Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Murshidabad: মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জকাণ্ডে মূল অভিযুক্তকে ফাঁসির নির্দেশ দিলেন বিচারক, কী ঘটেছিল জানেন?

    Murshidabad: মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জকাণ্ডে মূল অভিযুক্তকে ফাঁসির নির্দেশ দিলেন বিচারক, কী ঘটেছিল জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক স্কুল শিক্ষক ও তাঁর অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী ও সাত বছরের সন্তানকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে নৃশংসভাবে কুপিয়ে খুন করার অপরাধে ফাঁসির আদেশ দিল মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) জেলা জর্জ কোর্ট। বিচারক সন্তোষ কুমার পাঠক মামলার সমস্ত তথ্য প্রমাণ দেখে বিরল থেকে বিরলতম ঘটনার জন্য ধৃত যুবক উৎপল বেহরাকে ফাঁসির নির্দেশ দেন। আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, সাজা প্রাপকের নাম উৎপল বেহরা। মৃতদের নাম বন্ধুপ্রকাশ পাল (৪০) এবং তাঁর সাতমাসের গর্ভবতী স্ত্রী বিউটি মণ্ডল পাল (৩০) এবং সাত বছরের ছেলে অঙ্গন।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল? (Murshidabad)

    আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, উৎপলের বেহরার বাড়ি মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সাগরদিঘির সাহাপুর গ্রামে। তিনি পেশায় দিনমজুর। তাঁর বাড়ির কাছে বাড়ি ছিল বন্ধুপ্রকাশের। তিনি পেশায় স্কুল শিক্ষক। জিয়াগঞ্জের লেবুবাগান এলাকায় তিনি বাড়ি করে সপরিবার থাকতেন। তাঁর স্ত্রী বিউটি জীবন বীমার এজেন্ট ছিলেন। জীবন বিমার ব্যবসা বন্ধুপ্রকাশই চালাতেন। বন্ধুপ্রকাশের কাছে জীবন বীমা করেছিলেন উৎপল। প্রতিবছর ২৪ হাজার টাকা করে প্রিমিয়াম দিতে হত উৎপলকে। নিয়ম করে উৎপল পর পর তিন বছর ২৪ হাজার টাকা করে দিয়েছিলেন। পরে, উৎপল জানতে পারেন তাঁর নামে কোনও টাকা জীবন বীমা অফিসে জমা পড়়েনি। এরপরই ফোনে বন্ধুপ্রকাশের সঙ্গে উৎপল ফোনে কথা বলে। তারসঙ্গে বচসা হয়। জাত তুলে কথা বলতেই উৎপল দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়। এরপরই ২০১৯ সালের ৮ ই অক্টোবর  দূর্গা পুজোর দশমীর দিন স্কুল শিক্ষক বন্ধুপ্রকাশ,তাঁর  অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী ও সাত বছরের সন্তানকে ধারালো অস্ত্র  দিয়ে নৃশংসভাবে কুপিয়ে খুন করে। উৎপল বেরাকে অপরাধী সন্দেহ করে গ্রেফতার করা হয়।

    কী বললেন সরকারি আইনজীবী?

    সরকারি আইনজীবী বিভাস চট্টোপাধ্যায় বলেন, ঘরের মধ্যে ঢুকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে অন্তঃসত্ত্বা বধূ, তাঁর স্বামী এবং সাত বছরের সন্তানকে নৃশংসভাবে খুন করে। এই ঘটনা বিরল থেকে বিরলতম ঘটনা। বিচারক সমস্ত সাক্ষ্যপ্রমাণ শুনে এদিন সাজা ঘোষণা করেন।

    কী বললেন মৃতের পরিবারের লোকজন?

    এদিন বন্ধুপ্রকাশের মা সহ পরিবারের লোকজন আদালতে হাজির ছিলেন। বিচারক রায় শোনার পরই বন্ধুপ্রকাশের মা মায়া পাল বলেন, সত্যের জয় হল। ছেলে, বউমা, নাতিকে তো আর ফিরে পাব না। তবে, আমরা যা চেয়েছিলাম বিচারক সেই ফাঁসির রায় দিয়েছে। আমরা খুশি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Central Fund: দু’ দিনের মধ্যে রাজ্যকে ১,৬৪৭ কোটি টাকা দিল কেন্দ্র, খরচ করলেই মিলবে আরও

