Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Kalighater Kaku: “অভিষেককে ডেকে লাভ হবে না”, ‘কালীঘাটের কাকু’র মন্তব্যে রহস্যের গন্ধ

    Kalighater Kaku: “অভিষেককে ডেকে লাভ হবে না”, ‘কালীঘাটের কাকু’র মন্তব্যে রহস্যের গন্ধ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রশ্ন শুনেই মেজাজ হারালেন ‘কালীঘাট কাকু’ (Kalighater Kaku)। পাল্টা প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়ে বললেন, ‘আমার ২০০ কোটি আছে তো আপনার কি? শিল্পপতি মুকেশ আম্বানি, গৌত আদানিরও এত টাকা। তা নিয়ে তো কেউ কোনও কথা বলে না। শুধু আমার বেলাতেই কেন টাকার অঙ্ক নিয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে?’ শনিবার রুটিন স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য জোকার ইএসআই হাসপাতালে কালীঘাট কাকু অর্থাৎ সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে নিয়ে গিয়েছিল ইডি। সেখানেই তাঁকে সাংবাদিকরা বিভিন্ন প্রশ্ন করেন। তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, তাঁর ছ’টি সংস্থায় যে ২০-২২ কোটি টাকার বিনিয়োগের খবর পাওয়া যাচ্ছে তা কি সত্যি? তাতেই মেজাজ হারান কালীঘাট কাকু। 

    সংস্থায় বিনিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন

    ওই ছ’টি সংস্থায় নিয়োগ দুর্নীতির টাকা বিনিয়োগ হয়েছে কিনা জানতে চাওয়া হলে সুজয়কৃষ্ণভদ্র বলেন, ‘কোনও কিছু নেই। ২০০৮ সাল থেকে কাজ করছি। ইডিকে সব তথ্য দিয়েছি।’ উল্লেখ্য, গত ৩০ মে ইডি গ্রেফতার করে সুজয়কৃষ্ণকে। তার আগে তিনি দু’বার সিবিআই দফতরে হাজিরাও দিয়েছিলেন। তবে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারের প্রশ্নের সঠিক জবাব দিতে না পারার কারণেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। আপাতত তিনি হেফাজতে।

    অভিষেককে ডেকে লাভ নেই

    অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ইডির তলব নিয়েও মুখ খুলেছেন কালীঘাট কাকু। তিনি বলেছেন, ‘ডেকে কোনও লাভ হবে না।’ সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের এই মন্তব্য খুবই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছ। কারণ, তিনি অভিষেক বন্দ্যাপাধ্যায়ের কোম্পানিতেই কাজ করতেন। সেই যোগসূত্রও খতিয়ে দেখছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।

    আরও পড়ুুন: সিভিককে উর্দি পরিয়ে পুলিশ করার ছক রাজ্যের! বিস্ফোরক দাবি শুভেন্দুর

    এদিকে, সিভিক ভলিন্টিয়ার রাহুল বেরাকে গতকাল জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি। জেরায় নাকি বিষ্ণুপুরের ওই সিভিক ভলিন্টিয়ার বহু তথ্য উগরে দিয়েছেন বলে খবর। রাহুলের দেওয়া তথ্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, কালীঘাট কাকুর মোবাইলের যাবতীয় ডেটা ডিলিট করেছিলেন তিনি। এই প্রসঙ্গ টেনে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের কাছে জানতে চাওয়া হয়, রাহুল নাকি জেরায় অনেক কিছু বলেছেন গোয়েন্দাদের? কালীঘাট কাকুর জবাব, ‘যা ইচ্ছা বলুক।’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election 2023: প্রচার সংক্রান্ত বিধি-নিষেধ জারি, নিরাপত্তা নিশ্চিত করার নির্দেশ কমিশনের

    Panchayat Election 2023: প্রচার সংক্রান্ত বিধি-নিষেধ জারি, নিরাপত্তা নিশ্চিত করার নির্দেশ কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৮ জুলাই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election 2023)। শুক্রবারই শুরু হয়ে গিয়েছে মনোনয়নপত্র পেশ-পর্ব। এই আবহে শনিবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফে জারি করা হয়েছে একাধিক বিধি-নিষেধ। মিটিং-মিছিলের অনুমতি পেতে হলে রাজনৈতিক দলগুলিকে কী কী শর্ত মানতে হবে, পুলিশ কমিশনার ও পুলিশ সুপারদের সে সংক্রান্ত নির্দেশও পাঠানো হয়েছে।

