Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • BJP: তৃণমূল সমাবেশে বেফাঁস মন্তব্য, চটে লাল রাজবংশী, মতুয়ারা, মমতাকে নিশানা শুভেন্দুরও

    BJP: তৃণমূল সমাবেশে বেফাঁস মন্তব্য, চটে লাল রাজবংশী, মতুয়ারা, মমতাকে নিশানা শুভেন্দুরও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভুল সংশোধন না করলে ঠাকুরবাড়িতে ঢুকতে দেওয়া হবে না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। বুধবার এমনই হুঁশিয়ারি দিলেন গাইঘাটার বিধায়ক বিজেপির (BJP) সুব্রত ঠাকুর। কেবল মতুয়ারা নন, তৃণমূল সুপ্রিমোকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন রাজবংশীরাও। দুই সম্প্রদায়ের এহেন হুঁশিয়ারিতে যারপরনাই বিব্রত তৃণমূল নেত্রী। নেত্রীকে বাঁচাতে দলের তরফে ড্যামেজ কন্ট্রোলের চেষ্টা করা হয়েছে বটে, তবে তাতে যে কাজ হয়নি, সুব্রতর হুঁশিয়ারিতেই তা স্পষ্ট।

    তৃণমূল নেত্রীর বেফাঁস মন্তব্য

    ২৮ অগাস্ট ধর্মতলায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত জনসভায় ভাষণ দিচ্ছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে স্বশরীরের এক একটি অঙ্গের সঙ্গে তুলনা করছিলেন এক একটি জাতিকে। মতুয়া ও রাজবংশীদের তিনি তুলনা করেন তাঁর পায়ের সঙ্গে। তৃণমূল নেত্রীর এহেন মন্তব্যে বেজায় চটেছেন এই দুই সম্প্রদায়ের মানুষ। মমতার বক্তব্যের নিন্দা করে মঙ্গলবার সাংবাদিক সম্মেলন করেন গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশন।

    ক্ষোভ উগরে দিলেন মতুয়ারা

    বুধবার ক্ষোভ উগরে দেন মতুয়ারাও (BJP)। মতুয়া মহাসংঘের মহাসংঘাধিপতি তথা বিধায়ক সুব্রত ঠাকুর বলেন, “এর আগেও উনি (মমতা) আমাদের ঠাকুর সম্পর্কে বিকৃত মন্তব্য করেছেন। সমাজের পিছিয়ে রাখা মানুষগুলোকে নিয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে ভুল করে যাচ্ছেন। এটা রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের শোভা পায় না। আমরা রাজবংশীদের সঙ্গে যৌথভাবে প্রতিবাদ করব।” তৃণমূল নেত্রীর ওই বক্তব্যের সমালোচনা করে ট্যুইট করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

    আরও পড়ুুন: একই ব্যাঙ্কে আলাদা নামে দুই অ্যাকাউন্ট রুজিরার! ফাঁসতে পারেন অভিষেকের স্ত্রী?

    তিনি (BJP) লিখেছেন, “রাজবংশী শব্দের আক্ষরিক অর্থ হল গিয়ে ‘রাজকীয় সম্প্রদায়’ অথবা ‘রাজার বংশধর’। ব্যুৎপত্তিবিদদের বিশ্লেষণ অনুযায়ী কোচ রাজবংশের উত্তরাধিকারীদের একটি ধারা রাজবংশী জনজাতিগোষ্ঠীর সূচনা করেছিলেন। রাজবংশীদের একটি সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রয়েছে। অথচ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দ্বিধায় তাঁদের নিজের পায়ের সঙ্গে তুলনা করে দিলেন। করতে পারলেন এমন? রাজ্যের বিরোধী দলনেতা লিখেছেন, যদি তর্কের খাতিরে ধরে নেওয়া যায় যে বিভিন্ন সম্প্রদায় কতটা প্রিয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে তা বোঝাতে গিয়ে উনি নিজের দেহের অংশবিশেষের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন, তাহলে কাউকে প্রশংসা করার জন্য নয়নের মণি, হৃদয় অথবা কর্মঠ বাহুর সঙ্গে তুলনা টানতেন। কখনও শুনেছেন কাউকে পায়ের সঙ্গে অথবা নখের সঙ্গে তুলনা করতে, প্রশংসাসূচক বক্তব্য রাখতে গিয়ে? কেউ তা করেন না। কারণ তা অপমানের শামিল বলেই গণ্য হয়।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

     

  • Jadavpur University: ইসরোর কাছে সময় চাইল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, কেন জানেন?

    Jadavpur University: ইসরোর কাছে সময় চাইল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কাণ্ডে (Jadavpur University) মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর সঙ্গে কথা বলেছিলেন রাজ্যপাল তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য সিভি আনন্দ বোস। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে তিনি কথা বলেছিলেন ইসরোর চেয়ারম্যানের সঙ্গে। তার পরেই যাদবপুরে প্রতিনিধি দল পাঠানোর ব্যাপারে সম্মতি দিয়েছিলেন ইসরো কর্তা।

    সময় চাইল বিশ্ববিদ্যালয় 

    ঠিক হয়েছিল, ইসরোর এক প্রতিনিধি দল আসবে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। বিশ্ববিদ্যালয় ঘুরে দেখার পাশাপাশি তাঁরা যাবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলেও। তবে দু এক দিনের মধ্যেই যাদবপুরে আসছে না ইসরোর প্রতিনিধি দল। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তপক্ষ তাঁদের কাছে কিছুটা সময় চেয়ে নিয়েছেন। জানা গিয়েছে, দিন কয়েক আগেই যাদবপুরের অস্থায়ী উপাচার্য পদে বসেছেন গণিতের শিক্ষক বুদ্ধদেব সাউ। ছাত্রমৃত্যুর ব্যাপারে যে পরিমাণ নথি জোগাড় করা প্রয়োজন ছিল, তা এখনও করে উঠতে পারেননি তিনি। তাই সপ্তাহখানেক সময় চেয়ে নেওয়া হয়েছে ইসরোর কাছে।

