Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Calcutta High Court: শিক্ষক পোস্টিং মামলায় তদন্ত চালিয়ে যাবে সিবিআই, নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

    Calcutta High Court: শিক্ষক পোস্টিং মামলায় তদন্ত চালিয়ে যাবে সিবিআই, নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত সিবিআই করছে, এর পাশাপাশি এবার পোস্টিং দুর্নীতি মামলাতেও তদন্ত চালাবে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। শুক্রবার এমনই নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। প্রসঙ্গত, প্রাথমিক শিক্ষকদের পোস্টিং নিয়ে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে, এদিন সেই মামলার শুনানি চলছিল তখনই এই নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় (Calcutta High Court)। বিচারপতি নির্দেশ দিয়েছেন যে পোস্টিং দুর্নীতির মাধ্যমে কয়েকজন শিক্ষকের চাকরি পাওয়ার অভিযোগ রয়েছে তাই তাঁদের এই দুর্নীতির বিরুদ্ধে তদন্ত চালিয়ে যেতে পারবে সিবিআই।  

    দিনকয়েক আগেই মানিককে জেলে গিয়ে জেরা করে সিবিআই

    প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগেই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে পোস্টিং দুর্নীতি মামলায় প্রেসিডেন্সি জেলে গিয়ে মানিক ভট্টাচার্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতিকে জিজ্ঞাসাবাদ করার ভিডিও আদালতে পেশ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) এই নির্দেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যান প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য। জিজ্ঞাসাবাদ ও ভিডিও ফুটেজ পেশের এই মামলায় শেষ পর্যন্ত স্থগিতাদেশ দেয় দেশের শীর্ষ আদালত। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এদিনের পর্যবেক্ষণ, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী সিবিআই তদন্ত চালিয়ে যেতে পারবে। প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে প্রাথমিক শিক্ষক পদে বেশ কিছু নিয়োগ হয়েছিল, সেই সময়ে কোন স্কুলে কার পোস্টিং হবে সে নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ তুলে মামলা করেন কয়েকজন শিক্ষক। চলতি বছরের ২৫ জুলাই এ বিষয়ে তদন্ত করার নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Calcutta High Court)। 

    বিচারপতির রায়ে ঘুম উড়েছে অনেকের

    অন্যদিকে, মানিক ভট্টাচার্যের ভিডিও ফুটেজ আদালতে পেশ সংক্রান্ত মামলায় সুপ্রিম কোর্ট যে স্থগিতাদেশ দিয়েছে, তা নিয়ে কিছুটা আক্ষেপ প্রকাশ করতে দেখা যায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে। বিচারপতির এই নির্দেশের পর অনেক আইনজীবী (Calcutta High Court) তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছেন এবং তাঁদের মতামত হল যে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের রায় অনেকের মনে ভয় ধরাতে পেরেছে। তাদের ঘুম উড়ে গিয়েছে। এ কথা শুনে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘‘সাধারণ মানুষের সঙ্গে কেউ দুষ্টুমি করলে তাকে তিনি রেয়াত করবেন না।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • C V Ananda Bose: স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে সরানোর নির্দেশ রাজ্যপালের

    C V Ananda Bose: স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে সরানোর নির্দেশ রাজ্যপালের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষাক্ষেত্রকে দুর্নীতিমুক্ত করতে একের পর এক কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (C V Ananda Bose)। একের পর এক বিশ্ব বিদ্যালয়ের উপাচার্য বদল করেছেন তিনি। এবার ইউজিসি’র নিয়ম মেনে নিয়োগ না হওয়ায় স্বাস্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুহৃতা পালকে অপসারিত করলেন রাজ্যপাল। ঠিক কারণে সুহৃতা পালকে সরানো হয়েছে, তার কারণও জানিয়েছে রাজভবন। 

    রাজভবনের যুক্তি

    উল্লেখ্য, সার্চ কমিটির দ্বারা নিয়োগ হয়েছিলেন স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য  সুহৃতা পাল। কিন্তু সেই কমিটিতে ইউজিসি’র কোনও সদস্য ছিলেন না। পদ্ধতি  না মেনে নিয়োগ হওয়ায় স্বাস্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে সরিয়ে দেওয়া হবে না কেন, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে রাজভবন। এখন দেখার, সুহৃতা পাল কী পদক্ষেপ নেন। সূত্রর খবর, এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধ আদালতে যেতে পারেন সুহৃতা পাল। এদিকে, সুহৃতা পাল যদি সরে যান, তাহলে কে আপাতত সেই পদ সামলাবেন, তা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। সূত্রের খবর, এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে কথা বলছে রাজভবন। প্রসঙ্গত, ২০০৪ সালে এ রাজ্যে স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি হয় । সেই সময় উপাচার্য নিয়োগের জন্য একটি সার্চ কমিটি গঠিত হয়েছিল। সেই কমিটির সুপারিশ অনুযায়ীই নিয়োগ হত। তাতে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন বা UGC-র কোনও  প্রতিনিধি। ২০১৩ সালে আইন সংশোধন হয়। এরপর বাদ পড়ে ইউজিসির প্রতিনিধি। সেই নতুন সার্চ কমিটিই নিয়োগ করেছিল সুহৃতা পালকে।

