Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • RG Kar Protest: আরজি কর হাসপাতাল-পাড়ার ক্লাব ফেরাল সরকারি অনুদান, শুধুই ‘পুজো’ হবে, ‘উৎসব’ নয়

    RG Kar Protest: আরজি কর হাসপাতাল-পাড়ার ক্লাব ফেরাল সরকারি অনুদান, শুধুই ‘পুজো’ হবে, ‘উৎসব’ নয়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করকাণ্ড (RG Kar Protest) নিয়ে রাজ্য জুড়ে তোলপাড় চলছে। রাজ্যের একাধিক পুজো কমিটি তৃণমূল সরকারের দেওয়া পুজোর অনুদান প্রত্যাখ্যান করেছে।খোদ আরজি কর হাসপাতালের ইমার্জেন্সি ভবনের ঠিক উল্টো দিকের রাস্তায় রয়েছে বেলগাছিয়া যুব সম্মিলনী শারদোৎসব সমিতি নামে একটি ক্লাব। পুজোয় (Durga Puja) সরকারি অনুদান তারা ফিরিয়ে দিয়েছে।

     পুজো কমিটির কর্মকর্তাদের কী বক্তব্য? (RG Kar Protest)

    এবার বেলগাছিয়া যুব সম্মিলনীর (RG Kar Protest) পুজো ৮০ বছরে পদার্পণ করছে। উদ্যোক্তাদের তরফে জানানো হয়েছে, তাঁদের পরিকল্পনা ছিল, বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে পুজোকে অন্যান্য বারের থেকে আলাদা করে উপস্থাপিত করার। কিন্তু পুজো হচ্ছে একেবারে নমো নমো করে। পুজো কমিটির আহ্বায়ক রমেশ পাণ্ডে বলেন, “আমাদের দোরগোড়ায় এমন একটা ঘটনা ঘটে গিয়েছে। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, রাজ্য সরকারের দেওয়া অনুদান গ্রহণ করব না। ভৈরব মুখোপাধ্যায় লেনে আমাদের ক্লাবের পাশেই চায়ের দোকানে, পুরনো বাড়ির রোয়াকে আরজি করের জুনিয়র ডাক্তারেরা বসেন, নিজেদের মধ্যে গল্পগুজবও করেন। নির্যাতিতা চিকিৎসকও ওই পাড়ায় আসতেন, বসতেন। তাঁর নৃশংস এবং মর্মান্তিক মৃত্যুর পরে ‘মানবিক এবং সংবেদনশীল’ দৃষ্টিভঙ্গি থেকেই আমরা এ বার অনাড়ম্বর ভাবে পুজো করতে চলেছি।” তিনি আরও বলেন,” ইতিমধ্যেই স্থায়ী দুর্গা বেদিতে প্রতিমা এসে গিয়েছে। সপ্তমী এবং নবমীর দিন প্রতি বছর পঙ্ক্তিভোজন হয়। কিন্তু এ বার সে সব কিছুই হচ্ছে না। একই সঙ্গে হচ্ছে না সাংস্কৃতিক উৎসবও।” এলাকার মানুষজনের উদ্দেশে একটি বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। যে বার্তায় বলা হয়েছে, “দুয়ারে দুঃসময়।” আরজি করের উল্টো দিকের পাড়ায় শুধুই ‘পুজো’ হবে। ‘উৎসব’ নয়।

    আরও পড়ুন: শিশুকন্যাকে ধর্ষণ-খুনে ৬ বছর পর মিলল বিচার, তান্ত্রিকের মৃত্যুদণ্ড দিল আদালত

    নির্যাতিতার বাড়়ির পাশের পুজো কমিটি প্রত্যাখ্যান

    এর আগে বিভিন্ন জেলার বেশ কিছু পুজো কমিটি আরজি করের (RG Kar Protest) ঘটনার প্রতিবাদস্বরূপ রাজ্যের দেওয়া ‘দুর্গার ভান্ডার’ প্রত্যাখ্যান করেছে। সেই তালিকায় রয়েছে পানিহাটিতে নির্যাতিতার বাড়ির পাশের পাড়ার পুজো কমিটিও। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হল আরজি করের একেবারে উল্টো দিকের পুজো কমিটির নামও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Incident: নির্যাতিতার প্রতীকী মূর্তি আরজি কর হাসপাতালে, মহালয়ায় অসুর-নিধনের সুর

    RG Kar Incident: নির্যাতিতার প্রতীকী মূর্তি আরজি কর হাসপাতালে, মহালয়ায় অসুর-নিধনের সুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রায় ২ মাস অতিক্রান্ত, তবু বিচারের দাবি চলছেই। চলছে লড়াই। মহালয়ার দিন আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ (RG Kar Incident) হাসপাতালে নির্যাতিতা তরুণীর প্রতীকী মূর্তির উন্মোচনও সেই লড়াই-এর অংশ। উৎসব এলেও প্রতিবাদের ভাষা অটুট। এদিন আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে হাসপাতালের প্ল্যাটিনাম জুবিলি হলের সামনে বসানো হল নির্যাতিতার মূর্তি। মহালয়ায় দেবীপক্ষের সূচনা পর্বের দিনটিকেই মূর্তি স্থাপনের জন্য বেছে নেওয়া হয়। জুনিয়র চিকিৎসকদের সিদ্ধান্তেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