    বিধির গেরো

    কমিশনের তরফে সাফ জানানো হয়েছে, মোটরবাইক ও সাইকেল মিছিল করা যাবে না। আপত্তিকর কোনও সামগ্রী নিয়ে শামিল হওয়া যাবে না সভা ও মিছিলে। একটি থানা এলাকায় কোনও একটি রাজনৈতিক দল বা তাদের প্রার্থী দিনে সর্বাধিক তিনটি সভা করতে পারবেন। কোনও এলাকায় সভা ও মিছিল করতে হলে অনুমতি চেয়ে অন্তত তিন দিন আগে আবেদন করতে হবে থানায়। আবেদনপত্র জমা দেওয়া যাবে সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টার মধ্যে। যে দল আগে আবেদন করবে, অগ্রাধিকার পাবে তারাই। এ সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য রেজিস্টারে নথিবদ্ধ করবেন ওসি। কেবল আবেদনপত্র জমা দিলেই হবে না, ওসির অনুমতি মিললে তবেই করা যাবে সভা ও মিছিল।

    ভার্চুয়াল বৈঠক

    এদিকে, শুক্রবার জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন নির্বাচন (Panchayat Election 2023) কমিশনার রাজীব সিনহা। সেখানে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, নিশ্চিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থা সুনিশ্চিত করতে হবে। বুথের ২০০ মিটারের মধ্যে বহিরাগতদের প্রবেশ ঠেকাতে হবে। এ ক্ষেত্রে কমিশন যে কোনও গাফিলতি বরদাস্ত করবে না, তাও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

    আরও পড়ুুন: সিভিককে উর্দি পরিয়ে পুলিশ করার ছক রাজ্যের! বিস্ফোরক দাবি শুভেন্দুর

    এক দফায় পঞ্চায়েত নির্বাচন হয়েছিল ২০১৮ সালেও। সেবার ঝরেছিল রক্ত। খোয়াতে হয়েছিল বহু প্রাণ। জেলায় জেলায় উঠে এসেছিল অশান্তির ছবি। সংবাদমাধ্যমে ভেসে উঠেছিল বুথ জ্যাম, ছাপ্পা ভোটের কাহিনি। শাসক দলের স্থানীয় নেতাদের দাদাগিরির ছবিও দেখা গিয়েছিল। আর দেখা গিয়েছিল, কীভাবে হচ্ছে ভোট চুরি। শাসক দলের (Panchayat Election 2023) নেতাদের দাপাদাপির কাছে বড্ড অসহায় দেখাচ্ছিল বিরোধী নেতাদের। পাঁচ বছর পর ফের হচ্ছে পঞ্চায়েত নির্বাচন। আবার হয়তো ঝরবে রক্ত। তাই কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে নির্বাচনের দাবিতে সোচ্চার বাম-বিজেপি-কংগ্রেস। কিন্তু শাসক দল তাতে রাজি হবে কি? প্রশ্ন সেটাই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • Birbhum: বীরভূমে মনোনয়ন জমা করতে গিয়ে আক্রান্ত বিজেপি, অভিযুক্ত তৃণমূল বিধায়ক

    Birbhum: বীরভূমে মনোনয়ন জমা করতে গিয়ে আক্রান্ত বিজেপি, অভিযুক্ত তৃণমূল বিধায়ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৯ই জুন থেকে ১৫ই জুন চলবে রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া। আর সেই মনোনয়ন করতে গিয়ে এবার আক্রান্ত হল বিজেপি। পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়ন জমা দিতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছে প্রায় ৭০ জন বিজেপি কর্মী। অভিযোগের তীর তৃণমূলের দিকে। ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের (Birbhum) লাভপুরে।

    কী ঘটেছে (Birbhum)  বীরভূমে

    জানা গিয়েছে, শনিবার গ্রাম পঞ্চায়েত এবং সমিতির মোট ৭০ জন বিজেপি কর্মী মনোনয়ন জমা দিতে যাচ্ছিলেন লাভপুরের (Birbhum) ব্লক অফিসে। লাভপুর বাস স্ট্যান্ডে বাস থেকে নেমে ব্লকের দিকে যাচ্ছিলেন তাঁরা, ঠিক এমন সময় ব্লক অফিসে ঢোকার আগেই পেট্রোল পাম্পের কাছে, প্রায় ৩০ টি মোটর বাইকে ৬০ জন দুষ্কৃতী হাতে মোটা লাঠি নিয়ে আচমকা মারধর শুরু করে। উল্লেখ্য ঘটনা স্থলের পাশেই পুলিশ দাঁড়িয়ে ছিল, কিন্তু পুলিশ ছিল কেবল দর্শকের ভূমিকায়। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বেধড়ক মারে লাভপুর ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপি কর্মী সোমনাথ মুখোপাধ্যায়ের ডান হাত এবং জামনা পঞ্চায়েতের মহাদেব মণ্ডলের বাঁ পা ভেঙে যায়। নির্বাচনে মনোনয়ন না করতে দিয়ে তৃণমূল কার্যত বিরোধী মতকে কণ্ঠরোধ করতে চায় বলে জানায় বিজেপি।

    কী অভিযোগ?

