Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Diploma Doctors: এবার ডিপ্লোমা চিকিৎসক, ১৫ দিনেই নার্স! মুখ্যমন্ত্রীর প্রস্তাবের তীব্র সমালোচনা রাজ্যে

    Diploma Doctors: এবার ডিপ্লোমা চিকিৎসক, ১৫ দিনেই নার্স! মুখ্যমন্ত্রীর প্রস্তাবের তীব্র সমালোচনা রাজ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিন বছরের ডিপ্লোমা কোর্স করেই হওয়া যাবে চিকিৎসক! ১৫ দিনের প্রশিক্ষণ নিয়েই নার্স! সিনিয়র নার্সদের পদোন্নতি দিয়ে করা হতে পারে ‘সেমি’ ডাক্তার! রাজ্যে চিকিৎসকদের ঘাটতি পূরণে এমনই একাধিক প্রস্তাব দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর এই ঘোষণায় তীব্র আপত্তি জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। সমালোচনার ঝড় উঠেছে রাজনৈতিক মহলে। গরিব মানুষদের স্বাস্থ্য নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর এই হঠকারী সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় সরব সকলে।

    জীবন নিয়ে ছিনিমিনি

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী সিভিক ভলান্টিয়ার, সিভিক টিচারের পর এবার সিভিক ডাক্তার বানাচ্ছেন। বিজেপি দাবি করছে রাজ্যকে আরও ভাল করে চালানোর জন্য সিভিক মুখ্যমন্ত্রীর পদ তৈরি করা হোক।” তিনি আরও বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী গোটা রাজ্যকেই সিভিক বানিয়ে দিয়েছেন। খেলা মেলা আর সিভিক দিয়েই চলছে গোটা রাজ্য।” মুখ্যমন্ত্রীর এই প্রস্তাবের তীব্র সমালোচনা করেন বিজেপির যুব মোর্চার নেতা তথা চিকিৎসক ইন্দ্রনীল খাঁ। তিনি বলেন, “এবার এই রাজ্যে ঘুরে বেড়াবে ভুয়ো চিকিৎসক। যা মুখ্যমন্ত্রীর অনুপ্রেরণার ফল। আর রাজ্যের তৈরি করা।” পাশাপাশি তিনি বলেন “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই রাজ্যের মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলছেন।”

    মুখ্যমন্ত্রীর প্রস্তাব

    বৃহস্পতিবার নবান্ন সভাঘরে মন্ত্রী-আমলাদের সঙ্গে উৎকর্ষ বাংলা নিয়ে বৈঠকে বসেন মুখ্যমন্ত্রী। ছিলেন বিভিন্ন বণিক মহলের সদস্যরা। সেখানেই স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগমকে, ডিপ্লোমা ডাক্তার তৈরির পরামর্শ দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রয়োজনে কমিটি তৈরির নির্দেশও দেন তিনি। মমতা বলেন, ‘‘লোকসংখ্যা বাড়ছে, হাসপাতাল বাড়ছে। ডাক্তারদের একটা ডিপ্লোমা কোর্স চালু করতে পারি কি না দেখব, ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মতো।’’ সাধারণত ডাক্তারি পড়ার কোর্সের মেয়াদ ৫ বছরের। সেখানে ৩ বছরের ডিপ্লোমা কোর্সের পর চিকিৎসক তৈরি করা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে চিকিৎসক মহলে। সিনিয়র নার্সদের পদোন্নতি দিয়ে ‘সেমি’ ডাক্তার করার কথাও বলেছেন মমতা। তাঁর কথায়, ‘‘নার্সদের সংখ্যা কম থাকার জেরে সমস্যা হচ্ছে। নার্সিং কলেজ তৈরি করা হোক আরও। তাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে কাজে লাগানো যেতে পারে। ১৫ দিনের প্রশিক্ষণই যথেষ্ট।’’ এর পরই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘যে সব নার্স সিনিয়র, যাঁদের অবসর নিতে ৫-১০ বছর বাকি রয়েছে, তাঁদের পদোন্নতি দিয়ে যদি সেমি ডাক্তার করা যায়। ডাক্তার তো করতে পারব না!’’ 

    বিজেপির সমালোচনা

    এ প্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপির (BJP) মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেছেন, “ভাবনাস্তরেই বিষয়টা থেকে যাবে, বাস্তবায়িত করার সময় আর এই সরকার পাবে না। বঙ্গে শিক্ষার চরম অবক্ষয় ঘটেছে, মানুষ আস্থা হারিয়ে ফেলছেন রাজ্যের চিকিৎসা ব্যবস্থায়। সবাই দক্ষিণ ভারত অভিমুখে ছুটছেন। এই ধরণের তাৎক্ষণিক ব্যবস্থার কথা ভেবে পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে চরম রসাতলে পাঠিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।” বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি দিলীপ ঘোষের খোঁচা, “উনি চাইলেই তো এভাবে ডাক্তার বানিয়ে দিতে পারেন না, বিদেশে পড়ে এলেও এখানে পরীক্ষা দিতে হয়। উনি তো বলেছিলেন সাতদিনে নার্স বানিয়ে দেবেন, তেমনটা হলে সে আর জ্যান্ত রাখবে কাউকে?”

