Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Jadavpur University: ‘‘সৌরভ চৌধুরীর কিছু হলে…’’! যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারকে হুমকি চিঠি

    Jadavpur University: ‘‘সৌরভ চৌধুরীর কিছু হলে…’’! যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারকে হুমকি চিঠি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রমৃত্যুর তদন্তে নয়া মোড়। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসুকে হুমকি চিঠি দেওয়া হল। ‘সৌরভ চৌধুরীর কিছু হলে এক দানাই যথেষ্ট’, এই বয়ানে  হুমকি পোস্ট কার্ড পৌঁছল যাদবপুরের রেজিস্ট্রার-সহ রেজিস্ট্রারের কাছে। হুমকি পোস্ট কার্ডের পরিপ্রেক্ষিতে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে যাদবপুর থানায়। শনিবার যাদবপুর থানায় ভারতীয় দণ্ডবিধির ৫০৬, ৫০৯ এবং ৩৪ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।

    চিঠিতে প্রাণনাশের হুমকি

    বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী ধৃত সৌরভ চৌধুরীকে প্রথম থেকেই মূল অভিযুক্ত বলে দাবি করে আসছে কলকাতা পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে একের পর এক ষড়যন্ত্রের তথ্যও আদালতে পেশ করেছেন সরকারি আইনজীবীরা। এরই মধ্যে সৌরভের পক্ষ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছল হুমকি-চিঠি! তাতে বলা হয়েছে, সৌরভের কিছু হলে, ‘রিভলভরের দানা খরচ করতে বেশি সময় লাগবে না’। রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু, জয়েন্ট রেজিস্ট্রার সঞ্জয়গোপাল সরকারের কাছে এসেছে ওই চিঠি। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, চিঠিতে প্রাণনাশের হুমকির পাশাপাশি ‘জুতোর মালা পরিয়ে বিদায়’ করার মতো কটূক্তিও করা হয়েছে। 

    আরও পড়ুন: আর কিছুক্ষণের অপেক্ষা, তারপরই সূর্যে পাড়ি দেবে ‘আদিত্য-এল১’

    তদন্তে পুলিশ

    প্রসঙ্গত, যাদবপুরের প্রথম বর্ষের পড়ুয়ার মৃত্যুর ঘটনায় গ্রেফতার প্রাক্তনী সৌরভ চৌধুরী। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, টার্গেট করে ওই পড়ুয়াকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হয়। সৌরভ চৌধুরীর নেতৃত্বে এই নির্যাতন করা হয়।  সৌরভকে আগামী ৮ সেপ্টেম্বর ফের আলিপুর আদালতে হাজির করা হবে। আপাতত জেলে বন্দি অঙ্কের স্নাতকোত্তর ওই ছাত্র। এখন কে বা কারা সৌরভের পক্ষ নিয়ে ওই হুমকি পোস্ট কার্ড পাঠিয়েছে, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এর মধ্যে এই হুমকি চিঠি ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। ওই চিঠি পেয়ে তিনি ভয় পেয়ে গিয়েছেন বলে জানিয়েছেন রেজিস্ট্রার। স্নেহমঞ্জুর দাবি, তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। চিঠির বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করা হয় যাদবপুর থানায়। তার প্রেক্ষিতেই মামলরা রুজু করল পুলিশ।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jhalda Municipality: তৃণমূল ক্ষমতাচ্যুত, বন্ধ টাকা! হাইকোর্টের দ্বারস্থ ঝালদার ৭ কাউন্সিলর

    Jhalda Municipality: তৃণমূল ক্ষমতাচ্যুত, বন্ধ টাকা! হাইকোর্টের দ্বারস্থ ঝালদার ৭ কাউন্সিলর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাতছাড়া হওয়া ঝালদা পুরসভা ছিনিয়ে আনতে মরিয়া তৃণমূল। বিরোধীদের জব্দ করতে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা এমনই অভিযোগ। পুরসভা শাসক দলের হাতছাড়া হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন স্কিমের টাকা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ কংগ্রেসের। সেই টাকা পেতেই এবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন ঝালদার ৭ কাউন্সিলর। বৃহস্পতিবার বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চে সেই মামলার শুনানি ছিল।

