Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • RG Kar Incident: ঘটনার দিন বার বার কাকে ফোন? সিবিআই-এর হাতে সন্দীপ ঘোষের কল লিস্ট

    RG Kar Incident: ঘটনার দিন বার বার কাকে ফোন? সিবিআই-এর হাতে সন্দীপ ঘোষের কল লিস্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর হাসপাতালে (RG Kar Incident) তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধারের দিন একাধিকজনকে বার বার ফোন করেছিলেন প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। তদন্তে এমনই দাবি করেছে সিবিআই। বার বার ফোনে বার্তালাপ করেন টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলও, দাবি সিবিআই-এর। সন্দীপ ঘোষের (Sandip Ghosh) কল লিস্ট হাতে পেয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। সেই রিপোর্ট থেকেই এই বিষয়টি জানা গিয়েছে বলে খবর। 

    কল ডিটেইলস থেকে কী জানার চেষ্টা?

    শুরু থেকেই এই ঘটনায় বারবার প্রশ্নের মুখে পড়েছে আরজি কর (RG Kar Incident) কর্তৃপক্ষ তথা তদানীন্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের ভূমিকা। প্রশ্ন উঠেছে কলকাতা পুলিশের তদন্ত নিয়েও। পরবর্তীতে গ্রেফতারও হয়েছেন টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডল। প্রথমে দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হলেও পরে সন্দীপ ঘোষকেও খুন-ধর্ষণের মামলায় গ্রেফতার করা হয়। সিবিআই সূত্রে খবর, ঘটনার দিন খুন ও ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দিতে ৯ তারিখ সকাল থেকেই একাধিক ফোন করেছিলেন সন্দীপ ও অভিজিৎ। কাদের কাদের ফোন করা হয়েছিল, তার প্রেক্ষিতেই এবার এগোবে তদন্তের গতিপ্রকৃতি। এছাড়া ঘটনার দিন হাসপাতালে বেশ কিছু বহিরাগতের প্রবেশ ঘটেছিল বলেও জানা গিয়েছে। তাদের মধ্যে কাউকে সন্দীপ বা অভিজিৎ ফোন করেছিলেন কিনা, তা জানার চেষ্টা করছে সিবিআই। 

    আরও পড়ুন: শরীরে অন্তত ২৪টি আঘাত! গণপ্রহারের মতোই মারা হয়েছিল আরজি করের নির্যাতিতাকে

    সন্দীপ-আশিস যোগ

    তদন্তে বিভ্রান্তি তৈরি এবং দুর্নীতির অভিযোগে বৃহস্পতিবার রাতে আশিস পাণ্ডেকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। ধৃতকে আদালতে তোলা হলে ৩ দিনের সিবিআই হেফাজতের আবেদন জানানো হয়। বিচারক তা মঞ্জুর করেছেন। সিবিআই আদালতে জানিয়েছে, আরজি করের থ্রেট কালচার ও দুর্নীতির মূলে যারা ছিল, আশিস তাদেরই অন্যতম। কাকে রাখা হবে, কাকে বদলি করা হবে, সেই দায়িত্বও নাকি সন্দীপের হয়ে দেখতেন প্রভাবশালী এই তৃণমূল নেতা। বৃহস্পতিবার আশিসকে গ্রেফতারের সময় তাঁর ফোনও বাজেয়াপ্ত করেন তদন্তকারীরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Case: আর্থিক দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত আশিস পাণ্ডেকে সোমবার পর্যন্ত সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ

    RG Kar Case: আর্থিক দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত আশিস পাণ্ডেকে সোমবার পর্যন্ত সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর (RG Kar Case) হাসপাতালে আর্থিক দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত আশিস পাণ্ডেকে তিন দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত। হাসপাতালে আর্থিক দুর্নীতি মামলায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদের এই নেতাকে বৃহস্পতিবার রাতে গ্রেফতার করেছিলেন তদন্তকারী অফিসারেরা। একই ভাবে তাঁর বিরুদ্ধে হুমকির সংস্কৃতি বা থ্রেট কালচারের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে। গত ২৫ সেপ্টেম্বর হুমকির সঙ্গে যুক্ত অভিযুক্তদের তালিকায় যাঁদের নাম ছিল, তাঁদের মধ্যে আশিসের নামও ছিল। তবে তাঁকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা গ্রেফতার করেছে শুধু আর্থিক দুর্নীতি মামলায়।

    তোলাবাজি, জুনিয়র ডাক্তারদের হুমকি (RG Kar Case)!

