Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • RG Kar Case: আরজি কর ইস্যুতে ‘গণইস্তফা’ দিলেন এসএসকেএম-এর ৪০ জন চিকিৎসক!

    RG Kar Case: আরজি কর ইস্যুতে ‘গণইস্তফা’ দিলেন এসএসকেএম-এর ৪০ জন চিকিৎসক!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার আরজি কর (RG Kar Case) ইস্যুতে ‘গণইস্তফা’ (Mass resignation) দিলেন এসএসকেএম হাসপাতালের সিনিয়র ডাক্তাররা। অভয়ার ন্যায় বিচারের দাবিতে আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের পাশে দাঁড়িয়ে বড় পদক্ষেপ তাঁদের। বৃহাস্পতিবার এই হাসপাতালের ৪০ জন সিনিয়র ডাক্তার এই গণইস্তফা পত্রে স্বাক্ষর করেছেন। অপর দিকে সরকার পক্ষকে এখনও ১০ দফা দাবি নিয়ে কোনও সদর্থক ভূমিকা গ্রহণ করতে দেখা যায়নি। ফলে পরিস্থিতি অত্যন্ত জটিল হয়ে উঠছে ক্রমশ।

    ডাক্তারদের দাবি মেটাতে সরকার পক্ষ ব্যর্থ (RG Kar Case)

    গণইস্তফা পত্রে স্বাক্ষর করে এসএসকেএম-এর সিনিয়র ডাক্তাররা বলেন, “আরজি কর ইস্যুতে (RG Kar Case) অনশনকারী ডাক্তারদের দাবি মেটাতে সরকার পক্ষ ব্যর্থ। আমরা সেই জন্য এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তবে তাঁর মানে এই নয় যে এখনই পরিষেবা বন্ধ করা হবে। আমাদের পত্র গ্রহণ না হওয়া পর্যন্ত আমরা আমাদের দায়িত্ব পালন করে যাবো। সরকারের উচিত আরও সংবেদনশীল হওয়া। অবিলম্বে সব দাবি মেনে নেওয়া উচিত।” উল্লেখ্য বুধবার একই ভাবে গণপদত্যাগ পত্রে স্বাক্ষর করে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছিলেন ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের মোট ৩৪ জন সিনিয়র ডাক্তার। একইভাবে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজের ডাক্তাররা। আগামী ২৪ ঘণ্টায় যদি কোনও ইতিবাচক ভূমিকা না গ্রহণ করে সরকার, তাহলে এখানেও গণইস্তফা দেওয়া হবে। আবার সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে চরম হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজের ডাক্তারাও।

    আরও পড়ুন: এক যুগের অবসান! রতন টাটার প্রয়াণে শোক বার্তা সচিন, সলমন, রোহিত-নীরজদের 

    আরজি করে ৫০ জনের গণইস্তফা

    গত মঙ্গলবার ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের সিনিয়র ডাক্তাররা ইস্তফা দিয়েছেন। এখানে প্রায় ৭৫ জন সিনিয়র ডাক্তার গণইস্তফা (Mass resignation) দিয়েছিলেন। আবার মঙ্গলবার আরজি কর হাসপাতালের প্রায় ৫০ জন সিনিয়র ডাক্তার গণইস্তফা দিয়েছিলেন। এইভাবেই একাধিক জেলা হাসপাতালেও এই ইস্তফা ছড়িয়ে পড়েছে। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল হাসপাতালে মোট ৫০ জন জুনিয়র ডাক্তার নিজেরা জুনিয়রদের পাশে দাঁড়িয়ে গণইস্তফা দিয়েছেন। উৎসবমুখর দুর্গাপুজোতে আরজি কর হাসপাতলের চিকিৎসক-তরুণীকে ধর্ষণ করে হত্যাকাণ্ডের (RG Kar Case) ন্যায় বিচারের আন্দোলন থেমে নেই। সপ্তমীর দিন কলেজ স্ট্রিটে পুলিশকে ঘিরে বিরাট বিক্ষোভ হয়। কলেজ স্কোয়ার পুজো মণ্ডপের সামনেই আন্দোলনকারীরা জমায়েত করে সুবিচারের দাবিতে বিক্ষোভ দেখান।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Incident: সরকারের সঙ্গে বৈঠক ব্যর্থ, আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে অনশন জারি জুনিয়র ডাক্তারদের

    RG Kar Incident: সরকারের সঙ্গে বৈঠক ব্যর্থ, আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে অনশন জারি জুনিয়র ডাক্তারদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সপ্তমীর সকাল থেকে আন্দোলন আরও জোরদার করার কথা জানালেন জুনিয়র ডাক্তাররা (RG Kar Incident)। তাঁদের অন্যতম দাবি, স্বাস্থ্য সচিবকে পদত্যাগ করতে হবে। স্বাস্থ্য ভবনের বৈঠক থেকে কোনও সমাধান সূত্র মেলেনি, তাই তাঁদের আমরণ অনশন চলবে। অন্যদিকে, পুজোর শহরে ষষ্ঠীর সন্ধ্যায় মণ্ডপে গিয়ে বিচারের দাবি তুলে প্রতীকী প্রতিবাদ জানানোর জন্য ৯জনকে আটক করে পুলিশ। এ নিয়ে লালবাজার অভিযান করেন জুনিয়র ডাক্তাররা (Doctor’s Protest)।

    খারাপ হচ্ছে ডাক্তারদের শরীর

    স্বাস্থ্য ভবনে জুনিয়র চিকিৎসকদের (RG Kar Incident) সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যসচিব। সেই বৈঠক শেষ করে ধর্মতলার অনশন মঞ্চে ফিরে সরকারের বিরুদ্ধে কার্যত ক্ষোভ উগরে দেন জুনিয়র ডাক্তাররা। আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের অভিযোগ, তাঁদের দাবিগুলি মেনে নিতে খুব বেশি সময় লাগার কথা নয়। তবে সরকারের কোনও সদিচ্ছা নেই, তাই তাঁরাও অনশন চালাবে। অনশনের ১০৯ ঘণ্টা পেরিয়ে যাওয়ার ফলে ক্রমেই দুর্বল হতে শুরু করেছে ডাক্তারদের শরীর। ইতিমধ্যেই ডাক্তার (Doctor’s Protest) অনুষ্টুপকে হুইল চেয়ারে নিয়ে যেতে হয়েছে। ডাক্তার তনয়া ও সায়ন্তনীর শরীরও ক্রমেই দুর্বল হয়ে পড়ছে।