    বিরোধীদের অভিযোগ

    জেলা কংগ্রেস সভাপতি তথা ঝালদার বাসিন্দা নেপাল মাহাতোর অভিযোগ, ‘‘স্রেফ বিরোধী দলের পুরসভা বলেই বিভিন্ন অছিলায় রাজ্য সরকার ঝালদা পুরসভার ‘হাউজ ফর অল প্রকল্প’-সহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের তহবিল আটকে রেখেছে। সুবিচার পেতে তাই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতে যাচ্ছি।’’ ঝালদা পুরভবন সূত্রে খবর, ‘হাউজ ফর অল প্রকল্পে’ বাড়ি তৈরির জন্য পুরসভায় মোট ৩ কোটি টাকা এসেছিল। গত বছরের শেষে বিরোধীদের ডাকা অনাস্থার জেরে তৃণমূল পুরপ্রধান সুরেশ আগরওয়াল পদ থেকে সরে যাওয়ার কিছু দিনের মাথায় ২ কোটি ৮৭ লক্ষ টাকা পুরসভার তহবিল থেকে ফেরত নেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ঝালদার উপপুরপ্রধান পূর্ণিমার দাবি, ‘‘আবেদন-নিবেদনের পরেও সেই টাকা মেলেনি। সুবিচার পেতে মামলা করা করা ছাড়া গতি নেই।’’

    আরও পড়ুন: চড়া রোদে হেঁটেই বাড়ি বাড়ি প্রচারে সুকান্ত, ‘চোরেদের’ না আনার আহ্বান

    মামলাকারীদের দাবি

    মামলাকারীদের তরফে আইনজীবী কৌস্তুভ বাগচি এদিন আদালতে জানান, শাসক দলের হাত থেকে পুরসভা চলে যাওয়ার পর থেকেই টাকা দেওয়া হচ্ছে না। এ কথা শুনে বিচারপতি প্রশ্ন করেন, তবে পুরসভা চলছে কীভাবে? আইনজীবী জানান, পুরসভার তরফ থেকে একাধিকবার টাকা দেওয়ার জন্য আবেদন জানানো হয়েছে। কিন্তু রাজ্য কোনও উত্তর দেয়নি। টাকা প্রত্যাহার করার কোনও নথি আছে কি না, তা দেখতে চান বিচারপতি সিনহা। উল্লেখ্য, গত পুরসভা নির্বাচনের পর পুরুলিয়ার ঝালদা পুরসভার কংগ্রেসের পুরপ্রতিনিধি তপন কান্দুকে গুলি করে খুন করা হয়। এরপর উপ পুরপ্রধান হন তাঁর স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দু। তারপরও ওই পুরসভার ক্ষমতা ফিরে পেতে বারবার বিভিন্নভাবে চেষ্টা চালিয়েছে তৃণমূল। এমনই অভিযোগ কংগ্রেসের।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: “মনে হচ্ছে সিবিআইয়ের আগে সিআইডি লক্ষ্যে পৌঁছবে”, নিয়োগ মামলায় মন্তব্য বিচারপতির  

    Calcutta High Court: “মনে হচ্ছে সিবিআইয়ের আগে সিআইডি লক্ষ্যে পৌঁছবে”, নিয়োগ মামলায় মন্তব্য বিচারপতির  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “মনে হচ্ছে সিবিআইয়ের আগে সিআইডি নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছতে পারবে।” শুক্রবার এমনই মন্তব্য করলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। মুর্শিদাবাদের গোঠা হাইস্কুলে ভুয়ো নথি দিয়ে চাকরিতে যোগদানের মামলায় এদিন এই মন্তব্য করে বিচারপতি বসু। এই মামলায় আগের শুনানিতে সিআইডিকে ভর্ৎসনা করেছিলেন তিনি। এদিন প্রকাশ করেন সন্তোষ।

    সিআইডির আইনজীবীকে প্রশ্ন

    এদিন সিআইডির আইনজীবীকে আদালতের প্রশ্ন, “যাঁরা জাল নথি জমা দিয়ে চাকরি পেয়েছেন, তাঁদের কি চিহ্নিত করা গিয়েছে?” সিআইডির আইনজীবী জানান, তাঁদের চিহ্নিত করা গিয়েছে। বিচারপতি বসুর প্রশ্ন, “তাঁদের তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে কি?” সিআইডির তরফে জানানো হয়, জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি, নথি পরীক্ষার কাজ চলছে। এর পরেই বিচারপতি (Calcutta High Court) বসু বলেন, “মনে হচ্ছে সিআইডি সিবিআইয়ের আগে লক্ষ্যে পৌঁছে যাবে। জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শককে বলুন এই শিক্ষকদের ওপর নজর রাখতে।”

