Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Panchayat Election 2023: “সব জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে নির্বাচন করতে হবে”, নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

    Panchayat Election 2023: “সব জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে নির্বাচন করতে হবে”, নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেবল স্পর্শকাতর এলাকা নয়, রাজ্যের সব জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে নির্বাচন (Panchayat Election 2023) করতে হবে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এই নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম। রায় পড়তে গিয়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, “স্পর্শকাতর এলাকা চিহ্নিত করার বিষয়ে যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল সে ব্যাপারে কমিশন যা করার তা করেনি। সামগ্রিকভাবে অবাধ মনোনয়ন প্রক্রিয়া সুনিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশনের যে বলিষ্ঠ ভূমিকা নেওয়ার প্রয়োজন ছিল, সেক্ষেত্রেও বড়সড় ফাঁক থেকে গিয়েছে। সেই কারণেই গোটা রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা বেষ্টনীতে পঞ্চায়েত নির্বাচন করার বিষয়ে নির্দেশ দিচ্ছে আদালত।” আদালত আরও জানিয়েছে, ভোটের কাজে যুক্ত সকলকে সরকারি আইকার্ড সঙ্গে রাখতে হবে। চাওয়া মাত্রই তা দেখতে হবে। পুলিশকর্মী, অবজার্ভার, ভোটকর্মী…প্রত্যেককে সঙ্গে আইকার্ড রাখতে হবে।

    নির্বাচন কমিশনকে ভর্ৎসনা

    এদিন সকালেই রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে ভর্ৎসনা করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election 2023) সংক্রান্ত একটি রায়ের অংশবিশেষ পুনর্বিবেচনার জন্য আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য সরকার ও রাজ্য নির্বাচন কমিশন। স্পর্শকাতর জেলাগুলিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। যদিও রাজ্য নির্বাচন কমিশন জানায়, তারা এখনও পরিস্থিতির মূল্যায়ন করেনি। তখনই বিরক্ত হয়ে বিচারপতি বলেন, “তাহলে কি গোটা রাজ্যকে স্পর্শকাতর বলে ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার নির্দেশ দেব? সেটা ভাল হবে?”

    আদালতের নির্দেশ

    এদিন সন্ধ্যায় রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে আদালতের নির্দেশ, আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রাজ্যের সব জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ কার্যকর করতে হবে। এদিন আদালতকে (Panchayat Election 2023) রাজ্য জানিয়েছিল, পঞ্চায়েত নির্বাচনের নিরাপত্তায় যাতে পুলিশবাহিনীর ঘাটতি না থাকে, তাই পড়শি রাজ্য থেকে পুলিশ বাহিনী আনানোর ব্যবস্থা করছে তারা। কিন্তু আলাদত সাফ জানায়, কেন্দ্রীয় বাহিনীর নজরদারিতেই পঞ্চায়েত নির্বাচন হবে রাজ্যে। কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে আবেদন করতে হবে কমিশনকে। আর রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের খরচ জোগাবে কেন্দ্র।

    আরও পড়ুুন: অগ্নিগর্ভ ভাঙড়, পুলিশি এসকর্টে চলল গুলি, আইএসএফ কর্মী সহ মৃত ২

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election 2023: পুলিশ নিয়ে মনোনয়ন দিতে গিয়েও আক্রান্ত বিজেপি, লাঠি, বাঁশ, রড নিয়ে হামলা

    Panchayat Election 2023: পুলিশ নিয়ে মনোনয়ন দিতে গিয়েও আক্রান্ত বিজেপি, লাঠি, বাঁশ, রড নিয়ে হামলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনে (panchayat election 2023) মনোনয়নের শেষ দিনেও উত্তাল রাজ্য। চোপড়ায় গুলিতে মৃত্যু হয়েছে বিরোধী রাজনৈতিক দলের দুই কর্মীর। ভাঙড় ২ তে যেসব প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা করতে পারেননি, হাইকোর্টের নির্দেশে তাঁদের পুলিশি নিরাপত্তা দিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা আক্রমণ করে। একই ঘটনা ঘটে মিনাখাঁতে। হাইকোর্টের নির্দেশে বিজেপি প্রার্থীদের পুলিশ নিরাপত্তা দিয়ে মনোনয়ন করতে নিয়ে যাচ্ছিল। সেই সময় তাঁদের উপর আক্রমণ করে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। রাজ্যে গণতন্ত্রের পরিবেশ নেই বলে মনে করছে বিরোধী দলগুলি।

    কী হয়েছে পঞ্চায়েত নির্বাচনে (panchayat election 2023)?

