Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Humayun Kabir: ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীরকে শো-কজ তৃণমূলের, পাল্টা তোপ নেতার

    Humayun Kabir: ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীরকে শো-কজ তৃণমূলের, পাল্টা তোপ নেতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীরকে শো-কজ করল দল। শনিবার দলের তরফে তাঁকে শো-কজের চিঠি পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিধানসভায় নাম না করে পঞ্চায়ত ভোটে হুমায়ুনের ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার এক দিন পরে বিধায়ককে শোকজ করল দল। 

    কী বলেছিলেন হুমায়ুন

    শুক্রবার বিধানসভায় প্রশ্ন উত্তর পর্বে হুমায়ুন কবীর এ রাজ্যের মুসলিম মহিলাদের আর্থিক অবস্থা ভালো নয় বলে মন্তব্য করেন। যা রীতিমতো দলের পক্ষে অস্বস্তিকর।  কেন হঠাৎ করে হুমায়ুন এরকম মন্তব্য করলেন? তা নিয়েই রীতিমতো ক্ষুব্ধ দল। হুমায়ুন বলেন, ‘রাজ্যে মুসলিম মহিলাদের আর্থিক অবস্থা ভালো নয়। মুসলিম মহিলাদের লক্ষ্মীর ভান্ডারে ১ হাজার টাকা দেওয়া যায় কি? প্রশ্ন তোলেন তিনি। প্রস্তাব রাখেন, ‘অন্তত ওবিসি মুসলিম মহিলাদের ১ হাজার টাকা করে দেওয়া হোক।’ তৃণমূল বিধায়কের এই বক্তব্যে রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায় বিধানসভায়।

    আরও পড়ুুন: প্রযুক্তি সংস্থাগুলিকে ৫০ শতাংশ আর্থিক সাহায্য দেওয়ার কথা ঘোষণা মোদির

    কেন শোকজ

    হুমায়ুন কবীর বর্তমানে বিধানসভার দু’টি স্থায়ী (স্ট্যান্ডিং) কমিটিতে আছেন। ‘পেপার লেড স্ট্যান্ডিং কমিটি’-র চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন ভরতপুরের বিধায়ক। এর সঙ্গে বিদ্যুৎ দফতরের স্থায়ী কমিটির সদস্য হিসেবেও তিনি কাজ করছেন। এদিন বিধায়ক শো-কজের চিঠি পাওয়ার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, তাঁর ছেলে এই চিঠি শনিবার সকালে নিয়েছেন। দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সির সই করা লেটারহেডে এই চিঠি এসেছে। তিনি যথা সময়ে চিঠির উত্তর দেবেন বলে জানিয়েছেন বিধায়ক। পঞ্চায়েত নির্বাচনে দল বিরোধী কাজ করার অভিযোগে তাঁকে শোকজ নোটিস ধরানো হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। হুমায়ুন বলছেন, আগামী দিনে তিনি শোকজের যথাযথ উত্তর দিয়ে নেতৃত্বের আস্থা অর্জনের চেষ্টা করবেন। কিন্তু যদি সেক্ষেত্রে ব্যর্থ হন, তাহলে কী পদক্ষেপ করবেন তিনি, সেটি অবশ্য স্পষ্ট করেননি। তবে এটা বলেছেন, ‘‘যতদিন আমার শরীর-স্বাস্থ্য ঠিক থাকবে, রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকব।’’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dengue Deaths in Kolkata: ডেঙ্গিতে ফের মৃত্যু শহরে, আতঙ্ক ম্যালেরিয়াও, অভিযোগ মেয়রকে

    Dengue Deaths in Kolkata: ডেঙ্গিতে ফের মৃত্যু শহরে, আতঙ্ক ম্যালেরিয়াও, অভিযোগ মেয়রকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডেঙ্গির জেরে আবার মৃত্যু শহরে। মৃতার নাম অণিমা সর্দার (৪৫)। ওই মহিলা এম আর বাঙুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। এর ফলে ডেঙ্গিতে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে হল ৬। তবে বেসরকারি সূত্র অনুযায়ী, এই নিয়ে গত কয়েক দিনে রাজ্যে মশাবাহিত ওই রোগে মৃতের সংখ্যা হল আট। পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল হওয়ায় রাজ্যের মুখ্যসচিব থেকে শুরু করে কলকাতার মেয়রও প্রতিনিয়ত বৈঠকে বসছেন। একের পর এক নির্দেশিকা জারি করছে স্বাস্থ্য দফতর। হাসপাতাল সূত্রের খবর, অনিমার বাড়ি বারুইপুরে।

