Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Suvendu Adhikari: পুজো কার্নিভাল বয়কট করে পাল্টা মিছিলের ডাক, পতাকা ছাড়াই যোগের আহ্বান শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: পুজো কার্নিভাল বয়কট করে পাল্টা মিছিলের ডাক, পতাকা ছাড়াই যোগের আহ্বান শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতায় রাজ্য সরকারের উদ্যোগে হওয়া পুজো কার্নিভাল (Carnival) বয়কটের ডাক দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। পাল্টা হিসেবে কলেজ স্ট্রিট থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত মিছিলের ডাক দিলেন তিনি। বিকেল চারটে নাগাদ “মমতার কার্নিভাল বয়কট করুন”। নাম দিয়ে মিছিলের ডাক দিয়েছেন শুভেন্দু।

    মশাল, শাঁখ নিয়ে মিছিলে শামিলের ডাক (Suvendu Adhikari)

    সোমবার বিজয়া সম্মিলনীতে যোগ দিতে সিউড়ির বিজেপির জেলা কার্যালয়ে এসেছিলেন শুভেন্দু। সেখান তিনি (Suvendu Adhikari) বলেন, “হিন্দুশাস্ত্রে এভাবে কার্নিভাল করে প্রতিমা নিরঞ্জন হয় না। তাছাড়া বিষাদের মধ্যে রয়েছি আমরা। তার মধ্যেই দুর্গোৎসব চলছে।” প্রতিবাদস্বরূপ বিশিষ্ট নাগরিক-আমজনতাকে কলেজ স্কোয়ার থেকে মিছিলে পা মেলানোর ডাক দিলেন তিনি। কলেজ স্কোয়ার থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত মিছিলের ডাক দেওয়া হয়েছে। কিন্তু, পুলিশি অনুমতি মেলেনি। সুবোধ মল্লিক পর্যন্ত মিছিল হবে। মশাল, শাঁখ নিয়ে মিছিলে শামিল হওয়ার ডাক দিয়েছেন তিনি। দলীয় পতাকা ছাড়াই এই মিছিলে নামার জন্য আহ্বান করা হয়েছে। মিছিলে উপস্থিত থাকবেন দলের বিধায়ক ও সাংসদরা। তবে, পুলিশের তরফে অনুরোধ করা হয়েছে, যেহেতু ধর্মতলায় কার্নিভালের কর্মসূচি রয়েছে। দ্রোহ কার্নিভাল রয়েছে। সেই কারণে মিছিল যেন সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার পর্যন্ত গিয়েই শেষ হয়ে যায়। তবে এই কথা পুলিশ বললেও পরবর্তী পদক্ষেপ কী করা হবে তা এখনও জানা যায়নি।

    আরও পড়ুন: জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনে যোগ দিন, দলীয় কর্মীদের বার্তা সুকান্তর

    স্বাস্থ্য দফতর ঘেরাওয়ের ডাক

    এদিন বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, “৯০ শতাংশ সাধারণ মানুষ যারা সরকারি স্বাস্থ্যব্যবস্থার ওপর নির্ভরশীল। স্বাস্থ্যভবন এই পরিস্থিতি যদি সামাল দিতে না পারে তাহলে লক্ষ্মীপুজোর পর থেকে ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক ও মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকদের ঘেরাও করা হবে।” স্বাস্থ্য পরিকাঠামোয় এই অচলাবস্থার জন্য যে সমস্ত রোগীরা চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তাঁদের নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের অবসরকালীন বেঞ্চের দ্বারস্থ হবেন বিরোধী দলনেতা। জানাবেন, ন্যূনতম স্বাস্থ্য পরিষেবা দিতে ব্যর্থ হয়েছে রাজ্য সরকার। প্রসঙ্গত, কার্নিভালের পাশাপাশি ডাক্তারদের ডাকা দ্রোহ কার্নিভাল রয়েছে মঙ্গলবার। নির্যাতিতার ন্যায় বিচার ও নিজেদের সুরক্ষার দাবি নিয়ে আন্দোলনে নেমেছেন তারা। যদিও, সরকারের তরফে ডাক্তারদের আহ্বান করা হয়েছে ওই দিন অনেক বিদেশের অনেক গেস্ট থাকবে। ফলে তাদের কাছে ভুল বার্তা যেতে পারে। সেই কারণে ওই দিন যাতে দ্রোহ কার্নিভাল বাতিল করেন তাঁরা। তবে চিকিৎসকরাও পরিষ্কার জানিয়েছেন, তাঁরা কোনওভাবেই বাতিল করবেন না দ্রোহ কার্নিভাল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar: ডাক্তারদের বৈঠকে গরহাজির স্বাস্থ্যসচিবই, স্বাস্থ্যভবনের মিটিংয়ে কাটল না জট

    RG Kar: ডাক্তারদের বৈঠকে গরহাজির স্বাস্থ্যসচিবই, স্বাস্থ্যভবনের মিটিংয়ে কাটল না জট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:আরজি করকাণ্ডের জেরে (RG Kar) স্বাস্থ্যের অচলাবস্থা নিয়ে বৈঠকে গরহাজির স্বাস্থ্যসচিবই নারায়ণস্বরূপ নিগম। সোমবার স্বাস্থ্যভবনে মুখ্যসচিব মনোজ পন্থের ডাকে বৈঠকে বসেন ৬টি চিকিৎসক সংগঠনের মোট ১৮জন প্রতিনিধি। সেখান স্বাস্থ্যের দুর্নীতির একাধিক ইস্যু তুলে ধরেন চিকিৎসকরা (Doctor Meeting)। কিন্তু সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না স্বাস্থ্যসচিব। কেন তিনি এই বৈঠকে উপস্থিত নেই, তা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে ওঠে। মুখ্যসচিবের সঙ্গে চিকিৎসক সংগঠনগুলির বৈঠকেও কাটল না জট।

    বৈঠকে কী হল? (RG Kar)

