Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Dilip Ghosh: ‘‘কতদিন ওকে কোলে নিয়ে ঘুরে বেড়াবেন মমতা’’! অভিষেককে কটাক্ষ দিলীপের

    Dilip Ghosh: ‘‘কতদিন ওকে কোলে নিয়ে ঘুরে বেড়াবেন মমতা’’! অভিষেককে কটাক্ষ দিলীপের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনিতে শনিবার ‘তৃণমূলে নবজোয়ার’ কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকতে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই বিষয়ে এদিন কটাক্ষ করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। তিনি বলেন, “কতদিন ওকে কোলে কোলে নিয়ে ঘুরে বেড়াবেন মমতা ব্যানার্জি? এবার ওকে একটু রাস্তায় ছাড়ুন।” শুক্রবার নিউটাউনের ইকো পার্কে প্রাতঃভ্রমণে বেড়িয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে একাধিক বিষয়ে মুখ খুলেছেন রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি। অভিষেককে কটাক্ষ করেছেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও (Sukanta Majumdar)।

    সুকান্তর দাবি

    অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্যই তৃণমূলের আমলে সন্ত্রাস সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছেছে, বলে দাবি করেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)। তবে রাজ্যে আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে কোনওরকম সন্ত্রাস বরদাস্ত করা হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, “ভাইপো আড়ালে থেকে রাজ্যে সন্ত্রাস চালাচ্ছে। এটার পরিবর্তন হওয়া দরকার।”

    মমতাকে প্রশ্ন দিলীপের (Dilip Ghosh)

    নবজোয়ারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যোগদান নিয়ে খোঁচা দেন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। তাঁর কথায়, “জঙ্গলমহল কি অভিষেক একা সামলাতে পারছেন না? কতদিন ওঁকে কোলে কোলে নিয়ে ঘুরে বেড়াবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? ওঁকে একটু রাস্তায় ছাড়ুন। উনি ওঁকে পাঠিয়েই বুঝে গেছেন কতটা দম আছে। পুলিশ, এনভিএফ, সিভিক পুলিশ এইসব দিয়ে ভিড় করাতে হচ্ছে। পার্টির লোক কিছু নেই। কিছু কাটমানি খোর, গুন্ডা বদমাশ আছে। তাও কেউ রাস্তা আটকাচ্ছে, কেউ চোর বলছে। এরকম জননেতা বাড়ির ল্যাবরেটরিতে তৈরি। এদের দিয়ে সমাজের কিস্যু হবে না।”

    আরও পড়ুুন: রবিবার নয়া সংসদ ভবনের উদ্বোধন, জেনে নিন মেগা অনুষ্ঠানের সূচি

    সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আক্রমণ করেছিলেন অভিষেক। সেই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) বলেন, “অভিষেক এরকম ডায়লগ গত বারও দিয়েছিল। এবারেও এতো লোক এসে মমতার হাতে পায়ে ধরছে। বলছে আপনি আসুন, মোদির বিরুদ্ধে দাঁড়ান। উনি সাহস পাচ্ছেন না। কারণ উনি জানেন, মোদিজি যা করছেন, দেশের স্বার্থে করছেন। সাধারণ মানুষ খুব খুশি ২০০০ টাকার নোট বাতিলে। এই নোট বাজারে দেখা যায় না। কারও কারওর বাড়িতে দেখা যায়। কোথাও কোথাও লুকানো আছে। এবার সেগুলো বেরোবে। তাই মানুষ খুশি। যাদের ভয় আছে, ইলেকশনের টাকাটা জলে চলে গেল, তারাই প্রতিবাদ করছে।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Chinsurah: জামাইষষ্ঠীর দিনে বাজি কাণ্ডে আটক জামাইবাবু

    Chinsurah: জামাইষষ্ঠীর দিনে বাজি কাণ্ডে আটক জামাইবাবু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চুঁচুড়ায় (Chinsurah) জামাইষষ্ঠীর দিনে ফেঁসে গেলেন জামাই। বৃহস্পতিবার গোপন সূত্রে খবর পেয়ে চুঁচুড়া থানার কাপাসডাঙ্গা এলাকায়, একজনের বাড়ি থেকে প্রায় ২০০০ কেজি বাজি আটক করলো চুঁচুড়া থানার পুলিশ। ঘটনায় এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য।

    চুঁচুড়াতে (Chinsurah) কী ঘটেছিল?

