Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Nadia: “৫ অগাস্টের দরকার নেই, আগেই মেরে মাথা ফাটিয়ে দে!” বলেই মাথায় লাঠির বাড়ি!

    Nadia: “৫ অগাস্টের দরকার নেই, আগেই মেরে মাথা ফাটিয়ে দে!” বলেই মাথায় লাঠির বাড়ি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ৫ অগাস্ট বিজেপির নেতা-কর্মীদের বাড়ি ঘেরাওয়ের কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলেন। এতো দেরি বোধহয় কর্মীদের সহ্য হল না। তার অনেক আগেই শুরু হয়ে গেল হামলা। নদিয়া (Nadia) জেলার গয়েশপুর পঞ্চায়েতের শ্রীরামপুরের ঘটনা। বিজেপির পঞ্চায়েত ভোটের এজেন্টকে রাস্তায় ঘেরাও করে ব্যাপক মারধর করল তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। অভিযোগ একটাই, কেন বিজেপি করেন?

    ঘটনা কী ঘটেছে (Nadia)?

    মঙ্গলবার রাতে বাড়ি ফেরার সময় শ্রীরামপুর (Nadia) গ্রামে বিজেপির বুথ এজেন্টের ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। সূত্রের খবর, শ্রীরামপুর গ্রামের বাসিন্দা অজয় মাঝি এবার ভোটে তাঁর এলাকায় বিজেপির বুথ এজেন্ট হয়েছিলেন। মঙ্গলবার রাতে কাজ শেষে পূর্ব পাড়া থেকে বাড়ি ফেরার সময়, তাঁকে কিছু তৃণমূলের দুষ্কৃতী ঘিরে ধরে এবং ৫ই অগাস্টের আগেই ব্যবস্থা নেব বলে তাঁর ওপর হামলা চালায়। মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করা হয়। এরপর রক্তাক্ত অবস্থায় ওই বিজেপি কর্মীকে উদ্ধার করে শান্তিপুর হাসপাতালে নিয়ে আসে স্থানীয় মানুষজন। আক্রান্ত বিজেপি কর্মীর দাবি, এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে গয়েশপুর এলাকায় ভালো ফল করেছে বিজেপি। একদিকে তাঁর উপর তৃণমূলের হিংসাত্মক আক্রোশ এবং অন্যদিকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উস্কানিমূলক মন্তব্য, এই দুইয়ে মিলে তাঁর ওপর হামলা চালিয়েছে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। অভিযোগ পেয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

    বিজেপি কর্মীর বক্তব্য

    আক্রান্ত বিজেপি কর্মী অজয় মাঝি (Nadia) বলেন, তৃণমূলের গুন্ডা তারকনাথ কবিরাজ বলে, ৫ অগাস্টের দরকার নেই, আগেই মেরে মাথা ফাটিয়ে দে! এই প্রসঙ্গে অজয়বাবু আরও বলেন, ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত ভোটে বিজেপির এজেন্ট ছিলাম। সেই সময় বিজেপি ১৩ টি ভোট পেয়েছিল। এই বছর ২০২৩ সালে আবার আমি বিজেপির এজেন্ট হই। এই বার আমাদের গ্রামের পঞ্চায়েতে ১১ টার মধ্যে ১০ টায় বিজেপি প্রার্থী দিয়ে জয়ী হয়েছে। আমি একজন সক্রিয় বিজেপি কর্মী বলেই আমায় তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা আক্রমণ করে মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: সোমবারের আগে অভিষেকের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নয়, আদালতে জানাল ইডি

    Abhishek Banerjee: সোমবারের আগে অভিষেকের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নয়, আদালতে জানাল ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবারের আগে তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) মামলার শুনানি হচ্ছে না। তাই ওই দিন পর্যন্ত তাঁর বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ করবে না ইডি (ED)। বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে একথা জানিয়ে দিলেন ইডির আইনজীবী। মঙ্গলবার অভিষেকের মামলা বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের বেঞ্চে পাঠিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম। বুধবার মামলাটি এজলাসে উঠতেই দ্রুত শুনানির আবেদন জানান ইডির আইনজীবী। কিন্তু অন্যান্য মামলার চাপ থাকায় সোমবারের আগে শুনানি সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দেন বিচারপতি ঘোষ। তার পরেই ওই দিন পর্যন্ত অভিষেকের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ না করার সিদ্ধান্ত নেয় ইডি। পরে তা আদালতে জানিয়েও দেওয়া হয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে।

    মামলার সাত সতের

    নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় আদালতে এফআইআর খারিজের আবেদন জানিয়েছিলেন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড (Abhishek Banerjee)। গত সোমবার পর্যন্ত রক্ষাকবচ দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। মামলা নির্দিষ্ট না করা পর্যন্ত অভিষেকের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা যাবে না বলে নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। মামলাটি বিচারপতি ঘোষের এজলাসে উঠলে, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলে ইডি। ইডির আইনজীবী বলেন, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে মামলাটি বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে গিয়েছে। সেখানে তদন্ত চালিয়ে যেতে বলা হয়েছে। তাই মামলাটি বিচারপতি সিনহার বেঞ্চেই যাওয়া উচিত। বিচারপতি ঘোষ জানিয়ে দেন, হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিই ঠিক করবেন, কার এজলাসে শুনানি হবে সংশ্লিষ্ট মামলার। মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি শিবজ্ঞানম মামলাটি ফেরত পাঠান বিচারপতি ঘোষের এজলাসে। শুনানির জন্য মামলাটি উঠলে তিনি জানান, সোমবারের আগে এই মামলার শুনানি সম্ভব নয়।