    Central Fund: দু’ দিনের মধ্যে রাজ্যকে ১,৬৪৭ কোটি টাকা দিল কেন্দ্র, খরচ করলেই মিলবে আরও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সময় মাত্র আটচল্লিশ ঘণ্টা। এই সময়ের মধ্যেই কেন্দ্রের কাছ থেকে ১ হাজার ৬৪৭ কোটি টাকা (Central Fund) পেল নবান্ন। দু’ দিন আগেই পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের ৬৫১ কোটি টাকা পেয়েছিল রাজ্য সরকার। আজ, বৃহস্পতিবার রাজ্যের তহবিলে চলে এল আরও ৯৯৬ কোটি টাকা। জানা গিয়েছে, অবিলম্বে এই অর্থ পঞ্চায়েত ও পুরসভাগুলিতে না পাঠালে বাড়তি সুদ গুণতে হবে রাজ্য সরকারকে। এক বছরের মধ্যে এই বরাদ্দের ৬০ শতাংশ খরচ করতে পারলেই ফের মিলবে টাকা।

    খরচ হয়নি আগের বরাদ্দই 

    প্রসঙ্গত, এর আগে পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের যে বরাদ্দ এসেছিল, রাজ্যের অনেক জেলাই সেই অর্থ খরচ করতে পারেনি। টাকার অঙ্কে এর পরিমাণ প্রায় ২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। ওই টাকা দ্রুত খরচ করতে জেলা প্রশাসনগুলিকে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী।

    বঞ্চনার অভিযোগ

    কেন্দ্রের (Central Fund) বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগে নানা সময় সুর চড়িয়েছে তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকার। একশো দিনের কাজ সহ নানা প্রকল্পে কেন্দ্র বাংলার পাওনা আটকে রেখেছে বলে বিভিন্ন সময় অভিযোগ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই অভিযোগেই ২ অক্টোবর দিল্লিতে ধরনা দেওয়ার কর্মসূচি হাতে নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। মুখ্যমন্ত্রী এও বলেছেন, কেন্দ্রীয় বঞ্চনার জন্য রাজ্যকে অনেক কাজ নিজেদের টাকায় করতে হচ্ছে। এমতাবস্থায় একলপ্তে রাজ্যের তহবিলে চলে এল ১ হাজার ৬৪৭ কোটি টাকা। মূলত গ্রামীণ উন্নয়নের জন্যই এই টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।

    আরও পড়ুুন: শাসকের কৌশল ব্যর্থ! ২৬ অগাস্ট খেজুরিতে শুভেন্দুর সভা হবে, নির্দেশ হাইকোর্টের

    প্রসঙ্গত, কেন্দ্রের (Central Fund) বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা আটকে রাখার জন্য বঙ্গ বিজেপির নেতাদের দুষছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বিজেপিও সাফ জানিয়ে দিয়েছিল, রাজ্য ঠিকঠাক হিসেব দিলেই টাকা দিয়ে দেওয়া হবে। এবার টাকা পাঠিয়ে কেন্দ্র জানিয়ে দিয়েছে, বরাদ্দ টাকার ৬০ শতাংশ খরচ করলেই মিলবে ফের টাকা।

    কেন্দ্রের দেওয়া টাকা রাজ্য খরচ করতে পারে কিনা, এখন সেটাই দেখার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: শাসকের কৌশল ব্যর্থ! ২৬ অগাস্ট খেজুরিতে শুভেন্দুর সভা হবে, নির্দেশ হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: শাসকের কৌশল ব্যর্থ! ২৬ অগাস্ট খেজুরিতে শুভেন্দুর সভা হবে, নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের একবার মাঠে মারা গেল শুভেন্দুর সভায় বাধা দেওয়ার শাসকের কৌশল! ১৯ অগাস্ট পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরিতে সভা করার কথা ছিল রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারীর। ১৪ অগাস্ট এ ব্যাপারে অনুমতি চেয়েছিল পদ্মশিবির।

    সভায় বাধা পুলিশেরও

    বিজেপির আইনজীবীর (Calcutta High Court) দাবি, সভার ঠিক আগের দিন ওই এলাকায় জারি করা হয় ১৪৪ ধারা। এরপর সভার দিন বদল করেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। ঠিক হয়, সভা হবে ২৬ অগাস্ট। এবার বাধ সাধে পুলিশ। বিজেপিকে সভার অনুমতি দেয়নি তালপাতি ঘাট উপকূল থানা। এর পরেই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় বিজেপি। বিজেপির আইনজীবীর অভিযোগ, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় রাজনৈতিক কর্মসূচি করতে প্রতি পদে বাধা দিচ্ছে পুলিশ-প্রশাসন।

