Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Primary Education: জেলার প্রাথমিক স্কুলগুলিতে শিক্ষক বদলির সিদ্ধান্ত পর্ষদের! কী বলা হল নির্দেশে?

    Primary Education: জেলার প্রাথমিক স্কুলগুলিতে শিক্ষক বদলির সিদ্ধান্ত পর্ষদের! কী বলা হল নির্দেশে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জেলার প্রাথমিক স্কুলগুলিতে শিক্ষকদের বদলির সিদ্ধান্ত নিল পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের ডেপুটি সেক্রেটারি বিভিন্ন জেলার প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যানদের চিঠি দিয়েছেন। সেই চিঠিতেই বিভিন্ন জেলায় জেলায় প্রাথমিক স্কুলগুলিতে শিক্ষক ও ছাত্র অনুপাত বজায় রাখার জন্য বদলির প্রক্রিয়া দ্রুত শুরু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গত ১০ মে প্রাথমিক শিক্ষকদের বদলি সংক্রান্ত বিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা বোর্ডগুলিকে ওই নির্দেশ পাঠানো হয়েছে।

    ছাত্র ও শিক্ষক অনুপাতে সামঞ্জস্য

    প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে দেওয়া চিঠিতে বলা হয়েছে একাধিক স্কুলগুলিতে ছাত্র ও শিক্ষক অনুপাতে সামঞ্জস্য নেই। কোন কোন জেলায় কোন কোন স্কুলে অনুপাতে সামঞ্জস্যতা নেই তা ইতিমধ্যেই চিহ্নিত করেছে পর্ষদ। সেই তালিকা ও বিভিন্ন জেলার প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যানদের পাঠিয়েছে পর্ষদ। সেই তালিকা দেখেই বিভিন্ন জেলার প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যানদের বদলির প্রক্রিয়া শুরু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    আরও পড়ুন: মৃত সন্তানকে ব্যাগে ভরে বাড়ি ফিরলেন গরিব বাবা! এটাই কি এগিয়ে বাংলার মডেল? কটাক্ষ শুভেন্দুর

    প্রাথমিক শিক্ষকদের বদলির সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে পর্ষদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে নিতে হবে বলে জানানো হয়েছে। সবার আগে বদলির তালিকা পর্ষদের দফতরে পাঠাতে হবে। পর্ষদ সেই তালিকায় সায় দিলেই তা কার্যকর করতে পারবে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা বোর্ড। এ ক্ষেত্রে এক জন শিক্ষককে তিনি যে জেলায় শিক্ষকতা করছেন, তাঁকে সেই জেলারই অন্য কোনও স্কুলে বদলি করতে হবে। ইতিমধ্যেই মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে স্কুলগুলিতে বদলি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। যদিও কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে এই ছাত্র ও শিক্ষক অনুপাত বজায় রাখতে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বদলি প্রক্রিয়া করছে স্কুল শিক্ষা দফতর। একই পথে হেঁটে প্রাথমিক স্কুলগুলিতেও ছাত্র-শিক্ষক অনুপাতে বজায় রাখতে চায় পর্ষদ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mamata Banerjee: ‘‘৩৬ হাজার চাকরি বাতিল হল ডিএ আন্দোলনের জন্য’’! এ কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী?

    Mamata Banerjee: ‘‘৩৬ হাজার চাকরি বাতিল হল ডিএ আন্দোলনের জন্য’’! এ কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডের মামলায় গত সপ্তাহে বড় নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। প্রাথমিকের প্রশিক্ষণবিহীন ৩৬ হাজার চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তিন মাসের মধ্যে নতুন নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি৷ আদালতের এই সিদ্ধান্তে রাজ্য সরকার যে চরম বিপাকে পড়েছে, তা বলাই বাহুল্য। 

    দুর্নীতির জালে রাজ্যের বর্তমান শাসক দল এতটাই আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে পড়েছে যে, এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে পারছে না। একের পর এক দুর্নীতির জেরে ভুরি ভুরি সিবিআই-ইডি তদন্তের নির্দেশ দিচ্ছে আদালত। যা নিয়ে ক্রমাগত আক্রমণ ধেয়ে আসছে বিরোধী শিবির থেকে। তার ওপর দোসর হয়েছে ডিএ আন্দোলন! বকেয়া ডিএ-র দাবিতে, বেশ কিছুদিন ধরেই আন্দোলন করছেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। রাজ্য প্রশাসন ও রাজ্য সরকারি কর্মীদের মধ্যে এই সংঘাত গড়িয়েছে আদালত পর্যন্তও। সম্প্রতি, হাইকোর্টের অনুমতিতে মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) পাড়ায় বিশাল মিছিল করেছেন ডিএ আন্দোলনকারীরা। এই নিয়েও সরকারের বিড়ম্বনা যারপরনাই বেড়েছে। 

    আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর পাড়ায় গ্রুপ ডি চাকরিপ্রার্থীদের হ্যারিকেন মিছিলের অনুমতি হাইকোর্টের