    নাম জড়ায় অভিষেকের 

    নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় গ্রেফতার হন যুব তৃণমূলের প্রাক্তন নেতা কুন্তল ঘোষ। পরে তিনি অভিযোগ করেন, অভিষেকের (Abhishek Banerjee) নাম বলতে তাঁকে চাপ দিচ্ছেন তদন্তকারীরা। এর পরেই ওই মামলায় নাম জড়ায় তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ডের। সিবিআইয়ের মুখোমুখি হলেও, ইডির হাজিরা এড়াতে অভিষেক দ্বারস্থ হন সুপ্রিম কোর্টে। দেশের শীর্ষ আদালত জানিয়ে দেয়, ওই মামলা শুনবে হাইকোর্টই। এবার মামলা আসে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে।

    আরও পড়ুুন: তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা নন্দীগ্রাম থানার সিভিক! জেলাজুড়ে শোরগোল

    অভিষেকের বিরুদ্ধে এফআইআর করে ইডি তদন্ত করতে পারবে বলে নির্দেশ দেন তিনি। এর পরেই এফআইআর খারিজের আবেদন জানিয়ে ফের একবার হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো। সেই মামলারই শুনানি সোমবারের আগে হবে না বলে জানিয়ে দেন বিচারপতি ঘোষ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: মমতা ঘনিষ্ঠ হলেই ডবল চাকরি! ট্যুইটে তোপ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: মমতা ঘনিষ্ঠ হলেই ডবল চাকরি! ট্যুইটে তোপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কর্মসংস্থান নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) কটাক্ষ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আজ্ঞাবাহক বড় অফিসার হলেই ডবল ডবল চাকরি নিশ্চিত বলে অভিমত শুভেন্দুর। রাজ্যে এটাই এখন অঘোষিত সরকারি পদ্ধতি এবং রীতিতে পরিণত হয়েছে বলেও চাঞ্চল্যকর অভিযোগ বিরোধী দলনেতার।

    মমতাকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে খোঁচা দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) লিখেছেন, ‘‘২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) ডবল ডবল চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তিনি তাঁর প্রতিশ্রুতি পালন করছেন, তবে শুধুমাত্র তাঁর একান্ত অনুগত আমলা বা আধিকারিকরা যারা অবসরের দোরগোড়ায় পৌঁছে গিয়েছেন অথবা সদ্য অবসর নিয়েছেন, এমন কিছু বিশেষ আমলা বা আধিকারিকদের এক্সটেনশন দিয়ে মেয়াদ বৃদ্ধি করে অথবা পুনরায় কোনও পদে নিয়োজিত করে ডবল ডবল চাকরি দিয়ে চলেছেন।’’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করে ট্যুইটে সরকারি নথি তুলে ধরেছেন শুভেন্দু। তিনি দাবি করনে, ‘‘এই প্রথা দিল্লিতে কর্মরত রাজ্যের রেসিডেন্ট কমিশনার শ্রী আর ডি মীনা (আইএএস)-কে দিয়ে শুরু হয়। ওনার মেয়াদ মুখ্যমন্ত্রী মাত্র ১২ বার বাড়িয়েছেন।’’  

    আরও পড়ুন: মরশুমের শুরুতেই একের পর এক মৃত্যু! ডেঙ্গি সংক্রমণ হতে পারে লক্ষাধিক!

    একইসঙ্গে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) অভিযোগ করেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা তাঁর ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) ঘনিষ্ঠ না হলেই সমস্যা দেখা দিচ্ছে। তাঁরা না খেতে পেয়ে হতাশায় ডুবে যাচ্ছে। শুভেন্দু অধিকারীর কথায়, ‘‘রাজ্যে বেকারের সংখ্যা দিনদিন বেড়েই চলেছে। যুব সম্প্রদায় কাজ না পেয়ে ভিনরাজ্যে পাড়ি দিচ্ছেন কাজের খোঁজে ৷ মেধাবী যোগ্য চাকরি প্রার্থীরা রাস্তায় বসে আছেন বছরের পর বছর, আন্দোলন করছেন, আর একটা বড় অংশ হতাশায় নিমজ্জিত হচ্ছেন। এদের জন্য ডবল তো দুরস্ত সিঙ্গল চাকরিরও কোনও ব্যবস্থা নেই।’’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Manik Bhattacharya: বুধবার সকালেও ফের প্রেসিডেন্সি জেলে সিবিআই, আবারও মানিককে জেরা শুরু

