঁটুতে চোটের কারণে সশীরে উপস্থিত থাকতে পারছেন না তিনি। তার বদলে ভার্চুয়ালি প্রায় ৮০০-র বেশি পুজো উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। প্রথম দিন শ্রীভূমি-সহ কলকাতার ৬টি পুজোর উদ্বোধন করার কথা রয়েছে তাঁর। গত বছর মুখ্যমন্ত্রী মহালয়ার দুদিন আগে কিছু পুজোর উদ্বোধন করেন। পিতৃপক্ষে পুজো উদ্বোধন নিয়ে সেবার তৈরি হয়েছিল বিতর্ক। এবারও পিতৃপক্ষের মধ্যে দুর্গাপুজো উদ্বোধন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিঁধলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Rujira Banerjee: লেনদেন কত? টাকার উৎস কী? সাড়ে ৮ ঘণ্টা ধরে রুজিরাকে জিজ্ঞাসাবাদ ইডির

    Rujira Banerjee: লেনদেন কত? টাকার উৎস কী? সাড়ে ৮ ঘণ্টা ধরে রুজিরাকে জিজ্ঞাসাবাদ ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়লা পাচারকাণ্ডের পর এবার নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডির জেরার মুখে অভিষেক পত্নী রুজিরা বন্ধ্যোপাধ্যায় (Rujira Banerjee)। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রীকে বুধবার সিজিও কমপ্লেক্সে ডেকে পাঠায় ইডি (ED)। সাড়ে ৮ ঘণ্টার পর ম্যারাথন জেরার পর ছাড়া পান রুজিরা।

    সাড়ে ৮ ঘণ্টার ম্যারাথন জেরা

    সকাল ১১টা নাগাদ সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে ঢুকেছিলেন৷ বেরলেন যখন, তখন ঘড়িতে সন্ধে সাড়ে ৭টা৷ প্রায় সাড়ে ৮ ঘণ্টা সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সের ৬ তলায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের দফতরে রইলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ চলল জিজ্ঞাসাবাদ৷ এর আগে কয়লা দুর্নীতির তদন্তে সিবিআই তলব করলেও শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এই প্রথম তলব করা হয়েছিল অভিষেক জায়াকে৷ শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ধৃত সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের সূত্রে আলোচনায় উঠে আসে লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস নামে এক সংস্থার নাম৷ সূত্রের খবর, এই সংস্থারই প্রাক্তন ডিরেক্টর ছিলেন রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়৷

    জেরায় কী কী জানতে চাওয়া হল

    ইডি সূত্রে খবর, বুধবার সকাল থেকে মোট দু’দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় রুজিরাকে। এদিন তাঁর বয়ানও রেকর্ড করা হয়। এক মহিলা আধিকারিকের উপস্থিতিতে রুজিরার  জেরা চলে। স্রেফ অভিষেক নন, লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের ডিরেক্টর ছিলেন তাঁর স্ত্রীও। ওই সংস্থায় রুজিরা কী কী দায়িত্ব পালন করতেন? এই কোম্পানিতে তাঁর ভূমিকা কী ছিল? লেনদেনের বিষযে কিছু জানতেন কি না, এই সংস্থা কী ধরনের পরিষেবা দেয়, এই সমস্ত বিষয় নিয়ে এদিন তাঁকে ইডির তরফে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

    আরও পড়ুুন: হাতে নয়া তথ্য, দাবি সিবিআইয়ের, তাই কি ফের খারিজ পার্থর জামিনের আর্জি?

    রুজিরাকে জেরা নিয়ে কী বললেন শুভেন্দু

    ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’-এর ডিরেক্টর ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাবা অমিত বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মা লতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তাঁদেরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়েছিল৷ যদিও তাঁরা শারীরিক অসুস্থতার কারণে আসেননি৷ চিঠি দিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাবা অমিত বন্দ্যোপাধ্যায় ১২০০ পাতার নথি এবং মা লতা বন্দ্যোপাধ্যায় ১০০০ পাতার নথি জমা করেছিলেন। এ প্রসঙ্গে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন লুকোচুরি চলছে। বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারের অনেককেই ডাকা হয়েছিল। কোর্টের নির্দেশ মেনে তদন্তে সহযোগিতা করলে ভাল। বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেছেন রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদ আদালতের নির্দেশে হচ্ছে। তদন্তের গতি অত্যন্ত স্লথ। আদালতের তিরস্কারের পর বাধ্য হয়ে তৎপর হয়েছে ইডি।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Recruitment Scam: হাতে নয়া তথ্য, দাবি সিবিআইয়ের, তাই কি ফের খারিজ পার্থর জামিনের আর্জি?

