Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • CV Ananda Bose: ফের রাজ্য-রাজভবন দ্বন্দ্ব! ১৬ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য মনোনয়ন রাজ্যপালের

    CV Ananda Bose: ফের রাজ্য-রাজভবন দ্বন্দ্ব! ১৬ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য মনোনয়ন রাজ্যপালের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংঘাতের আবহেই একই সঙ্গে ১৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য ঠিক করে দিলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস (Governor CV Ananda Bose)। কয়েক দিন আগে এর মধ্যে ১৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বতী উপাচার্য হিসেবে নিজেই দায়িত্ব নিয়েছিলেন তিনি। রাজভবন সূত্রের খবর, ওই ১৪টি বিশ্ববিদ্যালয়-সহ কল্যাণী বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এবং বেলগাছিয়ার পশ্চিমবঙ্গ প্রাণী ও মৎস্যবিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়েরও অন্তর্বর্তী উপাচার্য মনোনয়ন করেছেন তিনি। 

    রাজভবনের নয়া বিজ্ঞপ্তি

    রাজভবনের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী উপাচার্যই বিশ্ববিদ্যালয়ের এক্সিকিউটিভ অফিসার। উপাচার্যর নির্দেশেই বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজকর্ম পরিচালিত হবে। রেজিস্ট্রার-সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের আধিকারিকরা, উপাচার্যর নির্দেশ অনুযায়ী কাজ করবেন। উপাচার্যর সম্মতি ছাড়া, সরাসরি রাজ্য সরকারের কোনও নির্দেশ মানতে বা কার্যকর করতে তাঁরা বাধ্য নন। দীর্ঘদিন ধরে উপাচার্যহীন থাকায় প্রশাসনিক কাজ আটকে ছিল এই সব বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে। পড়ুয়ারাও ডিগ্রির সার্টিফিকেট পাচ্ছিলেন না বলে অভিযোগ উঠেছিল। সেইসব বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজ্যপাল তথা আচার্য সিভি আনন্দ বোস উপাচার্য হিসাবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে রাজভবন থেকে জানানো হয়েছিল। তারই মাঝে রবিবার এই নিয়োগের খবর সামনে আসে।  

    আরও পড়ুন: কর্তৃপক্ষের ভূমিকায় কি অসন্তুষ্ট! সোমবারই যাদবপুরে আসছে ইউজিসির প্রতিনিধি দল

    রাজ্যপালের যুক্তি

    রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির পরিচালনাকে সামনে রেখে গত কয়েকদিনে বারবার রাজ্য ও রাজভবনের মধ্যে সংঘাতের ছবিটা প্রকট হয়েছে। রাজভবন একটি নির্দেশিকা দিয়ে জানিয়েছে, আচার্যর পর বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বভৌম অধিকর্তা উপাচার্য। তাঁর নির্দেশই শেষ কথা। এ নিয়ে বিতর্ক তৈরি হওয়ায় রবিবার এর ব্যাখ্যাও দেন রাজ্যপাল। তাঁর বক্তব্য, ‘‘এটা আচার্যের নির্দেশিকা নয়। সংবিধান, ইউজিসি আইন এবং সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের ভিত্তিতে এটি তৈরি করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানের স্বায়ত্তশাসন, বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্তশাসন অত্যন্ত পবিত্র বিষয় এবং সকলকেই তার সম্মান করতে হবে।’’ আচার্য-উপাচার্য বিতর্ক নিয়েও এ দিন মুখ খুলে রাজ্যপাল বলেন, ‘‘আচার্য উপাচার্য হিসেবে কাজ করেননি, করবেন না, করতে পারেন না এবং করা উচিত নয়। কিছু ক্ষেত্রে যেখানে পড়ুয়ারা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রির শংসাপত্র পেতে সমস্যায় পড়েছেন, যার ফলে তাঁরা চাকরি পর্যন্ত হারাতে পারেন, আমি বলেছিলাম, শুধুমাত্র সেই সব ক্ষেত্রে, শিক্ষার্থীদের সাহায্যের জন্য আচার্য হস্তক্ষেপ করবেন এবং শংসাপত্রগুলি ছাড়ার ব্যবস্থা করবেন। এর বেশিও না, কমও না।’’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Kolkata Rain: দিনের বেলায় নামল আঁধার! ঝেঁপে বৃষ্টি কলকাতায়, জলমগ্ন বহু রাস্তা

