Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Recruitment Scam: পুকুরে ফেলা ২টি ফোন থেকেই সমস্ত ডেটা উদ্ধার! জীবনকৃষ্ণের বিপদ কি বাড়ল?

    Recruitment Scam: পুকুরে ফেলা ২টি ফোন থেকেই সমস্ত ডেটা উদ্ধার! জীবনকৃষ্ণের বিপদ কি বাড়ল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুকুরে মোবাইল ফোন ফেলেও লাভ হল না তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার (Jibankrishna Saha)। পুকুরে ফেলা ২টি মোবাইল ফোন থেকেই সমস্ত ডেটা উদ্ধার করতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। উদ্ধার হয়েছে চ্যাট হিস্ট্রিও। ডেটা ডিলিটের পরেও ১০০ শতাংশ তথ্য পুনরুদ্ধার করা গেছে বলে দাবি সিবিআইয়ের। সিবিআইয়ের দিল্লির ফরেনসিক ইউনিট থেকে ইতিমধ্যেই সেই খবর এসে পৌঁছেছে নিজাম প্যালেসে।

    মোবাইল-সূত্র

    সিবিআই সূত্রে খবর, ধৃত তৃণমূল বিধায়ক দু’টি ফোন থেকে প্রচুর ডেটা ডিলিট করেছেন। ওড়ানো হয়েছিল প্রচুর কথোপকথনের রেকর্ড ও ছবি। মোবাইল ঘেঁটে সে তথ্য জানতে পেরেছেন, দিল্লির ফরেন্সিক অফিসাররা। এসএসসি মামলার তদন্ত শুরু হওয়ার পর থেকেই তথ্য ওড়ানো হয়েছে, বলে দাবি সিবিআইয়ের। ওই ফোন থেকেই মিলেছে নিয়োগ দুর্নীতির সাড়ে ৩০০ পাতার তথ্য! কয়েকশো অডিও ক্লিপ! বহু হোয়াটস অ্যাপ চ্যাট ! আর গ্য়ালারিভর্তি ছবি! সিবিআই সূত্রে আরও দাবি, হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট ও কয়েকশো অডিও ক্লিপে নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে কথোপকথন হয়েছে বলে জানা গেছে। সেখান থেকে মিলেছে বেশ কিছু নাম। এবার তাঁদের ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় সিবিআই। সিবিআইয়ের অনুমান, তথ্য গোপন করতেই দুটি ফোন ছুড়ে বাড়ির পুকুরে ফেলে দেন তৃণমূল বিধায়ক। কিন্তু লাভ হল না। ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের সাহায্যে মুছে যাওয়া তথ্য প্রায় একশো শতাংশই উদ্ধার করা গিয়েছে। 

    আরও পড়ুন: ‘‘সঙ্ঘের পোশাকে থাকা ওই যুবক তৃণমূলের বুথ কমিটির সদস্য’’! তোপ সুকান্তর

    মুর্শিদাবাদের বড়ঞার বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। গত মাসে তাঁর বাড়িতে হানা দিয়েছিল সিবিআই। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এই অভিযান চলে। সেই অভিযান ও বিধায়কের গ্রেফতারি ঘিরে নাটকীয় পর্ব চলে প্রায় তিনদিন ধরে। এবার জীবনকৃষ্ণের মোবাইল ঘেঁটে পাওয়া তথ্য  রিপোর্ট আকারে তদন্তকারীদের হাতে আসতে চলেছে। সেই ডেটা সামনে এলে বিপদ আরও বাড়তে পারে জীবনকৃষ্ণের।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: ৩৬ নয়, চাকরি বাতিল ৩২ হাজারের! রায় সংশোধন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

    Recruitment Scam: ৩৬ নয়, চাকরি বাতিল ৩২ হাজারের! রায় সংশোধন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত সপ্তাহের শুক্রবারই প্রাথমিকে ৩৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। মঙ্গলবার সেই রায়ের (Recruitment Scam) সংশোধন করে নিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। বিচারপতির মতে, সংখ্যাটা ৩২ হাজারের কাছাকাছি হবে। সোমবার মামলাকারীদের আইনজীবী তরুণজ্যোতি তেওয়ারি বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন যে একটা টাইপে ভুল রয়েছে। মঙ্গলবার সেই আবেদনের শুনানিতে বিচারপতি নির্দেশ দেন, যে দুটি ভুলের কথা বলা হয়েছিল সেটি সংশোধন করা হবে। প্যানেলের সর্বনিম্ন নম্বর রায়ে লেখা হয়েছে ১৪.১৯১। আসলে ওটা হবে ১৩.৭৯৬। এবং দ্বিতীয় ভুলটি হল চাকরি বাতিলের সংখ্যা হবে ৩১,৭৯০, যা ভুল করে ৩৬,০০০ করা হয়েছিল।

    কেন এই মামলা?

