Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Governor of West bengal: ‘‘আগুন নিয়ে খেলা নয়’’, রাজ্যকে ‘পরামর্শ’ রাজ্যপালের

    Governor of West bengal: ‘‘আগুন নিয়ে খেলা নয়’’, রাজ্যকে ‘পরামর্শ’ রাজ্যপালের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আগুন নিয়ে খেলা নয়।” রাজ্য সরকারকে এমনই জানিয়ে দিলেন রাজ্যপাল (Governor of West bengal) সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। অগ্নি সুরক্ষা মোকাবিলায় শুক্রবার পাঁচ পাতার বিবৃতি দিয়েছে রাজভবন। সেই বিবৃতিরই এক জায়গায় লেখা রয়েছে আগুন নিয়ে না খেলার ‘পরামর্শ’। রাজভবনের এই বিবৃতিতে শোরগোল প্রশাসনের অন্দরে। দিন কয়েক আগে রাজভবনের কাছে শরাফ হাউসে আগুন লাগে। জীবন্ত দগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় শ্যামসুন্দর সাহা নামে এক প্রৌঢ়ের। এই ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেন রাজ্যপাল। রাজভবনের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “শরাফ হাউসের আগুন লাগার ঘটনায় যাদের ত্রুটি রয়েছে এবং একটি মূল্যবান প্রাণহানির জন্য নির্দিষ্ট কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে রাজ্য সরকারের পদক্ষেপ করা উচিত।”

    রাজ্যপালের (Governor of West bengal) মতে আগুন লাগার কারণ…

    শরাফ হাউসে আগুন লাগার সম্ভাব্য ১০টি কারণের উল্লেখ করেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (Governor of West bengal)। এই কারণগুলির মধ্যে চতুর্থ কারণটি হল, “ইচ্ছে করেও আগুন লাগাতে পারেন কেউ। নেপথ্যে অনেক কারণ থাকতে পারে। এমনকী বীমা পাওয়ার জন্যও এমন করতে পারেন কেউ”। আবার না জেনে ভুল করে আগুন লাগানো তো একটি কারণ হিসেবে দেখানো হয়েছে।

    কেবল তাই নয়, আগুন থেকে কীভাবে সাবধান হওয়া যায়, সেই পরামর্শও দেওয়া হয়েছে রাজভবনের তরফে জারি করা ওই বিবৃতিতে। পরামর্শগুলিকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। প্রতিরোধ, প্রতিক্রিয়া এবং প্রতিকার। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘সমাধানের চেয়ে সাবধানতা ভাল।’ ‘ভয় পাবেন না, শান্ত থাকুন।’ ‘ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যতে সতর্ক হতে হবে।’

    আরও পড়ুুন: উরি সেক্টরে পাক ড্রোন হামলা, রুখল সেনা! কাশ্মীরে জি২০ সম্মেলনে বাড়ল নিরাপত্তা

    বুধবার সকাল ১০টা নাগাদ রাজভবনের (Governor of West bengal) কাছে বিবাদী বাগ চত্বরের শরাফ হাউসের ওপরের তলায় আগুন লাগে। দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে আগুন। কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় আকাশ। দুপুর দেড়টা নাগাদ আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। যদিও বিল্ডিংটির একটি অংশের আগুন তখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি। বৃহস্পতিবার ওই জায়গাটি ঠান্ডা করতে গিয়েই শ্যামসুন্দরের অর্ধদগ্ধ দেহ দেখতে পান দমকলকর্মীরা। শ্যামসুন্দর উত্তর ২৪ পরগনার বাসিন্দা ছিলেন। দেহের পাশ থেকে পুড়ে যাওয়া ড্রাইভিং লাইসেন্স দেখে শনাক্ত করা হয় তাঁকে।

    ওই দিন আগুন লাগার খবর পেয়ে দ্রুত রাজভবন ছেড়ে রাস্তায় বেরিয়ে আসেন রাজ্যপাল। ঘণ্টা দুয়েক দাঁড়িয়ে আগুন নেভানোর কাজের তদারকি করেন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তার পরেই এই ‘উপদেশাবলী’।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: চোর তাড়াও, গ্রাম বাঁচাও! তৃণমূলের বিরুদ্ধে পোস্টারে ছয়লাপ এলাকা, কারা দিল?

    TMC: চোর তাড়াও, গ্রাম বাঁচাও! তৃণমূলের বিরুদ্ধে পোস্টারে ছয়লাপ এলাকা, কারা দিল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গ্রামের অলিতেগলিতে পোস্টারে পোস্টারে ছয়লাপ করল বিজেপি। সেই পোস্টারে লেখা রয়েছে চোর তাড়াও, গ্রাম বাঁচাও। এমনই ঘটনা ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটাল ব্লকের মনোহরপুর-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের মনোহরপুর ও হরিসিংপুর গ্রামে। একইসঙ্গে সিপিএমও গ্রামজুড়ে পোস্টার দিয়েছে। এই পঞ্চায়েতে দীর্ঘদিন ধরেই তৃণমূল (TMC) ক্ষমতায় রয়েছে। পোস্টারে কোনও দলের নাম নেই। সামনেই পঞ্চায়েত ভোট। তাই ভোটের আগে তৃণমূলকে (TMC) টার্গেট করে এই পোস্টার দিয়েছে বিরোধীরা। যা নিয়ে জেলাজুড়ে চর্চা শুরু হয়েছে।

    পোস্টার দেওয়া নিয়ে বিরোধীদের কী বক্তব্য?