    Kolkata Rain: দিনের বেলায় নামল আঁধার! ঝেঁপে বৃষ্টি কলকাতায়, জলমগ্ন বহু রাস্তা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত কয়েক দিন ধরেই কলকাতা-সহ আশপাশের জেলায় বৃষ্টি হচ্ছে। শনিবার সকাল থেকেই আকাশের মুখ ভার ছিল (Weather Update)। বেলা গড়াতেই ঘনিয়ে আসে আঁধার। এর পরই শহর কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় নামে ঝেঁপে বৃষ্টি (Kolkata Rain)। সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দেখা যায় বিদ্যুতের ঝলকানি। কিছু জায়গায় ঘনঘন বাজও পড়েতে শুরু করে। প্রায় ঘণ্টাখানেক ধরে চলে বৃষ্টি। কোথাও মুষলধারে, তো কোথাও ঝিরঝির করে। তবে, তাতেই শহরের বিভিন্ন অংশে জল জমে যায়। যার প্রভাব পড়ে যানবাহনের গতিতে। যানজটে নাকাল হতে হয়েছে শহরবাসীকে। এর আগে, বৃহস্পতিবার একই ভাবে বৃষ্টিতে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা জলমগ্ন হওয়ায় গোটা কলকাতাজুড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছিল।

    কী বলছে আবহাওয়া দফতর

    আলিপুর আবহাওয়া দফতরের (Weather Update) তরফে জানানো হয়েছে, বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণাবর্তের প্রভাবেই আবহাওয়ার এই পরিবর্তন। যার জেরে শনিবার বৃষ্টি শুরু হয় দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায়। শুধু কলকাতাতেই (Kolkata Rain) নয়, দক্ষিণ ২৪ পরগনাতেও মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হবে বলে জানা গেছে আবহাওয়া দফতর সূত্রে। তবে, বৃষ্টির হলেও এখনই গরম কমবে না। তবে, রবিবার থেকে গরম খানিকটা কমার সম্ভাবনা রয়েছে। এমনটাই খবর আবহাওয়া দফতর সূত্রে। আপাতত দুই থেকে তিন ডিগ্রি তাপমাত্রা কমতে পারে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।

    বজ্রপাতে মৃত্যু যুবকের

    এদিকে, এদিন খাস দক্ষিণ কলকাতায় (Kolkata Rain) বজ্রপাতে মৃত্যু হয়েছে এক যুবকের। জানা গেছে, রিজেন্ট পার্কের আনন্দপল্লিতে বেলা ১২টা নাগাদ বাজ পড়ে মৃত্যু হয় কৌশিক কর নামে ওই বছর চব্বিশের ওই যুবকের। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, রোজের মতো শনিবার সকালে শরীরচর্চা করতে জিমে গিয়েছিলেন কৌশিক। জিম থেকে ফিরে ঘরের ভিতরে প্রচণ্ড অস্বস্তি হচ্ছিল তাঁর। তখনই বাইরে বৃষ্টি নামে। বৃষ্টিতে ভিজতে বাড়ির ছাদে চলে যান তিনি। তখনই প্রচণ্ড শব্দে বাজ পড়ে। দ্রুত তাঁকে এম আর বাঙুর হাসপাতালে নিয়ে গেলেও শেষ রক্ষা হয়নি৷ চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। কলকাতার এক কলেজে বিবিএ-র ছাত্র ছিলেন কৌশিক। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Howrah: পাশে এলেন মহিলা আরপিএফ, হাওড়া স্টেশনে নির্বিঘ্নে সন্তান প্রসব গৃহবধূর

    Howrah: পাশে এলেন মহিলা আরপিএফ, হাওড়া স্টেশনে নির্বিঘ্নে সন্তান প্রসব গৃহবধূর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরপিএফের মানবিক মুখ। মহিলা আরপিএফ কর্মীদের তৎপরতায় হাওড়া (Howrah) স্টেশনে নির্বিঘ্নে সন্তান প্রসব করলেন এক গৃহবধূ। শুক্রবার হাওড়া স্টেশনের নিউ কমপ্লেক্সে এই ঘটনাটি ঘটে। মা ও সদ্যোজাত শিশু দুজনেই সুস্থ। হাওড়া জেলা হাসপাতালে পর্যবেক্ষণে রয়েছেন দুজনেই।

    কীভাবে হল সন্তান প্রসব (Howrah)?

    জানা গেছে, পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুরের বাসিন্দা সুপ্রিয়া করণ (২৮), স্বামী আকাশের সঙ্গে হাওড়া স্টেশনে এসেছিলেন। উদ্দেশ্য ছিল দুরন্ত এক্সপ্রেসে চেপে বেঙ্গালুরুতে যাবেন। ট্রেন থেকে হাওড়া (Howrah) স্টেশনের নিউ কমপ্লেক্সে নামতেই সুপ্রিয়ার প্রসব বেদনা শুরু হয়। বিষয়টি দেখতে পেয়েই সেখানে কর্তব্যরত মহিলা আরপিএফ কর্মীরা সুপ্রিয়াকে সাহায্য করার জন্য এগিয়ে আসেন। ট্রেনের কয়েকজন মহিলা সহযাত্রীও সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেন। এরপরই মহিলা আরপিএফ কর্মীরা প্লাটফর্মের চারদিকে কাপড় দিয়ে ঘিরে একটি অস্থায়ী লেবার রুম তৈরি করেন। তাঁদের সাহায্যে ওই মহিলার সন্তান ভূমিষ্ঠ হয়। খবর পেয়ে ছুটে আসেন রেলের চিকিৎসক। চিকিৎসক এসে দুজনকেই সুস্থ বলে ঘোষণা করেন। পরে আরপিএফ কর্মীরা রেলের অ্যাম্বুল্যান্সে করে দুজনকে হাওড়া জেলা হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে রয়েছে মা ও সদ্যোজাত সন্তান দুজনেই।

