Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Baranagar: পুলিশের কাছ থেকে অভিযুক্তদের ছিনতাইয়ের অভিযোগ, কাঠগড়ায় তৃণমূল কাউন্সিলার

    Baranagar: পুলিশের কাছ থেকে অভিযুক্তদের ছিনতাইয়ের অভিযোগ, কাঠগড়ায় তৃণমূল কাউন্সিলার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাইবার প্রতারণার অভিযোগে কয়েকজন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে নিয়ে যেতে যায় পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পুলিশ। আর সেই অভিযুক্তদের পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয় কয়েকজন যুবক। ঘটনাটি ঘটেছে বরানগর (Baranagar) পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের আলমবাজার এলাকায়। পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় অভিযুক্তরা সকলেই স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলারের ঘনিষ্ঠ।

    ঠিক কী ঘটেছে?

    বরানগর (Baranagar) পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলার নীলু গুপ্তার আলমবাজারের বাড়িতে ভুয়ো কল সেন্টার চালাত। ওই কল সেন্টার থেকে অনেকের সঙ্গে প্রতারণা করা হত বলে অভিযোগ। ওই কল সেন্টারের কর্মীদের বিরুদ্ধে পূর্ব মেদিনীপুরের সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। তদন্তে নেমে পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে বরানগরের আলমবাজারে আসে। কল সেন্টারে যুবকরা কাজ করছিল। পুলিশ হানা দিয়ে সকলকে ধরে ফেলে। অভিযুক্তদের ধরে নিয়ে যাওয়ার সময় কয়েকজন যুবক এসে পুলিশের কাছে থেকে অভিযুক্তদের ছিনিয়ে নেয় বলে অভিযোগ। অভিযুক্তরা সকলেই তৃণমূল কাউন্সিলারের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। পুলিশের কাছে থেকে অভিযুক্তদের কেন ছিনতাই করা হল, কেউ তার উত্তর দিতে পারেনি। জানা গিয়েছে, ভুয়ো কল সেন্টারে যারা কাজ করত সকলেই এলাকারই ছেলে।

    পুলিশের কাছে থেকে অভিযুক্তদের ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় কতজনকে পুলিশ গ্রেফতার করল?

    পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পুলিশ বরানগরে (Baranagar) এসে ভুয়ো কল সেন্টারের কর্মীদের গ্রেফতার করতেই কাউন্সিলারের ঘনিষ্ঠ কয়েকজন ক্ষোভে ফেটে পড়ে। পুলিশের কাছ থেকে তারা ধৃতদের নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। যদিও এই ঘটনায় পুলিশ চারজনকে গ্রেফতার করে। চার অভিযুক্তকে দেখতে কাউন্সিলার থানায় যান বলে অভিযোগ। তবে, বাড়িতে ভুয়ো কল সেন্টার কেন কাউন্সিলার চালাতে দিয়েছিল, আর পুলিশি পদক্ষেপকে কেন বাধা দেওয়া হল, তা নিয়ে কেউ কোনও কথা বলেনি। বিরোধীদের অভিযোগ, ওই কাউন্সিলারের মদতেই সেখানে ভুয়ো কল সেন্টার চলত। পুলিশ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ায় কাউন্সিলার সেটা মেনে নিতে পারেনি। তাই, কাউন্সিলার নিজের ঘনিষ্ঠদের দিয়ে অভিযুক্তদের পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। যদিও এই বিষয়ে ৭ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলার নীলু গুপ্তাকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি সংবাদ মাধ্যমের সামনে মুখ খুলতে চাননি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kalighater Kaku: কালো টাকা হতো সাদা! ‘কালীঘাটের কাকু’-র সঙ্গে যোগ থাকা তিন সংস্থায় নজর ইডির

    Kalighater Kaku: কালো টাকা হতো সাদা! ‘কালীঘাটের কাকু’-র সঙ্গে যোগ থাকা তিন সংস্থায় নজর ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কালো টাকা সাদা করার কাজ চলত, এরকম তিন সংস্থার সঙ্গে যোগ ছিল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দফতরের প্রাক্তন কর্মী সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র তথা ‘কালীঘাটের কাকু’র (Kalighater Kaku)। এমনই সন্দেহ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডির। গত শনিবার দুপুরে ওই সংস্থাগুলিতে তল্লাশি চালানো হয়। ইডি-র দাবি, ৩টি কোম্পানির সঙ্গে কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয়কৃষ্ণর প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ যোগ মিলেছে। ইডি সূত্রে খবর, সুজয়কৃষ্ণের মোট ২০টি সম্পত্তির হদিশ পেয়েছে তারা।

    আধিকারিককে তলব

    ইডি সূত্রের খবর, এই কোম্পানিগুলির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। চলেছে কালো টাকা সাদা করার কাজ। সোমবার সকালে একটি সংস্থার আধিকারিককে ডেকে পাঠায় ইডি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, ওই আধিকারিকের নাম অমিতকুমার কর্মকার। তাঁকে ওই সংস্থা সংক্রান্ত নির্দিষ্ট কিছু নথিপত্র সঙ্গে নিয়ে দেখা করতে বলা হয়েছে ইডির দফতরে। ওই সংস্থার লেনদেন এবং টাকার উৎসে নজর রয়েছে তদন্তকারীদের। সে ব্যাপারেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে অমিতকে।

