Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • BJP: বিজেপি প্রার্থীকে ধারালো অস্ত্রের কোপ, বন্দুকের বাঁট দিয়ে বেধড়ক মার, অভিযুক্ত তৃণমূল

    BJP: বিজেপি প্রার্থীকে ধারালো অস্ত্রের কোপ, বন্দুকের বাঁট দিয়ে বেধড়ক মার, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রধান বিরোধী দল বিজেপি (BJP) যে মস্তবড় ফ্যাক্টর তা গেরুয়া বাহিনীর উপর তৃণমূলীদের লাগাতার সন্ত্রাস তার জ্বলন্ত প্রমাণ। দুদিন আগেই প্রচার থেকে বাড়ি ফেরার পর বিজেপি প্রার্থীকে বেধড়ক পেটানোর অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। হামলার হাত থেকে রেহাই পাননি স্ত্রীও। বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগর থানার বিড়া রাজীবপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ১১২ নম্বর বুথে। আক্রান্ত বিজেপি প্রার্থীর নাম শ্যামল দাস। তাঁকে বারাসত জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    বুধবার রাতে প্রচার সেরে বাড়ি ফেরেন শ্যামল দাস। পরে, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা আচমকা তাঁর বাড়ি চড়াও হয়। মারধর করা হয় বিজেপি (BJP) প্রার্থীর স্ত্রীকেও। বন্দুকের বাঁট দিয়ে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয় বিজেপি প্রার্থীর। নগ্ন অবস্থায় ছুটে পালান তিনি। অভিযোগ, বারবার এই দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনকে জানিয়েও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি অশোকনগর থানার পুলিশ। রাতেই তাঁকে বিজেপি প্রার্থীকে বারাসত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আক্রান্ত বিজেপি প্রার্থী শ্যামলবাবু বলেন, তৃণমূলের লোকজন বন্দুকের বাঁট দিয়ে হামলা চালানোর পাশাপাশি ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপায়। আমি ছুটে পলিয়ে গিয়ে প্রাণে রক্ষা পাই।

    কী বললেন বিজেপির (BJP) জেলা নেতৃত্ব?

    যদিও এই ঘটনায় বারাসত সাংগঠনিক জেলা সভাপতি তাপস মিত্র বলেন, বিজেপি (BJP) শক্তিশালী হওয়ার জন্য শাসকদল ভয় পাচ্ছে। তাই,  বিরোধী দলের কর্মীদের উপর আক্রমণ নেমে আসছে। পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনের উদাসীনতা নিয়েও এদিন প্রশ্ন তোলেন তিনি।  বারবার অভিযোগ জানানোর পরেও দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশনের গ্রেফতারের দাবিও জানান তিনি।

    কী তৃণমূল নেতৃত্ব?

    অশোকনগরের তৃণমূল বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী বলেন, বিজেপির (BJP) পায়ের তলায় মাটি নেই। হেরে যাওয়ার ভয়ে ওরা আমাদের নামে মিথ্যা অভিযেীগ করছে। বুধবার রাতে যে গণ্ডগোল হয়েছে তা বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দলের কারণে এই ঘটনা ঘটেছে।  এরসঙ্গে তৃণমূল কোনওভাবেই জড়িত নয়।

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Vice Chancellor: অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিকে রবীন্দ্রভারতীর অন্তর্বর্তী উপাচার্য নিয়োগ রাজভবনের

    Vice Chancellor: অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিকে রবীন্দ্রভারতীর অন্তর্বর্তী উপাচার্য নিয়োগ রাজভবনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শুভ্রকমল মুখোপাধ্যায়কে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য (Vice Chancellor) নিয়োগ করলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। অবসর নেওয়ার পরবর্তী সময়ে শিক্ষাক্ষেত্রের দায়িত্ব এর আগেও পালন করেছেন তিনি। মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল ভগৎ সিং কোশিয়ারি তাঁকে সাবিত্রীবাই ফুলে পুনে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বাছাইয়ের সার্চ কমিটির চেয়ারম্যান পদে বসিয়েছিলেন। আর এবার রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পেলেন তিনি। 

    রাজ্যপালের সিদ্ধান্ত বৈধ

    অধ্যাপনার সঙ্গে যুক্ত না থেকেও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হওয়ার নজির স্বাধীনতার পর বাংলায় আর একটি আছে। ১৯৬২ সাল থেকে ১৯৬৮ পর্যন্ত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য করা হয়েছিল এলাহাবাদ হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি বিধূভূষণ মালিককে। উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে নবান্ন–রাজভবন সংঘাত অনেকদিন ধরেই চলছিল। কলকাতা হাইকোর্টের রায়ের পর প্রকাশ্যে সংঘাত থেমেছে। কলকাতা হাইকোর্টের রায় ছিল, অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগের ক্ষেত্রে রাজ্যপালের সিদ্ধান্ত বৈধ। আর এই উপাচার্যদের বেতন–সহ অন্যান্য সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা যাবে না। তারপরই রাজ্যপালের এই সিদ্ধান্ত। 