    নির্দেশিকা জারি স্বাস্থ্য দফতরের

    সূত্রের খবর, বারুইপুরের বাসিন্দা অণিমা কলকাতা পুরসভার ১২৫ নম্বর ওয়ার্ডের ঠাকুরপুকুরে কয়েক মাস ধরে ভাড়া থাকছিলেন। তিনি পরিচারিকার কাজ করতেন। কয়েক দিন ধরেই জ্বরে ভুগছিলেন। তাঁকে বিদ্যাসাগর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার অবস্থার অবনতি হওয়ায় অণিমাকে এম আর বাঙুরে স্থানান্তরিত করা হয়। ডেঙ্গিতে মৃত্যু বাড়ছে তা নিয়ে বিধানসভায় সোচ্চার হতে চলেছে বিরোধী দল বিজেপি। ডেঙ্গি পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল হচ্ছে দেখে রাজ্যের মুখ্যসচিব থেকে শুরু করে কলকাতার মেয়রও প্রতিনিয়ত বৈঠক করছেন। এমনকী একের পর এক নির্দেশিকা জারি করছে স্বাস্থ্য দফতর। এই সমস্যা শুধু কলকাতায় নয়, গোটা রাজ্যেই বেড়ে চলেছে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা। আর তার পর মৃত্যু। ডেঙ্গি দমনে গ্রামবাংলায় কাজে নামবেন বিভিন্ন দফতরের কর্মীরা। 

    আরও পড়ুন: হাইকোর্টে ধাক্কা খেল রাজ্য! রামনবমী মামলা ফিরিয়ে দিলেন বিচারপতি

    দোসর ম্যালেরিয়া

    রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ডেঙ্গি ও ম্যালেরিয়া, দুয়েরই প্রকোপ ক্রমশ বাড়ছে। এমতাবস্থায় ওই দুই রোগের চিকিৎসা ও পরীক্ষা ব্যবস্থাপনার বিষয়ে নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে স্বাস্থ্য দফতর। যেখানে ডেঙ্গি অথবা ম‌্যালেরিয়া পরীক্ষা কখন করতে হবে, অথবা দু’টি পরীক্ষা কত দিনের ব‌্যবধানে করতে হবে, সব বলা রয়েছে। যে সব ব্লকে ম‌্যালেরিয়া ও ডেঙ্গির জোড়া আক্রমণ হচ্ছে, সেই সব এলাকায় স্বাস্থ‌্য দফতর শুক্রবার থেকে শিবিরের আয়োজনও করছে। মেয়র নিজে জানান, শহরে অনেক বাড়ি তালাবন্ধ পড়ে আছে। সেখানে কলকাতা পুরসভা সহজে ঢুকতে পারছে না। বহু জমির মালিককেই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। আর সেই পরিত্যক্ত জমিতে মানুষজন ময়লাও ফেলেন। সেখান থেকে মশার উপদ্রব বাড়ছে। শুধু শহরে নয়, গ্রামবাংলাতেও ডেঙ্গি ছড়িয়েছে। গোটা পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হয়েছে, বলে জানান মেয়র ফিরহাদ হাকিম।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: হাইকোর্টে ধাক্কা খেল রাজ্য! রামনবমী মামলা ফিরিয়ে দিলেন বিচারপতি

    Calcutta High Court: হাইকোর্টে ধাক্কা খেল রাজ্য! রামনবমী মামলা ফিরিয়ে দিলেন বিচারপতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রামনবমী মামলায় (Ramnavami case) সুপ্রিম কোর্টের পর এবার হাইকোর্টে ধাক্কা খেল রাজ্য। গত সোমবারই সুপ্রিমকোর্ট রাজ্যের এনআইএ বিরোধিতা সংক্রান্ত আবেদন খারিজ করে দেয়। এরপর কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যের এজলাসে ফের একই আবেদন নিয়ে মামলা দায়ের করে রাজ্য। রামনবমীর অশান্তির তদন্তে এনআইএ ঠেকাতে মরিয়া রাজ্য়।  কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশেই রামনবমীর হিংসা মামলায় তদন্ত ভার নিয়েছে এনআইএ। আদালত তখনই বলেছিল, রাজ্য পুলিশ তদন্তে নেমে যে সমস্ত নথিপত্র সংগ্রহ করেছে, সেইগুলি অবিলম্বে এনআইএ-র হাতে তুলে দিতে হবে। 

    মামলা ফেরালেন বিচারপতি

    শুক্রবার, রাজ্যের আবেদনের বিরোধিতা করেন জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ-র (NIA) আইনজীবী। তিনি আদালতকে বলেন, যেহেতু এই আবেদন আগেই সুপ্রিম কোর্ট খারিজ করেছে এবং এই সংক্রান্ত আর একটি মামলার শুনানি চলছে কলকাতা হাইকোর্টেরই অন্য এক বিচারপতির এজলাসে। তাই এই মামলা শোনার এক্তিয়ার নেই বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যর। সূত্রের খবর, এরপরই এই মামলা ফিরিয়ে দেন বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য। 

