Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Suvendu Adhikari: “রাজভবনের বাইরে ১৪৪ ধারা থাকার কথা”, অভিষেকের ধর্নাকে কটাক্ষ শুভেন্দুর 

    Suvendu Adhikari: “রাজভবনের বাইরে ১৪৪ ধারা থাকার কথা”, অভিষেকের ধর্নাকে কটাক্ষ শুভেন্দুর 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজভবনের বাউন্ডারির বাইরে ১৫০ মিটার পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি থাকার কথা। সেখানে কীভাবে তৃণমূল মঞ্চ বেঁধে অবস্থান করছে, তা নিয়েই প্রশ্ন তুললেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তৃণমূলের এই কর্মসূচিকে ‘সস্তার রাজনীতি’ বলেও কটাক্ষ করেছেন তিনি। আঞ্চলিক দল তৃণমূল পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্রের এক একটি স্তম্ভকে পরিকল্পিতভাবে ধ্বংস করছে, বলেও দাবি করেন শুভেন্দু।

    কী বললেন বিরোধী দলনেতা

    সোশ্যাল সাইটে শুভেন্দু লিখেছেন, “পুলিশের সহযোগিতায় তারা ১৪৪ ধারা জারি থাকা চত্বরে শুধু মিছিলই করেনি, একইসঙ্গে সেখানে ক্যাম্পও বানিয়ে ফেলেছে।”এক্স হ্যান্ডেলে বিরোধী দলনেতা  শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) লিখেছেন, “রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান, রাজ্যপালের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে এই সস্তার রাজনৈতিক নাটকের জন্য। আর পুলিশ এই কাজে সাহায্য করছে।” প্রসঙ্গত, রাজ্য রাজনীতিতে এখন ‘জমিদারি’ শব্দটি নিয়ে ব্যাপক চর্চা হচ্ছে। তৃণমূলের মুখে শোনা যাচ্ছে ‘জমিদারি’, রাজ্যপালের বিবৃতিতেও ব্যবহার হচ্ছে ‘জমিদারি’। এবার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও ‘জমিদারি’ নিয়ে খোঁচা দিলেন রাজ্যের শাসক শিবিরকে।

    অভিষেকদের এই আন্দোলনকে অগণতান্ত্রিক বলে কটাক্ষ করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রাজধানী দিল্লি থেকে রাজভবন চলোর ডাক দিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু গতকাল রাজভবনে ছিলেন না রাজ্যপাল। উত্তরবঙ্গ এবং সিকিমের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে তিনি চলে যান উত্তরবঙ্গে। সম্প্রতি তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড ঘোষণা করেন রাজ্যপাল যতক্ষণ না তাঁদের সঙ্গে দেখা করছেন ততক্ষণ অবস্থান বিক্ষোভ চলবে । সূত্রের খবর দিল্লিতে আজ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করবেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam : সাত লক্ষে টাইপিস্ট, ৪ লাখে ড্রাইভার! জানেন পুরসভায় চাকরি বিক্রির রেট?

    Recruitment Scam : সাত লক্ষে টাইপিস্ট, ৪ লাখে ড্রাইভার! জানেন পুরসভায় চাকরি বিক্রির রেট?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুর দুর্নীতি মামলায় (Recruitment Scam) বহু টাকার লেনদেনের অভিযোগ আনল ইডি। বিভিন্ন পদে চাকরির জন্য তৈরি করা হয়েছিল রেটচার্ট। ইডির দাবি, ৪ থেকে ৭ লক্ষ টাকা দরে বিভিন্ন পুরসভায় চাকরি বিক্রি হয়েছে। বৃহস্পতিবারই পুর দুর্নীতির তদন্তের জন্য রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষের উত্তর ২৪ পরগনার মাইকেলনগরের বাড়িতে তল্লাশি চালায় ইডি।  প্রায় সাড়ে ১৯ ঘণ্টা তল্লাশির পর রাত পৌনে ২টোয় মন্ত্রীর বাড়ি ছাড়েন তদন্তকারী আধিকারিকেরা।

    কত টাকায় চাকরি

    সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন, ” একটি রাজ্যে  ‘ক্যাশ ফর জব’ এর ঘটনা ঘটেছে। যুবসমাজকে ধ্বংস করা হয়েছে। রেস্তরাঁর মতো সরকারি চাকরির সব পদে ‘রেট কার্ড’ রয়েছে সেখানে। সেই রাজ্যে চাপরাশি, ড্রাইভার, শিক্ষক, নার্স— সব পদে চাকরির জন্য বাঁধা দর রয়েছে।” এই রেট কার্ডেই এদিন আলোকপাত করেন ইডির অফিসারেরা। তাঁদের দাবি,  পুরসভায় শ্রমিক, গাড়ির চালক, সাফাইকর্মী, পুরসভার গ্রুপ ডি-র চাকরির দাম ছিল ন্যূনতম ৪ লক্ষ টাকা। গ্রুপ সি-র চাকরির দাম ন্যূনতম ৭ লক্ষ টাকা। পুরসভার টাইপিস্টের চাকরির রেট শুরু ৭ লক্ষ টাকা থেকে।

    আরও পড়ুন: ‘‘মাটির কাছাকাছি পৌঁছনো জমিদারি নয়’’, তৃণমূলের কটাক্ষের জবাবে রাজ্যপাল