    রাজ্যের একাধিক জায়গায় পর পর বাজি বিস্ফোরণের ঘটনার পর, রাজ্যজুড়ে অবৈধ বাজি কারখানায় তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। জায়গায় জায়গায় চলছে বাজি, বাজির মশলা উদ্ধার এবং ধরপাকড়। ঘটনা ঘটেছে চুঁচুড়ার কাপাসডাঙ্গা (Chinsurah) এলাকায়। শ্যালক বাপ্পাদিত্য নাথের বাজি কারখানায় তৈরি বাজি, তাঁর জামাইবাবু প্রণব দত্তের বাড়িতে রাখার জন্য গ্রেফতার হয়ে মহাবিপদে এখন জামাইবাবু ।

    পুলিশের ভূমিকায় কীভাবে উদ্ধার?

    বেশ কিছুদিন ধরে চন্দননগর কমিশনারেট এলাকায় বিভিন্ন থানার পুলিশ অবৈধ বাজি কারখানা খুঁজে বেড়াচ্ছে। ইতিমধ্যে দিন দুই আগেই চুঁচুড়া কামারপাড়ার একজনের বাড়ি থেকে ২৫ কিলো বাজি উদ্ধার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারও হয় একজন। এরপরেই জামাইষষ্ঠীর দিন দুপুরে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে কাপাসডাঙায় অভিযান চালায় চুঁচুড়া (Chinsurah) থানার পুলিশ। উদ্ধার হওয়া শব্দবাজি গুলো বেআইনি বাজি বলে জানিয়েছে পুলিশ। এই ঘটনায় ওই বাড়ির মালিক প্রণব দত্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে পুলিশের কাছে প্রণবের দাবী, ওই বাজি তাঁর নয়। তাঁর শ্যালক বাপ্পাদিত্য নাথ গাড়ি ভর্তি করে ওই বাজি পাঠিয়েছিলেন তাঁর বাড়িতে রাখার জন্য। হুগলি গ্রামীন পুলিশ জেলার চণ্ডীতলা থানার বেগমপুর এলাকায় বাপ্পার বাজি কারখানা রয়েছে বলে জানিয়েছে। চন্ডিতলা থানা যেভাবে চেকিং শুরু করেছে, তাতে নিরাপদ নয় ভেবে বাপ্পাদিত্য নাথ সেখান থেকে সরিয়ে, বৃহস্পতিবার সকালেই গাড়ি করে বাজি নিয়ে আসেন চুঁচুড়ার কাপাসডাঙায়। আর সরল মনের প্রণব ওই ট্রাক ভর্তি বাজি বাড়িতে রেখে দেন। খবর মিলতেই এদিন এলাকা ঘিরে ফেলে চুঁচুড়া থানার পুলিশ। ঘন্টাখানেক ধরে তন্ন তন্ন করে খুঁজে সমস্ত বাজি বাজেয়াপ্ত করা হয়। ওই বাড়ির মালিক প্রণব দত্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে, জানিয়েছেন চুঁচুড়া থানার ওসি অনুপম চক্রবর্তী। আরও কে কে এই বাজির পেছনে জড়িত, তা বর্তমানে জানার চেষ্টা চলছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kalighater Kaku: আগামী মঙ্গলবার ‘কালীঘাটের কাকু’ সুজয়কৃষ্ণকে তলব ইডির

    Kalighater Kaku: আগামী মঙ্গলবার ‘কালীঘাটের কাকু’ সুজয়কৃষ্ণকে তলব ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কালীঘাটের কাকু (Kalighater Kaku) ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে এবার ডেকে পাঠাল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ইডি সূত্রের খবর, আগামী মঙ্গলবার (৩০ মে) সংস্থার দফতরে তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়েছে। সকাল সাড়ে ১১টায় তাঁকে সিজিও কমপ্লেক্সে হাজির হতে বলা হয়েছে। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দফতরের প্রাক্তন কর্মী সুজয়কৃষ্ণের বেহালার বিভিন্ন ঠিকানায় তল্লাশি চালিয়েছিল ইডি।

    নোটিস পাঠানো হয়েছে

    গত শনিবার তৃণমূলের দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের সদস্য জ্ঞানানন্দ সামন্তের বিবিরবহাটের বাড়িতেও তল্লাশি চালিয়েছিল ইডি। তাঁকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়েছে। সেই সঙ্গে রাহুল বেরা নামে এক সিভিক ভলান্টিয়ারকেও তলব করা হয়েছে বলে ইডি সূত্রের খবর। ওই দিন বেহালার ফফিরপাড়া রোডে তল্লাশি অভিযানের সময় সুজয়ের মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করেছিল ইডি। সূত্রের খবর, সেই মোবাইল থেকে উদ্ধার হওয়া কিছু ‘তথ্য’ সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পরে তাঁকে। এ সংক্রান্ত নোটিস ইতিমধ্যেই সুজয়কৃষ্ণের (Kalighater Kaku) কাছে পাঠানো হয়েছে।  কালীঘাটের কাকুর কথা প্রথম শোনা গিয়েছিল তাপস মণ্ডলের মুখে। তার আগে গোপাল দলপতির কথায় ইঙ্গিত মিলেছিল কালীঘাটের কাকু সম্পর্কে। এরপর নিয়োগকাণ্ডে একাধিক ধৃতের মুখ থেকে সুজয়কৃষ্ণের নাম উঠে আসে।

    আরও পড়ুন: ৮ ডিএ আন্দোলনকারীকে আগাম জামিন কলকাতা হাইকোর্টের! কেন জানেন?

