Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Abhishek Banerjee: অভিষেককে তলব সিবিআইয়ের, হাজিরা শনি-সকালেই

    Abhishek Banerjee: অভিষেককে তলব সিবিআইয়ের, হাজিরা শনি-সকালেই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আইনি ফাঁক গলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তলব সিবিআইয়ের (CBI)। তৃণমূলের (TMC) সেকেন্ড-ইন-কমান্ডকে নোটিশ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। শনিবার সকাল ১১টায় সিবিআই দফতরে হাজিরা দিতে হবে অভিষেককে (Abhishek Banerjee)। শুক্রবার রাতেই আসানসোল থেকে কলকাতায় ফিরছেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক। সেখানে নবজোয়ার যাত্রায় গিয়েছিলেন তিনি। নবজোয়ার যাত্রা বন্ধ রেখেই কলকাতায় ফিরছেন তৃণমূলের ‘যুবরাজ’। তৃণমূল সূত্রে খবর, ২২ মে ফের বাঁকুড়ার সোনামুখী থেকে নবজোয়ার যাত্রা শুরু করবেন অভিষেক।

    সিবিআই তলবের আঁচ করেছিলেন অভিষেকও (Abhishek Banerjee)!

    সিবিআই যে তাঁকে তলব করতে পারে, সে আঁচ বোধহয় আগেই পেয়েছিলেন অভিষেক। তার জেরে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে গিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে। শুক্রবার ওই মামলার শুনানি হয়নি ওই বেঞ্চে। মেলেনি রক্ষাকবচও। অভিষেক চেয়েছিলেন জরুরি ভিত্তিতে শুনানি হোক তাঁর মামলার। সেখানেও হতাশ হতে হয়েছে তাঁকে (Abhishek Banerjee)। এদিন অভিষেকের ওই মামলার দ্রুত শুনানিতে রাজি হয়নি ডিভিশন বেঞ্চ। সোমবার থেকে হাইকোর্টে পড়ছে গ্রীষ্মের ছুটি। তার আগে শনি এবং রবিবার এমনিতেই ছুটি।

    রক্ষাকবচ মেলেনি কেন?

    শুক্রবার পূর্বনির্ধারিত বেশ কিছু মামলা রয়েছে ওই বেঞ্চে। বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, সেই কারণেই শুক্রবার শুনানি করা যাবে না অভিষেকের (Abhishek Banerjee) আবেদনের। প্রত্যাশিতভাবেই অভিষেক এবং কুন্তল ঘোষের আবেদন ফেরত যায় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের কাছে। সেখানেও মেলেনি রক্ষাকবচ। মঞ্জুর হয়নি দ্রুত শুনানির আর্জিও।

    এদিন বিচারপতি তালুকদার ও বিচারপতি ভট্টাচার্যের বেঞ্চ বলেছে, পূর্বনির্ধারিত অনেক মামলা রয়েছে। রায় ঘোষণা করতে হবে। সেগুলো সাইটে আপলোডের কাজ রয়েছে। আমাদের অনেক কাজ। এখনই মামলা শুনতে পারব না। গ্রীষ্মের ছুটির পর আদালত খুললে সম্ভব হবে। বিচারপতি সুব্রত তালুকদার বলেন, আমি মৌখিকভাবে বলছি, উপায় না থাকলে আপনারা অবকাশকালীন বেঞ্চে যেতে পারেন।

    আরও পড়ুুন: অভিষেকের দ্রুত শুনানির আর্জি খারিজ হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে, হতাশ তৃণমূল

    তৃণমূল নেতা অভিষেককে (Abhishek Banerjee) ইডি-সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে বলে বৃহস্পতিবারই নির্দেশ দিয়েছিল বিচারপতি অমৃতা সিনহার সিঙ্গল বেঞ্চ। মূল তদন্তে বাধা দেওয়ার চেষ্টায় এই মামলা করা হয়েছিল বলেও সন্দেহ আদালতের। সেই কারণেই অভিষেক ও কুন্তলের ২৫ লক্ষ করে টাকা জরিমানা করা হয়। সেই টাকা হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে জমা দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অভিষেক। সেখানেও রক্ষাকবচ না মেলায় তৃণমূলের যুবরাজকে দ্রুত তলব করে সিবিআই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Abhishek Banerjee: অভিষেকের দ্রুত শুনানির আর্জি খারিজ হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে, হতাশ তৃণমূল

    Abhishek Banerjee: অভিষেকের দ্রুত শুনানির আর্জি খারিজ হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে, হতাশ তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি চেয়েছিলেন রক্ষাকবচ। মেলেনি। চেয়েছিলেন জরুরি ভিত্তিতে শুনানি হোক তাঁর মামলার। সেখানেও হতাশ হতে হল তৃণমূলের (TMC) সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee)। শুক্রবার অভিষেকের ওই মামলার শুনানিতে রাজি হলেন না কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ। সোমবার থেকে হাইকোর্টে পড়ছে গ্রীষ্মের ছুটি। তার আগে শনি এবং রবিবার এমনিতেই ছুটি।

    ‘এখনই মামলা শুনতে পারব না…’