    শুক্রবার আদালতে আশিসকে হাজির করার পর সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়, আর্থিক দুর্নীতি মামলার (RG Kar Case) সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত আশিস। তাঁর বিরুদ্ধে একই ভাবে তোলাবাজি, জুনিয়র ডাক্তারদের হুমকি দেওয়ার মতো গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। সেই সঙ্গে নির্দেশ মতো কাজ না করলে অন্যত্র বদলি করে দেওয়ার হুমকি দিতেন তিনি। মোটা টাকার বিনিময়ে হাউস স্টাফদের নিয়োগ করতেন। এই ধরনের অবৈধ কার্যকলাপের জন্য তাঁকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। একই ভাবে তদন্তকারী অফিসাররা তিনটি মোবাইল ইতিমধ্যে বাজেয়াপ্ত করেছে্ন। আপাতত আগামী সোমবার পর্যন্ত হেফাজতে রাখা হবে বলে জানা গিয়েছে।

    আরও পড়ুনঃ আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদ, জুনিয়র ডাক্তারদের সমর্থনে প্রতীকী কর্মবিরতি সিনিয়রদের

    ৫ অগাস্ট সল্টলেকের একটি গেস্ট হাউসে ছিলেন

    আরজি করে (RG Kar Case) আর্থিক দুর্নীতি মামলায় ইতিমধ্যে আগে আরও পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকেও এই মামলায় প্রথম গ্রেফতার করা হয়েছিল। এরপর এই অভিযুক্ত অধ্যক্ষকে, চিকিৎসক তরুণীকে ধর্ষণ করে খুনের মামলায় ধরা হয়। সিবিআই সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, আরজি করে যে দিন তরুণীর দেহ উদ্ধার হয়েছিল, সে দিন সল্টলেকের একটি গেস্ট হাউসে উঠেছিলেন আশিস। তদন্তকারী অফিসাররা মনে করছেন, এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তিনিও জড়িত থাকতে পারেন। এমনকী তথ্যপ্রমাণ লোপাটে তাঁর একটা ভূমিকাও থাকতে পারে। তাই তাঁকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা একান্ত প্রয়োজন। আবার সল্টলেকের গেস্ট হাউসের এক কর্মীকে নথি নিয়ে সিজিওতে ডাকা হয়েছিল। ফলে খুনের ঘটনার সঙ্গে তাঁর যোগ একেবারে উড়িয়ে দিতে চাইছে না সিবিআই।

    উল্লেখ্য, আরজি করের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আখতার আলি আর্থিক দুর্নীতির বিষয়ে প্রথম মুখ খুলেছিলেন। সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে একাধিক আর্থিক নয়ছয়ের অভিযোগ তুলে বিস্ফোরক হয়েছিলেন। যদিও প্রথমে পুলিশের সিট তদন্ত করছিল, পরে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে মামলার তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে যায়।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: বঙ্গোপসাগরে ফের নিম্নচাপ, পুজোর আগে লাগাতার বৃষ্টির পূর্বাভাস, উদ্বেগে রাজ্যবাসী

    Weather Update: বঙ্গোপসাগরে ফের নিম্নচাপ, পুজোর আগে লাগাতার বৃষ্টির পূর্বাভাস, উদ্বেগে রাজ্যবাসী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার আরও একটি নিম্নচাপ (Weather Update) তৈরি হতে চলেছে উত্তর বঙ্গপোসাগরে। এমনটা স্পষ্ট করে জানিয়েছিল আবহাওয়া দফতর। এখন সেই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ফলে পুজোর মুখে বৃষ্টি এখনই বন্ধ হবার নয়। এদিন দক্ষিণবঙ্গ এবং উত্তরবঙ্গের একাধিক জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। একই সঙ্গে কলকাতা এবং শহরতলির একাধিক জায়গায় বৃষ্টিতে ভেজার সম্ভাবনা রয়েছে। সমুদ্র উপকূলে জারি হয়েছে সতর্কতা।

    কলকাতার পূর্বাভাস কী(Weather Update)

    শুক্রবার কলকাতার প্রায় সর্বত্র বৃষ্টির (Weather Update) সম্ভাবনা রয়েছে। সকাল থেকে ইতিমধ্যে কয়েক দফা বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হয়েছে। বাকি সারাদিন আকাশ মেঘলা থাকবে। বেলার দিকে আবার বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। রাতে এবং দিনে তাপমাত্রা কমার সম্ভাবনা রয়েছে। বাতাসে তুলনামূলক ভাবে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি রয়েছে। এদিন শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৫.৯ ডিগ্রি ছিল। তবে বৃহস্পতিবার তাপমাত্রা ছিল ৩২.৫ ডিগ্রি। বাতাসে জলীয় বাষ্পের মাত্রা ৬৯ থেকে ৯৭ শতাংশ। দিনের মতো বৃষ্টিপাত হয়েছে ২২.৩ মিলিমিটার।

    দক্ষিণবঙ্গের কোথায় বৃষ্টি?