    পঞ্চায়েত নির্বাচনে (panchayat election 2023) উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটের হাড়োয়ায় বিজেপি প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা না করতে পারলে কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দেয়, রাজ্য পুলিশ তাঁদের নিরাপত্তা দিয়ে মনোনয়ন করাতে নিয়ে যাবে। রাজ্য পুলিশ মোট ১১ জন বিজেপি প্রার্থীকে গাড়িতে করে মিনাখাঁ বিডিও অফিসে নিয়ে যায়। সেই সময় তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা আক্রমণ করে। গাড়ির কাচ ভাঙা হয়। বিজেপির অভিযোগ, হাইকোর্টের নির্দেশকে অমান্য করে এবং আইনের শাসনকে উপেক্ষা করে পঞ্চায়েতে মনোনয়ন জমা করতে দিল না রাজ্যর শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস।

    বিজেপির জেলা ইনচার্জের বক্তব্য

    উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বিজেপির ইন চার্জ কৃষ্ণেন্দু মুখার্জি বলেন, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে আমরা ১১ জন বিজেপি প্রার্থীকে থানা থেকে পুলিশ প্রোটেকশন নিয়ে মিনাখাঁ বিডিও অফিসে নমিনেশন (panchayat election 2023) দিতে যাচ্ছিলাম। ঠিক সেই সময় হঠাৎই আমাদের গাড়ি লক্ষ্য করে ইট মারা হয়। এর ফলে গাড়ির কাচ ভেঙে চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে যায়। তারপর বেশ কিছু দুষ্কৃতী এসে কয়েকজন বিজেপি কর্মীকে মারধর করে। বেশ কিছু মহিলা বিজেপি কর্মী ছিলেন। তাঁদেরকেও বেধড়ক মারধর করা হয়। তৃণমূল দুষ্কৃতীদের সংখ্যা ছিল প্রায় দেড়শোর বেশি। দুষ্কৃতীদের হাতে লাঠি, বাঁশ, রড ইত্যাদি ছিল। বিজেপি কর্মীদের মারধরের পাশাপাশি গাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় তারা। কৃষ্ণেন্দু মুখার্জি বলেন, পুরো জঙ্গলের রাজত্ব চলছে। তিনি বলেন, পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ ছিল যে জীবন সঙ্কটের কারণে আর বিডিও অফিসে মনোনয়ন জমা দেওয়া সম্ভবপর হয়নি। এই ঘটনার প্রতিবাদে ইতিমধ্যে হাড়োয়া থানায় বিজেপির পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election 2023: অগ্নিগর্ভ ভাঙড়, পুলিশি এসকর্টে চলল গুলি, আইএসএফ কর্মী সহ মৃত ২

    Panchayat Election 2023: অগ্নিগর্ভ ভাঙড়, পুলিশি এসকর্টে চলল গুলি, আইএসএফ কর্মী সহ মৃত ২

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের অগ্নিগর্ভ ভাঙড়! তৃণমূল (TMC)-আইএসএফের (ISF) মধ্যে বোমা-গুলির লড়াই। গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হল আইএসএফের এক কর্মীর এবং তৃণমূলের এক কর্মীর। সংঘর্ষে জখম (Panchayat Election 2023) হয়েছেন তৃণমূলের এক কর্মীও। পরিস্থিতি আয়ত্ত্বে আনতে এলাকায় বিশাল পুলিশ বাহিনী। অশান্তির দায় আইএসএফের ঘাড়ে চাপিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

    হাইকোর্টের নির্দেশে পুলিশ এসকর্ট

    কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে এদিন পুলিশ এসকর্ট করে মনোনয়ন দিতে নিয়ে যাচ্ছিলেন বিরোধীদের ৮২ জন প্রার্থীকে। ভাঙড়ের সোনপুর বাজারের কাছে তাঁদের ওপর হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। গুলিতে মৃত্যু হয় আইএসএফের এক কর্মীর। মৃতের নাম মহম্মদ মহিউদ্দিন মোল্লা। আইএসএফের অভিযোগ, দুষ্কৃতীরা যখন বিরোধী প্রার্থীদের ওপর হামলা চালায়, তখন কার্যত দর্শকের ভূমিকায় ছিল পুলিশ। পরের পর গুলি চালায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। বোমা পড়তে থাকে মুড়ি মুড়কির মতো। ধোঁয়ায় ঢেকে যায় গোটা তল্লাট।

    অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগ

    আইএসএফের অভিযোগ (Panchayat Election 2023) অস্বীকার করে তৃণমূলের দাবি, তাঁদের কর্মীদের লক্ষ্য করে বোমাবাজি করেছে আইএসএফ। গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে রশিদ মোল্লা নামে এক তৃণমূল কর্মীরও। তিনি জীবনতলার বাসিন্দা। এর পরেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় বিজয়গঞ্জ বাজারে। দ্রুত বিশাল বাহিনী গিয়ে নিয়ন্ত্রণে আনে পরিস্থিতি। তার আগে ছোড়া হয় কাঁদানে গ্যাসের সেল। এলাকায় চলছে পুলিশি টহলদারি।