    এই পরিস্থিতিতে, সোমবার, ডিএ আন্দোলনকে তীব্র আক্রমণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী(Mamata Banerjee)। আর তা করতে গিয়ে যা দাবি করলেন, তা শুনে অনেকের চোখ কপালে উঠেছে। এদিন নবান্ন সভাঘরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানালেন, এই ৩৬ হাজার চাকরি যে বাতিল হল, তার জন্য দায়ী ডিএ আন্দোলন! মমতা বলেন, “যাঁরা ডিএ নিয়ে চিৎকার করে, ৩ শতাংশ ডিএ এবছরও পেয়েছে। প্রতিদিন গিয়ে গিয়ে মিছিল করছে। আর তাঁদের জন্যই ৩৬ হাজার ছেলেমেয়ের চাকরি চলে গেল।’’ বিরোধীদের প্রশ্ন, দুর্নীতির জন্য চাকরি হারাল, সেখানে ডিএ আন্দোলন দায়ী হল কী করে? তাঁদের কটাক্ষ, মুখ্যমন্ত্রীর এহেন কথা থেকেই স্পষ্ট, দুর্নীতির গেরোয় তিনি যুক্তি হারিয়ে ফেলেছেন।

    এখানেই থেমে থাকেননি মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee)। তিনি আরও দাবি করেন, ডিএ আবশ্যিক নয়, এটা অপশন। মমতা বলেন, ‘‘ডিএ বাধ্যতামূলক নয়, ঐচ্ছিক। সরকার সামর্থ মতো ডিএ দেবে।’’ অথচ, অতীতে একাধিকবার রাজ্যকে হাইকোর্ট স্মরণ করিয়ে দিয়েছে যে, ডিএ কর্মীদের অধিকার। এই ডিএ-সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে আগে হাইকোর্ট তার স্পষ্ট রায়ে জানিয়েছে— ডিএ বা মহার্ঘ ভাতা ‘সরকারের দয়ার দান’ নয়, কর্মীদের আইনি অধিকার। এই ভাতা রাজ্য সরকারি কর্মীদের প্রাপ্য।

    যা শুনে বিরোধীদের কটাক্ষ, ক্রমশ পায়ের তলার জমি যে সরে যাচ্ছে, তা ভালোমতোই টের পাচ্ছেন মমতা।

  • Kaliyaganj: মৃত সন্তানকে ব্যাগে ভরে বাড়ি ফিরলেন গরিব বাবা! এটাই কি এগিয়ে বাংলার মডেল? কটাক্ষ শুভেন্দুর

    Kaliyaganj: মৃত সন্তানকে ব্যাগে ভরে বাড়ি ফিরলেন গরিব বাবা! এটাই কি এগিয়ে বাংলার মডেল? কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের অমানবিকতার ছবি! বেসরকারি অ্যাম্বুল্যান্সের দাবি মতো টাকার জোগাড় করতে না পেরে, মৃত সন্তানকে ব্যাগে ভরে বাড়ি ফিরলেন কালিয়াগঞ্জের বাসিন্দা। ঘটনায় রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার গাফিলতির দিকেই অভিযোগের আঙুল তুললেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এটাই কি এগিয়ে বাংলার মডেল? কটাক্ষে ভরা প্রশ্ন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর।

    অমানবিকতার ছবি

    কালিয়াগঞ্জ ব্লকের মুস্তাফানগর গ্রাম পঞ্চায়েতের ডাঙিপাড়া গ্রামের বাসিন্দা অসীম দেবশর্মার যমজ সন্তান অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। তাদের উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেছিলেন পেশায় দিনমজুর অসীম। দু’জনেরই বয়স ৫ মাস। তাদের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়। তবে সন্তানের মৃতদেহ বাড়িতে ফিরিয়ে আনতে অ্যাম্বুল্যান্স চালক অসীমের কাছ থেকে আট হাজার টাকা চান। তত টাকা অবশ্য ছিল না অসীমের কাছে। বাধ্য হয়ে ব্যাগে করে শিশুর মৃতদেহ নিয়ে বাসে চেপে গ্রামে আসেন অসীম। পরে তিনি কালিয়াগঞ্জে ফিরে এলে গোটা বিষয়টি জানাজানি হয়। তিনি বলেন, ‘সন্তানদের চিকিৎসা করাতে গিয়েই ১৬ হাজার টাকা খরচ হয়ে গিয়েছে। অ্যাম্বুলেন্স আট হাজার টাকা চেয়েছিল। সেকারণে বাসে করেই মৃত সন্তানকে নিয়ে বাড়ি ফিরেছি।’ এদিকে ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর কালিয়াগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড থেকে ডাঙিপাড়া গ্রাম পর্যন্ত একটি অ্যাম্বুলেন্স ঠিক করে দেন কালিয়াগঞ্জের ১০ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি কাউন্সিলার গৌরাঙ্গ দাস।

    আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর পাড়ায় গ্রুপ ডি চাকরিপ্রার্থীদের হ্যারিকেন মিছিলের অনুমতি হাইকোর্টের