    পঞ্চায়েত ভোট যত এগিয়ে আসছে, তৃণমূলের (TMC) বিরুদ্ধে আক্রমণ আরও জোরদার করছে বিরোধীরা। বিজেপি নেতা বিশ্বজিৎ জানা বলেন, রাজ্যজুড়ে সর্বস্তরে তৃণমূল (TMC) দুর্নীতি করেছে। দুর্নীতির দায়ে একাধিক বিধায়ক, মন্ত্রী সব জেলে রয়েছে। আমাদের এই পঞ্চায়েতে তৃণমূল নেতারা সব দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত। গ্রাম ভাল রাখতে এই দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। তাই, আমরা পাড়ায় পাড়ায় এই পোস্টার দিয়েছি। এতে মানুষকে অনেকটাই সচেতন করা যাবে। সিপিএম নেতা সমীর হাজরা বলেন, ১০০ দিনের কাজ থেকে শুরু করে আবাস যোজনার বাড়ি, এলাকার সাধারণ মানুষকে না দিয়ে সমস্ত কিছুর সুবিধা নিয়েছে তৃণমূলের (TMC) নেতা কর্মীরা। তারা সকলেই চোর। তাই পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে আমাদের মূল স্লোগান চোর তাড়াও, গ্রাম বাঁচাও।

    কী বললেন তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব?

    পোস্টার নিয়ে বিরোধীদের কটাক্ষ করেছে তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব। তৃণমূলের ঘাটাল ব্লকের সভাপতি দিলীপ মাঝি বলেন, বিজেপি-সিপিএম যে এক তা এই ঘটনায় প্রমাণ হয়ে গেল। তৃণমূল (TMC) যা উন্নয়ন করেছে সেই নিরিখে মানুষ আমাদের ভোট দেবে। আর এসব দেখে বিরোধীরা ভয় পেয়ে গিয়েছে। তাই, পঞ্চায়েত ভোট যত এগিয়ে আসবে, বাম-রাম সব এক হয়ে যাবে। তবে, এসব পোস্টার দিয়ে লাভ নেই। বরং, এসব করার জন্য এলাকার মানুষ ওদের সহজেই চিনতে পারছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Buxa Tiger Reserve: বক্সার জঙ্গলে এবার কি দেখা মিলবে বাঘের? জেলাজুড়ে শোরগোল

    Buxa Tiger Reserve: বক্সার জঙ্গলে এবার কি দেখা মিলবে বাঘের? জেলাজুড়ে শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পর্যটকদের জন্য খুশির খবর। বক্সার জঙ্গলে এবার বাঘের দেখা মিলতে পারে! জঙ্গলে বাঘেদের বসবাসের উপযুক্ত পরিবেশ রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখতে এসেছিল কেন্দ্রীয় দল। বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের জীব বৈচিত্র্য ও পরিকাঠামো দেখে খুশি বাঘ সংরক্ষণ ও বাঘ সংরক্ষণের নীতি নির্ধারণের সর্বোচ্চ কর্তারা। জানা গিয়েছে, বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের (Buxa Tiger Reserve) জঙ্গলে আসেন ন্যাশনাল টাইগার কনজারভেশন অথরিটি( এন টি সি এ) ও গ্লোবাল টাইগার ফোরাম( জি টি এফ) সহ মোট তিন প্রতিনিধি দল। এদের সঙ্গে রাজ্য বন দফতরের প্রধান মুখ্য বনপাল দেবল রায় ও রাজ্য বন প্রশাসনের সর্বোচ্চ কর্তা হেড অফ ফরেস্ট সৌমিত্র দাশগুপ্ত ছিলেন। বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের জীব বৈচিত্র ও পরিকাঠামো দেখে প্রতিনিধি দলের সদস্যরা খুশি হয়েছেন। ফলে, এবার থেকে এই জঙ্গলে বাঘের দেখা মিলবে কি না তা নিয়ে জেলাজুড়ে চর্চা শুরু হয়েছে।

    কী বললেন বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের (Buxa Tiger Reserve) অধিকর্তা?

