Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Primary School: রাজ্যে প্রাথমিক শিক্ষার এ কী হাল! নিজের নাম লিখতে পারছে না চতুর্থ শ্রেণির পড়ুয়া, কোথায় জানেন?

    Primary School: রাজ্যে প্রাথমিক শিক্ষার এ কী হাল! নিজের নাম লিখতে পারছে না চতুর্থ শ্রেণির পড়ুয়া, কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ আলিপুরদুয়ারের পশ্চিম জিৎপুর অ্যাডিশন্যাল প্রাথমিক বিদ্যালয় (Primary School)। স্কুলে একজন শিক্ষক। জনা কুড়ি ছাত্র-ছাত্রী। নিয়ম মেনেই ক্লাস নিচ্ছিলেন শিক্ষক। আচমকাই সেখানে হাজির হন বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল। সঙ্গে ছিলেন ডিপিএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান অনুপ চক্রবর্তী, আলিপুরদুয়ার-১ ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেসের সহ সভাপতি মতিলাল কুজুর সহ দলীয় নেতৃত্ব। ক্লাসের মধ্যে একসঙ্গে  এতজনকে দেখে পড়ুয়ারা হতবাক হয়ে যায়। মূলত এলাকাবাসীর মুখে স্কুলের পঠন-পাঠনের বেহাল অবস্থা শুনে তারা স্কুলে যান। স্কুলে গিয়ে তৃণমূল নেতা মতিলাল কুজুর চতুর্থ শ্রেণির একাধিক পড়ুয়াকে নিজের নাম খাতায় লিখতে বলেন। দুজন পড়ুয়া সঙ্গে সঙ্গে জানিয়ে দেয়, তারা নাম লিখতে পারে না। তাদের অক্ষর জ্ঞান নেই। যা দেখে বিধায়ক থেকে উপস্থিত সকলের চক্ষুচড়ক গাছ। বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল বলেন, শিক্ষকদের আরও যত্ন নিয়ে পড়ুয়াদের পড়ানো দরকার।

    কী বললেন স্কুলের শিক্ষকরা? Primary School

    স্কুলের (Primary School) একাধিক পড়ুয়ার এই হাল অস্বীকার করেননি স্কুলের (Primary School) সহকারি শিক্ষক দীপঙ্কর বিশ্বাস। তিনি বলেন, করোনার জন্য দুবছর লেখাপড়া হয়নি। আমরা দুজন শিক্ষক পড়াই। পড়ুয়ারা স্কুলে যেটুকু শিখে যাচ্ছে, বাড়িতে গিয়ে চর্চা না করার জন্য তাদের উন্নতি হচ্ছে না। স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সুদীপ্ত দাস স্কুলে আসেননি। তিনি ফোনে বিষয়টি শুনে বলেন, ২০১০ সালে কাজে যোগ দিই। তখন ৮৪ জন ছাত্র-ছাত্রী ছিল। পর্যাপ্ত শিক্ষক না থাকার কারণে সমস্যা তৈরি হয়েছে। পড়ুয়ার সংখ্যা কমেছে। ২০১৭ সালে আর একজন শিক্ষক যোগ দেন। স্কুলে আমরা পড়ুয়াদের সাধ্যমতো পড়ানোর চেষ্টা করি।

    স্কুলের পঠন-পাঠন নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের কী বক্তব্য ?  Primary School

    প্রায় পাঁচ বছর ধরে স্কুলে (Primary School) লেখাপড়া হয় না। যারজন্য পড়ুয়াদের অনেকের অক্ষর জ্ঞান নেই। শিক্ষকরা পালা করে স্কুলে আসেন। একজন শিক্ষক সব ক্লাস নেন। আসলে ক্লাস না নিয়ে মোবাইল দেখতে ব্যস্ত থাকেন। ফলে, অনেক অভিভাবক আর এই স্কুলে পড়াতে চান না। আর শিক্ষকরা স্কুলে (Primary School) এসে না পড়িয়ে মাসের পর মাস বেতন পেয়ে যাচ্ছেন বলে তাঁদের কোনও হেলদোল নেই। এলাকাবাসীর আরও বক্তব্য, দোষটা কার? পড়ুয়া, শিক্ষক, মোবাইলে আসক্তি না মানসিকতার। আসলে টাকা দিয়ে শিক্ষকরা চাকরি পাচ্ছেন। যাদের শুরুটা হচ্ছে অন্যায় দিয়ে, তাদের পড়ানোর ইচ্ছে না থাকাটাই স্বাভাবিক। চতুর্থ শ্রেণিতে পড়েও নিজের নাম লিখতে পারছে না। শৈশব তলিয়ে যাচ্ছে অশিক্ষার আঁধারে। অবিলম্বে শিক্ষকদের বদলি করে নতুন শিক্ষক নিয়োগ করে স্কুলের পঠন-পাঠন ফিরিয়ে আনার দাবি জানান সকলে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: সপ্তাহান্তে বৃষ্টি জারি, সঙ্গী ঝড়ো হাওয়া! সোমবার থেকেই কি ঊর্ধ্বমূখী তাপমাত্রার পারদ?