    আরও পড়ুুন: “মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রির চক্র চলছে…ফাঁসি হওয়া উচিত ”, বিস্ফোরক রাজ্যপাল

    অসহযোগিতার অভিযোগ এনআইএ-র

    ইতিমধ্যেই রামনবমী মামলায় রাজ্যের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ এনে বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর এজলাসে আর্জি জানিয়েছে এনআইএ। রামনবমীর মিছিল ঘিরে হাওড়ার শিবপুর, হুগলির রিষড়া-চন্দননগর, উত্তর দিনাজপুরের ডালখোলায় গোষ্ঠীহিংসার অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে গত ২৭ এপ্রিল এনআইএ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর জনস্বার্থ মামলার প্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চের রায় ছিল, রাজ্যকে এ সংক্রান্ত সমস্ত নথি এনআইএ-কে হস্তান্তর করতে হবে। এরপরই জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা অভিযোগ করছে, তদন্তের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য বা নথি তাদের হাতে দিচ্ছে না রাজ্য। কোনও রকম সহযোগিতা মিলছে না।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CV Ananda Bose: “মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রির চক্র চলছে…ফাঁসি হওয়া উচিত ”, বিস্ফোরক রাজ্যপাল

    CV Ananda Bose: “মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রির চক্র চলছে…ফাঁসি হওয়া উচিত ”, বিস্ফোরক রাজ্যপাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “রাজ্যে মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রির চক্র চলছে।” শুক্রবার এমনই বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। তাঁর অভিযোগ, মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধের ওপর নয়া লেবেল সেঁটে তা বিক্রি করে লাভবান হচ্ছেন এক শ্রেণির ব্যবসায়ী। মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ নিয়ে কোটি কোটি টাকার ব্যবসা চলছে বলেও মন্তব্য করেন রাজ্যপাল। তাঁর মন্তব্যে তোলপাড় রাজ্য। অভিযোগের তদন্ত হবে বলেও আশ্বাস দেন সিভি আনন্দ বোস।

    রাজ্যপালের দাবি

    এদিন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ফার্মাকিউটিক্যাল এডুকেশন রিসার্চের একাদশতম সমাবর্তনের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন রাজ্যপাল। ওই অনুষ্ঠানে তিনি (CV Ananda Bose) বলেন, “রাজভবনে আমার দফতরে একটি ইমেল এসেছে। সেই ইমেলে অভিযোগ করা হয়েছে রাজ্যে মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রির একটি চক্র চলছে। আপনাদের আশপাশে এই চক্র সক্রিয় রয়েছে। মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধে নয়া লেবেল লাগিয়ে তা বিক্রির জন্য কলকাতায় পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এটা কোটি কোটি টাকার ব্যবসা। নতুন ওষুধ হিসেবে মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রি করা হচ্ছে। এই ব্যবসায় নিরীহ মানুষের জীবনহানির সম্ভাবনা রয়েছে। আমি আশ্বাস দিচ্ছি, এই অভিযোগের তদন্ত হবে। এই ব্যবসার সঙ্গে যুক্তদের ফাঁসি দেওয়া উচিত।” প্রসঙ্গত, সম্প্রতি কলকাতা থেকে কোটি কোটি টাকার নকল ওষুধ উদ্ধার করে ড্রাগ কন্ট্রোল ও কলকাতা পুলিশ। কলুতলা স্ট্রিটের একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে বাজেয়াপ্ত করা হয় ওই ওষুধ। ওই ঘটনায় অসীম সাধু নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

    নিয়োগ নিয়ে রিপোর্ট তলব

    এদিকে, এবার স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগ নিয়ে রিপোর্ট তলব করলেন রাজ্যপাল (CV Ananda Bose)। স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়কে চিঠি দিয়ে এই রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশের জেরেই রাজ্যপাল এই রিপোর্ট তলব করেছেন। নিয়োগ কেলেঙ্কারির মামলার জেরে প্রায় প্রতিদিনই প্রকাশ্যে আসছে নতুন নতুন তথ্য। এহেন আবহে রাজ্যপাল রিপোর্ট তলব করায় বিষয়টিতে যোগ হল বাড়তি মাত্রা।অসমর্থিত একটি সূত্রের খবর, সম্প্রতি নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে আশঙ্কা করে রাজ্যপালের কাছে চিঠি পাঠান কয়েকজন চিকিৎসক। তার পরেই নিয়োগ নিয়ে রিপোর্ট তলব করেন রাজ্যপাল। ওই চিকিৎসকরা রাজ্যপালকে এও জানিয়েছিলেন, স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ে পঠনপাঠন পরিচালনার ক্ষেত্রে খামতি রয়েছে।

