Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Health Card: স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে মিলছে না পরিষেবা! নতুন কার্ড করতেও অনীহা, কোথায় জানেন?

    Health Card: স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে মিলছে না পরিষেবা! নতুন কার্ড করতেও অনীহা, কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাস্থ্যসাথী কার্ড (Health Card) ফিরিয়ে দিচ্ছে নার্সিংহোম। এই প্রকল্প চালু হওয়ার পর থেকেই এমনই অভিযোগ। স্বাস্থ্যসাথী (Health Card) কার্ড নার্সিংহোমগুলি না নেওয়ার কারণেই কী সাধারণ মানুষ আর এই কার্ড করতে চাইছেন না? সদ্য সমাপ্ত ১০ দিনের দুয়ারে সরকার শিবিরে দার্জিলিং জেলায় স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের জন্য আবেদন কম পড়ায় এই প্রশ্ন জোরালো হয়ে উঠেছে। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে মানুষ আর প্রতারিত হতে চাইছেন না বলেই কী আর নতুন করে কেউ আবেদন করছেন না?

    কী বলছেন স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের (Health Card) উপভোক্তারা?

    সরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেও স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের (Health Card)  সুবিধা পাচ্ছেন না গরিব মানুষ। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে চিকিৎসার সুবিধা না পাওয়ারও অনেক অভিযোগ রয়েছে। মেডিক্যাল মোড়ের বাসিন্দা বিজয় ছেত্রীর পা ভেঙেছিল। সম্প্রতি উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তাঁর পায়ে অস্ত্রোপচার হয়। তার মা মীনা ছেত্রী বলেন, আমরা গরিব। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নেয়নি। ধারদেনা করে ৩৩ হাজার টাকা দিয়ে বাইরে থেকে প্লেট, স্ক্রু কিনে দেওয়ার পর আমার ছেলের অস্ত্রোপচার হয়। বাগডোগরার আমির ওরাওঁয়েরও একই অভিযোগ। তিনি বলেন, আমার বাবার স্পাইনালকর্ডে অস্ত্রোপচার হয়েছে। স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে না নেওয়ায় বাইরে থেকে ৫৮ হাজার টাকার প্লেট, স্ক্রু সহ বিভিন্ন চিকিৎসা সরঞ্জাম কিনে দিতে হয়েছে আমাকে। কার্ডে কোনও পরিষেবা মেলেনি।

    খোদ সরকারি হাসপাতালেও কেন মিলছে না এই কার্ডের (Health Card) সুবিধা ?

    উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপার ডাঃ সঞ্জয় মল্লিক বলেন, যে ওষুধের দোকান এবং এজেন্সির মাধ্যমে আমরা স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের সুবিধা গরিব মানুষকে দিতাম তাদের প্রচুর টাকা বকেয়া পড়ে রয়েছে। তাই, সেই এজেন্সি এবং ফার্মাসি আমাদের আর ওষুধ দিচ্ছে না। এ কারণেই স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের সুবিধা আমরা দিতে পারছি না। নার্সিংহোমগুলিরও একই বক্তব্য।

    টক টু মেয়র ফোন ইন অনুষ্ঠানেও স্বাস্থ্যসাথী কার্ড (Health Card)  নিয়ে কী অভিযোগ করা হল মেয়রকে?

    প্রতি শনিবার টক টু মেয়র ফোন ইন অনুষ্ঠান হয়। আর সেই অনুষ্ঠানে শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেবকেও স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে এমন অভিযোগ প্রায়শই শুনতে হচ্ছে। ১৫ এপ্রিল শিলিগুড়ি পুরসভার ৪৭ নম্বর ওয়ার্ডের গৃহবধূ পায়েল দে মেয়র গৌতম দেবকে ফোনে জানান, মাটিগাড়ার একটি নার্সিংহোমে তাঁর স্বামীর হৃদরোগের ব্যয়বহুল চিকিৎসা চলছে। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিচ্ছে না নার্সিংহোম।

    কী বললেন জেলাশাসক?

    দার্জিলিংয়ের জেলাশাসক এস পন্নমবালম বলেন, পয়লা এপ্রিল থেকে দার্জিলিং জেলায় ১০ দিনের দুয়ারে সরকার শিবিরে প্রথম ন’দিনে মোট প্রায় ৬৫ হাজারের কিছু বেশি আবেদন জমা পড়েছে। তারমধ্যে মাত্র ১০ হাজারের কিছু বেশি স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের আবেদন জমা পড়েছে। গতবারের তুলনায় এই সংখ্যাটা অনেকটাই কম।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপির শিলিগুড়ি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তথা মাটিগাড়া-নকশালবাড়ির বিধায়ক আনন্দময় বর্মন বলেন, রাজনৈতিক কারণে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রের আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প এরাজ্য গ্রহণ করেনি। স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প চালু করলেও রাজ্য সরকারের চরম আর্থিক সঙ্কটের কারণে সেই টাকা দিতে পারছেন না। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড (Health Card) নিয়ে মানুষ চিকিৎসা করাতে গিয়ে প্রতারিত হচ্ছেন। মুখ্যমন্ত্রী টাকার জন্য কেন্দ্রের কাছে দরবার করেন, ধর্নায় বসেন। তাহলে গরিব মানুষকে আয়ুষ্মান ভারত কার্ডে বিনামূল্যে চিকিৎসার সুযোগ থেকে কেন বঞ্চিত করছেন? মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন সাধারণ ও গরিব মানুষকে কেন্দ্রর প্রাপ্য সুবিধা থেকে আর বঞ্চিত করবেন না। আয়ুষ্মান ভারত কার্ডে গরিব মানুষকে বিনামূল্যে চিকিৎসার সুযোগ নিতে দিন।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব

