Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Suvendu Adhikari: ফের তড়িঘড়ি দিল্লি গেলেন শুভেন্দু, আবার কী হল?

    Suvendu Adhikari: ফের তড়িঘড়ি দিল্লি গেলেন শুভেন্দু, আবার কী হল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লি থেকে ফিরেছিলেন সোমবার গভীর রাতে। ২৪ ঘণ্টাও পার হয়নি, ফের দিল্লি গেলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সোমবার রাত ৯টায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বাড়িতে গিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন শুভেন্দু। রাতেই ফেরেন কলকাতা।

    শুভেন্দুর দিল্লিযাত্রা

    মঙ্গলবার বিধানসভার পরিষদীয় দলের বৈঠক শেষে ফের ধরেন দিল্লির উড়ান। কেন হঠাৎ দিল্লি যাত্রা, সে ব্যাপারে মুখে কুলুপ এঁটেছিলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। তবে বিজেপির একটি সূত্রের খবর, অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক করতেই ফের একবার দিল্লি গেলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার রাত দশটা থেকে ১২ টা পর্যন্ত অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক রয়েছে শুভেন্দু অধিকারীদের। তবে, বৈঠকের সময়সীমা আরও বাড়তে পারে বলেও জানা যাচ্ছে। জানা যাচ্ছে, ২০২৪ লোকসভার স্ট্র্যাটেজি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে। বুধবার দুপুরে ফিরবেন শুভেন্দু অধিকারী। এখনও পর্যন্ত তাই স্থির রয়েছে। এদিন যাওয়ার আগে বিধানসভার কাজকর্ম দেখভালের দায়িত্ব তিনি দিয়ে গেলেন বিজেপি পরিষদীয় দলের মুখ্য সচেতক মনোজ টিগ্গাকে। পশ্চিমবঙ্গে নারী নির্যাতনের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের দফতরে একটি প্রস্তাব জমা দিয়েছে বিজেপির পরিষদীয় দল। শুভেন্দু বলেন, “এই বিষয়ে আমরা আলোচনা চেয়েছি।”

    দিন কাটল ব্যস্ততায় 

    এদিন দিল্লি যাওয়ার আগে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) ব্যস্ত ছিলেন ধূপগুড়ির বিধায়ক বিজেপির বিষ্ণুপদ রায়ের শেষ যাত্রার প্রস্তুতিতে। সোমবার বিষ্ণুপদ মারা যান এসএসকেএম হাসপাতালে। তাঁর দেহ নিয়ে লোকজন ধূপগুড়ি রওনা দিতেই বিধানসভায় পরিষদীয় দলের সদস্যদের নিয়ে বৈঠক করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তার পরেই রওনা দেন দিল্লির উদ্দেশে। এদিন শাহ-শুভেন্দু বৈঠকে যোগ দিতে পারেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও।

    এদিকে, এদিন দুপুরে সংসদে সপরিবারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা করলেন সুকান্ত। স্ত্রী ছাড়াও তাঁর সঙ্গে ছিলেন দুই মেয়ে। সেই ছবি ট্যুইটও করেছেন সুকান্ত। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার পর বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, “বাংলার ব্যাপারে (Suvendu Adhikari) খোঁজখবর নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

    পঞ্চায়েতে হিংসা ও অশান্তির ব্যাপারে তাঁর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। রাজ্যের উন্নয়নের বিষয় নিয়েও কথা হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে। পঞ্চায়েতে হিংসার ঘটনা সত্ত্বেও বিজেপি যে ১১ হাজার আসনে জিতেছে, তা জেনে খুশি প্রধানমন্ত্রী।”

    আরও পড়ুুন: ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের সঙ্গে তুলনা! ‘ইন্ডিয়া’ জোট নিয়ে বিরোধীদের কটাক্ষ মোদির

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Recruitment Scam: নিয়োগে অনিয়ম! সিবিআই প্রশ্নের মুখে কাটোয়া গার্লস স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা

    Recruitment Scam: নিয়োগে অনিয়ম! সিবিআই প্রশ্নের মুখে কাটোয়া গার্লস স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Recruitment Scam) এবার বর্ধমানের কাটোয়া গার্লস স্কুলের প্রধান শিক্ষিকাকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করল সিবিআই (CBI)। অভিযোগ, ওই স্কুলে অনিয়মের কারণে এক শিক্ষিকা কাজে যোগ দিতে পারেননি। সে কারণে সোমবার কাটোয়া দুর্গাদাসী চৌধুরানি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা কবিতা সরকারকে তলব করা হয়। তাঁর বক্তব্যে সন্তুষ্ট হতে না পারায় এদিন সন্ধ্যায় স্কুলের কর্মী বিজন সাহাকেও ডেকে পাঠান গোয়েন্দারা। বিজন আবার কাটোয়া পুরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলরও। 