    প্রতীকী মূর্তির সামনেই বিচারের দাবি

    স্বাস্থ্য ভবনের অদূরে অবস্থান-বিক্ষোভের সময়েই জুনিয়র ডাক্তারেরা প্রতীকী মূর্তি উন্মোচনের কথা ঘোষণা করেছিলেন। জানানো হয়েছিল, মহালয়ার দিনেই মূর্তি উন্মোচন করা হবে আনুষ্ঠানিক ভাবে। সেই মতো বুধবার সকাল ১১টা নাগাদ মূর্তি উন্মোচিত হয়। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ (RG Kar Incident) হাসপাতাল চত্বরে বসানো হয়েছে সেই মূর্তি। প্রতীকী মূর্তির কাছে আন্দোলনের বিভিন্ন মূহূর্তের ছবিও টাঙানো হয়েছে। মূর্তি উন্মোচনের পাশাপাশি পথনাটিকার মধ্যে দিয়ে আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছেন আন্দোলনকারী চিকিৎসকেরা। কেউ কেউ ছবি এঁকে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। নাটকে-ছবিতে-ভাষ্যে মূর্তির সামনে তৈরি হয়েছে প্রতিবাদের মঞ্চ।

    আরও পড়ুন: ‘দেবীপক্ষ চলে এল, অসুর নিধন হবেই’, আরজি কর-কাণ্ডে বললেন নির্যাতিতার মা

    বিনা পারিশ্রমিকে মূর্তি নির্মাণ

    আন্দোলনকারী চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, ফাইবারের তৈরি মূর্তিটির সঙ্গে ধর্ষিতা এবং নিহত চিকিৎসক পড়ুয়ার চেহারার কোনও মিল নেই। এক নারীর যন্ত্রণার অভিব্যক্তি ফুটিয়ে তোলা হয়েছে আবক্ষ মূর্তিটিতে। ভাস্কর অসিত সাঁই বিনা পারিশ্রমিকে ফাইবার গ্লাসের এই মূর্তিটি তৈরি করে দিয়েছেন। সেই মূর্তির সামনে দাঁড়িয়ে নতুন করে লড়াইয়ের শপথ নিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। বার্তা দেওয়া হল, এই নারকীয় ঘটনার কথা যেন কেউ ভুলে না যায়। গত ৯ অগাস্ট আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হয়েছিল। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্ত ভার রয়েছে সিবিআইয়ের হাতে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Arambagh: শিশুকন্যাকে ধর্ষণ-খুনে ৬ বছর পর মিলল বিচার, তান্ত্রিকের মৃত্যুদণ্ড দিল আদালত

    Arambagh: শিশুকন্যাকে ধর্ষণ-খুনে ৬ বছর পর মিলল বিচার, তান্ত্রিকের মৃত্যুদণ্ড দিল আদালত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করে চিকিৎসক ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়। এই ঘটনা নিয়ে দেশজুড়ে আন্দোলন হয়েছে। এখনও জুনিয়র ডাক্তাররা বিচারের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। এই আবহের মধ্যে এবার চার বছরের শিশুকন্যাকে খুন করে ধর্ষণ করার ঘটনায় ঐতিহাসিক রায় দিল আরামবাগ আদালত। ঘটনায় অভিযুক্ত তান্ত্রিকের স্ত্রীকে মৃত্যুদণ্ড দিল আরামবাগ (Arambagh) আদালত। পাশাপাশি খুনের ঘটনায় সহযোগিতা করার অভিযোগে শিশুকন্যার দিদিমা সুশীলা মাঝিকে আজীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিলেন বিচারক কিষেণ কুমার আগরওয়াল। অপরদিকে, অভিযুক্ত তান্ত্রিকের জেল হেফাজতে থাকাকালীন মৃত্যু হয়েছে। আদালতে এই রায়দান নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল? (Arambagh)

    তন্ত্রসাধনার বলি হয়েছিল এক শিশুকন্যা। ঘটনাটি ২০১৮ সালের ২ ফেব্রুয়ারির। খানাকুলের (Arambagh) বাসিন্দা ওই শিশুকন্যার বাবা তাঁর চার বছরের মেয়ের নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ দায়ের করেন খানাকুল থানায়। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্ত শুরু করে। নিখোঁজ শিশুকন্যার খোঁজে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালায় পুলিশ। অবশেষে খানাকুলেই প্রতিবেশী এক ব্যক্তির বাড়ির শৌচালয়ের চেম্বারের মধ্যে থেকে মুখে গামছা বাঁধা অবস্থায় ওই শিশুকন্যাকে উদ্ধার করা হয়। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, মৃত শিশুকন্যার দিদিমা স্থানীয় ওই তান্ত্রিকের তন্ত্রসাধনার জন্য তাঁর নিজের নাতনিকে দিয়ে দেন। জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে, ওই তান্ত্রিক ও তাঁর স্ত্রী প্রথমে ওই শিশুকন্যাকে ধর্ষণ করে। পরে, তার মৃতদেহ স্থানীয় এক ব্যক্তির বাড়ির শৌচালয়ের চেম্বারের মধ্যে ফেলে দেয়। শিশুকন্যাকে খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ঘটনার পরেই অভিযুক্ত তিনজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তারপর থেকে টানা প্রায় ছ’বছর ধরে এই ঘটনার বিচার-প্রক্রিয়া চলে। এই ঘটনায় একাধিক সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। এদিন এই অভিযোগের রায়দান করেন বিচারক। ইতিমধ্যেই শুনানি চলাকালীন জেল হেফাজতেই শারীরিক অসুস্থতার জেরে মৃত্যু হয় অভিযুক্ত তান্ত্রিকের।

    আরও পড়ুন: ‘দেবীপক্ষ চলে এল, অসুর নিধন হবেই’, আরজি কর-কাণ্ডে বললেন নির্যাতিতার মা

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Protest: নির্যাতিতার বিচারের দাবিতে রাজ্য জুড়ে ভোর দখল, হল গণতর্পণ