    নিয়োগ দুর্নীতি 

    প্রসঙ্গত, জাল নথি দিয়ে সুতির গোঠা এ আর রহমন হাইস্কুলে শিক্ষকতা করছিলেন অনিমেষ তিওয়ারি। এই স্কুলের প্রধান শিক্ষক তাঁর বাবা। অভিযোগ, তিনিই প্রভাব খাটিয়ে ছেলেকে স্কুলে চাকরি পাইয়ে দিয়েছেন। বিষয়টি আদালতের নজরে আসে। পরে জানা যায়, কেবল অনিমেষ নন, জাল নথি দিয়ে আরও কয়েকজনও ওই স্কুলে চাকরি করছেন। এই দুর্নীতির তদন্তভার সিআইডির হাতে দেন বিচারপতি বসু। তদন্ত করতে সিআইডির আধিকারিকরা একাধিকবার ওই স্কুলে যান। তার পরেও তদন্তে বিশেষ অগ্রগতি না হওয়ায় গত শুনানিতে সিআইডিকে ভর্ৎসনা করেছিলেন বিচারপতি।

    আরও পড়ুুন: “দেদার ছাপ্পা চললেও, প্রাণভয়ে কিছু করতে পারিনি”! হাইকোর্টে স্বীকারোক্তি প্রিসাইডিং অফিসারের

    সিআইডির তরফে ওই মামলার তদন্তের দায়িত্বে কারা রয়েছেন, তার তালিকা চেয়ে পাঠিয়েছিলেন তিনি। তদন্তের দায়িত্বে থাকা আধিকারিকদের আদালতে তলবও করেন বিচারপতি বসু (Calcutta High Court)। সিআইডির তদন্তকারী ওই দলের প্রধানকে তাঁর প্রশ্ন, “আপনি কী মনে করছেন, থালায় করে আপনাকে নথি সাজিয়ে দিয়ে আসা হবে?” তদন্ত এভাবে এগোলে এই মামলায় তদন্তের ভার সিবিআইকে দেওয়ার নির্দেশের ব্যাপারে বিবেচনা করবেন বলেও জানিয়েছিলেন বিচারপতি বসু।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: “দেদার ছাপ্পা চললেও, প্রাণভয়ে কিছু করতে পারিনি”! হাইকোর্টে স্বীকারোক্তি প্রিসাইডিং অফিসারের

    Calcutta High Court: “দেদার ছাপ্পা চললেও, প্রাণভয়ে কিছু করতে পারিনি”! হাইকোর্টে স্বীকারোক্তি প্রিসাইডিং অফিসারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বুথ দখল হওয়ার পরে দেদার ছাপ্পা চললেও, প্রাণ ভয়ে কিছু করতে পারিনি।” শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টে হলফনামা দিয়ে এমনই জানালেন ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনের এক প্রিসাইডিং অফিসার। পেশায় শিক্ষক সুমিত পাণ্ডে নামের ওই প্রিসাইডিং অফিসার আদালতকে জানিয়েছেন, দেদার ছাপ্পা হলেও, প্রাণ ভয়ে শান্তিপূর্ণ ভোট লিখতে বাধ্য হয়েছিলেন তিনি।

    প্রিসাইডিং অফিসারের বিস্ফোরক স্বীকারোক্তি 

    প্রিসাইডিং অফিসারের এই বিস্ফোরক স্বীকারোক্তির পর মুর্শিদাবাদের বেলডাঙা ২ ব্লকের ওই বুথে পুনর্নির্বাচন করা নিয়ে কমিশনের অবস্থান জানতে চেয়েছে আদালত। প্রসঙ্গত, ৪ জুলাই রাজ্যে এক দফায় হয় পঞ্চায়েত নির্বাচন। ভোট গণনা হয় ১১ জুলাই। এই নির্বাচনে অবাধ ছাপ্পা ও বুথ দখলের অভিযোগ তোলেন বিরোধীরা। তাঁদের অভিযোগ যে নিছক অমূলক নয়, এদিন প্রিসাইডিং অফিসারের স্বীকারোক্তিই তার অন্যতম ‘প্রমাণ’।

    পুনর্নির্বাচনের দাবি

    বেলডাঙার কাশীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে ছাপ্পা ও রিগিংয়ের অভিযোগে পুনর্নির্বাচনের দাবিতে হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হন সিপিএম প্রার্থী নাসিমা বেগম। তাঁর অভিযোগ, নির্বাচনের দিন ও ভোট গণনার দিন তাঁর এজেন্টদের মারধর করে ভোটকেন্দ্র ও গণনাকেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল। মামলাটি ওঠে বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে। তিনি ওই বুথের প্রিসাইডিং অফিসারের হলফনামা তলব করেন। আদালতে হলফনামা দিয়ে ওই প্রিসাইডিং অফিসার জানান, ভোট গ্রহণের দিন বেলা ১২টা নাগাদ বুথে ঢুকে পড়ে একদল সশস্ত্র দুষ্কৃতী।