    অস্বাভাবিক মৃত্যু পড়ুয়ার 

    দিন কয়েক আগে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) হস্টেলে অস্বাভাবিক মৃত্যু হয় স্নাতক বাংলা প্রথমবর্ষের এক পড়ুয়ার। নদিয়ার ওই ছাত্রমৃত্যুর জেরে তোলপাড় হয় রাজ্য-রাজনীতি। তার পরেই ইসরোর চেয়ারম্যান এস সোমনাথের সঙ্গে কথা বলেন আনন্দ বোস। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়রে ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে ইসরোর সাহায্যের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয় তাঁদের মধ্যে। ইসরোর প্রতিনিধি দলকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস ঘুরে দেখার অনুরোধ জানান রাজ্যপাল। সেই ডাকে সাড়া দিয়েই যাদবপুরে আসছেন তাঁরা।

    আরও পড়ুুন: একই ব্যাঙ্কে আলাদা নামে দুই অ্যাকাউন্ট রুজিরার! ফাঁসতে পারেন অভিষেকের স্ত্রী?

    জানা গিয়েছে, ইসরোর প্রতিনিধি দল মূলত দেখবে স্যাটেলাইটকে কাজে লাগিয়ে কোনওভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্ছৃঙ্খলতা বন্ধ করা যায় কিনা। ক্যাম্পাসে মাদক সেবন ও মদ-মাদক নিয়ে প্রবেশ বন্ধ করতে কোনও প্রযুক্তির সাহায্য নেওয়া যায় কিনা, তাও খতিয়ে দেখবেন প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। প্রসঙ্গত, বিমানবন্দর সহ দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে এই ধরনের যন্ত্র বসানো রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরের নিরাপত্তা আঁটোসাঁটো করতে সিসি ক্যামেরাও বসানো হচ্ছে বলে খবর। এজন্য রাজ্যের তরফে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টে প্রায় ৩৮ লক্ষ টাকা পাঠানো হচ্ছে বলে নবান্ন সূত্রে খবর। এদিকে, শুক্রবার বেলা ১২টা নাগাদ সব পক্ষকে নিয়ে বৈঠকে বসছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ছাত্র, শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে জড়িত প্রত্যেকেই যোগ দেবেন ওই বৈঠকে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: কমিশনকে চিঠি! ধূপগুড়ির ভোটে কন্ট্রাকচুয়াল এমপ্লয়িদের ব্যবহারের অভিযোগ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: কমিশনকে চিঠি! ধূপগুড়ির ভোটে কন্ট্রাকচুয়াল এমপ্লয়িদের ব্যবহারের অভিযোগ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ধূপগুড়ি বিধানসভার উপ নির্বাচনের জন্য ৩০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী (30 company central force) মোতায়েন করার কথা বুধবারই জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। কেন্দ্রীয় বাহিনীর ঘেরাটোপে ভোট হলেও ভোটের কাজে রাজ্যের কনট্রাকচুয়াল এমপ্লয়িদের ব্যবহার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুললেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) এবিষয়ে কমিশনের কাছে অভিযোগ জানাচ্ছেন তিনি। অন্যদিকে লোকসভা ভোট এগিয়ে আনা প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা। 

    কমিশনকে চিঠি শুভেন্দুর

    আগামী ৫ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হবে ধূপগুড়ি বিধানসভার উপ নির্বাচন (Dhupguri byelection)।  সেখানে বিজেপির হয়ে প্রচারে গিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বুধবার সন্ধেয় ধূপগুড়ির দুরামারিতে এক দলীয় সভায় বক্তব্য রাখছিলেন শুভেন্দু। সেখানেই তিনি বলেন, “আমরা জানতে পেরেছি, ভোটের কাজে বেশ কিছু কন্ট্রাকচুয়াল এমপ্লয়িদের ব্যবহার করতে চাইছে রাজ্য। এটা করা যাবে না। জেনারেল অবজারভারকে আমরা দলগতভাবে চিঠি পাঠাচ্ছি।” পর্যাপ্ত ফোর্স আসায় বিজেপি চিন্তামুক্ত হল বলেও এদিন খোলামেলা জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা। তাঁর কথায়, “আমরা চিন্তায় ছিলাম। ১৫ কোম্পানিতে ২৬০টি বুথ কভার হচ্ছিল না। তবে পঞ্চায়েতের মতো ভোট হবে না। ৩০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসার ফলে ১০০ শতাংশ বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে। ভোট হবে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ।” ধূপগুড়ির বিধায়ক ছিলেন বিজেপির বিষ্ণুপদ রায়। তাঁর অকাল মৃত্যুর কারণেই উপ নির্বাচন অনিবার্য হয়ে উঠেছে।