    RG Kar Protest: নির্যাতিতার বিচারের দাবিতে রাজ্য জুড়ে ভোর দখল, হল গণতর্পণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করকাণ্ডে রাত দখলের সাক্ষী ছিলেন রাজ্যবাসী। সামিল হয়েছিলেন হাজার হাজার মহিলারা। উমা আসছেন। পিতৃপক্ষের অবসান করে সূচনা হল দেবীপক্ষের। চারদিকে পুজো পুজো গন্ধ। এই আবহে নির্যাতিতার বিচারের দাবি ভোলেননি সাধারণ মানুষ। তাই তো মহালয়ার দিনে দিকে দিকে উঠল বিচারের দাবি। কোথাও ভোর দখল (RG Kar Protest) করলেন মহিলারা, কোথাও আবার নির্যাতিতার বিচার চেয়ে তাঁর উদেশেও তর্পণ (Tarpan) করা হল।

    বিচারের দাবিতে হল গণতর্পণ (RG Kar Protest)  

    মহালয়া দিন সকালবেলায় ডায়মন্ড হারবার রোডের ধারে বেহালা থানার উল্টো দিকে আরজি করে নির্যাতিতার (RG Kar Protest) খুনের ঘটনা পথ নাটিকা করে দেখালেন জোকা ইএসআইয়ের জুনিয়র ডাক্তাররা। পথচলতি মানুষ সবাই সেই নাটক দেখলেনও। মহালয়ার তিথিতে ভোর থেকেই উপচে পড়া ভিড় বাঁকুড়া শহর লাগোয়া গন্ধেশ্বরী নদীর সতীঘাটে। মন্ত্রোচ্চারণের মধ্য দিয়ে পিতৃপুরুষের উদ্দেশে তর্পণ নিবেদন চলছে। পিতৃপুরুষের প্রতি তর্পণের ভিড়েও এ দিন উঠল নির্যাতিতার বিচারের দাবি। তাঁর আত্মার শান্তি কামনায় এদিন গণতর্পণ নিবেদন করেন একদল মানুষ।

    আরও পড়ুন: ‘দেবীপক্ষ চলে এল, অসুর নিধন হবেই’, আরজি কর-কাণ্ডে বললেন নির্যাতিতার মা

    বিচার চেয়ে ভোর বেলায় মিছিল

    দেবীপক্ষের সূচনাতেই নতুন করে আন্দোলনের চিত্র শ্রীরামপুরে। দেবীপক্ষকে স্বাগত জানাতে ভোর থেকেই ঢাক নিয়ে প্লাকার্ড হাতে প্রতিবাদে রাস্তায় মহিলারা। শ্রীরামপুর বটতলা থেকে শুরু হয় মিছিল (RG Kar Protest)। শেষ হয় শ্রীরামপুর তিন নম্বর ঘাটে। সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ যোগ দেয় এই প্রতিবাদ মিছিলে। অন্যদিকে, মাতৃ পক্ষের সূচনাতেই রাত্রি বারোটার পর মশাল জ্বালিয়ে দেবীকে আহ্বান করলেন মেদিনীপুর শহরের একদল মানুষ। নির্যাতিতার বিচার চেয়ে রাত থেকে ভোর পর্যন্ত জেগে প্রতিবাদ প্রদর্শন করলেন সাধারণ মানুষ। পথনাটিকা, আদিবাসী নৃত্য, কবিতা, আবৃত্তি, স্ট্রিট পেন্টিং সহ বিভিন্ন মাধ্যমে প্রতিবাদে মুখর হন মেদিনীপুর শহরের মানুষ। বিচার না পাওয়া পর্যন্ত ঠিক এভাবেই প্রতিবাদে বিভিন্ন মাধ্যমে রাস্তায় থাকবেন বলেই শপথ নিলেন শহরে মানুষ।

    ভোরবেলায় নির্যাতিতার বিচার চেয়ে পদযাত্রা

    আলিপুরদুয়ারেও (RG Kar Protest) এদিন ভোরদখল করা হয় আলিপুরদুয়ার নাগরিক সমাজের তরফে। মহালয়ার ভোরে আলিপুরদুয়ারে গান্ধীমূর্তির পাদদেশে আলিপুরদুয়ার নাগরিক সমাজের উদ্যোগে শুরু হয় ভোর দখল। ভোর ৪ টা থেকে এই কর্মসূচি চলে। আরজি করকাণ্ডে বিচার চেয়ে, দোষীদের শাস্তির দাবিতে আলিপুরদুয়ার নাগরিক সমাজ ভোর দখলে নামে। বহু মহিলা এদিন এই ভোরদখলে অংশ নেন। চুঁচুড়া ঘড়ির মোড়েও আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদ দেখা যায়। “পুজোয় আছি, প্রতিবাদেও আছি” বন্ধু সমাজের ডাকে এক অভিনব প্রতিবাদের আয়োজন করা হয়। দুর্গার ছবিতে ধূপ-ধুনো-মোমবাতি জ্বেলে ভোর দখলের মাধ্যমে মহালয়া পালন করা হয়। চুঁচুড়া অন্নপূর্ণা ঘাট থেকে বকুলতলা তর্পন ঘাট পর্যন্ত পদযাত্রা করা হয়।