    কেন রথীনের বাড়িতে তল্লাশি

    পুর নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে বৃহস্পতিবার শহরের নানা প্রান্তে ১৪টি জায়গায় হানা দেয় ইডি।  কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে দাবি, ২০১৪ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত বেআইনি ভাবে পুরসভায় নিয়োগ সংক্রান্ত মামলার তদন্তেই খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষের বাড়িতে তল্লাশি। দীর্ঘ দিন ধরে মধ্যমগ্রাম পুরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন রথীন। ইডি সূত্রে খবর, পুর নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় ধৃত অয়ন শীলের সংস্থা এবিএস ইনফোজোনের অফিস থেকে বাজেয়াপ্ত করা বিভিন্ন নথিতে রথীনের নাম বার বার উঠে এসেছে। ইডির দাবি, ২০১৪-র পর থেকে পুরসভায় নিয়োগ সংক্রান্ত আর্থিক লেনদেনের প্রমাণ মিলেছে। তার ভিত্তিতেই এই অভিযান। টাকা কাদের কাছে পৌঁছেছে, কীভাবে পৌঁছেছে, সেই খতিয়ে দেখাই তাদের উদ্দেশ্য। রথীনের বাড়ি ছাড়াও বৃহস্পতিবার মধ্যমগ্রাম পুরসভার দফতরে হানা দেন ইডির আধিকারিকেরা। এ ছাড়াও ১০ থেকে ১২টি দলে ভাগ হয়ে বরাহনগর, সল্টলেক-সহ মোট ১২টি জায়গায় তাদের তল্লাশি অভিযান চলেছে। এই অভিযানের ফলে তদন্তে সহায়ক নানান নথি মিলেছে বলে দাবি ইডির।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CV Ananda Bose: ‘‘মাটির কাছাকাছি পৌঁছনো জমিদারি নয়’’, তৃণমূলের কটাক্ষের জবাবে রাজ্যপাল

    CV Ananda Bose: ‘‘মাটির কাছাকাছি পৌঁছনো জমিদারি নয়’’, তৃণমূলের কটাক্ষের জবাবে রাজ্যপাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘জমিদারি’ কটাক্ষের জবাব দিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। রাজ্যপালের কথায়, ‘‘মাটির কাছাকাছি পৌঁছনো জমিদারি নয়। গ্রামে গ্রামে পৌঁছে যাওয়ার অর্থ তৃণ মূলে পৌঁছে যাওয়া। তৃণমূল কি তাহলে অন্যদের তৃণ মূলে পৌঁছতে বাধা দিতে চায়? কিসের ভয় তাদের? তারা কি নিজেদের জমিদারি হারানোর ভয় পাচ্ছে?’’

    রাজ্যপালের কড়া জবাব

    প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার বিশাল মিছিল করে আজ রাজভবন অভিযান করেছে তৃণমূল। রাজ্যপাল (CV Ananda Bose) তখন ঘুরে দেখেছেন উত্তরবঙ্গের বন্যা পরিস্থিতি। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস দিল্লিতে কাজে ব্যস্ত থাকলেও, রাজ্যের মানুষের কষ্টের কথা শুনেই বাংলায় ফিরেছেন। উত্তরবঙ্গে বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শন করতে দিল্লি থেকে সোজা সেখানে যান তিনি। বন্যা দুর্গতদের পাশে দাঁড়িয়ে ফের দিল্লি ফিরে যান তিনি। রাজভবন সূত্রে খবর, শুক্রবার রাজধানীতে তাঁর কর্মসূচি রয়েছে। রাজ্যের সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক রাজ্যপালের (CV Ananda Bose) উত্তরবঙ্গ সফরকে কটাক্ষ করে বলেছিলেন, ‘‘বন্যাবিধ্বস্ত এলাকায় রাজ্যপাল পর্যটক হিসাবে যাচ্ছেন।’’ সেচমন্ত্রীর প্রতি রাজ্যপালের উত্তর, ‘‘মানুষ যেখানে কষ্ট পাচ্ছেন, আমি সেখানে যাব। উনি অন্তত পর্যটক হিসাবে হলেও এখানে থাকতে পারতেন। এখানে এলে উনি বুঝতেন, এখানে রাস্তা নেই। রাস্তা সব ভেসে গিয়েছে। আমি যখনই শুনেছি আমার লোকেরা বন্যায় কষ্ট পাচ্ছে, আমি সঙ্গে সঙ্গে বিমানে চেপে যত দ্রুত সম্ভব সেখানে পৌঁছে গিয়েছি। সেদিক থেকে দেখতে গেলে, হ্যাঁ আমি উড়ে গিয়েছি সেখানে।’’

    আরও পড়ুন: সীমাহীন দুর্নীতি একশো দিনের কাজে, ২৫ লাখ ভুয়ো জব কার্ডে কত টাকা আত্মসাৎ?

