Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • C V Ananda Bose: ২৪ ঘণ্টাতেই ১০টা ফোন! রাজভবনে খোলা হল অ্যান্টি কোরাপশন সেল

    C V Ananda Bose: ২৪ ঘণ্টাতেই ১০টা ফোন! রাজভবনে খোলা হল অ্যান্টি কোরাপশন সেল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে কোনভাবেই বরদাস্ত নয় দুর্নীতি, এই বার্তা দিতেই এবার রাজভবনে খোলা হল ‘অ্যান্টি কোরাপশন সেল’। পঞ্চায়েত নির্বাচন থেকে শিক্ষাক্ষেত্রে দুর্নীতি সবটা নিয়েই বারবার মুখ খুলেছেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস (C V Ananda Bose)। তিনি যে কোনওভাবেই রাজ্যে দুর্নীতি বরদাস্ত করবেন না, সেই বার্তা দিতেই রাজভবনের পিস রুমে চালু করলেন হেল্প লাইন নম্বর। ১ অগাস্ট থেকে শুরু হয়েছে এই অ্যান্টি কোরাপশন সেল’। 

    রাজ্যপালের অভিমত

    ২৪ ঘণ্টায় অন্তত ১০ টি ফোন এসেছে বলে রাজভবন সুত্রে জানা গেছে। এই অ্যান্টি কোরাপশন সেল নিয়ে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (C V Ananda Bose) বলেন, ”দুর্নীতি রুখতে মুখ্যমন্ত্রী যা বলেছিলেন, আমরা তাই করছি। কোচবিহারে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, কাউকে টাকা দেবেন না, আমরা চুরি বরদাস্ত করব না। আমরাও সেটাই করছি, কেউ দুর্নীতি করলে, অ্যান্টি কোরাপশন সেলে রিপোর্ট করুন। আমরা যথাযথ জায়গায় পৌঁছে দেব। ” বেশ কয়েকজন আধিকারিক ওই সেলের দায়িত্বে রয়েছেন। রাজ্যের যে কোনও মানুষ, যে কোনও দুর্নীতির অভিযোগ জানাতে পারেন ওই সেলে। অভিযোগ পেলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হবে বলে জানিয়েছেন আধিকারিকরা। পুরো সমাজ, বিশেষত শিক্ষা ব্যবস্থাকে দুর্নীতিমুক্ত করতে এই পদক্ষেপ করেছেন রাজ্যপাল। রাজ্যপাল বলেন, ‘কোনও প্রকারের দুর্নীতি বরদাস্ত করা হবে না।’ তিনি জানিয়েছেন, কেউ টাকা নিচ্ছে দেখা গেলেই, তা ছবি তুলে জানানো যেতে পারে রাজভবনের ওই সেলে।

    আরও পড়ুন: এবার থেকে জন্ম শংসাপত্রেই মিলবে সব নাগরিক পরিষেবা! বিল পাশ সংসদে

    মুখ্যমন্ত্রীর কটাক্ষ

    পঞ্চায়েত ভোটের সময় রাজভবনে ‘পিস রুম’ খুলে চমকে দিয়েছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (C V Ananda Bose)। এবার রাজভবনে রাজ্যপালের নেতৃত্বে খোলা হল ‘‌অ্যান্টি কোরাপশন সেল’‌। মমতা সরকারের বিরুদ্ধে এখানে অভিযোগ জমা পড়বে। রাজ্যপাল সমান্তরাল প্রশান চালাতে চাইছেন বলে ইতিমধ্যেই সরব শাসক দল তৃণমূল। বুধবার বিকেলে নবান্নে এই ‘‌অ্যান্টি কোরাপশন সেল’‌ নিয়ে মন্তব্য করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। জগদীপ ধনখড়ের আমলের সঙ্গে বর্তমান অবস্থার তুলনা করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘রাজ্যপাল নাকি স্পেশাল সেল করেছেন! এটা রাজ্যপালের কাজ নয়। ধনখড় যখন ছিলেন তখন‌ও অনেক বিষয়ে আমরা একমত হতাম না, কিন্তু তিনি এটা করেননি। ইনি তো দেখছি বিজেপি যা বলে দিচ্ছে তাই করছেন।’

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Child Selling in Kolkata: শহরে শিশু বিক্রির ঘটনায় ধৃত ডায়গনস্টিক সেন্টারের কর্মী ও এক ‘মিডলম্যান’

    Child Selling in Kolkata: শহরে শিশু বিক্রির ঘটনায় ধৃত ডায়গনস্টিক সেন্টারের কর্মী ও এক ‘মিডলম্যান’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শহরে শিশু বিক্রির (Child Selling in Kolkata) ঘটনা সামনে আসতেই তৎপর কলকাতা পুলিশ। খাস কলকাতার বুকে চার লক্ষ টাকায় নিজের কন্যাসন্তান বিক্রির অভিযোগ উঠেছে মায়ের বিরুদ্ধে। ঘটনায় তদন্তে নেমে ইতিমধ্যেই ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এবার এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে গ্রেফতার করা হল কলকাতার বেনিয়াপুকুর এলাকার এক ডায়গনস্টিক সেন্টারের এক কর্মীকে। তাঁর বাড়ি মুর্শিদাবাদে। এ ছাড়াও নোনাডাঙা এলাকা থেকে মমতা পাত্র নামে এক ‘মিডলম্যান’-কেও গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃত মহিলাকে এই শিশু কেনাবেচায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, বিক্রি হওয়া কন্যাসন্তানটির মা রূপালী মণ্ডল এবং পাটুলি থেকে গ্রেফতার হওয়া রূপা দাসের মধ্যে যোগসূত্র ছিলেন এই মমতা।