    আরও পড়ুন: এক যুগের অবসান! রতন টাটার প্রয়াণে শোক বার্তা সচিন, সলমন, রোহিত-নীরজদের 

    পুজো মণ্ডপে প্রতিবাদ তাই গ্রেফতার

    অন্যদিকে, বুধবার ‘অভয়া পরিক্রমা’ কর্মসূচি ছিল জুনিয়র ডাক্তারদের (RG Kar Incident)। কর্মসূচি হল— মিনিডোরে করে আরজি কর এবং জয়নগরের নির্যাতিতার ‘প্রতীকী মূর্তি’ নিয়ে পুজোমণ্ডপে ঘুরবেন তাঁরা। সেই কর্মসূচি পালন করতেই ত্রিধারা সম্মিলনীর মণ্ডপে গিয়েছিলেন আন্দোলনকারী চিকিৎসকেরা (Doctor’s Protest)। ঘটনাচক্রে, ওই পুজো তৃণমূল বিধায়ক দেবাশিস কুমারের বলেই পরিচিত। অভিযোগ, সেখানে গিয়ে ‘বিচার চাই’ স্লোগান তোলেন তাঁরা। সেই অভিযোগেই তাঁদের আটক করে লালবাজারের পথে রওনা দেয় পুলিশ। খবর পেয়ে ধর্মতলা থেকে লালবাজারের উদ্দেশে রওনা দেন আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের একটি দল। যোগ দেন বেশ কয়েক জন সাধারণ মানুষও। তাঁদের আটকাতে ঘিরে ফেলা হয় লালবাজার। বেন্টিঙ্ক স্ট্রিটে বসানো হয় ব্যারিকেড। সপ্তমীর সকালেও লালবাজারের অদূরে বেন্টিঙ্ক স্ট্রিটে অবস্থানে বসে থাকেন বেশ কয়েক জন আন্দোলনকারী। তাঁদের দাবি, পুজো মণ্ডপে ‘বিচার চাই’ স্লোগান দিয়ে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়া ন’জনকে অবিলম্বে ছাড়তে হবে। আটক ন’জনকে ছাড়া না-হলে অবস্থান চালিয়ে যাবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ওই আন্দোলনকারীরা। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar: জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে অনশনে বেথুনের প্রাক্তনীরা, মুখ্যসচিবকে চিঠি নাগরিক সমাজের

    RG Kar: জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে অনশনে বেথুনের প্রাক্তনীরা, মুখ্যসচিবকে চিঠি নাগরিক সমাজের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি যথার্থ, অবিলম্বে তার সুরাহা প্রয়োজন। এই দাবি জানিয়ে ইতিমধ্যে আরজি কর (RG Kar), কলকাতা মেডিক্যাল এবং উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের সিনিয়র ডাক্তাররা গণ-ইস্তফা দিয়েছেন। এবার সেই দাবিকে সমর্থন জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মুখ্যসচিব মনোজ পন্থকে এ বিষয়ে অবিলম্বে পদক্ষেপের অনুরোধ জানিয়ে ইমেল করলেন নাগরিক সমাজের একাংশ। পাশাপাশি বেথুনের প্রাক্তনীরা একদিনের প্রতীকী অনশন করলেন।

    কী বার্তা দেওয়া হয়েছে? (RG Kar)

    ৭৫ জনের বেশি মানুষের স্বাক্ষর-সহ ওই চিঠি বুধবার সকালে ইমেল (RG Kar) করা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী এবং মুখ্যসচিবকে। ইমেলে স্বাক্ষর রয়েছে বিনায়ক সেন, গৌতম ভদ্র, মৌসুমী ভৌমিক, বিভাস চক্রবর্তী, সমাজকর্মী মিরাতুন নাহার, বোলান গঙ্গোপাধ্যায়, চলচ্চিত্র শিল্পী দেবলীনা, ঋদ্ধি সেন, কৌশিক সেন, রেশমি সেন, নাট্যকার রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্ত, অধ্যাপক ঋত্বিকা বিশ্বাস, মইদুল ইসলামসহ শিক্ষা, চলচ্চিত্র, চিকিৎসা, আইন ক্ষেত্রের বিশিষ্টজনদেরও। ইমেল বার্তায় বলা হয়েছে, “আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে বিচার, হাসপাতালগুলিতে নিরাপত্তা, সুষ্ঠু পরিকাঠামোর দাবিতে গত ৯ অগাস্ট থেকে জুনিয়র ডাক্তারেরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। বৃহত্তর নাগরিক সমাজ একই দাবিতে মুখর।” একইসঙ্গে বলা হয়েছে, “আরজি করের ঘটনার পরেও নানা জায়গায় যৌন নিগ্রহ, হেনস্থার ঘটনায় সংশ্লিষ্ট এলাকার পুলিশ-প্রশাসনের খামতি (যেমন জয়নগর) এবং কোথাও কোথাও পুলিশই তেমন নিগ্রহে অভিযুক্ত হওয়ায় (পার্ক স্ট্রিট থানার ঘটনা) সার্বিক ভাবে নিরাপত্তাহীনতার বোধ তৈরি হয়েছে। তাই জুনিয়র ডাক্তারেরা বাধ্য হয়েই আমরণ অনশন শুরু করেছেন।” ইমেলের বয়ান অনুযায়ী নাগরিক সমাজের একাংশে বক্তব্য, “আমরা মনে করি, ডাক্তারদের দাবি এবং অভিযোগগুলি একেবারেই যথার্থ এবং অনতিবিলম্বে সেগুলির সুরাহা হওয়া একান্তই প্রয়োজন। সরকার যে প্রতিশ্রুতিগুলি দিয়েছিল, সেগুলির ভিত্তিতে কী কী পদক্ষেপ করা হয়েছে, সেই সংক্রান্ত অগ্রগতি কোন পর্যায়ে রয়েছে, তা জানাতে অবিলম্বে তাঁদের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী এবং মুখ্যসচিব আলোচনায় বসা প্রয়োজন।”

