Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Suvendu Adhikari: হাওড়ার শ্যামপুরে মণ্ডপে ভাঙচুর, দুর্গা প্রতিমায় আগুন, বিস্ফোরক দাবি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: হাওড়ার শ্যামপুরে মণ্ডপে ভাঙচুর, দুর্গা প্রতিমায় আগুন, বিস্ফোরক দাবি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গে দুর্গা প্রতিমা (Durga Idols) ভাঙচুরের বিস্ফোরক দাবি করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় দুটি ভিডিও পোস্ট করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। ভিডিওগুলির সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম। একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে একটি জায়গায় দাউ দাউ করে কিছু একটা জ্বলছে। অপর একটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে কোনও একটি বিক্ষোভস্থলের ছবি যেটা ওপর থেকে তোলা হয়েছে। 

    শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) ট্যুইট

    নিজের পোস্টে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) লিখেছেন, ‘‘শ্যামপুর থানা থেকে ফেরার সময় একদল দুষ্কৃতী যারা সেখানে স্মারকলিপি জমা দিতে গিয়েছিল, ফেরার পথে দুর্গা পুজোর প্যান্ডেলে ভাঙচুর করে। শ্যামপুর বাজার ব্যবসায়ী সমিতির পুজো প্যান্ডেলে আগুন ধরানো হয়েছে। আরও একাধিক পুজো প্যান্ডেলে ভাঙচুর করা হয়েছে। বিসর্জনের ঘাটে (Durga Idols)  দুষ্কৃতীরা পাথরও ছুড়েছে, এই দাবি করে শুভেন্দু আরও লেখেন, ‘‘হাওড়া গ্রামীণ পুলিশ জেলায় শ্যামপুর থানা এলাকায় পরিস্থিতি অত্যন্ত উত্তেজনাপূর্ণ রয়েছে। আমি পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের ডিজির কাছে অনুরোধ করছি, স্পটে অতিরিক্ত ফোর্স পাঠান। এই ধরনের দুষ্কর্ম দূর করতে এই ধরনের ভাঙচুর বন্ধ করতে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়া হোক।’’ 

    দুর্গাকে ছিন্নবিচ্ছিন্ন করে জলে ভাসান! 

    অন্যদিকে, অপর একটি পোস্টে শুভেন্দু অধিকারী ((Suvendu Adhikari)) দাবি করেছেন, কেটে কুচি কুচি করে দুর্গাপ্রতিমাকে ভাসিয়ে দেওয়া হচ্ছে জলে। এক্স হ্যান্ডেলে আরও একটি ভিডিও পোস্ট করে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেন, কৃষ্ণনগরের তৃণমূল পরিচালিত পুরসভা এমন কাজ করেছে। বিরোধী দলনেতা লেখেন, ‘‘এই দৃশ্য বাংলাদেশের নয়, এই কীর্তি পশ্চিমবঙ্গের হিন্দু বিরোধী শাসক তৃণমূল দল পরিচালিত পুরসভার। আগে মা দুর্গার প্রতিমা বিসর্জন না করে, প্রতিমাকে যন্ত্রের সাহায্যে অসভ্যের মতো ছিন্নবিচ্ছিন্ন করে নদীতে ফেলা হয়েছে। গতকাল কৃষ্ণনগর কদমতলা ঘাটে কৃষ্ণনগর পুরসভার নির্দেশে পুরসভার কর্মচারীরা এভাবেই দুর্গা ঠাকুরের প্রতিমাকে কেটে টুকরো করে ভাসান করেছে। ঠিকঠাক ভাবে শাস্ত্র মতে ভাসান হয়ে যাওয়ার পরে নদী পরিষ্কার রাখার জন্য যা করণীয় সেটা করলে কারুরই কোনও আপত্তি থাকত না, কিন্তু তা না করে সর্বসমক্ষে এই কান্ড ঘটানোর উদ্দেশ্য কী?’’  

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Doctors Protest: ২ দিনের কর্মবিরতি শুরু বেসরকারি হাসপাতালেও, চলছে ১২ ঘণ্টার প্রতীকী অনশনও

    Doctors Protest: ২ দিনের কর্মবিরতি শুরু বেসরকারি হাসপাতালেও, চলছে ১২ ঘণ্টার প্রতীকী অনশনও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ সোমবার রাজ্যজুড়ে প্রতীকী অনশনের (Doctors Protest) ডাক দিয়েছে জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টরস। অনশন চলবে সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত৷ জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টরসের তরফে বিজ্ঞপ্তিতে চিকিৎসকদের নিজের নিজের কর্মস্থলে প্রতীকী অনশনে অংশগ্রহণ করার অনুরোধ করা হয়েছে। নাগরিক সমাজকেও এই কর্মসূচিতে যোগদান করার জন্য আবেদন জানানো হয়েছে। অন্যদিকে, একাধিক বেসরকারি হাসপাতালেও (Private Hospitals) কর্মবিরতির ঘোষণা করেছেন চিকিৎসকরা। আজ সোমবার সকাল ৬টা থেকে শুরু হয়েছে কর্মবিরতি। চলবে বুধবার সকাল ৬টা পর্যন্ত। এমনটাই জানিয়েছেন চিকিৎসকরা (Doctors Protest)। প্রসঙ্গত, আগামী মঙ্গলবার আরজি কর মেডিক্যাল মামলার শুনানি রয়েছে।