    রাজ্যের একমাত্র বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের (Buxa Tiger Reserve) বনাঞ্চল দেখতেই এই প্রতিনিধি দল এই রাজ্যে এসেছিল বলে জানা গিয়েছে। বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের অধিকর্তা অপূর্ব সেন বলেন, “আগামীদিনে এই জঙ্গলে বাঘ থাকার উপযুক্ত পরিকাঠামো রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখতে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল এসেছিল। এই দল বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের জীব বৈচিত্র্য ও পরিকাঠামো দেখে খুশি। জঙ্গলের বিভিন্ন কাজ নিয়ে আমাদের কিছু নির্দেশ দিয়ে গিয়েছেন। সেই নির্দেশ অনুযায়ী আমরা কাজ করবো।” জানা গিয়েছে, ১৯৮২ সালের বক্সা টাইগার রিজার্ভ ফরেস্ট ব্যাঘ্র প্রকল্পের মর্যাদা পায়। ৭৬০ বর্গকিলোমিটার বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের বনাঞ্চলের ৪০০ বর্গকিলোমিটার এলাকার সংরক্ষিত বনাঞ্চল। বাকি ৩৬০ বর্গকিলোমিটার বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্প (Buxa Tiger Reserve) বাফার এলাকায়। আটের দশকেও এই বনাঞ্চলে বাঘেদের সক্রিয় উপস্থিতির নজির পাওয়া গিয়েছিল। বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের বনাঞ্চল লাগোয়া বিভিন্ন বন বস্তির প্রবীণ নাগরিকরা অনেকে সেই সময় বাঘেদের গর্জনের আওয়াজ পেয়েছিলেন। 

    আটের দশকের পর থেকে এই বনাঞ্চলে বাঘেদের অস্তিত্বের তেমন কোন প্রমাণ পাওয়া যায়নি। বিভিন্ন সময় বাঘের পায়ের ছাপ, মল ও আচরের প্রমাণ মিললেও সরাসরি ক্যামেরায় ছবি ধরা পড়েনি। কিন্তু হাল ছাড়তে নারাজ ছিল বন দফতর। অসম থেকে ছয়টি বাঘ এনে এই বনাঞ্চলে ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আর সেই কারণে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের বনাঞ্চলে কয়েক দফায় সাতশোর বেশি হরিণ ছাড়া হয়। এক কথায় বক্সাকে বাঘেদের জন্য প্রস্তুতের কাজ চলছিল। আর এরই মধ্যে ২০২১ সালের ১১ ডিসেম্বর একেবারে ডোরাকাটার ছবি ক্যামেরা বন্দি হয় বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের (Buxa Tiger Reserve) জঙ্গলে। ২৩ বছর পর বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের জঙ্গলে সরাসরি বাঘ থাকার প্রমাণ মেলে। এবার সামগ্রিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে বাঘ বিষয়ে সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারক কমিটি পা রাখল বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের (Buxa Tiger Reserve) জঙ্গলে। এই পরিদর্শনকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজ্যের বন কর্তারা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: “আদালত সবাইকে ডেকে ডেকে বিধি শেখাতে যাবে না”, কেন বললেন বিচারপতি মান্থা?

    Calcutta High Court: “আদালত সবাইকে ডেকে ডেকে বিধি শেখাতে যাবে না”, কেন বললেন বিচারপতি মান্থা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আদালত সবাইকে ডেকে ডেকে বিধি শেখাতে যাবে না”। শুক্রবার এমনই মন্তব্য করলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা (Justice Rajasekhar Mantha)। উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জে নাবালিকাকে ধর্ষণ ও খুনের মামলায় বিচারপতি মান্থার নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন তৃণমূলের (TMC) মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। সেই প্রসঙ্গেই এদিন বিচারপতি বলেন, “নিজেরাই যদি নিজেদের সম্মান নষ্ট করেন, তাহলে কোর্ট কী করবে? আদালতকে বার বার অসম্মান করতে গিয়ে নিজেদের যে অসম্মান হচ্ছে, তা তাঁরা বুঝছেন না। বা বুঝেও সেটাই করে চলেছেন ইচ্ছাকৃতভাবে।” এর পরেই তিনি বলেন, “আদালত সবাইকে ডেকে ডেকে বিধি শেখাতে যাবে না।”

    কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) পর্যবেক্ষণ…

    বৃহস্পতিবার কালিয়াগঞ্জের ঘটনায় সিট গঠনের নির্দেশ দেন বিচারপতি মান্থা। তাঁর পর্যবেক্ষণ ছিল, পুলিশ স্বচ্ছভাবে তদন্ত করতে পারছে না। চাপের মধ্যে কাজ করতে হচ্ছে তাদের। এর পরেই সিট গঠনের নির্দেশ দেন বিচারপতি মান্থা। সিটে রয়েছেন বর্তমান আইপিএস দময়ন্তী সেন এবং দুই প্রাক্তন আইপিএস উপেন বিশ্বাস এবং পঙ্কজ দত্ত। এর পরেই তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বলেন, “টিভি চ্যানেলে বিষোদ্গার করাটাই কি আসল? রাজ্যে আইপিএস অফিসার কি কম পড়েছিল?” পরে কুণাল বলেন, “এঁরা প্রত্যেকেই যোগ্য ও স্বীকৃত। সবই ঠিক আছে। দময়ন্তী সেনকে নিয়ে আমার কিছু বলার নেই। কিন্তু বাকিরা তো চ্যানেলে বসে বিষোদ্গার করেন। সেই কারণেই কি তাঁদের সিটের সদস্য করা হয়েছে?”