    শুক্রবার পূর্বনির্ধারিত বেশ কিছু মামলা রয়েছে ওই বেঞ্চে। বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, সেই কারণেই শুক্রবার শুনানি করা যাবে না অভিষেকের (Abhishek Banerjee) আবেদনের। প্রত্যাশিতভাবেই অভিষেক এবং কুন্তল ঘোষের আবেদন ফেরত গেল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের কাছে। এদিন বিচারপতি তালুকদার ও বিচারপতি ভট্টাচার্যের বেঞ্চ বলেছে, “পূর্বনির্ধারিত অনেক মামলা রয়েছে। রায় ঘোষণা করতে হবে। সেগুলো সাইটে আপলোডের কাজ রয়েছে। আমাদের অনেক কাজ। এখনই মামলা শুনতে পারব না। গ্রীষ্মের ছুটির পর আদালত খুললে সম্ভব হবে।” বিচারপতি সুব্রত তালুকদার বলেন, “আমি মৌখিকভাবে বলছি, উপায় না থাকলে আপনারা অবকাশকালীন বেঞ্চে যেতে পারেন।”

    আরও পড়ুুন: শিক্ষক বদলি নিয়ে এখনই পদক্ষেপ নয়! জানাল হাইকোর্ট

    তৃণমূল নেতা অভিষেককে (Abhishek Banerjee) ইডি-সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে বলে বৃহস্পতিবারই নির্দেশ দিয়েছিল বিচারপতি অমৃতা সিনহার সিঙ্গল বেঞ্চ। মূল তদন্তে বাধা দেওয়ার চেষ্টায় এই মামলা করা হয়েছিল বলেও সন্দেহ আদালতের। সেই কারণেই অভিষেক ও কুন্তলের ২৫ লক্ষ করে টাকা জরিমানা করা হয়। সেই টাকা হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে জমা দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ফের আদালতের দ্বারস্থ হন অভিষেক। এবার মামলাটি যায় বিচারপতি তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চে। সেই বেঞ্চই জানিয়ে দিয়েছে, দ্রুত শুনানি সম্ভব নয়। আইনজীবীদের একাংশের মতে, আজ (শুক্রবার) মামলা না হলে ফের সমস্যায় পড়তে পারেন অভিষেক।

    অভিষেককে অবসরকালীন বেঞ্চে যাওয়ার নির্দেশ প্রধান বিচারপতিরও

    হাইকোর্ট সূত্রে খবর, বিচারপতি তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চ থেকে কিছু না পেয়ে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে ছোটেন অভিষেকের আইনজীবীরা। প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। কিন্তু, সেখান থেকেও খালি হাতে ফিরতে হয়।  প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম বলেন, ‘‘আমরা তো মামলা ডিভিশন বেঞ্চে পাঠিয়ে দিয়েছি।’’ অভিষেকের আইনজীবী বলেন, ‘‘ওই বেঞ্চ জানিয়েছে আজকে মামলার খুব চাপ রয়েছে। তাই শুনতে পারবে না।’’

    বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম বলেন, “২২ তারিখ, সোমবার অবসরকালীন বেঞ্চের প্রথম দিন। দু’দিনে এমন কিছু হবে না।” অভিষেকের আইনজীবী তখন বলেন, ‘‘তা হলে আপনি এটা নিশ্চিত করে দিন এই আগামী দু’দিনে কিছু হবে না। এই মামলার অন্য পক্ষও এখানে উপস্থিত রয়েছে।’’ জবাবে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘‘এটা আমরা পারব না। কারণ, মামলাটি এই বেঞ্চের বিচার্য বিষয় নয়। আমি শুধু অনুমতি দিতে পারি মামলা দায়েরের। অনুমতি দিচ্ছি অবকাশকালীন বেঞ্চে যান।’’ এমনকী, নতুন বেঞ্চ গঠনের আর্জিও শুনতে চাননি প্রধান বিচারপতি। দেননি কোনও রক্ষাকবচও। তাই অভিষেককে (Abhishek Banerjee) জিজ্ঞাসাবাদ সংক্রান্ত ব্যাপারে বহাল থাকছে বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: শিক্ষক বদলি নিয়ে এখনই পদক্ষেপ নয়! জানাল হাইকোর্ট

    Calcutta High Court: শিক্ষক বদলি নিয়ে এখনই পদক্ষেপ নয়! জানাল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক বদলি নিয়ে ফের আদালতে জোর ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার। শিক্ষক বদলি (Teacher Transfer) নিয়ে সরকারের নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিল হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। ১৩ জুন পর্যন্ত শিক্ষকরা যদি নতুন জায়গায় কাজে যোগ নাও দেয়, তাহলে কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারবে না কমিশন। কারণ, মামলার চূড়ান্ত শুনানি হবে ১৩ জুন।

    হাইকোর্টের নির্দেশ

    শিক্ষক বদলিতে প্রবল দুর্নীতি হচ্ছে, এই অভিযোগ তুলে হাইকোর্টে (Calcutta High Court) মামলা করেছিলেন বেশ কয়েকজন শিক্ষক। তার পরিপ্রক্ষিতেই বিচাপতি বিশ্বজিৎ বসু রাজ্য সরকারকে শিক্ষক বদলি নিয়ে গাইড লাইন তৈরির নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু যে গাইড লাইন তৈরি হয়েছে, সেখানে স্কুল সার্ভিস কমিশনের ১০ (সি) রুল মানা হয়নি বলে অভিযোগ করেন কিছু শিক্ষক। তাঁরা ফের হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। সেই মামলার শুনানিতে হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চ শিক্ষক বদলির উপর স্থগিতাদেশ দিয়েছে।

