Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Piyali Basak: পিয়ালির মাকালু শৃঙ্গ জয়ে উচ্ছ্বাস চন্দননগরে, অভিনন্দনে ভাসছে পরিবার

    Piyali Basak: পিয়ালির মাকালু শৃঙ্গ জয়ে উচ্ছ্বাস চন্দননগরে, অভিনন্দনে ভাসছে পরিবার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবার হুগলি জেলার মুখ উজ্জ্বল করলেন বিশিষ্ট পর্বতারোহী পিয়ালি বসাক (Piyali Basak)। চন্দননগরের এই পাহাড়ি কন্যা পিয়ালি বসাকের মাথায় উঠল আরেকটি মুকুট। বুধবার সকালে তিনি বিশ্বের পঞ্চম উচ্চতম শৃঙ্গ মাকালু জয় করলেন। নেপালের সংস্থা পাইওনিয়ার অ্যাডভেঞ্চার সূত্রে এই খবর জানা গিয়েছে। উল্লেখ্য, মাকালুকে বিশ্বের সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং পর্বত আরোহণ বলে মনে করা হয়। এই নিয়ে ৬ টি আটহাজারী শৃঙ্গ জয় করলেন পিয়ালি। এর আগে এভারেস্ট, লোৎসে, মানাসুলু, ধৌলাগিরি এবং অন্নপূর্ণা জয় করেছেন তিনি। এর আগেও একবার মাকালু অভিযানে যেতে গিয়ে অসুস্থ বাবার জন্য তা স্থগিত রেখে বাড়ি ফিরে এসেছিলেন পিয়ালি।

    রওনা হয়েছিলেন ৯ মার্চ

    এবারে গত ৯ মার্চ অন্নপূর্ণা এবং মাকালু শৃঙ্গ জয় করার লক্ষ্যে চন্দননগরের বাড়ি থেকে রওনা হন পিয়ালি (Piyali Basak)। ১৭ এপ্রিল বিশ্বের দশম উচ্চতম শৃঙ্গ অন্নপূর্ণা জয় করেছিলেন। নেপালের সংস্থা পাইওনিয়ার অ্যাডভেঞ্চার সূত্রে জানা যায়, এই মাকালু শৃঙ্গ জয় মোটেই সহজ ব্যাপার নয়। এই পর্বতের চার ধারালো জায়গা উলম্বভাবে প্রায় ২৭৭৬৫ ফুট শিখরের দিকে দাঁড়িয়ে, যা অভিজ্ঞ পর্বতারোহী ছাড়া আরোহণ করা অসম্ভব। বিশ্বের পঞ্চম সর্বোচ্চ পর্বত শৃঙ্গ এই মাকালু পর্বতচূড়ায় উঠতে পর্বতারোহীদের সর্বোচ্চ পর্যায়ের দক্ষতা, দৃঢ়তা ও অধ্যাবশায়ের প্রয়োজন হয় বলে জানা গেছে।

    খবর মিলতেই বাড়িতে ভিড়

    এদিন এই খবর পাওয়ার পর চন্দননগর পুরনিগমের ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাঁটাপুকুরে পুরনো জীর্ণ দোতলা বাড়িটায় ভিড় লেগে যায়। পিয়ালির (Piyali Basak) বাড়ি এটাই। পাড়াপড়শি থেকে বিভিন্ন মাধ্যম ভিড় করে অভিনন্দন জানিয়ে যায় পিয়ালির পরিবারকে। চন্দননগরের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা বছর বত্রিশের পিয়ালির ছোট থেকেই উৎসাহ পাহাড় নিয়ে। বাবা তপন বসাক বর্তমানে অসুস্থ। কোনও কিছুই মনে করতে পারেন না। তবে একসময় দুই মেয়েকে প্রচুর উৎসাহ দিয়েছেন। তাদের ছোটবেলায় পাহাড়ে পাহাড়ে বেড়াতে নিয়ে গেছেন। সেখান থেকেই শুরু। কথা হচ্ছিল এদিন পিয়ালির মা স্বপ্না বসাকের সঙ্গে। বলেন, খুব গর্বিত হয়েছি খবরটা শুনে। এমনিতেই খুব উৎকণ্ঠায় ছিলাম। কারণ, শুনেছি ওই শৃঙ্গজয় মোটেই সহজ নয়। আমি তৃপ্ত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • National Education Policy: রাজ্যের দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ে চালু হল মোদি সরকারের জাতীয় শিক্ষানীতি!