    তৃণমূলের দার্জিলিং জেলা (সমতল) সভানেত্রী পাপিয়া ঘোষ বলেন, স্বাস্থ্যসাথী কার্ড (Health Card) নার্সিংহোম ফিরিয়ে দিচ্ছে এমন অভিযোগ আমরা পেয়েছি। শিলিগুড়ি শহর সহ জেলার বেশকিছু নার্সিংহোম স্বাস্থ্য সাথীর কার্ড গ্রহণ করছে না। আমাদের সঙ্গে যেসব মানুষ যোগাযোগ করেন তাদের সমস্যার সমাধানের উদ্যোগ নিই। কিন্তু, তারজন্য এবারের স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে আবেদনপত্র কম জমা পড়েছে এটা ঠিক নয়। আসলে সকলেরই প্রায় স্বাস্থ্যসাথী কার্ড (Health Card) হয়ে গিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • SSC Scam: নিয়োগকাণ্ডে এপর্যন্ত গ্রেফতার ৩, ‘‘তৃণমূলের ১০০ বিধায়ক এজেন্টের কাজ করেছে’’! দাবি শুভেন্দুর

    SSC Scam: নিয়োগকাণ্ডে এপর্যন্ত গ্রেফতার ৩, ‘‘তৃণমূলের ১০০ বিধায়ক এজেন্টের কাজ করেছে’’! দাবি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতির (SSC Scam) ইস্যুতে রাজ্যের শাসক দলকে আবারও একহাত নিলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁর দাবি, তৃণমূলের ১০০ জন বিধায়ক এজেন্টের কাজ করেছেন। এই একশো জনের তালিকায় কয়েকজন প্রাক্তন বিধায়কও রয়েছেন। যাঁরা, ২০১৬ সালে টিকিট পাননি। আজ, সোমবার ভোরেই নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার করা হয়েছে তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহাকে। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এই নিয়ে তিন তৃণমূল বিধায়ককে গ্রেফতার করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এভাবে চলতে থাকলে আগামী ৬-৮ মাসের মধ্যে বিধানসভায় তৃণমূলের বিধায়ক সংখ্যা ১০০-য় নেমে যেতে পারে, বলে কটাক্ষ শুভেন্দুর।

    শুভেন্দুর দাবি

    রাজ্যের বিরেধী দলনেতা, শুভেন্দু বলেন, ‘আমি ওদের (তৃণমূল) সঙ্গে ২১ বছর ছিলাম। এই পার্টির সম্পর্কে অন্য অনেকের থেকে বেশি ধারণা আমার রয়েছে। তৃণমূলের অন্তত ১০০ জন বিধায়ক এজেন্টের (SSC Scam) কাজ করেছেন। তবে, সব তদন্ত কোমরের নীচে হচ্ছে, এবার কোমরের উপরে উঠতে হবে।’ শুভেন্দুর অভিযোগ, ওই জনপ্রতিনিধিরা চাকরি দেওয়ার নামে টাকা তুলেছেন। এক এক জন নেতা কেউ ১৫ লাখ, কেউ ১৬ লাখ, কেউ ১৮ লাখ টাকা করে তুলেছেন বলে দাবি বিরোধী দলনেতার। শুভেন্দুর কথায়,‘সব টাকা তাঁরা পাননি। কলকাতায় ৮-১০ লাখ টাকা করে পৌঁছে দিয়েছেন। আর বাকি কেস পিছু ৫-৬ লাখ টাকা করে নিজেরা রেখেছেন।’

    মেধা চুরি হয়েছে

    শুভেন্দু বলেন, ‘পার্থ চট্টোপাধ্যায়, মানিক ভট্টাচার্য জেলে রয়েছেন। জীবন কৃষ্ণ সাহা, কানাই মণ্ডল, তাপস সাহার তদন্ত চলছে। অখিল গিরি প্রায় হাইকোর্টের দরজার কাছে ঘোরাঘুরি করছেন। উত্তর দিনাজপুরে গৌতম নামে একজন বিধায়ক, পুরুলিয়ায় সুশান্ত নামে একজন বিধায়ক… অসংখ্য বিধায়ক এজেন্টের কাজ করেছেন। নিজের পরিবারের লোককে চাকরি দিয়েছে এবং চাকরি বিক্রি করেছেন। মেধা চুরি হয়েছে।’ 

    আরও পড়ুন: ৬৫ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার! আজই আদালতে পেশ করা হবে তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহাকে

    অগাধ সম্পত্তি জীবনকৃষ্ণের

    প্রসঙ্গত, এর আগে বেহালা পশ্চিমের বিধায়ক (অপসারিত) পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং পলাশীপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যকে নিয়োগ দুর্নীতি (SSC Scam) মামলায় গ্রেফতার করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। দু’জনেই বর্তমানে জেলবন্দি। সেই তালিকাতেই নয়া সংযোজন বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ। সম্পত্তির নিরিখে প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং তাঁর বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কেও পিছনে ফেলে দিতে পারেন বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। তদন্তকারীদের প্রাথমিক অনুমান, অন্তত পক্ষে ৩ হাজার চাকরি প্রার্থী থেকে টাকা নিয়ে নিয়োগ দুর্নীতি করেছিলেন জীবনকৃষ্ণ। এই প্রার্থীদের থেকে ৬ থেকে ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত টাকা নিয়েছিলেন তিনি। বিধায়ক একাই ৩০০ কোটি টাকার ওপরের দুর্নীতি করে থাকতে পারেন বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Weather Report: বেলা বাড়তেই বইবে লু! কতদিন চলবে তাপপ্রবাহ? কী বলছে হাওয়া অফিস?

