Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Bankura: সোনামুখীতে বিদ্যুৎ দফতরে তাণ্ডব! ভাঙচুর গাড়ি, কর্মীদের হেনস্থা, কেন জানেন?

    Bankura: সোনামুখীতে বিদ্যুৎ দফতরে তাণ্ডব! ভাঙচুর গাড়ি, কর্মীদের হেনস্থা, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাঁকুড়ার (Bankura) সোনামুখি শহরের বিদ্যুৎ বন্টন দফতরে চড়াও হয়ে ব্যাপক ভাঙচুর চালাল উত্তেজিত জনতা। বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীদের উপরও চড়াও হয়। যা নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। বিদ্যুৎ দফতরের অফিসে ঢুকে তাণ্ডব চালানো হয়। শুধু অফিসে নয়, ভাঙচুর করা হয় গাড়িও। মাঝ রাতে আচমকা এই হামলার ঘটনায় দফতরের ঠিকা কর্মীরা রীতিমতো আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    ১৯ মে থেকে দফায় দফায় বিদ্যুৎ বিভ্রাটের ফলে ক্ষোভে ফুঁসছিলেন বাঁকুড়ার (Bankura) সোনামুখীসহ আশপাশের এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা। ২১ মে রাত সাড়ে এগারোটা থেকে এলাকায় বিদ্যুৎ চলে যায়। প্রচণ্ড গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা। ফলে, কয়েকদিন ধরে এলাকার মানুষের ক্ষোভ ছিল। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার সময় বিদ্যুৎ না থাকায় এলাকার মানুষ তা মেনে নিতে পারেননি। সকলেই জোটবদ্ধ হয়ে দল বেঁধে হানা দেন সোনামুখি বিদ্যুৎ দফতরে। তখন রাত ১২ টা। সেই সময় অফিসে কোনও কর্মী ছিলেন না। বাইরে অপেক্ষা করতে থাকেন উত্তেজিত জনতা। প্রায় রাত দেড়টা নাগাদ বিদ্যুৎ দফতরের ঠিকা শ্রমিকরা কাজ সেরে অফিসে ফিরে আসেন। উত্তেজিত জনতা সেখানে অপেক্ষা করছিলেন। ঠিকা কর্মীরা আসতেই লোডশেডিং নিয়ে বচসা বাধে। বচসার মধ্যেই বিদ্যুৎ কর্মীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। কয়েকজন উত্তেজিত জনতা অফিসে ঢুকে ভাঙচুর শুরু করেন। দফতরের একটি গাড়িও ভাঙচুর করা হয়। ভেঙে ফেলা হয় অফিসের দরজার কাচ, কিছু আসবাবপত্র। খবর পেয়ে সোনামুখি থানা থেকে পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়। এরপর রবিবার ভোররাতে প্রায় সাড়ে তিনটে নাগাদ এলাকায় বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক হয়।

    কী বললেন বিদ্যুৎ দফতরের আধিকারিক?

    বিদ্যুৎ দফতরের বিষ্ণুপুর ডিভিশানাল ম্যানেজার অর্ক মুসিব বলেন, ওইদিন কালবৈশাখীর ফলে বেলিয়াতোড় এলাকায় গাছের ডাল ভেঙে পড়ায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট হয়। প্রায় ২৮ কিলোমিটার দীর্ঘ লাইনে এই বিভ্রাট হয়েছে, তা চিহ্নিত করতে প্রচুর সময় লেগে যায়। অবশেষে বিদ্যুৎ কর্মীদের লাগাতার চেষ্টায় ভোর সাড়ে ৩টে নাগাদ বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক করা হয়। তার আগে কিছু লোক সোনামুখী অফিসে ঢুকে ভাঙচুর চালায়। প্রচুর সরকারি সম্পত্তি এভাবে নষ্ট করে। পুরো বিষয়টি দেখার জন্য পুলিশকে জানানো হয়েছে। পরিষেবা স্বাভাবিক রাখার জন্য সব রকম চেষ্টা করা হচ্ছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Teacher: সাড়ে ১৭ কেজি বাজি রেখে এবার গ্রেফতার শিক্ষক! শোরগোল রাজনৈতিক মহলেও

    Teacher: সাড়ে ১৭ কেজি বাজি রেখে এবার গ্রেফতার শিক্ষক! শোরগোল রাজনৈতিক মহলেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার বাজি সহ গ্রেফতার হলেন এক শিক্ষক (Teacher)! ১৭ কেজি ৫০০ গ্রাম বাজি রাখার অপরাধেই সোমবার রাতে গ্রেফতার করা হয়েছে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ওই শিক্ষককে। জানা গেছে, সোমবার গোপন সূত্রে খবর পেয়ে কৃষ্ণগঞ্জ থানার পুলিশ মাজদিয়ায় প্রশান্ত অধিকারীর দোকানে হানা দেয়। উদ্ধার হয় ১৭ কেজি ৫০০ গ্রাম বাজি। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ওই শিক্ষকের নাম প্রশান্ত অধিকারী। রাজনৈতিক মহলে শিক্ষক (Teacher) গ্রেফতার হওয়ায় শোরগোল পড়ে যায়। 

    কে এই শিক্ষক (Teacher)? কী তাঁর রাজনৈতিক পরিচয়?

