Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • CBI: কয়লা, গরু পাচার মামলার তদন্তকারী সিবিআই কর্তাকে হায়দরাবাদে বদলি

    CBI: কয়লা, গরু পাচার মামলার তদন্তকারী সিবিআই কর্তাকে হায়দরাবাদে বদলি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ-দুর্নীতি থেকে কয়লা-গরুপাচারের তদন্ত চালানো সিবিআই-এর (CBI) দুর্নীতি দমন শাখার প্রধান (Head Of Anti Corruption Branch Transferred) তথা জয়েন্ট ডিরেক্টর এস বেণুগোপালকে বদলি করা হল। এক বছরের মাথায় বদল করা হল তাঁকে। বেণুগোপালকে পাঠানো হয়েছে সিবিআই-এর হায়দরাবাদ শাখায়। সিবিআইয়ের কলকাতা জোনের নতুন যুগ্ম অধিকর্তা হলেন  মহারাষ্ট্র ক্যাডারের অফিসার রাজেশ প্রধান।

    নয়া যুগ্ম অধিকর্তা 

    কয়লা এবং গরু পাচার তদন্তের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এন বেণুগোপাল। তদন্তের মাঝেই সরিয়ে দেওয়া হল তাঁকে। বেণুগোপালের পাশাপাশি যুগ্ম অধিকর্তা (নীতি) অমিত কুমারকেও বদলি করা হয়েছে। বেণুগোপালের পরিবর্তে আসা রাজেশ (Rajesh Pradhan) ২০০৩ সালের আইপিএস ক্যাডার। সিবিআইয়ের ডিআইজি পদে রয়েছেন তিনি। ডেপুটেশনের ভিত্তিতে আগামী পাঁচ বছরের জন্য তাঁকে সিবিআইয়ের কলকাতা জোনের যুগ্ম অধিকর্তা হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছে। সিবিআই সূত্রে খবর, ২০০৩-এর ব্যাচের অফিসার রাজেশ প্রধানকে অবিলম্বে দায়িত্ব বুঝে নিতে বলা হয়েছে। 

    আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত-হিংসার আঁচ সংসদেও! অভিনব প্রতিবাদ বাংলার বিজেপি সাংসদদের

    কেন বদলি

    গত বছর জুন মাসে সিবিআইয়ের কলকাতা জোনের যুগ্ম অধিকর্তা পদে বসানো হয় বেণুগোপালকে। তার আগে ওই পদে ছিলেন পঙ্কজ শ্রীবাস্তব। কলকাতায় নিজাম প্যালেসে সিবিআই-এর অ্যান্টি করাপশন ব্র্যাঞ্চের যে অফিস রয়েছে, সেখান থেকেই নিয়োগ দুর্নীতি, গরু পাচার, কয়লা পাচার, পুরসভার নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্ত চলছে। কিন্তু তদন্তের অগ্রগতি যে সন্তোষজনক নয়, তা নিয়ে একাধিক বার সরব হয়েছে আদালত। কয়েকদিন আগে পুরসভার দুর্নীতি মামলার শুনানি চলাকালীন তখনও বিচারপতি ক্ষোভপ্রকাশ করে জানান, তদন্তের কোনও রকম অগ্রগতি নেই। তার পরই দিল্লি থেকে একটি রিপোর্ট আসে বলে সিবিআই সূত্রে খবর। সেখানে বেশ কয়েকটি বিষয় জানতে চাওয়া হয়েছিল। তার পরই এই সিদ্ধান্ত সিবিআইয়ের। যা শোনা যাচ্ছে, তাতে দু’একদিনের মধ্য়েই চার্জ বুঝে নিতে পারেন রাজেশ প্রধান।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: তৃণমূলের মদতেই কুলটিতে মন্দিরের জমি হাতানোর চেষ্টা জমি মাফিয়াদের

    TMC: তৃণমূলের মদতেই কুলটিতে মন্দিরের জমি হাতানোর চেষ্টা জমি মাফিয়াদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মন্দিরের জমিও দখল করে নিচ্ছে জমি মাফিয়ারা। আর এসব বেআইনি কারবারে মদত রয়েছে তৃণমূলের (TMC)। শাসকদলের দৌলতে জমি মাফিয়াদের দৌরাত্ম্য শুরু হয়েছে পশ্চিম বর্ধমানের কুলটি বিধানসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের ডুবুর্ডিহি নিচুবস্তির মহাকাল শিবমন্দির এলাকায়। আর এই শিবমন্দিরের পাশে থাকা জমি অবৈধভাবে দখল করছে জমি মাফিয়ারা বলে অভিযোগ মন্দির কমিটির মানুষদের। মন্দিরের পাশে বন দফতরের পক্ষ থেকে লাগানো হয়েছিল গাছ, সেইসব গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে বলে অভিযোগ। মন্দিরের কিছুটা দূরে জমি প্লট করে বিক্রি করার কাজ চলছে। এবার জমি মাফিয়াদের নজর পড়েছে শিবমন্দির লাগোয়া জমির উপর।

    জমি মাফিয়াদের হয়ে কেন কথা বলতে গেলেন তৃণমূল (TMC) নেতা?