    আরও পড়ুন: একলাখী-বালুরঘাট স্পর্শ করল মাইলফলক, সুকান্তর উপস্থিতিতে বিদ্যুৎচালিত ইঞ্জিনের সূচনা

    বিজেপি বিধায়ক মিহির গোস্বামী বলেন, ‘‘বর্তমান রাজ্য সরকারের আমলে চিকিৎসা ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। মানুষ সরকারি হাসপাতালে গিয়ে ন্যূনতম পরিষেবা পায় না। এ বার কি মুখ্যমন্ত্রী নিজের মস্তিষ্কপ্রসূত কায়দায় ডাক্তার, নার্স তৈরি করে রাজ্যে গরিব মানুষের জীবন বিপন্ন করে দেবেন? যাঁদের মাথায় চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে এই ধরনের ভাবনা আসে, তাঁদের মানসিক চিকিৎসার দাবি করছি।’’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: কুন্তলের চিঠি সংক্রান্ত মামলা থেকে অব্যাহতি চান অভিষেক, আবেদন হাইকোর্টে

    Abhishek Banerjee: কুন্তলের চিঠি সংক্রান্ত মামলা থেকে অব্যাহতি চান অভিষেক, আবেদন হাইকোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) নির্দেশে নিয়োগ সংক্রান্ত দুটি মামলা সরানো হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস থেকে। সেই মামলা দুটি গিয়েছে বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে। এর একটি তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) সংক্রান্ত। বিচারপতি সিনহা অভিষেককে মামলায় যুক্ত হতে বলেছিলেন। সেই মতো বৃহস্পতিবার মামলাটিতে যুক্ত হয়েছেন তৃণমূলের দু নম্বর ব্যক্তি। সেই সঙ্গে মামলা থেকে তাঁকে অব্যাহতি দেওয়ার আবেদনও জানিয়েছেন অভিষেক।

    অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)…

    নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছিল তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষকে। তার পরেই তাঁকে বহিষ্কার করে তৃণমূল। পরে কুন্তল অভিযোগ করেন, ইডি এবং সিবিআই তাঁকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম বলার জন্য চাপ দিচ্ছে। এ নিয়ে অভিযোগ জানিয়ে নিম্ন আদালতে চিঠি দেন কুন্তল। পুলিশি হস্তক্ষেপ চেয়ে চিঠি দেন হেস্টিংস থানায়ও। সেই চিঠির বিষয়ে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের পর্যবেক্ষণ ছিল, ইডি বা সিবিআই প্রয়োজনে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে অভিষেককে। আদালতের পর্যবেক্ষণ ছিল, জেলবন্দি কুন্তল ঘোষের চিঠি ও অভিষেকের বক্তব্যের মধ্যে মিল রয়েছে। তাই জিজ্ঞাসাবাদের কথা বলা হয়েছিল।

    হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন অভিষেক (Abhishek Banerjee)। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে এ সংক্রান্ত মামলা সরিয়ে নেওয়া হয় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস থেকে। মামলা চলে যায় বিচারপতি সিনহার এজলাসে। ওই মামলায় বিচারপতি সিনহার পর্যবেক্ষণ ছিল, আইনের ঊর্ধ্বে কেউ নন। তাহলে তদন্তে সহযোগিতা করতে অভিষেকের অসুবিধা কোথায়? অভিষেকের আইনজীবী জানিয়েছিলেন, এই মামলায় কীভাবে তাঁর মক্কেলের নাম জড়াল, সেটাই পরিষ্কার নয়।

    আরও পড়ুুন: মধ্যরাতেই শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে মোকা, শুক্রে কমবে তাপমাত্রা

    অভিষেকের বিরুদ্ধে অভিযোগটা ঠিক কী, তাও জানা নেই। সেই বক্তব্য শুনেই বিচারপতি অভিষেককে তদন্তে সহযোগিতা করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। এরপর এদিন বিচারপতি সিনহার কথা মতো মামলায় যুক্ত হন অভিষেক (Abhishek Banerjee)। পরে আদালতের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়ে এই মামলা থেকে অব্যাহতি চান। শুক্রবার হবে এই মামলার শুনানি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Shyamnagar: অটোচালকদের দাদাগিরি! বেধড়ক মার চার সিভিক ভলান্টিয়ারকে

    Shyamnagar: অটোচালকদের দাদাগিরি! বেধড়ক মার চার সিভিক ভলান্টিয়ারকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্যামনগর (Shyamnagar) স্টেশনের সামনে অটোচালকদের দাদাগিরি। আর তার জেরেই সিভিক ভলান্টিয়ারদের বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠল অটো চালকদের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে উঠল এলাকা। একজন এএসআই পরিস্থিতি সামাল দিতে গেলে তাঁর ওপরও অটো চালকরা চড়াও হয় বলে অভিযোগ। অটো চালকদের হামলার জেরে একজন এএসআই, চারজন সিভিক ভলান্টিয়ার জখম হন। জখম সিভিকদের ভাটপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের এক আধিকারিক বলেন, অভিযোগ হয়েছে। হামলা চালানোর অভিযোগে সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটে?