    আরও পড়ুুন:‘‘ঢাকি সমেত বিসর্জন’’! ৩৬ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের

    এ নিয়ে বিচারপতি (Calcutta High Court) মান্থার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন আর এক আইনজীবী। তাঁর বক্তব্য, ওই নেতার বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিতভাবে মামলা করা উচিত। এর পরেই শিষ্টাচার পালনের পরামর্শ দেন বিচারপতি মান্থা। তিনি ওই আইনজীবীকে জানান, এ নিয়ে যদি কিছু করতে চান, তা হলে আলাদাভাবে মামলা দায়ের করুন। আদালত বিবেচনা করবে। প্রসঙ্গত, বিচারপতি (Calcutta High Court) মান্থার একাধিক নির্দেশ ও পর্যবেক্ষণ নিয়ে এর আগেও প্রশ্ন তুলেছিলেন তৃণমূলের কুণাল। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের পর্যবেক্ষণ ও নির্দেশ নিয়েও বিস্তর সমালোচনা করেছেন তৃণমূলের এই মুখপাত্র।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “আপনারা আদতে আঞ্চলিক দল তৃণমূলেরই একটি শাখা”! পুলিশের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: “আপনারা আদতে আঞ্চলিক দল তৃণমূলেরই একটি শাখা”! পুলিশের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বারবার তাঁর সভা বাতিল করতে চাইছে পুলিশ। যদিও আদালত অনুমতি দেওয়ায় সভা হচ্ছেই। এবার পুলিশ প্রশাসনের সততা ও কর্তব্য নিয়ে প্রশ্ন তুললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করে পুলিশকে তোপ দাগলেন শুভেন্দু। আগামী ২১ মে দার্জিলিংয়ে সভা বাতিল করার চেষ্টার অভিযোগ নিয়েও সোশ্যাল মিডিয়ায় আজ, শুক্রবার বিকেলে সরব হলেন নন্দীগ্রামের সাংসদ। সোশ্যাল মিডিয়ায় দীর্ঘ পোস্টে শুভেন্দু লিখেছেন, “মমতা পুলিশের এখন একমাত্র কাজ হল বিরোধী দলনেতাকে বিভিন্ন রাজনৈতিক সভা সমাবেশে বাধা দান করা। লেডি কিমের নির্দেশেই আমাকে বাঁকুড়ার সিমলাপালে ও পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুরে সভা করতে বাধা দেওয়া হয়।”

    অভিষেককে নিশানা

    বিরোধী দলনেতা লেখেন, “ধন্য পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ! ২১ মে দার্জিলিং-র জনসভাতেও আপনারা আমাকে আটকানোর যথাসাধ্য চেষ্টা করুন। কিন্তু আমার কাছে ১৫ সিণ্ডিকেট এবং আরও একাধিক সংগঠনের ছাড়পত্র রয়েছে।” এরপরেই অভিষেককে নিশানা করে শুভেন্দু লেখেন, “অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যখন ৭২ ঘন্টা ধরে ১২ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করেছিলেন, তখন কি আপনারা দেখতে চেয়েছিলেন যে তাঁর কাছে জাতীয় সড়ক দফতরের ছাড়পত্র রয়েছে কিনা? কিছুদিন আগেই তো তিনি উত্তরপূর্ব ভারতের প্রধান যোগসূত্র যে জাতীয় সড়ক তা বন্ধ করে মিছিল বের করেন, তখন কি তিনি অনুমতি নিয়েছিলেন?” শুভেন্দু আরও লেখেন, “যদি অভিষেক অনুমতি নিয়ে থাকেন, তাহলে সেই ছাড়পত্রের কপি আপনাদের সরকারি ট্যুইটার হ্যান্ডেলে শেয়ার করুন। যদি আপনারা তা না করতে পারেন, তাহলে আপনাদের দ্বৈত সত্ত্বা সকলের সামনে প্রকাশ পাবে। তাহলে সকলে বুঝতে পারবেন, আপনারা আদতে আঞ্চলিক দল তৃণমূলেরই একটি শাখা।”

    আরও পড়ুন: হাকিম বদলেও হুকুম বহাল! পুর নিয়োগ দুর্নীতিতে সিবিআইতে আস্থা বিচারপতি সিনহার

    এরপর রাজ্যের বিরোধী দলনেতা হুমকির সুরে লেখেন, “দয়া করে মনে রাখবেন, দার্জিলিং-র মোটর স্ট্যান্ডে যদি বিজেপি সভা করতে না পারে তাহলে ভবিষ্যতে কোনও রাজনৈতিক দলকেই আর ওখানে সভা করতে দেওয়া হবে না। এই বার্তাটা আপনাদের রাজনৈতিক মালকিনকে পাঠিয়ে দেবেন।” শুভেন্দুর কথায়, “আমাকে যে মমতা পুলিশ ও তাদের ‘রাজনৈতিক মনিব’ এত ভয় পায় তা জেনে কিন্তু বেশ ভাল লাগল; ইয়ে ডর মুঝে আচ্ছা লাগা….”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMCP: অভিষেক আসার আগেই কলেজ অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ফেসবুকে বিস্ফোরক টিএমসিপি নেতা

    TMCP: অভিষেক আসার আগেই কলেজ অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ফেসবুকে বিস্ফোরক টিএমসিপি নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় শুক্রবার এসেছেন পূর্ব বর্ধমান জেলায়। তার আগে বৃহস্পতিবার জেলার মেমারি কলেজের অধ্যক্ষ দেবাশিষ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ এনে ফেসবুকে পোস্ট করলেন কলেজেরই ড্রপআউট হওয়া ছাত্র কুণাল ভট্টাচার্য (TMCP)। ওই ফেসবুক পোস্টে তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ট্যাগ করেছেন। যা নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে। 

    কী লেখা হয়েছে ওই ফেসবুক পোস্টে?