    নজরে বেহালার আইভিএফ সেন্টার

    শহরের বুকে জাঁকিয়ে শিশু কেনাবেচার (Child Selling in Kolkata) ব্যবসা চালাচ্ছে একটি চক্র। শিশুপাচার কাণ্ডে পুলিশের নজরে বেহালার বকুলতলার এক আইভিএফ সেন্টারও। পাচার চক্রের ধৃত দুই মহিলাকে নিয়ে সেই আইভিএফ সেন্টারে হানা দেয় আনন্দপুর থানার পুলিশ। সেখানকার কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় বলে সূত্রের খবর। ২১ দিনের কন্যাসন্তানকে কেনার অভিযোগে ধৃত গৃহবধূ কল্যাণী গুহকে বুধবার বেহালার ওই আইভিএফ সেন্টারে নিয়ে গিয়ে তল্লাশি চালানো হয়। কল্যাণীর সঙ্গে নিয়ে যাওয়া হয় লালতি দে নামে আরও এক অভিযুক্তকে। বেহালার আইভিএফ সেন্টারে তল্লাশি চালানোর সময় বেনিয়াপুকুরের ওই ডায়গনস্টিক সেন্টারের খোঁজ পান তদন্তকারী আধিকারিকরা। এর পর বেনিয়াপুকুর গিয়ে ওই ডায়গনস্টিক সেন্টারে তল্লাশি চালিয়ে এক কর্মীকে আটক করা হয়। তদন্তকারীদের অনুমান, ডায়গনস্টিক সেন্টারের আড়ালে শিশু কেনাবেচায় ‘মিডলম্যানের’ ভূমিকা পালন করতেন তিনি। ইতিমধ্যেই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। জিজ্ঞাসাবাদের পরেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃত ওই ব্যক্তির নাম গোলাম অম্বিয়া।

    আরও পড়ুন: এবার থেকে জন্ম শংসাপত্রেই মিলবে সব নাগরিক পরিষেবা! বিল পাশ সংসদে

    আইভিএফ সেন্টারগুলির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন

    পুলিশের অনুমান, শহরের (Child Selling in Kolkata) বুকে গডিয়ে ওঠা আইভিএফ সেন্টারগুলি শিশু কেনাবেচার বড় ভূমিকা পালন করে থাকে। এই আইভিএস সেন্টার গুলির বৈধ কাজ পত্র রয়েছে কি না তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তদন্তকারীরা আরও জানতে পারে, জানা গিয়েছে, জেলা থেকে শিশুদের পাচার করে এনে রাখা হত কলকাতার একটি জায়গায়। সেখানে ভাড়া বাড়িতে চলত শিশু বিক্রির চক্র। নিঃসন্তান দম্পতিদের সন্তান পাইয়ে দেওয়ার জন্য টোপ দেওয়া হত। মোটা টাকার বিনিময় সন্তান পাইয়ে দেওয়া হত। পুলিশ সূত্রে খবর, কল্যাণী গুহ নামে ওই মহিলা দীর্ঘদিন নিঃসন্তান থাকার কারণে একটি শিশুর খোঁজ করছিলেন। কলকাতায় পণ্যশ্রী থানার সাতগ্রাম এলাকায় ওই মহিলার একটি বাসস্থান আছে। দালাল মারফত তিনি রুপোলি মণ্ডলের খোঁজ পান। এরপরেই হয় টাকার রফা।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: ‘বিজেপির জয়ী প্রার্থীদের ১০ লক্ষ টাকা টোপ দিয়ে কিনতে চাইছে তৃণমূল’, বিস্ফোরক অগ্নিমিত্রা

    BJP: ‘বিজেপির জয়ী প্রার্থীদের ১০ লক্ষ টাকা টোপ দিয়ে কিনতে চাইছে তৃণমূল’, বিস্ফোরক অগ্নিমিত্রা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কিছুদিন আগেই দক্ষিণ ২৪ পরগনার মথুরাপুর-১ নম্বর ব্লকের কৃষ্ণচন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরোধী চার অপহরণ হওয়া প্রার্থীকে পুলিশি নিরাপত্তায় বাড়িতে ফেরানো হয়। এরপরই তাদের সঙ্গে বুধবার দেখা করতে যান বিজেপি (BJP) নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল। এদিন তিনি  বিজেপির জয়ী ৬ প্রার্থীর সঙ্গে দেখা করেন। তাঁদেরকে তিনি সবরকমভাবে আশ্বস্ত করেন।

    কৃষ্ণচন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে কে এগিয়ে রয়েছে?