    National Education Policy: রাজ্যের দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ে চালু হল মোদি সরকারের জাতীয় শিক্ষানীতি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জাতীয় শিক্ষানীতি (National Education Policy) নিয়ে জোর আলোচনা চলছে। ইতিমধ্যে সেই পথে হেঁটে চার বছরের স্নাতক কোর্স চালু করল কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্সের মতো বিশ্ববিদ্যালয়। সিস্টার নিবেদিতা ইউনিভার্সিটিও জানিয়ে দিয়েছে তাদের এই ঘোষণার কথা। দেশের অভিজ্ঞ শিক্ষাবিদদের রিপোর্টের ভিত্তিতে তৈরি এই জাতীয় শিক্ষানীতি পশ্চিমবঙ্গ সরকার এখনও পর্যন্ত সরকারিভাবে গ্রহণ করেনি উপরন্তু এই নীতির বিরোধিতাও শোনা গেছে শাসকদলের বেশ কিছু কর্তা ব্যক্তির মুখে। শিক্ষা মহলের একাংশ বলছে, ‘‘শিক্ষার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে রাজনীতি করা উচিত নয়।’’ যাদবপুর কলকাতা, প্রেসিডেন্সি বা রবীন্দ্রভারতীর মতো রাজ্য সরকারের অধীনস্থ বিশ্ববিদ্যালয়গুলি এখনও পর্যন্ত কিছু জানায়নি। যদিও সূত্রের খবর, শিক্ষা দফতরের কর্তারা জানাচ্ছেন, উচ্চমাধ্যমিকের ফলাফল এখনও বের হয়নি তাই হাতে খানিকটা সময় আছে। কিন্তু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সেই পথে না হেঁটে গ্রহণ করে নিল জাতীয় শিক্ষানীতি (National Education Policy)। ইতিমধ্যে তারা বিজ্ঞপ্তি জারি করে দিয়েছে। প্রসঙ্গত, ২৫ বৈশাখ কবিগুরুর স্মরণে কলকাতায় পা রেখেছিলেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সে দিনই তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেছিলেন, ‘‘রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়েই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই জাতীয় শিক্ষানীতি তৈরি করেছেন।’’ জাতীয় শিক্ষানীতিকে ইতিমধ্যে মেনে নিয়েছে বেশ কিছু রাজ্য তার মধ্যে এমন অনেক রাজ্য রয়েছে যেগুলিতে বিজেপি সরকার নেই।

    রাজ্যে ইতিমধ্যে জমা পড়েছে কমিটি রিপোর্ট

    ইতিমধ্যে, উচ্চশিক্ষা দফতর একটি নির্দেশিকা জারি করেছে, যেখানে বলা হয় যে চলতি বছরেই চালু করতে হবে চার বছরের অনার্স কোর্স। এই নির্দেশিকার পরেই রাজ্য উচ্চ শিক্ষার সংসদ, উপাচার্যদের নিয়ে একটি কমিটি তৈরি করে এবং সব বিশ্ববিদ্যালয়ের মতামত চেয়ে পাঠায়। সূত্রের খবর তাতে বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ই মত দিয়েছে যে জাতীয় শিক্ষানীতি (National Education Policy) যেহেতু বেশিরভাগ রাজ্যে বাস্তবায়িত হয়েছে, তাই চলতি বছরেই এ রাজ্যেও শুরু করা হোক। ইতিমধ্যে সেই রিপোর্ট নাকি উচ্চশিক্ষা দফতরের কাছে জমাও পড়ে গিয়েছে কিন্তু তা কার্যকর হচ্ছে কিনা বা কবে থেকে হবে, এবিষয়ে সরকারিভাবে এখনও কিছু জানানো হয়নি। আইএসসি, সিবিএসই-র পরীক্ষার ফল ইতিমধ্যে ঘোষণা হয়েছে তাই ইংরেজি মাধ্যম বিশ্ববিদ্যালয়গুলি জাতীয় শিক্ষানীতিকে গ্রহণ করেছে। এ বিষয়ে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ উপাচার্য বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন যে যতক্ষণ না উচ্চশিক্ষা দফতরের তরফ থেকে কিছু জানানো হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত কিছু বলা যাবেনা। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা উচ্চ মাধ্যমিকের রেজাল্ট প্রকাশ হলেই সমস্ত কিছু পরিষ্কার হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: হাইকোর্টে ধাক্কা অভিষেকের! জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে সিবিআই-ইডি, সঙ্গে বিপুল জরিমানা

    Calcutta High Court: হাইকোর্টে ধাক্কা অভিষেকের! জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে সিবিআই-ইডি, সঙ্গে বিপুল জরিমানা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বহু চেষ্টা করেও ইডি-সিবিআইয়ের নাগাল এড়াতে পারলেন না তৃণমূলের (TMC) সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)! কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অমৃতা সিন্‌হার নির্দেশ, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে ইডি-সিবিআই। বস্তত, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের পূর্ববর্তী নির্দেশই বহাল রইল বিচারপতি সিন্‌হার এজলাসে। যার জেরে খারিজ হয়ে গেল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও প্রাক্তন তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষের আবেদন। একই সঙ্গে দুজনকে অবিলম্বে ২৫ লক্ষ টাকা করে জরিমানা দিতে হবে। স্বাভাবিকভাবেই এবার আর অভিষেককে জিজ্ঞাসাবাদের কোনও বাধা রইল না ইডি-সিবিআইয়ের।

    বিচারপতি (Calcutta High Court) অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের পর্যবেক্ষণ কী?

    নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন প্রাক্তন তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ। গ্রেফতার হওয়ার পরেই তাঁকে বহিষ্কার করে তৃণমূল। পরে তিনি দাবি করেন, তদন্তকারীরা তাঁর মুখ দিয়ে অভিষেকের নাম বলানোর জন্য চাপ দিচ্ছেন। অভিযোগ জানিয়ে নিম্ন আদালতের পাশাপাশি হেস্টিংস থানায়ও চিঠি দিয়েছিলেন কুন্তল। ওই চিঠি প্রসঙ্গে বিচারপতি (Calcutta High Court) অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের পর্যবেক্ষণ ছিল, ইডি কিংবা সিবিআই প্রয়োজনে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জেরা করতে পারে। হাইকোর্টের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন অভিষেক। সেখান থেকে আবার হাইকোর্টে ফেরে মামলাটি। পরে অন্য একটি ঘটনার জেরে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে এ সংক্রান্ত মামলা বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চ থেকে সরিয়ে পাঠানো হয় বিচারপতি সিন্‌হার বেঞ্চে। বিচারপতি সিন্‌হাও জানিয়ে দেন, ইডি-সিবিআই চাইলে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে অভিষেককে।

    অভিষেককে কেন রক্ষাকবচ দেয়নি আদালত?

