Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Calcutta High Court: বিচারপতি সেনগুপ্তের পর এবার বিরক্তি প্রকাশ করলেন প্রধান বিচারপতিও, কেন জানেন?

    Calcutta High Court: বিচারপতি সেনগুপ্তের পর এবার বিরক্তি প্রকাশ করলেন প্রধান বিচারপতিও, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজনৈতিক হিংসা সংক্রান্ত মামলার পাহাড় জমেছে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। সোমবার এ নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। এবার একই কারণে বিরক্তি প্রকাশ করেলন প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম স্বয়ং। তিনি বলেন, “গত দেড় মাস ধরে গাদা গাদা পঞ্চায়েত মামলা দায়ের হচ্ছে। পঞ্চায়েত মামলা শুনতে গিয়ে অন্য কোনও মামলা শোনা হচ্ছে না। আর মানুষ ভাবছে আমরা কাজ করছি না।”

    একের পর এক মামলা

    ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণার পর থেকে একের পর এক মামলা দায়ের হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। মামলাকারীদের মধ্যে যেমন রয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, তেমনি রয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী এবং আইএসএফ নেতা নওশাদ সিদ্দিকি। কখনও নির্বাচনের দফা বৃদ্ধি, কখনওবা কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি, কখনও আবার নির্বাচনে শাসক দলের অবাধ ছাপ্পার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন এঁরা। সুবিচারের আশায় দ্বারস্থ হয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court)। এই সব মামলার বেশ কতকগুলির শুনানি হয়েছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে। নির্বাচন হয়েছে ৮ জুলাই। তার পর থেকে এখনও চলছে মামলা। ভোট হিংসার বিচার চেয়ে প্রায় প্রতিদিনই হচ্ছে নতুন নতুন মামলা। এ নিয়েই মঙ্গলবার উষ্মা প্রকাশ করেন প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম।

    উষ্মা প্রকাশ প্রধান বিচারপতিরও

    এদিন প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে দ্রুত শুনানির আর্জি জানান কয়েক জন আইনজীবী। তখনই উষ্মা প্রকাশ করে প্রধান বিচারপতি বলেন, “পঞ্চায়েত মামলার ভিড়েই চাপা পড়ে যাচ্ছে অন্য সব মামলা।” সোমবার প্রায় একই রকম সুর শোনা গিয়েছিল বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের গলায়ও। তিনিও বলেছিলেন, “সারা দিন কি শুধুই রাজনৈতিক মামলা শুনব? অন্য মামলা কি আর শোনা যাবে না!”

    আরও পড়ুুন: “দুর্নীতি ওঁদের অনুপ্রেরণা”, বেঙ্গালুরুতে বিরোধী জোটের বৈঠককে নিশানা মোদির

    এদিন প্রধান বিচারপতি (Calcutta High Court) বলেন, “আইনজীবীদের আবেদন মতো সময়ে শুনানি করা সম্ভব নয়। ওই মামলাগুলির জন্য নির্ধারিত দিনেই পঞ্চায়েত মামলার শুনানি হবে।” প্রধান বিচারপতি বলেন, “পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে এত মামলা। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে আদালতকে ব্যবহার করে অনেকেই সস্তা প্রচার পাওয়ার চেষ্টা করছেন। অনেকেই আদালতকে ব্যবহার করে সংবাদ শিরোনামে আসতে চাইছেন। দয়া করে এই কাজ করবেন না।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Calcutta High Court: প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পে ‘দুর্নীতি’! তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পে ‘দুর্নীতি’! তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসককে তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ।  তদন্ত করে ছয় সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে হবে আদালতে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় প্রকল্পের নামে টাকা নয়ছয়ের অভিযোগে কলকাতা হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানি ছিল প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চে। 

    অনিয়মের অভিযোগ

    প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ক্ষেত্রে রাজ্যে বেনিয়ম হয়েছে বলে বিরোধীরা একাধিকবার অভিযোগ তুলেছিল। অভিযোগের জেরেই কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে রাজ্যে টিম পাঠিয়ে ছিল। রাজ্যের বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে রিপোর্ট জমা দেয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের কাছে। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ক্ষেত্রে রাজ্যে বেনিয়ম হয়েছে বলে স্বীকার করেছিল কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকও ৷ জানানো হয়েছিল দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেবে কেন্দ্র ৷ প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় (PM Awas Yojana) দুর্নীতির অভিযোগে জনস্বার্থ মামলা হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। 

    আরও পড়ুন: ‘বাংলায় কুস্তি, বেঙ্গালুরুতে দোস্তি’! বিরোধী বৈঠককে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    আদালতের নির্দেশ

