Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Calcutta High Court: পঞ্চায়েতের টাকা ‘আত্মসাৎ’ করেছেন বিডিও! খতিয়ে দেখার নির্দেশ হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: পঞ্চায়েতের টাকা ‘আত্মসাৎ’ করেছেন বিডিও! খতিয়ে দেখার নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েতের টাকা আত্মসাৎ করেছেন বিডিও (BDO)! শুধু আত্মসাৎ করাই নয়, একেবারে টাকা বিদেশে পাচার করেছেন ওই সরকারি আধিকারিক! এ সংক্রান্ত মামলায় জেলাশাসককে অভিযোগ খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court) পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড়ের বিডিও কৃশানু রায়ের বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন পঞ্চায়েত সমিতি ও গ্রাম পঞ্চায়েতের বেশ কয়েকজন সদস্য। আদালতে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন তাঁরা। এই মামলার প্রেক্ষিতেই জেলাশাসককে অভিযোগ খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ।

    বিডিও’র বিরুদ্ধে অভিযোগের বহর

    আদালত সূত্রে খবর, নায়ারণগড় ব্লকে তৃণমূলের দখলে থাকা একাধিক পঞ্চায়েতের প্রধান ও পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষদের অভিযোগ, তাঁদের সঙ্গে আলোচনা না করেই পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির ফান্ড খরচ করেছেন বিডিও। পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর ভুয়ো বিল বানিয়ে টাকা খরচ করা হয়েছে বলেও দেখিয়েছেন তিনি। আদালতে যাঁরা মামলা করেছিলেন তাঁদের মধ্যে ছিলেন আয়নাল হক মোল্লাও। তিনি (Calcutta High Court) বলেন, “বিষয়টি আগেই জেলাশাসককে জানিয়েছিলেন গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যরা। জেলাশাসক কোনও পদক্ষেপ না করায় আমরা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলাম।” মঙ্গলবার এই মামলাই ওঠে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে। জেলাশাসককে আদালতের নির্দেশ, যথাযথ তদন্ত করে আট সপ্তাহের মধ্যে পদক্ষেপ করতে হবে। অভিযুক্ত বিডিওকে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

    মামলাকারী কারা জানেন? 

    জানা গিয়েছে, বিডিওর বিরুদ্ধে মামলাটি রুজু হয়েছিল ২০ জুলাই। প্রধান আবেদনকারী নারায়ণগড় পঞ্চায়েত সমিতির সদ্য বিদায়ী শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ অনাদি বারিক। বাকিরা হলেন পঞ্চায়েত সমিতির বিদায়ী সভাপতি নমিতা সিংহ, সহকারী সভাপতি গণেশ মাইতি, বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ তথা নারায়ণগড় ব্লক তৃণমূলের সভাপতি সুকুমার জানা, কৃষি কর্মাধ্যক্ষ কাওসার আলি সহ সাতজন কর্মাধ্যক্ষ। বিদায়ী পঞ্চায়েতের প্রধান সহ আরও কয়েকজনও রয়েছেন মামলায় (Calcutta High Court)। মামলাকারীদের অভিযোগ— কন্যাশ্রী, রূপশ্রী প্রকল্পের টাকাও আত্মসাৎ করেছেন বিডিও। ট্রেনিংয়ের টাকা সঠিক খাতে খরচ না করে ভুয়ো বিল বানিয়ে আত্মসাৎ করেছেন। বিডিও অফিসের গাড়ি ব্যবহার করেছেন ব্যক্তিগত কাজে। পঞ্চায়েতের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক খাতের বিল নকল করেও টাকা আত্মসাৎ করেছেন অভিযুক্ত বিডিও। পরে, সেই টাকা বিদেশে পাচার করেছেন ওই বিডিও। 

    আরও পড়ুুন: “চুরি আটকান, তাহলে রাজ্যের বরাদ্দ আদায়ে এক সঙ্গে দিল্লি যাব”, বললেন শুভেন্দু

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • Suvendu Adhikari: “চুরি আটকান, তাহলে রাজ্যের বরাদ্দ আদায়ে এক সঙ্গে দিল্লি যাব”, বললেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: “চুরি আটকান, তাহলে রাজ্যের বরাদ্দ আদায়ে এক সঙ্গে দিল্লি যাব”, বললেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “চুরি আটকান, তাহলে রাজ্যের বরাদ্দ আদায়ে এক সঙ্গে দিল্লি যাব।” মঙ্গলবার বিধানসভায় কথাগুলি বললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, “আমরা কেন্দ্রের টাকা আটকাইনি। চুরি আটকেছি।” 

    কেন্দ্রকে চিঠি শুভেন্দুর

    কেন্দ্রের বিরুদ্ধে একশো দিনের কাজ সহ নানা প্রকল্পে টাকা আটকে রাখার অভিযোগ প্রতিনিয়তই তোলে রাজ্য সরকার। তাদের অভিযোগ, বঙ্গ বিজেপি নেতাদের জন্যই আটকে রয়েছে রাজ্যের বরাদ্দ। অভিযোগের নেপথ্যে রয়েছে কেন্দ্রকে দেওয়া শুভেন্দুর চিঠি। রাজ্যে কেন্দ্রীয় নানা প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে কেন্দ্রকে একাধিকবার চিঠি দিয়েছিলেন শুভেন্দু। তার পর থেকেই নিয়মিত বরাদ্দ আটকে থাকায় বিজেপি নেতাদের দুষছে রাজ্য সরকার। এদিন সে প্রসঙ্গেই বিধানসভায় সরব হন শুভেন্দু। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা জানান, রাজ্যে আবাস প্রকল্পের কাজ ও একশো দিনের কাজের বেশ কিছু বিষয়ে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী গিরিরাজ সিংহের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলেন তিনি।