    ভাঙড়ে অশান্তির জন্য আইএসএফকেই দায়ি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “যারা বিরোধী আছে ওখানে, নতুন জিতেছে, তারাই প্রথম করেছে পরশুদিন (মঙ্গলবার)। ভাঙচুর করেছে, মানুষকে বিপথে চালিত করে, সাম্প্রদায়িক স্লোগান দিয়ে সবাইকে জোগাড় করে ওখানে ভাঙচুর, লুঠতরাজ, অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে।” তিনি বলেন, “আমাদের তরফে কালকে (বুধবার) একটা প্রতিবাদ হয়েছে। যেটা আমি সত্য বলব।”

    আরও পড়ুুন: কোন্দলে ভাঙন শাসক দলে, বিজেপিতে যোগদান ৩০০ তৃণমূল কর্মীর

    পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Election 2023) নির্ঘণ্ট ঘোষণার পর থেকেই মনোনয়নপত্র পেশ-পর্বকে কেন্দ্র করে অশান্তির খবর এসেছে বিভিন্ন জেলা থেকে। আইএসএফ এবং তৃণমূলের মধ্যে মারামারিও হয়েছে ভাঙড়ে। মঙ্গলবার কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় ভাঙড়ের বিজয়গঞ্জ বাজার এলাকা। বোমাবাজির পাশাপাশি চলে গুলিও। জখম হন বেশ কয়েকজন। তার পর থেকেই থমথমে ছিল এলাকা। বৃহস্পতিবার বাঁধে ফের সংঘর্ষ। সংঘর্ষের বলি তরতাজা দুই প্রাণ।

    প্রশাসনের ঘুম ভাঙবে কবে?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: “মনোনয়ন জমা করতে বিরোধী প্রার্থীদের পাহারা দিয়ে নিয়ে যাবেন ওসি”, নির্দেশ হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: “মনোনয়ন জমা করতে বিরোধী প্রার্থীদের পাহারা দিয়ে নিয়ে যাবেন ওসি”, নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার জন্য বিরোধী শিবিরের প্রার্থীদের একটি জায়গায় জড়ো হতে হবে। সেখান থেকে তাঁদের এসকর্ট করে মনোনয়ন কেন্দ্র পর্যন্ত নিয়ে যাবেন থানার ওসি (OC)। বৃহস্পতিবার এমনই নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। মিনাখাঁয় মনোনয়নে বাধাদান প্রসঙ্গে সিপিএম, ক্যানিং এবং গোটা বসিরহাটে মনোনয়ন জমা দিতে না পারা বিজেপি ও ভাঙড়ে মনোনয়ন জমা দিতে না পেরে আইএসএফ প্রার্থীরা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। সেই মামলাগুলি এক সঙ্গে ওঠে বিচারপতি মান্থার এজলাসে।

    হাইকোর্টে মামলা

    এদিন মনোনয়নপত্র জমা দিতে না পেরে হাইকোর্টে মামলা করতে এসেছিলেন পঞ্চায়েতের চার প্রার্থীও। আদালতের নির্দেশ, ওই প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দিতে নিয়ে যাবে কলকাতার হেয়ার স্ট্রিট থানার পুলিশ। তাদের সাহায্য করবে সংশ্লিষ্ট এলাকার পুলিশ। পুলিশকে দ্রুত পদক্ষেপ করার নির্দেশও দিয়েছেন বিচারপতি মান্থা।

    পুলিশ প্রহরায় মনোনয়ন

    বৃহস্পতিবারই মনোনয়নপত্র পেশের শেষ দিন। এদিনই মামলাগুলি ওঠে আদালতে (Calcutta High Court)। হাইকোর্টের নির্দেশ, মনোনয়ন দিতে যাওয়ার জন্য ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের ৮২ জন প্রার্থী দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড় ও কাশীপুর থানায় জড়ো হবেন। বসিরহাট পুলিশ জেলার সুপারের অফিসে জড়ো হবেন সেখানকার বিজেপি প্রার্থীরা। সেখান থেকে তাঁদের পাহারা দিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিতে নিয়ে যাবে পুলিশ।

    গত বৃহস্পতিবার ঘোষণা হয় পঞ্চায়েত নির্বাচনের নির্ঘণ্ট। মনোনয়নপত্র জমা-পর্ব শুরু হয় তার পরের দিন থেকেই। তার পর থেকে রাজ্যের বিভন্ন জেলা থেকে উঠে আসছে একের পর এক অশান্তির খবর। মঙ্গলবার মনোনয়ন জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে ব্যাপক বোমাবাজি হয় ভাঙড়ে। গুলি চালানোর অভিযোগও ওঠে। অশান্তি হয়েছে বসিরহাট, ক্যানিং এবং সন্দেশখালিতেও। বুধবার এ ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রীকে নালিশ জানাতে গিয়েছিলেন ভাঙড়ের বিধায়ক আইএসএফের নওশাদ সিদ্দিকি। যদিও মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা হয়নি তাঁর।

