Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Suvendu Adhikari: ‘‘ভাইপো অ্যান্ড কোম্পানির হাত ধরে অসমে গরু পাচার হচ্ছে’’, বিস্ফোরক শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: ‘‘ভাইপো অ্যান্ড কোম্পানির হাত ধরে অসমে গরু পাচার হচ্ছে’’, বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত ২৩ জুলাই থেকে উত্তরবঙ্গ দিয়ে আবার অসমে গরু, মহিষ পাচার শুরু হয়েছে। এই কাজ করছেন ভাইপো অ্যান্ড কোম্পানি। রবিবার সন্ধ্যায় বাগডোগরা বিমানবন্দরে একথা বলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, উত্তরবঙ্গকে করিডর করে অসমে এই মহিষ, গরু পাচারে রাজ্য পুলিশে ডিজি, আইজি ও উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলার পুলিশ সুপাররাও যুক্ত রয়েছেন। উত্তরবঙ্গ দিয়ে অসমে অনেকদিন ধরেই মহিষ পাচার হচ্ছে। পাচারের পথে শিলিগুড়ি সহ বিভিন্ন জায়গায় বহু মহিষ উদ্ধার হয়েছে। অনেকে গ্রেফতারও হয়েছে।

    মহিষ পাচারের নেটওয়ার্ক নিয়ে কী বললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা?

    বিরোধী দলনেতা বলেন, ডালখোলা থেকে পাচারের কাজ শুরু হচ্ছে। উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুর, জলপাইগুড়ি এবং কোচবিহারের এসপিরা এর ব্যবস্থাপনা করছেন। অসমে এই গরু-মহিষ এবং শুকর পাচার ডিজিপি মনোজ মালব্যের সম্মতিতে হচ্ছে। আইজিপি তদারকি করছেন। ময়নাগুড়ির আইসি সবার সঙ্গে সমন্বয় রেখে এই কাজটা করছেন।

    কীভাবে পাচার হচ্ছে, জানালেন শুভেন্দু?

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, ৩৯ থেকে ৪৫ ফুট দৈর্ঘের  কন্টেনারে যাচ্ছে মহিষ, গরু নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এক একটি কন্টেনারে ৪০/৪৩ টি গরু ও মহিষ পাচার করা হচ্ছে। এরকম ৩০ থেকে ৩৫ টি  কন্টেনার করে এই গরু ও মহিষ পাচার করা হচ্ছে। বাংলা – আসম বর্ডারের শ্রীরামপুরে নামিয়ে মহিষ অসমের বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

    পাচারের টাকা নিয়ে কী বললেন বিরোধী দলনেতা?

    শুভেন্দু অধিকারী বলেন, মাসে প্রায় ১৮ কোটি টাকার মতো উঠছে। উত্তর দিনাজপুর জেলার পাঞ্জিপাড়ায় পুলিশের কাছে টাকাটা জমা হচ্ছে। এর একটা বড় অংশ ভাইপোর কাছে যাচ্ছে। প্রতীক দেওয়ান বলে ভাইপোর একজন ঘনিষ্ঠ  হাওলার মাধ্যমে এই টাকা নিয়ে যান। উত্তরবঙ্গকে করিডর করে এই অবৈধ কাজ হচ্ছে। এর সঙ্গে সরাসরি তৃণমূল কংগ্রেস ও মমতার পুলিশ যুক্ত। উত্তরবঙ্গের মানুষকে সতর্ক ও সচেতন করার জন্য একথা জানালাম। অসমের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্বশর্মাকেও জানিয়েছি। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তিনি দেখবেন বলে জানিয়েছেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dengue Update: আক্রান্তের নিরিখে শীর্ষে উত্তর ২৪ পরগনা! ডেঙ্গি পরিস্থিতি উদ্বেগজনক রাজ্যে

    Dengue Update: আক্রান্তের নিরিখে শীর্ষে উত্তর ২৪ পরগনা! ডেঙ্গি পরিস্থিতি উদ্বেগজনক রাজ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জেলা থেকে শহর দিন দিন বেড়েই চলেছে ডেঙ্গি (Dengue) আক্রান্তের (infected) সংখ্য়া। এখনও পর্যন্ত গোটা রাজ্যে (State) ৫ হাজার ৭৫১ জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছে। গত সপ্তাহেও বেড়েছে রাজ্যে ডেঙ্গি আক্রান্তর সংখ্যা। গত সপ্তাহে রাজ্যে ডেঙ্গি আক্রান্তর সংখ্যা ছিল ১ হাজার ৩৫০। রিপোর্ট অনুসারে, ডেঙ্গি আক্রান্তের নিরিখে শীর্ষে উত্তর ২৪ পরগনা।  এই জেলায় ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন ৪০০ জন, নদীয়াতে ৩০০ জন এবং হুগলীতে ৯৫ জন। দু’সপ্তাহে বিধাননগরে ডেঙ্গি আক্রান্ত ৮০ জনেরও বেশি। গত জানুয়ারি থেকে পুর এলাকায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ১৪৮ বলে দাবি করছেন বিধাননগর পুর কর্তৃপক্ষ। তাঁরা স্বীকার করে নিয়েছেন, ডেঙ্গির সংক্রমণ এ বার ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার পালা।  