    কেন তলব

    সিবিআই সূত্রে খবর, ২০২১ সালে এক শিক্ষিকার নিয়োগে অনিয়মের কারণে ওই স্কুলটি গোয়েন্দাদের নজরে আসে। অভিযোগ, মৌমিতা চক্রবর্তী নামে একজনের নিয়োগের চিঠি স্কুলে এসেছিল। কিন্তু তিনি ওই স্কুলে যোগ দিতে পারেননি নানা কারণে। কেন এমনটা হয়েছিল, তা জানতেই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকাকে তলবের পাশাপাশি নথিপত্র পাঠাতে বলেন গোয়েন্দারা। ওই স্কুলটিতে বেআইনি পদ্ধতিতে একাধিক শিক্ষিকার নিয়োগ হয়েছে বলেও অভিযোগ। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর,  কাটোয়া গার্লস স্কুলে বেআইনি ভাবে বেশ কয়েকজনের চাকরির অভিযোগ। কাদের সুপারিশে চাকরি, মেল মারফত কোনও চিঠি এসেছিল, নাকি হাতে কেউ দিয়ে গিয়েছিল ? জানতে প্রধান শিক্ষিকাকে তলব করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। 

    আরও পড়ুন: প্রবীণ আরএসএস নেতা মদন দাস দেবীর জীবনাবসান, শোকপ্রকাশ প্রধানমন্ত্রীর

    নিয়োগ মামলার তদন্তে নেমে জেলা ধরে ধরে রাজ্যের এমন বেশ কিছু স্কুলের নামের তালিকা সিবিআই তৈরি করেছে, যেখানে বেআইনি নিয়োগ হয়েছে বলে অভিযোগ। তার মধ্যে অন্যতম কাটোয়ার ওই স্কুল। স্কুলটি কেন্দ্রীয় সংস্থার আতশকাচের নীচে রয়েছে।সিবিআই সূত্রে খবর, এই স্কুলে কী ভাবে নিয়োগ হয়েছে, কোন শিক্ষিকা কবে, কিসের ভিত্তিতে চাকরি পেয়েছেন, তা জানার জন্য প্রধান শিক্ষিকাকে ডাকা হয়েছে। স্কুলে কর্মরত শিক্ষিকারা চাকরিতে যোগদানের সময় কী কী নথি স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দিয়েছেন, নথিপত্র সব ঠিকঠাক ছিল কি না, তা-ও জানতে চায় সিবিআই। অভিযোগ, বেআইনি পদ্ধতিতে চাকরি পাওয়া কয়েক জন অযোগ্য প্রার্থী ওই স্কুলে চাকরি করছেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: মহিলাদের বিবস্ত্র করে বেধড়ক মার, হাওড়ায় পথে নেমে আন্দোলন বিজেপির

    BJP: মহিলাদের বিবস্ত্র করে বেধড়ক মার, হাওড়ায় পথে নেমে আন্দোলন বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাঁচলা এবং মালদায় মহিলাদের বিবস্ত্র করে তাঁদের উপর অত্যাচার চালানোর প্রতিবাদে হাওড়ায় প্রতিবাদে সামিল হল বিজেপি (BJP)। সোমবার বিজেপির তফশিলি মোর্চা ও মহিলা মোর্চা এক জোট হয়ে তাঁরা আইন ভঙ্গের কর্মসূচিতে অংশ নেন। এদিন বিকেলে তাঁরা পঞ্চাননতলায় বিজেপির পার্টি অফিস থেকে মিছিল করে হাওড়া থানার দিকে রওনা দেন। বিজেপি কর্মীদের প্রতিবাদ যখন হাওড়া থানার দিকে এগোতে থাকে, তখন তাদের আটকানোর জন্য সিটি পুলিশের উদ্যোগে আগেই তৈরি করা হয়েছিল লোহার ব্যারিকেড। হাওড়া ময়দানে সেই ব্যারিকেডের সামনে বিজেপির মিছিল এলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। আর তখনই পুলিশের সঙ্গে উত্তেজিত জনতার ধস্তাধস্তি ও খণ্ডযুদ্ধ শুরু হয়। প্রতিবাদকারী বিজেপি কর্মী, সমর্থক ও সাধারণ মানুষ পুলিশের তৈরি করা লোহার ব্যারিকেড ভেঙে হাওড়া থানার দিকে এগিয়ে যায়। পরে, তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ। বিজেপি কর্মীদের অভিযোগ, হাওড়ার পাঁচলায় দুই মহিলা বিজেপি কর্মীকে সম্পূর্ণভাবে বিবস্ত্র করে তাদের ওপর অত্যাচার চালানো হয়। যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী একজন মহিলা, সেই রাজ্যে নারীদের কোনও নিরাপত্তা নেই।

    কী বললেন বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব?