    আরও পড়ুুন: মনোনয়নের শেষ দিনে ঝরল রক্ত, অগ্নিগর্ভ চোপড়ায় গুলিতে মৃত ২, জখম ১

    এদিকে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী এবং বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার রাজ্য নির্বাচন কমিশনের গেটের বাইরে বিক্ষোভ দেখান। তাঁদেরও অভিযোগ, মনোনয়ন জমাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক অশান্তি করছে রাজ্যের শাসক দল। মনোনয়নকে কেন্দ্র করে অশান্তির অভিযোগ জানিয়ে হাইকোর্টে (Calcutta High Court) মামলা করে বিজেপি, সিপিএম এবং আইএসএফ। বিচারপতি মান্থার এজলাসে শুনানি হয় ওই মামলার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Panchayat Election: প্রকাশ্যেই দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন তৃণমূলের চার বিধায়ক

    Panchayat Election: প্রকাশ্যেই দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন তৃণমূলের চার বিধায়ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Election) ঘোষণা হতেই রাজ্য জুড়ে শাসক দলের গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে এসেছে। বুধবারই ক্যানিং-এ তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর কোন্দলে গুলিবিদ্ধ হন একজন। কোথাও নেতাদের বাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ, তো কোথাও সাংবাদিক সম্মেলন করে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন শাসক দলের বিক্ষুব্ধ নেতানেত্রীরা। দুর্নীতিগ্রস্ত লোকদের টিকিট দেওয়া হয়েছে, এই অভিযোগে এবার মুর্শিদাবাদ জেলার চার তৃণমূল বিধায়ক ক্ষোভ প্রকাশ করলেন। পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়নের শেষ দিনে বৃহস্পতিবার মুর্শিদাবাদ জেলার বেলডাঙ্গাতে সাংবাদিক বৈঠক করে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন দলেরই চার বিধায়ক। ভরতপুর বিধানসভা কেন্দ্রের হুমায়ুন কবীর, নওদার বিধায়ক শাহিনা মমতাজ বেগম, রেজিনগরের বিধায়ক রবিউল আলম চৌধুরী ও জলঙ্গীর বিধায়ক আব্দুর রেজ্জাক দলেরই বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন। ওয়াকিবহাল মহল বলছে, রাজ্য জুড়ে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে গ্রেফতার হয়েছেন শাসক দলের নেতা-মন্ত্রীদের একাংশ। গরু চুরি মামলায় জেলে রয়েছেন অনুব্রত। এই অবস্থায় এমনিতেই ব্যাকফুটে রয়েছে শাসক দল। তারপর দলের অন্দরে এমন গোষ্ঠী দ্বন্দের  ফল নিশ্চিতভাবে পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Election) পড়বে। 

    কী বললেন হুমায়ুন কবীর? 

    তৃণমূলের জেলা সভাপতি ও চেয়ারম্যান অপূর্ব সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে হুমায়ুন বলেন, ‘‘কান্দি ব্লকের তৃণমূলের সভাপতি বাগবুল হোসেন মাত্র পাঁচ শতাংশ টিকিট বিলি করতে পেরেছেন। ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনে অপূর্ব সরকার সব থেকে বেশি আসনে টিকিট বন্টন করেছেন। অন্যদিকে একজন হেরে যাওয়া বিধায়িকা লালবাগ ও ডোমকলের নিজের মনের প্রার্থী নির্বাচন করছেন।’’

    কী বললেন রবিউল আলম?

    এদিন রবিউল আলম দলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন, ‘‘পঞ্চায়েতে যেভাবে দুর্নীতিগ্রস্তদের টিকিট দেওয়া হল, এর ফল কিন্তু লোকসভা ভোটে পড়বে। মুর্শিদাবাদে কোনও দিন সেই অর্থে শক্তিশালী ছিল না তৃণমূল। বিগত কয়েক বছর ধরে আমাদের মতোই কংগ্রেস ত্যাগী নেতারা এখানে শাসক দলকে শক্তিশালী করেছি। টিকিট বিলি নিয়ে ইতিমধ্যে বেশ কিছু জায়গায় তৃণমূল ছাড়ার হিড়িক পড়েছে বলেও শুনছি।’’