    ডেঙ্গি মোকাবিলায় পদক্ষেপ

    স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, সব মিলিয়ে এখনও ২৫০ জন ডেঙ্গি আক্রান্ত হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। এখনও পর্যন্ত রাজ্যের ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে, দাবি স্বাস্থ্য সচিবের। পরিস্থিতি মোকাবিলায় দক্ষিণ দমদম পুরসভার হাসপাতালে খোলা হয়েছে একশো শয্যার আলাদা ইউনিট। জঞ্জাল ফেলা নিয়ে এবার আরও কড়া হতে চলেছে কলকাতা পুরসভা। ডেঙ্গি মোকাবিলায় জঞ্জাল পড়ে থাকা নিয়ে কড়া কলকাতা পুরসভাও। ফাঁকা জমি ও পুকুরের পাশে জঞ্জাল ফেলা হলে এবার থেকে সংশ্লিষ্ট জমি ও পুকুরের আশেপাশে সব বাড়িকে নোটিস পাঠানো হবে। 

    আরও পড়ুন: খাওয়ার পরেই বমি? সামান্য খাবারেও হজমের সমস্যা? কোন রোগের ইঙ্গিত?

    সতর্ক থাকার পরামর্শ

    স্বাস্থ্যভবন সূত্রে খবর, ৩ অগাস্ট পর্যন্ত রাজ্যে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ৫ হাজার ৭৫১। বেসরকারি হিসেবে এ বছর এখনও পর্যন্ত ১০ জন ডেঙ্গি আক্রান্তের মৃত্যুর খবর সামনে এসেছে। জ্বর হলেই সময় নষ্ট না করে শুরু করতে হবে চিকিৎসা, পরামর্শ চিকিৎসকদের। বর্ষার জমা জলে বাড়ছে এডিস ইজিপ্টাই-এর সংসার। ঘরে ঘরে বাসা বাঁধছে জ্বর-সর্দি-কাশি। শুধু কলকাতা নয়, শহরের গণ্ডি ছাড়িয়ে জেলাতেও বাসা বেঁধেছে ডেঙ্গি। স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে ২৫০ জন রোগী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। যার মধ্যে ১০ থেকে ১৫ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। সূত্রের খবর, গত বছর রাজ্যে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছিলেন ৬৭ হাজারের বেশি মানুষ। সরকারি হিসেবে মারা গিয়েছিলেন ৩০ জন। তবে বেসরকারি মতে, সেই সংখ্যা ছিল ১০৫। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: “রাজ্য কেন অভিযুক্তের হয়ে কথা বলছে?”, উলুবেড়িয়া ধর্ষণকাণ্ডে প্রশ্ন হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: “রাজ্য কেন অভিযুক্তের হয়ে কথা বলছে?”, উলুবেড়িয়া ধর্ষণকাণ্ডে প্রশ্ন হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাওড়ার উলুবেড়িয়ায় নাবালিকা ধর্ষণ মামলায় পুলিশকে ভর্ৎসনা কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court)। ঘটনায় সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। ধর্ষণ সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য উলুবেড়িয়া থানাকে সিআইডির হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশও দেয় আদালত। ধর্ষণকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত ধরা না পড়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে আদালত। বিচারপতির প্রশ্ন, “কতবার তল্লাশি হয়েছে, অভিযুক্তকে গ্রেফতারের কী কী চেষ্টা করেছে পুলিশ। আমি দেখতে চাই কেস ডায়েরি থেকে কী কী চেষ্টা হয়েছে গ্রেফতারের। মূল অভিযুক্ত যিনি তিনি কি খুব প্রভাবশালী?” সিআইডি তদন্তের পাশাপাশি আদালতের নির্দেশ, নির্যাতিতার পরিবারকে সশস্ত্র পুলিশি নিরাপত্তা দিতে হবে।

    নাবালিকা মেয়েকে গণধর্ষণ

    উলুবেড়িয়ায় সরকারি জায়গায় একটি ছোট চায়ের দোকান রয়েছে ওই নাবালিকার পরিবারের। মামলাকারীর অভিযোগ, স্থানীয় কয়েকজন দোকান বন্ধ করে দেওয়ার জন্য তাঁদের চাপ দিচ্ছিল। তাঁর অভিযোগ, ১২ ফেব্রুয়ারি রাতে তাঁর নাবালিকা মেয়েকে গণধর্ষণ করা হয়। মামলাকারীর দাবি, পুলিশ প্রথমে তাঁর অভিযোগ নিতে অস্বীকার করে। পরে অভিযোগ নিয়ে তিনজনকে গ্রেফতার করলেও, মূল অভিযুক্ত এখনও অধরা। এর পরেই আদালতের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হন তিনি। তাঁর দাবি, এর মধ্যেই সামাজিক চাপে পড়ে আত্মহত্যা করেছেন তাঁর স্বামী। মামলাকারীর আইনজীবীর দাবি, মূল অভিযুক্ত শেখ এক্রামূল তাঁদের হুমকি দিচ্ছে।