    আরও পড়ুন: বিস্তর অসঙ্গতি! এসএসসির নতুন মেধা তালিকা নিয়ে হাইকোর্টে মামলা

    মমতাকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    উল্লেখ্য, গত সোমবার মেয়ো রোডের সমাবেশ থেকে মুখ্যমন্ত্রী সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন, ডিসেম্বরে কিংবা জানুয়ারিতে লোকসভা ভোট করাতে পারে বিজেপি। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের ব্যাখ্যা, দলীয় কর্মী ও সমর্থকরা যাতে নির্বাচনের প্রস্তুতিতে এখন থেকেই ঝাপিয়ে পড়ে, তার জন্যই ভোকাল টনিক দিতে ওই কথা বলেছিলেন মমতা। এদিন এ প্রসঙ্গে শুভেন্দুকে (Suvendu Adhikari) প্রশ্ন করা হলে এক বাক্যে সে জল্পনা উড়িয়ে দেন তিনি। আসন্ন লোকসভা উপলক্ষে কেন্দ্র বিরোধী জোটের বৈঠকে যোগ দিতে মুম্বই গিয়েছেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রীর মুম্বইযাত্রাকে খোঁচা দিয়ে এদিন শুভেন্দু বলেন, ‘মুম্বইয়ে ঘুরতে গিয়েছেন মমতা। লোকসভা ভোট এগিয়ে আনার কোনও প্রশ্নই ওঠে না। ’

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • SSC Merit List: বিস্তর অসঙ্গতি! এসএসসির নতুন মেধা তালিকা নিয়ে হাইকোর্টে মামলা

    SSC Merit List: বিস্তর অসঙ্গতি! এসএসসির নতুন মেধা তালিকা নিয়ে হাইকোর্টে মামলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে গত ২৩ অগাস্ট স্কুল সার্ভিস কমিশন (SSC) নতুন প্যানেল  (Merit List) প্রকাশ করে। সেই প্যানেলেই চূড়ান্ত অসঙ্গতির অভিযোগ তুলে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন কয়েক হাজার চাকরিপ্রার্থী। ওই মামলাতেই ফের কমিশনের কাছে রিপোর্ট তলব করল কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চ।

    কোন মামলার প্রেক্ষিতে এই অভিযোগ

    আদালত (Calcutta High Court) সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৬ সালে উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়। ১ অক্টোবর ২০১৯ প্রথম মেধাতালিকা (SSC Merit List) প্রকাশ করে রাজ্যে স্কুল সার্ভিস কমিশন। কিছু অকৃতকার্য পরীক্ষার্থী সেই তালিকা চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন।   ১১ ডিসেম্বর ২০২০ সালে বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্য এসএসসির মেধা তালিকা বাতিল করে দেন এবং প্রার্থীদের তথ্য আপলোড করে সমস্ত তথ্য প্রকাশ করতে নির্দেশ দেন। নতুন করে ইন্টারভিউর পাশাপাশি মেধা তালিকা প্রকাশ করতে বলেন। ২১ জুন ২০২১ সালে স্কুল সার্ভিস কমিশন ইন্টারভিউ তালিকা প্রকাশ করে। সেখানে যারা প্রথম মেধা তালিকায় অন্তর্ভুক্ত ছিল তাদের নাম বাদ দিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। মামলা গড়ায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসেও।

    আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত মিডল ম্যান প্রসন্ন রায়ের ফ্ল্যাটে তল্লাশি সিবিআই-এর

    সর্বশেষ মামলায় অভিযোগ, গত ২৩ অগাস্ট স্কুল সার্ভিস কমিশন যে নতুন মেধা তালিকা (SSC Merit List) প্রকাশ করেছে, তা-ও ঠিক নয়। প্রকাশিত মেধা তালিকায় সকলের ওএমআর শিট প্রকাশ করা হয়নি। অনেক তালিকাভুক্ত চাকরিপ্রার্থীদের আবেদন পত্র বিকৃত করা হয়েছে। মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিকের প্রার্থীদের প্রাপ্ত নম্বর বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ টেট ওয়েটেজ (টেটে নম্বর) পুনরায় মূল্যায়ন করে প্রথম মেধা তালিকা তৈরি করা হয়েছিল, সেই জন্য প্রথম মেধা তালিকা বাতিল হয়। অথচ সেই নাম্বারের ভিত্তিতে অনেকে সম্প্রতি প্রকাশিত নতুন মেধা তালিকায় স্থান পেয়েছে। বুধবার ওই মামলার শুনানিতে মামলাকারীদের আগামী ৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে লিখিত বক্তব্য আদালতে (Calcutta High Court) জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি। পাশাপাশি স্কুল সার্ভিস কমিশনকে ১৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে রিপোর্ট পেশ করার নির্দেশ দেওয়া হয়। মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ১৪ সেপ্টেম্বর।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: নবম-দশমে শিক্ষক নিয়োগে অনিয়ম! অবিলম্বে ২ প্রার্থীকে চাকরি দেওয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: নবম-দশমে শিক্ষক নিয়োগে অনিয়ম! অবিলম্বে ২ প্রার্থীকে চাকরি দেওয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মেধাতালিকায় তাঁর নাম ছিল ২০৮ নম্বরে। তার পরেও সালমা সুলতানা নামে এক চাকরিপ্রার্থীকে নবম-দশমে নিয়োগ করেনি স্কুল সার্ভিস কমিশন। এর পরেই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন ওই চাকরি প্রার্থী। কাউন্সেলিং করে সালমাকে চাকরি দিতে বলে আদালত (Calcutta High Court)। আদলতের নির্দেশ মেনে এসএলএসটি উত্তীর্ণ সামলা ইন্টারভিউও দেন। তার পর দীর্ঘ সময় কেটে গেলেও, কাউন্সেলিংয়ের জন্য তাঁকে ডাকা হয়নি বলে অভিযোগ।