    Weather Update: সপ্তাহান্তে বৃষ্টি জারি, সঙ্গী ঝড়ো হাওয়া! সোমবার থেকেই কি ঊর্ধ্বমূখী তাপমাত্রার পারদ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার মধ্য রাতেই শুরু হয়েছিল ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি। আজ, শনিবার সপ্তাহের শেষ দিনেও আকাশের মুখ ভার। আলিপুর হাওয়া অফিস (Weather Update) জানাচ্ছে, দক্ষিণবঙ্গে আজ কালবৈশাখীর মতো পরিস্থিতি থাকবে। কলকাতা-সহ রাজ্যের ১৪টি জেলায় হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে দমকা ঝোড়ো হাওয়ার গতি বাড়ার পাশাপাশি বাড়বে বৃষ্টির পরিমাণও। কোথাও কোথাও শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

    রবিবার থেকে পরিষ্কার আকাশ

    ঝড়-বৃষ্টির জেরে এপ্রিলের শুরুতেই সামান্য নামল শহরের তাপমাত্রা। এদিনও প্রবল বৃষ্টির সম্ভাবনা দক্ষিণবঙ্গের একাংশে। আগামীকাল আবহাওয়ায় বিশেষ পরিবর্তন আসবে না বলেও জানিয়েছে হাওয়া অফিস। রবিবার বিকেল থেকে আকাশ পরিষ্কার হবে। ৩ তারিখ থেকে রৌদ্রজ্বল দিন দেখতে পারে শহরবাসী। সেদিন থেকেই ফের ঊর্ধ্বমুখী হবে তাপমাত্রার পারদ। আগামী সপ্তাহতেই ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে পৌঁছতে পারে তাপমাত্রা। আগামী সপ্তাহে বৃষ্টিরও বিশেষ সম্ভাবনা নেই, জানাচ্ছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। শনিবার শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে থাকবে। অন্যদিকে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ২৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে। বৃষ্টির পাশাপাশি বইবে দমকা হাওয়াও। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ ৯১ শতাংশ।

    আরও পড়ুন: হাওড়ার শিবপুরের ঘটনায় উদ্বিগ্ন রাজ্যপাল! মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা, কী বললেন শুভেন্দু?

    বঙ্গোপসাগর থেকে পশ্চিমাঞ্চলে তৈরি হওয়া নিম্নচাপের জেরেই এমন আবহাওয়ার ভোলবদল বলে জানাচ্ছেন আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা৷ হাওয়া অফিস (Weather Update) সূত্রে খবর, দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সবকটি জেলাতেই সকাল থেকে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। সঙ্গে কোথাও কোথাও শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে৷ ঘন্টায় ৩০-৪০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইবে। অন্যদিকে আজ শনিবারও দার্জিলিং এবং কালিম্পং সহ উত্তরবঙ্গের বিস্তৃর্ণ এলাকায় বজ্রবিদ্যুৎ সহ হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে৷ দক্ষিণের তুলনায় উত্তরবঙ্গে হাওয়ার গতিবেগও থাকবে বেশি৷ তাই বাড়তি সতর্কতার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে হাওয়া অফিসের তরফে৷

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Road: রাস্তায় নেমে আন্দোলন করে ভোট বয়কটের ডাক! কোথায় জানেন?

    Road: রাস্তায় নেমে আন্দোলন করে ভোট বয়কটের ডাক! কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ কয়েকদিন আগে পথশ্রী প্রকল্পে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কয়েক হাজার কিলোমিটার রাস্তা (Road) তৈরির কথা ঘোষণা করেছেন। দক্ষিণ দিনাজপুরের তপন ব্লকের জলঘর পঞ্চায়েত গ্রামের বাসিন্দাদের আশা ছিল, এবার তাঁদের কাঁচা রাস্তা পাকা হবে। কিন্তু, তালিকায় দেখা যায়, এই পঞ্চায়েত এলাকার রাস্তা (Road) নেই। আর সেটা জানতে পেরেও প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে রাস্তায় নেমে পড়ে আন্দোলন শুরু করেছেন এলাকার বাসিন্দারা। দাবি আদায়ে তপন- বালুরঘাট রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা। যার জেরে রাস্তায় (Road) ব্যাপক যানজট তৈরি হয়। পুলিশ এসে বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেন। তাতেও ক্ষোভ কমে না বাসিন্দাদের। গ্রামবাসীদের এক প্রতিনিধি দল মহকুমা শাসকের কাছে দরবার করেন। তিনি বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে অবরোধ ওঠে। কিন্তু, আগামিদিনে দাবি না মিটলে ভোট বয়কট করার কথা তাঁরা বলেন।