    ভর্ৎসনার মুখে পুলিশ

    এদিনের শুনানিতে আদালতে হাজির ছিলেন উলুবেড়িয়ার আইসি রামেশ্বর ওঝা এবং আইও। ভর্ৎসনার মুখে পড়ে পুলিশ। বিচারপতি বলেন, “রাজ্যের দেওয়া তদন্ত রিপোর্ট, কেস ডায়েরি দেখে আদালত মনে করছে পুলিশ কিছু নথি দেখে একটা সিদ্ধান্তে পৌঁছে গিয়েছে। যার জন্য পুলিশ গণধর্ষণের অভিযোগও মানতে চাইছে না। মাস পিটিশনের সঙ্গে দশ টাকার স্ট্যাম্প পেপারের তথ্য দেখে পুলিশ তাতেই মান্যতা দিয়েছে।” আদালতের (Calcutta High Court) পর্যবেক্ষণ, “রাজ্য কেন অভিযুক্তের হয়ে কথা বলছে, সেটাই তো পরিষ্কার নয়। এটা রাজ্যের লজ্জা। একজন নির্যাতিতার পাশে থাকা উচিত রাজ্যের। সেখানে রাজ্য পুলিশ থাকছে অভিযুক্তের পাশে। এটা চলতে পারে না।” বিচারপতি বলেন, “আদালত নিশ্চিত, মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে পুলিশ ব্যর্থ। এটা রাজ্যের ব্যর্থতা। তাই সিআইডিকে তদন্ত হস্তান্তর করা হল।”

    আরও পড়ুুন: নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে জড়াল অভিষেকের নাম, শিরোনামে তৃণমূল কর্তার সংস্থাও

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • Calcutta High Court: বোতলবন্দি জলেই শরীরে ঢুকছে বিষ! বৈধ পানীয় জল তৈরি সংস্থার তালিকা প্রস্তুতের নির্দেশ

    Calcutta High Court: বোতলবন্দি জলেই শরীরে ঢুকছে বিষ! বৈধ পানীয় জল তৈরি সংস্থার তালিকা প্রস্তুতের নির্দেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পানীয় জলের মাধ্যমেই শরীরে ঢুকছে বিষ। এই অভিযোগে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) দায়ের হয়েছিল জনস্বার্থ মামলা। সেই মামলার প্রেক্ষিতেই এবার বেআইনি পানীয় জলের রমরমা ঠেকাতে কড়া পদক্ষেপের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ। রাজ্যবাসীকে এ ব্যাপারে সতর্ক করার পাশাপাশি বৈধ পানীয় জল প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলির তালিকা তৈরির নির্দেশও রাজ্যকে দিয়েছে হাইকোর্ট। নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, রাজ্যের সর্বত্র নজরদারি চালিয়ে বেআইনি পানীয় জলের কারখানাগুলি বন্ধ করারও।

    রাজ্যের রিপোর্ট তলব

    বছর কয়েক ধরে প্যাকেজড ড্রিংঙ্কিং ওয়াটারের রমরম ব্যবসা চলছে। সেই জল আদৌ পরিস্রুত কিনা বা পানের যোগ্য কিনা তা যাচাই করা হয়নি বলে অভিযোগ। এই অভিযোগেই গত বছর হাইকোর্টে দায়ের হয় জনস্বার্থ মামলা। সেই মামলায় রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব করেছিল হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। সেই রিপোর্টে রাজ্য জানিয়েছে, বেআইনি পানীয় জলের কারবার রুখতে গঠন করা হয়েছে টাস্কফোর্স। বিভিন্ন জায়গায় হানা দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে একাধিক বেআইনি প্যাকেজিং ড্রিংঙ্কিং ওয়াটার কারখানা।  

    বেআইনি পানীয় জলের কারখানা

    মামলাকারীর অভিযোগ, রাজ্যে যত্রতত্র কুটির শিল্পের মতো গজিয়ে উঠেছে বেআইনি পানীয় জলের কারখানা। দূষিত পুকুর কিংবা নদী থেকে জল সংগ্রহ করে সেগুলিকে কৃত্রিম পদ্ধতিতে শোধন করে বোতলজাত করে বাজারে বিক্রি করা হচ্ছে। ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডর্ড অথরিটি অফ ইন্ডিয়া, ব্যুরো অফ ইন্ডিয়ান স্ট্যান্ডার্ড ও রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের প্রয়োজনীয় লাইসেন্স ছাড়াই ওই সব কারখানা চালানো হচ্ছে। তার পরেই রাজ্যকে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত।

    আরও পড়ুুন: নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে জড়াল অভিষেকের নাম, শিরোনামে তৃণমূল কর্তার সংস্থাও

    আদালতে (Calcutta High Court) জমা দেওয়া রিপোর্টে রাজ্য জানায়, রাজ্যজুড়ে ৪১৩টি ইউনিটে হানা দিয়ে ৮৫টি বেআইনি কারখানা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ২০১৯-২১ সালের মধ্যে ৩৪০টি কারখানার জলের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এর মধ্যে পরীক্ষা করা হয়েছে ২৮০টি নমুনা। আইনজীবীদের একাংশের মতে, রাজ্যের এই পদক্ষেপকে যথেষ্ট বলে মনে করছে না আদালত। তাই রাজ্যে কতগুলি জল তৈরির কারখানার লাইসেন্স রয়েছে, তার তালিকা তৈরির নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে জড়াল অভিষেকের নাম, শিরোনামে তৃণমূল কর্তার সংস্থাও