    স্থানীয় (Birbhum) বিজেপি নেতা বিশ্বজিৎ মণ্ডল বলেন, তৃণমূল বিধায়ক অভিজিৎ সিংহ এবং তৃণমূল নেতা মান্নান হোসেনের নেতৃত্বে তাণ্ডব চালানো হয়েছে। আহত বিজেপি কর্মীদের বোলপুর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 

    মনোনয়ন পত্র জমাকে ঘিরে বিরোধীদের অভিযোগ

    পঞ্চায়েত নির্বাচনকে ঘিরে জেলায় জেলায় উত্তেজনা শুরু হয়ে গেছে প্রথম দিন থেকেই। গতকাল নন্দীগ্রামের বিষ্ণুপুর ১ নম্বর ব্লকে বেশ কিছু বিজেপি প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা করতে পারেননি। প্রশাসনের পক্ষ থেকে গতকাল নির্বাচনের বিশেষ প্রস্তুতির কিছুই ছিল না বলে বিরোধীদের অভিযোগ ছিল। আজ মনোনয়নের দ্বিতীয় দিন শনিবার সকাল থেকেই ডোমকলে কংগ্রেস-সিপিএম প্রার্থীদের মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়াকে ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা শুরু হয়েছে। শাসক তৃণমূল, বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করতে এই মনোনয়নে বাধা বলে মনে করছেন রাজনীতিবিদদের একাংশ। রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচনে নিরাপত্তার বিষয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশন কী পদক্ষেপ নেয়, সেটাই এখন দেখার। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: সিভিককে উর্দি পরিয়ে পুলিশ করার ছক রাজ্যের! বিস্ফোরক দাবি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: সিভিককে উর্দি পরিয়ে পুলিশ করার ছক রাজ্যের! বিস্ফোরক দাবি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিভিক ভলান্টিয়ারদের পুলিশের পোশাক পরিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোট লুটের পরিকল্পনা করছে তৃণমূল সরকার। এমনই গুরুতর অভিযোগ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। পঞ্চায়েত ভোটে সিভিক ভলান্টিয়ারদের কাজে লাগাতে স্বরাষ্ট্র দফতরের পরিকল্পনা ফাঁস করলেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, তৃণমূল যেসব জায়গায় জমি হারিয়েছে সেই সব স্পর্শকাতর জেলায় প্রশাসন দ্বিমুখী কৌশল নিচ্ছে। ভোটের সময় বিরোধীদের উপর চাপ তৈরিতেই এই পদক্ষেপ। 

    শুভেন্দুর ট্যুইট

    ট্যুইটারে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) লিখেছেন, ‘সূত্র মারফৎ জানতে পেরেছি, রাজ্য স্বরাষ্ট্র দফতর সিভিক ভলিন্টিয়ারদের পুলিশের পোশাক পরিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনে কাজে লাগাতে চাইছে। আসলে যেখানে যেখানে তৃণমূল কংগ্রেস হারবে বুঝতে পারছে, সেখানে ওই সিভিক ভলিন্টিয়ারদের ব্যবহার করা হবে। যাতে সহজে ওরা ভোট লুঠ করতে পারে। আমার কাছে খবর রয়েছে, যে সব জেলা উত্তেজনা প্রবণ, যেমন জলপাইগুড়ি, পূর্ব মেদিনীপুর, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগণা, বীরভূমে সিভিক ভলিন্টিয়ারদের শিখণ্ডি করে ভোট লুঠের চেষ্টা করবে শাসক দল। তবে আমরা সেটা হতে দেব না। সব কিছুর উপর নজর রাখা হচেছ।’

    আরও পড়ুন: ‘মনোনয়নের সময়সীমা পর্যাপ্ত নয়, পুনর্বিবেচনা করা হোক’, পর্যবেক্ষণ হাইকোর্টের

    ইতিমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্ট পঞ্চায়েত মামলার শুনানিতে প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে পঞ্চায়েত নির্বাচনে সিভিক ভলান্টিয়ারদের ব্যবহার না করার পরামর্শ দিয়েছে। শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) দাবি, ‘একদিনে নির্বাচন পরিচালনা করতে দরকার বিপুল পুলিশ কর্মী। কিন্তু তা নেই রাজ্যে। তাই সেই অভাব ঢাকতেই ঘুর পথে হাইকোটের্র পর্যবেক্ষণকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে স্বরাষ্ট্র দফতর পুলিশের পোশাক পরিয়ে সিভিক ভলান্টিয়ারদের পঞ্চায়েত নির্বাচনে ব্যবহার করতে চাইছে। কিন্তু আমরা এত সহজে সেটা হতে দেব না। সিভিক ভলান্টিয়ারদের ডাটা বেস আমাদের কাছে রয়েছে। আমরা পুরো বিষয়টির উপর নজর রাখছি। যদি কোনও অন্যায় কাজ করা হয়, তাহলে ইটের বদলে পাটকেল পাবে রাজ্য সরকার। আমরা সব তথ্য সংগ্রহ করছি। প্রয়োজনে তা হাইকোর্টে জমা দেওয়া হবে।’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majundar: ‘‘সন্ধেবেলায় বললে সিরিয়াসলি নেবেন না’’! মদনকে তীব্র কটাক্ষ সুকান্তর, কিন্তু কেন?

    Sukanta Majundar: ‘‘সন্ধেবেলায় বললে সিরিয়াসলি নেবেন না’’! মদনকে তীব্র কটাক্ষ সুকান্তর, কিন্তু কেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য নির্বাচন কমিশনে আগের দিন দায়িত্ব পেয়েই পরের দিন পঞ্চায়েত ভোটের ঘোষণা, আর ঠিক তার পরের দিন থেকেই নমিনেশন। অন্যদিকে মনোনয়ন পত্র জমা দিতে গিয়ে রাজনৈতিক দলের কর্মীরা পাচ্ছেন না ফর্ম। বিডিও বলছেন, আমরা এখনো পুরোপুরি প্রস্তুত হতে পারেনি। তাই যদি হয়, তাহলে কেন এতো তাড়াতাড়ি ভোট ঘোষণা? প্রশ্ন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের।

    কোথায় বলেন বিজেপি (BJP) নেতা সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)?

    হুগলির পুরশুড়ার চিলাডিঙ্গি এলাকায় একটি জনসভায় বিজেপির রাজ্য সভাপতি যোগ দিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশন এবং তৃণমূল নেতাদের তীব্র সমালোচনা করেন। সেই সঙ্গে কিছু প্রশ্নও তোলেন তিনি। পাশাপাশি তিনি নাম না করে বলেন – শুধু মাত্র অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee) বাঁচানোর জন্য বিশেষ কৌশল! নাকি বিজেপির সভা বন্ধ করার জন্য এতো তাড়াতাড়ি করে পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘোষণা? সভা থেকে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে দলদাস বলে কটাক্ষ করেন, বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।

    সাংবাদিকদের প্রশ্ন উত্তরে কী বললেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)

    এইদিন হুগলির খানাকুলেও আরও একটি জনসভা করেন বিজেপির (BJP) এই নেতা। খানাকুলে বিজেপির এই জনসভায় সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। তিনি সরাসরি কিছু প্রশ্নের উত্তর দেন, যা রাজনৈতিক মহলে বেশ সরগরম করে দিয়েছে। প্রশ্ন-উত্তর গুলি হল,

    প্রশ্ন – মনোনয়নের পয়লা দিনেই বিরোধীশূন্য করার হুশিয়ারি মদন মিত্রের (Madan Mitra)।

    উত্তর – মদন দার বয়স হয়ে গেছে এখন, সন্ধ্যেবেলা বলেছেন না সকালে বলেছেন, সেটা আগে জানতে হবে, তার উপর নির্ভর করবে; সন্ধ্যাবেলা বললে সিরিয়াসলি নেবেন না।

    প্রশ্ন – মাঠে বিরোধী কোনও খেলোয়াড় নেই, তাই তিনি খেলতে পারবেন না, সেই কারণে মনমরা হয়ে যাচ্ছে, বলছেন মদন মিত্র।

    উত্তর – বাঁকুড়া সহ বিভিন্ন জেলাতে ডিসিয়ার তোলার জন্য সব থেকে ভীড় বিজেপি কর্মীদেরই ছিল।

    প্রশ্ন – টুকটাক অশান্তি না হলে হয়, আগে সিপিএমের আমলে বোমা ছিলো আর এখন আমাদের আমলেও আছে।

    উত্তর – আমরা তো সেটাই বলছি সিপিএম আর তৃণমূলের মধ্যে কোনও পার্থক্য নেই।

    প্রশ্ন – ১০০ শতাংশ ভোট না মেরে দিলে হয়? ইঙ্গিতে ছাপ্পা ভোটের কথাই বলা হচ্ছে।

    উত্তর – ওনার দল কী করতে পারে, উনি সেটা ভালো জানেন, যখন তাঁকে সামান্য মুখ খুলার পর বলতে হয়, যা করার আমার সাথেই করুক আমার পরিবারের প্রতি প্রতিহিংসা মূলক কাজ করবেন না। এর থেকেই প্রমাণ তৃণমূল প্রতিহিংসা পরায়ণ হয়ে কী কী করতে পারে!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election 2023: কেন্দ্রীয় বাহিনীতে না, অথচ পঞ্চায়েতে ভিন্ রাজ্যের পুলিশে আগ্রহ নবান্নর