    শুভেন্দুর ট্যুইট

    উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ থেকে শিশুর দেহ ব্যাগে পুরে বাবার কালিয়াগঞ্জের বাড়িতে ফেরার ঘটনায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। ট্যুইটে রাজ্য সরকারকে নিশানা করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। বিরোধী দলনেতা ট্যুইটারে লিখেছেন, অ্যাম্বুল্যান্স ভাড়ার টাকা না থাকায় একজন বাবাকে তাঁর ৫ মাসের শিশুসন্তানের মৃতদেহ ব্যাগে করে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ থেকে কালিয়াগঞ্জে নিয়ে যেতে হল। কীসের জন্য স্বাস্থ্যসাথী? দুর্ভাগ্যবশত এটাই এগিয়ে বাংলা মডেল। এটাই রাজ্যের বাস্তব ছবি। প্রসঙ্গত, কালিয়াগঞ্জ স্টেট জেনারেল হাসপাতাল, রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ হয়ে শিলিগুড়ির মেডিক্যাল কলেজ। প্রায় একসপ্তাহ ধরে শিশুর চিকিৎসায় ১৬ হাজার টাকা খরচ করে ফেলেছেন বাবা। তাহলে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের ব্যবহার কোথায়, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

    সুকান্তর তোপ

    এই ঘটনা প্রসঙ্গে ট্যুইট করে সুকান্ত মজুমদার লেখেন, “এই হতদরিদ্র ব্যক্তি নিজের সন্তানের মৃতদেহ বাড়ি ফিরিয়ে আনার জন্য কোনও অ্যাম্বুলেন্স খুঁজে পাননি। এই আবহে তাঁকেই তাঁর সন্তানকে বয়ে নিয়ে আসতে হয়। এই হল পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার অবস্থা। এই ঘটনাটি উত্তর দিনাজপুর জেলার। দুঃখজনক হলেও পশ্চিমবঙ্গের সব জেলায় এটাই বাস্তব। রাজ্যের প্রশাসনই যখন অমানবিক, তখন অমানবিক ছবি তো ধরা পড়বেই।”

    কালিয়াগঞ্জ পুরসভার বিজেপি নেতা ও কাউন্সিলার গৌরাঙ্গ দাস বলছেন, গরিব মানুষের কাছে টাকা না থাকলে এই সরকারের আমলে এই হাল হবে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: রোড শোয়ে তৃণমূল কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে পড়লেন অভিষেক, কোন্দল প্রকাশ্যে

    Abhishek Banerjee: রোড শোয়ে তৃণমূল কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে পড়লেন অভিষেক, কোন্দল প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলায় নবজোয়ার যাত্রায় তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) একাধিক সভায় ব্যালট ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এমনকী যুবরাজের সামনেও ব্যালট লুঠ হওয়ার ঘটনার সাক্ষী রয়েছেন উত্তরবঙ্গবাসী। মালদহে গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন অভিষেক। সেই জের কাটতে না কাটতেই দলীয় কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে পড়লেন অভিষেক (Abhishek Banerjee)। সোমবার পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতারে অভিষেকের রোড শো ছিল। রাস্তার দুধারে কর্মী-সমর্থকরা জমায়েত হয়েছিলেন। রোড শো চলাকালীন অভিষেককে দেখে তৃণমূল কর্মীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। অভিষেকের (Abhishek Banerjee) রোড শোয়ের সামনে দলীয় কর্মীদের বিক্ষোভের ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    কেন অভিষেকের (Abhishek Banerjee)  রোড শো ঘিরে বিক্ষোভ?

    গত দুদিন ধরে পূর্ব বর্ধমান জেলায় রয়েছেন অভিষেক। জামালপুর, মন্তেশ্বর, রায়নাসহ একাধিক ব্লকে নবজোয়ার কর্মসূচি করা হয়। যদিও এই সব এলাকায় ছাপ্পা ভোট দেওয়ার অভিযোগ তুলেছে দলেরই একাংশ। এদিন বিকেলে ভাতার বিধানসভায় অভিষেকের রোড শো ছিল। সেখানে বিধায়ক মানগোবিন্দ অধিকারী ও তাঁর অনুগামীরা প্রাধান্য পেয়েছেন। প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক বনমালী হাজরা ও তাঁর অনুগামীদের বিষয়টি জানানো হয়নি। ফলে, এদিন রোড শো শুরু হতেই কর্মী-সমর্থকরা জমায়েত হন। ভাতার থানার মোড়ের কাছে অভিষেকের রোড শো আসতেই বিক্ষুদ্ধ তৃণমূল কর্মীরা তাঁকে দেখে চিত্কার করে বলেন, পুরানো কর্মীদের সন্মান দিতে হবে। এলাকার বিধায়ক তোলাবাজি করছে। তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। দলীয় কর্মীদের মুখে এসব শুনে বেশ বিড়ম্বনায় পড়েন অভিষেক। যদিও তিনি বিষয়টি না শোনার ভান করেই হাত নেড়ে তিনি সেখান থেকে চলে যান। তবে, কর্মীদের চিত্কারে তৃণমূল বিধায়ক অনুগামীরা বেশ চাপে পড়ে যান।

    কী বললেন বিক্ষোভকারীরা?

    বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য, আমরা জন্মলগ্ন থেকে তৃণমূল করছি। যারা আগে সিপিএম, বিজেপি করত, তারা এখন দলের নেতা। এলাকায় তোলাবাজি করছে। শান্তনু কোনার আগে অন্য দল করত। দল করতে গিয়ে ওর বিরুদ্ধে আমরা লড়াই করেছি। এখন ও আমাদের নেতা। আমরা তা মেনে নিতে পারব না। অন্য দল থেকে আসা লোকজনকে নিয়ে বিধায়ক এখন মাতামাতি করছেন। আমাদের মতো পুরানো কর্মীদের কোনও গুরুত্ব নেই।

    কী বললেন তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক?

    তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক বনমালী হাজরা বলেন, আমাকে দলের এই কর্মসূচির বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। দলের নেতা অভিষেক (Abhishek Banerjee) আমার এলাকায় এসেছে বলে আমরা এসেছি। আর যারা বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন তাঁরা সকলেই পুরানো কর্মী। নিজেদের ক্ষোভের কথা দলের নেতার সামনে তাঁরা তুলে ধরেছেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে জমি দখলের অভিযোগ, সতর্ক করা হল অনুব্রত ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতাকে

    TMC: মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে জমি দখলের অভিযোগ, সতর্ক করা হল অনুব্রত ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতাকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনুব্রত ঘনিষ্ঠ তৃণমূল (TMC) নেতার বিরুদ্ধে মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে জমি দখলের অভিযোগ করা হয়েছিল খোদ মুখ্যমন্ত্রীর কাছে৷ সদ্য অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বীরভূম সফরে এসে অভিযুক্ত ওই নেতা আব্দুল কেরিম খানের বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়ে যান৷ সেইমতো এদিন বোলপুর দলীয় কার্যালয়ে তাঁকে ডেকে বৈঠক করে জেলার কোর কমিটি। জানা গিয়েছে, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র চাওয়ার পাশাপাশি তাঁকে সতর্ক করা হয়েছে তৃণমূলের তরফে।

    কী অভিযোগ জমা পড়েছে?

    নানুরের বাসাপাড়ায় প্রতি বছর মিলন মেলা হয়৷ অভিযোগ, মেলা কমিটির নামে বিস্তীর্ণ একটি মাঠের জায়গা বিভিন্নজনের কাছে বলপূর্বক, ভয় দেখিয়ে লিখিয়ে নেওয়া হয়েছে৷ নানুরের তৃণমূল (TMC) নেতা তথা বীরভূম জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ আব্দুল কেরিম খানের বিরুদ্ধে গ্রামবাসীরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন৷ সেই অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছিল, ‘পার্টি অফিসে ডেকে মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে মেলা কমিটির নামে জমি লিখিয়ে নেওয়া হয়েছে।’

    চাওয়া হল কাগজপত্র

    ৯ থেকে ১১ মে বীরভূম সফরে এসে জনসংযোগ যাত্রা করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ১২ মে জেলা ছেড়ে যাওয়ার আগে দলের কোর কমিটিকে ডেকে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন তিনি। জানা গিয়েছে, সেই বৈঠকেই নানুরের তৃণমূল (TMC) নেতা আব্দুল কেরিম খানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নিদান দিয়ে যান তিনি৷ সেইমতো এদিন বোলপুর দলীয় কার্যালয়ে কোর কমিটির বৈঠক ডাকা হয়৷ উপস্থিত ছিলেন সাংসদ শতাব্দী রায়, অসিত মাল, মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ, জেলা সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরী, লাভপুরের বিধায়ক অভিজিৎ সিংহ, তৃণমূল নেতা কাজল শেখ, সুদীপ্ত ঘোষ প্রমুখ৷ এই বৈঠকে জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ আব্দুল কেরিম খানকে ডাকা হয়েছিল৷ জানা গিয়েছে, কেন মেলার মাঠ দখল করেছে সে, তার কাগজপত্র চাওয়া হয়৷ পাশাপাশি তাঁকে সতর্ক করা হয়েছে।

    উঠল গোষ্ঠীকোন্দল প্রসঙ্গও

    প্রসঙ্গত, এই আব্দুল কেরিম খানের সঙ্গে দীর্ঘদিনের দ্বন্দ্ব রয়েছে নানুরের তৃণমূল (TMC) নেতা তথা কোর কমিটির সদস্য কাজল শেখের। সেই গোষ্ঠীকোন্দল প্রসঙ্গেও এদিন বৈঠকে আব্দুল কেরিম খানকে সতর্ক করা হয়েছে। বৈঠক শেষে সাংসদ শতাব্দী রায় বলেন, “অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশমতো আব্দুল কেরিম খানকে ডাকা হয়েছিল। অভিযোগ অনুযায়ী তাঁর কাছে সমস্ত কাগজপত্র চাওয়া হয়েছে। সেগুলো দেখার পর কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে, সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হবে।” কোর কমিটির আহ্বায়ক তথা জেলা সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরী বলেন, “আমরা এদিন তাঁর কাছে সব নথি চেয়েছি৷ অভিযোগ উঠেছে যখন, সেটা খতিয়ে দেখতেই হবে৷ তারপর সিদ্ধান্ত হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • NIA: দাড়িভিটে এনআইএ তদন্তে প্রকৃত সত্য উদঘাটন হবে, ফের বেসুরো আব্দুল করিম চৌধুরী

    NIA: দাড়িভিটে এনআইএ তদন্তে প্রকৃত সত্য উদঘাটন হবে, ফের বেসুরো আব্দুল করিম চৌধুরী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে দলের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়ালের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী। মান, অভিমান ভুলে একসঙ্গে কাজ করার কথা বলেও ছিলেন করিমসাহেব। কিন্তু, মনের মধ্যে দলের একাংশের প্রতি তাঁর রাগ যে কোনও অংশে কমেনি তা আবারও প্রমাণিত হল তাঁর ফের বেসুরো মন্তব্যে। এনআইএ (NIA) তদন্তের তিনি প্রশংসা করেছেন। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী বলেছেন তৃণমূল বিধায়ক?

    উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরে নবজোয়ার কর্মসূচি পালিত হলেও করিমসাহেবকে সেখানে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। এমনকী অভিষেকের বাড়িতে তাঁর আসার কথা থাকলেও তিনি যাননি। দলীয় কর্মী-সমর্থকদের সামনে বারে বারে এভাবে অপমান আর তিনি মেনে নিতে না পেরে ক্ষোভে ফেটে পড়েছিলেন। দলের বিরুদ্ধে তাঁর অবস্থান তিনি স্পষ্ট করেছিলেন। এমনকী অভিষেকের ডাকা বৈঠকে তিনি যোগ দেননি। পরে, অভিষেকের নির্দেশে দলের জেলা সভাপতির সঙ্গে বৈঠকের পর দুদিন চুপচাপ থেকে ফের বেসুরো করিমসাহেব। তিনি দলীয় কর্মসূচিতে গিয়ে বলেন, নেতাদের উপস্থিত বুদ্ধির অভাবে দাড়িভিট হাইস্কুলের প্রাক্তন দুই ছাত্রের অকাল মৃত্যু হয়েছে। এন আই এ (NIA) তদন্ত হলে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন হবে। প্রবীণ তৃণমূল বিধায়কের মুখে এই ধরনের মন্তব্যে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। ইসলামপুর বিধানসভা কেন্দ্রে ১১ বারের বিধায়ক তিনি। ২০১৬ বিধানসভা নির্বাচনে তিনি কংগ্রেস প্রার্থী কানাইয়ালাল আগরওয়ালের কাছে পরাজিত হয়েছিলেন। ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনের আগে কানাইয়ালাল আগরওয়াল কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন। তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার পর কানাইয়ালাল আগরওয়ালকে রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী করেছিল দল। লোকসভা প্রার্থী হওয়ায় কানাইয়ালাল আগরওয়াল বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন। এই সামান্য কয়েকটা বছর তিনি ইসলামপুরের বিধায়ক ছিলেন না। সেই সময়েই দাড়িভিট হাইস্কুলে আন্দোলনরত দুই ছাত্রের গুলিবিদ্ধ হয়ে রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয়েছিল। এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, আমি বিধায়ক থাকলে হয়তো এমন ঘটনা ঘটত না। সরকার সি আই ডি তদন্ত দিল, মৃতের পরিবার সেই তদন্তে রাজি হননি। হাইকোর্ট এন আই এ (NIA) র হাতে তদন্তভার তুলে দিয়েছে। তারাই প্রকৃত ঘটনা সামনে আনবে বলে তিনি দাবি করেন।

    কী বললেন মন্ত্রী?

    রাজ্যের মন্ত্রী তথা গোয়ালপোখরের বিধায়ক গোলাম রব্বানি বলেন, আমি তৎকালীন ইসলামপুরের বিধায়ক কানাইয়ালাল আগরওয়ালকে নিয়ে গিয়ে এলাকার স্বজনহারা পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম। তাদের ক্ষতিপূরনসহ চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম। কিন্তু সেই প্রস্তাব তারা মেনে নেয়নি। তবে হারা এম এল এ ওই এলাকায় যাননি বলে নাম না করে করিম চৌধুরীকে তিনি খোঁচা দেন। সি আই ডি এই মামলায় আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছে। এন আই এ (NIA) তদন্ত নিয়ে আমাদের কিছু বলার নেই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: মুখ্যমন্ত্রীর পাড়ায় গ্রুপ ডি চাকরিপ্রার্থীদের হ্যারিকেন মিছিলের অনুমতি হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: মুখ্যমন্ত্রীর পাড়ায় গ্রুপ ডি চাকরিপ্রার্থীদের হ্যারিকেন মিছিলের অনুমতি হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডিএ আন্দোলনকারীদের পর এবার বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা গ্রুপ ডি চাকরিপ্রার্থীদেরও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাড়ায় মিছিল করার অনুমতি দিলেন। সোমবার গ্ৰুপ ডি চাকরিপ্রার্থীদের হরিশ মুখার্জি রোডে হ্যারিকেন মিছিলের অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। বিচারপতি মান্থার নির্দেশ, শহিদ মিনার থেকে হরিশ মুখার্জি রোড হয়ে কালীঘাট পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ মিছিল করতে পারবেন ওই চাকরিপ্রার্থীরা। হ্যারিকেন হাতে মিছিল প্রসঙ্গে আন্দোলনকারীদের বক্তব্য, রাজ্য সরকার তাঁদের হাতে হ্যারিকেন ধরিয়ে দিয়েছে। তাই সেই হ্যারিকেন নিয়েই মুখ্যমন্ত্রীর পাড়ায় মিছিল করতে চান তাঁরা।