    Abhishek Banerjee: নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে জড়াল অভিষেকের নাম, শিরোনামে তৃণমূল কর্তার সংস্থাও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে সরাসরি নাম জড়াল তৃণমূলের (TMC) সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee)। শুক্রবার ব্যাঙ্কশাল আদালতে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকুর বিরুদ্ধে ইডি যে চার্জশিট পেশ করেছে, তাতে নাম রয়েছে তৃণমূল নেত্রীর ভাইপোর। কালীঘাটের কাকুর সংস্থা থেকে অভিষেকের সংস্থা লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসে টাকা গিয়েছে বলেও চার্জশিটে জানিয়েছে ইডি।

    ইডির স্ক্যানারে অভিষেকের সংস্থা

    জানা গিয়েছে, অভিষেকের (Abhishek Banerjee) বাবা-মা পরিচালিত তিনটি সংস্থা বর্তমানে বহু কোটি টাকার কয়লা চোরাচালান কেলেঙ্কারির তদন্তে ইডির স্ক্যানারে রয়েছে। এই তিন সংস্থায়ই তাঁরা পরিচালক কিংবা মনোনীত অংশীদার হিসেবে যুক্ত। এই তিনটি সংস্থা হল, লিপস অ্যন্ড বাউন্ডস প্রাইভেট লিমিটেড, লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস ইনফ্রা কনসালট্যান্টস প্রাইভেট লিমিটেড এবং লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস ম্যানেজমেন্ট সার্ভিসেস এলএলপি। এই তিনটি সংস্থাই নিবন্ধিত একই ঠিকানায়। ঠিকানাটি হল, পি ৭৩৩, ব্লক পি, নিউ আলিপুর, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ ৭০০০৫৩।

    শেল কোম্পানি হিসেবে ব্যবহার 

    ইডি সূত্রে খবর, কয়লা কেলেঙ্কারির চাঁই অনুপ মাঝি ওরফে লালার মালিকানাধীন একটি রিয়েল এস্টেট কোম্পানি থেকে লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস প্রাইভেট লিমিটেডের অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করা হয়েছে ৪.৩৭ কোটি টাকা। শেল কোম্পানি হিসেবে এই সংস্থাগুলিকে টাকা সরানোর জন্য ব্যবহার করা হতে পারে বলে অনুমান তদন্তকারীদের। কেন্দ্রীয় কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রকের অধীনে রেজিস্ট্রার অফ কোম্পানিজের রেকর্ড অনুসারে ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে পর্যন্ত অভিষেক (Abhishek Banerjee) নিজেই লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস প্রাইভেট লিমিটেডের একজন পরিচালক ছিলেন। ২০১৪ সালে লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় কোম্পানি থেকে পদত্যাগ করেন তিনি। জানা গিয়েছে, ২০১২ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকেই কোম্পানির সঙ্গে যুক্ত অভিষেকের মা লতা। অভিষেকের বাবা অমিত যোগ দিয়েছিলেন ২ জানুয়ারি, ২০১৪।

    আরও পড়ুুন: “ইন্ডিয়া নয়, বিরোধী জোটকে ডাকুন ঘমন্ডিয়া নামে”, এনডিএ সাংসদদের বৈঠকে পরামর্শ মোদির

    ২০১৩ সালেই এই কোম্পানির ডিরেক্টর অভিষেকের দিকে আঙুল তুলেছিলেন সিপিএম নেতা গৌতম দেব। পরে লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসকে নিশানা করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিমও তাক করেছেন অভিষেকের ওই সংস্থাকে। লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও। চার্জশিটে ইডিরও অভিযোগ, কালীঘাটের কাকুর সংস্থা থেকে টাকা গিয়েছে অভিষেকের (Abhishek Banerjee) লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসে।

    ২০২০ সালে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের নিয়ন্ত্রণাধীন একটি সংস্থার সঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সংস্থা লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের একটি চুক্তি হয়। এরপর সুজয়কৃষ্ণের সংস্থা থেকে অভিষেকের সংস্থায় প্রায় এক কোটি টাকা পাঠানো হয় বলে জানানো হয়েছে। লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের অফিস থেকেই এসডি কনসালটেন্সির কাজকর্ম পরিচালনা করার পাশাপাশি তার বিনিময়ে বিপুল অঙ্কের টাকা লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসে গিয়েছে বলেও দাবি ইডির। ইডি সূত্রে খরব, কলকাতার লি রোডে মেয়ে-জামাইকে আড়াই কোটি মূল্যের একটি ফ্ল্যাট কিনে দিয়েছিলেন কালীঘাটের কাকু।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: শুভেন্দুর সঙ্গে দেখা করলেন নুসরতের নাম জড়ানো সংস্থার মাধ্যমে ‘প্রতারিত’রা