    ফেসবুক পোস্টে কুণাল ভট্টাচার্য (TMCP) লিখেছেন, মেমারি কলেজের প্রিন্সিপাল মাসিক ২ লাখ ৩০ হাজার টাকা বেতন পান। তবুও তিনি কলেজে না এসে অ্যাড সহকারে বাড়িতে টিউশন পড়ান। ছাত্র পিছু ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকা মাইনে নিয়ে থাকেন। যেখানে কোর্ট থেকে পুরোপুরি বলা আছে, একজন স্কুলটিচার বা শিক্ষক প্রাইভেট টিউশন পড়াতে পারবেন না, সেখানে একজন কলেজ প্রিন্সিপাল কীভাবে এইরকম ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন? এরাই আবার ডিএ-র (DA) জন্য আন্দোলনে বসে। নিজের লেখা বক্তব্যের সঙ্গে একটা ভিডিও ফেসবুক পোস্টে যুক্ত করে কুণাল সেটিকে প্রিন্সিপালের প্রাইভেট পড়ানোর ভিডিও বলে দাবি করেছেন। এমনকী কুণাল তাঁর গোটা ফেসবুক পোস্টটি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য অনুরোধও করছেন। 

    কী বললেন সেই কুণাল ভট্টাচার্য?

    এই ফেসবুক পোস্ট দেখার পর কুণাল ভট্টাচার্যর (TMCP) সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, তাঁর বাড়ি মেমারি থানার আমোদপুর গ্রামে। মেমারি কলেজের প্রিন্সিপালের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ এনে ফেসবুকে তিনিই পোস্ট করেছেন বলে কুণাল ভট্টাচার্য স্বীকার করে নেন। ‘নব জোয়ার’ কর্মসূচিকে সামনে রেখে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পূর্ব বর্ধমানে আসার আগে এমন পোস্ট কেন? এর উত্তরে কুণাল দাবি করেন, মেমারি কলেজের প্রিন্সিপালের কীর্তি আমার দলের সর্বোচ্চ নেতৃত্বের কাছে তুলে ধরার এটাই যথার্থ সময়। তাই বৃহস্পতিবার সেটাই করেছি। মেমারি কলেজের অধ্যক্ষ দেবাশিষ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়ে কুণাল ভট্টাচার্য দাবি করেন, “তৃণমূল কংগ্রেসের কাউকেই প্রিন্সিপাল সহ্য করতে পারেন না। কলেজের কোনও ছাত্র তৃণমূল ছাত্র পরিষদ (টিএমসিপি) করলে তাকেও প্রিন্সিপাল বিষনজরে দেখেন।” কুণালের দাবি, মেমারি কলেজে বিএ পাশ কোর্সে তিনি পড়তেন। কলেজে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ করতেন বলে তিনিও প্রিন্সিপাল দেবাশিষ চক্রবর্তীর বিষনজরে পড়েন। আর সেই কারণেই তাঁকে ২০২০ সালে ড্রপআউট হতে হয়। কুণালের আরও অভিযোগ, প্রিন্সিপাল বেশিরভাগ দিন কলেজে আসেন না। যেদিন প্রিন্সিপাল কলেজে আসেন, সেদিন তৃণমূল সমর্থক কোনও ছাত্রী কন্যাশ্রী বা রূপশ্রী প্রকল্পের সুবিধা পাবার জন্য ওনার কাছে কোনও নথিতে সই করাতে গেলে তাদের হতাশ হয়েই ফিরতে হয়। হাতে ব্যথা রয়েছে, এই অজুহাত খাড়া করে প্রিন্সিপাল সই করেন না। পাশাপাশি যে কোনও বিষয়েই প্রিন্সিপাল তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সমর্থক ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে অসহযোগিতা ও দুর্ব্যবহার করেন বলে কুণাল ভট্টাচার্যের অভিযোগ।

    কী জবাব দিলেন প্রিন্সিপাল?

