Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • RG Kar Case: ষষ্ঠী থেকে চার দিন বাড়ির সামনে ধর্নায় বসবেন আরজি করের নির্যাতিতার বাবা-মা

    RG Kar Case: ষষ্ঠী থেকে চার দিন বাড়ির সামনে ধর্নায় বসবেন আরজি করের নির্যাতিতার বাবা-মা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্গাপুজোর (Durga Puja) ষষ্ঠী থেকে বাড়ির সামনে ধর্নায় বসবেন আরজি করের (RG Kar Case) নির্যাতিতার বাবা-মা। তাঁদের সঙ্গে থাকবেন আত্মীয়-স্বজন এবং এলাকাবাসীরা। নির্যাতিতার বাবা-মা আরও জানিয়েছেন, চাইলে যে কেউ এসে এই প্রতিবাদে সামিল হতে পারেন। এমনকী রাজনৈতিক ব্যক্তিরাও আসতে পারেন। কিন্তু প্রতিবাদ মঞ্চে কেবল মাত্র থাকবেন কাছের আত্মীয়রাই। একই ভাবে তথ্যপ্রমাণ লোপাট নিয়ে মমতাকে তোপ দেগেছেন অভয়ার মা।

    চার দিনের ধর্নায় বসবেন বাবা-মা (RG Kar Case)

    প্রত্যেক বছর বাড়িতে পুজো (Durga Puja) হলেও এবার দুর্গামায়ের পুজো হবে না বাড়িতে। বাজবে না ঢাক, জ্বালানো হবে না আলো। গত ৯ অগাস্ট আরজি কর (RG Kar Case) হাসপাতালে নিজের কর্মস্থলেই ধর্ষণের পর নির্মম ভাবে হত্যা করা হয় অভয়াকে। ন্যায়বিচারের দাবিতে রাজ্য সহ গোটা দেশ এবং বিদেশের মাটিতে আন্দোলন হয়েছে। এদিন নির্যাতিতার মা বলেন, “তিন বছর আগে মেয়ের আবদারে দুর্গাপুজো শুরু হয়েছিল। বাড়ির গ্যারাজে রাখা হয়েছিল দুর্গাপ্রতিমা। বাড়ি নানা আলোয় ঝলমল করত। চারদিন পুজো হত, খুব আনন্দ হত। এই বছর খুব কষ্ট হবে। তাই ঘরের সামনে ধর্নামঞ্চ করছি। ষষ্ঠী থেকে সেখানেই বসব। পরিবারের লোকজন থাকবে। যাঁরা আসতে চাইবেন আসবেন।” আবার নির্যাতিতার বাবা বলেছেন, “রাজনীতির লোকের আসতে পারেন, কিন্তু মঞ্চে জায়গা দিতে পারব না, আমাদের এই মঞ্চকে রাজনৈতিক রং দিতে চাই না।”

    আরও পড়ুনঃ “পুজোতে জামাকাপড় না কিনে মেরুদণ্ড কিনুন”, জয়নগরকাণ্ডে পুলিশকে কটাক্ষ সুকান্তর

    তথ্যপ্রমাণ লোপাটও কি দুর্ঘটনা?

    আরজি করের (RG Kar Case) নির্যাতিতার মা আরও বলেন, “মেয়েকে হারিয়েছি। জুনিয়র ডাক্তারেরা যে আন্দোলন করছেন, তা দেখে ঘরে বসে আমার কান্না পাচ্ছে। ওরা না খেয়ে আছে। আমি তো এখন ওদেরও মা। ওরা আমার সন্তান। মুখ্যমন্ত্রীকে ওদের সমস্যার সমাধান করার জন্য অনুরোধ করব। মা হিসেবে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে জানতে চাই, হাসপাতালের ভিতরে কী করে আমার মেয়ের সঙ্গে ওই কাণ্ড হয়েছিল? তথ্যপ্রমাণ লোপাটও কি দুর্ঘটনা? হাসপাতালের ভিতরে এ রকম হলে কোথায় রয়েছে সুরক্ষা?”

    অপর দিকে বাবা আরও বলেন, “অনশনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি সরকার মানছেন না। বায়ো টয়লেটের ব্যবস্থা পর্যন্ত করেনি সরকার। মানবিক ভাবে সব কিছুকে না ভাবলে নির্যাতন বন্ধ হবে না। পটাশপুর, জয়নগরের মতো ঘটনা থামবে কীভাবে, তা নিয়ে ভাবতে হবে। একজন মাত্র ৯ বছরের মেয়েকে ধর্ষণ করে খুন করা হল। অপর দিকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হল। এভাবেই কি চলতে থাকবে? এর শেষ কোথায়?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jaynagar: “পুজোতে জামাকাপড় না কিনে মেরুদণ্ড কিনুন”, জয়নগরকাণ্ডে পুলিশকে কটাক্ষ সুকান্তর

    Jaynagar: “পুজোতে জামাকাপড় না কিনে মেরুদণ্ড কিনুন”, জয়নগরকাণ্ডে পুলিশকে কটাক্ষ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় দোষীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে রবিবার কুলতলি থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। এই প্রতিবাদ কর্মসূচির নেতৃত্ব দেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) এবং বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল সহ জেলার কর্মী-সমর্থকরা। প্রসঙ্গত, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার কুলতলি (Jaynagar) থানা এলাকায় চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীকে যৌন নির্যাতন ও খুনের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। জয়নগরের এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ফের সরগরম হয়ে উঠেছে রাজ্য রাজনীতি। এদিন মহিলা মোর্চার পক্ষ থেকে ফাল্গুনী পাত্র এবং ভারতী ঘোষও উপস্থিত ছিলেন প্রতিবাদ সভায়।

    তৃণমূলের ঝাণ্ডা ধরা পুলিশের কাজ (Jaynagar)

    আরজি করের ঘটনার পর এবার খবরের শিরোনামে গ্রাম বাংলার জয়নগর (Jaynagar)। এই পৈশাচিক ঘটনায় রাজ্যের নারী সুরক্ষা নিয়ে আবারও প্রশ্ন উঠেছে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, “বাংলার মহিলাদের সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ মমতার সরকার। ছাত্রী নিখোঁজের ঘটনার পরও কোনও পদক্ষেপ নেয়নি পুলিশ। সঠিক ভাবে সক্রিয় হয়ে যদি পুলিশ কাজ করত, তাহলে এই রকম অত্যাচারের ঘটনা ঘটত না। পুলিশের উচিত এখন উর্দি খুলে তৃণমূলের ঝাণ্ডা ধরা। পরিবারের দাবি, চতুর্থ শ্রেণির মাত্র নয় বছরের একটি মেয়েকে ধর্ষণ করে নির্মমভাবে খুন করা হয়েছে। যদিও এখনও ময়নাতদন্ত করা হয়নি। অকালে একটি মেয়ের প্রাণ চলে গেল। এই হত্যার প্রতিবাদে আমরা রাস্তায় নেমেছি। আমাদের আজকের থানা ঘেরাও কর্মসূচি কার্যত পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার বিরুদ্ধে।”

    আরও পড়ুনঃ জয়নগরে পুলিশ ফাঁড়ির বিরুদ্ধে বার বার নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ উঠেছে, কী বললেন গ্রামবাসীরা?