    চাপে পড়ে আজ আলোচনায় সরকার 

    ডাক্তারদের আন্দোলনে বেশ চাপে পড়েছে সরকার। সোমবার ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (আইএমএ)-সহ সব চিকিৎসক সংগঠনের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চেয়েছেন (Doctors Protest) রাজ্যে মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১২টায় হবে সেই বৈঠক। নবান্নের তরফে জানানো হয়েছে, প্রত্যেক চিকিৎসক সংগঠন থেকে দু’জন প্রতিনিধি থাকতে পারবেন বৈঠকে। বেসরকারি হাসপাতালগুলির মধ্যে মেডিকায় নন-ইমারজেন্সি পরিষেবা বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন চিকিৎসকরা। পাশাপাশি, আংশিক কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অ্য়াপোলো, পিয়ারলেস, মণিপাল, আরএন টেগোর, ফর্টিস, কোঠারি, নারায়ণা স্পেশালিটি, সিএমআরআই, বিএম বিড়লা, উডল্যান্ড-সহ ৩০টিরও বেশি বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরা।

    কী বলছেন বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকদের একাংশ 

    বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকদের (Doctors Protest) একাংশের বক্তব্য, সরকার সাড়া দিচ্ছে না বলেই  জটিল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ডায়াগনস্টিক সেন্টার, প্রাইভেট চেম্বারেও কর্মবিরতি করার আহ্বান জানিয়েছেন বেসরকারি হাসপাতালের (Private Hospitals) চিকিৎসকরা। গতকাল রবিবারই সিনিয়র চিকিৎসক ভাস্কর পাল বলেন, ‘‘ওরা বিশ্বাস পাচ্ছে না যে ওদের সঙ্গে অভয়ার মতো ঘটনা ঘটবে না। আমরা বলেছি আংশিক কর্মবিরতি। লুকোচুরি খেলা বন্ধ করুন। মনোজ পন্থকে অনুরোধ করব, আপনি নিজে অনশন মঞ্চে আসুন। আমাদের বাধ্য করবেন না, সোমবার সকাল ছটায় এটা করতে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • IMA: বাংলার আন্দোলনকে সমর্থন, মঙ্গলবার দেশজুড়ে অনশনে জুনিয়র ডাক্তাররা, সিদ্ধান্ত আইএমএ-এর

    IMA: বাংলার আন্দোলনকে সমর্থন, মঙ্গলবার দেশজুড়ে অনশনে জুনিয়র ডাক্তাররা, সিদ্ধান্ত আইএমএ-এর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ইতিমধ্যে চিঠি দিয়েছে সর্বভারতীয় চিকিৎসক সংগঠন ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (আইএমএ)। একই মর্মে প্রশাসনকে হুঁশিয়ারি দিয়েছে আইএমএ বেঙ্গলও। এবার দেশজোড়া ১২ ঘণ্টা অনশনের ডাক দিল আইএমএ (IMA)। পশ্চিমবঙ্গের জুনিয়র ডাক্তারদের (Junior Doctor) আমরণ অনশনের প্রতি সংহতি জানিয়ে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

    দেশজুড়ে অনশনে বসবেন জুনিয়র ডাক্তাররা (IMA)

    রবিবার আইএমএ (IMA) (মুখ্য দফতর)-এর পক্ষ থেকে আইএমএ-র সমস্ত রাজ্য ও আঞ্চলিক শাখার প্রধানদের নির্দেশ দিয়ে জানানো হয়েছে, চিকিৎসক আন্দোলনের সংহতিতে এবার দেশ জোড়া কর্মসূচির পথে হাঁটছে তারা। তাতে নেতৃত্ব দেবেন আইএমএ জেডিএন (জুনিয়র ডক্টরস নেটওয়ার্ক) এবং সদস্যেরা। আগামী মঙ্গলবার ভোর ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেশের সমস্ত প্রান্তে অনশন পালন করবেন জুনিয়র ডাক্তাররা। নিজের নিজের মেডিক্যাল কলেজ ও হস্টেলগুলিতে এই প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করবেন তাঁরা। এ নিয়ে সংগঠিত আলোচনার জন্য রবিবার দুপুরেই আইএমএ-র রাজ্যশাখার প্রেসিডেন্ট ও সভাপতিদের নিয়ে একটি জরুরি মিটিংও ডাকা হয়েছে। প্রসঙ্গত, শুক্রবারই দিল্লি থেকে আইএমএ-র প্রেসিডেন্ট আরভি অশোকান এসে দেখে যান ধর্মতলায় আন্দোলনরত চিকিৎসকদের অনশনমঞ্চ। নিজেদের স্বাস্থ্যের কথা ভেবে অনশন প্রত্যাহার করতেও অনুরোধ করেন। এর পরেই রবিবার সর্বভারতীয় চিকিৎসক সংগঠন আইএমএ-র বেঙ্গল শাখা কলকাতা-সহ জেলায় জেলায় ১২ ঘণ্টার প্রতীকী অনশনের ডাক দেয়। রবিবার সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত গোটা রাজ্যে প্রতীকী অনশন পালন করছেন তাঁরা।