    শুভেন্দুর সভা ২৬ অগাস্ট 

    বৃহস্পতিবার আদালতের (Calcutta High Court) নির্দেশ, ২৬ অগাস্ট খেজুরিতে সভা করতে পারবেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ওই দিন দুপুর ২টো থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে সভা করতে পারবে বিজেপি। নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপারকে। আদালত জানিয়ে দেয়, সামান্য অশান্তি হলেই ১৪৪ ধারা জারি করা যায় না। এ রাজ্যে জরুরি অবস্থা জারি হয়নি। রাজ্যের যুক্তি মেনে অশান্তির কারণে যদি খেজুরিতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়, তবে যাদবপুরে নয় কেন? কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত বলেন, “এটা পুলিশ শাসিত রাজ্য নয় বা জরুরি অবস্থাও জারি হয়নি। এভাবে ১৪৪ ধারা জারি করা যায় না। বিরোধীদের আটকাতে বাচ্চাদের মতো লড়াই করছেন কেন? আর অশান্তির কথা যদি বলেন, যাদবপুরে কি ১৪৪ ধারা জারি করেছেন?”

    আরও পড়ুুন: “আমরা তো চাঁদেই বাস করছি”! ভারতের ‘চাঁদমারি’তে শ্লেষ পাক নাগরিকের

    তাঁর মন্তব্য, “আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব রাজ্যের। কিন্তু কেবল বিরোধীদের আটকাতে এমন বাচ্চাদের মতো যুক্তি খাড়া করা যায় না।” বিচারপতি (Calcutta High Court) সেনগুপ্ত বলেন, “যে যে ঘটনার প্রেক্ষিতে ১৪৪ ধারা জারি করা যায়, তার কোনওটাই খেজুরির ক্ষেত্রে ঘটেনি। ভাঙড়েও ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার করা হয়েছে। খেজুরি তো ভাঙড় নয়!” বিচারপতির নির্দেশ, ১৪৪ ধারা জারির নির্দেশ খারিজ করা হল। আগামী ২৬ অগাস্ট খেজুরিতে সভা করতে পারবে বিজেপি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Chandrayaan 3: বিজ্ঞানচর্চায় উৎসাহ দান! ‘চন্দ্রযান পুরস্কার’ ঘোষণা রাজ্যপালের

    Chandrayaan 3: বিজ্ঞানচর্চায় উৎসাহ দান! ‘চন্দ্রযান পুরস্কার’ ঘোষণা রাজ্যপালের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চন্দ্রাভিযানে ভারতের সাফল্যের পর গোটা চন্দ্রযান (Chandrayaan 3) টিম ও ইসরোকে অভিনন্দন জানিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (Governor C V Anand Bose)। একইসঙ্গে বিজ্ঞান-চর্চায় পড়ুয়াদের উৎসাহিত করতে নয়া উদ্যোগ নিচ্ছেন বাংলা সাংবিধানিক প্রধান। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিক্ষেত্রে সেরা পড়ুয়াকে ‘চন্দ্রযান পুরস্কার’ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রাজ্যপাল। পশ্চিমবঙ্গ ও কেরলের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে সেরা পড়ুয়াদের ‘চন্দ্রযান পুরস্কার’ বাবদ ১ লক্ষ টাকা করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন তিনি। 

    কী বললেন রাজ্যপাল

    রাজ্যপাল বোস বাংলার সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই শিক্ষার প্রসারে নজর দিয়েছেন। এবার ভারতের চন্দ্রাভিযানে (Chandrayaan 3) ইতিহাস গড়ার দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে ‘চন্দ্রযান পুরস্কার’ এবং ‘বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সেল’ চালুর সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি। ভারতই একমাত্র দেশ, যে চাঁদের দক্ষিণ মেরুর কাছে সফল অভিযান চালাল। আমেরিকা, রাশিয়া, চিনের পরে চতুর্থ দেশ হিসাবে মহাকাশযান সফল ভাবে চাঁদে অবতরণ করানোর তালিকায় উঠে এল ভারত। ভারতের জয়তে গর্বিত রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।

    রাজ্যপাল এদিন বলেছেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গোটা বিশ্বকে বুঝিয়েছেন কীভাবে যোগচর্চার মাধ্যমে ‘ইনার স্পেস’-কে জয় করা যায়। আর এবার চন্দ্রযান দেখিয়ে দিল আমরা ‘আউটার স্পেস’-কেও জিততে পারি। আমাদের বিজ্ঞানীরা আজ গোটা দেশকে গৌরবান্বিত করেছেন। বিজ্ঞানের জয়জয়াকার হয়েছে।”

    আরও পড়ুন: “ইতিহাস গড়ে, ইসরো ভূগোলের আইডিয়া তৈরি করল”! চন্দ্রযানের সাফল্যে উচ্ছ্বসিত রাষ্ট্রপতি