    গত শুক্রবারও কুন্তলের চিঠি সংক্রান্ত মামলায় কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court) রক্ষাকবচ দেয়নি অভিষেককে। অবশ্য ওই দিন শুনানিতে অভিষেকের আইনজীবী হাইকোর্টের পুরানো নির্দেশ পুনর্বিবেচনা করার আর্জি জানান। অভিষেককে অন্তর্বর্তী রক্ষাকবচ দেওয়ার আর্জিও জানানো হয়। এই সময়ের মধ্যে ইডি কিংবা সিবিআই যাতে চরম পদক্ষেপ নিতে না পারে, সেই আবেদনও করেছিলেন অভিষেকের আইনজীবী। এ প্রসঙ্গে বিচারপতি সিন্‌হা বলেন, আদালতের দরজা ৭ দিন ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে। প্রয়োজন মনে করলে যখন খুশি আসবেন। কিন্তু কোনও রক্ষাকবচ নয়। বিচারপতি সিন্‌হার নির্দেশ, কুন্তল ও অভিষেককে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে ইডি-সিবিআই। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে সোমবার।

    আরও পড়ুুন: ‘‘আরএসএস দ্বেষ নয়, দেশপ্রেম শেখায়’’, মত সুনীল আম্বেকরের

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Egra: এগরা বিস্ফোরণকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত ভানুসহ গ্রেফতার ৩, কোথা থেকে জানেন?

    Egra: এগরা বিস্ফোরণকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত ভানুসহ গ্রেফতার ৩, কোথা থেকে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এগরায় (Egra) বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের পর সপরিবারে ওড়িশায় দিয়ে গা ঢাকা দিয়েছিলেন কৃষ্ণপদ বাগ ওরফে ভানু। ঘটনার পর পরই সিআইডি তদন্তভার গ্রহণ করলেও ভানুর নাগাল পায়নি কেউ। মোবাইল ট্র্যাক করে তাকে ধরার চেষ্টা করে সিআইডি। ঘটনার তিনদিন পর বৃহস্পতিবার সকালে ভানুসহ তিনজনকে গ্রেফতার করে সিআইডি। কটক থেকে তাদের ধরা হয়। গ্রেফতারের তালিকায় ছেলে পৃথ্বীজিৎ বাগ এবং ভাইপোকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

    ভানু গ্রেফতার হতেই কী বললেন নিহত পরিবারের লোকজন?

    ভানু একসময় এগরার (Egra) খাদিকুলের বাড়িতে বাজি তৈরি করত। বছর পাঁচেক আগে সেখানে বিস্ফোরণ হয়। তাতে ভানুর ভাই ও তাঁর স্ত্রীর মৃত্যু হয়। ভানু জেলও খাটে। তবে, জেল থেকে বেরিয়ে কিছুদিন চুপচাপ থাকার পর সে ফের স্বমহিময় ফেরে। শাসক দলের নেতা ও পুলিশকে ম্যানেজ করে মাঠের মধ্যে মাটি ভরাট করে বাজি কারখানা গড়ে তোলা হয়। সেখানে যাওয়ার জন্য নতুন করে রাস্তা তৈরি করা হয়েছিল। সেই কারখানায় গড়ে ৩০ জন কাজ করতেন। তবে, ঘটনার দিন সংখ্যাটা কম ছিল। তবে, কতজন কাজ করছিলেন তা কেউ স্পষ্ট করে বলতে পারেননি। আর বিস্ফোরণের সময় পাশের ঘরেই ভানু ছিলেন। ফলে, বিস্ফোরণে সে গুরুতর চোট পান। তারপরও তিনি বসে না থেকে পরিবারের সকলকে নিয়ে কারখানার পিছনে মাঠ ধরে এলাকা ছেড়ে ছিলেন। তৃণমূলের প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য ভানু গ্রেফতার হওয়ার খবর এদিন খাদিকুল গ্রামে পৌঁছাতেই নিহত পরিবারের লোকজন কিছুটা হলেও স্বস্তিতে রয়েছেন। এক নিহত পরিবারের সদস্য গৌরাঙ্গ মাইতি বলেন, আমার ১৯ বছরের ছেলে কাজ করত। আমি চাই, ভানুকে গুলি করে মেরে দেওয়া হোক। নাহলে অন্তত তাকে সারা জীবন যেন জেলে রেখে দেওয়া হয়। ও গ্রামে না ফিরলে আর বাজি কারখানা হবে না। এভাবে আমাদের কোল খালি হবে না।

    কী বললেন স্থানীয় বাসিন্দা?