    বিচারপতি বসুর এজলাসে আবেদন

    এই বদলি ইস্যুতে কিছু আবেদন নিয়ে বিচারপতি বসুর এজলাসে আবেদন করেছেন বদলি হওয়া কয়েকজন শিক্ষক। তাঁদের ক্ষেত্রে অবশ্য সিঙ্গল বেঞ্চ কোনও স্থগিতাদেশ দেয়নি। সেই মামলার শুনানি হবে আগামী ১৬ জুন। বদলি নীতি নিয়ে ইতিমধ্যেই একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ শুনিয়েছেন হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। 

    আরও পড়ুুন: প্রকাশিত মাধ্যমিকের ফল! পাশের হার ৮৬ শতাংশ, প্রথম কাটোয়ার দেবদত্তা মাঝি

    শিক্ষক ও পড়ুয়ার অনুপাতের বিচার করেই বদলি নীতি তৈরি, তা অবশ্য মেনে চলা আর তা না মানা হলে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ কড়া পদক্ষেপ করতে পারবে বলেও উল্লেখ করেছিলেন বিচারপতি। তিনি এমনও বলেছিলেন, ‘অন্য কোনও চাকরিতে বদলি নিয়ে কোনও অসন্তোষ নেই। শুধুমাত্র শিক্ষকরাই কেন পছন্দের স্কুলে চাকরি করবেন?’ এই শিক্ষক বদলি সংক্রান্ত একটি মামলায় বিচারপতি বসুকে এমনও বলতে শোনা গিয়েছে, বদলির পর নতুন স্কুলে যোগ না দিলে তা ‘সার্ভিস ব্রেক’ হিসাবেও গণ্য হতে পারে। এসব মাথায় রেখেই নাকি নতুন বদলি নীতি তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু তা সামনে আসার পর থেকেই একাধিক মামলা হতে থাকে। শিক্ষকদের অভিযোগ, একই জেলার দুটি বিপরীত প্রান্তে বদলি করা হচ্ছে। ইচ্ছাকৃতভাবে বদলি করা হচ্ছে শিক্ষকদের, যাতে সমস্যা বাড়ছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Madhyamik Results 2023: প্রকাশিত মাধ্যমিকের ফল! পাশের হার ৮৬ শতাংশ, প্রথম কাটোয়ার দেবদত্তা মাঝি

    Madhyamik Results 2023: প্রকাশিত মাধ্যমিকের ফল! পাশের হার ৮৬ শতাংশ, প্রথম কাটোয়ার দেবদত্তা মাঝি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রকাশিত হল ২০২৩ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষার ফল (Madhyamik Results 2023)। পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৭৫ দিনের মাথায় ফল প্রকাশ করল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। এবার মাধ্যমিকে পাশের হার ৮৬ শতাংশ। 

    মাধ্যমিকে প্রথম কাটোয়ার দেবদত্তা

    এদিন সকাল ১০টায় সাংবাদিক সম্মেলন করে আনুষ্ঠানিকভাবে ফল ঘোষণা (Madhyamik Results 2023) করে পর্ষদ। সেখানে বলা হয়েছে— এবার মাধ্যমিকে প্রথম দেবদত্তা মাঝি। দেবদত্তা কাটোয়া দুর্গাদাসী চৌধুরানী হাই স্কুলের ছাত্রী। সে পেয়েছে ৬৯৭ নম্বর। যুগ্ম দ্বিতীয় বর্ধমানের শুভম পাল এবং মালদার রিফাত হাসান সরকার। ১৬ জেলা থেকে প্রথম দশে রয়েছেন ১১৮ জন। মালদা থেকে সব থেকে বেশি সংখ্যক পড়ুয়া মেধাতালিকায় আছেন। জেলাভিত্তিক পাশের হারের নিরিখে শীর্ষে রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর। দ্বিতীয় স্থানে কালিম্পং। তৃতীয় স্থানে রয়েছে কলকাতা। পশ্চিম মেদিনীপুর রয়েছে চতুর্থ স্থানে। অন্যদিকে, এ বছরের  মাধ্যমিকে ফেল করেছে ১ লক্ষের বেশি পরীক্ষার্থী।

    এবছর ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ থেকে ৪ মার্চ ২০২৩ পর্যন্ত মাধ্যমিক পরীক্ষা নেওয়া হয়। এবছরের মাধ্যমিক পরীক্ষায় ৬ লক্ষ ৯৮ হাজার ৬২৮ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিয়েছিল। এর মধ্যে ২ লক্ষ ৯০ হাজার ১৭২ জন ছেলে ও ৩ লক্ষ ৫৬ হাজার ২১ জন মেয়ে পরীক্ষার্থী। মোট ২ হাজার ৮৬৭টি সেন্টারে পরীক্ষা নেওয়া হয়। পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছে, আজ দুপুর ১২টা থেকে ওয়েবসাইটে মাধ্যমিক পরীক্ষার রেজাল্ট (Madhyamik Results 2023) দেখতে পারবে পরীক্ষার্থীরা। একইসঙ্গে আজ দুপুর থেকেই পর্ষদের ক্যাম্প অফিস থেকে স্কুলগুলিকে মাধ্যমিকের মার্কশিট ও সার্টিফিকেট দেওয়া হবে।

    আরও পড়ুন: আইসিএসইতে দেশে প্রথম স্থানাধিকারী ৯ জনের মধ্যে বাংলার সম্বিত মুখোপাধ্যায়