    কান পাতলে শোনা যায়, মাঝদিয়ার সুধীর রঞ্জন লাহিড়ী মহাবিদ্যালয়ের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ২০০৯ সালের জিএস ছিলেন এই প্রশান্ত অধিকারী (Teacher)। এ ব্যাপারে কৃষ্ণগঞ্জ ব্লক তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি শুভদীপ সরকার ক্যামেরার সামনে সেকথা স্বীকারও করে নেন। পাশাপাশি তিনি বলেন, এখন তিনি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত না হলেও তাঁকে বিজেপির সমর্থক হিসেবে দেখা যায়। পাশাপাশি তিনি বলেন, প্রশান্তবাবু (Teacher) স্বতঃস্ফূর্তভাবে কোনও রাজনৈতিক দল করেন না। যুব সভাপতির দু’রকম মন্তব্যে শাসক দলের কপালে চিন্তার ভাঁজ। তবে কি বাজির আড়ালে অন্য কিছু লুকিয়ে রাখার চেষ্টা করছেন তৃণমূল নেতারা? প্রশ্ন অনেক, কিন্তু উত্তর অজানা। মঙ্গলবার অভিযুক্ত শিক্ষক তথা তৃণমূলের প্রাক্তন জিএসকে আদালতে পাঠায় কৃষ্ণগঞ্জ থানার পুলিশ।

    বর্ধমান শহরের ভরা বাজারেও নিষিদ্ধ বাজি?

    অন্যদিকে, এগরা, বজবজে বাজি কাণ্ডের পর তৎপর হল পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশও। বর্ধমান শহর থেকে উদ্ধার হল বিপুল পরিমাণে নিষিদ্ধ বাজি। বর্ধমান শহরের তেঁতুলতলা বাজার এলাকায় রয়েছে প্রচুর ছোট-বড় মুদি-স্টেশনারি দোকান। সঙ্গে রয়েছে বাজির দোকানও। মঙ্গলবার দুপুরে হঠাৎ জেলা পুলিশ ও বর্ধমান থানার পুলিশের বিশাল বাহিনী যৌথভাবে অভিযান চালায় এলাকায়। কয়েকটি দোকানে অভিযান চললেও একটি দোকান থেকে পাওয়া যায় প্রচুর বাজি। সেখান থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয় কয়েক কুইন্টাল নিষিদ্ধ বাজি, পুলিশ সূত্রে এমনটাই খবর। এর বাজারমূল্য লক্ষাধিক টাকা। বাজেয়াপ্ত করা বাজি দুটি গাড়ি ভর্তি করে নিয়ে যায় পুলিশ। যেহেতু তেঁতুলতলা একটি বাজার এলাকা, তাই এত পরিমাণ বাজি উদ্ধারে বর্ধমান শহরজুড়ে ছড়িয়েছে আতঙ্ক। অভিযানের নেতৃত্বে থাকা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কল্যাণ সিংহরায় বলেন, বেআইনি বাজি মজুত হচ্ছে কি না, দেখতে অভিযানে নামা হয়েছে। এই অভিযানের ফলে প্রচুর পরিমাণে বেআইনি  বাজি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এই ধরনের বাজি মজুত রাখার জন্য যথাযথ কোনও কাগজ দেখাতে না পারায় একজন বিক্রেতাকে আটক করা হয়েছে। এছাড়া জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে জেলা জুড়ে বাজি নিয়ে অভিযান  চলবে বলেও তিনি জানিয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dilip Ghosh: ‘‘৩৬ বছরেই এত দুর্নীতি, ৭২-এ কী হবে’’! অভিষেককে কটাক্ষ দিলীপের

    Dilip Ghosh: ‘‘৩৬ বছরেই এত দুর্নীতি, ৭২-এ কী হবে’’! অভিষেককে কটাক্ষ দিলীপের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতিদিনের মতোই মঙ্গলবার সকালে নিউটাউনের ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণে আসেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। সেখানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে, তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee) কটাক্ষ করলেন দিলীপ। তিনি বলেন, “৩৬ বছরেই যদি কেউ এতো দুর্নীতি করে, ৭২ এ গিয়ে কি করবে? মোদি ৫০ বছর ধরে সামাজিক ও রাজনৈতিক জীবনে আছেন। তাঁকে যারা কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করেছিল, তারাই আজ নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। উনি যেন ভুলে না যান, মোদি-শাহ কে ফাঁসাতে কেস গুজরাট থেকে তুলে মুম্বই নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তাঁরা সেখানেও গেছেন। কেউ রাস্তা অবরোধ করেনি। কেউ কোর্টের বিরুদ্ধে যায়নি। কেউ সরকারকে গালাগাল দেয়নি। আগুনের থেকে সোনা যেমন চকচকে হয়ে বেরিয়ে আসে, সেরকম কোর্টে নির্দোষ প্রমাণ হয়ে বেরিয়ে এসেছেন তাঁরা।”