    স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, ভানু এলাকায় রীতিমতো মাতব্বর ছিল। সে তৃণমূলের নেতাদের ঘনিষ্ঠ হওয়ায় তার বিরুদ্ধে কথা বলার কারও সাহস ছিল না। এর আগেও ওর কারখানায় বিস্ফোরণ হয়েছিল। জেলও খেটেছে সে। তারপরও বাড়ি ফিরে পুলিশ আর তৃণমূল নেতাদের ম্যানেজ করে রমরমিয়ে এই কারবার চালাত। তাই, অভিযুক্ত ভানু বাগের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। ও যাতে গ্রামে আর ফিরতে না পারে তারজন্য প্রশাসনকে সবরকম উদ্যোগ নিতে হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: ৩২ হাজার চাকরি বাতিল মামলায় অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিল না হাইকোর্ট

    Calcutta High Court: ৩২ হাজার চাকরি বাতিল মামলায় অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিল না হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিকে প্রায় ৩২ হাজার চাকরি বাতিল মামলার শুনানি শেষ হল। তবে রায়দান স্থগিত রাখা হয়েছে। আগামী ১৯ শে মে, শুক্রবার দুপুর ১ টায় এই মামলার রায়দান করবে বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যর ডিভিশন বেঞ্চ। সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশে কোনও অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ দেয়নি হাইকোর্ট (Calcutta High court)।

    সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ 

    অভিযোগ, সাত বছর আগের নিয়োগ প্রক্রিয়াকে নষ্ট করতেই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Ganguly) বেঞ্চ ৩২ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছেন৷ সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। পর্ষদের বক্তব্য ছিল, সিঙ্গল বেঞ্চে চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেওয়ার আগে তাদের পক্ষের কোনও বক্তব্য শোনা হয়নি। এদিনের শুনানিতে পর্ষদের তরফে আইনজীবী লক্ষ্মী গুপ্ত বলেন, ‘সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশে ছত্রে ছত্রে ভুল রয়েছে। যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাতে মামলাকারীদের আবেদনের উল্লেখ করা হয়নি। আদালত (Calcutta High court) এক্ষেত্রে প্রসিকিউটরের মতো কাজ করেছে। একটি স্পাইরাল বাইন্ডিং দেখে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ওই স্পাইরাল বাইন্ডিংয়ের তথ্য হলফনামা আকারেও পেশ করা হয়নি।’

    ডিভিশন বেঞ্চে দীর্ঘ শুনানি

    মঙ্গল এবং বুধ-পর পর ২দিন এই মামলার শুনানি হয় বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চে (Calcutta High court)। বুধবার প্রায় পৌনে চার ঘণ্টা শুনানি হয়েছে। এদিন চাকরিহারাদের পক্ষে সওয়াল করতে গিয়ে আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “সিঙ্গল বেঞ্চে মামলায় যুক্ত ছিলেন না এই শিক্ষকেরা। তাদের বক্তব্যও শোনা হোক এই দাবি কেন জানায়নি পর্ষদ?” এর পরই কল্যাণের প্রশ্ন, “পার্থ চট্টোপাধ্যায় জেলে আছেন, মানিক ভট্টাচার্য জেলে আছেন। তাঁরা দুর্নীতিতে যুক্ত বলে অভিযোগ করা হচ্ছে। তাঁরা দুর্নীতিতে যুক্ত থাকলে এই শিক্ষকদেরও দুর্নীতিতে যুক্ত থাকতে হবে এই সিদ্ধান্ত কিভাবে গ্রহণ করা যায়?” 

    আরও পড়ুুন: ‘পদ্ম-বার্তা’ পৌঁছে দিতে পথে বিজেপি, যুব পঞ্চায়েত পদযাত্রা গেরুয়া শিবিরের

    এদিন আদালতে (Calcutta High court) এই মামলার মূল মামলাকারী প্রিয়াঙ্কা নস্করের আইনজীবী বলেন, ‘পর্ষদের প্রকাশিত তথ্যের উপর ভিত্তি করেই এই মামলা দায়ের করা হয়েছিল। তাছাড়া বারবার বলা হচ্ছে চাকরি হারানোদের কোনও সুযোগ দেওয়া হয়নি। একথা ঠিক নয়। বক্তব্য শোনার জন্য সিঙ্গল বেঞ্চের বিচারপতি নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁরা তা গ্রহণ করেননি।’ তিনি আরও বলেন, ‘বারবার প্রশ্ন তোলা হচ্ছে কেন ছয় বছর পর মামলা করা হল? এক্ষেত্রে বলতে হয় পর্ষদ কোনও দিনও ২০১৬ সালের নিয়োগ সংক্রান্ত তথ্য জনসমক্ষে আনেনি। আদালতে জনস্বার্থ মামলা হওয়ার পর মামলাকারীরা যখন তথ্য খতিয়ে দেখার সুযোগ পান তখন সমস্ত বিষয় সামনে আসে।’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP West Bengal: ‘পদ্ম-বার্তা’ পৌঁছে দিতে পথে বিজেপি, যুব পঞ্চায়েত পদযাত্রা গেরুয়া শিবিরের

    BJP West Bengal: ‘পদ্ম-বার্তা’ পৌঁছে দিতে পথে বিজেপি, যুব পঞ্চায়েত পদযাত্রা গেরুয়া শিবিরের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাস দুয়েকের মধ্যেই হতে পারে পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayet Polls)। দলের গোষ্ঠীকোন্দল সামাল দিতে ময়দানে নেমে পড়েছেন তৃণমূলের (TMC) সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ‘নবজোয়ার যাত্রা’ নাম দিয়ে আক্ষরিক অর্থেই প্রমোদ ভ্রমণে বেরিয়েছেন তৃণমূলের যুবরাজ। এদিকে, নির্বাচনের আগে আমজনতার অভাব অভিযোগের কথা শুনতে পদযাত্রা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে বিজেপি (BJP West Bengal) যুব মোর্চা। গেরুয়া শিবির সূত্রে খবর, প্রথম পর্যায়ে ভারতীয় জনতা যুব মোর্চার গ্রাম সম্পর্কিত অভিযান সুসম্পন্ন হয়েছে। এরপর ভারতীয় জনতা যুব মোর্চা দ্বিতীয় পর্যায়ের প্রথম পর্বে নতুন অভিযান শুরু করবে।