    মন্দিরের জমি দখল করার চেষ্টা হওয়ায় ক্ষুব্ধ মন্দির কমিটির কর্মকর্তারা। জমি মাফিয়াদের বিরুদ্ধে সরব হওয়ায় স্থানীয় তৃণমূল (TMC) নেতা মোহিত মণ্ডল মন্দির কমিটির সদস্যদের সঙ্গে কথা বলতে যান। মন্দিরের জমি ছেড়ে জমি প্লট করার কথা বলা হয়। কিন্তু, প্রশ্ন উঠেছে, জমি মাফিয়াদের হয়ে তৃণমূল নেতা কেন কথা বলতে যায়? তৃণমূলের মদতেই কি মন্দিরের জমি দখল করার চেষ্টা চলছিল। কারণ, জমি মাফিয়াদের এত ক্ষমতা হল কী করে। শাসক দলের একাংশের মদতেই জমি মাফিয়ারা সক্রিয় হয়ে উঠেছে।

    কী বললেন তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব?

    এই বিষয় নিয়ে তৃণমূলের (TMC) কুলটি ব্লক যুব কংগ্রেসের সভাপতি বিমান দত্ত বলেন, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি। প্রশাসনকেও বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য অনুরোধ করব। যদি কেউ জড়িত থাকে তার বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন করব। এই বিষয়ে আসানসোল পৌরনিগমের ১৬নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার মুনমুন মুখোপাধ্যায় বলেন, বিষয়টি আসানসোল পৌরনিগম ও প্রশাসনকে জানানো হবে। কারণ আসানসোল পৌরনিগমের নির্দেশ রয়েছে কোনও অনৈতিক বা আইন বিরুদ্ধে কাজ মানা হবে না।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    এই বিষয়ে বিজেপি নেতা টিঙ্কু বর্মা বলেন, তৃণমূলের (TMC) মদত ছাড়া এই ধরনের বেআইনি কারবার কারও পক্ষে করা সম্ভব নয়। শাসক দলের পিছনে হাত রয়েছে বলেই জমি মাফিয়াদের এত সাহস। শিব মন্দিরের জমিও দখল করার চেষ্টা করছে। বিষয়টি প্রশাসনকে খতিয়ে দেখার আবেদন করব।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: অভিষেকের হুঁশিয়ারির পর খড়গ্রামে বিজেপি প্রার্থীর বাড়ি ঘেরাও করে ভাঙচুর, অভিযুক্ত তৃণমূল

    BJP: অভিষেকের হুঁশিয়ারির পর খড়গ্রামে বিজেপি প্রার্থীর বাড়ি ঘেরাও করে ভাঙচুর, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট মিটতেই ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠল মুর্শিদাবাদের খড়গ্রাম। বিজেপি (BJP) প্রার্থী সঞ্জয় দাসের বাড়ি ঘেরাও করে ভাঙচুর করার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের জয়ী প্রার্থীর বিরুদ্ধে। বিজেপি প্রার্থী ও তাঁর পরিবারের লোকজনদের বেধড়ক পেটানো হয় বলে অভিযোগ। তৃণমূলের হামলা পাল্টা বিজেপির প্রতিরোধে দুপক্ষের মোট ৭ জন জখম হন। তাদের কান্দি মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    ২১ জুলাই সভা থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপি (BJP) নেতাদের ঘেরাও করার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। অভিষেকের সভার পর পরই খড়গ্রামে বিজেপি প্রার্থীর সঞ্জয় দাসের বাড়িতে হামলা চালানো হয়। জানা গিয়েছে, তৃণমূলের জয়ী প্রার্থীর নেতৃত্বে বেশ কয়েকজন কর্মী সমর্থক এসে সঞ্জয় দাসের বাড়ি ঘেরাও করে। জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে পুরানো গণ্ডগোল তুলে সঞ্জয়বাবুদের বচসা শুরু হয়। এরপরই তৃণমূলের নেতৃত্বে ব্যাপক হামলা চালানো হয়। প্রতিবাদ করলে বিজেপি প্রার্থীর বাবাকে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক পেটায়। চোখের সামনে বাবাকে মারতে দেখে বিজেপি নেতা সঞ্জয়বাবু বাঁচাতে গেলে তাঁকেও মারধর করা হয়।

    কী বললেন আক্রান্ত প্রার্থীর পরিবারের লোকজন?

    বিজেপি (BJP) প্রার্থী সঞ্জয় দাসের পরিবারের লোকজন বলেন, পঞ্চায়েত ভোটে বিজেপি হারতেই ওরা দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছিল। শুক্রবার রাতে পুরানো একটি গণ্ডগোলের বিষয় নিয়ে কথা তুলে বাড়িতে ভাঙচুর চালায়। আমাদের মারধর করে। পুলিশ আমাদের কোনও মামলা নেয়নি। উল্টে আমাদের কর্মীদের পুলিশ গ্রেফতার করেছে।

    কী বললেন বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব?