    অভিষেককে নিশানা

    গতকালই সিবিআই জেরার বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন অভিষেক। এই বিষয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, “এদিকে বলছে আমাকে ফাঁসি দিয়ে দিন। এদিকে রক্ষাকবচ চাইতে সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছে। এই বেঞ্চ থেকে ওই বেঞ্চ ঘুরে বেড়াচ্ছেন। আদালতের সময়, সরকারি পয়সা অপচয় করছেন। তাকে ২৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। চাট্টিখানি কথা নয়। এই চালাকি সবাই বোঝে। একাধিক নেতা আগে এই চেষ্টা করেছেন। এই কোর্ট সেই কোর্ট ঘুরে তারা ভিতরে গিয়েছেন। অপেক্ষা করুন। কাজ চলছে।”

    নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে তোপ

    নিয়োগ দুর্নীতি নিয়েও এদিন মুখ খোলেন দিলীপ ঘোষ। বলেন, “আমি গোড়া থেকেই বলছি, প্রতিটি ক্ষেত্রে নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে। সব তদন্ত হওয়া উচিৎ। সব জায়গায় দুর্নীতি পাওয়া যাবে। কোনও মামলায় ছাড় পাবেন না। যতই দৌড়াদৌড়ি করুন, সবাইকে জেলে যেতে হবে।”

    কেজরিওয়াল-মমতা বৈঠক

    অন্যদিকে লোকসভা ভোটের আগে আজ কেজরিওয়াল-মমতা (Mamata Banerjee) বৈঠক প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, “গতবারও একই হয়েছিল। মোদির সামনে কে যাবেন? কেউ যেতে সাহস পাচ্ছেন না। তাই একটা মুরগি খোঁজা হচ্ছে। গতবার মমতা লাফালাফি করেছিলেন। সবাইকে মাছ ভাত খাইয়েছিলেন। তারপর তো ওনার ১২টা সিট কমে গিয়েছিল। তাই উনি এবার রাজি হচ্ছেন না। একটু হাওয়া দিলেই উনি অনেক সময় রাজি হয়ে যান। তাই একেক জন এসে হাওয়া দিচ্ছে। বলছে, দিদি আপনি রাজি হয়ে যান। ওনাকে আসরে নামানোর চেষ্টা চলছে। কেবল ওনাকে রাজি করাতে একেক সময়ে একেক জন কলকাতায় আসছে। কিন্তু মোদির সামনে গেলে হাওয়া খারাপ হয়ে যাবে তা উনি জেনে গিয়েছেন।”

    আরও পড়ুন: পথ অবরোধ তোলাকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্র, পুলিশের লাঠিচার্জ, সরব বিজেপি

    রাজ্যের সাম্প্রতিক পরিবেশ নিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, “রাজ্যে নতুন কোনও শিল্প নেই। বোমা বন্দুকই এখানকার শিল্প। যেকোনও নেতার বাড়িতে বোমা ও মশলা পেয়ে যাবেন। এই লোকগুলো সব সমাজবিরোধী। পার্টির টিকিটে নেতা হয়েছে। অভ্যাস যায়নি। এরাই তৃণমূল কংগ্রেসকে টিকিয়ে রেখেছে। মানুষ যোগ্য জবাব দেবে।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Dilip Ghosh: ‘‘একটা মুরগি খোঁজা হচ্ছে’’, মমতা-কেজরির বৈঠককে কটাক্ষ দিলীপের

    Dilip Ghosh: ‘‘একটা মুরগি খোঁজা হচ্ছে’’, মমতা-কেজরির বৈঠককে কটাক্ষ দিলীপের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “একটা মুরগি খোঁজা হচ্ছে।” তৃণমূল (TMC) সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সঙ্গে আপ (AAP) নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়ালের প্রস্তাবিত বৈঠককে এভাবেই ব্যাখ্যা করলেন বিজেপির (BJP) সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি তথা মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। মঙ্গলবার দুপুরে মমতা-কেজরি বৈঠক হওয়ার কথা।

    দিলীপের (Dilip Ghosh) নিশানায় মমতা

    এদিন নিউটাউনের ইকোপার্কে প্রাতর্ভ্রমণে এসে দিলীপ বলেন, “গতবারও একই ঘটনা ঘটেছিল। মোদির সামনে কে যাবেন? কেউ যেতে সাহস পাচ্ছেন না। তাই একটা মুরগি খোঁজা হচ্ছে।” তিনি বলেন, “গতবার মমতা লাফালাফি করেছিলেন। সবাইকে মাছ-ভাত খাইয়েছিলেন। তারপর তো ওঁর ১২টি সিট কমে গিয়েছিল। তাই আর উনি এবার রাজি হচ্ছেন না। একটু হাওয়া দিলেই অনেক সময় উনি রাজি হয়ে যান। তাই এক একজন এসে হাওয়া দিচ্ছে। বলছে, দিদি, আপনি রাজি হয়ে যান। ওঁকে আসরে নামানোর চেষ্টা চলছে। কেবল ওঁকে রাজি করাতে এক এক সময় এক একজন কলকাতায় আসছেন। কিন্তু উনি জেনে গিয়েছেন, মোদির সামনে গেলে হাওয়া খারাপ হয়ে যাবে।”