    শহরজুড়ে মিছিল

    বুধবার ভোরে নদীয়ার নবদ্বীপ শহরেও নাগরিক সমাজ ও প্রাক্তনীদের পক্ষ থেকে ভোর দখল (RG Kar Protest) করা হয়। এদিন ভোর আনুমানিক সাড়ে পাঁচটা থেকে শহরের ব্যস্ততম এলাকা রাধাবাজার মোড় এলাকায় অনুষ্ঠিত হয় প্রতিবাদ কর্মসূচি। পরে, শহর জুড়ে এক প্রতিবাদী মিছিলও হয়, যার  শহরের পাঁচমাথা মোড়, সরকার পাড়া হয়ে বুড়োশিবতলা এলাকায় সমাপ্তি হয়। এদিন মিছিল থেকে একাধারে যেমন নির্যাতিতার বিচারের বিলম্ব নিয়ে বিভিন্ন স্লোগান ওঠে, পাশাপাশি সামগ্রিক ঘটনা নিয়ে রাজ্য সরকার তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রীকেও তদন্তের আওতায় আনার দাবি ওঠে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Incident: ‘দেবীপক্ষ চলে এল, অসুর নিধন হবেই’, আরজি কর-কাণ্ডে বললেন নির্যাতিতার মা

    RG Kar Incident: ‘দেবীপক্ষ চলে এল, অসুর নিধন হবেই’, আরজি কর-কাণ্ডে বললেন নির্যাতিতার মা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিন বছর আগে তার কথাতেই বাড়িতে দুর্গাপুজো শুরু হয়েছিল। আর এখন সে নেই। পুজোর সুর এবার বড়ই বিষাদের আরজি কর কাণ্ডে নির্যাতিতার (RG Kar Incident) মায়ের কাছে। পুজোর ঠিক দুই মাস আগে তাঁর গৌরী চলে গিয়েছে। এখনও বিচারের আশায় দিন গুনছেন তাঁরা। মহালয়ার দিন সকালে তাই অশ্রুসজল চোখেই বিচারের অপেক্ষায় তিলোত্তমার মা। বললেন, “দেবীপক্ষের শুরু, বিচারের লড়াইও শুরু। অসুর নিধন হবেই।”

    মহালয়ার ভোরটা হাসপাতালেই কাটত

    দেবীপক্ষের শুরুতে মেয়ের সঙ্গে পুজোর স্মৃতি ভাগ করে নিলেন নির্যাতিতার (RG Kar Incident) মা। বললেন,”কোনও কোনও বার মহালয়ার ভোরটা ওর হাসপাতালেই কাটত। কোনও কোনও বার ভোরে মহালয়া শুনেই বেরিয়ে যেত। তিন বছর আগে মেয়ে হঠাৎ বলল, মা চলো না, বাড়িতে দুর্গাপুজো করি! ধমক দিয়ে বলেছিলাম, পাগল হয়েছিস? দুর্গাপুজোয় প্রচুর খাটনি মা! মেয়ে বলেছিল, তুমি চিন্তা কোরো না। দু’জনে মিলে করলে ঠিক হয়ে যাবে। তুমি ভোগ রান্না করবে আর আমি পুজোর দিকটা সব সামলে নেব। সেই শুরু। পর পর দু’বার কী ভালোভাবে যে আমাদের বাড়ির পুজোটা হয়ে গেল, বলে বোঝাতে পারব না। গ্যারাজেই প্রতিমা পাতা হল। বাড়ির সামনে প্যান্ডেল। প্রতিদিন লোকজন খেত। আত্মীয়েরা সব চলে আসত মেয়ের ডাকে। ওর মতো মিশুকে মেয়ে হয় না। ওর মধ্যে এমনই মায়া যে কেউ ওর কথা ফেলতে পারত না।”

    আরও পড়ুন: বন্যার জন্য মমতা দায়ী করেছিলেন কেন্দ্রকে, বৈরিতা ভুলে মোদিই রাজ্যকে দিলেন ৪৬৮ কোটি টাকা!

    অঞ্জলি দিয়েই রোগীর বাড়ি

    মানুষকে ভালোবাসার চেয়ে বড় পুজো হয় না, এই বিশ্বাসই আশ্রয় ছিল তিলোত্তমার (RG Kar Incident)। অঞ্জলি দিতে বসেও রোগীর ডাক এলে উঠে যেত মেয়ে, বলছেন নির্যাতিতার মা। তাঁর কথায়, “প্রতিমা বিসর্জন না হওয়া পর্যন্ত মেয়ের পুজো বলতে ছিল বাড়ি। সকলকে নিয়ে আনন্দ। বিসর্জনের পরে একটু মন খারাপ থাকত ওর। আবার ব্যস্ত হয়ে যেত নিজের কাজে। বলত, মা অনেকে এই পুজোর সময়ে খুব কষ্ট পান। ডাক্তারেরা থাকেন না অনেকেই এই সময়ে। তাই পুজোতেও রোগীর ডাক এলে উঠে যেত।” এখন কেউ ফোন করে মেয়ের নাম ধরে কথা বলতে চাইলে বুকটা কেঁপে ওঠে মায়ের। তাঁর কথায়, “যে নামের আগে ডিগ্রি পাওয়ার জন্য এত লড়াই করল মেয়েটা, সেই নামটাই এখন মুছে গিয়েছে। লোকে ওকে অভয়া, তিলোত্তমা বলে ডাকছে। আমার মেয়ের নামটাই মুছে গিয়েছে। এখন শুধুই অপেক্ষা। অসুর নিধনের।” 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BJP: মমতা জমানায় নারী নির্যাতনের বধ্যভূমি বাংলা! ‘ব্ল্যাক পেপার’ বই প্রকাশ রাজ্য বিজেপির