    আরও পড়ুুন: ‘‘আইপ্যাক-কে ১৫২ কোটির টেন্ডার পাইয়ে দিতে দুর্নীতি করেছেন মমতা’’! বিস্ফোরক শুভেন্দু

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dengue: গ্রামে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে বলেই ডেঙ্গির বাড়বাড়ন্ত! যুক্তি ফিরহাদ হাকিমের

    Dengue: গ্রামে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে বলেই ডেঙ্গির বাড়বাড়ন্ত! যুক্তি ফিরহাদ হাকিমের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আচমকা ডেঙ্গির (Dengue) বাড়বাড়ন্তে নাজেহাল রাজ্য। আর নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী থেকে শুরু করে তাবড় নেতা-মন্ত্রীরা এবার এমন সব যুক্তি সামনে আনছেন, যা শুনে অনেকেই আড়ালে মুচকি হাসছেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতে, ডেঙ্গি নাকি আসছে বাংলাদেশ থেকে। দুদিন আগেই মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, বাংলাদেশ থেকে যাঁরা আসছেন, তাঁরা এই ডেঙ্গি রোগ বহন করে নিয়ে আসছেন। কলকাতার মেয়র তথা রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম আবার শুক্রবার নতুন তত্ত্ব সামনে আনলেন। তিনি বললেন, রাজ্যে উন্নয়নের জন্যই নাকি দিনকে দিন বেড়ে চলেছে ডেঙ্গির প্রকোপ। সেই কারণেই নাকি এবার ডেঙ্গির প্রকোপ শহরের তুলনায় গ্রামে বেশি।

    কী কী যুক্তি খাড়া করলেন ফিরহাদ?

    বীরভূম জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল ওরফে কেষ্ট বলেছিলেন, রাজ্যে ব্যাপক হারে উন্নয়ন হয়েছে। বাড়ি থেকে বেরলেই দেখতে পাবেন, রাস্তার ওপর উন্নয়ন দাঁড়িয়ে আছে। কিন্তু সেই উন্নয়ন যে এবার কাল হয়ে দাঁড়াবে, সেটা হয়তো একমাত্র ফিরহাদ হাকিম ছাড়া আর কেউই ভাবতে পারেননি। প্রতি বছরের মতো এবছরও বর্ষা আসতেই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে ডেঙ্গির আক্রমণ। আর ঠিক এই জায়গা থেকেই শুক্রবার ছিল টক টু মেয়র অনুষ্ঠান। সেখানেই সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, শহর কলকাতায় সেই অর্থে এখনও পর্যন্ত ডেঙ্গির (Dengue) প্রকোপ দেখা দেয়নি। এর জন্য এখন থেকেই মানুষকে অনেক বেশি সচেতন হতে হবে। আর এরপরেই তিনি বলেন, শহর কলকাতার থেকে গ্রামীণ অঞ্চলে এখন ডেঙ্গির প্রকোপ মারাত্মকভাবে বেড়ে চলেছে। কারণ, গ্রামাঞ্চলে আগে টিনের চালা বাড়ি বা একচালা বাড়ি থাকতো, এখন সেই সমস্ত বাড়ি আর নেই। এখন সেইসব জায়গায় উন্নয়ন হয়ে যাওয়ার ফলে হয়েছে প্রচুর পরিমাণে পাকা বাড়ি। আগে এমনি নর্দমা থাকত, পাশে গোবর পড়ে থাকত। কিন্তু এখন সেই সব জায়গায় হয়েছে একেবারেই পাকা নর্দমা। যার ফলে এই সমস্ত জায়গায় জল জমছে এবং সেখান থেকেই ডেঙ্গির মশা জন্মগ্রহণ করে ব্যাপক আকার ধারণ করছে, যার ফল অত্যন্ত খারাপ এবং ভয়াবহ।

    উন্নয়নই কি তাহলে কাল হল!

    এতদিন ধরে শাসক দল তথা তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা-মন্ত্রী থেকে শুরু করে নেত্রী পর্যন্ত সকলেই এক কথায় বলতেন, রাজ্যের উন্নয়ন রাস্তায় বেরলেই দেখা যায়। তার কারণ সে তো আগেই বলে গেছেন অনুব্রত মণ্ডল, “উন্নয়ন দাঁড়িয়ে আছে রাস্তার ওপর”। ৩৪ বছরের বামফ্রন্ট সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০১১ সালে। তখন থেকেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ তার দলের সকলেই এক সুরে বলে চলেন, আজও রাজ্যে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। তাহলে এই উন্নয়ন কোন উন্নয়ন? যে উন্নয়নের ফলে এইরকম ভয়াবহ ডেঙ্গির (Dengue) প্রকোপ দিনকে দিন বেড়েই চলে, সেই উন্নয়ন? বিরোধীরা এমনই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘আইপ্যাক-কে ১৫২ কোটির টেন্ডার পাইয়ে দিতে দুর্নীতি করেছেন মমতা’’! বিস্ফোরক শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: ‘‘আইপ্যাক-কে ১৫২ কোটির টেন্ডার পাইয়ে দিতে দুর্নীতি করেছেন মমতা’’! বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্নীতি ইস্যুতে ফের রাজ্য সরকারকে নিশানা করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। তাঁর দাবি, ‘ওয়েবেলের থেকে নিয়ে ডব্লুটিএলকে টেন্ডার পাইয়ে দেওয়া হয়েছে।’ মোট ১৫২ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ বিরোধী দলনেতার। ‘আইপ্যাককে ১৫২ কোটি টাকা পাইয়ে দিয়েছে স্বরাষ্ট্র দফতর’, বিস্ফোরক দাবি শুভেন্দুর। বিষয়টি নিয়ে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে চিঠিও পাঠিয়েছেন বিরোধী দলনেতা।