    পোশাকে অশোকস্তম্ভ লাগাবেন না

    সুকান্ত তৃণমূলকে আক্রমণ করে আরও বলেন, “দুর্গাপুজো এসে গিয়েছে, কিন্তু বাংলার মা-বোনেরা আজ সুরক্ষিত নন। উৎসবকে উপেক্ষা করে আজ আমরা জয়নগরের (Jaynagar) ময়দানে নেমেছি। কারণ বাংলার নারীদের সুরক্ষা চাই। দুর্গা মায়ের কাছে আমরা কোন মুখে আশীর্বাদ চাইব? রাজ্যে তো ধর্ষণ এবং খুনের খেলা চলছে। তৃণমূলের শাসনে কেউ সুরক্ষিত নয়। সব কিছুর দায় হল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। রাজ্যে আইনের শাসন নেই। দুষ্কৃতীরা শাসক ঘনিষ্ঠ। পুলিশ নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ। পুলিশকে বলতে চাই, মমতা আপনাদের চাকরি কেড়ে নিতে পারবেন না। পুজোতে জামাকাপড় না কিনে মেরুদণ্ড কিনুন, নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করুন। আর যদি না পারেন, পোশাকে অশোকস্তম্ভ লাগাবেন না, হাওয়াই চটি লাগান। আপনারা অঞ্চলস্তরের তৃণমূল দলে যোগদান করুন, আমরা আর বলতে আসব না, বিচারও চাইব না। ভূপতিনগরেও একই ভাবে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে এক মহিলাকে। তাই সরকারকে উৎখাত করতে হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jaynagar: জয়নগরে পুলিশ ফাঁড়ির বিরুদ্ধে বার বার নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ উঠেছে, কী বললেন গ্রামবাসীরা?

    Jaynagar: জয়নগরে পুলিশ ফাঁড়ির বিরুদ্ধে বার বার নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ উঠেছে, কী বললেন গ্রামবাসীরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগরে (Jaynagar)  বালিকার মৃত্যুর পরেও একই ভাবে পুলিশের উপরে আছড়ে পড়েছে গ্রামবাসীদের ক্ষোভ। ফাঁড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় তারা। পুড়িয়ে দেওয়া হয় মোটরবাইক, সাইকেল। প্রাণ বাঁচাতে পুলিশকর্মীরা কার্যত পালিয়ে যান। শনিবার এমন রোষের পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশের কর্তব্য নিয়ে ফের প্রশ্ন উঠল। পুলিশ তৎপর হলে ওই বালিকাকে বাঁচানো যেত, এমন দাবিও উঠেছে।

    ফাঁড়ির বিরুদ্ধে অভিযোগ নতুন নয়! (Jaynagar)  

    গ্রামবাসীদের অভিযোগ, নাবালিকা নিখোঁজ হওয়ার পরে ফাঁড়িতে গিয়েছিলেন পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু, ফাঁড়ির পুলিশ (Jaynagar)  গুরুত্ব দেয়নি। থানায় যেতে বলে দেয়। গ্রামবাসীর দাবি, স্থানীয় একটি দোকানে সিসি ক্যামেরা ছিল। সেই ফুটেজ চেয়ে মেলেনি। পুলিশ তৎপর হয়ে ফুটেজ জোগাড় করলে ধৃতকে আগেই শনাক্ত করা যেত। সে ক্ষেত্রে হয়তো মেয়েটির প্রাণ বাঁচানো যেত! তবে, শুধুমাত্র ওই বালিকার খুনের ঘটনাতেই ফাঁড়িতে জনরোষ, এমন নয়। এখানকার পুলিশের বিরুদ্ধে নানা ঘটনায় সাধারণ মানুষের ক্ষোভ জমছিল দীর্ঘদিন ধরেই। এ দিন তারই বহিঃপ্রকাশ হল, বলছেন অনেকে। ওই গ্রামের এক প্রবীণ বাসিন্দা বলেন, “ফাঁড়িটা আছে নামেই। গ্রামবাসীর কাজে লাগে না। চুরি-ডাকাতি হলেও পুলিশের সাহায্য পাওয়া যায় না।” আর এক গ্রামবাসীর অভিযোগ, “সম্প্রতি মোবাইল চুরির অভিযোগ জানাতে গিয়েছিলাম। কাজ তো হয়ইনি, উল্টে পুলিশ টাকা চেয়েছিল।” তাঁর প্রশ্ন, “আমাদের মেয়েটার বেলায় একটু আগে তদন্ত করতে পারল না ওরা!” দিন কয়েক আগে একটি দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে এই থানা এলাকারই দ্বিতীয় ফাঁড়িটিতেও পুলিশের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হয়েছিল। পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। সেখানেও পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ উঠেছিল।

    আরও পড়ুন: “নারী সুরক্ষা কোথায়”? জয়নগরকাণ্ডে সরব আরজি করের নির্যাতিতার বাবা-মা

    ক্ষুব্ধ সরকারি আধিকারিকও

    গ্রামবাসীরা জানান, নিরাপত্তার কথা ভেবে থানা থেকে দূরবর্তী এলাকা হওয়ায় এখানে আলাদা এই ফাঁড়ির (Jaynagar) ব্যবস্থা করা হয়। সংশ্লিষ্ট থানা এলাকায় দু’টি এ রকম ফাঁড়ি রয়েছে। আলাদা ভবন, এক এসআই-সহ চার পুলিশকর্মী, সিভিক ভলান্টিয়ার-সহ সব ব্যবস্থাই রয়েছে ফাঁড়িতে। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা রক্ষা হয় কই? ফাঁড়ির ভূমিকায় বিরক্ত সরকারি আধিকারিকদের একাংশও। স্থানীয় এক স্কুল পরিদর্শক বলেন, “এখানকার কোনও স্কুলে কোনও সমস্যা হলে ফাঁড়িতে গিয়ে কাজই হয় না। এ ভাবে ফাঁড়ি রাখার দরকার কী?”