    প্রসঙ্গত ২০১৪ সালে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ যে টেট পরীক্ষার ঘোষণা করেছিল তা সম্পন্ন হয় ২০১৫ সালের অক্টোবর মাসে। পরীক্ষার রেজাল্ট বের হয় ঠিক এক বছর পরে ২০১৬ সালে এবং ওই বছরেই প্রথম ধাপে নিয়োগ করা হয়। সেই সময়ে ৪২ হাজার ৫০০ জনের প্যানেল প্রকাশ করে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। কিন্তু ২,০০০ শিক্ষকের পদ তবুও অজানা কারণে পূরণ করেনি তারা। সেই প্যানেলে যাদের নাম রয়েছে তাদের মধ্যে অনেকেই নাকি বেনিয়মে চাকরি পেয়েছেন এমন অভিযোগ তুলে হাইকোর্টের দায়ের হয় মামলা। আরও ভুরি ভুরি অভিযোগ জমা পড়তে থাকে পর্ষদের অফিসে। অভিযোগ, কোনওরকম ইন্টারভিউ ছাড়াই অপ্রশিক্ষিতদের চাকরি (Recruitment Scam) দিয়েছে পর্ষদ। পরবর্তীকালে ডিএলএড বাধ্যতামূলক হলেও ২০১৪ টেটে তা বাধ্যতামূলক ছিলনা। ২০১৪ এর টেটে প্রায় ৩২ হাজারের কাছাকাছি প্যানেল বাতিলের নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বিচারপতির নির্দেশ, ‘‘আগামী চারমাসের মধ্যে স্বচ্ছ নিয়োগ সম্পন্ন করতে হবে, যতদিন এই প্রক্রিয়া চলবে ততদিন পার্শ্ব শিক্ষকের মতো বেতন পাবেন বাতিল এই প্যানেলের শিক্ষকরা।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: ফের একবার ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ রাজ্য সরকার, এবার কোন মামলা?

    Calcutta High Court: ফের একবার ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ রাজ্য সরকার, এবার কোন মামলা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের একবার কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হল রাজ্য সরকার। এবার পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই (CBI) তদন্তের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে। মঙ্গলবার মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছেন বিচারপতি অরিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ। এ সপ্তাহেই শুনানি হতে পারে এই মামলার।

    কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশ…

    গত সপ্তাহেই একবার হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য সরকার। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় যে ৩৬ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন, সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য সরকার। এবার গেল পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে সিবিআই তদন্তের নির্দেশের প্রেক্ষিতে। ঘটনাচক্রে এই রায়ও দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। পরে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে মামলা সরিয়ে নেওয়া হয়। শুনানি শুরু হয় বিচারপতি অমৃতা সিন্‌হার বেঞ্চে। বিচারপতি সিন্‌হাও ওই রায়ই বহাল রাখেন। যার অর্থ হল, পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্ত করবে সিবিআই। এবার সেই নির্দেশকেই চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে গেল রাজ্য।

    ওই মামলায় (Calcutta High Court) পূর্ববর্তী নির্দেশ পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়ে রাজ্যের তরফে এজি সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় বলেছিলেন, ইডির আবেদনের ভিত্তিতে পুরসভার দুর্নীতি নিয়ে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু পুরসভার মামলা ওই বিচারপতির বিচারাধীন বিষয় নয়। তবে তিনি কীভাবে এই নির্দেশ দিতে পারেন?  হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ঠিক করেন কোন বিচারপতি কোন মামলার বিচার করবেন। ওই বেঞ্চে পুরসভার মামলা নেই। তাই এই মামলা শোনার এক্তিয়ার নেই ওই বেঞ্চের।

    আরও পড়ুুন:‘হিংসায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করুন’, মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রীকে নির্দেশ শাহের

    প্রসঙ্গত, নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে ধৃত প্রোমোটার অয়ন শীলকে জেরা করে চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে পান তদন্তকারী আধিকারিকরা। দেখা যায়, রাজ্যের অন্তত ৫০টি পুরসভায় মোটা টাকার বিনিময়ে চাকরি পাইয়ে দেওয়া হয়েছে। কোন কোন পদের জন্য কত টাকা দিতে হয়েছে, সে সংক্রান্ত একটি তালিকাও পান তাঁরা। এই কেলেঙ্কারির পান্ডাকে খুঁজে বের করার নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য সরকার। এ বিষয়ে মূল মামলাকারীদের আইনজীবীর (Calcutta High Court) বক্তব্য, পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে শিক্ষা দুর্নীতি মিশে রয়েছে। কারণ, এখানে আর্থিক দুর্নীতি হয়েছে। সুবিধাভোগীর বিরুদ্ধে ২০০ কোটি টাকা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। গত শুক্রবার এই মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশই বহাল রেখেছিলেন বিচারপতি সিন্‌হা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Bolpur: অনুব্রত ঘনিষ্ঠ কাউন্সিলারের ওয়ার্ডেই পুরসভার পুকুর ভরাট করে আবাসন নির্মাণ?