    Weather Report: বেলা বাড়তেই বইবে লু! কতদিন চলবে তাপপ্রবাহ? কী বলছে হাওয়া অফিস?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তীব্র গরমে নাজেহাল রাজ্যবাসী। ৪০ ডিগ্রি পার করেছে পারদ, আপাতত তা নামার কোনও সম্ভাবনা নেই বলেই জানিয়েছে হাওয়া অফিস (Weather Report)। ইতিমধ্যে কলকাতা সমেত  দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলা এবং উত্তরবঙ্গের মালদা ও দুই দিনাজপুরে সোমবার তাপপ্রবাহের সর্তকতা জারি করেছে আবহাওয়া দফতর। বেলা যত গড়াবে ততই বাড়বে লু। দরকারি কাজ না থাকলে এই সময় বাইরে বেরতে নিষেধ করছেন চিকিৎসকরা।

    সোমবার থেকে আবহাওয়া শুকনো থাকবে, তাপপ্রবাহ চলবে বৃহস্পতিবার অবধি

    গত দু দিন জলীয় বাষ্প ঢুকে পড়ায় আর্দ্রতা জনিত অস্বস্তি ছিল। সেই প্রভাব কেটে গিয়ে সোমবার থেকে ফের শুকনো আবহাওয়া (Weather Report) দেখা যাবে, এমনটাই জানাচ্ছেন হাওয়া অফিসের আধিকারিকরা। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই তাপপ্রবাহ চলবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর (Weather Report)। আরও চার-পাঁচ দিন দাবদাহ চলবে দক্ষিণবঙ্গে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত তাপপ্রবাহ বজায় থাকবে। গরম ও অস্বস্তিকর আবহাওয়া থাকতে পারে শুক্রবার পর্যন্ত, এমনই আশঙ্কার কথা শোনালো আবহাওয়া দফতর (Weather Report)। তাপমাত্রার উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন না হলেও একইরকম পরিস্থিতি বজায় থাকবে আরও ৩-৪ দিন।

    বৃষ্টির দেখার মিলবে না আপাতত

    আপাতত বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে। রীতিমতো শুকনো ও অস্বস্তিকর গরমে ভুগতে হবে বাসিন্দাদের। বিভিন্ন জেলায় তাপমাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় দুই থেকে পাঁচ ডিগ্রি পর্যন্ত বেশি থাকবে। কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত। বেলা বাড়লেই লু বইবে। আজ সোমবার থেকে আরও একটু তাপমাত্রা বাড়বে। দক্ষিণবঙ্গ এবং উত্তরবঙ্গ প্রায় সব জেলাতেই ১ থেকে ২ ডিগ্রি তাপমাত্রা বাড়তে পারে।

    কলকাতার আবহাওয়া

    উত্তরবঙ্গেও ৪০ ডিগ্রি ছুঁয়েছে পারদ। পার্বত্য ২-৩টি জেলা ছাড়া উত্তরবঙ্গের বাকি জেলাগুলিতে তাপপ্রবাহের মতো পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে সোমবার। মালদা ও দুই  দিনাজপুরে লু বইবার সম্ভাবনা রয়েছে। কলকাতায় গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছুঁয়েছে ৩৯.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। স্বাভাবিকের তুলনায় যা ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। আজ সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রাও ২৯.১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠে গিয়েছে। যা স্বাভাবিকের তুলনায় ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ক্রমশ কমছে। গত ২৪ ঘণ্টায় কলকাতার বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ছিল ২৪ থেকে ৮৫ শতাংশ। আগামী ২৪ ঘণ্টায় শহরের তাপমাত্রা থাকতে পারে ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • SSC Scam: ৬৫ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার! আজই আদালতে পেশ করা হবে তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহাকে

    SSC Scam: ৬৫ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার! আজই আদালতে পেশ করা হবে তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহাকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানা ৬৫ ঘণ্টার জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সোমবার ভোরে সিবিআই-এর হাতে গ্রেফতার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা (Jiban Krishna Saha)। নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে তিন দিন ধরে বড়ঞার তৃণমূল বিধায়কের বাড়িতে ম্যারাথন তল্লাশি চালায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকেরা। এরপর সোমবার ভোর ৫টা নাগাদ তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। প্রথমে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় দুর্গাপুরে সিবিআই ক্যাম্পে। জীবনকৃষ্ণের গাড়ি দুর্গাপুরে থামিয়ে তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানোর পর কলকাতায় নিজাম প্যালেসের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে সিবিআই কনভয়। আজই তাকে পেশ করা হবে আলিপুর আদালতে। জীবনকৃষ্ণের বিরুদ্ধে নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে (SSC Scam) অসহযোগিতা, তথ্য প্রমাণ লোপাটের মতো অভিযোগ রয়েছে।