    কৃষ্ণচন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সমীকরণ,মোট আসন সংখ্যা ১৫টি। তৃণমূল কংগ্রেস জয়লাভ করেছে ৪টি আসনে। বিজেপি (BJP) জয়লাভ করেছে ৬টি আসনে। সিপিআইএম জয়লাভ করেছে ৩টি আসনে। আর নির্দল দুটি আসনে জয়লাভ করেছে। বোর্ড গঠন করতে হলে মোট আটজন সদস্যের প্রয়োজন, যেখানে তৃণমূল কংগ্রেসের হাতে রয়েছে মাত্র চারজন সদস্য। তৃণমূল কংগ্রেস বোর্ড গঠন করার লক্ষ্যে বিরোধীদের চারজন সদস্যকে অপহরণ করে এমনটাই অভিযোগ বিজেপি সহ বিরোধীদের।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    গত ২৭ জুলাই কলকাতা থেকে রাতের অন্ধকারে চারজন জয়ী প্রার্থীকে অপহরণ করা হয়েছিল। পরে, জোরপূর্বক তাঁদের থেকে লিখিত ও ভিডিও বার্তা করে নেওয়া হয়। এরপর একাধিক গেস্টহাউসে স্থানান্তরিত করে রাখা হয়েছিল তাঁদের। পরে সাদা কাগজে তাঁদের স্বাক্ষর করিয়ে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ। রবিবার সকালে তাঁদেরকে বাড়িয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হয় বলে দাবি করেন অপহৃত বিজেপির তিন প্রার্থী ও সিপিআইএমের এক প্রার্থী।

    কী বললেন বিজেপি (BJP) নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল?

    এদিন জয়ী দলীয় প্রার্থীদের সঙ্গে দেখা করে বিজেপি নেত্রী (BJP) অগ্নিমিত্রা পাল বলেন, তৃণমূল সরকার ১০ লক্ষ টাকা দিয়ে বিজেপি প্রার্থীদের কিনতে চাইছে। তাতে কাজ না হওয়ায় তাদের অপহরণ করা হয়েছিল। এসব করে তৃণমূল বোর্ড গঠন করতে পারবে না। সামনের ১০ তারিখে কৃষ্ণচন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন হবে। বিজেপির নেতৃত্বে বিরোধীরা বোর্ড গঠন করবে। আমি নিজে উপস্থিত থাকব।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূল কংগ্রেসের সুন্দরবন সাংগঠনিক জেলার সভাপতি জয়দেব হালদার বলেন, বিজেপির (BJP) আনা অভিযোগ ঠিক নয়। ওরা আমাদের নামে মিথ্যা অভিযোগ করছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Nusrat Jahan: “প্রতারণার টাকা সাইফন হয়েছে দফায় দফায়, সেই টাকায়ই ফ্ল্যাট নুসরতের”, দাবি বিজেপির

    Nusrat Jahan: “প্রতারণার টাকা সাইফন হয়েছে দফায় দফায়, সেই টাকায়ই ফ্ল্যাট নুসরতের”, দাবি বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফ্ল্যাট দেওয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগ খারিজ করতে আজ, বুধবার ডেকেছিলেন সাংবাদিক বৈঠক। সাংবাদিকরা আগেভাগে হাজির হলেও, তৃণমূলের (TMC) নায়িকা সাংসদ নুসরত জাহান (Nusrat Jahan) এলেন নির্ধারিত সময়ের প্রায় পঁচিশ মিনিট পরে। নুসরতের উদ্দেশে প্রশ্নবাণ ধেয়ে আসতেই খানিক পরে মেজাজ হারান বসিরহাটের সাংসদ। সাংবাদিক বৈঠক মাঝপথে ফেলেই বেরিয়ে গেলেন। তার আগে অবশ্য তৃণমূল নেত্রী বললেন, “ঋণ নিয়েছিলাম, সুদ সহ ফেরত দিয়েছি।”

    নুসরতের বিরুদ্ধে অভিযোগ

    প্রসঙ্গত, ফ্ল্যাট দেওয়ার নামে কোটি কোটি টাকা নিয়েও ফ্ল্যাট না দিয়ে, ওই টাকায় নিজের নামে বিলাসবহুল ফ্ল্যাট কেনার অভিযোগ উঠেছে নুসরতের বিরুদ্ধে। তার জেরে অভিযোগকারীদের নিয়ে ইডির দ্বারস্থ হয়েছেন বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পণ্ডা। এরই জবাব দিতে এদিন সাংবাদিক বৈঠক নুসরতের। তৃণমূল নেত্রী (Nusrat Jahan) অভিযোগ অস্বীকার করলে কী হবে, চেক নম্বর দিয়ে শঙ্কুদেবের দাবি, “প্রতারণার টাকা সাইফন হয়েছে, দফায় দফায়। সেই টাকায়ই ফ্ল্যাট কিনেছেন নুসরত। ফ্ল্যাটের দলিলে কবে, কত টাকা নিয়েছেন, তাও জানিয়েছেন নুসরত।” নুসরতের গ্রেফতারির দাবিও জানিয়েছে পদ্ম শিবির।

    প্রতারণার নয়া ছক

    বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ, “এটাই প্রতারণার নয়া ছক। টাকা তুলব, সংস্থা থেকে ইস্তফা দেব, এভাবেই প্রতারণা।” বিজেপির প্রশ্ন, “অভিযোগ মিথ্যে হলে কেন আদালতে যাচ্ছেন না বসিরহাটের সাংসদ?” বিজেপির অভিযোগ, “ নুসরতের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ দায়ের হয়েছে, অথচ তাঁকে আড়াল করছে পুলিশ। এখন বলছেন ঋণ নিয়েছেন! নিজের সংস্থা থেকে নিজেই ঋণ নিয়েছেন! মামলা না করার জন্য অভিযোগকারীদের ওপর চাপ দেওয়া হচ্ছে কেন? কেন নথি দেখাতে পারলেন না?  কে ঋণ মঞ্জুর করল?  কোথায় সিদ্ধান্ত হয়েছে?”  