    এদিনের শুনানিতে মামলাকারীর তরফে সওয়াল করা হয়, ন্যায্য ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন না। অথচ যাঁরা এই প্রকল্পের আওতায় আসছেনই না, তাঁদের নামে টাকা বরাদ্দ হয়েছে। এক ব্যক্তির বহু অ্যাকাউন্টে টাকা যাচ্ছে। আবার অনেক ক্ষেত্রে টাকা বরাদ্দ হয়েছে, অথচ টাকা পৌঁছয়নি। আবার অন্য এলাকার লোকের নামে বাড়ি বরাদ্দ হয়েছে। মামলাকারীর অভিযোগ, জেলায় আবাস যোজনার প্রাপকদের যে তালিকা তৈরি করা হয়েছে, তাতে বিস্তর গরমিল রয়েছে। আরও অভিযোগ, ন্যায্য প্রাপকদের বঞ্চিত করে বেআইনিভাবে একাধিক ব্যক্তির নাম তালিকায় তোলা হয়েছে। এরপরই কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসককে অভিযোগ খতিয়ে দেখে তদন্ত করে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘বাংলায় কুস্তি, বেঙ্গালুরুতে দোস্তি’! বিরোধী বৈঠককে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘বাংলায় কুস্তি, বেঙ্গালুরুতে দোস্তি’! বিরোধী বৈঠককে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘বাংলায় কুস্তি, বেঙ্গালুরুতে দোস্তি’! বিরোধী বৈঠককে কটাক্ষ করে ট্যুইট করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বেঙ্গালুরুতে ২৬টি বিরোধী দলের বৈঠককে কটাক্ষ করে এদিন ট্যুইট করলেন শুভেন্দু। সদ্য শেষ হয়েছে বাংলায় পঞ্চায়েত নির্বাচন। তাতে সন্ত্রাস হয়েছে বলে বিস্তর অভিযোগ সব বিরোধী দলের। সেখানে কংগ্রেস–সিপিএম ওই বৈঠকে তৃণমূলের সঙ্গে একসারিতে আসায় বাম-কংগ্রেসের ওপর তলার নেতাদের  কটাক্ষ করলেন শুভেন্দু। ২০২৪ লোকসভা ভোটে বিজেপিকে পরবর্তী দফায় ঠেকাতে একজোট হচ্ছে বাম-কংগ্রেস-তৃণমূল কংগ্রেস-এনসিপি-আপ-সমাজবাদী পার্টি সহ ২৬টি দল। পাটনার প্রথম বৈঠকের পর আজ বেঙ্গালুরুতে দ্বিতীয় মেগা বৈঠক বিরোধী জোটের। তাকেই কটাক্ষ করলেন শুভেন্দু।

    আরও পড়ুুন: “দুর্নীতি ওঁদের অনুপ্রেরণা”, বেঙ্গালুরুতে বিরোধী জোটের বৈঠককে নিশানা মোদির

    বিরোধীদের খোঁচা

    শুভেন্দু এদিন বিরোধী বৈঠক প্রসঙ্গে খোঁচা দিয়ে বলেন, ‘কর্মীরা খাবে পেটো, গুলি, রড-লাঠি; আর নেতাদের বরাদ্দ মুচমুচে ফিশ ফ্রাই ? কী রাজনীতি রে ভাই ! পঞ্চায়েত নির্বাচনে বাংলার শাসকদলের তাণ্ডব আটকাতে প্রাণ দিয়েছেন দলীয় কর্মীরা। তাঁদের মৃতদেহকে উপেক্ষা করছে এই সুবিধাবাদী জোট। বহু আহত কর্মী এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁদের সান্ত্বনা দিতে কী যুক্তি দেবেন নেতারা ? সিপিএম এবং কংগ্রেস কর্মীদের (CPM and Congress Worker) প্রতি আমার করুণা হচ্ছে। নেতারাই তাঁদের পিঠে ছুরি মারলেন।’

    বিরোধী জোট নিয়ে গতকাল ট্যুইটে তোপ দাগতে ছাড়েননি  বাংলায় বিজেপির সহ পর্যবেক্ষক  অমিত মালব্য (Amit Malviya)। তিনি বলেন, ‘পঞ্চায়েত ভোটে ৫০-এর বেশি প্রাণহানি, তালিকায় কংগ্রেস কর্মীরাও। রাহুল গান্ধী কি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখোমুখি হবেন? এত মৃত্যুর জন্য রাহুল কি অনুশোচনা করবেন, নাকি আত্মসমর্পণ করবেন? এই রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস নিয়ে রাহুলের নীরবতা তাঁর কাপুরুষতা ও সুযোগ সন্ধানী রাজনীতির উদাহরণ’। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     