    দিলীপের (Dilip Ghosh) নিশানায় অভিষেক

    এদিন তৃণমূল নেত্রীর ভাইপো তথা ঘাসফুল শিবিরের নম্বর টু নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও নিশানা করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি। তিনি (Dilip Ghosh) বলেন, “এদিকে বলছে আমাকে ফাঁসি দিয়ে দিন। এদিকে রক্ষাকবচ চাইতে সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছেন। এ বেঞ্চ থেকে ও বেঞ্চ ঘুরে বেড়াচ্ছেন। আদালতের সময় নষ্ট করছেন। সরকারি পয়সা অপচয় করছেন। তাঁকে ২৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। চাট্টিখানি কথা নয়। এই চালাকি সবাই বোঝে। একাধিক নেতা আগেও এই চেষ্টা করেছেন। এ কোর্ট সে কোর্ট ঘুরে তাঁরা ভিতরে গিয়েছেন। অপেক্ষা করুন। কাজ চলছে।”

    আরও পড়ুুন: ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ দেখতে গিয়ে সঙ্গীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ হিন্দু যুবতীর

    বর্তমানে বাঁকুড়ায় তৃণমূলের নব জোয়ার কর্মসূচিতে ব্যস্ত রয়েছেন অভিষেক। সেখানকারই এক সভায় মোদির বয়স তুলে আক্রমণ শানিয়েছিলেন অভিষেক। এদিন সে প্রসঙ্গে দিলীপ (Dilip Ghosh) বলেন, “৩৬ বছরেই কেউ যদি এত দুর্নীতি করে, ৭২ এ গিয়ে কী করবে?  মোদি ৫০ বছর ধরে সামাজিক ও রাজনৈতিক জীবনে রয়েছেন। তাঁকে যারা কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করেছিল, তারাই আজ নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে। উনি যেন ভুলে না যান, মোদি-শাহকে ফাঁসাতে কেস গুজরাট থেকে তুলে মুম্বই নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তাঁরা সেখানেও গিয়েছেন। কেউ রাস্তা অবরোধ করেনি। কেউ কোর্টের বিরুদ্ধে যায়নি। কেউ সরকারকে গালাগাল দেয়নি। আমরা আগুনের থেকে সোনা চকচকে হয়ে বেরিয়ে আসার মতো কোর্টে নির্দোষ প্রমাণিত হয়ে বেরিয়ে এসেছি।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mayna: বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়া খুনের অভিযুক্তরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে! পুলিশের গাড়ি আটকে বিক্ষোভ

    Mayna: বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়া খুনের অভিযুক্তরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে! পুলিশের গাড়ি আটকে বিক্ষোভ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ময়নার (Mayna) বাকচা অঞ্চলের বুথ সভাপতি বিজয় কৃষ্ণ ভুঁইয়াকে খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে সোমবার পুলিশের গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখালেন বিজেপির নেতাকর্মীরা। তাদের দাবি ছিল, অভিযোগপত্রে ৩৪ জনের নাম রয়েছে। কিন্তু তাদের অনেকেই আগ্নেয়াস্ত্র হাতে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। পুলিশ গ্রেফতার করছে না। পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছে বিজেপি সহ পরিবারের লোকজনও। বিজেপির পক্ষ থেকে বেশ কিছু ছবি সামনে আনা হয়েছে। তাদের অভিযোগ, যেখানে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে তৃণমূলের নেতৃত্ব অভিযুক্ত বেশ কয়েকজনকে নিয়ে মিটিং করছে। কিন্তু পুলিশ তাদের গ্রেফতার করছে না। এই ব্যাপারে বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলার সহ-সভাপতি আশিষ মণ্ডল আগামী দিনে বৃহত্তর আন্দোলনেরও হুমকি দিয়েছেন। 

    কী অভিযোগ করলেন বিজেপির জেলা নেতা (Mayna)?

    বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি আশিষ মণ্ডল বলেন, আপনারা সকলেই জানেন, ময়নার (Mayna) বাকচা অঞ্চলে বুথ সভাপতি বিজয় কৃষ্ণ ভুঁইয়াকে খুন করা হয়েছিল। সেখানে ৩৪ জন আসামির নাম দেওয়া হয়েছে। টিমটা ছিল ৫০ জনের মতো। তা সত্ত্বেও পুলিশ এখনও পর্যন্ত মাত্র ৮ জনকে গ্রেফতার করেছে। সন্ধ্যার পর পর্যন্ত ওখানকার তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি মনোরঞ্জন হাজরার নেতৃত্বে দুধকুমার হাজরা, শশাঙ্ক মাজি, সুশান্ত মাল, আশুতোষ দাস, পঙ্কজ ভুঁইয়া সহ প্রায় ২০ জনের একটা টিম পুরো বাকচা মাতিয়ে বেড়িয়েছে। তাদের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র ছিল, বোমা ছিল, বন্দুক ছিল। তারা ধরে ধরে মানুষকে হুমকি দিয়েছে। তারা নানা জায়গা ঘুরে অঞ্চল অফিসের পাশে ফুটবল মাঠে গিয়ে জমা হয় এবং সেখান থেকে ফোন করে করে মানুষকে হুমকি দেয়। বিজেপির কয়েকজনকেও তারা হুমকি দিয়েছে। প্রকাশ্যে তারা এইভাবে এলাকাকে অশান্ত করার চেষ্টা করছে। আমরা পুলিশকে বারবার বলেছি, যারা এই খুনের সঙ্গে জড়িত, তাদের অবিলম্বে গ্রেফতার করুন। আমরা আশঙ্কা প্রকাশ করছি, ফের না কোনও ক্ষতি হয়ে যায়। ৩৪ জন প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে, অথচ তাদের গ্রেফতার করা যাচ্ছে না? আসলে পুলিশ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবেই তাদের গ্রেফতার করছে না। সেই কারণেই পুলিশের গাড়ি আটকে বিক্ষোভ হয়েছে। দাবি না মানা হলে বৃহত্তর আন্দোলনের পথে যেতে বাধ্য হব আমরা। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Arambagh: পথ অবরোধ তোলাকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্র, পুলিশের লাঠিচার্জ, সরব বিজেপি

    Arambagh: পথ অবরোধ তোলাকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্র, পুলিশের লাঠিচার্জ, সরব বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পথ অবরোধ তুলতে যাওয়াকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় আরামবাগের (Arambagh) পুরশুড়ার সোদপুর এলাকা। গাছের গুঁড়ি ফেলে পথ অবরোধ তুলতে গেলে অবরোধকারীদের সঙ্গে পুলিশের বচসা হয়। অবরোধ তুলতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে বলে অভিযোগ। এই ঘটনার জেরে সকাল থেকেই পুরশুড়ার সোদপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    জানা গেছে, সোমবার স্থানীয় সোদপুর এলাকায় একটি পুজোয় মাইক বাজানোকে কেন্দ্র করে পুরশুড়া থানার পুলিশ রাতে ওই এলাকায় হানা দিয়ে ডিজে মাইক সেটগুলি আটক করে নিয়ে যায়। এরই প্রতিবাদে মঙ্গলবার সকালে আরামবাগ (Arambagh) -কলকাতা রাজ্য সড়ক পুরশুড়ার সোদপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায়  রাস্তার উপর কাঠের গুঁড়ি ফেলে পথ অবরোধ করে স্থানীয় বাসিন্দারা। অবরোধকারীদের বক্তব্য, “নিয়ম মেনেই মাইক বাজানো হচ্ছিল। পুলিশ কোনও কারণ ছাড়াই মাইক সেট তুলে নিয়ে যায়। তাই আমরা রাস্তায় নেমে অবরোধ করেছিলাম”। এদিকে অবরোধের জেরে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হলে অবশেষে পুরশুড়া থানার পুলিশ লাঠিচার্জ করে অবরোধকারীদের এলাকা থেকে হঠিয়ে দেয়।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    এই বিষয়ে বিজেপির আরামবাগ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সুশান্ত বেড়া বলেন, “আরামবাগ মহকুমা জুড়ে বিভিন্ন এলাকায় পূজা পার্বণ চলছে। যদি এমন কিছু সরকারি নির্দেশ বা আইন থাকে তাহলে সমস্ত পুজো কমিটিগুলোকে সেই নোটিশ দেওয়া উচিত। কিছুদিন আগে পাশের এলাকাতে আরো একটি পুজো হয়েছিল, একইভাবে সেখানে বক্স বাজানো হচ্ছিল। কিন্তু সে ক্ষেত্রে পুলিশ প্রশাসন কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। এক্ষেত্রে ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে, পুজো কমিটির লোকজন বিষয়টি নিয়ে থানায় জানতে গেলে অন্য মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয় তাদের। এর প্রতিবাদেই এলাকাবাসী রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানান। সেখানে পুলিশ নির্বিচারে লাঠিচার্জ করে। সম্পূর্ণ নিন্দনীয় ঘটনা”।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    এ বিষয়ে যদিও আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি স্বপন নন্দী বলেন, “পুলিশ প্রশাসন নিয়ম মেনেই কাজকর্ম করছে। বিষয়টি আইনি ব্যাপার। ওটা পুলিশ প্রশাসন বুঝবে। এ বিষয়ে আমার কোনও মতামত নেই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Fire Crackers: বিস্ফোরণের পর টনক নড়ল, ফের উদ্ধার বিপুল পরিমাণ বাজি

    Fire Crackers: বিস্ফোরণের পর টনক নড়ল, ফের উদ্ধার বিপুল পরিমাণ বাজি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এগরা, বজবজে ভয়াবহ বিস্ফোরণকাণ্ডের পর টনক নড়ল পুলিশের। জেলায় জেলায় শুরু হল পুলিশি অভিযান। আর সেই অভিযানে নেমে নদিয়ার কৃষ্ণনগর এবং উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুর এলাকা থেকে বিপুল পরিমাণে বাজি (Fire Crackers) বাজেয়াপ্ত করল পুলিশ। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, একের পর এক বিস্ফোরণ না হলে এত বাজি মজুত রয়েছে তা জানা যেত না।

    দত্তপুকুর এলাকা থেকে কত বাজি (Fire Crackers) বাজেয়াপ্ত করল পুলিশ?