    শুভেন্দুর অভিযোগ

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘গ্রিভান্স সেলের পরিকাঠামো তৈরির জন্য তথ্য ও প্রযুক্তি দফতরকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। কয়েকটি সংস্থা টেন্ডার প্রক্রিয়া অংশগ্রহণ করে। দিল্লির একটি সংস্থা নিয়মমাফিক টেন্ডার পায়। কিন্তু পছন্দের সংস্থা না হওয়ায় স্বরাষ্ট্র দফতরের তরফে টেন্ডার বাতিল করতে বলা হয়। কিন্তু তথ্য ও প্রযুক্তি দফতরের আধিকারিকরা তা করতে রাজি ছিলেন না। কিন্তু পরবর্তী সময় আইপ্যাক ঘনিষ্ঠ সংস্থা দায়িত্ব পায়। আমার ধারণা এই ঘটনার সঙ্গে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী যুক্ত।’

    প্রমাণিত চুরি

    শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) আরও বলেন, ‘এটা প্রমাণিত চুরি, সব তথ্যপ্রমাণ আছে। জনগণের করের টাকা কারচুপি হয়েছে। এই ১৫২ কোটি টাকা তৃণমূলের কাছ গিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গকে ধ্বংসের জায়গায় নিয়ে যাচ্ছে তৃণমূল।’ এই নিয়ে মুখ্যসচিবের কাছে নথি চেয়ে পাঠানো উচিত রাজ্যপালের, দাবি শুভেন্দু অধিকারীর। তাঁর আরও দাবি, ‘ইডি বা আয়কর দফতরকে নিয়ে তদন্ত করানো হোক। চাইলে আদালত কোনও নিরপেক্ষ সংস্থাকে দিয়ে তদন্ত করাতে পারে। এই দুর্নীতির সাফাই দিতে হবে মুখ্যমন্ত্রীকে। এটা প্রমাণিত দুর্নীতি, এই নিয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশ করা উচিত মুখ্যমন্ত্রীর। এই দুর্নীতির সঙ্গে সরাসরি জড়িত মুখ্যমন্ত্রীর দফতর।’

    আরও পড়ুুন: “কৃষ্ণ-রুক্মিণীর বিয়ে লাভ জিহাদ”! কংগ্রেস নেতার বিতর্কিত মন্তব্যের কী জবাব দিলেন হিমন্ত?

    রাজ্যপালের হস্তক্ষেপ দাবি

    এদিন আরও এক বিস্ফোরক দাবি করেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘আমাকে এই নথি বড়বড় আইএএস অফিসাররা দিয়েছেন। সরকারে সবাই অসৎ এমনটা নয়।’ এই ‘দুর্নীতি’-র বিরুদ্ধে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন শুভেন্দু। বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘রাজ্যপাল দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করতে চান। উনি আজ মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ নিয়ে কথা বলেছেন বলে শুনলাম। আশা করব রাজ্যপাল আমার অভিযোগ পেয়েছেন। আপনার কাছে অনুরোধ মুখ্যসচিবকে বলে যাবতীয় নথি আনান। নথি খতিয়ে দেখে যদি কোনও সত্যতা পান, তবে সরকারকে ইডিকে দিয়ে তদন্ত করার অনুরোধ করুন। এটা জনস্বার্থের বিষয়। দরকার হলে কয়েকদিন বাদে আইনত ব্যবস্থা নেব।’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Justice Abhijit Gangopadhyay: “যোগী-রাজ্য থেকে বুলডোজার ভাড়া করুন”! পুরসভাকে পরামর্শ হাইকোর্টের