    আরও পড়ুুন: “এভাবে চলতে পারে না”! হাসপাতাল নিয়ে মদনের মতোই বেজায় চটেছেন শতাব্দী রায়

    মোট ২০টি জায়গায় সম্পত্তির খোঁজ মিলেছে

    ইডির তল্লাশিতে মোট ২০টি জায়গায় সম্পত্তির খোঁজ পেয়েছেন তদন্তকারীরা। ষোলোটি জায়গায় তল্লাশিতে উদ্ধার হয়েছে প্রায় দেড় হাজার পাতার নথি। এই নথিতে রয়েছে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সুজয়কৃষ্ণর (Kalighater Kaku) ফোন-সহ ১১টি ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এছাড়াও, উদ্ধার হয়েছে প্রচুর হার্ডডিস্ক, পেনড্রাইভ সহ ইলেকট্রনিক এভিডেন্স। তদন্তকারীদের কাছ থেকে জানা গিয়েছে, তিনটি কোম্পানির আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত নথিপত্রও মিলেছে। সেগুলির সঙ্গে সুজয়ের কোনও যোগ আছে কি না, নথিপত্র যাচাইয়ের পর তা নিয়ে ফের তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে। এর আগে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের বাড়ি গিয়েছিল সিবিআই৷ সূত্রের খবর, সেখানে অ্যাডমিট কার্ড ও নগদ কিছু টাকা উদ্ধার করেছিলেন তাঁরা। সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে নিজাম প্যালেসে তলবও করেছিল সিবিআই। সেখানে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রর বয়ান রেকর্ড করা হয়। এবার নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডির নজরেও এল কালীঘাটের এই কাকু। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: পুর-নিয়োগ দুর্নীতিতে সিবিআই তদন্ত বহাল! রাজ্যের স্থগিতাদেশের আর্জি খারিজ

    Recruitment Scam: পুর-নিয়োগ দুর্নীতিতে সিবিআই তদন্ত বহাল! রাজ্যের স্থগিতাদেশের আর্জি খারিজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) মামলায় সিবিআই তদন্তে স্থগিতাদেশ চেয়েছিল রাজ্য। কিন্তু এদিন রাজ্যের আবেদন খারিজ করে দেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু এবং বিচারপতি অপূর্ব সিনহা রায়ের ডিভিশন বেঞ্চ। ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছে যে তদন্তে এখনই কোন হস্তক্ষেপ আদালত করবে না। তদন্ত যেমন চলছিল তেমনই চলবে, এটাও জানায় ডিভিশন বেঞ্চ। এদিন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু বলেন, ‘‘দুর্নীতিকে কোনওভাবেই বরদাস্ত করা হবেনা। দুর্নীতির বিরুদ্ধে তদন্ত চলবে।’’ প্রসঙ্গত, গত মাসের ১৩ তারিখ ইডির পেশ করা অয়ন শীল সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্যকেও এদিন মান্যতা দেন বিচারপতি বসু। এই মামলায় আগামী ৬ জুন পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছে আদালত।

    পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতিতে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়

    প্রসঙ্গত শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Recruitment Scam) বলাগড়ের তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় গ্রেফতার হন। সেই সূত্রে ধরা পড়ে শান্তনু ঘনিষ্ঠ অয়ন শীল। এবং সেখানেই একাধিক প্রমাণ মেলে অয়ন শীলের বিরুদ্ধে। সামনে আসে পুরসভা নিয়োগের দুর্নীতির অভিযোগ। সে সময়ে এই নিয়োগ দুর্নীতিতে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। পরবর্তীকালে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস থেকে মামলা সরে বিচারপতি অমৃতা সিনহার কাছে। তিনিও একই রায় বহাল রাখেন। অর্থাৎ হাকিম বদলেও হুকুম বহাল থাকে। এদিন ডিভিশন বেঞ্চেও রাজ্য জোর ধাক্কা খেল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।

    ৫০০০ চাকরি বিক্রি হয়েছিল রাজ্যের বিভিন্ন পুরসভাতে

    শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ অয়নশীল ৬০টি পুরসভায় ৫০০০ চাকরি বিক্রির দালাল হিসেবে কাজ করেছেন, এমনই অভিযোগ তদন্তকারী সংস্থার। হালিশহর, বীরনগর, বরানগর, উলুবেড়িয়া, পানিহাটি, কামারহাটি, উত্তর দমদম, দক্ষিণ দমদম, ডায়মন্ডহারবার, নিউ বারাকপুর সর্বত্র ছড়িয়েছে নিয়োগ দুর্নীতির জাল, এমনটাই জানিয়েছে তদন্তকারী সংস্থা। ইতিমধ্যে অয়নশীলের কুড়িটিরও বেশি ফ্ল্যাটের সন্ধান পেয়েছে তদন্তকারী সংস্থা। বিঘা বিঘা জমি, পেট্রলপাম্প সমেত প্রায় ২০০ কোটি টাকার সম্পত্তি মিলেছে অয়নের নামে। তাঁর অফিসে তল্লাশি চালিয়ে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বহু নথি এবং হার্ডডিস্ক। মিলেছে ওএমআর শিটও। প্রসঙ্গত, গত মাসের ২১ এপ্রিল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দেন পুরসভা নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে নতুন করে এফআইআর করে তদন্ত করতে পারবে সিবিআই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sexual Harassment: তিলজলায় তরুণীকে গণধর্ষণ! অভিযুক্ত দুই বিদেশি ফুটবলার