    বিজেপির (BJP West Bengal) ‘যুব পঞ্চায়েত পদযাত্রা’… 

    এই অভিযান শুরু হবে জলপাইগুড়ি থেকে। জুন মাসের মধ্যে সম্পূর্ণ হবে এই পদযাত্রা কর্মসূচির দ্বিতীয় পর্যায়ও। এই পর্বে ৫০টি বিধানসভা কেন্দ্রের ৫০০টি গ্রামে পৌঁছবে যুব মোর্চা। পদ্ম শিবির সূত্রে খবর, সব মিলিয়ে মোট ৫ হাজার কিলোমিটার রাস্তা অতিক্রম করবে এই পদযাত্রা। ২০০টি গ্রামীণ বিধানসভা কেন্দ্রের হাজারটি গ্রাম পঞ্চায়েতে ও পাঁচ হাজার গ্রামে ঘুরবেন যুব মোর্চার নেতারা। শুনবেন মানুষের অভাব-অভিযোগের কথা। ‘যুব পঞ্চায়েত পদযাত্রা’ নামের এই কর্মসূচির নেতৃত্ব দেবেন যুব (BJP West Bengal) মোর্চার রাজ্য সভাপতি ইন্দ্রনীল খাঁ। যোগ দেওয়ার কথা যুব মোর্চার সর্বভারতীয় সভাপতি তেজস্বী সূর্যেরও। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীর পাশাপাশি রাজ্যের সমস্ত বিধায়ক, সাংসদ এবং নেতাও যোগ দেবেন ওই কর্মসূচিতে। কর্মসূচি যাতে সফল হয়, সেজন্য রাজ্যের ৪২টি লোকসভা এলাকার জন্য ৪২টি কমিটিও তৈরি করে ফেলেছে যুব মোর্চা।

    আরও পড়ুুন: মধ্যপ্রদেশে প্রকাশ্যে এল ‘দ্য কেরালা স্টোরি’র বাস্তব গল্প! কী হয়েছে জানেন?

    গেরুয়া শিবির সূত্রে খবর, রাজ্যের প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তত ২৫ কিলোমিটার রাস্তা দিয়ে যাবে বিজেপির (BJP West Bengal) ‘যুব পঞ্চায়েত পদযাত্রা’। পদযাত্রা চলবে ২১ দিন ধরে। এই কর্মসূচি পালনের সময় বড় ধরনের কোনও সভা হবে না। যেহেতু পদযাত্রার মূল লক্ষ্য আমজনতার অভাব-অভিযোগের কথা শোনা, তাই হবে পঞ্চায়েত সভা কিংবা হাট সভা। কর্মসূচি চলাকালীন বিজেপির সমর্থনে লেখা হবে দেওয়ালও। বাড়ি বাড়ি গিয়ে পৌঁছে দেওয়া হবে ‘পদ্ম-বার্তা’। ২০১৪ সালের ২৬ মে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই কারণে এই মাসের শেষের দিক থেকে দেশজুড়ে ৫১টি বড় জনসভা করবে বিজেপি (BJP West Bengal)। সেই জনসভার মূল লক্ষ্য, গত ৯ বছরে মোদি সরকারের সাফল্যের খতিয়ান তুলে ধরা। তার সঙ্গে অবশ্য ‘যুব পঞ্চায়েত পদযাত্রা’র কোনও সম্পর্কই নেই। তবে দুই কর্মসূচিই শুরু হচ্ছে মে মাসে। কী অদ্ভুত সমাপতন! 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: পরকীয়া সন্দেহে এলোপাথারি কুপিয়ে খুন স্ত্রীকে, অভিযুক্ত স্বামী গ্রেফতার

    Nadia: পরকীয়া সন্দেহে এলোপাথারি কুপিয়ে খুন স্ত্রীকে, অভিযুক্ত স্বামী গ্রেফতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পরকীয়া সন্দেহে স্ত্রীকে এলোপাথারি কুপিয়ে খুন করল স্বামী। ঘটনাটি ঘটেছে নদীয়ার (Nadia) ভীমপুর থানার এলাঙ্গি মাঝেরপাড়া এলাকায়। পুলিশ অভিযুক্ত স্বামীকে গ্রেফতার করেছে।

    কী কারণে খুন?

    মৃত ওই গৃহবধুর নাম অঞ্জলি বিশ্বাস। বয়স আনুমানিক ৪৫ বছর। সূত্রের খবর, পরকীয়া সন্দেহে মাঝেরপাড়া এলাকার বাসিন্দা শৈলেন বিশ্বাসের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে তাঁর স্ত্রী অঞ্জলি বিশ্বাসের অশান্তি লেগেই থাকতো। পরিবার সূত্রে জানা যায়, স্বামী-স্ত্রী দুজনে মাঝেমধ্যেই ঝগড়া করত। আত্মীয়রা জানান, অঞ্জলি বিশ্বাস সেভাবে কিছু না বললেও তাঁর স্বামী শৈলেন বিশ্বাস মাঝেমধ্যেই স্ত্রীর উপর চড়াও হত এবং মারধর করত। ঘটনার দিন সকাল থেকেই প্রায় দিনের মতো বাক-বিতণ্ডা চলছিল স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে। বিকেল নাগাদ শৈলেন হঠাৎ একটি ধারালো অস্ত্র দিয়ে আচমকা কোপাতে শুরু করে স্ত্রীকে। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়ে অঞ্জলি বিশ্বাস। চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু হলে এলাকার লোকজন এসে উদ্ধার করে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ভীমপুর (Nadia) থানার পুলিশ। অভিযুক্ত শৈলেন বিশ্বাস পালানোর চেষ্টা করলেও স্থানীয় মানুষ তাঁকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে ভীমপুর থানার পুলিশ। আজ তাঁকে আদালতে তোলা হবে।