    বিজেপির (BJP) মুর্শিদাবাদের উত্তরের সভাপতি ধনঞ্জয় ঘোষ বলেন, অভিষেকের দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্যের জন্যই এই হামলার ঘটনা ঘটল। বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। পুলিশের ভুমিকা ঠিক নয়। আমরা এর বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামব।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের খড়গ্রাম ব্লকের সভাপতি শামসের আলি মমিন বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখে এই বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করব।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CV Ananda Bose: ফের রাজভবন-নবান্ন সংঘাত! বিধানসভার বাদল অধিবেশন নিয়ে প্রশ্ন রাজ্যপালের

    CV Ananda Bose: ফের রাজভবন-নবান্ন সংঘাত! বিধানসভার বাদল অধিবেশন নিয়ে প্রশ্ন রাজ্যপালের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, বৃহস্পতিবার থেকে দিল্লিতে সংসদ ভবনে শুরু হয়েছে বাদল অধিবেশন। রাজ্য সরকার চাইছে আগামী ২৪ জুলাই থেকে রাজ্য বিধানসভার বাদল অধিবেশন (West Bengal State Assembly)শুরু করতে। কিন্তু রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের (Governor CV Ananda Bose) সম্মতি না মেলায় সেই অধিবেশনের উপর প্রশ্নচিহ্ন ঝুলছে। তবে প্রকাশ্যে বাদল অধিবেশন নিয়ে এখনও পর্যন্ত কেউ কোনও মন্তব্য করেননি।

    কেন এত কম সময়ের নোটিসে অধিবেশন

    সরকারি সূত্রের খবর, সোমবার, ২৪ জুলাই থেকে রাজ্য বিধানসভার বাদল অধিবেশন শুরু করতে চেয়ে রাজভবনে (Raj Bhawan)ফাইল পাঠিয়েছিল পরিষদীয় দফতর। সেই ফাইলে রাজ্যপাল অনুমোদন দিলেই সোমবার থেকে শুরু হতে পারত বিধানসভার বাদল অধিবেশন। সেই মর্মে প্রস্তুতিও শুরু হয়ে গিয়েছিল বিধানসভায়। কিন্তু রাজভবন প্রশ্ন তোলে, কেন এত কম সময়ের নোটিসে বিধানসভার অধিবেশন ডাকা হচ্ছে? রাজ্যপাল সেই ফাইল আটকে রেখে রাজ্যের পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়কে রাজভবনে ডেকে পাঠিয়েছেন। যদি তিনি কোনও কারণে আসতে না পারেন তাহলে রাজ্যের মুখ্যসচিবকে(Chief Secretary) সশরীরে রাজভবনে এসে রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের(C V Anand Bose) সঙ্গে দেখা করতে হবে। কার্যত রাজ্যপাল বুঝিয়ে দিচ্ছেন তাঁর নির্দেশ না মানলে তিনি রাজ্য বিধানসভায় বর্ষাকালীন অধিবেশন বসার অনুমতি দেবেন না।

    আরও পড়ুুন: ‘‘আগামী সপ্তাহে তৃণমূলের আরও একটি চুরি ফাঁস করব’’! বিস্ফোরক শুভেন্দু

    সোমবার থেকে বিধানসভার বাদল অধিবেশন শুরু হচ্ছে ধরে নিয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক হবে বলে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। সেই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছিল, ২৪ জুলাই, সোমবার বিধানসভা ভবনেই বসবে রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠক। মন্ত্রীরা প্রচারের কাজে ব্যস্ত থাকায় পঞ্চায়েত ভোটের কারণে গত এক মাস মন্ত্রিসভার বৈঠক হয়নি। তাই সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠক আবার শুরু হবে বলে জানানো হয়। কিন্তু রাজভবন থেকে অধিবেশন শুরুর ফাইলটিতে অনুমোদন না দেওয়ায় বুধবার রাতে মন্ত্রিসভার বৈঠক প্রসঙ্গে আরও একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। দ্বিতীয় বিজ্ঞপ্তিটিতে বলা হয়, ২৪ জুলাই সোমবার বিধানসভার বদলে মন্ত্রিসভার বৈঠক হবে নবান্নে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Panchayet Election 2023: “মমতা-অভিষেকের বক্তব্যের জন্যই পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে রাজ্যের”, আদালতের দ্বারস্থ আইনজীবী  

    Panchayet Election 2023: “মমতা-অভিষেকের বক্তব্যের জন্যই পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে রাজ্যের”, আদালতের দ্বারস্থ আইনজীবী  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যের জেরেই রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপ (Panchayet Election 2023) হচ্ছে। তাই দুজনের বিরুদ্ধেই এফআইআর করা প্রয়োজন। এমনই দাবিতে বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন আইনজীবী অনিন্দ্যসুন্দর দাস। মুখ্যমন্ত্রী এবং তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে এফআইআর করার আবেদনে জনস্বার্থ মামলা দায়েরের অনুমতি চান তিনি।

    আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি…

    এর পরই বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ অনুমতি দেয় মামলা দায়েরের। দুপুর ২টোয় এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা। অনিন্দ্যসুন্দর দাসের অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী ও অভিষেকের ধারাবাহিক প্ররোচনামূলক মন্তব্যের জেরে ক্রমশই খারাপ হচ্ছে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির। তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী ও শাসক দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতা নিজেদের বক্তব্যে যেভাবে হিংসার কথা বলছেন, তাতে অবিলম্বে তাঁদের বিরুদ্ধে এফআইআর রুজু করা হোক।