    Sexual Harassment: তিলজলায় তরুণীকে গণধর্ষণ! অভিযুক্ত দুই বিদেশি ফুটবলার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক তরুণীকে ধর্ষণের (Sexual Harassment) অভিযোগে এক মহিলা ও দুই বিদেশি ফুটবলার সহ তিনজনকে গ্রেফতার করল নিউটাউন থানার পুলিশ। অভিযুক্ত দুই ফুটবলার দক্ষিণ আফ্রিকার ঘানার বাসিন্দা। কলকাতায় তারা বিভিন্ন ফুটবল টুর্নামেন্টে টাকার বিনিময়ে ফুটবল খেলে। পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পারে অভিযুক্ত মহিলা মিজোরামের বাসিন্দা। রবিবার তিনজনকেই বারাসত জেলা আদালতে তোলা হলে বিচারক অভিযুক্তদের জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।

    টাকা চাইতে গিয়েই বিপদ

    পুলিশ সূত্রে খবর, এক তরুণী নিউটাউন থানায় এসে অভিযোগ করেন যে তাঁর সঙ্গে পূর্ব পরিচিত এক মহিলার কাছে টাকা চাইতে যান তিনি। ওই মহিলা জানান, তাঁর কাছে টাকা নেই। কিন্তু তাঁর সঙ্গে গেলে তিনি টাকার ব্যবস্থা করে দিতে পারবেন। সেই বিশ্বাসে তাঁর সঙ্গে সাহায্যপ্রার্থী তরুণী গিয়েছিলেন দুই বিদেশি ফুটবলারের কাছে। অভিযোগ, তারা নিজেদের ফ্ল্যাটে টাকা দেওয়ার অছিলায় ধর্ষণ (Sexual Harassment) করে ওই তরুণীকে। পাঁচ দিন আগের এই ঘটনায় শনিবার রাতে তিলজলা ও নিউটাউন থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে এক মহিলা-সহ তিন অভিযুক্তকে। নিউটাউন থানা এলাকার বাসিন্দা ওই তরুণী পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন গত ১৯ মে। তার ভিত্তিতে এই ধরপাকড় চালায় পুলিশ। 

    আরও পড়ুন: এগরার পর বজবজ! বিস্ফোরণে বাজি কারখানার মালিকের স্ত্রী, মেয়েসহ তিনজনের মৃত্যু

    ধৃতদের পরিচয়

    বিধাননগর কমিশনারেট সূত্রের খবর, ধৃত দুই ফুটবলারের নাম ক্রিস জোসেফ ও মোজেস জুটা। কলকাতার তিলজলায় একটি ফ্ল্যাটে তাঁরা থাকেন। ধৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জেনেছে, ঘানার ওই দুই ফুটবলার চুক্তির বিনিময়ে খেলে থাকেন। তবে কলকাতার কোনও নামী ক্লাবের সঙ্গে তাঁদের এখনও কোনও যোগসূত্র পাওয়া যায়নি বলেই দাবি করেছে পুলিশ। তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, দুই ফুটবলার ২০১৯ সালে কলকাতায় এসেছিলেন। কোভিডের সময়ে তাঁরা ঘানায় ফিরে যান। ফের ২০২১ সালে তাঁরা কলকাতায় আসেন। ময়দান সূত্রের খবর, দক্ষিণ শহরতলিতে এই ধরনের বিদেশি ফুটবলারদের বসবাস রয়েছে। তাঁদের বেশির ভাগই নামী ক্লাবের সঙ্গে জড়িত নন। ধৃত তরুণী লিজার প্রসঙ্গে পুলিশের দাবি, ওই তরুণী নানা ধরনের কাজ করে থাকেন। অনেক বিদেশির সঙ্গেই তাঁর বন্ধুত্ব রয়েছে। লিজার কাজকর্ম নিয়েও সন্দেহ রয়েছে পুলিশের। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: আর্থিক সঙ্কটকে দূরে ঠেলে নিজের প্রতিভায় মাধ্যমিকে উজ্জ্বল টোটো চালকের মেয়ে

    Malda: আর্থিক সঙ্কটকে দূরে ঠেলে নিজের প্রতিভায় মাধ্যমিকে উজ্জ্বল টোটো চালকের মেয়ে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একজন টোটো চালকের মেয়ে এবছর মাধ্যমিকের ফলাফলে সবাইকে চমকে দিয়েছে। মালদা (Malda) জেলার রতুয়ার ওই টোটো চালকের মেয়ে, উত্তর মালদা সহ নিজের ব্লকেও মাধ্যমিকে নজরকাড়া ফল করে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। পরিবার, স্কুলের শিক্ষক এবং এলাকার মানুষ স্বাভাবিকভাবেই উচ্ছ্বসিত।