    Recruitment Scam: হাতে নয়া তথ্য, দাবি সিবিআইয়ের, তাই কি ফের খারিজ পার্থর জামিনের আর্জি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার পুজোটাও জেলের ঘুপচি সেলেই কাটাতে হবে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী তথা তৃণমূলের তৎকালীন মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। বুধবার আদালতে সিবিআই দাবি করে, নিয়োগ কেলেঙ্কারি (Recruitment Scam) মামলায় নতুন তথ্য হাতে এসেছে তদন্তকারীদের। সেগুলি যাচাই করতে জেলে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন পার্থকে। পার্থর জামিনের বিরোধিতাও করেছে তারা। এর পরেই খারিজ হয়ে যায় পার্থর জামিনের আবেদন। ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত জেলেই থাকতে হবে তাঁকে। পার্থ জানান, এ পর্যন্ত তদন্তে পূর্ণ সহযোগিতা করেছেন তিনি। আগামিদিনেও করবেন। তবে গোয়েন্দারা নতুন কী তথ্য পেয়েছেন, তা জানা নেই।

    ‘নতুন নতুন তথ্য’

    তদন্তের অগ্রগতি (Recruitment Scam) নিয়ে নিম্ন আদালত এবং হাইকোর্টে ভর্ৎসিত হতে হয়েছে সিবিআইকে। অর্পণ চট্টোপাধ্যায়ের এজলাসে একাধিকবার ধমক খেতে হয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এই সংস্থাকে। এদিন বিচারক শুভ্রসোম ঘোষালের এজলাসে সুর চড়াল সিবিআই। তদন্তকারী এই সংস্থার আইনজীবী আদালতে বলেন, “প্রতিদিন আমাদের তদন্তের অগ্রগতি হচ্ছে। নতুন নতুন তথ্য উঠে এসেছে। সেটা যাচাই করতে আমরা জেলে গিয়ে জেরা করতে চাইছি। আমরা হাইকোর্টকে রিপোর্ট দিচ্ছি। আমাদের তদন্তকারী অফিসার ঘুমিয়ে নেই।”

    পুজো কাটবে জেলেই!

    প্রসঙ্গত, সদ্য বদল হয়েছে সিবিআই বিশেষ আদালতে। এর আগে বিচারক ছিলেন অর্পণ চট্টোপাধ্যায়। তাঁর স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন বিচারক ঘোষাল। নয়া এই বিচারকের এজলাসেই এদিন শুনানি হয়েছে পার্থর জামিনের। শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারিকাণ্ডে (Recruitment Scam) নাম জড়িয়েছিল পার্থর। তাঁকে জেরা করে ইডি গ্রেফতার করে পার্থকে। পরে গ্রেফতার করা হয় পার্থ ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কেও। অর্পিতার দুটি ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় নগদ প্রায় ৫০ কোটি টাকা। তার পর থেকে জেলে বন্দি রয়েছেন পার্থ-অর্পিতা। জামিন না মেলায় গত বছরও বেহালা পশ্চিমের বিধায়ক পার্থর পুজো কেটেছিল গারদে। এবারও তাঁর পুজো কাটবে জেলেই।

    আরও পড়ুুন: টেট পাশের নথি দেখাতে পারেননি! ৯৪ জন শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ হাইকোর্টের

    পার্থ জামিনের আবেদন করেছেন একাধিকবার। প্রতি বারই হতাশ হতে হয়েছে তাঁকে। সম্প্রতি পূর্ণ সময়ের একজন সহায়ক চেয়ে আবেদন করেছিলেন জেল কর্তৃপক্ষের কাছে। সেই আবেদনও খারিজ হয়ে গিয়েছে। এদিনও ফের বাড়ল তাঁর জেল হেফাজতের মেয়াদ (Recruitment Scam)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: পুজোর পরেই ময়দানে নামছে বঙ্গ বিজেপি, লোকসভার প্রচারে হাতিয়ার রেল!  