    পুলিশ প্রশাসনের কী সাফাই?

    জেলার পুলিশকর্তারা এই সব অভিযোগ মানেননি। বারুইপুর পুলিশ জেলার সুপার পলাশচন্দ্র ঢালির দাবি, “পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ ঠিক নয়। বালিকাকে খোঁজার পর্বে পুরো সময়টাই ফাঁড়ির এক পুলিশ কর্মী ওই পরিবারের সঙ্গে ছিলেন। ফাঁড়ির (Jaynagar)  তরফে কোনও গাফিলতি হয়নি।” তা হলে জনরোষ কি অকারণে? ওই পুলিশকর্তার জবাব, “কী কারণে জনরোষ, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুরের ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” উল্লেখ্য, বছর দেড়েক আগে উত্তর দিনাজপুরে এক নাবালিকার মৃত্যুর পরে স্থানীয় থানায় গিয়ে চড়াও হয় ক্ষুব্ধ জনতা। প্রাণ বাঁচাতে পাশের বাড়িতে গিয়ে এক কোণে লুকিয়েছিলেন পুলিশকর্মীরা। সম্প্রতি কলকাতার বাঁশদ্রোণীতে একটি স্কুলপড়ুয়া ছাত্রের মৃত্যুর পরেও স্থানীয়দের রোষের মুখে পড়ে পুলিশ। এবারও জয়নগরের ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে নিস্ক্রিয়তার অভিযোগে জনরোষ আছড়়ে পড়ল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jaynagar: “হাসপাতাল ও পুলিশের অধীনে ময়নাতদন্ত করা যাবে না”, দাবি মৃত নাবালিকার বাবার

    Jaynagar: “হাসপাতাল ও পুলিশের অধীনে ময়নাতদন্ত করা যাবে না”, দাবি মৃত নাবালিকার বাবার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাসপাতাল ও পুলিশের অধীনে ময়নাতদন্ত করা যাবে না। ঠিক এমন দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন জয়নগরের (Jaynagar) চতুর্থ শ্রেণির নির্যাতিতা নাবালিকার বাবা। ধর্ষণ করে খুনের মতো পাশবিক ঘটনায় রীতিমতো ক্ষোভের আগুনে ফুঁসছে গোটা দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার মানুষ। উল্লেখ্য সম্প্রতি আরজি করে এক তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছাড়ায়। এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই নাবালিকা খুনের ঘটনা পুজোর আগে ব্যাপক শোরগোল ফেলে দিয়েছে।

    নির্যাতিতার বাবার বক্তব্য (Jaynagar)

    শনিবার জয়নগরের (Jaynagar) পদ্মহাট গ্রামীণ হাসপাতাল এবং কাটাপুকুর মর্গে একাধিকবার বিক্ষোভ করেছেন এলাকার মানুষ। ইতিমধ্যে পুলিশ প্রশাসন এবং শাসকদল তৃণমূলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি নাবালিকার দেহ সংরক্ষণের দাবি জানিয়েছে। তাদের পক্ষ থেকেও একটাই দাবি রাজ্য সরকারে হাসপাতাল এবং পুলিশের অধীনে কোনও রকম ভাবেই ময়নাতদন্ত করা যাবে না। এদিকে দোষীর শাস্তির দাবিতে এলাকার উত্তেজিত জনতার ক্ষোভের আঁচ গিয়ে পড়েছে কুলতলি থানায়। অপর দিকে ন্যায় বিচার এবং পুলিশের নিস্ক্রিয়তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদে রবিবার থানা ঘেরেও কর্মসূচি গ্রহণ করেছে বিজেপি। উত্তেজনার কথা বুঝতে পেরে পুলিশের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে বাড়তি সুরক্ষার ব্যবস্থা। আবার মৃতার পরিবারের আইনজীবী চন্দনকুমার সাহা বলেন, “রাজ্য সরকারের অধীনে ময়নাতদন্ত চাইছি না। নির্যাতিতার বাবা চাইছেন নিরপেক্ষ কোনও হাসপাতালে ময়নাদন্ত করা হোক। আমরা ইতিমধ্যে দেহ সংরক্ষণের কথা জানিয়েছি। একই মর্মে ইতিমধ্যে লোকাল থানা, ডিজির কাছে চিঠিও করেছি আমরা। আমাদের চিঠি গ্রহণ করেছে সংশ্লিষ্ট বিভাগ।”

    আরও পড়ুনঃমহিলাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে খুন, পুলিশকে ঘিরে তুমুল বিক্ষোভ

    পুলিশ প্রথম থেকেই বিষয়কে গুরুত্ব দেয়নি

    শুক্রবার, ৪ অক্টোবর রাতের বেলায় বাড়ির পাশের একটি ডোবা থেকে মাত্র ১০ বছরের এক নাবালিকার দেহ উদ্ধার হয়। ওইদিন সন্ধ্যার পর থেকেই মেয়েকে খুঁজে পাচ্ছিলেন না পরিবার। এরপর থানায় জানানো হয়। পরিবারের দাবি, পুলিশ প্রথম থেকেই বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে দেখেনি, সঠিক সময়ে পদক্ষেপ নিলে হয়তো মেয়েটিকে বাঁচানো যেত। এরপর দেহের খোঁজ মিললে জানা যায় ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। উত্তেজিত জনতা থানার উপর ক্ষোভ প্রকাশ করে। ভাঙচুর থেকে আগুন লাগানো হয়। এলাকার (Jaynagar) স্থানীয় তৃণমূল সাংসদ প্রতিমা মণ্ডল পরিদর্শনে গেলে তাঁকে দেখে আন্দোলনরত জনতা গো-ব্যাক স্লোগান দেন। অপর দিকে বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পলের সঙ্গেও বাধে বচসা। শনিবারের পর রবিবারেও চলছে ন্যায় বিচারের জন্য আন্দোলন।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bhupatinagar: মহিলাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে খুন, গণপিটুনিতে মৃত্যু অভিযুক্তের