    আরও পড়ুুন: পঞ্চায়েত নির্বাচনের ভোট গণনাও করতে হবে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ঘেরাটোপে, নির্দেশ আদালতের

    শুভ্রকমল মুখোপাধ্যায়ের পরিচয়

    আগে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য ছিলেন নির্মাল্যনারায়ণ চক্রবর্তী। তাঁর মেয়াদ ফুরিয়েছে। তারপর প্রায় দু’মাস উপাচার্যহীন ছিল রবীন্দ্রভারতী। এবার নির্মাল্যের মেয়াদ শেষ হতেই প্রাক্তন বিচারপতি শুভ্রকমল মুখোপাধ্যায় হলেন রবীন্দ্রভারতীর নতুন অস্থায়ী উপাচার্য। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন নিয়ে পাশ করেছিলেন। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতিও ছিলেন তিনি। পরবর্তীতে কর্নাটক হাইকোর্টে চলে যান।  ২০১৫ সালে তিনি কর্নাটক হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি হন। ২০১৬ সালে তাঁকে কর্নাটক হাইকোর্টের স্থায়ী প্রধান বিচারপতি করা হয়। ২০১৭ সালে তিনি অবসর নেন। রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থায়ী উপাচার্যের পাশাপাশি শুভ্রকমলকে  শান্তি ও সম্প্রীতি কমিটির চেয়ারম্যানও করা হয়েছে। এই কমিটিও রাজ্যপাল গঠন করেছেন, সেই কমিটির অন্যতম প্রধান কাজ হল শিক্ষাঙ্গনের ভিতরে সংহতির উপর নজর রাখা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Primary recruitment case: প্রাথমিকে নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় ৩৯২৯টি পদে শুনানি পিছল সুপ্রিম কোর্টে

    Primary recruitment case: প্রাথমিকে নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় ৩৯২৯টি পদে শুনানি পিছল সুপ্রিম কোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  পিছিয়ে গেল প্রাথমিকে নিয়োগ সংক্রান্ত মামলা (Primary recruitment case)। প্রাথমিকে ৩৯২৯টি শূন্যপদে নিয়োগ নিয়ে মামলা দায়ের হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। বুধবার এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল শীর্ষ আদালতের বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু ও বিচারপতি সিটি রবি কুমারের ডিভিশন বেঞ্চে। এদিন অবশ্য শুনানি হয়নি। বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, এই মামলার শুনানি হবে ১২ জুলাই। প্রাথমিকে নিয়োগের মূল মামলার সঙ্গে জুড়ে যাবে এই মামলাটিও।

    শিক্ষা পর্ষদের দাবি

    ২০২০ সালে প্রাথমিকে ১৬ হাজার ৫০০ পদে নিয়োগের কথা জানায় শিক্ষা পর্ষদ। যদিও অভিযোগ ওঠে, সব পদ পূরণ হয়নি। কলকাতা হাইকোর্টের নিয়োগ সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানির সময় জানা যায়, ১৬ হাজার ৫০০ পদের মধ্যে নিয়োগ হয়েছে ১২ হাজার ৫০০ পদে। যার অর্থ হল, ঘোষণা সত্ত্বেও নিয়োগ করা হয়নি ৩৯২৯ পদে। 

    বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়
    মামলাটি (Primary recruitment case) প্রথমে উঠেছিল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চে। তিনি নির্দেশ দিয়েছিলেন, ৩৯২৯টি শূন্যপদে নিয়োগ করতে হবে পর্ষদকে। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের পর্যবেক্ষণ ছিল, এই শূন্যপদের অধিকার ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণদের। তাই তাঁদেরই নিয়োগ করতে হবে। টেটের প্রশ্নপত্রে ভুল থাকায় মামলাকারীদের চাকরি দেওয়ার নির্দেশও দেন তিনি। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যায় পর্ষদ ও ২০১৭ সালের টেট উত্তীর্ণদের একাংশ। বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়ই বহাল রাখে।

    আরও পড়ুুন: পঞ্চায়েত নির্বাচনের ভোট গণনাও করতে হবে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ঘেরাটোপে, নির্দেশ আদালতের