    Bolpur: অনুব্রত ঘনিষ্ঠ কাউন্সিলারের ওয়ার্ডেই পুরসভার পুকুর ভরাট করে আবাসন নির্মাণ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনুব্রত মণ্ডল (Bolpur) ঘনিষ্ঠ তৃণমূল কাউন্সিলারের ওয়ার্ডে পুকুর ভরাট করার অভিযোগ ঠিকাদারের বিরুদ্ধে। এই পুকুরের জমি বাংলার ভূমি অ্যাপ রেকর্ডে জলাশয় বলে চিহ্নিত রয়েছে। তা সত্ত্বেও বাস্তুতন্ত্র নষ্ট করে জেসিবি মেশিন দিয়ে মাটি-বালি ফেলে ভরাট করা হচ্ছে সেই জলাশয়। ২০২০ সাল থেকে এই মর্মে ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর, মহকুমা শাসক এবং জেলাশাসকের কাছে অভিযোগ করা হয়েছে। কিন্তু অভিযোগ পেয়েও নিশ্চুপ প্রশাসন।

    অভিযুক্ত ব্যক্তি অনুব্রত ঘনিষ্ঠ

    গরুপাচার মামলায় জেল হেফাজতে রয়েছেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তাঁর ঘনিষ্ঠ তৃণমূলের কাউন্সিলার ওমর শেখকে গরুপাচার মামলায় একাধিকবার ডেকে জেরা করেছে সিবিআই ও ইডি৷ অর্থাৎ, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার নজরে রয়েছে বোলপুর (Bolpur) পৌরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার। সেই ওয়ার্ডেই দীর্ঘদিনের একটি জলাশয় বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে। জলাশয়টি ভরাট করে বহুতল নির্মাণ করা হবে৷ তাই দিনরাত জেসিবি মেশিন দিয়ে মাটি ফেলে বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে জলাশয়টি৷ মাটি ভরাটের ফলে বর্তমানে দেখে মনেই হবে না যে এটি একটা নিত্যব্যবহার্য জলাশয় ছিল।

    ভরাটের ফলে সমস্যা

    পুরসভার (Bolpur) জলাভূমি, পুকুর ইত্যাদি বন্ধ করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ৷ এতে প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হয়, বাস্তুতন্ত্র নষ্ট হয়৷ বোলপুরের ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের নতুন পুকুর এলাকায় এই পুকুরটিতে এক সময় স্থানীয় মানুষজন স্নান করা, জামাকাপড় কাচা, বাসন ধোয়ার কাজ নিত্যদিন করতেন৷ এছাড়াও এলাকার বৃষ্টির অতিরিক্ত জল জমা হত এই পুকুরেই। প্রতিমা নিরঞ্জনও হত এই পুকুরে। কিন্তু এইসব কাজ এখন বন্ধ। সেটি ব্যবহার করতে না পেরে এলাকার মানুষের অভিযোগ, পুকুর ভরাট করে আবাসন নির্মাণ করে টাকা কামানোর রাস্তা করেছেন শাসকদলের নেতারা। প্রশাসন জেনেও চুপ রয়েছে।

    সাধারণ মানুষের অভিযোগ

    এলাকার বাসিন্দা (Bolpur) সমীর ভট্টাচার্য বলেন, আমি এই পুকুর ভরাট নিয়ে অভিযোগ করেছিলাম। জমির দাগ নম্বর এবং রেকর্ড অনুযায়ী এটা জলাশয়৷ তিনি আরও বলেন, অভিযোগের পর জেলাশাসক আমাকে জানিয়েছিলেন, বিষয়টি দেখবেন৷ এমনকী জেলাশাসক স্বয়ং বলেন, প্রশাসনের কোনও আধিকারিক যদি এই বিষয়ে পদক্ষেপ না নেয়, আমি যেন জানাই৷ আবার দেখছি পুকুরটি ভরাট করে দেওয়া হচ্ছে৷ ২০২০ সাল থেকে স্থানীয় বাসিন্দা তথা সিপিআইএমের প্রবীণ নেতা সমীর ভট্টাচার্য এই বিষয়ে জেলা, ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর, বোলপুর মহকুমা শাসক, জেলাশাসকের কাছে একাধিকবার লিখিত অভিযোগ করেছিলেন। কিন্তু অভিযোগের জেরে মাঝে কিছুদিন সেই কাজ বন্ধ থাকলেও ফের বহুতল নির্মাণের জন্য জেসিবি মেশিন দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে পুকুরটি। যা নিয়ে নিশ্চুপ প্রশাসন৷

    প্রশাসন এবং ঠিকাদারের প্রতিক্রিয়া

    বোলপুর (Bolpur) ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের আধিকারিক সঞ্জয় রায় বলেন, আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি কী হয়েছে৷ আর এই মুহূর্তে এর থেকে বেশি কিছু আর বলতে পারব না। আবার কাজের সঙ্গে যুক্ত ঠিকাদার অরূপকুমার মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি পুকুর ভরাটের অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেন৷ এখন এই সমস্যার সমাধান প্রশাসন কবে করবে, সেটাই দেখার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Basirhat: হেরিটেজের তকমা মিললেও চরম অবহেলায় পড়ে রয়েছে ধান্যকুড়িয়ার গাইন গার্ডেন