    বিজেপির (BJP) হাওড়া জেলা সভাপতি মনিমোহন ভট্টাচার্য বলেন, রাজ্য জুড়ে যেভাবে নারীদের ওপর নির্যাতন হচ্ছে তারই প্রতিবাদে বিজেপির মহিলা মোর্চা সহ বিভিন্ন সংগঠনের সদস্যরা এবং সাধারণ মানুষ এদিনের কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন। তিনি বলেন, আমাদের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে বিভিন্ন রাজ্যের নারীদের সন্মানের দাম বিভিন্ন রকম। মণিপুরের ঘটনায় যে মুখ্যমন্ত্রী প্রতিবাদ জানাচ্ছেন, তার নিজের রাজ্যের মহিলাদের উপর অত্যাচারের ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী নীরব। অন্যদিকে বিজেপি মণিপুরের ঘটনার সমালোচনা করেছে। এই রাজ্যের মহিলাদের উপর অত্যাচারের ঘটনায় বিজেপি পথে নেমেছে। শুধুমাত্র গত কয়েক দিনের ঘটনাই নয়, এর আগেও একের পর এক মহিলাদের উপর নির্যাতনের ঘটনায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কখনও নীরব ভূমিকা পালন করেছেন, আবার কখনও পার্ক স্ট্রিটের মতো ঘটনায় সেই মহিলার চরিত্র নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন। এটা একেবারেই বাঞ্ছনীয় নয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: “আমরাও হাতে চুড়ি পরে বসে নেই”, তৃণমূলকে হুঁশিয়ারি সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: “আমরাও হাতে চুড়ি পরে বসে নেই”, তৃণমূলকে হুঁশিয়ারি সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “মণিপুরের ঘটনা নিয়ে পরে কথা বলবেন। আগে মালদা, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ারে কী হচ্ছে দেখুন!” সোমবার এই ভাষায়ই বিরোধীদের উদ্দেশে তোপ দাগলেন বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি অধ্যাপক নেতা সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। কোচবিহারে গণধর্ষণের শিকার এক নাবালিকার প্রসঙ্গও টানেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।

    বাংলায় ঘটনার ঘনঘটা

    তিনি বলেন, “কোচবিহারে ১৪ বছরের এক নাবালিকাকে ছ’ দিন ধরে গণধর্ষণ করা হয়েছে। হাসপাতালে সে পাঞ্জা লড়ছে মৃত্যুর সঙ্গে। বাংলায় ঘটে যাওয়া একের পর এক কাণ্ড কেন বিরোধীদের চোখে পড়ছে না?” এর পরেই তিনি বলেন, “আমাদের বিরোধীরা একপেশে। তাঁরা মণিপুর দেখতে পাচ্ছেন, কিন্তু মালদা, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ারের ঘটনা দেখতে পাচ্ছেন না।”

    সুকান্তর হুমকি 

    বিজেপি নেতাদের বাড়ি ঘেরাওয়ের ডাক দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো স্বয়ং। এদিন সে প্রসঙ্গ টেনে সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, “আমরাও হাতে চুড়ি পরে বসে নেই। এমন প্রত্যুত্তর দেব, যা তৃণমূল কংগ্রেস মনে রাখবে সারা জীবন।” তিনি বলেন, “বিরোধী দলের নেতাদের বাড়ি ঘেরাও করতে বলা তাঁদের সাংবিধানিক অধিকার খর্ব করার চেষ্টা। এটা বিজেপি কোনওভাবেই মেনে নেবে না।” বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, “ওদের যা করার, করুক। কিছু মানুষের প্রাণ যদি যায়, কেউ যদি আহত হয়, কোনও মায়ের কোল যদি খালি হয়, তাহলে আমরাও তৃণমূল কংগ্রেসকে ছাড়ব না। পরবর্তী পদক্ষেপ আমরা ঠিক সময় ঘোষণা করব।”

    এর পরেই তিনি বলেন, “এমন প্রত্যুত্তর দেব, যা তৃণমূল কংগ্রেস সারা জীবন মনে রাখবে।” সুকান্ত বলেন, “রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় আমাদের কর্মীরা এফআইআর করেছেন। এটা প্ররোচনামূলক কথা। মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর স্বনামধন্য কয়লা ভাইপো যেভাবে হিংসায় প্ররোচনা দিয়েছে, তা ভারতের ইতিহাসে কেউ কখনও দেখেনি।” সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, “তৃণমূলের ওই কর্মসূচি নিয়ে আমার সঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কথা হয়েছে। আমি বিষয়টি ওঁকে চিঠি দিয়ে জানাচ্ছি। আমাদের প্রতিনিধি দল রাজ্যপালের সঙ্গেও দেখা করে বিষয়টি জানাবে। কারণ সাংবিধানিক অধিকার খর্ব করার চেষ্টা হচ্ছে।” বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, “তৃণমূলের কর্মসূচির মোকাবিলায় বিজেপি প্রস্তুত রয়েছে। তার পাল্টায় কী হবে, তৃণমূল কংগ্রেসকে ভেবে রাখতে বলবেন।”