    আরও পড়ুন: কলকাতার রাজপথে ‘দ্রোহের কার্নিভাল’! ঘরে ঘরে অরন্ধনের ডাক

     প্রশাসনকে হুঁশিয়ারি দিয়ে চিঠি

    এর আগে প্রেস বিবৃতিতে রাজ্য প্রশাসনকে কড়া বার্তা দিয়েছিল আইএমএ (IMA) বেঙ্গল। ওই বিবৃতিতে বলা হয়, জুনিয়র ডাক্তারদের আমরণ অনশন চলছে। একে একে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন অনশনরত চিকিৎসকেরা। তাঁদের স্বাস্থ্যের অবনতি নিয়ে উদ্বিগ্ন গোটা চিকিৎসক সমাজ। রাজ্য প্রশাসনকে হুঁশিয়ারিও দেন আইএমএ রাজ্য শাখার চিকিৎসকেরা। জানিয়ে দেন, প্রশাসন উদ্যোগী না হলে চরম পদক্ষেপ করবেন তাঁরা। উল্লেখ্য, জুনিয়র ডাক্তারদের অনশনের প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার সর্বভারতীয় রেসিডেন্ট ডাক্তারদের সংগঠন ‘ফেডারেশন অফ অল ইন্ডিয়া মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন’ (এফএআইএমএ) থেকেও মমতাকে চিঠি দেওয়া হয়। সেই চিঠিতেও ছিল হুঁশিয়ারি। দাবি না মানলে দেশ জুড়ে চিকিৎসা পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেন এফএআইএমএ-র সদস্যেরা। এমন একের পর এক পদক্ষেপে সরকারের ওপর ‘চাপ’ বাড়ছে বলে মনে করা হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Junior Doctor:  কলকাতার রাজপথে ‘দ্রোহের কার্নিভাল’! ঘরে ঘরে অরন্ধনের ডাক

    Junior Doctor: কলকাতার রাজপথে ‘দ্রোহের কার্নিভাল’! ঘরে ঘরে অরন্ধনের ডাক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার কলকাতার বড় পুজোগুলির প্রতিমা নিয়ে রেড রোডে রাজ্য সরকারের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হবে পুজো কার্নিভাল। আরজি করের (RG Kar) নির্যাতিতার বিচারের দাবিতে এবং অনশনরত জুনিয়র ডাক্তারদের (Junior Doctor) প্রতি সংহতি জানিয়ে রানি রাসমণি রোডে ‘দ্রোহের কার্নিভাল’ ডাকল জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টর্স। চিকিৎসকদের আটটি সংগঠনের যৌথমঞ্চ এই জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টর্স।

    ‘দ্রোহের কার্নিভাল’! (Junior Doctor)

    শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত এ বিষয়ে কিছু জানেন না আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারেরা। জুনিয়র ডাক্তারদের (Junior Doctor) আন্দোলনের অন্যতম নেতা দেবাশিস হালদার বলেন, “এই রকম কর্মসূচির কথা আমার জানা নেই। ফলে, এবিষয়ে এখনই কিছু মন্তব্য করতে পারব না।”গোটা পুজোয় পুলিশ বনাম আন্দোলনকারীদের সংঘাত লেগেই ছিল। ত্রিধারার মণ্ডপে বিচার চেয়ে স্লোগান দিতে গিয়ে ন’জন আন্দোলনকারী গ্রেফতার হয়েছিলেন। হাইকোর্টের নির্দেশে শনিবারই তাঁরা মুক্তি পেয়েছেন। অনেকের মতে, রাজ্য সরকারের উদ্যোগে আয়োজিত পুজো কার্নিভালের দিন চিকিৎসকদের যৌথ মঞ্চের ডাকে ‘দ্রোহের কার্নিভাল’ নতুন সংঘাতের সম্ভাবনা তৈরি করে দিল। কারণ, রানি রাসমণি রোড এবং রেড রোডের কার্নিভাল স্থলের দূরত্ব কয়েক মিটার বড় জোর। ফলে, প্রশাসন চিকিৎসকদের যৌথমঞ্চের কর্মসূচিতে অনুমতি দেবে কি না তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। পাশাপাশি রাজনৈতিক এবং প্রশাসনিক মহলে নতুন সংঘাতের পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা শুরু হয়েছে।

    আরও পড়ুন: ‘‘দ্রৌপদীর পোশাকে কেউ স্পর্শ করলে মহাভারত ঘটে যায়’’, আরজি কর ইস্যুতে তোপ সঙ্ঘ প্রধানের

    ঘরে ঘরে অরন্ধনের ডাক

    ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্ট’, জুনিয়র ডাক্তারদের মিলিত মঞ্চের তরফে শুক্রবার সকালে আন্দোলনকারী চিকিৎসক (Junior Doctor) দেবাশিস হালদার নাগরিক সমাজকে সংহতির বার্তা নিয়ে আন্দোলনের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান। ধর্মতলার অনশন মঞ্চ সংলগ্ন অঞ্চলেই সমাবেশের ডাক দেন তাঁরা। সেই ডাকে সাড়া দিয়ে সন্ধ্যা থেকেই হাজার হাজার মানুষ ভিড় জমান ধর্মতলায়। সেই মঞ্চ থেকে শুক্রবার রাতে চিকিৎসক অনিকেত উপস্থিত জনগণকে অনুরোধ করেন, “জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনকে সংহতি জানিয়ে আগামী রবিবার,একাদশীর দিন আপনারা ঘরে ঘরে অরন্ধন কর্মসূচি পালন করুন।” এছাড়া, রবিবার সর্বভারতীয় চিকিৎসক সংগঠন আইএমএ (ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন) -র বেঙ্গল শাখাও কলকাতা-সহ জেলায় জেলায় ১২ ঘণ্টার প্রতীকী অনশনের ডাক দিয়েছে। ১০ দফা দাবিতে গত শনিবার রাত সাড়ে ৮টা থেকে ধর্মতলায় আমরণ অনশন শুরু করেছেন কলকাতার বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজের ছ’জন চিকিৎসক। পরদিন যোগ দেন অনিকেত মাহাত, কিন্তু শারীরিক অসুস্থতার কারণে বৃহস্পতিবার রাতে তাঁকে আরজি করে ভর্তি করানো হয়। শুক্রবার থেকে অনিকেতের অবস্থা খানিক স্থিতিশীল হলেও এখনও পর্যবেক্ষণেই রয়েছেন তিনি। শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছে স্নিগ্ধারও। কিন্তু মনোবল কমেনি কারও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar: আরজি করকাণ্ডের সুবিচারের দাবিতে “রাতের মিটিং”! শহর ছাড়িয়ে গ্রামের দিকে পা