    ডিভিশন (Primary recruitment case) বেঞ্চ সাফ জানায়, সকলকেই চাকরি দিতে হবে। ডিভিশন বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে দেশের শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয় পর্ষদ। মে মাসে হাইকোর্টের ওই রায়ে স্থগিতাদেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। এদিন জানানো হয় মামলা পিছিয়ে যাওয়ায় মূল মামলাগুলির সঙ্গে জুড়ে যাবে এই মামলাটিও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat election 2023: পঞ্চায়েত নির্বাচনের ভোট গণনাও করতে হবে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ঘেরাটোপে, নির্দেশ আদালতের

    Panchayat election 2023: পঞ্চায়েত নির্বাচনের ভোট গণনাও করতে হবে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ঘেরাটোপে, নির্দেশ আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat election 2023) ভোট গণনাও করতে হবে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ঘেরাটোপে। গণনায় কারচুপি ও অশান্তি রুখতেই বিশেষ নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বুধবার এই নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। কেবল তাই নয়, প্রার্থী ও কাউন্টিং এজেন্টদেরও নিরাপত্তা দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি সিনহা। 

    জেলায় জেলায় ঝরেছে রক্ত

    রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হতেই শুরু হয়ে যায় অশান্তি। প্রথম বলি হয় মুর্শিদাবাদের খড়গ্রামে। সেখানে এক কংগ্রেস কর্মীকে গুলি করে খুন করা হয়। অভিযোগের তির রাজ্যের শাসক দলের দিকেই। কংগ্রেসের অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই তাদের দলের ওই কর্মীকে খুন করে। কেবল মুর্শিদাবাদ নয়, অশান্ত হয়ে উঠেছে রাজ্যের বিভিন্ন (Panchayat election 2023) জেলাও। ভাঙড়ে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। আইএসএফ-তৃণমূলের ওই সংঘর্ষে প্রাণ গিয়েছে তিনজনের। তাঁদের মধ্যে এক আইএসএফ কর্মীও ছিলেন।

    উত্তপ্ত কোচভূমও

    শাসক দলের সঙ্গে বিরোধীদের সংঘর্ষের জেরে উত্তপ্ত হয়েছে কোচ রাজাদের ভূমিও। অশান্তি হয়েছে রাজ্যের আরও কয়েকটি জেলায়ও। সব ক্ষেত্রেই যে সংঘর্ষ হয়েছে তৃণমূল বনাম বিরোধীদের, তা কিন্তু নয়। কোথাও কোথাও তৃণমূলেরই দুই গোষ্ঠীর লড়াই হয়েছে। তৃণমূলের সঙ্গে যুব তৃণমূলের লড়াইয়ের বলিও হয়েছেন একজন। এমতাবস্থায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি জানিয়েছিলেন বিরোধীরা (Panchayat election 2023)। যদিও রাজ্য নির্বাচন কমিশন ভরসা করেছিল রাজ্য পুলিশের ওপর। সেই মতো কয়েকটি রাজ্যের সঙ্গে তারা যোগাযোগ করতেও শুরু করেছিল বলে খবর। কমিশনের এই পরিকল্পনার কথা জানতে পেরে আদালতের দ্বারস্থ হন বিরোধীরা।

    আরও পড়ুুন: ভাঙড়ের অশান্তির ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ চাইল হাইকোর্ট

    কেন্দ্রীয় বাহিনীর জন্য আবেদন করতে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। এর পর কমিশনের তরফে মাত্র ২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চাওয়া হয়। ফের আদালতের দ্বারস্থ হন বিরোধীরা। এবার আদালত নির্দেশ দেয়, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে যত সংখ্যক কেন্দ্রীয় বাহিনী ছিল, তার সমতুল কিংবা তার বেশি বাহিনী চাইতে হবে। সেই মতো ৮২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীর জন্য আবেদন করে কমিশন। ভোটারদের (Panchayat election 2023) আস্থা ফেরাতেই এই বাহিনীর একটা অংশ টহল দিচ্ছে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায়। বাকি বাহিনী এলে টহল দেবে তারাও। ভোটারদের আস্থা ফেরানোর পাশাপাশি প্রার্থী ও কাউন্টিং এজেন্টদের নিরাপত্তাও দিতে হবে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Elections 2023: ভাঙড়ের অশান্তির ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ চাইল হাইকোর্ট 

    Panchayat Elections 2023: ভাঙড়ের অশান্তির ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ চাইল হাইকোর্ট 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণার পর থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় হিংসার ঘটনা ঘটেছে। প্রাণ হারিয়েছেন অনেকেই। তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি চর্চায় থেকেছে ভাঙর। মনোনয়ন জমা দেওয়া নিয়ে ব্যাপক অশান্তি হয় ওই এলাকায়। প্রায় প্রতিদিনই কোনও না কোনও ঘটনা ঘটেছে ভাঙড়ে। গুলি-বোমাবাজি এমনকী মনোনয়ন জমা নিয়ে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটে। যা নিয়ে হাইকোর্টে মামলা হয়। সেই মামলাতেই ভাঙড়ের বিডিও অফিস, ভাঙড় ও কাশীপুর থানার ভিতর ও বাইরের সিসি ক্যামেরার যাবতীয় ফুটেজ বৃহস্পতিবারের মধ্যেই মামলাকারীকে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত।