    Justice Abhijit Gangopadhyay: “যোগী-রাজ্য থেকে বুলডোজার ভাড়া করুন”! পুরসভাকে পরামর্শ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “দরকার পড়লে যোগী আদিত্যনাথের থেকে কিছু বুলডোজার ভাড়া করুন।” শুক্রবার বেআইনি নির্মাণ সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানিতে কলকাতা পুরসভার আইনজীবীদের উদ্দেশে বললেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay)। মানিকতলা থানা এলাকায় বেআইনি নির্মাণের প্রতিবাদে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন এক মহিলা। শুনানির সময় তাঁর আইনজীবী বলেন, বেআইনি নির্মাণে বাধা দেওয়ার পর নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন ওই মহিলা। বাড়ি থেকে বের হতে পারছেন না। বিষয়টি শুনে বিরক্ত হন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। এই মামলায় মানিকতলা থানাক যুক্ত করার নির্দেশও দেন তিনি।

    বিচারপতির পর্যবেক্ষণ 

    বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Gangopadhyay) পর্যবেক্ষণ, “এরকম একটি দুটি মামলা নয়, এরকম আকছার হচ্ছে।” এর পরেই পুরসভার আইনজীবীকে তিনি বলেন, “প্রয়োজন পড়লে বেআইনি নির্মাণের ওপর বুলডোজার চালিয়ে দিন। প্রয়োজনে যোগী আদিত্যনাথের কাছ থেকে বুলডোজার ভাড়া করে নিয়ে আসুন।” বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের পর্যবেক্ষণ, “পুলিশ ও পুরসভার সদিচ্ছা থাকলেও, তাঁরা অনেক সময় কাজ করতে পারেন না। কারণ তাঁদের অন্য চাপের মুখে কাজ করতে হয়।” তিনি বলেন, “পুলিশ আর পুরসভা নিয়ে আমি কিছু বলব না। আমি জানি, তাদের কী বাহ্যিক চাপের মুখে কাজ করতে হয়।” বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের মন্তব্য, “কোনও গুন্ডামি বরদাস্ত করা হবে না। গুন্ডাদের কীভাবে শায়েস্তা করতে হয় আমি জানি। গুন্ডাদমন শাখার আধিকারিকরা জানেন, কীভাবে গুন্ডাদের শায়েস্তা করতে হয়।”

    ‘বুলডোজার নীতি’

    বেআইনি নির্মাণ ভাঙতে সম্প্রতি কানপুর, সাহারানপুর এবং প্রয়াগরাজের বিভিন্ন এলাকায় চালানো হয় বুলডোজার। যোগী সরকারের বুলডোজার নীতি নিয়ে ওঠে সমালোচনার ঝড়। সুপ্রিম কোর্টের ভর্ৎসনার মুখেও পড়ে উত্তর প্রদেশ সরকারের ওই নীতি। তা সত্ত্বেও এদিন টানা হল যোগী সরকারের বুলডোজার নীতির প্রসঙ্গ। কলকাতা পুরসভা (Justice Abhijit Gangopadhyay) এলাকায় বেআইনি নির্মাণের অভিযোগ ভুরি ভুরি। বছরের পর বছর ধরে মামলা চললেও, সেগুলির নিষ্পত্তি হচ্ছে না বলে অভিযোগ। ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের মতে, বেআইনি নির্মাণগুলির বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান নেওয়ার বিষয়টি বোঝাতে গিয়েই সম্ভবত যোগীর বুলডোজার নীতির প্রসঙ্গ টেনেছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।

    আরও পড়ুুন: “নাটক করা আপনাদের অভ্যাস”, তৃণমূলের ডেরেককে বললেন ধনখড়

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • WBBPE: ২০২২ সালের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে স্থগিতাদেশ সুপ্রিম কোর্টের

    WBBPE: ২০২২ সালের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে স্থগিতাদেশ সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২২ সালের প্রাথমিক নিয়োগ (WBBPE) প্রক্রিয়া স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। শুক্রবার এই অন্তবর্তী স্থগিতাদেশ দিলেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিমা কুহেলি, বিচারপতি রাজেশ বিন্দলের বেঞ্চ। সুপ্রিম কোর্টের এদিনের নির্দেশের ফলে প্রায় ১২ হাজার শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া আপাতত বিশ বাঁও জলে। 

    ১২ হাজারের নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছিল

    প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০২২ সালের টেট উত্তীর্ণদের (WBBPE) মধ্যে প্রায় ১২ হাজারের নিয়োগ প্রক্রিয়া ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছিল। অন্যদিকে ২০২০-২২ শিক্ষাবর্ষে ডিএলএড প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরাও কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন এই নিয়োগ প্রক্রিয়াতে অংশ নেওয়ার আর্জি নিয়ে। তাঁদের বক্তব্য, প্রশিক্ষণের (WBBPE) কোর্স যে শেষ হয়নি, তার দায় পর্ষদের। তাঁরা নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে চান। এই মর্মে আগেই  কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছিলেন, ২০২২ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় তাঁদের অংশ নিতে দিতে হবে। এরপরেই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ ২০২০-২২ সালের টেট উত্তীর্ণদের যাবতীয় তথ্য জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছিল।