    আরও পড়ুন: ক্যাম্পাসের ভিতরেও হিংসার প্রবেশ! ছাত্র মৃত্যুর পর যাদবপুরে উদ্বিগ্ন রাজ্যপাল

    কেন অপসারণ

    ঘটনার সূত্রপাত একটি চিঠি ঘিরে। চিকিৎসক সংগঠনগুলি সম্প্রতি স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বিরুদ্ধ চরম অরাজকতার অভিযোগ তুলে রাজ্যপালকে চিঠি দিয়েছিল। তারপর রাজভবনের পক্ষ থেকে পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হয়। তখনই সামনে আসে সুহৃতা পালের নিয়োগ নিয়ম মেনে হয়নি। তার কারণ জানতে চেয়ে একাধিকবার স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে চিঠি পাঠায় রাজভবন। আচার্যের যুক্তি সার্চ কমিটি দ্বারা নিয়োগ হলেও সেই সময় কমিটিতে থাকতেন না ইউজিসি-র কোনও প্রতিনিধি। এ নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্টের নির্দেশ রয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। ইউজিসির নিয়ম না মেনে আদালত অবমাননা করা হয়েছে বলেও চিঠিতে উল্লেখ করেছে রাজভবন। কিন্তু কোনও সদুত্তর মেলেনি। তাই সুহৃতা পালকে অপসারণের নিদের্শ জারি করেছেন রাজ্যপাল। 

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।  
     

  • Bikash Sinha: প্রয়াত হলেন পদ্মভূষণ প্রাপ্ত বাঙালি পরমাণু বিজ্ঞানী বিকাশ সিনহা

    Bikash Sinha: প্রয়াত হলেন পদ্মভূষণ প্রাপ্ত বাঙালি পরমাণু বিজ্ঞানী বিকাশ সিনহা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রয়াত হলেন বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী বিকাশ সিনহা (Bikash Sinha)। শুক্রবার সকালে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বলে জানা গিয়েছে পরিবার সূত্রে। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর। শুক্রবার পরমাণু বিজ্ঞানীর পার্থিব শরীর তাঁর মিন্টো পার্কের বাড়িতে আনা হয়েছে।

    দীর্ঘদিন ধরেই ভুগছিলেন বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় 

    পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত নানান শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন এই পরমাণু বিজ্ঞানী (Bikash Sinha)। এবং বিগত কয়েকদিন ধরে তাঁর অসুস্থতা বেড়েই চলছিল। এমতো অবস্থায় তাঁকে তড়িঘড়ি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। এই পরমাণু বিজ্ঞানীর (Bikash Sinha) প্রয়াণে বিভিন্ন মহল থেকে শোকবার্তা আসছে। বাঙালি বিজ্ঞানী কর্মরত ছিলেন ‘ভেরিয়েবল এনার্জি সাইক্লোট্রোন সেন্টারে’।

    আরও পড়ুন: বোর্ড গঠনের দিন বিজেপি বিধায়কের গাড়ি ভাঙচুর, কাঠগড়ায় তৃণমূল, প্রতিবাদে রাস্তা অবরোধ

    সংক্ষিপ্ত জীবনী

    ১৯৪৫ সালে মুর্শিদাবাদে জন্ম হয় বিকাশ সিনহার (Bikash Sinha)। কান্দির রাজ পরিবারের সদস্য ছিলেন তিনি। তার বাবা বিমল চন্দ্র সিনহা ছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী। দাদা অতীশ সিনহাও মন্ত্রী ছিলেন। ছোট থেকেই মেধাবী এই ছাত্র বিজ্ঞান সাধনায় জীবন কাটিয়েছেন। প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে পদার্থবিদ্যা বিষয়ে ১৯৬৪ সালে তিনি স্নাতক হন। এরপরই উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে যান। পরবর্তীকালে ১৯৭৬ সালে মুম্বাইয়ের ‘ভাবা অ্যাটমিক রিসার্চ সেন্টার’-এ কাজে যোগদান করেন। দুর্গাপুর এনআইটির সঙ্গেও তিনি যুক্ত ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। ২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি তিনি সায়েন্টেফিক অ্যাডভাইসারি কাউন্সিলের সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন। ২০০১ সালে তিনি পদ্মশ্রী পুরস্কার পান। ২০১০ সালে তাঁকে পদ্মভূষণ পুরস্কার দেওয়া হয়।  ২০০২ সাল থেকেই তিনি (Bikash Sinha) বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সদস্য ছিলেন।  ২০০৫ সালে ‘ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ’ এর চেয়ারম্যান পদে নিযুক্তি পান।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jadavpur University: ক্যাম্পাসের ভিতরেও হিংসার প্রবেশ! ছাত্র মৃত্যুর পর যাদবপুরে উদ্বিগ্ন রাজ্যপাল