    ‘খরচ হয়নি ফান্ড’ 

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “আমার পাঠানো চিঠির উত্তরে ওঁর দফতর জানায় দুটি ছাড়া আমার করা সব অভিযোগ সত্য। এই মর্মে সেকশন ২৭ প্রয়োগ করা হল। সংশ্লিষ্ট বিডিওদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে টাকা দেওয়া হবে না।” রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, “কেন্দ্রীয় বঞ্চনার কথা বলা হয়েছে। একশো দিনের কাজ সহ বেশ কয়েকটি কথা বলা হয়েছে। বিভিন্ন খাতে যে অর্থ বরাদ্দ করা হয়, তাতে সমস্যার কথা আপনারা বলছেন। সমস্যা হচ্ছে একশো দিনের টাকা আর আবাস যোজনার শেয়ার অর্থ নিয়ে। অডিট রিপোর্ট জমা না দেওয়ায় রাজ্যের ৯০ শতাংশ জিএসটি ফান্ড রিলিজ হয়েছে। বাকি টাকা হয়নি।”

    আরও পড়ুুন: “কেন্দ্রীয় হারে রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ দিতেই হবে”, বিধানসভায় দাবি শুভেন্দুর

    শুভেন্দু বলেন, “শিক্ষা দফতরের ফান্ড ব্যবহার না হয়ে পড়ে রয়েছে। জল জীবন মিশনে ফান্ড ব্যবহার হয়নি। ১৭৯১ কোটি টাকা ব্যবহার হয়নি। ৪ হাজার কোটি টাকা মাইনরিটি খাতে ব্যবহার হয়নি। কেন্দ্রের প্রকল্পের নাম আপনারা বদল করেছেন। ভারত সরকারের থেকে টাকা পেতে গেলে কেন্দ্রের স্কিমের নাম দিতে হবে।” রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, “সাগরদিঘি, নওদায় প্রধান নিজেই একাধিক বাড়ি নিয়েছেন। একাধিক জেলায় পুকুর কাটার টাকা তুলেছেন, অথচ পুকুর কাটেননি। টাকা না পাওয়ার জন্য আপনাদের কাজই দায়ী।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • Suvendu Adhikari: “কেন্দ্রীয় হারে রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ দিতেই হবে”, বিধানসভায় দাবি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “কেন্দ্রীয় হারে রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ দিতেই হবে”, বিধানসভায় দাবি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় হারে ডিএর দাবিতে আন্দোলন করে চলেছেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। বিজেপি (BJP) যে তাঁদের পাশে রয়েছে, তা একাধিকবার দাবি করেছিলেন বঙ্গ বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। আন্দোলনকারীদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির শুভেন্দু অধিকারীও (Suvendu Adhikari)। বাদল অধিবেশনে তাঁদের সেই দাবিতেই সরব হলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

    ‘ডিএ দিতেই হবে’

    মঙ্গলবার বিধানসভার অধিবেশনে শুভেন্দু বলেন, “রাজ্য সরকারকে বকেয়া মহার্ঘ ভাতা দিতেই হবে।” বিধানসভার বাইরেও ডিএ নিয়ে সোচ্চার হয়েছেন তিনি। বলেন, “রাজ্যের লাখ লাখ সরকারি কর্মী ও পেনশনাররা বঞ্চিত। তাঁদের ডিএ এবং ডিআর দেওয়া হচ্ছে না। তাঁদের সংসারে টানাপোড়েন চলছে। আর সরকার চুপ করে বসে রয়েছে। এটা বরদাস্ত করা হবে না। ডিএ মামলা এখন সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। কিন্তু রাজ্য সরকার সেই মামলা বারবার পিছিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। এতে সরকারি কর্মীদের ক্ষতি হচ্ছে। তাঁরা দিনের পর দিন অপেক্ষা করে রয়েছেন। আমরা বিচারাধীন বিষয়ে কথা বলতে চাই না। কিন্তু এই সরকার বারবার বিচারাধীন বিষয়ে কথা বলে।”

    ‘চুক্তিভিত্তিক কর্মীরা কষ্টে রয়েছেন’

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, “রাজ্যের সরকারি কর্মীরা সরকারের দ্বারা অবহেলা, বঞ্চনার শিকার। কেন্দ্রীয় হারে সরকারি কর্মীদের ডিএ দিতেই হবে। তাঁদের আর্থিক নিরাপত্তাও সুনিশ্চিত করতে হবে। আর তা যত দ্রুত সম্ভব।” তিনি বলেন, “মেধাবীরা রাস্তায় বসে রয়েছে। সরকার আলোচনা করে সমস্যা মেটাক। সরকারি চুক্তিভিত্তিক কর্মীরা কষ্টে রয়েছেন। চাষিরা ফসলের দাম পাচ্ছেন না। ফড়েরা দালালি করছে।” রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, “অস্থায়ী চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের ক্ষেত্রে বেতন কাঠামো ও সম কাজে সম বেতন চালু করতে হবে। রাজ্য সরকার অনুমোদিত কয়েক লক্ষ পদ খালি থাকলেও, নিয়োগ হচ্ছে না।”

    আরও পড়ুুন: লোকসভায় পেশ দিল্লি পরিষেবা বিল, “ক্ষমতা দিয়েছে সংবিধান” ‘ইন্ডিয়া’কে জবাব শাহের