    Suvendu Adhikari: শুভেন্দুর সঙ্গে দেখা করলেন নুসরতের নাম জড়ানো সংস্থার মাধ্যমে ‘প্রতারিত’রা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফ্ল্যাট বিক্রির নাম করে অগ্রিম টাকা নিয়েও ফ্ল্যাট না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল সাংসদ নুসরত জাহান-সহ বেশ কয়েক জনের বিরুদ্ধে। যাঁরা এই অভিযোগ তুলেছেন, সেই সব প্রবীণ সরকারি কর্মচারীদের সঙ্গে দেখা করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। শুভেন্দুর সঙ্গে বৈঠকের পর অনেকটাই আশ্বস্ত প্রতারণার অভিযোগ তোলা প্রবীণ নাগরিকরা। প্রায় ৩০-৫০ জন শুভেন্দুর সঙ্গে দেখা করেন। 

    নুসরতের বিরুদ্ধে অভিযোগ

    অভিযোগকারীদের বক্তব্য, এতদিন ধরে সংস্থার কর্তারা তাঁদের শুধুই ঘুরিয়ে গিয়েছেন। এর পাশাপাশি সংস্থার তরফে ২২২ জনকে টাকা ফেরত দেওয়ার যে দাবি করা হচ্ছে, সেটাও পুরোটা ফেরত দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। এখন দশ বছর পেরিয়ে সেই টাকা সুদে-আসলে অঙ্কটা অনেকটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতারিত অভিযোগকারীরা চাইছেন, সেই সুদ-সহ টাকা ফেরত পেতে। যাঁরা তাঁদের সঙ্গে এই প্রতারণা করেছেন বলে অভিযোগ, তাঁদেরও উপযুক্ত শাস্তির দাবি তুলেছেন প্রবীণ নাগরিকরা।

    আরও পড়ুুন: বাফার জোন টপকে এলোপাথাড়ি গুলি মণিপুরে, সংঘর্ষে মৃত ৩, পুড়ে খাক ঘরবাড়ি

    পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি শুভেন্দুর

    কোনও রাজনৈতিক উদ্দেশে নয়, মানবিকতার খাতিরেই শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) তাঁদের পাশে দাঁড়াবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। বৈঠক শেষে শুভেন্দু অধিকারী বলছেন, ‘মোট ৪১৫ জন প্রতারিত হয়েছেন বলে অভিযোগ। মোট টাকার অঙ্ক ২৩ কোটি। ৩৩০ জন মিলে একটি ফোরাম তৈরি করেছেন। আমি ওনাদের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথাবার্তা বলেছি। ওনারা চান, প্রতারকদের শাস্তি হোক এবং ওনাদের মেহনতের টাকা অন্তন্ত ব্যাঙ্কের সুদ-সহ যাতে ওনারা ফেরত পান।’ বিরোধী দলনেতা জানান, আইনি লড়াই প্রবীণ নাগরিকরা যেভাবে চালাচ্ছেন, সেভাবে চালাবেন। তিনিও বিরোধী দলনেতা হিসেবে দেখবেন যাতে তাঁদের সেই আইনি লড়াইয়ের পথ সুগম হয়। শুভেন্দুর কথায়, ‘‘প্রতারিত’দের আইনি লড়াইয়ে বিজেপি সব রকম ভাবে সাহায্য করবে। এখনও পর্যন্ত যা যা পদক্ষেপ করেছেন, সবই আমার নজরে রয়েছে। যোগাযোগও রাখছি। শাসকদলের হাতে যাঁরা অত্যাচারিত, তাঁদের পাশে বিশ্বাসযোগ্য বিরোধী দল হিসাবে দাঁড়াবে বিজেপি।’’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Draupadi Murmu: স্বাধীনতা দিবসের পরই একদিনের সফরে রাজ্যে আসছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু?

    Draupadi Murmu: স্বাধীনতা দিবসের পরই একদিনের সফরে রাজ্যে আসছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সব ঠিকঠাক চললে, স্বাধীনতা দিবসের দু’দিন পর, অর্থাৎ ১৭ অগাস্ট, রাজ্যে ফের আসতে চলেছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু (Draupadi Murmu)। রাষ্ট্রপতি ভবন সূত্রে খবর, এক দিনের ওই ঝটিকা সফরে তিনি কলকাতায় একটি সরকারি অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন (President Kolkata Visit)। 

    এক দিনের ঝটিকা সরকারি সফর

    জানা গিয়েছে, সকাল ৯টা ২৫ মিনিটে বিমানে করে রাষ্ট্রপতি কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেবেন। সাড়ে ১১ টায় কলকাতা বিমানবন্দরে অবতরণ করবেন তিনি। সেখান থেকে সরাসরি রাষ্ট্রপতি যাবেন গার্ডেনরিচ শিপবিল্ডার্স ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডে (GRSE)। জানা যাচ্ছে, সেখানে একটি সরকারি অনুষ্ঠানে তাঁর অংশগ্রহণ করার কথা। দুপুর পৌনে দুটো থেকে বিকেল ৩টে ১০ মিনিট পর্যন্ত ওই অনুষ্ঠানেই থাকার কথা তাঁর। এর পর, আবারও রাষ্ট্রপতির (Draupadi Murmu) কনভয় রওনা দেবে কলকাতা বিমানবন্দরের উদ্দেশে। বিকেল ৪টেয় কলকাতা থেকে দিল্লি রওনা হয়ে যাবেন রাষ্ট্রপতি। 

    জিআরএসই-তে রণতরীর উদ্বোধন!

