Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Uttar Dinajpur: পর্ষদ তালিকা ও শিক্ষকের নম্বরে ব্যাপক গরমিল

    Uttar Dinajpur: পর্ষদ তালিকা ও শিক্ষকের নম্বরে ব্যাপক গরমিল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় হাইকোর্টের নির্দেশে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রকাশিত তালিকায় তথ্যের ভুলে কাঠগড়ায় এক প্রাথমিক শিক্ষক। আর এমনই অভিযোগে বুধবারে শোরগোল উত্তর দিনাজপুর (Uttar Dinajpur) জেলায়। পাল্টা পর্ষদের প্রকাশিত তথ্যকে ভুল বলে দাবী করেন ঐ প্রাথমিক শিক্ষক। প্রাথমিক শিক্ষক কর্ণজোড়া জেলা স্কুল পরিদর্শকের কাছে দ্বারস্থ হলে, তথ্য যাচাই করে হতবাক স্কুল পরিদর্শক।

    উত্তর দিনাজপুরের (Uttar Dinajpur) কে সেই শিক্ষক?

    উত্তর দিনাজপুরের (Uttar Dinajpur) কালিয়াগঞ্জের ডালিমগাঁ-এর দেওগা অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পদে কর্মরত ওই শিক্ষকের নাম বরুন চন্দ্র রায়। তিনি ২০১৭ সালে করণদিঘি ব্লকের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরি পান। এরপর কালিয়াগঞ্জের দেওগা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলি হয়ে আসেন।

    উত্তর দিনাজপুরের (Uttar Dinajpur)  শিক্ষক কেন গেলেন স্কুল পরিদর্শকের কাছে?

    শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি কান্ডের তদন্তে হাইকোর্টের নির্দেশে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়। সেখানে ওই শিক্ষকের নাম রয়েছে বলে জানা যায়। তিনি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় ১০ শতাংশেরও কম নম্বর পেয়েছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে। আর এই খবর পেতেই সেই শিক্ষক বুধবার সন্ধ্যায় জেলা বিদ্যালয় (Uttar Dinajpur) পরিদর্শকের কাছে তাঁর মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক সহ ডিএলএড ট্রেনিং এর যাবতীয় মার্কশিট ও সার্টিফিকেট নিয়ে হাজির হন।

    শিক্ষকের বক্তব্য

    শিক্ষক বরুণ চন্দ্র রায় এই বিষয়ে বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশে যে তালিকা প্রকাশিত হয়েছে,পর্ষদ তাতে আমার তথ্য ভুল প্রকাশ করেছে। তিনি একজন স্নাতকোত্তর পাশ, ডিএলএড প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষক (Uttar Dinajpur)। আর তারপরেও কী ভাবে ওই তালিকায় তাঁর নাম এলো, তাই স্পষ্ট নয় তাঁর কাছে, এই কথাই জানান বরুণবাবু।

    উত্তর দিনাজপুর জেলা (Uttar Dinajpur) পরিদর্শকের বক্তব্য

    অপর দিকে জেলা বিদ্যালয় (Uttar Dinajpur) পরিদর্শক দুলাল সরকার এই শিক্ষকের মার্কশিট, সার্টিফিকেট দেখার পর বিষয়টি নিয়ে হতবাক হয়ে যান। দুলাল বাবু বলেন, বিষয়টি পর্ষদকে ফোন করে আমি জানিয়েছি। তবে প্রকাশিত তালিকায় যা তথ্য বলা হচ্ছে, তা সঠিক নয় বলে জানান তিনিও। সেই সঙ্গে তিনি আরও জানান, এখনো পর্যন্ত সেই তালিকা প্রশাসনিক ভাবে তাঁর কাছে এসে পৌঁছায়নি। তবে প্রকাশিত তালিকার তথ্য কি আদৌ সঠিক? যদি ভুল হয় তাহলে কিভাবে এই ভ্রান্তিবিলাস? নাকি এর পেছনে অন্য কোনো রহস্য আছে? তা এখন তদন্ত সাপেক্ষ বলে মনে করছেন ওয়াকিবহল মহল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: জাতীয় সড়কে মিছিল অভিষেকের, হাইকোর্টে মামলা ঠুকলেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: জাতীয় সড়কে মিছিল অভিষেকের, হাইকোর্টে মামলা ঠুকলেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনুমতি না নিয়েই জাতীয় সড়কে মিছিল করেছেন তৃণমূল (TMC) নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এই অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) জনস্বার্থ মামলা দায়ের করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। আজ, বৃহস্পতিবার ওই মামলা দায়ের করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। জুন মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা।

    শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) অভিযোগ

    নব জোয়ার কর্মসূচি উপলক্ষে পথে নেমেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো তথা দলের দু’ নম্বর ব্যক্তিত্ব অভিষেক। রাজকীয় সেই যাত্রা চলবে দু’ মাস ব্যাপী। এই কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে উত্তর দিনাজপুরের ইটাহার ও মুর্শিদাবাদের ফরাক্কায় অভিষেক জাতীয় সড়কে মিছিল করেন বলে অভিযোগ। গত সপ্তাহে উত্তর দিনাজপুরে নব জোয়ার যাত্রার দ্বিতীয় দিনে হেমতাবাদ, রায়গঞ্জে জনসভা শেষে ইটাহারে পৌঁছন অভিষেক। সেখানে গোটা সড়ক ভরে যায় তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকদের ভিড়ে। তার পরেই বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টে শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) তরফে মামলা দায়ের করেন তাঁর আইনজীবী। তাঁর বক্তব্য, জাতীয় সড়ক আইন বলছে অনুমতি না নিয়ে কেউ রাস্তা আটকে মিছিল করতে পারে না।

    শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) সভায় জটিলতা

    অভিষেক জাতীয় সড়কে মিছিল করলেও, শুভেন্দুর জনসভা নিয়ে জারি রয়েছে জটিলতা। ২৭ মে মালদহে সভা করার কথা ছিল রাজ্যের বিরোধী দলনেতার। যদিও সেই সভার অনুমতি মেলেনি বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্তও। অনুমতি চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। পুলিশের প্রশ্ন, কেন সভার ১৫ দিন আগে অনুমতি চাওয়া হয়নি আর রাজ্যের বিরোধী দলনেতার দাবি, অনলাইনে সুযোগ দেওয়া হয়নি। তাই আবেদন করা হয়েছে পরে।

    আরও পড়ুুন: কলকাতার শেরিফ করা হোক সৌরভকে, দাবি সুকান্তর

    কেবল মালদহ নয়, এমন ঘটনা ঘটেছে আগেও। শুভেন্দুকে (Suvendu Adhikari) রোখার চেষ্টা হয়েছে আগেও। ২৪ তারিখে হাওড়ার শ্যামপুরে সভা করার কথা ছিল শুভেন্দুর। সেই সভারও অনুমতি দেয়নি স্থানীয় প্রশাসন। পরে হাইকোর্টের অনুমতিতে হয় সভা। বাঁকুড়ার সিমলাপালেও শুভেন্দুকে সভার অনুমতি দিয়েছিল না পুলিশ। পটাশপুর এবং চন্দ্রকোণায়ও তাঁর সভা নিয়ে হয়েছিল টালবাহানা। বিজেপির অভিযোগ, বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করতেই সরকারের নির্দেশে পুলিশ অনুমতি দিতে চাইছে না জনসভার।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: কলকাতার শেরিফ করা হোক সৌরভকে, দাবি সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: কলকাতার শেরিফ করা হোক সৌরভকে, দাবি সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাঁকে সম্মান দিয়েছে ত্রিপুরার (Tripura) বিজেপি (BJP) সরকার। ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর করা হয়েছে তাঁকে। বাংলার ছেলে হলেও, এ রাজ্যে পানি পাননি তিনি। তিনি প্রাক্তন ক্রিকেটার সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। এবার তাঁকেই কলকাতার শেরিফ করার দাবি জানালেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)।

    সুকান্তর (Sukanta Majumdar) দাবি

    তিনি বলেন, “সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় একজন আইকন। তাঁকে নিয়ে বাংলা এবং বাঙালি পরিচয় দিতে গর্ববোধ করে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের উচিত ছিল সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে আগেই ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর করা। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় হল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন সরকার সৌরভকে এ ব্যাপারে মর্যাদা দেয়নি। ত্রিপুরায়ও প্রচুর বাঙালি রয়েছেন। ত্রিপুরার পর্যটন দফতরের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর সৌরভ হওয়ায় আমরা খুশি। আমরা ত্রিপুরা সরকারকে ধন্যবাদ জানাই সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের মতো একজন ব্যক্তিত্বকে ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হিসেবে বেছে নেওয়ার জন্য।” বালুরঘাটের সাংসদ বলেন, “রাজ্য সরকারের কাছে আমি দাবি করছি যে কলকাতায় এই মুহূর্তে কোনও শেরিফ নেই। সৌরভকে অবিলম্বে শেরিফ করা হোক।”

    কেন্দ্রীয় হারে ডিএ

    বিজেপি যে ডিএ আন্দোলনকারীদের সঙ্গে রয়েছে, এদিন তা আরও একবার মনে করিয়ে দেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)। তিনি বলেন, “তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বন্ধু। সেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন সরকারি কর্মীদের ৪২ শতাংশ পর্যন্ত ডিএ দিচ্ছেন। তাই দিদি যখন তামিলনাড়ুর দেখাদেখি দ্য কেরালা স্টোরি বাতিল করেছিলেন, তাহলে এবার তামিলনাড়ুর দেখাদেখি এখানে ডিএটাও নিশ্চয়ই দেবেন।” তিনি আরও বলেন, “দিদি, আপনি তো কথায় কথায় এগিয়ে বাংলা বলেন। এবার তো এগিয়ে তামিলনাড়ু হয়ে গেল, বাংলা কোথায় গেল? বাঙালি কোথায় এগোল?”