    কলকাতার পাশাপাশি দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। শুক্রবার মুর্শিদাবাদে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকছে। বাকি জেলাগুলিতেও বৃষ্টির সতর্কতা থাকছে। পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের উপকূল সংলগ্ন উত্তর এবং পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে। তার জেরে ওই অংশের সমুদ্রের উপর ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইছে। শুক্রবার পর্যন্ত সমুদ্র উত্তাল থাকার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন আবহবিদেরা। এই সময়ের মধ্যে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। একই ভাবে শনিবার পর্যন্ত প্রাকৃতিক আবহাওয়ার তেমন বদল কিছু ঘটবে না। শনিবার বৃষ্টি হতে পারে মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, পূর্ব বর্ধমান, হুগলি, দুই ২৪ পরগনায়। হাওয়া অফিস বলছে, রবিবার থেকে ধীরে ধীরে কমে আসবে বৃষ্টির পরিমাণ। তবে আংশিকভাবে কিছু কিছু জায়গায় বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি হতে পারে।  

    আরও পড়ুনঃ আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদ, জুনিয়র ডাক্তারদের সমর্থনে প্রতীকী কর্মবিরতি সিনিয়রদের

    কেমন থাকবে উত্তরবঙ্গ?

    দক্ষিণবঙ্গের সঙ্গে উত্তরবঙ্গে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির (Weather Update) সম্ভাবনা রয়েছে। শুক্রবার একাধিক জেলার অবস্থা বেশ খারাপ হতে পারে। দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়িতে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে বাকি সব জেলাতেই। কোচবিহার, আলিপুরদুয়ারে অতি ভারী বর্ষণের সতর্কতা জারি করা হয়েছে। উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এই জেলাগুলিতে জারি রয়েছে হলুদ সতর্কতা। কোচবিহার এবং আলিপুরদুয়ারে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতাও জারি করেছে হাওয়া অফিস। শনিবার এই দুই জেলা ছাড়াও ভারী বৃষ্টি হতে পারে দক্ষিণ দিনাজপুরে।

    পুজোর মধ্যেও বৃষ্টি!

    পুজোর সময় কেমন থাকবে আকাশ? আবহাওয়া দফতর তেমন ভালো খবর শোনাতে পারছে না। আগামী বুধবার, ষষ্ঠী পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে বিক্ষিপ্ত ভাবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। পুজোর মধ্যেও বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। বৃষ্টি নিয়ে ইতিমধ্যে পুজো উদ্যোগক্তরা উদ্বেগের মধ্যে রয়েছেন। উৎসবের দিনগুলি কীভাবে কাটবে তাই নিয়ে সংশয়ে রয়েছে রাজ্যের মানুষ। তবে, পুজোয় বিক্ষিপ্ত হালকা বৃষ্টি হলেও ভারী বৃষ্টি বা দুর্যোগের সম্ভাবনা নেই। সম্ভাবনা নেই একনাগারে বা একটানা বৃষ্টিরও। অন্তত এটাই একমাত্র আশার কথা শুনিয়েছে আবহাওয়া দফতর।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Incident: আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদ, জুনিয়র ডাক্তারদের সমর্থনে প্রতীকী কর্মবিরতি সিনিয়রদের

    RG Kar Incident: আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদ, জুনিয়র ডাক্তারদের সমর্থনে প্রতীকী কর্মবিরতি সিনিয়রদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদে, জুনিয়রদের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে এবার কর্মবিরতি পালন করলেন সিনিয়র ডাক্তাররাও। তবে সবটাই হল প্রতীকী।  শুক্রবার এক ঘণ্টার কর্মবিরতিতে গেলেন সিনিয়র চিকিৎসকরা। আরজি করে মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুনের ঘটনার প্রতিবাদে বিচার চেয়ে এবং হাসপাতালে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তার দাবিতে রাজ্যের বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজের জুনিয়র ডাক্তাররা কর্মবিরতি পালন করছেন। তাঁদের আন্দোলনকে সমর্থন করেই শুক্রবার এক ঘণ্টার কর্মবিরতিতে যোগ দিলেন এনআরএসের সিনিয়র ডাক্তাররা।

    এক ঘণ্টার কর্মবিরতি

    জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন নিয়ে বৃহস্পতিবার এনআরএসের চিকিৎসক এবং চিকিৎসক পড়ুয়াদের কাউন্সিলের একটি বৈঠক হয়েছিল। সেই বৈঠকেই পড়ুয়াদের তরফে শুক্রবার এক ঘণ্টার জন্য প্রতীকী কর্মবিরতি পালনের প্রস্তাব দেওয়া হয়। কলেজ কাউন্সিল প্রস্তাবে সায় দেয়। এনআরএস হাসপাতালের জুনিয়র ডাক্তাররা আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে কর্মবিরতি পালন করছেন। তাঁদের সঙ্গে শুক্রবার যোগ দিলেন সিনিয়ররাও। শুক্রবার সকালে এক ঘণ্টার জন্য ওই হাসপাতালের সিনিয়র ডাক্তার এবং মেডিক্যাল কলেজের অধ্যাপকরা কর্মবিরতি পালন করেন। সকাল ৯টা থেকে ১০টা পর্যন্ত চলে সিনিয়রদের কর্মবিরতি।