    রাজভবনে বিজ্ঞান সেল

    কলকাতায় রাজভবনে এদিন একটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সেল চালু করার কথাও ঘোষণা করেন রাজ্যপাল। এর মূল কাজ হবে রাজ্যবাসীকে বিজ্ঞানচর্চায় আরও বেশি উৎসাহিত করে তোলা। চাঁদের দক্ষিণ মেরু জয় চন্দ্রযান ৩-এরসা সাফল্যে শুভেচ্ছা জানিয়ে ট্যুইট করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। সমস্ত বিজ্ঞানীদের অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বলেন, “ভারত এবার মহাকাশের সুপার লিগে।”

    চন্দ্রযানের সাফল্যের জন্য ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় সিবিআইয়ের তলব তৃণমূল নেতা সুজিত বসুকে, ফাঁসতে পারেন মন্ত্রী?

    TMC: নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় সিবিআইয়ের তলব তৃণমূল নেতা সুজিত বসুকে, ফাঁসতে পারেন মন্ত্রী?

    মাধ্যম বাংলা ডেস্ক: নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় সিবিআইয়ের আতস কাচের তলায় রয়েছেন রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের (TMC) অনেকেই। সেই সূত্রেই এবার সিবিআই তলব করল তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যের দমকলমন্ত্রী সুজিত বসুকে। ৩১ অগাস্ট বেলা ১১টা নাগাদ নিজাম প্যালেসে সিবিআই দফতরে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে তাঁকে। এ ব্যাপারে সিবিআইয়ের তরফে ইতিমধ্যেই সুজিতকে নোটিশ পাঠানো হয়েছে বলে সূত্রের খবর।

    সিবিআইয়ের তল্লাশি

    পুর নিয়োগ কেলেঙ্কারির তদন্তে নেমে রাজ্যের একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালায় সিবিআই। তাতে বেশ কিছু নথি উদ্ধার হয়েছে বলে খবর। নিয়োগ কেলেঙ্কারিকাণ্ডে গ্রেফতার করা হয়েছে অয়ন শীলকে। তাঁর বাড়ি থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ১৪টি পুরসভায় তল্লাশি চালায় সিবিআই। সেই সূত্রেই ডেকে পাঠানো হয়েছে সুজিতকে। কারণ মন্ত্রী হওয়ার আগে সুজিত (TMC) ছিলেন দক্ষিণ দমদম পুরসভার উপপ্রধান। ২০১৬ সালে ওই পদে ছিলেন তিনি। সেই সময় নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছিল বলে অনুমান সিবিআইয়ের তদন্তকারী আধিকারিকদের।

    সিবিআইকে কী জানালেন অয়ন?

    ১৯ মার্চ গ্রেফতার হন অয়ন। ইডির দাবি, অয়নের সল্টলেকের অফিসে তল্লাশি চালিয়ে রাজ্যের একাধিক পুরসভার বিভিন্ন পদে চাকরিপ্রার্থীদের ওএমআর শিট উদ্ধার হয়। ইডি সূত্রে খবর, জেরায় অয়ন তদন্তকারীদের জানিয়েছেন, বিভিন্ন পুরসভায় চাকরি পাইয়ে দেওয়ার বিনিময়ে তিনি মোট ২০০ কোটি টাকা তুলেছিলেন। পুরসভায় নিয়োগ কেলেঙ্কারির শেকড়ে পৌঁছতে সিবিআইয়ের হাতে তদন্তভার তুলে দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের ওই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য সরকার। সেখানেও খারিজ হয়ে যায় রাজ্যের আর্জি। বহাল থাকে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের সিবিআই তদন্তের নির্দেশই।

    আরও পড়ুুন: ‘‘আমরা পৃথিবীতে সংকল্প নিয়েছি, আর চাঁদে তা সফল করেছি’’, বললেন মোদি

    এদিকে, সম্প্রতি ফের (TMC) নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় সাঁড়াশি অভিযান শুরু করেছে ইডি। সোম ও মঙ্গলবার তারা হানা দিয়েছিল নিউ আলিপুরে লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের অফিসে। ইডির দাবি, এই সংস্থার সিইও ছিলেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ডিরেক্টর ছিলেন কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। সুজয়ের মেয়ে-জামাইয়ের ফ্ল্যাটেও চালানো হয়েছে তল্লাশি। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিবিরহাটের সাজুয়া এলাকায় প্রাক্তন জেলা সভাধিপতি তৃণমূলের শামিমা শেখের স্বামী ও তৃণমূল নেতা রমজান শেখের আবাসন প্রকল্পেও হানা দিয়েছেন ইডির আধিকারিকরা। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • SSC Panel: উচ্চ প্রাথমিকের মেধাতালিকা প্রকাশ স্কুল সার্ভিস কমিশনের, বিশেষ কী রয়েছে জানেন?