    গৃহবধূর স্বামীর বক্তব্য

    সুপ্রিয়া দেবীর স্বামী আকাশ করণ জানিয়েছেন, বেঙ্গালুরু যাওয়া খুব জরুরি ছিল। তাই গর্ভবতী হওয়া সত্ত্বেও স্ত্রীকে নিয়ে যেতে হচ্ছিল। কিন্তু এইদিন হাওড়া (Howrah) স্টেশনে নামতেই স্ত্রীর প্রসব যন্ত্রণা শুরু হয়। তখন কী করবেন ভেবে পাচ্ছিলেন না৷ সেই সময় এগিয়ে আসেন আরপিএফের মহিলারা। তারাই দ্রুত পুরো এলাকা কাপড় দিয়ে ঘিরে দিয়ে তাঁর স্ত্রীর প্রসব করান। এই জন্যে আরপিএফ কর্মীদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।

    এর আগেও হাওড়া (Howrah) স্টেশন সহ বিভিন্ন রেল স্টেশনে প্রসব যন্ত্রণা ওঠা মহিলাদের সহযোগিতার করে নজির সৃষ্টি করেছে রেল পুলিশ। মাসখানেক আগেই হাওড়া স্টেশনে পরপর দুবার সন্তান প্রসবের ঘটনা ঘটে। সেখানেও মহিলা পুলিশ কর্মীরা সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন। রেলের নিরাপত্তা দেখার পাশাপাশি মানুষের সহযোগিতায় রেল পুলিশের এই ভুমিকাকে স্বাগত জানিয়েছেন রেল যাত্রীরা। বিশেষ করে মহিলা রেল যাত্রীরা শুভেচ্ছা জানিয়েছেন আরপিএফের এই মহিলা কর্মীদের। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • Aditya-L1: আদিত্য এল ওয়ান তৈরির টিমেও বাদুড়িয়ার জয়ন্ত পাল, গর্বিত এলাকাবাসী

    Aditya-L1: আদিত্য এল ওয়ান তৈরির টিমেও বাদুড়িয়ার জয়ন্ত পাল, গর্বিত এলাকাবাসী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আদিত্য এল-১ (Aditya-L1) মিশনের জন্য ইসরোর অন্য বিজ্ঞানীদের দিন-রাত এক করে কাজ করেছেন উত্তর ২৪ পরগনার বাদুড়িয়ার ছেলে জয়ন্ত পাল। শনিবার সকাল ১১ টা ৫০ মিনিটে শ্রীহরিকোটা থেকে আদিত্য এল-১ (Aditya- L1)-র উৎক্ষেপণে সফল হয়েছে ইসরো। এদিন সকাল থেকে তাঁর বাড়িতে ভিড় জমিয়েছিলেন আত্মীয়, প্রতিবেশী থেকে এলাকার সাধারণ মানুষ। প্রত্যেকেই ইসরো-র আদিত্য এল-১ (Aditya- L1) মিশনের সাফল্য কামনা করেন।

    কী বললেন বিজ্ঞানীর পরিবারের লোকজন? (Aditya- L1)

    বাদুড়িয়া ব্লকের রামচন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের রামচন্দ্রপুর গ্রামের ছেলে জয়ন্তবাবু। ২০১৮ সালে ইসরোয় বিজ্ঞানী হিসাবে নিযুক্ত হয়েছিলেন তিনি। ২০১৯ সালে চন্দ্রযান ২-এর অন্যতম কারিগর ছিলেন তিনি। সেই অভিযান পুরোপুরি সফল না হলেও, সাফল্য এসেছে ২০২৩-এ। চাঁদে সফলভাবে অবতরণ করেছে ভারতের চন্দ্রযান ৩। আর সেই অভিযানের টিমেও অন্যতম সদস্য ছিলেন বাংলার তিনি। এবার সূর্যযানেও (Aditya-L1) অন্য বিজ্ঞানীদের সঙ্গে তিনি রয়েছেন। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ছোট থেকেই ছাত্র হিসেবে মেধাবী ছিলেন জয়ন্ত। তবে, নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান জয়ন্ত যে এভাবে একদিন পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করবে তা বাবা-মায়ের আশার অতীত ছিল। আজ বাদুড়িয়া তথা গোটা বাংলার গর্ব জয়ন্ত। জয়ন্তবাবুর বাবা অর্ধেন্দু পাল পেশায় ছোট ব্যবসায়ী। আর্থিক আনুকুল্য তেমন ছিল না কোনও দিনই। প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে ছেলের স্বপ্নপূরণ করার চেষ্টা করেছেন তিনি। তাঁর মা আলপনা পাল ছেলেকে শিক্ষার পথ থেকে সরে যেতে দেননি কখনও। সকাল থেকেই টিভি-তে চোখ রেখে বসেছিলেন জয়ন্তবাবুর বাবা অর্ধেন্দু পাল ও মা আলপনা পাল। আলপনা দেবী বলেন, আমি মা হিসেবে চাই জয়ন্তর নাম একদিন গোটা দেশ তথা গোটা বিশ্ব যেন জানতে পারে। জয়ন্ত পালের বাবা অর্ধেন্দুবাবু বলেন, ছেলে ফের এত বড় ইতিহাসের সাক্ষী হওয়ায় খুবই ভাল লাগছে। এদিন জন প্রতিনিধি থেকে স্থানীয় গ্রামবাসীরা ফুল ও মিষ্টি নিয়ে শুভেচ্ছা জানাতে পাল বাড়িতে ভিড় জমান।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: চিনের যুব সমাজের চরিত্র গঠনে বিবেকানন্দের পাঠ, রামকৃষ্ণ মিশনে প্রস্তাব কনসাল জেনারেলের