    RG Kar: আরজি করকাণ্ডের সুবিচারের দাবিতে “রাতের মিটিং”! শহর ছাড়িয়ে গ্রামের দিকে পা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর-কাণ্ডের (RG Kar) বিচারের দাবিতে আন্দোলন এখনও চলছে, জুনিয়র ডাক্তরেরা ‘আমরণ অনশন’ চালাচ্ছেন কলকাতা থেকে শিলিগুড়িতে। এর মধ্যেই ‘রাত দখল, অধিকার দখল’ মঞ্চের সংগঠকেরা নতুন এক কর্মকাণ্ড শুরু করে দিলেন। নাম ‘রাতের মিটিং’। এর আগে গত ১৪ অগাস্ট ‘মেয়েদের রাত দখলের কর্মসূচি রাজ্যজুড়ে তোলপাড় ফেলে দিয়েছিল।  

    ‘রাতের মিটিং’-এর উদ্দেশ্য কী? (RG Kar)

    উদ্যোক্তারা (RG Kar) বলেন, রাত দখলের (Agitation) কর্মসূচি মূলত প্রতিবাদের কর্মসূচি, ঘটনার প্রতিক্রিয়া জানানোর কর্মসূচি, ক্ষোভ প্রকাশের কর্মসূচি ছিল। সেটা ভবিষ্যতেও থাকবে। কিন্তু, সমস্যার আরও গভীরে যেতে হলে এক তরফা বক্তৃতা বা স্লোগানের বাইরে নিবিড় আলাপ-আলোচনা, পারস্পরিক আদানপ্রদান জরুরি। আমরা একটা মন্থন চাইছি। মেয়েরা মেয়েদের কথা খুলে বলবেন। নানা মেয়ের নানা সমস্যার কথায় আমরা পরস্পরকে আরও ভালো ভাবে বুঝতে পারব এর মধ্যে দিয়ে নতুন দাবিও উঠে আসতে পারে। এই কাজটা বড় আকারের জমায়েতে বা সমাবেশে নয়, ছোট আকারের সভায় বা মিটিংয়েই সম্ভব। এই ভাবনা থেকেই আমাদের রাতের মিটিং। কর্মসূচি আপাতত কলকাতায় শুরু হলেও, জেলায় এমনকি প্রত্যন্ত গ্রামেও তা ছড়িয়ে দেওয়ার ভাবনা রয়েছে। ইতিমধ্যে অ্যাকাডেমির সামনে এবং শ্যামবাজার চত্বরে মেয়েদের নিয়ে ‘রাতের মিটিং’ করেছি। দু’জায়গাতেই ভালো সাড়া পেয়েছি। শ্যামবাজারে মিটিং হয়েছিল গত ৩ অক্টোবর। রাত ৯টা থেকে ১২টা। অ্যাকাডেমির সামনে মিটিং হয় ১ অক্টোবর রাত ২টো থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত। শ্যামবাজারের মিটিংয়ে ছিলেন। চৈতালির বক্তব্য, “রাতের মিটিংয়ে মেয়েরা তাঁদের নিজেদের কথা উজাড় করে বলেছেন। তবে, আরও ছোট ছোট এলাকায় এই ধরনের মিটিং করতে পারলে মহিলাদের সাহস বাড়বে। কারণ রাত যতটা পুরুষের ততটাই মেয়েদের।”

    আরও পড়ুন: ‘‘দ্রৌপদীর পোশাকে কেউ স্পর্শ করলে মহাভারত ঘটে যায়’’, আরজি কর ইস্যুতে তোপ সঙ্ঘ প্রধানের

    উদ্যোক্তাদের পরিকল্পনা কী?