    আরও পড়ুুন: রামনবমীর শোভাযাত্রায় হিংসার মামলায় খারিজ রাজ্যের আর্জি, ‘সুপ্রিম’ নির্দেশে বহাল এনআইএ তদন্ত

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Uttam Kumar: বারাসতে মহানায়কের আদি ভিটে! ৪৩ তম প্রয়াণ দিবসে শ্রদ্ধা জানালেন পরিবারের সদস্যরা

    Uttam Kumar: বারাসতে মহানায়কের আদি ভিটে! ৪৩ তম প্রয়াণ দিবসে শ্রদ্ধা জানালেন পরিবারের সদস্যরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ মহানায়ক উত্তম কুমারের (Uttam Kumar) ৪৩ তম মৃত্যুবার্ষিকী। বারাসতের দক্ষিণপাড়ার চট্টোপাধ্যায় পরিবারের সদস্যদের মন ভারাক্রান্ত। মন ভাল নেই প্রতিবেশীদের। কারণ, মহানায়কের এক সময়ের বাড়ির ঠিকানা ছিল এই দক্ষিণপাড়া। বহুদিন দক্ষিণপাড়ার বাড়িতে তিনি কাটিয়েছেন। পুরানো সেই স্মৃতি আঁকড়ে রয়েছেন পরিবারের সদস্যরা।

    শীতলা মন্দিরে বহুবার পুজো দিয়েছেন উত্তম কুমার, দাবি ভাইপোর

    ১৯৮০ সালে আজকের দিনে প্রয়াত হয়েছিলেন তিনি। অভিনয় জগতে তিনি এক আলাদা মাইলস্টোন গড়ে গিয়েছেন, যা ভাঙা কোনও তারকার পক্ষেই সম্ভব হয়নি। সপ্তপদী, নায়ক, অগ্নিপরীক্ষা, পথে হল দেরি, সবার ওপরে, সাগরিকা, শাপমোচন, কাল তুমি আলেয়া, বন পলাশির পদাবলী, সন্ন্যাসী রাজার মত জনপ্রিয় ছবিগুলি আজও বাঙালির মণিকোঠায় জায়গা করে নিয়েছে। আজও তাঁর ছবিতে চোখ রাখে তরুণ প্রজন্ম, তাঁকে নিয়ে হয় গবেষণাও। আজ উত্তম কুমারের (Uttam Kumar) মৃত্যু দিবসে তার সেই ছোটবেলায় আদি বাড়িতে আসা স্মৃতি কিছুটা মনে করিয়ে দিলেন তাঁর ভাইপো অলক কুমার চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, বারাসাত দক্ষিণপাড়া শীতলাতলা রোডে এই বাড়িতেই উত্তম কুমার দীর্ঘ কয়েক বছর কাটিয়েছিলেন। এখান থেকেই যেতেন বিভিন্ন বইয়ের শুটিংয়ে। বাড়ি সংলগ্ন শীতলা মন্দির, সেই শীতলা মন্দিরে পুজো না দিয়ে তিনি কখনোই যেতেন না কোন বইয়ের শুটিং করতে। পাশাপাশি শুটিং সেরে এসে এই বাড়িতেই তিনি বিশ্রাম নিতেন। খাওয়া-দাওয়া করতেন এই বাড়িতেই। সেই দিনগুলি চোখের সামনে জ্বলজ্বল করছে।

    বাড়িতে মহানায়ক আসলেই উপচে পড়ত ভিড়়, বললেন এক প্রতিবেশী

    বাড়িতে প্রবেশ করলেই প্রথমে দেখা যাবে বড় পুরনো দিনের দরজা। সেই দরজা দিয়েই প্রথমে প্রবেশ করলেই দেখা যাবে একটি ঘর, যে ঘরে  উত্তম কুমার (Uttam Kumar) এসে দীর্ঘ সময় বিশ্রাম নিতেন। দীর্ঘ কয়েক বছর এই বাড়িতে থেকে কিন্তু পরবর্তীকালে ভবানীপুরে গিরিশ মুখার্জি রোডে তিনি চলে যান। কিন্তু মাঝেমধ্যে এই বাড়ি থেকেই আসা-যাওয়া করতেন। বাড়ি থেকে কিছুটা দূরেই রয়েছে শিশির কুঞ্জ, সেখানেও একাধিক বইয়ের শুটিং করেছেন তিনি। তাই এই বাড়ি থেকেই তিনি মন্দিরে পুজো দিয়ে শুটিংয়ে বের হতেন। প্রতিবেশী মুকুল চট্টোপাধ্যায় বলেন, উত্তম কুমার আমাদের অত্যন্ত স্নেহ করতেন। এই বাড়িতেই আসলেই ভিড় উপচে পড়ত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: ‘উত্তরবঙ্গের প্রতি ফোকাসটা কম, পিছিয়ে পড়া মনে হয়’, একী বললেন তৃণমূলের মেয়র গৌতম দেব