    Panchayat Election 2023: কেন্দ্রীয় বাহিনীতে না, অথচ পঞ্চায়েতে ভিন্ রাজ্যের পুলিশে আগ্রহ নবান্নর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় বাহিনীতে অনীহা। যদিও পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election 2023) অন্য রাজ্যের সশস্ত্র পুলিশ আনতে রাজি নবান্ন (Nabanna)। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই অন্য কয়েকটি রাজ্যের কাছ থেকে সশস্ত্র পুলিশ চেয়েছে রাজ্য সরকার। এদিকে, আজ, শনিবার থেকে রাজ্য পুলিশের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। একমাত্র জরুরি কারণেই ছুটির আবেদন বিবেচনা করা হতে পারে বলে জানিয়ে দিয়েছে নবান্ন।

    কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি

    কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরেই সোচ্চার হয়েছেন বিরোধীরা। শুক্রবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনে গিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি জানিয়েছেন কংগ্রেস এবং সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের নেতারা। কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে নির্বাচন করানোর দাবিতে আদালতেও গিয়েছেন বিরোধীরা। তার পরেই জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় বাহিনীতে গররাজি হলেও, অন্য কয়েকটি রাজ্যের কাছে সশস্ত্র পুলিশ চেয়েছে রাজ্য সরকার।

    রাজ্যের বক্তব্য

    জানা গিয়েছে, রাজ্য নির্বাচন কমিশনার (Panchayat Election 2023) রাজীব সিংহের সঙ্গে বৈঠক করেছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী এবং রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্য। বৈঠকে রাজ্যের তরফে জানানো হয়েছে সব বুথে সশস্ত্র বাহিনী দেওয়ার প্রাথমিক পরিকল্পনা রয়েছে রাজ্যের। তবে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের প্রয়োজনীয়তা নেই। রাজ্যের তরফে এও বলা হয়েছে, প্রয়োজনে অন্য রাজ্য থেকে বাহিনী আনা হবে। পড়শি রাজ্য বিহার, ওড়িশা ও ঝাড়খণ্ড থেকে বাহিনী আনতে পারে রাজ্য সরকার।

    আরও পড়ুুন: পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিতে রাজ্যপালের দ্বারস্থ বঙ্গ বিজেপি

    পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election 2023) রাজ্যে মোট বুথের সংখ্যা ৬১ হাজার ৬৩৬টি। প্রতি বুথে ২ জন করে পুলিশ কর্মী মোতায়েন করলেও সব মিলিয়ে পুলিশ কর্মী প্রয়োজন ১ লক্ষ ২৩ হাজারের কিছু বেশি। সেক্ষেত্রে অন্তত ২০ হাজার অতিরিক্ত পুলিশ কর্মীর প্রয়োজন। এছাড়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, তল্লাশি, ফ্লাইং স্কোয়াড, মোবাইল নিরাপত্তা ইত্যাদি ক্ষেত্রেও পুলিশ কর্মীর প্রয়োজন। পুলিশ দরকার স্ট্রং-রুম রক্ষায়ও। তাই প্রয়োজন হয়তো আরও কিছুটা বাড়তে পারে। আবার সব থানা ফাঁকা করেও পুলিশ কর্মীদের ভোটের কাজে লাগানো যাবে না। সেই কারণেই বাইরে থেকে আনতে হবে বাহিনী। তা সত্ত্বেও কেন্দ্রীয় বাহিনীকে নির্বাচনের কাজে লাগাতে চাইছে না নবান্ন। তার বদলে পুলিশ কর্মী আনার চেষ্টা করছে ভিন রাজ্য থেকে।

    ‘কেন্দ্র-ফোবিয়া’ থেকেই কী এহেন সিদ্ধান্ত রাজ্যের?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     

     

     

  • Panchayat Election: বিডিও অফিসে তৃণমূলীদের তাণ্ডব! মনোনয়ন দিতে পারলেন না বিজেপি প্রার্থীরা

    Panchayat Election: বিডিও অফিসে তৃণমূলীদের তাণ্ডব! মনোনয়ন দিতে পারলেন না বিজেপি প্রার্থীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election) বিজেপিকে মনোনয়ন জমা দিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমান জেলার রায়না-১ নম্বর ব্লকে। ব্লক অফিসে এসেও বিজেপি প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা দিতে পারেননি বলে অভিযোগ। পাশাপাশি বিডিও অফিসের ভিতরেই হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বেশ কয়েকজন কর্মী জখম হন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটেছে?