    আরও পড়ুন: শরীরে অন্তত ২৪টি আঘাত! গণপ্রহারের মতোই মারা হয়েছিল আরজি করের নির্যাতিতাকে

    বিকল্প পদ্ধতির চিন্তা

    জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের পাশে থাকলেও সিনিয়ররা কিন্তু পূর্ণ কর্মবিরতি চাইছেন না। বৃহস্পতিবারের বৈঠকে বিকল্প পদ্ধতির প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে সিনিয়র ডাক্তারদের তরফে।  সিনিয়রদের একাংশের মতে, আন্দোলন যেমন চলছে তেমন চলুক। তবে পূর্ণ কর্মবিরতি তুলে নেওয়া হোক। আংশিক কর্মবিরতি চলতে থাকুক। কাজে ফিরুন জুনিয়র ডাক্তাররা। তবে শেষ পর্যন্ত জুনিয়র ডাক্তাররা কী সিদ্ধান্ত নেনে সেটাও দেখার। তাঁরা দফায় দফায় জিবি মিটিং করছেন। আজ, শুক্রবারই হয়তো এ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন তাঁরা। এনআরএসের এক জুনিয়র ডাক্তার পুলস্ত্য আচার্য জানিয়েছেন, পূর্ণ কর্মবিরতির পথে না হেঁটে তার বিকল্প কী হতে পারে, সে বিষয়ে ভেবে দেখা হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ‘‘বাংলার পাঠ্য পুস্তকে উর্দু ভাষার দাপট’’! মমতাকে কটাক্ষ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: ‘‘বাংলার পাঠ্য পুস্তকে উর্দু ভাষার দাপট’’! মমতাকে কটাক্ষ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুজোর মুখে বাংলাকে (Bengali Language) ধ্রুপদী ভাষার তকমা দিয়েছে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকার (PM Modi)। সেই আনন্দ রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ভাগ করে নিলেন বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। একই সঙ্গে রাজ্যের পাঠ্য পুস্তকে বাংলা ভাষা হারিয়ে যাচ্ছে, দেখা যাচ্ছে উর্দু আগ্রাসন, তাই নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করলেন সুকান্ত। প্রশ্ন তুললেন বাংলার গৌরব ক্ষুন্ন করে কেন উর্দুকে প্রাধান্য দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee)। 

    কী বললেন সুকান্ত

    এদিন সুকান্ত (Sukanta Majumdar) দাবি করেন, মুখ্যমন্ত্রীর ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতির জন্য বাংলার পাঠ্যপুস্তক থেকে হারিয়ে যাচ্ছে বাংলা ভাষা। তিনি বলেন,  ‘‘ আপনার ভোট-ব্যাঙ্কের অন্যায় রাজনীতির স্বার্থে বাংলার পাঠ্য পুস্তক থেকে যেভাবে একের পর এক বাংলা শব্দ ধীরে ধীরে রূপান্তরিত হয়েছে উর্দুতে, আজ আনন্দের দিনেও সেগুলি বাঙালির জন্য উদ্বেগের।’’ সম্প্রতি বাংলাদেশেও শেখ হাসিনা সরকারের পতনের উর্দু আগ্রাসন চোখে পড়েছে।

    শহিদ স্মরণ

    মুখ্যমন্ত্রীর তোষণনীতির ফলে রাজ্যে বাংলা ভাষার জন্য লড়াই করা দুই শহিদের কথাও এদিন উল্লেখ করেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)। তাঁর কথায়, ‘‘আজকের এই ঐতিহাসিক মুহূর্তে পশ্চিমবঙ্গের একজন নাগরিক এবং বাঙালি হিসেবে বাংলা ভাষার (Bengali Language) জাতীয় স্বীকৃতিলাভের আনন্দ আপনার সঙ্গেও ভাগ করে নিচ্ছি। ভারতের যশস্বী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে গৃহীত এই সিদ্ধান্ত সমগ্র বাঙালি সমাজকে গৌরবান্বিত করেছে। তবে একই সঙ্গে আজ স্মরণ করছি সাম্প্রতিক পশ্চিমবঙ্গে বাংলা ভাষার জন্য প্রাণ উৎসর্গ করা দুই শহিদকেও। ২০১৮ সালে বাংলার পবিত্র ভূমিতেই  উর্দু আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গিয়ে আপনার নিয়ন্ত্রণাধীন পুলিশের গুলিতে ঝাঁঝরা হতে হয়েছিল উত্তর দিনাজপুরের দাঁড়িভিটের দুই বাঙালি সন্তান রাজেশ বর্মন এবং তাপস সরকার – কে। আজকের দিনে তাঁরা সশরীরে জীবিত থাকলে হয়তো প্রতিটি বাঙালির মতোই গর্বিত অনুভব করতে পারতেন!’’ 