    Manik Bhattacharya: বুধবার সকালেও ফের প্রেসিডেন্সি জেলে সিবিআই, আবারও মানিককে জেরা শুরু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার রাতে এক দফা জেরা-পর্ব হয়েছিল। এবার বুধবার সকালেই দ্বিতীয় দফায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে (Manik Bhattacharya) জেরার জন্য কলকাতার প্রেসিডেন্সি জেলে পৌঁছলেন সিবিআই আধিকারিকেরা। এদিন সকাল ৯টা নাগাদ আবারও প্রেসিডেন্সি জেলে যান তদন্তকারীরা। পোস্টিং-দুর্নীতি সংক্রান্ত বিষয়েই তাঁকে জেরা করা হবে বলে সিবিআই সূত্রের খবর। আজ কি মানিককে হেফাজতে নেবে সিবিআই? বাড়ছে জল্পনা।

    এর আগে, মঙ্গলবার দুপুরেই প্রাথমিক নিয়োগকাণ্ডের (Primary TET Scam) নতুন মামলায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান মানিক ভট্টাটার্যকে রাতেই জেরা করার নির্দেশ সিবিআইকে দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly)। সেই মতো মঙ্গলবার রাতেই প্রেসিডেন্সি জেলে পৌঁছে যায় সিবিআই আধিকারিকের দল। প্রায় দু’ঘণ্টার ওপর সময় ধরে জেলবন্দি মানিককে করা হয় জেরা। 

    জেরায় চার সদস্যের সিবিআই টিম

    তদন্তকারী সংস্থা সূত্রের খবর, রাত সাড়ে ন’টা নাগাদ প্রেসিডেন্সি জেলে (Presidency Jail) পৌঁছয় সিবিআইয়ের ৪ সদস্যের টিম। ওই টিমের নেতৃত্বে ছিলেন একজন এসপি পদমর্যাদার অফিসার। ছিলেন, দু’জন ইন্সপেক্টর। বিচারপতির নির্দেশ ছিল, গোটা জিজ্ঞাসাবাদ প্রক্রিয়ার ভিডিওগ্রাফি করতে হবে। সেই মোতাবেক, এদিন সিবিআই টিমে ছিলেন একজন ভিডিয়োগ্রাফি এক্সপার্টও। সূত্রের খবর, জেলের ভিতর ইন্টারোগেশন রুমে নিয়ে যাওয়া হয় প্রাক্তন পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে (Manik Bhattacharya)। সেখানেই এসপি কল্যাণ ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে মানিককে জেরা করছেন দু’টি পৃথক মামলার তদন্তকারী আধিকারিক মলয় দাস, ওয়াসিম আক্রম। প্রায় আড়াই ঘণ্টা জেলে ছিল সিবিআই। জিজ্ঞাসাবাদের পর রাত ১১টা ৫০ মিনিট নাগাদ বেরিয়ে যান তাঁরা।

    কী নিয়ে নতুন মামলা?

    প্রাথমিক শিক্ষকদের ‘পোস্টিং’ নিয়ে দুর্নীতির (Teacher Posting Scam) অভিযোগ তুলে একটি মামলা করেন সুকান্ত প্রামাণিক। তাঁর দাবি, ২০২০ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়া চলাকালীন তাঁদের বলা হয়েছিল নিজের জেলায় কোনও শূন্যপদ নেই। অভিযোগ, কাউন্সেলিং-এর ঠিক ১৭ দিন পরই চার জেলায় ৪০০ জনকে নিয়োগ করা হয়েছে। গতকাল, এই মামলার শুনানি হয় হাইকোর্টে। শুনানি চলছিল বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Ganguly) এজলাসে। কাদের সুবিধা পাইয়ে দেওয়া হয়েছিল, টাকার লেনদেন হয়েছিল কি না, সেটাই জানতে চায় আদালত। সেখানেই বিচারপতি তাঁর পর্যবেক্ষণে জানান, প্রাথমিকের নিয়োগে এটা পরিকল্পিত ভাবে দুর্নীতি হয়েছে। মানিক ছক কষে এই দুর্নীতি ‘ডিজাইন্ড কোরাপশন’ করেছেন। মানিক এই মামলার ‘মাস্টারমাইন্ড’ বলেও মন্তব্য করেছিলেন বিচারপতি। তিনি নির্দেশ দেন, প্রয়োজনে মানিককে হেফাজতেও নিতে পারে সিবিআই। এমনকী, এই মামলায় আর্থিক দুর্নীতির দিক উঠে আসলে, তার তদন্তে ইডি-কে যুক্ত করা হবে বলে জানিয়ে দেন বিচারপতি।

    আরও পড়ুন: ছক কষেই দুর্নীতি! জেলে গিয়ে মানিককে জেরা করার নির্দেশ সিবিআই-ইডিকে

    ‘ডিজাইন্ড কোরাপশন’ ঠিক কী?

    ২০২০ সালের প্রাথমিক নিয়োগ প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে হয়েছিল কাউন্সেলিং। পরের বছর জুলাই মাসে কাউন্সেলিংয়ের বিজ্ঞপ্তি জারি করে পর্ষদ। সেখানে চতুরতার সঙ্গে ড্রাফট লেখা হয়েছিল। হোম ডিস্ট্রিক্ট ফাঁকা না দেখিয়ে, প্রেফার্ড ডিস্ট্রিক্টকে পছন্দ করতে বাধ্য করা হয়েছিল। কাউন্সেলিং পর্বে প্রার্থীদের বলা হয় ‘লাস্ট চান্স’। যদিও সেবারই তাঁরা প্রথম সুযোগ পাচ্ছিলেন। এখানেই দুর্নীতির অভিযোগ উঠে আসছে, পর্যবেক্ষণ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Ganguly)। তিনি জানান, যে মামলায় সুপ্রিম কোর্টের রক্ষাকবচ পেয়েছেন মানিক (Manik Bhattacharya), সেই মামলার সঙ্গে এই নতুন মামলার কোনও যোগ নেই। উল্লেখ্য, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ ছিল, তদন্ত চালিয়ে গেলেও, মানিকের বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ করতে পারবে না সিবিআই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Justice Abhijit Ganguly: ছক কষেই দুর্নীতি! জেলে গিয়ে মানিককে জেরা করার নির্দেশ সিবিআই-ইডিকে