    যদিও এই সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মেমারি কলেজের অধ্যক্ষ দেবাশিষ চক্রবর্তী। পাল্টা অভিযোগ এনে দেবাশিষবাবু বলেন, “এই কুণাল ভট্টাচার্য আসলে কলেজের প্রাক্তন টিএমসিপি (TMCP) নেতা তথা বর্তমান কলেজকর্মী মুকেশ শর্মার সাগরেদ। চক্রান্ত করে তাই কুণাল ভট্টাচার্য আমার নামে নানা মিথ্যা কথা লিখে ফেসবুকে পোস্ট করছে”। প্রিন্সিপাল এও বলেন, “আমি যখন রামপুরহাট কলেজে ছিলাম, তখন প্রাইভেট পড়াতাম। মেমারি কলেজে প্রিন্সিপাল পদে দায়িত্ব নেবার পর থেকে আমি প্রাইভেট পড়াই না। আমি প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে কলেজে আসি। বিকাল পাঁচটার পর কলেজ থেকে বের হই। আসলে সরকারি গাইডলাইন মেনে যথাযথভাবে কলেজ চালাচ্ছি, কোনও অনৈতিক কাজ করতে দিচ্ছি না, তাই অনেকের গাত্রদাহ হচ্ছে। তারই ফলশ্রুতি স্বরূপ ফেসবুকে আমাকে নিয়ে মিথ্যা কথা লেখা হচ্ছে। এতে কিছু যায় আসে না বলে দেবাশিষ চক্রবর্তী মন্তব্য করেছেন।

    প্রিন্সিপালের বিরুদ্ধে সরব তৃণমূল নেতৃত্বও

    অন্যদিকে মেমারি ১ নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি নিত্যানন্দ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “মেমারি কলেজের প্রিন্সিপাল দেবাশিষ চক্রবর্তী কলেজের কথা, ছাত্রছাত্রীদের কথা কিছুই ভাবেন না। উনি কলেজে স্বৈরাচারিতা চালিয়ে যাচ্ছেন। এর বিহিত হওয়া দরকার”।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: হাকিম বদলেও হুকুম বহাল! পুর নিয়োগ দুর্নীতিতে সিবিআইতে আস্থা বিচারপতি সিনহার

    Recruitment Scam: হাকিম বদলেও হুকুম বহাল! পুর নিয়োগ দুর্নীতিতে সিবিআইতে আস্থা বিচারপতি সিনহার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাকিম বদলেও হুকুম বহাল! পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Recruitment Scam) কলকাতা হাইকোর্টে বড়সড় ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার। এদিন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের দেওয়া নির্দেশই বহাল রাখলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। পুরসভার নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) মামলায় তদন্ত করবে সিবিআই, এমনই নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। প্রসঙ্গত এই একই নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় কিন্তু টিভি চ্যানেলে বিচারাধীন বিষয়ে সাক্ষাৎকার দেওয়াতে তাঁকে দুটি মামলা থেকে সরিয়ে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। যার মধ্যে একটি ছিল পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) মামলা। বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে যায় এই মামলা। অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় পুরসভার নিয়োগ দুর্নীতি মামলা থেকে সরতেই পুনর্বিবেচনার আরজি জানিয়ে উচ্চ আদালতে যায় রাজ্য সরকার। সেই মামলার শুনানি ছিল শুক্রবার কিন্তু এদিন একই নির্দেশ বহাল রাখলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। মামলার পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়ে রাজ্যের পক্ষ থেকে অ্যাডভোকেট জেনারেল বলেছিলেন, ‘‘ইডির আবেদনের ভিত্তিতে পুরসভার দুর্নীতি নিয়ে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কিন্তু পুরসভার মামলা ওই বিচারপতির (অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়) বিচারাধীন বিষয় নয় তবে তিনি কীভাবে নির্দেশ দিতে পারেন?’’এই পরিপ্রেক্ষিতে মামলাকারীদের আইনজীবীর বক্তব্য ছিল, ‘‘পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে শিক্ষা দুর্নীতি মিশে রয়েছে কারণ এখানে বিপুল আর্থিক দুর্নীতি হয়েছে, সুবিধাভোগীর বিরুদ্ধে ২০০ কোটি টাকা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।’’

    শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির (Recruitment Scam) তদন্তের সূত্র ধরেই উঠে আসে পুরসভার নিয়োগ দুর্নীতি

    শিক্ষক নিয়োগের দুর্নীতির (Recruitment Scam) তদন্তে নেমে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার হাতে গ্রেফতার হন বলাগড়ের তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সূত্র ধরে হদিশ পাওয়া যায় অয়ন শীলের। জানা গেছে প্রায় ৬০টিরও বেশি পুরসভায় বেআইনি নিয়োগ প্রক্রিয়া চলেছে অয়ন শীলের হাত ধরে। ইতিমধ্যে অয়নের বিপুল সম্পত্তির হদিশও মিলেছে যার বাজার মূল্য ২০০ কোটিরও বেশি বলে দাবি করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। পেট্রোল পাম্প, বিঘা-বিঘা জমি, অন্তত কুড়িটি ফ্ল্যাটের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে অয়নের নামে। ধৃতের ছেলে, ছেলের বান্ধবী এবং অয়নের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত শ্বেতা চক্রবর্তীকে জেরাও করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। এদিন নতুন বিচারপতির এজলাসে একই রায় বহাল থাকল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: ‘‘ঢাকি সমেত বিসর্জন’’! ৩৬ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের

    Calcutta High Court: ‘‘ঢাকি সমেত বিসর্জন’’! ৩৬ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাকরি খোয়ালেন ৩৬ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক। কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে চাকরি গিয়েছে এঁদের। এঁরা সকলেই ২০১৪ সালের টেট (TET) পরীক্ষার মাধ্যমে নিযুক্ত হয়েছিলেন। এঁরা অপ্রশিক্ষিতও। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়, এঁরা আগামী চার মাস স্কুলে যেতে পারবেন। তবে বেতন পাবেন প্যারা টিচার হিসেবে। রাজ্যকে তিন মাসের মধ্যে নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করে শেষ করতে হবে। তিনি জানান, যাঁদের চাকরি বাতিল হয়েছে, তাঁরা ইতিমধ্যেই প্রশিক্ষণ নিয়ে থাকলে নয়া নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন। প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিক সময়ে নিয়োগ দুর্নীতিতে অনেক ক্ষেত্রেই চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। তবে এত বিপুল পরিমাণ চাকরি আগে বাতিল হয়নি।

    কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) মামলা বিজেপি নেতার…

    টেটের মাধ্যমে নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে বলে ন’ বছর আগে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) মামলা করেছিলেন বিজেপি নেতা তথা আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি। তবে তিনি বলেছিলেন, “এই প্যানেলের ৪২ হাজার ৫০০ জনের নিয়োগ হয়েছিল। তবে সবাই যে বেআইনিভাবে চাকরি পেয়েছেন, তা নয়। কেউ কেউ পরীক্ষা দিয়ে মেধার ভিত্তিতেও চাকরি পেয়েছেন।” তিনি বলেছিলেন, “যাঁরা বেআইনিভাবে চাকরি পেয়েছিলেন, তাঁদের বিষয়ে তদন্ত করা হোক। তার পরেই এই মামলার তদন্তভার সিবিআইকে দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।”

    ওই বছর চাকরি না পেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ১৪০ জন অপ্রশিক্ষিত চাকরি প্রার্থী। তাঁদের দাবি, সম্প্রতি হাইকোর্টের নির্দেশে যে নম্বর বিভাজন সহ তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে, সেই তালিকায় দেখা যাচ্ছে তাঁদের থেকে কম নম্বর পেয়েও অনেক অপ্রশিক্ষিত প্রার্থী চাকরির সুপারিশপত্র পেয়েছেন। তার পরেই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় (Calcutta High Court) জানিয়েছিলেন, ২০১৬ সালের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ার পুরো প্যানেল বাতিল করে দেবেন। তিনি মন্তব্য করেছিলেন, “আমি ঢাকি সমেত বিসর্জন দিয়ে দেব।”

    আরও পড়ুুন: প্রথমবার অফিসিয়াল স্টেট ভিজিটে আমেরিকা যাচ্ছেন মোদি, জানুন সফরের গুরুত্ব

    এদিন যাঁরা চাকরি খোয়ালেন তাঁরা ছিলেন ৪২ হাজার ৫০০ জনের মধ্যেই। এঁরা যে সময় টেট দিয়েছিলেন, সেই সময় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের চেয়ারম্যান ছিলেন পলাশিপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য। পরে তাঁকে চেয়ারম্যানের পদ থেকে অপসারিত করা হয়। সুপ্রিম কোর্ট সাফ জানিয়েছিল, ওএমআর শিট জালিয়াতিতে আসল মাস্টারমাইন্ড মানিকই। দেখা গেল, তাঁর সময়ে হওয়া টেটের মাধ্যমে যাঁরা চাকরি পেয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে থেকেই চাকরি গেল ৩৬ হাজার জনের।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: পুলিশ অনুমতি দেয়নি! বাঁকুড়ার সিমলাপালে শুভেন্দুর সভায় সম্মতি হাইকোর্টের

    Suvendu Adhikari: পুলিশ অনুমতি দেয়নি! বাঁকুড়ার সিমলাপালে শুভেন্দুর সভায় সম্মতি হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) সভার জন্য অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। বাঁকুড়ার সিমলাপালে বিজেপি-র সভায় আপত্তি জানিয়েছিল পুলিশ। কিন্তু আদালত সম্মতি দিল। ফলে আগামী ১৭ মে দুপুর ৩টে থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত সভা করায় অনুমতি দিয়েছেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা।

    সিমলাপালে শুভেন্দুর সভা

    বাঁকুড়ার সিমলাপালে শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) মিছিল ও সভার (Public Meeting in Bankura) জন্য অনুমতি চেয়েছিল বিজেপি। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে তা দেয়নি রাজ্য পুলিশ। তাই কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছিল বিজেপি। শুক্রবার সেই মামলার শুনানিতে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা (Justice Rajasekhar Mantha) বলেন, রাজ্য সরকার যদি মনে করে শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) নিরাপত্তার জন্য আধা সামরিক বাহিনী মোতায়েন করতে হবে, তাহলে তাই করতে হবে। কিন্তু সভা করতে দিতে হবে। বিচারপতি মান্থা এদিন নির্দেশে বলেন, এর পর থেকে কোথাও সভা বা মিছিল করতে চাইলে অন্তত ১৫ দিন আগে আবেদন করতে হবে। পুলিশের কোনও বক্তব্য থাকলে তা ওই আবেদন জানানোর চার দিনের মধ্যে জানাতে হবে। এর অন্যথা যেন না হয়।