    শর্ত মেনে মিছিল

    গত ৬ মে আদালতের (Calcutta High Court) অনুমতি নিয়ে হরিশ মুখার্জি স্ট্রিট দিয়ে ডিএ-র দাবিতে মিছিল করেন সরকারি কর্মীরা। মিছিলকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল চোখে পড়ার মতো। সেই মিছিল শেষ হতেই মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি লাগোয়া বেশ কয়েকটি জায়গায় ১৪৪ ধারা লাগু করে দেয় প্রশাসন। এর পর ওই একই রাস্তায় মিছিল করতে চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন গ্রুপ ডি চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁদের বক্তব্য ছিল, শহিদ মিনার চত্বর থেকে শুরু করে কালীঘাট পর্যন্ত মিছিল করে যেতে চেয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু পুলিশ কিছু বিষয়ে আপত্তি জানিয়ে সেই মিছিলের অনুমতি দেয়নি। 

    আরও পড়ুন: চাকরি বাতিলের নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের, ‘অযোগ্য’দের বাঁচাতে আদালতে যাচ্ছে পর্ষদ!

    চাকরিপ্রার্থীদের আইনজীবী কৌস্তভ বাগচী জানান, আদালত নির্ধারিত রুটে, আগামী ১৭ মে সন্ধ্যা ৬টা থেকে ৮টা পর্যন্ত হ্যারিকেন নিয়ে প্রায় ৬০০ জন চাকরিপ্রার্থী মিছিল করবেন। তবে এই মিছিলের জন্য কিছু শর্ত নির্দিষ্ট করে দিয়েছে হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। সোমবার বিচারপতি মান্থা জানান, “হরিশ মুখার্জি রোড একমুখী হওয়ায় কালীঘাট পর্যন্ত মিছিল করতে ওই রাস্তাই সুবিধার হবে। তবে মিছিলকারীদের ওই রাস্তার ৮০ শতাংশ ছেড়ে মিছিল নিয়ে যেতে হবে। দু’টি লাইনে মিছিল যাবে।” হাইকোর্টের নির্দেশ, মিছিল থেকে কোনও উস্কানিমূলক মন্তব্য করা যাবে না। মিছিলের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে কলকাতা পুলিশকে সক্রিয় থাকার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • RSS: নবজোয়ারে নতুন নাটক! অভিষেকের কাছে সঙ্ঘের পোশাকে হাজির তৃণমূল কর্মী

    RSS: নবজোয়ারে নতুন নাটক! অভিষেকের কাছে সঙ্ঘের পোশাকে হাজির তৃণমূল কর্মী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সমালোচকরা বলছেন, ‘‘যুবরাজের নবজোয়ারে ভেসে যাচ্ছে দলীয় শৃঙ্খলা!’’ কর্মীদের মধ্যে হাতাহাতি, মারামারি, ব্যালট ছিনতাই তো চলছেই। এবার নতুন নাটক ধরা পড়ল পূর্ব বর্ধমানের রায়নায়। তা নিয়ে আবার ঘটা করে ট্যুইটও করতে দেখা গেছে আঞ্চলিক দল তৃণমূল কংগ্রেসের ট্যুইটার পেজে। নিজেদের দলের কর্মীকেই এদিন সঙ্ঘের (RSS) গণবেশে সাজিয়ে তৃণমূল হাজির করে অভিষেকের সামনে।

    ঘটনা…

    রবিবার ভরদুপুরে পূর্ব বর্ধমানের রায়নায় হঠাৎই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গাড়ির কাছে চলে যায় এক যুবক। পরনে তার সঙ্ঘের (RSS) গণবেশ। ফুল হাতা সাদা জামা, মাথায় কালো টুপি। নিজেকে স্বয়ংসেবক পরিচয় দিয়ে সে বলতে থাকে, ‘‘আমাদের এলাকার পথে আলো জ্বলে না। বিডিও অফিসে জানিয়েছি কাজ হয়নি। বিজেপি নেতারাও বলেছেন, তারপরও সমাধান হয়নি সমস্যার। এ সমস্যা ৫-৬ বছর ধরে চলে আসছে।’’ তৃণমূলের পোস্ট করা ওই ভিডিওতে সমাধানের আশ্বাস দিতে দেখা যাচ্ছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে।

    বিশেষজ্ঞ মহল এনিয়ে অনেকগুলো প্রশ্ন তুলছে। সারাবছর সঙ্ঘের (RSS) নির্দিষ্ট কিছু কার্যক্রম বা অনুষ্ঠান ছাড়া গণবেশ পরার রীতি যে নেই, তা প্রত্যেক স্বয়ংসেবক (RSS) মাত্রই জানেন। তাহলে ওই যুবক ইউনিফর্ম পরে কীভাবে গেল অভিষেকের কাছে? কোনও বিশিষ্টজনের সঙ্গে দেখা করতে গেলেও সঙ্ঘের গণবেশ পরার নিয়ম নেই। রাজ্যে একাধিক কর্মসূচিতে হাজির হন সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবত, তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যাওয়ার সময়ও স্বয়ংসেবকদের গণবেশ পরতে দেখা যায়না। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের (RSS) গরিমাকে খাটো করতেই এই দুর্বল চিত্রনাট্য সাজিয়েছে তৃণমূল।