    আরও পড়ুন: ধ্রুপদী ভাষার তকমা পেল বাংলা, আপামর বাঙালিকে পুজোর উপহার মোদি মন্ত্রিসভার

    প্রসঙ্গত,  ২০১৮ সালের ২০ সেপ্টেম্বরে শিক্ষক নিয়োগকে কেন্দ্র করে অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরের দাড়িভিট হাইস্কুল। অবরোধ থেকে শুরু করে ইট পাথর ছোড়ার মতো ঘটনাও ঘটে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আনতে পেরে গুলি চালায় বলে অভিযোগ। সেই গুলিতেই মৃত্যু হয় দাড়িভিট হাইস্কুলের প্রাক্তন ছাত্র রাজেশ ও তাপসের। এই ঘটনার তদন্ত করছে এনআইএ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar: আরজি করে আর্থিক দুর্নীতিকাণ্ডে গ্রেফতার সন্দীপ ঘনিষ্ঠ টিএমসিপি নেতা আশিস পান্ডে

    RG Kar: আরজি করে আর্থিক দুর্নীতিকাণ্ডে গ্রেফতার সন্দীপ ঘনিষ্ঠ টিএমসিপি নেতা আশিস পান্ডে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর (RG Kar) মেডিক্যাল কলেজে আর্থিক দুর্নীতি মামলায় আরও একজনকে গ্রেফতার করল সিবিআই। ধৃত ব্যক্তি তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রভাবশালী নেতা-চিকিৎসক আশিস পান্ডে। তিনি সন্দীপ ঘোষের ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত। এর আগে সিবিআই (CBI) দফতরে একদিন হাজিরাও দিতে হয়েছিল তাঁকে। রাজ্য সরকারি হাসপাতালগুলিতে থ্রেট কালচারের বিরুদ্ধে যে আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা, সেখানেও ওই আশিসের জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে। গত ২৫ সেপ্টেম্বর তাঁকে সিবিআই (CBI) দফতরে ডেকে পাঠানো হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। সেসময় জুনিয়র ডাক্তাররা আশিসকে তাড়াও করে।

    মাথায় হাত ছিল শ্রীরামপুরের বিধায়কের (RG Kar)

    শাসক দলের ছাত্র সংগঠনের (RG Kar) ছত্রছায়াতে থেকেই আরজি করের প্রভাবশালী হয়ে উঠেছিল আশিস। হাসপাতালগুলিতে সিন্ডিকেট চালানোর অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। শাসক দলের অন্দরের খবর, আশিসের মাথার উপর হাত ছিল অনেকজনেরই। অনেকে আবার এও বলেন, সন্দীপ তো আশিসের ঘনিষ্ঠ ছিলই, এর পাশাপাশি শ্রীরামপুরের বিধায়ক তথা রোগী কল্যাণ সমিতির প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুদীপ্ত রায়ের হাতও ছিল আশিসের মাথায়।

    একাধিক অভিযোগ

    শাসক দলের এই ছাত্রনেতা গ্রেফতার (RG Kar) হতেই তাঁর নানা অপকীর্তি সামনে আসতে শুরু করেছে। হাসপাতালে হস্টেলগুলিতে দাদাগিরি চালানো, প্রাক্তন ছাত্রদের ইউনিয়ন রুমে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া, এর পাশাপাশি ফেস্টের নামে অবৈধভাবে টাকাও তুলত আশিস। বেআইনিভাবে কোয়ার্টারগুলিতে হাউস স্টাফও বসাতেন তিনি। এছাড়া ওষুধ, মেডিক্যাল বর্জ্য, চিকিৎসার সরঞ্জাম নিয়ে যে সমস্ত দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে তাতেও আশিস যুক্ত ছিলেন বলে অভিযোগ।

    ক্ষোভ শান্তনুরও 

    রাজ্যসভায় তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ শান্তনু সেনও আশিসের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। প্রসঙ্গত, আরজি করের প্রতিবাদ জানানোয়, শান্তনুকে আগেই পদ থেকে ছেঁটেছে তৃণমূল। চিকিৎসক শান্তনুর মেয়েও আরজি করের (RG Kar) ছাত্রী। শান্তনু বলেন, ‘‘এই আশিস আমার মেয়েকে মধ্যরাতে ফোন করে মানসিক নির্যাতন করেছিল। সেই অডিও রেকর্ডও আমার কাছে রয়েছে। হাসপাতাল চত্বরে আমার মেয়েকে প্রকাশ্যে হুমকিও দিয়েছিল এই পাণ্ডা।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: নিহত মৎস্যজীবীদের পরিবারের পাশে শুভেন্দু, নিলেন ছেলেমেয়েদের পড়াশুনার দায়িত্ব