    জুনিয়র ডাক্তারদের অনশনের ১০ দিনের মাথায় ১২টি চিকিৎসক সংগঠনের সঙ্গে বৈঠকের (RG Kar) ডাক দিয়েছিলেন মুখ্যসচিব। প্রত্যেক সংগঠনের ২জন করে প্রতিনিধিকে বৈঠকে যোগ দিতে অনুরোধ করেছিলেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। স্বাস্থ্যভবনে বেলা সাড়ে ১২ টায় বৈঠক শুরু হয়। বৈঠক শেষে জানান হয়েছে, “সরকারের তরফে কোনও লিখিত প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়নি। জুনিয়র ডাক্তারদের ১০ দফা দাবি পূরণের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়নি। সরকার ভাসা ভাসা প্রতিশ্রুতি দিলে হবে না। সরকার পরিস্থিতি নিয়ে ওয়াকিবহাল, তাও কোনও প্রস্তুতি ছাড়াও বৈঠক। স্বাস্থ্য সচিবকে ছাড়া কেন বৈঠক করলেন মুখ্যসচিব। হাসপাতালগুলিতে দুর্নীতি-চক্রের কথা জানানো হয়েছে। সরকারের তরফে সমস্যা সমাধানের কোন লিখিত প্রতিশ্রুতি মেলেনি”।

    আরও পড়ুন: থানায় ধর্ষণের অভিযোগ করায় ‘খুন’ মহিলা, হাবড়ায় গ্রেফতার কলকাতা পুলিশের কর্মীসহ ৩

    স্বাস্থ্যসচিবের না থাকাটা হতাশাজনক

    বৈঠকে যোগদানকারী চিকিৎসকদের (RG Kar) পর্যবেক্ষণ, এই মুহূর্তে স্বাস্থ্যে সঙ্কটকালীন পরিস্থিতি, যে বিষয়গুলো উঠে আসছে, গত কয়েক বছরের ঘটনাক্রম বৈঠকে উঠে এসেছে, সেখানে স্বাস্থ্যসচিবের না থাকাটা যথেষ্টই তাৎপর্যপূর্ণ। উল্লেখ্য, জুনিয়র চিকিৎসকদের দাবিগুলোর মধ্যেও অন্যতম স্বাস্থ্যসচিবের পদত্যাগ। তাই সেক্ষেত্রে মনে করা হচ্ছে, স্বাস্থ্যসচিবকে সরিয়ে রেখেই প্রশাসন-সরকার সিনিয়র চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণ কী সে বিষয়ে মতামত নিতে চাইছে। চিকিৎসক অভীক ঘোষ বলেন, “যে মানুষটার বিরুদ্ধেই এত অভিযোগ, যাঁর অপসারণের দাবি উঠছে, সেখানে নিশ্চয়ই তাঁর বক্তব্যটাও জরুরি ছিল। তাঁর না থাকাটা যথেষ্টই হতাশাজনক।” তবে সূত্রের খবর, মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর মামলার শুনানি। সুপ্রিম শুনানির প্রস্তুতিতেই তিনি ব্যস্ত রয়েছেন।

    কী বললেন মুখ্যসচিব?

    জুনিয়র ডাক্তারদের (RG Kar) ১০টি দাবির মধ্যে সাতটি ইতিমধ্যেই মানা হয়েছে বলে জানালেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। বাকি তিনটি দাবি কার্যকর করতে প্রয়োজনীয় কাজ হচ্ছে বলে জানান মুখ্যসচিব। তিনি বলেন, “তিন দাবির বিষয়ে সরকারের কাছে সময়সীমা চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু এগুলির বিষয়ে সময়সীমা দেওয়া সম্ভব নয়।”

    বৈঠক শেষে হতাশ সিনিয়র ডাক্তাররা

    মঙ্গলবার কলকাতায় পুজো কার্নিভালের দিনই ‘দ্রোহের কার্নিভালে’র ডাক দিয়েছেন আন্দোলনরত চিকিৎসকেরা সেই দ্রোহের কার্নিভালে যোগ দেওয়ার জন্য মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ, স্বরাষ্ট্রসচিব নন্দিনী চক্রবর্তীকে আমন্ত্রণ জানালেন সিনিয়র চিকিৎসকেরা। তাঁদের তরফে এক জন বলেন, “ওঁরা আমন্ত্রণপত্র গ্রহণ করছেন। আমরা অপেক্ষা করব ওঁদের জন্য।” বৈঠক থেকে বেরিয়ে হতাশা প্রকাশ করলেন সিনিয়র চিকিৎসকেরা। তাঁদের বক্তব্য, “জুনিয়র ডাক্তারদের ১০ দফা দাবি পূরণের বিষয়ে কোনও লিখিত প্রতিশ্রুতি দেয়নি সরকার। তাই সরকার স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফেরানোর আর্জি জানালেও তা সম্ভব নয়।” তাঁদের এক জনের কথায়, “থ্রেট কালচারে অভিযুক্তেরা ঘুরে বেড়াচ্ছে। দুর্নীতিগ্রস্ত লোকেরা স্বাস্থ্য প্রশাসনে বিভিন্ন পদে বসে রয়েছে। পুলিশের ভূমিকা কী, তা তো আমরা দেখতেই পাচ্ছি। এর পরে কী ভাবে স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফেরানো সম্ভব”?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: বাংলা থেকে বর্ষা বিদায়, লক্ষ্মীপুজোতে ফের নিম্নচাপের আভাস, ভাসবে জেলা

    Weather Update: বাংলা থেকে বর্ষা বিদায়, লক্ষ্মীপুজোতে ফের নিম্নচাপের আভাস, ভাসবে জেলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার থেকেই বাংলায় বর্ষা বিদায়, কিন্তু লক্ষ্মীপুজোর (Lakshmi Puja) আগে ফের নিম্নচাপের (Weather Update) সম্ভাবনা রয়েছে। মঙ্গলবার থেকেই বর্ষণে ভাসতে পারে দক্ষিণবঙ্গ। ঠিক এমনটাই জানাচ্ছে আবহাওয়া দফতর। উল্লেখ্য, সম্প্রতি দুর্গাপুজোর আগেই বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের কারণে ব্যাপক ভাবে বৃষ্টির শিকার হয়েছিল গোটা রাজ্য। এমন কী ডিভিসি জল ছাড়ার কারণে একাধিক জেলায় বন্যা পরিস্থিতির শিকার হয়েছিল। এবার লক্ষ্মী পুজোর মধ্যে আবহাওয়া কেমন থাকবে? আসুন জেনে নিই।