    আরও পড়ুুন: কর্নাটকের কংগ্রেস সরকারের কাছে ‘হিন্দু বিরোধী’ তিন দাবি অ্যামনেস্টি ইন্ডিয়ার!

    প্রসঙ্গত, কলকাতার শেরিফ পদটি অরাজনৈতিক। শহরের কোনও বিশিষ্ট ব্যক্তিকেই এই পদে বসানো হয়। নিয়োগ হয় এক বছরের জন্য। শেরিফের একটি অফিস থাকে, থাকেন কর্মীও, তবে নির্বাহী কোনও ক্ষমতা শেরিফের থাকে না। মেয়রের ঠিক পরের পদটিই হল শেরিফের। ভারতের একমাত্র মুম্বই ও কলকাতায় রয়েছে ঐতিহ্যবাহী এই পদটি। কলকাতার প্রথম শেরিফ ছিলেন দিগম্বর মিত্র। ১৮৭৪ সালে কলকাতার শেরিফ হয়েছিলেন তিনি। ২০০১ সালে শেরিফ হয়েছিলেন বিখ্যাত রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী সুচিত্রা মিত্র। ২০১৩ সালে তৃণমূল সরকার ওই পদে বসান অভিনেতা রঞ্জিত মল্লিককে। ২০১৯ সালে বসানো হয়েছিল মণিশঙ্কর মুখোপাধ্যায়কে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: ছেলের থেকে মা ৪০ নম্বর বেশি পেয়ে পাশ করলেন উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায়

    Nadia: ছেলের থেকে মা ৪০ নম্বর বেশি পেয়ে পাশ করলেন উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইচ্ছা আর মনের জোর থাকলে সবকিছুই সম্ভব, আরো একবার প্রমাণ করে দিলেন নদীয়ার (Nadia) লতিকা এবং সৌরভ। মা এবং ছেলে একসঙ্গে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়ে পাস করে সকলের নজর কাড়লেন। উচ্চ মাধ্যমিকের মায়ের প্রাপ্ত নম্বর ৩২৪ এবং ছেলের প্রাপ্য নম্বর ২৮৪। উচ্ছ্বসিত পরিবার। 

    নদীয়ার (Nadia) লতিকা কি ভাবে পড়াশুনা করতেন?

    নদীয়ার (Nadia) শান্তিপুর থানার নৃসিংহপুর নতুন সরদারপাড়া এলাকার বাসিন্দা লতিকা মন্ডল। বর্তমানে তাঁর দুই মেয়ে ও একটি ছেলে। মেয়েরা বর্তমানে কলেজের ছাত্রী। লতিকা মন্ডলের বর্তমান বয়স চল্লিশের কাছাকাছি। ছোট থেকেই আশা ছিল পড়াশোনা করে কিছু করার। কিন্তু আর্থিক অনটন এবং পারিবারিক সমস্যার কারণে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ার পর, পড়াশোনা ছেড়ে দিতে বাধ্য হন। এরপরে হাজারো চেষ্টার করেও তিনি পড়াশোনা এগিয়ে যেতে পারেন নি। বাড়ি থেকে লতিকাকে দেখাশোনা করেই বিয়ে দেওয়া হয়। প্রায় ১৯ বছর আগে বিয়ে হয়েছিল লতিকার। বড় মেয়ে এখন কলেজের গণ্ডিতে পা দিয়েছে। লতিকার নতুন করে ইচ্ছা হয় যে, তিনি পড়াশোনা করবেন। এর পরেই প্রতিবেশীর সাহায্যে তিনি রবীন্দ্র মুক্ত বিদ্যালয়ে মাধ্যমিকে ভর্তি হন। মাধ্যমিকের গণ্ডি পার হয়ে লতিকা মন্ডল ভর্তি হন নৃসিংহপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে। আর তখন থেকেই মা ও ছেলে সৌরভ একই ক্লাসে পড়তেন এবং তাঁরা বাড়িতেও একই সঙ্গে নিয়মিত পড়াশোনা করতে বসতেন। নিজের সংসার সামলে পাশাপাশি প্রতিবেশী মানুষের বিভিন্ন কটুক্তি সহ্য করেও পড়াশোনা চালিয়ে যেতেন সৌরভ এবং লতিকা।

    পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর লতিকার প্রতিক্রিয়া

    গতকাল উচ্চ মাধ্যমিকের ফল বেরোনোর পর ইন্টারনেটের মাধ্যমে জানা যায়, ছেলে এবং মা দুজনেই পাস করেছে। তবে মা লতিকা মন্ডল, ছেলের থেকে ৪০ নম্বর বেশি পেয়েছেন। এ বিষয়ে লতিকা মন্ডল বলেন, আমি ছেলের মুখ থেকে জানতে পারি যে আমরা দুজনেই পাস করেছি। আমি যে ৪০ নম্বর বেশি পেয়েছি, সেটা ছেলে বেশি পেলেই হয়তো ভাল হতো এবং তাতে আমি আরও বেশি খুশি হতাম। আগামী দিনে উচ্চ শিক্ষায় আরও পড়াশোনা চালিয়ে যেতে চান বলেই  জানিয়েছেন  লতিকা মন্ডল (Nadia)।

    ছেলের প্রতিক্রিয়া

    তবে নিজে কম নম্বর পেয়েও মায়ের সাফল্যে যথেষ্ট খুশি ছেলে সৌরভ মন্ডল। তিনি আরও বলেন, মা এত ভালো ফলাফল করেছে, এতে আমি মোটেও দুঃখিত নই। আমরা একসঙ্গে পড়াশোনা করে আগামী দিনে আরও উচ্চশিক্ষিত হতে চাই। শিক্ষাকেই জীবনের সম্পদ মনে করে শান্তিপুরের (Nadia) মা ও ছেলে এগিয়ে যাবেন বলে অঙ্গিকার করেছেন।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CV Aanand Bose: রাজ্যের ৬ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে শোকজ রাজ্যপালের, কেন জানেন?

    CV Aanand Bose: রাজ্যের ৬ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে শোকজ রাজ্যপালের, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের বাঁধল নবান্ন-রাজ্যপাল সংঘাত। রাজভবনে সাপ্তাহিক রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Aanand Bose)। সেই রিপোর্ট না পাঠানোয় রাজ্যের ৬ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে শো-কজ করলেন রাজ্যপাল তথা বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য সিভি আনন্দ বোস। জানা গিয়েছে, ৪ এপ্রিল এবং ২৩ মে দু দফায় চিঠি দেওয়া হয় উপাচার্যদের। তার পরেও মেলেনি জবাব। তার জেরে এবার পাঠানো হল শো-কজ নোটিশ। কলকাতা, যাদবপুর, প্রেসিডেন্সি এবং রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়কে এখনও চিঠি পাঠানো হয়নি বলেই খবর।

    রাজ্যপালের (CV Aanand Bose) নির্দেশিকা

    সম্প্রতি রাজভবনের (CV Aanand Bose) তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। তাতে বলা হয়, আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত কোনও বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে আগে আচার্য তথা রাজ্যপালের অনুমোদন নিতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে কী কাজ হচ্ছে, তা রিপোর্ট আকারে প্রতি সপ্তাহের শেষ কাজের দিনে, ইমেল করে রাজভবনকে জানাতে হবে। উপাচার্যরা যে কোনও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সরাসরি আচার্যের সঙ্গে টেলিফোন কিংবা ইমেলে কথা বলতে পারবেন।

    রাজ্যের প্রতিক্রিয়া

    রাজ্যপালের এহেন ‘আচরণ’ ভালভাবে নেয়নি নবান্ন। বিজ্ঞপ্তি প্রসঙ্গে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, রাজ্যপাল এই নির্দেশিকা জারি করতে পারেন কিনা, তা নিয়ে আমরা আইনজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলব। আশা করি, উনি ওই নির্দেশিকা প্রত্যাহার করে নেবেন। শিক্ষামন্ত্রীর সুরে সুর মিলিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বলেন, উপাচার্যরা কাজ না করে সাপ্তাহিক রিপোর্ট দিতে যাবেন নাকি?  