    Birbhum: চিনের যুব সমাজের চরিত্র গঠনে বিবেকানন্দের পাঠ, রামকৃষ্ণ মিশনে প্রস্তাব কনসাল জেনারেলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিনে যুব সমাজের চরিত্র গঠনের জন্য বিবেকানন্দ পড়ানোর আবেদন জানালো চিন সরকার। চিন সরকার আরও বলল, মার্ক্স-লেলিন নয় চাই বিবেকানন্দের নৈতিকতা। রামকৃষ্ণ মিশনের কাছে সম্প্রতি চিনের কনসাল জেনারেল এমনই প্রস্তাব দিয়েছেন। এই কথাই বোলপুরে (Birbhum) জানালেন রামকৃষ্ণ মিশনের পক্ষ থেকে। ভারতীয় জীবনবোধে বিবেকানন্দের প্রভাব কি পড়বে এবার কম্যুনিস্ট পার্টি অফ চায়নাতেও? বিষয়টি সংবাদ মাধ্যমে আসতেই তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।

    রামকৃষ্ণ মিশনের পক্ষ থেকে কী বলা হয়েছে (Birbhum)?

    বিবেকানন্দের ভাবধারায় চীনের যুবসমাজকে গড়ে তুলতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। রামকৃষ্ণ মিশনের সাধারণ সম্পাদক সুবিরানন্দ মহারাজ আজ বোলপুরে একথা জানিয়েছেন একটি অনুষ্ঠানে। চিনে সবথেকে বেশি দার্শনিক হিসাবে মান্যতা পেয়েছেন বিবেকানন্দ। বিবেকানন্দের দেখানো পথ, এখন পৃথিবীকে মুক্তির পথ দেখাবে। চীনের কনসাল জেনারেল সম্পর্কে মহারাজ আরও বলেন যে চিন এই দেশকে চা দিয়েছে কিন্তু ভারতবর্ষ বিশ্বকে স্বামী বিবেকানন্দকে দিয়েছে। তিনি আরও বলেন, চিনের কনসাল জেনারেল বলেছেন, সমাজ তৈরির জন্য মার্ক্স-লেলিনকে দরকার হয় না, বিবেকানন্দ হলেন অন্যতম সমাজ চিন্তাবিদ। বিবেকানন্দের আদর্শ এবং নৈতিক মূল্যবোধ বর্তমান প্রজন্মের কাছে একান্ত প্রয়োজন। তাই চিনের মহাবিদ্যালয়, বিশ্ববিদ্যালয়ে বিবেকানন্দের বাণীকে কীভাবে পৌঁছানো যায়, সেই বিষয়ে কাজ করতে হবে। চিনের আগ্রহকে মিশনের পক্ষ থেকে ইতিবাচক বিষয় হিসাবে দেখা হচ্ছে বলে মহারাজ জানিয়েছেন।

    অনুষ্ঠানে উজ্জ্বল উপস্থিতি

    আজ বোলপুরে (Birbhum) রামকৃষ্ণ মঠের একটি সাধু নিবাসের উদ্বোধন করে মিশনের সাধারণ সম্পাদক সুবিরানন্দ মহারাজ বক্তব্য রাখেন। চিনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলিতে কিভাবে বিবেকানন্দের ভাবধারা পৌঁছে দেওয়া যায়, সে নিয়ে চিন্তা ভাবনা শুরু হয়েছে বলেও জানান তিনি। রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ কংগ্রেস নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্যের সংসদ তহবিলের ৫০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে একটি সাধু নিবাস নির্মাণ করা হয়েছে। আজকের অনুষ্ঠানে প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য, রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ, জেলা শাসক বিধান রায় সবাই রামকৃষ্ণ মিশনের সেবামূলক বিভিন্ন কাজের কথা তুলে ধরেন এবং সব রকম সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Jadavpur University: ‘‘সৌরভ চৌধুরীর কিছু হলে…’’! যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারকে হুমকি চিঠি