    গ্রামবাসীদের কী অভিযোগ? Road

    তপন ব্লকের জলঘর থেকে তেলাপুকুর পর্যন্ত প্রায় আড়াই কিলোমিটার মাটির রাস্তা (Road) দীর্ঘদিন ধরেই বেহাল। বর্ষার সময় এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে চরম অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয় বাসিন্দাদের। তেলাপুকুর গ্রামে প্রায় শতাধিক পরিবারের বসবাস। আশেপাশের বেশ কয়েকটি গ্রামও এই রাস্তার ওপর নির্ভরশীল। স্কুল সহ অফিস, বিভিন্ন কাজে এই রাস্তা দিয়েই প্রতিনিয়ত যাতায়াত করতে হয় বাসিন্দাদের। প্রায় তিন মাস আগে পাকা রাস্তার (Road) দাবিতে আন্দোলনে নেমেছিলেন গ্রামবাসীরা। সেই সময় ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে দ্রুত রাস্তা (Road)  তৈরি করার আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, তিন মাস পেরিয়ে গেলেও এই রাস্তা (Road) আজও হয়নি। বাসিন্দাদের বক্তব্য, আমাদের আশা ছিল পথশ্রী প্রকল্পে রাস্তা তৈরি করে দেওয়া হবে। কিন্তু, প্রশাসনের কোনও হেলদোল নেই। সামনে পঞ্চায়েত ভোট। দাবি না মিটলে আশেপাশের তিন-চারটে গ্রামের বাসিন্দারা কেউ ভোট দিতে যাবে না।

    কী বললেন স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ? Road

    স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান গোপাল মুর্মু বলেন, ওই রাস্তাটি (Road) পঞ্চায়েতের পক্ষে করা সম্ভব নয়। আমরা রাস্তাটি তৈরি করার জন্য প্রশাসনের কাছে ইতিমধ্যেই দরবার করেছি। জেলা তৃণমূল নেত্রী প্রদীপ্তা চক্রবর্তী বলেন, ওই রাস্তাটির (Road) অবস্থা বেহাল। খুব দ্রুত সংস্কার করার দরকার। বিষয়টি প্রশাসনের কাছে আমরা দরবার করব।

    বেহাল রাস্তা নিয়ে সরব বিজেপির রাজ্য সভাপতি? Road

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, পথশ্রী প্রকল্পে যা অর্থ বরাদ্দ করেছে তাতে কত রাস্তা(Road) হবে তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। তাই, ওই বেহাল রাস্তা কবে হবে তা কেউ বলতে পারবে না। আসলে তৃণমূল সরকার পঞ্চায়েত ভোটের আগে এসব করে মানুষকে বোকা বানাতে চাইছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Anubrata Mondal: লিঙ্ক নেই! পিছল শুনানি, ২৭-ই পর্যন্ত তিহাড়েই কেষ্ট, বাড়িতে ভাঙচুর সুকন্যার

    Anubrata Mondal: লিঙ্ক নেই! পিছল শুনানি, ২৭-ই পর্যন্ত তিহাড়েই কেষ্ট, বাড়িতে ভাঙচুর সুকন্যার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পিছিয়ে গেল গরু পাচার মামলায় ধৃত অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) শুনানি। শুক্রবার আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে ভার্চুয়ালি পেশ করার কথা ছিল তাঁকে। কিন্তু প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে বীরভূম তৃণমূলের সভাপতিকে (Anubrata Mondal) পেশ করা যায়নি বলে আদালত সূত্রে খবর। অন্যদিকে, তিহাড়ে তাঁর বাবাকে নানাভাবে হেনস্থা করা হচ্ছে, এমন সময় দলীয় নেতারা তাঁর থেকে দূরত্ব বাড়াচ্ছেন বলে ব্যাপক ক্ষোভ উগড়ে দিলেন অনুব্রত-কন্যা। শোনা যাচ্ছে, দলীয় নেতাদের ডেকে বাড়িতে ভাঙচুরও করেন সুকন্যা মণ্ডল।

    প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে আদালতে পেশ করা যায়নি অনুব্রতকে (Anubrata Mondal)

    গরু পাচার মামলায় ধৃত অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) ও তাঁর দেহরক্ষী সায়গল হোসেন বর্তমানে বিচারাধীন বন্দি হিসেবে রয়েছেন দিল্লির তিহাড় জেলে। এদিন প্রথমে অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গলকে ভার্চুয়ালি আসানসোলের বিশেষ আদালতে পেশ করার চেষ্টা হয়। কিন্তু প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে এজলাসে সায়গলের মুখ দেখা যায়নি। একই বিষয় ঘটে অনুব্রত মণ্ডলের ক্ষেত্রেও। প্রসঙ্গত, এদিন আসানসোলের আদালতে অনুব্রতর (Anubrata Mondal) হয়ে হাজির ছিলেন না কোনও আইনজীবী। চলতি বছরের জুলাইতে দিল্লি হাইকোর্টে তাঁর জামিন মামলার শুনানি রয়েছে। আইন বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করছে, যেহেতু দিল্লি হাইকোর্টে আবেদন করেছেন বীরভূম তৃণমূলের সভাপতি ,সেহেতু আসানসোল আদালত থেকে তাঁর জামিন পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। সেই কারণেই এদিন নতুন করে কেষ্টর জন্য জামিনের আবেদন করেননি তাঁর আইনজীবী। বিশেষজ্ঞদের কথায়, আবেদনের প্রয়োজন না থাকায় এজলাসে হাজিরও ছিলেন না তাঁরা। যদিও এই বিষয়ে অনুব্রতর (Anubrata Mondal) আইনজীবীর তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