    Justice Abhijit Ganguly: ছক কষেই দুর্নীতি! জেলে গিয়ে মানিককে জেরা করার নির্দেশ সিবিআই-ইডিকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় মঙ্গলবার সিবিআইয়ের (CBI) সমালোচনা করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly)। তাঁর প্রশ্ন, “কতবার মানিক ভট্টাচার্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই?” সিবিআইয়ের সিটের প্রধান অশ্বিনী শেনভিকে ভার্চুয়ালি তলবও করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। পর্ষদের ‘ডিজাইনড কোরাপশনে’র উল্লেখও করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।

    ‘নতুন ধরনের দুর্নীতি’

    ২০২০ সালে কাউন্সেলিং পর্বে হয়েছে এই ডিজাইনড কোরাপশন। আদালত চায়, সিবিআই নতুন করে এফআইআর রুজু করে তদন্ত করুক। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ, এদিনই জেলে গিয়ে মানিক ভট্টাচার্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করুক সিবিআই। তিনি (Justice Abhijit Ganguly) বলেন, “২০২০ প্রাথমিক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় এটা নতুন ধরনের দুর্নীতি। আজই মানিক ভট্টাচার্যকে প্রেসিডেন্সি জেলে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন সিবিআইয়ের দক্ষ দুই অফিসার। সন্ধে ৬টার মধ্যে মামলাকারীদের আইনজীবী দিব্যেন্দু চট্টোপাধ্যায় এবং প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের আইনজীবী সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলে আজই প্রেসিডেন্সি জেলে গিয়ে মানিক ভট্টাচার্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন, নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের।

    ‘ডিজাইনড কোরাপশন’

    প্রশ্ন হল, ডিজাইন কোরাপশন কী? জানা গিয়েছে, ২০২০ সালের প্রাথমিক নিয়োগ প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে হয়েছিল কাউন্সেলিং। পরের বছর জুলাই মাসে কাউন্সেলিংয়ের বিজ্ঞপ্তি জারি করে পর্ষদ। সেখানে চতুরতার সঙ্গে ড্রাফট লেখা হয়েছিল। হোম ডিস্ট্রিক্ট ফাঁকা না দেখিয়ে, প্রেফার্ড ডিস্ট্রিক্টকে পছন্দ করতে বাধ্য করা হয়েছিল। কাউন্সেলিং পর্বে প্রার্থীদের বলা হয় ‘লাস্ট চান্স’। যদিও সেবারই তাঁরা প্রথম সুযোগ পাচ্ছিলেন। এখানেই দুর্নীতির অভিযোগ উঠে আসছে, পর্যবেক্ষণ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Ganguly)। তিনি জানান, যে মামলায় সুপ্রিম কোর্টের রক্ষাকবচ পেয়েছেন মানিক, সেই মামলার সঙ্গে এই নতুন মামলার কোনও যোগ নেই। উল্লেখ্য, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ ছিল, তদন্ত চালিয়ে গেলেও, মানিকের বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ করতে পারবে না সিবিআই।

    আরও পড়ুুন: প্রসঙ্গ মণিপুর, বিধানসভায় রাজ্যের অস্ত্রেই সরকারকে ঘায়েল করবেন শুভেন্দু!

    ইডির উদ্দেশে এদিন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ, এই মামলায় কোনও আর্থিক তছরুপ হয়ে থাকলে তদন্ত করতে পারবে তারা। প্রয়োজনে মানিককে হেফাজতেও নিতে পারবে। আজ, মঙ্গলবার থেকেই তদন্ত শুরু করতে পারবে ইডি। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের মন্তব্য, যে ব্যক্তি টাকার বিনিময়ে সুবিধা পাইয়ে দিয়েছেন, তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। প্রসঙ্গত, বীরভূম, বাঁকুড়া, মুর্শিদাবাদ ও হুগলিতে ডিজাইন কোরাপশনের অভিযোগ উঠেছে।

    মঙ্গলবার প্রাথমিকে নিয়োগ সংক্রান্ত একটি মামলা দায়ের হয় হাইকোর্টে। মামলাটি ওঠে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Ganguly) এজলাসে। ওই মামলায় বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, প্রাথমিকের নিয়োগে পরিকল্পিত দুর্নীতি হয়েছে। যার নেপথ্যে রয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তৎকালীন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য। মানিক-ই ছক কষে ডিজাইনড কোরাপশন করেছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Suvendu Adhikari: প্রসঙ্গ মণিপুর, বিধানসভায় রাজ্যের অস্ত্রেই সরকারকে ঘায়েল করবেন শুভেন্দু!