    Jadavpur University: ক্যাম্পাসের ভিতরেও হিংসার প্রবেশ! ছাত্র মৃত্যুর পর যাদবপুরে উদ্বিগ্ন রাজ্যপাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রথম বর্ষের পড়ুয়া স্বপ্নদীপ কুণ্ডুর মৃত্যুর পর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে (Jadavpur University) গেলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (C V Ananda Bose)। সেখানে গিয়ে তিনি বলেন, ” রাজ্যপাল পদে দায়িত্ব পাওয়ার পর আমার জীবনের অন্যতম দুঃখের দিন। ক্যাম্পাসের ভিতরেও হিংসার প্রবেশ ঘটেছে। এটা খুব দুঃখের বিষয়। ক্যাম্পাসের ভিতরেও হিংসার প্রবেশ ঘটেছে। এটা তার বহিঃপ্রকাশ।”

    কী বললেন রাজ্যপাল

    সাংবাদিকের মুখোমুখি হয়ে রাজ্যপাল স্পষ্ট বলেন, হিংসা বর্জিত বাংলার পাশাপাশি হিংসা বর্জিত বিশ্ববিদ্যালয়ও চান তিনি। সূত্রের খবর, সে কারণেই আজকের দিনটিকে ক্যাম্পাসে অ্যান্টি-ভায়োলেন্স ডে হিসাবে পালন করার ঘোষণা করেন তিনি। শুধু তাই নয়, কী ভাবে স্বপ্নদীপের মৃত্যু হয়েছে তা জানার জন্য তাঁর বাবার সঙ্গেও কথা বলেন। ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে যে কমিটি তৈরি করা হয়েছে তার সদস্যদের সঙ্গেও কথা বলেন তিনি। কথা বলেন পুলিশ-প্রশাসনের সঙ্গেও। কথা বলেন স্বপ্নদীপের সহপাঠীদের সঙ্গে। কিন্তু, যেহেতু তদন্ত চলছে তাই তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি তিনি। তবে সাফ জানিয়ে দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্ত কমিটির সঙ্গে মিনিটে মিনিটে যোগাযোগ রাখবে রাজভবন। 

    আরও পড়ুন: আজ আসছেন মোহন ভাগবত! ‘পঞ্চায়েত রাজ’ সম্মেলন সহ একগুচ্ছ কর্মসূচি নিয়ে রাজ্যে নাড্ডাও

    রাজ্যপালের দুঃখপ্রকাশ

    ইতিমধ্যেই ছাত্র-মৃত্যুর ঘটনায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত করছে পুলিশ। সঠিক তদন্তের দাবিতে এদিন সকাল থেকেই দফায় দফায় অরবিন্দ ভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখায়  একাধিক ছাত্র সংগঠন। উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যেই সন্ধ্যাবেলা ক্যাম্পাসে আসেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। রাজ্যপাল ক্যাম্পাসে ঢুকতেই পড়ুয়াদের স্লোগানের তীব্রতা আরও বাড়তে থাকে। ছাত্রের মৃত্যু নিয়ে রাজ্যপাল দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, “একজন তরুণকে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ , সময়ে হারালাম আমরা। একটা গাছকে আমরা কেটে ফেললাম পুরোপুরি বড় হওয়ার আগেই। যে গাছটি খুব সুন্দর ফুল, ফল দিতে পারতো। আমাদের শপথ নিতে হবে, যে নতুন প্রজন্মের মধ্য হিংসার প্রবেশ ঘটতে দেব না আমরা।”

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।  

     