    আরও পড়ুুন: ‘‘আজ সারা বিশ্ব জানতে চায়, ভারত কী ভাবছে!’’ দেশে ফিরে বললেন মোদি

    উপাচার্যদের কাছ থেকে কোনওরূপ সাড়াশব্দ না পেয়ে ২৩ মে ফের একবার তাঁদের চিঠি দেন রাজ্যপাল (CV Aanand Bose)। আগের নির্দেশিকার কথা মনে করিয়ে দিয়ে বলা হয়, সাপ্তাহিক রিপোর্ট দিতেই হবে। তার পরেও উপাচার্য সাপ্তাহিক রিপোর্ট পাঠাননি। এর পরেই ওই ছয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের শোকজ করেন রাজ্যপাল। এর আগে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী বলেছিলেন, এটা আগের চিঠিরই পুনরাবৃত্তি। যা করার তা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলেই করা হবে। যে ছয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের শোকজ করা হয়েছে, সেগুলি হল, পুরুলিয়ার সিধো কানহো বীরসা বিশ্ববিদ্যালয়, বারাসত স্টেট ইউনির্ভাসিটি, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়, কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়, কাজি নজরুল এবং সংস্কৃত বিশ্ববিদ্যালয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • DA Protest: উত্তপ্ত বিকাশ ভবন চত্বর!  ডিএ আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের খণ্ডযুদ্ধ

    DA Protest: উত্তপ্ত বিকাশ ভবন চত্বর! ডিএ আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের খণ্ডযুদ্ধ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য সরকারের নির্দেশিকা সরাসরি অমান্য করলেন কর্মীরা। ডিএ আন্দোলনকারীদের (DA Protest) ঠেকানোর জন্য সম্প্রতি জোড়া নির্দেশিকা জারি করেছিল নবান্ন। তাকে অমান্য করে মঙ্গলবার মহাকরণ ভবন, খাদ্য ভবন, পঞ্চায়েত দফতরে টিফিনের সময়ে ব্যানার হাতে প্রতিবাদ দেখান সরকারি কর্মীরা। এদিকে আজ সল্টলেকের করুণাময়ীতেও বিক্ষোভ দেখানোর কথা সরকারি কর্মীদের একাংশ। ডিএ আন্দোলনকারীদের প্রতিবাদ মিছিলে পুলিশি হস্তক্ষেপের পর বিকাশ ভবনের সামনে ধুন্ধুমার বেঁধে যায়। বহু বিক্ষোভকারীকে আটক করে পুলিশ। পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের ধস্তাধস্তিতে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সল্টলেকের বিকাশ ভবন চত্বর।

    সরকারি নির্দেশ অমান্য

    উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে সরকারের তরফে দু’টি নির্দেশিকা জারি করে বলা হয়, মধ্যাহ্নভোজের সময় খাওয়া দাওয়া ছাড়া আর অন্য কোনও কাজ করা যাবে না এবং আন্দোলনের জন্য ছুটি নেওয়া যাবে না। তাছাড়া টিফিন বিরতির সময়েও অফিসের বাইরে যাওয়া যাবে না। সরকারি অফিসের কর্মসংস্কৃতি ফেরাতেই এই নির্দেশিকা বলে জানানো হয় নবান্নর তরফে। এদিকে সরকারি কর্মীরা এই নির্দেশিকা অমান্য করলে কড়া পদক্ষেপ করার কথা বলা হয়।তবে এই কঠোর নির্দেশিকা জারির পরই ক্ষুব্ধ হন সরকারি কর্মীরা। এই নির্দেশিকা মানতে নারাজ ডিএ আন্দোলনকারীরা (DA Protest)। 

    আরও পড়ুুন: “মোদিজির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হয়েছে নবান্নে”, বোমা ফাটালেন শুভেন্দু

    আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের খণ্ডযুদ্ধ

    ‘অন্যায্য’ বদলির প্রতিবাদেই বুধবার বিকাশ ভবনের সামনে বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করেছিল সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। আন্দোলনকারী (DA Protest) সরকারি কর্মচারীদের মূল অভিযোগ, যাঁরা আন্দোলন করছেন, তাঁদের বেছে বেছে বদলি করে দেওয়া হচ্ছে। বাসস্থান থেকে অনেক দূরে ইচ্ছাকৃত ভাবে এই বদলি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। ডিএ-র (DA Protest) দাবিতে প্রতিবাদে শামিল হওয়ার কারণেই সরকার এ ভাবে পাল্টা শোধ তুলছে, দাবি বিক্ষোভকারীদের। এদিন বিনা প্ররোচনায় মিছিলে পুলিশ হস্তক্ষেপ করে বলে অভিযোগ। মিছিল এগিয়ে নিয়ে যেতে বাধা দেওয়া হয়। তার পরেই গোলমাল শুরু হয়। রাস্তায় বসে পড়েন আন্দোলনকারীরা। বাসের তলায় শুয়ে পড়েও প্রতিবাদ জানাতে দেখা গিয়েছে। প্ল্যাকার্ড হাতে পুলিশের গাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। মিছিল ছত্রভঙ্গ করতে ধরপাকড় শুরু করে পুলিশ। আন্দোলনকারীদের মধ্যে থেকে অন্তত ৬০ জনকে আটক করা হয়। তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয় বিধাননগর দক্ষিণ থানায়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: ব্লক সভাপতিকে গ্রেফতারের দাবিতে গাছের গুঁড়ি ফেলে অবরোধ করলেন তৃণমূল কর্মীরা, কেন জানেন?