  • Supreme Court: রামনবমীর শোভাযাত্রায় হিংসার মামলা, প্রশ্নের মুখে পুলিশের ভূমিকা

    Supreme Court: রামনবমীর শোভাযাত্রায় হিংসার মামলা, প্রশ্নের মুখে পুলিশের ভূমিকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রামনবমীর (Rama Navami) শোভাযাত্রায় ব্যাপক হিংসা হয়েছিল এ রাজ্যে। তা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হয়েছিল মামলাও। পরে আদালত অভিযোগের তদন্তভার দেয় জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে। আদালতের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দ্বারস্থ হয় রাজ্য সরকার।

    সুপ্রিম কোর্টে শুনানি

    সোমবার দেশের শীর্ষ আদালতে হয় এই মামলার শুনানি। হাওড়ার শিবপুর, হুগলির রিষড়া এবং উত্তর দিনাজপুরের ডালখোলায় অশান্তির ঘটনায় পাঁচটি এফআইআর দায়ের করেছিল এনআইএ। এদিন আদালত জানতে চায় রামনবমীর শোভাযাত্রায় অশান্তির ঘটনা নিয়ে দায়ের হওয়া পাঁচটি এফআইআরের বিবরণ একই কিনা। ওই বিবরণ বিশ্লেষণ করে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় এনআইএকে। শুক্রবার সকালের মধ্যে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) এই রিপোর্ট জমা দেবে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা। এদিন শুনানিতে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর আইনজীবীরা রাজ্য পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তাঁরা জানান, রামনবমীর শোভাযাত্রায় বোমা ছোড়া হলেও, বিস্ফোরক আইনে মামলা করেনি পুলিশ।

    আদালতের পর্যবেক্ষণ

    এপ্রিল মাসে কলকাতা হাইকোর্টের তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি (বর্তমানে প্রধান বিচারপতি) টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি হয়েছিল এই মামলার। তখন আদালতের পর্যবেক্ষণ ছিল, রামনবমীর শোভাযাত্রাকে ঘিরে অশান্তির ঘটনায় বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয়েছে। তার জের টেনে এদিন শুভেন্দুর আইনজীবীর প্রশ্ন, এরপরও কেন রাজ্য পুলিশ বিস্ফোরক আইনে কোনও মামলা রুজু করল না? তিনি (Supreme Court) বলেন, হিংসার ঘটনায় দোষীদের আড়াল করতেই বিস্ফোরক আইনে এফআইআর দায়ের করেনি রাজ্য পুলিশ। মামলাকারীদর বিজেপি নেতা হিসেবে চিহ্নিত করার চেষ্টা ভুল। এঁদের মধ্যে সমাজকর্মী, আইনজীবীরাও রয়েছেন।

    আরও পড়ুুন: “দুর্নীতি ওঁদের অনুপ্রেরণা”, বেঙ্গালুরুতে বিরোধী জোটের বৈঠককে নিশানা মোদির

    হাইকোর্ট দেখেছে, একজন পুলিশ আধিকারিকই অত্যন্ত স্বল্প সময়ের মধ্যে ৫টি সিজার রিপোর্ট তৈরি করেছেন। ভিডিও ফুটেজে দুষ্কৃতীদের দেখা গিয়েছিল, তারপরেও তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি, সঠিক তদন্ত হয়নি। রামনবমীর মিছিলে নির্বিচারে পাথর, বোমা ছোড়া হয়েছে, তারপরেও বিস্ফোরক আইনে মামলা নথিভুক্ত করা হয়নি। প্রসঙ্গত, রামনবমীর শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে উঠেছিল হাওড়া ও হুগলি। কোথাও শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে বোমা ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। কোথাও আবার ট্রেন বন্ধ করে কার্যত তাণ্ডব চালায় দুর্বৃত্তরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Enforcement Directorate: আর্থিক বেনিয়মের অভিযোগে মধ্যরাতে ইডি-র হাতে গ্রেফতার ব্যবসায়ী কৌস্তুভ রায়

    Enforcement Directorate: আর্থিক বেনিয়মের অভিযোগে মধ্যরাতে ইডি-র হাতে গ্রেফতার ব্যবসায়ী কৌস্তুভ রায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আর্থিক বেনিয়মের অভিযোগে কলকাতার ব্যবসায়ী কৌস্তুভ রায়কে গ্রেফতার (Kolkata Businessman Arrested) করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি (Enforcement Directorate)। সোমবার মধ্যরাতে তাঁকে গ্রেফতার করা হয় বলে খবর সূত্রের। 

    আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ

    কৌস্তুভের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরেই আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ জমা পড়েছিল। এই প্রেক্ষিতে অতীতে তাঁর অফিসে ও বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই। দফতরে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদও করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। কয়েক মাস আগে কৌস্তুভের বাড়ি ও দফতরে হানা দিয়েছিল আয়কর দফতর। সেসময়ই বেশ কিছু নথি বাজেয়াপ্ত করা হয় বলে খবর মিলেছিল। তবে এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিবিহীন সম্পত্তি তৈরি করার অভিযোগ। বিদেশ সফর নিয়েও কৌস্তুভ বেশ কিছু তথ্য গোপন করেছেন বলে অভিযোগ।

    দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার

    সোমবার সকালে কৌস্তুভকে সিজিও কমপ্লেক্সে তলব করেছিল ইডি (Enforcement Directorate)। কিন্তু তিনি পাল্টা চিঠি দিয়ে ইডিকে জানান, এদিন সকালে হাজিরা দেওয়া তাঁর পক্ষে সম্ভব নয়। বিকেলে তাঁর দেখা করার সময় হবে। তখন ওই চিঠির প্রেক্ষিতে ইডি তাঁকে বিকেল ৪টেয় হাজিরা দিতে বলেছিল। সেই মতো, গতকাল বিকেল ৪টে নাগাদ সিজি-তে হাজিরা দেন কৌস্তুভ। সেখানে তাঁকে দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তাঁর জবাবে সন্তুষ্ট না হওয়ায় অবশেষে রাত দেড়টা নাগাদ কৌস্তুভকে গ্রেফতার (Kolkata Businessman Arrested) করে ইডি। সূত্রের খবর, সোমবার বেশ কিছু নথি নিয়ে হাজিরা দিতে বলেছিল ইডি (Enforcement Directorate)। সূত্রের খবর, যা তিনি দেখাতে পারেননি। আর যেসব নথি তিনি পেশ করেছিলেন সেগুলিতে অসঙ্গতি মিলেছে। এর পরই কৌস্তুভকে গ্রেফতার করা হয় বলে খবর। বাজেয়াপ্ত করা হয় তাঁর ফোনও।

    ‘শাসক-ঘনিষ্ঠ’ ছিলেন কৌস্তভ, দাবি বিরোধীদের  

    প্রসঙ্গত, কৌস্তুভ একটি টিভি চ্যানেলের কর্তা। বিরোধীদের দাবি, তৃণমূলের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত কৌস্তুভ। রাজ্যের শাসক শিবিরের একাধিক কর্মসূচিতে দেখা গিয়েছে কৌস্তুভকে। বিরোধীদের দাবি, প্রত্যক্ষভাবে না থাকলেও, পরোক্ষভাবে শাসক শিবিরের সঙ্গে জড়িত ছিলেন কৌস্তভ। বিরোধীদের আরও দাবি, পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় যখন কেন্দ্রীয় সংস্থা প্রথম তলব করেছিল, তখন তাঁর সঙ্গে দেখা গিয়েছিল কৌস্তুভ রায়কে। শুধু তাই নয়, আগামী ২১ জুলাই তৃণমূলের কর্মসূচির সম্প্রচার করার দায়িত্বে কৌস্তভের চ্যানেল। বিরোধীদের দাবি, এর থেকেই প্রমাণিত, তিনি শাসক-শিবিরের কতটা ঘনিষ্ঠ ছিলেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election 2023: পঞ্চায়েতে নারী নির্যাতন! সত্য সন্ধানে ৫ মহিলা সাংসদকে রাজ্যে পাঠাচ্ছে বিজেপি

    Panchayat Election 2023: পঞ্চায়েতে নারী নির্যাতন! সত্য সন্ধানে ৫ মহিলা সাংসদকে রাজ্যে পাঠাচ্ছে বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের পঞ্চায়েত (Panchayat Election 2023) ভোট পর্বে মহিলাদের উপরেও অত্যাচার (Violence on Women) হয়েছে। এ ব্যাপারে পাওয়া বেশ কিছু অভিযোগ খতিয়ে দেখতে বাংলায় আরও একটি ‘তথ্যানুসন্ধান দল’ পাঠাতে চলেছে বিজেপি। পাঁচ মহিলা সাংসদের ওই দল রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে শুধু মহিলাদের সঙ্গেই কথা বলবেন। পঞ্চায়েত পর্বে হওয়া নানারকম হিংসার ঘটনা এবং তার জেরে হওয়া সমস্যার কথা জানতে চাইবেন তাঁরা। তার পর তাঁরা রিপোর্ট দেবেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডাকে। 