    Suvendu Adhikari: প্রসঙ্গ মণিপুর, বিধানসভায় রাজ্যের অস্ত্রেই সরকারকে ঘায়েল করবেন শুভেন্দু!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের অস্ত্রেই রাজ্য সরকারকে ঘায়েল করার পরিকল্পনা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari)! মণিপুরে দুই তরুণীকে নগ্ন করে ঘোরানোর ঘটনায় উত্তাল গোটা দেশ। তাকে হাতিয়ার করে বিজেপিকে বেকায়দায় ফেলতে চাইছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরিচালিত তৃণমূল সরকার। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটলেও, তা নিয়ে বিধানসভায় আলোচনা হচ্ছে না বলেই অভিযোগ বিরোধীদের। অথচ বুধবার মণিপুর ইস্যুতে উত্তপ্ত হতে পারে বিধানসভা।

    প্রসঙ্গ মণিপুর

    মঙ্গলবারই এ নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা ছিল। তবে এদিন ধূপগুড়ির বিধায়ক বিজেপির বিষ্ণুপদ রায় প্রয়াত হন এসএসকেএম হাসপাতালে। তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতে এদিন মুলতুবি ঘোষণা করা হয় বিধানসভা। তাই এদিন আর কোনও আলোচনা হয়নি। স্বাভাবিকভাবেই ওঠেনি মণিপুর প্রসঙ্গও। তাই বুধবার এনিয়ে শাসক-বিরোধী তরজায় উত্তপ্ত হতে পারে বিধানসভার কক্ষ। তৃণমূল সূত্রে খবর, মণিপুরকাণ্ডের প্রতিবাদে বুধবার সভায় নিন্দা প্রস্তাব আনবে ঘাসফুল শিবির। তবে বিজেপি বিধায়করা যে তা হতে দেবেন না, তা স্পষ্ট রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) কথায়ই।

    শুভেন্দুর হাতিয়ার

    তিনি বলেন, “মণিপুর নিয়ে কোনও প্রস্তাব আনতে পারে না। কারণ এডুকেশন স্ক্যাম নিয়ে আমরা আগে যখন বলেছিলাম, তখন বলা হয়েছিল সাব জুডিস ম্যাটার। আলোচনা করা যাবে না। মণিপুরও সাব জুডিস ম্যাটার। সুপ্রিম কোর্ট হয়েছে। ফলে একই যুক্তিতে এটাও আলোচনা করা যায় না।” শুভেন্দু বলেন, “তবুও জোর করে আনলে আলোচনা হবে। আমাদের মহিলা সদস্যরা অংশ নেবেন। আমরা হাউস (বিধানসভা) বন্ধ করে নয়, সচল রেখেই প্রতিবাদ জানাব।”

    তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকারকে চাপে ফেলতে এদিন আইনশৃঙ্খলার অবনতি, ক্রমবর্ধমান বেকারত্ব এবং ডেঙ্গি রোধে সরকারের ব্যর্থতার অভিযোগে এদিন বিধানসভায় নিন্দা প্রস্তাব আনবে বিজেপি। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, “রামপুরহাটের বগটুই থেকে মালদহ, গোটা রাজ্যে নারী নির্যাতন চলছেই। নিয়োগ দুর্নীতির মাঝেই বাড়ছে বেকারত্ব। বর্ষার শুরুতেই মহামারির আকার নিয়েছে ডেঙ্গি। এরই প্রতিবাদে সরব হবেন আমাদের প্রতিনিধিরা।”

    আরও পড়ুুন: সালিশি সভায় আদিবাসী মহিলাকে বিবস্ত্র করে মার, গ্রেফতার ৪, এলাকায় শোরগোল

    প্রসঙ্গত, জরুরি ভিত্তিতে মঙ্গলবারই দিল্লি গিয়েছেন শুভেন্দু। তার আগে তিনি করেন পরিষদীয় দলের বৈঠক। তিনি বলেন, “আমরা শিক্ষা দুর্নীতি নিয়ে আলোচনা চাইব। না হলে প্রতিবাদে শামিল হব।” বুধবারই বিধানসভায় মুলতুবি প্রস্তাব আনবেন বিজেপির মহিলা বিধায়করা। শ্যামবাজারে অবস্থানও করবেন। রাজ্যে বিভিন্ন বিস্ফোরণের ঘটনায় দাবি করবেন এনআইএ তদন্তও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Siliguri: সালিশি সভায় আদিবাসী মহিলাকে বিবস্ত্র করে মার, গ্রেফতার ৪, এলাকায় শোরগোল

    Siliguri: সালিশি সভায় আদিবাসী মহিলাকে বিবস্ত্র করে মার, গ্রেফতার ৪, এলাকায় শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাওড়া, মালদার ছায়া এবার শিলিগুড়িতে। সালিশি সভায় পঞ্চায়েত সদস্যের উপস্থিতিতে এক আদিবাসী মহিলাকে বিবস্ত্র করে নিগ্রহের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে শিলিগুড়ি (Siliguri) মহকুমার বাগডোগরা থানার ভুজিয়াপানি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। এই ঘটনায় পুলিশ চারজনকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম প্রদীপ সরকার, গৌরী সরকার, শিবা বাল্মিকী, ললিতা বাল্মিকী। মঙ্গলবার শিলিগুড়ি আদালতে তাদের তোলা হয়। পাশাপাশি গোটা ঘটনা নিয়ে রিপোর্ট তৈরি করতে আদিবাসী কল্যাণ সমিতির রাজ্য নেতৃত্ব এদিন ঘটনাস্থলে গিয়ে নির্যাতিতার সঙ্গে কথা বলে।

     ঠিক কী হয়েছিল?