    BJP: পুজোর পরেই ময়দানে নামছে বঙ্গ বিজেপি, লোকসভার প্রচারে হাতিয়ার রেল!  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। বিজেপিকে মাত দিতে আস্তিন গোটাচ্ছে পদ্ম-বিরোধী ২৬টি রাজনৈতিক দলের জোট ‘ইন্ডি’। আগামী বছরের এই মহারণে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদির সাফল্যকেই ক্যাশ করবে বঙ্গ বিজেপি (BJP)। মোদির আমলে দেশজুড়ে যে আক্ষরিক অর্থেই উন্নয়নের জোয়ার এসেছে, তা তুলে ধরবে বিজেপি।

    রেলের উন্নয়ন

    তবে সব চেয়ে বেশি হাইলাইট করা হবে রেলের গতি আনয়ন। রেলের উন্নয়নে বাংলার প্রতি যে কেন্দ্র বিশেষ নজর দিয়েছে, তুলে ধরা হবে তাও। ‘অমৃত ভারত’ প্রকল্পের আওতায় রাজ্যের ৩৭টি রেলস্টেশনকে ঢেলে সাজাচ্ছে রেলমন্ত্রক। পেয়েছে পাঁচটি ‘বন্দে ভারত’ এক্সপ্রেস। নতুন করে নন্দীগ্রামে রেল প্রকল্পের দাবি মেনে নিয়েছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। বালুরঘাট-হিলি রেলপ্রকল্পের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ১৯০ কোটি টাকা। রাজ্য সহযোগিতার হাত বাড়ালে রেল প্রকল্পের আরও কাজ হতে পারত বলেও দাবি বঙ্গ বিজেপির (BJP)। এই বিষয়টিকেও তুলে ধরা হবে লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে।

    কী বললেন বিজেপির মুখপাত্র?

    বঙ্গ বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “বিজেপি এ রাজ্যে যেটা বলে, সেটা করে। বাংলায় রেলকে আরও গতিশীল করতে, যাত্রী সুরক্ষার স্বার্থে কেন্দ্রীয় সরকার প্রথম থেকেই সচেষ্ট ছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকাকালীন রেলের যে যে ঘোষণা করেছিলেন, তার ৯৫ শতাংশও বাস্তবায়িত হয়নি। কেবল ঘোষণার জন্য ঘোষণা ছিল। কিন্তু বিজেপি কাজ করে দেখিয়েছে। মানুষ এখন বুঝতে পারছেন প্রকৃত উন্নয়ন কে করছে, আর কারা বাধা দিচ্ছে।”

    আরও পড়ুুন: টেট পাশের নথি দেখাতে পারেননি! ৯৪ জন শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ হাইকোর্টের

    রেলের উন্নয়নের পাশাপাশি তুলে ধরা হবে তৃণমূলের নানা কেলেঙ্কারির কথাও। বিজেপি সূত্রে খবর, উৎসবের মরশুম শেষ হলেই কোমর কষে নামবেন বিজেপি নেতানেত্রীরা। রাজ্যের প্রতিটি বিধানসভায় গিয়ে ফলাও করে বলা হবে তৃণমূলের একের পর এক কেলেঙ্কারির কথা। জনসভার পাশাপাশি হবে প্রচারপত্র বিলি। বিজেপি (BJP) ভোটারদের বোঝানোর চেষ্টা করবে, রাজনৈতিক রং দেখে সরকারি প্রকল্পের সুবিধা দেওয়ায় কীভাবে বঞ্চিত হয়েছেন মানুষ। বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্পে তৃণমূলের পাহাড়-প্রমাণ দুর্নীতির কারণেই যে কেন্দ্র টাকা দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে, তাও বোঝানোর চেষ্টা করা হবে গেরুয়া শিবিরের তরফে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Recruitment Scam: টেট পাশের নথি দেখাতে পারেননি! ৯৪ জন শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ হাইকোর্টের 