    শুভেন্দু বলেন, “ভিলেজ পুলিশদের বেতন কাঠামো পুনর্মূল্যায়ন করেনি সরকার। ৬ লক্ষ পদের বিলোপ ঘটিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। ডেটা এন্ট্রি অপারেটররা কেন ১০ হাজার টাকা বেতনে কাজ করবেন? বাংলায় ২ কোটি বেকারের আর্তনাদ শোনা যাচ্ছে। এই সরকার অমানবিক, দুর্নীতিগ্রস্ত।” ডিএ নিয়ে আন্দোলন হচ্ছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের ব্যানারে। এই মঞ্চের নেতা ভাস্কর ঘোষ বলেন, “সরকারি কর্মীদের হয়ে বিধানসভায় কথা বলেছেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এজন্য বিরোধী দলনেতার কাছে আমরা কৃতজ্ঞ। এটা আমাদের লড়াইয়ের স্বীকৃতি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • Suvendu Adhikari: “তৃণমূল এখন জাতও চুরি করছে”, শংসাপত্রকাণ্ডে রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “তৃণমূল এখন জাতও চুরি করছে”, শংসাপত্রকাণ্ডে রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “তৃণমূল (TMC) এখন জাতও চুরি করছে।” মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে এই ভাষায়ই কটাক্ষ-বাণ হানলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। মঙ্গলবার বিধানসভায় সাংবাদিক বৈঠক করেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। সেখানেই তিনি নিশানা করেন রাজ্য সরকারকে। শুভেন্দুর দাবি, তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীদের ভুয়ো জাতিগত শংসাপত্র দেওয়া হয়েছে। জাতিগত শংসাপত্র পাওয়ার যোগ্য অনেক বিরোধী প্রার্থীই তা পাননি। এর পরেই তিনি বলেন, “তৃণমূল এখন জাতও চুরি করছে।”

    ‘জনজাতিদের অধিকারও খর্ব হচ্ছে’

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতার (Suvendu Adhikari) অভিযোগ, রাজ্য সরকার এখন জনজাতিদের অধিকারও খর্ব করছে। রায়গঞ্জে ভুয়ো তফশিলি উপজাতি শংসাপত্র দিয়ে চাকরি পাওয়া ৭৮ জনের চাকরি গিয়েছে। এই ধরনের দুর্নীতিতে যেসব সরকারি আধিকারিক মদত দিচ্ছেন, তাঁদের শাস্তি এবং গ্রেফতারিও দাবি করেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, “বাংলায় দু’ কোটি বেকার কর্মসংস্থান পাচ্ছেন না। অমানবিক, বর্বর, অহংকারী, দুর্নীতিগ্রস্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। সমস্ত শূন্য পদে আগামী ছ’ মাসের মধ্যে স্বচ্ছ নিয়োগের দাবি রাখছি। আমি রাজ্য নির্বাচন কমিশনে আরটিআই করে জানতে চেয়েছিলাম, কাস্ট রিজার্ভ আসনে যাঁরা প্রার্থী হয়েছেন, সেই তালিকা চেয়েছিলাম। ভুয়ো সার্টিফিকেট আমরা পেয়েছি। আমার ধারণা, ওবিসির ক্ষেত্রে যে তথ্য পেয়েছি, তার অধিকাংশই ভুয়ো।”

    দুর্নীতির খবর ফাঁস করার হুমকি

    রাজ্য সরকারের আরও দুর্নীতির খবর ফাঁস করবেন বলে হুমকিও দেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। বলেন, “১৫ অগাস্টের পর আরও তথ্য নিয়ে সামনে আসব। ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। জেনুইন এসসি, ওবিসিকে সার্টিফিকেট দেওয়া হয়নি। ৭৮ জনের সার্টিফিকেট বাতিল করলে হবে না। অভিযুক্ত বিডিও-এসডিওদের সাসপেন্ড করলে হবে না। ওঁদের গ্রেফতারি দাবি করছি। অর্থনৈতিকভাবে যত টাকা বেতন আকারে তুলেছেন তাঁরা, সেটা ফেরত দিতে বলছি।”

    তিনি বলেন, “আপনার সরকারের আমলে বাজার দর বাড়ছে। আপনি প্রাণিসম্পদে কোনও চিকিৎসক নিয়োগ করেননি। হেল্থ সেক্টর চালাচ্ছেন আশা কর্মীরা।” শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “আংশিক ও চুক্তিভিত্তিক কর্মীরা এখন খেতে পাচ্ছেন না। আমি বিধানসভায় বলেছি, অবিলম্বে কেন্দ্রীয় হারে মহার্ঘ ভাতা দিতে হবে। বাজার অগ্নিমূল্য, চাষিরা ফসলের ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না। পাবলিক সার্ভিস কমিশন কোনও নিয়োগ করছে না। যত রিক্রুটমেন্ট বোর্ড রয়েছে, সব বোর্ডকে অচল করে রেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী। আগামী ছ’ মাসের মধ্যে সমস্ত পদে স্বচ্ছতার সঙ্গে নিয়োগের দাবি জানাচ্ছি।”

    আরও পড়ুুন: ‘ইন্ডিয়া’র বারণ উপেক্ষা করেই মোদির মঞ্চে শরদ, জোটের অন্দরেই চওড়া হচ্ছে ফাটল!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

     

  • Child Trafficking: আইভিএফ সেন্টারের আড়ালে শিশু বিক্রির চক্র! আনন্দপুরে পুলিশের জালে ৬ মহিলা