    Bhupatinagar: মহিলাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে খুন, গণপিটুনিতে মৃত্যু অভিযুক্তের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করের পর জয়নগর! ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগে তপ্ত বাংলা। এই আবহের মধ্যে এবার এক মহিলাকে ধর্ষণ করে খুন করার ঘটনা ঘটল পূর্ব মেদিনীপুরের (East Midnapore) পটাশপুরের ভূপতিনগর (Bhupatinagar) এলাকায়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় গোটা এলাকা। গ্রামবাসীরা প্রতিবাদে ফেটে পড়েন।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Bhupatinagar)

    পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ভূপতিনগরের (Bhupatinagar) ওই গৃহবধূর ওপর প্রতিবেশী যুবকের দীর্ঘদিন ধরেই কুনজর ছিল। তাঁকে একাধিকবার আগে কুপ্রস্তাব দিয়েছিলেন বলেও অভিযোগ। ওই গৃহবধূ তাঁকে সতর্ক করেন। শনিবার নির্যাতিতার স্বামী বাড়িতে ছিলেন না। অভিযোগ, মহিলা বাড়িতে একা থাকার সুযোগে ঘরে ঢোকেন ওই যুবক। এরপরই বাড়়ি থেকে তাঁকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেন। পরে, সমস্ত বিষয়টি ধামাচাপা দিতে তাঁকে কীটনাশক খাইয়ে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। প্রতিবেশীরা জানাচ্ছেন, অভিযুক্তের নামে আগেও অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু পুলিশ প্রশাসনের তরফ থেকে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। গ্রামবাসীরা ঘটনা জানতে পেরে ওই মহিলাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। এর পর গ্রামে খবর আসে নির্যাতিতার মৃত্যু হয়েছে। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই রবিবার সকালে উত্তেজিত এলাকাবাসীরা এক অভিযুক্তের বাড়িতে চড়াও হয়ে তাঁকে ধরে ফেলেন। মাঝবয়সি ওই ব্যক্তিকে প্রায় অর্ধনগ্ন অবস্থায় গ্রামের রাস্তায় ফেলে বাঁশ, লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করেন গ্রামবাসীরা। হামলায় নেতৃত্ব দেন মূলত মহিলারাই। খবর পেয়ে ভূপতিনগর থানার বিশাল পুলিশবাহিনী গ্রামে এসে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করে। তবে উত্তেজিত জনতা পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে কঠোরতম শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছেন এলাকাবাসী।

    অন্যদিকে অভিযুক্তকে এগরা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। সেখানেই পরে তার মৃত্যু হয়।

    আরও পড়ুন: “নারী সুরক্ষা কোথায়”? জয়নগরকাণ্ডে সরব আরজি করের নির্যাতিতার বাবা-মা

    বাংলায় দুষ্কৃতীরাজ চলছে

    বিজেপি নেতা জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “এটা একটা নতুন প্যাটার্ন তৈরি হয়েছে অপরাধের। ধর্ষণ ও খুন। আমরা এক নতুন জায়গায় পৌঁছাচ্ছি। বাংলায় দুষ্কৃতীরাজ চলছে।” প্রসঙ্গত, আরজি কর-কাণ্ড নিয়ে যখন গোটা রাজ্য উত্তাল, সেই আবহেই শুক্রবার জয়নগরের ন’বছরের বালিকাকেঅপহরণ করে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এবার ভূপতিনগরে (Bhupatinagar) মহিলাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে খুন করা হল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Case: অভিযোগেই সিলমোহর, থ্রেট কালচারে অভিযুক্ত ১০ চিকিৎসককে বহিষ্কার করল আরজি কর

    RG Kar Case: অভিযোগেই সিলমোহর, থ্রেট কালচারে অভিযুক্ত ১০ চিকিৎসককে বহিষ্কার করল আরজি কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: থ্রেট কালচারের অভিযোগে এবার ১০ চিকিৎসককে বহিষ্কার করল আরজি কর (RG Kar Case) মেডিক্যাল কলেজ। ৭২ ঘণ্টার মধ্যে হস্টেল খালি করারও নির্দেশ কর্তৃপক্ষের। আজীবন হস্টেল থাকা সম্পূর্ণ ভাবে নিষিদ্ধ। একই ভাবে পাঠানো হবে তাঁদের বাড়িতে অভিযোগপত্রের চিঠি। গত ৯ অগাস্ট চিকিৎসক তরুণীকে ধর্ষণ করে হত্যার পর থেকেই ন্যায় বিচারের দাবি উত্তাল হয়ে উঠেছিল রাজ্য রাজনীতি। ডাক্তারদের সুরক্ষার দাবিতে তৃণমূল ঘনিষ্ঠ একদল চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। এরপর হুমকির সংস্কৃতির বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হল মেডিক্যাল কাউন্সিল।

    অভিযুক্তরা কারা (RG Kar Case)?

    জানা গিয়েছে, প্ল্যাটিনাম জুবিলি ভবনে (RG Kar Case) শনিবার দুপুর থেকে দীর্ঘ বৈঠক এবং তদন্ত করে আরজি করের ১০ জনের বিরুদ্ধে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই ১০ জনের বিরুদ্ধে ক্রমাগত হুমকি, র‌্যাগিং-এর মতো গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কর্তৃপক্ষ, ডাক্তার এবং ইন্টার্নদের প্রতিনিধিরা। ঠিক এদিন বাইরে থেকে আন্দোলনকারীরা স্লোগান দেন, অবিলম্বে অভিযুক্ত ৫৯ জনকে বহিষ্কার করতে হবে। এরপর কাউন্সিল নিজেদের সিদ্ধান্তের কথা জানায়। বহিষ্কৃত চিকিৎসকরা হলেন, সৌরভ পাল, আশিস পান্ডে, অভিষেক সেন, আয়ুশ্রী থাপা, নির্জন বাগচী, সরিফ হাসান, নীলাগ্নি দেবনাথ, অমরেন্দ্র সিংহ, সৎপাল সিংহ এবং তনভীর আহমেদ কাজী। তাঁদের রেজিস্ট্রেশন এবং শংসাপত্র দেখে রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের কাছে পাঠানো হবে।