    BJP: মমতা জমানায় নারী নির্যাতনের বধ্যভূমি বাংলা! ‘ব্ল্যাক পেপার’ বই প্রকাশ রাজ্য বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর-কাণ্ডে উত্তাল বাংলা। এই আবহে মমতা জমানায় নারী নির্যাতনের ঘটনাগুলিকে তুলে ধরে বই প্রকাশ করল গেরুয়া শিবির। যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘ব্ল্যাক পেপার’। মঙ্গলবারই এই বই প্রকাশ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয় বিজেপির (BJP) রাজ্য সদর দফতরে। গেরুয়া শিবির (BJP) সূত্রে খবর, আরজি করের ঘটনার পাশাপাশি গত তেরো বছরের নারী নির্যাতনের ঘটনাগুলির জেলাভিত্তিক পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয়েছে বইটিতে। বইটি তৈরি করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছেন এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান চিত্তরঞ্জন মণ্ডল, অধ্যাপক বিমলশঙ্কর নন্দ, অধ্যাপক অয়ন বন্দ্যোপাধ্যায়, সাংবাদিক জয়ন্ত গুহ ও ডাক্তার মধুছন্দা কর। যে ঘটনাগুলির ক্ষেত্রে রাজ্য এফআইআর নেয়নি, সেরকম কিছু ঘটনাও ‘ব্ল্যাক পেপার’-এ উঠে এসেছে।

    কী বলছেন শমীক ভট্টাচার্য?

    জানা গিয়েছে, বিজেপি (BJP) পুজোয় যে স্টল দিচ্ছে, সেখানে এই ‘ব্ল্যাক পেপার’ থাকবে। মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে মমতার আমলে নারী নির্যাতনের পরিসংখ্যান। এ প্রসঙ্গে বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘২০১১ সালের আগে পশ্চিমবঙ্গে যে রাজনৈতিক অবস্থানে ছিলাম, সেখানে সকলেরই এক যুক্তি ছিল, ‘ধানতলা-বানতলা সরকার আর নেই দরকার’। ২০১১ সালের পর মানুষ গণতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠার স্বার্থে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নির্বাচিত করেন। ২০১১ সালের পর আমরা কী পেয়েছি আর পাইনি? তা নিয়েই আজ ব্ল্যাক পেপার বইটি প্রকাশ করা হচ্ছে।

    নারী নির্যাতনে রাজ্যকে দেশের মধ্যে শীর্ষে নিয়ে যায় মমতা সরকার

    প্রসঙ্গত, ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পরের বছরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল সরকার বাংলাকে (West Bengal) নারী নির্যাতনে দেশের মধ্যে শীর্ষস্থানে নিয়ে যায়। ২০১১-তে এ রাজ্যে নারী নির্যাতন সংক্রান্ত ২৯,১৩৩টি মামলা দায়ের হয়েছিল। ২০১২ সালে সেটা বেড়ে গিয়ে দাঁড়িয়েছিল ৩০,৯৪২। পর পর দু’বার নারী নির্যাতনে দেশের মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করায় ক্ষুব্ধ হয়ে এনসিআরবি-কে তথ্য পাঠাতেই নিষেধ করেছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। অনেকেই বলছেন, ‘‘মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর আমলে নারী নির্যাতনের বধ্যভূমিতে পরিণত হয়েছে বাংলা (West Bengal)। এতে কোনও সন্দেহ নেই।’’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BJP: আরজি কর ইস্যুতে উত্তাল বাংলা, বিজেপিকে আন্দোলনের রূপরেখা করে দিলেন শাহ-নাড্ডা

    BJP: আরজি কর ইস্যুতে উত্তাল বাংলা, বিজেপিকে আন্দোলনের রূপরেখা করে দিলেন শাহ-নাড্ডা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর ইস্যুতে উত্তাল হয়েছে বাংলা। জন-আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছে গ্রাম থেকে শহরে। সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রকেই অংশগ্রহণ করতে দেখা গিয়েছে এই আন্দোলনে। এই আবহে লাগাতার কর্মসূচি নিয়েছে বিজেপি (BJP)। আরজি কর ইস্যুতে নবান্ন অভিযানে ছাত্র সমাজের ওপর পুলিশ লাঠিচার্জ করলে, তার পরের দিনই বনধ ডাকে গেরুয়া শিবির। ব্যাপক সাড়া পড়ে যায় বিজেপির ডাকা বনধে। এই অবস্থায় সংগঠনের পরবর্তী কর্মসূচির রূপরেখা ঠিক করতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) ও বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার সঙ্গে বৈঠক করলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

    পুজো মিটলেই ফের বাড়বে আন্দোলনের ঝাঁঝ (BJP) 

    সূত্রের খবর, আরজি কর ইস্যুতে বিজেপির (BJP) আন্দোলনের ঝাঁঝ আরও বাড়তে চলেছে। পুজো মিটলেই আরও বড় কর্মসূচি নিতে চলেছে রাজ্যের গেরুয়া শিবির। কারণ আরজি কর ইস্যুতে মানুষের মধ্যে সরকার বিরোধী ব্যাপক ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। আরও জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) ও বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি জেপি নাড্ডার সামনে আরজি করের পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের বিস্তারিত রিপোর্ট তুলে ধরেন সুকান্ত মজুমদার ও শুভেন্দু অধিকারী।

    রাজ্যে পুজো উদ্বোধনে অমিত শাহ?

    এর পাশাপাশি চলতি বছরে দুর্গাপুজোয় (BJP) অমিত শাহের কর্মসূচি চূড়ান্ত করতেও একপ্রস্থ আলোচনা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। সোমবার রাতের এই বৈঠকে একাধিক রাজ্যের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে বসেছিলেন অমিত শাহ। জেপি নাড্ডার বাসভবনেই এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, আরজিকর কাণ্ডে পুরোপুরি ব্যাকফুটে চলে গিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। সন্ত্রাস থেকে দুর্নীতি ইস্যু তো রয়েছেই, তার সঙ্গে নতুন করে মমতা সরকারের গলার কাঁটা হয়েছে আরজি কর। এরপর ২৬ সালে রয়েছে বিধানসভা নির্বাচন। তাই তার আগে এখন থেকেই সেই ভোটকে পাখির চোখ করতে শুরু করে দিয়েছেন গেরুয়া শিবিরের নেতারা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।
     

  • Electricity: প্রদীপের আলো, গ্যাসবাতি থেকে বিদ্যুৎ! কলকাতায় প্রথম আলো জ্বলে ওঠার ইতিহাস জানেন কি?