    হিংসার চিত্র পরিদর্শন করার নির্দেশ

    বিজেপি কেন্দ্রীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা এই পাঁচ মহিলা সাংসদকে বাংলায় মহিলাদের (Violence on Women) উপর হওয়া হিংসার চিত্র পরিদর্শন করার নির্দেশ দিয়েছেন। রাজ্য পরিদর্শন করে যাওয়ার পর জেপি নাড্ডাকে রিপোর্ট জমা দেবেন তাঁরা। রাজ্যে আসছেন সাংসদ সরোজ পাণ্ডে, রমা দেবী, ওড়িশার সাংসদ অপরাজিতা সারঙি, কবিতা পাতিদার, সাংসদ সন্ধ্যারাজ।এর আগে দিল্লিতে রাজ্যের রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে তাঁদের মধ্যে আলোচনা হয় বলেই খবর। এরপর পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফল প্রকাশের দিনেই চার সদস্যের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম পাঠায় বিজেপি। 

    আরও পড়ুন: বিশ্বের প্রথম হোমিওপ্যাথিক মিউজিয়াম হবে কলকাতায়, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সামনে ঘোষণা

    কী করবে ওই দল

    রাজ্যে যে মহিলা দল আসছে, তার মাথায় রয়েছেন সরোজ পাণ্ডে। রাজ্যসভার সাংসদ সরোজ এর আগে বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election 2023)  হিংসার ঘটনায় বাদ যায়নি মহিলারাও বলে দাবি বিজেপির। অনেক জায়গায় মহিলা প্রার্থীদের অশান্তির ঘটনার শিকার হতে হয়েছে। পঞ্চায়েত নির্বাচন মহিলা প্রার্থীদের জন্য আসন সংরক্ষিত থাকায় অনেক জায়গাতেই মহিলা প্রার্থীদের সরাসরি শাসক দলের হুমকির মুখে পড়তে হয়েছে বলে দাবি বিজেপির। সেই কারণে পরিস্থিতি চাক্ষুষ করতেই মহিলা সাংসদদের রাজ্যে পাঠানো হচ্ছে বলে মত রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের। সোমবার বিজেপির তরফে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এ কথা বলা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে ওই দলটির আসার দিন ক্ষণ না জানালেও মনে করা হচ্ছে, মঙ্গলবার না হলে বুধবার ওই দল রাজ্যে আসবে। উত্তরবঙ্গ এবং দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখবে ওই দল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: রাজনৈতিক মামলার পাহাড়, উষ্মা প্রকাশ কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতির

    Calcutta High Court: রাজনৈতিক মামলার পাহাড়, উষ্মা প্রকাশ কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজনৈতিক মামলার পাহাড় জমেছে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। পরপর রাজনৈতিক মামলায় উষ্মা প্রকাশ করলেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। তিনি বলেন, সারা দিন কি শুধু রাজনৈতিক মামলাই শুনব? অন্য মামলা কি আর শোনা যাবে না! এত এত রাজনৈতিক মামলা শোনার সময় দেওয়া যাবে না। এদিন কাঁথি পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ভাই সৌমেন্দু অধিকারীর রক্ষাকবচ মামলার শুনানিতে ওই কথাগুলি বলেন বিচারপতি সেনগুপ্ত।

    সৌমেন্দুর রক্ষাকবচ

    প্রসঙ্গত, সৌমেন্দুকে রক্ষাকবচ দিয়েছিলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। তাঁর রক্ষাকবচ ছিল ১৭ জুলাই পর্যন্ত। বেঞ্চ বদল হওয়ায় বিচারপতি মান্থার এজলাসের সমস্ত মামলা এসেছে বিচারপতি সেনগুপ্তের এজলাসে। সেই কারণেই সৌমেন্দুর মামলা ওঠে বিচারপতি সেনগুপ্তের (Calcutta High Court) এজলাসে। এরই কিছুক্ষণ আগে ভাঙড়ে ঢুকতে বাধা দেওয়া নিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিধায়ক আইএসএফের নওশাদ সিদ্দিকি। সেই মামলারও শুনানি হয়েছে বিচারপতি সেনগুপ্তর এজলাসে। তারপর সৌমেন্দুর মামলা উঠলে উষ্মা প্রকাশ করেন বিচারপতি। জানা গিয়েছে, সৌমেন্দুর বিরুদ্ধে ৮টি এফআইআর রয়েছে।

    ‘এত মামলা শোনার সময় দেওয়া যাবে না’