    Basirhat: হেরিটেজের তকমা মিললেও চরম অবহেলায় পড়ে রয়েছে ধান্যকুড়িয়ার গাইন গার্ডেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্রিটিশ আমলে তৈরি উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটের (Basirhat) ধান্যকুড়িয়া গাইন গার্ডেন চরম অবহেলায়, অনাদরে পড়ে রয়েছে। বছরখানেক আগে হেরিটেজ-তকমা পেলেও এখনও কোনও শ্রী ফেরেনি। গার্ডেনের ভিতর অট্টালিকার পুকুর ঘাটে দু’টি বড় মার্বেলের সিংহ ছিল। নব্বইয়ের দশকে তা বিক্রি হয়ে যায়। তবে বাগান বাড়ির গেটে দু’জন ইংরেজ একটি সিংহকে বধ করছে—এ রকম একটি ভাস্কর্য এখনও রয়েছে। ‘কপালকুণ্ডলা’ সিনেমার শুটিংও হয়েছিল এই স্থানে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এর জৌলুস কমতে শুরু করে।

    কে তৈরি করেছিলেন এই গাইন গার্ডেন?

    ইতিহাসের পাতা ঘেঁটে জানা যায়, প্রায় দেড়শো বছর আগে বসিরহাট (Basirhat) -বেড়াচাঁপার টাকি রোডের ধারে ‘গাইন’ দুর্গের আদলে বিশাল এই স্থাপত্য গড়ে তোলেন ধান‍্যকুড়িয়ার পাট ব‍্যবসায়ী মহেন্দ্রনাথ গাইন। পরবর্তীকালে যা গাইন গার্ডেন নামে পরিচিতি পায়। ৩৩ বিঘা জমির ওপর অট্টালিকা ছাড়াও আমোদ প্রমোদের জন্য তৈরি করা হয়েছিল বাগানবাড়ি। সেখানে জমিদার এবং তাঁদের ব‍্যবসায়িক সহযোগী ইংরেজদের বিনোদনের ব্যবস্থা ছিল। সেই সময় টাকি রোড বরাবর মার্টিন রেল চলত। যার স্টেশন ছিল ধান্যকুড়িয়ায়। ওই রেলে চড়ে ইংরেজরা আসতেন গাইন গার্ডেনে। এখন সেসব অতীত। তবে, সেই সমস্ত ইতিহাসের চিহ্ন এখনও ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে গাইন গার্ডেনের আনাচে কানাচে। যেগুলোর অধিকাংশই সংস্কারের অভাবে আজ ধ্বংস হতে বসেছে।

    এখন কী অবস্থায় রয়েছে গাইন গার্ডেন?

    বসিরহাটের (Basirhat) গাইন গার্ডেনের চারপাশ এখন ভরেছে ঘাস এবং আগাছায়। সীমানা পাঁচিলও যে কোনও সময় ভেঙে পড়তে পারে। সন্ধ্যার পর দুষ্কৃতীদের আনাগোনা সেখানে বাড়ছে বলে অভিযোগ। বিভিন্ন অংশে বেশ কিছু ফাটল ও ধরেতে দেখা গিয়েছে। নিত্যদিনই বাড়ছে বিপদের আশঙ্কা। বাগান চত্বরে বেড়েছে সাপের উপদ্রব। তারপরও রক্ষণাবেক্ষণের কোনও উদ্যোগ নেই প্রশাসনের। কার্যত অযত্নে পড়ে থেকে থেকে বিশাল এই স্থাপত্য আজ নষ্ট হওয়ার মুখে।

    কবে মিলল হেরিটেজের স্বীকৃতি?

    পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সমাজকল্যাণ দফতরের পরিচালনায় এখানে দীর্ঘদিন পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত একটি সরকারি বালিকা হোম-সহ মেয়েদের স্কুল চলত। দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পরে ২০০৮ সালে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদ গাইন পরিবারের কাছ থেকে এই সম্পত্তিটি কিনে নেয়। ২০১৯ সালে সংস্কারের কথা বলে মেয়েদের হোম ও স্কুল তুলে দেওয়া হয়। ২০২১ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের হেরিটেজ কমিশনের সদস্যেরা বসিরহাটের (Basirhat) এই গাইন গার্ডেন পরিদর্শন করেন। ২০২২ সালে হেরিটেজ হিসাবে স্বীকৃতিও মেলে। চলতি বছরের ১৮ এপ্রিল বিশ্ব ঐতিহ্য দিবসে পশ্চিমবঙ্গ হেরিটেজ কমিশনের ব্রশিওরেও স্থান পেয়েছে ধান্যকুড়িয়া গাইন গার্ডেন।

    কী বললেন স্থানীয় বাসিন্দারা?

    স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, “খাতায়-কলমে শুধু ‘হেরিটেজ’ তকমাটুকুই মিলেছে। বাস্তবে ভবনের চিত্র এখনো বদলায়নি। এই বিষয়ে মহম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “হেরিটেজ ঘোষণার পরও প্রশাসনের সেই উদ্যোগ এখনো চোখে পড়েনি। আজও অবহেলায় পড়ে রয়েছে এই স্থানটি। এই স্থাপত্য বাঁচাতে প্রশাসনের সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া দরকার। পাশাপাশি পর্যটন শিল্প গড়ে তোলা হলে কর্মসংস্থানও হবে এলাকায়।

    কী বললেন জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ?