    মৃতার দিদির বক্তব্য

    মৃত অঞ্জলি বিশ্বাসের দিদি সন্ধ্যা মণ্ডল বলেন, এর আগেও একাধিকবার পরকীয়ায় অভিযুক্ত শৈলেন বিশ্বাস আমার বোনকে মারধর করে। গতকাল আমার বোনকে কুপিয়ে (Nadia) মেরে ফেলল শৈলেন। আমি চাই সারা জীবন যেন ও জেলবন্দি থাকে। ওর মতো বোনাই আমার প্রয়োজন নেই। আমি ওর মুখ দেখতে চাই না।

    সন্তানের বক্তব্য

    খুনে অভিযুক্ত শৈলেন বিশ্বাসের ছেলে বিশ্বজিৎ বিশ্বাস বলেন, মাকে পরকীয়া নিয়ে সন্দেহ করতো বাবা। কিন্তু শুধু আমি কেন, গ্রামের (Nadia) কেউই বিশ্বাস করবে না এই বয়সে মা এরকম কাজ করতে পারে। সেই কারণে বাবাকে আমি অনেক সময় বোঝানোর চেষ্টা করতাম, মাকেও চুপ করে থাকতে বলতাম। ইদানীং বাবা আরও বেশি সন্দেহ করতে শুরু করে মাকে। কাজও ঠিকমতো করত না বাবা। আমি নিজেও বাবাকে বলেছি, কাজ করার প্রয়োজন নেই। বাড়িতে তুমি রেস্ট নাও। গতকাল অন্যান্য দিনের মতোই ছোটখাট ঝামেলা লেগেছিল। কিন্তু বিকেলের পর আমি কাজে বেরিয়ে যাই। এরপর শুনি, বাবা এরকম ঘটনা ঘটিয়েছে। পাশাপাশি বিশ্বজিৎ আরও বলেন, আমিও চাই, যে ঘটনা ঘটেছে তার উপযুক্ত শাস্তি পাক বাবা। তবে এই ঘটনায় অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করে কারণ জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। এই ঘটনার পিছনে শুধুমাত্র কি পরকীয়া সন্দেহ নাকি অন্য কারণ আছে, তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘আপনার দলকে বোমা সাপ্লাই দিত ভানু’! এগরাকাণ্ডে মমতার পদত্যাগ দাবি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘আপনার দলকে বোমা সাপ্লাই দিত ভানু’! এগরাকাণ্ডে মমতার পদত্যাগ দাবি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণকাণ্ডের জন্য পুলিশমন্ত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি করলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বুধবার তিনি এগরার খাদিকুল গ্রামে যান। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সঙ্গে তিনি কথা বলেন। তাঁদের পাশে থাকার তিনি আশ্বাস দেন। খাদিকুলে বিস্ফোরণস্থল ঘুরে দেখে বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘‘বগটুই থেকে এখনও পর্যন্ত যে সব ঘটনা ঘটেছে তারজন্য রাজ্যের পুলিশমন্ত্রী দায়ী। তাই, পুলিশমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করছি। আর এই ঘটনার এনআইএ তদন্তের দাবি জানিয়ে হাইকোর্টে মামলা করেছি। দু-তিনদিনের মধ্যেই এই দাবিতেই এগরায় ২৫ হাজার কর্মী নিয়ে মহা-মিছিল করা হবে।’’ শুভেন্দু আরও বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীকে বলি, শুধু বাজি কারখানাই নয়, পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে আপনার পার্টিকে বোমা সাপ্লাই (সরবরাহ) করার জন্য এই কারখানা তৈরি হয়েছিল। আর আপনার পুলিশ প্রতি মাসে এখান থেকে ৫০ হাজার টাকা করে নিয়ে যেতেন।’’

    পুলিশকে মাসোহারা নিয়ে কী বললেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)?

    এদিন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘বাজি কারখানার মালিক কৃষ্ণপদ বাগ তৃণমূলের প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য। তাঁর বউমাকে ২০১৮ সালে ভোটে দাঁড় করিয়েছিলেন। এই বাজি কারখানার মালিক প্রতিমাসে এগরা আইসি-কে ৫০ হাজার টাকা করে পাঠাতেন। বিশ্বজিৎ নামে এক এএসআই এই টাকা নিয়ে যেতেন। সব হিসেব হবে। তোলাবাজ পুলিশের ওপর আমাদের কোনও আস্থা নেই। পুলিশ দিয়ে নমুনা সংগ্রহ করা হলে সমস্ত তথ্য তারা লোপাট করে দেবে। তাই, কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করে ন্যাশনাল ফরেনসিক টিম দিয়ে তদন্ত করতে হবে।’’

    ক্ষতিপূরণ নেওয়া নিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের কী বললেন বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)?