    প্রশাসন সূত্রের খবর, গার্ডেনরিচে একটি যুদ্ধজাহাজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকতে চলেছেন তিনি। এখনও পর্যন্ত যা জানা গিয়েছে, ভারতীয় নৌসেনার প্রোজেক্ট-১৭ আলফা বা সংক্ষেপে পি-১৭এ (P-17A) স্টেলথ ফ্রিগেট প্রকল্পের ষষ্ঠ রণতরী ‘আইএনএস বিন্ধ্যগিরি’-র (INS Vindhyagiri) উদ্বোধন হতে চলেছে সেদিন। সূত্রের খবর, দেশের সামরিক বাহিনীর সাংবিধানিক প্রধান হওয়ার নিরিখে তিনি ওই অনুষ্ঠানে থাকবেন। তবে, সবটাই রয়েছে প্রাথমিক স্তরে।

    মার্চ মাসে বঙ্গ-সফরে এসেছিলেন রাষ্ট্রপতি

    এর আগে, গত মার্চ মাসে দ্রৌপদী মুর্মু দুদিনের সফরে পশ্চিমবঙ্গে এসেছিলেন। রাষ্ট্রপতি (Draupadi Murmu) হওয়ার পর সেটাই ছিল তাঁর প্রথম বঙ্গ-সফর। সে বার রাজ্য সরকারের তরফে কলকাতার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছিল। সেখানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। পাশাপাশি, বেলুড় মঠ এবং শান্তিনিকেতনে বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছিলেন তিনি। তবে, রাষ্ট্রপতির এবারের সফরে (President Kolkata Visit) রাত্রিবাসের কোনও উল্লেখ নেই এখনও পর্যন্ত। এমনকী, রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস বা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও পৃথক ভাবে সাক্ষাতের কোনও সূচি নেই বলেই এখনও পর্যন্ত প্রশাসন সূত্রে খবর। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Fraud: ডানকুনিতে বসে বিদেশিদের অ্যাকাউন্ট সাফ, কোটি কোটি টাকা প্রতারণা করে শ্রীঘরে ৮

    Fraud: ডানকুনিতে বসে বিদেশিদের অ্যাকাউন্ট সাফ, কোটি কোটি টাকা প্রতারণা করে শ্রীঘরে ৮

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডানকুনি থানার চাকুন্দির আমার বাংলা ইন্ডাস্ট্রিয়াল কমপ্লেক্সের একটি গোডাউনে চলতো আন্তর্জাতিক প্রতারণা (Fraud) চক্র। শুক্রবার অভিযান চালিয়ে আটজনকে গ্রেফতার করে চন্দননগর পুলিশের গোয়েন্দারা। অভিযুক্তরা “ম্যাক্সটেকনো” নামে একটি কোম্পানির কল সেন্টার থেকে বিদেশে ও ভারতে প্রতারণার গোপন ব্যবসা চালাচ্ছিল। মাস দুয়েক ধরে গোডাউন ভাড়া নিয়ে এই চক্র চলছিল। ধৃতদের নাম সিরিপুরম কামেশ্বর রাও (৩৫), রাহুল কুমার শা, সিরিপুরম লক্ষ্মী নারায়ণ আচারি, বাপি দাস, সামির হোসেন, এমডি জাভেদ আলম, এমডি ফয়জান আলম ওরফে জন্টি ও এমডি মোস্তফা। তাদের বাড়ি কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনা এবং হাওড়া এলাকায়।

    কীভাবে প্রতারণা করত?

    বিদেশি প্রবীণ নাগরিকরাই মূলত টার্গেট ছিল এই চক্রের। পুলিশ ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারে আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, কানাডার মতো দেশের নাগরিকদের টার্গেট করা হতো। লোভনীয় প্রতিশ্রুতি দেওয়ার জন্য আমাজনের মত নামী কোম্পানির প্রতিনিধি হিসাবে পরিচয় দিয়ে ফোন করতো। বুকিং বাতিল হয়েছে। ফের বুকিং করার জন্য একটি লিঙ্ক পাঠাতো। সেই লিঙ্কে ক্লিক করলেই বিদেশি নাগরিকের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা উধাও হয়ে যেতো। জামতাড়া গ্যাংয়ের মতো তারা প্রতারণা চক্র খুলে বসেছিল। ডানকুনি থেকে দিল্লি সহ বিভিন্ন জায়গায় প্রতারকদের এজেন্ট রয়েছে। কয়েক ঘণ্টার জিজ্ঞাসাবাদে যা জানা গেছে, কয়েকশো কোটি টাকার প্রতারণা (Fraud) করেছে এই চক্র। আমাজনের মত অনলাইন বিপণীর ফেক ইমেল থেকে লোভনীয় অফার দেওয়া হতো। সেই ফাঁদে পা দিয়ে মেলে দেওয়া লিঙ্কে ক্লিক করলেই বিদেশিদের মোবাইল ও ব্যাঙ্ক একাউন্ট হ্যাক করে ডলার হাতিয়ে নিতো প্রতারকরা। এরজন্য এনি ডেস্কের বা টিম ভিউয়ার অ্যাপ ব্যবহার করতো প্রতারকরা। গোডাউনে তল্লাশির সময় একাধিক কম্পিউটার, মোবাইল, হিয়ারিং ইকুইপমেন্টস, পেন ড্রাইভ, অসংখ্য ডেবিট, ক্রেডিট ও প্যান কার্ড পুলিশ বাজেয়াপ্ত করে।

    কী বললেন পুলিশ কমিশনারেটের এক আধিকারিক?