    কী করে ওয়েবসাইটে ফল জানতে পারবে পরীক্ষার্থীরা

    পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট wbbse.wb.gov.in এবং wbresults.nic.in থেকে মাধ্যমিকের ফলাফল (Madhyamik Results 2023) দেখা যাবে। পর্ষদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট wbbse.wb.gov.in বা wbresults.nic.in-এ গিয়ে ‘West Bengal Board of Secondary Exam Results 2023’ লিঙ্কে ক্লিক করতে হবে পড়ুয়াদের। এরপর একটি নতুন পেজ খুলে যাবে। সেখানে যথা স্থানে রোল নম্বর, জন্মতারিখ এবং ক্যাপচা দিয়ে ‘সাবমিট’ করতে হবে। এরপরই মাধ্যমিক পরীক্ষার রেজাল্ট ফুটে উঠবে স্ক্রিনে।

    এদিনই, আগামী বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষার নির্ঘণ্ট ঘোষণা করে দেয় পর্ষদ। জানানো হয়েছে, আগামী বছর ২ ফেব্রুয়ারি থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হবে। পরীক্ষা চলবে ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। প্রতিদিন সকাল ১১টা ৪৫ থেকে দুপুর ৩টে পর্যন্ত পরীক্ষা চলবে। ২০২৪ মাধ্যমিকের সূচি এইরকম— ২ ফেব্রুয়ারি প্রথম ভাষা, ৩ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় ভাষা, ৫ ফেব্রুয়ারি ইতিহাস, ৬ ফেব্রুয়ারি ভূগোল, ৮ ফেব্রুয়ারি গণিত, ৯ ফেব্রুয়ারি জীবনবিজ্ঞান, ১০ ফেব্রুয়ারি ভৌতবিজ্ঞান, ১২ ফেব্রুয়ারি ঐচ্ছিক বিষয়। ফিজিকাল এডুকেশন অ্যান্ড সোশ্যাল সার্ভিস ও ওয়ার্ক এডুকেশনের পরীক্ষার দিন পরে ঘোষণা করবে পর্ষদ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Egra Blast: কটকের হাসপাতালে মৃত্যু এগরা বিস্ফোরণকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত ভানু বাগের

    Egra Blast: কটকের হাসপাতালে মৃত্যু এগরা বিস্ফোরণকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত ভানু বাগের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মৃত্যু হল এগরা বিস্ফোরণ (Egra Blast) কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত ভানু বাগের। কটকের রুদ্র হাসপাতালে বৃহস্পতিবার রাত ২টো নাগাদ মৃত্যু হয় তাঁর। প্রসঙ্গত, চলতি সপ্তাহের মঙ্গলবার এগরা বিস্ফোরণের ঘটনায় তিনিও জখম হন। অগ্নিদগ্ধ অবস্থাতেই তিনি ওড়িশা পালিয়ে গিয়েছিলেন।

    পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা প্রশাসন ভানুর মৃত্যুর খবরকে ইতিমধ্যে নিশ্চিত করেছে এবং তারা ওড়িশা থেকে দেহ আনতে উদ্যোগীও হয়েছে বলে জানা গেছে। জেলা পুলিশ সূত্রে আরও জানা যাচ্ছে যে ভানুর শেষকৃত্যের পর তার ছেলেকে পুলিশ হেফাজতে নেবে। প্রসঙ্গত, এখনও পর্যন্ত এগরা বিস্ফোরণ মামলায় ভানু, তাঁর পুত্র এবং ভাইপো এই তিনজনকেই মূল অভিযুক্ত হিসেবে রাখা হয়েছে। এর মধ্যে ভানুর মৃত্যু হওয়ায় এই মামলার মূল অভিযুক্ত তাঁর ছেলে ও ভাইপো রয়ে গেলেন। ভাইপোকে ইতিমধ্যে আট দিনের সিআইডি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

    সেদিনের ঘটনাক্রম….

    চলতি সপ্তাহের মঙ্গলবার এগরার খাদিকুল গ্রামে বাজি কারখানায় ব্যাপক বিস্ফোরণ হয় অন্ততপক্ষে ৯ জনের মারা যাওয়ার খবর মেলে। জানা যায় কারখানার মালিকের নাম কৃষ্ণপদ বাগ ওরফে ভানু। বেআইনিভাবেই বাজি তৈরি করা হতো ওই কারখানায়। মালিকের রাজনৈতিক পরিচয়ও জানা যায় যে তিনি ছিলেন তৃণমূলের প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য। ওই বাজি কারখানার বিস্ফোরণে মারাত্মকভাবে জখম হন ভানু বাগ নিজেও। সে সময় তিনি তাঁর ছেলে পৃথ্বীজিৎ বাগ ও ভাইপোকে সঙ্গে করে ওড়িশায় পালিয়ে যান। কিন্তু অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় ভানুকে কটকের একটি হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়। ইতিমধ্যে ভানু ঘনিষ্ঠ চারজনকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ চালাতে থাকে পুলিশ। সেই সূত্র ধরেই জানা যায় ভানু বর্তমানে রয়েছেন ওড়িশায় এবং সেখানে থেকে রাতে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। কিন্তু অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে এ রাজ্যে ফিরিয়ে আনা সম্ভব ছিল না। বৃহস্পতিবার রাতেই মৃত্যু হয় ভানুর। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে তাঁর শরীরের ৮০ শতাংশ পুড়ে গেছিল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘পিসি দেয় ৫, তো ভাইপোর ২৫’’! শুভেন্দু কেন বললেন জানেন?