    সোমবার দত্তপুকুর থানার নীলগঞ্জের ইছাপুর পঞ্চায়েতের কাঠুরিয়া এলাকায় ইবাদত মণ্ডল নামে একজনের বাড়িতে প্রচুর বাজি (Fire Crackers) মজুত ছিল। বিষয়টি জানার পরই দত্তপুকুর থানার পুলিশ অভিযান চালায়। প্রচুর বাজি সেখান থেকে পুলিশ বাজেয়াপ্ত করে। ইবাদতের খোঁজ মেলেনি। তবে, জাকির হোসেন নামে একজনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। সব মিলিয়ে উদ্ধার হওয়া বাজির পরিমাণ প্রায় ২০০ কুইন্টাল। এত পরিমাণ বাজি বাড়িতে কীভাবে মজুত ছিল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

    আরও পড়ুন: বজবজের পর মালদা! বাজির গুদামে বিস্ফোরণ, মৃত ২

    কৃষ্ণনগর থেকে বিপুল পরিমাণ বাজি (Fire Crackers) উদ্ধার করল পুলিশ

    নদিয়ার কৃষ্ণনগরের কোতোয়ালি থানার পুলিশ কালিনগরে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণে নিষিদ্ধ বাজি (Fire Crackers) উদ্ধার করল। কালিনগর এলাকার সাহা স্টোরের গোডাউন থেকে আনুমানিক ২৫ পেটি নিষিদ্ধ বাজি উদ্ধার করে। ২৫ পেটি বাজির আনুমানিক ওজন প্রায় আড়াই কুইন্টাল। স্টোরের মালিক অভিযুক্ত উত্তমকুমার সাহা ঘটনার পর থেকে পলাতক। নিষিদ্ধ বাজি উদ্ধারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। বিপুল পরিমাণে নিষিদ্ধ বাজি উদ্ধার করে জলে ভিজিয়ে নিষ্ক্রিয় করে কোতোয়ালি থানার পুলিশ। কিছুদিন আগেই রাজ্যের এগরা সহ একাধিক জায়গায় বিস্ফোরণের মতো ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে মানুষ। কালিনগরে বিপুল পরিমাণে নিষিদ্ধ বাজি উদ্ধারের ঘটনায় একপ্রকার ভয়ের বাতাবরণ সৃষ্টি হয়েছে এলাকায়। তবে, কীভাবে বিপুল পরিমাণ নিষিদ্ধ বাজি (Fire Crackers) জমায়েত করা হয়েছিল এবং এই ঘটনার সঙ্গে কারা কারা যুক্ত রয়েছে তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে কৃষ্ণনগর কোতোয়ালি থানার পুলিশ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “১০০ চাকরি বিক্রি করেছেন চুঁচুড়ার তৃণমূল বিধায়ক অসিত”, দাবি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “১০০ চাকরি বিক্রি করেছেন চুঁচুড়ার তৃণমূল বিধায়ক অসিত”, দাবি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে তোলপাড় রাজ্য। এবার অভিযোগের তির চুঁচুড়ার তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদারের দিকে। হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের পর এবার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও (Suvendu Adhikari) তোপ দাগলেন অসিতের বিরুদ্ধে। শুভেন্দুর অভিযোগ, বর্ধমানে ১০০ চাকরি বিক্রি করেছেন বিধায়ক অসিত। 

    শুভেন্দুর দাবি

    সোমবার চুঁচুড়ার ঘড়ির মোড়ে বিজেপির প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। দুর্নীতি ইস্যুতে তিনি এদিন এক হাত নেন তৃণমূলকে। এর আগে হুগলিতে কখনও উত্তরপাড়ার চেয়ারম্যান দিলীপ যাদব, কখনও গোঘাটের প্রাক্তন বিধায়ককে নিশানা করেছেন শুভেন্দু। আর এবার সরাসরি দুর্নীতি ইস্যুতে বিঁধলেন চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদারকে। সভার আগে বিরোধী দলনেতাকে হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছিলেন অসিত। জানিয়েছিলেন, তৃণমূল কংগ্রেসকে চোর বলা যাবে না। করা যাবে না ব্যক্তিগত কুৎসাও। কিন্তু, শাসক দলের হুঁশিয়ারিকে তোয়াক্কা না করে শুভেন্দু এদিন সরাসরি বলেন, “চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার চাকরি বিক্রির সঙ্গে যুক্ত।” বিরোধী দলনেতার দাবি, কম করে ১০০ চাকরি বিক্রি করেছেন অসিত। তবে হুগলিতে নয় সে সমস্ত চাকরি বর্ধমানে বিক্রি হয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি। একইসঙ্গে তিনি চুঁচুড়া পুরসভায় নিয়োগের ক্ষেত্রেও দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন। শুভেন্দু বলেন, “হুগলিতে কুন্তল, শান্তনু, অয়নকে দিয়ে সবে শুরু। দরজা খোলা হয়েছে। আগামীতে আরও তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীরা হাজতে যাবেন।”