    Suvendu Adhikari: নিহত মৎস্যজীবীদের পরিবারের পাশে শুভেন্দু, নিলেন ছেলেমেয়েদের পড়াশুনার দায়িত্ব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে নিহত ৯ মৎস্যজীবী পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বৃহস্পতিবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) কাকদ্বীপে নিহত মৎস্যজীবীদের বাড়িতে গিয়ে তিনি পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন।

    নিহত মৎস্যজীবীদের পাশে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)

    জানা গিয়েছে, ২০ সেপ্টেম্বর এফবি বাবা গোবিন্দ নামক একটি ট্রলার দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। ট্রলারে মোট ১৭ জন মৎস্যজীবী ছিলেন। ৮ জন বেঁচে ফিরলেও বাকি ৯ জনের নিথর দেহ উদ্ধার করা হয়। আর সেই মৃত মৎস্যজীবীদের পরিবারদের পাশে দাঁড়ালেন শুভেন্দু অধিকারী। এদিন তিনি (Suvendu Adhikari) মৃত মৎস্যজীবী পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন। পাশাপাশি তিনি বলেন, “মৃত মৎস্যজীবীর পরিবারের সমস্ত ছেলে মেয়ের পড়াশুনার দায়িত্ব ভারতীয় জনতা পার্টি নেবে। বেশ কিছু মৎস্যজীবী পরিবার এখনও পর্যন্ত বার্ধক্য ভাতা পাচ্ছেন না বলে আমি জানতে পারলাম। এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেব।” তিনি আরও বলেন, “বার্ধক্য ভাতার বেশিরভাগ টাকাই পাঠায় কেন্দ্রীয় সরকার, তারপরেও রাজ্য সরকার নিজেদের নাম দিয়ে মানুষের কাছে মিথ্যে প্রচার করে। আমি এখানে এসেছি কোনও রাজনীতি করতে নয়, কোনও পতাকা নিয়ে আসিনি। রাজ্যের যেখানেই মানুষ বিপদে পড়েছে, আমি বিরোধী দলনেতা হিসেবে তাঁদের পাশে থাকার চেষ্টা করেছি।”

    তৃণমূলকে তুলোধনা

    এদিন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) মৃত মৎস্যজীবীদের বাড়িতে আসার সময় স্থানীয় এক তৃণমূল নেতা বিক্ষোভ দেখানোর চেষ্টা করেন। এই প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, “ওই ব্যক্তি স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী। আমি চিনি তাঁকে। আমি বলেছি আগে পঞ্চায়েতে জলের ব্যবস্থা করতে তারপর বড় বড় কথা বলতে। আসলে তৃণমূল কংগ্রেস এই মৃত মৎস্যজীবীদের নিয়ে প্রথম থেকেই রাজনীতি করেছে। কিন্তু কোনওদিনই তাঁদের পাশে থাকার চেষ্টা করেনি। সব সময় মথুরাপুরের বিজেপি নেতৃত্বদের মিথ্যে মামলা দিয়ে তাদেরকে দমানোর চেষ্টা করেছে। গুন্ডাবাহিনী আর পুলিশ প্রশাসনকে দিয়ে মানুষকে হেনস্থা ছাড়া তৃণমূল আর কিছুই করতে পারে না।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • TMC MLA: হুমায়ুনের কুশপুতুলে ঝাঁটা-জুতো পেটা দলীয় কর্মীদের, ‘গদ্দার’, ‘চোর বিধায়ক’ বলে স্লোগান

    TMC MLA: হুমায়ুনের কুশপুতুলে ঝাঁটা-জুতো পেটা দলীয় কর্মীদের, ‘গদ্দার’, ‘চোর বিধায়ক’ বলে স্লোগান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদের ভরতপুরের বিধায়ক (TMC MLA) হুমায়ুন কবীরের খাসতালুকে বিধায়কের বিরুদ্ধেই তৃণমূলের মিছিল বের হল। ‘তৃণমূল বিধায়ক চোর’, ‘গদ্দার’ বলে আক্রমণ করলেন দলীয় কর্মী-সমর্থকরা। শাসক দলের বিধায়কের এই অবস্থা দেখে সাধারণ মানুষ হাসাহাসি করেন। শাসক দলের বিধায়কের জনভিত্তি যে একেবারে তলানিতে এসে ঠেকেছে, এই ঘটনা তার জ্বলন্ত প্রমাণ, এমনই অভিযোগ বিরোধীদের।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (TMC MLA)