    বিচারপতি সেনগুপ্ত বলেন, এই সব মামলা আমি রিলিজ করে দেব। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ২৭ থেকে ২৮টা মামলা রয়েছে। তার ওপর এই রকম আরও ১০টা মামলা এখনই রয়েছে। এত এত রাজনৈতিক মামলা শোনার সময় দেওয়া যাবে না।  

    আরও পড়ুুন: খুনের প্রতিবাদে ফাঁড়িতে বিজেপি-পুলিশ খণ্ডযুদ্ধ, আইসি-কে ঝাঁটা দেখালেন মহিলারা

    এর পরেই আদালত (Calcutta High Court) জানায়, দু সপ্তাহ পরে এই মামলার শুনানি হবে। ততদিন পর্যন্ত সৌমেন্দুর রক্ষাকবচ বহাল থাকবে। একই সঙ্গে রাজ্য সরকারকে হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে, কেন রক্ষাকবচের বিরোধিতা করছে তারা। রাজ্যের উদ্দেশে বিচারপতি সেনগুপ্তর প্রশ্ন, আগে কেন বিরোধিতা করা হয়নি রক্ষাকবচের? উল্লেখ্য, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে কংগ্রেস, বিজেপি, আইএসএফ, সিপিএম সহ বিভিন্ন দলের প্রার্থী ও তাঁদের পরিবার রক্ষাকবচ পায় হাইকোর্ট থেকে। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার রক্ষাকবচের নির্দেশে বলা হয়, আদালতের অনুমতি ছাড়া গ্রেফতার নয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: জরুরি তলব! প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সভাপতির বেতন বন্ধের হুঁশিয়ারি আদালতের

    Calcutta High Court: জরুরি তলব! প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সভাপতির বেতন বন্ধের হুঁশিয়ারি আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি (West Bengal Board Of Primary Education) গৌতম পালের বেতন বন্ধের হুঁশিয়ারি দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay)। নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় আদালতের নির্দেশ পালন করা হয়নি তাই হুঁশিয়ারি হাইকোর্টের (Calcutta High Court)। সোমবার বিচারপতির তলব পেয়ে তড়িঘড়ি কলকাতা হাইকোর্টে এসে হাজির হয়েছিলেন পর্ষদ সভাপতি। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় তাঁকে বলেন, ‘‘আমি আপনার বেতন বন্ধ করে দিচ্ছি। সঙ্গে ৫০ হাজার টাকা জরিমানাও দেবেন।’’ শুনে গৌতম দৃশ্যতই ভেঙে পড়ে বলেন, ‘‘দয়া করে এটা করবেন না। বাড়িতে ৮০ বছরের মা, আয়ের অন্য উৎস নেই।’’

    কেন এই তলব

    টেট পরীক্ষা সংক্রান্ত একটি মামলায় বিচারপতি গকীঙ্গোপাধ্যায়ের দেওয়া নির্দেশ পর্ষদ পালন করেনি বলে অভিযোগ এসেছিল বিচারপতির কাছে। সোমবার সেই সংক্রান্ত মামলার শুনানি চলাকালীনই পর্ষদ সভাপতিকে তলব করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। দুপুর ৩টের মধ্যে এসে দেখা করতে বলেন তাঁর এজলাসে। তলব পেয়ে দ্রুত আদালতে হাজির হন পর্ষদ সভাপতি গৌতমও। দিন কয়েক আগেই ৩২ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিলের সিদ্ধান্ত ঘিরে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশকে আদালতে (Calcutta High Court) চ্যালেঞ্জ করেছিলেন গৌতম। ওই মামলা প্রথমে ডিভিশন বেঞ্চে যায়। পরে ডিভিশন বেঞ্চ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ বহাল রাখলে আবার এই মামলা সুপ্রিম কোর্টে যায়। সুপ্রিম কোর্ট বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ নিয়ে কিছু না বললেও ডিভিশন বেঞ্চের রায় খারিজ করে দেয়।

    আরও পড়ুন: ভোট পরবর্তী হিংসা, বিজেপির জয়ী প্রার্থীরা আশ্রয় নিলেন অসমে

    নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে আদালতের দ্বারস্থ হন আমনা পারভীন। তাঁর অভিযোগ, তিনি ২০১৪ সালে টেটে অংশ গ্রহণ করেন। প্রথমে তিনি জানতে পারেন যে তিনি অকৃতকার্য হয়েছেন। কিন্তু পরে দেখা যায় যে তিনি পাস করেছেন। ফলে তিনি ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ গ্রহণ করতে পারেনি। চলতি বছরের ৭ ই জুন তার ইন্টারভিউ ও অ্যাপটিটিউড টেস্ট নেওয়ার জন্য নির্দেশ দেন বিচারপতি। তিন সপ্তাহের মধ্যে রায় কার্যকরের নির্দেশও দিয়েছিলেন বিচারপতি। ১৪ ই জুলাই শুনানির সময় মামলা পিছিয়ে দেওয়ার আর্জি জানান পর্ষদের আইনজীবী। এদিন আদালতে এসে এক সপ্তাহের মধ্যে রায় কার্যকরের আশ্বাস দেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Dilip Ghosh : ‘পাটনায় পিকনিকের পর, বেঙ্গালুরুতে ব্যাঙ্কয়েট হবে’, কটাক্ষ দিলীপের