    SSC Panel: উচ্চ প্রাথমিকের মেধাতালিকা প্রকাশ স্কুল সার্ভিস কমিশনের, বিশেষ কী রয়েছে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতীক্ষার অবসান। শেষমেশ কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে মেধাতালিকা (SSC Panel) প্রকাশ করল স্কুল সার্ভিস কমিশন। বুধবার যাঁদের রেজাল্ট বের হল, তাঁরা পরীক্ষা দিয়েছিলেন ২০১৬ সালে, উচ্চ প্রাথমিক অ্যসিস্ট্যান্ট শিক্ষক পদে। হাতের কাজ ও শারীর শিক্ষা বাদে বাকি পদের জন্য আবেদনকারী চাকরিপ্রার্থীদের প্যানেল ও ওয়েটিং লিস্ট প্রকাশ করল কমিশন।

    ফল জানা যাবে এই ওয়েবসাইটে

    জানা গিয়েছে, ১৪ হাজার ৩৩৯টি শূন্যপদ থাকলেও মেধা তালিকায় নাম রয়েছে ১৩ হাজার ৩৩৪ জনের। একাধিক বিষয়ে যোগ্য প্রার্থী না মেলায় ফাঁকা রয়েছে বেশ কিছু পদ। প্রকাশিত মেধা তালিকা দেখা যাবে স্কুল সার্ভিস কমিশনের ওয়েবসাইটে। ফল জানতে লগইন করতে হবে www.westbengalssc.com  এবং www.wbsschelpdesk.com সাইটে। এই তালিকায় যাঁদের ঠাঁই হয়েছে, তাঁদের প্রত্যেকের নাম ও রোল নম্বরের উল্লেখ থাকবে। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মতোই আবেদনকারী (SSC Panel) চাকরিপ্রার্থীদের প্রাপ্ত নম্বর, অ্যাকাডেমিক কোয়ালিফিকেশনের নম্বর সহ যাবতীয় তথ্যের উল্লেখ থাকবে। অস্বচ্ছতা এড়াতেই এই ব্যবস্থা বলে বিকাশ ভবন সূত্রে খবর।

    কমিশনের বক্তব্য

    স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার বলেন, “হাইকোর্টের নির্দেশ ছিল, সব কিছু মাথায় রেখেই আমরা প্যানেল প্রকাশ করেছি। ৩০ তারিখের পর থেকে হাইকোর্টে শুনানি হয়েছে। আমরা প্রার্থীদের সুপারিশপত্র দেব কি দেব না, পুরোটাই নির্ভর করছে হাইকোর্টের ওপর। ৩০ অগাস্ট হাইকোর্টের কাছে নিয়োগের জন্য অনুমতি চাওয়া হবে। এরপর আদালতের নির্দেশ মতোই চলবে প্রক্রিয়া (SSC Panel)। হাইকোর্ট যা বলবে, আমরা তা-ই করব।

    আরও পড়ুুন: ব্রিকসের মঞ্চেও ঘুঁচল না দূরত্ব, মোদি জিনপিং রইলেন দূরে দূরেই

    প্রসঙ্গত, সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত স্কুলগুলির পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত পড়ুয়াদের পড়ানোর জন্য নিয়োগ করা হবে এই শিক্ষকদের। ২০১৪ সালে এসএলএসটি চাকরিপ্রার্থীদের জন্য এই নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর থেকেই শুরু হয় নানা জটিলতা। আন্দোলন, দাবি-প্রতিবাদ, আইনি গেরো কাটিয়ে শেষমেশ বুধ-সন্ধ্যায় দিনের আলো দেখল ওই মেধা তালিকা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Jadavpur University: ‘যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ব়্যাগিং হয়েছিল’! ‘প্রমাণ’ পেল রাজ্য মানবাধিকার কমিশন

    Jadavpur University: ‘যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ব়্যাগিং হয়েছিল’! ‘প্রমাণ’ পেল রাজ্য মানবাধিকার কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৯ অগাস্ট রাতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে (Jadavpur University) ব়্যাগিং হয়েছিল বলে ‘প্রমাণ’ পেলেন রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের তদন্তকারীরা। কমিশন সূত্রে খবর, তদন্তকারী দল সে দিনের রিপোর্ট ও সাক্ষীদের বয়ান খতিয়ে দেখে এই প্রমাণ পেয়েছে। মঙ্গলবারই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনার রিপোর্ট পাঠানো হয়েছিল কমিশনকে। পাঠানো হয়েছিল ৩০টিরও বেশি ফাইল। সেই রিপোর্ট ও সাক্ষীদের বয়ান খতিয়ে দেখতে শুরু করেন কমিশনের তদন্তকারী দলের সদস্যরা। সেই রিপোর্টেই মিলেছে ব়্যাগিংয়ের প্রমাণ।