    Suvendu Adhikari: ‘‘পিসি দেয় ৫, তো ভাইপোর ২৫’’! শুভেন্দু কেন বললেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় তৃণমূলের (TMC) সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee) জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে ইডি-সিবিআই। বৃহস্পতিবার এই মর্মে নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অমৃতা সিনহা। তার পরেই তৃণমূল নেতার দিকে ট্যুইট-বাণ নিক্ষেপ করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Aadhikari)। তিনি লিখেছেন, ‘গোদের ওপর বিষফোঁড়া। এতদিন শোনা যেত বাপ নম্বরি তো বেটা দশ নম্বরি। এখন নতুন সংস্করণ, পিসি দেয় ৫, তো ভাইপোর ২৫! স্বভাব যেমন, তাই পাঁচ গুণ বেশি দিস!’   

    বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের পর্যবেক্ষণ…

    নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন প্রাক্তন তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ। গ্রেফতার হওয়ার পরেই তাঁকে বহিষ্কার করে তৃণমূল। পরে তিনি দাবি করেন, তদন্তকারীরা তাঁর মুখ দিয়ে অভিষেকের নাম বলানোর জন্য চাপ দিচ্ছেন। অভিযোগ জানিয়ে নিম্ন আদালতের পাশাপাশি হেস্টিংস থানায়ও চিঠি দিয়েছিলেন কুন্তল। ওই চিঠি প্রসঙ্গে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের পর্যবেক্ষণ ছিল, ইডি কিংবা সিবিআই প্রয়োজনে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জেরা করতে পারে। হাইকোর্টের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন অভিষেক। সেখান থেকে আবার হাইকোর্টে ফেরে মামলাটি।

    পরে অন্য একটি ঘটনার জেরে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে এ সংক্রান্ত মামলা বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চ থেকে সরিয়ে পাঠানো হয় বিচারপতি সিন্‌হার বেঞ্চে। বিচারপতি সিন্‌হাও জানিয়ে দেন, ইডি-সিবিআই চাইলে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে অভিষেককে। সেই সঙ্গে আদালতের মূল্যবান সময় নষ্ট করায় অভিষেক ও কুন্তলের ২৫ লক্ষ টাকা করে জরিমানাও করা হয়।

    সুকান্তের কটাক্ষ-বাণ

    কলকাতা হাইকোর্টের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন অভিষেক। এ প্রসঙ্গে অভিষেককে কটাক্ষ করেছেন বিজেপির (Suvendu Aadhikari) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, “উনি যেখানেই যান না কেন, ওঁর জেলযাত্রা সময়ের অপেক্ষা মাত্র। বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, শুনলাম উনি (অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়) হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছেন। তা উনি যেতেই পারেন। আদালতের দরজা সবার জন্য খোলা। কিন্তু প্রশ্ন হল, কেন যাচ্ছেন? সুপ্রিম কোর্ট যেদিন এই মামলা থেকে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে সরাল, সেদিন উনি বলেছিলেন কোর্টের রায় স্বাগত। সিবিআই হোক বা ইডি যে যখনই ডাকবেন, উনি যাবেন তদন্তে সহযোগিতা করতে। তাহলে এখন অসুবিধার কী আছে?”সুকান্ত বলেন, মনে রাখতে হবে, সুপ্রিম কোর্টের মহামান্য বিচারপতি শুধু এজলাস বদলেছিলেন, বিচারপতি বদলেছিলেন, বিচারে হস্তক্ষেপ করেননি। তাই যেখানেই যান ওঁকে আজ নয় কাল সিবিআইয়ের মুখোমুখি হতেই হবে। যদি কোনও অন্যায় করে থাকেন, বিচার হবে। ওঁর জেলযাত্রা সময়ের অপেক্ষা মাত্র”।

    আরও পড়ুুন: “গুরু পাপে, লঘু দণ্ড”! এগরায় গিয়ে রাজ্য সরকার ও পুলিশের বিপক্ষে বিস্ফোরক দিলীপ

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Egra: এগরাকাণ্ডে এনআইএ-কে রিপোর্ট পাঠাবে সিআইডি, নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

    Egra: এগরাকাণ্ডে এনআইএ-কে রিপোর্ট পাঠাবে সিআইডি, নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এগরা (Egra) বিস্ফোরণকাণ্ডের তদন্ত করছে সিআইডি (CID)। তবে তদন্তের রিপোর্ট পাঠাতে হবে এনআইএকে (NIA)। বৃহস্পতিবার এই নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। সিআইডির প্রাপ্ত রিপোর্টের ভিত্তিতে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থাই ঠিক করবে, তারা তদন্ত করবে কি না। এই মামলায় এনআইএকে পার্টি করতে হবে বলেও নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।

    এগরা (Egra) বিস্ফোরণে গ্রেফতার ভানু

    মঙ্গলবার পূর্ব মেদিনীপুরের এগরার খাদিকুল গ্রামের এক বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ (Egra) ঘটে। বিস্ফোরণের অভিঘাতে ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় ৯ জনের দেহ। জখমও হয়েছিলেন বেশ কয়েকজন বাজি শ্রমিক। স্থানীয়দের একাংশের অভিযোগ, বাজি কারখানার আড়ালে তৃণমূল নেতা ভানু বাগের বাড়িতে তৈরি হত বোমাও। বিস্ফোরণে জখম হয়েছিলেন ভানু নিজেও। অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় বাইকে চেপে ওড়িশায় গা ঢাকা দিয়েছিলেন তিনি। ওড়িশার কটক হাসপাতালে চলছিল চিকিৎসা। তাঁর শরীরের ৭০ শতাংশই পুড়ে গিয়েছে। তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। কিছুটা সুস্থ হলেই ভানুকে কলকাতায় নিয়ে আসা হবে। রাজ্য সরকারের নির্দেশে ওই ঘটনার তদন্ত করছে সিআইডি।