    Recruitment Scam: টেট পাশের নথি দেখাতে পারেননি! ৯৪ জন শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ হাইকোর্টের 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবৈধভাবে নিয়োগ (Recruitment Scam) হওয়া ৯৪ জন প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিল করল কলকাতা হাইকোর্ট। তার পরিবর্তে যোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগ করার জন্য প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে নির্দেশ দিয়েছে রাজ্যের উচ্চ আদালত। একই সঙ্গে ২০১৬ এবং ২০২০ সালের টেটের মেধা তালিকা নম্বর সহ প্রকাশ করার জন্য প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অতা সিনহা। ওই মেধা তালিকা ৩ নভেম্বরের মধ্যে প্রকাশ করতে হবে।  

    আদালতের নির্দেশ

    মঙ্গলবার প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) মামলার শুনানি হয় বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে। আদালতের নির্দেশেই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ কোর্টে জানায় যে, ৯৬ জনকে নথি যাচাইয়ের জন্য ডেকে পাঠানো হয়েছিল। তার মধ্যে ৯৪ জন টেট পাশের প্রমাণ দেখাতে পারেননি। এদিন মামলার শুনানিতে বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চ পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা বোর্ডকে (ডব্লিউবিবিপিই) ভবিষ্যতে নিয়োগের পদ্ধতিতে যোগ্য হওয়া সত্ত্বেও চাকরি দেওয়া হয়নি এমন প্রার্থীদের একটি সুযোগ দেওয়ার কথা বিবেচনা করার নির্দেশ দিয়েছে। বিচারপতি সিনহা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে বলেন, ‘এই প্রার্থীরা বেকার। তাঁরা মনে করেন যোগ্য হওয়া সত্ত্বেও নিয়োগ না পেয়ে তাঁদের সঙ্গে প্রতারিত করা হয়েছে। তাই আপনাদের অবশ্যই তাঁদের বিষয়টি সহানুভূতির সাথে বিবেচনা করা উচিত।’

    রাজপথে বিক্ষোভ

    এদিনই ২০২২ সালের টেট উত্তীর্ণরা আজ কলকাতার রাজপথে বিক্ষোভ করেন। তাঁদের অভিযোগ, ২০২২ সালের টেট উত্তীর্ণদের ইন্টারভিউ না নিয়ে নতুন টেট ঘোষণা করা হয়েছে। আগে তাঁদের নিয়োগ করতে হবে। এই দাবিতে প্রার্থীরা এপিসি ভবনের দিকে গেলে পুলিশ তাঁদের আটকে দেয়। এ নিয়ে উত্তেজনা তৈরি হয়।

    আরও পড়ুন: কামদুনিকাণ্ডের শেষ দেখতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ টুম্পা-মৌসুমীরা, ফের নিশানা রাজ্যকে

    অভিষেকের নথি প্রসঙ্গ

    এদিন বিচারপতি সিনহার এজলাসে নজর ছিল অভিষেকের নথি জমার দিকেও। ইডি-র কাছে নথি জমা দেওয়ার জন্য অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। নির্দেশ ছিল, যে ভাবে হোক এই দিনের মধ্যেই নিজের এবং দুর্নীতিতে নাম জড়ানো বেসরকারি সংস্থা লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের লেনদেন সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য ও নথি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটির কাছে জমা দিতে হবে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদককে। কিন্তু মঙ্গলবার বিকেলে বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে ইডি-র আইনজীবী দাবি করেন, নথির কোনও প্রতিলিপি (হার্ড কপি) তাঁরা পাননি। তবে ই-মেল মারফত নথি (সফ্‌ট কপি) পাঠানো হয়েছে কি না, সে বিষয়ে নিশ্চিত করে বলতে পারেননি তিনি। উল্টো দিকে, অভিষেকের আইনজীবী সঞ্জয় বসুর দাবি, এ দিন সন্ধ্যাতেই রিপোর্ট জমা পড়েছে ইডি-র কাছে। এ দিন ইডি এবং সিবিআই, দুই তদন্তকারী সংস্থাই মুখবন্ধ খামে  তদন্তের অগ্রগতি সংক্রান্ত রিপোর্ট আদালতে জমা দিয়েছে।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kamduni: কামদুনিকাণ্ডের শেষ দেখতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ টুম্পা-মৌসুমীরা, ফের নিশানা রাজ্যকে