    আরও পড়ুন: “বাংলায় আমরা সরকার গঠন করব”, দৃঢ়প্রতিজ্ঞ শুভেন্দু বলে দিলেন কৌশলও

    অনশনে বেথুনের প্রাক্তনীরা

    বুধবার জুনিয়র ডাক্তারদের (RG Kar) পাশে দাঁড়িয়ে ১২ ঘণ্টার প্রতীকী অনশনে (Agitation) বসলেন বেথুন কলেজের প্রাক্তনীরা। কারও বয়স ৭০, কারও বয়স ৮৩, কেউ আবার ৪৫। বেথুনের নানা বয়সের প্রাক্তনী এই কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছেন। বাকিদেরও পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন তাঁরা। বেথুন কলেজের সামনে ফুটপাথে চেয়ার পেতে বসে পড়েছেন প্রাক্তনীরা। অনশনে অংশগ্রহণকারী এক বৃদ্ধা বলেন, “আমার বয়স ৮৩ বছর। এই বয়সেও আমি বিবেকের টানে এখানে আসতে বাধ্য হয়েছি। আমি বেথুন কলেজ থেকে ১৯৬০ সালে পাশ করে বেরিয়েছি। তার পর ওই কলেজেই শিক্ষকতা করেছি অনেক বছর। জুনিয়র ডাক্তারেরা আমরণ অনশন করছেন। আমাদের পক্ষে যতটা সম্ভব, আমরা করছি। এ ভাবে পাশে থাকার বার্তা দিতে চাই।” আর এক অনশনকারী বলেন, “আমার বয়স ৭০। আমি ধর্মতলায় জুনিয়র ডাক্তারদের অনশন মঞ্চে গিয়েছিলেন। ওদের অবস্থা চোখে দেখা যাচ্ছে না ভাবে প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে ওরা আন্দোলন করছে। আমরাও বিবেকের তাড়না অনুভব করেছি।” অনশনে অংশ নিয়েছেন বেথুন কলেজের প্রাক্তন শিক্ষিকা, প্রধান শিক্ষিকারাও। তাঁরা অন্যান্য স্কুলগুলির প্রাক্তনী এবং সাধারণ মানুষকেও এই প্রতীকী অনশনে যোগ দিতে আহ্বান জানিয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Senior Doctor: ছড়াচ্ছে জেলায়! কলকাতা ও উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের সিনিয়র ডাক্তাররাও দিলেন গণ-ইস্তফা

    Senior Doctor: ছড়াচ্ছে জেলায়! কলকাতা ও উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের সিনিয়র ডাক্তাররাও দিলেন গণ-ইস্তফা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনে সংহতির বার্তা দিতে ‘গণ ইস্তফা’র হুঙ্কার আরজি করের বাইরেও ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে সিনিয়র ডাক্তারদের (Senior Doctor) মধ্যে। প্রথম শুরু হয়েছিল আরজি কর থেকে। এবার তা ছড়িয়ে পড়ল কলকাতা মেডিক্যালের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালেও। এদিন দুপুরে কলকাতা মেডিক্যালের সিনিয়র ডাক্তাররাও গণ ইস্তফা দিলেন। মঙ্গলবার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে একইভাবে ৪০ জনেরও বেশি ডাক্তার ইস্তফা দিয়েছেন।

    কলকাতা মেডিক্যালে গণ-ইস্তফা (Senior Doctor)

    কলকাতা মেডিক্যালের সিনিয়র ডাক্তারদের (Senior Doctor) অভিযোগ, ২৪ ঘণ্টার সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হলেও রাজ্য সরকারের তরফে কোনও ইতিবাচক সাড়া মেলেনি। তাই বাধ্য হয়েই ‘গণ ইস্তফা’ দিচ্ছেন। বুধবার দুপুর ১টা নাগাদ সাদা কাগজে স্বাক্ষর করে ‘গণ ইস্তফা’ দেন বেশ কয়েকজন সিনিয়র চিকিৎসক। স্লোগান ওঠে ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’। পর পর দু’দিন শহরের দুই মেডিক্যাল কলেজের সিনিয়র ডাক্তাররা ‘গণ ইস্তফা’ দেওয়ায় নবান্নের ওপর চাপ বাড়ল বলে মনে করা হচ্ছে। 

    আরও পড়ুন: “বাংলায় আমরা সরকার গঠন করব”, দৃঢ়প্রতিজ্ঞ শুভেন্দু বলে দিলেন কৌশলও

     উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে গণ -ইস্তফা?

    আরজি করকাণ্ডের সঠিক বিচার ও মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালগুলিতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তাসহ একগুচ্ছ দাবিতে জুনিয়র ডাক্তাররা দু’মাস ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। তাতেও রাজ্য সরকারের তরফে সাড়া মেলেনি। সেই দাবি পূরণের জন্য জুনিয়র ডাক্তাররা অনির্দিষ্টকালের জন্য অনশনে বসেছেন। কলকাতার পাশাপাশি উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে দুই জুনিয়র ডাক্তার অনির্দিষ্টকালের জন্য অনশনে বসেন। বুধবার সকালে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের  ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বিদ্যুৎ গোস্বামীর হাতে প্রথম পর্বে ৩০ জন সিনিয়র ডাক্তার গণ ইস্তাফাপত্র তুলে দেন। ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডাক্তার ফোরামের অন্যতম সদস্য উৎপল  বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “অনশনে যে জুনিয়র ডাক্তাররা বসেছেন, তাঁদের শারীরিক অবস্থার ক্রমশ অবনতি ঘটছে। তাঁদের জীবন বাঁচাতে এবং রাজ্য সরকার নমনীয় হয়ে যাতে জুনিয়র ডাক্তারদের ন্যায্য দাবি পূরণ করে, তার বার্তা দিতে এই গণ ইস্তাফা (Senior Doctor) দিয়েছি।” উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের প্রধান অরুণাভ সরকার বলেন, “রাজ্য সরকারের কোনও হেলদোল নেই। অপরাধ ও অপরাধীদের আড়াল করতে বেশি ব্যস্ত রাজ্য সরকার। অনশনে বসা জুনিয়র ডাক্তারদের জীবনের কথা কেন ভাবছে না সরকার? এতেই বোঝা যায় আরজি করকাণ্ডকে রাজ্য সরকার ধামাচাপা দিতে চাইছে। “