    নাটকীয়তায় ভরা গ্রেফতারি পর্ব

    শুক্রবার বেলা ১২.৩০ থেকে টানা জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করা হল জীবনকৃষ্ণ সাহাকে। প্রথমে পাঁচিল টপকে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক। তারপর পুকুরে মোবাইল ফোন ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছিলেন। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। ৩৭ ঘণ্টা ধরে বিধায়কের বাড়ির পিছনের পুকুর ছেঁচে উদ্ধার হয় একটি ফোন। সিবিআই সূত্রে খবর, উদ্ধার হওয়া মোবাইলটি অবশ্য জীবনের নয়, বরং তা তাঁর স্ত্রীর। জীবনের আরও একটি ফোনের খোঁজ চলছে। তাঁর বাড়িতে ৫টি ব্যাগ থেকে মিলেছে নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত (SSC Scam) একাধিক নথি। তিনদিন ধরে কার্যত সিবিআই-এর নজরবন্দি হয়েছিলেন তৃণমূলের এই বিধায়ক।

    ঘটনার ঘনঘটা

    রবিবার রাতেই জীবনকৃষ্ণকে গ্রেফতারির প্রক্রিয়া শুরু করে সিবিআই। রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ তাঁর বাড়ির বাইরে নিরাপত্তা কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেওয়া হয়। রাত ১টা নাগাদ জীবনের বাড়িতে রাজ্য পুলিশের নিরাপত্তাও যুক্ত করা হয়। এর পর রাত ২টো ৩৫ মিনিট নাগাদ কলকাতা থেকে কেন্দ্রীয় সংস্থার ৪ জন উচ্চপদস্থ আধিকারিক জীবনকৃষ্ণের বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেয়। তাঁদের সঙ্গে ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনীর দু’টি গাড়ি। রাত ৩টে নাগাদ জীবনকৃষ্ণকে আরও এক দফা জিজ্ঞাসাবাদ করেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। ভোর ৪টে ১০ মিনিট নাগাদ বাড়িতেই বিধায়কের পরিবারের সদস্য অর্থাৎ মা এবং স্ত্রীকে ডেকে পাঠানো হয়। তাঁদের হাতে অ্যারেস্ট মেমো তুলে দেয় সিবিআই। ৪টে ৫০ মিনিট নাগাদ সেই মেমোতে স্বাক্ষর করেন বিধায়কের স্ত্রী টগরি সাহা। ভোর ৫টা ১৮ মিনিট নাগাদ জীবনকৃষ্ণকে নিয়ে বাড়ি থেকে বেরোন সিবিআইয়ের আধিকারিকেরা। মোট ৬টি গাড়ির কনভয় তাঁকে নিয়ে কলকাতার উদ্দেশে রওনা হয়। 

    আরও পড়ুন: সিবিআই হানার পরই নতুন দল ঘোষণা করলেন বিভাস অধিকারী! কী নাম নতুন দলের?

    বাড়ির ভিতরেই‘ওয়্যার রুম’

    সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, এসএলএসটির নিয়োগ প্রক্রিয়ার (SSC Scam) ডেটাবেস পুরোটাই পাওয়া গেছে বিধায়কের বাড়ি থেকে, যার মধ্যে রয়েছে তাঁর সুপারিশে চাকরি পাওয়া প্রার্থীদের তথ্য। নবম-দশম শ্রেণির চাকরিপ্রার্থীদের রোল নম্বর সহ অন্তত ৩,৪০০ জন চাকরিপ্রার্থীর নথি পাওয়া গেছে জীবনকৃষ্ণের বাড়ি থেকে। সূত্রের খবর, বাড়ির ভিতরেই একটি ঘরকে ‘ওয়্যার রুম’ বানিয়ে রেখেছিলেন বিধায়ক। হাই স্পিড ইন্টারনেট কানেকশন থাকা সেই ঘরটিতে ছিল একাধিক কম্পিউটার, ল্যাপটপ, ও তিনটি নোটপ্যাড। যেগুলির মধ্যে দুটি নোটপ্যাড বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। একটি সিঁদুর কৌটোর ভিতর মোবাইলের মেমোরি কার্ড লুকিয়ে রেখেছিলেন জীবনকৃষ্ণ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CBI: সিবিআই হানার পরই নতুন দল ঘোষণা করলেন বিভাস অধিকারী! কী নাম নতুন দলের?

    CBI: সিবিআই হানার পরই নতুন দল ঘোষণা করলেন বিভাস অধিকারী! কী নাম নতুন দলের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার দিনভর নলহাটির কৃষ্ণপুর গ্রামে তৃণমূলের প্রাক্তন ব্লক সভাপতি বিভাস চন্দ্র অধিকারীর বাড়িতে সিবিআই (CBI) তল্লাশি হয়। সারাদিন ধরে তাঁকে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ করেন সিবিআই আধিকারিকরা। তাঁর তৈরি আশ্রমেও হানা দেয় সিবিআই (CBI)। সারাদিন ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর বিভাসবাবুর কাছে থেকে সিবিআই আধিকারিকরা দুটি পুরানো মোবাইল নিয়ে যায়। এই ঘটনার ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতে নতুন ঘোষণা করলেন তৃণমূলের প্রাক্তন ব্লক সভাপতি।

    কী ঘোষণা করলেন বিভাস অধিকারী?