    Electricity: প্রদীপের আলো, গ্যাসবাতি থেকে বিদ্যুৎ! কলকাতায় প্রথম আলো জ্বলে ওঠার ইতিহাস জানেন কি?

    হরিহর ঘোষাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতার বুকে তখনও আলো (Electricity) আসেনি। লোডশেডিং-এর গল্প তখনও অজানা। তখন সন্ধ্যা নামতেই সর্বত্র অন্ধকার ঘুলঘুলি। রাস্তাগুলিতে আলোর লেশমাত্র থাকত না বিকেলের পর থেকে। ঊনিশ শতক শুরুর আগে শহরের রাস্তায় কোনও পথ-বাতি ছিল না। সন্ধ্যা নামলেই দরজা বন্ধ হত গৃহস্থের। কলকাতায় তখনও আলো ছিল না, আলো থাকলেও সন্ধ্যাবেলা শুধুমাত্র গৃহস্থের বাড়িতে রেড়ির বীজের তেলে প্রদীপ জ্বলত। পরে, শহরে এল গ্যাসবাতি। তারপর দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান, লন্ডনের পর কলকাতা শহরে জ্বলল আলো।

    মশাল ভরসা (Electricity)

    কলকাতার (Kolkata) রাস্তা জুড়ে তখন অন্ধকারের মালা। সন্ধ্যার অন্ধকার নামলেই সব যেন নিস্তব্ধ, নীরব। তা বলে কি রাতে কারোর বাইরে বেরোনোর দরকার পড়ত না? তখন উপায় কী হত! পাটকাঠির ওপর মশাল জ্বেলে নিতেন বাড়ির পুরুষ সদস্যরা। সাধারণত কেউ অসুস্থ হলে বা কেউ বিপদে পড়লে প্রয়োজন পড়ত এই মশালের। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অনেকজন একসঙ্গে বের হতেন, নইলে মশাল হয়ে উঠত সন্দেহের কারণ।

    গ্যাসবাতির আলো জ্বলত কলকাতায়

    কলকাতার আগে যে শহরের রাস্তায় আলো জ্বলে (Electricity) উঠেছিল, সেটা হল লন্ডন। ১৮০৭ সালে লন্ডনের রাস্তায় প্রথম গ্যাসবাতির আলো জ্বলে। ১৮২২ সালের ২২শে মার্চ একটি বাংলা দৈনিকে প্রথম লন্ডনের রাস্তায় আলো জ্বলার খবর প্রকাশিত হয়। সেখানে লেখা হয়-“ইংলণ্ড দেশে নল দ্বারা একপ্রকার কল তৈরি হয়েছে, সেখান থেকে বায়ু নির্গত হয়ে রাত্রিকে আলোকিত করে।” দৈনিক পত্রিকাটির খবর কলকাতা শহরে আলোড়ন সৃষ্টি করে। তবে, আলোড়নের ফলাফল পেতে সময় লেগেছিল প্রায় পঞ্চাশ বছর। ১৮৫৭ সালের জুলাই মাসে কলকাতার রাস্তায় আলো আসে। সে আলো ছিল গ্যাসবাতির আলো। শোনা যায়, কলকাতা পুরসভার মুটে সন্ধ্যা হতে না হতেই মই নিয়ে ল্যাম্পপোস্টে উঠত, তারপর ভালো করে কাপড় দিয়ে মুছে গ্যাস ভরত, তারপর দেশলাই দিয়ে আলো জ্বালাত। রাস্তার ঝলমলে দিনের গল্প শুরু তখন থেকেই। আলো জ্বালাতে ব্যবহার করা হত কয়লার গ্যাস। সেই গ্যাস আসত ওরিয়েন্টাল গ্যাস কোম্পানি থেকে। পরে, পাইপলাইনের মাধ্যমে উচ্চবিত্তের বাড়িতেও পৌঁছে গিয়েছিল গ্যাসবাতি। আর এই যাত্রা শুরু হয়েছিল মূলত শোভাবাজার রাজবাড়ি থেকে।