    নির্বাচনের পর ফের শুনানি

    বিরোধীদের অভিযোগ, মনোনয়ন জমা দিতে বাধা দেওয়া হয়েছে। পুলিশের বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ তোলেন বিরোধীরা। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে আদালত রাজ্যের থেকে হলফনামা চেয়েছিল। বুধবার সেই হলফনামা আদালতে জমা দেয় রাজ্য।অন্যদিকে, ক্যানিংয়ের এক বিরোধী দলের সমর্থক নিখোঁজ হয়ে গেছে বলে অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনায় ২৬ জুন আদালত পুলিশকে নির্দেশ দেয়, অবিলম্বে তাঁকে খুঁজে বের করতে হবে। কিন্তু এখনও কেন তাঁর কোনও হদিশ পাওয়া গেল না, তা রিপোর্ট দিয়ে পরবর্তী শুনানিতে পুলিশকে জানাতে বলেছেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর আগামী ১৮ জুলাই সব মামলার একসঙ্গে শুনানি হবে বলে জানিয়েছেন বিচারপতি। 

    আরও পড়ুুন: লোকসভায় এবারও জিতবে বিজেপি, মোদিকে প্রধানমন্ত্রী পদে চান সিংহভাগ ভোটার, বলছে সমীক্ষা

    ক্যানিংয়ে ঘটনায় এফআইআর-এর নির্দেশ খারিজ

    অন্যদিকে, ক্যানিংয়ে হিংসার ঘটনায় এসডিপিও-র বিরুদ্ধে এফআইআর-এর নির্দেশ এদিন খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ। পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়ন ঘিরে হাটুপুখুরিয়া এলাকায় হিংসার অভিযোগ ওঠে। তাতে ক্যানিং থানার আইসি, এসডিপিও ও স্থানীয় বিধায়কের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন সিরাজুল ইসলাম ঘরামি নামে এক ব্যক্তি। সেই মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা আইসি, এসডিপিও ও স্থানীয় বিধায়কের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করার নির্দেশ দেন। সেই নির্দেশ খারিজ করল প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। তবে বিচারপতি মান্থা হিংসার ঘটনার যে সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষণের নির্দেশ দিয়েছিলেন সেটা বজায় রেখেছেন। সেই সঙ্গে মামলাকারির আর্জি মেনে তাঁর বাড়ির সামনে ১৫ জুলাই পর্যন্ত পুলিশ পিকেট, ২ জন কনস্টেবল মোতায়েন রাখার নির্দেশ দিয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: রাজ্যের বিরুদ্ধে শুভেন্দুর করা মামলা গেল প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে, কেন জানেন?

    Suvendu Adhikari: রাজ্যের বিরুদ্ধে শুভেন্দুর করা মামলা গেল প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’ অনুষ্ঠানের নামে ভঙ্গ করা হচ্ছে আদর্শ আচরণ বিধি। এমনই অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। মঙ্গলবার এই মামলা গ্রহণ করেনি বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চ। বরং নির্বাচনী বিধি সংক্রান্ত বিষয় হওয়ায় প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চে যাওয়ার কথা বলেছিলেন তিনি। সেই মতো বুধবার প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। জনস্বার্থ মামলা করার অনুমতি দিয়েছে আদালত। বৃহস্পতিবার শুনানি হতে পারে এই মামলার।

    ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচি

    একুশের বিধানসভা নির্বাচনে নবান্নের তখতে ফিরতে ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচি নিয়েছিল তৃণমূল। ইলেকশন স্পেশালিস্ট প্রশান্ত কিশোরের মস্তিষ্ক প্রসূত ওই কর্মসূচিতে ব্যাপক (Suvendu Adhikari) সাড়া মেলে। প্রশান্তর সংস্থা আইপ্যাকের কর্মীরাই জনগণের সমস্যার কথা জেনে নথিবদ্ধ করে রাখছিলেন। অভিযোগ, দলীয় এই কর্মসূচিতে যে ফোন নম্বরটি ব্যবহার করা হয়েছিল, সেই একই ফোন নম্বর ব্যবহার করা হয়েছে সরকারের কর্মসূচি ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’তে। দলীয় কর্মসূচিতে ব্যবহৃত ফোন নম্বর কীভাবে সরকারি কর্মসূচিতে ব্যবহার করা যেতে পারে, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

    আদর্শ আচরণ বিধি ভঙ্গ!