    যুবকের পরিচয়…

    সূত্র মারফত জানা গেছে, ওই যুবকের নাম উজ্জ্বল খাঁ। বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরের জোতশ্রী গ্রামে। এলাকার সক্রিয় তৃণমূল কর্মী বলেই পরিচিত সে। সঙ্ঘের সঙ্গে কস্মিনকালেও তার যোগাযোগ ছিলনা বলেই জানা যাচ্ছে। বিরোধী মহলের কটাক্ষ, বড়োই দুর্বল চিত্রনাট্য সাজিয়েছে তৃণমূল। নাটকের মূল চরিত্র উজ্জ্বলের মানসিক বিকৃতিও রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Shantipur: শাসকদলের সঙ্গে যুক্ত হলেই মিলছে ভাতা! শান্তিপুরের ঐতিহ্যবাহী তাঁতশিল্প ধ্বংসের পথে

    Shantipur: শাসকদলের সঙ্গে যুক্ত হলেই মিলছে ভাতা! শান্তিপুরের ঐতিহ্যবাহী তাঁতশিল্প ধ্বংসের পথে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নেই সঠিক মজুরি, নেই কোনও সরকারি পদক্ষেপ। শান্তিপুরের (Shantipur) ঐতিহ্যবাহী তাঁতশিল্প এখন ধ্বংসের পথে। এভাবে চলতে থাকলে কোনও তাঁতিকে আর খুঁজে পাওয়া যাবে না, এমনই আক্ষেপ তাঁতশিল্পীদের একাংশের।

    তাঁত শিল্পের সমস্যা

    নদিয়ার শান্তিপুর (Shantipur) এলাকার লক্ষ লক্ষ শ্রমিকের ভরসা ছিল তাঁতশিল্প। মূলত তাঁতের ওপর ভরসা করে চলত সংসার। দিন দিন পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার ফলে আজ হাতে গোনা কয়েকজন শিল্পীই তাঁত বুনছেন। তাও কদিন আর তাঁত বুনে সংসার চালাবেন, সেটাও বুঝে উঠতে পারছেন না শিল্পীরা। তাঁতশিল্পীদের বক্তব্য, নতুন করে কেউ আর এই শিল্পের দিকে এগিয়ে আসছেন না। স্থানীয় তাঁতশিল্পীরা এর জন্য মূলত সরকারের উদাসীনতাকেই দায়ী করছেন।

    স্থানীয় তাঁতশিল্পীর অভিযোগ

    শান্তিপুরের (Shantipur) তাঁতশিল্পী অশোক প্রামাণিক প্রায় ৩৫ বছর ধরে তাঁত বুনছেন। তিনি বলেন, আগের মতো তাঁতশিল্পে আর সেভাবে মজুরি নেই। একশ্রেণির মহাজন তাঁদের মুনাফা বাড়ানোর জন্য তাঁতিদের মজুরি কমিয়ে দিয়েছে। অন্যদিকে বাইরের রাজ্য থেকে যে সমস্ত মেশিনে তৈরি কাপড় আসছে, তাতে হস্তচালিত তাঁত-কাপড়ের চাহিদা অনেকটাই কমেছে।

    সরকারের উদাসীনতা ও স্বজনপোষণ

    তাঁতশিল্পকে (Shantipur) বাঁচিয়ে রাখার জন্য সরকার উদাসীন। যথার্থ পদক্ষেপ না নেওয়ার জন্য তাঁতশিল্পের আরও সর্বনাশ এনে দিয়েছে। অভিযোগ করেন স্থানীয় তাঁতশিল্পের সঙ্গে যুক্তরা। তাঁদের আরও অভিযোগ, যারা কেবলমাত্র রাজনৈতিকভাবে শাসকদলের সঙ্গে যুক্ত, তাঁদেরকেই বেছে বেছে শিল্পীর ভাতা পাইয়ে দেওয়া হচ্ছে। সরকার স্পষ্ট স্বজনপোষণ করছে। শিল্পীদের দাবি, এখন তাঁত বুনে দিনে মাত্র ৫০ টাকা আয় হয়। সেই কারণেই সংসার চালাতে কার্যত নাজেহাল হচ্ছেন তাঁতশিল্পীরা। শিল্পীরা স্বজনপোষণের অভিযোগ তুলে বলেন, আমরা কখনও তাঁতশিল্পী হিসাবে সেভাবে কোনও ভাতাই পাইনি। আরেক বর্ষীয়ান তাঁতশিল্পী শ্যামল বসাক বলেন, মূলত মহাজনদের অতিরিক্ত মুনাফা লাভের কারণে দিন দিন তাঁতশিল্প ধ্বংসের পথে। অন্যদিকে রাজ্য সরকারের নেই কোনও পদক্ষেপ। কয়েক দশক আগে যাওবা তাঁতশিল্পীদের জন্য ছোট ছোট পদক্ষেপ নিত সরকার, এখন তাও দেখাই যায় না। পদক্ষেপ সব বন্ধ হয়ে গেছে। এত কম রোজগার করে কীভাবে সংসার চলে, সেই প্রশ্নও তোলেন তিনি।