    নিয়োগপত্র দেওয়ার নির্দেশ

    অথচ তাঁর রোল নম্বরে সুপারিশপত্র এবং নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে। এসএমএসে চাকরিতে যোগ দিতেও বলা হয়েছে। নিয়োগপত্রের কোনও হার্ড কপি না দিয়ে কীভাবে কেবল এসএমএস পাঠিয়েই চাকরিতে যোগ দিতে বলা হয়েছিল, সে প্রশ্ন ওঠে। বুধবার সালমাকে নিয়োগপত্র দেওয়ার নির্দেশ দেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। এক সপ্তাহের মধ্যেই তাঁকে চাকরি দিতে হবে বলেও নির্দেশ দেয় আদালত। এসএমএসের মাধ্যমে কেন নিয়োগ করা হল, তার তদন্তও প্রয়োজন বলে পর্যবেক্ষণ আদালতের। একই ঘটনা ঘটেছে রিক্তা চট্টোপাধ্যায়ের ক্ষেত্রেও। তাঁকেও এক সপ্তাহের মধ্যে চাকরি দিতে হবে বলে নির্দেশ দেয় আদালত।

    হার্ড কপি দেওয়ার নির্দেশ

    এদিন আদালতে (Calcutta High Court) রিপোর্ট পেশ করে স্কুল সার্ভিস কমিশন জানায়, সালমা ও রিক্তার মতো এমন অনেক চাকরি প্রার্থীকেই এসএমএসের মাধ্যমে চাকরি দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। দুশোর বেশি চাকরি প্রার্থীকে এভাবেই নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে। এঁদের মধ্যে অনেকেই চাকরি করছেন। অনেককেই হার্ড কপি দেওয়া হয়নি। এসএসসির তরফে এও জানানো হয়েছে, সালমা ও রিক্তা যে এলাকার বাসিন্দা, সেখানে স্কুলে শূন্যপদ রয়েছে। এর পরেই বিচারপতি বসু তাঁদের হার্ড কপি দেওয়ার নির্দেশ দেন।

    আরও পড়ুুন: ইন্টারভিউয়ে ফেল চাকরি প্রার্থী, ভিডিওগ্রাফি দেখতে চাইলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

    সালমার বাড়ি বীরভূমে। দক্ষিণ দিনাজপুরের গাঙ্গুরিয়া হাইস্কুলের নিয়োগপত্র রয়েছে সালমার। এদিন আদালতের নির্দেশের পর নিজের জেলায়ই পোস্টিং পেতে চলেছেন সালমা। প্রসঙ্গত, পরীক্ষা দেওয়ার সাত বছর পর চাকরি পেতে চলেছেন এই দুই পরীক্ষার্থী। ৯ দিনের মধ্যে তাঁদের চাকরি (Calcutta High Court) দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি বসু। সাত দিনের মধ্যে নিয়োগপত্র দেবে এসএসসি। তারপর দু দিনের মধ্যে তাঁদের নিয়োগপত্র দেবে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: ইন্টারভিউয়ে ফেল চাকরি প্রার্থী, ভিডিওগ্রাফি দেখতে চাইলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

    Calcutta High Court: ইন্টারভিউয়ে ফেল চাকরি প্রার্থী, ভিডিওগ্রাফি দেখতে চাইলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০১৪ সালের টেটের প্রশ্নপত্রে ভুল থাকায় বাড়তি ৬ নম্বর পেয়েছেন আবেদনকারী চাকরিপ্রার্থীরা। অতিরিক্ত এই নম্বর পাওয়ায় অনেক ‘অযোগ্য’ প্রার্থীই পেরিয়েছিলেন যোগ্যতার চৌকাঠ। তবে তার পরেও কপালে ছেঁড়েনি চাকরির শিকে। তাই ফের আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন এক চাকরিপ্রার্থী। এই প্রার্থীর অ্যাপটিটিউড টেস্ট ও ইন্টারভিউয়ের ভিডিওগ্রাফি দেখতে চাইল আদালত (Calcutta High Court)।

    পাশ করেও পাননি চাকরি

    ২০২৪ সালে টেট দিয়েছিলেন আমিনা পারভিন। আদালতের নির্দেশে ওই পরীক্ষা যাঁরা দিয়েছিলেন, তাঁদের প্রত্যেকের ৬ নম্বর করে বেড়েছে। এক লপ্তে ৬ নম্বর বেড়ে যাওয়ায় আমিনার প্রাপ্ত নম্বর হয় ৮২। টেট উত্তীর্ণ হতে গেলে ৮২ পেতে হত। ৮২ পাওয়ার পরেও চাকরি পাননি আমিনা। দ্বারস্থ হন কলকাতা হাইকোর্টের। ১৭ জুলাই হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় পর্ষদ সভাপতি গৌতম পালকে নির্দেশ দেন, আমিনার অ্যাপটিটিউড টেস্ট ও ইন্টারভিউয়ের বন্দোবস্ত করতে হবে। পুরো প্রক্রিয়ার ভিডিওগ্রাফি করার নির্দেশও দিয়েছিলেন বিচারপতি।

    বিচারপতির নির্দেশ

    বুধবার মামলাটি ওঠে আদালতে (Calcutta High Court)। শুনানিতে পর্ষদের তরফে জানানো হয়, প্রার্থীর চাকরি পাওয়ার যোগ্যতা নেই। অ্যাপটিটিউড টেস্ট ও ইন্টারভিউয়ের ফলের ভিত্তিতে এ কথা আদালতে জানায় পর্ষদ। এর পরেই অ্যাপটিটিউড টেস্ট ও ইন্টারভিউয় প্রক্রিয়ার ভিডিয়োগ্রাফি দেখতে চান বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর পর্যবেক্ষণ, এর আগে মামলাকারী আদালতের নির্দেশে পাশের উপযুক্ত নম্বর পেয়েছিলেন। তার পরেও তাঁকে নিয়োগ করা হয়নি বলে ফের আদালতের দ্বারস্থ হতে হয় ওই প্রার্থীকে।