    স্বপ্ন উচ্চ শিক্ষা নিয়ে সমাজের জন্য বিশেষ কিছু করা

    মালদার (Malda) রতুয়ার ১ নং ব্লকের কাহালা অঞ্চলের লক্ষ্মীপুর প্রত্যন্ত গ্রামের এই কৃতী ছাত্রীর নাম তাপসী মণ্ডল, বাবা কৃষ্ণ মণ্ডল। মাধ্যমিকে তাপসীর প্রাপ্ত নম্বর হল ৬৭১। সে যে স্কুলে পড়াশুনা করত, সেই স্কুলের নাম নরোত্তমপুর কাহালা বি বি হাই স্কুল। তাপসীর এই ফলাফলেই পরিষ্কার, শহরের তুলনায় গ্রাম্য অঞ্চলের ছেলেমেয়েরাও মেধা তালিকায় পিছিয়ে নেই। মাধ্যমিক পরীক্ষায় শহরের থেকে দূরে গ্রামের দুঃস্থ ও মেধাবীদের জীবন সংগ্রামের প্রধান অস্ত্র পড়াশুনা। আর তাকেই হাতিয়ার করে সমাজের বুকে বিশেষ জায়গা করে নেওয়ার নানান দৃষ্টান্ত এবছর মাধ্যমিকের ফলাফলে লক্ষ করা যাচ্ছে। সেরকমই একটি প্রতিভার পরিচয় মিলল মালদা জেলার মধ্যেও। পরিবারের অর্থনৈতিক সঙ্কটকে কখনও প্রতিবন্ধকতা মনে না করে, কেবলমাত্র পড়াশুনাকে নিজের প্রতিভা হিসাবে তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছে তাপসী। এবার তার স্বপ্ন উচ্চ শিক্ষা নিয়ে সমাজের জন্য বিশেষ কিছু করা।

    কৃ্তী ছাত্রীর এখন কীভাবে স্বপ্ন পূরণ হবে?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তাপসী মণ্ডল খুব ছোটবেলা থেকেই অত্যন্ত মেধাবী ছাত্রী। তাঁর পরিবার ভীষণ হতদরিদ্র এবং দুঃস্থ। এলাকার মানুষ বলেছেন, শহরের ভালো স্কুলগুলো বাছাই করে ভালো ছাত্রদের নিয়ে থাকে। কিন্তু প্রত্যন্ত গ্রাম্য এলাকার (Malda) স্কুলের দিকে সবার নজর একটু কম থাকে। তবুও এই স্কুলে তাপসী নিজের যোগ্যতায় ভালো ফল করেছে। এলাকার মানুষ ওকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন, বাবা খুব পরিশ্রম করে সংসার চালান। এই অবস্থায় বাড়িতে তাপসীর পড়াশুনার জন্য খুব কষ্ট করে অর্থের ব্যবস্থা করতে হত। বাবা নিজে টোটো চালিয়ে যা রোজগার করেন, তাতে পরিবারের পেট চলে না বললেই চলে। নুন আনতে পান্তা ফুরায়, এমন অবস্থায় অনেক কষ্ট করে মেয়েকে পড়াশোনা করিয়েছেন কৃষ্ণবাবু। আর সেই মতো মেয়েও রতুয়া ১ নং ব্লক সহ গোটা উত্তর মালদায় খুব ভালো ফল করেছে। আর তাতেই খুশি গোটা এলাকা। তাপসী মণ্ডলের ইচ্ছা, আগামীতে বিজ্ঞান বিভাগ নিয়ে পড়াশোনা করে ডাক্তার হওয়ার। কিন্তু পরিবারের আর্থিক অবস্থা ঠিক না থাকায় ভালো ফল করেও আগামী দিনের পড়াশোনা নিয়ে চিন্তিত। এই কৃ্তী ছাত্রীর এখন কীভাবে স্বপ্ন পূরণ হবে, সেটা নিয়েই চিন্তায় পরিবার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: মোদি সরকারের ৯ বর্ষ পূর্তি, বাংলায় ১০০ জনসভা করবে বিজেপি

    BJP: মোদি সরকারের ৯ বর্ষ পূর্তি, বাংলায় ১০০ জনসভা করবে বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী পদে বসেছিলেন বিজেপির (BJP) নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। ২৬ মে শপথ নিয়েছিলেন তিনি। সেই হিসেবে এবার প্রধানমন্ত্রী পদে ৯ বছর পূর্তি হচ্ছে তাঁর। এই উপলক্ষে দেশজুড়ে এক মাস ব্যাপী ব্যাপক প্রচারাভিযান শুরু করতে চলেছে বিজেপি। প্রথম সভাটি হবে ৩০ মে। ওই জনসভায় ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এ ছাড়াও আরও ৫১টি সভা করবেন বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। দেশের পাশাপাশি বাংলায়ও প্রধানমন্ত্রী পদে মোদির ৯ বছর পূর্তি উপলক্ষে বিশেষ প্রচারাভিযানে নামতে চলেছে পদ্ম শিবির। এই প্রচারাভাযানে মূলত তুলে ধরা হবে মোদি সরকারের বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক প্রকল্পের কথা। তুলে ধরা হবে মোদি সরকারের সাফল্যের কথাও।