    TMC: ‘উত্তরবঙ্গের প্রতি ফোকাসটা কম, পিছিয়ে পড়া মনে হয়’, একী বললেন তৃণমূলের মেয়র গৌতম দেব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের ১৩ বছরের রাজত্বে উত্তরবঙ্গ যে বঞ্চিত তা কার্যত স্বীকার করে নিলেন শিলিগুড়ির মেয়র তথা রাজ্যের প্রাক্তন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী গৌতম দেব। সোমবার শিলিগুড়ি জার্নালিস্ট ক্লাবে প্রখ্যাত টেবিল টেনিস খেলোয়াড় অর্জুন মান্তু ঘোষের উপর একটি গানের অ্যালবাম প্রকাশ করেন তিনি। এখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘সবসময় আমাদের উত্তরবঙ্গের প্রতি ফোকাসটা কম। উত্তরবঙ্গ হলেই কেমন যেন পিছিয়ে পড়া-পিছিয়ে পড়া মনে হয় বিভিন্ন ক্ষেত্রে।ֹ’ 

    উত্তরবঙ্গের উন্নয়ন নিয়ে তৃণমূলের (TMC) দাবিকে ধাক্কা দিলেন গৌতম দেব

    মেয়রের এই বক্তব্যে রাজনৈতিক মহলে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। কারণ, তৃণমূলের (TMC) নেতা, মন্ত্রীরা সব সময় দাবি করেন, রাজ্যে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর উত্তরবঙ্গ আর অবহেলিত নয়। প্রচুর উন্নতি হয়েছে। সেখানে এদিন গৌতম দেবের এই বক্তব্য তৃণমূলের সেই দাবিকে ধাক্কা দিচ্ছে বলে মনে করেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ। রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা তৃণমূলের রাজ্য নেতা মুখে উত্তরবঙ্গের প্রতি বঞ্চনার কথা শুনে বিরোধীরা সরব হয়েছে।

    গৌতম দেবকে কেন ধন্যবাদ জানালেন বিজেপি বিধায়ক?

    বিজেপি মনে করে, উত্তরবঙ্গের প্রতি তৃণমূল (TMC) সরকারের বঞ্চনা নিয়ে তাদের অভিযোগে এদিন  সীলমোহর দিলেন গৌতম দেব। তাঁর এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে শিলিগুড়ির বিধায়ক বিজেপির শঙ্কর ঘোষ বলেন, আমি শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেবকে ধন্যবাদ জানাই। কেননা তৃণমূলের অনেক নেতাই প্রকাশ্যে না হলেও নিজেদের মধ্যে উত্তরবঙ্গের প্রতি বঞ্চনার কথা বলেন। এদিন সরাসরি সেটা স্বীকার করে নিলেন শিলিগুড়ির মেয়র।

    বিতর্ক শুর হতেই ঢোক গিললেন গৌতম দেব

    তাঁর বক্তব্যে নিয়ে বিতর্ক শুরু হতেই ঢোক গেলেন গৌতম দেব। এদিন অনুষ্ঠানের পর শিলিগুড়ি পুরসভায় সাংবাদিকরা এনিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, আমি খেলার ক্ষেত্রে উত্তরবঙ্গের প্রতি বঞ্চনার কথা বলেছি। ঋদ্ধিমান সাহা, মান্তু ঘোষ দিনের পর দিন ভাল পারফরম্যান্স করে যাওয়ার পরও জাতীয় ক্ষেত্রে সেই গুরুত্ব পাননি, বঞ্চিত হয়েছেন। এদিন আমার ওই বক্তব্যে রাজনীতি বা রাজ্য সরকারের বঞ্চনার কোনও বিষয় নেই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: নির্বাচন সংক্রান্ত মামলার পাহাড়, ফের একবার বিরক্তি প্রকাশ প্রধান হাইকোর্টের বিচারপতির

    Calcutta High Court: নির্বাচন সংক্রান্ত মামলার পাহাড়, ফের একবার বিরক্তি প্রকাশ প্রধান হাইকোর্টের বিচারপতির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বাচন সংক্রান্ত মামলার পাহাড় জমে গিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। আজ, সোমবার ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচন সংক্রান্ত অন্তত ৭৩টি মামলার শুনানি রয়েছে। এরই মাঝে নতুন আবেদন শুনে ফের একবার বিরক্তি প্রকাশ করলেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম। সব মামলার শুনানি স্থগিত করে দেওয়ার হুমকিও দেন তিনি।