    Child Trafficking: আইভিএফ সেন্টারের আড়ালে শিশু বিক্রির চক্র! আনন্দপুরে পুলিশের জালে ৬ মহিলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অর্থের লোভে ২১ দিনের কন্যাসন্তানকে বিক্রির অভিযোগ উঠল মায়ের বিরুদ্ধে। খাস কলকাতায় শিশু বিক্রির ঘটনার হদিশ মিলল। ৪ লাখ টাকার বিনিময়ে নিজের শিশুকে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল এক মহিলার বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে কলকাতার আনন্দপুর থানার নোনাডাঙা রেল কলোনি এলাকায়। এই ঘটনায় শিশু বিক্রির (Child Trafficking) একটি চক্রের খোঁজ পেল পুলিশ। আইভিএফ (IVF Centre) সেন্টারগুলোর আড়ালেই এই শিশু পাচারের চক্র চলত বলে অনুমান পুলিশের। টার্গেট করা হত নিঃসন্তান দম্পতিদের। ৪ থেকে সাড়ে ৪ লক্ষ টাকা খরচ করলেই মিলবে সদ্যোজাত (Newborn), দেওয়া হতো এমন টোপ। 

    নিঃসন্তান গৃহবধূর কাছে কন্যাসন্তানকে বিক্রি

    পুলিশ জানিয়েছে, টাকার লোভে এক নিঃসন্তান গৃহবধূর কাছে কন্যাসন্তানকে (Child Trafficking) বিক্রি করে দেন অভিযুক্ত। তদন্তে নেমে ওই গৃহবধূকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই শিশুটিকে আইভিএফ পদ্ধতিতে জন্ম দিয়েছিলেন অভিযুক্ত। আনন্দপুরের স্থানীয়দের দাবি, অভিযুক্ত মহিলা তিন জন শিশুকে নিয়ে নোনাডাঙ্গা রেল কলোনির একটি বাড়িতে একাই থাকতেন। তিন জনকেই সন্তান হিসাবে পরিচয় দিতেন তিনি। কিন্তু কয়েক দিন ধরেই তাঁর ২১ দিনের কন্যাসন্তানকে দেখতে পাওয়া যাচ্ছিল না বলে স্থানীয়দের দাবি। এর পর সন্দেহ বাড়লে স্থানীয়দের কয়েক জন পুলিশে অভিযোগ দায়ের করে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই তদন্তে নেমে ওই মহিলাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে এই ঘটনায় জড়িত আরও পাঁচ জনকে। জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে তল্লাশি চালিয়ে ওই শিশুটিকে বেহালা থেকে উদ্ধার করা হয়।

    আরও পড়ুুন: প্রচারের হাতিয়ার স্থানীয় বিষয়, তৃণমূলের দুর্নীতি, রাজ্য বিজেপি নেতাদের ‘মার্গদর্শন’ মোদির

    আইভিএফ সেন্টারের আড়ালে পাচার চক্র

    পুলিশ সূত্রে খবর, এক নিঃসন্তান দম্পতি কয়েকদিন আগে আইভিএফ সেন্টারে যান। প্রথমে তাঁরা চিকিৎসকদের পরামর্শ নেন। তার পর, সেখানেই এক মহিলার সঙ্গে ওই দম্পতির পরিচয় হয়। ওই মহিলা দম্পতিকে জানান, ৪-সাড়ে ৪ লক্ষ টাকার বিনিময়ে ১০-২০ দিন বয়সি সদ্যোজাত শিশু তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হবে। এই কাজের জন্য অগ্রিম বাবদ ওই মহিলাকে কিছু টাকাও দেওয়া হয়েছিল বলে খবর। টাকা হাতে পেতেই তিনি দম্পতিকে জানিয়ে দেন, নিজেদের বাড়িতে তাঁরা থাকতে পারবেন না। এক বছরের জন্য বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র ভাড়া নিতে হবে। কোথায় ভাড়া নিতে হবে, সেটিও তিনি বলে দেবেন। এক বছর পর দম্পতির হাতে সদ্যোজাতকে তুলে দেওয়া হবে। বাড়ি ফিরে তাঁরা বলবেন, আইভিএফ প্রক্রিয়ায় চিকিৎসা করিয়েই এই সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। এভাবেই গোটা প্রক্রিয়া চলে। কিন্তু আনন্দপুরের ঘটনায় একটু গণ্ডগোল হয়েছিল। যাঁর শিশুকে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ, তাঁর মায়ের কাছে সন্তানকে দেখতে না পেয়ে পড়শিরাই পুলিশকে বিষয়টি জানান। পুলিশ আধিকারিকরা মহিলাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। প্রথমে তিনি কিছু স্বীকার করেননি, কিন্তু পরে সবটা প্রকাশ্যে আসে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • Nusrat Jahan: ২৪ কোটির প্রতারণা! বয়স্কদের ঠকিয়ে ফ্ল্যাট কিনেছেন নুসরত? ‘কীর্তি’ জানত পুলিশও

    Nusrat Jahan: ২৪ কোটির প্রতারণা! বয়স্কদের ঠকিয়ে ফ্ল্যাট কিনেছেন নুসরত? ‘কীর্তি’ জানত পুলিশও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অভিনেত্রী তথা তৃণমূল সাংসদ নুসরত জাহানের বিরুদ্ধে প্রায় ২৪ কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগ নিয়ে ইডির দ্বারস্থ হন বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পাণ্ডা। অভিযোগ, বেশ কয়েকজন বয়স্ক লোককে ফ্ল্যাট দেবেন বলে টাকা নিয়েছিলেন নুসরত জাহানের সংস্থা। কিন্তু ফ্ল্যাট মেলেনি। ইডির কাছে সমস্ত কাগজপত্র জমা দিয়েছেন প্রতারিত ব্যক্তিরা।