    রেজিস্ট্রারের বক্তব্য

    কমিশনের প্রমাণ প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু বলেন, “যে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছিল, তার পুরোটাই আমরা জমা দিয়েছি। কমিশন আমাদের ব়্যাগিংয়ের প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে বলে কিছু জানায়নি। বুধবার জাতীয় মানবাধিকার কমিশন থেকেও ছাত্রমৃত্যুর ঘটনার রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। এদিনই সেই রিপোর্ট পাঠানো হবে।” প্রসঙ্গত, ৯ অগাস্ট রাতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রথমবর্ষের এক ছাত্রের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। ওই ঘটনায় তার পরিবার ব়্যাগিংয়ের অভিযোগ করে। অভিযোগের ভিত্তিতে শুরু হয় তদন্ত। প্রাক্তন ও বর্তমান মিলিয়ে গ্রেফতার করা হয় ১৩ জন পড়ুয়াকে।

    ক্যান্টিনের রাঁধুনিকে তলব

    এদিকে, ছাত্রমৃত্যুর জট খুলতে লালবাজারে ডেকে পাঠানো হয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) মেইন হস্টেলের ক্যান্টিনের রাঁধুনিকে। ৯ অগাস্ট রাতে কিংবা তার আগে মেইন হস্টেলে কী হয়েছিল বা হত, তা নিয়ে পুলিশি জেরায় মুখ খুলেছিলেন তিনি। তিনি জানিয়েছিলেন, হস্টেলে প্রথমবর্ষের ছাত্রদের ওপর হওয়া অত্যাচারের কথা। মঙ্গলবার তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর ৯ অগাস্ট রাতের ঘটনা সম্পর্কেও বয়ান রেকর্ড করা হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, রাঁধুনির ওই বয়ানেও ব়্যাগিংয়ের প্রমাণ মিলেছে।

    আরও পড়ুুন: ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’-এর সিইও ছিলেন অভিষেক! বিবৃতি জারি করে জানাল ইডি

    মঙ্গলবার রাঁধুনিকে জেরার পর বুধবার ক্যান্টিনেরই পাঁচ কর্মচারীকে তলব করা হয় যাদবপুর থানায়। এদিন দুপুর পর্যন্ত তাঁদের কয়েকজন থানায় এসেও পৌঁছেছেন। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) ক্যান্টিনে যেহেতু সব ক্লাসের পড়ুয়ারই যাওয়া-আসা থাকে, তাই তাঁদের আলোচনা কিংবা আচরণ চোখ এড়ানোর কথা নয় ক্যান্টিন কর্মীদের। ক্যান্টিনটি হস্টেল লাগোয়া হওয়ায়, হস্টেলের নানা ঘটনা সম্পর্কেও অল্পবিস্তর অবগত ক্যান্টিন কর্মীরা। সেই কারণেই ডাকা হয়ে থাকতে পারে তাঁদের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • ED: ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’-এর সিইও ছিলেন অভিষেক! বিবৃতি জারি করে জানাল ইডি

    ED: ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’-এর সিইও ছিলেন অভিষেক! বিবৃতি জারি করে জানাল ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্রমেই ইডির (ED) ফাঁসে জড়িয়ে পড়ছেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়! বুধবার এক প্রেস বিবৃতিতে ইডি জানিয়ে দেয়, তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’ সংস্থার চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার বা সিইও। ২০১২ সালের এপ্রিল থেকে ২০১৪ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত ওই সংস্থার ডিরেক্টর ছিলেন তিনি।

    ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসে’ তল্লাশি

    প্রসঙ্গত, সোমবার ভোর থেকে ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’ সংস্থার অফিসে তল্লাশি শুরু করেন ইডির গোয়েন্দারা। মঙ্গলবার এ নিয়ে অসন্তোষও প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাতে অবশ্য আখেরে লাভ হয়নি তৃণমূলের। বরং এদিন বিবৃতি জারি করে ইডি (ED)। তাতে বলা হয়েছে, বেআইনি আর্থিক লেনদেনের অভিযোগে গত ২১ ও ২২ অগাস্ট কলকাতায় তারা তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে নিয়োগ দুর্নীতির ঘটনায় সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে আগেই গ্রেফতার করা হয়েছে। সেই সূত্রেই এই তল্লাশি অভিযান চালানো হয়।