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja: দুর্গাপুজোর কার্নিভালেও আরজি করের প্রতিবাদ? যোগদানই করতে চান না উদ্যোক্তারা

    Durga Puja: দুর্গাপুজোর কার্নিভালেও আরজি করের প্রতিবাদ? যোগদানই করতে চান না উদ্যোক্তারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুজোর প্রস্তুতি বৈঠকে দু’-একটি ছাড়া বেশিরভাগ ক্লাব দুর্গাপুজোর (Durga Puja) কার্নিভালে যোগ দেবে বলে আশ্বাস দিয়েছিল। কিন্তু, দিন এগিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে কপালের ভাঁজ চওড়া হচ্ছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা প্রশাসনের। কার্নিভালে (Carnival) যোগদানের জন্য ক্লাব খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। গত বছর যোগদান করেছিল ১৪টি ক্লাব। আর এক সপ্তাহ বাকি নেই অনুষ্ঠানের। এবার অর্ধেকও যোগদানের সদিচ্ছা দেখায়নি। প্রশাসনের তরফে ক্লাবগুলির সঙ্গে কথাবার্তা চলছে বলে দাবি করা হয়েছে।

    আরজি কর-কাণ্ডের প্রভাব কি কার্নিভালে পড়েছে? (Durga Puja)

    আরজি কর-কাণ্ডের প্রভাব কি এবার তাহলে দক্ষিণ দিনাজপুরের কার্নিভালে পড়েছে? প্রতিবাদের জন্যই কি ক্লাবগুলি যোগদান করতে চাইছে না? এই প্রশ্ন জেলায় কার্নিভালের মাত্র কয়েক দিন আগে উঠেছে। বালুরঘাটে ওই অনুষ্ঠানের জন্য এখনও পর্যন্ত অল্প কয়েকটি ক্লাব আসবে বলে জানিয়েছে। কয়েকটি ক্লাব দোটানায়। বাকিরা নানা কারণ দেখিয়ে পিছিয়ে গিয়েছে। যদিও, এগুলির পিছনে আরজি করের কোনও প্রতিবাদ নেই বলেই দাবি করছে ক্লাবগুলি। বালুরঘাটের অভিযাত্রী ক্লাব কার্নিভালে থাকছে না। ক্লাব সম্পাদক সুমিত চক্রবর্তী বলেন, “এ’ বছর দশমীতে শহরে বড় শোভাযাত্রা (Durga Puja) এবং ভাসান করব। তাই কার্নিভালে যাওয়া সম্ভব নয়। সাম্প্রতিক ঘটনার সঙ্গে এটা সম্পর্কিত নয়।” পাশাপাশি, বালুরঘাট সংকেত ক্লাবের কার্যকরী সভাপতি নিলয় ভাদুড়ী বলেন, “আমরা কী করব, সেই ব্যাপারে এখনও সিদ্ধান্ত নিইনি।” জেলা প্রশাসনের তরফে কয়েকটি ক্লাব কর্তৃপক্ষকে বারবার ফোন করে অনুরোধও করতে হচ্ছে, ‘কার্নিভালে আসুন’ বলে।

    আরও পড়ুন: “শোকের পুজো কাটাতে ধর্নায় বসেছি”, বললেন আরজি করকাণ্ডে নির্যাতিতার মা

    জেলা প্রশাসনের কী বক্তব্য?

    এই বিষয়ে জেলাশাসক বিজিন কৃষ্ণ বলেন, “কী কারণ জানি না। তবে ক্লাবগুলির সঙ্গে কথাবার্তা চলছে। আশা করছি, আরও কয়েকটি ক্লাব যোগদান করবে।” প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, “বিদ্যুতের বেশিরভাগটাই ছাড়। ৮৫ হাজার টাকার অনুদানের পরেও, একাধিক ক্লাব রক্তদানের মতো সামাজিক কাজ এবং কার্নিভালে উপস্থিত থাকতে চাইছে না। ক্লাবগুলির তরফে অবশ্য বলা হয়েছে, বালুরঘাটে দশমীর দিন ভাসানের (Durga Puja) ঐতিহ্য পুরনো। তা ভেঙে দু’-এক বছর কার্নিভালে যোগদানের উৎসাহ ছিল। কিন্তু, বছর বছর ওই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বাড়তি ৩০-৪০ হাজার টাকা খরচ। বাড়তি টাকা খরচ করতে চাইছে না পুজো উদ্যোক্তারা।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “বাংলায় আমরা সরকার গঠন করব”, দৃঢ়প্রতিজ্ঞ শুভেন্দু বলে দিলেন কৌশলও

    Suvendu Adhikari: “বাংলায় আমরা সরকার গঠন করব”, দৃঢ়প্রতিজ্ঞ শুভেন্দু বলে দিলেন কৌশলও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলায় বিজেপি সরকার গঠন করবে। মঙ্গলবার সন্দেশখালিতে একটি দুর্গামণ্ডপে (Durga Puja) গিয়ে এই মন্তব্য করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। একই সঙ্গে আরজি করকাণ্ড থেকে জয়নগরে নাবালিকাকে খুনের ঘটনা নিয়ে তৃণমূল সরকারকে তুলোধনা করেন তিনি।

    নতুন সরকার গঠনের কী কৌশল বললেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)?