    আরও পড়ুুন: মণিপুরে জ্বলছে গ্রাম, জঙ্গলে বাসিন্দারা! তল্লাশি অভিযান শুরু সেনার

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: “গোটা রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করে দিই?” কমিশনকে ভর্ৎসনা হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: “গোটা রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করে দিই?” কমিশনকে ভর্ৎসনা হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “গোটা রাজ্যকে স্পর্শকাতর বলে ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দেব? সেটা ভাল হবে?” রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে প্রশ্ন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court)। পঞ্চায়েত নির্বাচন সংক্রান্ত মামলায় কলকাতা হাইকোর্ট যে রায় দিয়েছে, তারই একটা অংশ পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য সরকার ও রাজ্য নির্বাচন কমিশন। পঞ্চায়েত সংক্রান্ত ওই মামলার শুনানি হয়েছিল প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে।

    বিরক্তি প্রকাশ প্রধান বিচারপতির

    রায় দিতে গিয়ে আদালত নির্দেশ দিয়েছিল, নির্বাচন কমিশন যে কয়েকটি জেলাকে স্পর্শকাতর বলে চিহ্নিত করেছে, সেখানে অবিলম্বে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে হবে। রাজ্য এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশনের আপত্তি এখানেই। তাদের দাবি, নির্বাচন কমিশন এখনও পরিস্থিতির মূল্যায়ন করেনি। এ কথা শুনে বিরক্তি প্রকাশ করেন প্রধান বিচারপতি। কমিশনকে প্রশ্ন করেন (Calcutta High Court), “গোটা রাজ্যকে স্পর্শকাতর বলে ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দেব? সেটা ভাল হবে?”

    “কমিশনের ওপর মানুষের আস্থা ধাক্কা খাবে”

    প্রধান বিচারপতি বলেন, “আমরা দেখেছি, গতকালও কোথাও কোথাও অশান্তি হয়েছে। লাঠিচার্জ হয়েছে। এটা ঠিক নয়। এতে কমিশনের ওপর মানুষের আস্থা ধাক্কা খাবে। আমরা ফেলে রাখার জন্য নির্দেশ দিইনি। বাস্তবায়নের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।” প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, “যদি আমাদের রায় পছন্দ না হয়, তাহলে উচ্চ আদালতে যান। কিন্তু উপেক্ষা করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়নি। সময় চলে যাচ্ছে। আদালত স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপ করতে পারে।” প্রসঙ্গত, আদালত স্পর্শকাতর জেলাগুলিতে আধাসেনা মোতায়েন করার নির্দেশ দিয়েছিল। তবে মনোনয়নপত্র পেশের দিন বাড়ানো হবে কিনা, সেই বিষয়টি ছাড়া হয়েছিল কমিশনের ওপরেই।

    আরও পড়ুুন: মণিপুরে জ্বলছে গ্রাম, জঙ্গলে বাসিন্দারা! তল্লাশি অভিযান শুরু সেনার

    মনোনয়নপত্র পেশ করাকে কেন্দ্র করে অশান্তির খবর এসেছে রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে তপ্ত হয়েছিল উত্তর ২৪ পরগনার মিনাখাঁ। সিপিএমের অভিযোগ, মনোনয়নপত্র পেশ করতে গেলে বাধা দিয়েছিল তৃণমূলের লোকজন। অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছে রাজ্যের শাসক দল। মিনাখাঁর এই ঘটনাকে সামনে রেখে বামেরা এবং গোটা বসিরহাটে মনোনয়নপত্র জমা দিতে দেওয়া হচ্ছে না, এই অভিযোগকে সামনে রেখে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয়েছে বিজেপি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     
     
  • Suvendu Adhikari: মধ্যরাতে হোটেলে মন্ত্রী-বিধায়কের সঙ্গে বৈঠকে পুলিশ সুপার! বিস্ফোরক শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: মধ্যরাতে হোটেলে মন্ত্রী-বিধায়কের সঙ্গে বৈঠকে পুলিশ সুপার! বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খোদ রাজ্যের মন্ত্রীর উপস্থিতিতে পঞ্চায়েতে ভোট (Panchayat Election 2023) লুট নিয়ে গভীর রাতে হোটেলে বৈঠক? বৈঠকে শাসকদলের দুই বিধায়কের পাশাপাশি নাকি জেলার পুলিশ সুপার পর্যন্ত হাজির ছিলেন। বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। 