    Kamduni: কামদুনিকাণ্ডের শেষ দেখতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ টুম্পা-মৌসুমীরা, ফের নিশানা রাজ্যকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কামদুনিকাণ্ডে (Kamduni) লঘু হয়েছিল দোষীদের সাজা। যাদের ফাঁসির হুকুম হয়েছিল, তাদের হয়েছে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। কয়েকজন আবার বেকসুর খালাসও পেয়েছে। কলকাতা হাইকোর্টের এই রায়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিল কামদুনি। সেদিনই জানিয়েছিল, হাইকোর্টের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যাবেন কামদুনি আন্দোলনের অন্যতম মুখ টুম্পা কয়াল ও মৌসুমী কয়াল।

    রাজ্যকে নিশানা কামদুনির

    সেই মতো বুধবার সকালের বিমানে দিল্লি উড়ে গেলেন টুম্পা, মৌসুমী এবং নির্যাতিতার দুই ভাই। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন কামদুনি গ্রামের প্রাথমিক স্কুলের প্রাক্তন শিক্ষক প্রদীপ মুখোপাধ্যায় এবং বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পণ্ডা সহ মোট ৯ জন। দিল্লির উড়ান ধরার আগে মৌসুমী (Kamduni) বলেন, “হাইকোর্টের রায়ের পর আমাদের মন ভেঙে গিয়েছে। আমরা সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছি। জানি না, আদৌ সঠিক বিচার পাব কি না।” টুম্পা বলেন, “রাজ্য সরকার এখন সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে। শুনেছি, কপিল সিব্বলকে আইনজীবী হিসেবে দাঁড় করাবে। এতদিন সরকার কী করছিল? রাজ্য সরকার আইনের ফাঁক তৈরি করেছিল। এখন অপরাধীরা মুক্তি পেয়ে যাওয়ার পর রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টে দৌড়চ্ছে।” শঙ্কু বলেন, “রাজ্য সরকারের কাছে সুযোগ ছিল অপরাধীরা যাতে ছাড়া না পায়, তা নিশ্চিত করা। কিন্তু তা হয়নি।”

    মামলা লড়ছেন সুষমা স্বরাজের আইনজীবী মেয়ে

    জানা গিয়েছে, টুম্পা, মৌসুমীদের হয়ে সুপ্রিম কোর্টে সওয়াল করছেন প্রয়াত কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুষমা স্বরাজের আইনজীবী মেয়ে। কামদুনিকাণ্ডে প্রতিবাদীদের অভিযোগ, রাজ্য সরকারের গাফিলতিতেই গণধর্ষণ-খুনের মামলায় মুক্তি পেয়েছে সাজাপ্রাপ্তরা। হাইকোর্ট তার রায়ের কপিতে উল্লেখ করেছে, এই অপরাধ পূর্ব পরিকল্পিত এবং ষড়যন্ত্রমাফিক ঘটানো হয়েছে, তা সন্দেহের ঊর্ধ্বে প্রমাণে ব্যর্থ হয়েছে সরকারপক্ষ। ধর্ষণ এবং খুনে সইফুল এবং আনসারের মতো একই উদ্দেশ্য ছিল এনামুল, ভুট্টো, ভোলা এবং আমিন আলির, সরকারের এই যুক্তি নড়বড়ে ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে এবং তা প্রমাণিত একথা বলা যায় না। উল্লেখ্য, কামদুনিকাণ্ডে (Kamduni) হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে রাজ্য সরকারও। আগামী সপ্তাহে এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা।

    আরও পড়ুুন: পাকিস্তানে আততায়ীর গুলিতে খতম পাঠানকোট হামলার মাস্টারমাইন্ড শাহিদ লতিফ