    মামলার পাহাড় 

    এদিন যে ৭৩টি মামলার শুনানি রয়েছে আদালতে, তার মধ্যে ২৬টি জনস্বার্থ মামলা রয়েছে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে। এর মধ্যেই একটি মামলায় নতুন করে আবেদন নিয়ে এসেছিলেন এক মামলাকারী। এই সময়ই উষ্মা প্রকাশ করে প্রধান বিচারপতি (Calcutta High Court) বলেন, “মামলা তো চলছে। কেন আবার নাক গলাচ্ছেন? এ নিয়ে তো অধীর রঞ্জন চৌধুরীর মামলা রয়েছে। তা ছাড়াও এত মামলা রয়েছে। আমরা কিন্তু সব মামলার শুনানি স্থগিত করে দিতে বাধ্য হব। শেষ কয়েক মাসে কোনও কাজ করা যাচ্ছে না।” 

    মামলা প্রত্যাহার

    তিনি বলেন, “মামলা তো দায়ের করেছেন। নতুন করে আবেদন কেন? মামলা প্রত্যাহার করে নিন। না হলে মামলা খারিজ করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কড়া অর্থদণ্ড দেব। আপনারা কি আদালতের সঙ্গে রাজনীতির খেলা শুরু করার চেষ্টা করছেন? আদালতের কাছে স্বচ্ছ ভাবমূর্তি বজায় রাখুন।” এর পরেও মামলাকারী অনড় থাকায় তাঁর মামলা খারিজ করে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রাজ্য লিগ্যাল সার্ভিসেস অথরিটির দফতরে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা দেওয়ার নির্দেশ দেন। এর পরেই মামলা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।

    আরও পড়ুুন: ‘শ্লীলতাহানি’! বিজেপির দুই মহিলা প্রার্থীকে পুলিশি পাহারায় বাড়ি পাঠানোর নির্দেশ হাইকোর্টের

    অবশ্য এই প্রথম নয়, দিন কয়েক আগেও রাজনৈতিক মামলার বহর দিন দিন বেড়ে যাওয়া উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন প্রধান বিচারপতি (Calcutta High Court)। তার দিন দুই আগেও ওই একই কারণে বিরক্তি প্রকাশ করেছিলেন হাইকোর্টেরই বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। তিনি বলেছিলেন, “সারা দিন কি শুধু রাজনৈতিক মামলাই শুনব? অন্য মামলা কি আর শোনা যাবে না!এত এত রাজনৈতিক মামলা শোনার সময় দেওয়া যাবে না।” তিনি এও বলেছিলেন, “এই সব মামলা আমি রিলিজ করে দেব। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ২৭ থেকে ২৮টা মামলা রয়েছে। তার ওপর এই রকম আরও ১০টা মামলা এখনই রয়েছে। এত এত রাজনৈতিক মামলা শোনার সময় দেওয়া যাবে না।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 pargana: মাদ্রাসার বাথরুমে ছাত্রীকে ধর্ষণ! গ্রেফতার অভিযুক্ত শিক্ষক

    South 24 pargana: মাদ্রাসার বাথরুমে ছাত্রীকে ধর্ষণ! গ্রেফতার অভিযুক্ত শিক্ষক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্কুলের মধ্যে নাবালিকা ছাত্রীকে আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল ওই স্কুলেরই অস্থায়ী শিক্ষকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার (South 24 pargana) ঢোলাহাট থানার হাই মাদ্রাসা স্কুলে। এই ঘটনায় আরও একবার প্রশ্নের মুখে পড় রাজ্যের নারী নিরাপত্তা। বিরোধীরা বারবার দাবি করে, মমতার আমলে বাংলা নারী নির্যাতনে দেশের মধ্যে শীর্ষস্থানে গিয়েছে। বিরোধীদের এই অভিযোগ যে মিথ্যা নয়, তা জেলায় জেলায় মহিলা নিগ্রহের একাধিক ঘটনা সামনে আসতেই বোঝা যাচ্ছে। ২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে মণিপুরের ঘটনায় সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী কিন্তু তাঁর নিজের রাজ্যের নারীদের নিরাপত্তা দিতে পেরেছেন কি? এটাই প্রশ্ন ওয়াকিবহাল মহলের।

    কী বলছে নির্যাতিতার পরিবার?