    নিয়োগকাণ্ডে এই কালীঘাটের কাকুর (Kalighater Kaku) ভূমিকা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। এর আগে সিবিআই ডেকে পাঠিয়েছিল তাঁকে। জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়েন তিনি। তদন্তকারীদের সূত্রে জানা গিয়েছিল, ‘কালীঘাটের কাকু’র আসল নাম সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। সেই সুজয়কে এর আগে দু’বার তলব করেছিল সিবিআই। প্রথম বার হাজিরা দিলেও পরে তিনি নিজে হাজিরা দেননি। বদলে আইনজীবীকে দিয়ে নথিপত্র পাঠিয়ে দেন। সুজয় সে সময় জানান, তাঁর কাছে কিছু নথি চাওয়া হয়েছিল। সেগুলি আইনজীবীকে দিয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি নিজেই জানান, তাঁর স্ত্রী ও মেয়ের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের নথি আইনজীবীর মাধ্যমে পাঠিয়ে দিয়েছেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • DA Protester: ৮ ডিএ আন্দোলনকারীকে আগাম জামিন কলকাতা হাইকোর্টের! কেন জানেন?

    DA Protester: ৮ ডিএ আন্দোলনকারীকে আগাম জামিন কলকাতা হাইকোর্টের! কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডিএ আন্দোলনকারী (DA Protester) সংগ্রামী যৌথমঞ্চের আট নেতাকে আগাম জামিন দিল কলকাতা হাইকোর্ট। তাঁদের বিরুদ্ধে টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ তুলে ময়দান থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন দেবপ্রসাদ হালদার। তিনি একটা সময়ে ডিএ আন্দোলনে ছিলেন। কিন্তু এখন আর তিনি যৌথমঞ্চে নেই। পুরোটাই ষড়যন্ত্র বলে দাবি আন্দোলনকারীদের। বৃহস্পতিবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এবং বিচারপতি পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ সেই মামলায় তাঁদের আগাম জামিন দিয়েছে। হাইকোর্টের নির্দেশ, তদন্তে সহযোগিতা করতে হবে ওই ৮ ডিএ আন্দোলনকারীকে। 

    আন্দোলনকারীদের দাবি

    আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, যে হেতু তাঁরা সরকারি কর্মচারী, তাই আন্দোলনকারীদের (DA Protester) ক্ষেত্রে কোনও শর্ত দেয়নি আদালত। তবে তদন্তে সহযোগিতা করতে হবে তাঁদের। ডিএ আন্দোলনকারীরা ২ কোটি টাকা লোপাট করেছেন বলে ময়দান থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন দেবপ্রসাদ হালদার নামে এক ব্যক্তি। আন্দোলনকারীদের দাবি, অডিট করে দেখা গিয়েছে, এক কোটি ৩৪ লক্ষ টাকা উঠেছে। সবটাই হিসেবের মধ্যে রয়েছে। ডিএ আন্দোলনকারী ভাস্কর ঘোষ, নির্ঝর কুণ্ডু, রাজীব দত্ত, চন্দন চট্টোপাধ্যায়, সন্দীপ ঘোষ, ইন্দ্রজিৎ মণ্ডল, শৈবাল সরকারের নামে টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ ওঠে। 

    আরও পড়ুন: ৩২ হাজার চাকরি বাতিল মামলার শুনানি হবে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসেই!

    আগাম জামিন পাওয়া বড় জয়

    আদালতের রায়ে আগাম জামিন পাওয়া বড় জয় বলেই মনে করছেন ডিএ আন্দোলনকারীরা (DA Protester)। এদিন আদালতে আগাম জামিনের আবেদন জানিয়ে ডিএ আন্দোলনকারীদের আইনজীবী জানিয়েছেন,দেবপ্রসাদ হালদার আগে আন্দোলন তুলে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করার পরামর্শ দেন। কিন্তু সেই পরামর্শ না মানার পর টাকা নয়ছয়ের মিথ্যে অভিযোগ করা হয়। শুনানির পর আদালত এদিন আন্দোলনকারীদের জামিন মঞ্জুর করেছে। গোটা ঘটনায় সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তোলেন ডিএ আন্দোলনকারীরা। তাদের আন্দোলন ভাঙার জন্য সরকারের তরফে নানা ধরনের ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে বলে দাবি করতে থাকে আন্দোলনকারীরা। কোনওভাবেই তাদের আন্দোলন ভাঙা যাবে না বলে দাবি করে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhijit Gangopadhyay: ৩২ হাজার চাকরি বাতিল মামলার শুনানি হবে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসেই!