    চন্দননগর কমিশনারেটের তদন্তকারী এক অফিসার বলেন, ডানকুনি থেকে বিদেশে অনলাইনে প্রতারণা (Fraud) চালাতো অভিযুক্তরা। ভারতে রাত আর পশ্চিিমী দেশগুলোতে তখন দিন। সেই সময়টাকে বেছে নিয়ে কাজ করতো প্রতারকরা। ডানকুনির ভাড়া নেওয়া গোডাউনে রাত আটটা নাগাদ ঢুকতো গাড়ি নিয়ে। ভোর চারটে পর্যন্ত কাজ করে বেরিয়ে যেতো।

    কীভাবে ধরা পরল?

    সূত্র মারফত পুলিশ জানতে পারে চাকুন্দির ওই ইন্ডাস্ট্রিয়াল হাবে একটি গোডাউন ভাড়া নিয়েছে কয়েকজন যুবক। তারা দিনে আসে না, মূলত রাতে গাড়ি নিয়ে ঢোকে। দিনের আলো ফোটার আগে বেরিয়ে যায়। পুলিশ খোঁজ নিয়ে জানতে পারে তারা কম্পিউটার রিপিয়ারিং এর কাজ করে বলে ভাড়া নিয়েছিল। কিন্তু, রাতে কেন সেই কাজ সন্দেহ হয় পুলিশের। গোপনে খোঁজ খবর নেওয়া শুরু হয়। যুবকদের গতিবিধির উপর নজর রাখা শুরু হয়। এরপরই চাকুন্দির গোডাউনে হানা দেয় পুলিশ। প্রতারকদের কান্ডকারখানায় হতবাক দুঁদে পুলিশ কর্তারাও।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kolkata Accident: বেহালার পর ফের দুর্ঘটনা শহরে! সৌরনীলের মৃত্যুর পর রাতারাতি বদলে গেল ট্রাফিক নিরাপত্তা

    Kolkata Accident: বেহালার পর ফের দুর্ঘটনা শহরে! সৌরনীলের মৃত্যুর পর রাতারাতি বদলে গেল ট্রাফিক নিরাপত্তা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেহালায় (Behala) ট্রাকের ধাক্কায় ৭ বছরের শিশুর মৃত্যুর পর শুক্রবার রাতে ফের এক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন হাওড়ার এক যুবতী। মৃতের নাম সুনন্দা দাস। কলকাতার ধর্মতলা এলাকার এক হোটেলের কর্মী ছিলেন সুনন্দা। হাওড়ার নেতাজি সুভাষ রোডের বাসিন্দা তিনি। শুক্রবার রাত ১১টা নাগাদ স্কুটি চালিয়ে দ্বিতীয় হুগলি সেতু দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন সুনন্দা। ফ্লাইওভারে ওঠার মুখে পিছন থেকে একটি লরি এসে স্কুটিতে ধাক্কা মারে। সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছন কর্তব্যরত পুলিশকর্মীরা। লরির ধাক্কায় সুনন্দার শরীরের একাংশ গাড়ির তলায় পিষে যায় বলে পুলিশ সূত্রে খবর। তাঁকে উদ্ধার করে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানকার চিকিৎসকেরা সুনন্দাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পুলিশ লরিটিকে আটক করলেও ঘটনাস্থল থেকে পলাতক লরির চালক।

    ট্রাক চলাচলে নয়া নিয়ম

    বেহালায় স্কুল ছাত্রের মৃত্যুর পর অবশেষে টনক নড়ল পুলিশের (Police)। লালবাজারের (Lalbazar) নির্দেশ, সকাল ৬টার পর কলকাতায় (Kolkata) ঢুকবে না কোনও ট্রাক। আজ থেকেই চালু হয়েছে এই নিয়ম। মৌখিকভাবে সমস্ত ট্রাফিক গার্ডকে ইতিমধ্যেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সরকারি হোক বা বেসরকারি, কলকাতার সমস্ত স্কুলের বাইরে থাকতে হবে ওসি বা অ্যাডিশনাল ওসি পদমর্যাদার একজন অফিসারকে। সমস্ত স্কুলের বাইরে যান নিয়ন্ত্রণ ও ভিড় সামলাতে থাকবে পুলিশ। গতকাল পথ দুর্ঘটনায় শিশু মৃত্যুর পরের দিন বদলে গেল বেহালা চৌরাস্তার ছবিও। 

    আরও পড়ুন: ‘‘গলায় গামছা দিয়ে পদত্যাগ করুন পুলিশ কমিশনার’’, বেহালা কাণ্ডে মন্তব্য শুভেন্দুর