    TMC: ব্লক সভাপতিকে গ্রেফতারের দাবিতে গাছের গুঁড়ি ফেলে অবরোধ করলেন তৃণমূল কর্মীরা, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাকরি দেওয়ার নামে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল দক্ষিণ দিনাজপুরে তপন ব্লক তৃণমূলের (TMC) সভাপতি অনাদি লাহিড়ীর বিরুদ্ধে। অনাদিবাবুর টাকা নেওয়ার সেই ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায়। সম্প্রতি তাঁর বিরুদ্ধে থানায় প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করা হয়। তার পর পরই ওই নেতা ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন। এত কিছু ঘটনার পরও জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব অনাদিবাবুর সঙ্গে রয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। এমনকী তাঁকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়নি। এই সব ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই ওই তৃণমূল (TMC) নেতাকে গ্রেফতারের দাবিতে তপন-মালদা রাজ্য সড়কে গাছের গুঁড়ি ফেলে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে তপন থানার আজমতপুর এলাকায়। অবরোধকারীরাও সকলেই তৃণমূল কর্মী হিসেবে পরিচিত।

    বিক্ষোভকারীদের কী বক্তব্য?

    বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য, তৃণমূলের (TMC) ব্লক সভাপতি অনাদিবাবু চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে বহুজনের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন। চাকরি না পাওয়ায় প্রতারণার শিকার আনোয়ার সরকার নামে এক যুবক, সম্প্রতি টাকা নেওয়ার সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করলে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। প্রতারণার এই ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ জানিয়েও অভিযুক্তর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। টাকা নেওয়ার এই ঘটনায় তপন পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য কায়েল সরেণ ক্ষুব্ধ। তাঁর নেতৃত্বে এলাকাবাসী এদিন আজমতপুর মোড়ে রাজ্য সড়ক অবরোধ করেন। এক অবরোধকারী তথা স্থানীয় তৃণমূল (TMC) নেতা সুকুমার মণ্ডল বলেন, “আমরাও তৃণমূল করি। তৃণমূল দলে থেকে যারা অন্যায় করবে তাঁদের বিরুদ্ধে আমরা রুখে দাঁড়াবো। দল ও প্রশাসন যদি ব্যবস্থা না নেয় তাহলে আমরা বৃহত্তরও আন্দোলনে নামব। আমরা দলকে বিষয়টি জানিয়েছি। দল আশ্বাস দিয়েও কোনও কাজ হয়নি। কারণ, এই ধরনের নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে আগামীদিনে তারা বহু মানুষের আরও সর্বনাশ করবে”।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Karma Tirtha: পরিত্যক্ত কর্মতীর্থ স্টলগুলো দিয়ে দেওয়া হবে স্থানীয় ক্লাবগুলোকে! প্রশাসনিক নির্দেশ ঘিরে বিতর্ক

    Karma Tirtha: পরিত্যক্ত কর্মতীর্থ স্টলগুলো দিয়ে দেওয়া হবে স্থানীয় ক্লাবগুলোকে! প্রশাসনিক নির্দেশ ঘিরে বিতর্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অব্যবহৃত ও ফাঁকা পড়ে থাকা কর্মতীর্থর (Karma Tirtha) স্টলগুলোকে স্থানীয় ক্লাবগুলোর মধ্যে বণ্টন করার প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নিয়ে জোর বিতর্ক দানা বেঁধেছে। 

    অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে থাকা কর্মতীর্থগুলি (Karma Tirtha) নিয়ে গত ২৬ এপ্রিল আলোচনা হয়েছিল নবান্নর প্রশাসনিক বৈঠকে। প্রশাসনিক সূত্র জানাচ্ছে, প্রায় প্রতিটি জেলায় বিপুল খরচ করে সরকার কর্মতীর্থ তৈরি করলেও সেগুলির বেশির ভাগের প্রতি সাধারণ মানুষের কোনও আগ্রহই নেই। কারণ, দোকান-ব্যবসা করার জন্য নির্ধারিত এই পরিকাঠামোগুলি লাভজনক জায়গায় গড়ে ওঠেনি বলেই অভিযোগ। দীর্ঘ কাল ধরে পড়ে থাকা কর্মতীর্থগুলির পরিচালনার ভার সেই জন্যই এলাকার বিভিন্ন ক্লাবের হাতে তুলে দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়।