    আরও পড়ুুন: লক্ষ্য ‘এক দেশ এক নির্বাচন’ নীতি লাগু! কোবিন্দের সঙ্গে সাক্ষাৎ নাড্ডার

    গামছা দিয়ে বাঁধা ছিল তাদের মুখ। বুথে ঢুকেই ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নিয়ে দেদার ছাপ্পা দিতে শুরু করে তারা। সিসি ক্যামেরা ভেঙে দেয়। বেলা ১২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত বুথ দখল করে রেখেছিল তারা। দুষ্কৃতীরা তাঁর ও পোলিং অফিসারদের মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়েছিল। তাই তাঁরা ঘটনার কথা পুলিশকে জানাতে পারেননি। বিকেল ৫টায় নির্বাচন শেষ হলে তাঁকে ‘ভোট শান্তিপূর্ণ’ লিখতে বাধ্য করে। প্রিসাইডিং অফিসারের  এই হলফনামার ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন ওই বুথে ফের নির্বাচন করাতে চায় কিনা, ৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে হলফনামা দিয়ে তা জানাতে হবে কমিশনকে। ১২ সেপ্টম্বর ফের শুনানি হবে ওই মামলার (Calcutta High Court)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: বেহালায় ৩২ বছর ধরে চলছে সরকারি অনুমোদনহীন স্কুল! বিস্মিত বিচারপতি

    Calcutta High Court: বেহালায় ৩২ বছর ধরে চলছে সরকারি অনুমোদনহীন স্কুল! বিস্মিত বিচারপতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  সরকারি অনুমোদন ছাড়াই ৩২ বছর ধরে চলছে স্কুল। তাও আবার খাস কলকাতার বুকে। বেহালার বিবেকানন্দ পল্লী কিশোর ভারতী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এই ৩২ বছরে হাজার হাজার ছাত্রছাত্রী মাধ্যমিক উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেছে। জানা গিয়েছে, ওই স্কুলের নাকি সরকারি অনুমোদনই নেই। এই তথ্য সামনে আসতেই শুক্রবার সরগরম হয় কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। ঘটনা এক শিক্ষিকার পেনশনকে ঘিরে। ২০১৭ সালে বেহালার বিবেকানন্দ পল্লী কিশোর ভারতী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে অবসর নেন শিক্ষিকা ধারা বন্দ্যোপাধ্যায় কিন্তু তারপরে থেকেই তিনি পেনশন পাচ্ছিলেন না বলে অভিযোগ। সব জায়গায় দরবার করার পরে তিনি মধ্যশিক্ষা পর্ষদের দ্বারস্থ হন সেখানেও তাঁর সমস্যার সমাধান হয় না। এরপর স্কুল শিক্ষিকা সোজা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হন। 

    শুক্রবারই বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর একক বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয়

    শুক্রবারই বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর একক বেঞ্চে (Calcutta High Court) এই মামলার শুনানি হয়। সেখানে ধারা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আইনজীবী বলেন, ‘‘মধ্যশিক্ষা পর্ষদে গিয়ে তাঁর মক্কেল জানতে পারেন যে স্কুলের সরকারি অনুমোদনের পুনর্নবীকরণ সংক্রান্ত ১৬,০০০ টাকা বকেয়া রয়েছে। ওই টাকা পর মধ্যশিক্ষা পর্ষদ যদি পায় তখনই পদক্ষেপ নিতে পারবে।’’ এই শুনে রীতিমতো অবাক হয়ে যান বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু (Calcutta High Court)। তিনি প্রশ্ন করেন, ‘‘কীভাবে স্থায়ী সরকারি (Calcutta High Court) অনুমোদন ছাড়া ৩২ বছর ধরে একটা স্কুল চলছে! জেলা স্কুল পরিদর্শকরা এতদিন ধরে কী করছিলেন? তাঁদের কাজ কি শুধু বদলি সংক্রান্ত বিষয়ে নজরদারি রাখা?’’ বিচারপতি (Calcutta High Court) বসুর আরও সংযোজন, ‘‘মধ্যশিক্ষা পর্ষদই বা কি করছে? এত বছরে তো হাজার হাজার জন স্কুল থেকে মাধ্যমিক পাশ করেছে? তাঁরা যদি বাইরে পড়তে যায় এবং সেই বিশ্ববিদ্যালয় যদি স্কুলের অনুমোদন সংক্রান্ত তথ্য অনুসন্ধান করে না পায় তাহলে মহা বিপদে পড়বে পড়ুয়ারা।’’  

    কী বলছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ?