    আরও পড়ুুন: ১৭ সেপ্টেম্বর মোদির জন্মদিন, দেশজুড়ে দু’সপ্তাহব্যাপী ‘সেবা পক্ষ’ কর্মসূচি বিজেপির

    আদালতের নির্দেশে তাঁকে ডাকা হয় ইন্টারভিউয়ের জন্য। তার পরেও চাকরি না পেয়ে ফের আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে বাধ্য হয়েছেন মামলাকারী। আদালত জানিয়েছে, চাকরির উপযুক্ত মেধা প্রার্থীর নেই। ভিডিওগ্রাফি দেখে এ ব্যাপারে নিশ্চিত হতে চাইছে আদালত। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ৮ সেপ্টেম্বর। ওই দিনই আদালতে (Calcutta High Court) পেশ করতে হবে আমিনার অ্যাপটিটিউড টেস্ট ও ইন্টারভিউয়ের ভিডিওগ্রাফি।  

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Duttapukur: দত্তপুকুরে বেআইনি বাজি কারবারে টাকা ঢালত মোহিত, বিস্ফোরণের পর থেকে ফেরার

    Duttapukur: দত্তপুকুরে বেআইনি বাজি কারবারে টাকা ঢালত মোহিত, বিস্ফোরণের পর থেকে ফেরার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দত্তপুকুর (Duttapukur) বিস্ফোরণে নিহত কেরামত আলি, সামসুল আলিদের বাজি কারবার কয়েক বছরের মধ্যেই ফুলে ফেঁপে উঠেছিল। এই কারবারে আব্দুল মোহিত ওরফে মহম্মদ আলির নাম উঠে আসছে। বেআইনি কারবারে তিনি কিংপিনও বলা হচ্ছে। ঘটনার পর থেকে অবশ্য খোঁজ নেই এই মোহিতের।

    কে এই আব্দুল মোহিত?

    ২৭ অগাস্ট রবিবার সকালে দত্তপুকুরের (Duttapukur) মোচপোলে ভয়াবহ বিস্ফোরণের কয়েক মিনিটের মধ্যেই সপরিবার গা-ঢাকা দেন মোহিত। কেরামত, সামসুলের বেআইনি বাজি সাম্রাজ্যে মূলত টাকা ঢালতেন তিনি। সেখান থেকে বছরে তিনি বিরাট অঙ্কের টাকা মুনাফাও করতেন, এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে। এক সময় মোচপোল গ্রামের আশপাশের ইটভাটায় মাটি সরবরাহের কাজ করতেন এই আব্দুল মোহিত। ধীরে ধীরে এলাকার একজন মাটি ব্যবসায়ী হয়ে ওঠেন তিনি। পরে তিনি জমির দালালি মারফত কোটি কোটি টাকা উপার্জন করেন। হাতে কাঁচা টাকা আসায় প্রোমোটিংয়ের কাজও শুরু করেছিলেন তিনি। পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়-সহ আরও কয়েকটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠার পর থেকেই জগন্নাথপুর, মোচপোল গ্রামের আশপাশে জমির দর একলাফে কয়েক গুণ বাড়তে শুরু করে। এলাকা সূত্রে জানা যায়, সেই সুযোগে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরের আশপাশের অধিকাংশ জমিরই লেনদেন হয়েছিল এই আব্দুল মোহিতের হাত ধরে। বাম আমলে তিনি সিপিএম ঘনিষ্ঠ ছিলেন। তখন মাটি এবং জমির কারবার করতেন। পরে, তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পরেই মোহিত তৃণমূলে যোগ দেন। এরপর তিনি শাসক ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠেন।

    কেন বাজি কারবার শুরু করেন মোহিত?

    আরও বেশি টাকা মুনাফার আশায় দত্তপুকুরে (Duttapukur) বাজির কারবারে সরাসরি টাকা লেনদেন করতে শুরু করেন মোহিত। মোচপোলে যে বাড়িটিতে বিস্ফোরণে ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় একাধিক দেহ, সেই বাড়িতে মজুত বাজি কারবারে টাকা ঢেলেছিলেন এই মোহিত, এমনই শোনা যায় এলাকাবাসীর মুখ থেকে। এভাবেই তিনি এলাকার বাজি কারবারের মাস্টারমাইন্ড হয়ে উঠেছিলেন। বিস্ফোরণের পর এক পরিত্যক্ত ইটভাটাতেই হদিশ মেলে। সেই ইটভাটার মধ্যে গিয়ে দেখা যায় অত্যাধুনিক ল্যাবরেটরির, যা নিয়ে কৌতূহলের শেষ নেই। একইভাবে মোচপোল থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে জামতাগড়ে রাস্তার ধারে আব্দুল মোহিতের প্রোমোটিং করা ফ্ল্যাট ঘিরেও রয়েছে নানা বিতর্ক। তিন বছর আগে এই ফ্ল্যাটটি তৈরি করেই প্রোমোটিংয়ে হাতেখড়ি হয় মোহিতের। পাশাপাশি আরো জানা যায়, বেশ কয়েকটি জমিও তিনি নিয়েছিলেন প্রমোটিং করবেন বলে। সঙ্গে জোরকদমে চলে বেআইনি বাজির কারবার। আর তৃণমূলের নেতাদের হাত থাকায় বেআইনি বাজি কারবারে সব জেনেও পুলিশ তাঁর সাম্রাজ্যে পা দিত না। মোটা টাকা দিয়ে পুলিশের মুখ বন্ধ করে রাখতেন তিনি।

    স্থানীয় বাসিন্দারা কী বললেন?