    এমনিতেই ২৪ নম্বর রেলগেটের কাছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নোটিস দেওয়া হয়েছে। তাতে লেখা রয়েছে, ২৪ নম্বর রেল গেট থেকে চৌরঙ্গী পর্যন্ত অটো, টোটো সোজা না যাওয়ার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু, প্রশাসনের নির্দেশকে অমান্য করেই অটো, টোটো চলাচল করে। এনিয়ে এক অটো চালকের সঙ্গে সিভিক ভলান্টিয়ারের বচসা হয়। এমনিতেই রাস্তার ওপর অটো দাঁড় করে অটো চালকরা যাত্রী তোলেন। যাত্রী ভর্তি না হওয়া পর্যন্ত দোকানের সামনেই অটো দাঁড়িয়ে থাকে। এই বিষয় নিয়ে সিভিকরা বলতে গেলেই অটো চালকদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। অটো চালকরা দল বেঁধে এসে সিভিকদের বেধড়ক পেটায়। পরে, বিশাল পুলিশ বাহিনী এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়।

    কী বললেন অটো চালক?

    এক অটো চালক বলেন, শ্যামনগরে (Shyamnagar) রাস্তায় অটো চলাচল করা নিয়ে সিভিকের সঙ্গে বচসা বাধে। সেই সময় এক সিভিক ভলান্টিয়ার এসে এক অটো চালকের নাক ফাটিয়ে দেয়। এক সিভিক ভলান্টিয়ার ইট নিয়ে আসে। সেই ইট কেড়ে নেওয়া হয়। এরপরই দুপক্ষের মধ্যে মারামারি হয়। তাতে দুপক্ষের কয়েকজন জখম হয়েছে। আর আমাদের সাতজনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।

    কী বললেন আক্রান্ত এএসআই?

    আক্রান্ত এএসআই বলেন, আমি শ্যামনগর (Shyamnagar) স্টেশন থেকে কিছুটা দূরে ডিউটি করছিলাম। গণ্ডগোল শুনে ছুটে আসি। এসে দেখি, অটো চালকরা সিভিকদের মারধরক করছে। একজনের মাথা ফেটে গিয়েছে। আমি ছাড়াতে গেলে আমার ওপর ওরা চড়াও হয়। আমাকে ধাক্কা মেরে রাস্তায় ওরা ফেলে দেয়। বুকে আর কোমড়ে চোট লেগেছে। মোবাইল ভেঙে গিয়েছে। অটো চালকরা আমাদের উপর দাদাগিরি করছিল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Cyclone: মধ্যরাতেই শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে মোকা, শুক্রে কমবে তাপমাত্রা

    Cyclone: মধ্যরাতেই শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে মোকা, শুক্রে কমবে তাপমাত্রা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ বৃহস্পতিবার। আজ মধ্যরাতেই শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে (Cyclone) পরিণত হবে মোকা (Mocha)। ভারতের আবহাওয়া দফতরের তরফে এই খবর মিলেছে। ওই দফতরের তরফে ট্যুইট-বার্তায় বলা হয়েছে, পোর্ট ব্লেয়ারের প্রায় ৫১০ কিমি পশ্চিম-দক্ষিণ পশ্চিমে এবং বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে ১১৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থান করছে। আজ মধ্যরাতেই সেটি তীব্র ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নেবে। স্বাভাবিকভাবেই বাড়বে এর গতি এবং শক্তি।

    ঘূর্ণিঝড় (Cyclone)…

    আবহাওয়া বিভাগের জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দক্ষিণ পূর্ব বঙ্গোপসাগরের গভীর নিম্নচাপটি গত ছ ঘণ্টায় ৮ কিলোমিটার বেগে উত্তর-উত্তর পশ্চিম দিকে সরে গিয়েছে। এটি ঘূর্ণিঝড় মোকা হিসেবে ঘনীভূত হয়েছে। ১১ মে ২০২৩ তারিখে সন্ধে সাড়ে ৫টায় কেন্দ্রীভূত হয়েছে। ১১.২ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৮.১ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশের কাছাকাছি এই অঞ্চল, পোর্ট ব্লেয়ারের প্রায় ৫১০ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণ পশ্চিমে, কক্সবাজার থেকে ১২১০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে এবং মায়ানমারের সিত্তে থেকে ১১২০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থান করছে।

    বিবৃতি জারি করেছে ভারতীয় উপকূল রক্ষী বাহিনীও। ওই বিবৃতি থেকে জানা গিয়েছে, মোকার (Cyclone) জন্য ভারতের আবহাওয়া দফতরের তরফে সতর্কবার্তা পাওয়ার পর হাই অ্যালার্ট এলাকায় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, মোকা সংক্রান্ত যেসব আপডেট পাওয়া যাচ্ছে, তা মৎস্য দফতর এবং সিভিল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনকে শেয়ার করা হচ্ছে।