    বোলপুরের বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর সুকন্যা মণ্ডলের

    সূত্রের খবর,  তিহাড় জেলে তাঁর বাবাকে নানা ভাবে ‘হেনস্থা’ ও ‘নির্যাতন’ করা হচ্ছে শুনে চটে যান সুকন্যা। জিনিসপত্র ভাঙচুর করেন। তার পরেই জরুরি ভিত্তিতে তিনি ডেকে পাঠান বোলপুরের অনুব্রত-ঘনিষ্ঠ অনেক নেতা-কর্মীকে। জানা গিয়েছে, তাঁদের সামনে কেষ্ট-কন্যা এক প্রকার ভেঙে পড়েন। কথায় কথায় তিনি বলতে থাকেন, বাবা যখন কাছে ছিলেন, তখন তাঁর পাশে সবাই ছিলেন। আজ যখন অনুব্রত জেলে, তাঁদের দুঃসময় চলছে, তখন সবাই তাঁর থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। এমনও জানা যাচ্ছে, একটা সময় সুকন্যা বলে ওঠেন, ‘‘এই জিনিস চলতে পারে না।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Howrah Shibpur Violence: হাওড়ার শিবপুরের ঘটনায় উদ্বিগ্ন রাজ্যপাল! মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা, কী বললেন শুভেন্দু?

    Howrah Shibpur Violence: হাওড়ার শিবপুরের ঘটনায় উদ্বিগ্ন রাজ্যপাল! মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা, কী বললেন শুভেন্দু?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাওড়ার শিবপুরে (Howrah Shibpur Violence) অশান্তির ঘটনা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বললেন রাজ্যপাল সি.ভি আনন্দ বোস (C.V Anand Bose)। গোটা ঘটনার পর্যবেক্ষণে ‘স্পেশাল সেল’ তৈরি করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। সেখান থেকে প্রতি মুহূর্তের খবর নেবেন রাজ্যপাল। রাজ্যে এই ধরনের ঘটনা নিয়ে তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। হাওড়া-শিবপুরের ঘটনা নিয়ে রাজ্যপালের ভূমিকাকে স্বাগত জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

    রাজভবনের বার্তা

    শুক্রবার বিকালে রাজভবনের (Raj Bhavan) তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়, “শিবপুরে অশান্তির ঘটনায় রাজভবন কড়া নজর রেখেছে। হনুমান ধর্ম রক্ষা করতে লঙ্কায় আগুন লাগিয়েছিলেন। এখানে অধর্মের জন্য যাঁরা আগুন লাগিয়েছেন, তাঁরা নিজেদের বিপদ ডেকে এনেছেন।” এই ঘটনাটি (Howrah Shibpur Violence) ‘মানবতার বিরুদ্ধে জঘন্য অপরাধ’ বলেও রাজভবনের তরফে উল্লেখ করা হয়েছে। এই জঘন্য অপরাধের বিরুদ্ধে সমগ্র বাংলাকে একজোট হওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে এই ঘটনায় পুলিশকে শান্তিপ্রিয় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে সক্রিয়, স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করতে বলেছে রাজভবন। হামলাকারীদের কড়া বার্তা দিয়ে রাজভবনের তরফে আরও জানানো হয়, সাধারণ মানুষের জীবন, সম্পদ, সম্মান রক্ষার জন্য রাজভবন চোখ কান খোলা রাখছে। 

    আরও পড়ুন: রাম নবমীর মিছিলে বিজেপির সঙ্গে পা মেলালেন তৃণমূল নেতারা! কোথায় জানেন?

    শুভেন্দুর বার্তা

    হাওড়া-শিবপুর প্রসঙ্গে (Howrah Shibpur Violence) রাজ্যপালের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ বলে দাবি করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। শুভেন্দু ট্যুইটে বলেছেন, ‘রাজভবন চোখ-কান খোলা রাখবে, এটা শুনে ভাল লাগছে। এবার দুষ্কৃতীদের ধরতে কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’ উল্লেখ্য, এই ধরনের অপরাধমূলক ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্তি না হয়, তার জন্য কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রী আশ্বস্ত করেছেন। উল্লেখ্য, হাওড়া ও ডালখোলায় রাম নবমীর মিছিলের উপর হামলার অভিযোগে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এই ঘটনার এনআইএ তদন্ত দাবি করেছেন তিনি। অশান্ত এলাকাগুলিতে অবিলম্বে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবি জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা। আগামী সোমবার এই মামলার শুনানি। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • SSC Scam: অয়নের সম্পত্তির পরিমাণ ১০০ কোটি! নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে অবাক ইডি-ও