    এলাকাবাসীদের বক্তব্য, তৃণমূল আমল থেকেই মোহিতের বাড়বাড়ন্ত শুরু হয়। তৃণমূলের নেতা, মন্ত্রীর সঙ্গে ওঠাবসা ছিল তাঁর। যদিও বিপদে পড়ে এখন সেই অভিযোগ অস্বীকার করছে শাসকদল। এমনকী বাজি বিস্ফোরণের ক’দিন আগেও জামতাগড়ের ফ্ল্যাটে মোহিতকে দেখা গিয়েছিল, এমনই জানিয়েছেন ওই ফ্ল্যাটের আবাসিকরা। সব মিলিয়ে এখন পুলিশের কাছে সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জ এই বাজি বিস্ফোরণের কিংপিং মোহিতকে খুঁজে বার করা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jadavpur University: সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই যাদবপুরে আসছে ইসরোর প্রতিনিধি দল, কেন জানেন?

    Jadavpur University: সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই যাদবপুরে আসছে ইসরোর প্রতিনিধি দল, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে (Jadavpur University) আসছেন ইসরোর প্রতিনিধি দল। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের ডাকে সাড়া দিয়ে যাদবপুরে আসছেন তাঁরা। সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসবেন তাঁরা। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ঘুরে দেখার পাশাপাশি প্রতিনিধি দলের সদস্যরা যেতে পারেন হস্টেল পরিদর্শনেও। যাদবপুরের পাশাপাশি রাজ্যের আরও কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁরা যেতে পারেন বলেও খবর। যাদবপুরে ভিডিও অ্যানালিটিক্স, টার্গেট ফিক্সিংয়ের মতো অত্যাধুনিক প্রযুক্তি কাজ করবে কিনা, মূলত তা-ই দেখবেন মহাকাশ গবেষণা সংস্থার প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি নিয়েও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন তাঁরা।

    ইসরোর সঙ্গে কথা আনন্দ বোসের 

    দিন কয়েক আগে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) হস্টেলে অস্বাভাবিক মৃত্যু হয় স্নাতক বাংলা প্রথমবর্ষের এক পড়ুয়ার। নদিয়ার ওই ছাত্রমৃত্যুর জেরে তোলপাড় হয় রাজ্য-রাজনীতি। তার পরেই ইসরোর চেয়ারম্যান এস সোমনাথের সঙ্গে কথা বলেন রাজ্যপাল তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য সিভি আনন্দ বোস। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়রে ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে ইসরোর সাহায্যের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। ইসরোর প্রতিনিধি দলকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস ঘুরে দেখার অনুরোধ জানান রাজ্যপাল। সেই ডাকে সাড়া দিয়েই যাদবপুরে আসছেন তাঁরা।

    মদ-মাদক বন্ধে

    স্যাটেলাইটকে কাজে লাগিয়ে কোনওভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্ছৃঙ্খলতা বন্ধ করা যায় কিনা, তা খতিয়ে দেখবেন তাঁরা। ক্যাম্পাসে মাদক সেবন ও মদ-মাদক নিয়ে প্রবেশ বন্ধ করতে কোনও প্রযুক্তির সাহায্য নেওয়া যায় কিনা, তাও খতিয়ে দেখবেন প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। প্রসঙ্গত, বিমানবন্দর সহ দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে এই ধরনের যন্ত্র বসানো রয়েছে। এদিকে, সিসি ক্যামেরা বসানোর খরচ নিয়ে উদ্বেগে ছিলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় (Jadavpur University) কর্তৃপক্ষ। খরচ জোগাড় করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে আবেদন করা হয়েছিল রাজ্য সরকারের কাছেও।

    আরও পড়ুুন: আকসাই চিনে বাঙ্কার, সুড়ঙ্গ খুঁড়ছে চিন, যুদ্ধের প্রস্তুতি লালফৌজের?

    জানা গিয়েছে, শেষমেশ সেই বরাদ্দ মিলেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সিসি ক্যামেরা বসানোর জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ৩৮ লক্ষ টাকা। শিক্ষা দফতর ওই টাকা মঞ্জুর করেছে। এর মধ্যে অচিরেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টে চলে আসবে ৩৭ লক্ষ ৩৮ হাজার ৪৮৪ টাকা। তবে টাকা বরাদ্দ হলেও, কবে থেকে সিসি ক্যামেরা বসানোর কাজ শুরু হবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। উল্লেখ্য, যাদবপুরে সিসি ক্যামেরা বসানোর দায়িত্ব পেয়েছে সরকারি সংস্থা ওয়েবেল। এদিকে, শুক্রবার দুপুর ১২টা নাগাদ সব পক্ষকে নিয়ে বৈঠকে বসছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ছাত্র, শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে জড়িত প্রত্যেকেই যোগ দেবেন ওই বৈঠকে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • West Bengal: জানেন কোন ২১ জন বিধায়ক পশ্চিমবঙ্গকে পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত করতে চেয়েছিলেন?

    West Bengal: জানেন কোন ২১ জন বিধায়ক পশ্চিমবঙ্গকে পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত করতে চেয়েছিলেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতিটি বাঙালির কাছে ২০ জুন অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। ১৯৪৭ সালের ২০ জুন বঙ্গীয় আইন পরিষদে (West Bengal) (অবিভক্ত বাংলার প্রাদেশিক আইনসভা) অখণ্ড বাংলা ভাগের বিষয়টি উত্থাপিত হয়। বাংলাভাগের পক্ষে বড় অংশের ভোট পড়ায় দু’টুকরো হয় বাংলা। এই ভোটাভুটির ফলাফলের ভিত্তিতেই পশ্চিমবাংলা (West Bengal) ভারতের অংশ হয়, পূর্ব বাংলা (যদিও প্রথমে তা পূর্ব পাকিস্তান ও পরে বাংলাদেশ হয়) যুক্ত হয় পাকিস্তানের সঙ্গে।

    দেশভাগের প্রকৃত কারণ ভুলিয়ে দিতে চান মুখ্যমন্ত্রী!