    আরও পড়ুুন: জাল নথি দিয়ে সেনায় চাকরি! পাক নাগরিক নিয়োগ মামলায় তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

    নুসরত (Nusrat Jahan) প্রভাবশালী বলেই অভিযোগকারীরা টাকা ফেরত পাচ্ছেন না  বলে অভিযোগ। শঙ্কুদেবের অভিযোগ, “দফায় দফায় ৫ লক্ষ, ১১ লক্ষ, ২৫ লক্ষ, ২৫ লক্ষ, ২৫ লক্ষ, ২৫ লক্ষ, ২০ লক্ষ, ৩৭ লক্ষ টাকা নিয়েছেন নুসরত। ১ কোটি ৯৮ লক্ষ টাকার ট্রানজাকশন হয়েছে। অথচ বলছেন ১ কোটি ১৬ লক্ষ টাকা ঋণ নিয়েছেন! কীভাবে?” বিজেপির দাবি, বকলমে সংস্থা নিয়ন্ত্রণ করেছেন বসিরহাটের তৃণমূল সাংসদ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election 2023: বুথের ভিডিও ফুটেজ নষ্ট হল কীভাবে? বিডিওকে প্রশ্ন হাইকোর্টের 

    Panchayat Election 2023: বুথের ভিডিও ফুটেজ নষ্ট হল কীভাবে? বিডিওকে প্রশ্ন হাইকোর্টের 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বহরমপুরের বেলডাঙা-২ ব্লকের কাশীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের (Panchayat Election 2023) একটি বুথে পুনর্নির্বাচন না হওয়ার মামলায় হাইকোর্টে ধমক খেলেন সংশ্লিষ্ট বিডিও। অন্যদিকে সিঙ্গল বেঞ্চের পর কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) ডিভিশন বেঞ্চেও ধাক্কা উলুবেড়িয়ার বিডিও নীলাদ্রিশেখর দে-র। বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশে হস্তক্ষেপ করল না ডিভিশন বেঞ্চ। আপনি কি অন্যদের সঙ্গে সুবিচার করেছেন ? বিডিওকে প্রশ্ন করে আদালত। 

    বহরমপুরের বিডিও-কে  ধমক

    মঙ্গলবার বহরমপুরের বেলডাঙা-২ ব্লকের একটি বুথে পরাজিত (Panchayat Election 2023) সিপিএম প্রার্থী নাসিমা বেগম হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। মামলাকারীর অভিযোগ, তাঁর এজেন্টদের ভোটের দিন ও গণনার দিন মারধর করে বের কর দেওয়া হয়েছিল। তারপরও বুথে পুনর্নির্বাচন হয়নি। মামলাটি ওঠে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অমৃতা সিনহার একক বেঞ্চে। এদিন শুনানির সময়, বেলডাঙা-২ ব্লকের বিডিও জানান, তাঁর দায়িত্বে যে বুথগুলি ছিল, তার মধ্যে দু’টি বুথে পুনর্নির্বাচন করানো হয়েছিল। কিন্তু নাসিমা বেগমের ওই বুথটি সেই তালিকায় ছিল না। কারণ হিসেবে বিডিও জানান, ওই বুথের সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষণ করা যায়নি। সিসিটিভি ফুটেজ নষ্ট হয়ে গিয়েছে বলে দাবি বিডিও-র। এখানেই বিচারপতির প্রশ্ন, কীভাবে ভিডিও ফুটেজ নষ্ট হয়ে যেতে পারে! তাহলে সিসিটিভি রাখার উদ্দেশ্য কী? মামলায় সংশ্লিষ্ট ব্লকের বিডিওকে আদালতে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। একইসঙ্গে প্রিসাইডিং অফিসারকে মামলায় যুক্ত করারও নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।

    আরও পড়ুন: পঞ্চায়েতের টাকা ‘আত্মসাৎ’ করেছেন বিডিও! খতিয়ে দেখার নির্দেশ হাইকোর্টের

    উলুবেড়িয়ার বিডিও-কে ভর্ৎসনা 

    অন্যদিকে, পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election 2023) মাঝে দুর্নীতিতে যুক্ত থাকার অভিযোগ উঠেছিল উলুবেড়িয়ার বিডিও-র বিরুদ্ধে। প্রাক্তন বিচারপতির (Calcutta High Court) এক সদস্যের কমিশন সব তথ্য খতিয়ে দেখে দুর্নীতির প্রমাণ পেয়েছিল। তাঁর পক্ষ থেকে হাইকোর্টে নজিরবিহীনভাবে বিডিও, এসডিওকে সাসপেন্ড করার সুপারিশ করেছিলেন কমিশন। যার পরই নির্বাসনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। বিচারপতি অমৃতা সিনহার যে নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেন উলুবেড়িয়ার বিডিও। বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন তিনি। কিন্তু এদিন নীলাদ্রিশেখরের আইনজীবীর জবাবে সন্তুষ্ট ছিলেন না বিচারপতি। মামলা ফেরত যায় বিচারপতি সিন্হার কাছেই। ৩ অগাস্ট বিচারপতি অমৃতা সিন্হার এজলাসে পরবর্তী শুনানির সম্ভাবনা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • Sujay Krishna Bhadra: কালীঘাটে তৃণমূলের দফতরে বসেই চাকরি বিক্রি করতেন ‘কালীঘাটের কাকু’! দাবি ইডির