    প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালে উত্তর ২৪ পরগনার কামদুনিতে এক কলেজ ছাত্রীকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে নৃশংসভাবে খুন করা হয়। তার জেরে তোলপাড় হয়েছিল রাজ্য। ঘটনায় স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিল গোটা দেশ। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • Rujira Banerjee: ইডির দফতরে হাজিরা রুজিরার, নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে চলছে জিজ্ঞাসাবাদ

    Rujira Banerjee: ইডির দফতরে হাজিরা রুজিরার, নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে চলছে জিজ্ঞাসাবাদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার মধ্যরাতে স্বামী গিয়ে নথি জমা দিয়েছিলেন ইডিকে। আর পরের দিন সকালে ইডির দফতরে হাজির হলেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরা নারুলা বন্দ্যোপাধ্যায় (Rujira Banerjee)। বুধবার সকাল সাড়ে ১০-১১টায় সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে তাঁকে তলব করেছিল ইডি। এদিন ১১টা বাজার মিনিট কয়েক আগেই ইডির দফতরে চলে আসেন রুজিরা।

    ইডির দফতরে রুজিরা

    এদিন সকাল থেকেই সিজিও কমপ্লেক্সের বাইরে ব্যাপক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল। চার দিকে ব্যারিকেড করে দেওয়া হয়েছিল। নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছিল যান চলাচল। ১১টা নাগাদ একটি সাদা ইনোভা গাড়ি করে চলে আসেন অভিষেক-পত্নী। গাড়ি থেকে নেমে কোনও দিকে না তাকিয়ে হনহনিয়ে ঢুকে পড়েন ইডির দফতরে।

    অভিষেক-জায়া ইডির মুখোমুখি হয়েছেন আগেও

    এই প্রথম নয়, এর আগেও একাধিকবার ইডির মুখোমুখি হয়েছেন অভিষেক-জায়া (Rujira Banerjee)। মাস চারেক আগেই কয়লা পাচার মামলায় রুজিরাকে সমন পাঠিয়েছিল ইডি। দুটি বিদেশি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের লেনদেন, একটি সংস্থার আর্থিক লেনদেনের খতিয়ান ও এক হিসাবরক্ষকের বয়ানের ভিত্তিতে রুজিরাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি। সেবার জিজ্ঞাসাবাদ-পর্ব চলেছিল টানা সাড়ে তিন ঘণ্টা। ২০২২ সালের জুন মাসেও শিশুপুত্রকে কোলে নিয়ে ইডির দফতরে হাজিরা দিতে গিয়েছিলেন রুজিরা।

    আরও পড়ুুন: ‘‘হামাসের ধাঁচে হামলা ভারতে’’! যুদ্ধের আবহে হাওয়া গরমের চেষ্টা খালিস্তানি জঙ্গি পান্নুনের

    তবে এবার যে রুজিরাকে (Rujira Banerjee) তলব করা হয়েছে, তা নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায়। নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় নাম জড়ায় ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসে’র। এই সংস্থার সিইও অভিষেক। সংস্থার ডিরেক্টর অভিষেকের বাবা অমিত এবং মা লতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই সংস্থারই অধিকর্তা ছিলেন অভিষেকের স্ত্রী রুজিরা। এই চারজনকেই তলব করেছিল ইডি। যদিও রুজিরা বাদে বাকি তিনজনই এড়িয়েছেন হাজিরা। মঙ্গলবার মধ্য রাতের কিছু আগে গিয়ে ইডিকে নথি দিয়ে আসেন অভিষেক।

    প্রসঙ্গত, এই মামলায় রুজিরার বিদেশ যাত্রার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তাঁর বিরুদ্ধে জারি হয়েছিল লুক আউট নোটিশও। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে পরে অবশ্য সেই নোটিশ প্রত্যাহার করে ইডি। জানা গিয়েছে, এদিন ইডির তিন আধিকারিক জিজ্ঞাসাবাদ করছেন রুজিরাকে। এঁদের মধ্যে  রয়েছেন এক মহিলা আধিকারিকও।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share