    বিজেপির দাবি, তোষণের রাজনীতির কারণেই দেশভাগের সেই যন্ত্রণাদায়ক দিন ২০ জুন ১৯৪৭ কে  ভুলিয়ে দিতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবারই ‘পশ্চিমবঙ্গ দিবস’ (West Bengal) কোন দিন হওয়া উচিত তা নিয়ে নবান্নে সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বিরোধী দল বিজেপি ওই বৈঠক বয়কট করেছে। ইতিমধ্যে বৈঠকে যোগ না দেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠিও লিখেছেন সুকান্ত মজুমদার। সেখানে বিজেপির রাজ্য সভাপতি লেখেন, ‘‘আপনি লিখেছেন (যোগদানপত্রে) কোনও ২০ জুন তারিখে পশ্চিমবঙ্গ (West Bengal) প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল বলে আমরা কোথাও কিছু পড়িনি বা শুনিনি। আপনার বক্তব্যেই স্পষ্ট যে, খোলা মনে আলোচনা করার জন্য এই বৈঠক ডাকা হয়নি। কিছু পূর্ব পরিকল্পিত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য এই বৈঠককে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করতে চাইছেন। আপনার আগেই নিয়ে ফেলা সিদ্ধান্তে সিলমোহর দিতে আমি বা আমার দলের কোনও প্রতিনিধি সর্বদলীয় বৈঠকে যেতে অপারগ। তাই বিজেপি এই বৈঠকে যোগ দেবে না।’’

    কী বলছেন ইতিহাসবিদরা?

    ইতিহাসবিদরা অবশ্য বিজেপির দাবিতেই সিলমোহর দিয়েছেন। তাঁদের মতে, ১৯৪৭ সালের ২০ জুন আমাদের রাজ্য পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) জন্ম হয়। একই সঙ্গে সামনে এসেছে তৎকালীন ২১ জন বিধায়কের নাম এবং বিধানসভাক্ষেত্র যাঁরা সেদিন পশ্চিমবঙ্গ (West Bengal) তৈরির বিপক্ষে ভোট দিয়েছিলেন, অর্থাৎ তাঁরা চেয়েছিলেন গোটা বাংলাটাই পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত হোক।

    ২১ জন বিধায়ক যাঁরা চেয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গ (West Bengal) পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত হোক

    ১) আব্দুল আহাদ 

    ঠিকানা: গ্রাম ও ডাকঘর – লবশা, সাতক্ষীরা, খুলনা 
    বিধানসভা আসন: সাতক্ষীরা

    ২) এ এফ এম আব্দুর রহমান 

    ঠিকানা: ১৮/১/এ পীতাম্বর ঘটক লেন, আলিপুর 
    বিধানসভা আসন: উত্তর-পূর্ব ২৪ পরগণা 

    ৩) আব্দুস সবুর খান

    ঠিকানা: লোয়ার যশোর রোড, খুলনা
    বিধানসভা আসন: খুলনা

    ৪) আবুল হাশেম

    ঠিকানা: গ্রাম – কাঁসাড়া, ডাকঘর – কাশেমনগর, বর্ধমান 
    বিধানসভা আসন: বর্ধমান 

    ৫) হুসন আরা বেগম

    ঠিকানা: ১১ বি তিলজলা রোড, কলিকাতা 
    বিধানসভা আসন: কলিকাতার মহিলা সংরক্ষিত আসন

    ৬) ইলিয়াস আলি মোল্লা

    ঠিকানা: ১ নং, জগন্নাথ নগর, ডাকঘর – বাটানগর, ২৪ পরগণা 
    বিজয়ী আসন: ২৪ পরগণা (সাধারণ)

    ৭) এম এ এইচ ইস্পাহানি

    ঠিকানা: ৫ হ্যারিংটন স্ট্রিট, কলিকাতা 
    বিজয়ী আসন: মুসলিম শিল্প ও বাণিজ্য সংঘ

    ৮) জসীমউদ্দিন আহমেদ

    ঠিকানা: রামচন্দ্রপুর, ডাকঘর – শিরাকোল, ২৪ পরগণা 
    বিজয়ী আসন: ২৪ পরগণা (দক্ষিণ)

    ৯) মোহাম্মদ শরীফ খান

    ঠিকানা: ২৫৬ বেহস রোড, হাওড়া 
    বিজয়ী আসন: হুগলী তথা হাওড়া পুরসভা

    ১০) মোজাম্মেল হোসেন

    ঠিকানা: বাগেরহাট, খুলনা 
    বিজয়ী আসন: বাগেরহাট

    ১১) মোহাম্মদ ইদ্রিস 

    ঠিকানা: গ্রাম – বাউকুল, ডাকঘর – জগৎবল্লভ পুর, হাওড়া 
    বিজয়ী আসন: হাওড়া 

    ১২) মোহাম্মদ কমরুদ্দিন

    ঠিকানা: কাকিনাড়া, ২৪ পরগণা 
    বিজয়ী আসন: ব্যারাকপুর পুরসভা

    ১৩) মোহাম্মদ রফিক

    ঠিকানা: ১৯, জাকারিয়া স্ট্রিট, কলিকাতা 
    বিজয়ী আসন: কলিকাতা (উত্তর) 