    বিরোধীদের অভিযোগ, পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন ঘোষণার দিনই এই কর্মসূচির কথা ঘোষণা করা হয়েছিল। ঘোষণাটি করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং। তবে মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পরে ঘোষণা করা হয় পঞ্চায়েতের নির্ঘণ্ট। তার ঠিক পরের দিনই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয় এই কর্মসূচির। নন্দীগ্রামের বিধায়কের দাবি, এতে আদর্শ আচরণ বিধি লঙ্ঘিত হয়েছে।

    আরও পড়ুুন: ‘‘একশো দিনের কাজে চুরি আটকানো হয়েছে, টাকা নয়’’, বললেন শুভেন্দু

    এদিকে, জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের ৬ নম্বর আসনের প্রার্থী দীনেশ মজুমদারের বিরুদ্ধে টাকা বিলির অভিযোগ (Suvendu Adhikari) উঠেছে। এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও-ও ভাইরাল হয়েছে। যদিও ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম। এই বিষয়টি নিয়েও কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। আগামী সপ্তাহে শুনানি হতে পারে এই মামলার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Panchayat Election 2023: হজে গিয়েও মিনাখাঁয় মনোনয়ন! তদন্তের নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

    Panchayat Election 2023: হজে গিয়েও মিনাখাঁয় মনোনয়ন! তদন্তের নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি হজে গিয়েছেন নির্বাচন (Panchayat Election 2023) ঘোষণা হওয়ার চার দিন আগেই। সৌদি আরবের মক্কায় বসেই মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন বসিরহাটের মিনাখাঁর কুমারজোল গ্রাম পঞ্চায়েতের কুমারজোল গ্রামের প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা মইনউদ্দিন গাজি। খোদ প্রার্থীর স্বাক্ষর ছাড়া কীভাবে তাঁর মনোনয়নপত্র জমা নিলেন রিটার্নিং অফিসার? প্রশ্ন তোলেন বিরোধীরা। আদালতের দ্বারস্থও হন তাঁরা। বিরোধীরা কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতেই তড়িঘড়ি মইনউদ্দিনের মনোনয়নপত্র বাতিল করে দেয় রাজ্য নির্বাচন কমিশন।

    তদন্তের নির্দেশ

    মঙ্গলবার তদন্তের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। দায়িত্বপ্রাপ্ত রিটার্নিং অফিসারের (Panchayat Election 2024) বিরুদ্ধে বিভাগীয় পদক্ষেপের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। আদালতের নির্দেশের প্রেক্ষিতে কেন্দ্রের আইনজীবী জানান, ইন্টারপোলের সাহায্য চাইলে সহযোগিতা করতে পারে সিবিআই। তদন্তকারী সংস্থা কী হবে, তা পরে নির্দেশ দিয়ে জানানো হবে বলেও জানায় আদালত। শুধু তাই নয়, মিনাখাঁ ব্লকের মনোনয়ন পর্বের যাবতীয় নথি সংরক্ষণের নির্দেশও দিয়েছে আদালত।

    বিচারপতির প্রশ্ন?

    বিচারপতি অমৃতা সিনহা বলেন, “আদালতে অভিযোগ না এলে কী হত? তাহলে তো সৌদি আরব থেকেই মনোনয়ন বৈধ হয়ে যেত।” তিনি বলেন, “সৌদি আরব থেকে মনোনয়নের ঘটনা তদন্তযোগ্য অপরাধ। এরকম ঘটনা আরও লুকিয়ে থাকলে সেখানে কী হবে? কমিশন কি পদক্ষেপ করতে পারবে?” এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ১৯ জুলাই। রাজ্য নির্বাচন (Panchayat Election 2024) কমিশনের আইনজীবী আদালতে বলেন, “আমাদের কাছে অভিযোগ এসেছে। অনুসন্ধান করে সত্যতা খুঁজে বের করেছি। প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। দায়িত্বপ্রাপ্ত রিটার্নিং অফিসারের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হয়েছে।”

    আরও পড়ুুন: লোকসভায় এবারও জিতবে বিজেপি, প্রধানমন্ত্রী পদে পছন্দ মোদি-ই! বলছে সমীক্ষা

    প্রসঙ্গত, এই মামলায় কেন্দ্রীয় সরকারকে আগেই পার্টি করেছে আদালত। কেন্দ্রের আইনজীবীর দাবি, এই ঘটনায় একটা বড় ষড়যন্ত্র রয়েছে। তাই স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের (Panchayat Election 2024) জন্য তদন্তের প্রয়োজন রয়েছে। মামলাকারীর আইনজীবীও বলেন, “কমিশন বর্তমানে এই প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল করেছে। তবে এই ঘটনা অনেক কিছুর দিকেই ইঙ্গিত করছে। আমরা এই ঘটনার অভিযোগ জানাতে গেলে কেউ অভিযোগ নেয়নি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Panchayat Vote: ভোটের মুখে বাড়ির মধ্যে মিলল পিস্তল, পাইপগান, কার্তুজ! কীসের ছক?