    বাংলায় বিজেপির সরকার গঠন কীভাবে হবে, তাও বললেন শুভেন্দু। বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, “বাংলায় ৭০ ভাগ হিন্দু। আরও তাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। বাংলাতে আমরা ঐক্যবদ্ধ হব। আমরা একটা সরকার গড়ব, যে সরকার সুশাসন দেবে, সুরক্ষা দেবে। আমাদের কোনও ধর্মের প্রতি বিতৃষ্ণা নেই। কারও বিরোধিতা নেই।” জয়নগরের নাবালিকাকে খুনের ঘটনা নিয়ে তিনি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রাক্তন না করা পর্যন্ত আমাদের কোনও দিদি, বোন, কেউ সুরক্ষিত নয়। সব জায়গায় অভিযুক্তরা তৃণমূলের লোক।”জুনিয়র ডাক্তারদের অনশন মঞ্চে বায়ো টয়লেট বসানো নিয়ে পুলিশের সঙ্গে টানাপোড়েন চলে আন্দোলনকারীদের। এই নিয়ে প্রশ্নের জবাবে শুভেন্দু বলেন, “জ্যোতিবাবুর আমলে সিপিএম যা করেছিল, এখন তৃণমূল একই কাজ করছে। সিপিএম ও তৃণমূল এক। কয়েনের এপিঠ আর ওপিঠ।”

    আরও পড়ুন: ধর্ষণ করে খুন মাত্র ২৮ মিনিটে! সঞ্জয়ের সেদিনের বিশদ গতিবিধি সিবিআইয়ের চার্জশিটে

    সিবিআইয়ের চার্জশিট নিয়ে মুখ খুললেন শুভেন্দু

    আরজি করকাণ্ডে সিবিআইয়ের চার্জশিটে ধৃত সিভিক ভলান্টিয়রকে ধর্ষণ ও খুনে জড়িত বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এই নিয়ে প্রশ্নের জবাবে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “তিনটে পার্টে সিবিআই কাজ করছে। ধর্ষণ ও খুন, প্রমাণ লোপাট ও আরজি করের আর্থিক দুর্নীতি। ৬০ দিনের মধ্যে প্রাথমিক চার্জশিট না দিলে ধৃত জামিন পেয়ে যেত। এরপর সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট দেবে।” সিবিআইয়ের প্রশংসা করে তিনি বলেন, “ধর্ষণের প্রমাণ লোপাট করার ঘটনায় সিবিআইয়ের হাতে তদন্তভার তুলে দেওয়া হয়েছে। সিবিআই ভালো কাজ করছে। আমরা তাদের ওপর ভরসা রাখছি। তথ্যপ্রমাণ লোপাট ও ধর্ষকদের বাঁচানোর চেষ্টা হয়েছে। এর বিরুদ্ধে সিবিআই যেন কড়া ব্যবস্থা নেয়, এটাই আমাদের দাবি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar: “শোকের পুজো কাটাতে ধর্নায় বসেছি”, বললেন আরজি করকাণ্ডে নির্যাতিতার মা

    RG Kar: “শোকের পুজো কাটাতে ধর্নায় বসেছি”, বললেন আরজি করকাণ্ডে নির্যাতিতার মা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতি বছর এই সময় দুর্গাপুজো (Durga Puja) হত আরজি করকাণ্ডের (RG Kar) নির্যাতিতার বাড়িতে। নির্যাতিতা নিজে উদ্যোগী হয়ে সেই পুজোর আয়োজন করতেন। এবছরও তাঁর পুজোকে ঘিরে নানা পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু, সব শেষ। এ বছর পুরো বাড়ি জুড়ে অন্ধকার। নির্যাতিতার মা-বাবা তাঁদের আত্মীয়-স্বজন প্রত্যেকেই শোকে বিহ্বল। পরিবারের তরফে শোনা গিয়েছিল, ষষ্ঠী থেকে চারদিন ধর্নায় বসবেন তাঁরা। সুবিচারের দাবিতে এক বুক হাহাকার নিয়ে পঞ্চমীর সন্ধ্যাতেই বাড়ির সামনে মঞ্চে ধর্নায় বসল পরিবার।

    শোকের পুজো কাটাতে ধর্নায় বসেছি (RG Kar)

    সাদা-কালো কাপড় দিয়ে তৈরি মঞ্চের গায়ে ঝুলছে একটি ব্যানার। তাতে লেখা, ‘স্মৃতিভারে মোরা পড়ে আছি, ভারমুক্ত, সে এখানে নেই-শোকসন্তপ্ত পরিবারবর্গ।’ সন্ধ্যায় মোমবাতি জ্বালিয়ে মেয়েকে স্মরণ করতে গিয়ে চোখে জল বাবা-মায়ের। তাঁরা বলেন, “মেয়ের উদ্যোগেই বাড়িতে দুর্গাপুজো হত। আর হয়তো কখনও পুজো করব না বাড়িতে। কিন্তু, উৎসবের এই ক’টা দিন বাড়িতে থাকতেই দমবন্ধ লাগছে আমাদের। মেয়ের কথা, পুজোর দিনে মেয়ের ব্যস্ততার স্মৃতি ঘুরেফিরে আসছে মনে।” নির্যাতিতার (RG Kar) বাবা ধর্না প্রসঙ্গে বলেন, “এটা কোনও কর্মসূচি নয়। আসলে মনের ব্যথা নিয়ে এখানে এসে বসেছি। অন্যান্য বছর তো এদিনে (পঞ্চমী) ঠাকুর আসত বাড়িতে। এবার সব শেষ। বিচারের জন্য আমরা চেয়ে আছি।”মৃতার মা বললেন, “আমরা তো সব হারিয়ে ফেলেছি। আর কিছুই হারানোর নেই। পুজোর দিন বাড়িতে গমগম করত লোক। এবার বাড়িতে থাকতেই পারছি না। তাই এখানে শোকের পুজো কাটাতে ধর্নায় বসেছি।”