    আরও পড়ুুন: নন্দীগ্রামে গৃহযুদ্ধ! তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানের হুমকিতে ঘরছাড়া দলেরই পঞ্চায়েত সদস্য

    উল্লেখ্য, বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করার জন্যেই সরকারের নির্দেশে পুলিশ বাঁকুড়ায় সভা করার জন্য অনুমতি দেয়নি। এমনটাই অভিযোগ তুলেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। আর এই নিয়েই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল বিজেপি। দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো এদিন বলেন, “পুলিশের এখন প্রধান কাজ বিজেপিকে আটকানো। বিজেপির কর্মসূচী দেখে এ রাজ্যের শাসক দল আতঙ্কিত।” আগামী দিনে এর প্রভাব পঞ্চায়েত নির্বাচনে পড়বে বলে জানান তিনি। এটাই প্রথম নয়, এর আগেও শুভেন্দু অধিকারীর সভায় অনুমতি না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গত এপ্রিল মাসে শুভেন্দু অধিকারীর চন্দ্রকোনার সভার অনুমতি নিয়েও তৈরি হয়েছিল জটিলতা। পরে শর্তসাপেক্ষে সেই সভা করার অনুমতি দেয় হাইকোর্ট।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: “যখন ইচ্ছে আদালতে আসুন, কোনও রক্ষাকবচ নয়”! অভিষেকের আর্জি খারিজ হাইকোর্টে

    Calcutta High Court: “যখন ইচ্ছে আদালতে আসুন, কোনও রক্ষাকবচ নয়”! অভিষেকের আর্জি খারিজ হাইকোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কুন্তলের চিঠি মামলায় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে রক্ষাকবচ দিল না কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। কুন্তল ঘোষের চিঠি সংক্রান্ত মামলায় অব্যাহতি চেয়েছিলেন অভিষেক। এদিনের শুনানিতে বিচারপতির অমৃতা সিনহার সিঙ্গল বেঞ্চ স্পষ্ট করে দেন, ‘২৪ ঘণ্টা আদালত খোলা আছে। প্রয়োজন পড়লে আদালতে আসুন।’ মামলার পরবর্তী শুনানি হবে সোমবার। 

    স্বস্তি মিলল না

    নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতিতে ধৃত কুন্তল ঘোষ আদালতে (Calcutta High Court) যাওয়ার পথে দাবি করেছিলেন, তাঁর মুখ দিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম বলানোর জন্য চাপ দিচ্ছেন তদন্তকারীরা। অভিযোগ জানিয়ে নিম্ন আদালতে চিঠিও দেন কুন্তল। চিঠি দিয়েছিলেন হেস্টিংস থানাতেও। সেই চিঠি প্রসঙ্গে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের পর্যবেক্ষণ ছিল, ইডি কিংবা সিবিআই প্রয়োজনে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জেরা করতে পারে। এরপর সুপ্রিম কোর্ট ওই মামলা বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস থেকে সরিয়ে দেয়। সেই মামলা গিয়েছিল বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে। শুক্রবার সেখানেও স্বস্তি মিলল না অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের।

    রক্ষাকবচ দেওয়ার আর্জি

    এদিন শুনানিতে অভিষেকের আইনজীবী হাইকোর্টের (Calcutta High Court) পুরনো নির্দেশ পুনর্বিবেচনা করার আর্জি জানান। একই সঙ্গে তৃণমূল নেতাকে অন্তর্বর্তী রক্ষাকবচ দেওয়ার আর্জি জানান তাঁর আইনজীবী। এই সময়ের মধ্যে তদন্তকারী সংস্থা যাতে চরম পদক্ষেপ নিতে না পারেন, তার জন্যও আবেদন করেন অভিষেকের আইনজীবী। বৃহস্পতিবারই কুন্তল ঘোষের চিঠি সংক্রান্ত মামলা থেকে অব্যাহতি চেয়েছিলেন অভিষেক। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিন্‌হার বেঞ্চে তিনি এই আবেদন জানান।

    আরও পড়ুুন: নন্দীগ্রামে গৃহযুদ্ধ! তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানের হুমকিতে ঘরছাড়া দলেরই পঞ্চায়েত সদস্য

    হাকিম বদলালে, হুকুম বদলায় না

    অভিষেকের আইনজীবী বলেন, এই মামলায় কী ভাবে তাঁর মক্কেলের নাম জড়াল, সেটাই পরিষ্কার নয়। অভিষেকের বিরুদ্ধে অভিযোগটা ঠিক কী, তা-ও তাঁর জানা নেই বলে জানান তিনি। সেই বক্তব্য শুনে বিচারপতি অভিষেককে তদন্তে সহযোগিতা করার নির্দেশ দেন। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এ প্রসঙ্গে বলেন, “দেখুন হাকিম বদলালে, হুকুম বদলায় না। হুকুম একই থাকে। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চ থেকে মামলা সরে যাওয়ায় যারা আনন্দ করছিল, তা বন্ধ। এখন শোকের আবহ। তৈরি হয়ে থাকুন, সময় আসছে।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share