    মমতাকে আক্রমণ

    কিছুদিন আগে ধনিয়াখালিতে দুর্গার হাতের ত্রিশূল খুলে সেখানে তৃণমূলের পতাকা ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। সেই ঘটনার প্রতিবাদে এদিন সভা করে বিজেপি। প্রথম থেকে আক্রমণাত্মক ছিলেন বিরোধী দলনেতা। অসিতকে নিশানা করে তিনি বলেন, “কী বিরাট নেতা হয়ে গেছে! এটাও চাকরি বিক্রি করে হয়েছে। নিজের এলাকায় নয়, ১০০ বেশি চাকরি বেচেছে বর্ধমানে। আমার কাছে তালিকা আছে। গতকাল জ্ঞান দিয়েছে ভদ্র কথা বললে ভদ্র হবে, অভদ্র কথা বললে অভদ্র হবে। আবার বললাম পিসি চোর ভাইপো চোর সঙ্গে আপনিও চোর। আপনি কর্মচারী, আপনার মালিক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমি হারিয়েছি। আপনারা যদি থাকেন মমতাকে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী করে তবে ছাড়ব।” 

    আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় পুকুরচুরি! ‘প্রমাণ’ দিলেন শুভেন্দু

    অভিষেককে নিশানা

    রাজ্যে একের পর এক বিস্ফোরণের ঘটনায় এদিন মুখ্যমন্ত্রী তথা পুলিশমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও নিশানা করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁর দাবি, একের পর এক বিস্ফোরণ থেকে স্পষ্ট যে রাজ্যে আইন-শৃঙ্খলা বলে আর কিছু নেই। একই সঙ্গে এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও নিশানা করেন শুভেন্দু। তাঁর কথায়, সব দুর্নীতির সঙ্গে অভিষেকের যোগ রয়েছে। তাঁর জ্ঞানত এই অপরাধ সংঘটিত হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malda Blast: বজবজের পর মালদা! বাজির গুদামে বিস্ফোরণ, মৃত ২

    Malda Blast: বজবজের পর মালদা! বাজির গুদামে বিস্ফোরণ, মৃত ২

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এগরা, বজবজের পর এবার মালদার ইংরেজ বাজারে বাজির গুদামে বিস্ফোরণ (Malda Blast) ঘটে। বিস্ফোরণ থেকে আগুন ছড়ায় পার্শ্ববর্তী বাজির দোকানে। মঙ্গলবার সকালে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় মালদার ইংরেজবাজারের নেতাজি মার্কেট এলাকায়। বিস্ফোরণে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম মঙ্গলু ঋষি (৪৫) ও গণেশ কর্মকার। দুজনেই পেশায় ভ্যানচালক।

    ঠিক কী করে বিস্ফোরণ (Malda Blast) ঘটে?

    মালদার ইংরেজবাজারের নেতাজি মার্কেট এলাকায় লাইন দিয়ে প্রচুর দোকান রয়েছে। সেখানে দুটি দোকানে বাজি মজুত করা ছিল। পাশাপাশি কয়েকটি দোকানে ডাঁই করে আম, লিচু মজুত ছিল। জামাইষষ্ঠীর আগে তা পাকানোর জন্য এদিন সকাল ছটা নাগাদ মার্কেটের সামনে দুটি গাড়িতে করে প্রচুর পরিমাণে কার্বাইড নিয়ে আসা হয়েছিল। সেখানেই কার্বাইড গাড়ি থেকে নামানোর সময় কোনওভাবে প্রথম বিস্ফোরণ ঘটে। আর তা থেকে মার্কেটে আগুন লেগে যায়। চারিদিক আগুন ও ধোঁয়ায় ছেয়ে যায়। এরপর আগুন ছড়িয়ে পড়ে মার্কেটের ভিতরে থাকা বাজির গুদামে। মুহূর্তের মধ্যে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। শুধু বাজির গুদামে নয়, আশপাশের দোকানে আগুন ধরে যায়। দাউ দাউ করে আগুন জ্বলতে থাকে। মার্কেটের মধ্যে একজন ভ্যান চালক ছিলেন। আগুনে ঝলসে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে দমকল ও বিশাল পুলিশ বাহিনী। দমকল কর্মীদের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগান ব্যবসায়ীরা। দমকলের ৮ টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে আগুন নেভানোর কাজ করে।

    কী বললেন ব্যবসায়ী সমিতির কর্মকর্তা?