    আরও পড়ুুন: রামনবমীর মিছিলে অশান্তি, ৬টি এফআইআর দায়ের করে তদন্ত শুরু এনআইএ-র

    তবে মোকা নিয়ে ভয় পাওয়ার কিছু নেই বলেই সোমবার জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছিলেন, মোকাকে ভয় পাওয়ার প্রয়োজন নেই। যদি পরিস্থিতি বিপ্রতীপ হয়, তাহলে আমরা উপকূল অঞ্চল থেকে মানুষকে উদ্ধার করব। ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশ ও মায়ানমারের দিকে চলে যাবে।

    মোকার (Cyclone) প্রভাবে শনি ও রবিবার কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি হতে পারে। শুক্রবার সামান্য কমতে পারে তাপমাত্রা। তবে আগামী সপ্তাহের শুরুতে বাংলায় ফের তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দফতর। এদিকে, মোকার মোকাবিলায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপে মহকুমা শাসকের দফতরে খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। সেখান থেকে নজর রাখা হচ্ছে পরিস্থিতির ওপর। কাকদ্বীপের মহকুমা শাসক অরণ্য বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, মহকুমায় ঝড়ের মোকাবিলায় ৬৪টি বহুমুখী সাইক্লোন শেল্টার, ১২টি ফ্লাড শেল্টার এবং ১৫৪টি অস্থায়ী জায়গা প্রস্তুত করা হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: নবজোয়ারের আগেই বিধায়কের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ দেখালেন এক ঝাঁক তৃণমূলের নেতা, কেন জানেন?

    TMC: নবজোয়ারের আগেই বিধায়কের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ দেখালেন এক ঝাঁক তৃণমূলের নেতা, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নবজোয়ার কর্মসূচিতে রাজ্যের একাধিক জেলায় ব্যালট লুটের ঘটনার সাক্ষী থেকেছেন রাজ্যবাসী। এবার নবজোয়ার কর্মসূচি শুরু হওয়ার আগেই একঝাঁক তৃণমূলের (TMC) নেতাকর্মী বৃহস্পতিবার সাংবাদিক সম্মেলন করে পূর্বস্থলী দু’নম্বর ব্লকের ব্লক সভাপতি এবং পূর্বস্থলী উত্তর বিধানসভার বিধায়ক তপন চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন। নবজোয়ার কর্মসূচি শুরু হওয়ার আগেই একসঙ্গে শাসকদলের জনপ্রতিনিধিদের বিদ্রোহের ঘটনা রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। এই ঘটনায় তৃণমূলের (TMC) গোষ্ঠীকোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

    কী অভিযোগ তৃণমূলের (TMC) বিক্ষুব্ধ নেতা কর্মীদের?

    আগামীকাল পূর্বস্থলী উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রে রয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নবজোয়ার কর্মসূচি। সেই কর্মসূচিতে আমন্ত্রণ পাননি এক ঝাঁক তৃণমূলের (TMC) পঞ্চায়েত সমিতি এবং গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য। এরপর সেখানে হাজির হলে প্রাণ সংশয়ের আশঙ্কা রয়েছে এই জনপ্রতিনিধিদের। এমনই অভিযোগ তুলে এদিন পূর্বস্থলী দু’নম্বর ব্লকের সান ঘোষপাড়া এলাকার দলীয় পার্টি অফিসে সাংবাদিক সম্মেলন করেন তৃণমূলের (TMC) বিক্ষুব্ধ একাংশ। এদিনের এই সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য ফজলুল হক মন্ডল, তাপস দে, মুকসিমপাড়া পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান প্রতিমা দাস, পূর্বস্থলী পঞ্চায়েতের উপপ্রধান পঙ্কজ গঙ্গোপাধ্যায়, মুকসিমপাড়া পঞ্চায়েতের সদস্য ছালেক সেখ সহ একাধিক পঞ্চায়েত সমিতি এবং পঞ্চায়েতের জনপ্রতিনিধিরা। তাঁদের বক্তব্য, অত্যন্ত খারাপ ব্যবহার করেন বিধায়ক। কোনও কিছুতেই আমাদের আমন্ত্রণ জানানো হয় না। শুক্রবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-এর সভায় গেলে আমাদের প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে। আমরা চাই না কোনওরকম বিতর্ক হোক। তাই নবজোয়ার কর্মসূচিতে আমরা কেউ যাব না। তবে, দলীয় কর্মসূচিতে না গেলেও বিধায়ক এবং ব্লক সভাপতির কার্য কলাপের বিরুদ্ধে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে একটি চিঠি আমরা দেব। সেই চিঠিও তাঁরা প্রকাশ্যে তুলে ধরেন।

    কী বললেন তৃণমূলের (TMC) বিধায়ক?