    SSC Scam: অয়নের সম্পত্তির পরিমাণ ১০০ কোটি! নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে অবাক ইডি-ও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (SSC Scam) বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের ঘনিষ্ঠ প্রোমোটার অয়ন শীলের (Ayan Sil) প্রায় ১০০ কোটির সম্পত্তির হদিশ মিলল। ইডি (Enforcement Directorate) সূত্রে দাবি, এখনও পর্যন্ত অয়ন শীলের নামে-বেনামে একাধিক সম্পত্তির নথি পাওয়া গিয়েছে। যার বর্তমান বাজারমূল্য প্রায় ১০০ কোটি ছুঁই ছুঁই। শুক্রবার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) সূত্রে এমনটাই খবর। কী ভাবে এই বিপুল সম্পত্তি হল অয়নের, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।

    নিয়োগ দুর্নীতির আখড়া

    ইডি সূত্রের খবর, অয়নের সল্টলেকের অফিসই ছিল নিয়োগ দুর্নীতির (SSC Scam) অন্য়তম আখড়া। অয়ন, তাঁর স্ত্রী ও ঘনিষ্ঠদের মিলিয়ে ৫০টির বেশি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সন্ধান পেয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। কেবল অযোগ্য প্রার্থী নয়, চাকরির বিনিময়ে যোগ্য প্রার্থীদের কাছ থেকেও নেওয়া হয়েছিল টাকা! নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত, অয়ন শীলের বিরুদ্ধে এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ উঠেছে। টাকা না দেওয়ায়, জয়েনিং লেটার পাওয়ার পরও, চাকরিপ্রাপকের নাম প্যানেল থেকে বাদ দিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। 

    আরও পড়ুন: ধিক্কার দিবস পালন ডিএ আন্দোলনকারীদের! মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের প্রতিবাদে ধর্মঘটের হুঁশিয়ারি

    অয়নের নোটপ্যাড রহস্য

    অয়নের নোটপ্যাড থেকেও মিলেছে নানা তথ্য।  ইডি সূত্রে খবর, সাদা রঙের ২টি নোটপ্যাডই ছিল লাল ফিতেয় মোড়া। তাতে উল্লেখ রয়েছে একাধিক নাম। শুধু শিক্ষা নয়, পুরসভাতেও টাকার বিনিময়ে চাকরি দেওয়া হয়েছে বলে সন্দেহ করেছেন তদন্তকারীরা। অয়নের অফিস থেকে উদ্ধার হওয়া নথি থেকে বেশ কয়েক জন এজেন্টের নামের তালিকা হাতে পেয়েছে ইডি। তদন্তকারীদের আতশকাচের তলায় উঠে আসেন অয়নের ঘনিষ্ঠরাও। কামারহাটি পুরসভার ইঞ্জিনিয়র শ্বেতা চক্রবর্তীর নাম ভেসে এসেছে। শমীক চৌধুরী ওরফে বাপ্পা নামে এলআইসির এক প্রাক্তন এজেন্টের ব্যাপারেও তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন। তাঁর বাড়িও হুগলিতে। নিয়োগ দুর্নীতিতে (SSC Scam) যুক্ত অয়ন এই মুহূর্তে ইডি হেফাজতে রয়েছেন। শনিবার তাঁকে আবার আদালতে হাজির করানো হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • DA Protest: ধিক্কার দিবস পালন ডিএ আন্দোলনকারীদের! মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের প্রতিবাদে ধর্মঘটের হুঁশিয়ারি

    DA Protest: ধিক্কার দিবস পালন ডিএ আন্দোলনকারীদের! মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের প্রতিবাদে ধর্মঘটের হুঁশিয়ারি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মমতার ‘চোর-ডাকাত’ মন্তব্যের প্রতিবাদে ধিক্কার দিবস পালন করলেন ডিএ আন্দোলনকারীরা। আগামী ৬ এপ্রিল কর্মবিরতিরও ডাক দিয়েছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। আন্দোলনকারীদের বার্তা এরপরে ধর্মঘটেরও ডাক দেবেন তাঁরা।

    মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের প্রতিবাদ

    মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য নিয়ে যৌথ সংগ্রামী মঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ বলেন, ‘উনি আমাদের চোর-ডাকাত বলেননি। তাঁর যে ভাইবোনেরা ধরনা মঞ্চে তাঁর পাশে বসে ছিলেন, তাঁদের কথাই বলতে চেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। আমাদের কাছে তিনি পরে নিজের ভুল স্বীকার করেছেন। বলেছেন, আপনাদের চোর-ডাকাত বলতে চাইনি। তিনি নিজেকেও নিজে চোর-ডাকাত বলেছেন।’  এরপর ভাস্কর বাবু আরও বলেন, ‘তাঁর ভুলভাল কথা শোনার জন্য রাজ্যের কর্মচারী শিক্ষকরা আর প্রস্তুত নন। যেদিন মিউ মিউ ঘেউ ঘেউ মন্তব্য করেছিলেন, সেদিন থেকেই যদি আমরা কর্মবিরতি পালন করতাম, আমাদের তাহলে এতটা দেখতে হত না। তবে আমরা এখন জেগে গিয়েছি। তিনি একটা কথা বললে, পাঁচটা কথা শোনার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।’