    ভুজিয়াপানির বাসিন্দা প্রদীপ সরকারের সঙ্গে এলাকার এক মহিলার পরকীয়া সম্পর্ক ছিল। এনিয়ে গত ১৯ জুলাই এলাকায় সালিশি সভা বসে। সেখানে প্রদীপ সরকারের স্ত্রী ও অপর এক মহিলার সঙ্গে হাতাহাতি হয়। তাদের ছাড়াতে গেলে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন ওই নির্যাযিতা মহিলাও। ঘটনার পরের দিন আবার ওই ঘটনা নিয়ে সালিশি সভা ডাকা হয়। উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেসের স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য বুলবুলি সিংহ। শিলিগুড়ির (Siliguri) এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।

     কী বললেন নির্যাতিতা মহিলা?

    নির্যাতিতা আদিবাসী মহিলা বলেন, সালিশি সভার প্রথম দিন প্রদীপ সরকারের সঙ্গে যে মহিলার পরকীয়া চলছিল, তার সঙ্গে গৌরিদেবীর হাতাহাতি শুরু হয়। গৌরিদেবী প্রদীপ সরকারের স্ত্রী।  আমি হাতাহাতি থামাতে গেলে আমাকে মারধর করা হয়। তারপর সবাই মিটমাট করে দিলে বাড়ি চলে আসি। পরের দিন আবার সালিশি সভা ডাকা হয়। আমি যাইনি। আমাকে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়। পৌঁছতেই অভিযুক্ত মহিলা আমার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে মারধর শুরু করে। পঞ্চায়েত সদস্যের সামনে এই ঘটনা ঘটে। তারপর আরও কয়েকজন আমাকে মারধর করে। সকলের সামনেই আমাকে বিবস্ত্র করেই হামলা চলে। আমি মাটিতে পড়ে যেতেই সকলে চলে যায়। কয়েকজন এসে আমাকে গামছা চাপা দিয়ে লজ্জা নিবারণ করে। খবর পেয়ে আমার ছেলে বাড়ি থেকে নাইটি নিয়ে যায়। সেই নাইটি পরে বাড়িতে ফিরে আসি। বাড়িতে ফেরার পর রবিবার রাতে আমার নড়ার ক্ষমতা ছিল না। সেই সঙ্গে লজ্জায় বাড়ির বাইরে বের হইনি। বাড়িতে শুয়েই ছিলাম। সোমবার স্থানীয় কয়েকজনের পরামর্শে আমি পুলিশে অভিযোগ দায়ের করি। 

    কী বললেন পঞ্চায়েত সদস্য?

    কংগ্রেসের পঞ্চায়েত সদস্য বুলবুলি সিংহ সালিশি সভা ও আদিবাসী  মহিলাকে নিগ্রহের ঘটনা স্বীকার করেছেন। তবে তিনি বলেন, ওই মহিলাকে মারধর করা হলেও বিবস্ত্র করা হয়নি।

    নিন্দায় সরব আদিবাসি কল্যাণ সমিতি

    এই খবর পেয়ে এদিন ওই নির্যাতিতা মহিলার সঙ্গে দেখা করে গোটা ঘটনা শোনে আদিবাসি কল্যাণ সমিতির নেতৃত্ব। সমিতির অন্যতম সদস্য মন্টু বরাইক বলেন,  আদিবাসী কল্যাণ সমিতির  রাজ্য নেতৃত্ব এই ঘটনার রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে। হাওড়া, মালদার পর শিলিগুড়িতে এধরনের ঘটনা ঘটায় আমরা উদ্বিগ্ন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: শিক্ষক নিয়োগের মামলায় ওএমআর শিট দেখতে চাইল সুপ্রিম কোর্ট

    Recruitment Scam: শিক্ষক নিয়োগের মামলায় ওএমআর শিট দেখতে চাইল সুপ্রিম কোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের (Recruitment Scam) মামলায় উত্তরপত্র (ওএমআর শিট) দেখতে চাইল সুপ্রিম কোর্ট। তবে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ওএমআর শিট জনসমক্ষে প্রকাশ নয়, জমা দিতে হবে সিলবন্ধ খামে। মঙ্গলবার এই নির্দেশ দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত। 