    বিজেপি (BJP) শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশ

    বিজেপি (BJP) সূত্রে খবর, মোদি সরকারের এই ৯ বছর পূর্তিতে এ রাজ্যে কমপক্ষে ১০০টি জনসভা করবে গেরুয়া শিবির। এই সব জনসভায় নেতাদের পাশাপাশি এলাকার প্রভাবশালীদের হাজির করা হবে। আয়োজন করা হবে চা চক্র এবং নৈশভোজেরও। জনসভাগুলিতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, সাংসদ এবং দলীয় বিধায়কদেরও উপস্থিত থাকতে হবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। শীর্ষ নেতৃত্বের জারি করা নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে জনসভাগুলির ব্যাপক প্রচার করতে হবে। তুলে ধরতে হবে মোদি সরকারের সাফল্যের সাতকাহনও। কর্মসূচি শুরু হবে ৩০ মে। শেষ হবে জুনের ৩০ তারিখে। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, বাংলায় মণ্ডলস্তরে ১০০টি জনসভা করতে হবে। সব লোকসভা কেন্দ্রে একত্রিত করতে হবে বুদ্ধিজীবীদের।

    জনসংযোগ বাড়ানোর নির্দেশ

    সমাজের প্রভাবশালী ব্যক্তি, দেশের বিশিষ্ট ক্রীড়াবিদ, শিল্পী, শিল্পপতি এবং যুদ্ধের নায়কদের সঙ্গে যোগাযোগ গড়ে তুলতে হবে। জনসংযোগ বাড়ানোর কথাও বলা হয়েছে। নির্দেশিকায় (BJP) বলা হয়েছে, জনগণের সঙ্গে সংযোগ বাড়াতে প্রতিটি লোকসভা কেন্দ্রে অন্তত ২৫০টি পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ গড়ে তুলতে হবে। এই কর্মসূচির অঙ্গ হিসেবে ২৯ মে সাংবাদিক সম্মেলন করবেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। উপস্থিত থাকবেন দলের বর্ষীয়ান নেতারাও।

    আরও পড়ুুন: “মুখ্যমন্ত্রী, পোড়া লাশের গন্ধ পাচ্ছেন?” বজবজ-বিস্ফোরণের পর বিস্ফোরক ট্যুইট শুভেন্দুর

    বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ৩০ মে থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত মোদি সরকারের সাফল্যের প্রচার অভিযান চলবে। বিশেষভাবে পালন করা হবে আন্তর্জাতিক যোগ দিবস, শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের বলিদান দিবস। তিনি বলেন, লোকসভাভিত্তিক সভার কথা বলা হলেও, মণ্ডলভিত্তিক সভায় জোর দিচ্ছি আমরা। বিধানসভাওয়াড়ি সব মোর্চাকে একত্রিত করে সংযুক্ত মোর্চার সম্মেলন করা হবে। সর্বশক্তি দিয়ে এই প্রচারে নামতে হবে আমাদের।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • West Bengal Health: “এভাবে চলতে পারে না”! হাসপাতাল নিয়ে মদনের মতোই বেজায় চটেছেন শতাব্দী রায়

    West Bengal Health: “এভাবে চলতে পারে না”! হাসপাতাল নিয়ে মদনের মতোই বেজায় চটেছেন শতাব্দী রায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মদন মিত্রের সুরে এবার হাসপাতালে (West Bengal Health) দালাল চক্রের অভিযোগ তুললেন দলেরই দুই সাংসদ এবং বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার। এনিয়ে সতর্ক করা হয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককেও। সিসিটিভি দেখে দালাল চক্রের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিরা। মাস দুয়েকের মধ্যে এনিয়ে ফের পর্যালোচনা বৈঠকে জবাব দেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    কী বললেন শতাব্দী রায়? কেনই বা বললেন? 

    প্রসঙ্গত, ধীরে ধীরে নতুন পালক লেগেছে রামপুরহাট হাসপাতালের (West Bengal Health) মাথায়। এক সময়ের রামপুরহাট মহকুমা হাসপাতাল সুপার স্পেশালিটি থেকে স্বাস্থ্য জেলা হাসপাতাল হয়ে এখন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে উন্নীত হয়েছে। কিন্তু পরিষেবা সেই তলানিতে। আজও রোগীদের বদলি করা হয় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে কিংবা স্থানীয় কোনও নার্সিং হোমে। অভিযোগ, এক শ্রেণির দালাল চক্রের খপ্পরে পড়ে সর্বস্বান্ত হচ্ছেন রোগীর আত্মীয়রা। এনিয়ে একাধিক অভিযোগ পেয়েছেন সাংসদ থেকে বিধায়ক। সেই সমস্ত পাহাড় প্রমাণ অভিযোগ নিয়ে রবিবার রামপুরহাটের নিশ্চিন্তপুরে তারাবিতান গেস্ট হাউসের সভাকক্ষে বৈঠকে বসেন বীরভূম এবং বোলপুরের সাংসদ শতাব্দী রায়, অসিত মাল, ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, জেলা শাসক বিধান রায় সহ স্বাস্থ্য আধিকারিকরা। সেখানেই দালাল রাজ নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। শতাব্দী রায় অভিযোগ করেন, একজন রোগীর জন্য তিনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে কয়েকবার ফোন করেছিলেন। কিন্তু কোনও সদুত্তর পাননি। বাধ্য হয়ে রোগীকে নার্সিং হোমে ভর্তি করতে হয়। তিনি বলেন, “আমরা জনপ্রতিনিধি হয়ে যদি এই অবস্থা হয়, তাহলে সাধারণ মানুষ কীভাবে পরিষেবা পাবে। এভাবে চলতে পারে না। আরও কিছু অভিযোগ রয়েছে। এনিয়ে আলোচনা হয়েছে।”

    কী বললেন তৃণমূলের আর এক সাংসদ অসিত মাল?