    কী বললেন বিরোধী দলনেতা

    মঙ্গলবার, এ প্রসঙ্গে রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “বিরাট দুর্নীতি। ওই বয়স্ক লোকরা আমার কাছে এসেছিলেন। সরাসরি দুর্নীতির সঙ্গে ওই সাংসদ যুক্ত। ১ কোটি ৫৫ লক্ষ টাকা একটা ফ্ল্যাটও কিনেছেন, বয়স্ক লোকগুলোর টাকা ডাইভার্ট করে। সব নথি আমাদের কাছে রয়েছে।” বিরোধী দলনেতা অভিযোগ করে এ-ও বলেন, ‘‘বসিরহাটের তৃণমূল সাংসদ সরাসরি দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত।’’ তাঁর কথায়, ‘‘প্রবীণ মানুষদের টাকা নিয়ে সাংসদ নিজে এক কোটি ৫৫ লক্ষ টাকা দিয়ে একটি ফ্ল্যাট কিনে নিয়েছেন।’’ শুভেন্দুর আরও দাবি, অভিযোগের সারবত্তা রয়েছে। সমস্ত তথ্য তাঁর এবং তাঁদের কাছে রয়েছে বলেও বিধানসভায় বলেছেন বিরোধী দলনেতা। 

    নুসরতের বিরুদ্ধে প্রতারণার দায়

    শঙ্কুদেব ইডিকে জানিয়েছেন, গড়িয়াহাট রোডের একটি সংস্থায় যৌথ ডিরেক্টর পদে রয়েছেন নুসরত। ওই সংস্থা ২০১৪ সালে মোট ৪২৯ জনের কাছ থেকে টাকা নিয়েছিল। ৫ লক্ষ ৫৫ হাজার টাকা করে নেওয়া হয়েছিল। প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, রাজারহাটে হিডকোর দফতরের কাছে তাঁদের প্রত্যেককে ৩ কামরার (৩ বিএইচকে) ফ্ল্যাট দেওয়া হবে। তিন বছরের মধ্যে ওই ফ্ল্যাট দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ২০২৩ সালেও তাঁরা কোনও ফ্ল্যাট পাননি বলে ইডির কাছে অভিযোগে জানিয়েছেন শঙ্কু। 

    ইডির দ্বারস্থ প্রতারিতেরা

    যে নাগরিকেরা ইডি-র কাছে গিয়েছিলেন, তাঁরা কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে জানিয়েছেন, নুসরতের সঙ্গে ওই সংস্থার যৌথ ডিরেক্টর রাকেশ সিংহ নামের এক ব্যক্তি। ফ্ল্যাট পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি তিনিই দিয়েছিলেন। প্রতারিতেরা গড়িয়াহাট থানায় এফআইআর-ও দায়ের করেছেন। শঙ্কুর দাবি, পুলিশ অভিযোগ গ্রহণ করেনি। তিনি বলেন, ‘‘আমরা সমস্ত নথিপত্র নিয়ে ইডি অফিসে গিয়ে গতকাল অভিযোগ জানিয়েছি। নুসরতের লোকজন ওই সংস্থার মাধ্যমে টাকা তুলছে। অবিলম্বে এটা আটকানো দরকার। কিন্তু পুলিশ কিছু করছে না।’’

    আরও পড়ুুন: প্রচারের হাতিয়ার স্থানীয় বিষয়, তৃণমূলের দুর্নীতি, রাজ্য বিজেপি নেতাদের ‘মার্গদর্শন’ মোদির

    পুলিশি গাফিলতির অভিযোগ

    প্রতারিতদের অভিযোগ,  নুসরতের এই বিষয়টি সম্পর্কে অবগত ছিল রাজ্য প্রশাসনও। এমনকি নুসরতের বিরদ্ধে তদন্তে নেমে অভিযোগের সত্যতাও খুঁজে পেয়েছে কলকাতা পুলিশ। তারপরও নেওয়া হয়নি কোনও ব্যবস্থা।প্রতারিতদের অভিযোগ, তাঁরা প্রথমেই গড়িয়াহাট থানায় গিয়েছিলেন। কিন্তু সেখানে তাঁদের অভিযোগ নেওয়াই হয়নি। পরে তাঁরা আদালতের দ্বারস্থ হন। জানা যাচ্ছে, আদালতের নির্দেশে কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (অপরাধ) গড়িয়াহাট থানাকে দিয়ে আর্থিক প্রতারণার মামলার প্রাথমিক অনুসন্ধান করিয়েছিলেন। অভিযোগ গ্রহণ করতে বাধ্য হয় গড়িয়াহাট থানা। অনুসন্ধান রিপোর্ট গত ৩০ জানুয়ারি আদালতে জমা পড়ে। সেই রিপোর্টে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, এই প্রতারিত ব্যাঙ্ক কর্মীদের অভিযোগের সত্যতা হয়েছে। তা-ও কোনও পদক্ষেপ না করা হলে প্রতারিতরা সোমবারই নুসরতের বিরুদ্ধে ইডি-র কাছে অভিযোগ দায়ের করেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • Weather Update: দক্ষিণবঙ্গে জারি সতর্কতা! আজ রাত থেকেই ভারী বৃষ্টির দাপট, বলছে পূর্বাভাস

    Weather Update: দক্ষিণবঙ্গে জারি সতর্কতা! আজ রাত থেকেই ভারী বৃষ্টির দাপট, বলছে পূর্বাভাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের বিভিন্ন প্রান্ত ভাসলেও, বাংলায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ এখনও কম। উত্তরবঙ্গে প্রবল বৃষ্টিপাত হলেও দক্ষিণে সেভাবে এখনও বৃষ্টি হয়নি। এবার,পশ্চিমবঙ্গে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দফতর। মঙ্গলবার ও বুধবার কলকাতা সহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ভারী বৃষ্টির (Heavy Rain) পূর্বাভাস জারি করেছে হাওয়া অফিস। উত্তর বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ (Low pressure) তৈরি হচ্ছে। এর ফলে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে।