    নব্যজমিদারি অভিমত বোসের

    অভিষেকের কটাক্ষের জবাবে রাজ্যপাল (CV Ananda Bose) বলেন, ‘‘জমিতে বা মাটির কাছাকাছি পৌঁছনো জমিদারি নয়। বরং, জমিতে না নেমে শহরের বিলাসী আস্তানায় বসে কৃষকদের নিয়ন্ত্রণ করা হল নব্যজমিদারি। রাজ্যপালের কাছে এই মাটি এবং তার মানুষ পবিত্র।’’ আর তৃণমূলের এই বিক্ষোভের বিরোধিতা করে রাজ্যপাল বোসের বার্তা, ‘ঘেরাও নয়, ঘরে আসুন’। বরাবরই আলোচনা করে সমস্যা সমাধানের পক্ষপাতী রাজ্যপাল। 

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Justice Abhijit Gangopadhyay: যোগ্যতা নেই! ল কলেজের অধ্যক্ষ সহ ২ জনকে অপসারণের নির্দেশ হাইকোর্টের

    Justice Abhijit Gangopadhyay: যোগ্যতা নেই! ল কলেজের অধ্যক্ষ সহ ২ জনকে অপসারণের নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইউজিসি নির্ধারিত যোগ্যতামান তাঁদের নেই বলে অভিযোগ। অথচ দিব্যি পড়াচ্ছিলেন কলেজে। তাও আবার সাধারণ কোনও কলেজে নন, সুনন্দা ভট্টাচার্য গোয়েনকা এবং অচিনা কুন্ডু নামের ওই দুই শিক্ষক পড়াচ্ছিলেন যোগেশচন্দ্র চৌধুরী আইন কলেজে। সুনন্দা ছিলেন কলেজের অধ্যক্ষ। আর অধ্যাপক পদে ছিলেন অচিনা। বৃহস্পতিবার এই দুই শিক্ষককে পদ থেকে সরানোর নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay)। আদালতের নির্দেশ, শুক্রবার থেকেই আর কলেজে ঢুকতে পারবেন না এঁরা। এদিন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ, যোগেশচন্দ্র ল কলেজের অধ্যক্ষের ঘরে তালা ঝোলাতে হবে। কোনওভাবে যাতে সমস্যা তৈরি না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে চারু মার্কেট থানাকে। 

    অধ্যক্ষ ছিলেন তৃণমূলের মানিকও

    নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে ধৃত তৃণমূল নেতা মানিক ভট্টাচার্য ওই কলেজের অধ্যক্ষ ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, কোনও ব্যক্তির ল কলেজের অধ্যক্ষ হওয়ার জন্য তাঁর কমপক্ষে পনের বছরের অধ্যাপনার অভিজ্ঞতা থাকা প্রয়োজন। মানিকের তা ছিল না বলেই অভিযোগ। তার পরেও তিনি কীভাবে চাকরি করেছেন, সে প্রশ্ন তোলেন মামলাকারীরা। প্রসঙ্গত, নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় তদন্ত করছে সিবিআই এবং ইডি। প্রাথমিক নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় তদন্তে (Justice Abhijit Gangopadhyay) নেমে গ্রেফতার করা হয় মানিককে। গ্রেফতার করা হয়েছিল তাঁর স্ত্রী এবং পুত্রকেও। মানিকের স্ত্রী জামিন পেলেও, গারদে রয়েছেন মানিক ও তাঁর ছেলে।

    মামলাকারীর অভিযোগ

    মানিক যখন ওই আইন কলেজের অধ্যক্ষ ছিলেন, তখন উপযুক্ত যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও বেশ কয়েকজনকে তিনি অধ্যাপক পদে নিয়োগ করেছিলেন বলে অভিযোগ। মামলাকারীর অভিযোগ, ওই অধ্যাপকরা নিজেদের স্বার্থে কলেজে বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতীকে প্রশয় দিয়েছেন। তারা কলেজকে অসামাজিক কাজের আখড়ায় পরিণত করেছে। মামলাকারীর দাবি, পুলিশ ও কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানিয়েও কাজ হয়নি।

    আরও পড়ুুন: মঙ্গলবারের মধ্যেই ইডির কাছে নথি দিতে হবে, অভিষেককে নির্দেশ হাইকোর্টের

    এরই প্রেক্ষিতে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Gangopadhyay) নির্দেশ, অভিযোগ খতিয়ে দেখে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে পুলিশকে। ৯ অক্টোবরের মধ্যে ওই দুষ্কৃতীদের আদালতে হাজির করবে পুলিশ। বিষয়টিতে নজর রাখবেন কলকাতা পুলিশ কমিশনারও। এদিন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় জানান, সুনন্দা ও অচিনা যদি তাঁদের যোগ্যতা সম্পর্কে আদালতকে সন্তুষ্ট করতে পারেন, তাহলে তাঁদের পুনর্বহাল করা হবে। শুক্রবার ফের হবে এই মামলার শুনানি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: মঙ্গলবারের মধ্যেই ইডির কাছে নথি দিতে হবে, অভিষেককে নির্দেশ হাইকোর্টের

    Abhishek Banerjee: মঙ্গলবারের মধ্যেই ইডির কাছে নথি দিতে হবে, অভিষেককে নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে গিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে। সেখানেও হতাশ হতে হল তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee)। বৃহস্পতিবার ডিভিশন বেঞ্চ সাফ জানায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে ইডি যা যা নথি চেয়েছিল, তা তাঁকে জমা দিতে হবে। ওই নথি জমা দিতে হবে ১০ অক্টোবরের মধ্যেই। আদালত জানিয়ে দিয়েছে, অভিষেককে এক ঘণ্টাও অতিরিক্ত সময় দেওয়া হবে না। এর পাশাপাশি ইডিকে আদালত বলে, নথিতে সন্তুষ্ট না হলে তারা ফের অভিষেককে ডেকে পাঠাতে পারবে। তবে তলব করার আগে তাঁকে অন্তত ৪৮ ঘণ্টা সময় দিতে হবে।

    ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ

    এদিন ডিভিশন বেঞ্চ বলে, “আগামী ১০ অক্টোবরের মধ্যে ইডির কাছে সব নথি দিতে হবে অভিষেককে। কোনও নথি জমা দিতে না পারলে ইডির সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। কিন্তু আদালত অভিষেককে এক ঘণ্টাও অতিরিক্ত সময় দেবে না। অভিষেকের জমা দেওয়া নথিতে সন্তুষ্ট না হলে তাঁকে হাজিরা দিতে বলতে পারে ইডি। তবে সমন পাঠাতে হলে ১৯ অক্টোবরের আগে বা ২৬ অক্টোবরের পরে তা পাঠাতে হবে।”

    ‘ইডির দফতরে সব নথি নিয়ে যান’

    বুধবারই অভিষেকের (Abhishek Banerjee) আইনজীবীকে বিচারপতি সৌমেন সেন বলেন, “আপনি (অভিষেক) তদন্তকারী সংস্থাকে সহযোগিতা করুন। যে নথি চাওয়া হয়েছে, তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই তথ্য দেওয়া উচিত। ১২ অক্টোবর ইডির দফতরে সব নথি নিয়ে যান।” ইডির আইনজীবীকে বিচারপতির প্রস্তাব, যা যা নথি চাওয়া হয়েছে, তা দেওয়া হবে। তাতে সন্তুষ্ট না হলে তদন্তের প্রয়োজনে অভিষেককে তলব করতে পারবে ইডি। ১২ অক্টোবর অভিষেক ইডিকে নথি দেবেন। সব নথি খতিয়ে দেখে পুজোর পরে নয় নতুন করে সমন পাঠাবে ইডি।

    আরও পড়ুুন: ‘ভারতের সঙ্গে ব্যক্তিগত কূটনীতি চাই’, সুর আরও নরম করে বলল কানাডা

    প্রসঙ্গত, নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় নাম জড়ায় লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের। এই কোম্পানির সিইও তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো অভিষেক (Abhishek Banerjee)। তাঁর মা লতা এবং বাবা অমিত এই সংস্থার অন্যতম ডিরেক্টর। অভিষেকের স্ত্রী রুজিরা নারুলা বন্দ্যোপাধ্যায় সংস্থার এক অধিকর্তা। অভিষেক, লতা, অমিত এবং রুজিরাকে তলব করে ইডি। ৩ অক্টোবর তলব করা হয়েছিল অভিষেককে। দিল্লিতে দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিতে গিয়েছিলেন তিনি। তাই হাজিরা দিতে পারেননি সিজিও কমপ্লেক্সে, ইডির দফতরে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sikkim Flash Floods: সিকিমের বিপর্যয়ের প্রভাব পড়ল পাহাড়ের পর্যটনেও! হু হু করে বাতিল হচ্ছে বুকিং

    Sikkim Flash Floods: সিকিমের বিপর্যয়ের প্রভাব পড়ল পাহাড়ের পর্যটনেও! হু হু করে বাতিল হচ্ছে বুকিং

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হড়পা বানে বিধ্বস্ত সিকিম। জলের তোড়ে ভেঙে গিয়েছে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা। ফলে, যোগাযোগ-বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে সিকিম। কবে রাস্তা মেরামত হবে, তা নির্দিষ্ট করে কেউ বলতে পারছে না। মঙ্গলবার রাতভর বৃষ্টির জেরে সিকিমের (Sikkim Flash Floods) পুজোর মুখে পর্যটন ব্যবসা বড়সড় ক্ষতির মুখে দাঁড়াতে চলেছে। বুধবার সকালে এই দুর্যোগের খবর জানার পর থেকেই বিভিন্ন প্রান্তের পর্যটকরা তাঁদের বুকিং বাতিল করতে শুরু করেছেন। কারণ, সিকিমের এই ভয়াবহ বিপর্যয়ের পর পর্যটকরা আর কেউ দার্জিলিং যাওয়ার ঝুঁকি নিতে চাইছেন না। বাতিল করা হচ্ছে বুকিংও। এতে ট্যুর অপারেটর, গাড়ি ও হোটেল ব্যবসায়ীদের মাথায় হাত।

    ২০১১ সালের ভূমিকম্পের থেকেও বড় ধাক্কা! (Sikkim Flash Floods)

    ২০১১ সালে মঙ্গনে ভয়াবহ ভূমিকম্পে সিকিমের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল। কিন্তু, এভাবে একাধিক রাস্তা বিলীন হয়ে যায়নি। ফলে সেই ধাক্কা কাটিয়ে পর্যটন ব্যবসায় জোয়ার আনতে বেশি সময় লাগেনি। পর্যটনে ভর দিয়েই ঘুরে দাঁড়িয়েছিল সিকিম। কিন্তু, এবার সিকিমের এই দুর্ঘটনার জেরে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা ভেঙে পড়ায় ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই অনেক কঠিন বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।  

     কী বলছেন ট্যুর অপারেটররা?