    গ্যাসবাতিকে হারিয়ে শহরে এল বিদ্যুৎ

    গ্যাসবাতির একচেটিয়া রাজত্বে হানা দেয় বৈদ্যুতিক বাতি। প্রথম বিদ্যুতের আলো (Electricity) এল ১৮৭৯ সালের ২৪ জুলাই। পি ডব্লু ফ্লিউরি অ্যান্ড কোম্পানি এ শহরে প্রথম বিদ্যুতের আলো জ্বালে। বছর দুয়েক পরে ১৮৮১ সালের ৩০ জুন গার্ডেনরিচের কটন মিলে ৩৬টি বাল্ব জ্বালায় ‘দে শীল অ্যান্ড কোম্পানি’। এ সবই চলছিল পরীক্ষামূলকভাবে। বড় পরিবর্তনটা এল আর কয়েক বছর পরে। ততদিনে টমাস আলভা এডিসনের সৌজন্যে ইংল্যান্ড ও আমেরিকার ঘরে ঘরে বিদ্যুতের আলো জ্বলতে শুরু করেছে। তখন ১৮৮৯ সাল। বৈদ্যুতিক বাতির রমরমা শুরু হয় তারপর থেকে। ১৮৯৯ সালের ১৭ এপ্রিল থেকে কলকাতা শহরে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়। কলকাতায় প্রথম যে রাস্তা বৈদ্যুতিক আলোর সংস্পর্শে এসেছিল, তা হল হ্যারিসন রোড বর্তমানে যা মহাত্মা গান্ধী রোড। প্রায় তিন বছর ধরে এই রাস্তায় আলো বসানোর কাজ চলেছিল। ১৮৯৫ সালে ক্যালকাটা ইলেকট্রিক লাইটিং অ্যাক্ট পাশ করেছিল তদানীন্তন ব্রিটিশ সরকার। তারপর বৈদ্যুতিক আলোকে আজ পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি। ১৮৯৭ সালের ৭ জানুয়ারি একুশ বছরের জন্য শহরকে আলোকিত করার লাইসেন্স পেয়েছিল ইন্ডিয়ান ইলেকট্রিক কোম্পানি লিমিটেডের এজেন্ট কিল্বার্ণ অ্যান্ড কোম্পানি। কোম্পানির কাজকর্ম অবশ্য চলত লন্ডন থেকেই। মধ্য কলকাতার প্রিন্সেপ স্ট্রিটের কাছে ইমামবাগ লেনে প্রথম বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র তৈরি করা হয়।

    লন্ডনের মতো এই শহরে ছিল বিদ্যুতের দাম

    তখন কলকাতায় বিদ্যুতের (Electricity) দাম ছিল লন্ডনের মতোই। প্রতি ইউনিট এক টাকা। বিদ্যুত এসে কলকাতাকে অনেকটা বদলে দেয়। হাত পাখার জায়গা নেয় ইলেকট্রিক ফ্যান। ঘোড়ায় ট্রানা ট্রামের বদলে শুরু হয় বিদ্যুৎচালিত ট্রাম। কিন্তু, তখনও অনেকে বিদ্যুতের বদলে গ্যাসবাতির পক্ষে রায় দেন। ১৯১৩ সালে কলকাতা শহরে বসে ঘরোয়া ভোটাভুটির আসর। গুরুসদয় রোডের নাম তখন ছিল বালিগঞ্জ স্টোর রোড। সেখানে, গ্যাসবাতি নাকি বিজলিবাতি, এ নিয়ে হয় ভোটাভুটি। তাতে বিজলিবাতি হেরে যায়। উজ্জ্বলতা এবং খরচের দিক থেকে গ্যাসবাতি অনেকের পছন্দ। কিন্তু, তাতে বিশেষ লাভ হয়নি। কারণ,  ততদিনে সকলে এটাও বুঝে যান, কলকাতা শহরে নতুন যুগ শুরু হয়ে গিয়েছে। বিদ্যুতের যুগ। রবীন্দ্রনাথের কথায় “কেরোসিনের আলো পরে যখন এল তার তেজ দেখে আমরা অবাক।” ১৯৩৩ সালে সিইএসসি-র সদর দফতর কলকাতায় চলে আসে। ধর্মতলার ভিক্টোরিয়া হাউস। পরবর্তীকালে, কলকাতা শহরতলিতে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়। গ্রামে গ্রামে পৌঁচ্ছে যায় বিদ্যুৎ। কলকাতা শহরে গ্যাস বাতি আসার পর খুব বেশিদিন রাজত্ব করতে পারেনি। তবে, কলকাতা শহরে বিদ্যুৎ আসার পর শতাধিক বছর ধরে এই শহরের রাজপথ আলোকিত করার দায়িত্ব নিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sexual Harassment: কল্যাণীর জওহরলাল নেহরু মেডিক্যালে ছাত্রীকে যৌন নির্যাতন, গ্রেফতার অধ্যাপক

    Sexual Harassment: কল্যাণীর জওহরলাল নেহরু মেডিক্যালে ছাত্রীকে যৌন নির্যাতন, গ্রেফতার অধ্যাপক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর হাসপাতালে (RG Kar Incident) মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করার রাতেই আরও একটি নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে রাজ্য। অভিযোগ, কল্যাণীর এক মেডিক্যাল কলেজের ছাত্রীকে যৌন নির্যাতন করেছিলেন এক অধ্যাপক। ৯ অগস্ট রাতে কল্যাণীর জওহরলাল নেহরু মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের এক ছাত্রীকে যৌন নির্যাতন করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। নির্যাতিতা মেডিক্যাল কলেজের ওই বিভাগীয় প্রধানের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। যার ভিত্তিতে পুলিশ ওই অধ্যাপককে গ্রেফতার করেছে।

    কী অভিযোগ

    ঘটনাটি ঘটেছিল কল্যাণীর জওহরলাল নেহরু মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। জানা গিয়েছে, নির্যাতিতা ওই কলেজের মাইক্রোবায়োলজির দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। তিনি কলেজের বিভাগীয় এক অধ্যাপকের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। তার ভিত্তিতে অধ্যাপককে গ্রেফতার করে পুলিশ। সেই সময় আরজিকর কাণ্ড নিয়ে তোলপাড় হয়ে উঠেছিল রাজ্যসহ গোটা দেশ। জানা গিয়েছে, দ্বিতীয় বর্ষের নির্যাতিতা ছাত্রী আরজিকর নিয়ে প্রতিবাদ আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলেন। প্রতিবাদ আন্দোলনের মঞ্চেই তিনি কেঁদে ফেলেছিলেন। সহকর্মীদের তিনি এবিষয়ে জানান। পরে সহকর্মীদের কাছ থেকে সাহস পেয়ে তিনি স্থানীয় থানায় অধ্যাপকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। গত ১৩ অগস্ট অভিযোগ জানিয়েছিলেন তিনি। তার ভিত্তিতে অধ্যাপককে গ্রেফতার করে পুলিশ।