    কোথায় কোথায় বৃষ্টি

    আলিপুর আবহাওয়া দফতরের মঙ্গলবার সকালের পূর্বাভাস অনুযায়ী, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম এবং বাঁকুড়ার কিছু কিছু এলাকায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি (৭ থেকে ২০ সেন্টিমিটার) হতে পারে। সেই সঙ্গে বজ্রপাত এবং ঝোড়ো হাওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে এই পাঁচটি জেলায়। এ ছাড়া, দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। কয়েকটি এলাকায় বৃষ্টির পরিমাণ থাকবে ৭ থেকে ১১ সেন্টিমিটারের কাছাকাছি। এই জেলাগুলিতে হলুদ সতর্কতা জারি করেছে হাওয়া অফিস। মঙ্গলবারের পর বুধবারও দক্ষিণবঙ্গের সব জেলায় বৃষ্টি চলবে। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ভারী বৃষ্টি হতে পারে কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, পুরুলিয়া, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং দুই মেদিনীপুরে। বৃহস্পতিবার থেকে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির পরিমাণ কিছুটা কমবে। তবে সেদিনও উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়া, কলকাতা, হুগলি, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান, পূর্ব বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, নদিয়ায় বজ্রপাত সহ বৃষ্টি হতে পারে। এই বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি জারি থাকবে আগামী কয়েক দিন। 

    আরও পড়ুন: গত বছরের তুলনায় দেড়গুণ বাড়ল আক্রান্তের সংখ্যা! রাজ্যে ডেঙ্গির কবলে ৪,৪০১ জন

    কী বলছে হাওয়া অফিস

    হাওয়া অফিস জানিয়েছে, উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে। যা ক্রমে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। মঙ্গলবার উত্তর-পশ্চিম দিকে প্রবাহিত হয়ে তা বাংলাদেশ উপকূলের কাছে পৌঁছবে। এর প্রভাবেই দক্ষিণবঙ্গে দু’দিন ধরে বৃষ্টি চলবে বলে জানিয়েছেন আবহবিদেরা। মঙ্গলবার রাত থেকে বৃষ্টির দাপট বৃদ্ধি পাবে। বুধবার সকালেও ভারী বৃষ্টি চলবে। কলকাতায় ভারী বৃষ্টির কথা মাথায় রেখে কলকাতা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনও কর্মীদের সতর্ক করেছে। গত কয়েকদিন ধরে কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় থেমে থেমে বৃষ্টি হলেও রবিবার থেকে ফের বেড়েছে গরমে অস্বস্তি। সোমবার কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৯.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে তিন ডিগ্রি বেশি, যেখানে কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৪.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটি স্বাভাবিকের চেয়ে দুই ডিগ্রি বেশি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Buddhadeb Bhattacharjee: সুস্থতার পথে বুদ্ধদেব, রাতেই হয়েছে ফিজিওথেরাপি, মাঝে মধ্যে দেওয়া হচ্ছে বাইপ্যাপ  

    Buddhadeb Bhattacharjee: সুস্থতার পথে বুদ্ধদেব, রাতেই হয়েছে ফিজিওথেরাপি, মাঝে মধ্যে দেওয়া হচ্ছে বাইপ্যাপ  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্রমেই উন্নতি হচ্ছে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের (Buddhadeb Bhattacharjee) শারীরিক অবস্থার। সোমের চেয়ে মঙ্গলবার বেশ ভাল রয়েছেন তিনি। সোমবারই বুদ্ধদেবকে বের করা হয়েছিল ইনভেসিভ ভেন্টিলেশন থেকে। তার পর থেকে মঙ্গলবার বেলা ১০টা পর্যন্ত আর অবনতি হয়নি তাঁর শারীরিক অবস্থার। বুদ্ধদেব যাতে নিজেই শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে পারেন, তাই সোমবার রাতেই তাঁকে দেওয়া হয়েছে পালমোনারি ফিজিওথেরাপি। রক্তে সুগারের পরিমাণ যাতে বেড়ে না যায় তাই নিয়মিত দেওয়া হচ্ছে ইনস্যুলিনও।

    মেডিক্যাল টিমের কড়া নজরে বুদ্ধদেব

    হাসপাতাল সূত্রে খবর, সোমবার অনেক রাত পর্যন্ত হাসপাতালে ছিলেন বুদ্ধদেবের (Buddhadeb Bhattacharjee) চিকিৎসায় গঠিত মেডিক্যাল টিমের সদস্যরা। সেই সময়ই তাঁকে ফিজিওথেরাপি দেওয়া হয়েছে। এতে তিনি নিজে থেকেই শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে পারবেন। এর পাশাপাশি তাঁকে মাঝে-মধ্যে দেওয়া হচ্ছে নন-ইনভেসিভ বাইপ্যাপ সাপোর্টও। সংক্রমণ কমাতে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে দেওয়া হচ্ছে কড়া ডোজের অ্যান্টিবায়োটিক। তবে অ্যান্টিবায়োটিকের জেরে কিডনি যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেদিকেও কড়া নজর রাখছেন মেডিক্যাল টিমের সদস্যরা। ওই মেডিক্যাল টিমের এক চিকিৎসক বলেন, “ওঁর সব প্যারামিটার স্টেবল রয়েছে। আগের চেয়ে তুলনামূলকভাবে উনি ভাল আছেন।”

