Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Arpita Accuses Partha: ‘‘নিয়োগ দুর্নীতির মাস্টারমাইন্ড পার্থ, টাকাও ওঁর’’! আদালতে বিস্ফোরক অর্পিতা

    Arpita Accuses Partha: ‘‘নিয়োগ দুর্নীতির মাস্টারমাইন্ড পার্থ, টাকাও ওঁর’’! আদালতে বিস্ফোরক অর্পিতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রায় ১০ মাস পর প্রকাশ্যে এলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) ঘনিষ্ঠ অভিনেত্রী অর্পিতা মুখোপাধ্যায় (Arpita Mukherjee)। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডের (Teacher Recruitment Scam) অন্যতম অভিযুক্ত অর্পিতা এদিন সশরীরে হাজিরা দেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-র বিশেষ আদালতে। জামিনের আবেদন করেন। আর সেখানেই তিনি বিস্ফোরক মন্তব্য করেন। দাবি করলেন, নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড পার্থ চট্টোপাধ্যায়-ই (Arpita Accuses Partha)।

    কী দাবি করেছেন অর্পিতা?

    এদিন অর্পিতার জামিনের শুনানি ছিল আদালতে। আদালতে প্রায় ২ ঘণ্টা সওয়াল করেন আইনজীবী বৃন্দা গ্রোভার, দিল্লি থেকে এসেছেন অর্পিতার হয়ে সওয়াল করতে। আইনজীবী মারফৎ অর্পিতা জানান, তাঁর ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হওয়া টাকা পুরোটাই পার্থর (Arpita Accuses Partha)। এদিন অর্পিতা (Arpita Mukherjee) দাবি করেন, নিয়োগ দুর্নীতির মাথা পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এও স্বীকার করেন, তাঁর ফ্ল্যাট থেকে যে বিপুল পরিমাণ নগদ উদ্ধার হয়েছে, সেই টাকাও পার্থ চট্টোপাধ্যায়েরই। অর্পিতা বলেন, ‘‘আমার বাড়ি থেকে টাকা-গয়না উদ্ধার হয়েছে। আমি পরিস্থিতির শিকার। মাস্টারমাইন্ড হলেন পার্থ।’’ 

    আরও পড়ুন: “বাংলায় মস্তানিরাজ খতম করব আমরা”, হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    অর্পিতার আরও দাবি, তিনি নিজে পরিস্থিতির শিকার, তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে। এদিন আদালতে অর্পিতা (Arpita Mukherjee) বলেন, “বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাট অনন্ত টেক্সফ্যাবের রেজিস্টারর্ড অফিস ছিল। আমার সঙ্গে অনন্ত টেক্সফ্যাবের কোনও সম্পর্ক নেই। আমাকে ব্যবহার করা হয়েছিল অনন্ত টেক্সফ্যাবের শেয়ার ট্রান্সফার করার জন্য। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের স্ত্রীর মৃত্যুর পর মেয়ে বিদেশে থাকায় এটা করা হয়। ওই সংস্থার সব ক্ষমতা পার্থর হাতেই ছিল। এই সব সংস্থার সব কাজও হত পার্থর বাড়িতে।” অর্পিতার দাবি, তাঁকে দিয়ে জোর করে বিভিন্ন নথিতে সই করিয়ে নিতেন পার্থ (Arpita Accuses Partha)।

    অর্পিতার ‘পরিস্থিতির শিকার’ দাবি মানতে নারাজ ইডি

    যদিও, অর্পিতার নিজেকে ‘পরিস্থিতির শিকার’ বলে দাবি করা মানতে নারাজ ইডি। তাদের পাল্টা দাবি, অর্পিতা মুখোপাধ্যায় (Arpita Mukherjee) বিলাসবহুল জীবন যাপন করতে এই দুর্নীতির সঙ্গে নিজেকে জড়িয়েছেন। নিয়োগ দুর্নীতিতে অর্পিতারও ভূমিকা রয়েছে। পার্থর ৩১টি এলআইসি পলিসির নমিনি ছিলেন অর্পিতা। প্রত্যেকটিতে তাঁর সই রয়েছে। তাঁকে দিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায় যে জোর করে সই করিয়ে নিয়েছেন এই মর্মে কোনও অভিযোগ কখনও দায়ের করেননি তিনি (Arpita Accuses Partha)। 

    এদিন বিচারক দু-পক্ষের সওয়াল জবাব শোনার পর অর্পিতার জামিনের রায়দান আপাতত স্থগিত রাখেন। বুধবার, ৩১ মে এবিষয়ে রায় জানাবেন বলে বিচারক জানিয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: “বিস্ফোরণে পুড়লে বা মৃত্যু হলে তবেই সরকারি চাকরি মিলবে?” প্রশ্ন সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: “বিস্ফোরণে পুড়লে বা মৃত্যু হলে তবেই সরকারি চাকরি মিলবে?” প্রশ্ন সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বোমা বিস্ফোরণে পুড়ে গেলে তবেই কী সরকারি চাকরি মিলবে? প্রশ্ন তুললেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। খাদিকুল গ্রামে বিস্ফোরণে মৃতদের পরিবারকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তরফে আর্থিক সাহায্য প্রদান করা হয়। নিহতদের পরিবারের কয়েকজনকে সরকারি চাকরির নিয়োগপত্রও তুলে দেওয়া হয়। এ প্রসঙ্গেই কটাক্ষ করেন সুকান্ত।

    মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ সুকান্তর

    রাজ্যে বিরোধীরা বারবারই অভিযোগ করে যে, বাংলায় এখন আইন-শৃঙ্খলা বলে কিছু নেই। বারুদের স্তুপের উপর দাঁড়িয়ে রয়েছে গোটা পশ্চিম বাংলা। সম্প্রতি পূর্ব মেদিনীপুরের এগরার খাদিকুলে ভয়াবহ বিস্ফোরণে এগারো জনের মৃত্যুর পর সরব হয় বিজেপি। খাদিকুল গ্রামে বিস্ফোরণে মৃতদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে শনিবার দেখা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিহতদের পরিবারের হাতে আর্থিক ক্ষতিপূরণ তুলে দেওয়ার পাশাপাশি পরিবার পিছু একজনকে সরকারি হোম গার্ডের চাকরির নিয়োগপত্রও এদিন তুলে দেন মমতা। এ প্রসঙ্গেই সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, ‘নয় বোমা বিস্ফোরণে মৃত্যু হবে, না হলে বগটুইয়ের মতো পুড়ে মরতে হবে। তাহলেই মিলবে সরকারি চাকরি আর ক্ষতিপূরণ। যোগ্যরা তো পরীক্ষা দিয়ে চাকরি পাবেন না’।

    আরও পড়ুন: মমতার নির্দেশকে থোড়াই কেয়ার! নয়া সংসদ ভবনের উদ্বোধনে হাজির শিশির-দিব্যেন্দু

    নতুন সংসদ ভবন নিয়ে সুকান্ত

    নতুন সংসদ ভবন উদ্বোধন নিয়ে বিরোধীদের কটাক্ষেরও এদিন জবাব দিলেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। এটা দেশের কাছে এক গর্বের মুহূর্ত। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নয়া সংসদ ভবনের উদ্বোধন করেছেন রবিবার। বিরোধীরা এটা নিয়ে শুধু শুধু অপপ্রচার করছেন বলেও দাবি করেন সুকান্ত। তিনি বলেন, ‘বিরোধীরা হাস্যকর কথা বলছে। বিহারে বিধানসভা উদ্বোধন করেছিলেন নীতীশ কুমার। লোকসভায় সর্বোচ্চ নেতা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। তিনি নতুন সংসদ ভবন উদ্বোধন করেছেন এটাই স্বাভাবিক। যাঁরা রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোট দিলেন না, আজ তাঁরাই রাষ্ট্রপতি কেন উদ্বোধন করলেন না প্রশ্ন তুলছেন।’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: অভিষেককে চাপে ফেলার চেষ্টা করছে দলের এক নেতা, বিস্ফোরক অপরূপা

    Abhishek Banerjee: অভিষেককে চাপে ফেলার চেষ্টা করছে দলের এক নেতা, বিস্ফোরক অপরূপা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দলের মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছেন দলের মধ্যেই এক সিনিয়র তৃণমূল নেতা এবং পুলিশ। পুরুলিয়ার ঘটনার কথা একটি চক্রান্ত মাত্র, এই বলে, নিজের ট্যুইটারে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন আরামবাগ লোকসভার সাংসদ অপরূপা পোদ্দার। এই নিয়ে রাজনৈতিক মহলে তৃণমূলের আদি-নব্য দ্বন্দ্বের কথা প্রকাশ্যে এসেছে বলে তীব্র চাঞ্চল্য।

    অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) সম্পর্কে কী বলেছেন অপরূপা?

    সাংসদ অপরূপা পোদ্দার বলেন, “আমি খুব গভীর ভাবে জানি, বিজেপিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) শুধু অধিকারী পরিবারের চরম শত্রু হয়ে দাঁড়িয়েছে, কিন্তু আমাদের দলের মধ্যে অনেক শত্রুরাও আছে যারা অভিষেককে চাপে ফেলার চেষ্টা করছে বিজেপির সাথে মিলিত ভাবে। একটি মেয়েকে দিয়ে অভিষেকের বিরুদ্ধে তথ্য পাঠানো হচ্ছে দিল্লিতে।” তিনি আরও দাবি করেন, এই কাজটি আমাদের দলের নেতা, এক বিজেপির নেতা এবং পুলিশের মাধ্যমে করা হচ্ছে। পুরুলিয়ার ঘটনা একটি চক্রান্ত, আমি জানি। এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, আমার কিছু যায় আসে না, আমাকে দিদি দুবার সাংসদ করেছেন, এর জন্য দিদির কাছে আমি কৃতজ্ঞ। আমার টিকিট যদি সিনিয়র নেতা কাটতে চায়, কেটে দেবেন। আমি চাকরি করব দিদির কালীঘাটে, কিন্তু দলের সাথে কখনো গদ্দারি করব না। পরে অবশ্য অপরূপা পোদ্দারের কাছে ট্যুইটারের বিষয় নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যা বলার ট্যুইটারে বলেছি, বিষয়টা দলের অভ্যন্তরের বিষয়। যা বলার, দলের মিটিং এ বলব।

    তৃণমূল মুখপাত্রের বক্তব্য

    সাংসদ অপরূপা পোদ্দারের এই বিস্ফোরক মন্তব্যের (Abhishek Banerjee) বিষয়ে রাজ্য তৃণমূলের মুখাপত্র কুণাল ঘোষকে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, আমি শুনেছি একটা ট্যুইট হয়েছে। এরপর এই বিষয়ে আর কিছু বলতে চান নি তিনি। কিন্তু তৃণমূল দলের অন্দরে কী আদি-নব্য দ্বন্দ্ব? এই নিয়ে সুর চড়িয়েছে বিজেপি।

    বিজেপির বক্তব্য

    অপরূপা পোদ্দারের ট্যুইটার মন্তব্যের বিষয়ে বিজেপি বিধায়ক এবং রাজ্য সম্পাদক বিমান ঘোষ বলেন, বিষয়টি তৃণমূলের মধ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বনাম অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) আদি-নব্য গোষ্ঠী কোন্দলের বহিঃপ্রকাশ ছাড়া আর কিছুই না। তৃণমূল দল হল চোরেদের দল। কে কত চুরি করতে পারবে সেই নিয়ে লড়াই করছে আদি-নব্য তৃণমূল নেতা নেত্রীরা। আপাতত রাজনৈতিক মহল, তৃণমূলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের কথা যে প্রকাশ্যে এসেছে, সে কথাই বলছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • WB Hospital: রেফার রোগ সারবে কবে? সরকারি হাসপাতালের পরিষেবা নিয়ে চরম ভোগান্তি!