    এনআইএ-র দাবি শুভেন্দুর

    যদিও এনআইএ তদন্তের দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী। এদিন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ সিআইডি তদন্ত জারি রাখতে বলে। পাশাপাশি রাজ্য সরকারকে আদালতের নির্দেশ, এনআইএ (Egra) আইনের ৬ নম্বর ধারার বিধানগুলি মেনে চলবে হবে। ওই বিধানে বলা হয়েছে, একটি নির্ধারিত অপরাধের ক্ষেত্রে তদন্তের যাবতীয় কাগজপত্র এনআইএকে পাঠাতে হবে। সেই রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে এনআইএ সিদ্ধান্ত নেবে তারা তদন্ত করবে কি না।

    আরও পড়ুুন: “গুরু পাপে, লঘু দণ্ড”! এগরায় গিয়ে রাজ্য সরকার ও পুলিশের বিপক্ষে বিস্ফোরক দিলীপ

    এদিন শুনানির সময় খাদিকুলের ওই বাজি কারখানার বিস্ফোরণে ছবি দেখে শিউরে ওঠেন প্রধান বিচারপতি শিবজ্ঞানম। তিনি বলেন, “হে ভগবান, কী হয়েছে? দেহগুলি ছিন্নভিন্ন হয়ে গিয়েছে”। ঘটনার পরে রাজ্য সরকার যে এফআইআর করেছে, তাতে বিস্ফোরক দ্রব্য সংক্রান্ত কোনও ধারা দেওয়া হয়নি। যদিও আদালত সেই ধারা যুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছে। খাদিকুলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েনের নির্দেশও দিয়েছে আদালত। প্রসঙ্গত, ঘটনার(Egra) পর বিরোধীরা এনআইএ তদন্তের দাবি জানিয়েছিলেন। সে প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, এনআইএ তদন্ত করলে তাঁর কোনও আপত্তি নেই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: অমৃতা সিনহার নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে অভিষেক

    Abhishek Banerjee: অমৃতা সিনহার নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে অভিষেক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) ও কুন্তল ঘোষ। আগামিকাল জরুরি শুনানির আর্জি জানালেন অভিষেক। বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেন প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম। কিন্তু, দ্রুত শুনানির আর্জি মঞ্জুর করেনি আদালত।

    অভিষেকের আর্জি

    নিয়োগ মামলায় ধৃত কুন্তল ঘোষের চিঠি প্রসঙ্গে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee) ইডি এবং সিবিআই জেরা করতে পারবে বলে নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অমৃতা সিন্‌হা। একক বেঞ্চের সেই নির্দেশকেই চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন অভিষেক। নিয়োগ মামলায় অভিযুক্ত কুন্তল ঘোষও বিচারপতি সিন্‌হার একক বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে প্রধান বিচারপতির দ্বারস্থ হয়েছেন। প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে মামলা দায়েরের অনুমতি মিলেছে। প্রধান বিচারপতি শিবজ্ঞানম বলেন, তিনি বিষয়টি বিবেচনা করে দেখবেন। কিন্তু এখনই দ্রুত শুনানির আর্জি মঞ্জুর করা যাচ্ছে না। তবে শুক্রবার শুনানি হতে পারে।

    অভিষেকের বিরুদ্ধে রায়

    অভিষেকের (Abhishek Banerjee) নাম বলতে চাপ দিচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এই মর্মে অভিযোগ জানিয়ে নিম্ন আদালতে একটি চিঠি দিয়েছিলেন নিয়োগ দুর্নীতিতে অন্যতম অভিযুক্ত কুন্তল ঘোষ। সেই মামলা হাইকোর্টে গড়ালে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেছিলেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে কেন্দ্রীয় সংস্থা। সিঙ্গল বেঞ্চের সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন অভিষেক। শীর্ষ আদালতের নির্দেশে বেঞ্চ বদল হলেও রায় বহাল থাকে।

    আরও পড়ুন: ‘‘বাংলা সরকার অসহিষ্ণু’’! ‘দ্য কেরালা স্টোরি’র উপর নিষেধাজ্ঞায় স্থগিতাদেশ সুপ্রিম কোর্টের

    এই মামলায় বিচারপতি অমৃতা সিনহা আগেই প্রশ্ন করেছিলেন, ‘অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) তদন্তে সহযোগিতা করতে সমস্যা কোথায়? তাঁর বক্তব্য ছিল, যে কাউকে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই পারে তদন্তকারী সংস্থা। এতে কোনও অসুবিধা থাকার কথা নয়। অভিষেকের আইনজীবী সব্যসাচী বন্দ্যোপাধ্যায়কে তিনি আরও বলেছিলেন, ‘তদন্তের সময় একাধিক ব্যক্তির নাম আসতেই পারে। এতে একজনের নাম এলে তিনি সহযোগিতা কেন করবেন না? একটু বেশি আশঙ্কায় ভুগছেন?’ এবার অমৃতা সিনহারও রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হলেন অভিষেক। এখন ডিভিশন বেঞ্চ কী রায় দেবে তার দিকে তাকিয়ে অভিষেক।