    আরও পড়ুন: “মোদিজির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হয়েছে নবান্নে”, বোমা ফাটালেন শুভেন্দু

    এর পর গত ১০ মে রাজ্যের ক্ষুদ্র, কুটির ও বস্ত্র দফতরের তরফে রাজ্যের প্রধান সচিবকে চিঠি দেওয়া হয়। তাতে বলা হয়েছে, রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় প্রশাসনের চারটি দফতর যে কর্মতীর্থ (Karma Tirtha) পরিকাঠামো গড়ে তুলেছিল, তার বণ্টন ও ব্যবহার নিশ্চিত করতে ক্ষুদ্র, কুটির ও বস্ত্র দফতরকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সর্বশেষ রিপোর্ট অনুযায়ী, ৫০৩টি কর্মতীর্থে ১৮ হাজার ১৩০টি স্টল তৈরি করা হয়েছে। এরমধ্যে ১৭ হাজার ৩২০টি স্টল বিলি করা হয়েছে। বাকি খালি পড়ে রয়েছে ৮১০টি স্টল।

    চিঠিতে বলা হয়েছে, নবান্নে হওয়া বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এই অব্যবহৃত স্টলগুলোকে স্থানীয় ক্লাবগুলোর হাতে তুলে দেওয়া হোক, যাতে সেগুলির ‘সঠিক’ ব্যবহার হয়। এই মর্মে রাজ্যের প্রধান সচিবকে যথাযথ ব্যবস্থাগ্রহণের জন্য বলা হয়েছে দফতরের তরফে। প্রশাসনের এই সিদ্ধান্ত ঘিরে এখন দানা বেঁধেছে বিতর্ক। বিরোধীদের প্রশ্ন, দোকান-সহ নানান ব্যবসা করার জন্য নির্মিত সেই সব অব্যবহৃত পরিকাঠামো স্থানীয় ক্লাবের হাতে গেলে আখেরে সেগুলো আর কতটা কর্মতীর্থ (Karma Tirtha) থাকবে? তাঁদের আশঙ্কা, নাম কর্মতীর্থ হলেও, জায়গাগুলো আদতে অকর্মস্থল বা অসামাজিক কাজের আখড়া হয়ে উঠবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: হাঁসখালিতে বিজেপি নেতা খুন, অভিযুক্ত তৃণমূল

    BJP: হাঁসখালিতে বিজেপি নেতা খুন, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটের আগে বিজেপি (BJP) নেতাকে খুন করার অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার হাঁসখালি থানার পিপুলবেরিয়া এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম নকুল হালদার (৬০)। তিনি বিজেপির (BJP) পিপুলবেরিয়া বুথের সহ সভাপতি ছিলেন। বিজেপি নেতার পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বৃষ্টি হওয়ার সময় নকুলবাবু নিজের বেগুন জমিতে যান। কয়েক ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও তিনি না আসায় পরিবারের লোকজনের সন্দেহ হয়। এরমধ্যে এলাকারই কয়েকজন এসে খবর দেন, আমবাগানে তাঁর দেহ ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে ছুটে যান। এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, গলায় গামছার ফাঁস দেওয়া অবস্থায় তাঁর মৃতদেহ ঝুলছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় হাঁসখালি থানার পুলিশ। পুলিশ গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে নিয়ে যায়। মৃতদেহটি ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।

    কী বললেন বিজেপি (BJP) নেতার ছেলে?

    এ বিষয়ে প্রয়াত বিজেপি (BJP) নেতা নকুল হালদারের ছেলে রাজেশ হালদার বলেন, “আমার বাবাকে খুন করা হয়েছে। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা খুন করে বাবাকে গাছে ঝুলিয়ে দিয়েছে। কারণ, আমার বাবা এই এলাকার সক্রিয় বিজেপি নেতা ছিল। তাই, ভোটের আগে বাবাকে সরিয়ে দিল তৃণমূল”। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন ওই এলাকার বাসিন্দা নারায়ণ ঘোষ। তিনি বলেন, “নকুলবাবু এলাকার প্রথম সারির বিজেপি নেতা ছিলেন। যেহেতু সামনে পঞ্চায়েত ভোট, তাই নকুলবাবু থাকলে তৃণমূলরা ওই এলাকায় ভোট লুট করতে পারবে না। সেই কারণেই তৃণমূল দুষ্কৃতীরা তাঁকে খুন করেছে। আমরা সিবিআই তদন্তের দাবি জানাচ্ছি”।

    কী বললেন বিজেপি (BJP) বিধায়ক?