    সাংসদ অসিত মাল বলেন, “হাসপাতালের কিছু চিকিৎসকের সঙ্গে অসাধু কর্মী এবং দালাল চক্র রোগীদের নার্সিংহোমে যেতে বাধ্য করে। হাসপাতালে (West Bengal Health) উন্নত পরিষেবা থাকা সত্ত্বেও বাইরে থেকে এক্স রে, ইউএসজি সহ বিভিন্ন পরীক্ষা করতে বাধ্য করছে দালাল চক্র। এছাড়া রোগীদের সঙ্গে নার্সিং স্টাফদের দুর্ব্যবহার বন্ধ হওয়া দরকার। দুপুরে ভর্তি হওয়া রোগীকে একদিন পর কেন চিকিৎসক দেখবেন?” এছাড়াও জন্ম ও মৃত্যুর শংসাপত্র দ্রুত দেওয়ার দাবি জানান অসিতবাবু। এতদিন হাসপাতালের সামনে জল জমা নিয়ে সরব হয়েছিলেন রোগীর আত্মীয়রা। এবার এনিয়ে অভিযোগ তুললেন খোদ সাংসদ অসিত মাল। তিনি বলেন, “অবিলম্বে হাসপাতালের সামনে জল জমা বন্ধ করতে হবে”।

    নজর দেওয়ার চেষ্টা হবে, মিলল শুধু আশ্বাস

    দালাল চক্রের কথা মেনে নেন ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তবে তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী অনেক উন্নয়ন করেছেন। কিছু ত্রুটি রয়েছে। তা সংশোধনের চেষ্টা চলছে”। জেলা শাসক বিধান রায় বলেন, “কিছু অভিযোগ (West Bengal Health) উঠেছে। সেগুলি নিয়ে পর্যালোচনা করা হয়েছে। আগামী দিনে যাতে কোনও ত্রুটি না থাকে, সেদিকে নজর দেওয়ার জন্য স্বাস্থ্য আধিকারিকদের বলা হয়েছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • West Bengal Health: এসএসকেএমে মদন মিত্রের ঘটনায় ফের প্রশ্নের মুখে রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবা! 

    West Bengal Health: এসএসকেএমে মদন মিত্রের ঘটনায় ফের প্রশ্নের মুখে রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবা! 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সরকারি হাসপাতালে রোগী যাবেন। চিকিৎসক প্রয়োজন বুঝে ভর্তি করাবেন। চলবে চিকিৎসা। এই সহজ স্বাভাবিক নিয়ম আর চলে না। রাজ্যের সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হতে গেলে দরকার শাসকদলের নেতা-মন্ত্রীদের সুপারিশ। ক্ষমতার লম্বা হাত না থাকলে পাওয়া যাবে না সরকারি হাসপাতালের পরিষেবা (West Bengal Health)। সম্প্রতি এসএসকেএম হাসপাতালে রোগী ভর্তিকে কেন্দ্র করে মদন মিত্র-বিতর্ক অন্তত সেটাই স্পষ্ট করে দিল।

    কী কারণে বিতর্ক? 

    সম্প্রতি পথ দুর্ঘটনায় জখম এক যুবককে এসএসকেএম হাসপাতালের ট্রমা কেয়ারে ভর্তি করাতে গিয়েছিলেন তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র। কিন্তু সেই রোগীকে ভর্তি করানো যায়নি। এরপরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন মদন মিত্র। শনিবার থেকে তিনি বারবার বলতে থাকেন, ‘সে নো টু পিজি’! মুখ্যমন্ত্রী হস্তক্ষেপ না করলে পিজি-র পরিষেবা কেউ নেবেন না। এমনকী তিনি মুখ্যমন্ত্রীর চক্ষুশূল, একথাও বলেন। পাল্টা সাংবাদিক সম্মেলন করেন এসএসকেএম হাসপাতালের অধিকর্তা মণিময় বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, হাসপাতাল চত্বরে কোনও গণ্ডগোল বরদাস্ত করা হবে না। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মদন মিত্রের বিরুদ্ধে ভবানীপুর থানায় অভিযোগও দায়ের করে। রবিবার রাতে অবশ্য অনেকটাই অবস্থান বদল করে মদন মিত্র বলেন, ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। এসএসকেএম-এর পরিষেবা ভালো। চাপ অনেক। কিন্তু এই পুরো ঘটনায় একটা প্রশ্নই সবচেয়ে জোরালো হচ্ছে, মাথার উপরে শাসকদলের হাত না থাকলে কি স্বাস্থ্য পরিষেবা (West Bengal Health) পাওয়া যাবে না?

    কী বলছেন ভুক্তভোগীরা? 