    অশান্তির সাত সতেরো

    রাজ্যে ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayet Election 2023) নির্ঘণ্ট ঘোষণার পর থেকেই শুরু হয়েছে অশান্তি। ওই দিনই মুর্শিদাবাদের খড়গ্রামে দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন হন এক কংগ্রেস কর্মী। অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা খুন করে ওই কংগ্রেস কর্মীকে। এই ঘটনার পর থেকে রাজ্যে কার্যত রক্তের হোলি খেলা চলতে থাকে। নির্বাচনের দিন যত ঘনিয়ে এসেছিল, ততই প্রকাশ্যে আসতে ছিল একের পর এক খুনের খবর। কোথাও শাসকের হাতে বিরোধী খুন, তো কোথাও আবার তৃণমূলের সঙ্গে যুব তৃণমূলের সংঘর্ষে খালি হয়েছে কোনও মায়ের কোল। সব মিলিয়ে খুন হয়েছেন প্রায় ৫৪ জন।

    আরও পড়ুুন: “মণিপুরের ঘটনা সভ্য সমাজের পক্ষে লজ্জার”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    এর মধ্যে কেবল নির্বাচনের দিনই ঝরে গিয়েছে ২২টি তরতাজা প্রাণ। এই মৃত্যু মিছিলে ছিলেন এক ভোটারও। গণতন্ত্রের উৎসবে যিনি কেবল অংশ নিতে গিয়েছিলেন। ভোট-পর্ব চুকে যাওয়ার পরেও বিরাম নেই হিংসার। এহেন অশান্তির (Panchayet Election 2023) জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কাঠগড়ায় তুলেছেন কলকাতা হাইকোর্টের ওই আইনজীবী। তাঁর সাফ কথা, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যের জেরেই রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপ হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Migratory Bird: রায়গঞ্জের কুলিক পক্ষীনিবাসে ভিড় শুরু হল পরিযায়ী পাখিদের

    Migratory Bird: রায়গঞ্জের কুলিক পক্ষীনিবাসে ভিড় শুরু হল পরিযায়ী পাখিদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্ষা দেরিতে আসায় পাখির আগমনও এবার দেরিতে শুরু হয়েছে উত্তর দিনাজপুরের কুলিকে। মূলত মে-জুন মাসে পাখি চলে আসে রায়গঞ্জের কুলিক পক্ষীনিবাসে। কিন্তু, এবছর বৃষ্টি দেরিতে শুরু হওয়ায় পাখিদের আগমনে বিলম্ব হয়েছে বলেই মনে করছে বন দফতর থেকে শুরু করে পরিবেশ ও পাখি প্রেমী মানুষজন। তবে, পাখির আগমন দেরিতে হওয়ায় এবারে পাখির সংখ্যা কম হওয়ার আশঙ্কা  পরিবেশ ও পাখি প্রেমীদের। যদিও এই পাখিদের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ খাওয়ার সহ অন্যান্য ব্যবস্থা বন দফতর থেকে করা হয়েছে। তবে পাখির পরিমাণ কম না বেশি তা বোঝা যাবে গণনার পরই।

    কোন ধরনের পরিযায়ী পাখি এই পক্ষীনিবাসে আসে

    উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ শহরের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র কুলিক পক্ষীনিবাস। প্রতিবছর হাজার হাজার কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করে পরিযায়ী পাখিরা বাসা বাঁধে কুলিক বনাঞ্চলের গাছগুলিতে। উল্লেখ্য, রায়গঞ্জ শহর থেকে প্রায় ৩ কিলোমিটার দূরে ৩৪ নং জাতীয় সড়কের ধারে অবস্থিত সোহারই, ভট্টদিঘি ও আব্দুলঘাটা – এই তিনটি মৌজার প্রায় ১৩০ হেক্টর জায়গা জুড়ে  গড়ে উঠেছে কুলিক পক্ষীনিবাসটি। উত্তর-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশ থেকে জুন মাসের শেষের থেকে মূলত  ইগ্রেট, কর্মোর‍্যান্ট, নাইট হেরন ও ওপেন বিল স্টর্ক  প্রজাতির পাখিরা এই পক্ষীনিবাসে আসে। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের পর্যটকেরা আসেন পাখিদের দেখতে। কুলিক পক্ষীনিবাস পরিযায়ী পাখিদের আগমনের নিরিখে বর্তমানে এশিয়া মহাদেশের মধ্যে উল্লেখযোগ্য স্থানে রয়েছে। এছাড়াও লিমকা বুক অফ রেকর্ডসেও প্রথমে জায়গা করে নিয়েছে এই পক্ষীনিবাস। শুধু মাত্র রায়গঞ্জ কিংবা এ জেলা নয় পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সারা বছরই মানুষজন এই পক্ষীনিবাসে ঘুরতে আসেন। প্রকৃতির কোলে সবুজের আবহে বসে পাখিদের গতিবিধি অনুভব করতে ভালোবাসেন সকলেই। তবে পাখি আসার সময়সীমার মধ্যে ভিড় অনেকটাই বেশী হয়। সাধারণত বছরের মে-জুন মাসে পরিযায়ী পাখিরা আসতে শুরু করে। ডিসেম্বর পর্যন্ত এখানে থেকেই প্রসব, শাবকদের লালন পালন এবং তাদের উড়তে শেখানো সহ যাবতীয় কর্মকাণ্ড সম্পন্ন করে জানুয়ারির দিকে আবার ফিরে যায়। তবে এবছর অন্যান্যবারের তুলনায় একটু দেরিতে পাখির আগমন শুরু হয়েছে কুলিক পক্ষীনিবাসে।

    পরিযায়ী পাখি নিয়ে পরিবেশ প্রেমীদের কী বক্তব্য?