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘রাজ্য সরকার আড়াই লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছে, সেটা ন্যাশনাল ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্টের টাকা। প্রত্যেক নিহত ব্যক্তিদের ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।’’ এদিকে পুলিশ অভিযান চালিয়ে চারজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। ঘটনাস্থল ঘিরে রেখেছে পুলিশ।

    আরও পড়ুন: এগরায় বিস্ফোরণ হওয়া সেই বাজি কারখানার মালিক তৃণমূলের প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য

    এনআইএ-র দাবিতে শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) মামলা হাইকোর্টে

    এগরায় বোমা বিস্ফোরণ কাণ্ডের ঘটনায় আগাগোড়াই এনআইএ তদন্তের দাবিতে সরব বিজেপি নেতারা। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি দিয়ে ইতিমধ্যেই সেই দাবির কথা জানিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এবার ওই একই দাবিতে হাইকোর্টে প্রধান বিচারপতি পি এস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চে মামলা করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। ফলে সাম্প্রতিক ঘটে যাওয়া বিভিন্ন ঘটনার মতো এগরা কাণ্ডের জলও গড়ালো আদালতে। শুভেন্দুর আর্জি আদালতে গৃহীত হয়েছে। খুব সম্ভবত বৃহস্পতিবারই এই মামলার শুনানি হতে পারে বলে হাইকোর্ট সূত্রে জানা গিয়েছে। উল্লেখ্য, বেকায়দায় পড়ে ইতিমধ্যেই এনআইএ-র দাবিতে সহমত পোষণ করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kaliaganj: সন্তানের মৃতদেহ বহনকারী বাবার পাশে জয়কৃষ্ণ

    Kaliaganj: সন্তানের মৃতদেহ বহনকারী বাবার পাশে জয়কৃষ্ণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টাকার অভাবে অ্যাম্বুল্যান্স না মেলায় সন্তানের মৃতদেহ ব্যাগে ভরে বাড়ি (Kaliaganj) ফেরার ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্যে। অমানবিক ঘটনার নিন্দা সর্বত্র। এই পরিস্থিতিতে মৃত শিশুর বাড়িতে পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে এলেন জলপাইগুড়ির সমাজসেবী অঙ্কুর দাস ও স্ত্রীর মৃতদেহ কাঁধে বহনকারী জয়কৃষ্ণ দেওয়ান।

    কী পরিচয় এই সমাজকর্মীদের?

    অনেকেরই হয়তো মনে আছে, কিছুদিন আগে অ্যাম্বুল্যান্সের ভাড়ার টাকা না থাকায় মৃত স্ত্রীর দেহ কাঁধে নিয়ে বাড়ির (Kaliaganj) পথে হাঁটা দেওয়া জলপাইগুড়ির সেই জয়কৃষ্ণ দেওয়ানের কথা। সেদিন অসহায় দেওয়ান পরিবারকে অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা দিয়ে সাহায্য করে হাজতবাস করেছিলেন জলপাইগুড়ির এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সাধারণ সম্পাদক অঙ্কুর দাস। সেই ঘটনার পর আবারও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। এবার উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জে। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে অসুস্থ শিশুপুত্রের মৃত্যুর পর টাকার অভাবে অ্যাম্বুল্যান্স না পেয়ে জামাকাপড়ের ব্যাগে সন্তানের মৃতদেহ ভরে বাড়ি নিয়ে আসেন কালিয়াগঞ্জের মুস্তাফানগরের বাসিন্দা অসীম দেবশর্মা। টিভির পর্দায় মর্মান্তিক ও অমানবিক এই ঘটনা দেখতে পেয়ে শোকার্ত পরিবারকে সমবেদনা জানাতে মঙ্গলবার কালিয়াগঞ্জে অসীম দেবশর্মার বাড়িতে ছুটে এলেন জয়কৃষ্ণ দেওয়ান ও অঙ্কুর দাস। ছেলে হারানোর যন্ত্রণায় শোকার্ত অসীম দেবশর্মা ও তাঁর স্ত্রীকে সমবেদনা জানান তাঁরা। পাশাপাশি অসীমবাবুর কাছে সমস্ত ঘটনা শোনেন দুজনেই।

    স্ত্রীর মৃতদেহ বহনকারী জয়কৃষ্ণ দেওয়ানের বক্তব্য

    জয়কৃষ্ণবাবু মানবিক হয়েই অসীমবাবুর বাড়িতে মর্মান্তিক কথা শুনতে আসেন। তিনি বলেন, আমি দেখেছি বাড়ির (Kaliaganj) অবস্থা! অ্যাম্বুল্যান্সের জন্য ৮০০০ টাকা দেওয়ার ক্ষমতা নেই। আরও বলেন, আগামী দিনে আমরা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে বিশেষ দাবি নিয়ে যাবো। পশ্চিমবঙ্গের সকল সরকারি হাসপাতাল থেকে গরীব মৃত মানুষের দেহগুলিকে বিনা খরচায় বাড়িতে পোঁছানোর পরিষেবা চালু করতে হবে বলে মত প্রকাশ করেন তিনি। আর যদি দাবি না মানা হয়, তাহলে আমি আমার নগরডাঙ্গাতে অনশনে বসব বলে ঘোষণা করেন।

    কী বললেন সমাজসেবী সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক?