    Abhijit Gangopadhyay: ৩২ হাজার চাকরি বাতিল মামলার শুনানি হবে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসেই!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সব জল্পনার অবসান। প্রাথমিকের মামলা শুনবেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ই (Abhijit Gangopadhyay)। নয়া রস্টার অনুযায়ী, আগে তাঁর এজলাসে প্রাথমিকের যেসব মামলার শুনানি হচ্ছিল, এখনও তাই হবে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে নিয়োগ সংক্রান্ত যে দুটি মামলা বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চ থেকে সরিয়ে পাঠানো হয়েছিল বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে, সেখানেই চলবে ওই মামলার শুনানি। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা ও বিচারপতি সিনহার এজলাসে আগেও যে মামলাগুলি ছিল, সেগুলির শুনানি হবে তাঁদের এজলাসেই।

    হাইকোর্টের নয়া রস্টার

    একটি নির্দিষ্ট সময় অন্তর বিচারপতিদের বিচার্য বিষয় পরিবর্তন হয়। কোন বিচারপতির এজলাসে কোন মামলার শুনানি হবে, তা ঠিক করেন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি। বৃহস্পতিবার নয়া রস্টার প্রকাশ করেছেন প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম। সেখানেই দেখা গিয়েছে, প্রাথমিক শিক্ষা সংক্রান্ত সব মামলারই শুনানি হবে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের (Abhijit Gangopadhyay) এজলাসে। নিয়োগ কেলেঙ্কারির জেরে যে ৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়, সে সংক্রান্ত মামলারও শুনানি হবে তাঁর এজলাসেই।

    বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কে (Abhijit Gangopadhyay) নিয়ে জল্পনা 

    এক বৈদ্যুতিন সংবাদ মাধ্যমে বিচারাধীন কোনও একটি বিষয়ে সাক্ষাৎকার দেওয়ায় সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে নিয়োগ কেলেঙ্কারির দুটি মামলা সরিয়ে নেওয়া হয় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস থেকে। সেই দুটি মামলার শুনানি চলছে বিচারপতি অমৃতা সিহনার বেঞ্চে। তার পরেই জল্পনা ছড়ায়, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস থেকে হয়তো প্রাথমিকের বাকি মামলাও সরিয়ে নেওয়া হবে। সেই জল্পনা যে নিছকই জল্পনা, এদিন রস্টার প্রকাশিত হওয়ার পর তা পরিষ্কার হয়ে গেল জলের মতো।

    আরও পড়ুুন: “বিজ্ঞানের মূল কথা নিহিত ছিল বেদেই”! দাবি ইসরো চেয়ারম্যানের

    রস্টার অপরিবর্তিত রয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের আর এক বিচারপতি রাজাশেখর মান্থারও। পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার মামলার শুনানি হচ্ছিল তাঁর এজলাসে। নয়া রস্টারে দেখা যাচ্ছে, ওই মামলা শুনানি হবে তাঁরই বেঞ্চে। প্রসঙ্গত, একের পর ‘অপ্রীতিকর’ নির্দেশের জেরে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Gangopadhyay) ও বিচারপতি মান্থার বিরুদ্ধে সরব হন তৃণমূলপন্থী আইনজীবীদের একাংশ। আন্দোলনও করেছিলেন তাঁরা। তাঁদের বেঞ্চও বয়কট করা হয়েছে। তার পরেও রস্টারে তাঁদের বিচার্য বিষয় অপরিবর্তিত থাকায়, খানিকটা হলেও হতাশ তৃণমূল।

    এতদিন পুরসভা সংক্রান্ত মামলা শুনতেন বিচারপতি সিনহা। নয়া রস্টার অনুযায়ী, এবার থেকে পঞ্চায়েত সংক্রান্ত মামলাও শুনবেন তিনি। তাই পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে কোনও মামলা হলে, তার শুনানি হবে বিচারপতি সিনহার এজলাসেই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Durgapur: মৃত মা হনুমানের দেহ আগলে রাখল শাবক হনুমান

    Durgapur: মৃত মা হনুমানের দেহ আগলে রাখল শাবক হনুমান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু মা হনুমানের, শোকাহত শাবক, তার দলবলেরা আগলে রাখলো মৃতদেহ। পশু হয়েও তাদের মানুষের মতন আচরণ সাধারণ মানুষের মনকে আবেগ প্রবণ করে তুলেছে। পশু হলেও কতটা হনুমানরা শোকতপ্ত হতে পারে, সেই দৃশ্য চোখে পড়ল এই দুর্ঘটনায়। স্থানীয়রা জানান, উখড়ার (Durgapur) স্থানীয়দের উদ্যোগেই মৃত হনুমানের সমাধির উপর নির্মাণ হবে মন্দির।