    এ প্রসঙ্গে পূর্বস্থলী উত্তর বিধানসভার তৃণমূল (TMC) বিধায়ক তপন চট্টোপাধ্যায় বলেন, নবজোয়ার কর্মসূচিতে দলের সকলেই যোগ দিতে পারেন। আর আমি হুমকি দিয়েছি এইরকম কোনও প্রমাণ ওরা দেখাতে পারবে? যা বলছে সবই মিথ্যে। বিধানসভা ভোটের সময় আমাকে হারানোর পরিকল্পনা করেছিল ওরা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: শুভেন্দুর কনভয় দুর্ঘটনা মামলায় কেস ডায়েরি তলব হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: শুভেন্দুর কনভয় দুর্ঘটনা মামলায় কেস ডায়েরি তলব হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) কনভয়ে মৃত্যু মামলায় এবার কেস ডায়েরি তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। ভিআইপিদের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে কী কী বন্দোবস্ত করা হয়, রাজ্যের কাছে তাও জানতে চাইল আদালত। বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার নির্দেশ, ভিআইপিদের ক্ষেত্রে রুট লাইনিং, ওয়াচার্স ম্যানেজমেন্ট কী প্রক্রিয়া মেনে করা হয়, তা রিপোর্ট দিয়ে জানাতে হবে রাজ্যকে। রিপোর্ট দিতে হবে সোমবারের মধ্যে। পুলিশের উদ্দেশে বিচারপতি মান্থার মন্তব্য, আপাতত ইয়োলো বুক মেনে কাজ করুন।

    কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতির বিস্ময়…

    এই মামলার পরবর্তী শুনানি বুধবার। এই শুনানি না হওয়া পর্যন্ত কোনও কনভয় সুরক্ষা কর্মীকে ডাকবে না পুলিশ। আদালতে (Calcutta High Court) রাজ্যের আইনজীবী অমিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, শুভেন্দু অধিকারীর কনভয়ে দুর্ঘটনায় মৃত্যু অত্যন্ত গুরুতর ঘটনা। সেই কারণেই এই ঘটনার তদন্তভার সিআইডিকে হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে গাড়ি দুর্ঘটনার মতো একটি বিষয়ের তদন্তভার সিআইডিকে দেওয়া হয়েছে শুনে বিস্ময় প্রকাশ করেন বিচারপতি মান্থা। তাঁর মন্তব্য, “সিআইডি কেন? আরও বেশি কিছু দেওয়া দরকার”!

    বুধবার শুভেন্দুর আইনজীবী আদালতে দাবি করেছিলেন, কনভয় দুর্ঘটনার অভিযোগের মধ্যেই রাজনীতি রয়েছে। আদালতে সওয়াল করতে গিয়ে তিনি বলেছিলেন, শুভেন্দু ছিলেন প্রথম গাড়িতে। দুর্ঘটনাটি ঘটে তাঁর কনভয়ের ৭ নম্বর গাড়িতে। তিনি এও বলেছিলেন, যে ঘটনাটি ঘটেছে, তা খুবই দুঃখজনক। কনভয়ের সাত নম্বর বুলেটপ্রুফ গাড়িটিতে ধাক্কা লেগেছে। রাস্তার ধার দিয়ে সাইকেল চালিয়ে যাচ্ছিলেন ওই ব্যক্তি। সেই সময় দুর্ঘটনাটি ঘটে।

    আরও পড়ুুন: রামনবমীর মিছিলে অশান্তি, ৬টি এফআইআর দায়ের করে তদন্ত শুরু এনআইএ-র

    বৃহস্পতিবার দিঘা-নন্দকুমার জাতীয় সড়কের চণ্ডীপুরে শুভেন্দুর কনভয়ের একটি গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হয় ভৈরবপুরের ইস্রাফিল খানের। পরে ইস্রাফিলের বাবা সফিরউদ্দিন অভিযোগ দায়ের করেন চণ্ডীপুর থানায়। মৃত ইস্রাফিলের দেহ নিয়ে শুভেন্দুর বাড়ির সামনে মিছিল করে তৃণমূল। ওই ঘটনায় শুভেন্দুর কনভয়ের এক গাড়ির চালককে গ্রেফতার করে পুলিশ। রবিবার ঘটনার তদন্তভার হাতে নেয় সিআইডি। পরের দিনই সিবিআই তদন্তের দাবিতে হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তাঁর অভিযোগ, যে রুটে তাঁর কনভয় যাচ্ছে, সেখানে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করছে না রাজ্য সরকার।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Anubrata Mondal: ‘‘রাইস মিলে চুরি হচ্ছে’’! অ্যাকাউন্ট ডি-ফ্রিজের আর্জি কেষ্টর, কী জবাব দিলেন বিচারক? 

    Anubrata Mondal: ‘‘রাইস মিলে চুরি হচ্ছে’’! অ্যাকাউন্ট ডি-ফ্রিজের আর্জি কেষ্টর, কী জবাব দিলেন বিচারক? 