    বদলে গেল বেহালার ছবি

    রাতারাতি পাল্টে দিল বেহালা চৌরাস্তা এলাকার ট্রাফিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা। শহরের অন্যান্য গুরত্বপূর্ণ মোড়গুলির মত বেহালা চৌরাস্তায় শুক্রবার রাতেই বসিয়ে দেওয়া হয়েছে ম্যানুয়াল ড্রপ গেট। জেব্রা ক্রসিংয়ের ঠিক সমান্তরাল ভাবেই। দড়ির বাঁধনের কন্ট্রোলে পুলিশকর্মীরা ড্রপ গেট তুলছেন এবং নামিয়ে দিচ্ছেন। রাস্তা পারাপার করতে হবে এখান দিয়েই। আর কোনও অবস্থাতেই, কোনওভাবে রাস্তা পারাপারের চেষ্টা করামাত্র জুটবে পুলিশের কড়া ধমক। বড়িশা হাই স্কুলের সামনেও বসানো হয়েছে ম্যানুয়াল ড্রপ গেট, মোতায়ন পুলিশ।ঠাকুরপুকুর থেকে তারাতলা পর্যন্ত ফুটপাতের সিংহভাগ কার্যত হকারদের দখলে। ব্যস্ততার মধ্যে একপ্রকার বাধ্য হয়েই পথচারীদের রাস্তার ধার ঘেঁষেই চলাচল করতে হয়। তাঁদের জন্য রাস্তার দু’দিকের লেনের এক পাশে আড়াই মিটার অংশ পথচারীদের জন্য নির্দিষ্ট করা হয়েছে। 

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘তৃণমূলের লোকেরা ব্যালট খেতে পারে, ইভিএম পারবে না’’, মমতাকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘তৃণমূলের লোকেরা ব্যালট খেতে পারে, ইভিএম পারবে না’’, মমতাকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনে ইভিএম হ্যাক করার পরিকল্পনা করছে বিজেপি (Bharatiya Janata Party), সম্প্রতি এমনটাই আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। শুক্রবার এর পাল্টা দাবি করে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘যে মুখ্যমন্ত্রী পুরসভা-কর্পোরেশন ভোট ভিভিপ্যাট ছাড়াই ইভিএমে করেন তাঁর মুখে এসব মানায় না। তিনি নিজেই পুরসভা-কর্পোরেশনে ইভিএমে ভোট করেন। সেখানে ভিভিপ্যাট ছিল না। কারণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানেন, তাঁর লোকেরা ব্যালট খেয়ে ফেলতে পারে, ইভিএম খেয়ে ফেলতে পারবেন না। এত বড়ো লিভার, এত বড়ো পেট কারও নেই।’’

    শুভেন্দুর দাবি

    প্রসঙ্গত বৃহস্পতিবার মমতা বলেন, ‘‘ওরা (বিজেপি) এখন থেকে প্ল্যানিং করছে। ইভিএম হ্যাক করার চেষ্টা করছে বলে শুনেছি। আমরাও কিছু প্রমাণ পেয়েছি। কিছু খুঁজছি। এটা নিয়ে ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকে আলোচনা হবে।’’ এরপরই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর এই অভিমত। সম্প্রতি রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভোট কারচুপি, ব্যালট পেপার চুরির অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরা। শুভেন্দু অধিকারী এও বলেন, ‘‘ক্রমাগত বদলাতে থাকা রাজনৈতিক পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্ব ভীত ও সন্ত্রস্ত। রাজ্যে তৃণমূলের সীমাহীন বেলাগাম দুর্নীতির আঁচ মানুষ করতে পেরেছে। মানুষ মুখ ঘুরিয়ে নিচ্ছে। তাই নানান কথা বলা হচ্ছে।’’

    আরও পড়ুন: ‘‘পুলিশের কাজ ভোট লুট, টাকা তোলা’’, বেহালার ঘটনায় মমতাকেই দুষলেন শুভেন্দু

    কয়েকদিন আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি দীর্ঘ পোস্টে শুভেন্দু দাবি করেছিলেন, তৃণমূলের থেকে সংখ্যালঘুরাও মুখ ঘুরিয়ে নিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, ‘‘সাগরদিঘি বিধানসভা উপনির্বাচনে অপ্রত্যাশিত হারের পরে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বোচ্চ নেতৃত্বের কপালে চিন্তার ভাঁজ ক্রমশ লম্বা হতে থাকে। প্রায় ৬৭ শতাংশ সংখ্যালঘু অধ্যুষিত কেন্দ্রে যেখানে ২০২১ সালে শাসক দল ৫০,০০০ ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করেছিল, সেইখানে উপনির্বাচনে ২৩,০০০ ভোটের ব্যবধানে পরাজয় তৃণমূলের সব হিসেব উল্টে দিয়েছে। এর পরে বিগত কয়েক মাস ধরে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে সংখ্যালঘু রাজনৈতিক কর্মীদের শাসক দল ত্যাগ করা, দলবদল করা এবং সর্বশেষে পঞ্চায়েত নির্বাচনে এত হিংসা, এত ছাপ্পা, রিগিং ও ভোট লুঠ সত্ত্বেও যেখানে মানুষ ভোট দিতে পেরেছেন, সেখানেও বহু জায়গায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ এবার তৃণমূলকে বর্জন করেছেন।’’

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share