    Panchayat Vote: ভোটের মুখে বাড়ির মধ্যে মিলল পিস্তল, পাইপগান, কার্তুজ! কীসের ছক?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশি হানা উত্তর দিনাজপুরের গোয়ালপুকুরে। তাতেই উদ্ধার হল বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র। যা দেখে চোখ কপালে উঠেছে তদন্তকারী অফিসারদের। পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Vote) বাকি আর দু’দিন। তার আগে রাজ্যের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের শিলিগুড়ি শাখার এই অস্ত্র উদ্ধার আবারও প্রশ্ন তুলে দিল, আদৌ ভোট শান্তিতে হবে তো! অস্ত্র উদ্ধারে ইতিমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে এক প্রৌঢ়কে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতের নাম এমডি আলম। তিনি উত্তর দিনাজপুর জেলার বাসিন্দা।

    আরও পড়ুুন: লোকসভায় এবারও জিতবে বিজেপি, মোদিকে প্রধানমন্ত্রী পদে চান সিংহভাগ ভোটার, বলছে সমীক্ষা

    কী কী অস্ত্র উদ্ধার হল?

    পুলিশ জানিয়েছে, উত্তর দিনাজপুরের পাঞ্জিপাড়া এলাকার গোয়ালপুকুর থানার লাড়ুখোয়া এলাকার একটি বাড়িতে এদিন হানা দেয় এসটিএফ। তাতে ওই বাড়ি থেকে পাঁচটি সেভেন এমএম পিস্তল, তিনটি ওয়ান শটার বন্দুক এবং ১৮০ রাউন্ড গুলি উদ্ধার হয়। বাড়ি থেকে এক ব্যক্তিকে আটক করে এসটিএফ। ধৃত ব্যক্তি লাড়ুখোয়া এলাকারই বাসিন্দা।

    কী বলছে এসটিএফ?

    এসটিএফ-এর ডিএসপি সুদীপ ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘এসটিএফের শিলিগুড়ি শাখার তরফে গোপন সূত্রে খবরের ভিত্তিতে পাঞ্জিপাড়ায় অভিযান চালানো হয়। তাতে মহম্মদ আলম নামে এক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে গিয়ে সন্দেহ হয় পুলিশের। পরে তাঁর বাড়িতে তল্লাশি করে ওই বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছে।’’ তাঁর আরও সংযোজন, ‘‘কোথা থেকে এই আগ্নেয়াস্ত্র আসছে, কী জন্য তা মজুত করে রাখা হয়েছিল, তা নিয়ে তদন্ত চলছে। এখনই এর বাইরে কিছু বলা সম্ভব নয়।’’ তিনি বলেন, ‘‘এর আগেও আমরা আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করেছি। তদন্ত করছি। আর কে জড়িত আছে বা কোথায় পাচার হচ্ছিল, তা জানার চেষ্টা চলছে।’’ জানা গিয়েছে, বুধবার ধৃতকে ইসলামপুর মহকুমা আদালতে তোলা হবে। এর সঙ্গে আর কে কে জড়িত রয়েছে তা খতিয়ে দেখতে ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশি হেফাজতের আবেদন করা হবে বলে জানান এসটিএফের ডিএসপি সুদীপ ভট্টাচার্য।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat election 2023: পঞ্চায়েত নির্বাচনে কোন বুথে কত কোম্পানি কোন বাহিনী জানেন?

    Panchayat election 2023: পঞ্চায়েত নির্বাচনে কোন বুথে কত কোম্পানি কোন বাহিনী জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat election 2023)। ভোট হবে এক দফায়। রাজ্যে আসছে ৮২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। তবে তার পরেও রাজ্যের সব বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী দেওয়া সম্ভব নয়। তাই হাইকোর্টের নির্দেশ, রাজ্যের প্রতিটি বুথে ৫০:৫০ অনুপাতে মোতায়েন করতে হবে কেন্দ্রীয় বাহিনী ও রাজ্যের সশস্ত্র বাহিনী। কোন জেলায় কত কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে, কেন্দ্রকে তার হিসেব দিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন।