    অন্যদিকে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের আইনজীবী বলেন,‘‘এরকম অনেক স্কুল আছে। নিয়ম অনুযায়ী প্রথমে অস্থায়ী অনুমোদন দেওয়া হয় এবং পরবর্তী ক্ষেত্রে স্কুলের আবেদনের ভিত্তিতে স্থায়ী অনুমোদন দেওয়া হয়। এই স্কুল হয়তো সেই আবেদন করেনি।’’ এই পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতির মন্তব্য, ‘‘এটা তো অত্যন্ত চিন্তার বিষয়!’’এদিন বিচারপতি (Calcutta High Court) বিশ্বজিৎ বসু, নির্দেশ দেন সরকারি অনুমোদনের জন্য কোনও শিক্ষিকার পেনশন আটকে থাকতে পারে না। এ সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য আদালতে জমা করারও নির্দেশ দেন বিচারপতি বসু। আগামী ১২ সেপ্টেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য (Calcutta High Court) করা হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: তিলকে আপত্তি মমতার! ভিডিও পোস্ট করে ধর্মনিরপেক্ষতার প্রশ্নে খোঁচা সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: তিলকে আপত্তি মমতার! ভিডিও পোস্ট করে ধর্মনিরপেক্ষতার প্রশ্নে খোঁচা সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভিডিও পোস্ট করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মেকি ধর্মনিরপেক্ষতার প্রশ্নে বিঁধলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। যদিও বিজেপির রাজ্য সভাপতির পোস্ট করা ওই ভিডিও-এর সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম। ওই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কপালে তিলক এঁকে দিতে যাচ্ছেন এক মহিলা। কিন্তু দ্রুত মাথা সরিয়ে নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হাত তুলে ইঙ্গিত দিচ্ছেন যে আমি লাগাবো না তিলক। এমনটাই দেখা যাচ্ছে সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) পোস্ট করা ওই ভিডিওতে।

    সুকান্ত মজুমদারের পোস্ট করা ভিডিও 

    এই নিয়ে খোঁচা দিতে ছাড়েননি বিজেপির রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar)। তিনি তাঁর ট্যুইটার (অধুনা এক্স) হ্যান্ডেলে লিখছেন, ‘‘তৃণমূল সুপ্রিমো লম্বা-চওড়া বক্তব্য রাখেন তাঁর নিজস্ব ব্র্যান্ড ধর্মনিরপেক্ষতা নিয়ে। আর সম্মানীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Sukanta Majumdar) নমাজের সময় মাথায় ঢাকতে পারেন কিন্তু টিকা নিতে পারেন না। এতে আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই যে তিনি রাজবংশীদের সমৃদ্ধশালী ঐতিহ্যকে অপমান করেছেন।’’

    প্রতিক্রিয়া বিভিন্ন নেটিজেনদের 

    সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) পোস্ট করা এই ভিডিওতে নেটিজেনদের প্রতিক্রিয়াও সামনে এসেছে। একজন লিখছেন, ওনার মাথায় হিজাব ভালো লাগে। আর একজন লিখছেন, গেরুয়া তিলকে কেমন বিজেপি বিজেপি গন্ধ আছে, ওসব কপালে পরলে রাষ্ট্রবাদের রোগ হয়ে যাবে। আর একজন লিখছেন, ওসব কপালে পরলে কী করে পশ্চিম বাংলাদেশ বানাবেন বাংলাকে? আর প্রধানমন্ত্রীই  বা হবেন কীভাবে স্বাধীন পশ্চিম বাংলাদেশের?

    আরও পড়ুুন: তৃণমূল সমাবেশে বেফাঁস মন্তব্য, চটে লাল রাজবংশী, মতুয়ারা, মমতাকে নিশানা শুভেন্দুরও

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CV Ananda Bose: আচার্যই উপাচার্য! ফাঁকা পদে নিজেই দায়িত্ব সামলাবেন রাজ্যপাল

    CV Ananda Bose: আচার্যই উপাচার্য! ফাঁকা পদে নিজেই দায়িত্ব সামলাবেন রাজ্যপাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যে সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নেই সেখানে পড়ুয়াদের সার্টিফিকেট–সহ অন্য কিছু পেতে আর অসুবিধা হবে না। বৃহস্পতিবার রাতে এক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে রাজভবনের তরফে জানানো হয়েছে, রাজ্যের যে ১৪টি বিশ্ববিদ্যালয় বর্তমানে উপাচার্যহীন, সেই সব ক’টি বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্তর্বর্তিকালীন উপাচার্য নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত আচার্য নিজেই সেই দায়িত্ব পালন করবেন। কার্যত এক নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত নিলেন আচার্য সিভি আনন্দ বোস।