    যদিও এই ভবন নিয়ে উদাসীনতার অভিযোগ মানতে চাননি জেলা পরিষদের বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ এ কে এম ফারহাদ। তিনি বলেন, “যে কোনও উন্নয়নের কাজ করতে গেলে কিছু বিষয় থাকে। জেলা প্রশাসন ইতিমধ্যে বিষয়টি নিয়ে তৎপর হয়েছে। আশা করছি খুব শীঘ্রই সেখানে সংস্কারের কাজ শুরু হয়ে যাবে। উন্নয়নের বিষয়ে আমরা সব সময় একধাপ এগিয়ে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Road: হাসপাতাল যাওয়ার ৩ কিমি রাস্তা ঘুরে যেতে হচ্ছে ৮ কিমি! ক্ষোভে অবরোধ

    Panchayat Road: হাসপাতাল যাওয়ার ৩ কিমি রাস্তা ঘুরে যেতে হচ্ছে ৮ কিমি! ক্ষোভে অবরোধ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘ প্রায় দু-দশক ধরে বেহাল রাস্তা (Panchayat Road)। এলাকায় রয়েছে পানীয় জলের সমস্যাও। পঞ্চায়েত এবং প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েও মেলেনি সুরাহা। এলাকার বিধায়ক মন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়ার পরেও হয়নি সমাধান। এইসব ক্ষোভ থেকেই ৮১ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন গ্রামবাসীরা। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নং ব্লকের লক্ষণপুর ৮১ নম্বর জাতীয় সড়কে। ভোট বয়কটের ডাক দিয়ে হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন গ্রামবাসীরা।

    পথশ্রী প্রকল্পেও ভাগ্যের শিকে ছেঁড়েনি!

    জানা গিয়েছে, মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নং ব্লকের অন্তর্গত ভিঙ্গল গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনে লক্ষণপুর, ঝিকোডাঙা, ডুমুরকলা, কনার, পাড়ুই সহ একাধিক গ্রামের রাস্তা (Panchayat Road) বেহাল। স্বাধীনতার ৭৫ বছর পরেও পাকা রাস্তা হয়নি মালদার এই গ্রামগুলিতে। লাল মাটির রাস্তা, খানাখন্দে ভরা। দীর্ঘ দুই দশক সংস্কারের অভাবে কার্যত বেহাল দশা। পারো থেকে ঝিকোডাঙা পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার রাস্তা গ্রামের মূল প্রবেশপথ।পার্শ্ববর্তী ২০ থেকে ২৫ টি গ্রামের ৫ থেকে ৬ হাজার মানুষ দৈনন্দিন যাতায়াত করে এই রাস্তা দিয়ে। যানবাহন তো বটেই, বৃষ্টি হলে মানুষের চলাচলের পক্ষেও অযোগ্য হয়ে ওঠে এই রাস্তা। হাসপাতাল যাওয়ার ৩ কিলোমিটার দূরত্বের রাস্তা ঘুরে যেতে হচ্ছে ৮ কিলোমিটার। আগুন লাগলে গ্রামে আসতে পারছে না দমকলের গাড়ি। এদিকে কিছুদিন আগেই পথশ্রী প্রকল্পের আওতায় রাজ্যের কয়েক হাজার বেহাল রাস্তা সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে। কিন্তু তাতেও ভাগ্যের শিকে ছেঁড়েনি ঝিকোডাঙা গ্রামের রাস্তার। যার ফলে গ্রামবাসীরা ক্ষিপ্ত হয়ে সোমবার সকালে হরিশ্চন্দ্রপুর ৮১ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান। মন্ত্রীর ভূমিকায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। তিনটি দফতরের প্রতিমন্ত্রী হয়েও নাগরিক পরিষেবা থেকে কেন বঞ্চিত গ্রামবাসীরা, বিক্ষোভকারীরা এই প্রশ্নও তুলেছেন।

    শুরু রাজনৈতিক চাপানউতোর

    কংগ্রেসের দখলে পঞ্চায়েত থাকার কারণে বিমাতৃসুলভ আচরণ করছে তৃণমূল, অভিযোগ কংগ্রেস পরিচালিত ভিঙ্গল গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বিমানবিহারী বসাকের। আর এই ঘটনা সামনে আসতেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। মালদা উত্তরের বিজেপির সাংগঠনিক জেলা যুবমোর্চার সভাপতি অয়ন রায় বলেন, মন্ত্রীর গড়ে দাঁড়িয়ে সাধারণ মানুষ নাগরিক পরিষেবা থেকে বঞ্চিত। পঞ্চায়েত ভোটে মানুষ এদের ছুড়ে ফেলবে। যদিও বিরোধীদের অভিযোগ মানতে নারাজ তৃণমূল। মালদা জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক তথা জেলা পরিষদের সভাধিপতি রফিকুল হোসেন বলেন, পথশ্রী প্রকল্পে ভিঙ্গল গ্রাম পঞ্চায়েতের দুটি রাস্তা (Panchayat Road) ধরা হয়েছে। তবে মানুষকে নাগরিক পরিষেবা দিতে ব্যর্থ কংগ্রেস পরিচালিত ওই গ্রাম পঞ্চায়েত। পানীয় জলের সমস্যা জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে দেখা হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Bridge Championship: ৪ পদক ভারতের! পাকিস্তানে ব্রিজ প্রতিযোগিতায় সোনা জিতলেন বাংলার সুমিত