    ইস্টার্ন হিমালয়ান ট্যুর অ্যান্ড ট্রাভেল অপারেটর্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সন্দীপন ঘোষ বলেন, সিকিমের (Sikkim Flash Floods) প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রভাব উত্তরবঙ্গের পর্যটনেও ছড়িয়ে পড়ছে। বুধবার সিকিমের এই ঘটনার পর থেকেই বিভিন্ন প্রান্তের পর্যটকরা তাঁদের বুকিং বাতিল করতে শুরু করেছেন। অনেকে বাগডোগরা পর্যন্ত এসে ভুটানে যাওয়ার জন্য বুকিং করছেন। করোনা সংক্রমণের সময় যে ক্ষতি হয়েছিল, তার থেকে বড় ধাক্কা। করোনাকালের ক্ষতি গত গ্রীষ্মের পর্যটন মরশুমে কাটিয়ে উঠেছিলাম। এবার পুজোয় যে ধরনের বুকিং ছিল, তাতে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত ভালো ব্যবসা হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। সব শেষ হয়ে গেল। হিমালয়ান ট্যুর অ্যান্ড ট্রাভেল হসপিটালিটি নেটওয়ার্কের সম্পাদক সম্রাট সান্যাল বলেন, সিকিমের এই দুর্যোগ আমাদের পথে বসিয়ে দিল। এখন দার্জিলিং আর কেউ যেতে চাইছেন না। ভুটান ও ডুয়ার্সে যাওয়ার জন্য যোগাযোগ করছেন। কিন্তু, তাতে এই ধাক্কা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব নয়।

    সিকিম পর্যটন দফতরের উপদেষ্টা কী বললেন?

    সিকিম পর্যটন দফতরের উপদেষ্টা রাজ বসু বলেন, সিকিমের দুর্ঘটনার (Sikkim Flash Floods) পর যা অবস্থা, তাতে কবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে এবং রাস্তা আগের জায়গায় ফিরে আসবে , তা বলা যাচ্ছে না। এই অনিশ্চয়তার জায়গা থেকে এবার পুজোর ভ্রমণে বহু পর্যটক তাঁদের বুকিং বাতিল করতে শুরু করেছেন।

     টয় ট্রেনেও ধাক্কা!

    সিকিমের দুর্ঘটনার জন্য পর্যটকরা দার্জিলিং থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলেই ধাক্কা খাবে টয় ট্রেনের জয় রাইড পরিষেবাও। গত বছর পর্যটকের ঢল নামায় টয় ট্রেন সর্বকালীন রেকর্ড আয় করেছিল। এবার কী পরিস্থিতি হবে, তা নিয়ে রেল আধিকারিকরাও চিন্তায় রয়েছেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Flood: ‘‘আমি পর্যটক হলে এখানে আসা মন্ত্রীরাও পর্যটক’’, উত্তরবঙ্গে পৌঁছে তৃণমূলকে খোঁচা রাজ্যপালের

    Flood: ‘‘আমি পর্যটক হলে এখানে আসা মন্ত্রীরাও পর্যটক’’, উত্তরবঙ্গে পৌঁছে তৃণমূলকে খোঁচা রাজ্যপালের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিম্নচাপের প্রবল বৃষ্টির জেরে বন্যা (Flood) পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায়। দিল্লি অভিযান শেষে রাজ্যে ফিরতেই তৃণমূল সরকারের মন্ত্রীদের বন্যা পরিস্থিতি দেখতে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। স্থানীয়দের অভিযোগ, এবারও বৃষ্টির জেরে বানভাসি হওয়ার দশা তাঁদের। এমতাবস্থায় বৃহস্পতিবার উত্তরবঙ্গের বন্যা পরিস্থিতি দেখতে গেলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। যথারীতি তাঁকে লক্ষ্য করে কটাক্ষ-বাণ ছুড়ল তৃণমূল। পাল্টা দিলেন রাজ্যপালও। তিনি বলেন, “আমি পর্যটক হলে তৃণমূল সরকারের মন্ত্রীরাও পর্যটক।”

    উত্তরবঙ্গে রাজ্যপাল 

    ফি বছর সামান্য বৃষ্টি কিংবা প্রতিবেশী রাজ্য সিকিমে মেঘভাঙা বৃষ্টি আর হড়পা বানের প্রভাব পড়ে উত্তরবঙ্গে। তা সত্ত্বেও বন্যা (Flood)  মোকাবিলার কোনও ব্যবস্থা তৃণমূল সরকারের আমলে করা হয়নি বলে অভিযোগ। এবারও বৃষ্টি এবং সিকিমের মেঘভাঙা বৃষ্টি আর হড়পা বানের জেরে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে উত্তরে। সেই পরিস্থিতিই খতিয়ে দেখতে দিল্লি থেকে শিলিগুড়িতে পৌঁছে গিয়েছেন রাজ্যপাল। তারপরেই তৃণমূলের তরফে ধেয়ে এসেছে কটাক্ষ-বাণ।