    মাধ্যম নিউড ডেস্ক: গরুপাচার মামলায় তিহাড় জেলবন্দি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) বৃহস্পতিবার ভার্চুয়াল হাজিরা দিলেন আসানসোলের সিবিআই আদালতে। শুনানির সময় কেষ্ট (Anubrata Mondal), বিচারক রাজেশ চক্রবর্তীকে জানান, তাঁর রাইসমিলের জিনিসপত্র চুরি হয়ে যাচ্ছে। এমনকী তাঁর অনুপস্থিতিতে জিনিসপত্র নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বলেও দাবি করেন তৃণমূলের বীরভূম জেলার সভাপতি। এর পাশাপাশি বিচারকের কাছে ভোলেব্যোম চালকলের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলে দেওয়ারও আবেদন করেন কেষ্ট। প্রায় ২০০ শ্রমিক বেতন পাচ্ছেন না বলে অনুযোগ করেন তিনি। আরও একবার কেষ্ট সিবিআই আদালতে জানান, তাঁর শারীরিক অবস্থা মোটেও ভাল নেই। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী বিষয়টি তিহাড় জেল কর্তৃপক্ষকে জানাবেন বলে জানিয়েছেন। এদিনের শুনানিতে তাঁর সঙ্গে হাজির ছিলেন একদা দেহরক্ষী সায়গল হোসেনও। প্রসঙ্গত, দুজন একই জেলে রয়েছেন। গত মাসের ২৫ তারিখ ইডির কাছে গ্রেফতার হওয়ার পরে মেয়ে সুকন্যারও ঠাঁই হয়েছে তিহাড়ে। প্রসঙ্গত, আসানসোল জেলে ফিরতে চেয়ে কেষ্টর করা আবেদন ইতিমধ্যে খারিজ করে দিয়েছে দিল্লির রাউজ অ্যাভিনিউ কোর্ট।

    কেষ্ট-বিচারক কথোপকথন….

    সূত্রের খবর এদিনের শুনানির শুরুতেই বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘আপনাকে খুব ক্লান্ত লাগছে। অনুব্রতবাবু (Anubrata Mondal), কেমন আছেন?’’ অনুব্রত (Anubrata Mondal) জবাব দেন, ‘‘শরীর ভাল নেই। সব রকম অসুবিধা হচ্ছে।’’ বিচারক বলেন, ‘‘ডাক্তার দেখছে তো?’’ কেষ্ট উত্তর দেন, ‘‘ডাক্তার দেখাচ্ছি। জেলের মেডিক্যাল ওয়ার্ডে পড়ে আছি।’’ বিচারক বলেন, ‘‘বুঝতে পারছি।’’ এরপর বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী, সায়গলের সঙ্গে গয়না সংক্রান্ত কথোপকথন শুরু করেন। সায়গলের শুনানি শেষ হতেই অনুব্রত বলে ওঠেন, ‘‘স্যর চালকলের অ্যাকাউন্টটা খুলে দিন।’’ বিচারক তখন জিজ্ঞাসা করেন, ‘‘কোন চালকল?’’ অনুব্রত জবাব দেন, ‘‘ভোলেব্যোম চালকল। ওই দু’টি অ্যাকাউন্ট যেন খুলে দেওয়া হয়। শ্রমিকেরা বেতন পাচ্ছেন না। ২০০ শ্রমিক আছে। বহু জিনিসপত্র নষ্ট হচ্ছে।’’ উত্তরে বিচারক বলেন, ‘‘আপনার মুখের কথায় আমি কোনও অ্যাকাউন্ট তো খুলে দেওয়ার নির্দেশ দিতে পারি না। আইনজীবীর মাধ্যমে আবেদন করুন। আপনার ও সিবিআই দু’পক্ষের কথা শুনে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: নবজোয়ারে ভাটার টান, ক্ষুব্ধ অভিষেক কলকাতায় তলব করলেন জেলা সভাপতিকে

    Abhishek Banerjee: নবজোয়ারে ভাটার টান, ক্ষুব্ধ অভিষেক কলকাতায় তলব করলেন জেলা সভাপতিকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আলিপুরদুয়ারে শাসকদলের দুই গোষ্ঠীর লড়াই বিধানসভা ভোটের পর থেকে শুরু হয়েছে। বিধানসভা ভোটের বিপর্যয়ের পর দলের জেলা সভাপতি হিসাবে প্রকাশ চিক বরাইককে দায়িত্ব দেওয়া হয়। দায়িত্ব পাওয়ার পর দুটি পুরসভা নির্বাচনে সাফল্য আসে। ফলে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) গুডবুকে উঠে আসেন প্রকাশ। বিজেপি থেকে আসা গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা ও বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল দলের সেকেন্ড ইন কমান্ডের সুনজরে রয়েছেন। বর্তমান ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর নেতাদের সঙ্গে অপর গোষ্ঠীর নেতাদের একটা দ্বন্দ্ব চলছে। এক গোষ্ঠীর নেতারা দলের কোনও কর্মসূচি করলে অপর গোষ্ঠী পাল্টা ক্ষমতা প্রদর্শনে পিছিয়ে থাকছে না। নেতৃত্বের ওই বিরোধ দলের নিচু তলাতেও প্রভাব ফেলছে। প্রভাব পড়েছে অভিষেকের (Abhishek Banerjee) নবজোয়ার কর্মসূচিতে।

    ঠিক কী ঘটেছে?