    হোস্টেলের রুমে ঢুকে চলত শারীরিক নির্যাতন

    কলেজে (RG Kar Case), অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভয় এবং হুমকি দেওয়ার মতো কঠিন অভিযোগ রয়েছে। তাঁদের মধ্যে অনেকে আবার ধৃত প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের ঘনিষ্ঠ। মূলত অভিযোগগুলি হল, কথা না শুনলে টার্গেট করে পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দেওয়া হত। পছন্দ অনুযায়ী গবেষণার বিষয় স্থির করা যেত না, টাকার বিনিময়ে গবেষণার বিষয় নিতে হত। একই ভাবে চাহিদা অনুযায়ী অবৈধভাবে টাকার লেনদেন চলত কলেজে। এমনকী চাপ দিয়ে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের কাজে যুক্ত থাকতেন সন্দীপ ঘনিষ্ঠরা। যখন তখন হস্টেল থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হত। রাত-দুপুরে হস্টেলের রুমে ঢুকে চলত শারীরিক নির্যাতন। তৃণমূলের রাজনতিক মিটিং-মিছিলে যোগদান করতে বাধ্য করা হত। জুনিয়রদের কমন রুমে ডেকে চলত মানসিক অত্যাচার। পরিবার বাবা-মাকে উদ্দেশ্য করে চলত নোংরা গালিগালাজ।  ৫৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়ে কড়া সিদ্ধান্ত নিয়েছে কলেজ। তাঁদের মধ্যে ৪৩ জনকে হস্টেল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

    আরও পড়ুনঃ “নারী সুরক্ষা কোথায়”? জয়নগরকাণ্ডে সরব আরজি করের নির্যাতিতার বাবা-মা

    চার পর্যায়ের তদন্ত

    আরজি করে (RG Kar Case) ৫৯ জন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মোট ১৪ ধরনের অভিযোগ উঠেছে। চারটি পর্যায়ে ভাগ করেছে তদন্ত কমিটি। ক্যাটেগরি ১এ-তে ১০ জন। এই ১০ জনের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে। ক্যাটেগরি ১বি-তে ২৭ জন। এই ২৭ জনের বিরুদ্ধে মহিলা সহপাঠিদের যৌন হেনস্থার অভিযোগ রয়েছে। ক্যাটেগরি ২-তে ১৬ জন। তাদের বিরুদ্ধে র‌্যাগিং করার অভিযোগ রয়েছে। ক্যাটেগরি ৩-এ রয়েছেন আর ৬ জন। তাদের অভিভাবককে ডাকা হয়েছে এবং বিশেষ ভাবে সতর্ক করা হয়েছে।     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jaynagar: “নারী সুরক্ষা কোথায়”? জয়নগরকাণ্ডে সরব আরজি করের নির্যাতিতার বাবা-মা

    Jaynagar: “নারী সুরক্ষা কোথায়”? জয়নগরকাণ্ডে সরব আরজি করের নির্যাতিতার বাবা-মা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করকাণ্ড নিয়ে তোলপাড় গোটা রাজ্য। এই আবহের মধ্যে জয়নগরের (Jaynagar) কুলতলিতে চতুর্থ শ্রেণির পড়ুয়াকে ধর্ষণ করে খুন করার ঘটনা ঘটে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে ওঠে এলাকা। রাজ্যে মেয়েদের সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে এলাকা। এবার জয়নগরের ঘটনা নিয়ে মুখ খুললেন আরজি করের নির্যাতিতার বাবা-মা।

    নারী সুরক্ষা কোথায়? প্রশ্ন আরজি করের নির্যাতিতার বাবা-মা’র (Jaynagar)

    শনিবার ভোররাতে জয়নগরের (Jaynagar) মহিষমারি এলাকায় একটি জলাভূমি থেকে উদ্ধার করা হয় এক ৯ বছরের বালিকার দেহ। শুক্রবার দুপুরে টিউশন পড়তে যাওয়ার পর থেকে তার খোঁজ মেলেনি। পুলিশের কাছে অভিযোগ জানাতে গেলে তারা প্রথমে অভিযোগ নেয়নি। পরে, অভিযোগ নিলেও কোনও গুরুত্ব দেয়নি। পরিবারের অভিযোগ, মেয়েকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। পুলিশ সক্রিয় হলে মেয়েকে বাঁচানো যেত। এই ঘটনার তদন্তে নেমে ১৯ বছরের এক যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশের দাবি, বালিকাকে খুনের কথা স্বীকার করেছে ওই যুবক। তবে ধর্ষণ হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। শনিবার সকাল থেকেই এই ঘটনায় তপ্ত জয়নগর। দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা। পুলিশকে ঝাঁটাপেটা করা হয়। ফাঁড়িতে ভাঙচুর চালিয়ে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। এই ঘটনা নিয়ে এবার মুখ খুলেছেন আরজি করে (RG Kar) নির্যাতিতা চিকিৎক তরুণীর বাবা ও মা। তাঁরা বলেন, “নারী সুরক্ষা বিঘ্নিত হয়েছে রাজ্যে।” জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন-ধর্না-অবস্থান নিয়ে সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেছেন তাঁরা। প্রসঙ্গত, জয়নগরের অভিযুক্তকে শনিবার দুপুরে বারুইপুর আদালতে তোলা হয়। তবে তার হয়ে কোনও আইনজীবী সওয়াল করেননি। পুলিশ অভিযুক্তকে ৭ দিনের হেফাজতে চায়। তা মঞ্জুর করে আদালত।

    আরও পড়ুন: দাবি পূরণ হয়নি, ঘড়ির কাঁটায় রাত সাড়ে ৮টা বাজতেই অনশন শুরু ডাক্তারদের

    নতুন করে উত্তেজনা

    শনিবার সন্ধ্যায় নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কুলতলি (Jaynagar)। পুলিশের বিরুদ্ধে গুচ্ছ-গুচ্ছ অভিযোগ তুলে সরব হন গ্রামবাসী। সন্ধে নামতেই বিচার চেয়ে পথে নামেন গ্রামবাসীরা। স্লোগান দিতে দিতে এগিয়ে যেতে থাকেন তাঁরা। মূলত, পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তাঁরা। তাঁরা বলেন, পুলিশ সঠিক সময়ে ব্যবস্থা নিলে এই ঘটনা ঘটত না। সকালে মহিষমারি হাটে অবস্থিত পুলিশ আউটপোস্ট ভাঙচুর করা হয়। এরপর সন্ধে হতেই গ্রাম থেকে লোক ঢুকতে শুরু করেন মহিষমারি হাটে। জমায়েত শুরু করেন। বিচার চান, দোষীদের শাস্তি চান। পুরুষ থেকে শুরু করে মহিলারা দলে-দলে জমায়েত করতে শুরু করেন। এদিকে গ্রামবাসীকে শান্ত করতে ময়দানে নামে পুলিশও। এক পুলিশ আধিকারিক কথা বলেন গ্রামবাসীর সঙ্গে।

    পুলিশ প্রশাসন কী সাফাই দিলেন?