    WB Hospital: রেফার রোগ সারবে কবে? সরকারি হাসপাতালের পরিষেবা নিয়ে চরম ভোগান্তি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পথ দুর্ঘটনায় জখম হোক কিংবা হৃদরোগে আক্রান্ত, সরকারি হাসপাতালে (WB Hospital) গেলেই নতুন রোগের সম্মুখীন হন রোগী ও পরিজনেরা। একাধিকবার অভিযোগ করেও সমাধান হয়নি। ভোগান্তি বরং বাড়ছে। অনেক সময় রোগীর চিকিৎসার সময়ও কমে যাচ্ছে। সরকারি হাসপাতালের এই রেফার রোগে জর্জরিত রোগী ও পরিবার। রোগীর পরিজনদের একাংশের অভিযোগ, সরকারি হাসপাতালে রোগী ভর্তি করতে বিস্তর ভোগান্তির শিকার হতে হয়। শাসকদলের নেতা-মন্ত্রীর সুপারিশ না থাকলে সহজে ভর্তি করা যায় না। রোগ যতই জটিল হোক না কেন, ভোগান্তির শিকার হতেই হবে। বিশেষত, রোগীকে রেফার করে দেওয়া এক বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

    কী বলছেন ভুক্তভোগীরা? 

    সরকারি হাসপাতালে গিয়ে রেফারের জেরে ভোগান্তির শিকার হয়েছেন, এমন মানুষের তালিকা দীর্ঘ। সম্প্রতি, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের (WB Hospital) বক্ষঃরোগ বিভাগে চিকিৎসাধীন এক রোগীর পরিবারের লোকজন জানান, তাঁরা বর্ধমান থেকে এসেছেন। তিনটি হাসপাতাল থেকে রেফার করার পর শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে তাঁরা রোগীকে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করিয়েছেন। তাঁরা জানান, দিন পাঁচেক আগে ওই রোগীকে শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে গিয়েছিলেন। সেখানে চিকিৎসকেরা তাঁকে পরীক্ষা করে ভর্তির পরামর্শ দেন। কিন্তু বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ রেফার করে দেয়। তারা জানায়, রোগীর চিকিৎসা করার মতো পরিকাঠামো নেই। তারপর তাঁকে সাগরদত্ত মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেও রোগী ভর্তি করতে নারাজ কর্তৃপক্ষ। তারপরে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে। 
    চার হাসপাতাল ঘুরে কিডনির সমস্যায় ভুক্তভোগী রোগী অবশেষে চিকিৎসা পরিষেবা পেলেন। এমনই অভিজ্ঞতার কথা জানালেন পূর্ব মেদিনীপুরের এক বাসিন্দা। কলকাতার আরজিকর হাসপাতালে (WB Hospital) ভর্তি ওই রোগীর পরিবারের লোকজন জানান, কিডনির সমস্যায় ভুক্তভোগী ওই প্রৌঢ় প্রথমে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে দেখিয়েছিলেন। কিন্তু ওই হাসপাতালে তাঁদের জানানো হয়, কিডনির চিকিৎসা করানোর পরিকাঠামো ওই হাসপাতালে নেই। তাই তাঁদের রেফার করে দেওয়া হয়। তাঁরা এনআরএস হাসপাতালে যান। সেখানেও তাঁদের রেফার করে দেওয়া হয়। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজও রোগী পরিষেবা দিতে পারবে না বলে জানিয়ে দেয়। অবশেষে রোগীকে আরজিকর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

    কী বলছে চিকিৎসক মহল? 

    রাজ্যে গত দু’বছরে মেডিক্যাল কলেজ (WB Hospital) বেড়েছে খান দশেক। বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গে ২৫টি সরকারি মেডিক্যাল কলেজ রয়েছে। তাছাড়াও রয়েছে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল, জেলা হাসপাতাল। কিন্তু এতকিছুর পরেও রোগীদের ভোগান্তি কমছে না। বরং রেফারের জেরে চিকিৎসার ন্যূনতম সুযোগ না পেয়ে রোগীমৃত্যুর ঘটনা প্রায়ই ঘটছে। যেমন, সম্প্রতি, বর্ধমানের এক দিনমজুর রেফার সমস্যায় জর্জরিত হয়ে চিকিৎসার সুযোগও পাননি। বেসরকারি নার্সিংহোমে চিকিৎসা করিয়ে আর্থিকভাবে ভেঙে পড়ে পরিবার। আবার চিকিৎসা দেরিতে শুরু করায় রোগীকেও বাঁচানো যায়নি। রাজ্যের এই পরিস্থিতি সম্পর্কে চিকিৎসক মহল জানাচ্ছে, পরিকাঠামোগত উন্নতি না করে, শুধুই বিজ্ঞাপন নির্ভর স্বাস্থ্য পরিষেবা দিতে হলে এমনি ভোগান্তি চলবে। 
    চিকিৎসক মহল জানাচ্ছে, নুতন তৈরি হওয়া মেডিক্যাল কলেজে কোনও পরিকাঠামো নেই। জেলা হাসপাতাল (WB Hospital) রাতারাতি মেডিক্যাল কলেজে উন্নীত করা হয়েছে। কিন্তু তারপরে সেই হাসপাতালের পরিকাঠামোগত পরিবর্তনে নজর দেওয়া হয় না। ফলে, রোগী পরিষেবা তলানিতে। তাছাড়া, সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালগুলিতে ঠিকমতো বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নিয়োগ করা হয় না। যন্ত্রপাতি নেই। পরীক্ষা করার পরিকাঠামোও নেই। ফলে রোগী রেফার করা ছাড়া আর কোনও রাস্তা নেই। কারণ, সেখানে ভর্তি করলেও রোগীকে চিকিৎসা করা যাবে না। সেই সুযোগ নেই। 