    পঞ্চায়েত ভোটের আগে নতুন দল তৈরির কথা ঘোষণা করলেন  তৃণমূলের প্রাক্তন ব্লক সভাপতি বিভাস চন্দ্র অধিকারী। রবিবার বিকেলে নলহাটির কৃষ্ণপুর গ্রামে তাঁর ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের আশ্রমে নতুন দলের আত্মপ্রকাশ করে। নতুন দলের নাম দেওয়া হয় সাড়া ভারত আর্য মহাসভা। দলের সর্বভারতীয় সভাপতি হয়েছেন তিনি নিজেই।  শনিবার নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে বিভাসবাবুর আশ্রম এবং বাড়িতে তল্লাশি চালায় সিবিআই (CBI)। তারপরেও এদিনের নতুন দল গঠনের অনুষ্ঠানে উপস্থিতি ছিল চোখে পরার মতো। বিশেষ করে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপস্থিতি ছিল নজর কারা। যাদের অধিকাংশই তৃণমূল কর্মী সমর্থক। ফলে, তৃণমূলের ঘরে ভাঙন ধরাবে বলে রাজনৈতিক মহল মনেকরছে। দলের আত্মপ্রকাশের পর বিভাস চন্দ্র অধিকারী  বলেন, “আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে আমার দল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। পঞ্চায়েতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলে কোন দলের ক্ষতি হবে বা কোন দলের লাভ হবে সেটা আমাদের দেখার বিষয় নয়। তবে, দলের মূল লক্ষ্য হবে আর্য ভারত গঠন। মানুষকে সঠিক দিশা দিতে এই দল কাজ করে যাবে”। তিনি আরও বলেন, আমরা কয়েক দিনের মধ্যে বীরভূম জেলায় একটা সভা করব। এরপর কলকাতার বুকে সভা করা হবে।  আমাদের দলে যে কেউ আসতে পারে। আমরা কোনও সম্প্রদায় নিয়ে দল করি না। ঠাকুর অনুকূল চন্দ্র চেয়েছিলেন আর্য মহাসভা নামে দল গঠন হোক। যে দলের কাজ হবে মানুষকে সঠিক দিশা দেখানো। আমরা ঠাকুরের সেই ইচ্ছাকে সম্মান দিয়ে এগিয়ে নিয়ে যাব।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Scam: গোঘাটে পথশ্রী প্রকল্পের কাজ বন্ধ করে দিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা! কেন জানেন?

    Scam: গোঘাটে পথশ্রী প্রকল্পের কাজ বন্ধ করে দিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা! কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন, তার আগেই পথশ্রী প্রকল্পে দুর্নীতিতে (Scam) জেরবার হুগলির গোঘাট-১ নম্বর ব্লক। আর এই দুর্নীতির (Scam) জন্যই এই ব্লকের একাধিক রাস্তার কাজ বন্ধ করে দিচ্ছে গ্রামের মানুষ। তৃণমূল নেতাদের কাটমানির জন্য এত দুর্নীতি (Scam) বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। নিম্নমানের বালি দিয়ে ভরাট করে অল্প পরিমাণ সিমেন্ট দিয়ে ঢালাই করা হচ্ছে রাস্তা। আর চোখের সামনে এই ঘটনা ঘটতে থাকে শুক্রবারই জগত্পুর এলাকায় রাস্তার কাজ বন্ধ করে দেন এলাকাবাসী। পরে, প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়ার জন্য বলা হয়। পরে, এলাকাবাসীর দাবি মেনে ফের রাস্তার কাজ শুরু হয়। তবে, ঠিকাদারের কথা মতো নয়, এলাকাবাসীর নজরদারিতে শনিবার থেকে রাস্তা সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে। শনিবার গোবিন্দপুর গ্রামে পথশ্রী প্রকল্পের রাস্তা বন্ধ করে দেন এলাকাবাসী।

    এদিন ঠিক কী হয়েছিল গোবিন্দপুর গ্রামে?

    গোঘাটের গোবিন্দপুর থেকে দক্ষিণপাড়া পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার রাস্তার হাল অত্যন্ত খারাপ। পথশ্রী প্রকল্পে রাস্তা তৈরির কাজ শনিবার শুরু হয়। আর সেই কাজ ঘিরেই গ্রামবাসীরা ক্ষুব্ধ। তাঁদের অভিযোগ,  নিম্মমানের বালি দিয়ে রাস্তা তৈরি করা হচ্ছে। ঢালাই করার পর রাস্তার একাংশ ফেটে যাচ্ছে। ফলে, কাজের গুণগত মান কেমন তা বোঝাই যাচ্ছে। এদিন গ্রামবাসীরা জোটবদ্ধ হয়ে রাস্তা তৈরির কাজ বন্ধ করে দেন।

    এলাকাবাসীর আন্দোলন নিয়ে কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বেহাল রাস্তা তৈরির জন্য তৃণমূল নেতাদের কাটমানিকে দায়ী করেছেন বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপি নেত্রী দোলন দাস বলেন, আসলে এসবের পিছনে তৃণমূল নেতাদের কাটমানির খেলা আছে বলেই ঠিকাদাররা নিম্মমানের কাজ করছেন। আমরা তাঁদের দাবিকে সমর্থন করি। আমরা চাই, সঠিক গুণগত সামগ্রী ব্যবহার করে রাস্তা তৈরির কাজ হোক।

    কী বললেন গোঘাট-১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি?

    এই ঘটনায় দুর্নীতি (Scam) বরদাস্ত করা হবে না বলে জানান গোঘাট-১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মনোরঞ্জন পাল। তিনি বলেন, সঠিক সামগ্রী দিয়েই কাজ করানো হবে। দ্রুত পঞ্চায়েত সমিতির একটি টিম ওই রাস্তা পরিদর্শন করে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। কারণ, পথশ্রী প্রকল্পে এই ধরনের দুর্নীতি (Scam) আমরা কোনওভাবে মেনে নেব না।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CBI: তৃণমূলের প্রাক্তন ব্লক সভাপতি বিভাস অধিকারীর বাড়িতে সিবিআই হানা, সিল করা হল কলকাতার ফ্ল্যাট