    Bridge Championship: ৪ পদক ভারতের! পাকিস্তানে ব্রিজ প্রতিযোগিতায় সোনা জিতলেন বাংলার সুমিত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানে ব্রিজ প্রতিযোগিতায় (Bridge Championship) অংশ নিয়েছিল ৩২ সদস্যের একটি ভারতীয় দল। লাহোরে অনুষ্ঠিত হওয়া এই প্রতিযোগিতায় (Bridge Championship) একটি ক্যাটাগরিতে সোনা জিতলেন এক বাঙালি। মেট্রোরেলের কর্মী সুমিত মুখোপাধ্যায় এই কৃতিত্ব অর্জন করেছেন। প্রসঙ্গত ২০১৮ সালেও, সুমিত মুখোপাধ্যায় ব্রিজে ব্রোঞ্জ মেডেল জিতেছিলেন জাকার্তায় অনুষ্ঠিত এশিয়ান গেমসে। ২০২২ সালে ব্রিজের চতুর্থ এশিয়া কাপ প্রতিযোগিতাতেও তিনি অংশগ্রহণ করেন। জানা গেছে, সুমিত ইতিমধ্যেই অসংখ্য জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক স্তরের পদক এনেছেন ব্রিজে। লাহোরে সোনা জিতে তিনি দেশে পা রাখেন ১৪ মে। আপাতত তাঁর লক্ষ্য চলতি বছরের অগাস্টে অনুষ্ঠিত হতে চলা মরক্কো চ্যাম্পিয়নশিপ (Bridge Championship), এমনটাই জানিয়েছেন তিনি। চলতি মাসের ৫ থেকে ১৩ তারিখ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত এই প্রতিযোগিতায় বিভিন্ন দেশ অংশগ্রহণ করেছিল। চলতি বছরের সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে চিনে অনুষ্ঠিত হবে এশিয়ান গেমস। সেখানেও যাবেন সুমিত। পাকিস্তানে সোনা জেতার পর তাঁর ওপর প্রত্যাশার চাপ অনেকটাই বেড়ে গেল বলেই মনে করছেন ক্রীড়া মহলের একাংশ। চলতি বছরে পরপর দুটি আন্তর্জাতিক স্তরের প্রতিযোগিতায় কেমন পারফরম্যান্স করেন সুমিত, সেটাই এখন দেখার।

    সুমিতের সাফল্যে উচ্ছ্বসিত মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ

    লাহোরে ব্রিজ প্রতিযোগিতায় (Bridge Championship) সোনার মেডেল জেতার পরে কলকাতা মেট্রোর তরফে সুমিতকে বিশেষ সংবর্ধনা দেওয়া হয়। ওই অনুষ্ঠানে সুমিতের হাতে বিশেষ স্মারক তুলে দেন মেট্রোরেলের জেনারেল ম্যানেজার। প্রসঙ্গত সুমিতের সঙ্গে এই দলে ছিলেন এইচসিএল-এর প্রতিষ্ঠাতা কিরণ নাদার। জানা গেছে লাহোরে পৌঁছানোর পরে ৩২ জনের এই দলকে পাকিস্তানের লাহোরে একটি পাঁচতারা হোটেলে রাখা হয়। পাকিস্তানের রাজনৈতিক পরিস্থিতি অশান্ত হয়ে ওঠায় ব্রিজ দলের (Bridge Championship) জন্য বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছিল শেহবাজ সরকার। সুমিত মুখোপাধ্যায়রা ছিলেন লাহোরের পার্ক কন্টিনেন্টাল হোটেলে।

    আরও পড়ুন: মৃত সন্তানকে ব্যাগে ভরে বাড়ি ফেরার ঘটনায় শোরগোল, বাড়িতে বিজেপি ও তৃণমূল

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Dilip Ghosh: ‘‘দিলীপ ঘোষের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ নেই’’, দলিল-বিতর্কে জানালেন প্রসন্ন

    Dilip Ghosh: ‘‘দিলীপ ঘোষের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ নেই’’, দলিল-বিতর্কে জানালেন প্রসন্ন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ-দুর্নীতি মামলায় ধৃত মিডলম্যান প্রসন্ন রায় এদিন বলেন, ‘‘বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) সঙ্গে আমার কোনও যোগাযোগ নেই, আর্থিক লেনদেনও কখনও হয়নি।’’ প্রসঙ্গত, অভিযোগ উঠেছিল প্রসন্ন রায়ের কাছ থেকে দিলীপ ঘোষের ফ্ল্যাটের দলিল উদ্ধার হয়েছে। এই অভিযোগে বারবার সরব হয়েছিল তৃণমূল। কিন্তু দিলীপ ঘোষ প্রতিবারই অভিযোগ ভিত্তিহীন বলেছেন। সোমবার প্রসন্ন রায়ের বিবৃতির পরে তৃণমূলের তোলা অভিযোগ ব্যুমেরাং হল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।

    কে এই প্রসন্ন?