    সরকারি হাসপাতালের (WB Hospital) রেফার রোগ নিয়ে কী বলছেন স্বাস্থ্যকর্তারা? 

    স্বাস্থ্য ভবনের কর্তারা অবশ্য ভিন্ন যুক্তি দিচ্ছেন। সরকারি হাসপাতাল (WB Hospital) অপ্রয়োজনীয়ভাবে রেফার করে, একথা তাঁরা মানতে নারাজ। তাঁরা বলছেন, রোগীর তুলনায় পরিকাঠামো কম, এটা বাস্তবিক সমস্যা। তবে, রোগীকে হয়রানি করতে রেফার করা হয় না। বেড না থাকলে কী করা যাবে। তবে, জরুরি অবস্থায় রোগী গেলে তাঁকে পরিষেবা দিতেই হবে। জরুরি রোগীকে রেফার করার অভিযোগ পেলে অবশ্যই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে। তবে, পরিকাঠামোগত ত্রুটির জন্য চিকিৎসা পরিষেবা বিঘ্নিত হচ্ছে আর রেফার রোগ জাঁকিয়ে বসছে, এমন অভিযোগ মানতে নারাজ স্বাস্থ্যকর্তারা। তাঁরা বলছেন, জেলা হাসপাতালেও পরিষেবা ভালো। দু-একটি অভিযোগ আসলে ব্যতিক্রমী ঘটনা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “বাংলায় মস্তানিরাজ খতম করব আমরা”, হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “বাংলায় মস্তানিরাজ খতম করব আমরা”, হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বাংলায় মস্তানিরাজ খতম করব আমরা।” রবিবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুরে এক প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে একথা বলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সোনারপুর উত্তর ও দক্ষিণ বিধানসভার তৃণমূল বিধায়ক ফিরদৌসী বেগম ও লাভলী মৈত্র সহ একাধিক তৃণমূল নেতানেত্রীর নাম করে তিনি বলেন, “সব দলই ঝান্ডা তুলবে, মানুষ যাকে গ্রহণ করবে সে ক্ষমতায় থাকবে। আপনারা কত বড় মস্তান? আপনাদের থেকে অনেক বড় মস্তান কেষ্ট এখন তিহার জেলে রয়েছে। আপনারা থাকবেন, অন্য কেউ থাকবে না, তা চলতে পারে না। অন্যায়, দুর্নীতি, চুরির প্রতিবাদ হবে না, এটা হতে পারে না। এ জিনিস চলতে দেওয়া যাবে না, জেনে রাখুন মমতা। বাংলায় মস্তানিরাজ খতম করব আমরা।”

    সোনারপুর উত্তর কেন্দ্রের বিধায়কের সম্পত্তি বৃদ্ধি নিয়ে কী বললেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)?

    রাজ্য সরকারের দুর্নীতি ও অপশাসন নিয়ে সোনারপুরে একটি প্রতিবাদ মিছিল করেন বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)। পরে, প্রতিবাদ সভা থেকে তিনি বলেন, “২০০৯ সালে সোনারপুর উত্তর কেন্দ্রের বিধায়ক ফিরদৌসী বেগমের সম্পত্তির পরিমাণ ছিল ১ লক্ষ ২২ হাজার ৫৫৮ টাকা। ২০১১ সালে বিধানসভা নির্বাচনের হলফনামায় তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ বেড়ে দাঁড়ায় ৭১ লক্ষ ১৮ হাজার ৮০০ টাকা। ২০১৬ সালে বিধানসভা নির্বাচনে ফিরদৌসী বেগমের সম্পত্তির পরিমাণ বেড়ে হয় ১ কোটি ৪৯ লক্ষ ৭৬০ টাকা। ২০২১ সালে সেই সম্পত্তির পরিমাণ এক ধাক্কায় বেড়ে দাঁড়ায় ৬ কোটি ৬৬ লক্ষ ৬৭ হাজার টাকা। রকেটের থেকেও বেশি গতিতে বেড়েই চলেছে বিধায়কের সম্পত্তির পরিমাণ। এর থেকেই প্রমাণিত বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি দুর্নীতি করে হয়েছে। এই চোরেদের উৎখাত করতে হবে।”

    শাসক দলের সঙ্গে কংগ্রেস, সিপিএমের যোগ নিয়ে কী বললেন বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)?

    পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে রাজ্যের অন্য দুই দল কংগ্রেস ও সিপিএমের কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, “শাসক দলের সঙ্গে সেটিং রয়েছে দুই দলের। ২০১১ সালে বিরোধী দলনেতা ছিলেন সূর্যকান্ত মিশ্র। তখনও বিরোধিতার কোনও ছবি ধরা পড়েনি। ২০১৬ সালে বিরোধী দলনেতা হন আব্দুল মান্নান। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তাঁরাও কোনও আন্দোলন করেননি। বর্তমানে বিরোধী দল বিজেপি। দুর্নীতি, অন্যায়ের বিরুদ্ধে বিজেপি বার বার সোচ্চার হয়েছে। তাই আগামী দিনে এই পশ্চিমবঙ্গকে রক্ষা করতে বিজেপিকে ক্ষমতায় আসতে হবে।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: খড়্গপুরে অভিষেককে দেখতে তুমুল বিশৃঙ্খলা, পা ভাঙল তৃণমূল যুব নেতার

    Abhishek Banerjee: খড়্গপুরে অভিষেককে দেখতে তুমুল বিশৃঙ্খলা, পা ভাঙল তৃণমূল যুব নেতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঝাড়গ্রামে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) কনভয়ের হামলার পর শনিবার সকাল থেকেই অতি সক্রিয় পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিশ। শালবনিতে অভিষেকের সভা ছিল। শুক্রবার রাতে চক শালবনির ঘটনার পর শাসক দলের নেতা মন্ত্রীরা যেভাবে কুড়মি সমাজের বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া দিয়েছে তারই প্রতিবাদ জানাতে আজ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) যাত্রা পথে খেমাসুলিতে প্রতিবাদ জানানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিল আদিবাসী কুড়মি সমাজের মানুষেরা। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছে কমলেশ মাহাত সহ তিন কুড়মি নেতাকে আটক করল খড়গপুর লোকাল থানার পুলিশ। রাস্তার ধারে কোনওভাবেই দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ দেখানো যাবে না, স্পষ্টবার্তা পুলিশ আধিকারিকদের। খেমাশুলিতে মোতায়ন ছিল বিশাল পুলিশবাহিনী। গণতান্ত্রিক দেশে কণ্ঠরোধ করা যাবে না, পাল্টা হুঁশিয়ারি দেন কুড়মি নেতারা।

    অভিষেককে (Abhishek Banerjee) দেখতে গিয়ে চরম বিশৃঙ্খলা, পা ভাঙল তৃণমূল যুব নেতার

    তৃণমূলের নব জোয়ার কর্মসূচি সূচনা লগ্নে চরম বিশৃঙ্খলা। ধাক্কাধাক্কিতে পড়ে গিয়ে দুটি পা ভাঙল খোদ রাজ্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক তন্ময় ঘোষের। এদিন দুপুরে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে খেমাশুলি হয়ে খড়্গপুরের চৌরঙ্গীতে এসে পৌঁছান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। সেই সময় ধাক্কাধাক্কিতে পড়ে যান তন্ময় ঘোষ সহ দলের একাধিক নেতা নেত্রী। এমনকি ধাক্কাধাক্কির মুখে পড়েন খোদ বিধায়করা। সেই সময়ই পা ভেঙে যায় তন্ময় ঘোষের। এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। দলীয় কর্মীদের কেন নিয়ন্ত্রণ করা গেল না প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে শাসক দলেরই একাংশ। পরে, তন্ময়বাবুকে উদ্ধার করে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে চিকিত্সা করা হয়। পরে, হুইলচেয়ারে করে তিনি সভাস্থলে যান। তন্ময়বাবু বলেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আসতেই ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়ে যায়। তখনই কোনওভাবে পড়ে এই বিপত্তি ঘটে।

    ভোটগ্রহণকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে

    শালবনিতে তৃণমূলের নবজোয়ার কর্মসূচিতে ভোটগ্রহণে এড়ানো গেল না তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল। ভোটাভুটি নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে বচসা বাধে। এদিন শালবনির মাকলি অঞ্চলের ভোট গ্রহণ চলছিল। সেই সময় কে আগে ভোট দেবে তা নিয়ে শুরু হয় বচসা। হাতাহাতির পর্যায়ে পৌঁছায়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৈরি হয় উত্তেজনা। যদিও সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ পৌঁছে পরিস্থিতি সামাল দেয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ভানু বাগের শ্রাদ্ধ খেতে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী, মৃত পরিবারে চাকরি দিতে নয়, বললেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: ভানু বাগের শ্রাদ্ধ খেতে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী, মৃত পরিবারে চাকরি দিতে নয়, বললেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গে সুশাসন নেই। সম্প্রতি এই রাজ্যে তিনটি বড়ো বড়ো বিস্ফোরণ হয়েছে। মমতা ব্যানার্জী আজকে এগারাতে গিয়েছেন। ভানু বাগের বাড়িতে শ্রাদ্ধ খেতে উনি গিয়েছেন, কোনও মৃতদের পরিবারকে চাকরি দিতে যান নি। উত্তর দিনাজপুরে পুলিশ এক বিজেপি কর্মীর বুকে গুলি করে খুন করেছে। গোটা পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি কর্মীদের খুন করা হচ্ছে। আর এই ভাবেই রাজ্যের শাসক তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) কোথায় সভা করলেন!