    CBI: তৃণমূলের প্রাক্তন ব্লক সভাপতি বিভাস অধিকারীর বাড়িতে সিবিআই হানা, সিল করা হল কলকাতার ফ্ল্যাট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নববর্ষের দিন সকালেই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এবার সিবিআই (CBI) স্ক্যানারে তৃণমূলের নলহাটির ২ নম্বর ব্লকের প্রাক্তন সভাপতি বিভাস অধিকারী। মূলত প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তল্লাশি চালাচ্ছে সিবিআই। শনিবার সকাল থেকে তাঁর নলহাটির কৃষ্ণপুরের বাড়ি এবং কলকাতার আমহার্স্ট স্ট্রিটের ফ্ল্যাটে সিবিআই (CBI) আধিকারিকরা হানা দেন। আর একদল হানা দিয়েছে বিভাসের আশ্রমেও। সার্চ ওয়ারেন্ট নিয়ে বিভাসের আশ্রমেও যায় সিবিআই। দফায় দফায় জেরা করা হচ্ছে বিভাসকেও। বিভাসের আমহার্স্ট স্ট্রিটের ফ্ল্যাট সিল করে দেয় সিবিআই। কলকাতার ফ্ল্যাটেই বিভাসের বেঙ্গল টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের সিটি অফিস ছিল। এই ফ্ল্যাটে নীল বাতি লাগানো গাড়িতে চড়ে মাঝেমধ্যে তিনি আসতেন। এদিন কলকাতার ফ্ল্যাটের চাবি না পেয়ে সিল করে দেন সিবিআই (CBI) আধিকারিকরা।

    কে এই বিভাস অধিকারী?

    বরাবরই বীরভূমের নলহাটির বাসিন্দা বিভাস অধিকারী। স্ত্রী, সন্তান নিয়ে গ্রামের বাড়িতে থাকতেন তিনি। গ্রামে তাঁর পেল্লাই বাড়ি রয়েছে। তাঁর তিনটে পরিচয় রয়েছে। প্রথমত, অত্যন্ত ধার্মিক হিসেবেই এলাকায় পরিচিত বিভাস। নিজের হাতে তিনি একটি আশ্রম তৈরি করেছেন। পাশাপাশি রাজনীতিতেও সক্রিয় তিনি। নলহাটি ২ নম্বর ব্লকের তৃণমূলের সভাপতি ছিলেন। এখন তিনি ওই পদে নেই। তবে, শাসক দলের সঙ্গে তাঁর যোগ রয়েছে। যদিও বিভাসের দাবি, শারীরিক অসুস্থতার কারণে সক্রিয় রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত নই। তবে, শুধু যে ধর্ম ও রাজনীতি নিয়ে বিভাস মেতে থাকতেন, তেমনটা নয়। আশ্রমের পাশাপাশি একটি বিএড কলেজ তৈরি করেছিলেন তিনি। বহু পড়ুয়া প্রচুর অর্থের বিনিময়ে সেখানে ভরতি হতেন। কারণ, হিসেবে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা যাচ্ছে, ওই কলেজ থেকে পাশ করতে পারলে চাকরি নাকি নিশ্চিত ছিল। সেই কারণে রাতারাতি বাড়ছিল পড়ুয়ার সংখ্যা। শোনা যায়, প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ ছিল বিভাস অধিকারীর। বীরভূম জেলায় দলের অনেকেই সে কথা জানতেন। এমনকী মানিক ভট্টাচার্যেরও ঘনিষ্ঠ ছিলেন তিনি। শুধু তিনি নন, একাধিক দাপুটে নেতার আনাগোনা ছিল বিভাসের কলেজে। মাস চারেক আগে সিউড়ির হরিপুরের কাছে একটি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও ক্যানসার রিসার্চ সেন্টার খোলার সিদ্ধান্তও নিয়েছিলেন বিভাস। মোটের উপর অত্যন্ত প্রভাবশালী হিসেবেই পরিচিত ছিলেন তিনি। স্থানীয়দের কথায়, ধর্মকে হাতিয়ার করেই দুর্নীতি চালিয়ে গিয়েছেন তিনি। যদিও এই অভিযোগ মানতে নারাজ বিভাস। এর আগে ইডি-র জেরার মুখে পড়েছিলেন বিভাস। আর নববর্ষের সকালের সিবিআই (CBI) হানা দিল তাঁর ডেরায়। সিবিআই তল্লাশিতে নতুন কোনও তথ্য সামনে আসে কিনা, সেটাই এখন দেখার।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • SSC Scam: নিয়োগ দুর্নীতির কাঁটা! পূর্ব মেদিনীপুরে গোপাল দলপতির বাড়িতে সিবিআই হানা

    SSC Scam: নিয়োগ দুর্নীতির কাঁটা! পূর্ব মেদিনীপুরে গোপাল দলপতির বাড়িতে সিবিআই হানা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি (SSC Scam) মামলায় তদন্তে গতি বাড়াল সিবিআই। অন্যতম অভিযুক্ত গোপাল দলপতির বাড়িতে হানা দিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকরা। পূর্বমেদিনীপুরের ভূপতি নগরে গোপালের বাড়িতে যখন পৌঁছয় সিবিআই দল, তখন তিনি সেখানে ছিলেন না। তাই পরিবারের অন্য সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। গোপালের গ্রামের বাড়িতে নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত কিছু নথি রয়েছে কিনা, তারই হদিশ পেতে চাইছে সিবিআই।