    প্রশাসন স্তব্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি

    সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আহ্বায়ক আরও বলেন, ‘আগামী ১০ এবং ১১ এপ্রিল দিল্লিতে যন্তরমন্তরে ধরনা কর্মসূচি পালন করব আমরা। এই কর্মসূচি পালনের পর আমরা রাজ্যে এসে মিছিল করব। কালীঘাট থেকে হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিট, ক্যামাক স্ট্রিট হয়ে শহিদ মিনার পর্যন্ত হবে মিছিল। আগামীতে ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘটও ডাকা হবে।’ এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির সামনে মিছিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ডিএ আন্দোলকারীরা।  রাজ্যের প্রশাসন স্তব্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন রাজ্যের সরকারি কর্মচারীরা।

    আরও পড়ুুন: ‘মানিকের জুতোয় পা গলাবেন না’, পর্ষদ সভাপতিকে বললেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

    বিরোধীদের এক জোট হওয়ার আহ্বান

    সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিম থেকে কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচী কিংবা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীরা দলীয় পতকা ছাড়াই ডিএ আন্দোলনকারীদের মঞ্চে এসেছেন। যৌথ সংগ্রামী মঞ্চ থেকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, তিনি জানতেন সাগরদিঘিতে মানুষ তার দল বিজেপিকে ভোট দেবে না। তবু, তারা সেখানে বিরোধী হিসাবে গিয়েছেন। তাঁর কথায়, ”ঝালদায় কংগ্রেস জিতেছে। কোনও বিরোধ হয়নি। বিজেপি মনে করে, রাজ্যে এই তৃণমূল সরকারকে উৎখাত করতে হলে, নো ভোট টু মমতা বলতে হবে। আমরা সব বিরোধীদেরই সেটাই বলতে বলছি।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PM Awas Yojana: আবাস যোজনার রিপোর্ট খতিয়ে দেখতে রাজ্যে ফের কেন্দ্রীয় দল, কোথায় যাবে জানেন?

    PM Awas Yojana: আবাস যোজনার রিপোর্ট খতিয়ে দেখতে রাজ্যে ফের কেন্দ্রীয় দল, কোথায় যাবে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় (PM Awas Yojana) উপভোক্তাদের নাম নথিভুক্ত নিয়ে কেন্দ্রীয় দলের (central team) সুপারিশ কতটা কার্যকর হয়েছে সে ব্যাপারে ৬ মার্চ অ্যাকশন টেকেন রিপোর্ট পেশ করেছিল রাজ্য সরকার। সেই রিপোর্ট কতটা সঠিক, তা খতিয়ে দেখতে রাজ্যে ফের আসছে কেন্দ্রীয় দল। ওই দলের সদস্যরা ঘুরে দেখবেন রাজ্যের দশ জেলা। এবার তাঁদের গাইড করবেন রাজ্যের পঞ্চায়েত দফতরের আধিকারিকরা। দশ জেলার জন্য একজন করে অতিরিক্ত সচিব এবং যুগ্ম সচিব পদ মর্যাদার আধিকারিক দায়িত্বে থাকবেন।

    প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা (PM Awas Yojana)…

    জেলাশাসকের সঙ্গে পরিদর্শনকালে কেন্দ্রীয় দলের সমন্বয়ের দায়িত্ব পালন করবেন তাঁরাই। সম্প্রতি পঞ্চায়েত দফতর জেলাগুলিকে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিয়েছে। প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় (PM Awas Yojana) উপভোক্তাদের নাম নির্বাচন নিয়ে ওঠা অভিযোগ খতিয়ে দেখতে আগেও রাজ্যে এসেছে কেন্দ্রীয় দল। জেলাশাসক বা জেলা প্রশাসনের কর্তারাই তাঁদের সঙ্গে ছিলেন। ওই দলের সদস্যরা কিছু সুপারিশ করেছেন রাজ্যের কাছে। তা কার্যকরের পর তথ্য পাঠাতে বলা হয়েছিল। সেই মতো ৬ মার্চ অ্যাকশন টেকেন রিপোর্ট পাঠায় রাজ্য।

    আরও পড়ুুন: ‘মানিকের জুতোয় পা গলাবেন না’, পর্ষদ সভাপতিকে বললেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

    জানা গিয়েছে, এই দফায় কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সদস্যরা ঘুরে দেখবেন মুর্শিদাবাদ, দুই মেদিনীপুর, আলিপুরদুয়ার, মালদহ, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, নদিয়া, পূর্ব বর্ধমান, দার্জিলিং ও কালিম্পং জেলা। পক্ষকালের মধ্যে তাঁদের রিপোর্ট দিতে হবে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকে। রাজ্যের পঞ্চায়েত সচিবকে লেখা চিঠিতে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক জানিয়েছে, উপভোক্তা তালিকা নিয়ে অভিযোগের (PM Awas Yojana) ভিত্তিতে ন্যাশনাল লেভেল মনিটারিং দল কয়েকটি ক্ষেত্রে ত্রুটি নিয়ে রাজ্যকে কিছু সংশোধনের পরামর্শ দিয়েছিল। যার ভিত্তিতে গত ৬ মার্চ রাজ্য পঞ্চায়েত দফতর অ্যাকশন টেকেন রিপোর্ট পাঠায়। এই রিপোর্ট কতটা সঠিক, তা দেখতেই কেন্দ্রীয় দলের এই সফর। জানা গিয়েছে, চলতি সপ্তাহের শেষ থেকেই এই কেন্দ্রীয় দলের আধিকারিকরা যাবেন ওই দশ জেলায়।