    আরও পড়ুন: ধর্ষণ করে খুন মাত্র ২৮ মিনিটে! সঞ্জয়ের সেদিনের বিশদ গতিবিধি সিবিআইয়ের চার্জশিটে

    সিবিআই তদন্তে আস্থা

    গত ৯ অগস্ট আরজি কর (RG Kar) মেডিক্যাল কলেজের ভয়ঙ্কর ঘটনা এক লহমায় বদলে দিয়েছে ওই চিকিৎসকের বাবা-মায়ের জীবন। মেয়ের ধর্ষণ এবং খুনের বিচার চেয়ে রাজপথে হেঁটেছেন বাবা-মা। কলকাতার ধর্মতলায় যখন বিচারের দাবিতে জুনিয়র ডাক্তারেরা আমরণ অনশনে বসেছেন, তখন নিজেদের বাড়ির সামনে মঞ্চ করে ধর্নায় বসলেন প্রৌঢ় দম্পতি। তাঁরা জানালেন, চাইলে যে কেউ ওই ধর্নামঞ্চে আসতে পারেন। তবে মঞ্চে থাকবেন শুধু আত্মীয়েরা। মঙ্গলবার সন্ধ্যাতেই ধর্নামঞ্চ ঘুরে গিয়েছেন বিজেপি নেতা সজল ঘোষ এবং কৌস্তভ বাগচী। আরজি কর-কাণ্ডে প্রথম চার্জশিট পেশ করেছে সিবিআই। সেখানে মূল অভিযুক্ত হিসেবে নাম রয়েছে ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ারের। মৃতা চিকিৎসকের বাবা-মা জানাচ্ছেন, সিবিআইয়ের তদন্তে তাঁরা আস্থাশীল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar: ধর্ষণ করে খুন মাত্র ২৮ মিনিটে! সঞ্জয়ের সেদিনের বিশদ গতিবিধি সিবিআইয়ের চার্জশিটে

    RG Kar: ধর্ষণ করে খুন মাত্র ২৮ মিনিটে! সঞ্জয়ের সেদিনের বিশদ গতিবিধি সিবিআইয়ের চার্জশিটে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর-কাণ্ডের (RG Kar) দিন ধৃত সঞ্জয় রায়ের গতিবিধির সমস্তটাই ধরা পড়ল সিবিআইয়ের চার্জশিটে। মঙ্গলবারই নিম্ন আদালতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা আরজি কর-কাণ্ডে ৪৫ পাতার চার্জশিট জমা দিয়েছে। সেখানেই উল্লেখ রয়েছে, মাত্র ২৮ মিনিটের মধ্যে গোটা কাণ্ড ঘটায় সঞ্জয়। গত ৯ অগাস্ট ভোর ৪ টে ০৩ মিনিট থেকে ভোর ৪ টে ৩১ মিনিট—এই ২৮ মিনিটে ওই ঘটনা ঘটায় ধৃত সিভিক। ৮ অগাস্ট দুপুর থেকে সঞ্জয়ের গতিবিধির প্রতিটি মুহূর্তের বিবরণ রয়েছে চার্জশিটে। সিবিআইয়ের দেওয়া চার্জশিটে (CBI) কোনওভাবেই নির্যাতিতার নাম উল্লেখ করা হয়নি, তাঁকে ভিকটিম (V) বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে সর্বত্রই ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ারের নাম উল্লেখ রয়েছে।

    ৮ অগাস্ট দুপুরে কোথায় কোথায় গিয়েছিল সঞ্জয়?

    সিবিআইয়ের চার্জশিট (RG Kar) অনুযায়ী সঞ্জয় রায়ের গতিবিধির ১৬ ঘণ্টা ধরে বর্ণনা রয়েছে। ঘটনার দিন দুপুরে অর্থাৎ ৮ অগাস্ট কলকাতা পুলিশের ৪ নম্বর ব্যাটালিয়ানের ব্যারাক থেকে সঞ্জয় বের হয়েছিল। সঙ্গে থাকা আর এক সিভিক ভলান্টিয়ারের এক আত্মীয় ভর্তি ছিল আরজি করে। তাঁকেই দেখতে গিয়েছিল সঞ্জয় এবং তার বন্ধু। এরপরে তারা দুপুর ২ টো ৪৫ নাগাদ পৌঁছায় এলাহাবাদ ব্যাঙ্কের শোভাবাজার শাখায়। এক এএসআইয়ের নগদ টাকা জমা দিতে গিয়েছিল তারা। চার্জশিটে সিবিআই (CBI) জানিয়েছে, ব্যাঙ্ক বন্ধ হয়ে যাওয়াতে সঞ্জয় সেই টাকা জমা দিতে পারেনি। ব্যাঙ্কে কাজ না হওয়ায় দুজনে মিলে মদ কেনে। তারপর সঞ্জয় চলে যায় আরজি করে। অন্য সিভিক ফিরে যায় ব্যারাকে।

    ৮ অগাস্ট রাতে সঞ্জয় যায় যৌনপল্লিতে

    চার্জশিটে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা জানিয়েছে, (RG Kar) ৮ অগাস্ট রাত ১০টা ৪৫ নাগাদ সঞ্জয়ের অনুরোধে ব্যারাক থেকে তার বন্ধু সিভিকটি ফের পৌঁছায়  আরজি করে। এরপরে তারা দুজন মিলে হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে রাতের খাবার ও মদ কেনে। এরপর চেতলার একটি যৌনপল্লিতে যায় তারা। নিজেদের চার্জশিটে সিবিআই লিখছে, ওই যৌনপল্লির একটি বাড়িতে ঢোকে সঞ্জয় রায় ও তার বন্ধু। তবে আরজি করের ধর্ষণ-খুনে অভিযুক্ত সঞ্জয় কোনও যৌনকর্মীর সঙ্গে ঘরে ঢোকেনি। শুধু বিয়ার খেয়েছিল বলে উল্লেখ করা হয়েছে চার্জশিটে। কিন্তু সঞ্জয়ের বন্ধু এক যৌনকর্মীর সঙ্গে ঘরে ঢুকে ছিল বলেই জানা গিয়েছে।