    কে  এই গোপাল দলপতি

    গোপাল দলপতির নাম নিয়োগ দুর্নীতি (SSC Scam) মামলায় আচমকাই সামনে আসে। তৃণমূলের যুব নেতা কুন্তল ঘোষ জেরার সময় গোপাল দলপতির নাম ইডিকে জানায়। শুধু তাই নয়, এই মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত মানকি ভট্টাচাযের্র অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডলের মুখেও শোনা গিয়েছিল গোপালের নাম। তাপসের অভিযোগ ছিল, তিনি নাকি গোপালকে কোটি কোটি টাকা দিয়েছেন। আর সেই টাকাই নাকি বিভিন্ন হাত ঘুরে পৌঁছে যেত ধৃত রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে।

    পানওয়ালা থেকে অঙ্কের মাস্টার

    কে এই গোপাল দলপতি? কেনই বা নিয়োগ দুর্নীতি (SSC Scam) মামলায় তাঁর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল বলে মনে করছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা? পুর্ব মেদীনপুরের বাসিন্দা গোপাল প্রথম দিকে দমদম ক্যান্টনমেন্টে একটি পানের দোকানে কাজ করতেন। বাবা অসুস্থ হওয়ার পর সেই দোকানের যাবতীয় দায়িত্ব গিয়ে পড়ে তাঁর কাঁধে। ক্রেতাদের সঙ্গে কথাবার্তায় অনুপ্রাণিত হয়ে ফের তিনি পড়াশোনা শুরু করেন। দমদম মতিঝিল কলেজে অঙ্ক নিয়ে পাস করার পর টিউশনকেই জীবিকা হিসেবে বেছে নেন। তারপর ধীরে ধীরে জড়িয়ে পড়েন এই চক্রে।

    আরও পড়ুন: উদ্ধার ৩,৪০০ চাকরি প্রার্থীর নথি! তৃণমূল বিধায়কের ঘরকে ‘ওয়ার রুম’ বলছে সিবিআই

    একাধিক জায়গায় তল্লাশি

    অন্যদিকে শনিবারই নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ইডি-র পর  বীরভূমের নলহাটিতে তৃণমূলের প্রাক্তন ব্লক সভাপতি বিভাস অধিকারীর বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই। তৃণমূল নেতার আশ্রমেও হানা দেয় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। এর পাশাপাশি, আমহার্স্ট স্ট্রিট থানার কাছে বিভাসের কলকাতার ফ্ল্যাটে চলে সিবিআইয়ের তল্লাশি। বিভাস অধিকারী ছিলেন তৃণমূলের নলহাটি ২ নম্বর ব্লকের সভাপতি। পরে পদত্যাগ করেন। এছাড়াও, অল বেঙ্গল টিচার্স ট্রেনিং অ্যাচিভার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ছিলেন বিভাস। সিবিআইয়ের দাবি, ২০১১ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িত ছিলেন মানিক ভট্টাচার্য ঘনিষ্ঠ বিভাস অধিকারী। নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে মুর্শিদাবাদের বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার আন্দির বাড়িতেও সিবিআই তল্লাশি অভিযান চালায়। বাড়িতেই নজরবন্দি করা হয় বিধায়ককে। চলে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: বাড়িতে মিলল দুবস্তা অ্যাডমিট কার্ড! পুকুরে তৃণমূল বিধায়কের মোবাইল খুঁজছে সিবিআই, কেন?

    Recruitment Scam: বাড়িতে মিলল দুবস্তা অ্যাডমিট কার্ড! পুকুরে তৃণমূল বিধায়কের মোবাইল খুঁজছে সিবিআই, কেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) থেকে বাঁচতে মুর্শিদাবাদের বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবন কৃষ্ণ সাহার কর্মকাণ্ড দেখে সিবিআই (CBI) কর্তারা হতবাক। গত ২৪ ঘণ্টা ধরে চলছে তাঁর বাড়িতে তল্লাশি। আর সময় যত গড়াচ্ছে নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam)  সংক্রান্ত নতুন নতুন নথি সিবিআইয়ের হাতে আসছে। সিবিআই (CBI) সূত্রে জানা গিয়েছে, বিধায়কের বাড়ি থেকে প্রায় দুবস্তা নথি উদ্ধার করা হয়েছে। তাতে প্রাইমারি, আপার প্রাইমারি এবং নবম-দশম শ্রেণীর শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার একাধিক চাকরি প্রার্থীর অ্যামডিট কার্ড রয়েছে। এছাড়া একটি ডায়েরি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। সিবিআই (CBI) কর্তাদের আশঙ্কা, এই ডায়েরির মধ্যে নিয়োগ দুর্নীতির (Recruitment Scam) লেনদেনের হিসেব থাকতে পারে। শনিবার তৃণমূল বিধায়কের দুই আত্মীয়ের বাড়িতে নতুন করে সিবিআই (CBI)  তল্লাশি শুরু করা হয়েছে।

    সিবিআই তল্লাশির সময় বাড়ির পাশে পুকুরে মোবাইল ফেলে দেন বিধায়ক!