    আরও পড়ুন: ‘‘ওকেও উৎসব মণ্ডল করে দেব’’, ধৃত বাংলাদেশি হিন্দুকে মারার চেষ্টা মুসলিমদের

    জামিনের আর্জি খারিজ

    এই ঘটনায় অভিযুক্তকে আদালতে তোলা হলে বিচারক তার জামিন খারিজ করে দেন। পরে কলকাতা হাইকোর্টে জামিনের আবেদন জানান অভিযুক্ত অধ্যাপক। অভিযুক্তের আইনজীবী আদালতে বলেন, এমন কিছুই ঘটেনি সেদিন রাতে। ছাত্রীর সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল খানিকটা। এরপর বিচারপতি শুভ্রা ঘোষ বলেন, যেহেতু চার্জশিট ফাইল হয়ে গেছে, এবার ছাত্রীর সাক্ষ্য গ্রহণ হবে, তাই এই অবস্থায় জামিন দেওয়া যাবে না। জানা গিয়েছে এই বিষয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ জমা পড়েছিল। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তৎকালীন অধ্যক্ষ তদন্ত করতে একটি কমিটি গঠন করেন। একদিনের মধ্যেই তার রিপোর্টও জমা পড়ে। সেই রিপোর্টও পুলিশের কাছে পাঠানো হয়েছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kashmir Mange Azadi Slogan: ডাক্তারদের মিছিলে ‘কাশ্মীর মাঙ্গে আজাদি’ স্লোগান, রিপোর্ট গেল শাহের মন্ত্রকে

    Kashmir Mange Azadi Slogan: ডাক্তারদের মিছিলে ‘কাশ্মীর মাঙ্গে আজাদি’ স্লোগান, রিপোর্ট গেল শাহের মন্ত্রকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডাক্তারদের মিছিলে উঠল ‘কাশ্মীর মাঙ্গে আজাদি’ স্লোগান (Kashmir Mange Azadi Slogan)। আরজি করকাণ্ডের প্রতিবাদে ওই মিছিল হচ্ছিল। ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক (Amit Shah)। মন্ত্রকের নির্দেশে দিল্লিতে প্রাথমিক রিপোর্ট পাঠাল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। সোমবারই রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে শাহের মন্ত্রকে।

    রিপোর্ট স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে (Kashmir Mange Azadi Slogan)

    সূত্রের খবর, মিছিলের উদ্যোক্তাদের পরিচয়, স্লোগান দেওয়া ব্যক্তিরা কোন সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত, উদ্দেশ্য প্রণোদিত না বিক্ষিপ্তভাবে ওই স্লোগান দেওয়া হয়েছে – এ সব বিষয়েই জানতে চাওয়া হয়েছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে। সেই রিপোর্টই পাঠানো হয়েছে দিল্লিতে। এ বিষয়ে আরও বিশদে তদন্ত করে রিপোর্ট পাঠানো হতে পারে বলে সূত্রের খবর। ইতিমধ্যেই পাটুলি থানায় দেশদ্রোহিতার অভিযোগে এফআইআর দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে কলকাতা পুলিশ।

    ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত

    মঙ্গলবার, ১ অক্টোবর শেষ দফার নির্বাচন ছিল জম্মু-কাশ্মীরে (Kashmir Mange Azadi Slogan)। এহেন আবহে খোদ কলকাতার বুকে কাশ্মীর মাঙ্গে আজাদি স্লোগানের বিষয়টিকে বিচ্ছিন্নভাবে দেখতে রাজি নন গোয়েন্দারা। সূত্রের খবর, ঘটনায় যাদবপুরের কয়েকজন প্রাক্তনী গোয়েন্দাদের নজরে রয়েছে। অতীতেও তাঁদের বিরুদ্ধে নানা সময় দেশবিরোধী স্লোগান দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রে খবর, এই স্লোগানের নেপথ্যে ষড়যন্ত্র থাকতে পারে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত ১৫-২০ জনকে চিহ্নিত করে ছবি-সহ বিস্তারিত তথ্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে পাঠিয়ে দিয়েছেন গোয়েন্দারা।

    আরও পড়ুন: ‘‘ওকেও উৎসব মণ্ডল করে দেব’’, ধৃত বাংলাদেশি হিন্দুকে মারার চেষ্টা মুসলিমদের

    গত ১০ বছর পরে তিন দফায় বিধানসভা নির্বাচন হচ্ছে কাশ্মীরে। প্রথম দফার নির্বাচন হয়েছে ১৮ সেপ্টেম্বর। শেষ দফার নির্বাচন হয়েছে মঙ্গলবার। ২০১৯ সালে জম্মু-কাশ্মীর থেকে রদ হয় ৩৭০ ধারা। অবলুপ্তি হয় ৩৫এ ধারাও। তার পর এই নির্বাচনে হাত উপুড় করে ভোট দিয়েছেন কাশ্মীরিরা। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সেটাই গাত্রদাহের কারণ ‘দেশদ্রোহী’দের। সেই কারণেই তারা এহেন স্লোগান দিয়েছে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “কাশ্মীরের সাধারণ মানুষ আজাদি চায় না। তারা ভারতবর্ষকে নিয়ে খুশি আছে।” তিনি বলেন, “অতি বামেরা মূল আন্দোলনকে হাইজ্যাক করার চেষ্টা করছে। সেটা করা হচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অঙ্গুলিহেলনেই। কারণ তারা জানে, এই স্লোগানগুলো উঠলে সাধারণ মানুষ (Amit Shah) আন্দোলন থেকে পিছিয়ে আসবে (Kashmir Mange Azadi Slogan)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share