  • Calcutta High Court: নন্দীগ্রামে জয়ী ৪৭ বিরোধী প্রার্থীকে ১২ অগাস্ট পর্যন্ত রক্ষাকবচ হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: নন্দীগ্রামে জয়ী ৪৭ বিরোধী প্রার্থীকে ১২ অগাস্ট পর্যন্ত রক্ষাকবচ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বোর্ড গঠনের আগে নন্দীগ্রামের (Nandigram) ১ নম্বর ও ২ নম্বর ব্লকের ১৭টি পঞ্চায়েতের ৪৭ জন বিরোধী বিজয়ী প্রার্থীর বিরুদ্ধে এখনই কোনও কড়া পদক্ষেপ নিতে পারবে না রাজ্য পুলিশ। বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশে জানিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। একইসঙ্গে ১১ অগাস্ট বোর্ড গঠনের সময়ে যাতে ওই জয়ী প্রার্থীরা উপস্থিত থাকতে পারেন, তার জন্য তাঁদের কেন্দ্রীয় নিরাপত্তার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। 

    বিজেপির অভিযোগ

    বিজেপির অভিযোগ, বিরোধীদের বোর্ড গঠন রুখে দিতে নন্দীগ্রামের (Nandigram) দুটি ব্লকের ১৭টি পঞ্চায়েতের বিজেপির বিজয়ী প্রার্থীদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে গ্রেফতারের চেষ্টা করছে পুলিশ। এই আশঙ্কায় হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সংশ্লিষ্ট প্রার্থীরা। ওই মামলাতেই এদিন আবেদনকারীদের রক্ষাকবচ দিয়েছে আদালত। আগামী শনিবার পর্যন্ত নন্দীগ্রামের (Nandigram) দুটি ব্লকের ১৭টি পঞ্চায়েতের ৪৭ জন বিরোধী সদস্যের বিরুদ্ধে কোনও কঠোর পদক্ষেপ করা যাবে না। পঞ্চায়েত ভোটের সময় থেকেই নন্দীগ্রাম-সহ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষিপ্ত অশান্তি ও গোলমালের অভিযোগ উঠেছিল। এবার বোর্ড গঠনেও বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না। 

    আরও পড়ুন: “৭ দিন মানে ৭ দিন”! ভুয়ো নথি দিয়ে চাকরি মামলায় সিআইডি-কে ‘ডেডলাইন’ হাইকোর্টের

    বিজেপির স্বস্তি

    উল্লেখ্য, এর আগে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ঘেরাটোপেই (Central Force) নন্দীগ্রামে (Nandigram) পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। আগামিকাল অর্থাৎ, ১১ অগাস্ট বোর্ড গঠন রয়েছে। কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central Force) মোতায়েনের পরও পুলিশি গ্রেফতারি নিয়ে নতুন করে আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল বিজেপি প্রার্থীদের মধ্যে। সেই আশঙ্কা থেকেই হাইকোর্টে মামলা করেন বিজেপির জয়ী প্রার্থীরা। মামলার শুনানি ছিল বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর এজলাসে। শেষ পর্যন্ত আজ আদালত থেকে অন্তর্বর্তী নির্দেশে ওই বিজেপি প্রার্থীদের ১২ তারিখ পর্যন্ত রক্ষাকবচ দেওয়া হল। ফলে এখন কিছুটা স্বস্তির শ্বাস গেরুয়া শিবিরে।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: “৭ দিন মানে ৭ দিন”! ভুয়ো নথি দিয়ে চাকরি মামলায় সিআইডি-কে ‘ডেডলাইন’ হাইকোর্টের

    Recruitment Scam: “৭ দিন মানে ৭ দিন”! ভুয়ো নথি দিয়ে চাকরি মামলায় সিআইডি-কে ‘ডেডলাইন’ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদের সুতির গোথা এআর হাইস্কুলে ভুয়ো নথি দিয়ে চাকরির মামলায় (Recruitment Scam) রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থা সিআইডির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক আশিস তিওয়ারির বিরুদ্ধে ছেলে অনিমেশ তিওয়ারিকে বেআইনিভাবে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত এই মামলায় রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থা সিআইডির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলল কলকাতা হাইকোর্ট। এই মামলায় ৭ দিনের চূড়ান্ত সময়সীমা দেওয়া হয়েছে সিআইডিকে। উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি দেখাক সিআইডি নাহলে তদন্ত স্থানান্তর করা হবে বলে পর্যবেক্ষণ হাইকোর্টের। 