    স্বাভাবিকতার পথে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী

    প্রসঙ্গত, অসুস্থতার কারণে শনিবার বিকেলে আলিপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় বুদ্ধদেবকে (Buddhadeb Bhattacharjee)। সোমবার সন্ধ্যার মেডিক্যাল বুলেটিনে বলা হয়েছিল, অনেকটাই চেতনা ফিরেছে বুদ্ধদেবের। তাঁর রক্তচাপ, রক্তে অক্সিজেন ও কার্বন ডাই অক্সাইডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। নয়া অ্যান্টি বায়োটিক প্রয়োগ করায় এবং ভেন্টিলেশনে রাখায় অনেকটাই স্থিতিশীল প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর শারীরিক অবস্থা।

    এদিন বুদ্ধদেবকে দেখতে হাসপাতালে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনিও বলেছিলেন, “স্থিতিশীল রয়েছেন বুদ্ধবাবু (Buddhadeb Bhattacharjee)।” মুখ্যমন্ত্রী এও বলেছিলেন, “আমার যেটুকু মনে হল, আমাকে যেন হাত নাড়লেন। এখন ভালই আছেন। স্থিতিশীল আছেন। হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে। ওঁরা সাধ্যমতো ভাল করে করছেন। বোর্ডও তৈরি হয়েছে। আমার মনে হয় প্যারামিটারগুলি অনেকটাই ঠিক আছে। বাদবাকিটা উনি কেমন আছেন, কী আছেন, যাঁরা মেডিক্যাল বোর্ডে রয়েছেন বা যাঁরা চিকিৎসা করছেন, তাঁরাই বলতে পারবেন।”

    আরও পড়ুুন: হরিয়ানায় হিন্দুদের শোভাযাত্রায় হামলা, নিহত ৩, জ্বলল গাড়ি, বন্ধ ইন্টারনেট

    সোমবারই জানা গিয়েছিল, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর রক্তে সংক্রমণ আগের চেয়ে অনেকটাই কমেছে। কমেছে ক্রিয়েটিনিনের মাত্রাও। হাসপাতালের তরফে এদিন বিকেলের মেডিক্যাল বুলেটিনে বলা হয়েছে, চিকিৎসকরা সর্বক্ষণ নজর রেখে চলেছেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের ওপর। হাসপাতাল সূত্রে খবর, বুদ্ধদেবের (Buddhadeb Bhattacharjee) শারীরিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে ধীরে ধীরে। তাঁদের আশা, আস্তে আস্তে সুস্থ হয়ে উঠবেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। ফিরেও যাবেন পাম অ্যাভেনিউয়ের বাড়িতে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

     

  • Dengue Update: গত বছরের তুলনায় দেড়গুণ বাড়ল আক্রান্তের সংখ্যা! রাজ্যে ডেঙ্গির কবলে ৪,৪০১ জন

    Dengue Update: গত বছরের তুলনায় দেড়গুণ বাড়ল আক্রান্তের সংখ্যা! রাজ্যে ডেঙ্গির কবলে ৪,৪০১ জন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শহর থেকে জেলা ভয়াবহ ডেঙ্গি (Dengue) পরিস্থিতি। স্বাস্থ্য দফতরের (Health Department) রিপোর্ট অনুযায়ী, গতবছরের থেকে প্রায় দেড় গুণ বেড়েছে আক্রান্তের সংখ্যা। রাজ্যে এখনও পর্যন্ত ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ৪ হাজার ৪০১। স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্টে উল্লেখ, গতবছর এই সময় রাজ্যে ডেঙ্গি আক্রান্তর সংখ্যা ছিল ২ হাজার ৪৫০। 

    কী বলছে স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্ট

    স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী, শুধুমাত্র গত সপ্তাহেই রাজ্যে ডেঙ্গি (Dengue Update) আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৩৫ জন। গ্রামীণ এলাকায় ডেঙ্গি আক্রান্ত ৭২ শতাংশ, শহর এলাকায় ডেঙ্গি আক্রান্ত ২৮ শতাংশ। নদিয়ার ডেঙ্গি আক্রান্তদের সংখ্যা সবথেকে বেশি। স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্টই বলছে, চলতি বছরে শুধু জুলাই মাসেই রাজ্যে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। যদিও বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর মৃতের সংখ্যা ৮ বলে দাবি করেছেন। এমনকি বিধাননগরের মতো ঝকঝকে শহুরে এলাকায় ডেঙ্গির প্রকোপ নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। হাতে হাতে প্ল্যাকার্ড, নিজেদের মশারিতে ঢেকে, প্রতীকী মশা নিয়ে রাজ্যে ডেঙ্গি পরিস্থিতির জন্য বিধানসভায় বিক্ষোভ দেখিয়েছেন বিজেপি বিধায়করা।

    বিরোধী দলনেতার দাবি 

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ভয়াবহ ডেঙ্গি (Dengue Update)  পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বলেছেন, ‘আমরা চাই তথ্য। কতজনের টেস্ট করিয়েছেন? কতজন পজিটিভ, মুখ্যমন্ত্রী এখন সাহায্য চাইছেন, কী সাহায্য করব? হসপিটাল ভরে গেছে। মুখ্যমন্ত্রী গোলগোল কথা বলার জন্য এসেছেন রাজনীতি করতে। আমরা তথ্য চাইব না? জানতে চাই কতজন হাসপাতালে? কতজন মারা গেছে? যেমন মুখ্যমন্ত্রী তেমন মেয়র। ১০ লক্ষ আক্রান্ত।’

    আরও পড়ুন: ভিড় বাড়ছে হাসপাতালে! ডেঙ্গি রুখতে ফিভার ক্লিনিক কি শুরুতেই মুখ থুবড়ে পড়েছে?