    প্রচুর নথি উদ্ধার

    তাতে বেশ কিছু নথি ও ডিজিট্যাল সাক্ষ্য প্রমাণ উদ্ধার ও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ইডির দাবি, সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ছিলেন ‘মেসার্স লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’-এর চিফ অপারেটিং অফিসার তথা সিওও। মূলত কোটি কোটি টাকার বেআইনি লেনদেনের জন্য ব্যবহার করা হত এই কোম্পানিকে। অভিষেকের পাশাপাশি সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রও এই সংস্থার ডিরেক্টর ছিলেন। ২০১২ সালের এপ্রিল থেকে ২০১৬ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত ওই কোম্পানির ডিরেক্টর ছিলেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র।

    এদিকে, ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’-এ ইডির (ED) তল্লাশি নিয়ে প্রশ্ন করায় মেজাজ হারান সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে ‘কালীঘাটের কাকু’। তল্লাশিতে ইডির হাতে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি এসেছে জানতে পেরেই বুকের ব্যথা বেড়েছে সুজয়ের। মঙ্গলবার শারীরিক পরীক্ষা করাতে এসএসকেএমে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তাঁকে। তখনই সাংবাদিকদের প্রশ্নে মেজাজ হারান কালীঘাটের কাকু। তিনি বলেন, “সরুন এখান থেকে, অসভ্য সব…।” পরে বলেন, “দু কোটি বার তল্লাশি করবে, তোর বাপের কী? গালাগালি দিয়ে ফের বলেন, “তোর বাপের কী?”

    আরও পড়ুুন: “২০৪৭ সালের মধ্যেই উন্নত দেশে পরিণত হবে ভারত”, ব্রিকসে প্রত্যয়ী প্রধানমন্ত্রী

    প্রসঙ্গত, ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’-এর বিষ্ণুপুর জল কারখানা থেকে দু’ ব্যাগ নথি ও ডিজিটাল নথি বাজেয়াপ্ত করেছেন ইডির আধিকারিকরা। নিউ আলিপুরের অফিস থেকেও উদ্ধার হয়েছে আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত প্রচুর নথি। 

    ফান্দে পড়িয়াই কি গালাগালি করছেন ‘কাকু’!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: পুরনিয়োগ দুর্নীতিতে প্রথম রাজ্যের ‘হেভিওয়েট’ মন্ত্রীকে তলব সিবিআই-এর

    Recruitment Scam: পুরনিয়োগ দুর্নীতিতে প্রথম রাজ্যের ‘হেভিওয়েট’ মন্ত্রীকে তলব সিবিআই-এর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুরনিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে (municipality recruitment scam) এবার রাজ্যের এক মন্ত্রীকে তলব করল সিবিআই। ইতিমধ্যেই তাঁর কাছে তলবের চিঠি স্পিড পোস্ট করে দেওয়া হয়েছে। সিবিআই সূত্রে খবর,আগামী ৩১ অগাস্ট জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিজাম প্যালেসে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে তাঁকে। 

    কেন মন্ত্রীকে তলব

    পুর নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে আস্তে আস্তে জাল গোটাচ্ছেন তদন্তকারীরা। হাইকোর্টের আইনি জটিলতা কেটে যাওয়ার পরই আরও তৎপর সিবিআই। সিবিআই সূত্রে খবর, নিজাম প্যালেস থেকে বুধবারই স্পিড পোস্টে নোটিস পাঠানো হল রাজ্যের এক গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীকে। যাঁকে ডেকে পাঠানো হয়েছে তিনি একজন হেভিওয়েট মন্ত্রী। তিনি দুর্নীতির সময় পুরসভার গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন। তাঁর সঙ্গে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হওয়া অয়ন শীলের কীভাবে পরিচয়, দুর্নীতি কাণ্ডে তাঁর ভূমিকাই বা কী ছিল, কীভাবে এবং কবে এই দুর্নীতির শুরু, তা জানতেই ডেকে পাঠানো হয়েছে তাঁকে। 

    আরও পড়ুন: ল্যান্ডারের ‘সফট ল্যান্ডিং’ নয়, বিজ্ঞানীদের চিন্তায় রেখেছে চাঁদের ধুলো! কেন?