    মামলা গড়ায় সুপ্রিম কোর্টে

    বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এই রায়েকে চ্যালেঞ্জ জানায় ২০২০ সালের আগের প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরা। নির্ধারিত কোর্স শেষ না করে কেন এই প্রার্থীদের পরীক্ষায় বসার অনুমতি দিয়েছে বোর্ড (WBBPE)? এই নিয়ে প্রশ্ন তুলে ২০২০ সালের আগের প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরা ফের কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। মামলাটি ওঠে কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চে। এই মর্মে ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছিল কোর্স শেষ না হওয়া পর্যন্ত নিয়োগ প্রক্রিয়াতে অংশ নেওয়া যাবে না। পরবর্তীতে ডিভিশন বেঞ্চের এই নির্দেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যান চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ যাঁদের বেশিরভাগই ২০২০-২২ সালের প্রশিক্ষণ (WBBPE) নিয়েছিলেন। এই মর্মে শুক্রবার উল্লেখযোগ্য নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। সর্বোচ্চ আদালতের পর্যবেক্ষণ, আগে এই ২০২০-২২ সালের প্রশিক্ষণরতরা নিয়োগ প্রক্রিয়াতে অংশ নিতে পারবেন কিনা সেই বিষয়ে নির্দেশ দেবে আদালত। তারপর নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হবে। তার আগে পর্যন্ত নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Elections 2023: আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে বিজেপির তিন সহ ৪ জয়ী প্রার্থীকে অপহরণ! কাঠগড়ায় তৃণমূল

    Panchayat Elections 2023: আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে বিজেপির তিন সহ ৪ জয়ী প্রার্থীকে অপহরণ! কাঠগড়ায় তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Elections 2023) বিরোধী দলের জয়ী প্রার্থীদের অপহরণের অভিযোগ। খাস কলকাতা শহরের এই ঘটনায় চাঞ্চল্য। অপহৃত চার প্রার্থীর মধ্যে তিনজন বিজেপির, একজন বাম সমর্থিত নির্দল। শহরের একটি গেস্ট হাউস থেকে অপহরণ করা হয় তাঁদের। অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই অপহরণ করেছে ওই প্রার্থীদের। অভিযোগ অস্বীকার করেছে রাজ্যের শাসক দল।

    অপহরণের দাবি

    জানা গিয়েছে, পঞ্চসায়র থানা এলাকার পিয়ারলেস হাসপাতালের কাছে সপরিবারে একটি গেস্ট হাউসে ছিলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার মথুরাপুর ১ নম্বর ব্লকের কৃষ্ণচন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের (Panchayat Elections 2023) চার প্রার্থী। তাঁদের পরিবারের দাবি, নিরাপত্তার কারণেই তাঁরা ওই গেস্ট হাউসে ছিলেন। রাত ১১টা নাগাদ তাঁরা দেখেন, ওই গেস্ট হাউসের সামনে বেশ কয়েকটি গাড়ি এসে দাঁড়ায়। গাড়িতে তৃণমূল নেতারা ছিলেন। গেস্ট হাউসের মালিক বাপ্পা ঘোষ জানান, গন্ডগোলের শব্দে ঘুম ভেঙে যায় তাঁর। উঠে দেখেন, কয়েকজনকে গাড়িতে তুলে নিয়ে যাচ্ছেন কেউ বা কারা। অনেকেই যেতে চাইছিলেন না, জোর করে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাঁর দাবি, বিয়েবাড়ির অনুষ্ঠান রয়েছে বলে ঘর ভাড়া নিয়েছিল ওই পরিবারগুলি।

    প্রকাশ্যে সিসিটিভি ফুটেজ

    সিপিএমের অভিযোগ, গেস্ট হাউস থেকে ওই চার জয়ী প্রার্থীকে অপহরণ করা হয়েছে। তার একটি সিসিটিভি ফুটেজও প্রকাশ্যে এসেছে। যদিও এর সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম। সিপিএমের তরফে প্রবীণ রাজনীতিবিদ (Panchayat Elections 2023) তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী কান্তি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, মথুরাপুর ব্লকের কৃষ্ণচন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠনের জন্য বিরোধীদের ওপর চাপ সৃষ্টি করছিল তৃণমূল। সেই কারণেও ওঁরা আশ্রয় নিয়েছিলেন ওই গেস্ট হাউসে। বন্দুক দেখিয়ে অপহরণ করা হয়েছে ওঁদের।

    আরও পড়ুুন: ‘এক দেশ এক ভোট’, আইন কমিশনের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে, জানালেন মন্ত্রী