    শুক্রবার পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Election) মনোনয়ন জমা দেওয়ার প্রথম দিন ছিল। বিজেপির পক্ষ থেকে ২০ জন গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিতে বিডিও অফিসে যান। অফিস কর্মীরা প্রস্তুত নয় বলে তাঁদের কয়েক ঘণ্টা বসিয়ে রাখা হয় বলে অভিযোগ। এরপরই তৃণমূলের লোকজন দল বেঁধে এসে বিডিও অফিসের ভিতরে ঢুকে বিজেপি প্রার্থীদের বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ। বিজেপির সাধারণ সম্পাদক মানিক রায়কে রাস্তায় ফেলে পেটানো হয়। হামলার জেরে বিজেপি প্রার্থীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যান। পরে, পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেন। পরে, বিজেপি প্রার্থীরা ফের মনোনয়ন জমা দিতে গেলে সময় পেরিয়ে গিয়েছে বলে জানানো হয়।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপির জেলার সাধারণ সম্পাদক মানিক রায় বলেন, বিডিও অফিসের ভিতরে ঢুকে তৃণমূল তাণ্ডব চালিয়েছে। আমাদের বেশ কয়েকজন কর্মী সমর্থক জখম হয়েছে। ব্লক প্রশাসনের অসহযোগিতা আর তৃণমূলের বাধায় আমরা মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারিনি। বিজেপিকে যে ওরা ভয় পেয়ে গিয়েছে, এই ঘটনা তার জ্বলন্ত প্রমাণ। সুষ্ঠুভাবে পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Election) হলে মানুষ আমাদের পক্ষে রায় দেবে।

    কী বললেন সিপিএম নেতৃত্ব?

    সিপিএম নেতা অপূর্ব চট্টোপাধ্যায় বলেন, নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনের উচিত এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া। যাতে সব দলই তাদের প্রার্থী পদ দাখিল করতে পারে। তবে, আমরা প্রস্তুত আছি। বাধা দিলে আমরাও প্রতিরোধ গড়ে তুলব।

    জেলাশাসকের কী বক্তব্য?

    এই বিষয়ে জেলাশাসক প্রিয়াংকা সিংলা বলেন, কোথাও কোনও অশান্তির খবর আসেনি। কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। এই ধরনের কোনও ঘটনা ঘটে থাকলে আমাদের কাছে অভিযোগ জমা করুক। আমরা সবরকম ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    এই বিষয়ে রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস বলেন, প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ করুক। শুধুমাত্র অভিযোগ করলে তো হবে না। পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election) আগে এসবই গল্প কথা ছাড়া আর কিছু নয়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bengal Panchayat Polls: পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিতে রাজ্যপালের দ্বারস্থ বঙ্গ বিজেপি

    Bengal Panchayat Polls: পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিতে রাজ্যপালের দ্বারস্থ বঙ্গ বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতিতে পঞ্চায়েত ভোট (Bengal Panchayat Polls) করানো সহ একাধিক দাবি নিয়ে শনিবার রাজ্যপালের দ্বারস্থ হচ্ছে বঙ্গ বিজেপি। ভোটের প্রকাশিত নির্ঘণ্ট নিয়েও অভিযোগ জানাতে চলেছে পদ্ম শিবির। সূত্রের খবর, আজ সকাল ১১টা নাগাদ রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে দেখা করার কথা রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের নেতৃত্বাধীন বঙ্গ বিজেপি প্রতিনিধিদলের। সেখানে রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠকে বিভিন্ন অভিযোগ পেশ করবে গেরুয়া শিবির।

    রাজভবনে বিজেপি প্রতিনিধিদল

    পঞ্চায়েত ভোটের (Bengal Panchayat Polls) দিন ঘোষণা হওয়া ইস্তক রাজ্য নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তুলেছে বিজেপি সহ রাজ্যের বিরোধী দলগুলি। প্রথমত, সর্বদল না ডেকেই ভোটের দিন ঘোষণা করার জন্য রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারী, দিলীপ ঘোষ সহ রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। একইভাবে সমোচ্চরে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সমালোচনায় মুখর হয়েছে পদ্ম শিবিরের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বও। 

    আরও পড়ুন: ‘মনোনয়নের সময়সীমা পর্যাপ্ত নয়, পুনর্বিবেচনা করা হোক’, পর্যবেক্ষণ হাইকোর্টের

    মনোনয়ন জমায় বরাদ্দ ২৪-ঘণ্টা!

    বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পঞ্চায়েত ভোটের (Bengal Panchayat Polls) দিনক্ষণ ঘোষণা হয়। শুক্রবারই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় বিজেপি। আদালতে বিজেপির আবেদন ছিল, ৭০ হাজারের বেশি পঞ্চায়েত আসনে মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার জন্য মোট সময় ধার্য হয়েছে মাত্র ২৪-ঘণ্টা। যা একেবারেই অপর্যাপ্ত। প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের এজলাসে শুনানি হয় ওই মামলার। গতকালের শুনানিতে, হাইকোর্টও সহমত পোষণ করে যে, এত কময় সময় পর্যাপ্ত নয়। এনিয়ে নির্বাচন কমিশনকে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করতে হবে বলেও জানিয়েছে আদালত।

    শুধু তাই নয়। রাজ্যের ভেঙে পড়া আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতিতে পঞ্চায়েত ভোট করানোর সওয়ালও হাইকোর্টে করে বিজেপি। বেঞ্চ জানিয়েছে, প্রয়োজনে রাজ্য কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে একত্রে কাজ করতে পারে। এই বিষয়ে আগামী সোমবার রাজ্য তাদের সিদ্ধান্ত জানাবে। 

    মনোনয়নের প্রথম দিনেই আশান্তি

    রাজ্য পুলিশের উপর তাদের আস্থা নেই, এই কথা বার বার বলে এসেছে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। শুক্রবার ছিল মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার প্রথম দিন। সেদিনই মুর্শিদাবাদে খুনের ঘটনা ঘটেছে। প্রথম দিনেই যদি রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার এই পরিস্থিতি হয়, তাহলে রাজ্যে কীভাবে সুষ্ঠুভাবে পঞ্চায়েত নির্বাচন (Bengal Panchayat Polls) পরিচালনা করবে রাজ্য পুলিশ?’ ইতিমধ্যেই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে পদ্ম-শিবির।শনিবার, এই বিষয়গুলি রাজ্যপালের কাছে উত্থাপন করতে পারে বিজেপি প্রতিনিধিদল। পঞ্চায়েত ভোট যাতে শান্তিপূর্ণ হয়, সেই আবেদন জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল বিজেপি। এদিন রাজ্যপালের কাছে একই আবেদন নিয়ে হাজির হবেন বঙ্গ-বিজেপি নেতৃত্ব।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: উত্তরবঙ্গে বর্ষার প্রবেশ! শনি ও রবিবার বৃষ্টির পূর্বাভাস শহরে

    Weather Update: উত্তরবঙ্গে বর্ষার প্রবেশ! শনি ও রবিবার বৃষ্টির পূর্বাভাস শহরে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সকাল থেকেই মেঘলা আকাশ। চলছে মেঘ-রোদের লুকোচুরি। শুক্রবার স্বস্তির বৃষ্টি নেমেছে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায়। তার জেরে তাপমাত্রাও কমেছে অনেকটা। শনিবারও কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে বৃষ্টি হবে,গরমও একটু কম থাকবে,জানাল আলিপুর আবহাওয়া দফতর (Weather Update)। 

    শহরে গরম থেকে সাময়িক স্বস্তি

    উপকূলবর্তী জেলাগুলির জন্যে কিছুটা হলেও স্বস্তির বার্তা দিয়েছে হাওয়া অফিস। পূর্বাভাস অনুযায়ী (Weather Update), উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে বিক্ষিপ্ত ভাবে ঝড় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় ঝাড়গ্রাম, কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, নদীয়া, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, উত্তর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ঝড়-বৃষ্টি হতে পারে। কলকাতায় আংশিক মেঘলা আকাশ। বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বাতাসে জলীয় বাষ্প থাকায় আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তিও থাকবে। সোমবার বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা বাড়বে শহরে। কলকাতা শহরে আজ সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৩.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের তুলনায় ৪ ডিগ্রি কম। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ ৫৩ থেকে ৯৬ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টি হয়েছে ১৯ মিলিমিটার।

    পশ্চিমে তাপপ্রবাহ চলবে

    আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস (Weather Update), দক্ষিণবঙ্গের পশ্চিমে তাপপ্রবাহ চলবে।  মঙ্গলবার পর্যন্ত তাপপ্রবাহ চলবে পুরুলিয়া বাঁকুড়া বীরভূম ঝাড়গ্রাম পশ্চিম মেদিনীপুর পশ্চিম বর্ধমানে। আগামী সপ্তাহের মাঝামাঝি ওই জেলাগুলিতে বৃষ্টি নামতে পারে।

    আরও পড়ুন: স্বস্তির বৃষ্টিতে ভিজল কলকাতা, গরমের গেরো কাটবে কবে?