    Sujay Krishna Bhadra: কালীঘাটে তৃণমূলের দফতরে বসেই চাকরি বিক্রি করতেন ‘কালীঘাটের কাকু’! দাবি ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কালীঘাটে তৃণমূলের (TMC) পার্টি অফিসে বসেই চাকরি বিক্রির চক্র চালাতেন স্কুলে নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে ‘কালীঘাটের কাকু’ (Sujay Krishna Bhadra)। অন্তত এমনই অভিযোগ করা হয়েছে ইডির (ED) চার্জশিটে। সম্প্রতি দায়ের করা ইডির ওই চার্জশিটে দাবি করা হয়েছে, কালীঘাটের পার্টি অফিস থেকে যে চাকরি বিক্রির চক্র চলত, তদন্তকারীদের জেরায় তা কবুল করেছেন সুজয়কৃষ্ণ স্বয়ং।

    সুজয়কৃষ্ণের প্রতিপত্তি

    নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে জেল হেফাজতে থাকা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতাও ছিল সুজয়কৃষ্ণের। সুজয়কৃষ্ণ (Sujay Krishna Bhadra) তদন্তকারীদের এও জানিয়েছেন যে, মূলত তাঁর সুপারিশেই ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থী হিসেবে টিকিট পেয়েছিলেন মানিক। চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে, তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে লেখা চিঠিও মিলেছে সুজয়কৃষ্ণের কাছে। নদিয়ার নাকাশিপাড়া থেকে মানিককে প্রার্থী করার অনুরোধ জানিয়ে অভিষেককে চিঠি লেখেন তৃণমূল কর্মীরা। সেই চিঠি তাঁরা পাঠান সুজয়কৃষ্ণের কাছে। কেবল মানিক নন, জেলা পরিষদে তৃণমূলের জ্ঞানানন্দ সামন্তকেও প্রার্থী করতে তদ্বির করেছিলেন সুজয়কৃষ্ণ।

    সুজয়কৃষ্ণের হাত দিয়েই হত চাকরি!

    ইডির চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে, সুজয়কৃষ্ণ বলেছেন, তাঁর কাছে চাকরি প্রার্থীরা কেউ সরাসরি আসতেন, কেউ বা নেতার মাধ্যমে চিঠি পাঠাতেন। ইডির দাবি, চাকরিপ্রার্থীরা জানতেন সুজয়কৃষ্ণের সঙ্গে অভিষেকের সম্পর্ক কেমন। তাই তাঁরা সমস্যার সমাধানের জন্য দ্বারস্থ হতেন সুজয়কৃষ্ণের (Sujay Krishna Bhadra)। ইডির আরও অভিযোগ, কালীঘাটের তৃণমূল অফিসে বসেই বাঁকা পথে আসা চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতেন সুজয়কৃষ্ণ। নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত তৃণমূলের প্রাক্তন দুই যুব নেতা কুন্তল ঘোষ ও শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বেসরকারি কলেজ সংগঠনের নেতা তাপস মণ্ডলের সঙ্গে কালীঘাটের ওই পার্টি অফিসে বসেই বৈঠকও করেছেন তিনি। ইডির তদন্তকারীদের দাবি, কুন্তল ও তাপসের মাধ্যমে ২০১২-১৪ সালের টেট চাকরি প্রার্থীদের নামের তালিকা তিনিই পাঠিয়েছিলেন মানিককে।

    আরও পড়ুুন: “চুরি আটকান, তাহলে রাজ্যের বরাদ্দ আদায়ে এক সঙ্গে দিল্লি যাব”, বললেন শুভেন্দু

    সুজয়কৃষ্ণের (Sujay Krishna Bhadra) মোবাইল থেকে বেশ কিছু ভয়েস-মেসেজ পেয়েছেন তদন্তকারীরা। এগুলি আদালতে প্রামাণ্য নথি হিসেবে পেশ করতে গেলে সুজয়কৃষ্ণের গলার স্বরের নমুনা প্রয়োজন। এই নমুনা দিতে রাজি হননি সুজয়। তদন্তকারীদের অভিযোগ, সেই কারণেই অসুস্থতার বাহানা দিয়ে সময় নষ্ট করছেন কালীঘাটের কাকু। কেবল চাকরি বিক্রি নয়, ইডির চার্জশিটে বলা হয়েছে, সুজয়কৃষ্ণের আরও একাধিক বেআইনি ব্যবসা রয়েছে। বিভিন্ন ভুয়ো বিল তৈরি করা হয়েছে। প্রভাব খাটিয়ে চাপ দিয়ে ব্যবসায়ীদের শেয়ারও তিনি কিনিয়েছেন বলে অভিযোগ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • Heavy Rain in Bengal: আজও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস জেলায় জেলায়! জলমগ্ন শহরের বিভিন্ন প্রান্ত