    Dilip Ghosh : ‘পাটনায় পিকনিকের পর, বেঙ্গালুরুতে ব্যাঙ্কয়েট হবে’, কটাক্ষ দিলীপের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার বেঙ্গালুরুতে ফের বসছে বিরোধী জোটের বৈঠক (Opposition Party Meet)। থাকবে তৃণমূল কংগ্রেস। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিরোধী জোটের বৈঠকে যোগ দিতে যাচ্ছেন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এই বৈঠক নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। শ্লেষাত্মক বাক্যে তিনি বলেন, ‘ক’দিন আগে বিরোধী জোটের বৈঠক ঘিরে পাটনায় পিকনিক হয়েছে। বেঙ্গালুরুতে হবে ব্যাঙ্কয়েট।’ একই সঙ্গে দিলীপ ঘোষ আরও বলেন, ‘ইউপিএ চাইছে পরিধি আরও বড় হোক। এনডিএ’ও তাই চাইছে। কিন্তু ইউপিএ’র বৈঠকে কারা যোগ দিচেছ? কী শক্তি আছে তাদের? পাটনায় পিকনিক হয়েছিল। এবার বেঙ্গালুরুতে ব্যাঙ্কয়েট হবে। সব দেখে মনে হচ্ছ, কংগ্রেস হয়তো এই এবারের বৈঠকে বিজয়োৎসব পালন করতে চাইছে। এটাই ওদের কাছে সান্ত্বনা।’

    লোকসভা নিয়ে আশাবাদী

    আর পাঁচটা দিনের মতোই সোমবারও নিউটাউনে ইকোপার্কে মর্নিংওয়াকে গিয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। সেখানেই তিনি আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে রাজ্য বিজেপির সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন। বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতির কথায়, ‘আগের চেয়ে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির সংগঠন অনেক মজবুত হয়েছে। তার বড় প্রমাণ এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে আমরা ৪৭ হাজার প্রার্থী দিতে পেরেছি। আগেরবার মাত্র ২১ হাজার দিতে পেরেছিলাম। এতে স্পষ্ট, রাজ্যে সংগঠন মজবুত হচেছ। বিজেপির উপর মানুষের আস্থা বাড়ছে। তাই আগামী বছর লোকসভা নির্বাচনে আমরা খুব ভালো লড়াই দিতে পারব শাসক দলকে। আমার বিশ্বাস, গতবারের তুলনায় আরও এক ডজন সিট ছিনিয়ে নিতে পারব।’

    আরও পড়ুন: ভোট পরবর্তী হিংসা, বিজেপির জয়ী প্রার্থীরা আশ্রয় নিলেন অসমে

    লোকসভা নির্বাচনের আগে সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধিতে রাজ্য বিজেপি বিশেষ জোর দিচ্ছ। যাদবপুরকে আলাদা সাংগঠনিক জেলার স্বীকৃতি দিতে চলেছে গেরুয়া শিবির। এই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ জানান, ‘আগেই ঠিক হয়েছিল লোকসভা আসন ভিত্তিক সাংগঠনিক জেলা হবে। এতে সবচেয়ে বড় সুবিধা ভোটে লড়াই করার ক্ষেত্রে। তাই যাদবপুরের পাশাপাশি মুর্শিদাবাদাকেও আলাদা সাংগঠনিক জেলার স্বীকৃতি দেওয়া হচেছ।’