    ব্যবসায়ী সমিতির অন্যতম সদস্য খোকন কুণ্ডু বলেন, প্রাথমিকভাবে কার্বাইড থেকে বিস্ফোরণ (Malda Blast) ঘটে। প্রচণ্ড গরমের কারণে হতে পারে। খবর পেয়ে আমরা ছুটে আসি। দেখি বাজারে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে। ভিতরে বেশ কয়েকটি দোকানে আগুন লেগে যায়। কয়েকটি দমকলের ইঞ্জিন একযোগে কাজ করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। বাজি মজুত থাকার কারণে আগুন ভয়াবহ আকার নেয়।

    কী বললেন পুরসভার চেয়ারম্যান?

    ঘটনার পর পরই ইংরেজবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরীও ঘটনাস্থলে যান। তিনি বলেন, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আমাদের কাছে পরিষ্কার নয়। দমকল কর্মীরা সমস্ত বিষয়টি দেখছে। দাহ্য পদার্থ থাকার কারণে বিস্ফোরণের পর আগুন আশপাশের দোকানে ছড়িয়ে পড়ে। পুরসভার পক্ষ থেকে আমরা সাহায্য করার চেষ্টা করছি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় পুকুরচুরি! ‘প্রমাণ’ দিলেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় পুকুরচুরি! ‘প্রমাণ’ দিলেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় সরকারের নানা প্রকল্পে এ রাজ্যে পুকুর চুরি হয়েছে বলে বারংবার অভিযোগ করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এবার ট্যুইট-বার্তায় তার ‘প্রমাণ’ দিলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় (PMYA) যে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে, তাও চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। দুর্নীতির নাগাল পেতে এ রাজ্যের সাত জেলায় তদন্ত করেছিল ন্যাশনাল লেভেল মনিটরিং টিম।

    চোখে আঙুল দিয়ে দেখালেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)

    এই টিমের সদস্য ছিলেন আইএএস মনোজ পন্থ এবং আইএএস পি উলগানাথন। এই টিমের রিপোর্টেই স্পষ্ট, আক্ষরিক অর্থেই পুকুর চুরি হয়েছে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায়। পূর্ব বর্ধমানে অবৈধভাবে দখল করা এক জমিতে গড়ে উঠেছে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ঘর। দেওয়ালে অবশ্য লেখা, বাংলা আবাস যোজনা। মুর্শিদাবাদে আবার প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় সুবিধাভোগীর সংখ্যা দেখানো হয়েছে ৫৩১ জন। দেখা গিয়েছে, এর মধ্যে যোগ্য মাত্রই ২৫ জন।

    আবাস প্লাস যোজনায় ঘর

    পূর্ব মেদিনীপুরে (Suvendu Adhikari) আবার চুরি হয়েছে অন্যভাবে। যাঁর পাকা বাড়ি রয়েছে, আবাস প্লাস যোজনায় ঘর পেয়েছেন তিনিও। সুবিধাভোগীর তালিকায় এমন অনেকেরই নাম রয়েছে, যাঁদের আদৌ ওই সুবিধা পাওয়ার কথা নয়। ৪ থেকে ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত সমীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, যোগ্য নন এমন সুবিধাভোগীর সংখ্যা এই জেলায় ১,৯৮০ জন। কিছু বাড়ির দেওয়ালে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা লেখা থাকলেও, অনেক ক্ষেত্রেই তা লেখা নেই।

    পশ্চিম মেদিনীপুরে আবার অন্য ছবি। এখানে ভেরিফিকেশন টিম যাঁদের নাম প্রস্তাব করেছে, তাদের এই সুবিধা পাওয়ার কথা নয়। আবাস যোজনায় যাঁরা বাড়ি পেয়েছেন, সেখানে এই প্রকল্প সম্পর্কে উচ্চবাচ্য করা হয়নি। কালিম্পংয়ের ছবিটাও প্রায় একই রকম। ন্যাশনাল লেভেল মনিটরিং টিমের আসার খবর পেয়েই লেখা হয়েছে দেওয়াল। দার্জিলিংয়েও প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছেন এমন অনেকে, যাঁদের তা পাওয়ার কথা নয়। প্রধানমন্ত্রী (Suvendu Adhikari) আবাস যোজনায় বাড়ি পেলেও, দেওয়াল থেকে উধাও হয়ে গিয়েছে লোগো। নদিয়ায়ও এমন অনেকেই প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় বাড়ি পেয়েছেন, যাঁদের পাকা বাড়ি রয়েছে। এখানেও অনেক সুবিধাভোগীর দেওয়ালেও লোগো কিংবা অন্য কোনও চিহ্ন নেই, যা দেখে মনে হয় প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার সুবিধা পেয়েছেন তিনি।

     

    আরও পড়ুুন: নিহত মৃত্যুঞ্জয়ের স্ত্রী ও বিজয়কৃষ্ণের ছেলেকে চাকরি দিলেন শুভেন্দু! কোথায় হল নিয়োগ?

LinkedIn
Share