    শুভেন্দুর দাবি

    শাসলকদলের বিরুদ্ধে পুলিশ-প্রশাসনের অপব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে ভূরি-ভূরি। এরই মধ্যে বুধবার গভীর রাতে একটি ট্যুইট করে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)অভিযোগ করেন, পূর্ব বর্ধমানে পঞ্চায়েত ভোটে লুট করতে পুলিশ সুপারের সঙ্গে বৈঠক করেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। রাত সাড়ে ১২টার সময়  ট্যুইট বার্তায় শুভেন্দু লেখেন, ‘‘এই মুহূর্তে বর্ধমানের হোটেল সিনক্লেয়ারের ১২১ নং ঘরে বৈঠক করছেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, তৃণমূল বিধায়ক খোকন দাস, পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোাধ্যায়। এই বৈঠকের মূল আলোচ্য বিষয় হল আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে পূর্ব বর্ধমানে কীভাবে ভোট লুট করা যায়। এই বৈঠকেই রাত ১১টা ৫৭ মিনিটে আরও একজন যোগ দেন। তিনি পূর্ব বর্ধমানের পুলিশ সুপার কামানিশ সেন। তিনি সাদা পোশাকে সেখানে হাজির হন।’’

    আরও পড়ুন: অভিন্ন দেওয়ানি বিধি নিয়ে তৎপর আইন কমিশন

    শুভেন্দু অধিকারীর তোলা এই বিস্ফোরক অভিযোগের পাল্টা কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি তৃণমূলের তরফে। এর আগে পঞ্চায়েত ভোটে সিভিক ভলান্টিয়ার ব্যবহার নিয়ে অভিযোগ করেছিলেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। বিরোধী দলনেতা বলেছিলেন, ‘‘পুলিশের ইউনিফর্ম পরিয়ে সিভিকদের পুলিশ সাজানো হবে। বিভিন্ন জায়গায় ভোট লুটের পরিকল্পনা কষেই শাসকদল এই কাজ করার কথা ভাবছে।’’ এই আবহে কোথায় কত খাঁকি উর্দি তৈরি হচ্ছে, তা নিয়েও বিস্ফোরক অভিযোগ করেন শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর দাবি, সিভিক ভলান্টিয়ারদের দেওয়ার জন্য শুধুমাত্র বীরভূমেই সাড়ে তিন হাজার পুলিশের উর্দির অর্ডার দেওয়া হয়েছে। এবার সরাসরি রাজ্যের মন্ত্রীর দিকে অভিযোগ তুললেন বিরোধী দলনেতা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: “টাকা লেনদেনের ক্লাসিক কেস, হাওলায় টাকা পাচার হয়েছে”, কালীঘাটের কাকুর বিরুদ্ধে বলল ইডি

    Recruitment Scam: “টাকা লেনদেনের ক্লাসিক কেস, হাওলায় টাকা পাচার হয়েছে”, কালীঘাটের কাকুর বিরুদ্ধে বলল ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কালীঘাটের কাকু (Kalighater Kaku) ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে ১৪ দিনের বিচার বিভাগীয় হেফাজতে রাখার নির্দেশ আদালতের (Recruitment Scam)। ইডি হেফাজতের মেয়াদ অন্তে বুধবার কলকাতার নগর দায়রা আদালতে তোলা হয় তাঁকে। কালীঘাটের কাকুকে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে রাখার আবেদন জানায় ইডি। যদিও জামিনের আবেদন করেন ইডি। দু পক্ষের বক্তব্য শুনে বিচারক কালীঘাটের কাকুকে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেয় আদালত।

    ইডির আইনজীবীর দাবি

    ইডির আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি জানান, হাওয়ালার মাধ্যমে বিভিন্ন সংস্থায় টাকা ঘুরছে। ইডির অভিযোগ, একটি সংস্থার মাধ্যমে এক কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। হাওয়ালার মাধ্যমে বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ করা হয়েছে ১০ কোটি টাকা। সুজয়কৃষ্ণ চারটি সংস্থা নিয়ন্ত্রণ করতেন। হাওয়ালার টাকা আবাসন শিল্পে বিনিয়োগ করা হয়েছে। ১০০টিরও বেশি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা গিয়েছে বলেও দাবি ইডির। ইডির আইনজীবী বলেন, এটা মানি ট্রেলের (লেনদেনের) ক্লাসিক কেস।

    কালীঘাটের কাকুর ‘কীর্তি’

    কালীঘাটের কাকু-ঘনিষ্ঠ সিভিক (Recruitment Scam) ভলান্টিয়ার রাহুল বেরাকে আগেই বেশ কয়েকবার জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁর নির্দেশেই রাহুল ফোন থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মুছে দিয়েছিলেন। রাহুলকে সেই নির্দেশ দিয়েছিলেন কালীঘাটের কাকু। এ সংক্রান্ত বেশ কিছু তথ্যপ্রমাণ এসেছে ইডির হাতে। এ বিষয়ে নিশ্চিত হতে কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর পরীক্ষা করতে চাইছে ইডি। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংরক্ষণের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। 

    আরও পড়ুুন: নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিলেন শুভেন্দু, করলেন ‘বড়’ অভিযোগও

    নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে (Recruitment Scam) অন্যতম অভিযুক্ত কুন্তল ঘোষের সূত্রেই প্রকাশ্যে এসেছিল কালীঘাটের কাকুর কথা। নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত তাপস মণ্ডলও দাবি করেছিলেন, অযোগ্য প্রার্থীদের চাকরি পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়ার সময় কুন্তল নাকি আশ্বাস দিয়ে বলতেন, কালীঘাটের কাকুর সঙ্গে কথা হয়ে গিয়েছে। চিন্তার কোনও কারণ নেই। তার পর থেকেই ইডির স্ক্যানারে রয়েছেন কালীঘাটের কাকু।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Suvendu Adhikari: নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিলেন শুভেন্দু, করলেন ‘বড়’ অভিযোগও

    Suvendu Adhikari: নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিলেন শুভেন্দু, করলেন ‘বড়’ অভিযোগও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহাকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) ‘পোষ্য’ বলে কটাক্ষ করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বুধবার বিকেলে কলকাতায় কমিশনের দফতরে জমায়েত করে বিজেপি। প্রথমে জেলায় জেলায় অশান্তি এবং মনোনয়নে বাধা দেওয়ার অভিযোগ নিয়ে কথা বলতে যান শুভেন্দু। বেরিয়ে এসে নয়া কমিশনারের বিরুদ্ধে উগরে দেন ক্ষোভ। কমিশন তৃণমূলকে সুবিধা করে দিচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। রাজ্যে ১৪৪ ধারা সত্ত্বেও রক্ত ঝরছে বলেও অভিযোগ করেন শুভেন্দু।

    বিরোধীদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ

    তাঁর অভিযোগ, রাজ্যের শাসকদল, কমিশন ও পুলিশ মিলে বিরোধীদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। মনোনয়নপত্র জমা দিতে দেওয়া হচ্ছে না। ২০ হাজার আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তৃণমূলকে জিতিয়ে দেওয়াই এদের লক্ষ্য। রাজ্যের বিরোধী দলনেতার দাবি, যাঁরা মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেননি, তাঁদের মনোনয়নপত্র জমা নিতে হবে কমিশনের দফতরেই। আদালত স্পর্শকাতর এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনী নামানোর নির্দেশ দিয়েছে। কিন্তু স্পর্শকাতর এলাকা বলে কিছু যে রয়েছে, তা মানতেই চাইছে না কমিশন। তাঁর অভিযোগ, হাইকোর্ট অভিযোগ জমা নেওয়ার ব্যবস্থা করতে বললেও, কমিশনে তেমন কিছু নেই।

    ‘ভোট লুঠ করতে দেব না’

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, “নির্বাচন কমিশন পক্ষপাতদুষ্ট। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে কাজ করছেন কমিশনার রাজীব সিনহা। আদালতের নির্দেশ এখানে অভিযোগ গ্রহণের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করতে হবে। যেসব জায়গায় বিজেপি প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেননি, তাঁরা কাল থেকে এখানে আসবেন। অভিযোগ জমা দেবেন। ২০১৩ ও ২০১৮ সালের মতো পঞ্চায়েত নির্বাচন এবার হবে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কোনওভাবেই এবার আমরা ভোট লুঠ করতে দেব না।”

    আরও পড়ুুন: গভীর রাত পর্যন্ত তৃণমূলের জেলা সভানেত্রীর বাড়ির সামনে বিক্ষোভ, প্রকাশ্যে কোন্দল

    নির্বাচনে নিরাপত্তা সংক্রান্ত কাজে সিভিক ভলান্টিয়ারদের নামানো যাবে না বলে জানিয়ে দিয়েছিল হাইকোর্ট। যদিও শুভেন্দুর দাবি, পুলিশের উর্দি পরিয়ে সিভিক ভলান্টিয়ারদের মাঠে নামিয়ে দেওয়া হচ্ছে। সিভিক ভালান্টিয়ারদের গায়ে চাপানোর জন্য বীরভূমে সাড়ে তিন হাজার পুলিশের উর্দি অর্ডার দেওয়া হয়েছে। বর্ধমানেও উর্দি বানানোর কাজ চলছে।

    তৃণমূলের বিরুদ্ধে ব্যাপক সন্ত্রাস চালানোর অভিযোগও করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)। বলেন, “২০১৯ এবং ২০২১ সালে যে এলাকায় বিজেপি লিড পেয়েছিল, এখন সেখানে প্রার্থীই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। শাসকদল যেভাবে অত্যাচার চালাচ্ছে, তাতে ২০ হাজার আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তৃণমূল জিতবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Sukanta Majumdar: বিজেপি প্রার্থীদের নির্বাচন কমিশন অফিসের সামনে এনে বিক্ষোভ সুকান্ত-শুভেন্দুর