    সুপ্রিম নির্দেশ

    নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) মামলায় স্কুল সার্ভিস কমিশনকে ওএমআর শিট প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। তবে সেই নির্দেশের উপর আজ স্থগিতাদেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালতের বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু ও বিচারপতি বেলা ত্রিবেদীর নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ। ওএমআর শিট জনসমক্ষে প্রকাশ করার বদলে সিলবন্ধ খামে করে তা সুপ্রিম কোর্টে জমা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী সপ্তাহে এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে আদালতে। গত ৭ জুলাই কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছিলেন, ২০১৬ সালে একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যে ৫,৫০০ জনকে চাকরি দেওয়া হয়েছিল, তাঁরা-সহ ওয়েটিং লিস্টে থাকা চাকরিপ্রার্থীদের উত্তরপত্র (ওএমআর শিট) প্রকাশ করতে হবে কমিশনকে। উত্তরপত্রের পাশাপাশি নাম, বাবার নাম, ঠিকানা, স্কুলের নাম-সহ ৯০৭ জনের তালিকাও প্রকাশ করতে হবে, যাঁদের বিকৃত উত্তরপত্র উদ্ধার করেছিল সিবিআই। মঙ্গলবার শীর্ষ আদালত ওএমআর শিট প্রকাশে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিলেও নাম, ঠিকানা সম্বলিত তালিকা প্রকাশের নির্দেশ বহাল রেখেছে। 

    আরও পড়ুন: নিয়োগ প্রক্রিয়ায় উপদেষ্টা কমিটি কেন? গঠনই বা করল কে? উত্তর খুঁজছে সিবিআই

    এই মামলার শুনানিতেই গতকাল, অর্থাৎ সোমবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত বলেছিলেন, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে (Recruitment Scam) যা হয়েছে তা পুরোপুরি রাজনৈতিক। এক্ষেত্রে যা পরিস্থিতি তাতে একমাত্র ভগবানই পারে রাজ্যকে বাঁচাতে। শিক্ষক নিয়োগের মামলা শুনেই বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত বলেন, “দিনের পর দিন কী হচ্ছে এটা? সবেতেই রাজনীতি জড়িয়ে যাচ্ছে। প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ হলেই মামলা হয়ে যাচ্ছে। এ তো দেখছি একমাত্র ভগবানই পারে বাংলাকে বাঁচাতে।” 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam Case: নিয়োগ প্রক্রিয়ায় উপদেষ্টা কমিটি কেন? গঠনই বা করল কে? উত্তর খুঁজছে সিবিআই

    Recruitment Scam Case: নিয়োগ প্রক্রিয়ায় উপদেষ্টা কমিটি কেন? গঠনই বা করল কে? উত্তর খুঁজছে সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ার (Recruitment Scam Case) জন্য উপদেষ্টা কমিটি গঠন করা হয়েছিল ২০১৮ সালে। পরে এই উপদেষ্টা কমিটির সুপারিশেই নিয়োগ হয়। দু বছর আগের নিয়োগ প্রক্রিয়ার দায়িত্ব কেন দু বছর পরে উপদেষ্টা কমিটিকে দেওয়া হল, তা নিয়েই প্রশ্ন সিবিআইয়ের। তাহলে কী কোনও বিশেষ উদ্দেশ্যেই গড়া হয়েছিল উপদেষ্টা কমিটি? এসব প্রশ্নের উত্তর পেতেই বোর্ডের সেক্রেটারি, স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান এবং শিক্ষা দফতরের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারিকে চিঠি পাঠাল সিবিআই।

    গুচ্ছ প্রশ্ন

    কে বা কারা নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার দু বছর পর উপদেষ্টা কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিলেন, কার নির্দেশে এই কমিটি তৈরি হয়েছে, কমিটিতে কাদেরই বা নেওয়া হয়েছিল, এসবও শিক্ষা দফতরের কাছে জানতে চেয়েছে তদন্তকারী ওই সংস্থা। ওই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যাঁরা চাকরি পেয়েছেন, তাঁদের নথিপত্র ঠিক আছে কিনা, নিয়োগপত্র কোথা থেকে দেওয়া হয়েছিল, এসব সংক্রান্ত যাবতীয় নথিও চেয়ে পাঠিয়েছিলেন গোয়েন্দারা।

    সিবিআইয়ের চিঠি  

    সরকারি স্কুলগুলিতে প্রাথমিক স্তর থেকে উচ্চ মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত বেআইনি নিয়োগের (Recruitment Scam Case) যে অভিযোগ উঠেছে, হাইকোর্টের নির্দেশে তার তদন্ত করছে সিবিআই। সেই তদন্ত করতে গিয়েই এক সঙ্গে তিনটি দফতরকে চিঠি পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই চিঠির জবাবও এসে গিয়েছে নিজাম প্যালেসে। নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলার তদন্তে যেসব স্কুলে কারচুপি হয়েছে বলে অভিযোগ, তার একটি জেলা ভিত্তিক তালিকাও তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সেই তালিকায় থাকা কাটোয়ার একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষিকাকেও নিজাম প্যালেসে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।

    আরও পড়ুুন: ফের তড়িঘড়ি দিল্লি গেলেন শুভেন্দু, আবার কী হল?

    এরই কিছুদিন আগে প্রাক্তন শিক্ষা সচিব দুষ্মন্ত নারিয়ালাকে ঘণ্টা পাঁচেক ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। শিক্ষা সচিব মণীশ জৈনকে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই উঠে আসে দুষ্মন্তের নাম। তার পরেই তলব (Recruitment Scam Case) করা হয় তাঁকে। ২০১৬ থেকে ২০১৮-র জুন মাস পর্যন্ত স্কুল শিক্ষা দফতরের সচিব পদে ছিলেন দুষ্মন্ত। ওই সময় শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। দুষ্মন্ত যখন শিক্ষা সচিব ছিলেন, তখনই নিয়োগ হয় গ্রুপ-সি, গ্রুপ-ডি এবং একাদশ-দ্বাদশে। তাই জেরা করা হয়েছে দুষ্মন্তকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • Moloy Ghatak: কয়লাকাণ্ডে ফের হাজিরা এড়ালেন মলয় ঘটক, এবার কি গ্রেফতার করবে ইডি?