    আদালতের পর্যবেক্ষণ

    প্রসঙ্গত, অয়ন শীল গ্রেফতার হওয়ার পর প্রথম পুর নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ সামনে আসে। এই মামলায় সিবিআই-কে তদন্ত করার নির্দেশ দেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। পরে হাইকোর্টে এই মামলার বেঞ্চ বদল হয়। ডিভিশন বেঞ্চ সিবিআই তদন্তের নির্দেশ বহাল রাখে। এরপর সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয় রাজ্য। কিন্তু সেখানেও কার্যত ধাক্কা খায় রাজ্য। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশই বহাল রাখে সুপ্রিম কোর্ট। পুর-নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তদন্ত চালিয়ে যায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সিবিআই-এর পক্ষে অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল এ এস ভি রাজু সওয়াল করেছিলেন, দুটি মামলা অর্থাৎ স্কুল ও পুরসভায় নিয়োগে দুর্নীতির ক্ষেত্রে এক সাধারণ অভিযুক্ত রয়েছেন। এই সওয়ালকে মান্যতা দেয় প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। দেশের শীর্ষ আদালতের নির্দেশ পরই প্রথম রাজ্যের কোনও মন্ত্রীকে তলব করলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: ২০১৪-র টেট প্রার্থীদের বাড়তি ৬ নম্বর, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়ই বহাল ডিভিশন বেঞ্চে

    Calcutta High Court: ২০১৪-র টেট প্রার্থীদের বাড়তি ৬ নম্বর, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়ই বহাল ডিভিশন বেঞ্চে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভুল প্রশ্ন মামলায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশই বহাল রাখল কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) ডিভিশন বেঞ্চ। ২০১৪ সালের সব টেট প্রার্থীকেই ৬ নম্বর করে দেওয়া হবে। আজ, মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সৌমেন সেন ও বিচারপতি উদয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, সিঙ্গল বেঞ্চ ২০১৪ সালের সব টেট প্রার্থীকে ৬ নম্বর দেওয়ার যে নির্দেশ দিয়েছিল, তাতে কোনও ভুল নেই। একই সঙ্গে এই মামলা ফের সিঙ্গল বেঞ্চে ফেরত পাঠাল ডিভিশন বেঞ্চ। সেখানে বোর্ড তার হলফনামা জমা দিতে পারবে বলে নির্দেশ ডিভিশন বেঞ্চের।

    টেটের প্রশ্নপত্রে ৬টি প্রশ্ন ভুল

    ২০১৪ সালের টেটের প্রশ্নপত্রে ৬টি প্রশ্ন ভুল রয়েছে এই অভিযোগ তুলে ২০১৮ সালে মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাইকোর্টে। প্রশ্ন যাচাই করতে তৎকালীন বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় প্রশ্ন যাচাই করতে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞদের দিয়ে একটি কমিটি গঠন করেন। সেই কমিটিও জানায়, ৬টি প্রশ্ন ভুল রয়েছে। এর পরেই বিচারপতি চট্টোপাধ্যায় যাঁরা কেবল ওই ভুল প্রশ্নের উত্তর দিয়ে নেগেটিভ মার্কিংয়ের শিকার হয়েছেন, তাঁদের নম্বর দেওয়ার নির্দেশ দেন।

    মামলা ডিভিশন বেঞ্চে

    সিঙ্গল (Calcutta High Court) বেঞ্চের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে মামলা হয় ডিভিশন বেঞ্চে। সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, কেবল মামলাকারীরা নন, ২০১৪ সালে যাঁরা টেট দিয়েছিলেন, তাঁদের সকলকেই ৬ নম্বর দিতে হবে। এই ধরনের অন্য একাধিক মামলায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ও নির্দেশ দিয়েছিলেন, ২০১৪ সালে যাঁরা টেট দিয়েছিলেন, তাঁদের সকলকে ৬ নম্বর দিতে হবে। তিনি এই নির্দেশও দেন, এই ৬ নম্বর পাওয়ায় যাঁরা টেট উত্তীর্ণ হয়েছেন, চলতি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় এবার অংশ নিতে পারবেন তাঁরাও। তিন মাসের মধ্যে ৬ নম্বর দিয়ে চলতি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সুযোগ দিতে হবে তাঁদের। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। তার প্রেক্ষিতেই এদিন রায় দেয় ডিভিশন বেঞ্চ।

    আরও পড়ুুন: “যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী সৌরভই কিংপিন”, আদালতে দাবি পুলিশের

    এবার নতুন করে মেধাতালিকা, প্যানেল ও নিয়োগ কোনপথে হবে, তা নিয়েই সিঙ্গল বেঞ্চে হলফনামা জমা দেবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। প্রসঙ্গত, হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশে, ইতিমধ্যেই ভুল প্রশ্নে নম্বর পেয়ে চাকরি পেয়েছেন ২৬৯ জন। এর বিরুদ্ধে ফের মামলা করেন চাকরিপ্রার্থী মৌমি চক্রবর্তী সহ ১৬৮ জন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share