    বুধবার ভরতপুরে বিধায়কের বিরুদ্ধে তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা যে মিছিল বের করেন, তাতে প্রচুর (TMC MLA) মহিলা ছিলেন। তাঁদের হাতে ছিল ঝাঁটা। আর পুরুষদের হাতে ছিল চটি। তৃণমূল বিধায়কের কুশপুত্তলিকা তৈরি করে প্রকাশ্য রাস্তায় ঝাঁটা পেটা-জুতো পেটা করা হয়। তৃণমূল কর্মীদের বক্তব্য, বিধায়ক একজন চোর। তোলাবাজি করেন। সরকারি প্রকল্পের বাড়ি তৃণমূল কর্মীদের দেয় না। তাতে তিনি দুর্নীতি করেন। বিধায়ক হয়ে এলাকায় উন্নয়ন করা তাঁর লক্ষ্য নয়, টাকা আত্মসাৎ করাই প্রধান লক্ষ্য। তাই এই দুর্নীতিগ্রস্ত চোর বিধায়ককে আমাদের দরকার নেই। মিছিলে দলের বহু জনপ্রতিনিধি ছিলেন। সকলেই এই বিধায়কের বিরুদ্ধে সরব হন। জানা গিয়েছে, স্থানীয় ব্লক সভাপতির উদ্যোগে এই মিছিল করা হয়েছে। যদিও মিছিলে তিনি ছিলেন না।অন্যদিকে এই ঘটনার পর বিধায়কের নির্দেশে বৃহস্পতিবার পাল্টা ভরতপুরে মিছিলের ডাক দেওয়া হয়। সেই মিছিলকে কেন্দ্র করে দলেরই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ হয়। একাধিক বাইক ভাঙচুর করা হয়। পরে, পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়।

    আরও পড়ুন: টালিগঞ্জে ‘রাত দখল’ কর্মসূচিতে তৃণমূলের হামলা, জল গড়াল হাইকোর্টে

    তৃণমূল বিধায়ক কী বললেন?

    জেলা সভাপতি অপূর্ব সরকারের উস্কানিতেই এসব হচ্ছে বলে দাবি করেন হুমায়ুন কবীর (Humayun Kabir)। তিনি (TMC MLA) বলেন, “ব্লক সভাপতি কী প্রোগ্রাম করেছেন, কুশপুত্তলিকা পুড়িয়েছেন বা আমরা বিরুদ্ধে বলেছেন, এ নিয়ে আমি কিছু বলব না। আমি ওই লেভেলের লোক না। আমি তাঁকে ব্লক সভাপতিও মানি না। আগামী কাল থেকে আমি অপূর্ব সরকারকে জেলা সভাপতিও মানব না, সেটা ঘোষণা করব। আমার ভরতপুরেই ঘোষণা করবেন আমার লোকেরা। আমি কলকাতা যাব।” যদিও জেলা সভাপতি অপূর্ব সরকার বলেন, “কোথায় বিক্ষোভ হয়েছে তা-ই জানি না। আমি মুখ্যমন্ত্রীর উদ্বোধন, ফ্লাড রিলিফ নিয়ে ব্যস্ত। এগুলো সম্পর্কে আমার কাছে কোনও খবর নেই।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ‘স্বাস্থ্যব্যবস্থা মানুষ মারার ও লুট করার যন্ত্রে পরিণত হয়েছে’, তোপ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: ‘স্বাস্থ্যব্যবস্থা মানুষ মারার ও লুট করার যন্ত্রে পরিণত হয়েছে’, তোপ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গোটা রাজ্যের স্বাস্থ্যব্যবস্থা মানুষ মারার ও লুট করার যন্ত্রে পরিণত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বালুরঘাটে দলীয় কর্মসূচিতে গিয়ে একথা বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। একইসঙ্গে তৃণমূলকে তুলোধনা করলেন তিনি।

    স্বাস্থ্যব্যবস্থা লুটের আখড়া (Sukanta Majumdar)

    মুর্শিদাবাদ মেডিক্যালে ময়না তদন্ত করতে গেলে টাকা দাবি করা হয়। এনিয়ে কয়েকদিন আগে ওই হাসপাতালে গন্ডগোল হয়। এই প্রসঙ্গে এদিন সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, “শুধু মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ নয়, পশ্চিমবঙ্গ বঙ্গের সমস্ত মেডিক্যাল কলেজে এক অবস্থা। কোনও রোগী মারা গেলে ময়নাতদন্ত করতে গেলে বলে দশ -পনেরো হাজার টাকা দিতে হবে তাহলে বডি সেলাই করবে না। এই তৃণমূল সরকারের (Trinamool Congress) আমলে স্বাস্থ্যব্যবস্থা একটা লুটের আখড়ায় পরিণত হয়ে গিয়েছে। এই সরকারের আমলে মানুষ হাসপাতালে গেলে মানুষের প্রাণ যাচ্ছে। হাসপাতালে ডাক্তাদের ধর্ষণ করা হচ্ছে। তৃণমূল তো এই রাজ্যটাকে মানুষ খুনের যন্ত্র বানিয়ে দিয়েছে। মানুষ হাসপাতালে গেলে বাঁচবে, না মরবে তার কোনও ভরসা নেই।”

    আরও পড়ুন: পুজোর আগে ফের নিম্নচাপ! ভিজবে দক্ষিণবঙ্গ, উত্তরেও বৃষ্টির সম্ভাবনা!