    Sukanta Majumdar: বিজেপি প্রার্থীদের নির্বাচন কমিশন অফিসের সামনে এনে বিক্ষোভ সুকান্ত-শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “দুর্ভাগ্যের বিষয়, আমাদের প্রার্থীদের নিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে এসেছি। কিন্তু কোনও সুরাহা পাইনি। আমরা জানি এখানে রাজ্য নির্বাচন কমিশন মনোনয়নপত্র জমা নিতে পারে না। কিন্তু নিয়ম আছে, যে বা যাঁরা মনোনয়ন জমা দিতে পারবেন না, তাঁদের তা জমার ব্যবস্থা করে দিতে হবে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকেই। এখন তৃণমূল যা বলছে, সেটাই করছে কমিশনার।” ঠিক এভাবেই পঞ্চায়েত নির্বাচনের আঁচ এসে পড়ল কলকাতাতেও। সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বিজেপির পঞ্চায়েতের প্রার্থীদের বাসে করে বসিরহাট থেকে কলকাতায় নিয়ে এসে রাজ্য নির্বাচন দফতরের সামনে উপস্থিত হন। কমিশনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তোলেন সুকান্ত। পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন ঘোষণার পর থেকেই রাজ্যের নানা প্রান্ত থেকে অশান্তির খবর এসেছে প্রত্যেক দিন। দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়ে উঠছে ভাঙড়, ক্যানিং, ইন্দাস, ডোমকল। রাজ্য জুড়ে প্রার্থীদের মনোনয়ন জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে অশান্তি লেগেই রয়েছে। আর পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশকে লাঠিচার্জ পর্যন্ত করতে হচ্ছে। সব মিলিয়ে অভিযোগ নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে।

    কোথায় ঘটেছে?

    উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট জেলার সন্দেশখালি, মিনাখাঁ, হাড়োয়া সহ একাধিক জায়গায় বিজেপি প্রার্থীরা ঠিকমতো মনোনয়ন দিতে পারছেন না। তাঁদেরকে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা বাধা দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শুধু হুমকি দেওয়া হচ্ছে এমন নয়, সেই সঙ্গে বিডিও অফিসের সামনে গিয়ে ভয় দেখানো হচ্ছে প্রার্থীদের। এরপর সমস্ত বিজেপি প্রার্থীদের সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) কলকাতায় রাজ্য নির্বাচন দফতরের সামনে নিয়ে আসেন এবং বিক্ষোভ শুরু করেন।


    কী বললেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)?

    বিজেপি প্রার্থীদের পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন জমা দিতে বাধা দেওয়া হচ্ছে, এই অভিযোগ তুলে প্রার্থীদের সঙ্গে নিয়ে বুধবার প্রথমে বসিরহাট মহকুমা শাসকের অফিসে যান বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। পরে তিনি হুঁশিয়ারি দেন, যতক্ষণ পর্যন্ত পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়নপত্র শান্তিপূর্ণভাবে বিজেপি না দিতে পারবে, ততক্ষণ আমরা রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সামনে থেকে উঠব না। তিনি জানান, ইতিমধ্যে তাঁরা প্রার্থী তালিকা এবং মনোনয়ন জমা করতে না পারার অভিযোগপত্র বসিরহাট মহকুমা শাসক মৌসম মুখার্জির হাতে তুলে দিয়েছেন। সুকান্ত বলেন, এই সমস্যার খুব দ্রুত সমাধান হওয়া প্রয়োজন। গোটা উত্তর-দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা জুড়ে যে তাণ্ডব চলছে তা অত্যন্ত ভয়ংকর। পুলিশ কী করতে আছে? তারা কেন সাধারণ মানুষকে নিরাপত্তা দিতে পারছে না? পশ্চিমবঙ্গের এই অঞ্চলগুলোতে ভোটের নামে প্রহসন চলছে। আমাদের প্রার্থীরা মনোনয়ন নিয়ে বিডিও অফিসে যেতে পারছেন না! নির্বাচনকে বলা হয় গণতন্ত্রের উৎসব কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে উৎসব নয়, আতঙ্কের পরিবেশ চলছে। শান্তিপূর্ণ ভাবে কোনও রাজনৈতিক দলের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করার জায়গাই নেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে কাজ করছে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার। 

    এদিকে এদিন প্রথমে রাজ্য নির্বাচন কমিশনে এক প্রতিনিধি দল নিয়ে এসেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তাঁরা কমিশনে অভিযোগ জানান, শাসক দল মনোনয়ন জমায় বাধা দিচ্ছে। শুভেন্দু কমিশন থেকে বেরিয়ে আসার সময় সেখানে বিজেপি প্রার্থীদের নিয়ে হাজির হন সুকান্ত মজুমদার। এরপর দুজনেই বিক্ষোভে সামিল হন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share