    Jadavpur University: ‘‘সৌরভ চৌধুরীর কিছু হলে…’’! যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারকে হুমকি চিঠি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রমৃত্যুর তদন্তে নয়া মোড়। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসুকে হুমকি চিঠি দেওয়া হল। ‘সৌরভ চৌধুরীর কিছু হলে এক দানাই যথেষ্ট’, এই বয়ানে  হুমকি পোস্ট কার্ড পৌঁছল যাদবপুরের রেজিস্ট্রার-সহ রেজিস্ট্রারের কাছে। হুমকি পোস্ট কার্ডের পরিপ্রেক্ষিতে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে যাদবপুর থানায়। শনিবার যাদবপুর থানায় ভারতীয় দণ্ডবিধির ৫০৬, ৫০৯ এবং ৩৪ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।

    চিঠিতে প্রাণনাশের হুমকি

    বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী ধৃত সৌরভ চৌধুরীকে প্রথম থেকেই মূল অভিযুক্ত বলে দাবি করে আসছে কলকাতা পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে একের পর এক ষড়যন্ত্রের তথ্যও আদালতে পেশ করেছেন সরকারি আইনজীবীরা। এরই মধ্যে সৌরভের পক্ষ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছল হুমকি-চিঠি! তাতে বলা হয়েছে, সৌরভের কিছু হলে, ‘রিভলভরের দানা খরচ করতে বেশি সময় লাগবে না’। রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু, জয়েন্ট রেজিস্ট্রার সঞ্জয়গোপাল সরকারের কাছে এসেছে ওই চিঠি। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, চিঠিতে প্রাণনাশের হুমকির পাশাপাশি ‘জুতোর মালা পরিয়ে বিদায়’ করার মতো কটূক্তিও করা হয়েছে। 

    আরও পড়ুন: আর কিছুক্ষণের অপেক্ষা, তারপরই সূর্যে পাড়ি দেবে ‘আদিত্য-এল১’

    তদন্তে পুলিশ

    প্রসঙ্গত, যাদবপুরের প্রথম বর্ষের পড়ুয়ার মৃত্যুর ঘটনায় গ্রেফতার প্রাক্তনী সৌরভ চৌধুরী। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, টার্গেট করে ওই পড়ুয়াকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হয়। সৌরভ চৌধুরীর নেতৃত্বে এই নির্যাতন করা হয়।  সৌরভকে আগামী ৮ সেপ্টেম্বর ফের আলিপুর আদালতে হাজির করা হবে। আপাতত জেলে বন্দি অঙ্কের স্নাতকোত্তর ওই ছাত্র। এখন কে বা কারা সৌরভের পক্ষ নিয়ে ওই হুমকি পোস্ট কার্ড পাঠিয়েছে, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এর মধ্যে এই হুমকি চিঠি ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। ওই চিঠি পেয়ে তিনি ভয় পেয়ে গিয়েছেন বলে জানিয়েছেন রেজিস্ট্রার। স্নেহমঞ্জুর দাবি, তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। চিঠির বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করা হয় যাদবপুর থানায়। তার প্রেক্ষিতেই মামলরা রুজু করল পুলিশ।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jhalda Municipality: তৃণমূল ক্ষমতাচ্যুত, বন্ধ টাকা! হাইকোর্টের দ্বারস্থ ঝালদার ৭ কাউন্সিলর

    Jhalda Municipality: তৃণমূল ক্ষমতাচ্যুত, বন্ধ টাকা! হাইকোর্টের দ্বারস্থ ঝালদার ৭ কাউন্সিলর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাতছাড়া হওয়া ঝালদা পুরসভা ছিনিয়ে আনতে মরিয়া তৃণমূল। বিরোধীদের জব্দ করতে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা এমনই অভিযোগ। পুরসভা শাসক দলের হাতছাড়া হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন স্কিমের টাকা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ কংগ্রেসের। সেই টাকা পেতেই এবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন ঝালদার ৭ কাউন্সিলর। বৃহস্পতিবার বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চে সেই মামলার শুনানি ছিল।