    আদালতের পর্যবেক্ষণ

    বৃহস্পতিবার এই মামলার শুনানিতে সিআইডির উদ্দেশে হুঁশিয়ারি দিয়ে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু বলেন, “কাজ না করলে তার ফল ভুগতে হবে।” তদন্তে রাজ্য কাউকে আড়াল করতে চাইছেন কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। এই প্রসঙ্গে সিআইডির উদ্দেশে বিচারপতির মন্তব্য, “আপনাদের উপর ভরসা রেখে তদন্তের ভার সিবিআইকে না দিয়ে সিআইডিকে দিয়েছিলাম। আপনারা কি আমার সিদ্ধান্তকে ভুল প্রমাণিত করতে চাইছেন?” বুধবারই মামলায় সিআইডির তদন্তের গতি প্রকৃতি নিয়ে হতাশা ব্যক্ত করে আদালত। হস্পতিবার অবশ্য ডিআইজি হাইকোর্টে আসেননি। এই মামলার জন্য গঠিত সাত সদস্যের বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট)-এর চার জন উপস্থিত ছিলেন। বৃহস্পতিবার বিচারপতি বলেন, “আদালত আশা করে এই ধরনের একটা মামলার সময় তদন্তকারী দলের দায়িত্বশীল কোনও আধিকারিক আদালতে উপস্থিত থাকবেন। তদন্তকারী দলে কারা কারা আছেন? ডিআইজি-সিআইডিকে তদন্তকারী দল গঠনের নির্দেশ দিয়েছিলাম। সেই নামগুলো কোথায়?” 

    আরও পড়ুন: খানাকুলে তৃণমূলকে সংখ্যালঘু করে পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন করল বিজেপি

    সাত দিন সময়

    বিচারপতি এদিন আরও বলেন, “এখানে শুধুমাত্র অনিমেষ তিওয়ারির ঘটনা উদঘাটনে সিআইডি-কে দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। এর নেপথ্যে থাকা বৃহত্তর ষড়যন্ত্র খুঁজতে বলা হয়েছে। সেখানে রাজ্যের যদি কোনও কিছু লুকনোর না থাকে সেক্ষেত্রে তা করা উচিত। আর যদি রাজ্য কিছু চাপা দিতে চায় সেক্ষেত্রে বিষয়টি আলাদা। এসএসসি খোঁজ করার চেষ্টা করছে যে কাদের বেআইনিভাবে নিয়োগ করা হল। এটা তো সিআইডি-র খোঁজার কথা।” বিচারপতি আরও বলেন, “এটা একটা সুপরিকল্পিত চক্র। তা কেবলমাত্র একজনের পক্ষে সম্ভব নয়। এতদিন হয়ে গিয়েছে। যথেষ্ট সময় দেওয়া হয়েছে। আর ধৈর্য্য ধরা সম্ভব হচ্ছে না। কিছু লোক এখনও শিক্ষক হিসেবে কাজ করছে, বেতন পাচ্ছে। অথচ তাদের কোনও রেকর্ড কর্তৃপক্ষের কাছে নেই। ১৫ দিন সময় দেওয়ার কোনও সুযোগ নেই। সাতদিন মানে সাতদিন। ব্যক্তি নয়, একটা দল হিসেবে কাজ করুন।” এই মামলার পরবর্তী শুনানি ১৭ অগাস্ট।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Justice Gangopadhyay: ‘‘এখন পিএসসির অবস্থা দেখলে খারাপ লাগে’’, আক্ষেপ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

    Justice Gangopadhyay: ‘‘এখন পিএসসির অবস্থা দেখলে খারাপ লাগে’’, আক্ষেপ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গ পাবলিক সার্ভিস কমিশনে নিয়োগে একাধিক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। তা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Gangopadhyay)। এদিন প্রাথমিকের একটি মামলার শুনানি চলছিল। সেই মামলা চলাকালীন বর্তমানে ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্কের কথা বলতে গিয়ে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Gangopadhyay) পাবলিক সার্ভিস কমিশন নিয়ে মন্তব্য করেন। তাঁর কথায়, ‘‘এখন পিএসসির অবস্থা দেখলে খারাপ লাগে, চোখের সামনে একটা সিস্টেম খারাপ হয়ে গেল।’’ তিনি এই কথা বলতে গিয়ে নিজের ব্যক্তি জীবনের প্রসঙ্গও টেনে আনেন।

    কী বললেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়?

     বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমিও একসময় পিএসসির পরীক্ষা দিয়ে সরকারি চাকরি করেছি। আমি দুটো সরকারি চাকরি করেছি। কাউকে এক টাকাও দিতে হয়নি। তখন অত্যন্ত স্বচ্ছ নিয়োগ হত।’’ এদিন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Gangopadhyay) কথায় উঠে আসে পিএসসি নিয়োগের দুর্নীতির প্রসঙ্গও। তাঁর কথায়, ‘‘পিএসসিতে ২৮ নম্বর ৮২ হয়ে গেল, ভাবা যায়! খারাপ লাগে।’’ আবার রাজ্যের নিম্ন আদালতের নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। এ প্রসঙ্গেও অসন্তোষ প্রকাশ করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।

    আরও পড়ুন: ডেঙ্গি-মৃত্যু নিয়ে ফের চাপানউতোর, রাজ্যের বিরুদ্ধে তথ্য চেপে যাওয়ার অভিযোগ স্বাস্থ্য মন্ত্রকের!

    শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে একাধিক নেতা-মন্ত্রী জেলে

    প্রসঙ্গত, শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারির একাধিক মামলা চলছে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Gangopadhyay) এজলাসে। জেলবন্দী রয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, প্রাথমিক সংসদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য সহ শিক্ষা দফতরের একাধিক কর্তা। শুধু তাই নয়, নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িয়েছে শাসকদলের আরও অনেক নেতার নাম। বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহাও রয়েছেন প্রেসিডেন্সি জেলে। নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে  শুধু স্কুল সার্ভিস কমিশন বা প্রাথমিক টেট নয় পিএসসিরও দুর্নীতি সামনে এসেছে। এছাড়া রাজ্যের ৮০টি পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতিরও তদন্ত চলছে। দুর্নীতির শিকড়ের সন্ধানে একযোগে তদন্ত চালাচ্ছে ইডি-সিবিআই। কলকাতা হাইকোর্টে বারবার ভর্ৎসিত হতে হয়েছে রাজ্যকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Kolkata Metro: ৩৮ বছর পরে বদলাচ্ছে থার্ড রেল! এবার থেকে প্রতি আড়াই মিনিট অন্তর মেট্রো

    Kolkata Metro: ৩৮ বছর পরে বদলাচ্ছে থার্ড রেল! এবার থেকে প্রতি আড়াই মিনিট অন্তর মেট্রো

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৩৮ বছর পরে উত্তর-দক্ষিণ মেট্রোয় পরিকাঠাময় বড় বদল আসতে চলেছে। প্রসঙ্গত, মেট্রো (Kolkata Metro)  পরিষেবা শুরুই হয়েছিল ৩৮ বছর আগে। জানা গিয়েছে, প্রতি আড়াই মিনিটের ব্যবধানে ট্রেন চালাতে প্রায় চার দশক আগেকার ইস্পাতের থার্ড রেল বদলে এবার অ্যালুমিনিয়ামের থার্ড রেল বসতে চলেছে। জানা গিয়েছে, সিঙ্গাপুর, লন্ডন, মস্কো, ইস্তানবুল, বার্লিন শহরে যেমনভাবে মেট্রো (Kolkata Metro) চালানো হয়, সেই ধাঁচেই এবার চলবে কলকাতার মেট্রো। ওই সমস্ত দেশগুলিতে মেট্রো পরিষেবার শুরুর দিকে ইস্পাতের থার্ড রেল ব্যবহার করা হতো এবং তা পরবর্তীকালে বদলে ফেলা হয় অ্যালুমিনিয়ামের থার্ড রেলে। এবার ঠিক এমনটাই হতে চলেছে কলকাতা মেট্রোতে।  কিন্তু হঠাৎ ইস্পাতের পরিবর্তে অ্যালুমিনিয়াম ব্যবহার কেন? এর উত্তর দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মতে ইস্পাতের তুলনায় অ্যালুমিনিয়াম উত্তম পরিবাহী এবং অ্যালুমিনিয়ামের থার্ড রেলের বিদ্যুতের অপচয় ইস্পাতের তুলনা অনেক কম হবে। সাধারণভাবে ইস্পাতের রোধের পরিমাণ বেশি হওয়ায় যখন বিদ্যুৎ পরিবহন হয়, তখন তা অত্যন্ত উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। বিদ্যুৎ প্রবাহের ক্ষেত্রে রোধকে আরও বাড়িয়ে তোলে। শুধু তাই নয় থার্ড রেল অত্যন্ত উত্তপ্ত হলে তাতে আগুনের স্ফুলিঙ্গ পর্যন্ত সৃষ্টি হতে পারে এবং ট্রেনের বৈদ্যুতিক মোটরে তড়িৎ ঠিকঠাক পৌঁছতে পারেন। এর ফলে মেট্রো চলাচলে বাধার সৃষ্টি হয়। মূলত এই সমস্ত সমস্যাগুলির কথা মাথায় রেখেই কলকাতা ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো, জোকা-তারাতলা, নিউ গড়িয়া-রুবি মেট্রোতে অ্যালুমিনিয়ামের থার্ড রেল ইতিমধ্যে ব্যবহার করা হয়েছে। 