    শুক্রবার সকাল থেকে রাজ্যের ৬টি জায়গায় তল্লাশি চালায় কেন্দ্রীয় সংস্থার বেশ কয়েকটি টিম। বড়ঞার এই তৃণমূল বিধায়কের বাড়িতেও তল্লাশি চালানো হয় সকাল থেকে। তল্লাশি চলে তাঁর শ্বশুরবাড়িতেও। তল্লাশির পাশাপাশি বিধায়ককে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সিবিআই (CBI) সূত্রের খবর, সিঁদুরের কৌটোর মধ্যে মোবাইলের মেমরি কার্ড লুকিয়ে রেখেছিলেন বিধায়ক। সেই মেমরি কার্ডে রয়েছে নিয়োগ সংক্রান্ত একাধিক তথ্য। জিজ্ঞাসাবাদের সময়ে অসুস্থতার কথা বলে শৌচালয়ে যাওয়ার নাম করে বাড়ির পাশের পুকুরে নিজের দুটি মোবাইল ফেলে দেন বিধায়ক। সঙ্গে দুটি পেন ড্রাইভ, একটি হার্ডডিস্কও ফেলে দেওয়া হয়েছে বলে অনুমান।  প্রায় চার-পাঁচ বছর ধরে সেই মোবাইলটি বিধায়ক ব্যবহার করছিলেন বলে সূত্রের খবর। ফলে, তাতে নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) সংক্রান্ত একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। সেই তথ্য লোপাট করতেই পুকুরে মোবাইল ফেলা হল কি না তা সিবিআই (CBI) আধিকারিকরা খতিয়ে দেখছেন। ইতিমধ্যেই পুকুরে পাম্প নামিয়ে জল বের করে মোবাইল খোঁজার চেষ্টা করছেন সিবিআই আধিকারিকরা। এমনিতেই শুক্রবার থেকে সিবিআইয়ের (CBI)  একটি টিম ঘটনাস্থলে রয়েছেন। কিন্তু, বিধায়কের বাড়ি থেকে তথ্যের ভাণ্ডার উদ্ধার হওয়ায় শনিবার ভোরে ৬ জনের একটি প্রতিনিধি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছান।  তাঁরাও তল্লাশি শুরু করেছেন। মনে করা হচ্ছে, পুকুর থেকে মোবাইল দুটি পেলে তদন্তকারীদের হাতে আসতে পারে অনেক তথ্য। জানা গিয়েছে, নিয়োগ দুর্নীতিতে (Recruitment Scam) লিঙ্কম্যান হিসেবে মুর্শিদাবাদ থেকে  কৌশিক নামে এক ব্যক্তি গ্রেফতার হন। তাঁকে জেরা করেই উঠে আসে এই জীবনকৃষ্ণ সাহার নাম। পরে, কিছু ব্যাঙ্কের চেকের সূত্র ধরে সিবিআই (CBI) আধিকারিকরা নিশ্চিত হয়। এরপরই শুরু হয় তল্লাশি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: বৈশাখের কাছে কালবৈশাখীর আশা! অসহ্য গরমে নাজেহাল বঙ্গবাসী

    Weather Update: বৈশাখের কাছে কালবৈশাখীর আশা! অসহ্য গরমে নাজেহাল বঙ্গবাসী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দাপটে ব্যাট শুরু করল বৈশাখ। চৈত্র যেখানে শেষ করেছে সেখান থেকেই শুরু। নববর্ষের সকালে কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৯.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা কিনা স্বাভাবিকের থেকে ৪ ডিগ্রি বেশি। সর্বোচ্চ তাপমাত্রায় নিরিখে কলকাতা গত পাঁচ বছরের রেকর্ড ভাঙার পথে। আগামী বুধবার অর্থাৎ ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে এই ধরনের পরিস্থিতি অব্যাহত থাকতে পারে, এমনটাই জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। 

    রেকর্ড গরম

    দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে আগামী পাঁচদিনের জন্য তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে আবহাওয়া দফতরের তরফ থেকে। দক্ষিণবঙ্গের পশ্চিমের জেলাগুলির সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে ৪৩ ডিগ্রি ছুঁই-ছুঁই। শনিবার কলকাতার তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির বেশি থাকতে পারে। এদিন শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকতে পারে ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন সকালে শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে পাঁচ ডিগ্রি বেশি। 

    আরও পড়ুন: ‘নব রবিকিরণে’ বৈশাখ-বরণ বাঙালির! কালীঘাট থেকে দক্ষিণেশ্বর পুজো দেওয়ার লম্বা লাইন

    বাইরে নয়

    দুপুরের সময় অতিরিক্ত প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বার না হওয়ার কথা বলেছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের কথায়, বাইরে বার হলে সুতির হালকা রংয়ের পোশাক পরা বাঞ্ছনীয়, জল খেতে হবে বেশি করে। শিশু বা প্রবীণদের দুপুরে রোদের সময় বাইরে বার না হওয়াই ভালো। আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন, রাজ্যে উত্তর পশ্চিম দিক থেকে গরম হাওয়া প্রবেশ করছে। একইসঙ্গে বঙ্গোপসাগর থেকে জলীয় বাষ্প অনেক কম পরিমাণে প্রবেশ করছে। ফলে অস্বস্তি বাড়ছে। রাজ্যে কবে বৃষ্টি হবে সেই দিকে তাকিয়ে রয়েছে রাজ্যবাসী।  হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, আপাতত রাজ্যে বৃষ্টিপাতের কোনও সম্ভাবনা নেই। কবে কালবৈশাখী নামতে পারে, সেই বিষয়েও নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না। বাংলার গরমের স্বাভাবিক চরিত্র অনুযায়ী কিছু দিন পর পর কালবৈশাখী আসার কথা। অর্থাত্‍, কিছু দিন ধরে তাপমাত্রা বাড়লে, সাময়িক স্বস্তি দিতে কালবৈশাখী হাজির হয়ে যায়। যার সাক্ষী সদ্য পেরিয়ে আসা মার্চই। কিন্তু চৈত্রের শেষ থেকে তা উধাও। এখন বৈশাখের কাছে কালবৈশাখীর আশা বঙ্গবাসীর।

LinkedIn
Share