    শনিবার বিকালে মালদার মালিকচকে একটি জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে শাসক দল তৃণমূল এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির সমালোচনা করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। এইদিনের এই জনসভায় উপস্থিত হয়েছিলেন জেলা বিজেপি নেতৃত্ব। এইদিন বিকালে জনসভা শেষ করে ট্রেনে করে কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দেন বিজেপি বিধায়ক (Suvendu Adhikari) শুভেন্দু অধিকারী।

    কী বললেন বিরোধী (Suvendu Adhikari) দলনেতা

    মালদায় বিশেষ জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, বর্তমানে রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিক ৪৫ লক্ষ। বামফ্রন্টের সময় এই সংখ্যা ছিল ৫ লক্ষ। বেশীরভাগ এই পরিযায়ী শ্রমিকদের মধ্যে সংখ্যালঘুরা আছেন। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনাতে পশ্চমবঙ্গকে ৫০ লক্ষ বাড়ি দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। তৃণমূলের নেতারা সেই সব বাড়ি নিয়ে নিয়েছে। ১০০ দিনের কাজে সব থেকে বেশী দুর্নীতি হয়েছে এই মালদা জেলাতে। আরও বলেন তিনি, এই চোরদের তাড়াতে হবে। কেন এই চোরদের ভোট দেবেন? যারা কাঁটা তারের বেড়া টপকে ঢুকেছে, তাদেরকে কাঁটাতারের ওপাশে আবার যেতে হবে। কেন্দ্র সরকারের গ্রহণযোগ্যতা সারা বিশ্বে আর তাই বিদেশের মাটিতে প্রধানমন্ত্রীকে পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করছে। কৃষক পরিবারের টাকা আটকে দিয়েছে এই রাজ্যের সরকার। মাধ্যমিকে ছাত্রছাত্রীদের সংখ্যা কমছে আর মদের দোকানের সংখ্যা বাড়ছে বলে বিশেষ অভিযোগ করেন। ডিয়ার লটারি কাটতে কাটতে এই রাজ্যের মানুষকে ভিখারি করে দিয়েছে। এই রকম নানা বাক্য দিয়ে সরকারের সমালোচনা করেন বিরোধী দলনেতা।

    অভিষেকের বিরুদ্ধে তোপ

    তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে মহম্মদ বিনতুঘলকের সঙ্গে তুলনা করে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, জনজোয়ারের নামে কোটি কোটি টাকা খরচ হচ্ছে। মুসলিমদের মধ্যে এনআরসির ভয় দেখাচ্ছে। কুড়মিদের মধ্যে লড়াই লাগাচ্ছে মমতা ব্যানার্জী নিজে। রামনবমীর দিনে গোলমাল হয়েছে মমতা ব্যানার্জীর জন্যেই। এই রাজ্যে কোনো চাকরি নেই। সেই সঙ্গে বলেন পশ্চমবঙ্গকে আমাদেরই বাঁচাতে হবে। ডবল ইঞ্জিনের সরকার এই রাজ্যে প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সিপিএমের ফাঁদে পা দেবেন না। সিপিএমের আমলে ওরা চাকরি বিক্রি করেছিল। মমতা ব্যানার্জীকে আমি প্রাক্তন করব। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে একরাশ অভিযোগের কথা তুলে ধরে রাজ্যের সংখ্যালঘু সামজের মানুষের মনে বিশেষ জায়গা তৈরির কৌশল করলেন বিরোধী দলের নেতা শুভেন্দু অধিকারী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: মৃত বিজেপি কর্মীর বাড়িতে জাতীয় তপশিলি কমিশন, দাবি সিবিআই তদন্তের

    Nadia: মৃত বিজেপি কর্মীর বাড়িতে জাতীয় তপশিলি কমিশন, দাবি সিবিআই তদন্তের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নদিয়ায় (Nadia) বিজেপি কর্মীর মৃত্যুর পাঁচ দিন কেটে গেলেও এখনো পর্যন্ত গ্রেপ্তার হয়নি একজনও। আর আজ নিহত বিজেপি কর্মী নকুল হালদারের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গেলেন জাতীয় তপশিলি কমিশনের সহ-সভাপতি অরুণ হালদার। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করলেন পুলিশের ভূমিকা নিয়ে। সিবিআই তদন্তের দাবী করলেন অরুণ হালদার। খুন হয়েছিলেন বিজেপির বুথ সভাপতি আর তাই ছেলে সিবিআই তদন্ত চাইলেন। বিজেপির বুথ সভাপতি খুন হওয়ার পরে অভিযুক্তরা এখনও অধরা, দাবি পরিবারের।

    নদিয়ায় (Nadia) কীভাবে ঘটেছিল ঘটনা?

    চলতি মাসের ২৩ তারিখ নদীয়ার (Nadia) হাঁসখালীর পেপুল বেড়িয়ার বিজেপির বুথ সভাপতি নকুল হালদারকে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা মেরে গাছে ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ তোলে তাঁর পরিবার। নকুল বাবুর বাড়ি হাঁসখালিতে হলেও, তাঁর ঝুলন্ত দেহ পাওয়া যায় নদীয়ার কৃষ্ণগঞ্জের আম বাগানে। পরিবারের পক্ষ থেকে কৃষ্ণগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ জানানো হয়। এখনো পর্যন্ত অভিযুক্তরা কেউ গ্রেফতার হয়নি। পরিবারে সদস্যরা আতঙ্কে রয়েছেন। আজ দিল্লি থেকে জাতীয় তপশিলি কমিশনের সহ-সভাপতি অরুণ হালদারের নেতৃত্বে এক প্রতিনিধি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেন। ঘটনাস্থলে স্থানীয় বাসিন্দাদের সাথে কথা বললেন। স্থানীয় বাসিন্দারা কৃষ্ণগঞ্জ থানার আইসি ও অ্যাডিশনাল এসপির সামনেই প্রতিনিধি দলের কমিশনের সহ-সভাপতিকে জানান নকুল বাবুকে খুন করা হয়েছে কীভাবে। কমিশনের সদস্যরা পুলিশের কাছে জানতে চান এই মৃত্যুর ঘটনার পূর্ণ বিবরণ। পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে পূর্ণ বিবরণ দিলেও, সেই বিবরণের মোটেই সন্তুষ্ট নয় কমিশন। ঘটনাস্থল থেকে এরপর প্রতিনিধি দলটি যায় পরিবারের সাথে দেখা করতে।