    প্রকাশ্যে বড় নেতারা মুখ না খুললেও আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলালকে দলীয় কর্মসূচিতে ডাকছেন না আলিপুরদুয়ার এক ব্লকের সভাপতি পীযূষ কান্তি রায়। আবার বিধায়কের কর্মসূচি সম্পর্কে তিনিও নাকি কিছুই জানতে পারছেন না দাবি পীযুষের।  এ ব্যাপারে অভিষেকের (Abhishek Banerjee) কাছে ও রিপোর্ট গিয়েছে। অভিষেকের সভায় লোক জড়ো করার ক্ষেত্রে একাধিক ব্লক সভাপতির গা ছাড়া মনোভাব দেখিয়েছেন। তা নিয়ে ঘনিষ্ঠ মহলে দলের জেলা নেতাদের একাংশের কাছে বিরক্তি প্রকাশ করেছিলেন অভিষেক। নবজোয়ার কর্মসূচির আগে এপ্রিলের শুরুতে আলিপুরদুয়ারের বাবুরহাটে গ্রামীণ এলাকায় একটি সভা করেছিলেন অভিষেক। সেই সভায় জমায়েত দেখে খুশি হননি তিনি। ২৭ এপ্রিল নবজোয়ার কর্মসূচিতে জেলায় এসেছিলেন অভিষেক (Abhishek Banerjee)। জেলার তিনটি জায়গায় তিনি সভা করেন। অভিষেকের কর্মসূচি সফল করতে একাধিক ব্লক সভাপতি সঙ্গে জেলা নেতৃত্বের অনেক ক্ষেত্রেই সমন্বয় হয়নি। একাধিক ব্লক সভাপতির কাজ করার ক্ষেত্রে ফাঁকফোকর ছিল। দলের ওই কর্মসূচিকে জেলার কর্মসূচি বলে ব্লক সভাপতিদের কয়েকজন দায় এড়িয়েছেন। ফলে, নবজোয়ারে তার ভাল প্রভাব পড়েছিল। আলিপুরদুয়ার শহর লাগোয়া একটি ক্লাবের মাঠে নবজোয়ার কর্মসূচিতে যোগ দিতে আসেন অভিষেক (Abhishek Banerjee)। সেই সভায় লোকজন ভাল ছিল না। জমায়েত দেখে অভিষেক (Abhishek Banerjee) দলের অন্দরে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। অভিষেকের নিজস্ব টিমের সদস্যরা ওই সময় জেলার সব নেতার ওপর নজরদারি চালিয়েছিলেন। তাঁদের নজরেও অসহযোগিতার বিষয়টি ধরা পড়েছে।

    নবজোয়ার কর্মসূচির পরই জেলা সভাপতিকে কলকাতায় তলব

    কয়েকমাস আগেই আলিপুরদুয়ার জেলায় ব্লক সভাপতিদের নাম ঘোষণা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। সেই তালিকায় কি আবার রদবদল হতে চলেছে? আপাতত জেলার রাজনৈতিক মহলে এই জল্পনাই ঘোরাফেরা করছে। যদি সত্যিই রদবদল ঘটে তা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) নির্দেশে হবে বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে। নবজোয়ার কর্মসূচি শেষ হওয়ার পর পরই আলিপুরদুয়ার জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি প্রকাশ চিক বরাইককে কলকাতায় তলব করা হয়। তাঁর কলকাতায় যাওয়ায় শাসক দলের অন্দরে জল্পনা আরও বেড়ে গিয়েছে। এসব নিয়ে একেবারেই কিছু বলতে চাইছেন না। তিনি শুধু বলছেন, দলের কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজের জন্য কলকাতায় এসেছি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি পদে শপথ নিলেন টিএস শিবজ্ঞানম

    Calcutta High Court: কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি পদে শপথ নিলেন টিএস শিবজ্ঞানম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি পদে (Calcutta High Court New Chief Justice) বৃহস্পতিবার শপথ নিলেন টিএস শিবজ্ঞানম (Justice TS Shivagnanam)। আজ সকাল ১১টা নাগাদ অনুষ্ঠানটি শুরু হয়। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (Governor C V Ananda Bose) প্রধান বিচারপতিকে শপথ বাক্য পাঠ করান। 

    শপথ অনুষ্ঠান

    এদিনের শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় ও কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম-সহ একাধিক বিশিষ্ট জনেরা। ছিলেন হাইকোর্টের বহু সিনিয়র আইনজীবী ও বারের সদস্যরাও। ছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ও। হাইকোর্টের বারান্দায় বড় পর্দার মাধ্যমে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান দেখানোর ব্যবস্থাও করা হয়। করা হয় লাইভ সম্প্রচারও। আজ শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে পাশাপাশি আসনে দেখা গেল বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও মেয়র ববি হাকিমকে। এদিন প্রধান বিচারপতির শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে মুখোমুখি হলেও কোনও কথা হয়নি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। মূল অনুষ্ঠান শুরুর আগে দেখা যায় রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের পাশের চেয়ারে বসেছেন শুভেন্দু। তারপর এক নম্বর কোর্টে মুখ্যমন্ত্রী পৌঁছনোর পর বিরোধী দলনেতা উঠে দাঁড়ান এবং আসন বদল করে কিছুটা বাঁ দিকের সারিতে গিয়ে বসেন।