    রঙের মিস্ত্রি থেকে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি করেছিলেন নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত প্রসন্ন। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আত্মীয় বলেই পরিচিত তিনি। সিবিআই সূত্রে খবর, মাত্র পাঁচ বছরেই এক হাজার চৌঁত্রিশ কাঠা জমির মালিক হন তিনি। ২০০ কোটি টাকার বিনিয়োগ করেন তাঁর বিভিন্ন ব্যবসায়। শুরু করেন হোটেল ব্যবসাও। কোথা থেকে তাঁর কাছে এত টাকা এল তা খতিয়ে দেখতে গিয়েই দুর্নীতি ধরা পড়ে। প্রথমে নবম দশমের দুর্নীতি পরে গ্রুপ ডি দুর্নীতিতে নাম জড়ায় প্রসন্নর।

    কী বললেন প্রসন্ন রায়?

    ধৃত প্রসন্ন রায়কে এদিন আলিপুরে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে তোলা হয়। গ্রুপ-ডি কর্মী নিয়োগের দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত প্রসন্ন দলিল প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘ওটি আসল দলিল নয়, দলিলের প্রতিলিপি বা সার্টিফায়েড কপি। দিলীপ ঘোষের সঙ্গে আমার কোন যোগাযোগ নেই, কোনও আর্থিক লেনদেনও কখনো হয়নি।’’ তবে দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) ফ্ল্যাটের দলিল তাঁর কাছে এল কীভাবে? প্রসন্নর উত্তর, ‘‘দিলীপবাবু তাঁর নিজের ফ্ল্যাটের বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য দলিলের কপি একটি বেসরকারি সংস্থাকে দিয়েছিলেন। আমি ওই দলিল পেয়েছি সেই সংস্থার কাছ থেকে।’’ নবম ও দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইতিমধ্যে প্রসন্ন ২৫৮ দিন জেল খেটেছেন। এরপর গ্রুপ ডি মামলায় সিবিআই তাঁকে ৪ দিনের হেফাজতে নিয়েছিল, এদিন আলিপুরের সিবিআই বিশেষ আদালত প্রসন্নকে ২৫ মে পর্যন্ত জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে।

    এ প্রসঙ্গে কী বললেন দিলীপ ঘোষ?

    ঝাড়গ্রামে দলীয় কর্মসূচিতে এদিন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) বলেন, ‘‘ব্যাঙ্কের টাকায় ফ্ল্যাট কিনেছি, ব্যাঙ্কের কাছে আসল দলিল আছে। যে ভদ্রলোক ওই ফ্ল্যাটের মালিক ছিলেন মিটারে তাঁর নাম পরিবর্তন করতে হতো, তাই আমি তার একটা ফটোকপি প্রসন্ন রায়ের কাছে পাঠিয়েছিলাম, শুধু এটুকুই। আমি ওকে চিনি না জানি না।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Diploma Doctors: ডিপ্লোমা ডাক্তার নয়! মুখ্যমন্ত্রীর প্রস্তাবে সায় নেই রাজ্যের তৈরি বিশেষজ্ঞ কমিটিরই

    Diploma Doctors: ডিপ্লোমা ডাক্তার নয়! মুখ্যমন্ত্রীর প্রস্তাবে সায় নেই রাজ্যের তৈরি বিশেষজ্ঞ কমিটিরই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিন বছরের প্রশিক্ষণে ডিপ্লোমা ডাক্তার (Diploma Doctors) নয়, চিকিৎসা ব্যবস্থার সহায়ক তৈরি করা যেতে পারে। এমনই মত রাজ্যের তৈরি বিশেষজ্ঞ কমিটির। তিন বছরের প্রশিক্ষণে ডিপ্লোমা ডাক্তার তৈরি করা যায় কি না, তা স্বাস্থ্য দফতরকে দেখতে বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই লক্ষ্যে ১৫ জনের বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করা হয়। সোমবার স্বাস্থ্যভবনে রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম ওই বিশেষজ্ঞ কমিটির সদস্যদের সঙ্গে একটি বৈঠকে বসেছিলেন। তারপরই সেই কমিটি জানায়, তিন বছরের প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের সরাসরি চিকিৎসক (Diploma Doctors) হিসাবে চিহ্নিত করা ঠিক হবে না। বরং প্রান্তিক স্তরে রাজ্যের চিকিৎসা পরিষেবাকে আরও বেশি করে পৌঁছে দিতে তৈরি করা হোক স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সহায়ক।