    পাখি আসা শুরু হতেই পক্ষী নিবাসে আনাগোনা শুরু হয়েছে প্রকৃতিপ্রেমী মানুষজনদের। মূলত ওপেন বিল স্টর্ক, নাইট হেরন, ইগ্রেট ও কর্মরেন্ট এই ৪ প্রজাতির পাখি আসে এখানে। এছাড়াও পর্যটকদের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য  রয়েছে দেশি ও বিদেশি মাছের পৃথক ২টি অ্যকুরিয়াম। বিদেশি মাছের মধ্যে রয়েছে উন্নত প্রজাতির রেড টেল ক্যাট ফিস, প্যারোট ফিস, অ্যাঞ্জেল ফিস প্রভৃতি। এছাড়াও পক্ষীনিবাসকে আরও আকর্ষণীয় করতে সেখানে রয়েছে অ্যাভিয়ারি বা মাইক্রো বনাঞ্চল যেখানে প্রজনন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করছে ফিন্স, ককটেল, জাভা সহ নানান প্রজাতির পাখি। সেই সঙ্গে রয়েছে নীলগাই ও টার্টল পণ্ড। পরিবেশ ও পাখিপ্রেমী গৌতম তান্তিয়া বলেন, অন্যান্য বারের চেয়ে এ বছর প্রায় এক মাস দেরিতে পাখি আসা শুরু হয়েছে। মূলত বৃষ্টি দেরিতে শুরু হওয়ার কারণেই পাখিদের আসার সময়টা পিছিয়েছে। যদিও বন দফতরের পক্ষ থেকে সমস্ত রকম ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে এবছর পাখিদের সংখ্যা কম হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি।

    বন বিভাগের আধিকারিকের কী বক্তব্য?

    বনবিভাগের তরফে জানানো হয়েছে, গত বছরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী এই পক্ষীনিবাসে প্রায় ৯৯ হাজার ৩৯৩ পাখি এসেছিল। বিভাগীয় বনাধিকারিক দাওয়া এস. শেরপা জানিয়েছেন, এবছর বৃষ্টি দেরিতে শুরু হওয়ায় পাখি আসতে একটু দেরি হয়েছে। তবে পাখিদের যেন কোনওরকম অসুবিধা না হয় তারজন্য সব রকম ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। আগস্ট মাসে পাখি গণনার কাজ শুরু হবে। তারপরই বোঝা যাবে এবছর কত পাখি এসেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘আগামী সপ্তাহে তৃণমূলের আরও একটি চুরি ফাঁস করব’’! বিস্ফোরক শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: ‘‘আগামী সপ্তাহে তৃণমূলের আরও একটি চুরি ফাঁস করব’’! বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনায্য ভাবে আই-প্যাককে ১২০ কোটি টাকার টেন্ডার পাইয়ে দেওয়া হয়েছে (IPAC)। এই দুর্নীতির সঙ্গে রাজ্য সরকারি তথ্য প্রযুক্তি সংস্থা ওয়েবল জড়িত রয়েছে বলে দাবি, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari)। পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোট লুঠের প্রতিবাদে বুধবার কলকাতায় মিছিলের ডাক দিয়েছিল বিজেপি। সেই মঞ্চে দাঁড়িয়ে এদিন বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন শুভেন্দু।

    শুভেন্দুর অভিযোগ

    আগামী লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি-বিরোধী জোটের নেতৃত্বকে এদিন আক্রমণ করেন শুভেন্দু। তাঁর তোপ, ‘সব দুর্নীতিপরায়ণ নেতারা এক হয়েছেন।’ এ কথা বলেই শুভেন্দু আই-প্যাকের টেন্ডার পাওয়ার প্রসঙ্গ তোলেন। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘ভোট লুঠ করতে ব্যালটও খেয়ে ফেলেছে তৃণমূল। ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েতে ত্রিস্তরীয় লুঠ করেছে তৃণমূল। আগামী সপ্তাহে তৃণমূলের আরও একটি চুরি ফাঁস করব। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) নিজে দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত সেই তথ্য ফাঁস করব।’ এদিন সভা মঞ্চে শুভেন্দুর পাশে ছিলেন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। 

    আরও পড়ুন: গ্রামীণ ভারতীয় মহিলার মতো সাজতে প্রশিক্ষণ নেন সীমা! দাবি গোয়েন্দাদের

    তথ্য-প্রমাণ পেশের দাবি

    গত সোমবার বিধানসভা ভবনের বাইরে দাঁড়িয়ে শুভেন্দু বলেছিলেন, তিন দিনের মধ্যে তিনি সিবিআই ও ইডি দফতরে যাবেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কীভাবে চিটফান্ড কাণ্ডে জড়িত ছিলেন তা নিয়ে তথ্য ও প্রমাণ কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে দেবেন। গত লোকসভা ভোটের পর তৃণমূল কংগ্রেসের প্রচার কৌশল নির্ধারণের দায়িত্ব নিয়েছিল আইপ্যাক। এই সংস্থার অন্যতম মুখ হলেন প্রশান্ত কিশোর (Prashant Kishore)। তবে প্রশান্ত দাবি করেন এই সংস্থার পরিচালনার সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক নেই। আই প্যাক তৃণমূলের প্রচারের দায়িত্ব নেওয়ার পরই বাংলার বিরোধীরা নানান সমালোচনা করেছিল। কেউ কেউ বলেছিল, আইপ্যাককে তৃণমূল চারশ কোটি টাকা দিয়েছে। তবে সেই সব দাবির সমর্থনে কেউ তথ্য বা প্রমাণ দিতে পারেনি। শুভেন্দু অবশ্য এদিন দাবি করেছেন, তাঁর কাছে এই দুর্নীতি সংক্রান্ত কাগজপত্র রয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mamata Banerjee: মুখ্যমন্ত্রীর সামনেই ক্ষোভ উগরে দিলেন হাওড়ার মঙ্গলাহাটের ব্যবসায়ীরা, কেন?