    কেন্দ্রীয় বাহিনী

    নির্বাচনে সব চেয়ে বেশি অশান্তি হতে পারে মুর্শিদাবাদে। এই জেলায় মোতায়েন করা হচ্ছে ৪৫ কোম্পানি বাহিনী। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির শুভেন্দু অধিকারীর জেলা পূর্ব মেদিনীপুর (Panchayat election 2023) ও হাওড়ায় মোতায়েন করা হচ্ছে ৩৭ কোম্পানি বাহিনী। এর পর রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। সেখানে মোতায়েন করা হচ্ছে ৩৫ কোম্পানি। পূর্ব বর্ধমানে মোতায়েন করা হচ্ছে ৩৩ কোম্পানি। নদিয়ায় ৩১ কোম্পানি। দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও মালদহে ৩০ কোম্পানি এবং কোচবিহার ও হুগলিতে ২৮ কোম্পানি করে। একমাত্র কালিম্পংয়ে কোনও কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হচ্ছে না।

    রাজ্য পুলিশ

    কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়াও থাকছে ২০টি রাজ্যের পুলিশ। এই রাজ্যগুলি হল, অরুণাচল প্রদেশ, তেলঙ্গনা, কেরল, ত্রিপুরা, কর্নাটক, গুজরাট, চণ্ডীগড়, পঞ্জাব, বিহার, ছত্তিশগড়, তামিলনাড়ু, মহারাষ্ট্র, হায়দ্রাবাদ, গোয়া, মিজোরাম, ঝাড়খণ্ড, নাগাল্যান্ড, রাজস্থান, অন্ধ্রপ্রদেশ এবং অসম। পশ্চিম বর্ধমানে মোতায়েন করা হবে ৫ কোম্পানি অসম পুলিশ। পূর্ব বর্ধমানে (Panchayat election 2023) ১০ কোম্পানি রাজস্থান পুলিশ এবং ২ কোম্পানি অন্ধ্রপ্রদেশ পুলিশ। পশ্চিম মেদিনীপুরে ৬ কোম্পানি গুজরাট পুলিশ ও ৫ কোম্পানি কর্নাটক পুলিশ। পূর্ব মেদিনীপুরে ২ কোম্পানি ঝাড়খণ্ড পুলিশ, ২৭ কোম্পানি বিহার পুলিশ ও ৮ কোম্পানি নাগাল্যান্ড পুলিশ। হুগলিতে ১০ কোম্পানি হায়দ্রাবাদ পুলিশ, ২ কোম্পানি গুজরাট পুলিশ, ৬ কোম্পানি গোয়া পুলিশ, ১ কোম্পানি মিজোরাম পুলিশ, ২ কোম্পানি তেলঙ্গানা পুলিশ এবং ২ কোম্পানি মহারাষ্ট্র পুলিশ।

    আরও পড়ুুন: লোকসভায় এবারও জিতবে বিজেপি, প্রধানমন্ত্রী পদে পছন্দ মোদি-ই! বলছে সমীক্ষা

    হাওড়ায় ৩ কোম্পানি মহারাষ্ট্র পুলিশ ও ২ কোম্পানি গুজরাট পুলিশ। উত্তর ২৪ পরগনায় ১০ কোম্পানি ছত্তিশগড় পুলিশ এবং ৮ কোম্পানি তামিলনাড়ু পুলিশ। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ১০ কোম্পানি পঞ্জাব পুলিশ, ১৩ কোম্পানি বিহার পুলিশ (Panchayat election 2023) এবং ৫ কোম্পানি ছত্তিশগড় পুলিশ। দার্জিলিংয়ে ২ কোম্পানি চণ্ডীগড় পুলিশ। মুর্শিদাবাদে গুজরাট পুলিশ থাকছে ২ কোম্পানি। নদিয়ায় থাকছে ২ কোম্পানি ত্রিপুরা পুলিশ, ৫ কোম্পানি কর্নাটক পুলিশ, ৮ কোম্পানি কেরালা পুলিশ, ৩ কোম্পানি অরুণাচল পুলিশ এবং ১ কোম্পানি তেলঙ্গানা পুলিশ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Saayoni Ghosh: ভোট-প্রচারে ব্যস্ত! আজ ইডি হাজিরা এড়ালেন সায়নী, পাঠালেন নথি

    Saayoni Ghosh: ভোট-প্রচারে ব্যস্ত! আজ ইডি হাজিরা এড়ালেন সায়নী, পাঠালেন নথি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত শুক্রবার নিয়োগকাণ্ডে ১১-ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ-পর্ব শেষে ইডি-র দফতর থেকে বেরিয়ে এসে যুব তৃণমূলের রাজ্য সভানেত্রী সায়নী ঘোষ (Saayoni Ghosh) দাবি করেছিলেন, যতবার ইডি ডাকবে, ততবার তিনি সশরীরে আসবেন। তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছিল, ‘‘৫ জুলাই আবার যাব। সশরীরেই হাজিরা দেব। যতবার ডাকবে ততবার যাব।’’ আজ, ৫ জুলাই তাঁকে আয়-ব্যয় ও সম্পত্তির যাবতীয় নথি সহ তলব করা হয়েছিল। কিন্তু, গেলেন না সায়নী। তাঁর ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে দাবি করা হয়েছে, তিনি নাকি মঙ্গলবার রাতে ইডিকে ইমেলে না যাওয়ার কারণ জানিয়েছেন। যদিও ইডি-র দাবি, সকাল ১১টা পর্যন্ত কোনও চিঠি পায়নি তারা। তবে, এদিন আইনজীবী মারফৎ সায়নী নাকি নথি পাঠিয়েছেন তদন্তকারী সংস্থাকে।

    কোথায় ভোট-প্রচারে ব্যস্ত সায়নী?