    মৃত বিজেপি নেত্রীর পরিবারের পাশে সুকান্ত

    এদিন দলীয় কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে বালুরঘাট হাসপাতালের চিকিৎসায় গাফিলতিতে মৃত বিজেপি নেত্রী তথা প্রাক্তন গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য মামনি বর্মনের পরিবারের সঙ্গে দেখা করলেন সুকান্ত মজুমদার। মৃত বিজেপি নেত্রীর নাবালিকা মেয়ের হাতে এক লক্ষ টাকার চেক তুলে দেন। পাশাপাশি মৃত মামনি বর্মনের নাবালক ছেলেকেও এক লক্ষ টাকার চেক দেবেন বলে জানালেন। মৃত বিজেপি নেত্রীর নাবালক ছেলে এবং মেয়ের পড়াশুনা এবং ভবিষ্যতের কথা ভেবেই মোট দুই লক্ষ টাকা দেওয়া হয় বলে জানান বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, “বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে ভুল চিকিৎসার কারণে বিজেপি নেত্রী মামনি বর্মনের মৃত্যু হয়েছে দিন কয়েক আগে। ভুল চিকিৎসায় মৃত্যুর কারণে তার পরিবার থেকে সেদিনই বালুরঘাট থানায় অভিযোগ করা হয়। কিন্তু, সেই মামলায় পুলিশ এখনও পর্যন্ত কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। পুলিশ উপযুক্ত ব্যবস্থা না নিলে দলের পক্ষ থেকে বৃহত্তর আন্দোলনে নামা হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: টালিগঞ্জে ‘রাত দখল’ কর্মসূচিতে তৃণমূলের হামলা, জল গড়াল হাইকোর্টে

    Calcutta High Court: টালিগঞ্জে ‘রাত দখল’ কর্মসূচিতে তৃণমূলের হামলা, জল গড়াল হাইকোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর ইস্যুতে টলিগঞ্জে ‘রাত দখল’ কর্মসূচিতে হামলার ঘটনার জল গড়াল এবার হাইকোর্টেও (Calcutta High Court)। মূলত, ‘রাত দখল’ কর্মসূচিতে তৃণমূলের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ তুলে কলকাতা হাই কোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হল। তৃণমূল কাউন্সিলরের মদতে ওই কর্মসূচিতে হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। মহিলাদের মারধর করারও অভিযোগ রয়েছে। এই ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে বৃহস্পতিবার আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন আইনজীবী শামিম আহমেদ। মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছেন বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ। শুক্রবার মামলাটির শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Calcutta High Court)

    আরজি কর (RG Kar) মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার প্রতিবাদে ১ অক্টোবর মঙ্গলবার রাতে কলকাতার বিভিন্ন প্রান্তে রাত দখলের ডাক দিয়ে প্রতিবাদ মিছিল (Calcutta High Court) হয়। টালিগঞ্জের করুণাময়ী এলাকাতেও একটি মিছিল হয়। অভিযোগ সেখানে অতর্কিত হামলা করেন ১১৫ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর রত্না শূর এবং তাঁর লোকজন। আগাম অনুমতি নিয়ে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি চলাকালীন হামলার সময় পুলিশ ঘটনার সময় নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে বলে অভিযোগ আন্দোলনকারীদের। এক আন্দোলনকারী বলেন, “প্রণব রায়, গোড়া রায় নামে গুন্ডারা এসে ট্রাফিক কন্ট্রোল করা শুরু করে। সেখান থেকেই ঝামেলার সূত্রপাত। রত্না শূর নিজে দাঁড়িয়ে থেকে এই হামলা সংগঠিত করিয়েছেন। বাচ্চাদের মহিলা, বয়স্কদেরও মেরেছে।”আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, পুলিশের কাছে অভিযোগ জানাতে গেলে পুলিশ অভিযোগ নিতে অস্বীকার করে। সেই কারণে পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে মামলার আবেদন করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: পুজোর আগে ফের নিম্নচাপ! ভিজবে দক্ষিণবঙ্গ, উত্তরেও বৃষ্টির সম্ভাবনা!

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী সাফাই দিলেন?

    তৃণমূল কাউন্সিলর অবশ্য তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ (Calcutta High Court) অস্বীকার করেন। রত্না শূর বলেছিলেন, “কালো গেঞ্জি পরা একটা মেয়ে তাঁকে ‘চটি চাটা চটি চাটা’ বলে আঙুল তুলে ধমকাচ্ছিল।” তিনি এও বলেন, “আমার নেতৃত্বে হামলা হচ্ছে। আমার নেতৃত্বে হলে তো আমার ১০০ লোক জড়ো করার ক্ষমতা রয়েছে। এই সব তো আমি জানিই না।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share