    Heavy Rain in Bengal: আজও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস জেলায় জেলায়! জলমগ্ন শহরের বিভিন্ন প্রান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার রাতভর বৃষ্টির (Heavy Rain in Bengal) পর বুধবার সকালেও আকাশের মুখ ভার। উত্তর বঙ্গোপসাগরে তৈরি হয়েছে অতি গভীর নিম্নচাপ। যার জেরে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে আজও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। গতকালের বৃষ্টিতে কলকাতার বেশ কিছু এলাকা জলমগ্ন। গতকাল রাত ১০টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত সবথেকে বেশি বৃষ্টি হয়েছে গড়িয়ায় (৯১ মিলিমিটার)। সারারাত বৃষ্টির পর শিয়ালদা ও বিধাননগর স্টেশনের মাঝে কাঁকুড়গাছি রেল কেবিনের কাছে মেন লাইনের পাশে রেললাইনে ধস নামে।  জানা গিয়েছে, রাতভর প্রবল বৃষ্টিতে ধসে যায় লাইনের ধারের মাটি।  এর জেরে ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয় মেন লাইনে শিয়ালদা-নৈহাটি শাখায়।  কয়েকটি লোকাল ট্রেনও বাতিল করা হয়েছে।  বেশ কিছু ট্রেন অন্য লাইন দিয়ে চালানো হচ্ছে। 

    কোন জেলায় আবহাওয়া কীরকম

    গভীর নিম্নচাপের জেরে বুধবার দক্ষিণবঙ্গের বাঁকুড়া ও পুরুলিয়ায় বিক্ষিপ্তভাবে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি (Heavy Rain in Bengal) হবে। এই দুই জেলায় জারি কমলা সতর্কতা। পশ্চিম বর্ধমান, ঝাড়গ্রাম এবং পশ্চিম মেদিনীপুরে বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টি হতে পারে বলে মৌসম ভবনের তরফে জানানো হয়েছে। দক্ষিণবঙ্গের বাকি সব জেলাতেই বজ্রপাত সহ মাঝারি বৃষ্টি জারি থাকবে। এই সব জেলায় জারি হলুদ সতর্কতা। বুধবার পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে । বৃহস্পতিবার থেকে বৃষ্টি কমবে দক্ষিণবঙ্গে, জানাল আবহাওয়া দফতর। আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, গভীর নিম্নচাপ অতি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়ে বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করবে। শেষ পাওয়া খবর অনুসারে, উত্তর বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপ অতি গভীর নিম্নচাপ ক্রমশ পশ্চিম দিকে সরে যাচ্ছে। কিছুটা দুর্বল হয়ে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিমাংশ এবং ঝাড়খণ্ডের উপর অবস্থান করছে। বুধবারও উপকূল সংলগ্ন এলাকায় ঝোড়ো হাওয়া ৪৫ থেকে ৫৫ কিলোমিটার গতিবেগে বইবে। গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে হালকা বাতাস বইবে।

    আরও পড়ুুন: “চুরি আটকান, তাহলে রাজ্যের বরাদ্দ আদায়ে এক সঙ্গে দিল্লি যাব”, বললেন শুভেন্দু

    শহরের নানা প্রান্তে বৃষ্টির পরিমাণ

    হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, আজ এবং আগামী দু’দিন কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি (Heavy Rain in Bengal) হবে। এর ফলে তাপমাত্রা ২ থেকে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমবে। তারপর আবার পারদ ২ থেকে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়ে যাবে। এর জেরে অস্বস্তি অনুভূত হবে। মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত শহরের বিভিন্ন প্রান্তে হালকা থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হয়। বেহালায় ৯০.৮ মিলিমিটার, বালিগঞ্জে ৮৭ মিলিমিটার, জোকায় ৭৬ মিলিমিটার, মোমিনপুরে ৭১ মিলিমিটার, তপসিয়ায় ৬০মিলিমিটার, মার্কুইস স্কোয়ারে ৫৯ মিলিমিটার, ঠনঠনিয়ায় ৪৬.৬ মিলিমিটার, ধাপায় ৪৬ মিলিমিটার, মানিকতলায় ৪৩ মিলিমিটার, দত্তবাগানে ৪১.৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টির জেরে রয়েছে জল জমার সমস্যাও ( Water Logging Problem )। তবে আগামীকাল থেকে বৃষ্টি কমবে, বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • Calcutta High Court: পঞ্চায়েতের টাকা ‘আত্মসাৎ’ করেছেন বিডিও! খতিয়ে দেখার নির্দেশ হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: পঞ্চায়েতের টাকা ‘আত্মসাৎ’ করেছেন বিডিও! খতিয়ে দেখার নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েতের টাকা আত্মসাৎ করেছেন বিডিও (BDO)! শুধু আত্মসাৎ করাই নয়, একেবারে টাকা বিদেশে পাচার করেছেন ওই সরকারি আধিকারিক! এ সংক্রান্ত মামলায় জেলাশাসককে অভিযোগ খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court) পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড়ের বিডিও কৃশানু রায়ের বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন পঞ্চায়েত সমিতি ও গ্রাম পঞ্চায়েতের বেশ কয়েকজন সদস্য। আদালতে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন তাঁরা। এই মামলার প্রেক্ষিতেই জেলাশাসককে অভিযোগ খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ।