    মুখ্যমন্ত্রীর প্রস্তাব

    মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্প্রতি নবান্নের এক বৈঠকে প্রস্তাব দিয়েছিলেন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মতো ডাক্তারিতেও ডিপ্লোমা কোর্স (Diploma in Medical) চালু করা যায় কি না, সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য। মুখ্যমন্ত্রীর সেই প্রস্তাবের পর স্বাস্থ্যভবনের (Swastha Bhawan) তরফে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটিও গঠন করা হয়েছিল। সব দিক খতিয়ে দেখে এক মাসের মধ্যে ওই বিশেষজ্ঞ কমিটির একটি রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা। সোমবার বিশেষজ্ঞ কমিটির প্রথম বৈঠকের পর স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম বলেন, ‘চিকিৎসক সুকুমার মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে যে কমিটি গঠিত হয়েছে, সেই কমিটির সঙ্গে আজ বিশদে আলোচনা হয়েছে। আলোচনায় অনেক বিষয় উঠে এসেছে। তাঁদের বলা হয়েছে, প্রস্তাবগুলি লিখিত আকারে জমা দেওয়ার জন্য এবং পরবর্তী বৈঠকে সেগুলি নিয়ে আলোচনা হবে।’

    আরও পড়ুন: মৃত সন্তানকে ব্যাগে ভরে বাড়ি ফেরার ঘটনায় শোরগোল, বাড়িতে বিজেপি ও তৃণমূল

    স্বাস্থ্যভবন সূত্রে খবর, ‘ডিপ্লোমা ডাক্তারে’ (Diploma Doctors) সায় নেই কারুরই। বৈঠকের পর সব পক্ষের মত, ৩ বছরের ডিগ্রি কোর্সে ডাক্তার তৈরি করা সম্ভব নয়। ৩ বছরের কোর্সে চিকিৎসকের সহায়ক তৈরি করা যেতে পারে। তবে তাঁরা কোনও ওষুধ প্রেসক্রাইব করতে পারবেন না। পাশাপাশি প্রত্যন্ত গ্রামীণ এলাকায় প্রাথমিক চিকিৎসায় সহায়তা করতে পারবেন। কিন্তু রাজ্যে গ্রামাঞ্চলে স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়ার জন্য অভিজ্ঞ নার্স, আয়ুষ চিকিৎসক, গ্রামীণ স্বাস্থ্য সহায়কেরা রয়েছেন। তাঁদেরই আরও উন্নত কোনও প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে, না কি নতুন পদ তৈরি করা হবে— তা নিয়ে এ দিন কমিটির সদস্যেরা আলোচনা করেন। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: ‘‘কেন পদক্ষেপ করা হল না?’’ অভিষেককে জিজ্ঞাসাবাদ প্রসঙ্গে সিবিআইকে প্রশ্ন আদালতের

    Calcutta High Court: ‘‘কেন পদক্ষেপ করা হল না?’’ অভিষেককে জিজ্ঞাসাবাদ প্রসঙ্গে সিবিআইকে প্রশ্ন আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টের রক্ষাকবচ নেই। কুন্তল ঘোষের চিঠিকাণ্ডে তা-ও তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদের ব্যাপারে কেন পদক্ষেপ করা হলো না? প্রশ্ন তুলল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জেলবন্দি কুন্তল ঘোষের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে অভিষেককে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের যে নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় দিয়েছিলেন, তার উপর এই মুহূর্তে দেশের শীর্ষ আদালতের কোনও স্থগিতাদেশ নেই। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে উচ্চ আদালতে সেই মামলার এজলাস বদল হলেও তদন্তের কাজে কোনও স্থগিতাদেশ ছিল না। তারপর এত দিন কেটে গেলেও কেন তদন্তে অগ্রগতি হল না, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দিকে এই প্রশ্ন ছুড়ে দিলেন হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিন্‌হা।

    সওয়াল-জবাব

    বিচারপতি সিন্‌হা দুই কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডি ও সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে জানতে চান, ২৮ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরেও কেন কোনও পদক্ষেপ করেনি দুই তদন্তকারী সংস্থা। আদালতের প্রশ্নের জবাবে সিবিআই কৌঁসুলি বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে মামলার এজলাস বদল সংক্রান্ত সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করছিলাম।’ বিচারপতি সিন্‌হা পাল্টা প্রশ্ন করেন, ‘এজলাস বদলের সঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদের কী সম্পর্ক?’ যদিও তার কোনও সদুত্তর দিতে পারেনি সিবিআই। তবে কেন্দ্রীয় সংস্থা এদিন একটি স্টেটাস রিপোর্ট জমা দেয় আদালতে।

    আরও পড়ুন: মৃত সন্তানকে ব্যাগে ভরে বাড়ি ফেরার ঘটনায় শোরগোল, বাড়িতে বিজেপি ও তৃণমূল

    এই মামলা থেকে অব্যাহতি চেয়ে বিচারপতি সিন্‌হার এজলাসে অভিষেকের তরফে ইতিমধ্যেই আবেদন করা হয়েছে। এদিনের শুনানিতে সওয়াল জবাবের সময় অভিষেকের আইনজীবী সপ্তাংশু বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “বক্তব্য না শুনে কোথাও নাম না দেখে কীভাবে অভিষেকের বিরুদ্ধে রায়? স্পষ্ট কোনও কারণ ছাড়া কেন ডেকে পাঠানো হবে? আদালতের কি আদৌ ক্ষমতা আছে?” মঙ্গলবার এই মামলায় সওয়াল করবে ইডি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share