    তদন্তে ভয় পাচ্ছেন অভিষেক? প্রশ্ন বিরোধীদের

    এদিন বাঁকুড়ার সভা থেকে অভিষেক জানান, তিনি তদন্তে ভয় পান না। সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। বলেছেন, ‘‘কেন্দ্রীয় এজেন্সি আমাকে যেদিনই ডাকবে, আমি সেদিনই হাজিরা দেব। যদি আমায় সমন পাঠানো হয় তাহলে দরকারে আমি জনসংযোগ যাত্রা একদিন থামিয়ে আমি তদন্তে সাহায্য করে আসব।’’ এই প্রেক্ষিতে, তৃণমূলের সেকন্ড-ইন-কমান্ডকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিরোধীরা। তাদের মতে, যদি তিনি ভয়ই না পেয়ে থাকেন, তাহলে জিজ্ঞাসাবাদ ঠেকাতে বার বার আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছেন কেন? এই নিয়ে অভিষেকের সাফাই, আদালতে যাওয়াটা যে কোনও ভারতীয় নাগরিকের অধিকার। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Egra Incident: এগরা বিস্ফোরণের পর পুলিশি ‘সক্রিয়তা’! রাজ্যে উদ্ধার ২৫০ কেজি নিষিদ্ধ বাজি 

    Egra Incident: এগরা বিস্ফোরণের পর পুলিশি ‘সক্রিয়তা’! রাজ্যে উদ্ধার ২৫০ কেজি নিষিদ্ধ বাজি 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জেলায় জেলায় বোমা উদ্ধার বাংলায় নতুন কিছু নয়। বিরোধী মহলের কটাক্ষ, সন্ত্রাস করতেই শাসক দলের মদতে ব্যাঙের ছাতার মত গড়ে ওঠে বোমা তৈরির কারখানা। পঞ্চায়েত ভোটের আগে এগুলো যে বাড়বে তাও দাবি করেছে বিরোধীরা। এগরায় (Egra Incident) বোমা বিস্ফোরণে পরে নড়ে চড়ে বসেছে প্রশাসনও। উদ্ধার হয়েছে ২৫০ কেজি নিষিদ্ধ বাজি। মুখ্যমন্ত্রীও ঘোষণা করতে বাধ্য হয়েছেন যে এনআইএ তদন্ততে তাঁর কোনও আপত্তি নেই। অভিজ্ঞ মহলের প্রশ্ন, ‘‘বাংলা কি ক্রমশ মুঙ্গেরের পথেই হাঁটছে?’’ সাম্প্রতিক সময়ে দেখা গেছে একের পর এক অস্ত্রকারখানা গজিয়ে উঠেছে রাজ্যে।

    সাম্প্রতিক সময়ে অস্ত্র কারখানার হদিশ কোথায় কোথায় মিলেছে?

    চলতি বছরের মার্চ মাসেই দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং-এ অস্ত্র কারখানার হদিশ মিলেছিল, সেখানে অস্ত্রের কারবার চালানোর অভিযোগে ৮০ বছরের এক বৃদ্ধকে গ্রেফতারও করে দক্ষিণ ২৪ পরগনার পুলিশ। তার কয়েক মাস আগে ওই জেলার কুলতলিতে অস্ত্র কারখানার সন্ধান মেলে। সুন্দরবনের মাটির দেওয়াল এবং টিনের ছাউনির একটি বাড়ি থেকে প্রচুর অস্ত্রসহ কারখানার মালিক মহিউদ্দিন সরকারকে গ্রেফতার করে বারুইপুর থানার পুলিশ। ওই দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলারই বারুইপুরের জীবনতলাতে অস্ত্র কারখানা চালানোর অভিযোগে পুলিশ একজনকে গ্রেফতার করে। মালদায় সাম্প্রতিক সময়ে গ্রেপ্তার করা হয় একজন ব্যক্তিকে, নিজের লিচু বাগানের আড়ালে  অস্ত্র কারখানা চালানোর অভিযোগ ছিল ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে। হাওড়ার জেলার টিকিয়াপাড়া সহ বিভিন্ন এলাকাতেও বড়সড় রকমের নিয়ে অস্ত্র কারখানার সন্ধান পাওয়া যায়। মালদার কালিয়াচকে, পুকুরের মধ্যে একাধিক আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের ঘটনা কিংবা হাড়োয়ায় খড়ের বস্তায় কারবাইন লুকিয়ে তা পাচার করা এসব ঘটনা গত এক বছরের মধ্যেই রাজ্যে ঘটেছে।

    বাজি কারখানাগুলোতে তল্লাশি চলছে জোর কদমে

    বারাসাতে ইতিমধ্যে আড়াইশো কেজির অবৈধ বাজি উদ্ধার করেছে পুলিশ‌। জানা যাচ্ছে জেলায় জেলায় চলছে এই তল্লাশি অভিযান। পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বারাসত ব্যারাকপুর রোড সংলগ্ন আরিফবাড়ি ও টালিখোলা এলাকায় বাজি কারখানায় হানা দেয়। সেখান থেকে ২৫০ কেজি অবৈধ বাজি উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ আসার খবর পেয়েই পালিয়ে যায় মালিক। জানা গেছে, শুধু বারাসত নয়, দত্তপুকুর এলাকাজুড়েও বুধবার চলেছে তল্লাশি। একইভাবে তল্লাশির চিত্র দেখা গিয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা জুড়ে। মঙ্গলবারই হাবরা এলাকায় চলে তল্লাশি। সেখানেও পুলিশ উদ্ধার করেছে বিপুল পরিমাণ অবৈধ বাজি। তারপরেই বুধবার বিকেলে বারাসত দত্তপুকুর এলাকায় শুরু হয় তল্লাশি। পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, মালদা, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, পূর্ব বর্ধমানে চলছে এই অভিযান। শুধু দক্ষিণবঙ্গ নয় বাজি উদ্ধারে পুলিশি সক্রিয়তা নজরে পড়েছে উত্তরবঙ্গেও। জলপাইগুড়ির ধূপগুড়িতে বাজিকারখানার মালিকদের তালিকা তৈরি করে অভিযানে নামে পুলিশ। তল্লাশি চালানো হয় একাধিক গোডাউনে। এ নিয়ে কটাক্ষ করেছে বিজেপিও। তাদের দাবি, যদি প্রথম থেকেই এভাবে উদ্ধারের কাজে নামত পুলিশ তাহলে হয়ত এতগুলো প্রাণ এক রাতে যেত না।

    কী বলছেন প্রাক্তন আমলা?