    পুলিশ সুপার পলাশচন্দ্র ঢালি  বলেন, “পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা, গাফিলতি নিয়ে অপপ্রচার হচ্ছে। আমাদের কাছে সব তথ্য অন রেকর্ড আছে। পরিবারের (Jaynagar) সঙ্গে সব সময় যোগাযোগ ছিল আমাদের। পাঁচ ঘণ্টায় দেহ সনাক্ত করে উদ্ধার করা হয়েছে। তারপর গ্রেফতার হয়। ইতিমধ্যে খুনের ধারা যুক্ত করা হয়েছে। আমরা দ্রুত তদন্ত শেষ করব। আইনানুযায়ী সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: দুর্গাপুজো শুরুর আগে শেষ রবিবার, রাজ্যের কোন কোন জেলা ভিজতে পারে?

    Weather Update: দুর্গাপুজো শুরুর আগে শেষ রবিবার, রাজ্যের কোন কোন জেলা ভিজতে পারে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানা বৃষ্টি আর জলাধার থেকে ছাড়া জলে রাজ্যের একাধিক জেলায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। এর পর আবহাওয়ার কিছুটা উন্নতি হতে শুরু করে। বহু জায়গায় জল নামতে শুরু করে। কিন্তু ফের নিম্নচাপের কারণে রাজ্য জুড়ে (West Bengal) বৃষ্টি শুরু হয়েছে। বাঙালির সব চেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপুজো। সেই উৎসব (Durga Puja) শুরুর আগে শেষ রবিবার। অনেকেই শেষ মুহূর্তের কেনাকাটার পরিকল্পনা করেছেন। এই আবহে জেনে নিন এদিন আবহাওয়া কেমন থাকবে? রাস্তায় বেরিয়ে কি ভিজতে হবে? কী বলছে আলিপুর আবহাওয়া (Weather Update) দফতর?

    কোন কোন জেলায় বৃষ্টি? (Weather Update)

    হাওয়া অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, নিম্নচাপ (Weather Update) শক্তি হারালেও সক্রিয় রয়েছে মৌসুমী অক্ষরেখা। গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ভাগে শক্তিশালী ঘূর্ণাবর্ত অবস্থান করছে। যা সংলগ্ন উত্তর বাংলাদেশের ওপরেও বিস্তৃত। এছাড়া আরও একটি ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগর এবং উত্তর অন্ধপ্রদেশ উপকূল এলাকায়। এর জেরে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। জানা গিয়েছে, দক্ষিণবঙ্গে কলকাতা-সহ সব জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎসহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশি উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, কলকাতা, হুগলি, পূর্ব বর্ধমান, নদিয়া, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ জেলাতে। উত্তরবঙ্গে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হবে দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার এবং জলপাইগুড়ি, মালদা ও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাতে।

    আরও পড়ুন: দাবি পূরণ হয়নি, ঘড়ির কাঁটায় রাত সাড়ে ৮টা বাজতেই অনশন শুরু ডাক্তারদের

    আবহাওয়া দফতরের আঞ্চলিক অধিকর্তা কী বললেন?

    আলিপুর আবহাওয়া (Weather Update) দফতরের আঞ্চলিক অধিকর্তা সোমনাথ দত্ত পুজোর আগে কিছুটা আশার কথা শুনিয়েছেন। তিনি বলেন, রবিবার রাজ্য জড়ে বৃষ্টি হলেও সোমবার থেকে আবহাওয়ার উন্নতি হতে পারে। সোমবার থেকে শুক্রবার ভারী বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। মূলত আংশিক মেঘলা আকাশ থাকবে। কোনও কোনও জেলায় দু-এক জায়গায় বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যুৎসহ হালকা বৃষ্টির সামান্য সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে, পুজোর সময় আম বাঙালি উৎসবে মাততে পারবেন বলেই আবহাওয়াবিদরা মনে করছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Doctor’s Protest: দাবি পূরণ হয়নি, ঘড়ির কাঁটায় রাত সাড়ে ৮টা বাজতেই অনশন শুরু ডাক্তারদের

    Doctor’s Protest: দাবি পূরণ হয়নি, ঘড়ির কাঁটায় রাত সাড়ে ৮টা বাজতেই অনশন শুরু ডাক্তারদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘড়ির কাঁটা রাত সাড়ে আটটা ছুঁতেই শুরু হয়ে গেল জুনিয়র (Doctor’s Protest) ডাক্তারদের অনশন (Hunger Strike)। শুক্রবারই হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, দাবি পূরণ না হলে শনিবার রাত্রি সাড়ে ৮টা থেকে অনশনে বসবেন তাঁরা। সেই মতো এদিন রাত সাড়ে আটটায় সাংবাদিক বৈঠক করে আন্দোলনকারীরা জানিয়ে দিলেন, অনশনে বসছেন ৬ জন জুনিয়র ডাক্তার।

    কী বললেন অনশনকারীরা (Doctor’s Protest)

    তাঁরা বলেন, “এই মুহূর্ত থেকে আমরণ অনশনে বসতে চলেছি। তবে কাজে ফিরছি। অবশ্য খাবার খাব না।” এদিন প্রথম দফায় যে ছ’জন অনশনে বসেছেন, তাঁরা হলেন অর্ণব মুখোপাধ্যায়, এসএসকেএম, নেফরো বিভাগ, পিডিটি, অনুষ্টুপ মুখোপাধ্যায়, এন্ডোক্রিনোলজি, প্রথম বর্ষ, সায়ন্তনী ঘোষ হাজরা, প্যাথলজি, পিজিটি, কেপিসি কলেজ, পুলস্ত্য আচার্য, প্রথম বর্ষ, অ্যানাস্থেশিয়া বিভাগ, এনআরএস, তনয়া পাঁজা, এসআর, ইএনটি, এমসিকে এবং স্নিগ্ধ হাজরা, রেডিও থেরাপি এসআর, এমসিকে। যাঁরা অনশনে শামিল হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে আরজি করের কোনও জুনিয়র ডাক্তার নেই বলেই জানান আন্দোলনকারীরা।