    পড়ুয়াদের স্বার্থেই সিদ্ধান্ত

    ক্ষমতাবলে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ (CV Ananda Bose) বোসই রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য। রাজভবনের তরফে জানানো হয়েছে, উপাচার্যহীন বিশ্ববিদ্যালয়গুলির পড়ুয়াদের সমস্যার কথা মাথায় রেখে রাজ্যপালের এই সিদ্ধান্ত। রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য নিয়োগ ঘিরে রাজ্যপালের সঙ্গে বাংলার শাসকদলের সংঘাত চলছে। এরই মধ্যে ফের বড় পদক্ষেপ রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের।  পাশাপাশি, তিনি আরও এক জন অস্থায়ী উপাচার্যকে নিয়োগ করলেন। রাজকুমার কোঠারিকে পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন অন্তর্বর্তিকালীন উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ করলেন রাজ্যপাল। অর্থাৎ এখন রাজ্যের মোট ১৭টি বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থায়ী উপাচার্য রয়েছেন।

    আরও পড়ুন: কেঁপে উঠল চাঁদ! চন্দ্রযান ৩-এর ল্যান্ডার বিক্রম কী বার্তা দিল ইসরোকে?

    রাজভবনের নয়া বিজ্ঞপ্তি

    রাজভবনের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির যে ক’টিতে উপাচার্য পদ খালি রয়েছে সেখানকার ছাত্রদের ডিগ্রি শংসাপত্র এবং অন্যান্য নথি পেতে অসুবিধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। তাঁদের সহায়তার জন্য মাননীয় রাজ্যপাল আচার্য হিসাবে তার ক্ষমতাবলে নতুন উপাচার্য নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত এই রাজভবনের তরফে জানানো হয়েছে, amnesaamne.rajbhavankolkata@gmail.com — এই মেল আইডিতে যে কোনও সমস্যার কথা জানাতে পারবেন পড়ুয়ারা। পাশাপাশি, একটি ফোন নম্বরও দেওয়া হয়েছে। ০৩৩ ২২০০১৬৪২ নম্বরে ফোন করতে পারবেন পড়ুয়ারা। চাইলে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখাও করতে পারবেন তাঁরা। পড়ুয়াদের সমস্যার কথা জানতে মাঝেমধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শন করবেন রাজ্যপাল, এ কথাও জানানো হয়েছে রাজভবনের তরফে।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: কলেজ ছাত্রী সুতপা চৌধুরীকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা, খুনিকে ফাঁসির সাজা

    Murshidabad: কলেজ ছাত্রী সুতপা চৌধুরীকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা, খুনিকে ফাঁসির সাজা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২২ সালের ২ মে বহরমপুর (Murshidabad) গোরাবাজারে একটি মেসের সামনে ছুরি দিয়ে, নৃশংস ভাবে কুপিয়ে খুন করা হয় মালদার ইংলিশ বাজারের সুতপা চৌধুরীকে। আদালত আজ সুশান্তকে এই খুনের শাস্তি হিসাবে মৃত্যু দণ্ডাদেশ শুনিয়েছেন। খুনির শাস্তি ঘোষণায় স্বস্তি পেল পরিবার। 

    ঘটনা কীভাবে ঘটেছিল (Murshidabad)?

    সুতপা চৌধুরী বহরমপুর (Murshidabad) গার্লস কলেজের জিওলজি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। তিনি গোরাবাজারে একটি মেস ভাড়া নিয়ে পড়াশোনা করতেন। উল্লেখ্য সুতপার সঙ্গে মালদার বাসিন্দা সুশান্ত চৌধুরীর সম্পর্ক ছিল বলে জানা যায়। সুতপা এই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসার জন্য চেষ্টা করছিল আর তার ফলস্বরূপ গত ২ মে ভর সন্ধ্যায় বহরমপুর গোরাবাজারে সুইমিং পুলের কাছে সুতপাকে, তার মেস থেকে ডেকে এনে, রাস্তায় ফেলে, নৃশংসভাবে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে খুন করে সুশান্ত চৌধুরী। সুতপার শরীরে ৪২ বার ছুরি চালিয়েছে সুশান্ত। ঘটনাস্থল থেকে সুশান্ত পালিয়ে গেলেও মুর্শিদাবাদ জেলা পুলিশের তৎপরতায় ধরা পড়ে সুশান্ত। পরে সুশান্ত এই ঘটনার সমস্ত দোষ স্বীকার করে নেয়।