    Mamata Banerjee: মুখ্যমন্ত্রীর সামনেই ক্ষোভ উগরে দিলেন হাওড়ার মঙ্গলাহাটের ব্যবসায়ীরা, কেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার ধর্মতলার সমাবেশ শেষ করেই  হাওড়ায় ভস্মীভূত পোড়া মঙ্গলাহাট পরিদর্শনে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপধ্যায় (Mamata Banerjee)। ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর তিনি ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে সাংবাদিক সম্মেলন করেন। ঠিক তখনই মুখ্যমন্ত্রী ব্যাবসায়ীদের পুনর্বাসনের জন্যে যে সব প্রস্তাব দেন, তা পছন্দ হয়নি ব্যবসায়ীদের। তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর মুখের উপরই চেঁচিয়ে বার বার বলতে থাকেন যে তাঁরা এইসব প্রস্তাবে রাজি নয়।

    ব্যবসায়ীদের কী প্রস্তাব দেন মুখ্যমন্ত্রী?

    মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) বক্তব্যে বোঝা যায় যে এতবড় জমির মালিক আদৌ সরকার না বেসরকারি সম্পত্তি সে ব্যাপারেও কোনও তথ্য নেই সরকারের কাছে। ব্যবসায়ীদের উদ্যেশ্যে তিনি বলেন, জমির বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট নিয়ে যদি দেখা যায় জমি সরকারের, তাহলে সেখানে হাটের জন্য বিল্ডিং করে দেওয়া হবে সরকারি উদ্যোগে । আর যদি জমির পূর্বতন চুক্তির মেয়াদ শেষের পর নতুন করে মালিকানার ক্ষেত্রে কোনও সঠিক তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না, সেক্ষেত্রে সরকার জমি অধিগ্রহণ করতে পারে। আর যদি কারোর কোনও মালিকানা থাকে, সেক্ষেত্রে সেটা নিয়েও ভাবা হবে কীভাবে কি করা যায়। তিনি আরও বলেন, যদি কারও এখানে অসুবিধা হয় তাহলে তাদের সাঁতরাগাছির কাছে পুর্নবাসন দেওয়া হবে।

    মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) সামনেই ক্ষোভ উগরে দেন ব্যবসায়ীরা

    মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) সাঁতরাগাছিতে চলে যাওয়ার প্রস্তাবেই গর্জে ওঠেন ব্যাবসায়ীরা। তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর কথা শেষ হতে না হতেই সবাই চেঁচিয়ে বলেন, আমরা কেউ সাঁতরাগাছি যেতে চাই না। তাঁরা চেঁচিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে বলেন, শান্তিরঞ্জন তাদের খুব জালাচ্ছে। এই শান্তিরঞ্জন হচ্ছে মঙ্গলাহাটের মালিক। ব্যবসায়ীদের বক্তব্য, বার বার শুধু এই হাটেই কেন আগুন লাগছে? এর পিছনে কোনও  চক্রান্ত রয়েছে।

    মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) বক্তব্য নিয়েই শুরু হয়েছে বিতর্ক, সরব বিজেপি নেতৃত্ব

    বিজেপির হাওড়া জেলা সদরের সভাপতি মনিমোহন ভট্টাচার্য অভিযোগ করেন, মঙ্গলাহাটের বেচাকেনার দিন বদল করা হচ্ছে। এই হাটকে তুলে দেওয়ার চক্রান্ত চলছে। বিজেপি নেতা উমেশ রাই বলেন, এই হাটকে এখান থেকে তুলে দিয়ে সাঁতরাগাছিতে স্থানান্তরিত করার চক্রান্ত চলছে। মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যেও সেটা স্পষ্ট। হাট মালিক শাসক দলের সঙ্গে মিলে রয়েছে। ব্যবসায়ীদের স্বার্থ দেখা হচ্ছেনা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Justice Amrita Sinha: ‘‘আদালতে আসি ন্যায় দিতে, কাগজে নাম ছাপাতে নয়’’! বিস্ফোরক বিচারপতি অমৃতা সিনহা

    Justice Amrita Sinha: ‘‘আদালতে আসি ন্যায় দিতে, কাগজে নাম ছাপাতে নয়’’! বিস্ফোরক বিচারপতি অমৃতা সিনহা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সদ্যসমাপ্ত পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Elections 2023) ছাপ্পা-ভোট থেকে শুরু করে গণনায় কারচুপির অভিযোগ নিয়ে বারবার আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে বিরোধী দলগুলি। কয়েকদিন আগেই, কলকাতা হাইকোর্টে একটি মামলা দাখিল হয়, যেখানে মামলাকারী দাবি করেন, ভোট বয়কট করা বুথেই ৯৫ শতাংশ ভোট পড়েছে। এই তথ্য আদালতের সামনে পেশ করলে বিস্ময় প্রকাশ করেন বিচারপতি। বুধবার আরও একটি চাঞ্চল্যকর অভিযোগ নিয়ে মামলা দায়ের হল হাইকোর্টে। মামলাকারীর দাবি, উত্তর ২৪ পরগনার তিনটি বুথে ১০০ শতাংশেরও বেশি ভোটে জয়ী হয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী।

    ১০০ শতাংশেরও বেশি ভোটে জয়ী তৃণমূল প্রার্থী!