    যেখানে যেখানে রাত দখল হয়েছিল, সেই সব এলাকার সংগঠকদের (RG Kar) সঙ্গে যোগাযোগ করে বৃত্ত বড় করতে চাইছেন উদ্যোক্তারা। ইতিমধ্যে সেই কাজ শুরুও হয়েছে। কথা প্রসঙ্গে উদ্যোক্তাদের এক সদস্য প্রিয়স্মিতা বলেন, “সুন্দরবনের মতো প্রত্যন্ত এলাকায় সন্ধ্যা ৭টা মানেই রাত। সেই বাস্তবতা মেনে নিয়েই আমরা সেখানে ‘রাতের মিটিং’ করার পরিকল্পনা করছি। সূর্য ডোবার পরে হবে সেই কর্মসূচি। অর্থাৎ যেখানে যখন ‘রাত’ নামবে, সেখানে তখন হবে ‘রাতের মিটিং’। ঝাড়গ্রামের মতো জায়গাতেও ‘রাতের মিটিং’ করার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই যেখানে যেখানে ‘রাতের মিটিং’ হয়েছে, তাতে যোগ দিতে আসা মহিলাদের দেওয়া হয়েছে ২৫ দফা প্রশ্ন সম্বলিত ফর্ম। কোনও এলাকায় রাতে হাঁটতে ভয় হয়, কেন সেই ভয়, সে সব কারণ জানাচ্ছেন মহিলারা। সংগঠকদের তরফে বলা হয়েছে, শ্যামবাজারের ‘রাতের মিটিং’-এ যে মহিলারা লাগোয়া এলাকার বস্তি থেকে এসেছিলেন তাঁরা জানিয়েছেন, যেখানে যেখানে জুয়া-সাট্টার ঠেক চলে, সেখান দিয়ে রাতে চলাফেরা করতে তাঁদের আতঙ্ক লাগে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Tridhra Arrest Case: ‘‘ক্ষমতা রয়েছে বলেই পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারে না’’, ত্রিধারা কাণ্ডে বলল হাইকোর্ট

    Tridhra Arrest Case: ‘‘ক্ষমতা রয়েছে বলেই পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারে না’’, ত্রিধারা কাণ্ডে বলল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতার ত্রিধারা পুজো (Tridhra Arrest Case) মণ্ডপের সামনে আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদ জানানোয় নয় ছাত্রকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ। এনিয়েই হাইকোর্টের প্রশ্নের মুখে পড়তে হল কলকাতা পুলিশ এবং রাজ্যকে। উচ্চ আদালতের মন্তব্য, ‘‘ক্ষমতা রয়েছে বলেই পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারে না।’’ প্রসঙ্গত, সপ্তমীর সন্ধ্যায় ওই প্রতিবাদের মধ্যে হুড়োহুড়িতে তিন জন পুলিশকর্মী নাকি আহত হয়েছে বলে দাবি করে প্রশাসন। এনিয়ে উচ্চ আদালত পর্যবেক্ষণে বলেছে, ‘আহতদের’ কেবল ব্যথানাশক এবং হজমের ওষুধ দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, ধৃত ৯ জনকেই আলিপুর আদালতে তোলা হয়, সেখানে তাঁদের ৭ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়। এরপরেই হাইকোর্টে জামিনের আবেদন জানানো হয়। ত্রিধারা-কাণ্ডে (Tridhra Arrest Case) কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি শম্পা সরকার ধৃতদের জামিনের নির্দেশ দেন।

    হাইকোর্টের শুনানি (Tridhra Arrest Case)

    শুনানির শুরুর দিকে উচ্চ আদালত  (Calcutta High Court) প্রশ্ন তোলে কী ভাবে অভিযুক্তদের নাম জানতে পেরেছিলেন অভিযোগকারী বিট্টুকুমার ঝা, যার ভিত্তিতে রবীন্দ্র সরোবর থানায় দায়ের হল অভিযোগ? রাজ্য জবাব দেয়, অভিযুক্তরা একে অপরের নাম ধরে ডাকছিলেন! রাজ্যের আরও দাবি, ধৃতদের মাধ্যমে নাকি বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে। তদন্ত চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার আর্জিও জানায় রাজ্য। অন্য দিকে, ধৃতদের আইনজীবী সওয়াল করেন, ‘‘পুলিশি হেফাজতে নিয়ে ‘কেস সাজানো হচ্ছে, ‘ন’জনের অপরাধ কী? প্রতিবাদ জানানো কি অপরাধ (Tridhra Arrest Case)? পুলিশ কী ভাবে প্রতিবাদে হস্তক্ষেপ করে?’’ শুনানির শেষে ধৃতদের ১ হাজার টাকা বন্ডে অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুর করে উচ্চ আদালত। বিচারপতির আরও পর্যবেক্ষণ, ‘‘ত্রিধারার পুজোমণ্ডপের ঘটনায় শুধুমাত্র হোয়াট্‌সঅ্যাপ চ্যাট এবং প্ল্যাকার্ড উদ্ধার করেছে পুলিশ। ধৃতদের স্লোগানে ঘৃণাভাষণ ছিল না। ধর্মীয় ভাবে কাউকে তাঁরা কাউকে আঘাত করেননি। অনেক সাধারণ মানুষই ওই স্লোগান দিচ্ছিলেন।’’ বিচারপতির আরও পর্যবেক্ষণ, ‘‘ধৃতদের প্রত্যেকের কম বয়স। বেশির ভাগেরই বয়স ২০-২৫ বছর। অত্যুৎসাহী হয়ে তাঁরা ওই কাজ করে থাকতে পারেন।’’

    আন্দোলনকারীদের পরিচয় (Tridhra Arrest Case)

    প্রসঙ্গত, সপ্তমীতে ত্রিধারা সম্মিলনীর মণ্ডপে জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনকে সমর্থন করে স্লোগান দেওয়ায় গ্রেফতার হন, আসানসোলের কুলটির বাসিন্দা সুজয় মণ্ডল, কলকাতার দমদমের বাসিন্দা উত্তরণ সাহা রায়, ট্যাংরার বাসিন্দা কুশল কর, দক্ষিণ ২৪ পরগনার নরেন্দ্রপুরের বাসিন্দা জহর সরকার এবং সাগ্নিক মুখোপাধ্যায়, পূর্ব বর্ধমানের বাসিন্দা নাদিম হাজারি, হাসনাবাদের বাসিন্দা ঋতব্রত মল্লিক, উত্তর ২৪ পরগনার খড়দহের বাসিন্দা চন্দ্রচূড় চৌধুরী এবং রহড়ার বাসিন্দা দৃপ্তমান ঘোষ। জামিনের আবেদনে (Calcutta High Court) শুক্রবার দুপুরে শুরু হয় শুনানি।