    আদালতে ফাঁসির রায় ঘোষণা

    গত পরশু মঙ্গলবার বহরমপুরে (Murshidabad) দ্রুত নিস্পত্তি আদালতে এই মামলার রায় শুনতে বহরমপুরের সাধারণ মানুষ আইনজীবী থেকে লক্লার্ক ভিড় জমান। এই আদালতের বিচারক গত সপ্তাহে বন্ধু প্রকাশ পাল খুনের অপরাধে উৎপল বেহারাকে ফাঁসির আদেশ দেন আদালত। সেই কারণে সুতপা চৌধুরী খুনের মামলায় বহরমপুরের বাসিন্দাদের আলাদা নজর ছিল। গত পরশু মঙ্গলবার বিকেলে সরকারি আইনজীবী বিভাস চট্টোপাধ্যায় জানান, ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ এবং ২৮ অস্ত্র আইনে বিচারক অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করেছেন আদালত। হত্যাকাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত সুশান্ত চৌধুরীকে বহরমপুরের তৃতীয় দ্রুত নিষ্পত্তি (ফাস্ট ট্র্যাক) আদালতের অতিরিক্ত জেলা দায়রা বিচারক সন্তোষ কুমার পাঠক সুশান্ত চৌধুরী ফাঁসির সাজা শোনান। সুশান্ত চৌধুরী ফাঁসির সাজা শোনার পরে আত্মীয় পরিজনদের দিকে তাকিয়ে কেঁদে ফেলেন। সুশান্তের আইনজীবী পীযূষ ঘোষ বলেন যে তার মক্কেল একজন মেধাবী ছাত্র, তার ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রার্থনা করেছিলাম, মহামান্য আদালত তার মৃত্যুদণ্ড আদেশ দিয়েছেন। আইনজীবী আরও বলেন, রায়ের কপি পাওয়ার পর সুশান্তের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণাবর্ত! কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে আগামী ৪-৫ দিন চলবে বৃষ্টি

    Weather Update: বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণাবর্ত! কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে আগামী ৪-৫ দিন চলবে বৃষ্টি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বঙ্গোপসাগরে সক্রিয় ঘূর্ণাবর্ত। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, আগামী ৪-৫ দিন ধরে বৃষ্টি চলবে দক্ষিণবঙ্গে। বৃহস্পতিবারও সকাল থেকে বিক্ষিপ্ত ভাবে বৃষ্টি হয়েছে শহরে। একাধিক গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা যে কারণে জলমগ্ন। ফলে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণেও সমস্যা হচ্ছে। যানজটের সমস্যা হচ্ছে শহরের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায়। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আপাতত আগামী তিন দিন বৃষ্টি চলবে শহরে।

    কোন কোন রাস্তা জলমগ্ন

    কলকাতা ট্র্যাফিক পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, জল জমেছে থিয়েটার রোড, এজেসি ফ্লাইওভার, এজেসি বোস রোড, বর্ধমান রোডে। এছাড়া সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ, মহাত্মা গান্ধী রোড ও কলেজ স্ট্রিটের বিভিন্ন জায়গায় জল জমেছে। আমহার্স্ট স্ট্রিট এবং বিধান সরণিতেও জল দাঁড়িয়েছে। ঠনঠনিয়া কালীবাড়ি এলাকাতেও জল। প্রবল বৃষ্টিতে জল জমেছে দমদম এবং উল্টোডাঙা আন্ডারপাসেও। দক্ষিণ কলকাতারও কিছু এলাকাতে জল জমেছে। গোলপার্ক, গড়িয়াহাট এবং কসবায় হালকা জল জমেছে। বেহালার বিস্তীর্ণ এলাকায় জল রয়েছে বলে খবর।

    হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস

    কলকাতায় মূলত বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর। বৃষ্টির নেপথ্যে রয়েছে বঙ্গোপসাগরের ঘূর্ণাবর্ত। তবে স্থানীয় বজ্রগর্ভ মেঘ থেকেও বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টির কারণে এখনই কলকাতায় তাপমাত্রার বড় কোনও হেরফের হবে না। আলিপুরের হাওয়া অফিস জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার কলকাতায় সকাল সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর আড়াইটে পর্যন্ত তিন ঘণ্টায় ৪২.৭ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। বিকেলেও বৃষ্টি চলতে পারে। এই মুহূর্তে একটি ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে, যার অবস্থান উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর। মৌসুমী অক্ষরেখা উত্তরবঙ্গের ওপরে রয়েছে। ঘূর্ণাবর্তের জন্য প্রচুর মেঘ তৈরি হয়েছে দক্ষিণবঙ্গের উপর। এর ফলে প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া, পূর্ব মেদিনীপুর, উত্তর ২৪ পরগনায়।