    বিরোধীদের অভিযোগ

    জেলা কংগ্রেস সভাপতি তথা ঝালদার বাসিন্দা নেপাল মাহাতোর অভিযোগ, ‘‘স্রেফ বিরোধী দলের পুরসভা বলেই বিভিন্ন অছিলায় রাজ্য সরকার ঝালদা পুরসভার ‘হাউজ ফর অল প্রকল্প’-সহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের তহবিল আটকে রেখেছে। সুবিচার পেতে তাই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতে যাচ্ছি।’’ ঝালদা পুরভবন সূত্রে খবর, ‘হাউজ ফর অল প্রকল্পে’ বাড়ি তৈরির জন্য পুরসভায় মোট ৩ কোটি টাকা এসেছিল। গত বছরের শেষে বিরোধীদের ডাকা অনাস্থার জেরে তৃণমূল পুরপ্রধান সুরেশ আগরওয়াল পদ থেকে সরে যাওয়ার কিছু দিনের মাথায় ২ কোটি ৮৭ লক্ষ টাকা পুরসভার তহবিল থেকে ফেরত নেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ঝালদার উপপুরপ্রধান পূর্ণিমার দাবি, ‘‘আবেদন-নিবেদনের পরেও সেই টাকা মেলেনি। সুবিচার পেতে মামলা করা করা ছাড়া গতি নেই।’’

    আরও পড়ুন: চড়া রোদে হেঁটেই বাড়ি বাড়ি প্রচারে সুকান্ত, ‘চোরেদের’ না আনার আহ্বান

    মামলাকারীদের দাবি

    মামলাকারীদের তরফে আইনজীবী কৌস্তুভ বাগচি এদিন আদালতে জানান, শাসক দলের হাত থেকে পুরসভা চলে যাওয়ার পর থেকেই টাকা দেওয়া হচ্ছে না। এ কথা শুনে বিচারপতি প্রশ্ন করেন, তবে পুরসভা চলছে কীভাবে? আইনজীবী জানান, পুরসভার তরফ থেকে একাধিকবার টাকা দেওয়ার জন্য আবেদন জানানো হয়েছে। কিন্তু রাজ্য কোনও উত্তর দেয়নি। টাকা প্রত্যাহার করার কোনও নথি আছে কি না, তা দেখতে চান বিচারপতি সিনহা। উল্লেখ্য, গত পুরসভা নির্বাচনের পর পুরুলিয়ার ঝালদা পুরসভার কংগ্রেসের পুরপ্রতিনিধি তপন কান্দুকে গুলি করে খুন করা হয়। এরপর উপ পুরপ্রধান হন তাঁর স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দু। তারপরও ওই পুরসভার ক্ষমতা ফিরে পেতে বারবার বিভিন্নভাবে চেষ্টা চালিয়েছে তৃণমূল। এমনই অভিযোগ কংগ্রেসের।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: “মনে হচ্ছে সিবিআইয়ের আগে সিআইডি লক্ষ্যে পৌঁছবে”, নিয়োগ মামলায় মন্তব্য বিচারপতির  

    Calcutta High Court: “মনে হচ্ছে সিবিআইয়ের আগে সিআইডি লক্ষ্যে পৌঁছবে”, নিয়োগ মামলায় মন্তব্য বিচারপতির  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “মনে হচ্ছে সিবিআইয়ের আগে সিআইডি নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছতে পারবে।” শুক্রবার এমনই মন্তব্য করলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। মুর্শিদাবাদের গোঠা হাইস্কুলে ভুয়ো নথি দিয়ে চাকরিতে যোগদানের মামলায় এদিন এই মন্তব্য করে বিচারপতি বসু। এই মামলায় আগের শুনানিতে সিআইডিকে ভর্ৎসনা করেছিলেন তিনি। এদিন প্রকাশ করেন সন্তোষ।

    সিআইডির আইনজীবীকে প্রশ্ন

    এদিন সিআইডির আইনজীবীকে আদালতের প্রশ্ন, “যাঁরা জাল নথি জমা দিয়ে চাকরি পেয়েছেন, তাঁদের কি চিহ্নিত করা গিয়েছে?” সিআইডির আইনজীবী জানান, তাঁদের চিহ্নিত করা গিয়েছে। বিচারপতি বসুর প্রশ্ন, “তাঁদের তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে কি?” সিআইডির তরফে জানানো হয়, জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি, নথি পরীক্ষার কাজ চলছে। এর পরেই বিচারপতি (Calcutta High Court) বসু বলেন, “মনে হচ্ছে সিআইডি সিবিআইয়ের আগে লক্ষ্যে পৌঁছে যাবে। জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শককে বলুন এই শিক্ষকদের ওপর নজর রাখতে।”

    নিয়োগ দুর্নীতি 

    প্রসঙ্গত, জাল নথি দিয়ে সুতির গোঠা এ আর রহমন হাইস্কুলে শিক্ষকতা করছিলেন অনিমেষ তিওয়ারি। এই স্কুলের প্রধান শিক্ষক তাঁর বাবা। অভিযোগ, তিনিই প্রভাব খাটিয়ে ছেলেকে স্কুলে চাকরি পাইয়ে দিয়েছেন। বিষয়টি আদালতের নজরে আসে। পরে জানা যায়, কেবল অনিমেষ নন, জাল নথি দিয়ে আরও কয়েকজনও ওই স্কুলে চাকরি করছেন। এই দুর্নীতির তদন্তভার সিআইডির হাতে দেন বিচারপতি বসু। তদন্ত করতে সিআইডির আধিকারিকরা একাধিকবার ওই স্কুলে যান। তার পরেও তদন্তে বিশেষ অগ্রগতি না হওয়ায় গত শুনানিতে সিআইডিকে ভর্ৎসনা করেছিলেন বিচারপতি।