    প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় চলতি আর্থিক বছরে ১১ লক্ষ ৩৬ হাজার ৪৮৮টি বাড়ি তৈরির জন্য ৮২০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে কেন্দ্র। রাজ্যের দাবি, উপভোক্তা তালিকা নিয়ে নানা অভিযোগের অছিলায় বারংবার কেন্দ্রীয় দল পাঠিয়ে বরাদ্দ টাকা আটকে রেখেছে কেন্দ্র।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Ram Navami: রাম নবমীর মিছিলে বিজেপির সঙ্গে পা মেলালেন তৃণমূল নেতারা! কোথায় জানেন?

    Ram Navami: রাম নবমীর মিছিলে বিজেপির সঙ্গে পা মেলালেন তৃণমূল নেতারা! কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ কয়েক বছর আগে পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুর থেকে কনভয় করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘাটাল যাচ্ছিলেন।  রাস্তাতেই মুখ্যমন্ত্রীকে দেখে জয় শ্রীরাম বলেছিলেন স্থানীয় দুই যুবক। তারজন্য মুখ্যমন্ত্রী কনভয় থামিয়ে গাড়ি থেকে তেড়ে গিয়েছিলেন তাঁদের দিকে। ২০১৯ সালে লোকসভা ভোটের আগে একই ঘটনা ঘটেছিল ভাটপাড়ায়। সংবাদ মাধ্যমের দৌলতেই এই দুটি ঘটনার সাক্ষী ছিলেন রাজ্যবাসী। জয় শ্রীরাম ধ্বনি যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ্য করতে পারেন না তা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে ট্রোলও হয়েছে অনেক । দলের সুপ্রিমো রাম নাম পছন্দ করেন না তো কী হয়েছে,   বৃহস্পতিবার তৃণমূলের নেতা কর্মীরা প্রকাশ্যে বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে গলা মিলিয়ে চিত্কার করে জয় শ্রীরাম ধ্বনি তুললেন। আর পাশে দাঁড়িয়ে তৃণমূলের বোলপুর পুরসভার চেয়ারপার্সন পর্ণা ঘোষ তা তাড়িয়ে তাড়িয়ে উপভোগ করলেন। সঙ্গে তিনি বিজেপি কর্মীদের ডেকে ডেকে কপালে গেরুয়া সিঁদুর পড়িয়ে দিলেন। নিজেও গেরুয়া সিঁদুরে নিজের সিঁথি রাঙিয়ে তোলেন। অনেক বিজেপি কর্মী তাঁরসঙ্গে সেলফিও তোলেন। এক কথায়  রাম নবমী (Ram Navami) নিয়ে একেবারে অন্য দৃশ্য ধরা পড়ল বোলপুরে। যা দেখে সাধারণ মানুষও হতবাক। যদিও, দুপক্ষের যুক্তি রাজনীতির বাইরে গিয়ে উৎসবে মেতেছে সকলে।

    রাম নবমীর শোভাযাত্রায় তৃণমূলের যোগ নিয়ে কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব? Ram Navami

    গত কয়েক বছর ধরে রাম নবমী (Ram Navami)  উদযাপনকে হাতিয়ার করে শক্তিপরীক্ষা করে চলেছে বিজেপি। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বিজেপি নেতাদের উদ্যোগে রাম নবমীর (Ram Navami)  শোভাযাত্রা বের হয়েছে। পালটা শোভাযাত্রা বের করেছে তৃণমূল নেতারাও। তবে, অধিকাংশ জায়গায় পৃথকভাবে এই কর্মসূচি পালিত হয়েছে। কিন্তু, বোলপুরে দেখা গেল অন্য দৃশ্য। রাম নবমীর (Ram Navami)  শোভাযাত্রায় একসঙ্গে পা মেলালেন বিজেপি-তৃণমূল নেতারা। গেরুয়া সিঁদুর খেলাতেও মাতলেন সকলে। বোলপুর রেল ময়দান থেকে রাম নবমীর (Ram Navami)  শোভাযাত্রা বের হয়। সেখানে বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষের নেতৃত্বে বিজেপির নেতা-কর্মীরা ছিলেন। একই শোভাযাত্রায় ছিলেন বোলপুর পুরসভার চেয়ারপার্সন পর্ণা ঘোষ সহ তৃণমূল কাউন্সিলর সুকান্ত হাজরা, ওমর শেখ, তৃণমূল বোলপুর শহর সভাপতি নরেশচন্দ্র বাউড়ি সহ অন্যান্য নেতারা। যা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। এই বিষয়ে বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ অবশ্য বলেন, ” রামকে নিয়ে কোন সংকীর্ণতা চলে না। তাই সকলকে আমরা স্বাগত জানিয়েছি। সকলে অংশ নিয়েছেন। এখানে কোনও রাজনীতি নেই।”