    আবহওয়া দফতর সূত্রে খবর (Weather Update)

    আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, নিম্নচাপের (Weather Update) পরোক্ষ প্রভাবে মঙ্গলবার থেকে বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বাড়বে। এরফলে প্যাচপাচে গরমে কষ্ট বাড়বে। বঙ্গোপসাগর থেকে জলীয় বাস্প ঢুকে স্থানীয় ভাবে মেঘলা আকাশ থাকবে। বৃষ্টির সম্ভাবনা বাড়বে। তবে উপকূলের জেলাগুলিতে বেশি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এদিকে মঙ্গলবার শহর কলকাতায় কার্নিভাল, এদিন বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে। লক্ষ্মীপুজোর আগে উপকূলের দুই এক জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি এবং বিক্ষিপ্ত ভাবে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। 

    বর্ষা বিদায়

    আবার রবিবার দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু বা বর্ষা বিদায়ের ইঙ্গিত মিলেছে বাংলা থেকে। দক্ষিণ এবং উত্তরবঙ্গের সব জেলা থেকে বর্ষা (Weather Update) বিদায় নিয়েছে। ফলে বঙ্গে বর্ষার বৃষ্টির সম্ভাবনা আর নেই। আবহাওয়া দফতর থেকে বলা হয়েছে, আপাতত আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে। ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণের তেমন কোনও ইঙ্গিত নেই। বিক্ষিপ্ত ভাবে বৃষ্টি হবে। উত্তরবঙ্গে দার্জিলিং কালিম্পং সহ পার্বত্য এলাকায় বৃষ্টি হবে। বাকি জেলার আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে।

    আরও পড়ুন: বাংলার আন্দোলনকে সমর্থন, মঙ্গলবার দেশজুড়ে অনশনে জুনিয়র ডাক্তাররা, সিদ্ধান্ত আইএমএ-এর

    কলকাতার কেমন আবহাওয়া?

    কলকাতার আবহাওয়া থাকবে পরিষ্কার (Weather Update)। সন্ধ্যের পর আকাশ থাকবে আংশিক মেঘলা। দিন এবং রাতের তাপমাত্রার সামান্য বৃদ্ধি হতে পারে। রবিবার রাতে তাপমাত্রা ছিল ২৬.৮ ডিগ্রি। দিনের তাপমাত্রা ছিল ৩২.৫ ডিগ্রি। বাতাসে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ ছিল ৬৫ থেকে ৯৪ শতাংশ। আগামী শুক্রবার থেকে কলকাতার সহ দক্ষিণবঙ্গের শুষ্ক আবহাওয়া থাকবে।  

      

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘চকোলেট আর স্যান্ডউইচ খেয়ে সিঙ্গুরে অনশন করেছিলেন’’, মমতাকে খোঁচা শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘চকোলেট আর স্যান্ডউইচ খেয়ে সিঙ্গুরে অনশন করেছিলেন’’, মমতাকে খোঁচা শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করকাণ্ডে সুবিচারের দাবিতে অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। সেই আন্দোলনকে সমর্থন করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। একইসঙ্গে ডাক্তারদের অনশন নিয়ে বলতে গিয়ে নাম না-করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র কটাক্ষ করেছেন তিনি। সিঙ্গুরে তৃণমূল সুপ্রিমোর অনশনের প্রসঙ্গ টেনে এনে তাঁর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছেন শুভেন্দু।

    চকোলেট আর স্যান্ডউইচ খেয়ে সিঙ্গুরে অনশন (Suvendu Adhikari)

    নাম না করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) কটাক্ষ করে বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, “জুনিয়র ডাক্তাররা কেউ চকোলেট আর স্যান্ডউইচ খেয়ে অনশন করছেন না। এর আগে, যিনি ২৬ দিন অবস্থানে বসেছিলেন তিনি চকোলেট আর স্যান্ডউইচ খেয়ে সিঙ্গুরে অনশন করেছিলেন। জুনিয়র চিকিৎসকরা জালি নয়। এঁরা তো অরিজিনাল। সত্যিকারের অনশন করছেন। দীপক ঘোষের বই পড়বেন। তাতে বুঝতে পারবেন, সিঙ্গুরে ২৬ দিনের অনশনের কাণ্ড-কারখানা কী ছিল।” 

    আরও পড়ুন: থানায় ধর্ষণের অভিযোগ করায় ‘খুন’ মহিলা, হাবড়ায় গ্রেফতার কলকাতা পুলিশের কর্মীসহ ৩

    মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির লোকেরা বিদেশে চিকিৎসা করেন!

    এসএসকেএম হাসপাতালে হামলার ঘটনা নিয়ে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, “সরকার শক্ত হাতে এটার মোকাবিলা না করলে এই জিনিস কোনও দিন বন্ধ হবে না।” জুনিয়র ডাক্তারদের অনশনের বিষয়ে সদর্থক ভূমিকা গ্রহণ না করায় রাজ্য সরকারের সমালোচনা করেন তিনি। বিরোধী দলনেতার কথায়, “আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় সার্ভিস রুল মেনে ডাক্তারদের পদত্যাগ করতে বলছেন। হাসপাতাল ছেড়ে ডাক্তাররা চলে যাক, তিনি এটাই চাইছেন। এঁরা বিদেশে ও বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করান। কিন্তু সাধারণ মানুষ যাবে কোথায়? ৯০ শতাংশ লোক সরকারি হাসপাতালের ওপর নির্ভরশীল।” শুভেন্দু বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির লোকেরা বিদেশে যান চিকিৎসা করাতে। আমেরিকায় গিয়ে কোটি কোটি টাকা খরচ করেন। চিকিৎসকদের দাবি-দাওয়াগুলিকে সরকারকে রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে দেখতে হবে। সমস্ত হাসপাতালগুলিকে জুনিয়র ডাক্তারের ওপর ভরসা করতে হয়। রাতে কিছু হয়ে গেলে জুনিয়র ডাক্তাররাই তো সেবা দিয়ে মানুষকে বাঁচান। সরকারকে এ বিষয়ে নমনীয় হতে হবে। ওঁদের দাবি তো সরকার পরিবর্তনের নয়! ওঁদের লড়াইয়ের ইস্যুগুলি হল সিন্ডিকেট বন্ধ করা, সুরক্ষা ও নিরাপত্তার বিষয়গুলি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনে যোগ দিন, দলীয় কর্মীদের বার্তা সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনে যোগ দিন, দলীয় কর্মীদের বার্তা সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি কর্মীদের জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনে শামিল হওয়ার ডাক দিলেন রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। তিনি (Sukanta Majumdar) জানিয়ে দিলেন, এই প্রতিবাদে চিকিৎসকদের পাশে রয়েছেন তাঁরা। প্রসঙ্গত, বিজয়া দশমীর ভাষণে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘ প্রধান মোহন ভাগবত আরজি কর নিয়ে সরব হন। ডাক্তারদের (Junior Doctors Protest) আন্দোলনকে তিনি সমর্থন করেন। তারপরই বিজেপির রাজ্য সভাপতির এই বার্তা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে।