    রাজ্যের এক প্রাক্তন আমলা বলছেন, ‘‘একটা সময়ে বেআইনি অস্ত্রের জন্য বিহারের নাম ছিল এখন বাংলাতেও মুঙ্গের মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। বাংলা মুঙ্গের হয়ে গেছে কিনা বলা না গেলেও পরিস্থিতি যথেষ্ট খারাপ।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: অভিষেক-কুন্তলকে কেন ৫০ লক্ষ টাকার জরিমানা করল হাইকোর্ট? এই হল আসল কারণ

    Calcutta High Court: অভিষেক-কুন্তলকে কেন ৫০ লক্ষ টাকার জরিমানা করল হাইকোর্ট? এই হল আসল কারণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ কেলেঙ্কারি সংক্রান্ত অন্য একটি মামলায় জুড়ে গিয়েছে তৃণমূল (TMC) নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম। বৃহস্পতিবার সেই মামলার শুনানিতে অভিষেক এবং প্রাক্তন তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষের মোট ৫০ লক্ষ টাকা জরিমানা করেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অমৃতা সিনহা। দুজনকেই দিতে হবে ২৫ লক্ষ করে টাকা। অভিষেকদের ওই টাকা জমা দিতে হবে হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে।

    কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) জরিমানা কেন?

    প্রশ্ন হল, কী কারণে জরিমানা গুণতে হবে অভিষেক এবং কুন্তলকে? কলকাতা হাইকোর্ট সূত্রে খবর, আদালতের মূল্যবান সময় নষ্ট করার জন্যই গুণাগার দিতে হবে অভিষেক ও কুন্তলকে। বৃহস্পতিবার বিচারপতি অমৃতা সিনহার রায়ে বলা হয়েছে, আদালতের নির্দেশ পুনর্বিবেচনা বা প্রত্যাহারের যে আবেদন অভিষেক করেছিলেন, তার কোনও সারপত্তা খুঁজে পাওয়া যায়নি। সেই কারণেই জরিমানা। 

    নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন প্রাক্তন তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ। গ্রেফতার হওয়ার পরেই তাঁকে বহিষ্কার করে তৃণমূল। পরে তিনি দাবি করেন, তদন্তকারীরা তাঁর মুখ দিয়ে অভিষেকের নাম বলানোর জন্য চাপ দিচ্ছেন। অভিযোগ জানিয়ে নিম্ন আদালতের পাশাপাশি হেস্টিংস থানায়ও চিঠি দিয়েছিলেন কুন্তল। ওই চিঠি প্রসঙ্গে বিচারপতি (Calcutta High Court) অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের পর্যবেক্ষণ ছিল, ইডি কিংবা সিবিআই প্রয়োজনে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জেরা করতে পারে। হাইকোর্টের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন অভিষেক। পরে অন্য একটি ঘটনার জেরে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে এ সংক্রান্ত মামলা বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চ থেকে সরিয়ে পাঠানো হয় বিচারপতি সিনহার বেঞ্চে। বিচারপতি সিনহাও জানিয়ে দেন, ইডি-সিবিআই চাইলে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে অভিষেককে।

    আরও পড়ুুন: হাইকোর্টে ধাক্কা অভিষেকের! জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে সিবিআই-ইডি, সঙ্গে বিপুল জরিমানা

    মামলার সারবত্তা না থাকলে জরিমানা করা হয় আদালতে। জরিমানা দিতে হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। নন্দীগ্রাম বিধানসভার রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয়েছিলেন মমতা। মামলাটি উঠেছিল বিচারপতি কৌশিক চন্দের এজলাসে। মুখ্যমন্ত্রী এজলাস বদলের আর্জি জানান। তাঁর সেই অনুরোধ রাখেন বিচারপতি চন্দ। তবে এজলাসে আস্থা না রাখার জন্য ৫ লক্ষ টাকা জরিমানাও করা হয়।

    সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছেন অভিষেক?

    এদিকে, কলকাতা হাইকোর্টের রায়ের (Calcutta High Court) প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হতে চলেছেন অভিষেক। এদিন বিচারপতি সিনহা নির্দেশ দেন, কুন্তল ঘোষের চিঠি মামলায় তৃণমূল নেতা অভিষেককে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে ইডি এবং সিবিআই। তার প্রেক্ষিতেই দেশের শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছেন অভিষেক। বর্তমানে দলীয় কর্মসূচি উপলক্ষে আসানসোলে রয়েছেন অভিষেক। সেখান থেকেই কথা বলেন আইনজীবীদের সঙ্গে। ঠিক হয়, রায়ের প্রতিলিপি হাতে পাওয়ার পর তা খতিয়ে দেখা হবে। তার পরেই আবেদন জানানো হবে সুপ্রিম কোর্টে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
LinkedIn
Share