    বিডিও’র বিরুদ্ধে অভিযোগের বহর

    আদালত সূত্রে খবর, নায়ারণগড় ব্লকে তৃণমূলের দখলে থাকা একাধিক পঞ্চায়েতের প্রধান ও পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষদের অভিযোগ, তাঁদের সঙ্গে আলোচনা না করেই পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির ফান্ড খরচ করেছেন বিডিও। পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর ভুয়ো বিল বানিয়ে টাকা খরচ করা হয়েছে বলেও দেখিয়েছেন তিনি। আদালতে যাঁরা মামলা করেছিলেন তাঁদের মধ্যে ছিলেন আয়নাল হক মোল্লাও। তিনি (Calcutta High Court) বলেন, “বিষয়টি আগেই জেলাশাসককে জানিয়েছিলেন গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যরা। জেলাশাসক কোনও পদক্ষেপ না করায় আমরা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলাম।” মঙ্গলবার এই মামলাই ওঠে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে। জেলাশাসককে আদালতের নির্দেশ, যথাযথ তদন্ত করে আট সপ্তাহের মধ্যে পদক্ষেপ করতে হবে। অভিযুক্ত বিডিওকে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

    মামলাকারী কারা জানেন? 

    জানা গিয়েছে, বিডিওর বিরুদ্ধে মামলাটি রুজু হয়েছিল ২০ জুলাই। প্রধান আবেদনকারী নারায়ণগড় পঞ্চায়েত সমিতির সদ্য বিদায়ী শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ অনাদি বারিক। বাকিরা হলেন পঞ্চায়েত সমিতির বিদায়ী সভাপতি নমিতা সিংহ, সহকারী সভাপতি গণেশ মাইতি, বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ তথা নারায়ণগড় ব্লক তৃণমূলের সভাপতি সুকুমার জানা, কৃষি কর্মাধ্যক্ষ কাওসার আলি সহ সাতজন কর্মাধ্যক্ষ। বিদায়ী পঞ্চায়েতের প্রধান সহ আরও কয়েকজনও রয়েছেন মামলায় (Calcutta High Court)। মামলাকারীদের অভিযোগ— কন্যাশ্রী, রূপশ্রী প্রকল্পের টাকাও আত্মসাৎ করেছেন বিডিও। ট্রেনিংয়ের টাকা সঠিক খাতে খরচ না করে ভুয়ো বিল বানিয়ে আত্মসাৎ করেছেন। বিডিও অফিসের গাড়ি ব্যবহার করেছেন ব্যক্তিগত কাজে। পঞ্চায়েতের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক খাতের বিল নকল করেও টাকা আত্মসাৎ করেছেন অভিযুক্ত বিডিও। পরে, সেই টাকা বিদেশে পাচার করেছেন ওই বিডিও। 

    আরও পড়ুুন: “চুরি আটকান, তাহলে রাজ্যের বরাদ্দ আদায়ে এক সঙ্গে দিল্লি যাব”, বললেন শুভেন্দু

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • Suvendu Adhikari: “চুরি আটকান, তাহলে রাজ্যের বরাদ্দ আদায়ে এক সঙ্গে দিল্লি যাব”, বললেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: “চুরি আটকান, তাহলে রাজ্যের বরাদ্দ আদায়ে এক সঙ্গে দিল্লি যাব”, বললেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “চুরি আটকান, তাহলে রাজ্যের বরাদ্দ আদায়ে এক সঙ্গে দিল্লি যাব।” মঙ্গলবার বিধানসভায় কথাগুলি বললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, “আমরা কেন্দ্রের টাকা আটকাইনি। চুরি আটকেছি।” 

    কেন্দ্রকে চিঠি শুভেন্দুর

    কেন্দ্রের বিরুদ্ধে একশো দিনের কাজ সহ নানা প্রকল্পে টাকা আটকে রাখার অভিযোগ প্রতিনিয়তই তোলে রাজ্য সরকার। তাদের অভিযোগ, বঙ্গ বিজেপি নেতাদের জন্যই আটকে রয়েছে রাজ্যের বরাদ্দ। অভিযোগের নেপথ্যে রয়েছে কেন্দ্রকে দেওয়া শুভেন্দুর চিঠি। রাজ্যে কেন্দ্রীয় নানা প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে কেন্দ্রকে একাধিকবার চিঠি দিয়েছিলেন শুভেন্দু। তার পর থেকেই নিয়মিত বরাদ্দ আটকে থাকায় বিজেপি নেতাদের দুষছে রাজ্য সরকার। এদিন সে প্রসঙ্গেই বিধানসভায় সরব হন শুভেন্দু। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা জানান, রাজ্যে আবাস প্রকল্পের কাজ ও একশো দিনের কাজের বেশ কিছু বিষয়ে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী গিরিরাজ সিংহের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলেন তিনি।

    ‘খরচ হয়নি ফান্ড’ 

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “আমার পাঠানো চিঠির উত্তরে ওঁর দফতর জানায় দুটি ছাড়া আমার করা সব অভিযোগ সত্য। এই মর্মে সেকশন ২৭ প্রয়োগ করা হল। সংশ্লিষ্ট বিডিওদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে টাকা দেওয়া হবে না।” রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, “কেন্দ্রীয় বঞ্চনার কথা বলা হয়েছে। একশো দিনের কাজ সহ বেশ কয়েকটি কথা বলা হয়েছে। বিভিন্ন খাতে যে অর্থ বরাদ্দ করা হয়, তাতে সমস্যার কথা আপনারা বলছেন। সমস্যা হচ্ছে একশো দিনের টাকা আর আবাস যোজনার শেয়ার অর্থ নিয়ে। অডিট রিপোর্ট জমা না দেওয়ায় রাজ্যের ৯০ শতাংশ জিএসটি ফান্ড রিলিজ হয়েছে। বাকি টাকা হয়নি।”