    নির্যাতিতা নাবালিকার পরিবারের অভিযোগ, গত শুক্রবার ওই নাবালিকা স্কুলছাত্রীকে স্কুলের বাথরুমের মধ্যে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে ওই হাই মাদ্রাসা স্কুলের (South 24 pargana) অস্থায়ী শিক্ষক ফইজুদ্দিন মোল্লা। শুধু তাই নয়, পরিবারের আরও অভিযোগ, এরপর ওই নাবালিকা স্কুল ছাত্রী চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করলে তাকে বাথরুমের মধ্যেই তালা দিয়ে আটকে রেখে পালিয়ে যায় ওই অস্থায়ী শিক্ষক। এরপর অন্যান্য ছাত্র ছাত্রীরা বিষয়টি তার পরিবারের লোকজনকে জানায়। পরিবারের লোকজন ওই নাবালিকা স্কুল ছাত্রীকে বাথরুমের মধ্য থেকে উদ্ধার করে। এরপরেই ওই নাবালিকা স্কুল ছাত্রী পরিবারের কাছে সমস্ত ঘটনা জানায়। 

    পকসো ও ভারতীয় দন্ডবিধি ৩৭৬ ধারায় মামলা রজু পুলিশের

    পরবর্তী সময় ওই ছাত্রীর পরিবার রবিবার ঢোলাহাট থানায় অস্থায়ী শিক্ষক ফইজুদ্দিন মোল্লার নামে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। তার ভিত্তিতেই তদন্ত নামে ঢোলাহাট থানার (South 24 pargana) পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্ত শিক্ষককে। সোমবার কাকদ্বীপ আদালতে তোলা হয় ফইজুদ্দিনকে। ওই অস্থায়ী স্কুল শিক্ষকের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ ও পকসো আইনে মামলা রজু করেছে ঢোলাহাট থানার পুলিশ। অন্যদিকে ওই ছাত্রীর পরিবার ওই অস্থায়ী শিক্ষকের কঠিনতম শাস্তির দাবি তুলেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: ‘শ্লীলতাহানি’! বিজেপির দুই মহিলা প্রার্থীকে পুলিশি পাহারায় বাড়ি পাঠানোর নির্দেশ হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: ‘শ্লীলতাহানি’! বিজেপির দুই মহিলা প্রার্থীকে পুলিশি পাহারায় বাড়ি পাঠানোর নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েতে ভোট গ্রহণ ও গণনার দিন তাঁদের দুই মহিলা প্রার্থীর শ্লীলতাহানি (two molested BJP women) করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছিল বিজেপি। সোমবার, ওই দুই প্রার্থী কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের এজলাসেও উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের পুলিশ এসকর্ট দিয়ে বাড়ি পাঠানোর নির্দেশ দিল প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে ডিভিশন বেঞ্চ। 

    হাইকোর্টের নির্দেশ

    ওই দুই মহিলা প্রার্থীর হয়ে আদালতে এদিন সওয়াল করেছিলেন বিজেপি নেত্রী তথা আইনজীবী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল। এদিন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশের পর প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়াল বলেন, আদালতের নির্দেশকে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি। মহামান্য বিচারপতি নির্দেশ দিয়েছেন, দুই মহিলা প্রার্থীকে পুলিশি নিরাপত্তা দিয়ে বাড়িতে পৌঁছে দিতে হবে। তাঁদের উপর যেন কোনও হামলা না হয়। রাজ্যে শান্তি কায়েম রাখতে হবে। বিজেপির দুই প্রার্থীর মধ্যে একজন এদিন কোর্ট চত্বরে দাঁড়িয়ে সংবাদমাধ্যমকে জানান, তিনি হাওড়া জেলার একটি গ্রাম পঞ্চায়েতে বিজেপির প্রার্থী ছিলেন। ভোটের দিন ও গণনার দিন তৃণমূলের অনেকে বুথের মধ্যে ও গণনার মধ্যে ঢুকে পড়েছিল। একটা সরু প্যাসেজ দিয়ে বুথে ঢুকতে হচ্ছিল। সেখানে তৃণমূলের কয়েক জন কর্মী তাঁর গায়ে হাত দিয়েছেন বলে তাঁর অভিযোগ।

    আরও পড়ুন: রাজ্যে আরও ১০ দিন থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী, জানাল হাইকোর্ট

    মমতাকে কটাক্ষ

    রবিবার সকালে পাঁচ তফসিলি সাংসদের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম (BJP Fact Finding Team) বাংলায় পাঠিয়েছে বিজেপি। এ দিন তারা হুগলির তারকেশ্বর এবং আরামবাগে ভোটে আক্রান্তদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন তাঁরা। সোমবার, এই দলের সদস্য সাংসদ এস মুনিস্বামী জানিয়েছেন, ‘গতকাল যা দেখে এসেছি, তাতে স্পষ্ট, নামে মমতা হলেও মুখ্যমন্ত্রীর কাজকর্মে আর নামমাত্র মমত্ব অবশিষ্ট নেই। এই রাজ্যের দায়িত্ব অবিলম্বে রাজ্যপালের হাতে তুলে দেওয়া হোক। মুখ্যমন্ত্রী স্বেচ্ছায় ইস্তফা দিন’। যার নেতৃত্বে এই ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম সফর করছে, সেই সাংসদ বিনোদ সোনকারের দাবি, ‘মমতা ব্যানার্জি ভয় পেয়েছেন। তাই আর এই আচরণ’। ৫ সদস্যের এই টিমে আছেন বিনোদ সোনকার, সুরেশ কাশ্যপ, এস মুনিস্বামী, মনোজ রাজোরিয়া এবং বিনোদ ছাবড়া। তাঁরা দিল্লি ফিরে গিয়ে, এই রাজ্যের সন্ত্রাস-এর আবহ নিয়ে বিস্তারিত আকারে  রিপোর্ট জমা দেবেন, বলে জানান। এরই মধ্যে 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Aliah University: দুর্নীতিতে অভিযুক্ত নেতারা! আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএমসিপি ইউনিটের গণ ইস্তফা