    আন্দোলনে পূর্ণ সমর্থন (Sukanta Majumdar)

    রবিবার সুকান্তর সই করা একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে বিজেপি। সেই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বিরুদ্ধে’ জুনিয়র ডাক্তারদের সংগঠনের যে আন্দোলন, তাতে পূর্ণ সমর্থন রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির। আরজি কর হাসপাতালের চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের আবহে আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তাররা (Junior Doctors Protest) যে দাবি তুলেছেন, তা বৈধ। সেই দাবি দ্রুত পূরণ করা উচিত।” বিবৃতিতে আরও দাবি করা হয়েছে, “মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে জুনিয়র ডাক্তারদের বৈঠকে রাজ্য সরকার দাবি পূরণের কথা জানালেও পরে তা থেকে সরে এসেছে। এর পরেই বিজেপি কর্মীদের জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনে পাশে থাকার ডাক দিয়েছেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)। তাঁর বক্তব্য, “আমরা প্রথম থেকেই নিজেদের দলীয় কর্মসূচির পাশাপাশি চিকিৎসকদের আন্দোলনকে (Junior Doctors Protest) সমর্থন করে এসেছি। এখন যা পরিস্থিতি, তাতে আরও বেশি করে সমর্থন দেওয়ার কথা মনে হল। সেই হিসেবে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে।”প্রেস বার্তায় সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) লিখেছেন, “সমস্ত বিজেপি কার্যকর্তাদের উৎসাহ দিচ্ছি আন্দোলনের পাশে আপনারা থাকুন। সেই সঙ্গে বাংলার মানুষদের কাছেও অনুরোধ করছি সবরকমভাবে এই আন্দোলনের শরিক হোন। আমাদের ডাক্তারদের সুরক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে। কালো শক্তির হাত থেকে বাংলাকে রক্ষা করতে হবে। এই সময় এই কালো শক্তি বাংলার ওপর ছেয়ে রয়েছে।”

    আরও পড়ুন: হাওড়ার শ্যামপুরে মণ্ডপে ভাঙচুর, দুর্গা প্রতিমায় আগুন, বিস্ফোরক দাবি শুভেন্দুর

    ঠিক কী বলেছিলেন ভাগবত?

    দশেরা উৎসবের সভায় আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবতের মুখে আরজি করের প্রসঙ্গ উঠে এসেছে। তিনি বলেন, “আরজি করের ঘটনা আমাদের সকলের কলঙ্ক। এমন ঘটনা ঘটতে দেওয়া উচিত নয়। আর ঘটলে সকলকে একসঙ্গে তার মোকাবিলা করতে হবে। কিন্তু সেখানে অপরাধীদের আড়াল করার চেষ্টা হয়েছে।” কলকাতায় আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদেরও সমর্থন করেছেন আরএসএস প্রধান। তাঁর মন্তব্য, “পুরো দেশ আজ ডাক্তার ভাইদের পাশে রয়েছে।”

    আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তাররা কী বললেন?

    এই প্রসঙ্গে আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তার (Junior Doctors Protest) দেবাশিস হালদার জানিয়ে দিয়েছেন, দলীয় পতাকা নিয়ে তাঁদের সমর্থন জানানো যাবে না। তাঁর কথায়, “দলীয় স্বার্থ দূরে সরিয়ে রেখে, দলের পতাকা, ব্যানার ছেড়ে একেবারে সাধারণ নাগরিক হিসাবে কেউ এখানে আসতে চাইলে, এই আন্দোলনে আমাদের পাশে দাঁড়াতে চাইলে দাঁড়াতেই পারেন। কিন্তু কোনও রাজনৈতিক দল যদি দলীয় স্বার্থ নিয়ে এই আন্দোলনের অংশ হতে চায়, তা হলে সেটা হতে দেব না।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Habra Rape: থানায় ধর্ষণের অভিযোগ করায় ‘খুন’ মহিলা, হাবড়ায় গ্রেফতার কলকাতা পুলিশের কর্মীসহ ৩

    Habra Rape: থানায় ধর্ষণের অভিযোগ করায় ‘খুন’ মহিলা, হাবড়ায় গ্রেফতার কলকাতা পুলিশের কর্মীসহ ৩

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক মহিলাকে ধর্ষণ (Habra Rape) করার অভিযোগ ওঠে কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) এক কর্মীর বিরুদ্ধে। পরিবারের পক্ষ থেকে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল আগেই। সেই অভিযোগ তুলে নেওয়ার জন্য ক্রমাগত হুমকি দেওয়া হচ্ছিল বলেও দাবি নির্যাতিতার পরিবারের। সালিশি সভায় মিটমাট করার জন্য দেওয়া হচ্ছিল ‘চাপ’। তা সত্ত্বেও ধর্ষণের অভিযোগ সালিশি সভায় না মিটিয়ে থানায় গিয়েছিলেন নির্যাতিতা। তার জেরেই তাঁকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল অভিযুক্ত ও নির্যাতিতার শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। সম্প্রতি উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়ায় (Habra) ওই মহিলার শ্বশুরবাড়ি থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরিবারের অভিযোগ, ঘটনার মূল পান্ডা কলকাতা পুলিশের এক কর্মী। ওই কর্মী, তাঁর স্ত্রী তথা তৃণমূলের এক পঞ্চায়েত সদস্য ও নির্যাতিতার স্বামীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Habra Rape)

    পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ৯ সেপ্টেম্বর নির্যাতিতা কলকাতা পুলিশের ওই কর্মীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করেছিলেন। ওই কর্মী পুলিশের গাড়ির চালক। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত্যুর আগে মহিলা জানান, মাস ছ’য়েক ধরে তিনি ওই পুলিশকর্মীর বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। দু’জনের আত্মীয়তা আছে। ৫ সেপ্টেম্বর ভোরে ওই যুবক তাঁকে ধর্ষণ (Habra Rape) করে বলে অভিযোগ করেন নির্যাতিতা। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মহিলার দুই ছেলেমেয়ে। শ্বশুরবাড়িতে অশান্তির কারণে মহিলা বাড়ি ভাড়া করে থাকতেন। নির্যাতিতা অভিযোগ করেন, ৫ সেপ্টেম্বর রাত ২টো নাগাদ অভিযুক্ত পুলিশকর্মী (Kolkata Police) তাঁর ঘরে ঢোকে। মহিলা মেয়েকে নিয়ে ঘুমোচ্ছিলেন। মহিলার মুখ চেপে ধরে তাঁকে পাশের ঘরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। পুলিশের কাছে নির্যাতিতা জানান, ধর্ষণের পরে তাঁকে খুনের হুমকিও দেওয়া হয়। তাঁর অভিযোগ, গ্রামে সালিশি ডেকে বিষয়টি মেটানোর জন্য ‘চাপ দেওয়া হয় অভিযুক্তের তরফে। তবে তাতে রাজি না হয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হন নির্যাতিতা।

    আরও পড়ুন: হাওড়ার শ্যামপুরে মণ্ডপে ভাঙচুর, দুর্গা প্রতিমায় আগুন, বিস্ফোরক দাবি শুভেন্দুর

    মৃতার পরিবারের লোকজনের কী বক্তব্য?

    মৃতার পরিবারের দাবি, পুরো বিষয়টা ধামাচাপা (Habra Rape) দেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছিল দিনের পর দিন। কিন্তু কোনওভাবেই বিষয়টা মিটমাট করেননি নির্যাতিতা। সেই কারণেই খুন করা হয়েছে। অভিযুক্তের স্ত্রী পুরো বিষয়টাই জানতেন। মৃতের ভাই বলেন, “আমার দিদিকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই অভিযোগের ভিত্তিতে ওই দিনই পুলিশ আমার দিদির স্বামী, ধর্ষণে অভিযুক্ত কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) কর্মী এবং তাঁর পঞ্চায়েত সদস্য স্ত্রীকে গ্রেফতার করেছে। আসলে বিয়ের পর থেকেই আমার দিদিকে তাঁর স্বামী-সহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করত। বাধ্য হয়ে দিদি ভাড়া বাড়িতে চলে গিয়েছিল। এ বারে ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দিতে অভিযুক্ত পুলিশ কর্মী এবং তার পঞ্চায়েত সদস্যা স্ত্রী মিলে দিদির স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে দিদিকে খুন করেছে।”

    তৃণমূল নেতৃত্বের সাফাই

    ধৃত ওই পঞ্চায়েত সদস্যা পুলিশের কাছে দাবি করেছেন, তাঁর স্বামী ধর্ষণের ঘটনায় যুক্ত নয়। অন্য এক যুবক মহিলাকে ধর্ষণ (Habra Rape) করেছিল। খুনের অভিযোগও মিথ্যে বলে দাবি তাঁর। এলাকার তৃণমূল নেতা বাপি মজুমদার বলেন, “দল কোনও অন্যায় কাজ সমর্থন করে না। পঞ্চায়েত সদস্য দোষ করে থাকলে পুলিশ (Kolkata Police) পদক্ষেপ করুক। এখানে দল হস্তক্ষেপ করবে না।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Droher Carnival: ‘দ্রোহের কার্নিভাল’ বন্ধের চিঠি রাজ্যের, ‘হতাশাজনক’, জবাব ক্ষুব্ধ ডাক্তারদের

    Droher Carnival: ‘দ্রোহের কার্নিভাল’ বন্ধের চিঠি রাজ্যের, ‘হতাশাজনক’, জবাব ক্ষুব্ধ ডাক্তারদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার ১৫ অক্টোবর, বিকেল ৪টের সময় রানি রাসমণি রোডে (West Bengal) ‘দ্রোহের কার্নিভালে’র (Droher Carnival) ডাক দিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। সাধারণ নাগরিক সমাজকেও সেই কার্নিভালে যোগ দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। ঠিক এই আবহে চাপে পড়ে মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ ‘দ্রোহের কার্নিভাল’ প্রত্যাহার করার কথা বলেছেন ডাক্তারদের। প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার কলকাতায় পুজোর কার্নিভালও রয়েছে। এক্ষেত্রে নিরাপত্তাজনিত কারণ উল্লেখ করেই ‘দ্রোহের কার্নিভাল’ বন্ধ রাখার আবেদন জানিয়েছে রাজ্য সরকার। তবে কারণ কি শুধু নিরাপত্তাজনিত? রাজ্যের যুক্তি এমন যুক্তি মানতে পারছেন না অনেকেই। কেউ কেউ বলছেন, আরজি কর ইস্য়ুতে মমতা সরকারের  (West Bengal) বিরুদ্ধে যেভাবে গণরোষ তৈরি হয়েছে, তাতে ভীত হয়েই রাজ্য সরকার ‘দ্রোহের কার্নিভাল’ বন্ধ করতে চাইছে। কারও কারও মতে, সরকারি কার্নিভালের দিনই দ্রোহের কার্নিভাল হলে দুটোর মধ্যে তুলনার জায়গা থেকে যাবে। আরজি করকে কেন্দ্র করে সাধারণ মানুষের আবেগ যে জায়গায় গিয়েছে তাতে দ্রোহের কার্নিভালে জনসমাগম সরকারি কার্নিভালের থেকে বেশি হতে পারে। ফ্লপ খেতে পারে মমতা সরকারের কার্নিভাল। সেকারণেই কি এবার দ্রোহের কার্নিভাল বন্ধে উঠে পড়ে লাগল সরকার?