    দুর্গাপুরের (Durgapur) কোথায় ঘটল এই ঘটনা

    শিল্পাঞ্চলের (Durgapur) মধ্যে শহরের গাছের ফল খেতে হনুমানদের চালাচল প্রায়ই লক্ষ করা যায়। দুর্গাপুরের কাছে উখড়ার শ্যামসুন্দরপুরে একদল হনুমান দলবদ্ধ হয়ে রাস্তার এপার থেকে ওপারে যাচ্ছিল। তখনই প্রচন্ড গতিসম্পন্ন অবস্থায় একটি চার চাকার গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি পূর্ণবয়স্ক হনুমানকে সজোরে ধাক্কা মারে। গাড়ির গতি এতটাই তীব্র ছিল যে ধাক্কার আঘাতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় হনুমানটির। ঠিক তারপরেই হনুমানের দল মৃত হনুমানকে ঘিরে চারিদিকে গোল হয়ে, একে একে সকলে বসে পড়ে ও মৃতদেহ আগলে রাখে। হনুমানের মৃত্যুর পর বেশ কিছুটা সময় সম্মেলিত ভাবে শোক প্রকাশ করতে দেখা যায় তাদের। মৃত পূর্ণবয়স্কা মা হনুমানকে আগলে রাখে হনুমানের শাবক। কিছুতেই  শাবক, মা হনুমানকে ছেড়ে যেতে চাইছিল না।

    এলাকার মানুষের প্রতিক্রিয়া

    উখড়ার (Durgapur) স্থানীয় মিলন বিশ্বাস ঘটনাস্থলে দুর্ঘটনার বিষয়টি সামনে থেকে চাক্ষুষ করেন। মিলন বাবু বলেন, একটা হনুমান তার বাচ্চা নিয়ে লাফালাফি করতে করতে রাস্তা পার হতে গেলে, আচামকা একটা গতি সম্পন্ন গাড়ি এসে তার গায়ে ধাক্কা দেয়। আর মুহূর্তের মধ্যেই হনুমানটা ছিটকে গিয়ে রাস্তার পাশে পড়ে। শাবকটি কোন ক্রমে বেঁচে গেলেও মা ঘটনাস্থলেই মারা যায়। পরে আশেপাশের বাকি সকল হনুমান একসঙ্গে জড়ো হয়ে অনেক সময় ধরে রাস্তার ধারে বসে থাকে। অনেক সময় পর্যন্ত হনুমানদের উপস্থিতির জন্য মৃত হনুমানটিকে সরানো যায় নি। পরে খবর দেওয়া হয় উখড়া বনদপ্তরে। অনেক সময় কেটে গেলেও বনদফতর থেকে কেউ এসে ঘটনাস্থলে পৌঁছান নি বলে জানা য়ায়। আরও কিছু সময়ের পর মৃত হনুমানের দেহটিকে নিয়ে পাশের একটা জায়গায় সমাধিস্থ করা হয়। এলাকার মানুষ এই মৃত হনুমানের সমাধির উপরে একটা হনুমান মন্দির তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানা গেছে। মৃত হনুমানের সমাধিস্থলের উপর হনুমান মন্দির নির্মাণের বিষয়ে প্রবল উৎসাহ লক্ষ করা গেছে।

      

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Barrackpore: “পুলিশ ৪০ কেজি ভুঁড়ি নিয়ে হাঁটতেই পারে না, অপরাধীদের কী ধরবে”! তোপ অর্জুন সিংয়ের

    Barrackpore: “পুলিশ ৪০ কেজি ভুঁড়ি নিয়ে হাঁটতেই পারে না, অপরাধীদের কী ধরবে”! তোপ অর্জুন সিংয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবার ভরসন্ধ্যায় বারাকপুরের (Barrackpore) আনন্দপুরীতে সোনার দোকানে ঢুকে মালিকের ছেলেকে খুন করার ঘটনার পর ২৪ ঘণ্টা কেটে গিয়েছে। কিন্তু বৃহস্পতিবার সন্ধ্যাতেও কেউ গ্রেফতার হয়নি। বৃহস্পতিবার স্থানীয় সাংসদ অর্জুন সিং স্বর্ণ ব্যবসায়ীর বাড়িতে গিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলেন। এই ঘটনার জন্য পুলিশের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দেন তিনি। তিনি বলেন, “আগে পুলিশের নাম শুনলে দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যেত। এখন পুলিশ ৪০ কেজি ভুঁড়ি নিয়ে হাঁটতেই পারে না, সে অপরাধীদের ধরবে কী করে? একমাসের মধ্যে টিটাগড় থানা এলাকায় দুটি খুন হয়ে গেল। টিটাগড় থানার ভূমিকা ঠিক নেই। বারাকপুরের সাংসদ হিসাবে আমি খুবই দুঃখিত”।

    কী বললেন পুলিশ কমিশনার?