    আরও পড়ুুন: রামনবমীর মিছিলে অশান্তি, ৬টি এফআইআর দায়ের করে তদন্ত শুরু এনআইএ-র

    কলকাতার প্রধান বিচারপতি হয়ে গর্বিত

    শপথ গ্রহণ চলাকালীন প্রধান বিচারপতি বলেন, “কলকাতার প্রধান বিচারপতি হয়ে গর্বিত। এই শহর সংস্কৃতির প্রাণকেন্দ্র। রবীন্দ্রনাথ, সুভাষ বোসের জন্মভূমি। এই কোর্ট বড় বড় মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি করেছে। সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা দিতে চেষ্টার কোনও ত্রুটি রাখব না। বারের সহযোগিতা আশা করছি।” গত ৯ ফেব্রুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়াম বিচারপতি শিবজ্ঞানমের নাম সুপারিশ করেছিল কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি পদের জন্য। গত ৩০ মার্চ ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি হিসেবে তাঁর নাম উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তি জারি করে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রক। প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব অবসর গ্রহণের পর ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি হিসাবে দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন তিনি। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kaliyaganj Murder Case: কালিয়াগঞ্জে ছাত্রীকে ধর্ষণ ও খুনের মামলায় সিট গঠন কলকাতা হাইকোর্টের

    Kaliyaganj Murder Case: কালিয়াগঞ্জে ছাত্রীকে ধর্ষণ ও খুনের মামলায় সিট গঠন কলকাতা হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জে (Kaliyaganj Murder Case) দ্বাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীকে গণধর্ষণ করে খুনের মামলায় সিট গঠন করল কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা বৃহস্পতিবার ওই বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করেন। রাজ্য পুলিশের আধিকারিক দময়ন্তী সেন, প্রাক্তন আইজি পঙ্কজ দত্ত এবং প্রাক্তন সিবিআই কর্তা উপেন্দ্রনাথ বিশ্বাসকে সিটে রেখেছেন তিনি। তাঁর নির্দেশ, আদালতের নজরদারিতে হবে তদন্ত। সিট যদি প্রয়োজন মনে করে, তাহলে দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত করতে পারবে বলেও নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ। 

    সিটকে বিশেষ ক্ষমতা

    এই মামলায় (Kaliyaganj Murder Case) বিচারপতির পর্যবেক্ষণ— ‘‘প্রচণ্ড চাপের মুখে কাজ করতে পারছে না পুলিশ। তাই এই সিট গঠন।’’ তিনি জানান, এই মামলার তদন্ত চলাকালীন বাইরে নিজেদের মত প্রকাশ করবেন না সিটের সদস্যরা। পাশাপাশি, হাইকোর্টের নির্দেশ, কেস ডায়েরি এবং অন্যান্য নথি সিটকে দেবে রাজ্য পুলিশ। তদন্তে রাজ্যকে সাহায্য করতে হবে। পরবর্তী শুনানির আগে প্রাথমিক রিপোর্ট পেশ করবে রাজ্য। নিহত ছাত্রীর পরিবারের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার জন্যও রাজ্য পুলিশকে নির্দেশ দেন বিচারপতি মান্থা। সিআরপিসি অনুযায়ী, তদন্তের সব ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে সিটকে। প্রয়োজনে নতুন অফিসার নিয়োগ করে তদন্ত করতে পারবে এই তদন্তকারী দল। আগামী ২৮ জুন এই মামলার পরবর্তী শুনানি। 

    আরও পড়ুন: রামনবমীর মিছিলে অশান্তি, ৬টি এফআইআর দায়ের করে তদন্ত শুরু এনআইএ-র

    কেন সিট গঠন

    সম্প্রতি উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জে (Kaliyaganj Murder Case) এক কিশোরীর দেহ উদ্ধার হয়। পরিবার ও প্রতিবেশীরা দাবি করেন, কিশোরীকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। কিন্তু পুলিশের তদন্তে উঠে আসে বিষ খেয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন ওই কিশোরী। বৃহস্পতিবার রাজ্যের তরফে ওই ঘটনার তদন্তের রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে। রিপোর্টে দেখা যায়, ইনকোয়েস্ট বা সুরতেহাল হয়েছিল ঘটনার দিন বিকেল সাড়ে ৫ টায়, আর ময়নাতদন্ত হয় সাড়ে ৩ টেয়। বিচারপতি মান্থা প্রশ্ন তোলেন, কেন ময়নাতদন্তের পর সুরতেহাল হল? সুরতেহাল ও ময়নাতদন্তের সময়ের মধ্যে সন্দেহজনক পার্থক্য রয়েছে বলেও মন্তব্য করেছেন বিচারপতি মান্থা। রিপোর্টে আরও জানা গিয়েছে, ময়নাতদন্তের সময় পরিবারের লোক উপস্থিত ছিল না। পুলিশ নৃশংসভাবে দেহ টেনে নিয়ে গিয়েছিল বলেও উল্লেখ করেন বিচারপতি। এরপরই সিট গঠনের নির্দেশ দেন বিচারপতি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share