    ১৪) সৈয়দ মোহাম্মদ সিদ্দিক

    ঠিকানা: গ্রাম ও ডাকঘর – রোল, বাঁকুড়া 
    বিজয়ী আসন: বাঁকুড়া

    ১৫) মুসারফ হুসেন 

    (নবাব খান বাহাদুর), জলপাইগুড়ি নগর 
    বিজয়ী আসন: জলপাইগুড়ি তথা দার্জিলিং 

    ১৬) কে  নুরুদ্দিন

    ঠিকানা: ২৪ চৌরঙ্গী রোড, কলিকাতা 
    বিজয়ী আসন: কলিকাতা দক্ষিণ

    ১৭) সিরাজুদ্দিন আহমেদ

    ঠিকানা: গ্রাম – কৃষ্ণপুর, ডাকঘর – সন্দ্বীপ, মেদিনীপুর 
    বিজয়ী আসন: মেদিনীপুর

    ১৮) এইচ এস সুরাবর্দী

    ঠিকানা: থিয়েটার রোড, কলিকাতা 
    বিজয়ী আসন: ২৪ পরগণা পৌরসভা অঞ্চল

    ১৯) এ এম এ জামান

    ঠিকানা: গ্রাম – ইলামদি, ডাকঘর – সুলতানসাদি, ঢাকা 
    বিজয়ী আসন: হুগলী তথা শ্রীরামপুরের নথিবদ্ধ কারখানাগুলি (শ্রমিক)

    ২০) মুদাসীর হুসেন 

    ঠিকানা: রামপুরহাট, বীরভূম 
    বিজয়ী আসন: বীরভূম 

    ২১) আব্দুল ওয়াহিদ সরকার 

    বিজয়ী আসন: হুগলী

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Duttapukur blast: দত্তপুকুর বিস্ফোরণকাণ্ডে বিজেপির দাবি খারিজ হাইকোর্টে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে রিপোর্ট এনআইএ-র  

    Duttapukur blast: দত্তপুকুর বিস্ফোরণকাণ্ডে বিজেপির দাবি খারিজ হাইকোর্টে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে রিপোর্ট এনআইএ-র  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দত্তপুকুর বিস্ফোরণকাণ্ড (Duttapukur blast) মামলায় এনআইএ এবং সিবিআই তদন্তের দাবিতে সোমবার হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী এবং রাজর্ষি লাহিড়ি। মঙ্গলবার বিজেপির সেই আর্জি খারিজ করে দিল আদালত। তদন্তভার রাজ্যের হাতেই রাখার নির্দেশ হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের। আদালত জানিয়ে দিয়েছে, তদন্ত এখন প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। তাই এ ধরনের মামলা অপ্রাসঙ্গিক। তবে মামলাকারী চাইলে যথাযথ ফোরামে গিয়ে আবেদন জানাতে পারেন।

    ঘটনাস্থলে এনআইএ

    রবিবার বিস্ফোরণের খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন এনআইএর প্রতিনিধি দল। এদিন মামলার শুনানিতে এনআইএ আদালতকে জানায়, “আমাদের টিম ঘটনাস্থলে কাজ করছে। ‘এক্সপ্লোসিভ সাবসটেনস অ্যাক্ট’ প্রয়োগ করা হয়নি। তার বদলে ‘ফায়ার সেফটি অ্যাক্ট’ যুক্ত করা হয়েছে। তদন্ত এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এনআইএর আইনজীবীর উদ্দেশে বলেন, “এমন নয় যে, ঘটনাটি বহু দিন আগে ঘটেছে। তদন্ত শুরু হয়নি এমনটাও নয়। রাজ্যের তদন্ত (Duttapukur blast) শুরু হয়েছে। ফলে রাজ্যের বিষয়ে এখনই এনআইএ হস্তক্ষেপের প্রয়োজন নেই।” এর পরেই মামলা খারিজ করে দেন প্রধান বিচারপতি। তিনি বলেন, “বিস্ফোরণ হয়েছে, মানুষের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু এটা এ রাজ্যে নতুন নয়। গোটা দেশেই বাজি কারখানায় এই ধরনের বেআইনি কাজ হয়।”

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে রিপোর্ট

    এদিকে, বিস্ফোরণকাণ্ডে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে রিপোর্ট পাঠাল এনআইএ। বিস্ফোরণস্থলে কী ধরনের বারুদ মিলেছে, বিস্ফোরণের তীব্রতা কতটা ছিল, এমন নানা বিষয়ে মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে রিপোর্ট পাঠালেন এনআইএর তদন্তকারী আধিকারিকরা। সোমবার ঘটনাস্থলে গিয়ে একাধিক ছবি এবং ভিডিও-ও তুলেছিলেন তাঁরা। পাঠানো হয়েছে সেগুলিও।

    আরও পড়ুুন: উৎসবের মুখে মোদি সরকারের ‘উপহার’, ২০০ টাকা কমছে রান্নার গ্যাসের দাম

    রবিবার ছুটির দিনের সকালে আচমকাই কেঁপে ওঠে দত্তপুকুর (Duttapukur blast) এলাকা। বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের জেরে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে সরকারিভাবে জানানো হয়। যদিও স্থানীয়দের দাবি, নিহতের সংখ্যা আরও বেশি। বিস্ফোরণের অভিঘাতে ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় দেহ। ভেঙে পড়ে আশপাশের বেশ কয়েকটি পাকা বাড়িও। ঘটনায় এনআইএ এবং সিবিআই তদন্তের দাবি তোলে বিজেপি। দ্বারস্থ হয় আদালতের। বিস্ফোরণের খবর পেয়ে এলাকায় যান এনআইএর তদন্তকারী আধিকারিকরা। সেই রিপোর্টই পাঠানো হয় দিল্লিতে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
LinkedIn
Share