    সোনার দোকানে থাকা সিসিটিভির ফুটেজ ইতিমধ্যেই পুলিশের হাতে এসেছে। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, দুষ্কৃতীদের মধ্যে একজন স্থানীয়। বাকি সকলেই বহিরাগত। বারাকপুরের (Barrackpore)  পুলিশ কমিশনার অলোক রাজোরিয়া বলেন, “ডিসি (সেন্ট্রাল), ডিসি ( ডিডি)-র নেতৃত্বে একটি বিশেষ টিম গঠন করা হয়েছে। ফরেন্সিক টিমকে খবর দেওয়া হয়েছে। সমস্ত দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে”। গত বছর ১৭ই মে ডি বাপি বিরিয়ানির দোকানে শ্যুট আউট হয়েছিল। আর এক বছরের মাথায় বাইরের দুষ্কৃতীরা সোনার দোকানে ডাকাতি করতে এসে খুন করল স্বর্ণ ব্যবসায়ীর ছেলেকে। দুটি ঘটনার মধ্যে যোগসূত্র খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে পুলিশ।

    শনিবার ব্যবসা বনধ ডাকল স্বর্ণ শিল্পীরা

    খুনের ঘটনার প্রতিবাদে শনিবার বারাকপুরে (Barrackpore) ব্যবসা বনধ ডাকলেন স্বর্ণ শিল্পীরা। এই খুনের ঘটনার পিছনে পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে অভিযোগ করলেন দুষ্কৃতীদের গুলিতে নিহত নীলাদ্রির বাবা নীলরতন সিংহ। গত ডিসেম্বর মাসের ১০ তারিখে নীলাদ্রির বিয়ে হয়েছিল ঐন্দ্রিলার সঙ্গে। প্রথম জামাইষষ্ঠীতে বারাকপুরের বড়পুল এলাকায় তাঁর আর শ্বশুরবাড়ি যাওয়া হল না। গোটা এলাকা থমথমে। বাড়ির মালিকের সঙ্গে সোনার দোকানের মালিকের ভাড়া নিয়ে সমস্যা চলছিল। জানা গিয়েছে, ২০০১ সালে বাড়ির মালিকের সঙ্গে চুক্তি হয়েছিল। তাতে মাসে ৩০০ টাকা ভাড়া ছিল দোকানের। ভাড়া বাড়ানোর কথা বললেও তারা রাজি হয়নি। তা নিয়ে নাকি গণ্ডগোল চলছিল। এই ঘটনার সঙ্গে ভাড়াটিয়া-মালিকের গণ্ডগোলের বিষয়টির কোনও সম্পর্ক আছে কি না, খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এছা়ড়া ঘটনার কিছুক্ষণ আগেই ওয়াশিম নামে এক কর্মী দোকানে ঢুকেছিলেন। তিনি হলমার্কের কাজ করেন। তিনি বেরিয়ে যাওয়ার পর দুষ্কৃতীরা দোকানে ঢোকে। ফলে, তাঁর ভূমিকাও পুলিশ খতিয়ে দেখছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: বিজেপি কর্মী আত্মঘাতী নয় খুন হয়েছেন পরিবারের দাবি

    Nadia: বিজেপি কর্মী আত্মঘাতী নয় খুন হয়েছেন পরিবারের দাবি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল গোটা রাজ্যজুড়ে খুন ও ধর্ষণের রাজনীতি করছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে আসার আগে পুলিশ কীভাবে বলে এটা আত্মঘাতী হওয়ার ঘটনা? আর তাই নিয়েই রীতিমতন প্রশ্ন উঠছে পুলিশের বিরুদ্ধে। গতকাল নদিয়ার (Nadia) হাঁসখালিতে বিজেপি নেতার মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় রাজ্যের শাসকদল ও প্রশাসনকে কটাক্ষ করলেন রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার। আর এই ঘটনায় এলাকার রাজনৈতিক মহলে তীব্র উত্তেজনা।

    নদিয়ার (Nadia) বিজেপি কর্মীর পরিবার বলছেন আত্মঘাতী নয় খুন

    গতকাল নদিয়ার হাঁসখালি (Nadia) থানার পিপুলবেড়িয়া এলাকা থেকে বিজেপি বুথ সভাপতির মৃতদেহ আম বাগান থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। ওই বুথ সভাপতি নাম নকুল হালদার, বয়স আনুমানিক ৬০ বছর। পরিবারের অভিযোগ তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতিরাই পরিকল্পিতভাবে তাঁকে খুন করে ঝুলিয়ে রেখেছে। বিজেপি কর্মী নকুল হালদারের একটি পা ভাঙ্গা অবস্থায় ঝুলতে দেখা গেছে। তিনি যদি আত্মঘাতী হয়ে থাকবেন, তাহলে পা ভাঙলো কে? এই প্রশ্ন তুলেছে পরিবারের লোকজন।