    উত্তরবঙ্গে বর্ষা

    উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলাতে ভারী বৃষ্টির পরিমান বাড়বে বলেই জানাচ্ছে হাওয়া অফিস। উত্তরবঙ্গের ক্ষেত্রে বিশেষ করে ওপরের পাঁচ জেলা অর্থাৎ দার্জিলিং, কালিম্পং, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ারে ৯ জুন থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত টানা বৃষ্টি চলবে বলেই জানিয়েছে হাওয়া অফিস। পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের বেশ কিছু যায়গায় ভারী ও কিছু জায়গায় অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনার কথাও জানানো হয়েছে। । প্রায় ২০০ মিলিমিটার বৃষ্টি হতে পারে কোচবিহার আলিপুরদুয়ার এবং জলপাইগুড়ি জেলার বেশ কিছু এলাকায়। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘দিদিকে বলো’র ফোন নম্বর কেন ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’ কর্মসূচিতে? প্রশ্ন শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘দিদিকে বলো’র ফোন নম্বর কেন ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’ কর্মসূচিতে? প্রশ্ন শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক নির্বাচনে জিততে চালু হয়েছিল ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচি। দলনেত্রীর মুখ ব্যবহার করে সে যাত্রায় উতরে গিয়েছিল তৃণমূল (TMC)। সম্প্রতি তৃণমূলের গায়ে লেগেছে একাধিক কেলেঙ্কারির কালি। অথচ দোরগোড়ায় পঞ্চায়েত নির্বাচন। এমতাবস্থায় ভরসা ফের সেই তৃণমূল সুপ্রিমো। তবে এবার কর্মসূচির নাম ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’। এ পর্যন্ত অবশ্য কোনও সমস্যা নেই। গোল বেঁধেছে একই ফোন নম্বর দুটি কর্মসূচিতে ব্যবহার করায়।

    শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) দাবি

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) দাবি, সেবারও যে ফোন নম্বর ব্যবহার করা হয়েছিল, এবারও সেই নম্বরই দেওয়া হয়েছে। ট্যুইট-বার্তায় তাঁর প্রশ্ন, একটি রাজনৈতিক দলের কাজে ব্যবহৃত ফোন নম্বর কীভাবে সরকারি কাজে ব্যবহার করা হয়?

    গুচ্ছ প্রশ্ন

    বৃহস্পতিবারই শুরু হয়েছে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী কর্মসূচি। সেখানে যে ফোন নম্বরটি দেওয়া হয়েছে, সেটি হল, 9137091370. ছুটির দিন ছাড়া ওই নম্বরে সকাল ৯টা থেকে সন্ধে ৬টা পর্যন্ত অভাব-অভিযোগ জানাতে পারবেন রাজ্যবাসী। এই নম্বর নিয়েই আপত্তি শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari)। তাঁর প্রশ্ন, আইপ্যাক (ইলেকশন স্পেশালিস্ট প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা) কি নবান্নের দখল নিয়ে নিয়েছে, নাকি আইপ্যাক এখন রাজ্য সরকারের অধীনে চলে এসেছে?

    একটি রাজনৈতিক দলের কর্মসূচিতে ব্যবহার করা ফোন নম্বর সরকারি কাজে মানুষের অভাব-অভিযোগ শোনার জন্য ব্যবহারের সিদ্ধান্ত কে নিলেন? আর এই অভিযোগগুলি কে শুনবেন? রাজ্যের বিরোধী দলনেতার আরও প্রশ্ন, এই ফোন নম্বরটি কি পশ্চিমবঙ্গ সরকার অধিগ্রহণ করেছে? করা হলে তা কীভাবে হয়েছে? নম্বরটি কি স্থানান্তরিত হয়েছে, নাকি এটি এখনও পূর্ববর্তী মালিকের নামেই রয়েছে? এই কর্মসূচির জন্য সরকার কি নতুন কোনও পরিকাঠামো তৈরি করেছে, নাকি দিদিকে বলোর পরিকাঠামো দিয়েই এই কাজ করা হবে?

    আরও পড়ুুন: ‘মনোনয়নের সময়সীমা পর্যাপ্ত নয়, পুনর্বিবেচনা করা হোক’, পর্যবেক্ষণ হাইকোর্টের

    শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) দাবি, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে মুখ্যমন্ত্রীর মুখ, তৃণমূল কংগ্রেসের ফোন নম্বর দিয়ে রাজ্য সরকারের তরফে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর প্রচার করা হচ্ছে। যার খরচ তৃণমূল নয়, বহন করছে রাজ্য সরকার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share