      

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Dharmatala: বাড়ছে আন্দোলনের ঝাঁঝ, ধর্মতলার অনশনে যোগ দিলেন আরও দুই জুনিয়র চিকিৎসক

    Dharmatala: বাড়ছে আন্দোলনের ঝাঁঝ, ধর্মতলার অনশনে যোগ দিলেন আরও দুই জুনিয়র চিকিৎসক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাড়ছে ঝাঁঝ জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের, শুক্রবার রাতে তাঁদের অনশনমঞ্চে যোগ দিলেন আরও দুই জন চিকিৎসক। এরফলে বর্তমানে ওই মঞ্চে অনশনরত চিকিৎসকের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল আট। ধর্মতলা (Dharmatala) ছাড়াও, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের দুই জুনিয়র ডাক্তারও ‘আমরণ অনশন’ (Hunger Strike) করছেন। শুক্রবার রাতে ধর্মতলায় ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টর্‌স ফ্রন্ট’-এর তরফে জানানো হয়, আরও দুই জন জুনিয়র ডাক্তার আমরণ অনশন (Dharmatala) শুরু করছেন। তাঁরা হলেন পরিচয় পণ্ডা এবং আলোলিকা ঘোড়ুই। জানা গিয়েছে, পরিচয় শিশুমঙ্গল হাসপাতালের সঙ্গে যুক্ত। তিনি ওই হাসপাতালের ইএনটি (নাক, কান, গলা) বিভাগের পিজিটি-র দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়া। আর কলকাতা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের সার্জারি বিভাগের প্রথম বর্ষের পিজিটি আলোলিকা। তাঁরা জানান, সরকার যত দিন পর্যন্ত না তাঁদের দাবি মেটাচ্ছেন তত দিন এ ভাবেই জীবনকে বাজি রেখে এগিয়ে যাবেন একে একে।

    গত শনিবার থেকে চলছে অনশন (Dharmatala)

    প্রসঙ্গত, ১০ দফা দাবিতে গত শনিবার রাত সাড়ে ৮টা থেকে ধর্মতলায় আমরণ অনশন শুরু করেন কলকাতার বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজের ছ’জন জুনিয়র ডাক্তার। স্নিগ্ধা হাজরা ছাড়াও সেই তালিকায় রয়েছেন তনয়া পাঁজা, সায়ন্তনী ঘোষ হাজরা, অনুষ্টুপ মুখোপাধ্যায়, অর্ণব মুখোপাধ্যায় এবং পুলস্ত্য আচার্য। এরপর গত রবিবার, ৬ অক্টোবর অনশনে যোগ দিয়েছিলেন আরজি করের জুনিয়র চিকিৎসক অনিকেত মাহাতোও। বৃহস্পতিবার রাতে শারীরিক অবস্থার অবনতি তাঁকে আরজি কর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তাঁকে ধরলে অনশনকারীর (Dharmatala) সংখ্যা ন’জন।

    আজ ১২ ঘণ্টার প্রতীকী অনশন কর্মসূচি আইএমএ-এর বেঙ্গল শাখার

    গত অগাস্ট মাস থেকেই আরজি করে চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় উত্তাল রাজ্য। প্রতিবাদে কর্মবিরতি পালন করেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। গত বুধবার রাতে মুখ্যসচিবের সঙ্গে স্বাস্থ্য ভবনে বৈঠকে বসেছিলেন আন্দোলনকারীরা। কিন্তু সেই বৈঠক বিফল বলেই দাবি তাঁদের। আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, রাজ্য সরকার নতুন কিছু বলছে না। শুধু মৌখিক প্রতিশ্রুতি দিয়ে অনশন তুলে নেওয়ার কথা বলছে। ঠিক এই আবহে আজ রবিবার সর্বভারতীয় চিকিৎসক সংগঠন আইএমএ-র (ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন) বেঙ্গল শাখা কলকাতা-সহ জেলায় জেলায় ১২ ঘণ্টার প্রতীকী অনশন কর্মসূচি (Hunger Strike) পালন করছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: গার্ডেনরিচের মণ্ডপে দুষ্কৃতী তাণ্ডব, পুজো বন্ধ করার হুমকি! ক্ষোভ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: গার্ডেনরিচের মণ্ডপে দুষ্কৃতী তাণ্ডব, পুজো বন্ধ করার হুমকি! ক্ষোভ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খাস কলকাতায় মণ্ডপে ঢুকে দুর্গাপুজো (Durga Puja) বন্ধ করার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল। শুক্রবার ভিডিও পোস্ট করে এই দাবি করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বিরোধী দলনেতার বক্তব্য অনুযায়ী, গার্ডেনরিচের নিউ বেঙ্গল স্পোর্টিং ক্লাবের মণ্ডপে ঢুকে দুষ্কৃতীরা পুজো বন্ধ না করলে মণ্ডপ ও মূর্তি ভাঙচুরের হুমকি দিয়েছে।

    শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) পোস্ট

    গতকাল শুক্রবার অষ্টমীর বিকেলে সোশ্যাল মিডিয়ায় শুভেন্দু অধিকারীর পোস্ট করা একটি ভিডিও-তে দেখা যাচ্ছে, কিছু যুবক একটি মণ্ডপে ঢুকে ধাক্কাধাক্কি করছে। সঙ্গে চলছে ব্যাপক শোরগোল। সেই ভিডিও পোস্ট করে শুভেন্দুবাবু লিখেছেন, ‘‘আজ কলকাতা পুলিশের আওতাভুক্ত গার্ডেনরিচ এলাকার নিউ বেঙ্গল স্পোর্টিং ক্লাবের দুর্গাপুজোয় দুষ্কৃতীদের বিনা প্ররোচনায় হামলা চালায় এবং পুজো বন্ধ না করলে মায়ের মূর্তি, মণ্ডপসহ পুরো প্যান্ডেল ভাঙচুর করার হুমকি দেয়।’’

    আলিপুরদুয়ার নিয়েও পোস্ট শুভেন্দুর

    শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) আরও লেখেন, ‘‘ক্লাব কতৃপক্ষ  ইতিমধ্যেই গার্ডেনরিচ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। আমি কলকাতা পুলিশের কমিশনার মাননীয় শ্রী মনোজ কুমার ভার্মার কাছে দাবি করছি, এই ঘটনায় জড়িত সকলকে অবিলম্বে গ্রেফতার করে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। এই নোংরা মানসিকতা ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে বাধা দেওয়ার প্রচেষ্টার আমি তীব্র নিন্দা করি। দুষ্কৃতীদের এমন প্রবণতা দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে। এদের বোঝাতে হবে যে এটা কলকাতা, ঢাকা নয়।’’ প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মহাসপ্তমীর সন্ধ্যায় একই রকম অভিযোগ উঠেছিল আলিপুরদুয়ারের ফালাকাটায়। অভিযোগ, মণ্ডপে ঢুকে পুজোর শঙ্খ ও লাউড স্পিকার বাজালে মূর্তি (Durga Puja) ভাঙচুরের হুমকি দেয় স্থানীয় কয়েকজন দুষ্কৃতী। এনিয়ে নিজের এক্স হ্যান্ডেলে একটি ভিডিও পোস্ট করেন শুভেন্দু অধিকারী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Protest: ত্রিধারা পুজোমণ্ডপে উঠল ন্যায় বিচারের স্লোগান, গ্রেফতার ৯, হাইকোর্টে জরুরি জামিনের আবেদন

    Protest: ত্রিধারা পুজোমণ্ডপে উঠল ন্যায় বিচারের স্লোগান, গ্রেফতার ৯, হাইকোর্টে জরুরি জামিনের আবেদন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবার, দুর্গাপুজোর সপ্তমীতেও আরজি কর-কাণ্ডের ন্যায় বিচারের আন্দোলনের (Protest) উত্তাপ দেখা গেল কলকাতার ত্রিধারা সম্মিলনী পুজো মণ্ডপের (Tridhara pujomandap) সামনে। অভয়ার জন্য সুবিচার এবং দোষীদের কড়া শাস্তির দাবিতে জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনকে সমর্থন করে স্লোগান দিয়েছিলেন আন্দোলনকারীরা। তাঁদের মধ্যে মোট ৯ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁদের আলিপুর আদালতে তুললে, বিচারপতি ৭ দিনের জন্য পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন। শুক্রবার, পাল্টা আন্দোলনকারীরা চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। পুজো মণ্ডপে স্লোগানকে ঘিরে ব্যাপক শোরগোল পড়েছে।

    তিন পুলিশ এবং এক ব্যক্তি ঘটনায় আহত (Protest)

    রাজ্যে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো চলছে। মণ্ডপে মণ্ডপে দর্শনার্থীদের ব্যাপক ভিড়। ঠিক এই সময়ে বৃহস্পতিবার দক্ষিণ কলকাতার ত্রিধারা সম্মিলনীতে (Tridhara pujomandap) জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনকে (Protest) সমর্থন করে স্লোগান দেওয়া হয়। সকাল ৭টা নাগাদ পুলিশ বাধা দেয় এবং সাড়ে ১১ টায় এফআইআর দায়ের করা হয়। ঘটনায় পুজোর পরিবেশে বেঘ্যাত ঘটানোর দায়ে পুলিশ মোট ৯ জনকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিদের নাম হল, আসানসোলের কুলটির বাসিন্দা সুজয় মণ্ডল, কলকাতার দমদমের বাসিন্দা উত্তরণ সাহা রায়, ট্যাংরার বাসিন্দা কুশল কর, দক্ষিণ ২৪ পরগনার নরেন্দ্রপুরের বাসিন্দা জহর সরকার এবং সাগ্নিক মুখোপাধ্যায়, পূর্ব বর্ধমানের বাসিন্দা নাদিম হাজারি, হাসনাবাদের বাসিন্দা ঋতব্রত মল্লিক, উত্তর ২৪ পরগনার খড়দহের বাসিন্দা চন্দ্রচূড় চৌধুরী এবং রহড়ার বাসিন্দা দৃপ্তমান ঘোষ। পুলিশের অবশ্য দাবি, ধৃতদের কাছ থেকে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে মণ্ডপে গিয়ে স্লোগান দেওয়ার কর্মসূচির তথ্য পাওয়া গিয়েছিল। ইতিমধ্যে তিন পুলিশ এবং এক ব্যক্তি ঘটনায় আহত হয়েছেন। ধৃতরা কেউ চিকিৎসক নন, পুলিশের দাবি।

    আরও পড়ুনঃ অনিকেতের শারীরিক অবস্থা এখনও স্থিতিশীল নয়! সঙ্কট কাটাতে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি ডাক্তার সংগঠনের

    স্লোগান দেওয়ার জন্য গ্রেফতারি কেন?