    আইনের সীমা ও হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ মাথায় রেখেই তাঁরা লড়াই জারি

    মুখ্যসচিবের সেই ইমেলের পরই এ বার বিবৃতি সামনে এল সিনিয়র ডাক্তারদের সংগঠন ‘জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টরস’-এর। মঙ্গলবার ‘দ্রোহের কার্নিভাল’ (Droher Carnival) না করার জন্য মমতা সরকারের এমন বার্তাকে ‘হতাশাজনক’ বলেই জানিয়েছে চিকিৎসক সংগঠন। প্রসঙ্গত, মুখ্যসচিব মনোজ পন্থের পাঠানো ইমেলে গত ১১ অক্টোবর হাইকোর্টের একটি নির্দেশের কথাও উল্লেখ ছিল। এক্ষেত্রে চিকিৎসকেরাও জানিয়ে দিয়েছেন, আইনের সীমা ও হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ মাথায় রেখেই তাঁরা লড়াই জারি রাখবেন।

    কী বলছেন চিকিৎসক সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক

    সংগঠনের তরফে এক বিবৃতিতে যুগ্ম আহ্বায়ক চিকিৎসক পুন্যব্রত গুণ এবং চিকিৎসক হীরালাল কোনার বলেছেন, “আমরা এক বারও বলছি না সরকারের কার্নিভাল (পুজোর কার্নিভাল) বাতিল করার জন্য। উদ্‌যাপনের সাংবিধানিক অধিকারকে আমরা সম্মান করি। একই ভাবে আমাদেরও অধিকার রয়েছে উৎসবে বিঘ্ন না ঘটিয়ে শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক উপায়ে প্রতিবাদ জানানোর। জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের প্রতি সংহতিতে ১৫ অক্টোবর দ্রোহের কার্নিভাল (Droher Carnival) ডাকা হয়েছে। সরকারের তা প্রত্যাহার করতে বলা আমাদের কাছে হতাশাজনক।”

    কী বলছেন জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের নেতা দেবাশিষ হালদার?

    আ্ন্দোলনকারী চিকিৎসকদের তরফে দেবাশিস হালদার বলেন, “হাইকোর্টের নির্দেশ রয়েছে, যে কার্নিভালকে কোনওরকমভাবে ব্যাহত করা যাবে না। আমরা অবশ্যই সেটাকে মান্যতা দিই। যদিও আমরা মানসিকভাবে এই বিষয়টাকে মেনে নিতে প্রস্তুত নেই, যে বিচারহীনতার ৬৫ দিন কাটছে। অনশন চলছে। কিন্তু প্রশাসন কার্নিভালে মেতে উঠল, সেটা মেনে নিতে কষ্ট হয়। কিন্তু আমরা পুলিশকে কোনও রকম সুযোগ দিতে চাই না। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে রাস্তার ধারগুলোতে মানববন্ধন করব।” আন্দোলনকারী চিকিৎসক সুবর্ণ গোস্বামী বলেন, ”দ্রোহের কার্নিভাল প্রত্যাহার করার প্রস্তাব পেয়েছিলাম। কিন্তু এটা করা মুশকিল। একদিকে ফূর্তি চলবে, আরেকদিকে ধর্ষণ, লুঠতরাজ চলবে, যাঁরা প্রতিবাদ করবে, তাঁদেরকেই পুলিশ পীড়ন করবে, এটা হতে পারে না।”

    অসুস্থ তিন জুনিয়র ডাক্তার

    প্রসঙ্গত, আরজি কর কাণ্ডের বিচার এবং হাসপাতালগুলিতে নিরাপত্তার দাবিতে টানা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। ধর্মতলার রাস্তায় বসে রয়েছেন তাঁরা। চলছে আমরণ অনশন কর্মসূচি, সোমবারই তার দশম দিন। প্রসঙ্গত,  তিন জন অনশনরত জুনিয়র ডাক্তার অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। কলকাতার অনশনমঞ্চের দু’জন এবং শিলিগুড়িতে এক জন জুনিয়র ডাক্তার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বর্তমানে। নিজেদের বিবৃতিতে এই পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে চিকিৎসক সংগঠন জানিয়েছে, এই পরিস্থিতিতেও রাজ্য সরকার কার্নিভাল করার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাতে তাঁরা ‘হতাশ’।

    কঠিন পরিস্থিতিতেও সরকার উদ্‌যাপনকেই গুরুত্ব দিচ্ছে (Droher Carnival)

    বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, “এই কঠিন পরিস্থিতিতেও সরকার উদ্‌যাপনকেই গুরুত্ব দিচ্ছে।” আন্দোলনকারী চিকিৎসক সুবর্ণ গোস্বামী বলেন, “আমরা পেয়েছিলাম, দ্রোহের কার্নিভাল (Droher Carnival) প্রত্যাহার করে নেওয়ার জন্য। কিন্তু এটা করা মুশকিল। একদিকে ফূর্তি চলবে, আরেকদিকে ধর্ষণ, লুঠতরাজ চলবে, যাঁরা প্রতিবাদ করবে, তাঁদেরকেই পুলিশ পীড়ন করবে, এটা হতে পারে না।” জয়েন্ট প্লাটফর্ম অফ ডক্টরস-এর দাবি, “সরকারি কোনও উদ্যোগে তো আমরা আপত্তি করছিল না। আপনাদের পুজোর কার্নিভালে আমরা আপত্তি করছি না আপনারা কেন করছেন? তাহলে রাজপথে হচ্ছে আন্দোলন। সেখানে কেন আপত্তি করা হচ্ছে। সরকার প্রতিবাদের কার্নিভাল বন্ধ করতে যত না তৎপর ততটা তৎপর যদি সরকার অপরাধ দমনে করত তাহলে বাংলার এই অবস্থা হত না।”  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Protest: দশমীতেও আরজি করকাণ্ডের প্রতিবাদ, হল মোমবাতি মিছিল, উঠল স্লোগান