    জানা গিয়েছে, উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়া-২ ব্লকের মালিয়ারা গ্রাম পঞ্চায়েতে এই ঘটনা ঘটেছে। ৬৮ নম্বর বুথে মোট ভোটারের সংখ্যা ১হাজার ৪৮১। কিন্ত সেখানে মোট ভোট পড়েছে ২ হাজার ১৭৭টি। অন্যদিকে সংশ্লিষ্ট গ্রাম পঞ্চায়েতের ৭১ নম্বর বুথে মোট ভোটারের সংখ্যা ১ হাজার ৫২৯। সেখানে ভোট পড়েছে ১ হাজার ৭৪০টি। একইভাবে ৮৩ নম্বর বুথে মোট ভোটারের সংখ্যা যেখানে ১ হাজার ৪৮৮. কিন্ত ভোট পড়েছে ২ হাজার ৪৯৬টি। মামলাকারীর দাবি, এর থেকেই স্পষ্ট, কীভাবে কারচুপি ও ছাপ্পার সাহায্যে জয়ী হয়েছে রাজ্যের শাসক দল (Panchayat Elections 2023)। মামলাটি এদিন ওঠে বিচারপতি অমৃতা সিনহার (Justice Amrita Sinha) এজলাসে। ভাবে মোট ভোটারের চেয়ে বেশি ভোট পড়ল, সংশ্লিষ্ট বিডিও-র কাছে রিপোর্ট তলব করেছেন তিনি।

    বিধায়কের হুমকির পরই জয়ী ঘোষণা তৃণমূল প্রার্থীকে!

    কুলপির এক সিপিএম প্রার্থীর দায়ের করা আরেকটি মামলায় নির্বাচন কমিশনের রিপোর্ট তলব করেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা (Justice Amrita Sinha)। তৃণমূল বিধায়ক যোগরঞ্জন হালদারের বিরুদ্ধে গণনায় প্রভাব খাটানোর অভিযোগ জানিয়ে হাইকোর্টে মামলা দাখিল করেন কুলপির রামকৃষ্ণপুর ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের সিপিএম প্রার্থী অর্পিতা বণিক সর্দার। সিপিএম প্রার্থীর অভিযোগ, ভোটগণনার দিন (Panchayat Elections 2023) গণনার শেষে প্রথমে তাঁকে জয়ী বলে ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু পরে স্থানীয় বিধায়ক কয়েক জন দুষ্কৃতীকে নিয়ে গণনাকেন্দ্রে ঢোকেন এবং হুমকি দেন। তার পরেই মাত্র একটি ভোটে তৃণমূল প্রার্থীকে জয়ী বলে ঘোষণা করা হয়। এদিন বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে শুনানি হয়। সেখানে মামলাকারীর দাবি, তিনি এই মর্মে বিধায়কের বিরুদ্ধে কমিশনেও অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। এর পরই এই ঘটনায় কমিশনের রিপোর্ট তলব করেন বিচারপতি।

    ‘‘মানুষকে ন্যায় দিতে আদালতে আসি…’’

    অন্যদিকে, পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Elections 2023) ঘিরে মামলার পাহাড় জমে যাওয়ায় উষ্মা প্রকাশ করেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। একটি মামলার শুনানি চলাকালীন তিনি জানন, খাবার খাওয়ারও সময় পাচ্ছেন না তিনি। এদিন, নির্বাচন সংক্রান্ত নয় একটি মামলার উল্লেখপর্ব নিয়ে মামলার আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলছিলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা (Justice Amrita Sinha)। সেখানেই তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘‘পঞ্চায়েতের যেভাবে বন্যার মতো মামলা আসছে তাতে আমি আপনাকে কথা দিতে পারছি না। রোজ ৭০ – ৮০টা করে তালিকাবহির্ভূত মামলা আসছে।’’ তখন ওই আইনজীবী বলেন, ‘‘আমরা দেখছি যে মাননীয় বিচারপতি দুপুরের আহার করার সময় পাচ্ছেন না।’’ তাঁর কথার সূত্র ধরে বিচারপতি সিনহা বলেন, ‘‘হ্যাঁ, গতকাল আমি ১০টা ৩০ মিনিট নাগাদ এজলাসে বসেছি। আর উঠেছি বেলা ৩টে ২৯ মিনিটে।’’