    ভোরে সঞ্জয়কে আরজি করে (RG Kar) ছেড়ে দেয় তার বন্ধু

    চেতলার ওই যৌনপল্লি থেকে বের হয়ে দুই সিভিক ভলান্টিয়ার ৯ অগাস্ট ভোর তিনটে কুড়ি নাগাদ আরজি করে পৌঁছায়। সিবিআই চার্জশিট অনুযায়ী দেখা যাচ্ছে সঞ্জয়কে আরজি করে নামিয়ে দিয়ে চলে যায় তার বন্ধু। সঞ্জয় ট্রমা কেয়ার সেন্টারের দোতলায় সোজা উঠে যায়। জনৈক শুভ দে-র অস্ত্রোপচারের বিষয়ে খোঁজ নিতে যায়, তবে কাউকে দেখতে পায়নি সে। তার পরে সে চলে যায় ইমার্জেন্সি বিল্ডিংয়ের পাঁচতলায়। সেখান থেকে নেমে আসে চারতলায়। ভোর ৪টে ৩ মিনিটে চেস্ট মেডিসিনের সেমিনার রুমে ঢোকে ওই সিভিক ভলান্টিয়ার। সেখানেই একা শুয়েছিলেন ওই চিকিৎসক। ধর্ষণ এবং খুনের পরে ভোর ৪ টে ৩১ মিনিটে সেমিনার রুম থেকে বেরিয়ে যায় অভিযুক্ত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja: মা দুর্গা এখানে জাগ্রত বলে পরিচিত! ১৯৩ বছরে পড়ল হরিরামপুর ঠাকুরবাড়ির দুর্গোৎসব

    Durga Puja: মা দুর্গা এখানে জাগ্রত বলে পরিচিত! ১৯৩ বছরে পড়ল হরিরামপুর ঠাকুরবাড়ির দুর্গোৎসব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ থেকে ১৯৩ বছর আগের কথা। দেশে তখন ইংরেজ শাসন। ব্রিটিশ ভারতের রাজধানী কলকাতা থেকে কয়েকশো কিলোমিটার দূরে তৎকালীন দিনাজপুর জেলার বর্ধিষ্ণু জনপদ ছিল হরিরামপুর। এই গ্রামের আশপাশের তিরিশ থেকে চল্লিশটি গ্রামে কোনও দুর্গাপুজো (Durga Puja) তখন হত না। বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসবে মেতে ওঠার আনন্দ থেকে বঞ্চিত থাকতে হত আট থেকে আশি সকলকেই। গ্রামের একমাত্র ব্রাহ্মণ পরিবার হিসেবে সকলেই এক ডাকে চিনত চক্রবর্তী বাড়িকে। সেসময় বাড়ির কর্তা ছিলেন মধুসূদন চক্রবর্তী। তিনি ভাবলেন, ‘‘মাতৃ-আরাধনা থেকে এত বিপুল সংখ্যক ভক্ত বঞ্চিত হবেন!’’ তাঁরই উদ্যোগে ঊনবিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে শুরু হল হরিরামপুর (Harirampur) ঠাকুর বাড়ির দুর্গাপুজো (Durga Puja)। আজও চলছে সমানভাবে-সমানতালে। মাঝে কখনও বন্ধ হয়নি এই পুজো। আর মাত্র ৭টি বছর, তারপরেই পুজোর বয়স ডাবল সেঞ্চুরি করবে।

    কী বলছেন পরিবারের সদস্য গৌতম চক্রবর্তী? 

    মধুসূদন চক্রবর্তীর প্রতিষ্ঠিত এই পুজোর দায়িত্ব সামলেছেন একে একে কার্তিক চক্রবর্তী, প্রাণেশ চক্রবর্তী, উত্তম চক্রবর্তীরা। এঁরা প্রত্যকেই এখন পরলোকগত। বর্তমানে পুজো (Durga Puja) দেখভাল করেন গৌতম চক্রবর্তী। তিনিই জানালেন পুজোর খুঁটিনাটি নানা বিষয়। জানা গেল, প্রথমদিকে আশেপাশের সমস্ত গ্রাম থেকেই মানুষরা সামিল হতেন এই পুজোয়। আশেপাশের গ্রামের মানুষজন হরিরামপুর ঠাকুর বাড়ির পুজোকে কেন্দ্র করেই মেতে উঠতেন উৎসবে। চলত একসঙ্গে খাওয়া-দাওয়া। পুজোকে কেন্দ্র করে নাচ-গানও হত। গৌতম বাবুর মতে, ‘‘ক্লাব হওয়ার পর থেকে বাড়ির পুজোকে কেন্দ্র করে পাড়া প্রতিবেশীদের সামিল হওয়ার প্রবণতা সর্বত্রই কমেছে। আমাদের এখানেও একই ছবি। তবে এখনও পরিবারের সদস্যদের (Harirampur) বাইরেও অনেকেই অংশগ্রহণ করেন হরিরামপুর ঠাকুর বাড়ির পুজোয়। তাঁরা ভোগ অর্পণ, পুজোর আয়োজন থেকে বিসর্জন-এসকল কাজে নানাভাবে সাহায্য করেন।’’