    RG Kar Protest: দশমীতেও আরজি করকাণ্ডের প্রতিবাদ, হল মোমবাতি মিছিল, উঠল স্লোগান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করকাণ্ডে (RG Kar Protest) সুবিচারের দাবিতে লাগাতার আন্দোলন চলছে। শুধু রাজ্যই (West Bengal) নয়, এই দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ দেখা গিয়েছে দেশে-বিদেশে। পুজোর আবহেও জারি রয়েছে প্রতিবাদ। এবার এই প্রতিবাদ আরও জোরালো করতে বিসর্জনের মঞ্চকেই বেছে নিলেন প্রতিবাদী পুজো কমিটির সদস্যরা। কলকাতা শহরের গণ্ডি ছাড়িয়ে তা বিভিন্ন জেলার গ্রাম-মফস্সলে ছড়িয়ে পড়েছে। বিক্ষোভ-প্রতিবাদের মধ্যেই পুজো কেটেছে এ বছর। বিসর্জনেও তা অব্যাহত। আরজি কর-কাণ্ডের আবহে প্রতিমা বিসর্জনে ভিন্ন দৃশ্য দেখা গেল জেলায় জেলায়। কোথাও আরজি করকাণ্ডের প্রতিবাদে মোমবাতি মিছিল হয়েছে। কোথাও আবার বিজয়া দশমীতে কালো শাড়ি পরে সিঁদুর খেললেন মহিলারা। আবার কোথাও আরজি করের ঘটনায় দোষীদের শাস্তির দাবিতে পুজো মণ্ডপে উঠল ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ স্লোগান।

    মোমবাতি মিছিল (RG Kar Protest)

    এবার আরজি কর-কাণ্ডের (RG Kar Protest) বিচারের দাবিতে দশমীর রাতে মোমবাতি হাতে পথে নামলেন আসানসোলবাসী। মিছিলে ছিলেন মহিলা এবং পুরুষদের একাংশ। আসানসোলের চিত্তরঞ্জন রেল নগরীর ২৪ নম্বর মোড়ে হয় এই প্রতিবাদ মিছিল। রাজ্যজুড়ে নির্যাতিতাদের বিচার ও দোষীদের শাস্তির দাবিতে প্রতিবাদ সভা করার পাশাপাশি মোমবাতি মিছিল করেন তাঁরা। ছিল ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ এবং ‘জাস্টিস ফর আরজি কর’ স্লোগানও। অনশনরত জুনিয়র ডাক্তারদের পাশে থাকার বার্তাও দিলেন তাঁরা। মঙ্গলবার আরজি করের নির্যাতিতার বিচারের দাবিতে এবং অনশনরত জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতি সংহতি জানিয়ে রানি রাসমণি রোডে ‘দ্রোহের কার্নিভাল’ ডেকেছে ‘জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টর্স’। সেই ‘দ্রোহের কার্নিভাল’-এ সকলকে শামিল হওয়ার কথাও জানালেন তাঁরা। দ্রুত এবং ন্যায় বিচারের দাবি জানানোর পাশিপাশি মহিলাদের সুরক্ষা নিয়েও সরব হন তাঁরা।

    আরও পড়ুন: হাওড়ার শ্যামপুরে মণ্ডপে ভাঙচুর, দুর্গা প্রতিমায় আগুন, বিস্ফোরক দাবি শুভেন্দুর

    কালো শাড়ি পরে প্রতিবাদ

    বিজয়া দশমীতে লাল পাড় সাদা শাড়ি পরে সিঁদুর খেলাই দস্তুর। কিন্তু আরজি কর-কাণ্ডের আবহে প্রতিমা বিসর্জনে ভিন্ন দৃশ্য মালদায়। রবিবার মালদা (RG Kar Protest) শহরের কেজে সান্যাল রোডের গাজোল ট্যাক্সি স্ট্যান্ড দুর্গোৎসব কমিটির পুজো মণ্ডপে কালো শাড়ি পরে সিঁদুর খেলে প্রতিবাদ জানান মহিলারা। শিলিগুড়িতেও প্রতিমা বিসর্জনে প্রতিবাদের ছবি দেখা গিয়েছে। মহানন্দার লালমোহন মৌলিক ঘাটে প্রতিমা নিরঞ্জন করতে এসে ‘জাস্টিস ফর আরজি কর’ স্লোগান তুলতে দেখা গেল মহিলাদের। গলা মেলালেন পুরুষরাও। এক মহিলা উদ্যোক্তা বলেন, “আমরা মা দুর্গার পুজো করেছি ঠিকই। কিন্তু এ বারের পুজো শুধুই আনন্দের ছিল না। আমাদের মনের কোণে বিষণ্ণতাও ছিল। পশ্চিমবঙ্গের মেয়েরা আজ অসুরক্ষিত। আরজি করে যে মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে, তার জন্য বহু মানুষ আজ রাস্তায়। তার পরেও এই অন্যায়- অপরাধ থামেনি। আমরা মা দুর্গাকে সাক্ষী রেখে প্রতীকী প্রতিবাদ জানাচ্ছি কালো শাড়ি পরে সিঁদুর খেলে। যত দিন না নির্যাতিতারা বিচার পাচ্ছেন, তত দিন এই আন্দোলন চলবে।”

    নিরঞ্জনে স্লোগান ‘জাস্টিস ফর আরজি কর’

    অন্যদিকে, রায়গঞ্জের তুলসীতলার দশভুজা বারোয়ারী পুজো কমিটির সদস্যরা বুকে কালো ব্যাজ ও মাথায় কালো ব্যান্ড লাগিয়ে তিলোত্তমার মূর্তি সহযোগে ন্যায়বিচারের দাবি জানিয়ে প্রতিমা নিরঞ্জনের শোভাযাত্রায় অংশ নেন। ওই এলাকার পুরুষ, মহিলা, ছাত্র-ছাত্রীরা ছিলেন এই শোভাযাত্রায়। আড়ম্বরহীনভাবে প্রতিমা নিরঞ্জন করা হয়। মহিলারা জানান, তারা যেমন উৎসব পালন করেছেন তেমনি আরজি করের ঘটনার সুবিচার চাইছেন। বিচারবিভাগের কাছেও তাঁদের দাবি দ্রুত বিচার প্রক্রিয়া শেষ করুন। অন্যদিকে, জয়তী তলাপাত্র নামে আরও এক পুজো কমিটির সদস্যা জানান, যে মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে তার সুবিচারের দাবিতে কালো ব্যাজ পরে শোভাযাত্রায় অংশ নিয়েছেন। প্রতিবছর প্রতিমা নিরঞ্জনের পর যে অনুষ্ঠান হয়ে থাকে এবার এবার তা করার মন মানসিকতা নেই। এদিন প্রতিবাদের পাশাপাশি পুজো কার্নিভালে অংশ নেওয়া পুজো কমিটিগুলির কাছে দুর্গা কার্নিভালে অংশ না নিতে আবেদন জানান প্রতিবাদীরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Case: শরীরে কিটোন বডির মাত্রা ৩+! সঙ্কটজনক অনশনরত ডাক্তার পুলস্ত্য