    ১৫ আসন বিশিষ্ট কৃষ্ণচন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের চারটি আসনে জেতে তৃণমূল। বিজেপি পেয়েছে ৬টি আসন। আর সিপিএম জয়ী হয়েছে তিনটি আসনে। নির্দল প্রার্থীরা জেতেন দুটি আসনে। ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Elections 2023) তৃণমূল যে যেন-তেন প্রকারে ক্ষমতা ধরে রাখতে মরিয়া, এই ঘটনাই তার প্রমাণ বলে অভিযোগ বিরোধীদের। তাঁদের দাবি, সেই কারণেই নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই সন্ত্রাসের আবহ সৃষ্টি করা হয়েছে রাজ্যে। তার পরেও বিরোধীরা ভাল ফল করায় এবার অপহরণের পথ নিয়েছে শাসকদল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kalighater Kaku : জামিনের আবেদন খারিজ, এসএসকেএমেই হবে ‘কালীঘাটের কাকু’র চিকিৎসা

    Kalighater Kaku : জামিনের আবেদন খারিজ, এসএসকেএমেই হবে ‘কালীঘাটের কাকু’র চিকিৎসা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতিতে (Recruitment Scam) ধৃত সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রর জামিনের আবেদনের পিছনে যুক্তি ছিল, ৩টি ধমনীতে ব্লকেজ রয়েছে। বাইপাস সার্জারি করাতে হবে। কোনও বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে চেয়ে জামিন মঞ্জুরের আবেদন জানান কালীঘাটের কাকু। যদিও সেই আবেদন খারিজ করে দিল ব্যাঙ্কশাল কোর্ট। আদালতের সাফ বক্তব্য, এসএসকেএমেই হবে ‘কালীঘাটের কাকু’র চিকিৎসা।

    এসএসকেএম-এ চিকিৎসা

    সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে ‘কালীঘাটের কাকু’ গত ১১ দিন ধরে চিকিৎসাধীন রয়েছেন এসএসকেএম হাসপাতালে। হার্টে ব্লকেজ ধরা পড়েছে সুজয় ভদ্রের। অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন। সুজয়ের আইনজীবীর বক্তব্য ছিল, পছন্দমতো হাসপাতালে তাঁকে অস্ত্রোপচার করাতে দেওয়া হোক। এসএসকেএম-নিয়ে আপত্তির কথা সরাসরি না বললেও আজ আদালতে ঠারেঠোরে সেকথা বুঝিয়ে দিয়েছেন সুজয় ভদ্রর আইনজীবী। আর এই পছন্দমতো জায়গায় চিকিৎসা করানোর জন্য যাতে জামিন কিংবা অন্তর্বতী জামিন দেওয়া হয়, সেই আর্জিও জানানো হয়েছিল। পাল্টা ইডি সওয়াল করে, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী এসএসকেএমেই চিকিৎসা করান, তাহলে সুজয়কৃষ্ণ নয় কেন?’’  শেষপর্যন্ত ধোপে টিকল না সেই আবেদন। সুজয়কৃ্ষ্ণ ভদ্রের জামিনের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে আদালত। ফলে এসএসকেএম হাসপাতালেই থাকতে হচ্ছে তাঁকে। 

    আরও পড়ুন: কেন জামিনের বিরোধিতা? পার্থ কতটা প্রভাবশালী, আদালতে জানাল ইডি

    এদিন বিচারক তাঁর নির্দেশনামায় লিখেছেন, ‘‘মেডিক্যাল রিপোর্ট অনুযায়ী এসএসকেএম হাসপাতালে তাঁর অস্ত্রোপচারের জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি প্রায় হয়ে গিয়েছে। তাছাড়া এমন ঝুঁকিপূর্ণ শারীরিক অবস্থায় তাঁকে অন্যত্র স্থানান্তর করতে গেলে বিপদ বাড়ার আশঙ্কা থাকে।’’ রাজ্যের মন্ত্রিসভার হাইপ্রোফাইল ব্যক্তিরাও যে কিছু প্রয়োজন পড়লেই এসএসকেএম হাসপাতালে যান সেই কথাও উল্লেখ করা হয়েছে নির্দেশনামায়। বিচারক লিখেছেন, ‘‘এসএসকেএম হল রাজ্যের সেরা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। রাজ্য মন্ত্রিসভার হাই প্রোফাইল ব্যক্তিরা জরুরি কোনও প্রয়োজন হলে এসএসকেএম হাসপাতালেই যান। এসএসকেএম হাসপাতালে সেরা পরিকাঠামো ও চিকিৎসক রয়েছেন।’’ সূত্রের খবর, শীঘ্রই সুজয়কৃষ্ণর বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দিতে চলেছে ইডি। চার্জশিটে কালীঘাটের কাকুর যাবতীয় সম্পত্তির হিসেব, নিয়োগ দুর্নীতিতে তিনি কীভাবে জড়িত, তার তথ্যপ্রমাণ পেশ করা হবে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share