    ত্রিপুরায় ডেঙ্গি রোধে আগাম সতকর্কতা

    গত কয়েকদিন ধরেই ডেঙ্গির (Dengue Update) প্রকোপ দেখা দিয়েছে বাংলাদেশের সীমান্তে ত্রিপুরার সিপাইজলার সোনামুড়া একাকায়। বাংলাদেশের ভয়াবহ আকার ধারণ করছে ডেঙ্গি। এই সময়েই ত্রিপুরার সীমান্তবর্তী এলাকায় ডেঙ্গির প্রকোপ দেখা দেওয়ার পরে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ত্রিপুরার স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, সিপাইজলার ধনপুর এলাকাতেই গত দুদিনে অন্তত ৭৫জন ডেঙ্গি আক্রান্ত ধরা পড়েছে। সেখানের জেলাশাসক বিশাল কুমার জানান, তারপরেই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে ওই এলাকায়। সীমান্তের ওই এলাকায় ডেঙ্গির প্রকোপ দেখা দেওয়া পরেই, বাংলাদেশী নাগরিকদের রক্ত পরীক্ষা করা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Buddhadeb Bhattacharjee: চেতনা ফিরেছে অনেকটাই, নিয়ন্ত্রণে রক্তচাপও, স্থিতিশীল বুদ্ধদেব

    Buddhadeb Bhattacharjee: চেতনা ফিরেছে অনেকটাই, নিয়ন্ত্রণে রক্তচাপও, স্থিতিশীল বুদ্ধদেব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইনভেসিভ ভেন্টিলেশন থেকে বের করে নিয়ে আসা হল রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে (Buddhadeb Bhattacharjee)। তবে পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে বাইপ্যাপ সাপোর্টে রাখা হয়েছে তাঁকে। আলিপুরের যে বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন বুদ্ধদেব, সেই হাসপাতালের মেডিক্যাল বুলেটিনে বলা হয়েছে, অনেকটাই চেতনা ফিরেছে বুদ্ধদেবের। তাঁর রক্তচাপ, রক্তে অক্সিজেন ও কার্বন ডাই অক্সাইডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, নয়া অ্যান্টি বায়োটিক প্রয়োগ করায় এবং ভেন্টিলেশনে রাখায় অনেকটাই স্থিতিশীল প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর শারীরিক অবস্থা।

    হাসপাতালে মুখ্যমন্ত্রী

    এদিকে, এদিন প্রাক্তনকে দেখতে হাসপাতালে যান বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনিও বলেন, “স্থিতিশীল রয়েছেন বুদ্ধবাবু (Buddhadeb Bhattacharjee)।” মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমার যেটুকু মনে হল, আমাকে যেন হাত নাড়লেন। এখন ভালই আছেন। স্থিতিশীল আছেন। হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে। ওঁরা সাধ্যমতো ভাল করে করছেন। বোর্ডও তৈরি হয়েছে। আমার মনে হয় প্যারামিটারগুলি অনেকটাই ঠিক আছে। বাদবাকিটা উনি কেমন আছেন, কী আছেন, যাঁরা মেডিক্যাল বোর্ডে রয়েছেন বা যাঁরা চিকিৎসা করছেন, তাঁরাই বলতে পারবেন। আমি ডাক্তার নই।”

    কমেছে সংক্রমণ 

    জানা গিয়েছে, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর রক্তে সংক্রমণ আগের চেয়ে অনেকটাই কমেছে। কমেছে ক্রিয়েটিনিনের মাত্রাও। হাসপাতালের তরফে এদিন বিকেলের মেডিক্যাল বুলেটিনে বলা হয়েছে, চিকিৎসকরা সর্বক্ষণ নজর রেখে চলেছেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের ওপর। হাসপাতাল সূত্রে খবর, বুদ্ধদেবের (Buddhadeb Bhattacharjee) শারীরিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে ক্রমেই। তাঁদের আশা, ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠবেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। ফিরে যাবেন পাম অ্যাভেনিউয়ের বাড়িতে। এদিন সকালেই ওই হাসপাতালের চিকিৎসক কৌশিক চক্রবর্তী বলেছিলেন, “বুদ্ধদেববাবুর (Buddhadeb Bhattacharjee) কার্ডিয়াক ফাংশন বেশ ভাল। তাই ফুসফুসের অবস্থা খারাপ থাকলেও, উনি লড়ে যাচ্ছেন। শরীরে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে ইনসুলিন দেওয়া হচ্ছে। রাইলস টিউবের মাধ্যমে তাঁকে খাবার দেওয়া হচ্ছে। কোনও সমস্যা ছাড়াই তাঁর খাদ্যনালী দিয়ে শরীরে খাবার ঢুকছে। এটা ভাল লক্ষণ।”

    আরও পড়ুুন: “দুর্নীতির সঙ্গে আপোষ নয়”, অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্যদের বৈঠকে আনন্দ-বার্তা

    তিনি বলেছিলেন, “প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এখন কানে শুনতে পাচ্ছেন। বুঝতে পারছেন, আশপাশটা অনুভব করতে পারছেন। আমরা ডাকলে উনি তাকাচ্ছেন, মাথাও নাড়ছেন। কখনও কখনও ইশারায় হ্যাঁ বা না বোঝানোর চেষ্টাও করছেন। তবে এখনও বিপন্মুক্ত নন তিনি।” 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।     

LinkedIn
Share