    এ বিষয়ে বিজেপি (BJP) বিধায়ক মুকুটমণি অধিকারী বলেন, “যেহেতু সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন সেই কারণে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই খুন করেছে। তার কারণ তাঁর একটি পা ভাঙা রয়েছে। তাছাড়া অত নীচু একটি ডালে কীভাবে তিনি গলায় ফাঁস দিতে পারেন”।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    জেলা তৃণমূল নেতা সনৎ চক্রবর্তী বলেন, “ওই বিজেপি (BJP) নেতা খুনের সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই। আসলে এই ঘটনার পিছনে বিজেপির কোন্দল দায়ী। আমরা এই ঘটনার প্রকৃত তদন্ত দাবি করছি”।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: বীরভূম বিস্ফোরণে এবার  গ্রেফতার  তৃণমূল নেতার ভাই

    Birbhum: বীরভূম বিস্ফোরণে এবার গ্রেফতার তৃণমূল নেতার ভাই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বীরভূমের (Birbhum) দুবরাজপুরে তৃণমূল নেতার বাড়িতে বিস্ফোরণের পর সিআইডির বোম্ব স্কোয়াডের তল্লাশি চলে এলাকায়। একইসঙ্গে তৃণমূলের ওই নেতার ভাইকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অন্যদিকে, বোলপুরের যজ্ঞনগর গ্রাম থেকে প্রায় ১৫ টি তাজা বোমা উদ্ধার করেছে পুলিশ। ড্রোন ক্যামেরার মাধ্যমে বোমার খোঁজে তল্লাশি চালায় পুলিশ।

    বীরভূমের (Birbhum) বিস্ফোরণে আরও এক গ্রেফতার

    কিছু দিন আগেই এগরা, বজবজ এবং তারপরে বীরভূমে (Birbhum) বাজি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। বিস্ফোরণে ধরপাকড় এবং তল্লাশি চলছে রাজ্য জুড়ে। এবার দুবরাজপুরের তৃণমূল কর্মী শেখ সফিকের ভাই মরিলাল শেখকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতকে দুবরাজপুর আদালতে তোলা হয়। বিস্ফোরণের পর থেকেই পলাতক ছিল এই তৃণমূল কর্মীর ভাই। তাঁর পরিবারের অনেকেই গা ঢাকা দিয়ে আছেন বলে জানা গেছে। এখনও দোষীদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। দুবরাজপুরের ওই গ্রামে মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ।

    কীভাবে বীরভূমে (Birbhum) বিস্ফোরণ হয়েছিল?

    বিভিন্ন জায়গায় বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের জেরে তোলপাড় রাজ্য। ঘুম ছুটেছে পুলিশ প্রশাসনের। সেই সময় দুবরাজপুরের (Birbhum) পদুমা গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘোড়াপাড়া গ্রামে শেখ সফিকের বাড়িতে বিস্ফোরণ হয়। শতাধিক তাজা বোমা মজুত ছিল চিলেকোঠার সিঁড়ি ঘরে। এই সফিক এলাকায় তৃণমূল কর্মী হিসাবে পরিচিত। বিস্ফোরণের তীব্রতায় ভেঙে পড়েছে তাঁর বাড়ির কংক্রিটের দেওয়াল। বিকট শব্দে প্রতিবেশী এক শিশু জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছিল। রীতিমতো আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিল গ্রামবাসীরা।

    বিস্ফোরণের পর পুলিশের ভূমিকা

    বিস্ফোরণের ঘটনায় তদন্তে নামে দুবরাজপুর থানার পুলিশ। আরও বোমা মজুত রয়েছে কিনা, খতিয়ে দেখার জন্য খবর দেওয়া হয় সিআইডি বোম্ব স্কোয়াডকে। বোলপুর (Birbhum) থেকে বোম্ব স্কোয়াডের প্রতিনিধিরা গিয়ে এদিন ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালায়৷ কংক্রিটের ভগ্নপ্রায় বাড়ির চারপাশে চলে তল্লাশি অভিযান। যদিও, কোনও তাজা বোমা মেলেনি। সবকটিই বিস্ফোরণ হয়ে গিয়েছে বলে খবর। তবে বিস্ফোরণ স্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়। অন্যদিকে, বোলপুর থানার যজ্ঞনগর গ্রামে একটি ঝোপ থেকে তাজা বোমা উদ্ধার করে পুলিশ। বোলপুরের এসডিপিও নিখিল আগরওয়াল ও আইসি সুমন্ত বিশ্বাসের নেতৃত্বে যজ্ঞনগর গ্রামে চলেছিল এই বিশেষ পুলিশি অভিযান। তবে এলাকার মানুষের অভিযোগ, পুলিশ আগে থেকে আরও তৎপর হলে বিস্ফোরণ এড়ানো যেত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share