    স্থানীয় সূত্রে খবর, আজ ভোর সাড়ে ৫টা নাগাদ গলফ গ্রিনের ফ্ল্যাট থেকে বেরিয়ে যান যুব তৃণমূলের রাজ্য সভানেত্রী সায়নী (Saayoni Ghosh)। তবে বাড়িতে তাঁর বাবা–মা আছেন। আজ সকালে জানা যায়, তিনি ইডি দফতরে যাচ্ছেন না। তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বিষয়টি প্রকাশ্যে জানিয়ে দেন। কুণাল সংবাদমাধ্যমে জানান, সায়নী ঘোষ এখন পঞ্চায়েত নির্বাচনে কাজে ব্যস্ত। তাই দ্বিতীয় দফার ডাকে সাড়া দিতে পারছেন না। ভোট মিটলে যাবেন। সায়নীর ঘনিষ্ঠমহল সূত্রে খবর, ভোটের কাজে ব্যস্ত থাকার কারণে তিনি যে বুধবার ইডি দফতরে যেতে পারছেন না, তা মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ নাকি ই-মেল করে তদন্তকারী সংস্থাকে জানিয়ে দিয়েছেন সায়নী। ইডি দফতরে না গেলেও বুধবার দুপুরে পূর্ব বর্ধমানের গলসিতে তৃণমূলের ভোটপ্রচারে দেখা গিয়েছে সায়নীকে। সেখানে সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের উত্তরে সায়নী বলেন, “ইডিকে নথি পাঠিয়ে দিয়েছি। বলেছি প্রয়োজনে ভার্চুয়ালি যোগ দেব। কিন্তু ভোটের মাত্র দু’দিন বাকি। দলের যুব সভানেত্রী হিসাবে আমার একটা দায়িত্ব আছে।” তাঁর সংযোজন, “১১ তারিখের পর, যত বার ডাকবে, তত বার যাব।” ইডি সূত্রে খবর, আজ সকাল ১১টা পর্যন্ত তারা সায়নী ঘোষের কোনও চিঠি হাতে পাননি। 

    আরও পড়ুন: নিয়োগকাণ্ডে আজ ফের তলব ইডি-র, সায়নী কি সশরীরে হাজিরা দেবেন?

    ৫৩০ পাতার নথি পাঠিয়েছেন সায়নী (Saayoni Ghosh)?

    তবে, সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ এক ব্যক্তিকে সিজিও কমপ্লেক্সে ঢুকতে দেখা যায়। সংবাদমাধ্যমের তরফে প্রশ্ন করা হয়, তিনি সায়নীর আইনজীবী কি না। প্রশ্নের উত্তরে ‘হ্যাঁ’ বলেন ওই ব্যক্তি। তবে সায়নী বুধবার হাজিরা দেবেন কি না, এই প্রশ্নের কোনও উত্তর দেননি তিনি। তাঁর হাতে তিনটি ফাইল ছিল। যা থেকে মনে করা হয়, নিজে উপস্থিত না থাকলেও তদন্তে সহযোগিতা করার জন্য আইনজীবী মারফত ইডি আধিকারিকদের নথি পাঠিয়ে দিলেন সায়নী। সায়নীর ঘনিষ্ঠমহল সূত্রে খবর, ইডির দাবি মতো, ৫৩০ পাতার নথি আইনজীবীর হাত দিয়ে পাঠিয়েছেন তিনি। প্রসঙ্গত, বহিষ্কৃত যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষের একটি সম্পত্তি কেনাবেচা সংক্রান্ত নথি থেকেই প্রথমে সায়নী ঘোষের (Saayoni Ghosh) নাম উঠে আসে। এর বাইরে, একাধিক আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে সায়নীর নাম সামনে এসেছে বলে দাবি ইডি সূত্রে। সূত্রের দাবি, বহিষ্কৃত যুব তৃণমূল নেতা কুন্তলকে জেরাতেও উঠেছে যুব তৃণমূলের রাজ্য সভানেত্রীর নাম। এছাড়া একাধিক সাক্ষী তাঁদের বয়ানে সায়নীর নাম বলেছেন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share