    রাজ্যপালের তির্যক বাণ

    জানা গিয়েছে, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহারের কোনও কোনও জায়গায় অতিপ্রবল বৃষ্টি হতে পারে। তাই এই তিন জেলায় জারি করা হয়েছে রেড অ্যালার্ট। ইয়োলো অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে দার্জিলিং, কালিম্পং, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদহের কোনও কোনও জায়গায়। সেই কারণেই উত্তরবঙ্গের পরিস্থিতি চাক্ষুষ করতে গিয়েছেন রাজ্যপাল। তৃণমূলের ‘পর্যটক’ খোঁচার জবাবে রাজ্যপাল বলেন, “হ্যাঁ, আমি পর্যটক। বিপদগ্রস্ত মানুষদের দেখতে এসেছি। জুনিয়র অ্যাপয়েন্টি মন্ত্রীদেরও আমার সঙ্গে পর্যটকের মতো আসা উচিত ছিল।”

    আরও পড়ুুন: পুর-নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষের দুয়ারে ইডি, চলছে তল্লাশি

    উত্তরবঙ্গে যাওয়ার আগে রাজ্যপাল ফোনে কথা বলেন মুখ্যসচিব এইচকে দ্বিবেদীর সঙ্গে। তাঁর কাছ থেকে জেনে নেন রাজ্যের পরিস্থিতি। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে রাজ্যের তরফে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, সে ব্যাপারেও খোঁজখবর নেন তিনি। এদিন উত্তরবঙ্গে গিয়ে বেশ কয়েকজন দুর্গতের সঙ্গে কথা বলেন রাজ্যপাল। শোনেন তাঁদের অভাব-অভিযোগের কথা। এদিকে, সিকিমের পরিস্থিতি (Flood) নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি দিয়েছেন সাংসদ বিজেপির রাজু বিস্ত।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dengue: ডেঙ্গি মোকাবিলায় ব্যর্থ রাজ্য! কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ চিকিৎসক

    Dengue: ডেঙ্গি মোকাবিলায় ব্যর্থ রাজ্য! কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ চিকিৎসক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার রাজ্যের বিরুদ্ধে ডেঙ্গি (Dengue) মোকাবিলায় ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন এক চিকিৎসক। বুধবার প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের এজলাসে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন চিকিৎসক সঞ্জীব মুখোপাধ্যায়। আবেদনে তিনি বলেছেন, অবিলম্বে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের দিয়ে মেডিক্যাল কমিশন গঠন করে নজরদারির ব্যবস্থা করা হোক। যত্রতত্র আবর্জনা ও জমা জল পরিষ্কারের নির্দেশ দিক আদালত। রক্ত পরীক্ষার জন্য চালু হোক মোবাইল ইউনিট। ওই চিকিৎসকের অভিযোগ, রাজ্যে পুরসভা ও পঞ্চায়েতগুলি কোনও কাজ করছে না। ডেঙ্গি নিয়ে কেন্দ্রকে সঠিক পরিসংখ্যানও রাজ্য দিচ্ছে না।

    ডেঙ্গির বলি বালিকা

    মামলাকারী চিকিৎসকের অভিযোগ যে নিছক ভুয়ো নয়, তার প্রমাণ মিলেছে এদিনই। কলকাতার পাটুলিতে ডেঙ্গিতে (Dengue) মৃত্যু হয়েছে তিথি হালদার নামে বছর দশেকের এক বালিকার। শনিবার জ্বর নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয় তিথি। বুধবার সকালে মৃত্যু হয় তার। এর আগের ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে ডেঙ্গির বলি হয়েছেন তিনজন। এঁদের মধ্যে একজন ঠাকুরপুকুরের, একজন লেকটাউনের, আর একজন মুর্শিদাবাদের। সরকারি মতে মৃতের সংখ্যা ৩ হলেও, বেসরকারি মতে সংখ্যাটা ছাড়িয়েছে ৫০ এর গন্ডি। জানা গিয়েছে, কেবল দক্ষিণ দমদম পুরসভা এলাকায় ডেঙ্গির বলি হয়েছেন ৯জন। স্থানীয়দের অভিযোগ, ডেঙ্গি মোকাবিলায় পুরসভা ব্যর্থ। কাউন্সিলরের দেখা মেলে না।

    ডেঙ্গিতে শীর্ষে উত্তর ২৪ পরগনা

    এদিকে, পুজোর আগে আগেই রাজ্যে বাড়ছে ডেঙ্গির (Dengue) চোখ রাঙানি। ফি বারের মতো এবারও শীর্ষে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। এই জেলায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ১০ হাজারের কাছাকাছি। গত সপ্তাহে স্বাস্থ্য দফতরের দেওয়া পরিসংখ্যান থেকে জানা গিয়েছে, উত্তর ২৪ পরগনায় মোট ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ৯ হাজার ৯৬৫ জন। এর মধ্যে শহরাঞ্চলে আক্রান্তের সংখ্যা ৬ হাজার ৫২৩ জন। আর গ্রামাঞ্চলে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৪৪২ জন। বিধাননগর পুরসভা এলাকায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ২ হাজার ২৯৮ জন। জানা গিয়েছে, কামারহাটি, দক্ষিণ দমদম, বরাহনগর, বারাসাতে ডেঙ্গি পরিস্থিতি ভয়াবহ। ডেঙ্গির প্রকোপ বাড়ছে বনগাঁ, আমডাঙা, হাবড়া ২ নম্বর ব্লক, দেগঙ্গা এবং গাইঘাটা এলাকায়।