    আরও পড়ুন: নিয়োগ-দুর্নীতির তদন্তের জাল গুটিয়ে আনছে ইডি, নোটিশ ১২টি পুরসভাকে

    উত্তরবঙ্গে আগামী চার পাঁচ দিন ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। যেহেতু ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে বঙ্গোপসাগরের উপর তাই দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি হবে আগামী ৪-৫ দিন। দক্ষিণবঙ্গে আগামী চার-পাঁচ দিন বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে। আগামী রবিবার দক্ষিণবঙ্গের পাঁচটি জেলায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাসও দিয়েছে আলিপুর। তবে কলকাতায় এই মুহূর্তে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস নেই। 

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Titagarh Wagons: আমেদাবাদ মেট্রোর ১০টি রেক তৈরির বরাত পেল বাংলার টিটাগড় ওয়াগন

    Titagarh Wagons: আমেদাবাদ মেট্রোর ১০টি রেক তৈরির বরাত পেল বাংলার টিটাগড় ওয়াগন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার গুজরাটের মেট্রোর রেক (Ahmedabad Metro Phase 2) তৈরি হবে বাংলার টিটাগড়ে (Titagarh Wagons)। গুজরাট রেল কর্পোরেশন ৩৫০ কোটি টাকার বরাত দিল টিটাগড় রেল সিস্টেমকে। এই মেট্রো প্রকল্পের নির্মাণ, নকশা তৈরি সহ যাবতীয় কাজ এবং পরীক্ষা করার কাজ করবে টিটাগড় ওয়াগন। বাংলার জন্য এই বরাদ্দ অত্যন্ত সুখবর বলেই অনেকে মনে করছেন।

    টিটাগড় রেল সিস্টেমের ডিরেক্টরের বক্তব্য (Ahmedabad Metro Phase 2)

    টিটাগড় রেল সিস্টেমের (Titagarh Wagons) ডিরেক্টর পৃথ্বীশ চৌধুরি বলেন, আগামী ৭০ সপ্তাহের মধ্যে মেট্রোর রেক তৈরি হবে। হুগলির উত্তরপাড়ায় সংস্থার যে প্ল্যান্ট রয়েছে, সেখানেই তৈরি হবে এই রেক। তিনি আরও বলেন, মোটামুটি আগামী ৯৪ সপ্তাহের মধ্যে আমেদাবাদে (Ahmedabad Metro Phase 2) রেক পৌঁছানোর লক্ষ্যমাত্রা স্থির করা হয়েছে। বরাত অনুযায়ী টিটাগড়ে মোট ১০ টি রেক তৈরি হওয়ার কথা হয়েছে। আমেদাবাদে এই দ্বিতীয় মেট্রো প্রকল্পে খরচ হবে ১৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। আরও জানা গেছে, আমেদাবাদে এখনও পর্যন্ত যতটা মেট্রো সম্প্রসারণ হয়েছে, তার সঙ্গে আরও ২৮.২ কিমি নতুন পথ সংযোজন হবে। উল্লেখ্য, আমেদাবাদ মেট্রো প্রকল্পের প্রথম পর্বে, টিটাগড় ওয়াগন ৮৫০ কোটির কাজ করেছিল। এছাড়াও সুরাটের মেট্রো প্রকল্পে মোট ২৪ টি রেক তৈরির কাজ করেছিল এই টিটাগড় ওয়াগন (Titagarh Wagons)। এবার তারা আরও নতুন বরাত পেল।

    আমেদাবাদ মেট্রো প্রকল্প

    আমেদাবাদে দ্বিতীয় পর্যায়ের মেট্রো প্রকল্পের সূচনা করেছিলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ২০২১ সালের ১৮ জানুয়ারি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে শিলান্যাস করেছিলেন তিনি। সেই সময় এই প্রকল্পের কাজের জন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন বিজয় রুপানি এবং রাজ্যপাল ছিলেন আচার্য দেবদ্রাত। এছাড়াও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হিসাবে ছিলেন অমিত শাহ এবং হরদ্বীপ সিং পুরী। সেই সময় মোট মেট্রোর পথ ছিল ২৮.২৫৪ কিমি এবং আনুমানিক খরচ ধরা হয়েছিল ৫৩৮৪.১৭ কোটি টাকা। আমেদাবাদের মেট্রো প্রকল্পের সঙ্গে বাংলার নাম জুড়ে যাওয়ায় অনেকেই খুশি। 

       

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share