    কি বলছেন মেট্রো আধিকারিকরা

    মেট্রো রেলের (Kolkata Metro) মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘আগামী দু বছরের মধ্যে অ্যালুমিনিয়ামে থার্ড রেল বসানোর কাজ সম্পূর্ণ হয়ে যাবে। এবং প্রথম পর্যায়ে এই কাজ চলবে দমদম থেকে মহানায়ক উত্তম কুমার স্টেশন পর্যন্ত। আরও খবর মিলেছে অ্যালুমিনিয়ামের থার্ড রেল বসানো হলে বিদ্যুতের অপচয় ৮৪ শতাংশ কমানো যাবে। হিসাব বলছে থার্ড রেল বসানো হলে যা খরচ হবে, সেই খরচ তিন বছরের বিদ্যুৎ সাশ্রয়তেই উঠে আসবে। এছাড়াও ইস্পাতের থার্ড রেল উত্তপ্ত হওয়ার হলে মেট্রো সুরঙ্গ যেভাবে গরম হয়ে যেত সেটাও বন্ধ হবে। 

    বর্তমানে উত্তর দক্ষিণ লাইন বা ব্লু লাইনের মেট্রো সবচেয়ে কম পাঁচ মিনিটের ব্যবধানে চলাচল করে, ট্রেনের (Kolkata Metro) এই ব্যবধান আড়াই মিনিটে নিয়ে আসতে বিশেষজ্ঞরা বলছেন সিগন্যাল ব্যবস্থা তেও পরিবর্তন করতে হবে এবং আধুনিক স্বয়ংক্রিয় কমিউনিকেশন বেস্ট ট্রেন কন্ট্রোল সিস্টেম চালু করার জন্য থার্ড রেল বদল এর কাজ করা হচ্ছে।  ওয়াকিবহুল মহল বলছে এই ব্যবস্থার ফলে মানুষ আরো দ্রুত গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবেন।

    ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোতে যাত্রী বৃদ্ধি ৪৩৬ শতাংশ 

    অন্যদিকে জানা গিয়েছে, যাত্রীদের মধ্যে ক্রমশই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো, যা গ্রীন লাইন নামে পরিচিত। বর্তমানে শিয়ালদহ থেকে সল্টলেক সেক্টর ফাইভ পর্যন্ত এই মেট্রো (Kolkata Metro) চড়ে গন্তব্যে পৌঁছান শহর এবং শহরতলীর অসংখ্য মানুষ।  চলতি বছরে, শিয়ালদহ মেট্রো চালু হওয়ায় এই লাইনে যাত্রীবৃদ্ধি হয়েছে প্রথম চার মাসে ৪৩৬ শতাংশ যা নয়া রেকর্ড। এই মেট্রোতে যাত্রীসংখ্যা আরও বাড়তে চলেছে বলে বিশেষজ্ঞ মহলের অনুমান। তার কারণ চলতি বছরের শেষেই হুগলি নদীর নিচ দিয়ে মেট্রো পরিষেবা শুরু হলে ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রোর সঙ্গে তা জুড়ে যাবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: তৃণমূলকে হটাতে বিরোধীরা এককাট্টা, সিপিএমের সমর্থনে মহিষাদলে বোর্ড গঠন বিজেপির

    BJP: তৃণমূলকে হটাতে বিরোধীরা এককাট্টা, সিপিএমের সমর্থনে মহিষাদলে বোর্ড গঠন বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রে বিজেপিকে হারাতে তৃণমূল, বাম, কংগ্রেস সহ এককাট্টা হয়েছে বিরোধীরা। সেই মতো বিরোধীদের প্রস্তুতি চলছে জোরকদমে। আর গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূলকে হারাতে মরিয়া বামেরা। সিপিএমের সমর্থনে বোর্ড গঠন করল বিজেপি (BJP)। পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদলের অমৃতবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা।

    কীভাবে বিজেপি (BJP) বোর্ড গঠন করল?

    অমৃতবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতে মোট আসন ১৮টি। বিজেপি ও তৃণমূল ৮ টি করে আসন পেয়েছে। আর সিপিএমের দখলে রয়েছে দুটি আসন। বোর্ড গঠনের সময় সিপিএমের নির্বাচিত গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য বুলুপ্রসাদ জানা বিজেপিকে সমর্থন করেন। সিপিএমের সমর্থনে ভোটে এক আসনে জিতে বিজেপি এই পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন করে। বিজেপি বোর্ডের প্রধান হন শুভ্রা পন্ডা এবং উপপ্রধান হন পরেশ পানিগ্রাহি। এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।

    কী বললেন বিজেপিকে সমর্থনকারী সিপিএমের জয়ী সদস্য?

    সিপিএমের জয়ী সদস্য বুলুপ্রসাদ জানা বলেন, স্থানীয় নেতৃত্বের নির্দেশ মেনেই আমি বিজেপিকে সমর্থন করেছি। তৃণমূলকে হারাতেই এই সমর্থন। নতুন বোর্ডের হাত ধরেই এলাকায় অনেক উন্নয়ন হবে বলে আমার বিশ্বাস। আমরা একসঙ্গে থেকে উন্নয়নমূলক কাজ করব।

    কী বললেন বিজেপির প্রধান?