    আরও পড়ুুন: “সব নথি নিয়ে ইডির দফতরে যান”, অভিষেককে বলল ডিভিশন বেঞ্চ

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • Abhishek Banerjee: “সব নথি নিয়ে ইডির দফতরে যান”, অভিষেককে বলল ডিভিশন বেঞ্চ

    Abhishek Banerjee: “সব নথি নিয়ে ইডির দফতরে যান”, অভিষেককে বলল ডিভিশন বেঞ্চ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানির বিরুদ্ধে হিসেব বহির্ভূত অর্থের অভিযোগ। অভিযোগ থাকলে ডিরেক্টর বা সিইওকে জিজ্ঞাসাবাদে অসুবিধে কোথায়? আপনি সিইও হলে যে নথি চাওয়া হয়েছে, তা দিয়ে দিন। ১৮৮ এ, হরিশ মুখার্জি রোডের সম্পত্তির খতিয়ান সিঙ্গল বেঞ্চ চাইলে সমস্যা কোথায়? আপনি সাংসদ, আপনার সম্পত্তির খতিয়ান তো নির্বাচন কমিশনকেও দিতে হয়।” বুধবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee) ইডির তলব প্রসঙ্গে পর্যবেক্ষণে এমনই জানাল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। নথির তথ্যে সন্তুষ্ট না হলে তবেই অভিষেককে ডাকা হোক, ইডিকে প্রস্তাব আদালতের। অবশ্য বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশের ওপর কোনও স্থগিতাদেশ দেয়নি ডিভিশন বেঞ্চ। প্রসঙ্গত, বিচারপতি সিনহার নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেই ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক।

    ‘ইডিকে নথি দিন’

    অভিষেকের আবেদন শোনার পর বিচারপতি সৌমেন সেনের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ বলে, “ইডি শেষ যে সমন পাঠিয়েছিল, তাতে যা যা জানতে চাওয়া হয়েছিল, তা ইডিকে দিয়ে দিন। সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশে আপত্তি কোথায়?” নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় নাম জড়ায় ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’ কোম্পানির। এই মামলায় ধৃত ‘কালীঘাটের কাকু’ ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে জেরা করে ওই কোম্পানির নাম জানতে পারেন ইডির তদন্তকারী আধিকারিকরা।

    ‘এতে তো অসুবিধা হওয়ার কথা নয়’

    এই সংস্থার সিইও তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। তাই তলব করা হয় তাঁকে। এদিন বিচারপতি বলেন, “এটি একটি প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি। এর সব তথ্য সামনে আসা উচিত। সিইও-র বিষয়ে যা জানতে চাওয়া হয়েছে, তাও জনসমক্ষে আনা প্রয়োজন। এতে তো অসুবিধা হওয়ার কথা নয়।”

    আরও পড়ুুন: ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’ মামলায় ফের ইডির তলব অভিষেককে, হাজিরার নির্দেশ রুজিরাকেও

    বিচারপতি বলেন, “মাথায় রাখবেন, এটা কোনও সরাসরি তদন্ত নয়। কোর্টের নজরদারিতে তদন্ত চলছে। তাই সিঙ্গল বেঞ্চ এটা করতেই পারে। তদন্তের প্রয়োজনে তদন্তকারী সংস্থার কাছে জবাব চাইতেই পারে সিঙ্গল বেঞ্চ। এতদিন ধরে তদন্ত চলার পরেও কিছু পাওয়া যায়নি। সিঙ্গলবেঞ্চের বিচারপতি তো এ নিয়ে জানতে (Abhishek Banerjee) চাইবেনই।” তিনি বলেন, “আদালতের নজরদারিতে তদন্ত চললে যদি তদন্তকারী সংস্থার রিপোর্টে আদালত সন্তুষ্ট না হয়, তাহলে আবার নির্দেশ দিতে পারে।” অভিষেকের আইনজীবীকে বিচারপতি সেন বলেন, “আপনি (অভিষেক) তদন্তকারী সংস্থাকে সহযোগিতা করুন। যে নথি চাওয়া হয়েছে, তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই তথ্য দেওয়া উচিত। ১২ অক্টোবর ইডির দফতরে সব নথি নিয়ে যান।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dengue Update: ডেঙ্গির বাড়বাড়ন্ত, টানা বৃষ্টিতে জলের তলায় কলকাতা, আর মেয়র ধর্না দিচ্ছেন দিল্লিতে!