    রাণাঘাট (Nadia) সাংসদের অভিযোগ

    খুনের ঘটনায় তদন্ত কত দূর এগোলো, সে বিষয়ে জানতে হাঁসখালিতে (Nadia) রওনা হয় বিজেপির এক প্রতিনিধি দল। মৃত বিজেপি কর্মীর বাড়িতে উপস্থিত হন বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার, বিধায়ক মুকুটমনি অধিকারী এবং কৃষ্ণগঞ্জের বিধায়ক আশিষ বিশ্বাস। প্রথমে তাঁরা পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন, এরপর যেখান থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, সেই ঘটনাস্থলকে পরিদর্শন করেন। এরপরই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সাংসদ জগন্নাথ সরকার বলেন, তৃণমূল গোটা রাজ্যজুড়ে খুন এবং ধর্ষণের রাজনীতি করছে। বুথ সভাপতি নকুল হালদারকে তৃণমূলের দুষ্কৃতিরা সুপরিকল্পিত ভাবে ডেকে নিয়ে গিয়ে খুন করেছে বলে অভিযোগ করেন। আর ময়নাতদন্তের আগেই হাঁসখালি থানার কোনও এক পুলিশ এসে বলছেন, এটি আত্মহত্যার ঘটনা! পুলিশ ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে পাওয়ার আগে কীভাবে জানতে পারল এটা আত্মহত্যার ঘটনা? সেই প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। পাশাপাশি প্রশাসন নিরপেক্ষ নন বলে উল্লেখ করেছেন। পুলিশ প্রশাসন শাসক দলের হয়ে কাজ করছেন বলে অভিযোগ করেন প্রতিনিধি দলের বাকি নেতারাও। সেই সঙ্গে তৃণমূল প্রশাসনের উপর আস্থা না রেখে সিবিআই তদন্তের দাবী জানান বিজেপির এই প্রতিনিধি দল। এখন এই মৃত বিজেপি কর্মীর পরিবার কবে ন্যায় বিচার পাবেন তাই এখন দেখার। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Tarapith: তারাপীঠে ডান্সবার, বন্ধ করার আশ্বাস জেলা শাসকের

    Tarapith: তারাপীঠে ডান্সবার, বন্ধ করার আশ্বাস জেলা শাসকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিদ্ধপীঠ তারাপীঠ (Tarapith) এখন রাজ্য ছড়িয়ে সমগ্র দেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছে। কিন্তু এই তীর্থক্ষেত্রে আগত যাত্রীদের নেশায় বুঁদ করে অর্থ উপার্জন করতে মন্দিরের ঢিল ছোড়া দূরত্বে গজিয়ে উঠেছে অসংখ্য ডান্সবার। এলাকার মানুষের অভিযোগ, বারে চলে উদ্দাম নেশা এবং লুটপাটের মতন কাজকর্ম। তীর্থক্ষেত্রে এই সমাজ বিরোধীদের কার্যকলাপের বিরুদ্ধে জেলা শাসকের কাছে জানানো হয়েছে বিশেষ অভিযোগ।

    তারাপীঠে (Tarapith) কী ভাবে চলছে বার?

    তীর্থক্ষেত্রে (Tarapith) বাউন্সার দিয়ে রীতিমত রমরমিয়ে চলছে বার। অনুমতি ছাড়াই ছোট ছোট পোশাকে চটুল গানের সঙ্গে চলছে অশ্লীল নাচ। রাত বাড়লে বেলেল্লাপনা বেড়ে যায় কয়েকগুণ। ওড়ানো হয় লক্ষ লক্ষ টাকা। মদ্যপানের সঙ্গে মহিলাদের নৃত্যে বুঁদ হলেই মদ্যপায়ীদের হতে হয় সর্বস্বান্ত। কেড়ে নেওয়া হয় মোবাইল, সোনার গয়না। প্রায় দিনেই এনিয়ে অশান্তির সৃষ্টি হয় এলাকায়। অভিযোগ করলে মদ্যপায়ীদের বাউন্সার দিয়ে মারধর করে বাইরে বের করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এমনকি টাকা, মোবাইল, সোনার গয়নাও কেড়ে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।