    জলপাইগুড়ির স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সাধারণ সম্পাদক অঙ্কুর দাস বলেন, ৫ই জানুয়ারি জলপাইগুড়িতে একইভাবে মৃতদেহ নিয়ে আসার জন্য সাহায্য পাননি জয়কৃষ্ণবাবু। আমি সহযোগিতা করতে গেলে আমাকেও জেলে যেতে হয়। জেলাশাসক থেকে শুরু করে মুখ্যমন্ত্রী সকলকে আমরা চিঠি দিয়ে জানিয়েছি, গরীব মানুষের স্বাস্থ্য পরিষেবার জন্য সরকার বিনামূল্যে অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা করুক। জলপাইগুড়ির মতো মৃতদেহ বহন করার ঘটনা আরও ঘটবে বলে সতর্ক করেছিলাম, প্রশাসন শোনেনি। আর তাই ঘটেছে কালিয়াগঞ্জে (Kaliaganj)। কিছু দিন চুপচাপ থাকলেও এরপর আবার অ্যাম্বুল্যান্স অ্যাসোসিয়েশনের দাদাগিরি শুরু হয়ে যায়। কিন্তু তাতেও কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি প্রশাসন। আগামী দিনে আমরা গরীব মানুষের জন্য বিনা পয়সায় অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবার জন্য প্রথমে মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হব। আর না মানলে অরাজনৈতিকভাবে বৃহৎ আন্দোলন করব। আরও বলেন, জয়কৃষ্ণবাবু এবং অসীমবাবুকে নিয়ে আমরা এই সামাজিক আন্দোলন করব।

    প্রশাসনের (Kaliaganj) ভূমিকা

    এদিকে এই ঘটনার পর নড়েচড়ে বসেছে জেলা প্রশাসন। কালিয়াগঞ্জ (Kaliaganj) ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে গাড়ি পাঠিয়ে অসীম দেবশর্মা সহ পরিবারের লোকেদের নিয়ে গিয়ে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের ভুক্ত করা হয়। এ বিষয়ে রায়গঞ্জের মহকুমা শাসক কিংশুক মাইতি ফোনে জানিয়েছেন, এদিন ওই পরিবারের সদস্যদের স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে নাম অন্তর্ভুক্ত করার জন্য ডেকে আনা হয়েছিল। পরবর্তীকালে তাঁদের জবকার্ডও করে দেওয়া হবে। এখন বিনামূল্যে সরকারি হাসপাতালে কবে থেকে অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা চালু হয়, সেটাই দেখার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Dilip Ghosh: ‘কানমলা খাওয়ার আগে উনি নিজেই এনআইএ মেনে নিয়েছেন’, মমতাকে কটাক্ষ দিলীপের

    Dilip Ghosh: ‘কানমলা খাওয়ার আগে উনি নিজেই এনআইএ মেনে নিয়েছেন’, মমতাকে কটাক্ষ দিলীপের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পূর্ব মেদিনীপুরের এগরায় (Egra) তৃণমূল (TMC) নেতার বাড়িতে বেআইনি বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ৯ জনের। বিস্ফোরণের অভিঘাতে মৃতদেহ ছিটকে গিয়ে পড়েছিল পুকুর ও রাস্তায়। এলাকাবাসীর দাবি, বাজি কারখানার আড়ালে তৈরি হত বোমা। তৃণমূলের ওই প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধান যে বাজি কারখানাটি অবৈধভাবে চালাচ্ছিলেন, তা জানিয়ে দিয়েছেন খোদ জেলা পুলিশ সুপার। বিস্ফোরণকাণ্ডে এনআইএ (NIA) তদন্তের দাবি তুলেছে বিজেপি। অমিত শাহকে এ ব্যাপারে চিঠিও দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এর পরেই তড়িঘড়ি মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দেন, এনআইএ তদন্ত করলে আপত্তি নেই।

    দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) কটাক্ষ-বাণ…

    এই প্রসঙ্গেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ-বাণ হেনেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। তিনি বলেন, ‘‘ঠেলায় পড়লে বিড়ালও গাছে ওঠে। মুখ্যমন্ত্রী জানেন, এটা নিয়ে কেউ না কেউ কোর্টে যাবে। কোর্ট সঙ্গে সঙ্গে এনআইএ তদন্তের নির্দেশ দেবেই। তাই কানমলা খাওয়ার আগে উনি নিজেই মেনে নিয়েছেন, এনআইএ হলে আপত্তি নেই। তিনি বলেন, যদি উনি সত্যিই চান, তাহলে নিজে থেকে এনআইএ তদন্ত চাইছেন না কেন? ওঁরই উচিত কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি লেখা।’’

    বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি (Dilip Ghosh) বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন, সেখানে বিজেপির পঞ্চায়েত। আগে বিজেপির পঞ্চায়েত ছিল না। ওঁদের পঞ্চায়েত ছিল। মানুষ খেপে গিয়ে সেই পঞ্চায়েত ভেঙে দিয়েছে। এখন সেখানে নির্দল প্রধান। এই সমাজবিরোধী ও দেশ বিরোধী কাজে পুলিশ যুক্ত। না হলে কমপ্লেন করার পরেও পুলিশ কিছু করে না কেন? তার মানে পুলিশের ওপর পলিটিক্যাল প্রেসার রয়েছে। তাই আক্রমণের শিকার পুলিশ।’’

    আরও পড়ুুন: ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের নোটিশের জবাব দিল রাজ্য, কী বলল?

    মেদিনীপুরের সাংসদ (Dilip Ghosh) বলেন, ‘‘রাজ্যের একাধিক জায়গায় বিস্ফোরণ আগেও হয়েছে। আমি তার মধ্যে কয়েকটা জায়গায় গিয়েছি। কয়েক বছর আগে পিংলায়ও একই ঘটনা ঘটেছিল। তখন বাড়ির ছাদ উড়ে গিয়েছিল। দেহগুলি ছিন্নভিন্ন হয়ে গিয়েছিল। এবারও তাই হয়েছে। ওখানে প্রায় ২২ জন কাজ করছিল। তারা নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে। কজনকে পাওয়া গিয়েছে বা যায়নি, নিশ্চিত নয়।’’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share