    Dengue Update: ডেঙ্গির বাড়বাড়ন্ত, টানা বৃষ্টিতে জলের তলায় কলকাতা, আর মেয়র ধর্না দিচ্ছেন দিল্লিতে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শহরে ডেঙ্গির বাড়বাড়ন্ত, তার ওপর টানা বৃষ্টিতে জলের তলায় কলকাতা। শহরবাসীর এই বিপদের দিনে কলকাতায় নেই মেয়র ফিরহাদ হাকিম। মহানাগরিক গিয়েছেন দিল্লিতে। দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিতে। তাঁর ডেপুটি অতীন ঘোষও ধর্না দিতে রয়েছেন দিল্লিতে। শহরবাসীর নিরাপত্তা যেখানে প্রশ্নের মুখে সেখানে রাজধানীতে নিজেদের স্বার্থ গোছাতে ব্যস্ত ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim) এবং ডেপুটি মেয়র তথা মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) অতীন ঘোষ (Atin Ghosh)।

    শহরে ফের ডেঙ্গি আক্রান্তের মৃত্যু

    পুজোর আর বেশি দিন বাকি নেই। তার আগে কলকাতা-সহ রাজ্যজুড়ে ডেঙ্গির (Dengue) প্রকোপ ক্রমেই বেড়ে চলেছে। কলকাতায় ফের এক ডেঙ্গি আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে। পাটুলিতে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে এক ১০ বছরের বালিকার মৃত্যু হল। মৃতার নাম তিথি হালদার। শনিবার জ্বর নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তিথিকে। আজ সকালে বালিগঞ্জের একটি বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয় তার। ডেথ সার্টিফিকেটে ডেঙ্গির উল্লেখ রয়েছে। পরিসংখ্যান বলছে, গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এক সপ্তাহে শহরে ৯৭৭ জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। গত দু’দিন ধরে বৃষ্টি হওয়ায় ডেঙ্গি সংক্রমণ আরও বাড়তে পারে, বলে মনে করা হচ্ছে। 

    জলমগ্ন কলকাতার বিস্তীর্ণ এলাকা

    মঙ্গলবার রাত থেকেই টানা বৃষ্টিতে জলমগ্ন কলকাতার বিস্তীর্ণ এলাকা। বিক্ষিপ্ত ভাবে জল জমেছে আর এন মুখার্জি রোড, মহাত্মা গান্ধী রোড সংলগ্ন ইস্টার্ন রোড এবং বিবাদী বাগের বেশ কিছু অংশে। অবিরাম বর্ষণের কারণে জলে ডুবে রয়েছে মহাত্মা গান্ধী রোড এবং রবীন্দ্র সরণীর একাংশ। সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউের মুক্তারামবাবু স্ট্রিট, মহাত্মা গান্ধী রোড থেকে হাওড়া যাওয়ার রাস্তা এবং কলেজ স্ট্রিটের কাছে বেশ কয়েকটি অংশে বৃষ্টির জল জমে রয়েছে। আর্মহার্স্ট স্ট্রিট এবং কেশবচন্দ্র স্ট্রিটেরও বেশ কিছু অংশ জলমগ্ন থাকায় তীব্র যানজট এবং যাত্রীদুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে। যাতায়াতের পথে জল জমায় সমস্যার মুখে পড়েছেন ওই রাস্তাগুলি সংলগ্ন এলাকার সাধারণ মানুষ।কলকাতার পাতিপুকুর এবং কাঁকুড়গাছি আন্ডারপাসে জল জমেও তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টির জলে ডুবে গিয়েছে দমদমের বিভিন্ন এলাকাও। বৃষ্টির জল জমে বেহাল অবস্থা বেহালার শকুন্তলা পার্কের আশপাশের বেশ কয়েকটি রাস্তার। বিভিন্ন জায়গায় জল জমে থাকায় ডেঙ্গির মশা বংশ বিস্তার করতে পারে বলে অনুমান।

    আরও পড়ুুন: ‘বালি মাফিয়াদের জন্য রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতি, কোনও নজরদারি নেই’, তোপ আলুওয়ালিয়ার

    মেয়র কেন দিল্লিতে

    ডেঙ্গি আতঙ্ক ও বৃষ্টির জোড়া ফলায় শহরবাসী যখন ঘায়েল,  তখন দিল্লিতে তৃণমূলের ধর্না কর্মসূচিতে গিয়েছেন মেয়র ও ডেপুটি মেয়র। এমনকী, কলকাতার (Kolkata) একাধিক কাউন্সিলর থেকে শুরু করে বোরো চেয়ারম্যান বেশিরভাগই দিল্লিতে গিয়েছেন। আর এই নিয়ে সুর চড়িয়েছে বিরোধীরাও। তাদের বক্তব্য, ডেঙ্গি-ত্রাসের মধ্যে মেয়র, ডেপুটি মেয়র-সহ অধিকাংশ পুর-প্রতিনিধির দিল্লি-অভিযান অত্যন্ত বেমানান। এর ফলে শহরের ডেঙ্গি পরিস্থিতি আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারে। এ প্রসঙ্গে বিজেপি (BJP) কাউন্সিলর সজল ঘোষ বলেন, ‘মেয়র ও ডেপুটি মেয়রের কলকাতার বাইরে থাকার অর্থ, ডেঙ্গি আরও ভয়াবহ চেহারা নেবে। মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) মশা মারতে ড্রোন ওড়াচ্ছেন। আর যখন তাঁর কলকাতায় বেশি করে থাকার কথা, তখনই তিনি উধাও!’ বিরোধীরা মেয়র ও ডেপুটি মেয়রের পদত্যাগও দাবি করেন। বিরোধীদের কথায়, ডেঙ্গি মোকাবিলায় রাজ্য তথা কলকাতা পুরসভার কর্মীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। অথচ, মেয়র, ডেপুটি মেয়র দিল্লিতে ছুটি কাটাচ্ছেন!

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share