    RG Kar Case: শরীরে কিটোন বডির মাত্রা ৩+! সঙ্কটজনক অনশনরত ডাক্তার পুলস্ত্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কিছুটা স্থিতিশীল কিন্তু বিপদমুক্ত নন। দেহে সোডিয়াম-পটাসিয়ামের মাত্রা কমে গিয়েছে। বড় চিন্তার বিষয় ছিল ইউরিন হচ্ছিল না। এখন ইউরিন আউটপুট স্বাভাবিক। ইউএসজি, ইকো, ইএসজি হয়েছে। আর‌ও বেশি কিছু রক্ত পরীক্ষা হয়েছে। আরজি কর (RG Kar Case) ইস্যুতে ধর্মতলায় অনশনরত জুনিয়র ডাক্তারদের মধ্যে আরও একজন আন্দোলনকারী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। টানা ৭ দিন ধরে অভয়ার ন্যায় বিচারের দাবি-সহ দশদফা দাবিতে আমরণ অনশন (Fasting Doctor) কর্মসূচিতে ধর্না মঞ্চে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন ডাক্তার পুলস্ত্য আচার্য্য। শারীরিক অবস্থার কথা বিবেচনা করে দ্রুত রবিবার রাতেই নীলরতন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে তাঁকে। রাতে চিকিৎসকরা জানান, তাঁর পরিস্থিতি অত্যন্ত সঙ্কটজনক।

    শরীরে কিটোন বডির মাত্রা বেশি, রক্তচাপ কম (RG Kar Case)

    চিকিৎসকদের সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার সন্ধ্যা থেকেই পুলস্ত্যর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটতে শুরু করে। তিনি পিজিটি প্রথম বর্ষের ছাত্র। প্রাথমিক চিকিৎসায় সাড়া না দিলে তড়িঘড়ি করে এনআরএস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অনশনরত (Fasting Doctor) এই ডাক্তারের শরীরে কিটোন বডির মাত্রা বেশি, রক্তচাপ কম। বর্তমানে তাঁকে এইচডিইউতে ভর্তি রাখা হয়েছে। হাসপাতাল থেকে ইতিমধ্যে পাঁচ সদস্যের একটি মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে। সেই সঙ্গে রয়েছেন, অ্যানাস্থেশিয়া, কার্ডিওলজি, মেডিসিন, চেস্ট মেডিসিন এবং নেফ্রোলজি বিভাগের চিকিৎসকেরা। তবে প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে না খাওয়ার কারণে শরীরে জলের অভাব রয়েছে। একই ভাবে রয়েছে বমি বমি ভাব। দেহে কিটোন বডির মাত্রা ৩+। ফলে কিডনিতে প্রভাব পড়েছে। তবে অবস্থা স্থিতিশীল হলেও সঙ্কট মুক্ত নন তিনি। এই নিয়ে আরজি কর ইস্যুতে (RG Kar Case) অনশন মঞ্চ থেকে মোট চারজন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। কিন্তু দাবিতে এখনও অনড় তাঁরা।

    আরও পড়ুনঃ হাওড়ার শ্যামপুরে মণ্ডপে ভাঙচুর, দুর্গা প্রতিমায় আগুন, বিস্ফোরক দাবি শুভেন্দুর

    ‘‘ছেলে ভালো আছে…আন্দোলনে আমিও পাশে আছি’’

    অপর দিকে গত সপ্তমীর দিন রাতে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন অনিকেত মাহাতো, দশমীর দিন অসুস্থ হয়ে পড়েন উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের আলোক ভার্মা এবং কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অনুষ্টুপ মুখোপাধ্যায়। বর্তমানে এই তিনজনেই হাসপাতালের ক্রিটিক্যাল কেয়ারে চিকিৎসাধীন। তবে তাঁদের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। অনিকেত আরজি কর হাসপাতালের সিসিইউতে চিকিৎসাধীন। শরীরে অত্যধিক জলের ঘাটতি হওয়ার কারণে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তিনি। হাসপাতাল সূত্রে খবর, অনিকেতের ব্লাড প্রেশার অর্থাৎ রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে। ডাবের জল এবং ফলের রস জাতীয় খাবারও তাঁকে দেওয়া হচ্ছে। এখনও তাঁর শরীর খুবই দুর্বল।

    অনুষ্টুপ ভর্তি কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। মেডিসিন বিভাগের প্রধান চিকিৎসক সৌমিত্র ঘোষ, অনুষ্টুপ সম্পর্কে বলেন, “পেটে ব্যথা আগের তুলনায় কমে গিয়েছে। মূত্রে এখনও কিটোনের পরিমাণ রয়েছে। স্যালাইন দেওয়ার কারণে উচ্চ রক্তচাপ ঠিক হয়েছে। প্রচণ্ড দুর্বল তাই ফলের রস খেতে দেওয়া হচ্ছে।” অপর দিকে এই জুনিয়র ডাক্তারের বাবা অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় বলেন, “ও মানসিক দিক দিয়ে ছোট থেকেই খুব শক্ত। এখন খুব দুর্বল আছে শারীরিকভাবে, আমার সঙ্গে কথা হয়েছে।” একই ভাবে অনিকেতের বাবা অপূর্ব মাহাতো বলেন, “ছেলে ভালো আছে, ওদের আন্দোলনে (RG Kar Case) আমিও পাশে আছি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share