    Moloy Ghatak: কয়লাকাণ্ডে ফের হাজিরা এড়ালেন মলয় ঘটক, এবার কি গ্রেফতার করবে ইডি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়লা পাচার মামলায় (Bengal Coal Scam) ফের একবার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের হাজিরা এড়ালেন রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক (Moloy Ghatak)। যা জানা যাচ্ছে, এই নিয়ে ১৩ বার নাকি হাজিরা এড়ালেন মন্ত্রীমশায়। গত ১২ জুলাই তাঁকে হাজিরার নোটিশ পাঠিয়েছিল ইডি। চলতি সপ্তাহেই তাঁর দিল্লিতে গিয়ে ইডি দফতরে হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ইডি সূত্রে খবর, মন্ত্রীমশাই চিঠি দিয়ে তদন্তকারী আধিকারিকদের জানিয়েছেন, পূর্ব নির্ধারিত কিছু কর্মসূচি থাকার কারণে তিনি দিল্লি যেতে পারছেন না।

    বার বার এড়াচ্ছেন হাজিরা

    ইডি সূত্রে দাবি, আদালতের নির্দেশ মেনে, প্রতিবার ১৫ দিন সময় দিয়ে মলয়কে (Moloy Ghatak) ডাকা হচ্ছে। কিন্তু বারেবারে নানা কারণ দেখিয়ে তিনি হাজিরা এড়াচ্ছেন। পঞ্চায়েত ভোটের আগে ২০ ও ২৬ জুন তাঁকে হাজিরা দিতে বলেছিল ইডি। সেইসময় রাজ্যের মন্ত্রী জানিয়েছিলেন, পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন। তাই তিনি হাজিরা দিতে পারবেন না। ভোটপর্ব মিটলে তিনি হাজিরা দেবেন। সেই মতো, ভোট মিটে যাওয়ার পর, এবার গত ১২ তারিখ তাঁকে তলবের নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু, এবারও, তিনি হাজিরা এড়িয়ে গেলেন। 

    কেন তলব মন্ত্রী মলয়কে?

    মলয় ঘটক, একাধারে আইন ও শ্রম মন্ত্রী, অন্যদিকে, খনি এলাকা আসানসোলের দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল বিধায়ক। ইডি সূত্রে দাবি, কয়লা পাচার মামলায় (Bengal Coal Scam) আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত তথ্য সামনে রেখে মলয় ঘটককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। তাঁর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত তৃণমূল নেতা শঙ্কর চক্রবর্তীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি। আসানসোল পুরসভার ৫৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর দীপা চক্রবর্তীর স্বামী শঙ্করের কাছ থেকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলেছে বলে ইডি-র দাবি।

    আগে জেরা করেছে সিবিআই-ও

    এই মামলায় ইডির আগে, সিবিআইও জেরা করেছিল মন্ত্রীকে। মামলা তদন্তে সিবিআই বিরাট অভিযান চালিয়েছিল। তারা পৌঁছে গিয়েছিল মলয়ের আসানসোলের বর্তমান বাড়ি, পৈতৃক বাড়িতে। এমনকী রাজভবনের মন্ত্রী আবাসনের যে ফ্লোরে মলয় (Moloy Ghatak) থাকেন সেখানেও হানা দিয়েছিল সিবিআই। পরে, এই মামলায় ইডি-ও সামন্তরাল তদন্ত শুরু করলে, ডাক পড়ে মলয় ঘটকের। যে প্রেক্ষিতে, মন্ত্রীমশাই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। শীর্ষ আদালত নির্দেশ দেয়, অন্তত ১৫ দিন সময় নিয়ে মন্ত্রীকে ডাকতে হবে। সেই মতো, ১২ তারিখ নোটিশ পাঠানো হয়েছিল।

    কী পদক্ষেপ করতে পারে ইডি?

    এদিকে, বার বার ডাকা সত্ত্বেও মলয় ঘটক (Moloy Ghatak) যেভাবে হাজিরা এড়াচ্ছেন, তা আদালত অবমাননার সামিল বলে মনে করছে ইডি। এ নিয়ে আইনজীবীর পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে বলেও কেন্দ্রীয় সংস্থা সূত্রে খবর। নিয়ম অনুযায়ী, তদন্তকারী সংস্থা যাকে হাজিরার জন্য ডাকবে তাকে যেতে হবে। না গেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে ইডি-র। এক্ষেত্রে, তদন্তকারী সংস্থা আদালতের কাছে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট ইস্যুর জন্য আবেদন করতে পারেন। যদি তারা মনে করেন যে তিনি শুধুমাত্র জিজ্ঞাসাবাদ এড়ানোর জন্যই এই কাজ করছেন তবে তাকে গ্রেফতারির জন্য আদালতের কাছে ওয়ারেন্ট ইস্যুর আবেদনও করতে পারেন। কারণ ইডির গ্রেফতার করার ক্ষমতা রয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share