    স্বচ্ছতা বজায় রাখতে মঞ্চে সিসি ক্যামেরা

    তাঁরা বলেন, “দাবি পূরণ না হলে বা মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত অনশন চলবে। যাঁরা অনশনে বসেছেন, তাঁরা নিজেদের ওপর আত্মবিশ্বাসী। তবে তাঁদের কিছু হলে তার দায় রাজ্য সরকারের। আজ যাঁরা অনশনে বসেছেন, তাঁদের মধ্যে আরজি করের কেউ নেই।” অনশনে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে মঞ্চে সিসি ক্যামেরা বসানো হচ্ছে। মঞ্চে কী হচ্ছে, তা সবাই দেখতে পাবেন বলেই এই ব্যবস্থা। আন্দোলনকারীরা বলেন, “আমরা তো বারবার (Doctor’s Protest) রাজ্য সরকারের কাছে স্বচ্ছতার প্রশ্ন তুলেছি। অনশনের প্রশ্নেও স্বচ্ছতা বজায় রেখে চলব। অনশন মঞ্চে সিসিটিভি বসাবো। সবাই দেখতে পাবেন অনশন মঞ্চ কী হচ্ছে।”

    আরও পড়ুন: ভূস্বর্গে ‘ইন্ডি’ জোটের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলবে বিজেপি!

    তাঁরা বলেন, “আমাদের আশা এরপর যখন আমরা খাবার মুখে তুলব, তখন সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে মানুষ ভয়ের রাজনীতি নিয়ে সোচ্চার হবেন। জনস্বাস্থ্যের প্রশ্নে রাজ্যের প্রতিটি মানুষ মৌলিক প্রশ্ন করবেন। হাসপাতালে যখন কোনও রোগী বেড পান না, তার জন্য আসলে দায়ী কারা? আমরা আশা (Hunger Strike) রাখব, এই প্রশ্নগুলি মানুষ পাড়ায় পাড়ায় ছড়িয়ে দেবেন (Doctor’s Protest)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • 1737 Calcutta Cyclone: ২৮৭ বছর আগে কলকাতার বুকে আছড়ে পড়েছিল বিধ্বংসী ঝড়, ৩ লক্ষ মানুষের মৃত্যু

    1737 Calcutta Cyclone: ২৮৭ বছর আগে কলকাতার বুকে আছড়ে পড়েছিল বিধ্বংসী ঝড়, ৩ লক্ষ মানুষের মৃত্যু

    হরিহর ঘোষাল

     

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইদানীং ঝড়ের নামকরণ করার বিধি হয়েছে। সেই হিসেবে প্রতিটি ঝড় নিয়েই আগাম চর্চার পরিসর অনেকটা খুলে যায়। সেই চর্চার সূত্রেই কলকাতার (1737 Calcutta Cyclone) প্রথম সাইক্লোন বা উঠে আসছে ‘গ্রেট বেঙ্গল সাইক্লোনের’ (Great Bengal Cyclone) প্রসঙ্গ। সেই ঝড়ের বিধ্বংসী শক্তি নিয়ে আজও মানুষ কৌতূহলী। এখনও পর্যন্ত এই ঝড়টিকেই বাংলার নথিভুক্ত প্রথম ভয়াবহ ঝড় বলা যায়!

    কবে হয়েছিল সেই ঝড়? (1737 Calcutta Cyclone)

    ২৮৭ বছর আগের কথা। তখনও ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কব্জায় আসেনি ভারত। ১৭৩৭ সালের ১১ অক্টোবর। আজকের দিনেই ভয়ঙ্কর এক সাইক্লোনের পাল্লায় পড়েছিল বাংলা। বিধ্বস্ত হয়ে গেল কলকাতা। শুধু ঝড় নয়, সেসময়ে ভূমিকম্পেও কেঁপে উঠেছিল বাংলা। ‘গ্রেট বেঙ্গল সাইক্লোন’ নামে পরিচিত এই ঝড়ের জেরে ভারত মহাসাগরে সুনামিও এসেছিল বলে জানা গিয়েছে। পলাশির যুদ্ধের কুড়ি বছর আগে, সাইক্লোন ও ভূমিকম্পের জোড়া আক্রমণে প্রায় ধূলিসাৎ হয়ে গিয়েছিল কলকাতা। মারা গিয়েছিলেন অন্ততপক্ষে ৩ লক্ষ মানুষ। জাহাজডুবির ঘটনাও পাওয়া গিয়েছে। ভেঙে পড়েছিল বহু বাড়ি, অট্টালিকা। প্রাকৃতিক বিপর্যের (1737 Calcutta Cyclone) চোটে সেদিন বহু ইটের বাড়িও মাটিতে মিশে গিয়েছিল! শহরের বুকে নৌকাডুবি। ট্রাম-বাস চলে না এ রাস্তা দিয়ে। সুতরাং ট্রাম-বাস অ্যাকসিডেন্ট নয়। স্বভাবতই রিকশা-ঠেলারও নয়। সুতরাং নৌকাডুবিই হয়েছিল এখানে। আজব নগরীতে সে এক তাজ্জব ব্যাপার।

    ‘গ্রেট বেঙ্গল সাইক্লোনের’ প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা

    ১৬৮০ থেকেই ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির এক জন আধিকারিক মোতায়েন ছিলেন কলকাতার কুঠি সামলানোর জন্য। সে রকমই এক জন আধিকারিক জন স্ট্যাকহাউস। তিনি কলকাতার দায়িত্বে ছিলেন ১৭৩২ থেকে ১৭৩৯ খ্রিস্টাব্দ অবধি। তাঁর আমলেই তৎকালীন বাংলা কেঁপে উঠেছিল ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ে। ঐতিহাসিক নথিতে যার পরিচয় ‘১৭৩৭ বেঙ্গল সাইক্লোন’ নামে। আজ থেকে ২৮৭ বছর আগে এই কলকাতা থেকে লেখা একখানা চিঠি উদ্ধার  হয়েছে। সেদিনের সেই দুর্যোগের ঘটনার সাক্ষী ছিলেন সুপ্রিম কাউন্সিলের সদস্য স্যার ফ্রান্সিস রাসেল। তিনি সেদিন কলকাতাতেই ছিলেন। তাঁর চিঠিতে ঘটনার প্রত্যক্ষ বিবরণ ফুটে উঠেছে। চিঠিতে তিনি লেখেন, “এমন আতঙ্কের দৃশ্য (1737 Calcutta Cyclone) আর কোনও দিন দেখিনি আমি। এমনকী শুনিনি পর্যন্ত। যে বাড়িটায় আমি আছি, আমার বিশ্বাস, সেটা কলকাতার সব চেয়ে মজবুত বাড়ি। কিন্তু বৃষ্টি আর বাতাসের বেগ এমন তীব্র হয়েছিল সেদিন যে, প্রতি মুহূর্তে মনে হচ্ছিল যেন ছাদটা ভেঙে পড়বে আমাদের মাথায়। এমন ভয়ানক শব্দ হচ্ছিল ওপরে যে, পরিবারের লোকজনকে নিয়ে অবশেষে আমাকে নেমে আসতে হল নীচে। সেখানে আবার আশ্রয় নিয়েছেন বেচারা মিসেস ওয়াস্টেল তাঁর ছেলেপুলে নিয়ে। ঝড়ের তোড়ে তাঁর বাড়ির জানালা-দরজা সব ছিটকে বেরিয়ে গিয়েছে দেওয়ালের গা থেকে। সকাল অবধি আমাদেরও কাটাতে হল তাঁর সঙ্গে নীচে। অবশেষে সকাল হল। শহরটার দিকে তাকালে মনে হয় শত্রুপক্ষ এসে যেন বেপরোয়া বোমা বর্ষণ করে গেছে এর উপর। আমাদের সুন্দর ছায়াচ্ছন্ন রাস্তাগুলোর দু’ ধারে একটিও গাছ নেই। সব ছিন্নভিন্ন। গতকাল যা ছিল, আগামী কুড়ি বছরেও তেমনটি হবে না আর। নদীটি রূপ নিয়েছে যুদ্ধক্ষেত্রের। সারা নদী ধ্বংসস্তূপে বোঝাই।”

    চিৎপুরে গোবিন্দ মিত্তিরের নবরত্ন মন্দির গুঁড়িয়ে যায়

    এ কে সেনশর্মার বই ‘গ্রেট বেঙ্গল সাইক্লোন ১৭৩৭’ তে আছে বিপর্যয়ের বিস্তারিত বিবরণ। সেই বিবরণ থেকে আঁচ পাওয়া যায় কতটা ভয়ঙ্কর ছিল সে রাতের জলোচ্ছ্বাস। গাঙ্গেয় বদ্বীপের ৬ লিগ অবধি উঠেছিল জলস্তর। ১ লিগ মানে সাড়ে পাঁচ কিমি। সেখান থেকে কিছুটা অনুমেয় কতটা বীভৎস ছিল জলের প্রাচীর। গাঙ্গেয় বদ্বীপ সংলগ্ন ৩৩০ কিমি এলাকা বিধ্বস্ত হয়েছিল ঝড়ের তাণ্ডবলীলায়। অর্থাৎ, আজকের প্রেক্ষিতে কলকাতা থেকে মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর অবধি প্লাবিত হয়েছিল। সাগরের বদ্বীপ অঞ্চলে জলোচ্ছ্বাস দেখা দিয়েছিল ৪০ ফিট অবধি। হিসেবমতো এই উচ্চতা আজকের চারতলা বাড়ির সমান। ৬ ঘণ্টা ধরে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিল ৩৮১ মিলিমিটার। প্রাণ হারিয়েছিলেন প্রায় তিন লক্ষ মানুষ। ইংরেজদের তৈরি সেই আদি উপাসনাস্থল চুরমার হয়ে ভেঙে পড়েছিল। কয়েক টুকরো হয়ে গিয়েছিল কুমোরটুলির গোবিন্দরামের মন্দিরের মূল পঞ্চরত্ন চূড়া। দাপুটে গোবিন্দরাম ছিলেন সে কালের এক ধনকুবের। তার তৈরি মন্দিরের আর এক নাম ছিল ‘ব্ল্যাক প্যাগোডা’। শোনা যায়, উচ্চতায় তা ছিল অক্টারলোনি সৌধের থেকেও দীর্ঘ। গঙ্গার তীব্র জলোচ্ছ্বাসে লন্ডভন্ড হয়ে যায় গঙ্গার ঘাটগুলি। দেশীয় ডিঙি নৌকোর পাশাপাশি উধাও বিদেশি বণিকদের জাহাজও। সেন্ট অ্যানের গির্জা নেই। কাঁচা কি পাকা বাড়ি সব মাঠ। পাঁচ টনের দু’খানা ইংরেজি জাহাজ নাকি ছিটকে পড়েছিল নদীর বুক থেকে দু’শ ফ্যাদম দূরে এক গ্রামের ভিতরে। চল্লিশ ফুট বেড়ে গিয়েছিল সেদিন হুগলি নদীর জল। সেদিন নিশ্চয়ই বন্যা হয়েছিল এই অঞ্চলে। চারিদিকে থই থই জল। ধানখেত ডুবে গিয়েছে। কলকাতা বিরাট বিরাট গাছগুলো সব বুক জলে দাঁড়িয়ে।

    বার বার ঝড় আছ়়ড়ে পড়েছিল!

    ১৭৩৭ সালের (1737 Calcutta Cyclone) পর কলকাতার বুকে বার বার ঝড়় আঘাত করেছিল। জানা যায়, এরপর ১৭৮৭, ১৭৮৯,১৮২২, ১৮৩৩ সালে গাঙ্গেয় বঙ্গে বারবার হানা দেয় প্রাণঘাতী ঝড়। দশ হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয় এই সব ঝড়ে। এরপর বাংলায় ঝড়ের ইতিহাসে সবচেয়ে প্রাণঘাতি হয় ১৮৭৬ সালের দ্য গ্রেট বেঙ্গল সাইক্লোন বা কুখ্যাত বাকেরগঞ্জ সাইক্লোন। এই ঝড়ের তাণ্ডবে প্রায় ২ লক্ষ মানুষ মারা যান। বাংলাদেশের সুন্দরবন উপকূলে আছড়ে পড়া এই ঝড়ের ধ্বংসলীলার জেরে ঢাকা শহরে লোক সমাগম এক ধাক্কায় লাফিয়ে তলানিতে গিয়ে ঠেকে। এই সাইক্লোন মোকাবিলায় ইংরেজ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে পরবর্তী সময়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। বার বার ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড়ে তছনছ হয়েছিল বাংলা-সহ আজকের কলকাতা। বিদেশি ঔপনিবেশিকদের কলমে নথিবদ্ধ আছে সেই দু’দিনের ভয়াল অভিজ্ঞতা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share