    বিজেপির (BJP) প্রধান শুভ্রা পন্ডার বক্তব্য, তৃণমূল কতটা দুর্নীতিগ্রস্ত দল তা রাজ্যবাসী জানেন। এই এলাকার মানুষ জানেন, তৃণমূল ফের ক্ষমতায় আসলে কাটমানি, তোলাবাজি শুরু হয়ে যাবে। এলাকায় আর উন্নয়ন হবে না। তাই, সিপিএম নেতৃত্ব মনে করেছেন এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে বিজেপিকেই প্রয়োজন। আর পঞ্চায়েতে দুর্নীতি রুখতে সিপিএমের সমর্থনে বোর্ড গঠন করা হয়েছে। আগামীদিনে এই পঞ্চায়েতের হাত ধরে এলাকায় সার্বিক উন্নয়ন করা হবে।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূল নেতা সৌমেন মহাপাত্র বলেন, উঁচুতলার নেতাদের কথা মানছে না নিচুতলার কর্মীরা। তার জন্য এই ঘটনা ঘটছে। আসলে তৃণমূলকে রুখতে বিজেপি মরিয়া হয়ে উঠেছে। তাই, বামেদের সমর্থন নিয়ে বিজেপি (BJP) বোর্ড গঠন করেছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: মিছিলকে লক্ষ্য করে কটূক্তি, তৃণমূলের পার্টি অফিসে আগুন দিলেন আদিবাসীরা

    TMC: মিছিলকে লক্ষ্য করে কটূক্তি, তৃণমূলের পার্টি অফিসে আগুন দিলেন আদিবাসীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আদিবাসীদের রোষের মুখে পড়ল তৃণমূল (TMC) কার্যালয়। বুধবার দুপুরে আদিবাসী দিবসের অনুষ্ঠানের মিছিলকে উদ্দেশ্য করে কটুক্তির অভিযোগ। তৃণমূলের পার্টি অফিস ভাঙচুর করে আগুন জ্বালিয়ে দিল আদিবাসী জনকল্যাণ মঞ্চের সদস্যরা। তীব্র উত্তেজনা ছড়ায় পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরার ভবানীপুর-১ নম্বর অঞ্চলের শ্যামনগর গ্রামে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন ঝাড়গ্রামের মঞ্চে আদিবাসী সমাজের কল্যাণে বক্তব্য রাখছেন, ঠিক সেই সময় ডেবরার শ্যামনগর গ্রামে আদিবাসী সমাজের মানুষেরা আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবসকে সামনে রেখে একটি মিছিলের আয়োজন করেন। অভিযোগ, সেই সময় তৃণমূল পার্টি অফিসে বেশ কয়েকজন তৃণমূল (TMC) কর্মী সমর্থক বসেছিলেন। পার্টি অফিসের সামনে দিয়ে আদিবাসীদের মিছিল যাওয়ার সময় পার্টি অফিসে বসে থাকা তৃণমূল কর্মীরা মিছিলে যোগ দেওয়া আদিবাসীদের উদ্দেশ্য করে কটুক্তি করেন। এতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন মিছিলে থাকা আদিবাসী সমাজের মানুষেরা। রীতিমতো ক্ষিপ্ত হয়ে তৃণমূলের পার্টি অফিসে ভাঙচুর চালায়। পরিস্থিতি বেগতিক দেখেই তৃণমূল কর্মীরা পার্টি অফিসে ছেড়ে দৌড়ে পালান। পরে, দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। যদিও এ নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোন প্রতিক্রিয়া মেলেনি তৃণমূলের তরফে।

    কী বললেন আদিবাসী জনকল্যাণ মঞ্চের নেতা?

    আদিবাসী জনকল্যাণ মঞ্চের তারাপদ সিং বলেন, এদিন আমরা সংগঠনের পক্ষ থেকে আদিবাসী সমাজের মানুষ শান্তিপূর্ণ মিছিল করছিলাম। কিন্তু, তৃণমূলের (TMC) ওই কার্যালয় থেকে কয়েকজন আদিবাসীর নাম করে নানা কটূক্তি করেন। যা আমাদের সমাজের সদস্যদের চরম অসন্মান করা হয়। এতেই কিছু সদস্য ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তাঁরা ওই কার্যালয়ে চড়াও হয়ে ভাঙচুর চালায়। পরে, আগুন ধরিয়ে দেয়। যে বা যারা আমাদের উদ্দেশ্য করে নানা কটূক্তি করেছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি হবে। না হলে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামব। এই ঘটনার প্রতিবাদে দোষীদের বিরুদ্ধে যতদূর যেতে হয় তা আমরা যাব।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share