    আরও পড়ুুন: “দেদার ছাপ্পা চললেও, প্রাণভয়ে কিছু করতে পারিনি”! হাইকোর্টে স্বীকারোক্তি প্রিসাইডিং অফিসারের

    সিআইডির তরফে ওই মামলার তদন্তের দায়িত্বে কারা রয়েছেন, তার তালিকা চেয়ে পাঠিয়েছিলেন তিনি। তদন্তের দায়িত্বে থাকা আধিকারিকদের আদালতে তলবও করেন বিচারপতি বসু (Calcutta High Court)। সিআইডির তদন্তকারী ওই দলের প্রধানকে তাঁর প্রশ্ন, “আপনি কী মনে করছেন, থালায় করে আপনাকে নথি সাজিয়ে দিয়ে আসা হবে?” তদন্ত এভাবে এগোলে এই মামলায় তদন্তের ভার সিবিআইকে দেওয়ার নির্দেশের ব্যাপারে বিবেচনা করবেন বলেও জানিয়েছিলেন বিচারপতি বসু।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: “দেদার ছাপ্পা চললেও, প্রাণভয়ে কিছু করতে পারিনি”! হাইকোর্টে স্বীকারোক্তি প্রিসাইডিং অফিসারের

    Calcutta High Court: “দেদার ছাপ্পা চললেও, প্রাণভয়ে কিছু করতে পারিনি”! হাইকোর্টে স্বীকারোক্তি প্রিসাইডিং অফিসারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বুথ দখল হওয়ার পরে দেদার ছাপ্পা চললেও, প্রাণ ভয়ে কিছু করতে পারিনি।” শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টে হলফনামা দিয়ে এমনই জানালেন ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনের এক প্রিসাইডিং অফিসার। পেশায় শিক্ষক সুমিত পাণ্ডে নামের ওই প্রিসাইডিং অফিসার আদালতকে জানিয়েছেন, দেদার ছাপ্পা হলেও, প্রাণ ভয়ে শান্তিপূর্ণ ভোট লিখতে বাধ্য হয়েছিলেন তিনি।

    প্রিসাইডিং অফিসারের বিস্ফোরক স্বীকারোক্তি 

    প্রিসাইডিং অফিসারের এই বিস্ফোরক স্বীকারোক্তির পর মুর্শিদাবাদের বেলডাঙা ২ ব্লকের ওই বুথে পুনর্নির্বাচন করা নিয়ে কমিশনের অবস্থান জানতে চেয়েছে আদালত। প্রসঙ্গত, ৪ জুলাই রাজ্যে এক দফায় হয় পঞ্চায়েত নির্বাচন। ভোট গণনা হয় ১১ জুলাই। এই নির্বাচনে অবাধ ছাপ্পা ও বুথ দখলের অভিযোগ তোলেন বিরোধীরা। তাঁদের অভিযোগ যে নিছক অমূলক নয়, এদিন প্রিসাইডিং অফিসারের স্বীকারোক্তিই তার অন্যতম ‘প্রমাণ’।

    পুনর্নির্বাচনের দাবি

    বেলডাঙার কাশীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে ছাপ্পা ও রিগিংয়ের অভিযোগে পুনর্নির্বাচনের দাবিতে হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হন সিপিএম প্রার্থী নাসিমা বেগম। তাঁর অভিযোগ, নির্বাচনের দিন ও ভোট গণনার দিন তাঁর এজেন্টদের মারধর করে ভোটকেন্দ্র ও গণনাকেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল। মামলাটি ওঠে বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে। তিনি ওই বুথের প্রিসাইডিং অফিসারের হলফনামা তলব করেন। আদালতে হলফনামা দিয়ে ওই প্রিসাইডিং অফিসার জানান, ভোট গ্রহণের দিন বেলা ১২টা নাগাদ বুথে ঢুকে পড়ে একদল সশস্ত্র দুষ্কৃতী।

    আরও পড়ুুন: লক্ষ্য ‘এক দেশ এক নির্বাচন’ নীতি লাগু! কোবিন্দের সঙ্গে সাক্ষাৎ নাড্ডার