    এই কথার প্রেক্ষিতেই উপস্থিত আরেক আইনজীবী বিচারপতি অমৃতা সিনহার (Justice Amrita Sinha) দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, ‘‘আজকের খবর কাগজে প্রথম হেডলাইনেই আপনার নাম।’’ তখন জবাবে বিচারপতি সিনহা বলেন, ‘‘খবরের কাগজে নাম ছাপাটা বড় কথা নয়। বড় কথা হল, একটু স্বস্তি পেতে মানুষ ছুটতে ছুটতে আদালতে আসছে। সাংবাদিকদের হয়তো হেডলাইন নিয়ে উৎসাহ থাকবে। কিন্তু আমরা এখানে শুধুমাত্র মানুষকে ন্যায় দিয়ে আসি। হেডলাইনে নাম ছাপার জন্য নয়।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Poll Violence: হাওড়ায় দলের মহিলা প্রার্থীকে নিগ্রহের অভিযোগ নিয়ে তোপ সুকান্ত-শুভেন্দুর

    Poll Violence: হাওড়ায় দলের মহিলা প্রার্থীকে নিগ্রহের অভিযোগ নিয়ে তোপ সুকান্ত-শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মণিপুরের মতোই বাংলাতেও একই ধরনের ঘটনা ঘটেছে দাবি করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। হাওড়ার পাঁচলায় দলের এক মহিলা প্রার্থীকে নিগ্রহ করার অভিযোগ তুলেছে গেরুয়া শিবির। তবে, পঞ্চায়েত ভোটের (Poll Violence) দিনের সেই ঘটনার কোনও প্রমাণ মেলেনি বলে জানিয়ে দেন রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্য। ওই মন্তব্যের জন্য ডিজির সমালোচনা করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। 

    সুকান্তর দাবি

    শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠক করে সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘আজকে মণিপুরের ঘটনা নিয়ে সকলে উত্তেজনা সৃষ্টি করছে। মণিপুরে খুব দুঃখজনক ঘটনা ঘটেছে। আমরা তার নিন্দা করছি।’ এরপরেই হাওড়া জেলার দক্ষিণ পাঁচলা এলাকার একটি ঘটনার কথা তুলে ধরেন তিনি। সুকান্ত জানান, হাওড়া জেলার পাঁচলায় বিজেপির এক গ্রাম পঞ্চায়েত প্রার্থীকে নগ্ন করে ঘোরানো হয়েছে। বিজেপির প্রার্থী হওয়ার জন্য তাঁর সঙ্গে এরকম করা হয়েছে। তাঁর কথায়, ‘এটা কি মণিপুরের থেকে কম দুঃখজনক ঘটনা? এই ঘটনার কোনও ভিডিয়ো নেই। কারণ, রাজ্যের পুলিশ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ রাজ্যের মানুষকে ভিডিয়ো করতে অনুমতি দেয় না।’

    পুলিশের বক্তব্য

    শুক্রবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে এই ঘটনা প্রসঙ্গে পুলিশের ডিজি মনোজ  মালব্য বলেন, ‘১৩ তারিখে এক মহিলা ইমেইল মারফত আমাদের কাছে অভিযোগ করেন, ৮ তারিখ বুথের ভিতর তাঁকে মারধর করা হয়। তারপর তাঁর কাপড় ছিড়ে সম্মানহানিও করা হয়। কিন্তু তার আগে কোনও অভিযোগ আসেনি। এরপর এসপি রুরাল থানাকে নির্দেশ দেওয়া হয় এফআইআর করার জন্য। ১৪ তারিখ এফআইআর করে পুলিশ। তারপর থেকে আমরা তদন্ত করে দেখেছি। কিন্তু এরকম কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি। সব বুথে পুলিশ ছিল। ভোটের দিন চারদিকে মানুষও ছিল। ওই এলাকার মানুষকেও জিজ্ঞাসা করা হয়, কিন্তু কেউ বলতে পারেনি এইরকম কোনও ঘটনা ঘটেছে বলে।’

    আরও পড়ুন: ভারত সফরে শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি! এবার থেকে দ্বীপরাষ্ট্রেও চালু ইউপিআই

    শুভেন্দুর ট্যুইট

    ডিজির এই বক্তব্যের পরই এনিয়ে ট্যুইট করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিরোধী দলনেতা লিখেছেন, হাওড়ার পাঁচলার (Poll Violence) ঘটনা নিয়ে মিথ্যে বলছেন মমতা পুলিশের ডিজি। বিজেপির ওই মহিলা প্রার্থীর ভয়ংকর অভিজ্ঞতার কথা শুনুন। আর তথ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলে যা বলা হচ্ছে তা বলার কারণ হল ওইসব তথ্যপ্রমাণ পেলে তা রাজ্য সরকারের বিড়ম্বনার কারণ হতো। তাই পুলিশ সেই তথ্যপ্রমাণ খুঁজে পায়নি।

    ট্যুইটে শুভেন্দু ওই মহিলা প্রার্থীর বয়ানও জুড়ে দেন। সেখানে ওই মহিলা বিজেপি প্রার্থীর দাবি, ‘বিজেপির প্রার্থী ছিলাম। আমার শাড়ি ছিঁড়ে দিয়েছে। উল্টে আমাকে চড়ও মেরেছে। থানায় অভিযোগ করতে পারিনি কারণ ওরা আমার বাড়িতে হুমকি দিচ্ছে। টিএমসির লোকেরা থ্রেট করছে। এখনও করে চলেছে। সকাল এগারোটা থেকে ছাপ্পা চালু হয়েছিল। আমাদের লোকজন ভোট দিতে পারেনি। চুলের মুঠি ধরে আমাকে বের করে দিয়েছে’।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share