    Aliah University: দুর্নীতিতে অভিযুক্ত নেতারা! আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএমসিপি ইউনিটের গণ ইস্তফা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্নীতিতে মদত দিচ্ছেন সংগঠনের নেতারা, এমন অভিযোগ জানিয়ে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (Aliah University) তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ইউনিটের সব নেতা একযোগে পদত্যাগ করলেন। জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্ক সার্কাস এবং নিউ টাউন ক্যাম্পাসের বিক্ষুব্ধ পদাধিকারীরা ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন সংগঠনের রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্যকে। বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা মীর সিদ্দিকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনেছেন পদত্যাগীরা। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা তৃণাঙ্কুর বলেন, ‘‘সব অভিযোগও খতিয়ে দেখা হবে।’’ তাঁর আরও সংযোজন, ‘‘এটা একেবারেই সংগঠনের অভ্যন্তরীণ বিষয়। আমরা খুব তাড়াতাড়ি নতুন কমিটি তৈরি করব। তবে আমরা নিশ্চিত যে, আলিয়ার পড়ুয়ারা আগের মতোই টিএমসিপির সঙ্গেই রয়েছে।’’ তবে পড়ুয়াদের মধ্যে যে পরিমাণে ক্ষোভ জমছে তাতে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের এই নেতার বিবৃতিতে যে চিঁড়ে ভিজবে না তা বলা বাহুল্য।

    সংখ্যালঘু ছাত্রদের জন্য মমতার আমলেই গড়ে ওঠে এই বিশ্ববিদ্যালয়

    শুধুমাত্র সংখ্যালঘু পড়ুয়াদের জন্য এই বিশ্ববিদ্যালয় (Aliah University) তৈরি হয় তৃণমূলের আমলেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের দু’টি ক্যাম্পাস তৈরি করেন। তবে দীর্ঘ দিন ধরেই নানা রকমের অভিযোগ উঠছিল বলে জানা গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী উপাচার্য নেই দীর্ঘদিন ধরেই। সম্প্রতি রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস এই সমস্যার সমাধানের উদ্যোগ নিয়েছেন। কেরলের অবসরপ্রাপ্ত আইপিএস এম ওয়াহাবের নাম অন্তর্বর্তিকালীন উপাচার্য হিসাবে ঘোষণা করেছেন বলে জানা গিয়েছে।

    কী বলছেন বিক্ষুব্ধ ছাত্র নেতারা?  

    বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউটাউন ক্যাম্পাসের টিএমসিপি সাধারণ সম্পাদক ওয়াদিল আলম পদত্যাগের বিষয়ে বলেন, ‘‘আলিয়া মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু এখানে নানা অনিয়ম চলছে। লেখাপড়া তো হচ্ছেই না, তার সঙ্গে একের পর এক দুর্নীতি হয়ে চলেছে। সংগঠনের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে বার বার অভিযোগ জানিয়েও কাজ না হওয়ায় আমরা ইস্তফার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’’ পদত্যাগীদের আরও দাবি, পড়ুয়ারাও ক্ষুব্ধ। একদিনে এই ক্ষোভ তৈরি হয়নি বলেও দাবি তাঁদের। পড়ুয়াদের স্বার্থপূরণ হয়নি বলেই পদত্যাগের এমন সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছেন তাঁরা। নানা অনিয়মের অভিযোগও তুলেছেন তাঁরা। যেমন বিশ্ববিদ্যালয়ের (Aliah University) গেট থেকে সাইকেল স্ট্যান্ড তৈরিতে প্রতিটি ক্ষেত্রেই নাকি দুর্নীতি হয়েছে। টেন্ডার ছাড়াই একজনকে হোস্টেলের খাবারের কনট্রাক্ট দেওয়া হয়েছে। এসব নানা অভিযোগ উঠছে। যার বিরুদ্ধে এত অভিয়োগ সেই মীর সিদ্দিকি এদিন বলেন, ‘‘আমি সংগঠনের স্বার্থেই যা করার করেছি। কোনও অন্যায় কাজের সঙ্গে আমি যুক্ত নই।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share