    বারের বিরুদ্ধে বিশেষ অভিযোগ

    তারাপীঠে (Tarapith) সম্প্রতি জয়ন্ত রায় নামে এক মদ্যপায়ীর সঙ্গে বারে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তিনি প্রশাসনের সর্বত্র লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘বারের ভিতর রাত বাড়লে মদের সঙ্গে ড্রাগ মেশানো হয়। হুক্কা বারে গাঁজা, চরস মিশিয়ে গ্রাহককে বুঁদ করে চলে লুঠপাট। আমার সঙ্গেও একই ব্যবহার করা হয়েছে। সাড়ে তিন লক্ষ টাকা মূল্যের সোনার চেন কেড়ে নিয়েছে বারের ম্যানেজার সপ্তম সিংহ এবং বাউন্সার সিলন শেখ। আমি প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছি।’

    মন্দির কমিটি ও প্রশাসনের বক্তব্য

    তারাপীঠে (Tarapith) দিনের পর দিন এমনই অভিযোগ জমা পড়ছিল প্রশাসনের কাছে। মন্দির সংলগ্ন এই বারে নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে মন্দির কমিটিও। মন্দির কমিটিও এই বার বন্ধের বিশেষ দাবি জানায়। মন্দিরের সভাপতি তারাময় মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘কোনও তীর্থক্ষেত্রে বার কাম্য নয়। ডান্স বার তো নয়ই। প্রশাসন ব্যবস্থা গ্রহণ করুক।’ অপর দিকে বীরভূম জেলা শাসক বিধান রায় আশ্বাস দিয়ে বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি, কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।’ এরপরই ওইসব ডান্স বারগুলোর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের পথে পুলিশ প্রশাসন। তীর্থক্ষেত্র এখন কবে ডান্সবার মুক্ত হয় তাই এখন দেখার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: এবার মালদাতেও সভার অনুমতি দিল না পুলিশ! ফের হাইকোর্টের দ্বারস্থ শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: এবার মালদাতেও সভার অনুমতি দিল না পুলিশ! ফের হাইকোর্টের দ্বারস্থ শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের বিরোধী দলনেতার সভার অনুমতি দিল না পুলিশ। এবার মালদা। চলতি মাসের ২৭ তারিখ শুভেন্দু অধিকারীর সভার অনুমতি দেয়নি মালদা জেলা প্রশাসন। নন্দীগ্রামের বিধায়কের সভায় অনুমতি না দেওয়ার নজির অবশ্য এই প্রথম নয়। এর আগেও চন্দ্রকোণার সিমলাপালে তাঁর সভা বাতিল করে প্রশাসন। প্রতিবারই হাইকোর্ট থেকে অর্ডার নিয়ে সভা করতে হয় শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari)। মালদার সভা নিয়েও শুভেন্দু অধিকারী দ্বারস্থ হয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের। পুলিশ-প্রশাসনের বক্তব্য, কেন ১৫ দিন আগে অনুমতি চাওয়া হয়নি? শুভেন্দু অধিকারী জানাচ্ছেন, অনলাইনে সেই সুযোগ দেওয়া হয়নি। তাই আবেদন পরে করা হয়েছে। প্রশাসন শাসকদলের অঙ্গুলিহেলনে কাজ করছে, এই অভিযোগে বারবার সরব হয়েছেন বিরোধী দলনেতা। ওয়াকিবহাল মহল বলছে,  প্রতিবারই দেখা যায়, প্রশাসন সভা বাতিল করার পরে কোর্ট অনুমতি দেয়। এতে কার্যত শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগেই সিলমোহর মেলে।

    এর আগেও বিরোধী দলনেতার একাধিক সভা বাতিল

    প্রসঙ্গত, চলতি মাসের ২৪ তারিখ হাওড়ার শ্যামপুরে একই ঘটনা ঘটে। সভার অনুমতি দেয়নি স্থানীয় প্রশাসন। পরে হাইকোর্টে গিয়ে অনুমতি পান উদ্যোক্তারা। পটাশপুরের ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটতে দেখা যায়। ময়নায় দলীয় নেতা খুনের প্রতিবাদে ডাকা বনধকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পটাশপুর এবং সেখানে পুলিশের বিরুদ্ধে নির্বিচারে লাঠিচার্জের অভিযোগ ওঠে। তারই প্রতিবাদে সভা করতে আবেদন জানান শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। কিন্তু পুলিশ অনুমতি দেয়নি। পরে হাইকোর্টের নির্দেশে সভা হয়।

    আরও পড়ুুন: “মোদিজির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হয়েছে নবান্নে”, বোমা ফাটালেন শুভেন্দু

    এনিয়ে কী বললেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতার বক্তব্য, ‘‘মালদহে তৃণমূলের নবজোয়ারের থেকে পাঁচগুণ বেশি লোক নিয়ে সভা করব। পারলে পিসির ভাইপো আটকে দেখাক।’’ প্রসঙ্গত, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নবজোয়ার কর্মসূচিতে মালদহে সভা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখন দেখার বিষয় হাইকোর্ট এ নিয়ে কী রায়দান করে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share