    বিজেপির সঙ্গে রাম নবমী পালন নিয়ে কী বললেন বোলপুর পুরসভার চেয়ারপার্সন? Ram Navami

    বোলপুর পুরসভার চেয়ারম্যান পর্ণা ঘোষের স্বামী সুদীপ্ত ঘোষ জেলা তৃণমূলের কোর কমিটির সদস্য। বেশ কয়েকদিন ধরেই তাঁর সঙ্গে কোর কমিটির অন্যান্য সদস্যদের মতো বিরোধ চলছে। এছাড়া কয়েকদিন আগে অনুব্রত মণ্ডলের আপ্ত সহায়ক ইডি-র সামনে বোলপুর  পুরসভার চেয়ারপার্সন ও তাঁর স্বামীর নামে বিপুল পরিমাণ জমি কেনার কথা বলেছেন। স্বাভাবিকভাবে এই বিষয়টি ইডি-র নজরে রয়েছে। তারজন্যই কী ঘটা করে তৃণমূলের চেয়ারপার্সনের এই রাম নাম প্রশ্ন রাজনৈতিক মহলের। বোলপুর পুরসভার চেয়ারপার্সন পর্ণা ঘোষ বলেন, “রাম সবার দেবতা। রাম নবমী (Ram Navami)  সবার উৎসব। এটা ছিল একটা সম্প্রীতির অনুষ্ঠান। সম্প্রীতির কথা মাথায় রেখে সব শ্রেণীর মানুষকে নিয়ে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা। এটা কোন রাজনৈতিক অনুষ্ঠান বলে আমরা দেখিনি।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Justice Abhijit Ganguly: ‘মানিকের জুতোয় পা গলাবেন না’, পর্ষদ সভাপতিকে বললেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়   

    Justice Abhijit Ganguly: ‘মানিকের জুতোয় পা গলাবেন না’, পর্ষদ সভাপতিকে বললেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়   

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মানিক ভট্টাচার্যের রেখে যাওয়া জুতোয় পা গলাবেন না। শুক্রবার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পালকে এ কথা বললেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly)। গৌতমকে এদিন ভর্ৎসনাও করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তার পরেই বলেন, মানিক ভট্টাচার্যের রেখে যাওয়া জুতোয় পা গলাবেন না। মাথা নেড়ে গৌতম বলেন, আচ্ছা ধর্মাবতার।

    বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly) বলেন…

    ২০১৪ সালের টেট সার্টিফিকেট দিতে দেরি হচ্ছে, এমন অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন চাকরিপ্রার্থীরা। সব শুনে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় পর্ষদ সভাপতিকে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই মতো শুক্রবার আদালতে হাজিরা দেন গৌতম। তিনি জানান, আর্থিক কিছু সমস্যার কারণে এত দিন পরীক্ষার্থীদের শংসাপত্র দেওয়া সম্ভব হয়নি। ৩০ এপ্রিলের মধ্যে তা দিয়ে দেওয়া হবে বলে আদালতকে জানান তিনি। এই প্রসঙ্গেই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly) বলেন, আমার নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে রাতারাতি সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার সময় টাকা থাকে, আইনজীবীদের পিছনে ৩০ লাখ টাকা খরচ করার সময় অসুবিধা হয় না, অথচ টেটের শংসাপত্র দেওয়ার সময় অর্থনৈতিক রীতিনীতির দোহাই দেওয়া হয়।

    বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, এত ভূরি ভূরি অনিয়মের অভিযোগ আসছে এবং আদালতের কাছে এত তথ্যপ্রমাণ রয়েছে, যার ভিত্তিতে ২০১৪ সালের টেটের ভিত্তিতে সংগঠিত হওয়া ২০১৬-র নিয়োগ প্রক্রিয়া খারিজ করে দেওয়া যায়। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে যে, এটা করলে কিছু বৈধভাবে চাকরি পাওয়া ব্যক্তিও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন। তিনি বলেন, একজনও বৈধ প্রার্থী ক্ষতিগ্রস্ত হলে আমার ভাল লাগবে না। এখনও এই দুর্নীতিকে ঢাকতে কিছু দালাল বাজারে ঘুরে বেড়াচ্ছে।

    আরও পড়ুুন: মুকুল কতবড় আইনজীবী দেখতে হবে তো! বললেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

    প্রসঙ্গত, দু দিন আগে নিয়োগ কেলেঙ্কারির একটি মামলায় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly) বলেছিলেন, নির্দ্বিধায় মিথ্যে বলা অভ্যাস রয়েছে মানিক ভট্টাচার্যের। মানিককে জেরা করা নিয়ে সিবিআইয়ের ভূমিকার সমালোচনা করে তিনি বলেছিলেন, এটা কোনও জেরা হয়েছে? এর থেকে তো আমি ভাল জিজ্ঞাসাবাদ করি। কলকাতা হাইকোর্টের অনেক আইনজীবীও এর থেকে ভাল জিজ্ঞাসাবাদ করবেন। তদন্ত শেষ করতে হবে তো!

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     
     
LinkedIn
Share