    এসএসকেএম হাসপাতালে আউটডোরে চিকিৎসক দেখাতে লাইন দিতে হয় ভোরবেলা থেকে। রাত থেকেই রোগী ও পরিজনেরা ভিড় জমান। সকাল দশটায় চিকিৎসক দেখাতে হলে, ভোর তিনটেয় এসে বসে থাকতে হয়। রোগীদের পরিজনেরা জানাচ্ছেন, অস্ত্রোপচারের দিন পেতে অপেক্ষা করতে হয় দিনের পর দিন। বিশেষত, কার্ডিওলজি, কার্ডিওভাসকুলার, প্লাস্টিক সার্জারির মতো বিভাগে দেখা যায়, কয়েক বছর পরে অস্ত্রোপচারের দিন পাচ্ছেন রোগী। অনেক সময় এক-দু মাস নয়, অপেক্ষা করতে হয় দেড় থেকে দু’বছর! তালিকা থাকে এতটাই দীর্ঘ! রোগী হয়রানির (West Bengal Health) চূড়ান্ত।

    কী বলছে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ মহল? 

    রাজ্যের স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ মহল জানাচ্ছে, এসএসকেএম হাসপাতালে রোগীদের অপেক্ষার লাইন প্রমাণ করে, জেলায় জেলায় মেডিক্যাল কলেজের ঘোষণাই হয়েছে মাত্র। কাজ কিছুই হয়নি। যদি সব মেডিক্যাল কলেজে সম মানের পরিকাঠামো (West Bengal Health) থাকত, তাহলে সাধারণ মানুষকে স্বাস্থ্য পরিষেবার জন্য এত হয়রানির শিকার হতে হত না। অধিকাংশ সময় এই ভিড়ের জন্য সুপারিশ ছাড়া কোনও পরিষেবা পাওয়া যায় না। রাজ্যের শাসক দলের নেতা-মন্ত্রীর সুপারিশেই একমাত্র এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসার সুযোগ পাওয়া যায়। তা না হলে, অপেক্ষা করতে হয় মাসের পর মাস। কিন্তু স্বাস্থ্য পরিষেবা মানুষের মৌলিক অধিকার। সেই অধিকার সুরক্ষিত থাকছে না।

    স্বাস্থ্যসাথী কি শুধুই বিজ্ঞাপনে? 

    রোগীর পরিজনদের একাংশ জানাচ্ছে, মুখ্যমন্ত্রী বারবার স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের কথা বলেন। কিন্তু সরকারি হাসপাতালে ভর্তির সুযোগ পেতে বারবার শাসকদলের নেতা-মন্ত্রীদের অনুরোধ করতে হয়। ভুক্তভোগীদের প্রশ্ন, সরকারি হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরিষেবা (West Bengal Health) কেন আগে সুনিশ্চিত হচ্ছে না? কার্ড হাতে এক হাসপাতাল থেকে আরেক হাসপাতাল ঘুরে অনেক ক্ষেত্রে চিকিৎসার সুযোগও থাকে না। বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরিষেবা অনেকটাই বিজ্ঞাপনে আটকে থাকছে, অভিযোগ রাজ্যের সরকারি হাসপাতালের রোগী ও পরিবারের একাংশের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Strike: দণ্ডিকাণ্ডে আদিবাসীদের ডাকে বন্‌ধ! দক্ষিণ দিনাজপুরে কেমন সাড়া মিলল?

    Strike: দণ্ডিকাণ্ডে আদিবাসীদের ডাকে বন্‌ধ! দক্ষিণ দিনাজপুরে কেমন সাড়া মিলল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দণ্ডিকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত তৃণমূল নেত্রী প্রদীপ্তা চক্রবর্তীকে গ্রেফতারসহ একাধিক দাবিতে সোমবার ১২ ঘণ্টা বাংলা বন্‌ধের (Strike) ডাক দিয়েছিল আদিবাসী সিঙ্গেল অভিযান। সকাল থেকে সংগঠনের সদস্যরা বন্‌ধ সফল করতে রাস্তায় নামে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে রাস্তায় পুলিশ মোতায়েন ছিল।

    বন্‌ধে (Strike) কেমন প্রভাব পড়ল?

    রাজ্যের অন্যান্য জেলার পাশাপাশি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাতেও এদিন সকাল থেকে বন্‌ধ (Strike) পালিত হচ্ছে। বন্‌ধের কারণে বালুরঘাট পাবলিক বাসস্ট্যান্ডে বেসরকারি বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। বেসরকারি বাস চলাচল না করলেও সকালের দিকে কিছু সরকারি বাস চলাচল করেছে। বন্‌ধ সমর্থকরা বালুরঘাটের মঙ্গলপুর মোড়ে পথ অবরোধ করেন। ফলে, বালুরঘাট থেকে মালদা ও রায়গঞ্জের দিকে বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এছাড়াও বালুরঘাটে বন্‌ধ সমর্থকরা শহরের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে দোকানপাট বন্ধ করে দেন। বালুরঘাট শহরের দোকান বাজার এদিন বন্ধ ছিল। সমগ্র দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় প্রায় একই চিত্র দেখা গিয়েছে। এদিকে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বালুরঘাট শহর জুড়ে বিশাল পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। এদিকে বন্‌ধের কারণে নিত্যযাত্রীরা চরম নাকাল হন। বালুরঘাটসহ দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাজুড়ে বেসরকারি যানবাহন চলাচল না করলেও হাতে গোনা কিছু টোটো রাস্তায় চলাচল করেছে।

    কী বললেন আদিবাসী সিঙ্গেল অভিযানের নেতা?