    পুননির্বাচনে বিরোধীদের জয়

    সদ্য সমাপ্ত পঞ্চায়েত নির্বাচনে নজিরবিহীন সন্ত্রাস নিয়েও তৃণমূল সরকারকে তুলোধনা করেছেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, ‘আমরা যত প্রার্থী দিয়েছিলাম সেই মতো ফল হয়নি। তার বড় কারণ ভোট লুঠ। তা শুধু ভোটের দিন হয়নি, গণনাতেও হয়েছে। ইতিমধ্যেই ছ’হাজার বুথে ভোটে কারচুপির অভিযোগে মামলা করা হয়েছে হাইকোর্টে। আশা করছি, সুবিচার পাবে বিরোধীরা। কারণ, ১০ জুলাই যে ৬৯৬টি বুথে পুননির্বাচন হয়েছে, সেখানে বিরোধীরা জিতেছে ৬৫০ আসন। যা থেকে স্পষ্ট, নিয়ম মেনে ভোট পরিচালনা হলে তৃণমূল অর্ধেক আসনও জিততে পারত না।’ 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nawsad Siddique: ভাঙড়ে গেলেই আটকাচ্ছে পুলিশ! হাইকোর্টের দ্বারস্থ নওশাদ সিদ্দিকি

    Nawsad Siddique: ভাঙড়ে গেলেই আটকাচ্ছে পুলিশ! হাইকোর্টের দ্বারস্থ নওশাদ সিদ্দিকি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিজের নির্বাচনী কেন্দ্র ভাঙড়ে যেতে দেওয়া হচ্ছে না আইএসএফ (ISF MLA) বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকিকে। বিধায়কের দাবি, ১৪৪ ধারা না থাকা সত্ত্বেও তাঁকে ভাঙড়ে প্রবেশে বাধা দেওয়া হচ্ছে। এই অভিযোগ জানিয়ে সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের ( Calcutta High Court) দ্বারস্থ হলেন নওশাদ (Nawsad Siddique)। কেন পুলিশ যেতে বাধা দিচ্ছেন তাঁর মক্কেলকে এই প্রশ্নের উত্তর চেয়েছেন নওশাদের আইনজীবী। পুলিশের বিরুদ্ধে অতি সক্রিয়তার অভিযোগও তুলেছেন তাঁরা। মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। চলতি সপ্তাহেই শুনানির সম্ভাবনা।

    নওশাদকে বাধা পুলিশের

    ঘটনার সূত্রপাত হয়েছিল শুক্রবার। নিজেরই বিধানসভা কেন্দ্রে বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকিকে (Nawsad Siddique) বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। গত শুক্রবার ভাঙড়ে (BHangar) যাওয়ার পথে নিউটাউনে আটকে দেওয়া হয় নওশাদকে। দীর্ঘ ক্ষণ গাড়িতেই বসেছিলেন তিনি। রবিবারও নওশাদকে পড়তে হয় পুলিশি বাধার মুখে। আটকানো হয় তাঁর গাড়ি। যুক্তি দেওয়া হয়, ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। ডিএসপি ক্রাইমকে (বারুইপুর)ভাঙড়ের বিধায়ক প্রশ্ন করেন, ‘‘কেন বার বার পুলিশ বাধা দিচ্ছে? ১৪৪ ধারা জারি থাকার কথা বলা হচ্ছে শুধু। আমি কি ১৪৪ ধারা বলবত রয়েছে এমন এলাকায় দাঁড়িয়ে আছি?এত গাড়ি কী করে যাচ্ছে তাহলে?’’ এরপরই আদালতে যাওয়ার কথা জানান নওশাদ।

    আরও পড়ুন: ভোট পরবর্তী হিংসা, বিজেপির জয়ী প্রার্থীরা আশ্রয় নিলেন অসমে

    রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত

    পঞ্চায়েত ভোট ঘিরে বার বার সংঘর্ষ, বোমাবাজিতে উত্তেজনা ছড়িয়েছে ভাঙড়ে। গত মঙ্গলবার গণনার দিনও প্রাণহানি হয়েছে সেখানে। কাঁঠালিয়ায় গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হয়েছিল তিন জনের। তাঁদের মধ্যে দু’জন ছিলেন আইএসএফ কর্মী। এক জন গ্রামবাসী বলে দাবি। আইএসএফ নেতা নওশাদ সিদ্দিকি সেই ঘটনায় ইতিমধ্যেই সিবিআই তদন্ত চেয়েছেন। নওশাদ (Nawsad Siddique) বারবার অভিযোগ করেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে আটকানো হচ্ছে তাঁকে। তিনি যুক্তি দিয়ে বলেন, “নবান্ন, হাইকোর্ট চত্বর, লালবাজার, সবজায়গাতেই ১৪৪ ধারা থাকে। সাধারণ মানুষ যেতে পারে। অথচ আমাকে আমার এলাকাতেই ঢুকতে দিচ্ছে না।” এ দিকে, আইএসএফ-এর অভিযোগ, পুলিশ নওশাদকে বাধা দিলেও ভাঙড়ে ১৪৪ ধারার মধ্যেই সভা করছে তৃণমূল। প্রায় শতাধিক কর্মী-সমর্থকদের সমাবেশ করেন ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share