    আরও পড়ুুন: “কেন্দ্রীয় হারে রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ দিতেই হবে”, বিধানসভায় দাবি শুভেন্দুর

    শুভেন্দু বলেন, “শিক্ষা দফতরের ফান্ড ব্যবহার না হয়ে পড়ে রয়েছে। জল জীবন মিশনে ফান্ড ব্যবহার হয়নি। ১৭৯১ কোটি টাকা ব্যবহার হয়নি। ৪ হাজার কোটি টাকা মাইনরিটি খাতে ব্যবহার হয়নি। কেন্দ্রের প্রকল্পের নাম আপনারা বদল করেছেন। ভারত সরকারের থেকে টাকা পেতে গেলে কেন্দ্রের স্কিমের নাম দিতে হবে।” রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, “সাগরদিঘি, নওদায় প্রধান নিজেই একাধিক বাড়ি নিয়েছেন। একাধিক জেলায় পুকুর কাটার টাকা তুলেছেন, অথচ পুকুর কাটেননি। টাকা না পাওয়ার জন্য আপনাদের কাজই দায়ী।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • Suvendu Adhikari: “কেন্দ্রীয় হারে রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ দিতেই হবে”, বিধানসভায় দাবি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “কেন্দ্রীয় হারে রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ দিতেই হবে”, বিধানসভায় দাবি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় হারে ডিএর দাবিতে আন্দোলন করে চলেছেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। বিজেপি (BJP) যে তাঁদের পাশে রয়েছে, তা একাধিকবার দাবি করেছিলেন বঙ্গ বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। আন্দোলনকারীদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির শুভেন্দু অধিকারীও (Suvendu Adhikari)। বাদল অধিবেশনে তাঁদের সেই দাবিতেই সরব হলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

    ‘ডিএ দিতেই হবে’

    মঙ্গলবার বিধানসভার অধিবেশনে শুভেন্দু বলেন, “রাজ্য সরকারকে বকেয়া মহার্ঘ ভাতা দিতেই হবে।” বিধানসভার বাইরেও ডিএ নিয়ে সোচ্চার হয়েছেন তিনি। বলেন, “রাজ্যের লাখ লাখ সরকারি কর্মী ও পেনশনাররা বঞ্চিত। তাঁদের ডিএ এবং ডিআর দেওয়া হচ্ছে না। তাঁদের সংসারে টানাপোড়েন চলছে। আর সরকার চুপ করে বসে রয়েছে। এটা বরদাস্ত করা হবে না। ডিএ মামলা এখন সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। কিন্তু রাজ্য সরকার সেই মামলা বারবার পিছিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। এতে সরকারি কর্মীদের ক্ষতি হচ্ছে। তাঁরা দিনের পর দিন অপেক্ষা করে রয়েছেন। আমরা বিচারাধীন বিষয়ে কথা বলতে চাই না। কিন্তু এই সরকার বারবার বিচারাধীন বিষয়ে কথা বলে।”

    ‘চুক্তিভিত্তিক কর্মীরা কষ্টে রয়েছেন’

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, “রাজ্যের সরকারি কর্মীরা সরকারের দ্বারা অবহেলা, বঞ্চনার শিকার। কেন্দ্রীয় হারে সরকারি কর্মীদের ডিএ দিতেই হবে। তাঁদের আর্থিক নিরাপত্তাও সুনিশ্চিত করতে হবে। আর তা যত দ্রুত সম্ভব।” তিনি বলেন, “মেধাবীরা রাস্তায় বসে রয়েছে। সরকার আলোচনা করে সমস্যা মেটাক। সরকারি চুক্তিভিত্তিক কর্মীরা কষ্টে রয়েছেন। চাষিরা ফসলের দাম পাচ্ছেন না। ফড়েরা দালালি করছে।” রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, “অস্থায়ী চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের ক্ষেত্রে বেতন কাঠামো ও সম কাজে সম বেতন চালু করতে হবে। রাজ্য সরকার অনুমোদিত কয়েক লক্ষ পদ খালি থাকলেও, নিয়োগ হচ্ছে না।”

    আরও পড়ুুন: লোকসভায় পেশ দিল্লি পরিষেবা বিল, “ক্ষমতা দিয়েছে সংবিধান” ‘ইন্ডিয়া’কে জবাব শাহের

    শুভেন্দু বলেন, “ভিলেজ পুলিশদের বেতন কাঠামো পুনর্মূল্যায়ন করেনি সরকার। ৬ লক্ষ পদের বিলোপ ঘটিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। ডেটা এন্ট্রি অপারেটররা কেন ১০ হাজার টাকা বেতনে কাজ করবেন? বাংলায় ২ কোটি বেকারের আর্তনাদ শোনা যাচ্ছে। এই সরকার অমানবিক, দুর্নীতিগ্রস্ত।” ডিএ নিয়ে আন্দোলন হচ্ছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের ব্যানারে। এই মঞ্চের নেতা ভাস্কর ঘোষ বলেন, “সরকারি কর্মীদের হয়ে বিধানসভায় কথা বলেছেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এজন্য বিরোধী দলনেতার কাছে আমরা কৃতজ্ঞ। এটা আমাদের লড়াইয়ের স্বীকৃতি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

LinkedIn
Share