    ধৃত পক্ষের আইনজীবীর দাবি, পুজো মণ্ডপে স্লোগান দেওয়া কোনও অপরাধের বিষয় নয়। স্লোগান দেওয়ার জন্য গ্রেফতারি কেন? অপরদিকে রাজ্যের আইনজীবীদের দাবি, এটা স্বতঃপ্রণদিত ভাবে মামলা নয়। একজন সাধারণ মানুষ অভিযোগ করেছেন, তাই এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। পুজোর প্যান্ডেল কি প্রতিবাদের (Protest) জায়গা? যদি কোনও রকম দুর্ঘটনা ঘটে তাহলে তার দায় কে নেবে? সুপ্রিম কোর্ট কি ওই রকম জায়গায় প্রতিবাদের কথা বলেছে? অপর দিকে নিম্ন আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কলকাতা কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে ধৃতদের পরিবার। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Case: অনিকেতের শারীরিক অবস্থা এখনও স্থিতিশীল নয়! সঙ্কট কাটাতে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি ডাক্তার সংগঠনের

    RG Kar Case: অনিকেতের শারীরিক অবস্থা এখনও স্থিতিশীল নয়! সঙ্কট কাটাতে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি ডাক্তার সংগঠনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনিকেতের শারীরিক অবস্থা এখনও স্থিতিশীল নয়। আরজি কর (RG Kar Case) কাণ্ডে অনশনরত চিকিৎসক অনিকেত মাহাতোর অবস্থা ভীষণ আশঙ্কাজনক। কোমায় যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বর্তমানে সিসিইউতে রাখা হয়েছে। পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগজনক ভেবেই মুখ্যমন্ত্রীকে (Mamta Banerjeee) সংবেদনশীল হতে আবেদন জানিয়ে চিঠি সিনিয়র ডাক্তারদের সংগঠন ‘জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টর্স-এর। অভয়ার ন্যায় বিচার সহ মোট ১০ দফা দাবি নিয়ে ধর্মতলায় অনশন করছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। এখনও পর্যন্ত সরকার কোনও পদক্ষেপ গ্রহণের কথা জানায়নি। ফলে চিকিৎসক মহল প্রতিবাদে গণইস্তফাও দিতে শুরু করেছে। রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়েবে না তো? এই প্রশ্ন এখন সাধারণ মানুষের মনে।

    ধীরে ধীরে শরীরের অঙ্গ বিকল হওয়ার সম্ভাবনা (RG Kar Case)

    আন্দোলনে অনশনরত চিকিৎসকদের (RG Kar Case) শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক বলে মত প্রকাশ করেছেন ডাক্তাররা। জানা গিয়েছে, অনিকেতের দেহে কিটোন বডির উপস্থিতি মিলতে শুরু করেছে। কিটোন বডির পরিমাণ ৩+। এই পরিমাণ বাড়তে থাকলে কিটোন অ্যাসিডোসিস হয়ে কোমায় যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ধীরে ধীরে শরীরের অঙ্গ বিকল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ইতিমধ্যে লিভারের মধ্যে প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। চিন্তায় রয়েছেন অনেক চিকিৎসক। কিন্তু এখনও নিজেদের দাবি নিয়ে অনড় রয়েছেন অনেকেত সহ আরও অনিকেত চিকিৎসক। সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, অনশনকারীদের মধ্যে আরও অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এদিকে ইতিমধ্যে টানা ১১৩ ঘণ্টা পেরিয়ে গিয়েছে অনশনের সময়। এসএসকেএম থেকে চার সদস্যের মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে। একইভাবে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস একদিন আন্দোলনরত চিকিৎসকদের দেখতে গিয়েছেন। যদিও গত বুধবার স্বাস্থ্য ভবনে বৈঠক হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু তা হয়নি।

    আরও পড়ুনঃ আরজি কর ইস্যুতে ‘গণইস্তফা’ দিলেন এসএসকেএম-এর ৪০ জন চিকিৎসক!

    অচলাবস্থা ও পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করবেন মমতা?

    অনশনরত জুনিয়র ডাক্তারদের (RG Kar Case) পাশে দাঁড়িয়ে পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে চিকিৎসক সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক পুণ্যব্রত গুণ এবং হীরালাল কোনার, মুখ্যমন্ত্রীকে (Mamta Banerjeee) চিঠি লিখে পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অচলঅবস্থা এবং পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে অবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণের আর্জি জানান তাঁরা। ইতিমধ্যে অনিকেতের স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটেছে। বৃহস্পতিবার তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে আরজি কর হাসপাতালে। কিন্তু বাকি জুনিয়র ডাক্তারদের অনশন এখনও চলছে। সিনিয়র ডাক্তারদের মতে, জটিল অবস্থার কথা বিবেচনা করে আলোচনায় আসা একান্ত প্রয়োজন। উল্লেখ্য গত শনিবার সাড়ে ৮টা থেকে ধর্মতলায় অনশন করছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। ইতিমধ্যে ৬ দিন পার হয়ে গিয়েছে।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share