    পুজোকে (Durga Puja) কেন্দ্র করে একসময় চণ্ডীমঙ্গলের গান বিপুল জনপ্রিয় ছিল

    এলাকায় জাগ্রত দেবী বলে পরিচিত হরিরামপুর ঠাকুর বাড়ির পুজোয় অনেকে মানতও করেন। ভক্তদের বিশ্বাস, দেবী সকলের ইচ্ছা পূরণ করেন। গৌতমবাবুর ভাষায়, ‘‘মানত পূরণ হওয়ার পরে অনেকেই দেবীকে সোনা-রূপা দান করেন। পরে এগুলি দিয়েই মায়ের অলঙ্কার তৈরি হয়।’’ গৌতমবাবুর আরও জানালেন, একসময় দুর্গাপুজো উপলক্ষে চণ্ডীমঙ্গলের গান হত এখানে। সেই গান বিপুল জনপ্রিয় ছিল। আশেপাশের প্রচুর গ্রামের মানুষ চণ্ডীমঙ্গলের গান শুনতে জড়ো হতেন ঠাকুরবাড়ির পুজো প্রাঙ্গণে। সপ্তমী থেকে নবমী পর্যন্ত চলত এই গান। তবে নব্বইয়ের দশকের পর চণ্ডীমঙ্গলের গান বন্ধ হয়ে যায়। সপ্তমী থেকে দশমী পর্যন্ত মাতৃ-আরাধনার পরে দশমীর রাতে ঠাকুরবাড়ির পুকুরেই দেবীকে বিসর্জন দেওয়া হয়। দুর্গাপুজোর (Durga Puja) সঙ্গে কালীপুজোর রীতিও দেখা যায় এখানে। দুর্গাপ্রতিমার পাশেই থাকে কালীমূর্তি। সবশেষে গৌতম বাবু বললেন, ‘‘পারিবারিক ঐতিহ্য হিসেবে ১৯৩ বছর ধরে হয়ে আসছে এই পুজো। মাঝে কখনও বন্ধ হয়নি, আমরা যতদিন আছি পুজো চালিয়ে যাবে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jaynagar: এসডিপিও’কে ঘিরে বিক্ষোভ, ভাঙচুর করা হল পুলিশের গাড়ি, ফের উত্তপ্ত জয়নগর

    Jaynagar: এসডিপিও’কে ঘিরে বিক্ষোভ, ভাঙচুর করা হল পুলিশের গাড়ি, ফের উত্তপ্ত জয়নগর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছাত্রীকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার সকাল থেকে ফের অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে জয়নগরের  (Jaynagar) কুলতলি এলাকা। পরিস্থিতি সামাল দিতে এলাকায় গেলে পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করার অভিযোগ ওঠে গ্রামবাসীদের বিরুদ্ধে।  

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Jaynagar)

    সোমবার রাতে মৃতদেহের ময়নাতদন্ত হয়ে এলাকায় আসার পর মঙ্গলবার সকাল থেকে পুনরায় বিক্ষোভে নামেন এলাকাবাসীরা। পুলিশকে (Jaynagar) ঘিরে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা। দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas)  বারুইপুর পুলিশ জেলার এসডিপিও ঘটনাস্থলে গেলে পুলিশের গাড়ি ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখান এলাকাবাসীরা। এমনকী পুলিশের গাড়িও ভাঙচুর করা হয়। ঘটনার পর থেকেই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, সেই কারণেই পুলিশের গাড়ি আটকে বিক্ষোভ দেখান এলাকাবাসীরা। দোষীদের ফাঁসির দাবিতে সকাল থেকেই তেতে উঠেছিল গ্রাম। জায়গায় জায়গায় শুরু হয় অবরোধ। বিশাল পুলিশ বাহিনী এলাকায় পৌঁছতেই ঘিরে ফেলেন গ্রামবাসীরা। পুলিশের গাড়িতে হামলা চালায় জনতা। ব্যাপক ভাঙচুর করা হয় পুলিশের গাড়ি। ছিনিয়ে নেওয়া হয় চাবি। চটি হাতে তেড়ে যান গ্রামবাসীরা। এসডিপিও গাড়ি থেকে নেমে হেঁটেই গ্রামে ঢোকেন। সঙ্গে ছিলেন অন্যান্য পুলিশ আধিকারিকরাও। এসডিপিওকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বিক্ষোভকারীরা। এসব উত্তেজনার মধ্যেই আবারও গরানকাটিতে পুলিশের গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে। লাঠি, বাঁশ, লোহার রড নিয়ে হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। পুলিশের গাড়ির কাচ ভেঙে যায়। দক্ষিণ বারাসতের দিক থেকে এসডিপিও ঢুকতে গেলে তাঁর গাড়িতেও হামলা চালান গ্রামবাসীরা। গ্রামবাসীদের ক্ষোভের মুখে পিছু হটতে হয় পুলিশকে। এই ঘটনা ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে গোটা এলাকা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আরও বিশাল পুলিশ বাহিনী বারুইপুর পুলিশ জেলার পক্ষ থেকে এলাকায় পাঠানো হয় বলে জানা গিয়েছে।

    আরও পড়ুন: দুর্গাপুজোর আগে হিন্দুদের অধিকার রক্ষার জন্য বাংলাদেশকে বার্তা দিল যুক্তরাষ্ট্র

    বিক্ষোভকারীদের কী বক্তব্য?

    বিক্ষোভকারী গ্রামবাসী (Jaynagar) বলেন, “পুলিশের ওপর আমাদের কোনও রাগ নেই। আমরা সন্ত্রাসবাদীদের গ্রাম থেকে তাড়াতে চাই। পুলিশ আসলে সন্ত্রাসবাদীদের প্রোটেকশন দিচ্ছে। আমরা বলেছিলাম, গ্রামে গাড়ি ঢোকানো যাবে না। পুলিশ বলছে, আমাদের গাড়িতে রোগী আছে। তোমরা সরে যাও, না হলে গায়ের ওপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে দেব। তখনই আমাদের ছেলেরা ক্ষোভে  ফেটে পড়ে।”

    পুলিশ প্রশাসনের কী বক্তব্য?

    পুলিশের (Jaynagar) বক্তব্য, কোনও গ্রামবাসীর সঙ্গে কোনও ধরনের অভব্য আচরণ করা হয়নি। একজন লেডি কনস্টেবল অসুস্থ। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। পুলিশ আধিকারিককে গ্রামবাসীদের বলতে শোনা যায়, “যাঁরা গাড়ি ভেঙেছেন, তাঁদের আমাদের হাতে তুলে দাও। তোমাদের যা ক্ষোভ আছে, এখন কিন্তু আমার ফোর্সও ক্ষুব্ধ।” ঘটনাকে ঘিরে পঞ্চমীর সকাল থেকে উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে জয়নগরের গরানকাটি এলাকা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share