    গামছা দিয়ে বাঁধা ছিল তাদের মুখ। বুথে ঢুকেই ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নিয়ে দেদার ছাপ্পা দিতে শুরু করে তারা। সিসি ক্যামেরা ভেঙে দেয়। বেলা ১২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত বুথ দখল করে রেখেছিল তারা। দুষ্কৃতীরা তাঁর ও পোলিং অফিসারদের মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়েছিল। তাই তাঁরা ঘটনার কথা পুলিশকে জানাতে পারেননি। বিকেল ৫টায় নির্বাচন শেষ হলে তাঁকে ‘ভোট শান্তিপূর্ণ’ লিখতে বাধ্য করে। প্রিসাইডিং অফিসারের  এই হলফনামার ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন ওই বুথে ফের নির্বাচন করাতে চায় কিনা, ৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে হলফনামা দিয়ে তা জানাতে হবে কমিশনকে। ১২ সেপ্টম্বর ফের শুনানি হবে ওই মামলার (Calcutta High Court)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: বেহালায় ৩২ বছর ধরে চলছে সরকারি অনুমোদনহীন স্কুল! বিস্মিত বিচারপতি

    Calcutta High Court: বেহালায় ৩২ বছর ধরে চলছে সরকারি অনুমোদনহীন স্কুল! বিস্মিত বিচারপতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  সরকারি অনুমোদন ছাড়াই ৩২ বছর ধরে চলছে স্কুল। তাও আবার খাস কলকাতার বুকে। বেহালার বিবেকানন্দ পল্লী কিশোর ভারতী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এই ৩২ বছরে হাজার হাজার ছাত্রছাত্রী মাধ্যমিক উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেছে। জানা গিয়েছে, ওই স্কুলের নাকি সরকারি অনুমোদনই নেই। এই তথ্য সামনে আসতেই শুক্রবার সরগরম হয় কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। ঘটনা এক শিক্ষিকার পেনশনকে ঘিরে। ২০১৭ সালে বেহালার বিবেকানন্দ পল্লী কিশোর ভারতী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে অবসর নেন শিক্ষিকা ধারা বন্দ্যোপাধ্যায় কিন্তু তারপরে থেকেই তিনি পেনশন পাচ্ছিলেন না বলে অভিযোগ। সব জায়গায় দরবার করার পরে তিনি মধ্যশিক্ষা পর্ষদের দ্বারস্থ হন সেখানেও তাঁর সমস্যার সমাধান হয় না। এরপর স্কুল শিক্ষিকা সোজা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হন। 

    শুক্রবারই বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর একক বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয়

    শুক্রবারই বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর একক বেঞ্চে (Calcutta High Court) এই মামলার শুনানি হয়। সেখানে ধারা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আইনজীবী বলেন, ‘‘মধ্যশিক্ষা পর্ষদে গিয়ে তাঁর মক্কেল জানতে পারেন যে স্কুলের সরকারি অনুমোদনের পুনর্নবীকরণ সংক্রান্ত ১৬,০০০ টাকা বকেয়া রয়েছে। ওই টাকা পর মধ্যশিক্ষা পর্ষদ যদি পায় তখনই পদক্ষেপ নিতে পারবে।’’ এই শুনে রীতিমতো অবাক হয়ে যান বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু (Calcutta High Court)। তিনি প্রশ্ন করেন, ‘‘কীভাবে স্থায়ী সরকারি (Calcutta High Court) অনুমোদন ছাড়া ৩২ বছর ধরে একটা স্কুল চলছে! জেলা স্কুল পরিদর্শকরা এতদিন ধরে কী করছিলেন? তাঁদের কাজ কি শুধু বদলি সংক্রান্ত বিষয়ে নজরদারি রাখা?’’ বিচারপতি (Calcutta High Court) বসুর আরও সংযোজন, ‘‘মধ্যশিক্ষা পর্ষদই বা কি করছে? এত বছরে তো হাজার হাজার জন স্কুল থেকে মাধ্যমিক পাশ করেছে? তাঁরা যদি বাইরে পড়তে যায় এবং সেই বিশ্ববিদ্যালয় যদি স্কুলের অনুমোদন সংক্রান্ত তথ্য অনুসন্ধান করে না পায় তাহলে মহা বিপদে পড়বে পড়ুয়ারা।’’  

    কী বলছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ?

    অন্যদিকে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের আইনজীবী বলেন,‘‘এরকম অনেক স্কুল আছে। নিয়ম অনুযায়ী প্রথমে অস্থায়ী অনুমোদন দেওয়া হয় এবং পরবর্তী ক্ষেত্রে স্কুলের আবেদনের ভিত্তিতে স্থায়ী অনুমোদন দেওয়া হয়। এই স্কুল হয়তো সেই আবেদন করেনি।’’ এই পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতির মন্তব্য, ‘‘এটা তো অত্যন্ত চিন্তার বিষয়!’’এদিন বিচারপতি (Calcutta High Court) বিশ্বজিৎ বসু, নির্দেশ দেন সরকারি অনুমোদনের জন্য কোনও শিক্ষিকার পেনশন আটকে থাকতে পারে না। এ সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য আদালতে জমা করারও নির্দেশ দেন বিচারপতি বসু। আগামী ১২ সেপ্টেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য (Calcutta High Court) করা হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share