    বিধায়কের আশ্বাস

    সমস্যার বিষয়ে শান্তিপুরের (Shantipur) বিধায়ক ব্রজকিশোর গোস্বামীকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, এর আগেও একাধিকবার চেষ্টা করা হয়েছে তাঁতশিল্পকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য। মূলত তাঁতিরা যাতে এই শিল্পের উপর নির্ভর করে সংসার চালাতে পারে, সেই দিকটা নজর রাখা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, প্রতিটি রাজনৈতিক দলের এজেন্ডা ছিল মূলত তাঁতশিল্পকে বাঁচানো নিয়ে। যেহেতু কেন্দ্র সরকার এই তাঁতশিল্প নিয়ে মূল ভূমিকা পালন করে থাকে, তাই সেদিক থেকে আমরা রাজ্যের জন্য নতুনভাবে কোনও ভাল পদক্ষেপ কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে পাইনি। তবে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের মধ্যে রাজনৈতিক টানাপোড়নের মধ্যে শান্তিপুরের ঐতিহ্যবাহী তাঁত শিল্প কি অগ্রাধিকার পাবে ? নাকি পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যাবে, সেটাই এখন দেখার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: পুলিশি বাধায় নবজোয়ারে ভোট দিতে পারলেন না বহু তৃণমূল কর্মী, কোন্দল প্রকাশ্যে

    Abhishek Banerjee: পুলিশি বাধায় নবজোয়ারে ভোট দিতে পারলেন না বহু তৃণমূল কর্মী, কোন্দল প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নবজোয়ার কর্মসূচিতে ভোটদানে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল পুলিশের বিরুদ্ধে। পঞ্চায়েতে যোগ্য প্রার্থী ঠিক করার জন্য তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) নির্দেশে নবজোয়ার কর্মসূচিতে ভোট দিতে এসেছিলেন তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা। কিন্তু, তৃণমূলের ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর নির্দেশে পুলিশি বাধার মুখে পড়ে বহু ভোটার ভোট দিতে পারলেন না। রবিবার এই ঘটনার সাক্ষী থাকল পূর্ব বর্ধমান জেলার রায়না-২ ব্লকের গোতান এলাকার মানুষ। এর আগে এই জেলার জামালপুরেই ছাপ্পা ভোট দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। মন্তেশ্বর ব্লকেও একই ঘটনা ঘটেছিল। এবার রায়না-২ ব্লকে পুলিশকে দিয়ে ভোটদানে বাধা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল ফের প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

    ঠিক কী ঘটেছে?

    অভিষেকের (Abhishek Banerjee) নবজোয়ার কর্মসূচিতে রায়না-২ ব্লকে ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের প্রার্থী বাছাইয়ের জন্য ভোটগ্রহণের ব্যবস্থা করা হয়। এই ব্লকের গোতান সহ একাধিক অঞ্চলের হাজার হাজার তৃণমূলের কর্মী-সমর্থক ভোট দিতে আসেন। অভিযোগ, যারা প্রকৃত ভোটার, যাদের তালিকায় নাম নথিভুক্ত আছে তারা ভোট প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে পারছে না। পুলিশ দিয়ে তাদের ঢুকতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। তৃণমূলের অন্য গোষ্ঠীর লোকজন বেআইনিভাবে প্রকৃত ভোটারদের জায়গায় ভোট দিয়ে দিচ্ছেন। পরিস্থিতি আঁচ করে বঞ্চিতরা যাতে ফোনে ভোট দিতে পারেন তারজন্য একটি নম্বর দিয়েছেন অভিষেক। সেখানে তৃণমূল কর্মীরা নিজেদের মতামত জানাতে পারবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

    কী বললেন বিক্ষুব্ধ তৃণমূল নেতারা?

    বিক্ষুব্ধ তৃণমূল কর্মীদের বক্তব্য, অভিষেকের (Abhishek Banerjee) নির্দেশ মতো আমরা প্রায় আড়াই হাজার কর্মী-সমর্থক ভোট দিতে এসেছিলাম। কিন্তু, আমরা ভোট দিতে পারিনি। তৃণমূলের পদাধিকারীদের নির্দেশে পুলিশ আমাদের ভোট দিতে বাধা দেয়। সাহেব আলি খান নামে এক বিক্ষুব্ধ কর্মী বলেন, স্বচ্ছ ভাবমূর্তির প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার জন্যই প্রতিটি বুথ থেকে দেড়শো জন করে কর্মী এখানে এসেছিল। কাউকে ভোট দিতে দেওয়া হয়নি। তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক (Abhishek Banerjee) একটি ফোন নম্বর দিয়েছেন, সেই নম্বরে যোগাযোগ করে এখন ভোট দেব। তবে, কর্মীরা এসে ভোট দিতে না পেরে হতাশ হয়েছেন।

    কী বললেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব?

    তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি অসিত মাল বলেন, দলের নির্দেশ মত এবং দলের নির্ধারিত নিয়ম অনুযায়ী ভোট প্রক্রিয়া চলছে। শান্তিপূর্ণভাবে ভোট হয়েছে। পুলিশ কী বাধা দিয়েছে তা জানা নেই। জেলা তৃণমূলের সম্পাদক সৈয়দ কলিমুদ্দিন বলেন, সামান্য একটু গণ্ডগোল হয়েছিল। এখন তা মিটে গিয়েছে। পুলিশের বিরুদ্ধে কে কী বলল তা আমাদের জানা নেই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share