    প্রসঙ্গত, দণ্ডিকাণ্ডে প্রথম থেকেই তৃণমূল নেত্রী প্রদীপ্তা চক্রবর্তীকে আড়াল করেই রাখা হয়েছে বলে পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে আগেই সরব হয়েছিল আদিবাসী সংগঠনগুলি। গত ৭ এপ্রিল তপনের গোফানগরের কয়েকজন আদিবাসী মহিলাকে দণ্ডি কাটিয়ে তৃণমূলে যোগদান করানো হয়। ঘটনায় তোলপাড় হয় রাজ্য রাজনীতি। সম্প্রতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সেই আদিবাসী মহিলাদের সঙ্গে একান্তভাবে কথা বলার পরেই রাতারাতি পুরসভার ভাইস চেয়ারপার্সনের পদ থেকে প্রদীপ্তা চক্রবর্তীকে সরানো হয়। পাশাপাশি পুলিসও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠায় তাঁকে। কিন্তু, এতেও খুশি নয় আদিবাসী সিঙ্গেল অভিযান। তাই এবারে ফের বন্‌ধের (Strike) ডাক দিয়েছে তারা। আদিবাসী সিঙ্গেল অভিযান এর দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার নেতা বিক্রম মুর্মু বলেন, এদিনের বন্‌ধ সফল। রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় আদিবাসীদের সামাজিক বহিষ্কারের প্রতিবাদে, কুর্মিদের এসটি সূচিতে সামিলের চক্রান্তের বিরুদ্ধে, দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটের দণ্ডিকাণ্ডের মূল অভিযুক্তের গ্রেফতারের দাবিতে এদিনের বন্‌ধ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “মুখ্যমন্ত্রী, পোড়া লাশের গন্ধ পাচ্ছেন?” বজবজ-বিস্ফোরণের পর বিস্ফোরক ট্যুইট শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “মুখ্যমন্ত্রী, পোড়া লাশের গন্ধ পাচ্ছেন?” বজবজ-বিস্ফোরণের পর বিস্ফোরক ট্যুইট শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের বাজি কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড। এগরার পর বজবজ। ৫ দিনের ব্যবধানে আবার বিস্ফোরণের ঘটনায় আগুনে ঝলসে মৃত্যু হয়েছে এক নাবালিকা-সহ ৩ জনের। বজবজ বিস্ফোরণকাণ্ডেও এনআইএ তদন্ত দাবি করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। 

    ট্যুইটবার্তা শুভেন্দুর

    ট্যুইটবার্তায় শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) জানিয়েছেন, ‘খাদিকুল গ্রামে পোড়া মাংসের গন্ধ আর বিস্ফোরকের অবশিষ্টাংশ এখনও বাতাসে ভাসছে। আহতদের অবস্থা এখনও সঙ্কটজনক। সেই রেশ মেলানোর আগেই বজবজের নন্দরামপুরের দাসপাড়ায় আরও একটা বিস্ফোরণ। এখনও পর্যন্ত ৩ জনের পুড়ে মৃত্যু হয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। এটা পুনরাবৃত্তি মনে হতে পারে, কিন্তু এক্ষেত্রেও আমি এনআইএ তদন্ত চাইছি। মুখ্যমন্ত্রী, আপনি ঘুম থেকে উঠে পোড়া লাশের গন্ধ পাচ্ছেন? আর কত মৃত্যু আপনার বিবেককে নাড়া দেবে?’ 

    সরব দিলীপ ঘোষ

    রবিবার রাত পৌনে ৮টা নাগাদ, একটি বাড়ির ছাদে অগ্নিকাণ্ড ঘটে। ভেঙে পড়ে অস্থায়ী ছাউনি। তাতেই চাপা পড়েছিলেন তিনজন। পরে তাঁদের মৃত্যু হয়। অন্যদিকে এই ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন দিলীপ ঘোষও। সোমবার সকালে প্রাতঃভ্রমণে আসেন দিলীপ ঘোষ। ইকোপার্কে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি। সেখানেই এগরার পর বজবজের বাজি কারখানায় আগুন প্রসঙ্গে তিনি জানান, যেখানে বাজির কারখানা সেখানেই ভয়ের পরিবেশ থাকে। বলেন, ‘এটা অনেকদিন ধরে চলছে। বেশিরভাগ বাজি কারখানা বেআইনি ভাবে চলে। তাদের ক্যাপাসিটি বা নিয়মকানুন কিছুই মানা হয় না। বেশিরভাগ গরিব লোক এখানে কাজ করে, তাদের জীবনহানি হয়। যেখানে বাজির কারখানা সেখানেই এইরকম ভয়ের পরিবেশ থাকে। এগরাতে অনেক মহিলা কাজ করতেন, ৭-৮ জন মহিলা যারা মারা গিয়েছেন, তাদের বাড়িতে ছোট ছোট বাচ্চা রয়েছে। তারা অনাথ হয়ে গিয়েছে। পুলিশ সব জানে। সব জায়গা থেকে টাকা খাওয়ার এইরকম অভ্যাস হয়ে গেলে এই সমস্যার কোনদিন সমাধান হবে না।’

    আরও পড়ুন: এগরার পর বজবজ! বিস্ফোরণে বাজি কারখানার মালিকের স্ত্রী, মেয়েসহ তিনজনের মৃত্যু

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share