    কমিশনের বক্তব্য

    মৃত বিজেপি কর্মীর পরিবারের (Nadia) সদস্যরা কমিশনের সহ-সভাপতি অরুণ হালদারের সঙ্গে ঘরে দীর্ঘক্ষণ আলোচনা করেন। আলোচনা সেরে বাইরে বেরিয়ে অরুণ বাবু সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, পরিবারের সাথে প্রশাসনের বক্তব্যের বিস্তর ফারাক রয়েছে। এছাড়াও তিনি আক্ষেপ করে বলেন, এসপি পদমর্যাদার আধিকারিকদের থাকার কথা থাকলেও ঘটনাস্থলে তাঁরা কেউ ছিলেন না। এছাড়াও তিনি বলেন, ঘটনার ব্যাপারটা প্রশাসন ধামা চাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে বলে তিনি মনে করেন। এরপর অরুণ হালদার এসপির সাথে বৈঠক করবেন বলে জানান। পরিবারের সদস্যদের আশ্বাস দেন পুলিশের বিচার সঠিকভাবে না হলে এবং দোষীদের গ্রেফতার না হলে, সিবিআই তদন্তের ব্যবস্থা করা হবে।

    পরিবারের বক্তব্য

    পরিবারের (Nadia) সদস্যরা সাংবাদিকদের জানান, তাঁরা এই ঘটনার পর থেকে আতঙ্কে রয়েছেন নিজের বাড়িতে। এখনো পর্যন্ত অভিযুক্তরা গ্রেফতার না হওয়ায় তাঁরা পুলিশের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভে প্রকাশ করেন। পাশাপাশি তাঁরা দাবি করেন, পুলিশের প্রতি তাঁদের আস্থা নেই, তাঁরা সিবিআই তদন্ত চান। মৃত বিজেপি কর্মীর পরিবার কবে ন্যায় বিচার পান, সেটাই এখন দেখার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ। 

  • Dilip Ghosh: ‘‘ওনার লোকেরা বোম ফাটিয়ে মানুষ মারবে আর উনি ক্ষতিপূরণ দেবেন’’! মমতাকে কটাক্ষ দিলীপের

    Dilip Ghosh: ‘‘ওনার লোকেরা বোম ফাটিয়ে মানুষ মারবে আর উনি ক্ষতিপূরণ দেবেন’’! মমতাকে কটাক্ষ দিলীপের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবৈধ বাজি কারখানার বিস্ফোরণে মৃতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে শনিবার এগরার খাদিকুলে গিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। মুখ্যমন্ত্রীর এই সফরকে তীব্র ভাষায় কটাক্ষ করলেন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। বিজেপি সাংসদ বলেন, ‘‘ওনার লোকেরা বোমা ফাটিয়ে মানুষ মারবে। আর উনি গিয়ে প্যাকেজ দেবেন।’’ বিজেপি সর্বভারতীয় সহ-সভাপতির কটাক্ষ, ‘‘বোমা সরবরাহের হাব হয়ে গিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। প্রতিটি ব্লকে ব্লকে বোমার কারখানা তৈরি হচ্ছে। সেই বোমা সারা বাংলায় ছড়িয়ে পড়ছে। পার্শ্ববর্তী রাজ্যগুলিতেও পশ্চিমবঙ্গ থেকে বোমা সাপ্লাই হচ্ছে। এ রাজ্য আফগানিস্তান-সিরিয়ায় পরিণত হয়েছে।’’

    খাদিকুলে ক্ষমাপ্রার্থী মমতা

    এদিন মেদিনীপুরের এগরায় খাদিকুল গ্রামে বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মাথা নত করে এলাকাবাসীর কাছে ক্ষমা চান। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘এই ঘটনায় আমরা খুবই দুঃখিত। এগরার ঘটনায় আমাদের চোখ খুলে দিয়েছে। অবৈধ বাজি কারখানার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করবে প্রশাসন।’’ যদিও, এই ঘটনার গোটা দায় পুলিশ ও গোয়েন্দা বিভাগেরর ওপরই চাপিয়ে হাত ঝেড়ে ফেলার চেষ্টা করেন খোদ পুলিশমন্ত্রী। মমতা দাবি করেন, ‘‘গোয়েন্দা বিভাগের ব্যর্থতায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশের ইন্টেলিজেন্স যদি সঠিক সময় কাজ করত, তাহলে এই ঘটনা ঘটত না।’’

    অভিষেককেও একহাত দিলীপের (Dilip Ghosh)

    শুক্রবার, তৃণমূলের নব জোয়ার যাত্রায় গিয়ে জঙ্গলমহলের প্রাণ কেন্দ্র ঝাড়গ্রামের গড় শালবনিতে ইট বৃষ্টির মুখোমুখি হতে হয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে৷ এই নিয়ে মমতা-অভিষেককে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, ‘‘আপনারা একবার সাঁওতাল ক্ষেপাচ্ছেন, একবার কুড়মি ক্ষেপাচ্ছেন। আপনাদের ওপর গোর্খারা ক্ষেপে আছে। রাজবংশীরা ও মতুয়ারা ক্ষেপে আছে। আপনাদের চালাকির রাজনীতির ফল এবার ভুগতে হচ্ছে।’’ কয়েক দিন আগে, অভিষেক যেতেই তাঁকে ঘিরে ‘চোর চোর’ স্লোগান দেন স্থানীয়রা। এর প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে আক্রমণ করে দিলীপ (Dilip Ghosh) বলেন, ‘‘লোকে কেন আপনাদের আক্রমণ করছে? কেন চোর বলছে?’’ জবাব দেওয়ার ঢঙে নিজেই বলেন, ‘‘মানুষ আজ অত্যাচারে জর্জরিত হয়ে গেছে। তাই এমন হচ্ছে৷’’

    আরও পড়ুন: ‘‘কুড়মিদের বিষয়ে শহরের রাজপুত্ররা কী জানবে’’! অভিষেককে তুলোধনা দিলীপের

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Purba Bardhaman: পূর্ব বর্ধমানের গ্রামে ধসের ইঙ্গিত? আতঙ্কিত গ্রামবাসী

    Purba Bardhaman: পূর্ব বর্ধমানের গ্রামে ধসের ইঙ্গিত? আতঙ্কিত গ্রামবাসী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত চার পাঁচ দিন ধরে পূর্বস্থলী (Purba Bardhaman) দু’নম্বর ব্লকের মুকসিম পাড়া গ্রামে বিভিন্ন জায়গায় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এক একটি গর্ত প্রায় ৮ থেকে ৯ ফুট গভীর। হঠাৎ করে এই রকম গর্তের সৃষ্টি হওয়াতে আতঙ্কে এলাকাবাসী। এলাকায় ধস নামার ইঙ্গিত নয় তো?

    কী হয়েছে পূর্ব বর্ধমানে (Purba Bardhaman) ?

    ঘটনা চোখে পড়েছে পূর্ব বর্ধমানের (Purba Bardhaman) পূর্বস্থলী দু’নম্বর ব্লকের মুকসিম পাড়া গ্রামে। এই গ্রামে প্রায় ৩০০ টি পরিবারের বাস। জনসংখ্যার নিরিখে প্রায় আড়াই হাজারেরও বেশি মানুষ বসবাস করে এই গ্রামে। গত চার পাঁচ দিন যাবত হঠাৎ করে বিভিন্ন জমিতে বড় বড় গর্ত লক্ষ করা গেছে। এলাকার আম বাগানের জমি হোক, আর চাষের জমি, সমস্ত জায়গায় হঠাৎ হঠাৎ করে গর্ত তৈরি হচ্ছে। সেই কারণে আতঙ্কে রয়েছে এলাকার গ্রামবাসীরা। আমের মরশুমে আম বাগানে হঠাৎ করে এরকম বড় গর্ত হওয়ায় সকলেই চিন্তিত। বাচ্চা ছেলেরা আম কুড়াতে গিয়ে এই গর্তের মধ্যে পড়ে গেলে বিপদ ঘটতে পারে। অপরদিকে বৃষ্টির জল জমে যাওয়াতে বোঝা যাচ্ছে না, জমিতে গর্ত আছে কী নেই? আর যদি কোনও বাচ্চা সেখানে যায়, তাহলে পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা যেমন রয়েছে, তেমনই পড়লে বাচ্চাদের খুঁজে না পাওয়ার ভয়ও রয়েছে। কারণ এই গর্তগুলি বেশ গভীর। গ্রামবসীরা সকলেই খুব উদ্বেগে রয়েছে।

    এলাকায় (Purba Bardhaman) ধসের ইঙ্গিত নয় তো?

    এই গর্তের ঘটনায় আতঙ্কে গ্রামবাসীরা। গ্রামে আগে গর্ত দেখা যেত ইঁদুরের কিম্বা শিয়ালের! কিন্তু এই ধরনের গর্ত শিয়াল বা ইঁদুরের যে নয় সেটা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে। এই গর্তগুলো কোন ধসের ইঙ্গিত নয় তো? সেই আতঙ্ক গ্রাস করেছে মুকসিম পাড়া (Purba Bardhaman) গ্রামবাসীদের।

    স্থানীয় মানুষের প্রতিক্রিয়া

    এলাকার স্থানীয় (Purba Bardhaman) হাসান মণ্ডলের বক্তব্য, বেশ কিছু দিন ধরে এই এলাকায় কিছু বড় বড় গর্ত দেখা যাচ্ছে। গর্তগুলি কিছু জমি এবং বাড়ির পাশে যেমন হয়েছে তেমনি চাষের মাঠে, জমিতেও দেখা যাচ্ছে। ধস বা সুড়ঙ্গের মতন দেখা যাচ্ছে বলে আমরা খুব চিন্তিত। বিশেষ করে পাকাবাড়ি যাদের রয়েছে তারাও খুব চিন্তিত রয়েছে। যদি ধস নামে, তাহলে এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা খেলতে গিয়ে গর্তে পড়ে যেতে পারে। আমরা পঞ্চায়েত এবং ব্লক অফিসে বিষয়টি জানিয়েছি। প্রশাসন বিষয়টি নিয়ে আশাকরি পদক্ষেপ নেবে। ধস বা সুড়ঙ্গের কারণ ঠিক কী, তা এলাকাবাসীর সামনে অবশ্যই আসা উচিত বলে দাবি করেন হাসন মণ্ডল।

    পঞ্চায়েত প্রধানের বক্তব্য

    এলাকার পঞ্চায়েত (Purba Bardhaman) প্রধান আলিবদ্দিনের বক্তব্য, আমি বিষয়টি শুনেছি। আমিও ব্লক অফিসে যাবো এবং বিডিও সাহবের কাছে বিষয়টি তুলে ধরব। এলাকার মানুষকে সঙ্গে নিয়ে কিছু একটা ব্যবস্থা অবশ্যই করবো। এখন ঠিক কবে এই গর্ত রহস্যের সমাধান হয়, সেটাই এখন দেখার।       

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share